সর্বশেষ সংবাদ-
পুনরায় সচল বৈছাআ, অসম্পূর্ণ কাজ বাস্তবায়নের ঘোষণা দিলেন সাতক্ষীরার আহ্বায়কজাতীয়তাবাদী সাইবার দল সাতক্ষীরা জেলা শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণাসাতক্ষীরায় আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া সংসদের পরিচিতি সভাসীমান্ত প্রেস কাবের সভাপতি ইমন – সম্পাদক লিংকন,সাতক্ষীরায় জেলা তাঁতীদলের সভাপতি রিপন – সম্পাদক সাহেব আলীআশাশুনিতে এক রাতে ৪ দোকানে দুঃসাহসীক চুরিসাতক্ষীরা সদরে বাঁশদহা সমাজকল্যাণ পরিষদের অফিস উদ্বোধনউত্তর-পশ্চিম কাটিয়া জামে মসজিদের জমি সংক্রান্ত বিষয়ে মামলা : প্রতিবাদে মানববন্ধনআশাশুনিতে কিশোরীকে অপহরনের অভিযোগ: ৮ দিনেও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশশ্যামনগরে কিশোর কিশোরী-যুবদের নিয়ে ফুটবল ম্যাচ ও গ্রামীণ খেলাধুলা  

শীতকালীন সবজি সিম চাষে স্বাবলম্বী বিহারীনগরের কৃষক মিজানুর

মো. মফিজুর রহমান, বল্লী : সাতক্ষীরার বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ভাবে চাষ হচ্ছে শীতকালীন সবজি সিম। চলতি মৌসুমে বিভিন্ন স্থানে সিম চাষ করা হয়েছে। উন্নত বীজ, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে চাষিরা বেশ লাভবান হচ্ছেন। অন্যান্য ফসলের চেয়ে অধিক লাভ হওয়ায় কৃষকরা দিন দিন সিম চাষে বেশি ঝুঁকে পড়েছেন। মূলত শীত মৌসুমে সিমের চাষ বেশি হয়ে থাকে। শুধু শীত মৌসুমে নয়, বছরের অধিকাংশ সময়ই এখন সিমের চাষ করা সম্ভব হচ্ছে। সরকারের কৃষি সম্প্রসারন বিভাগ ও বিভিন্ন বেসরকারী গবেষণা প্রতিষ্ঠানের যৌথ প্রচেষ্টায় সাতক্ষীরার বিভিন্ন এলাকায় সারা বছর ধরে চাষ হচ্ছে মুখোরোচক এ সবজি। চলতি মৌসুমে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে জেলায় সিমের বাম্পার ফলন হয়েছে। স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বিভিন্ন বাজারে ভাল দামে বিক্রি হচ্ছে। আর তাই চলতি মৌসুমে সিম চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন এমনই একজন কৃষক সদর উপজেলার বিহারীনগর গ্রামের মো. আব্দুল বারিকের ছেলে কৃষক মো. মিজানুর রহমান। সিম চাষী মিজান জানান, বেসরকারি সংস্থা সিনজেনটা থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে তিনি ৫কাটা জমিতে সিম চাষ শুরু করেন। তিনি বলেন, জমি চাষ, পরিচর্চা ও কীটনাশক ব্যবহার সম্পর্কে প্রশিক্ষণ নিয়ে তিনি লাভবান হয়েছেন। প্রতিমৌসুমে তার এই জমিতে খরচ হয় ২থেকে আড়াই হাজার টাকা। সেখানে তিনি সিম বিক্রি করেন প্রতি সপ্তাহে প্রায় আড়াই হাজার টাকা। খরচ বাদে তার প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা লাভ হয়ে থাকে। তিনি জানান, সারা বছর বিভিন্ন সবজি চাষ করে স্বাবলম্বী হয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন।
কৃষি গবেষকরা জানান, শস্য ব্যবস্থাপনা ও শস্য বিন্যাস প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে দেশকে খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণতা অর্জন করার লক্ষ্যে তারা কৃষকদেরকে বছরের ১২ মাসই জমিতে ফসল ফলাতে উদ্বুদ্ধ করছেন। আর এরই অংশ হিসেবে তারা কৃষকদের মাঝে বিভিন্ন সবজি চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। আধুনিক চাষ পদ্ধতি ব্যবহার করে কৃষকরা এখন বেশ লাভবান হচ্ছেন।
ইউনিয়ন উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা কিরন্ময় সরকার জানান, চলতি মৌসুমে ঝাউডাঙ্গা ও বল্লী ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে আবাদী জমিতে, ঘের ভেড়ি, ও বসত বাড়ির আঙিনায় মাঁচা পদ্ধতি সিম চাষ করা হচ্ছে। অল্প খরচে অধিক লাভ হওয়ায় প্রান্তিক চাষীরা এখন সিম চাষে ঝুঁকে পড়েছেন। ফলনও আগের চেয়ে তুলনামূলক বেশি হওয়ায় চাষীদের সিম চাষে আগ্রহ বেশি।
সরকারি ও বেসরকারি সহযোগিতা পেলে বিভিন্ন মৌসুমি সবজী চাষ আরো ব্যাপকতা লাভ করবে বলে জানান প্রান্তিক চাষীরা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনি বড়দলে বড়দিনের উৎসব অনুষ্ঠিত

বড়দল প্রতিনিধি: খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের শুভ বড়দিন উপলক্ষ্যে বুধবার রাত ৮ টায় আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নে জামালনগর ক্যাথলিক গির্জা প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন আশাশুনি উপজেলা আ ’লীগ সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ বি এম মোস্তাকিম। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সদস্য এস. এম দেলোয়ার হোসেন। আশাশুনি উপজেলা আ ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাংবাদিক আব্দুস সামাদ বাচ্ছু, উপজেলা আ ’লীগের প্রচার সম্পাদক জগদীশ চন্দ্র সানা, কৃষক লীগ নেতা সোহরাব হসেন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার মোঃ লিয়াকত আলী, মুক্তিযোদ্ধা এম আব্দুল গনি, আবুল কালাম আজাদ, পউল সরকার, সাংবাদিক গোপাল চন্দ্র মন্ডল, যুবলীগ নেতা বি এম আলাউদ্দীন, কুল্যা ইউনিয়ন কৃষক লীগ নেতা জোহরুল ইসলাম, তরুন লীগ নেতা চঞ্চল আলম, সাহারিয়ার হসেন, মোকফুর রহমান, সৈনিক লীগ নেতা মাহাফুজুর রহমান প্রমুখ। বড়দল বাস্তহারালীগ সভাপতি রাজু, আল্ আমিন যুব সংঘের সভাপতি এস. এম শরিফসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
বক্তাগণ তাদের বক্তব্যে যীশু খৃস্টের জীবনী নিয়ে আলোচনা করেন এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য নৌকা প্রতীকে ভোট দিতে আহ্বান জানান। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে উপজেলা চেয়ারম্যান নগদ ১০ হাজার টাকা প্রদান করেন। জেলা পরিষদ সদস্য দেলোয়ার হোসেন নগত ১০ হাজার টাকা এবং জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ক্যাথলিক গির্জা সংস্কার করার জন্য ২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেবেন বলে ঘোষণা প্রদান করেন। পরে মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন লালন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
১২ বছরের গৃহকর্মীকে নৃশংসভাবে হত্যা; ‘রাখা হতো টয়লেটে পেটানো হতো অজ্ঞান না হওয়া পর্যন্ত’

‘কিশোর গৃহকর্মী আল আমিনের কাজে একটু ভুল হলেই মাথায় তুলে আছাড় মারা হতো। অজ্ঞান না হওয়া পর্যন্ত তাকে পেটানো হতো। এরপর টয়লেটে ফেলে রাখা হতো। জ্ঞান ফিরলে একবেলা জুটত পচা খাবার।’ সোমবার ১৬৪ ধারায় আদালতে আসামিদের দেয়া জবানবন্দি থেকে এসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

রাজধানীর আদাবরের শেখেরটেকের (রোড নম্বর ৪, বাসা নম্বর ২৩/২৫) একটি বাসায় গৃহকর্মী আল আমিনের (১২) ওপর মধ্যযুগীয় বর্বরতা চলত। তাকে নির্যাতন করে গৃহকর্ত্রী ও গৃহকর্তা পৈশাচিক আনন্দ পেত। টানা ছয় মাস ধরে তার ওপর নির্মম নির্যাতন চালানো হয়। খেতে না পেয়ে তার শরীর হয়ে ওঠে কঙ্কালসার।

নির্যাতন করেও সাধ মেটেনি তাদের। রোববার ঘাড় মটকে তাকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনা গৃহকর্তা শেখ জোবায়ের আলম ও গৃহকর্ত্রী সাইয়্যেদা রহমান আড়াই লাখ টাকা দিয়ে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় জোবায়ের, তার স্ত্রী সাইয়্যেদা, শাশুড়ি আনজু আরা পারভীন ও শ্যালক সাকিব আহমেদকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ঘটনার দায় স্বীকার করে জোবায়ের ও সাইয়্যেদা সোমবার ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে।

আল আমিনের চাচা হারুন অর রশীদ জানান, ময়মনসিংহের বাঘাডুবার শিমুলিয়াপাড়ার দরিদ্র কৃষক রুহুল আমিনের চার সন্তানের মধ্যে বড় আল আমিন। অভাবের তাড়নায় ঢাকার এক বাসায় গৃহকর্মীর কাজে তাকে দিয়েছিলেন তার বাবা। ছয় মাস ধরে তাকে এমন নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে তা ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি তার পরিবার।

আদাবর থানার অপারেশন অফিসার সুজিত সাহা বলেন, আল আমিনের শরীরের সর্বত্র ক্ষতচিহ্ন ছিল। তাকে দেখে মনে হয়েছে একটি কঙ্কালের ওপর চামড়া লাগিয়ে রাখা হয়েছে। এই কঙ্কালসার দেহের ওপর এমন অত্যাচার কল্পনাও করা যায় না। পেশাগত জীবনে এমন নির্মম নির্যাতনের ঘটনা শোনেননি তিনি।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ছয় মাস আগে জোবায়ের ও সাইয়্যেদা দম্পতির জন্ম নেয়া সন্তানের দেখাশোনা করার জন্য আল আমিনকে নেয়া হয়। আল আমিনের চাচাতো ভাই মানিক মাসিক তিন হাজার টাকা বেতনে গৃহকর্মী হিসেবে তাকে ওই বাসায় কাজে দেন। এরপর আল আমিনকে একটিবারের জন্যও ওই বাসা থেকে বের হতে দেয়া হয়নি। এমনকি পরিবারের সঙ্গে তাকে যোগাযোগ করতেও দেয়া হয়নি।

কাজে ভুল করার অজুহাতে দিনভর সাইয়্যেদা তাকে নির্মম নির্যাতন করত। কখনও তিনি স্কেল দিয়ে, আবার কখনও লোহার রড দিয়ে আল আমিনকে পেটাতেন। গার্মেন্টস এক্সেসরিজের ব্যবসায়ী জোবায়ের ফিরলে সাইয়্যেদা নানা অভিযোগ দিতেন আল আমিনের নামে। স্ত্রীকে খুশি রাখতে তিনি কখনও রড দিয়ে আল আমিনকে পিটিয়ে অজ্ঞান করে টয়লেটে রেখে আসতেন। কখনও আছাড় মারতেন। এসব দেখে তার স্ত্রী পৈশাচিক আনন্দ পেতেন।

তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মনিরুজ্জামান মনি বলেন, তিন মাস আগে আল আমিনের ডায়রিয়া হয়। তখন তাকে টয়লেটে থাকার স্থায়ী বন্দোবস্ত করা হয়। রাত ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত তাকে টয়লেটে থাকতে হতো। গৃহকর্তা ও গৃহকর্ত্রী ঘুম থেকে উঠলে আল আমিন টয়লেট পরিষ্কার ও গোসল করে সেখান থেকে বের হওয়ার অনুমতি পেত। সারাদিন কাজ করে রাতে একবেলা তার পচা খাবার মিলত।

আল আমিনকে যেভাবে হত্যা করা হয় : তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, শনিবার সকালে কাজে ভুল করার অজুহাতে আল আমিনকে একদফা রড দিয়ে পেটান সাইয়্যেদা। সন্ধ্যার পর জোবায়ের বাসায় বাজার নিয়ে এলে সেগুলো গুছিয়ে রাখতে আল আমিনকে বলা হয়। শরীর অসুস্থ থাকায় সে গুছানোর কাজ করতে অস্বীকৃতি জানায়। তখন জোবায়ের ও সাইয়্যেদা তাকে পেটায়। রাত ৮টার দিকে বাচ্চার দুধের ফিডার হাত থেকে পড়ে গেলে সাইয়্যেদা চিৎকার শুরু করে। জোবায়ের স্ত্রীকে খুশি করতে আল আমিনকে মাথায় তুলে ছুড়ে মারে। এতে তার মাথা ফেটে রক্ত ঝরতে থাকে।

ওই অবস্থায় তাকে আবারও পেটায় জোবায়ের। আল আমিন অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে টয়লেটে রেখে আসা হয়। তাকে পানির ট্যাবের নিচে রেখে সেটি চালু করে দেয়া হয়। এক ঘণ্টা পর সেটি বন্ধ করা হয়। রাত ১টার দিকে সাইয়্যেদা টয়লেটে গিয়ে দেখে আল আমিন ওই অবস্থায়ই শুয়ে আছে।

তাকে অনেকবার ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়ে সে প্রচণ্ড রেগে যায়। সে তার ঘাড়ে জোরে লাথি মারে। এতে আল আমিন টয়লেটের একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে ছিটকে পড়ে। পরে টয়লেটের দরজা লাগিয়ে সাইয়্যেদা ঘুমিয়ে পড়ে। পরদিন রোববার সকাল ৭টার দিকে সাইয়্যেদার মা আনজু আরা টয়লেটের দরজা খুলে দেখেন আল আমিন ওই অবস্থাতেই মেঝেতে পড়ে আছে। তার হাত-পা ঠাণ্ডা। তখন তিনি জোবায়ের ও সাইয়্যেদাকে ঘুম থেকে ডেকে তোলেন। জোবায়ের স্থানীয় একটি ওষুধের দোকান থেকে একজনকে নিয়ে আসেন। পরীক্ষা করে তিনি জানান, আল আমিন মারা গেছে।

মোবাইল ফোনে আল আমিনের পরিবারকে জোবায়ের জানান, আল আমিন গুরুতর অসুস্থ। রোববার সন্ধ্যায় তার চাচা হারুন ও অন্য আত্মীয়স্বজনরা এসে তার লাশ দেখতে পায়। সে সময় জোবায়ের আড়াই লাখ টাকা দিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে আদাবর থানা পুলিশ রাতে লাশ উদ্ধার করে। ওই রাতে হারুন আদাবর থানায় হত্যা মামলা করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বিরল রোগে আক্রান্ত মুক্তামনির বাড়িতে এস এম শওকত হোসেন

প্রভাষক শওকত আলী, ঝাউডাঙ্গা : বিরল রোগে আক্রান্ত সাতক্ষীরার মুক্তামনিকে দেখতে ছুটে গেলেন সদর উপজেলা আ’লীগের সভাপতি আলহাজ্ব এস.এম শওকত হোসেন।

বুধবার সকাল সদর উপজেলার বাঁশদহা ইউনিয়নের কামারবায়সা গ্রামে গিয়ে তার খোঁজ খবর নেন ও তার পরিবার বর্গের সাথে কথা বলে সমবেদনা জানান এস.এম শওকত হোসেন। মহান আল্লাহর কাছে দোয়া চাইতে ও ধৈর্য্য ধরারর আহবান জানিয়ে মুক্তামনির বাবা ইব্রাহিম হোসেনের হাতে বিভিন্ন ফল ও অার্থিক সহায়তা প্রদান করেন।

এসময় তার সঙ্গে ছিলেন, সদর উপজেলা অা’লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাজাহান অালী, বন ও পরিবেশ সম্পাদক মো. মনিরুল ইসলাম মাছুম, দপ্তর সম্পাদক প্রভাষক হাসান মাহমুদ রানা, বাশদহা ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন, সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক মইনুল ইসলাম, সহ-সভাপতি জাহিদ হোসেন, ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রসিদ, খালেক শেখ, বাঁশদহা ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ অালম রিপন প্রমুখ।

উল্লেখ্য, মুক্তামনি গত শুক্রবার ঢাকা মেডিকেল থেকে চিকিৎসা শেষে নিজ বাড়িতে ফেরেন। মুক্তামনির শরীরের অবস্থা সম্পর্কে তার পিতা ইব্রাহিম হোসেন বলেন, মুক্তামনি শরীরের অবস্থা উন্নতির চেয়ে অবনতির দিকেই যাচ্ছে। তিনি সকলের কাছে মুক্তামনির জন্য দোয়া কামনা করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শালতা নদী খনন ও টিআরএম বাস্তবায়নের দাবিতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন

আসাদুজ্জামান: সাতক্ষীরার তালা উপজেলার শালতা নদী খনন ও টিআরএম বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরায় পানি কমিটির ব্যানারে শালতা অববাহিকার মানুষের উপস্থিতিতে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।

মানববন্ধন কর্মসূচি চলাকালে বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, শালতা বাঁচাও কমিটির সভাপতি সরদার ইমান আলী, কেন্দ্রীয় পানি কমিটির সভাপতি এবিএম শফিকুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, জিল্লুর রহমান, জাহিন খান প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, তালা উপজেলার জীব বৈচিত্র্য রক্ষা, জলাবদ্ধতা ও পরিবেশ সমস্যা মোকাবেলায় শালতা নদী খনন করে টিআরএম বাস্তবায়ন অনিবার্য হয়ে পড়েছে। অন্যথায় শালতা অববাহিকার মানুষ বাঁচতে পারবে না।

বক্তারা এ সময় শালতা নদীর সাথে আমতলী, বাদুরগাছা, ঘ্যাংরাইল, শিতলাখালী, হাড়িয়া ও নাসিরপুর খালের সাথে সরাসরি সংযোগ দিয়ে এর অববাহিকায় টিআরএম বাস্তবায়ন এবং নদী দখল বন্ধ করার দাবি জানান। পরে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দীনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি পেশ করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহ উপলক্ষে এ্যাডভোকেসি সভা

মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : “পরিকল্পিত পরিবার গড়ি, মাতৃমৃত্যু রোধ করি” এই স্লোগানকে সামনে রেখে সাতক্ষীরায় পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহ উপলক্ষে এ্যাডভোকেসি সভা ও প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর সাতক্ষীরা উপ-পরিচালক রওশন আরা জামানের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আব্দুল হান্নান।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর সাতক্ষীরা সহকারী পরিচালক (সিসি) ডা. জি.এম মুজিবুর রহমান, সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাদিয়া আফরিন, সহকারী কমিশনার আসফিয়া সিরাত, মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার (ক্লিনিক) ডা. লিপিকা বিশ^াস, মেডিকেল অফিসার ডা. অসিত কুমার স্বর্ণকার, মেডিকেল অফিসার ডা. রনজিৎ কুমার রায়, মেডিকেল অফিসার ডা. প্রবীর মুখার্জী, মেডিকেল অফিসার ডা. আমিনুল ইসলাম, মেডিকেল অফিসার ডা. মৃত্যুঞ্জয় কুমার সরদার, মেডিকেল অফিসার ডা. জয়ব্রত ঘোষ, মেডিকেল অফিসার ডা. পলাশ দত্ত, মেডিকেল অফিসার ডা. মফিজুল ইসলাম, মেডিকেল অফিসার ডা. কানিজ ফাতেমা, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা
মাল্টি মিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে প্রতিপাদ্য উপাস্থাপন করেন সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. নকিবুল হাসান। আগামী ৩০ ডিসেম্বর ২০১৭ হতে ৪ জানুয়ারী ২০১৮ পর্যন্ত সেবা ও প্রচার সপ্তাহ চলবে। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন কালিগজ্ঞ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. আব্দুস সেলিম।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
স্ত্রীর উপস্থিতিতেই কলগার্ল নিয়ে ফুর্তি করতেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত শিক্ষক ওহিদুজ্জামান!

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. ওয়াহিদুজ্জামানের বিরুদ্ধে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনসহ নানা অভিযোগ করেছেন তার স্ত্রী মোছা. জান্নাত আরা ফেরদৌস। মঙ্গলবার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন তিনি। জান্নাত আরা ফেরদৌস যশোর সরকারি এমএম কলেজের দর্শন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী।

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ২০১৫ সালের ২৭ মার্চ খুবির গণিত ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক মো. ওয়াহিদুজ্জামানের সঙ্গে পারিবারিক ও আনুষ্ঠানিকতার সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর খুলনা মহানগরীর নিরালা আবাসিক এলাকার একটি ভাড়া বাসায় তোলা হয়। সেখানে মাস চারেক ভালোভাবে সংসার চলে। তারপর শুরু হয় অশান্তি। তার রুক্ষ ও কর্কশ ব্যবহার, কৃপণতা এবং সব ব্যাপারে লুকোছাপা ভাব সত্ত্বেও আমি তার সাথে মানিয়ে চলার চেষ্টা করি।

বিয়ের আগে তার শিক্ষক এবং এই বিয়ের প্রস্তাবক ও ঘটক খুবির গণিত বিভাগের অধ্যাপক (বর্তমানে বরখাস্তকৃত) মো. শরীফ উদ্দিনের আশ্বাসে জান্নাতের মা-বাবা রাজি হন। তার আগ্রহের কারণে সব কিছু বিবেচনা করে বিয়ে হয়।

জান্নাত বলেন, এ অবস্থায় দু’মাস পর তার ছোট ভাইয়ের বিয়ে উপলক্ষে তার গ্রামের বাড়ি গাজীপুরের শ্রীপুরে আমাকে নিয়ে যায়। শ্বশুরালয়ে গিয়ে আমি কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হই। আমার মুদি দোকানি শ্বশুর যৌতুকলোভী। ছোট ছেলের শ্বশুর বাড়ি থেকে বিয়ের আগেই তার ঘর ফার্নিচার দিয়ে সাজিয়ে দেয়ার প্রতি ইঙ্গিত করে আমার শ্বশুর বলেন, এই বউ কেন খালি হাতে এসেছে? শাশুড়িসহ পরিবারের অন্যরাও নানান কটূকথা বলতে থাকে।

ওয়াহিদুজ্জামানের স্ত্রী বলেন, কোনরকম দেনা-পাওনা ছাড়াই আমার বিয়ের কথা হওয়ায় এবং তার স্কলারশিপ নিয়ে বিদেশ যাওয়ার কথা থাকায় আমরা সেভাবে চিন্তাও করিনি। অপমানজনক এ পরিস্থিতি থেকে আমার মা-বাবা ও অন্যান্য আত্মীয়স্বজন সেখানকার অনুষ্ঠান শেষ করে চলে আসেন।

তিনি বলেন, এরপর আমার স্বামী আমাকে গাজীপুর থেকে আমার বাবার বাড়ি যশোরে রেখে খুলনায় যায়। অনেক অনুরোধের পর আমাকে খুলনায় নিয়ে আসে। কিন্তু তার সবকিছুতে পরিবর্তন লক্ষ্য করি। আমার সঙ্গে অহেতুক কর্কশ ব্যবহার করতে থাকে। সাংসারিক প্রয়োজনে টাকা চাইলে বলে আমাকে তালাক দিয়ে দাও। আমি তোমার সঙ্গে সংসার করতে চাই না। এসব ঘটনা ঘটক অধ্যাপক শরীফ ভাইকে জানালে তিনি আমাকে সহ্য করা এবং চুপ থাকার উপদেশ দেন।

তিনি বলেন, ইতিমধ্যে আমি সন্তানসম্ভবা হই। এটা শোনার পর সে (স্বামী) ধীরে ধীরে দূরে চলে যেতে থাকে। এ অবস্থায় সে আমাকে বাবার বাড়ি অথবা শ্বশুর বাড়িতে চলে যেতে বলে। দীর্ঘ ভ্রমণে ডাক্তারের নিষেধ সত্ত্বেও শ্বশুর বাড়ির লোকজন গাজীপুর যাওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে। আমি যেতে অস্বীকৃতি জানালে সে আমার উপর শারীরিক-মানষিক নির্যাতন চালায়।

খুবি শিক্ষকের স্ত্রী বলেন, এরপর ঈদ উপলক্ষে আমি বাবার বাড়িতে চলে যাই। ঈদ শেষে ফিরে আসার জন্য যোগাযোগ করা হলে সে এড়িয়ে যেতে থাকে। এক পর্যায়ে আমি ফিরে এলে সে সেপারেশনের সুবিধার্থে বাচ্চা নষ্ট করার কথা বলে। কয়েকবার বাচ্চা নষ্ট করার জন্যে আমাকে আঘাতও করে।ওয়াহিদুজ্জামান বাজারের খরচ বন্ধ করে এবং কাজের মহিলাকে বিদায় করে সংসারের সব কাজ করতে বাধ্য করেন।

জান্নাত দাবি করেন, আমি বাসায় থাকা অবস্থায় সে (ওয়াহিদুজ্জামান) এবং অধ্যাপক শরীফ মিলে কলগার্ল বাসায় এনে ফূর্তি করে। এ কারণে অধ্যাপক শরীফ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চাকরিচ্যুত হন।

তিনি বলেন, পরিস্থিতির এরকম পর্যায়ে বাবা-মা এসে আমাকে নিয়ে যান। এরপর সে আমার কোনো খোঁজ নিত না। সন্তান প্রসবের জন্য ক্লিনিকে ভর্তি হবার পর সে গেলেও বিল দিতে হয় আমার আত্মীয়দের।

খুবি শিক্ষকের স্ত্রী অভিযোগ করেন, কিছুদিন পর আমাকে সন্তানসহ গাজীপুরে নিয়ে একরকম আটকে রেখে নির্যাতন এবং যৌতুক দাবি করা হয়। পরে আমার পরীক্ষার জন্য খুলনা আসি। কিন্তু এসে প্রচণ্ড নির্যাতনের শিকার হতে হয়। অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার জন্য সরাসরি ১০ লাখ টাকা দাবি করা হয়।

তিনি অভিযোগ করেন, অস্বীকৃতি জানালে সন্তানসহ আমাকে মেরে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয়। আমি বাবার বাড়ি যেতে বাধ্য হই। পরে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে তার ডিসিপ্লিন প্রধানের কাছে অভিযোগ করলে সে (স্বামী) একটি ভুয়া ডিভোর্স লেটার দেখায়। পরে আমরা আদালতে যাই। কোর্টে তার ডিভোর্স প্রমাণ না করতে পারায় আদালত আমাকে গত ১৩ সেপ্টেম্বর সুরক্ষা দিয়েছে। সেটা বানচাল করতে সে জজকোর্টে রিভিশন করেছে।

এই অত্যাচার থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সরকার, মানবাধিকার সংস্থা, মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিকট সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, জান্নাত আরা ফেরদৌসের বড় বোন মাহফুজা খানম, ভাই হোজায়ফা আল মাহমুদ ও শিশুপুত্র জাবির জাওয়াদ।

তবে জান্নাতের স্বামী খুবির গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ওয়াহিদুজ্জামান এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, যৌতুক দাবি করার অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমি কোনো নির্যাতন করিনি। বরং আমার উপর নির্যাতন হয়েছে। এ ব্যাপারে আমি গত বছরের ২১ অক্টোবর খুলনা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছি। এছাড়া গত ২০ মার্চ তাকে আইনিভাবে তালাক দিয়েছি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
উ. কোরিয়া ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রকে রাশিয়ার হুঁশিয়ারি!

পরমাণু ইস্যুতে কিম জং উনের দেশ উত্তর কোরিয়ার সাথে আক্রমণাত্মক আচরণের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে হুশিয়ারি দিয়েছে রাশিয়া।

মঙ্গলবার রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসনের সঙ্গে এক টেলিফোনালাপে এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

ল্যাভরভ বলেন, ওয়াশিংটন কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা ছড়িয়ে দিচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ফোনালাপ সম্পর্কে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ল্যাভরভ হুমকি-ধমকি ও নিষেধাজ্ঞা পরিহার করে সংলাপের মাধ্যমে উত্তর কোরিয়া সংকটের সমাধান করার জন্য টিলারসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও দুই শীর্ষ কূটনীতিক এ ব্যাপারে একমত হন যে, উত্তর কোরিয়া পরমাণু অস্ত্র ও আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার মাধ্যমে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব লঙ্ঘন করেছে। এছাড়া আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে নিজেদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ বজায় রাখতে সম্মত হয়েছেন তারা।

মার্কিন সরকার উত্তর কোরিয়ার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে দেশটির দু’জন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পরপরই রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি প্রকাশ করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest