সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরা জেলা স্কাউট ভবন এর উর্ধ্বমুখি সম্প্রসারণ কার্যক্রম উদ্বোধনখুলনায় এনসিপি নেতা গুলিবিদ্ধ: সাতক্ষীরা সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদারশ্যামনগরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনিয়ম ‌দুর্নীতির অভিযোগল স্টুডেন্টস ফোরাম এর নবনির্বাচিত কমিটি নির্বাচন কমিশনের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়তিতাস বহুমুখী সমবায় সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভাঝিনাইদহের জয়দিয়া বাওড়ের অবৈধ বন্দোবস্ত বাতিলের দাবিতে মানববন্ধনশীতের ছুটিতে ঘুরে আসুন দেবহাটার রূপসী ম্যানগ্রোভপ্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা -অগ্নি সংযোগের প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধনবিইউপিএফের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে শপথ নিলেন জালালপুর ইউপি চেয়ারম্যানল স্টুডেন্টস ফোরামের নির্বাচন সম্পন্ন

৪ দিনের ‘গাজর’ ডায়েটে কমবে ওজন

ওজন কমানোর জন্য আমরা অনেক কিছুই করি। কিন্তু এতকিছুর পরেও ওজন বেড়েই যাচ্ছে। কিন্তু আপনার এমন একটা জিনিস রয়েছে, যা নিয়মিত খেলে ওজন কমতে বাধ্য। আর তা হল গাজর।

একটি বড়মাপের গাজর থেকে ২২ ক্যালোরি শক্তি পাওয়া যায়। চিকিৎসকদের মতে, ১০০ গ্রাম গাজরে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট-১০.৬ গ্রাম, প্রোটিন ০.৯ গ্রাম, ফ্যাট ০.২ গ্রাম, আঁশ ১.২ গ্রাম, নিকোটিনিক অ্যাসিড ০. ৬ মিলিগ্রাম, ভিটামিন ‘এ’ ৩১৫০ আইইউ, ক্যালসিয়াম ৮০ মিলিগ্রাম, পটাসিয়াম ১০৮ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ৩০ মিলিগ্রাম, লোহা ১.৫ মিলিগ্রাম।

গাজর সিদ্ধ করে, কাঁচা কিংবা স্যালাড করে যেভাবে খুশি খেতে পারেন আপনি। তবে স্যালাড বানিয়ে খাওয়ার সময় অবশ্যই মেয়োনিজ, তেল অথবা পানির ব্যবহার করবেন না। শুধুমাত্র গাজর, লেবুর রস, ধনে পাতা, কাঁচামরিচ বা গোল মরিচের গুঁড়ো ব্যবহার করতে পারেন।

এই ডায়েট চলাকালীন সময়ে গাজর, গ্রিন টি আর পানি ছাড়া কিছুই খেতে পারবেন না আপনি। খুব বেশি স্বাদ পরিবর্তন করতে ইচ্ছে করলে এক বেলা গাজরের সাথে আপেল মিশিয়ে স্যালাড করে খেতে পারেন।

গাজরের ডায়েট চলাকালীন সময়ে সুস্থ থাকতে চাইলে প্রতিদিন কমপক্ষে ৩ লিটার করে পানি খেতে হবে। পানি কম খেলে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দেবে এবং শরীরে সতেজতা থাকবে না। তাই ডায়েটের পাশাপাশি প্রচুর পানি পান করুন।

ডায়েট চলাকালীন সময়ে চা খেতে হলে গ্রীন টি খান। গাজর খাওয়ার আগে অবশ্যই ভাল করে ধুয়ে নিতে হবে। গাজরের খোসা ছাড়িয়ে নিন সম্ভব হলে। কারণ ইদানিং সবজিতে নানান রকম ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করা হয়। ডায়েট চলাকালীন সময়ে পানি খাওয়া কমাবেন না।

কোনও অসুখ থাকলে বা ওষুধ সেবন করতে হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ডায়েট করবেন না। আর এই ডায়েট ৪ দিন বা খুব বেশি হলে ৫ দিন পর্যন্ত করুন। এক মাসে একবারই করতে পারবেন এই ডায়েট। ডায়েট চলাকালীন সময়ে জিম কিংবা অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম করবেন না।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
লিভার সুস্থ রাখে যেসব খাবার

লিভার যদি সুস্থ থাকে তাহলে শরীরও থাকবে ফিট। কোন রোগে আক্রান্ত হবেন না যদি লিভারটাকে ঠিক রাখতে পারেন। তবে লিভারকে সুস্থ রাখতে হলে নিয়মিত সঠিক খাবার গ্রহন করা দরকার।

আমাদের আজকের এই প্রতিবেদনে বাংলাদেশ প্রতিদিনের পাঠকদের জন্য রইলো যেসব খাবার লিভার সুস্থ থাকবে সেই খাবার সম্পর্কিত একটি ক্ষুদ্র তালিকা-

১। রসুন-

রসুনের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এটি শরীরকে অক্সিডেটিভ ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এবং যেসব বিষাক্ত পদার্থ লিভারের ক্ষতি করে, সেগুলোকে বাইরে বের করে দিতে সাহায্য করে।

২। হলুদ-

হলুদের মধ্যে রয়েছে কারকিউমিন। এর মধ্যে আরো রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, প্রদাহরোধী উপাদান ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান। হলুদ প্রদাহ রোধ করে এবং লিভারের রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।

৩। গাজর-

গাজরের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এ ছাড়া এর মধ্যে রয়েছে প্রয়োজনীয় ভিটামিন, মিনারেল ও ডায়াটারি আঁশ। এক গ্লাস গাজরের জুস ফ্যাটি অ্যাসিডকে দূর করতে সাহায্য করে এবং লিভার থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করে।

৪। গ্রীন টি-

গ্রিন টির মধ্যেও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে। এছাড়া গ্রিন টির মধ্যে রয়েছে ক্যাটাচিন; রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ পলিফেনল। এটি লিভার থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করে এবং লিভারকে স্বাস্থ্যকর রাখে।

৫। জলপাই-

জলপাইয়ের মধ্যে রয়েছে গুড কোলেস্টেরল। তাই অলিভ ওয়েল শরীরের বাজে কোলেস্টেরল কমায়; লিভারকে স্বাস্থ্যকর রাখে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ছাত্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার জেরে শিক্ষিকা চাকরিচ্যুত !

ছাত্রকে নিয়ে হোটেলে রাত্রি যাপনের পর বিপাকে পড়েছেন এক নারী শিক্ষিকা। লন্ডনের ব্রিস্টলের ডাউন্ড স্কুলের আইসিটির শিক্ষক ছিলেন ২৮ বছর বয়সী সেই নারী। ঘটনাটি কয়েক বছর আগের হলেও এতদিন নিজের পদে বহাল ছিলেন তিনি। প্রায় দেড় বছর পর গত রবিবার সেই শিক্ষিকাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে স্কুল কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, ২০১৬ সালের শেষ দিকের ঘটনা। সেই দিন ডাউন্ড স্কুলে ছাত্রদের নাচের ক্লাস ছিল। রেবেকা লেসির (২৮) ক্লাসে সেদিন ১১জন ছাত্র উপস্থিত ছিল। ক্লাস শেষে সবাই চলে যাওয়ার পর এক ছাত্রকে নিয়ে তার হোটেলের রুমে যান রেবেকা।

এরপর সেই ছাত্রের সঙ্গে সারা রাত ছিলেন তিনি। ঘটনার পরদিন ভোরে সেই ছাত্রকে গাড়িতে করে তার বাড়ির সামনে নামিয়ে দিয়ে যান। এই ঘটনা সবার চোখে পড়ে। এরপরই ঘটনাটি স্কুল কর্তৃপক্ষের নজরে আসে।

তদন্তে সেই ছাত্রের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের কোনও অভিযোগ না পাওয়া গেলেও এই ঘটনাকে অপ্রত্যাশিত বলেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। আর এই কারণেই তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তবে রেবেকার দাবি, ছাত্ররা চলে যাওয়া সময় স্বাভাবিকভাবেই তাকে জড়িয়ে ধরেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বিল গেটসকে পেছনে ফেলে সেরা ধনী জেফ বেজোস

বিল গেটসকে পেছনে ফেলে সর্বকালের সেরা ধনী ব্যক্তি এখন জেফ বেজোস। সোমবার ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান অ্যামাজনের এই প্রধান নির্বাহীর সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১০৫ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারে। আর এটি জানাচ্ছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান ব্লুমবার্গের বিলিনিওয়র ট্রাকার। এর মধ্য দিয়ে তিনি মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসকে টপকে গেলেন।

বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের খবর রাখে এমন পত্রিকা ফোর্বেসের মতে অবশ্য বেজোসের সম্পদের পরিমাণ কিছুটা কম। তারা বলছে, তার সম্পদের পরিমাণ ১০৪ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার।
তবে বেজোসের এই সম্পদের সিংহভাগই এসেছে মূলত অ্যামাজনের শেয়ার থেকে।

অ্যামাজনের শেয়ার ছাড়াও বেজোসের মালিকানায় রয়েছে ওয়াশিংটন পোস্ট ও মহাকাশ ভ্রমণ প্রতিষ্ঠান ব্লু অরিজিন।

উল্লেখ্য, গত বছরের জুলাইয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বের শীর্ষ ধনী হিসেবে বিল গেটসকে টপকে যান বেজোস। পরে অক্টোবরেও আরেক বার ছাড়িয়ে যান মাইক্রোসফটকে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

আজ ১০ জানুয়ারি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। পাকিস্তানের বন্দীদশা থেকে মুক্তি পেয়ে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বেলা ১টা ৪১ মিনিটে জাতির অবিসংবাদিত নেতা ও মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেন। তিনি পাকিস্তান থেকে লন্ডন যান। তারপর দিল্লী হয়ে ঢাকা ফেরেন।

পাকিস্তানের কারাগার থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্ত স্বদেশ ভূমিতে ফিরে আসার ঘটনা ছিল বাংলাদেশের জন্মের ইতিহাসের আরেক আশীর্বাদ এবং বিজয়ের পূর্ণতা।

জাতির জনকের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের প্রেক্ষাপটে সাংবাদিক ও কলমিস্ট আবুল মকসুদ বলেন: বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে সুসংহত করেছে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন, তিনি ফিরে না এলে দেশের ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়তো। বঙ্গবন্ধু দেশে ফেরা না পর্যন্ত দেশের মানুষ উদ্বেগে ছিল। সে সময় দেশে গৃহযুদ্ধ লেগে যেতে পারতো। মুক্তিযুদ্ধাদের অস্ত্র সমর্পন, ভারতীয় সেনাদের ফিরে যাওয়া ও বিভিন্ন দেশের স্বীকৃতি আদায় অনিশ্চিত হতো বঙ্গবন্ধু না এলে।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিবসটি উপলক্ষে পৃথক বাণী প্রদান করেছেন।

১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করে বঙ্গবন্ধু সর্বস্তরের জনগণকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান। স্বাধীনতা ঘোষণার অব্যবহিত পর পাকিস্তানের সামরিক শাসক জেনারেল ইয়াহিয়া খানের নির্দেশে তাকে গ্রেফতার করে তদানীন্তন পশ্চিম পাকিস্তানের কারাগারে নিয়ে আটক রাখা হয়।

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি সৈন্যদের বিরুদ্ধে নয় মাস যুদ্ধের পর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হলেও ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্যদিয়ে জাতি বিজয়ের পূর্ণ স্বাদ গ্রহণ করে।
জাতির জনক পাকিস্তান থেকে ছাড়া পান ১৯৭২ সালের ৭ জানুয়ারি ভোর রাতে ইংরেজি হিসেবে ৮ জানুয়ারি। এদিন বঙ্গবন্ধুকে বিমানে তুলে দেয়া হয়। সকাল সাড়ে ৬টায় তিনি পৌঁছান লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দরে। বেলা ১০টার পর থেকে তিনি কথা বলেন, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথ, তাজউদ্দিন আহমদ ও ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীসহ অনেকের সঙ্গে। পরে ব্রিটেনের বিমান বাহিনীর একটি বিমানে করে পরের দিন ৯ জানুয়ারি দেশের পথে যাত্রা করেন।
১০ তারিখ সকালেই তিনি নামেন দিল্লিতে। সেখানে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভিভি গিরি, প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী, সমগ্র মন্ত্রিসভা, প্রধান নেতৃবৃন্দ, তিন বাহিনীর প্রধান এবং অন্যান্য অতিথি ও সে দেশের জনগণের কাছ থেকে উষ্ণ সংবর্ধনা লাভ করেন সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের জনক শেখ মুজিবুর রহমান।

বঙ্গবন্ধু ভারতের নেতৃবৃন্দ এবং জনগণের কাছে তাদের অকৃপণ সাহায্যের জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান। তাঁর এই স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে আখ্যায়িত করেন ‘অন্ধকার হতে আলোর পথে যাত্রা হিসেবে।’

বঙ্গবন্ধু ঢাকা এসে পৌঁছেন ১০ জানুয়ারি। ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয়ের পর বাঙালি জাতি বঙ্গবন্ধুকে প্রাণঢালা সংবর্ধনা জানানোর জন্য প্রাণবন্ত অপেক্ষায় ছিল। আনন্দে আত্মহারা লাখ লাখ মানুষ ঢাকা বিমানবন্দর থেকে রেসকোর্স ময়দান পর্যন্ত তাঁকে স্বতঃস্ফূর্ত সংবর্ধনা জানান। সেই সময়ে প্রকাশিত পত্রিকা খেকে জানা গেছে, বিকাল পাঁচটায় রেসকোর্স ময়দানে প্রায় ১০ লাখ লোকের উপস্থিতিতে তিনি ভাষণ দেন। সশ্রদ্ধ চিত্তে তিনি সবার ত্যাগের কথা স্মরণ করেন, সবাইকে দেশ গড়ার কাজে উদ্বুদ্ধ করেন।

বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে মুক্তিযুদ্ধে প্রবাসী সরকার তাঁর নির্দেশিত পথে যুদ্ধ পরিচালনা করে। নয় মাসের যুদ্ধের এক পর্যায়ে বাঙালির মুক্তিযুদ্ধ চূড়ান্ত রূপ নিতে শুরু করে। ধীরে ধীরে স্বাধীনতা অর্জনের পথে মুক্তিযোদ্ধা, জনতা ও মিত্রবাহিনীর যৌথ আক্রমণ তীব্র হয়। জয় তখন সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায় মাত্র। ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর মুক্তির দাবিতে বিশ্বব্যাপী জনমত গড়ে তোলা হয় । প্রবাসী সরকারের নেতৃত্বও বঙ্গবন্ধুর মুক্তির দাবিতে সোচ্চার ভূমিকা রাখেন। বিশ্ব নেতৃবৃন্দ বঙ্গবন্ধুর মুক্তির দাবিতে সোচ্চার হলে পাকিস্তানী বর্বর শাসকগোষ্ঠী বাধ্য হয় তাকে সসম্মানে মুক্তি দিতে।

প্রবাসী অস্থায়ী আওয়ামী লীগ সরকার সরকার পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করে এবং ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন দেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে বাংলাদেশের মাটিতে প্রত্যাবর্তন করেন।

স্বাধীনতা পরবর্তী প্রথম সরকারের সাফল্য ছিল যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠন এবং প্রায় এক কোটি শরণার্থীর পুনর্বাসন। বঙ্গবন্ধু সরকার অত্যন্ত সাফল্যের সাথে এই গুরু দায়িত্ব সম্পন্ন করে। দুর্ভিক্ষের যে আশংকা করা হয়েছিল সরকার তা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে মোকাবেলা করে।

সামরিক-বেসামরিক প্রশাসন গড়ে তোলা হয়। শতাধিক রাষ্ট্রের কূটনৈতিক স্বীকৃতি অত্যন্ত অল্প সময়ের মধ্যে আদায়ে সক্ষম হয়। স্বাধীনতালাভের তিন মাসের মধ্যেই বাংলার মাটি থেকে ভারতীয় সৈন্যদের প্রত্যাবর্তন বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিত্বের কারণেই সম্ভব হয়েছিল।

১৯৭২ সালের ২৩ মার্চ জারিকৃত প্রেসিডেন্সিয়াল আদেশ বলে গণপরিষদ গঠন করে নভেম্বর মাসের মধ্যেই দেশের জন্য একটি সংবিধান উপহার দেয়া হয় এবং যা কার্যকর হয় ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

তালা প্রতিনিধি : তালার বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সাস’র উদ্যোগে, সংস্থার সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া কর্মসূচি প্রকল্প’র আওতায় বর্ষবরণ, পিঠা ও পৌষ উৎসব সোমবার দিনব্যপী সাস কার্যলয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রকল্পের আওতাভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানদের অংশগ্রহনে পৌষ ও পিঠা উৎসব শেষে সন্ধ্যায় একই স্থলে প্রতিবছরের ন্যায় বর্ষবরণ এবং ডায়েরি বিতরণ অনুষ্ঠান- সাস’র নির্বাহী পরিষদের সভাপতি আশুতোষ সরকার’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তালা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার। সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, তালা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. গোলাম মোস্তফা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, সাস’র নির্বাহী পরিচালক শেখ ইমান আলী। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন, তালা থানার ওসি মো. হাসান হাফিজুর রহমান, তালা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর শেখ আব্দুল মালেক, তালা মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. আব্দুর রহমান, শালিখা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ বিধান চন্দ্র সাধু ও তালা মহিলা ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ শেখ শফিকুল ইসলাম। সাস’র সমন্বয়কারী মো. শাহ আলম’র পরিচালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সাংবাদিক, এনজিও প্রতিনিধি, জনপ্রতিনিধি ও সুশীল সমাজ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মানুষের অধিকার ক্ষুণ্ন হয় এমন কাজ থেকে সব সময় নিজেকে বিরত রেখেছি -বিদায়ী সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ

নিজস্ব প্রতিবেদক : জেলা ও দায়রা জজ জোয়ার্দ্দার মোঃ আমিরুল ইসলামের অবসর জনিত বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর ২টায় সাতক্ষীরা আইনজীবী সমিতির হলরুমে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সাতক্ষীরা আইনজীবী সমিতি। সাতক্ষীরা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড. এম শাহ আলমের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক এড. ওসমান গণির পরিচালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিদায়ী জেলা ও দায়রা জজ জোয়ার্দ্দার আমিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, সাতক্ষীরা আমার একটি পুরাতন জেলা। এ জেলা কে তিনি সব সময় নিজের মাতৃভূমি মনে করেছি। সুদীর্ঘ কর্মকালে আইনজীবী ও বিচারকবৃন্দদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে কাজ করার চেষ্টা করেছি। তিনি আরো বলেন, মানুষের অধিকার ও বঞ্চিত হয় এমন কাজ থেকে সব সময় নিজেকে বিরত রেখেছি। তিনি আরো বলেন, সাতক্ষীরায় আইনজীবীদের সাথে সুসম্পর্ক ছিল বলে ভাল ভাবে কাজ করতে পেরেছি। আগামী দিন গুলো এ জেলার কথা মনে থাকবে বলে তিনি জানান। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ আশরাফুল ইসলাম, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট রাফিজুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (২য়) অরুনাভ চক্রবর্তী, সাতক্ষীরা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এড. আব্দুর রউফ, জিপি এড. গাজী লুৎফর রহমান, সাতক্ষীরা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এড. গোলাম মোস্তফা (১), এড. আবুল হোসেন (২), সাবেক সাধারণ সম্পাদক এড. সরদার আমজাদ হোসেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের বিশেষ পিপি এড. এস এম জহুরুল হায়দার, অতিরিক্ত পিপি এড. শেখ আব্দুস সামাদ। উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এড. আব্দুল মজিদ, অতিরিক্ত পিপি এড. সৈয়দ জিয়াউর রহমান বাচ্চু, এড. তামিম আহমেদ সোহাগ, এড. সাইদুজ্জামান জিকো, এড. একেএম তৌহিদুর রহমান শাইনসহ অন্যান্য বিচারক ও আইনজীবীবৃন্দ। পরে বিকালে সাতক্ষীরা আইনজীবী সহকারী সমিতির উদ্যোগে জেলা ও দায়রা জজ জোয়ার্দ্দার মোঃ আমিরুল ইসলামের অবসর জনিত বিদায় সংবর্ধনা দেয়া হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
অনূর্ধ্ব-১৪ ক্রিকেটে খুলনাকে হারিয়ে সাতক্ষীরা অপরাজিত বিভাগীয় চ্যাম্পিয়ন

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরায় ইয়ং টাইগার্স অ-১৪ বিভাগীয় ক্রিকেট প্রতিযোগিতা-২০১৭-১৮ এর ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফাইনালে খুলনাকে হারিয়ে সাতক্ষীরা জেলা টানা তৃতীয়বারের মত বিভাগীয় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে।
মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)’র আয়োজনে ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সার্বিক ব্যবস্থাপনায় জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক এ.কে.এম আনিছুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ফাইনাল খেলার পুরস্কার বিতরণ করেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন। ইয়ং টাইগার্স অ-১৪ বিভাগীয় ক্রিকেট প্রতিযোগিতা-২০১৭-১৮ এর ফাইনাল খেলায় মুখোমুখি হয় সাতক্ষীরা জেলা দল বনাম খুলনা জেলা দল। খেলায় খুলনা জেলা দল টসে জিতে ব্যাটিং এর সিদ্ধান্ত নেয়। খুলনা জেলা দল ব্যাট করতে নেমে ১০ উইকেট হারিয়ে ৬৩ রান সংগ্রহ করে। জবাবে সাতক্ষীরা জেলা দল ১৮ ওভার ৩ বল খেলে ৩ উইকেটের বিনিময়ে সহজে জয়ের লক্ষ্যে পৌছে যায় এবং অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। ফলে সাতক্ষীরা জেলা দল ৭ উইকেটে জয়লাভ করে। খেলা শেষে অতিথিবৃন্দ চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলকে ট্রপি তুলে দেন। ফাইনাল খেলায় ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন সাতক্ষীরা জেলা দলের ক্যাপ্টেন আতিকুর রহমান আশিক। সে ১০ ওভারে ২ মেডিন, ১৫ রান দিয়ে ৪ উইকেট দখল করে। ইয়ং টাইগার্স অ-১৪ বিভাগীয় ক্রিকেট প্রতিযোগিতা-২০১৭-১৮ এর ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিসিবির খুলনা বিভাগীয় কোচ কাজী এমদাদুল বাসার রিপন, বাংলাদেশ আম্পায়ারস্ এন্ড স্কোরাস এসোসিয়েশনের খুলনা বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক মমতাজ আহম্মেদ তুহিন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার কোষাধ্যক্ষ শাহ আলম শানু, সদস্য সৈয়দ জয়নুল আবেদীন জসি, কাজী কামরুজ্জামান, ইদ্রিস বাবু, মীর তাজুল ইসলাম রিপন, ইকবাল কবির খান বাপ্পি, মীর্জা কাকন, খন্দকার আরিফ হাসান প্রিন্স, বিসিবির কোচ মোফাচ্ছিনুল ইসলাম তপু প্রমুখ। এসময় ক্রীড়ামোদি দর্শক ও উভয় দলের কোচ এবং সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বাংলাদেশ আম্পায়ারস্ এন্ড স্কোরাস এসোসিয়েশনের খুলনা বিভাগীয় সভাপতি আ.ম আক্তারুজ্জামান মুকুল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest