সর্বশেষ সংবাদ-
ব্যবসায়ীকে মারধরের ঘটনার ভিডিও করায় সাংবাদিকদের মারপিটের অভিযোগ ডা; ফয়সালের বিরুদ্ধেতাপদাহে রিকশাচালক-পথচারী‌দের‌ মাঝে ড্রিম সাতক্ষীরার পা‌নি ও স্যালাইন বিতরণআন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনাসাতক্ষীরা সদর সাব রেজিষ্ট্রি অফিস চত্বরে মরা শিশু গাছে ঝুঁকি বাড়ছেকলারোয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী আলতাফ হোসেন লাল্টুর গণ সমাবেশএডভোকেসি নেটওয়ার্ক এবং সিভিল সোসাইটি অর্গানাইজেশন সদস্যদের ত্রৈমাসিক সমন্বয় সভাশ্যামনগরের কৈখালী পোলের খাল খনন কর্মসূচির উদ্বোধনশ্যামনগরে সালাতুল ইস্তেকার নামাজ আদায়তীব্র তাপদাহে পুড়ছে উপকুলীয় জেলা সাতক্ষীরা, তাপমাত্রা আজ সর্বোচ্চ ৩৯.৩ ডিগ্রিদেবহাটায় উন্নয়ন কার্যক্রমে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্তি বিষয়ক মতবিনিময়

ফিংড়ীতে জমি দখলকে কেন্দ্র করে বসত ঘর পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ

আশাশুনি ব্যুরো : সদরের ফিংড়ী ইউনিয়নের হাবাসপুর গ্রামে জমি দখলকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের বসত ঘরে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে। জানাগেছে, হাবাসপুর গ্রামের মৃত: সোয়েদালী সরদারের পুত্র নুর ইসলাম সরদারের সাথে একই গ্রামের মৃত: খন্দকার সরদারের স্ত্রী ফিরোজা খাতুন গংদের ৮শতক জমি নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। বিষটি নিয়ে কোটে মামলাও হয়েছে। সর্বশেষ ফিংড়ী ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে কোটের মামলার তদন্ত আসে। এব্যারে আগামি বৃহস্পতিবার ইউনিয়ন পরিষদে বসাবসির দিন ধার্য্য করা হয়। বৃহস্পতিবার বসাবসিতে উক্ত সম্পতি কারো দখরে নয় এটি প্রমান করার উদ্যেশে প্রতিপক্ষ বসত ঘরে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে এমনটি দাবি নুর ইসলামের। নুর ইসলাম আরও জানায় ঘরে আগুন দেয়ায় নগত টাকাসহ প্রায় ৩ লক্ষ টাকা ক্ষতি সাধন হয়েছে তার। এ ঘটনার পর রাত ১০টার দিকে ঘটনাস্থান পরিদর্শন করেছেন সদর থানা পুলিশ। নুর ইসলাম জানায় মঙ্গলবার সদর থানায় ঘরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ক্ষতি সাধন করার মামলা করেছেন তিনি। ঘটনা স্থানের বয়েক মিটার দুরের বাড়িতে অবস্থান করা প্রত্যখদর্শী আলামিনের স্ত্রী মোসলেমা খাতুন জানান, ফিরোজা খাতুন, তার বোন ছোখিনা খাতুন ও সুফিয়া খাতুন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে লম্বা দা নিয়ে এসে ঘরে কেরোসিন দিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয়। ঐ সময়ে বাড়িতে কোন পুরুষ মানুষ না থাকায় সে তার শ্বাশুড়িকে নিয়ে আগুন নিভাতে গেলে দা দিয়ে কুপিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। আগুন লাগার ঘটনা জানাজানি হলে আশ পাশের লোকজন এসে ফিরোজার হাতে থাকা লম্বা দা কেড়ে নেয়। যে দাটি থানায় জমাদেয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য ফিরোজা খাতুনের বাড়িতে গেলে সেখানে তাকেসহ তার দুই বোনকে পাওয়া যায়নি। মোবাইলে ফিরোজা খাতুনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান আমি আমার অসুস্থ্য মাকে নিয়ে হাসপাতালে এসেছি আপনার সাথে পরে কথা হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটায় ছকিনা ব্রিকস নামের ইট ভাটা নির্মাণ কাজ বন্ধের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় পরিবেশ অধিদপ্তরের নীতিমালা লংঘন করে ও প্রশাসনের পূর্বানুমতি ছাড়াই দেবহাটার দক্ষিন কুলিয়া গ্রামে বসতবাড়ি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সন্নিকটে চার ফসলি জমিতে প্রস্তাবিত ছকিনা ব্রিকস নামের ইট ভাটা নির্মাণ কাজ আবারও অব্যহত রেখেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

এলাকাবাসির অভিযোগের ভিত্তিতে ভাটা মালিক মোশারফ হোসেন মুসাকে গত ১৪ সেপ্টেম্বর বেলা সাড়ে ১১টায় খুলনা পরিবেশ অধিদপ্তরে হাজির হওয়ার জন্য নোটিশ প্রদান করা হলেও তিনি সেখানে হাজির হননি। হাজির না হয়ে তিনি আবারও ভাটার কাজ চালিয়ে যাওয়ায় পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে গত ২০ সেপ্টেম্বর ২২.০২.০০৪০.০৩৬.৬১.০০৫.১৬.১০৬৫ স্মারকে তাকে পূনরায় ভাটার যাবতীয় কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশসহ তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষন আইন ১৯৯৫ এবং ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন আইন, ২০১৩ আনুসারে কেন ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে না মর্মে লিখিতভাবে আবারও নোটিশ জারী করা হয়েছে। এদিকে, ছকিনা ব্রিকস নামের ইট ভাটা নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার জন্য গত ২১ সেপ্টেম্বর হাই কোর্টের আইনজীবি আমিনুল ইসলাম ভাটা মালিক মুসাকে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছে। যার অনুলিপি বিভিন্ন দপ্তওে প্রদান করা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার মধ্যম একসরা গ্রামের দ্বীন আলী গাজির ছেলে শহরের ইটাগাছা কামার পাড়া (বউ বাজার) এলাকায় বসবাসকারি নব্য কোটিপতি মোশারফ হোসেন ওরফে মুসা দেবহাটা উপজেলার দক্ষিণ কুলিয়া গ্রামে বসতবাড়ি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সন্নিকটে চার ফসলি জমিতে প্রস্তাবিত ছকিনা ব্রিকস নামে একটি ইট ভাটা নির্মাণ কাজ শুরু করেন। উচ্চমূল্যে হারির টাকা দিয়ে জমির মালিকদের প্রলুব্ধ করে তিনি ডিড নেয়ার চেষ্টা করেন। মুছার দ্বারা প্রভাবিত হয়ে তারা ডিডে স্বাক্ষর করার জন্য জমির মালিকদের উপর চাপ সৃষ্টি করছেন। একই সাথে তারা বর্গাচাষিদের জমি ছেড়ে দেয়ার জন্য হমকি দিচ্ছে। জমির ডিড না দিলে পুলিশ দিয়ে সংশ্লিষ্টদের ধরে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয়া হচ্ছে। স্থানীয় জনগণ আপত্তি করা শর্তেও পরিবেশ অধিদপ্তরের নীতিমালা অমান্য করে ও প্রশাসনের পূর্বানুমতি ছাড়াই ইতিমধ্যে তিনি সেখানে ভাটার চিমনি ও মটর নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ করে ফেলেছেন। ভাটার বাকি কাজও দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে।

এলাকাবাসি জানান, সেকেন্দ্রা মাঠে ইটভাটা নির্মাণ করা হলে এই এলাকায় মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যায় দেখা দেবে। এই এলাকায় আনসার আলি সরকারি প্রাইমারি স্কুল, কুলিয়া উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, দক্ষিন কুলিয়া এবতেদায়ি মাদ্রাসা এবং কুলিয়া এলাহী বক্স দাখিল মাদ্রসা, কুলিয়া জামে মসজিদসহ কয়েকটি প্রতিষ্টান রয়েছে। এখানে ভাটা হলে কালো ধোয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। একই সাথে নষ্ট হবে এই এলাকার হাজার হাজার বিঘা জমির ফসল। এখানকার প্রতিটি জমিতে বছরে কমপক্ষে চারটি করে ফসল উৎপাদন হয়ে থাকে। এই ফসলি জমিতে ইটভাটা হলে তার ক্ষতিকর প্রভাবে সর্বশান্ত হবে এখানকার দীনমজুর, দরিদ্র কৃষক ও বর্গাচাষিরা। বসতবাড়ি ছেড়ে এলাকা ত্যাগ করতে হবে শতাধিক পরিবারের। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্থ হবে এলাকার প্রাণবৈচিত্র। বিপন্ন হবে মানুষের স্বাস্থ্য।
ইট ভাটার বিরোধীতাকারি গ্রামবাসীদেরকে সন্ত্রাসীদের দিয়ে নানা ভাবে হুমকি ধামকি ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন।

এদিকে, ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীর পক্ষে দেবহাটার দক্ষিন কুলিয়া গ্রামের মৃত হেবাজউদ্দিন গাজীর ছেলে মোঃ আজহারুল ইসলাম পরিবেশ অধিদপ্তর খুলনা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন। এই অভিযোগের ইট ভাটা মালিক মোশারফ হোসেন মুসাকে গত ১৪ সেপ্টেম্বর বেলা সাড়ে ১১টায় খুলনা পরিবেশ অধিদপ্তরে হাজির হওয়ার জন্য নোটিশ প্রদান করা হলেও তিনি সেখানে হাজির না হয়ে আবারও ভাটার কাজ চালিয়ে যাওয়ায় পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে তাকে পূনরায় ভাটার যাবতীয় কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশসহ তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষন আইন ১৯৯৫ এবং ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন আইন, ২০১৩ আনুসারে কেন ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে না মর্মে লিখিতভাবে নোটিশ জারী করেছেন।

সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও সহকারী পরিচালক পরিবেশ অধিদপ্তরকে এই নোটিশের অনুলিপি প্রদান করা হয়েছে। এরপরও তিনি ভাটার কার্যক্রম বন্ধ না রেখে দিনরাত চব্বিশ ঘন্টা কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

এ বিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দিন বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তর আমাকে ভাটা নির্মাণ কাজ বন্ধের নির্দেশ দিলে আমি বন্ধ করে দেবো। আর তারা বন্ধ না করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের পুরস্কার বিতরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘শিক্ষার আলো জ¦ালবো, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ব’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে জেলা পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টূর্ণামেন্টের জেলা পর্যায়ের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে সাতক্ষীরা পিএন স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শেখ অহিদুল আলমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা ০২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। এসময় তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে খেলাধুলার বিকল্প নেই। লেখাপড়া শিক্ষার্থীদের সামগ্রীক উন্নয়নে কাজ করে এবং খেলাধুলা নৈতিক চরিত্র গঠনে সহায়ক ভুমিকা পালন করে। শিক্ষার্থীদের শরীর ও মনকে বিকশিত করে। সুস্থ সমাজ গঠনে খেলা ধুলার বিকল্প নেই। সুন্দর ভবিষ্যত গঠন এবং সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলায় মনোনিবেশ করতে হবে।’
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি, সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. মহিউদ্দিন, জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি মকসুমুল হাকিম প্রমুখ। বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট এর জেলা পর্যায়ের ফাইনাল খেলায় অংশ নেয় গাংনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বনাম শ্যামনগর নওয়াবেকী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যলয়। এতে শ্যামনগর নওয়াবেকী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যলয়কে পরাজিত করে ৪/০ গোলে পরাজিত করে গাংনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বিজয়ী হওয়ার গৌরব অর্জন করে। বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টূর্ণামেন্ট এর ফাইনাল খেলায় অংশ নেয় তালা চরগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বনাম কালিগজ্ঞ চম্পাফুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এতে টাইব্রেকারে তালা চরগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে ২-১ গোলে পরাজিত করে কালিগজ্ঞ চম্পাফুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জেলা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। খেলায় রেফারীর দায়িত্ব পালন করেন আবুল আলাম ফরহাদ, তাপস কুমার। সহযোগি রেফারীর দায়িত্বে ছিলেন সঞ্জীব ব্যানার্জী, কার্তিক চন্দ্র, আব্দুল হামিদ, আব্দুস সাত্তার। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন খানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন, সিলভার জুবলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চায়না ব্যানার্জী, জেলা যুবলীগ নেতা শেখ শফি উদ্দিন সফি, খন্দকার আরিফ হাসান প্রিন্স, দক্ষিণ কাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহনাজ সাবনাজ সোমা প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাবেক মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

২ একর ৩৮ শতাংশ জমি অবৈধভাবে বিক্রির অভিযোগে সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী ও জমি ক্রেতা জাহানারা রশিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলা দায়ের করেছে। ক্ষমতার অপব্যাবহার ও সরকারী অর্থ ক্ষতি করার অভিযোগ এনে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় বগুড়ার সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম আদমদীঘি থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

জানা যায়, বগুড়ার আদমদীঘিতে বাংলাদেশ জুট কর্পোরেশনের সুরুজমল আগরওয়ালার (পাট ক্রয়ের স্থানের নাম) জায়গা জাহানারা রশিদ নামের এক নারী গত ২০১০ সালের ১৩ মে পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয় থেকে তিন বছরের জন্য প্রতি বছর এক লাখ ২০ হাজার টাকায় লিজ নেয়। কিন্ত তাকে এক বছর ভাড়া প্রদানের নির্দেশ দিলেও ভাড়া প্রদান না করে জমিটি ক্রয়ের জন্য পাট ও বস্ত্র মন্ত্রনালয়ে ২০১১ সালে ২৩ নভেম্বর আবেদন করে। উক্ত সম্পত্তি স্থায়ীভাবে বরাদ্দ দেওয়ার জন্য উম্মুক্ত দরপত্র আহবান করার নিয়ম থাকলেও মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী তার পরিচিতজন হওয়ায় মন্ত্রীর একক সিদ্ধান্তে ৬৪ লাখ ৬৩ হাজার সাতশ’ ৯৫ টাকার সম্পত্তি মাত্র ২৩ লাখ ৯৪ হাজার ৭৭৪ টাকায় বিক্রি করায় সরকারের ৪০ লাখ ৬৯ হাজার ২১ টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়। সাবেক পাটমন্ত্রী এবং জাহনারা রশিদ যোগসাজশে ব্যাক্তিস্বার্থে আর্থিক লাভবান হওয়ার জন্য ক্ষমতার অপব্যাবহার করেছে। জাহানা রশিদের স্বামীর মূল বাড়ি টাঙ্গাইলে হওয়ার কারণে পূর্ব পরিচিত ছিলেন মন্ত্রীর।

বগুড়ার সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম জানান, ২ একর ৩৮ শতাংশ জমি অবৈধভাবে বিক্রির মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহারসহ সরকারের আর্থিক ক্ষতি হওয়ায় সাবেক মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী ও বগুড়া শহরের কালিতলার মৃত হারুনুর রশিদের স্ত্রী জাহানারা রশিদের বিরুদ্ধে আদমদিঘী থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।

বগুড়ার আদমদিঘি থানার অফিসার ইনচার্জ ওয়াহেদুজ্জামান জানান, থানায় মামলা হয়েছে। মামলা রেকর্ড হয়েছে। মামলায় সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী ও জমি ক্রেতা জাহানারা রশিদকে আসামি করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি হুদার বিরুদ্ধে তথ্য ও প্রযুক্তি আইনে মামলা

আসাদুজ্জামান : ফেইসবুকে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে আপত্তিকর পোস্টে শেয়ার করায় সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও সদর উপজেলার ভালুকা চাঁদপুর কলেজের শিক্ষক অধ্যাপক মোদাচ্ছেরুল হক হুদার বিরুদ্ধে তথ্য ও প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। মামলা নং-৫২। তারিখ-১৭.১০.১৭।
সাতক্ষীরা পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন বাদি হয়ে গত ১৪ আক্টোবর শনিবার রাতে সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। রোববার সকালে অভিযোগটি পুলিশ হেড কোয়ার্টারে পাঠানোর পর সেখান থেকে যাচাই বাছাই শেষে আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নির্দেশ পাওয়ার পর সদর থানার ওসি মামলাটি রেকর্ড করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি নেতা হুদা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে বেশ কয়েকদিন ধরে ফেসবুকে আপত্তিকর পেষ্টে শেয়ার করেছেন নিজের ফেইসবুক আইডি থেকে। শুধু প্রধানমন্ত্রী নন তার ফেইসবুক আইডিতে ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নিয়েও গালিগালাজের কমতি করেননি। প্রধানমন্ত্রীর বিকৃত ছবি আপলোড করা পোস্টেও তিনি শেয়ার করেছেন। তিনি আল জাহিদ নামের একটি ফেইসবুক আইডি থেকে আপলোড করা পোস্টে শেয়ার করে এই অপকর্মগুলি অনায়াসে চালিয়ে গেছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর ছবিতে আপত্তিকর কথা লিখে শেয়ারও করেছেন।

Modasserul Haque Huda নামের আইডি থেকে বিএনপি অনলাইন উইং, বিএনপি সমর্থকগোষ্ঠী, ইরা চৌধুরী আইডি থেকে সরকার বিরোধী ও দেশ বিরোধী আপলোড করা ছবিসহ বিভিন্ন পোস্ট শেয়ার করে আসছেন। সমাজের একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি হিসাবে তিনি কেন এ সব অশ্লীলতা চালিয়েছেন তা কারও বোধগম্য নয়। অনেকে বলছেন, হুদার বেহুদা কারবারের সমুচিত জবাব দেওয়া উচিত। এ নিয়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। ইতিমধ্যে হুদার এ বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হলে তিনি প্রশাসন থেকে সরকার দলীয় বিভিন্ন নেতাকার্মীদের কাছে নিজেকে বাঁচাতে দৌঁড়ঝাপ শুরু করেন।
এ বিষয়ে কলেজ শিক্ষক অধ্যাপক মোদাচ্ছেরুল হক হুদা জানান, আমি অনেক সময় কলেজে ক্লাস নেয়ার সময় মোবাইল ফোনটি অফিস রুমে রেখে যায়। এ সময় কেউ আমার মোবাইল ফোন থেকে শেয়ার করেছে কিনা তা আমি বলতে পারব না।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ আহমেদ মামলা রেকর্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বিএনপি নেতা হুদাকে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রোহিঙ্গা সংকট: বাংলাদেশকে সহায়তা দিতে জাতিসংঘের বিশ্ব সম্মেলনের ডাক

রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় আবারও বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা করেছে জাতিসংঘ। বাংলাদেশের সঙ্গে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দায়িত্ব ভাগ করে নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তারা। রাখাইন থেকে পালিয়ে আসা বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গার মানবিক সহায়তায় প্রয়োজনীয় অর্থ সংগ্রহে জাতিসংঘের তিন সংস্থা এক সম্মেলন আয়োজনেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সংস্থাটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, আগামী ২৩ অক্টোবর সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। কুয়েত ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন জাতিসংঘের এই প্রয়াসে সংহতি জানিয়ে সম্মেলনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক যুক্ত বিবৃতিতে জাতিসংঘ জানিয়েছে, শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডি, জরুরি ত্রাণ সমন্বয়ক ও মানবাধিকার বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল মার্ক লোকোক ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন বিষয়ক এজেন্সি ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আওএম)-এর মহাপরিচালক উইলিয়াম লেসি সুইং এমন সম্মেলন করার পরিকল্পনা নিয়েছেন। ওই তিন সংস্থার প্রধান-এর যুক্ত বিবৃতিতে রোহিঙ্গা সঙ্কটকে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাওয়া সঙ্কট হিসেবে অভিহিত করেছেন। তারা এটাকে বড় একটি জরুরি মানবিক সঙ্কটও বলেছেন।

রাখাইনের সাম্প্রতিক সহিংসতা থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গার সংখ্যা ৫ লাখ ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে। জাতিসংঘের মতে, এ অঞ্চলে কয়েক দশকের মধ্যে এটাই সবচেয়ে বেশি সংখ্যাক ‘শরণার্থীর’ প্রবেশ। তাদের সহায়তা নিশ্চিতে বাংলাদেশ সরকার, স্থানীয় দাতব্য সংস্থা, স্বেচ্ছাসেবক, জাতিসংঘ ও এনজিওগুলো কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু এই সহায়তাকে যথেষ্ট মনে করছে না জাতিসংঘ। যুক্ত বিবৃতিতে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক সহায়তা, নিরাপত্তা ও মৌলিক আশ্রয় নিশ্চিতের প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, অনেক স্থানে এখনও বিশুদ্ধ পানির সুবিধা নেই। পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা নেই। এতে আশ্রয়গ্রহণকারী ও স্থানীয়দের উভয়ের জন্য বৃদ্ধি পাচ্ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি।

জাতিসংঘ সম্প্রতি প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর জন্য ৪৩৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থ সহায়তা প্রয়োজন বলে জানিয়েছে। সোমবার এর তিন সংস্থার যুক্ত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় নিশ্চিতে সীমান্ত খুলে দিয়েছে। পালিয়ে আসা মানুষদের জন্য নিশ্চিত করেছে নিরাপত্তা আর আশ্রয়। রোহিঙ্গাদের প্রতি স্থানীয়দের আর্তি আর উদারতা আমাদের হৃদয়ে নাড়া দিয়ে গেছে। এবার জেনেভায় মানবাধিকার সমন্বয় সংস্থা (ওসিএইচএ), আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) ও জাতিসংঘের শরণার্থী কমিশন ইউএনএইচসিআর সম্মেলনে বসছে। ওই বৈঠকে বিভিন্ন দেশের সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করবে। ভাগ করে নেবে দায়িত্ব।

সম্মেলনের সঙ্গে সংহতি জানিয়েছে ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন ও কুয়েত। তাদের দেওয়া এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই সঙ্কট সারা বিশ্বের সরকারগুলোর কাছে দায়িত্ব পালনের সংহতি ও এই দায় ভাগাভাগি করে নেয়ার সুযোগ এনে দিয়েছে। এ লক্ষ্যে একটি জয়েন্ট রেসপন্স প্লান এরই মধ্যে হাতে নেওয়া হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের কোটি টাকা টেন্ডারবাজির তদন্ত সম্পন্ন

আসাদুজ্জামান: সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের কোটি টাকার এম.এস. আর সামগ্রীর দরপত্র আহবানে অনিয়ম নিয়ে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় নিউজ হওয়ার পর অবশেষে উচ্চ পর্যায়ের একটি তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এ তদন্ত টিমটি সিভিল সার্জন অফিসে অভিযোগকারী বিভিন্ন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিকদের কাছ থেকে সে দিনের অনিয়মের নানা তথ্য লিখিতভাবে জমা নিয়েছেন।

এর আগে গত ৬ আগষ্ট সরকার দলীয় যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও তাঁতী লীগ ক্যাডারদের তান্ডবের মুখে সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসে দরপত্র জমা দিতে পারেন নি বেশিরভাগই ঠিকাদাররা। ক্যাডাররা তাদের সিডিউল কেড়ে নিয়ে নষ্ট করে দেয়। সিডিউল জমা দিতে না পেরে সে সময় মেসার্স শহিন এন্টার প্রাইজ, এস আর এন্টার প্রাইজ, মেসার্স শাহজান চৌধুরী, কোহিনুর মেডিকেল নামের চারটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্য মহা পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে সেখান থেকে বিভাগীয় /ডিডি /স্বাস্থ্য/ অধিঃ/ হিসাব/ এমএসআর/ সিএস/ সাতক্ষীরা/ ০১/২০১৭/২০১৮/৪৮/৬৪ তারিখ-২৬.০৯.১৭ স্মারকে স্বাস্থ্য বিভাগের খুলনা বিভাগীয় পরিচালক ডাঃ রওশন আনোয়ারকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন। এই কমিটির সদস্যরা সিভিল সার্জন অফিসে অভিযোগকারী বিভিন্ন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নানা তথ্য লিখিতভাবে তাদের কাছ থেকে জমা নিয়েছেন।
জানা গেছে, গত ৬ আগষ্ট সাতক্ষীরা স্বাস্থ্য বিভাগে ওষুধ, গজ ব্যান্ডেজ, কেমিক্যাল রিএজেন্ট, আসবাবপত্রসহ সাতটি আইটেম সরবরাহের বিপরীতে এক কোটি পনের লাখ টাকার টেন্ডার আহবান করেন সিভিল সার্জন ডা. তাওহীদুর রহমান। এ জন্য ৯৭ টি সিডিউল বিক্রি হয়। এর মধ্যে জমা পড়েছে মাত্র ৬ টি টেন্ডার। ।
উপস্থিত ভুক্তভোগী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী জানান, এমএসআর নীতিমালা অনুযায়ী ত্রিশ লক্ষ টাকার উপরে দরপত্রের ক্ষেত্রে নিয়ম অনুযায়ী তিনটি স্থানে এই দরপত্র জমা দেওয়ার বিধান থাকলেও এক্ষেত্রে রহস্যজনকভাবে কেবলমাত্র সিভিল সার্জন অফিসের বাক্সে তা জমা দেওয়ার কথা বলা হয়। এছাড়া মেয়াদ উত্তীর্ণ ট্রেড লাইসেন্স দ্বারা দরপত্র আহবান, নিয়মবহিভর্ুৃতভাবে ১ কোটি টাকার প্রত্যয়ন পত্রের কার্যাদেশ চাওয়াসহ নানা অনিয়ম দূর্নীতি করা হয়েছে। যা গত তিন বছরে এ ধরনের অনিয়ম করা হয়নি। তারা জানান, সিভিল সার্জন ডাঃ তাওহিদুর রহমান একটি বিশেষ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে মোটা অংকের আর্থিক সুবিধা নিয়ে তিনি এ অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছেন। তারা আরো জানান, এই সিভিল সার্জন সাতক্ষীরায় যোগদানের পর থেকে এ পর্যন্ত যে কয়টি টেন্ডার আহবান করেছেন প্রত্যেকটিতে তিনি অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছেন। ভুক্তভোগী ঠিকাদারসহ সাতক্ষীরা সচেতন মহল স্বাস্থ্য মহাপরিচালকের কাছে দূর্নীতিবাজ এই সিভিল সার্জনের বদলিসহ শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে সভিল সার্জন ডা. তাওহীদুর রহমান জানান, আমি সরকারী নিয়ম অনুযায়ীই টেন্ডার আহবান করেছিলাম। কোন অনিয়ম দূর্নীতির আশ্রয় নেয়নি। তিনি আরো জানান, তদন্ত টিম যথাযথভাবে তদন্ত করে চলে গেছেন। তারা আমাদের সামনে এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করেননি। এ বিষয়ে জানার জন্য তদন্ত টিমের প্রধান খুলনা বিভাগীয় পরিচালক ডাঃ রওশন আনোয়ারকে তার ব্যবহৃত ০১৭১৫-০২৩৯০৫ নাম্বারের মোবাইল ফোনে বার বার ফোন দিলেও তিনি তার ফোনটি রিসিভ করেননি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আগুন

ভারতের নয়াদিল্লিতে অবস্থিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কার্যালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয় সময় সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের রাইসিনা হিলসের সাউথ ব্লকের তৃতীয় তলার ২৪২ নম্বর কক্ষে আগুন জ্বলতে দেখা যায়।

ওই সময় প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা স্পেশাল প্রটেকশন গ্রুপ সঙ্গে সঙ্গে খবর দেয় ফায়ার সার্ভিসকে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। প্রায় ২০ মিনিট চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা গুরমুখ সিং জানান, কার্যালয়ে থাকা কম্পিউটারের ইউপিএস বিকল হয়েই আগুন লাগে। এতে সারা কক্ষ কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে আছে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ওই কক্ষ একজন বিভাগীয় অফিসার ব্যবহার করতেন বলে জানা গেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest