সর্বশেষ সংবাদ-
পুনরায় সচল বৈছাআ, অসম্পূর্ণ কাজ বাস্তবায়নের ঘোষণা দিলেন সাতক্ষীরার আহ্বায়কজাতীয়তাবাদী সাইবার দল সাতক্ষীরা জেলা শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণাসাতক্ষীরায় আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া সংসদের পরিচিতি সভাসীমান্ত প্রেস কাবের সভাপতি ইমন – সম্পাদক লিংকন,সাতক্ষীরায় জেলা তাঁতীদলের সভাপতি রিপন – সম্পাদক সাহেব আলীআশাশুনিতে এক রাতে ৪ দোকানে দুঃসাহসীক চুরিসাতক্ষীরা সদরে বাঁশদহা সমাজকল্যাণ পরিষদের অফিস উদ্বোধনউত্তর-পশ্চিম কাটিয়া জামে মসজিদের জমি সংক্রান্ত বিষয়ে মামলা : প্রতিবাদে মানববন্ধনআশাশুনিতে কিশোরীকে অপহরনের অভিযোগ: ৮ দিনেও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশশ্যামনগরে কিশোর কিশোরী-যুবদের নিয়ে ফুটবল ম্যাচ ও গ্রামীণ খেলাধুলা  

রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের উৎসাহ জুগিয়েছে কিছু এনজিও!

মিয়ানমার সামরিক জান্তা, বিজিপি ও উগ্রপন্থী সশস্ত্র রাখাইন জনগোষ্ঠীর অগ্নি সংযোগ, ধর্ষণ, হত্যা, লুটপাট আটক করে পৈষাচিক নির্যাতনের ঘটনায় পালিয়ে আসা প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গা বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে।

এসব রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের নেপথ্যে কতিপয় নিবন্ধনহীন এনজিও উৎসাহ জুগিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যে কারণে সরকার বিভিন্ন অবলম্বে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ পূর্বক ওইসব এনজিওকে দায়ী করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তাদের সমস্ত কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ কর্তৃক জারীকৃত তথ্যে জানা গেছে, সরকারের সামনে অন্যতম বড় সংকট হিসেবে দেখা দিয়েছে রোহিঙ্গা সমস্যা। মিয়ানমার সরকারের দমন-নিপীড়নের কারণে প্রায় ৭লাখ রোহিঙ্গা এদেশে প্রবেশ করে উখিয়া-টেকনাফ ১২টি অস্থায়ী ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবিকতায় বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গাদের আশ্রয় ও ভরণ-পোষনের ব্যবস্থা করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ সরকারের পাশাপাশি কক্সাবাজারে রোহিঙ্গা শরনার্থী শিবিরে বিভিন্ন এনজিও কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা শাখা ও সংস্থা গুলোর রেজিস্ট্রেশন গ্রহণ সংক্রান্ত কোন তথ্য উপাত্ত পায়নি। যে কারণে ১২টি এনজিও’র কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে প্রশাসন।

বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে এসে পৌঁছেছে। উক্ত নির্দেশনায় উল্লেখ্য করা হয়েছে সাফ্জ, কালব, ওফকা, জাগরণ, এমপিডিআর, মানবাধিকার, শেড ওয়াশ, টাই বিডি, এসআরপিবি, গ্রামীণ ব্যাংক, লাচুন ও শিলাফ এর নাম।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সিনিয়র সহকারি সচিব সনজীদা শারমিন স্বাক্ষরিত এ আর্দেশ ২৯ নভেম্বর থেকে কার্যকর হয়। এ সংক্রান্ত অনুলিপি বাংলাদেশ সচিবালয়, জেলা প্রশাসক কক্সবাজার, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর একান্ত সচিব ও সুরক্ষা বিভাগের একান্ত সচিবকে অবহিত করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নিকারুজ্জামান জানান, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশসহ বিভিন্ন অনৈতিক কারণে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ভিত্তিক উক্ত ১২টি এনজিওদের সমস্ত কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ঝুলন্ত পাথরের আসল রহস্য !

ছবিটি ফেসবুকে অনেকেই পোস্ট করে থাকেন! বাংলাদেশ বিভিন্ন দেশের মানুষ এটিকে অলৌকিক পাথর হিসেবে জেনে থাকেন। অনেকেই বলে থাকেন ভিন্ন ধরনের কথাবার্তা! কেউ আবার এটাকে কুদরতি বলেও চালিয়ে দিয়েছেন। আবার কেউ কেউ বলে থাকেন ১৪০০ বছর আগে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) পাথর দুটি বেধে রেখে গেছিলেন। সেই পর্যন্ত পাথর দুইটি আজও শুন্যের মধ্যে ঝুলে আছে বলে অনেকেই দাবি করেন।

ইসলামা ধর্মবলম্বীরা বিশ্বাস করেন, আল্লাহ মানব জাতির মুক্তির জন্য পৃথিবীতে অনেক নবী ও রসূল প্রেরণ করেছিলেন এবং তাদের প্রদান করেছিলেন অনেক অলৌকিক ক্ষমতা। যেমন মুসা (আঃ) এর লাঠি সাপে পরিণত হওয়া, সাগর এর মাঝে রাস্তা তৈরি হওয়া, ইউনুস (আঃ) এর মাছের পেট থেকে মুক্তি পাওয়া, ঈসা এর ঊর্ধ্বগমন, মোহাম্মদ (সাঃ) এর হাতের ইশারায় চন্দ্র দ্বিখণ্ডিত হওয়া ইত্যাদি।

কিন্তু এই পাথর আসলে সেধরনের কিছু নয়। আসলে এটা একটা ভাস্কর্য! ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে মনে হওয়া এই ভাষ্কর্যটি স্থাপন করা হয়েছে মিশরের কায়রো বিমানবন্দরের প্রবেশপথে। ২০০৮ সালে নির্মাণ করা হয় পাথরটি। এর নির্মাতা ভাষ্কর শাবান আব্বাস। ভাষ্কর্যটির এভাবে অবস্থান করতে পারার কারণ পাথরগুলো আসলে পাথর নয়, বরং পাতলা মাইল্ড স্টিলের শিট যার বাইরের দিকে পাথরের মতো রং করা হয়েছে। দড়িটি মূলত লোহার রড যা নিচের পাথরের ভুমি সংলগ্ন অংশের ভেতর দিয়ে ভুমির সাথে দৃঢ়ভাবে যুক্ত করা! শুধু মাত্র মানুষের দৃষ্টি ভ্রম বিনোদনের জন্য।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কেন খাবেন কাঁচা টমেটো!

কম বেশি সবারই পছন্দের সেরা তালিকায় রয়েছে টমেটো। উদ্ভিদ বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে টমেটো একটি ফল হলেও, সবজি হিসেবেই সারা বিশ্বে টমেটো পরিচিত। মুখ রোচক এই সবজিটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আমিষ, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন-এ এবং ভিটামিন-সি।

প্রতিদিন দুটো করে কাঁচা টমেটো খেলে, বায়ু দূষণ যতই বাড়ুক না কেন, ফুসফুসের স্বাস্থ্য নিয়ে কোনও চিন্তাই করতে হবে না। লাং-এর দেখাশোনার দায়িত্ব সেক্ষেত্রে নিয়ে নেবে এই লাল সবজি টমেটো। ব্লুমবার্গ স্কুল অব পাবলিক স্বাস্থ্য গবেষকদের করা একটি স্টাডিতে দেখা গেছে, টমেটোর অন্দরে এমন অনেক শক্তিশালী উপাদান রয়েছে, যা ধূমপান এবং বায়ু দূষণের কোনও প্রভাব যাতে ফুসফুসের উপর না পরে, সেদিকে খেয়াল রাখে। সেই সঙ্গে ফুসফুসের কর্মক্ষমতাও বৃদ্ধি করে।

জার্মানি, ইংল্যান্ড এবং নরওয়ের প্রায় ৬৮০ জন বাসিন্দার উপর প্রায় ১০ বছর ধরে এই গবেষণাটি চালানোর পর টমেটোর এইসব গুণাগুণ সম্পর্কে জানতে পেরেছেন বিজ্ঞানীরা। এই পরীক্ষাটি চলাকালীন গবেষকরা লক্ষ করেছিলেন যে নিয়মিত টমেটো খাওয়ার অভ্যাস করলে একদিকে যেমন লাং ফাংশনের উন্নতি ঘটে, তেমনি ভঙ্গুর শরীরও বল ফিরে পায়।

আমাদের কাঁচা টমেটো খাওয়ার অভ্যাস খুব কম, রান্নার পরিবর্তে যদি নিয়মিত ২-৩টি করে কাঁচা টমেটো খাওয়া যায় তাহলে দারুন উপকার হয়। সেই সঙ্গে ভিটামিন এ, পটাশিয়াম এবং আয়রনের চাহিদাও পূরণ হয়। অন্যদিকে আয়রন, রক্তাল্পতা দূর করতে সাহায্য করে। তাই তো বুড়ো বয়সে অস্টিওপোরোসিসের মতো রোগের হাত থেকে বাঁচতে এখন থেকেই টমেটো খেতে হবে।

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, টমেটোয় উপস্থিত লাইকোপেন প্রস্টেট, কলোরেকটাল এবং স্টমাক ক্যান্সার রোধে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আসলে লাইকোপেন হল একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা কোষের বিভাজন ঠিক মতো হতে সাহায্য করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ক্যান্সার সেলের জন্ম নেওয়ার আশঙ্কা কমে। আর যদি একবার ক্যান্সার কোষ জন্ম নিয়েও নেয়, বৃদ্ধি গতি কমায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এই মারণ রোগ শরীরকে ক্ষয় করার সুযোগ পায় না

টমেটো যেহেতু অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, তাই তো শরীরকে সুস্থ রাখতে নিয়মিত কাঁচা টমেটো খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। সেই সঙ্গে রক্তচাপকে স্বাভাবিক রাখতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হার্টের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা হ্রাস পায়। প্রসঙ্গত, যাদের পরিবারে হাই কোলেস্টেরল এবং ব্লাড প্রেসার রোগের ইতিহাস রয়েছে তারা আজ থেকেই কাঁচা টমেটো খাওয়া শুরু করুন, আয়ু বাড়বে সুস্থ থাকবেন। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে বীজ সমেত টমেটো খেলে কিডনিতে স্টোন হওয়ার আশঙ্কা একেবারে শূন্যে এসে দাঁড়ায়।

টমেটোয় উপস্থিত লাইকোপেন নামে একটি উপাদান ত্বকের সৌন্দর্যতা বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে, সারা মুখে কিছুক্ষণ লাগিয়ে রাখুন। ১০ মিনিট পরে ভাল করে মুখটা ধুয়ে নিন। সূত্র: বোল্ডস্কাই

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
নলতায় আছিয়া-নজির স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন আজ

নলতা প্রতিনিধি: “মাদক ও অন্যান্য সামাজিক অসঙ্গতিকে না বলুন, ফুটবলকে হ্যাঁ বলুন” এ স্লোগানকে সামনে রেখে সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ফুটবল মাঠে আজ ২৮ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বেলা ২:৩০ মিনিট হতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সাতক্ষীরা-০৩ আসনের সংসদ সদস্য প্রফেসর ডা. রুহুল হকের পিতা বিশিষ্ট সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী মরহুম মো. নজির আহম্মেদ এবং মাতা মরহুমা মোছা. আছিয়া খাতুনের নামে আছিয়া-নজির স্মৃতি ৮ দলীয় নক আউট ফুটবল টুর্নামেন্ট-১৭ উদ্বোধনী খেলা।
উক্ত গুণী ব্যক্তিদ্বয়ের স্মরণে লাবণ্যবতি ইয়ং স্টার ক্লাব, কুলিয়া বনাম সৈকত স্পোটিং ক্লাব,তালা এর মধ্যে অনুষ্ঠিতব্য আজ ২৮ ডিসেম্বরের উদ্বোধনী খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে খেলার শুভ উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় উপদেষ্টাম-লীর সদস্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডা. আ ফ ম রুহুল হক এমপি।
খেলা উপলক্ষে নলতা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ফুটবল মাঠকে বিভিন্ন ব্যানার, ফেস্টুনে সাজানো হয়েছে। আনন্দঘন ও মনোরম পরিবেশে অনুষ্ঠিতব্য সমস্ত ফুটবল ম্যাচ উপভোগ করার জন্য নলতা শরীফ ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজক কমিটি ক্রীড়ামোদী দর্শকদের বিশেষভাবে আমন্ত্রণ জানিয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আলোচনায় ‘ঘুষ’

আলোচনায় ‘ঘুষ’

কর্তৃক Daily Satkhira

পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদফতরের (ডিআইএ) কর্মকর্তাদের উদ্দেশে ৪ ডিসেম্বর শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ‘সহনশীল ঘুষ’ নেওয়ার কথা উল্লেখ করার পর শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সরকারের বিভিন্ন সেক্টরে বিষয়টি নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। শিক্ষামন্ত্রী ‘সহনশীল ঘুষ’ এর কথা বলেননি বলে প্রথমে সংবাদের প্রতিবাদ ও পরে ২৭ তারিখ সংবাদ সম্মেলন করে ব্যাখ্যা দিলেও শিক্ষাবিদরা বলছেন, শিক্ষা বিভাগের ঘুষের কথা অস্বীকার না করে এখন সময় এটি প্রতিরোধ করা।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ দেশের সাতটি খাতের দুর্নীতির বিষয়ে প্রতিবেদন হাজির করলেও দুর্নীতির পরিমাণ বিবেচনায় শিক্ষাখাতের দুর্নীতি লাগামছাড়া বলে তাদের বিভিন্ন জরিপে উঠে আসে। শিক্ষার বিভিন্ন বিভাগ ধরে ধরে যখন তারা গবেষণা হাজির করছেন তখন একইসঙ্গে মন্ত্রণালয় থেকে চলছে এসব জরিপকে ‘একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়’ বলে অস্বীকারের প্রবণতা। শিক্ষাবিদরাও বলছেন, শিক্ষার দুর্নীতি অস্বীকার না করে এ ব্যাপারে জিরো টলারেন্সে যেতে হবে। একশভাগ দায়িত্ব নিয়ে দুর্নীতি বিরোধী অবস্থান নিতে হবে।

দেশের ৬৭ শতাংশ সেবা গ্রহীতা কোনও না কোনোভাবে ঘুষ দিতে বাধ্য হন বলে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) এক জরিপে বেরিয়ে আসে। এই জরিপ উল্লেখ করে গত ১০ ডিসেম্বর টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘বর্তমানে সরকারি-বেসরকারি খাতে সেবা নিতে গিয়ে সেবা গ্রহীতারা দুর্নীতির শিকার হন। যারা ঘুষ দিয়েছেন তাদের মধ্যে ৭০ শতাংশ মনে করেন, এছাড়া (ঘুষ) সেবা পাওয়ার অন্য কোনও উপায় নেই।’ এর আগে গতবছর জুন মাসে এই প্রতিষ্ঠানেরই আরেক জরিপে উঠে আসে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, আইনশৃঙ্খলা, বিদ্যুৎ, গ্যাস, পাসপোর্ট ও বিচারিকসহ অন্তত ১৬টি খাতের সেবা পেতে বছরে ৮ হাজার ৮২১ কোটি ৮০ লাখ টাকা ঘুষ দিতে হয়।

পরবর্তীতে গত ১৬ ডিসেম্বর ‘সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রভাষক নিয়োগের প্রতিটি ধাপেই হচ্ছে দুর্নীতি। এক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ৩ লাখ থেকে সর্বোচ্চ ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ লেনদেন হয়ে থাকে। এতে দাবি করা হয়, প্রভাষক নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধাকে প্রাধান্য না দিয়ে যোগ্যতা হিসেবে বিবেচনা করা হয় দলীয় পরিচয়, স্বজনপ্রীতি এবং অঞ্চলপ্রীতি।

তবে জরিপ কিংবা শিক্ষাবিদদের পর্যবেক্ষণ যাই বলুক না কেন মন্ত্রনালয়ের পক্ষ থেকে বারবারই এসব অভিযোগ অস্বীকার করা হয়। বিশিষ্ট শিক্ষাবিদরাসহ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান বলছেন, ঘুষ লেনদেন হয় এবং এ টাকা কোথায় যায় তা সবার জানা।

বছরের পর বছর ধরে এক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে থেকে কোচিং-বাণিজ্যের মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের অভিযোগে রাজধানীর আটটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৯৭ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সম্প্রতি সুপারিশ করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত নভেম্বর মাসের শুরুতে ২৪টি সরকারি বিদ্যালয়ের ৫২২ জন শিক্ষককে একই কারণে বদলির সুপারিশ করে দুদক। তবে দুঃখজনক হচ্ছে এখনও কারও বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এমনকি এ বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার কোনও কার্যক্রমও শুরু হয়নি।

শিক্ষাবিদ সিরাজুল ইসলাম চৌধূরী মনে করেন ঘুষকে নিয়ে এধরনের অস্বীকার প্রবণতা ক্ষতিকর। তিনি বলেন, ‘তিনি (শিক্ষামন্ত্রী)এমন বক্তব্য দেওয়ার অর্থই হচ্ছে ঘুষ মেনে নিলেন। এই পর্যায়ে তিনি এধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য কেন দেবেন? শিক্ষা প্রশাসনের বাস্তবচিত্র যে কী ভয়াবহ তা রোজ পত্রপত্রিকায় আমরা আমাদের আশেপাশে দেখতে পাচ্ছি। অস্বীকার না করে প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিন, সেটা কাজের হবে। আজকের যে পরিস্থিতি তাতে একজন শিক্ষক নৈতিকভাবে দুর্বল হয়ে যাওয়া মানে তার সব অপরাধের বিরুদ্ধে যে শক্ত মেরুদণ্ড আমরা আশা করি, তা জাতি পাবে না।’

টিআইবির ট্রাস্টিবোর্ডের সদস্য ও শিক্ষাবিদ সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, অনেক রকমের দুর্নীতি হয়। আমরা তো মনে করি শিক্ষা বিভাগটা দুর্নীতির বড় আখড়া। প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে যা হচ্ছে কে জানে না? সবাই জানে, কিন্তু কেউ বলে না। এনসিটিবি (জাতীয় শিক্ষাক্রম ও টেক্সটবুক বোর্ড) নিয়েও টিআইবি কাজ করেছিল। মাউশিতেও অনেক ঘুষের লেনদেন হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এমন কোনও বিভাগ নেই যেখানে ঘুষ লেনদেন হয় না। এটি স্বীকার না করে আজকে দেখলাম শিক্ষামন্ত্রী ব্যাখ্যা দিয়েছেন, এসব দুর্নীতি বিএনপি জামায়াত আমলের। আমার পর্যবেক্ষণ বলে, বিএনপির আমলের যে ঘুষ লেনদেন পরিস্থিতি ছিল তার কোনও উন্নতি হয়নি। জিরো টলারেন্স ছাড়া অন্য যেকোনও মন্তব্য বা আচরণ ঘুষ লেনদেনকারীদের কাছে ভুল বার্তা দেবে। তারা সতর্ক না হলে আরও বেশি ঘুষ নেবে। বালিতে মাথা না গুঁজে একশভাগ দায়িত্ব নিয়ে ঘুষ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হন। কারণ শিক্ষা হলো মগজ। মগজে পচন ঘটলে আর কিছু করা সম্ভব না।

শিক্ষক নিয়োগে ঘুষ লেনদেনের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি)চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান বলেন, ‘শিক্ষক নিয়োগে ঘুষ লেনদেনের অনেক অভিযোগ আছে ঠিকই কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রমাণিত সেভাবে হয়নি। মাঝে মাঝেই এমন অভিযোগ আসে। যেমন সর্বশেষ কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য এ এম এম শামসুর রহমানের বিরুদ্ধে ঘুষ নিয়ে চাকরি দেওয়ার একটা অভিযোগ পেয়েছিলাম। তিনি সেটা স্বীকারও করেছেন।

ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ প্রায়ই পাওয়া যায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, কেবল টিআইবি জরিপ না দুদক থেকেও এমন অভিযোগ এসেছে, প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে এসেছে। এগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটি তদন্ত করেছি এবং এর প্রতিবেদনও জমা দিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ‘দেশের এত বড় একটি সেক্টর এবং যেটা জাতির অন্যতম শ্রদ্ধার জায়গা সেই জায়গায় যদি ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ থাকে তাহলে সেটা তো খুবই লজ্জার। শিক্ষক, উপাচার্য এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ আসে। এগুলো তো খুবই লজ্জার এবং মারাত্মক অভিযোগ। এই জায়গাকে যদি ঠিক রাখতে না পারি তাহলে দেশকে কিভাবে ঠিক রাখবো।’

ঘুষের টাকা কোথায় যায় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘুষের টাকা যারা নেয় তাদের কাছে যায়। ঢাকা শহরের কোন সরকারি কর্মকর্তার কতটা বাড়ি আছে, গুলশান বনানীতে কতটি বাড়ি আছে তা খতিয়ে দেখলেই তো বোঝা যাবে ঘুষের টাকা কোথায় যায়।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বাঁশ আর গাছ নয়!

বাঁশ আর গাছ নয়! আইন পাশ করে কেড়ে নেওয়া হল এই পদ! পড়ে অবাক হলেও এমনই কাণ্ড ঘটেছে বাস্তবে। বুধবার ভারতের রাজ্যসভায় ধ্বনিভোটে পাশ হয় সংশোধিত বন আইন, আর সেই আইনের ভিত্তিতেই এবার থেকে আর বাঁশকে গাছের মর্যাদা দেওয়া যাবে না।

গত ২০ ডিসেম্বর ভারতের লোকসভাতে আগেই এই বিলটি পাশ হয়েছিল।

১৯২৭’র ইন্ডিয়ান ফরেস্ট অ্যাক্ট অনুযায়ী বাঁশকে গাছ বলা হয়। বন-জঙলের বাইরে বাঁশ কাটা এবং পরিবহন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলে উত্তর পূর্ব ভারতের কৃষকেরা সমস্যার মুখে পড়ে। সংশোধিত বিল অনুযায়ী বনের বাইরে বাঁশ কাটা এবং পরিবহনের ক্ষেত্রে অনুমতি দেওয়া হলেও, বনের মধ্যে বেড়ে ওঠা বাঁশকে গাছ বলেই মান্যতা দেওয়া হবে এবং আগের মতই তা কাটা এবং পরিবহনের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।

তবে বিরোধী দলগুলো ইতিমধ্যেই এই নতুন বিল নিয়ে সরব হয়েছে। তাদের অভিযোগ, কোন রকম আলোচনা না করেই এই বিল পাশ করা হয়েছে। যার ফল সুবিধা হবে শিল্পপতিদের।

বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ এই বিলকে ‘very misleading’ বলে মনে করেন এবং আদিবাসীদের যে এতে অসুবিধা হবে তাও বলেন তিনি।

তবে বিরোধীদের সব অভিযোগ উড়িয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ড. হর্ষ বর্ধন জানান, এই বিরোধিতায় তিনি হতবাক। এই বিলে আদিবাসীদের কতটা সুবিধা হবে তা বিরোধী দলগুলো কেন দেখতে পাচ্ছে না সেই নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। পাশাপাশি এও জানান তিনি, ২৪টি রাজ্য এই বিলকে সমর্থন করেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কুকের শতক, ঘুরে দাঁড়াল ইংল্যান্ড

এবারের অ্যাশেজটা যেনো দুঃস্বপ্নের মতো কাটছে জু রুটদের। ইতোমধ্যে প্রথম তিন টেস্ট হেরে বসে আছে ইংল্যান্ড। মেলবোর্নে চতুর্থ টেস্টেও শুরুটা হয়েছিল বাজেভাবে। তবে দ্বিতীয় দিনে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ইংলিশরা।

ভালো অবস্থানে থাকা স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়াকে ৩২৭ রানে অলআউট করে দিয়েছে তারা। আর ব্যাট করতে নেমে ২ ‍উইকেটে ১৯২ রানে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে ইংল্যান্ড। দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করে অপরাজিত আছেন অ্যালিস্টার কুক। অর্ধশত রান থেকে এক রান দূরে থেকে দিন শেষ করেছেন অধিনায়ক রুট।

এর আগে ৩ উইকেটে ২৪৪ রানে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে অস্ট্রেলিয়া। ভালো অবস্থানে থেকেও খুব বেশি দূর যেতে পারেনি স্টিভ স্মিথরা। ৩২৭ রানেই গুটিয়ে গেছে অজিরা।

স্টুয়ার্ট ব্রড, জেমস অ্যান্ডারসন ও ক্রিস ওয়াকসের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৬৭ রানে শেষ ৭ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। প্রথম দিনেই সেঞ্চুরি করেছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। এছাড়া অজিদের প্রথম ইনিংসে স্টিভ স্মিথ ৭৬ ও শন মার্শ ৬১ রানের ইনিংস খেলেন।

ইংলিশ পেসার স্টুয়ার্ট ব্রড ৪টি, অ্যান্ডারসন ৩টি ও ক্রিস ওয়াকস ২টি উইকেট পেয়েছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তৃণমূলের সাথে দূরত্ব বাড়ছে এমপিদের

ঢাকার পার্শ্ববর্তী একটি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বললেন, ‘ভাই! আর পারি না। নয় বছর দলের নেতা-কর্মীদের বাদ দিয়ে এমপি সাহেব ব্যস্ত নিজের স্ত্রী-পুত্রকে নিয়ে। একজনকে বানিয়েছেন মেয়র, আরেকজনকে দিয়েছেন দলের দেখভালের দায়িত্ব। এখানে দীর্ঘদিনের ত্যাগী নেতা-কর্মীরা মূল্যহীন।’ এ অবস্থা শুধু ঢাকার পার্শ্ববর্তী উপজেলায় নয়, দেশের শতাধিক আসন-এলাকায়ও একই চিত্র। কর্মীদের মূল্যায়ন নেই। আত্মীয়করণ আর ব্যক্তিকরণ নিয়েই ব্যস্ত এমপিরা। দলের নেতা-কর্মীদের পরিবর্তনে নবাগতদের প্রাধান্য সব ক্ষেত্রে। ফলে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের সঙ্গে এমপিদের দূরত্ব বাড়ছে।

সূত্রমতে, ক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগ কর্মীরা অনেকের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে প্রকাশ্যে বিবৃতি দিতে শুরু করেছেন। এর মধ্যে ১০ জন এমপির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নিজ দলের নেতা-কর্মীরা। অনেকের বিরুদ্ধে সুযোগ ও সময়ের অপেক্ষায় রয়েছে তৃণমূল। সেদিন জামালপুরের এক নেতা বললেন, ‘এমপি সাহেব উপজেলা যুবদল নেতাকে এনে জেলা কমিটিকে পাশ কাটিয়ে যুবলীগের পৌর সভাপতি বানিয়েছেন। এখন পৌরসভায় দলের প্রার্থীকে ডোবানোর প্রক্রিয়া মজবুত করার কাজে ব্যস্ত এই সাবেক যুবদল ও বর্তমান যুবলীগ নেতা। মেয়র পদে তিনি নিজে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে গেছেন। ক্ষোভের অনল তৈরি হয়েছে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মনে।’ আজ সেই পৌরসভায় ভোট হচ্ছে। ওই আওয়ামী লীগ নেতা আরও বললেন, ‘যদি দলের পার্থী পরাজিত হন, তাহলে কাকে দায়ী করব? সাবেক যুবদল ও বর্তমান যুবলীগ নেতাকে না এমপি সাহেবকে?’ এভাবেই চলছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নানামুখী কার্যক্রম। অনেক এমপি দলের নেতা-কর্মীদের চাপে রাখতে বিএনপি-জামায়াতকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন। রাজশাহী ও নাটোরের তিনজন এমপির বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে সংবাদ সম্মেলন করেছেন দলের নেতারা। কিন্তু কে শোনে কার কথা! আওয়ামী লীগ সূত্র জানিয়েছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র এক বছর বাকি। আগামী বছরের ডিসেম্বরে নির্বাচন হওয়ার কথা। এই সময়ে এমপিদের সঙ্গে তৃণমূল নেতাদের দ্বন্দ্ব ও বিরোধে উদ্বিগ্ন আওয়ামী লীগ। নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে ততই বাড়ছে এ উদ্বেগ। বিশেষ করে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পরাজয়ের পর দলটির নীতিনির্ধারকরা মনে করেন, স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের দূরত্বও ভোটের ব্যবধান বড় করে দিয়েছে। বিষয়টি আমলে নিয়ে যে কোনো মূল্যে এ দ্বন্দ্ব দূর করতে চায় ক্ষমতাসীন দল। দলের শীর্ষ নেতারা বার বার মন্ত্রী-এমপিদের তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে বিরোধ ও দূরত্ব কমিয়ে আনার তাগিদ দিচ্ছেন।

কিছু কিছু এলাকায় এমপিদের সঙ্গে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের দূরত্ব আছে স্বীকার করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, ‘মাঠপর্যায়ে ছোটখাটো যেসব সমস্যা রয়েছে, সেগুলো ছয় মাসের মধ্যে মিটিয়ে ফেলা হবে। দলকে সুসংগঠিত করতে বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় ইতিমধ্যে কর্মিসভা, বর্ধিত সভা করা হচ্ছে। এটা ধারাবাহিক প্রক্রিয়া, নির্বাচন পর্যন্ত চলবে।’

তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত এমপিদের সঙ্গে দূরত্ব সবচেয়ে বেশি বাড়ছে তৃণমূলের। দলীয় নেতা-কর্মীদের পাশ কাটিয়ে চলছেন তারা। তাদের অনেক দম্ভ! নেতা-কর্মীরা কোনো কাজে এমপিদের কাছে গেলে চরম দুর্ব্যবহার করেন এবং বলে থাকেন, কেউ কি ভোট দিয়ে এমপি বানিয়েছো? নেত্রী মনোনয়ন দিয়েছেন তাই এমপি হয়েছি। মনোনীত তাই নির্বাচিত এ রকম অর্ধশত এমপি নির্বাচনের পর নির্বাচনী এলাকায় যাতায়াত কমিয়ে দিয়েছেন। নেতা-কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগও তারা কমিয়ে দেন। কেউ কেউ ছয় মাস বা এক বছর পর নির্বাচনী এলাকায় গেলেও সরকারি কর্মসূচিতে অংশ নিয়েই ঢাকায় চলে আসেন। ফলে নেতা-কর্মীরা এমপিকে দলীয় কর্মকাণ্ডে পান না। কেউ কেউ এলাকার নেতা-কর্মীদের ওপর দমন-পীড়ন চালিয়েছেন এমন অভিযোগও আছে। এভাবে গত চার বছরে অনেক এমপির স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে দূরত্ব এমন অবস্থায় পৌঁছেছে যে, এ দূরত্ব আর ঘোচানো সম্ভব নয়

নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে অভিযুক্ত সংসদ সদস্যরা ততই এলাকামুখী হতে গিয়ে স্থানীয়ভাবে বিরোধিতার মুখে পড়ছেন। হবিগঞ্জের এক এমপি বিএনপি-জামায়াতের নাশকতার মামলার আসামিকে আওয়ামী লীগে যোগদান করিয়েছেন। নেতা-কর্মীরা ব্যাপারটির বিরোধিতা করলে নিজ দলের নেতাদের ওপর চালানো হয়েছে নির্যাতনের স্টিম রোলার। চট্টগ্রাম এলাকায় একজন এমপির বিরুদ্ধে জামায়াত-শিবিরকে পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগ শুরু থেকেই। তিনি নিজেও জামায়াত ঘরানার ছিলেন। দুটি উপজেলার আওয়ামী লীগের সিংহভাগই তার সঙ্গে নেই। তিনিও দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নেন না। দিনাজপুরে সংবাদ সম্মেলন করে এলাকায় এক এমপিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী, ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলো। আরেক উপজেলার শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে ন্যূনতম যোগাযোগ নেই এমপির। নড়াইলের এক এমপির বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে শুধু নিজের সংসদীয় এলাকায় নয়, গোটা জেলার রাজনীতিতেই নিজস্ব বলয় সৃষ্টি করার। স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোয় নিজের পছন্দ না হলে দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধেই প্রার্থী দিয়েছেন। স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে গড়ে তুলেছেন তার নামে ‘লীগ’।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য পীযূষকান্তি ভট্টাচার্য বলেন, ‘কোথাও কোথাও এমপিদের সঙ্গে স্থানীয় পর্যায়ের তৃণমূল নেতা-কর্মীদের দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে এটা ঠিক। কিন্তু আওয়ামী লীগের মূল শক্তি তৃণমূল তো। জাতীয় সংসদসহ যে কোনো নির্বাচনে দলের প্রার্থীদের জিতিয়ে আনার ক্ষেত্রেও তারাই মূল দায়িত্ব পালন করে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে অনেক পদক্ষেপের একটি হিসেবে আমরা এই দূরত্ব কমানোর উদ্যোগ নিয়েছি। তৃণমূলের সঙ্গে মতবিনিময়, কর্মিসভা, বর্ধিত সভার মাধ্যমে দূরত্ব কমানো হবে। দলীয় সভানেত্রী এজন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন।

সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest