সর্বশেষ সংবাদ-
আশাশুনিতে জলবায়ু-স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক যুব নেতৃত্বাধীন প্রচারনাসাতক্ষীরা জেলা স্কাউট ভবন এর উর্ধ্বমুখি সম্প্রসারণ কার্যক্রম উদ্বোধনখুলনায় এনসিপি নেতা গুলিবিদ্ধ: সাতক্ষীরা সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদারশ্যামনগরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনিয়ম ‌দুর্নীতির অভিযোগল স্টুডেন্টস ফোরাম এর নবনির্বাচিত কমিটি নির্বাচন কমিশনের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়তিতাস বহুমুখী সমবায় সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভাঝিনাইদহের জয়দিয়া বাওড়ের অবৈধ বন্দোবস্ত বাতিলের দাবিতে মানববন্ধনশীতের ছুটিতে ঘুরে আসুন দেবহাটার রূপসী ম্যানগ্রোভপ্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা -অগ্নি সংযোগের প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধনবিইউপিএফের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে শপথ নিলেন জালালপুর ইউপি চেয়ারম্যান

ভোর থেকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়ায় ফেরি চলাচল বন্ধ

মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ও রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। ঘন কুয়াশার কারণে নৌ-দুর্ঘটনা এড়াতে শুক্রবার ভোর ৪টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা সিদ্ধান্ত নেন কর্তৃপক্ষ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পাটুরিয়া ফেরিঘাট শাখা বাণিজ্য বিভাগের সহকারী মহাব্যবস্থাপক নাসির হোসেন জানান, মধ্যরাতের পর থেকে ঘন কুয়াশায় ফেরির মার্কিং বাতির আলো অস্পষ্ট হয়ে যায়। এতে করে নৌরুটে দুর্ঘটনার ঝুঁকি এড়াতে ভোর পৌনে ৪টা থেকে সাময়িকভাবে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়।

এসময় মাঝ নদীতে যানবাহন ও যাত্রী নিয়ে আটকা পড়ে ৪টি ফেরি। এছাড়া পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় ১০টি এবং দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় দুইটি ফেরি যানবাহন ও যাত্রী বোঝাই করে নৌরুট পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটায় ককটেল ও রামদাসহআটক ৫

দেবহাটা ব্যুরো: দেবহাটা থানা পুলিশ ককটেল ও রামদা সহ নাশকতার অভিযোগে ৫ জনকে আটক করেছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে আটককৃত ৫ জন ছাড়াও বাকি ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরো ৪০/৫০ জনের নামে দেবহাটা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। মামলাটি দায়ের করেছেন দেবহাটা থানার এসআই আব্দুস সামাদ। মামলা নং- ০৩, তাং- ১১-০১-১৮ ইং। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, দেবহাটা উপজেলা মাঝ পারুলিয়া গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে রমজান আলী (৪৩), সুশীলগাতী গ্রামের মৃত ইয়াদ আলী খাঁনের ছেলে রাশেদ আলী খাঁন (৪৫), একই গ্রামের জবেদ আলী খাঁনের ছেলে আইয়ুব আলী খাঁন (১৬), দক্ষিণ পারুলিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল হাই এর ছেলে বুলবুল আহমেদ (৩৮) ও একই গ্রামের মৃত দ্বীন আলীর ছেলে মনিরুল ইসলাম (৩৫) সহ ১৮ জন নামীয় সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪০/৫০ জন আসামি নাশকতা করার উদ্দ্যেশ্যে দেবহাটা উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামে সমবেত হয়। এসময় পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদেরকে আটক করে। তাদের কাছ থেকে ৫টি ককটেল, ১টি রামদাসহ লাটিসোটা উদ্ধার করা হয়। আটক কৃতদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
নজিরবিহীন রেকর্ডের দিন আজ; টানা ৯ বছর ক্ষমতায় শেখ হাসিনা

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের চার বছর পূর্তি আজ। বন্ধুর পথ পাড়ি দিয়ে সব সূচকে অগ্রগতি, সাফল্য আর উন্নয়নের নিশান উড়িয়ে টানা ক্ষমতার নয় বছর পূর্ণ করল শেখ হাসিনার সরকার। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করে সরকার। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্বসভায় বাংলাদেশ এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে। গ্রামীণ অর্থনীতি মজবুত ভিতের ওপর দাঁড়িয়েছে। সব সূচকে পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে বাংলাদেশ। নজিরবিহীন এ সাফল্যের যাত্রা শুরু হয় ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের মধ্য দিয়ে। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় এবং ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ১২ জানুয়ারি তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।

টানা নয় বছরে সরকার পরিচালনার সফলতা-ব্যর্থতার খেরোখাতায় যে লাইনটি সবার আগে উঠে এসেছে তা হচ্ছে— দেশের রাজনীতিসহ সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতেই। নানামুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দেশকে উন্নয়ন-অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যাচ্ছে শেখ হাসিনার সরকার। এ সময়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুত্তি, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীসহ বিভিন্ন খাতের উন্নয়ন দেশের ভিতরে-বাইরে বেশ প্রশংসিত হয়েছে। বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ শুধু উন্নয়নের রোল মডেলই নয়, একটি মানবিক রাষ্ট্র হিসেবেও প্রশংসিত হয়েছে বিশ্বদরবারে। কথিত তলাবিহীন ঝুড়ির বাংলাদেশ আজ ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার পাশাপাশি খাদ্য, বস্ত্র, চিকিত্সার দায়িত্বও নেয়। সবকিছুই সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় ও সাহসী নেতৃত্বের কারণে। তবে মাঠের বিরোধী দল বিএনপিকে রাজপথে সভা-সমাবেশ করতে না দেওয়া, গুম-খুন এবং প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় সরকারকে সমালোচনায় পড়তে হয়েছে। সূত্রমতে, আগামী ডিসেম্বরে জনগণের কাছে ভোটের জন্য যেতে হবে। টানা নয় বছরের শাসনামলের ইতিবাচক কী পুঁজি নিয়ে দেশবাসীর কাছে ভোট চাইবে, ক্ষমতায় থাকার ম্যান্ডেট চাইবে? সে প্রশ্নটি কখনো সরবে, কখনো নীরবে আলোচিত হচ্ছে। আওয়ামী লীগ ও সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একাধিক সূত্র জানায়, টানা নয় বছরের উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ ও সরকারের সাফল্যগুলোই প্রধান হাতিয়ার হবে জাতীয় নির্বাচনের। এ বছরই সরকারের অগ্রাধিকার জনবান্ধব প্রকল্পগুলো দৃশ্যমান হবে। নিজস্ব অর্থায়নে করা দেশের সবচেয়ে বড় প্রকল্প পদ্মা সেতু দৃশ্যমান হবে এ বছর। দোতলা এই সেতুর কাজ ইতিমধ্যে ৫২ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। উত্তরা থেকে পল্লবী হয়ে মতিঝিল পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার মেট্রোরেল প্রকল্প দৃশ্যমান হতে চলেছে। রাজধানীকে যানজটমুক্ত করতে ২২ হাজার কোটি টাকার বড় প্রকল্পটি দৃশ্যমান হবে বলে আশা করা হচ্ছে। কক্সবাজারের মাতারবাড়িতে এক হাজার ২০০ মেগাওয়াটের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উদ্বোধন ২৫ জানুয়ারি। পটুয়াখালীর পায়রা বন্দরে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ চলছে জোরগতিতে। ঢাকা-জয়দেবপুর চার লেনের ৫১ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। প্রথম এক্সপ্রেসওয়ে মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের কাজের অগ্রগতি হয়েছে ২৬ ভাগ। ঢাকা-চট্টগ্রাম চার লেনের কাজ শেষ পর্যায়ে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্বের কারণে কোনো বাধাই উন্নয়নের গতিপথ রোধ করতে পারেনি। বর্তমান সরকারের আমলে প্রবৃদ্ধি ৫.৫৭ থেকে ৭.২৮ শতাংশে উন্নীত। মাথাপিছু আয় ৮৪৩ থেকে ১৬১০ মার্কিন ডলার, বিনিয়োগ ২৬.২৫ শতাংশ থেকে ৩০. ২৭ শতাংশ, রপ্তানি ১৬.২৩ থেকে ৩৪.৮৫ বিলিয়ন ডলার, রেমিটেন্স ১০.৯৯ থেকে ১২.৭৭ বিলিয়ন ডলার, রিজার্ভ ১০.৭৫ থেকে ৩৩.৪১ বিলিয়ন ডলার এবং এডিপি ২৮৫ বিলিয়ন টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১১০৭ বিলিয়ন টাকা। বিদ্যুৎ উত্পাদন বেড়েছে ৮৫ ভাগ। বিএনপি-জামায়াতের রেখে যাওয়া ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উত্পাদন থেকে বাড়িয়ে এখন ১৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উত্পাদন হচ্ছে। সূত্রমতে, নিজস্ব অর্থায়নে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর নির্মাণ ও মেট্রোরেল প্রকল্প সরকারের অগ্রাধিকার ও জনবান্ধব উন্নয়ন প্রকল্পগুলো দৃশ্যমান হবে এ বছর।

সরকারের গত নয় বছরের মেয়াদে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও সাফল্য রয়েছে অনেক। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি সরকারের ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সিপিএ (কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশন) চেয়ারপারসন এবং সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরীর ইন্টারপার্লামেন্টারি ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া ছিল দেশের এবং সরকারের জন্য অত্যন্ত সম্মানের। এ ছাড়াও আন্তর্জাতিক এ দুটি সংগঠনের জাতীয় সম্মেলনও বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক আদালতে আইনি লড়াই চালিয়ে বাংলাদেশের আয়তনের সমপরিমাণ সামুদ্রিক এলাকা আদায় করা সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বের কারণেই। একইভাবে ভারতের সঙ্গে ছিটমহল সমস্যার সমাধান হয়েছে আওয়ামী লীগের আমলে। ২০১৭ সালের শেষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ ইউনেস্কোর ‘ঐতিহাসিক দলিল’ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এ এক অনন্য উচ্চতার শিখরে আরোহণ : ৭ মার্চের ভাষণ এখন বিশ্বের। নারীর ক্ষমতায়নে অনন্য অবদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘প্ল্যানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন’ এবং ‘এজেন্ট অব চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ড’-এ ভূষিত করেছে জাতিসংঘ। এ ছাড়া হার্ভার্ড ও ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে করা ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ‘দ্য গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ রিপোর্টে রাষ্ট্রক্ষমতায় নারীর অবস্থান বিবেচনায় সবাইকে পেছনে ফেলে বিশ্বের এক নম্বরে উঠে এসেছে বাংলাদেশের নাম। নির্যাতনের শিকার হয়ে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয়-খাওয়ানোর ব্যবস্থা করায় বিশ্ব গণমাধ্যম ‘বিশ্ব মানবতার জননী’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক মহলে সুনাম বেড়েছে।

প্রথম থেকেই সঠিক পথে চলায় বর্তমান সরকারের কাছ থেকে মানুষের প্রত্যাশা বেড়েছে কয়েকগুণ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণকে দেওয়া সব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করে দেশকে বিশ্বসভায় ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত-সমৃদ্ধ-শান্তিময় দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন— এমন আশায় বুক বেঁধেছে দেশের মানুষ। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে নির্বাচনী ইশতেহারে যেসব ঘোষণা দেওয়া হয়েছে সেগুলো ধীরে ধীরে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে সরকার। কৃষি, খাদ্য, ভূমি উন্নয়নে ইশতেহার অনুযায়ী উত্পাদন বাড়াচ্ছে সরকার। বছরে খাদ্যশস্য উত্পাদন প্রায় ৪ কোটি মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে। মিঠা পানির মাছ উত্পাদনে বাংলাদেশ চতুর্থ এবং সবজি উত্পাদনে তৃতীয়। বর্তমানে চতুর্থ চাল উত্পাদনকারী দেশ বাংলাদেশ। নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক সাফল্য এসেছে বর্তমানে। ১৩ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হয়েছে। বিনামূল্যে ৩০ ধরনের ওষুধ বিতরণ করা হচ্ছে। ২০২১ সালে মানুষের গড় আয়ু ৭২ ধরা হলেও এখনই সে লক্ষ্য বাস্তবায়ন হয়েছে। স্বাস্থ্য কার্ড সেবা চালু হয়েছে। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে অন্যতম ঘোষণা ছিল দারিদ্র্য দূরীকরণ। ২০২১ সালের মধ্যে সহস্রাব্ধ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দারিদ্র্যের অনুপাত ১৫ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনার লক্ষ্য ধরা হয়েছিল। সে লক্ষ্য বাস্তবায়নে দারিদ্র্য হ্রাসের হার ১.৭’র উপরে নিয়ে যেতে পেরেছে সরকার। ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ সরকার। শুরু থেকেই সে লক্ষ্য বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করে। ইউনিয়ন পরিষদ তথ্যকেন্দ্রগুলোকে ডিজিটাল সেন্টারে রূপান্তর করা হয়েছে। সারা দেশে স্কুল-কলেজে মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুম করা হয়েছে। ভূমি ব্যবস্থাপনা, টেন্ডারসহ নানা কাজে ই-সেবা চালু করা হয়েছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। কানেক্টিং ডিজিটাল বাংলাদেশ, দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়ন, ই-গভর্নমেন্ট এবং আইসিটি শিল্পের উন্নয়ন— এই চার স্তম্ভকে ঘিরেই পরিচালিত হয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের কার্যক্রম। টানা দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় সরকারের এই চার বছর একেবারে শুভকর ছিল না। জঙ্গি হামলার মাধ্যমে বাংলাদেশকে সারা বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করার যে অশুভ ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল, বাস্তবে ঘটেছে ঠিক তার উল্টো। ওই হামলার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারতসহ বিশ্বের তাবৎ বড় দেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল। এরপর শক্ত হাতে হামলাকারী জঙ্গিসহ তাদের মাস্টারমাইন্ডদের নিধন করে দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতেও সক্ষম হয় ক্ষমতাসীন সরকার। এর পর বাকি সময়ে স্থিতিশীল ও শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশ আর সব সূচকে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার মিছিল আর থামেনি, বরং আরও এগিয়ে যাচ্ছে। কেমন গেল এই তিন বছর? অনেক বিচক্ষণ ব্যক্তি, দল ও গোষ্ঠী বলেছিল, ২০১৪ সালের নির্বাচন হলে কী হবে, শেখ হাসিনার সরকার এই দফায় এক বছরও টিকবে না। কিন্তু শত বাধা-বিপত্তি ও প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করে শেখ হাসিনার সরকার শুধু টিকেই যায়নি, এই চার বছরে দেশকে অগ্রগতির পথে অনেকদূর নিয়ে গেছে। শুধু বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নন, শেখ হাসিনাকে অনেকেই উন্নয়নশীল দেশের ‘উন্নয়নের রোল মডেল নেতা’ হিসেবেও মনে করেন। গত বছর সরকারবিরোধী জোরালো কোনো আন্দোলন ছিল না, ছিল না রাজপথে রাজনৈতিক সংঘাত-সংঘর্ষ। তবে আগামীর পথ কুসুমাস্তীর্ণ নাও হতে পারে। তাই রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা সরকারকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। এ বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রধান চ্যালেঞ্জই হচ্ছে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি নিজ দলের চেন অব কমান্ড ঠিক রেখে দলকে টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতা আনা। কুমিল্লা ও রংপুর সিটি নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটির উপনির্বাচনসহ আরও পাঁচ সিটিতে জনপ্রিয়তার প্রমাণ দিতে হবে। সরকারের চার বছরের মূল্যায়ন করতে গিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, এবারের চার বছর এবং গত পাঁচ বছরে সরকারের বড় সাফল্য অর্থনীতিতে গতিশীলতা এসেছে। বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে উন্নয়ন হয়েছে। দারিদ্র্য সীমার হার ২০ ভাগের নিচে নেমে এসেছে। হতদরিদ্রের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। শিক্ষার বিস্তৃতি বেড়েছে। সাক্ষরতার হার বেড়েছে। দেশের অর্থনীতির গতি বৃদ্ধি পাওয়ায় ১৩৪টি দেশের মধ্যে ১৭তম অবস্থানে বাংলাদেশ। নারীর ক্ষমতায়নে এক নম্বরে বাংলাদেশ। সব সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বের কারণেই। আগামীতে চ্যালেঞ্জ কী? জানতে চাইলে তিনি বলেন, টানা নয় বছরে সরকারের যে উন্নয়ন হয়েছে, সেগুলোকে ধরে রেখে আগামীতে দলকে টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আনা। নির্বাচনের সময় কখনো কখনো অস্থিরতা পরিবেশ তৈরি হয়, সেগুলোও শক্তভাবে মোকাবিলা করা সরকারের অন্যতম চ্যালেঞ্জ।
সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘জঙ্গি আস্তানায়’ অভিযান, হতাহতের শঙ্কা

রাজধানীর পশ্চিম নাখালপাড়ায় জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে একটি বাড়ি ঘিরে অভিযান চালাচ্ছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।

গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটা থেকে বাড়িটি ঘিরে অভিযান শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এর মধ্যে কয়েক দফা বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।

আজ শুক্রবার সকালে র‍্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক মুফতি মাহমুদ গণমাধ্যমকে জানান, বোমা বিস্ফোরণে র‍্যাবের দুই সদস্য আহত হয়েছেন। ভিতরে মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করছি।

এ ঘটনায় ওই বাড়ির মালিকসহ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এ দিকে সকাল ৭টার দিকে নিষ্ক্রিয়করণ দল (বোম ডিসপোজাল ইউনিট) ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।

পশ্চিম নাখালপাড়ার যে ছয়তলা বাড়িটি ঘিরে এই অভিযান চলছে, সেটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে খুব বেশি দূরে নয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
খেশরায় পাকুড়িয়া নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন

খেশরা প্রতিনিধি : তালা উপজেলা খেশরা ইউনিয়নের হরিহরনগর গ্রাম সংলগ্ন পাকুড়িয়া নদীতে কোন প্রকার ইজারা ছাড়াই চলছে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন। এই বালু দিয়ে আবার রাস্তা পাকাকরণের জন্য মাটির উপরে বালু দেওয়ার কাজ চলছে। হরিহরনগর প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু হয়ে একই গ্রামের মোড়লপাড়া আশেক মোড়লের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা পাকাকরণের ঠিকাদারী পায় তালা উপজেলার তেঁতুলিয়া গ্রামের জনৈক আনোয়ার মাষ্টার। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এ কাজে মাটির উপরে প্রাথমিক ভাবে বালু দেওয়ার নিয়ম থাকায় তিনি সেটা স্থানীয় প্রভাবশালীদের যোগসাজসে পাকুড়িয়া নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলন করে, মোবারক মাষ্টারের বাড়ি হতে আশেক মোড়লের বাড়ি পর্যন্ত ভরাট করেছেন। ভরাটের স্থান থেকে প্রায় ৫০০ মিটার দূরের পাকুড়িয়া নদী থেকে ড্রেজারের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করছেন। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার আনোয়ার মাষ্টারকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, খেশরা ইউ,পি চেয়ারম্যান রাজিব হোসেন (রাজু) এবং ঐ ওয়ার্ডের ইউ,পি মেম্বর শামসুল হক মোড়ল উক্ত রাস্তায় বালু ভরাটের ঠিকাদারী নিয়েছেন। উক্ত ওয়ার্ডের মেম্বর শামসুল হকের সাথে কথা বললে জানান যে, নদীতে চরা পড়ে যাওয়ায় ঠিকাদারকে বালু উত্তোলনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বৈধতার প্রশ্ন তুললে তিনি রেগে গিয়ে বলেন, আমাদের নিজেদের এলাকার কাজ তাই এখানে বৈধ-অবৈধের প্রশ্নই ওঠেনা। খেশরা ইউ,পি চেয়ারম্যান রাজিব হোসেন (রাজু) সাথে কথা বললে জানান যে, হরিহরনগর ফুটবল মাঠটি ভরাটের জন্য উক্ত ঠিকাদারকে বললে মাঠ ভরাটের কাজটি তিনি করে দিবেন বলে আমাকে আশ্বস্ত করেন। তবে আমার নিষেধ স্বত্তেও উনি নিজেই এই ভাবে বালি উত্তোলন করছেন। এলাকাবাসী হিসাবে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল গফুর গোলদার বলেন- পাকুড়িয়া নদীটিতে এলাকার সবার স্বার্থ থাকার কথা থাকলেও মেম্বর শামসুল হক মোড়ল একক ভাবে তিনি ও তার ভাইয়েরা জবরদখল করে খাচ্ছেন। তিনি বলেন এভাবে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন চলতে থাকলে অচিরেই হয়তো পাকুড়িয়া নদী সংলগ্ন ফসলী জমি ও বাড়িঘর ব্যাপক ভূমিধ্বসের কবলে পড়বে। যদিও শামসুল হকের নামে পাকুড়িয়া নদী ইজারা নেওয়া।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় জনজীবন বিপর্যস্ত; শিশু ও বয়স্কদের কষ্ট বাড়ছে

আসাদুজ্জামান: গত কয়েকদিনের তীব্র শীতে সাতক্ষীরায় শিশুদের ঠান্ডাজনিত রোগ-বালাই বেড়েছে। প্রচ- ঠান্ডায় কোল্ড ডায়রিয়া, শ^াসকষ্ঠ, নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুসহ বৃদ্ধরা। এর ফলে রুগীদের ভীড় সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এদিকে, শীতের কনকনে ঠান্ডায় জন জীবন বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে।
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্ত জেলা সাতক্ষীরায় দেশের উত্তরাঞ্চলের সাথে পাল্টা দিয়ে বাড়ছে শীত। শীতের তীব্রতায় প্রতিদিনই শিশু ও বৃদ্ধরা আক্রান্ত হচ্ছে শীতজনিত বিভিন্ন রোগে। তাদেরকে ভর্তি করা হচ্ছে বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে।
প্রচ- শীতে গত কয়েক দিনে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে আটজনের। এছাড়া ঠান্ডাজনিত রোগাক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে কমপক্ষে ২৮৯ জন শিশু। প্রতিদিন সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে শীতের তীব্রতা বাড়তে থাকে। সন্ধ্যার পর পরই শহরে মানুষ চলাচল কমে যাচ্ছে। দ্রুত বন্ধ হয়ে যাচ্ছে হাঁট-বাজারের দোকানপাট। সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে শুরু হচ্ছে ঘণ কুয়াশা। ভোর বেলা ঘণ কুয়াশায় ঢাকা থাকছে শহরের রাস্তাঘাট। দুপুরে হালকা রৌদ বের হলেও তার উত্তাপ খুব কম থাকে। হঠাৎ প্রচ- শীতে শ্রমজীবি মানুষের ভোগান্তি আরো বেড়ে গেছে। কনকনে শীতে তারা ঠিকমত কাজ করতে পারছে না। শীতে বস্তির হত দরিদ্রদের দূুর্ভোগ বেড়ে গেছে। গরম কাপড়ের খোঁজে পুরানো কাপড়ের দোকানে ভীড় জমাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত দশদিনে সদর হাসপাতালে নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্টসহ ঠান্ডাজনিত রোগাক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে ১৪১ শিশু। এছাড়া ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে ৭৩জন। একইভাবে সাতক্ষীরা শিশু হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৩৫ শিশু।
সাতক্ষীরা শহরের মুনজিতপুর এলাকার আমিনুর রহমান আলম জানান, তার মেয়ের বয়স দুই বছর। হঠাৎ সে ডায়রিয়া বমি ও জ্বরে আক্রান্ত হয়। প্রথমে তাকে ডাক্তার দেখানো হলেও না কমায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। এখন সে মোটা মুটি সুস্থ আছে।
সাতক্ষীরার ভোমরস্থল বন্দর এলাকার খোকন জানান, তার ছেলের বয়স দুই বছর। প্রচ- শীতে সে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়। প্রথমে তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে অবস্থার অবনতি হলে তাকে খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
সদর হাসপাতালের নার্স রাবেয়া খাতুন বলেন, হঠাৎ শৈত্য প্রবাহের সাথে শীত বেড়ে যাওয়ায় শিশুদের ঠান্ডাজনিত রোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত দশদিনে আড়াই শতাধিক শিশু সদর হাসপাতালে শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগাক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে। তাদের আন্তরিকতার সাথে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের সহকারি অধ্যাপক ডা: মো: সামছুর রহমান জানান, ঠান্ডা জনিত কারণে শিশুদের কোল্ড ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় বেশি আকান্ত হচ্ছে। কখনও ঠান্ডা বেশি আবার কখনও গরম হওয়ার কারনে এমনটি হচ্ছে। প্রতিদিন সদর হাসপাতালে ডায়রিয়া রুগী ১০ থেকে ১৫ জন ভর্তি হচ্ছে। ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রুগী ভর্তি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ জন ও আউটডোরে প্রতিদিন ৫০ থেকে ৬০ জন রোগি আসছে।
সাতক্ষীরা শিশু হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, প্রচন্ড শীত পড়ায় অভিভাবকদের অসচেতনতার কারণে শিশুরা কোল্ড ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়ায় বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। গত দশদিনে এই হার বেড়েছে। সচেতন না হলে অর্থাৎ শিশুদের ঠান্ডা থেকে দূরে রাখতে না পারলে তা ভোগান্তির কারণ হতে পারে।
এদিকে, সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন জানান, সাতক্ষীরায় জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে গড় তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা ৮ জানুয়ারি ৭.৫ ডিগ্রি, ৯ জানুয়ারি ৫.৬ ডিগ্রি ও ১০ জানুয়ারি ৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে দাড়ায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
নূরনগরে আ ’লীগের কর্মীদের শীতবস্ত্র বিতরণ

নূরনগর প্রতিনিধি: গতকাল শ্যামনগর উপজেলা নূরনগর ইউনিয়ন আ”লীগের কর্মীদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরন করা হয়েছে। সকাল ১১টায় নুরনগর বাজার সংলগ্ন সোহেল রানা বাবুর নিজস্ব অফিসে নূরনগর ইউনিয়ন আ”লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের কর্মীদের শীতবস্ত্র বিতরন করা হয়। ইউনিয়ন আ”লীগের এবং ইউনিয়ন আ”লীগের সহযোগী সংগঠনের সদস্যদের এই শীতবস্ত্র দেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। সংসদ সদস্য এস এম জগলুল হায়দারের নিজস্ব অর্থায়নে এবং নূরনগর ইউনিয়ন আ”লীগের সাধারন সম্পাদক এস এম সোহেল রানা বাবুর সার্বিক পরিচালনায় এই শীতবস্ত্র বিতরন করা হয়েছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন, ইউনিয়ন আ”লীগে সহ সভাপতি এস এম সাইদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ খলিলুর রহমান, শ্রম ও মানব বিষয়ক সম্পাদক জি এম আব্দুস সামিদ, ইউনিয়ন তরুনলীগ সভাপতি ডি এম রবিউল ইসলাম মুকুল ও সাধারন সম্পাদক নাজিম আহমেদ, সেচ্ছাসেবকলীগ সাধারন সম্পাদক সাইফুল ইসলাম মিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুর রহমান, ওয়ার্ড আ”লীগের সভাপতি মোঃ আব্দুল গফ্ফার, সাধারন সম্পাদক হাসান চৌধুরি, মোঃ রুস্তুম আলী সহ ইউনিয়ন আ”লীগ ও এর অঙ্গ সহোযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
স্বামী বিবেকানন্দের ১৫৫তম আবির্ভাব তিথিতে সাতক্ষীরায় বিভিন্ন কর্মসূচি

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : কাল ১২ জানুয়ারি শুক্রবার যুবনায়ক স্বামী বিবেকানন্দের ১৫৫তম আবির্ভাব তিথি।
এ উপলক্ষে সাতক্ষীরা মায়েরবাড়ী মন্দির প্রাঙ্গণে সকাল ৭টায় প্রার্থনা, ৮টায় বিবেকানন্দের উপর রচিত সঙ্গীত পরিবেশনা, ৯টায় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, ১০টায় আলোচনা সভা, দুপুর ১টায় প্রসাদ বিতরণ ও সন্ধ্যা ৬টায় শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। উক্ত অনুষ্ঠানে সকলকে উপস্থিত থাকার জন্য বিবেকানন্দ শিক্ষা ও সংস্কৃতি পরিষদ সাতক্ষীরা জেলা শাখার পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest