সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরা জেলা স্কাউট ভবন এর উর্ধ্বমুখি সম্প্রসারণ কার্যক্রম উদ্বোধনখুলনায় এনসিপি নেতা গুলিবিদ্ধ: সাতক্ষীরা সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদারশ্যামনগরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনিয়ম ‌দুর্নীতির অভিযোগল স্টুডেন্টস ফোরাম এর নবনির্বাচিত কমিটি নির্বাচন কমিশনের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়তিতাস বহুমুখী সমবায় সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভাঝিনাইদহের জয়দিয়া বাওড়ের অবৈধ বন্দোবস্ত বাতিলের দাবিতে মানববন্ধনশীতের ছুটিতে ঘুরে আসুন দেবহাটার রূপসী ম্যানগ্রোভপ্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা -অগ্নি সংযোগের প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধনবিইউপিএফের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে শপথ নিলেন জালালপুর ইউপি চেয়ারম্যানল স্টুডেন্টস ফোরামের নির্বাচন সম্পন্ন

আমরাই বাংলাদেশকে বিচ্ছিন্ন হতে বাধ্য করেছি: নওয়াজ শরিফ

বছরের পর বছর ‘নিপীড়ন’ করে তাকে ‘বিদ্রোহের দিকে’ ঠেলে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। তিনি দাবি করেছেন, রাষ্ট্র কর্তৃক তাকে ‘একঘরে’ করে ফেলা আর ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের কাছ থেকে বাংলাদেশের স্বাধীন হওয়ার পটভূমির মিল রয়েছে এবং বাংলাদেশকে বিচ্ছিন্ন হতে বাধ্য করেছেন তারাই। মঙ্গলবার পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন এ খবর জানিয়েছে।

মঙ্গলবার ইসলামাবাদে পাঞ্জাব হাউসে জড়ো হওয়া সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় ভোটে নির্বাচিত জনপ্রিয় নেতাদের কাছে রাষ্ট্রের ক্ষমতা হস্তান্তর না করার পরিণতি নিয়ে কথা বলেন নওয়াজ।  তিনি বলেন, ‘শেখ মুজিবুর রহমান (বঙ্গবন্ধু) বিদ্রোহী ছিলেন না, কিন্তু তাকে বানানো হয়েছে।’

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে তিন বার উৎখাত হওয়া নওয়াজ এর আগেও ১৯৭১ সালকে ঠেনে এনেছিলেন। পানামা পেপার্স কেলেঙ্কারিতে নাম উঠে আসার পর সুপ্রিম কোর্টের রায়ে প্রধানমন্ত্রীত্বের অযোগ্য ঘোষিত হওয়ার পরও প্রসঙ্গটি সামনে এনেছিলেন।

নওয়াজ বলেন, ‘কিন্তু আমি এইসব ক্ষত ভুলে যাবো না। যেখানে আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না সেখানে আমি এসব ক্ষতকে নিয়ে যেতে চাই না। আমার সঙ্গে ও দেশের ইতিহাসে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীদের সঙ্গে যা ঘটেছে তা সঠিক ছিল না। দেশ সেবার জন্য জাতির কাছ থেকে এ কোন ধরনের প্রতিদান?’

গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে অবৈধভাবে উচ্ছেদ বন্ধের দাবি জানিয়ে নওয়াজ এই রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের নেপথ্যে জড়িতদের তাদের পাপের প্রায়শ্চিত্ত করা ও জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান।

ভাষণের এই পর্যায়ে নওয়াজ আবারও পাকিস্তানের কাছ থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রসঙ্গে ফিরে আসেন। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান সৃষ্টিতে বাঙালিদের একটি কেন্দ্রীয় ভূমিকা ছিল। কিন্তু আমরা তাদের সঙ্গে সঠিক আচরণ করিনি এবং আমাদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করেছি। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সৃষ্টি নিয়ে বিচারপতি হামুদুর রহমান কমিশন একটি সততাপূর্ণ ও স্পষ্ট পর্যালোচনা তৈরি করেছিলেন। কিন্তু আমরা তা পড়েই দেখিনি।’

শরিফ বলেন, ‘আমরা কি তা অনুসারে কাজ করেছি, করলে আজকের পাকিস্তান অন্যরকম হতো। যে ধরনের খেলা চলছে তা তা হতো না।’

বিচারকরাই দেশটির গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে দুর্বল করছে বলে অভিযোগ করে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী জানান, বিচারপতিদের ‘আইনি একনায়কত্ব’ রয়েছে এবং তারাই ‘এখতিয়ারের বাইরে গিয়ে কাজ করছেন’।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কাল শুরু সাতক্ষীরা উন্নয়ন মেলা

এম বেলাল হোসাইন: সরকারের চলমান সাফল্য তুলে ধরতে সাতক্ষীরায় বসছে বর্ণাঢ্য উন্নয়ন মেলা ২০১৮।
কাল বৃহস্পতিবার থেকে তিনব্যাপী এই মেলা বসবে শহরের প্রাণকেন্দ্র শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্ক জুড়ে। এতে অংশ নিয়ে উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন, গ্রোথ সেন্টার, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল মাদ্রাসার নানা সাফল্য বিষয়ক প্রদর্শনী তুলে ধরা হবে। এতে কৃষি, শিল্প, খাদ্য, যোগাযোগ, সংস্কৃতি, শিক্ষা, পর্যটন, বিনোদনসহ নানা বিষয়ে সরকারের সাফল্যের সংবাদ। প্রাণ ভরে মানুষ দেখতেও জানতে পারবে তার জেলার চিত্র।
মঙ্গলবার বিকালে তার সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানিয়েছেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন। তিনি বলেন এদিন সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শেষে মেলার দ্বার উন্মোচন হবে। এবারের উন্নয়ন মেলা ২০১৮ এর প্রতিপাদ্য বিষয় ‘উন্নয়নের রোল মডেল শেখ হাসিনার বাংলাদেশ’।
জেলার প্রশাসক বলেন উন্নয়ন মেলায় সরকারি বেসরকারি স্বায়ত্ব শাসিত দফতর, ব্যাংক বীমা ও এনজিও প্রতিষ্ঠান কমপক্ষে ৯০টি উন্নয়ন স্টল খুলবে। এসব স্টলে দেড় শতাধিক প্রতিষ্ঠান তাদের উন্নয়ন ও সেবামূলক কার্যক্রম অডিও ভিডিও ব্যানার ফেস্টুন লিফলেটসহ বিভিন্ন মাধ্যমে তুলে ধরবে। প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে রাত ৭ টা পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য খোলা থাকবে এ মেলা।
জেলা প্রশাসক বলেন বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এক যোগে সারা দেশের জেলা উপজেলায় এই মেলার উদ্বোধন ঘোষণা করবেন। পরে বেলুন উড়িয়ে মেলার সূচনা করা হবে। এ সময় উপস্থিত থাকবেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব এনএম জিয়াউল আলম ( সমন্বয় ও সংস্কার) সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
জেলা প্রশাসক বলেন উন্নয়ন মেলায় এবারের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ হবে ‘সাতক্ষীরার আকর্ষণ, সড়ক পথে সুন্দরবন’। এর সাথে উপস্থাপিত হবে সাতক্ষীরার আকর্ষণ আম, কুল, চিংড়ি, মাছ, সন্দেশ, নারকেল গাছের কলম ও পোড়া মাটির তৈরি টালি। থাকবে দেশপ্রেমও মহান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বহুমুখী ঐতিহাসিক প্রচারণা। এ ছাড়া মাদক সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে থাকবে সরব প্রচার।
মেলায় ‘শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগ’ শিরোনামে প্রধানমন্ত্রীর ১০ টি বিশেষ উদ্যোগ সফলতা ও সুফল সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করতে প্রচার চালানো হবে। সহ¯্রাব্দের লক্ষ্যমাত্রা ( এমডিজি) অর্জনে সাফল্য ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) কার্যক্রমের প্রচার, নাগরিক সেবায় উদ্ভাবন ও ডিজিটাইজেশন বিষয়ে অডিও ভিডিও স্লাইড প্রদর্শনী ও লিফলেট বিতরণ করা হবে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( সার্বিক) মো. জাকির হোসেন , মোতাকাব্বির আহমেদ, সদর ইউএনও তহমিনা খাতুনসহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ। এ সময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন জেলা প্রশাসক।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটায় শিক্ষক-কর্মচারী সংগ্রাম কমিটির স্মারকলিপি প্রদান

দেবহাটা ব্যুরো : দেবহাটা উপজেলা শিক্ষক-কর্মচারী সংগ্রাম কমিটির আয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর বরাবর স্মারকলিপি করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর ১ টার দিকে শিক্ষক-কর্মচারী সংগ্রাম কমিটির নেতৃবৃন্দ দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ-আল আসাদের নিকট এই স্মারকলিপি প্রদান করেন। স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শিক্ষার উৎকর্ষ সাধনে যে ঐতিহাসিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন তা স্মরন করে বর্তমান সরকার শিক্ষানীতি ২০১০ প্রনয়ন, আইসিটি শিক্ষা প্রচলন ও ৭০০০ আইসিটি শিক্ষককে এমপিওভুক্তকরন, ২০১০ সালে ১৬২৪টি বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিও ভুক্তকরন ও প্রায় ২৭০০০ বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারীকরন সহ শিক্ষার উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে তারা শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করন, সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের ন্যায় বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের ৫% বার্ষিক প্রবৃদ্ধি, পূর্নাঙ্গ উৎসব ভাতা, বাংলা নববর্ষ ভাতা, বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা সহ শিক্ষক-কর্মচারীদের ১১ দফা দাবী বাস্তবায়নের আবেদন জানান। এসময় শিক্ষক-কর্মচারী সংগ্রাম কমিটির আহবায়ক সখিপুর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ আবুল কালাম, যুগ্ম আহবায়ক দেবহাটা কলেজের অধ্যক্ষ এ.কে.এম আনিসুজ্জামান, যুগ্ম আহবায়ক সখিপুর মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক রামপ্রসাদ ঘোষ, সদস্য সচিব দেবহাটা কলেজের সহকারী অধ্যাপক ইয়াছিন আলী, সদস্য সচিব কর্মচারী সখিপুর মহিলা কলেজের রফিকুল ইসলাম সহ বিভিন্ন কলেজের শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্মারকলিপি যথাযথভাবে প্রধানমন্ত্রীর নিকট প্রেরনের আশ^াস প্রদান করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা আহ্ছানিয়া মিশন মাল্টি কমপ্লেক্স এর দ্বিতীয় তলার ছাদ ঢালাই কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে দ্বিতীয় তলার ছাদ ঢালাই কাজের উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা আহ্ছানিয়া মিশন পরিচালনা পরিষদের সভাপতি জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন। এসময় জেলা প্রশাসক কড়াই থেকে নির্মাণ সামগ্রী ঢেলে দ্বিতীয় তলার ছাদ ঢালাই কাজের উদ্বোধন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা আহ্ছানিয়া মিশন পরিচালনা পরিষদের সহ-সভাপতি শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু, সাধারণ সম্পাদক শেখ আজিজুল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী সিরাজুল হক, ক্যাসিয়ার আবু দাউত, আহছানিয়া মিশন আদর্শ আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল মজিদ সিদ্দিকী, আহ্ছানিয়া মিশন মাল্টি কমপ্লেক্স এর তত্বাবধায়ক ও আজীবন সদস্য মো. আবু সোয়েব এবেল, ঠিকাদার সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন সাতক্ষীরা আহ্ছানিয়া মিশন মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মো. জাহাঙ্গীর আলম জিয়া। এসময় সাতক্ষীরা আহ্ছানিয়া মিশন নেতৃবৃন্দ ও মাদ্রাসার শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটায় চেয়ারম্যান রতন হত্যাচেষ্টায় ছাত্রলীগ নেতা সাদ্দামসহ আটক ৩

কে. এম রেজাউল করিম : দেবহাটা উপজেলা আঃলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সখিপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ফারুক হোসেন রতনকে হত্যা চেষ্টার ৬ দিন পরে দেবহাটা থানায় মামলা হয়েছে। মামলাটি দায়ের করেছেন আহত চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন রতনের মা এবং শেখ আমজাদ হোসেনের স্ত্রী মিনা বেগম (৬৫)। সোমবার রাতে দেবহাটা থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। মামলা নং- ০২, ধারা- ৩৪১/৩২৬/৩০৭/ ৩৪ দঃ বিঃ, তাং- ০৮-০১-১৭ ইং। মামলায় এজাহারভুক্ত হিসেবে ৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরো ৫/৬ জনকে আসামী করা হয়েছে। পুলিশ এই মামলায় এজাহারভুক্ত ১ জন ছাড়াও সন্ধিদ্ধ হিসেবে আরো ২ জনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো মামলার এজাহারভুক্ত আসামী দেবহাটা উপজেলার নারিকেলী গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক শহিদুজ্জামান সাদ্দাম হোসেন (২৮) এবং সন্দিদ্ধ আসামী হিসেবে সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটার মঙ্গলানন্দকাটি গ্রামের শেখ আব্দুল হকের ছেলে শেখ আব্দুল গফুর (২৪) ও তালা উপজেলার শ্রীমন্তকাটি গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক মোড়লের ছেলে শিমুল মোড়ল (২০) কে গ্রেফতার করা হয়েছে। উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দক্ষ রাজনৈতিক কর্মী ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ফারুক হোসেন রতন গত ২ জানুয়ারী মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মটরসাইকেল যোগে পারুলিয়া বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে কয়েকগজ দুরে সখিপুর টেলিফোন অফিসের কিছুদূর আগে পৌঁছালে ওৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তাকে গতিরোধ করে পরপর ৩টি গুলি ছোড়ে। এতে তিনি বুকে গুলিবিদ্ধ হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৩টি গুলির খোসা ও পাশের বাগানের মধ্য থেকে একজাড়া সেন্ডেল উদ্ধার করে। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি অনেক সুস্থ আছেন বলে জানা গেছে। দেবহাটা থানার ওসি কাজী কামাল হোসেন মামলা হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে জানান, বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নিয়ে পুলিশী তদন্ত চলছে। ৩ জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং অবিলম্বে এই ঘটনার কারন ও বাকী আসামীরা গ্রেফতার হবে বলে তিনি জানান। উল্লেখ্য, এরআগে ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারী বিকালে সখিপুর কলেজ মাঠের পাশে সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে রতনকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়ে মারাত্বক ভাবে জখম করেছিল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে এক নারীকে বিয়ে করা ডিআইজি মিজান প্রত্যাহার

অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে এক নারীকে বিয়ে করার অভিযোগে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনারের পদ থেকে মিজানুর রহমানকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাকে বর্তমানে পুলিশ সদর দফতরে সংযুক্ত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার রাজারবাগে একটি অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বিষয়টি জানিয়েছেন। এ ছাড়া পুলিশের ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তাও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে পরবর্তী পদক্ষেপ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নেবে বলেও জানান তিনি।

ডিআইজি মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে একটি জাতীয় দৈনিকে এক নারী বলেন, পান্থপথের স্কয়ার হাসপাতালের কাছে তার বাসা। গত বছরের জুলাইয়ে সেখান থেকে কৌশলে তাকে তুলে নিয়ে গিয়েছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা মিজান। পরে বেইলি রোডে মিজানের বাসায় নিয়ে তিনদিন আটকে রাখা হয়েছিল তাকে।

ওই নারীর দাবি, আটকে রাখার পর বগুড়া থেকে তার মা’কে ১৭ জুলাই ডেকে আনা হয় এবং ৫০ লাখ টাকা কাবিননামায় মিজানকে বিয়ে করতে বাধ্য করা হয়। পরে লালমাটিয়ার একটি ভাড়া বাড়িতে তাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে রাখেন আগে থেকেই বিবাহিত মিজান।

ওই নারীর অভিযোগ, কয়েক মাস কোনো সমস্যা না হলেও ফেসবুকে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে একটি ছবি তোলার পর ক্ষিপ্ত হন মিজান। ভাঙচুরের ‘মিথ্যা’ একটি মামলা দিয়ে তাকে গত ১২ ডিসেম্বর কারাগারে পাঠানো হয়। সেই মামলায় জামিন পাওয়ার পর মিথ্যা কাবিননামা তৈরির অভিযোগে আরেকটি মামলা করানো হয়।

ওই মামলাতেও জামিনে বেরিয়ে এসে ডিআইজির বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন ওই নারী।

একই দৈনিকে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের টিভি উপস্থাপিকার জীবন এ ডিআইজি বিষিয়ে তুলেছিলেন বলেও প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আদালতে হাজিরা দিয়েই বছর যাবে খালেদার

এমনিতেই পুরান ঢাকার বকশীবাজারের অস্থায়ী এজলাসে বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুটি মামলার শুনানি চলছে। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সপ্তাহে অন্তত দুই দিন তাকে এই আদালতে হাজিরা দিতে হয়। তারপরও আরও ১৪টি মামলা শুনানির জন্য স্থানান্তর করা হয়েছে এই অস্থায়ী আদালতেই। আইনজ্ঞরা মনে করেন, বকশীবাজারের অস্থায়ী আদালতে এই মামলাগুলোর বিচারিক কার্যক্রম শুরু হলে কার্যত সপ্তাহজুড়েই মামলা ও বিচার সংক্রান্ত কাজে ব্যস্ত থাকতে হবে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে।মামলা স্থানান্তরে সরকারের কী উদ্দেশ্য রয়েছে তা দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যেই স্পষ্ট হয়ে যাবে বলেও মন্তব্য করেন তারা। আদালত সূত্র জানায়, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মোট ৩৭টি মামলা ঝুলছে। এর মধ্যে ওয়ান-ইলেভেনে সেনাশাসিত সরকারের সময়ে দায়ের করা হয়েছে ৪টি মামলা। বাকিগুলো আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের দুই মেয়াদে করা। যে ১৪টি মামলা স্থানান্তর করা হচ্ছে তার মধ্যে ঢাকা মহানগর দায়রা আদালতে ৯টি, বিশেষ জজ আদালতে ৩টি ও ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে ২টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। বিএনপির নীতিনির্ধারকরা বলছেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে খালেদা জিয়াকে আদালতে ব্যস্ত রেখে সরকার ‘অসৎ’ কোনো ফায়দা লুটতে চায়। বেগম জিয়াকে নির্বাচন ও রাজনীতিতে ‘অযোগ্য’ ঘোষণা করাই এর লক্ষ্য। তবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এ অভিযোগ নাকচ করে বলেছেন, ‘খালেদা জিয়ার নিরাপত্তাজনিত কারণেই একই আদালতে মামলাগুলো স্থানান্তর করা হয়েছে।’ এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক বলেন, ‘সরকার কী কারণে মামলাগুলো অস্থায়ী আদালতে স্থানান্তর করেছে সেটা এখনই বোঝা যাবে না। যদি দেখা যায় আগামী দুই-তিন সপ্তাহ খুব ঘন ঘন মামলার শুনানির তারিখ পড়ছে তাহলে বুঝতে হবে, বিএনপির দাবিই (খালেদা জিয়াকে আদালতে ব্যস্ত রেখে সরকার ফায়দা লুটতে চাচ্ছে) সঠিক। আর যদি স্বাভাবিকভাবেই মামলার তারিখ নির্ধারণ হয় তাহলে কোনো সমস্যা থাকবে না। মামলা স্থানান্তরের আসল কারণ জানতে আরও দুই-তিন সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে।’

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসনকে নির্বাচন ও রাজনীতি থেকে দূরে রাখার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এ কারণেই তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে প্রতি সপ্তাহেই অন্তত দুই-তিনবার আদালতে হাজিরার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। উদ্দেশ্য, নির্বাচন পর্যন্ত ম্যাডামকে আদালতে ব্যস্ত রেখে সাজা দেওয়া। কিন্তু অতীত ইতিহাসে রয়েছে, জাতীয় নেতাদের জেলে ঢুকিয়ে কোনো লাভ হয়নি। বেগম জিয়াকেও জেলে নিয়ে কোনো লাভ হবে না।’ তবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘নিরাপত্তার স্বার্থেই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা ১৪টি মামলা বকশীবাজারের অস্থায়ী আদালতে স্থানান্তর করা হয়েছে। খালেদা জিয়ার ১৪টি মামলা কেন বকশীবাজারের অস্থায়ী আদালতে স্থানান্তর করা হয়েছে? অনেকে বলছেন এর সঙ্গে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে— এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, মোটেও রাজনৈতিক কারণে করা হয়নি। আমরা দুই পক্ষেরই সিকিউরিটির ব্যাপারটি চিন্তা করে এটা করেছি।’

গত বৃহস্পতিবার এই ১৪টি মামলা স্থানান্তর করে প্রজ্ঞাপনও জারি করেছে আইন মন্ত্রণালয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, স্থান সংকুলান না হওয়া ও নিরাপত্তার কারণে খালেদা জিয়ার মামলাগুলো স্থানান্তর করা হচ্ছে। মামলাগুলোর মধ্যে রয়েছে— দারুস সালামের নাশকতার আট মামলা, গ্যাটকো দুর্নীতি মামলা, নাইকো দুর্নীতি মামলা, বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা, যাত্রাবাড়ী থানার বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা ও মানহানির দুই মামলা।

আদালতের নথি সূত্রে জানা গেছে, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলার ৫টি, রাষ্ট্রদ্রোহ, হত্যা (হুকুমের আসামি), ইতিহাস বিকৃতি করা, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি, ভুয়া জন্মদিন পালনসহ বিভিন্ন অভিযোগে দেশের আদালতে ৩২টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ, বিশেষ জজ ও মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে রয়েছে ১৮টি মামলা। যার মধ্যে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা আগে থেকেই বকশীবাজারের অস্থায়ী আদালতে পাঠানো হয়। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন চলছে। আর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় আগামীকাল বুধবার ও বৃহস্পতিবারও যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য দিন ধার্য রয়েছে। যুক্তি উপস্থাপন শেষ হলেই এই মামলার রায় ঘোষণার জন্য দিন ঠিক করবেন বিচারক।

খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতেই মামলাগুলো অস্থায়ী আদালতে স্থানান্তর করা হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে হয়রানি করাই সরকারের আসল উদ্দেশ্য। তিনি বলেন, আইন সবার জন্য সমান হলেও খালেদা জিয়ার মামলাগুলোকে সরকার রাজনৈতিকভাবে দেখছে। অস্থায়ী আদালতে সব মামলার শুনানি শুরু হলে সারা সপ্তাহই সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে মামলা ও বিচারসংক্রান্ত কাজে ব্যস্ত থাকতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

স্থানান্তরিত ১৪ মামলা
গ্যাটকো দুর্নীতি মামলা : গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য আগামী ২১ জানুয়ারি দিন ধার্য রয়েছে। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক আবু সৈয়দ দিলদারের আদালতে মামলাটির অভিযোগ গঠন শুনানির দিন ধার্য রয়েছে।

নাইকো দুর্নীতি মামলা : নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য ১৫ জানুয়ারি দিন ধার্য রয়েছে। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক মাহমুদুল হাসানের আদালতে মামলাটি বিচারাধীন।

খনি দুর্নীতি মামলা : বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াসহ ১১ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য রয়েছে। ঢাকার ২ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক হোসনে আরা বেগমের আদালতে মামলাটি বিচারাধীন।

মর নাশকতার আট মামলা : ২০১৫ সালের প্রথম দিকে বিএনপির হরতাল-অবরোধ চলাকালে রাজধানীর দারুস সালাম থানায় নাশকতার অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলাগুলো হয়েছে। মামলায় খালেদাকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তারা। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লার আদালতে আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি মামলাগুলোর অভিযোগ গঠন, শুনানির দিন ধার্য রয়েছে।

যাত্রাবাড়ী থানার বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা : ২০১৫ সালের ২৩ জানুয়ারি রাতে যাত্রাবাড়ীর কাঠেরপুল এলাকায় গ্লোরি পরিবহনের একটি বাসে পেট্রলবোমা ছোড়ার ঘটনায় রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করে পুলিশ। এরপর খালেদাসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করে পুলিশ। ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে ২৫ জানুয়ারি এ মামলায় অভিযোগ গঠন, শুনানির দিন ধার্য রয়েছে।

মানহানির দুই মামলা : মানহানির দুই মামলায় ঢাকা মহানগর হাকিম খুরশীদ আলমের আদালতে আগামী ২১ জানুয়ারি শুনানির দিন ধার্য রয়েছে।
সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তীব্র শীতে সারাদেশে ১০ জনের মৃত্যু

তীব্র শীতে কাঁপছে দেশ। সোমবার তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা নেমেছিল ২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। সৈয়দপুরে তাপমাত্রা নেমে যায় ২.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এসব অঞ্চলে প্রচণ্ড শীতে জনজীবন প্রায় বিপর্যস্ত। তীব্র শীতে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, ১৯৪৮ সাল থেকে আবহাওয়া অফিসে তাপমাত্রার রেকর্ড রয়েছে। দেখা যাচ্ছে ১৯৬৮ সালে শ্রীমঙ্গলে তাপমাত্রা নামে ২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। কিন্তু সোমবার তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা শ্রীমঙ্গলের রেকর্ড ভেঙেছে।

প্রচণ্ড শীতে মানুষের মধ্যে শুরু হয়েছে নানা ধরনের সমস্যা। কারো ডায়রিয়া, কেউ ভুগছেন হাঁপানিতে। আবার সর্দি-কাশি খুবই সাধারণ বিষয়। কেউ কেউ ভুগছেন প্রচণ্ড মাথা ব্যথায়। হাসপাতালগুলোয় চিকিৎসকেরা সর্দি-কাশি, হাঁপানি ও ডায়রিয়ার রোগী বেশি আসছেন বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।

অপর দিকে হতদরিদ্র মানুষ পড়েছেন মহাবিপাকে। অনেকে বিছানার লেপ গায়ে দিয়ে রাস্তায় বেড়িয়ে পড়েছেন। শীত নিবারণে খড় কুটিতে আগুন দিয়ে শীত নিবারণ করতে দেখা গেছে। ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে ধান ও পেঁয়াজের বীজতলায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest