ঢাকায় এসে বিক্ষোভের মুখে পড়া দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজের জিম্মাদার মাওলানা মোহাম্মদ সাদ কান্ধলভি এবারের বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নিচ্ছেন না।
বিস্তারিত আসছে…
প্রচণ্ড ঠাণ্ডার কারণে বিরল এক তুষারপাতের সাক্ষী হলো সাহারা মরুভূমি! ওই অঞ্চলে সম্প্রতি তাপমাত্রা ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে। ফলে সাহারা মরুভূমি অধ্যুষিত আলজেরিয়ার আইন সেফ্রা শহরের অধিবাসীরা তুষারপাত দেখার সুযোগ পায়।
তবে এ তুষারপাতের ঘটনাকে বেশ উপভোগ করেছেন সেফ্রা’র বাসিন্দারা। ঠান্ডার মধ্যেও তারা ঘর ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে আসেন।
ওই এলাকাটিতে মরুভূমির কিছু কিছু স্থানে বরফ জমাট বেঁধে থাকতে দেখা যায়। অনেকেই বিস্ময়কর এ ঘটনার ছবি তুলে রাখেন। ছবিতে ফুটে উঠে, লালচে বালির মধ্যে সাদা তুষারপাতের নৈসর্গিক সৌন্দর্য।
উল্লেখ্য, উত্তর আলজেরিয়ার শহর ‘আইন সেফ্রা’ সাহারা মরুভূমির প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত। এখানে গ্রীষ্মকালের গড় তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি এবং শীতকালে মাইনাস ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও কম হয়।
জানা যায়, মরুভূমি ও অ্যাটলাস পর্বতমালার মাঝামাঝি অবস্থান করা এই শহরে তুষারপাত অবশ্য নতুন নয়। এ এলাকায় সর্বশেষ তুষারপাত হয়েছিলো ২০১৬’র ডিসেম্বরে। সেবার ৩৭ বছর পর তুষারপাত দেখেছিল আইন সেফ্রা। তখন সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় এক হাজার মিটার উঁচু অ্যাটলাস পর্বতমালাও ছেয়ে যায় তুষারে।
আশাশুনি ব্যুরো: আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের গোয়ালডাঙ্গা গ্রামের বৃদ্ধা মা ক্ষ্যান্তদাশীকে মারপিট করেছে তারই সন্তান। আহত ক্ষ্যান্ত দাশীকে আশাশুনি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আশাশুনি থানা পুলিশ জানায়, মারপিটকারী সন্তানকে আটক করতে অভিযান চালিয়েও তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
গোয়ালডাঙ্গা গ্রামের মৃত কুন্ডু মন্ডলের স্ত্রী ক্ষ্যান্ত দাশীর (৭২) সহায় সম্পদ সন্তান হাতিয়ে নিয়ে মায়ের উপর নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে তার সন্তান নিরাপদ মন্ডল। ক্ষ্যান্ত দাশী জানান, স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে তার রেখে যাওয়া দেড় বিঘা জমি নিয়ে ভালই ছিলেন। সরকার তাকে বয়স্ক ভাতা দিচ্ছে। তার গরুও রয়েছে। কিন্তু সন্তান নিরাপদ মন্ডল স্ত্রীর কথায় বিশ্বাস করে মাকে ভাল নজরে দেখেনা। যখন তখন মায়ের উপর চড়াও হয়। গরু ও জমি নিজের দখলে নিয়েছে। বয়স্ক ভাতার টাকাও হাতিয়ে নিতে চায়। মা টাকা দিতে রাজী না হওয়ায় স্ত্রীকে সাথে নিয়ে গালিগালাছ ও নির্যাতন করে আসছে। গত সোমবার তারা বৃদ্ধা মাকে মারপিট করে। বাধ্য হয়ে অতিকষ্টে ক্ষ্যান্তদাশী আশাশুনি থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন। ওসি শাহিদুল ইসলাম শাহিন তাকে হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করেন এবং অভিযুক্ত সন্তানকে আটকের আদেশ দেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক : নিজের মাছের ঘেরে কাজ করার সময় প্রকাশ্য দিবালোকে আমার ছেলে নুরুল ইসলামকে পুলিশ তুলে নিয়ে গেছে। অথচ থানায় গেলে পুলিশ বলছে, আমরা তাকে গ্রেফতার করিনি। আমি আমার ছেলের সন্ধান চাই, তাকে সুস্থ অবস্থায় ফেরত চাই।
বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরায় সংবাদ সম্মেলন করে তার ছেলে নুরুল ইসলামকে গ্রেফতারের কথা বলেন সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বন্দকাটি গ্রামের প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা আরশাদ আলি মোড়লের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম।
তবে পুলিশ বলছেন, নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে আরও কয়েকটি ঘৃণ্য অপরাধের অভিযোগও আছে। তাকে আমরা গ্রেফতার করার চেষ্টা করেও পারিনি।
মনোয়ারা বলেন, আমার ছেলের কি দোষ তা জানি না। যদি কোনো দোষ থাকে তাহলে আইনের আওতায় বিচার করলে আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু তার আগে আমরা তার সন্ধান চাই, মুক্তি চাই।
তিনি বলেন, আমার ছেলে আওয়ামী লীগ কর্মী নুরুল ইসলাম গলঘেষিয়া নদীর ধারে নিজ ঘেরে মঙ্গলবার দুপুরে কাজ করছিলেন। এ সময় কালিগঞ্জ থানার কয়েকজন পুলিশ সদস্য তাকে গ্রেফতার করেন। এতে বাধা দেওয়ায় তার ছেলে রনিকেও মারধর করে পুলিশ। পরে নুরুল ইসলামকে পিক আপে তুলে গ্রামবাসীর সামনে নিয়ে যাওয়া হয় থানায়। তিনি বলেন ছেলের সাথে দেখা করতে আমি বিষ্ণুপর ইউপি ও দক্ষিণ শ্রীপুর ইউপি চেয়ারম্যান যথাক্রমে মো.রিয়াজউদ্দিন ও প্রশান্ত সরকারের সাথে কালিগঞ্জ থানায় গেলে পুলিশ জানায় তারা তাকে গ্রেফতার করেনি। বুধবার আবারও থানায় গেলে তাকে জানানো হয় যে নুরুল ইসলামকে সাতক্ষীরার গোয়েন্দা পুলিশ নিয়ে গেছে। তবে গোয়েন্দা পুলিশ বলেছে এ সম্পর্কে তাদের কিছুই জানা নেই। এখন আমি কোথায় যাবো, কার কাছে যাবো বলে জানান মনোয়ারা বেগম।
কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুবীর দত্ত জানান, নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলাসহ কয়েকটি অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। তার এক সহযোগী এই তথ্য দিয়েছেন। এজন্য নুরুলকে গ্রেফতার করতে পুলিশ পাঠানো হলেও সে পালিয়ে যায়’। সংবাদ সম্মেলনে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, নুরুল ইসলামের ছেলে রনি ও শামীম উজ জামান।
শ্যামনগর প্রতিনিধি: শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ি ইউনিয়নের শংকরকাটি গ্রামে হাফিজুর রহমান(২২) নামে এক ব্যক্তি ১৪ দিন ধরে নিখোঁজ হয়েছে বলে তার পরিবার জানান।
হাফিজুর রহমানের মা আকলিমা বলেন, আমার ছেলের হালকা মানসিক সমস্যা ছিল। এবছর প্রথমে কুমিল্লা ইট ভাটায় যায় কাজ করতে। এরপর আড়াই মাস সেখানে কাজ করার পর ঢাকা আমিন বাজারে রউফ সরদারের তত্বাবধানে ইটের ভাটায় একদিন আর এক বেলা কাজ করে। এরপর থেকে আর ছেলের খোঁজ পাচ্ছি না।
হাফিজুর রহমানের পিতা ফজলুল হক বাদী হয়ে গত ০৩.০১.২০১৮ তারিখে শ্যামনগর থানায় ১২৪ নং একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। সাধারণ ডায়েরি সূত্রে জানাগেছে, গত ২৮.১২.২০১৭ ইং তারিখে শ্যামনগরের পাতাখালীর আব্দুর রউফ সরদারের তত্বাবধানে ঢাকা আমিন বাজার নামক স্থানে ইটের ভাটায় কাজের উদ্দেশ্যে যায়। এরপর গত ০১.০১.২০১৮ ইং তারিখে আমার ছেলে হঠাৎ ০১৯৬০১১১৭০৯ নম্বরের মাধ্যমে আমার কাছে ফোন করে বলে যে, আব্বা আমার কাছে টাকা নেই, আমাকে দ্রুত কিছু টাকা পাঠিয়ে দাও বলে একটি বিকাশ নম্বর দেয়। পরবর্তীতে আমি উক্ত বিকাশ নম্বরে টাকা পাঠিয়ে দেই। এরপর আমার সন্দেহ হলে আমি উক্ত ইটভাটায় যায়। কিন্তু আমার ছেলের কোন সন্ধান পায়নি। এমতাবস্থায় আমার ছেলেকে ফিরে পেতে আমি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
শ্যামনগর প্রতিনিধি : প্রজনন মৌসুমকে ঘিরে সুন্দরবনে কাঁকড়া আহরণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বন বিভাগ। ১ জানুয়ারি থেকে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে। সুন্দর বনাঞ্চলের নদী ও খালে রফতানিযোগ্য কাঁকড়ার উৎপাদন বাড়াতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ নিষেধাজ্ঞা চলাকালে কেউ কাঁকড়া আহরণ ও মজুত কিংবা সংরক্ষণ করলে তার বিরুদ্ধে বন আইনে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছে বন বিভাগ। এদিকে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরা চলছে আবাদে। সুন্দরবন উপকূলীয় কয়রা, গাবুরা, বুড়িগলিনি, মুন্সিগঞ্জ, ভেটখালি বাজার সহ বিভিন্ন এলাকায় কাঁকড়া সমিতির মাধ্যমে কাঁকড়া আহারণ চালু রেখেছে বলে জানা গেছে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সুন্দরবন উপকূলীয় এলাকার কাঁকড়ার বেশ চাহিদা রয়েছে। আর রফতানিযোগ্য কাঁকড়ার সিংহভাগের জোগান হয়ে থাকে সুন্দরবনের অভ্যন্তরীণ নদী-খাল থেকে। বন বিভাগ সূত্র জানায়, কাঁকড়া নদী বা খালে বেড়ে উঠলেও এর প্রজনন হয় সাগরের মুখে বা গভীর সাগরে। তাই এ সময় কাঁকড়া গভীর সাগরের দিকে ছোটে। তাছাড়া এ সময় নদীর পানির চেয়ে সাগরের পানি গরম এবং নদীর পানির চেয়ে সাগরের পানির লবণাক্ততা বেশি থাকে। এসব কারণেও নদী-খাল থেকে কাঁকড়া সাগরে ছুটে যায়। কাঁকড়া সাগরে ছুটে যাওয়ার মুহূর্তে যাতে তাদের কেউ ধরতে না পারে, সেজন্য সরকার এ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। পশ্চিম সুন্দরবনের সহকারি বন কর্মকর্তা (এসিএফ) নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ‘জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি এ দুই মাস কাঁকড়ার প্রজনন মৌসুম। এ সময়ের মধ্যে মা কাঁকড়া প্রচুর ডিম দেয়। সে ডিম থেকে কাঁকড়ার বাচ্চা ফুটে বের হয়। তাই প্রতিবছর এ সময়ে সুন্দরবন থেকে কাঁকড়া আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়। নিয়মিত টহল জোরদার আছে অবৈধ কাঁকড়া আহরণ কারি পেলে তার বিরুদ্ধে বন আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে শ্যামনগর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ফারুক হোসেন সাগর বলেন, ‘কাঁকড়া সবসময় ডিম পাড়ে। তবে জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি এ দুই মাস কাঁকড়ার প্রজননের পিক আওয়ার। সরকার সঠিক পথেই হাঁটছে। তিনি আরও বলেন, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি এ দুই মাস কাঁকড়ার প্রজননের মৌসুম হওয়ায় এ সময় কাঁকড়া ধরা নিষিদ্ধ করা হয়। আর এ নিষেধাজ্ঞা শুধু সুন্দরবন এলাকায়। তবে এ আইন মানা হচ্ছে না। বহাল তবিয়্যাতে জেলেরা সুন্দরবনের সকল খাল নদী নালা বিশেষ করে সুন্দরবনের অভয়ারন্য পুষ্পকাটী ও নটাবেকী এলাকায় অবাধে এ কাকড়া শিকার করা হচ্ছে। আর কাকড়া আহরনের সাথে সরাসরি বন কর্মচারীরা জড়িত বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। এমনিতে অভয়ারন্য এলাকা প্রবেশ নিষিদ্ধ পল্লী। অথচ বন বিভাগের সহযোগিতায় জেলেরা প্রবেশ করে মাছ,কাকড়া আহরন অব্যহত রেখেছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরায় নব-দিগন্ত সংস্থার দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। বুধবার সকালে শহরের তুফান কনভেনশন সেন্টার এন্ড রিসোর্টে মুকুন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তণ প্রধান শিক্ষক মো. আজহারুল হকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম। এসময় তিনি বলেন, ‘দেশের অধিকাংশ জেলাতে চলছে শৈত্য প্রবাহ। যেকে বসেছে শীত। প্রচন্ড শীতে ছির্নœমূল মানুষেরা অনেক কষ্টে জীবন যাপন করছে। সমাজের ছির্নœমুল অসহায় মানুষদের পাশে দাড়াতে হবে। এ জন্য সমাজের বিত্তবান ও দানশীলদের ত্রগিয়ে আসতে হবে।’
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বাবু, বিশিষ্ট সমাজসেবক ডা. আবুল কালাম বাবলা, নব-দিগন্ত সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মো. বজলুর রহমান ও জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ডা. মিজানুর রহমান প্রমুখ। এসময় ২শ’ ৫০টি শীতার্থ পরিবারের মাঝে শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ করা হয়।
নাটকীয় মোড় নেওয়া মালয়েশিয়ার রাজনীতিতে নতুন করে মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যাচ্ছেন দেশটির কিংবদন্তি নেতা মাহাথির মোহাম্মদ। আগস্টে অনুষ্ঠেয় প্রধানমন্ত্রী পদে তার প্রার্থিতার ঘোষণা দিয়েছে বিরোধী দলগুলোর জোট। আধুনিক মালয়েশিয়ার রূপকার ৯২ বছর বয়সী মাহাথির শুধু নির্বাচনেই আসছেন না, তিনি জোট বেঁধেছেন তার শত্রু হিসেবে পরিচিত আনোয়ার ইবরাহিমের সঙ্গে। ১৯৮১ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকা মাহাথির এবারও নির্বাচিত হলে তিনি হবেন বিশ্বের সবচেয়ে প্রবীণ প্রধানমন্ত্রী। মাহাথির মোহাম্মদ ও আনোয়ার ইবরাহিম একসময় পরস্পরের ঘোর বিরোধী ছিলেন। শত্রুও বলা যেতে পারে। একজন আরেকজনের নাম শুনতে পারতেন না। মাহাথিরের ঘোর বিরোধী ছিলেন আনোয়ার ইবরাহিম। তাকে দেখা হতো মালয়েশিয়ার রাজনীতিতে এক উদীয়মান তারকা হিসেবে। কিন্তু তাদের মধ্যকার এই বিরোধে গত শতকের নব্বইয়ের দশকের শেষের দিকে আনোয়ার ইবরাহিমকে উপপ্রধানমন্ত্রী পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়। এরপর বলাৎকার ও ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে। তাকে জেলে পাঠানো হয়। তারপর বিরোধী রাজনৈতিক একটি জোটের নেতৃত্ব দেন ইবরাহিম। ২০১৩ সালের নির্বাচনে বিস্ময়কর বিজয় পান। ওই নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী হন নাজিব রাজাক। পরে ২০১৪ সালে বলাৎকারের অভিযোগে অভিযুক্ত করে জেলে পাঠানো হয় আনোয়ার ইবরাহিমকে। তার বিরুদ্ধে বলাৎকারের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় রাজনৈতিক পদ ব্যবহারের অযোগ্য ঘোষণা করা হয় তাকে। অযোগ্য ঘোষণা করা হয় পরবর্তী নির্বাচনে। এ নির্বাচন এ বছরই হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু পরের বছরই ২০১৫ সালের জুলাইয়ে প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিনিয়োগ তহবিল ওয়ান মালয়েশিয়া ডেভেলপমেন্ট বারহাদের (ওয়ানএমডিবি) অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। এর জেরে নাজিবের পদত্যাগের দাবিতে বিরোধীদের আন্দোলনে শরিক হন মাহাথির মোহাম্মদ। গঠন করেন পারতি প্রিবুমি বারসাতু মালয়েশিয়া (পিপিবিএম)। ক্ষমতাসীন বারিসান ন্যাশনাল পার্টিকে পরাজিত করতে পরে গত বছর বিরোধীদের সঙ্গে নতুন রাজনৈতিক জোটে যোগ দেন। এখন সেই জোটের প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে মাহাথির মোহাম্মদের নাম ঘোষণা করা হলো। এর মধ্য দিয়ে তাদের জোট চায় নির্বাচনে বিজয় অর্জন করতে। যদি সেটা করা যায় তাহলে আনোয়ার ইবরাহিমের ক্ষমতায় ফেরা এবং পরে কোনো একসময় প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথ তৈরি হবে। যদি নির্বাচনে বিরোধীরা বিজয়ী হয় তাহলে তারা সময় ক্ষেপণ না করে আনোয়ার ইবরহিমকে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণায় রাজকীয় ডিক্রি আদায়ের চেষ্টা করবে। এমন ডিক্রি জারি হলে আনোয়ার ইবরাহিমের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথে কোনো বাধা থাকবে না। বিরোধীদলীয় জোটের এক সম্মেলনে এ ঘোষণা দিয়েছেন সেক্রেটারি জেনারেল সাইফুদ্দিন আবদুল্লাহ। এ ছাড়া নির্বাচনে বিরোধীদলীয় জোট থেকে উপপ্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হবেন আনোয়ার ইবরাহিমের স্ত্রী ওয়ান আজিজা ওয়ান ইসমাইল।
ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান বলছে, মালয়েশিয়ার বর্তমান সময়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় বিরোধীদলীয় নেতা আনোয়ার ইবরাহিম। কিন্তু তাকে বিভিন্ন অভিযোগে জেলে আটকে রাখা হয়েছে। অন্যদিকে দুর্নীতির কেলেঙ্কারি আষ্টেপৃষ্ঠে আঁকড়ে ধরেছে প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাককে। তবে অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি যাই হোক, আগস্টের মধ্যে তাকে জাতীয় নির্বাচন দিতেই হবে, যদি কোনো অঘটন না ঘটে। সেই নির্বাচনে তার সামনে এখন সবচেয়ে বড় হুমকি হয়ে উঠলেন মাহাথির মোহাম্মদ। ইতিমধ্যে ক্যারিশমা দেখাতেও শুরু করেছেন মাহাথির। তিনি তার নতুন দল পিপিবিএমের সভায় আগের কর্মকাণ্ডের জন্য ক্ষমাও চেয়েছেন। কারণ ক্ষমতায় থাকাকালে মাহাথিরের বিরুদ্ধে বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের হেনস্তার অভিযোগ ছিল বেশ। সেই পরিপ্রেক্ষিতে তারা এখন মাহাথিরের রাজনৈতিক জোট পাকাতান হারাপানের (পিএইচ) অংশ। আরেকটি গ্রুপ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে, তিনি পিকেআর ডি ফ্যাক্টো নেতা আনোয়ার ইবরাহিমকে জেলবন্দী করে নাজিব রাজাককে প্রধানমন্ত্রী হতে সাহায্য করেছিলেন। সেই সময় নানা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দলত্যাগী নেতাদের ‘আবর্জনা’ বলে মন্তব্য করেছিলেন মাহাথির। সেই অবস্থান থেকে সরে এসে শনিবার মাহাথির বলেন, ‘অন্য মানুষদের মতো আমারও কথা ও কাজে ভুল হতে পারে। আমি আমার অতীতের সব ভুলের জন্য ক্ষমা চাইছি। কেবল আজকের জন্য নয়, যত দিন ধরে আমি রাজনীতিতে আছি, তত দিনের জন্য। তবে আমি একাকী কোনো ভুল করিনি।’
আশাশুনি প্রতিনিধি: “সবাই মিলে সচেতন হই, জলবায়ুজনিত স্বাস্থ্য ঝুঁকি প্রতিরোধ ও প্রতিহত করি” এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আশাশুনিতে…
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা-২ আসনে এবি পার্টির দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন জি এম সালাউদ্দিন শাকিল (এমএ,…
অনলাইন ডেস্ক : ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনার প্রধান কিছু অংশে সম্মতি জানানোর পর…