সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া সংসদের পরিচিতি সভাসীমান্ত প্রেস কাবের সভাপতি ইমন – সম্পাদক লিংকন,সাতক্ষীরায় জেলা তাঁতীদলের সভাপতি রিপন – সম্পাদক সাহেব আলীআশাশুনিতে এক রাতে ৪ দোকানে দুঃসাহসীক চুরিসাতক্ষীরা সদরে বাঁশদহা সমাজকল্যাণ পরিষদের অফিস উদ্বোধনউত্তর-পশ্চিম কাটিয়া জামে মসজিদের জমি সংক্রান্ত বিষয়ে মামলা : প্রতিবাদে মানববন্ধনআশাশুনিতে কিশোরীকে অপহরনের অভিযোগ: ৮ দিনেও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশশ্যামনগরে কিশোর কিশোরী-যুবদের নিয়ে ফুটবল ম্যাচ ও গ্রামীণ খেলাধুলা  সাতক্ষীরা পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের সমাপনী  তালায় হাজরাকাটি বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৮ দোকান পুড়ে ছাই

আজব দুনিয়া; চেয়ারে বসলেই মৃত্যু!

কখনো কখনো নিরপরাধ কোনো কিছু হয়ে উঠতে পারে অভিশাপ কিংবা ভয়ঙ্কর কোনো কারণ। আবার সেই ভয়ঙ্কর ঘটনা বা অভিশাপ অতি সাধারণ একটি জিনিসকেও রাতারাতি নিয়ে আসতে পারে আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। এমনই এক নিরীহ গাছের বস্তু হচ্ছে একটি সাধারণ চেয়ার। কয়েকশ বছরের পুরনো এই চেয়ারটির সঙ্গে জড়িয়ে আছে অনেক রহস্যময় মৃত্যুর নির্মম ইতিহাস।

চেয়ারকে সবাই আরামের প্রতীক হিসেবে জানে। কিন্তু সেই আরামের প্রতীক যদি হয়ে ওঠে মৃত্যুর কারণ- তাহলে বিষয়টি অস্বাভাবিকই হওয়ার কথা। কিন্তু চেয়ার অব ডেথ বা মৃত্যু চেয়ারের গল্প যেন অস্বাভাবিকতাকেও হার মানায়।

পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে কুখ্যাত এই চেয়ারটি রয়েছে ইংল্যান্ডের উত্তর ইয়র্কশায়ারের বাসবি স্টুপ ইন [Busby Stoop Inn] নামে এক সরাইখানায়। কেবল এই চেয়ারটির কারণেই জায়গাটি সমগ্র ইংল্যান্ডের মানুষের কাছে এক রহস্যময় স্থান হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। অবশ্য চেয়ারটির অভিশপ্ত ইতিহাসের সঙ্গেও এই সরাইখানাটি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত।

মূল ঘটনাটি বেশ পুরনো। সেই ১৭০২ সালের কথা। সে বছর থমাস বাসবি নামে একজন অপরাধীর মৃত্যুদণ্ড হয়। অপরাধী যত ভয়ঙ্করই হোক না কেন, মৃত্যু দণ্ডাদেশ কার্যকর করার আগে তার শেষ ইচ্ছা জানতে চাওয়ার নিয়ম সেই তখন থেকেই প্রচলিত ছিল। আর তাই ফাঁসিতে ঝুলিয়ে থমাসের মৃত্যু দণ্ডাদেশ কার্যকর করার আগে তার শেষ ইচ্ছা জানতে চাওয়া হয়। কর্তৃপক্ষের কাছে থমাস এক অদ্ভুত আবদার করে বসে। সে অতিপ্রিয় পানশালাতে গিয়ে নিজের প্রিয় চেয়ারে বসে জীবনের শেষ খাবার খাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে। ফলে থমাসের শেষ ইচ্ছা পূরণের ব্যবস্থা করে কর্তৃপক্ষ। খাবার শেষ করে চেয়ারটি ছেড়ে উঠে দাঁড়ায় থমাস। এরপর বক্তৃতার ঢঙে বলে ওঠে ‘সবাইকে সাবধান করে দিচ্ছি। এটা আমার প্রিয় চেয়ার। আমি আর কখনো এটাতে বসার সুযোগ পাব না। তাই বলে দিচ্ছি, এই চেয়ারে যে বসবে সে হঠাৎ করেই মারা যাবে।’ ঘটনাটি পানশালার সবাইকে ভড়কে দিয়েছিল। এরপরের ২০০ বছর পার হয়ে গেলেও চেয়ারটি সেই পানশালাতেই রয়ে যায়। কিন্তু কেউ সেটিতে বসত না।

কিন্তু তাহলে এটি অভিশপ্ত হলো কী করে? ইতিহাস সে-ই রেখেছে বলেই কিন্তু চেয়ারটির নাম দেওয়া হয়েছে মৃত্যু চেয়ার। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় একজন বৈমানিক সেই পানশালাতে এসে অভিশপ্ত চেয়ারে বসলেন। সে দিন তার কিছু হলো না। তবে এরপর তিনি আর যুদ্ধ থেকে ফিরে আসেননি। এর বাইরে আরো ক’জন সৈন্য এই চেয়ারে বসেছিলেন। আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, এদের কেউই কখনো জীবিত ফিরে আসেননি। ১৯৬৭ সালে ব্রিটিশ রাজকীয় বিমান বাহিনীর দুইজন পাইলট ওই চেয়ারে বসেছিলেন। খাবার-দাবার শেষে পানশালা থেকে বের হয়েই তারা এক ট্রাক দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। আর সেই দুর্ঘটনায় দু’জনই মারা যান। এসব ঘটনার পর এই চেয়ারটির দুর্নাম চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।

লোকমুখে গল্পটি বেশ জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করে। তবে যথারীতি এমন অভিশাপে বিশ্বাস করেন না এমন লোকেরও অভাব ছিল না। ১৯৭০ সালে একজন স্থপতি এই চেয়ারে বসে অভিশাপকে ভুল প্রমাণের চেষ্টা করেন। কিন্তু অভিশাপকে ভুল প্রমাণের আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি।

যেদিন চেয়ারটায় বসেছিলেন, ঠিক সেদিন বিকালেই এক গর্তে পড়ে মারা যান ওই স্থপতি। এরপর আরেক ছাদ ঢালাইকারী ওই চেয়ারে বসেন। তিনিও এখানে বসার পর অভিশাপের বিষয়টি রীতিমতো হেসে উড়িয়ে দেন। এই লোকটি ছাদ থেকে পড়ে যান এবং মৃত্যুবরণ করেন। আরেকজন মহিলা এই চেয়ারে বসার পর মস্তিষ্কের টিউমারে আক্রান্ত হয়ে মারা পড়েন। এভাবে সত্যি সত্যি এই চেয়ারের সঙ্গে আকস্মিক মৃত্যুর যোগসাজেশের অদ্ভুতুড়ে উদাহরণ দিন দিন বাড়তেই থাকল। শুধু তাই নয়, এত বছর ধরে অনেকেই মৃত থমাসকে পানশালায় ঘুরে বেড়াতে দেখেছে বলে দাবি করেছে। ক্রমাগত এসব ভয়াবহ ঘটনা দেখে পানশালার কর্তৃপক্ষ এই চেয়ারটি ওখানকার বেসমেন্টে রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

কিন্তু যে লোকটি এই চেয়ার বহন করছিল, সে ওই বেসমেন্টে গিয়ে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য চেয়ারের উপর বসে পড়ে। সে দিনই লোকটি এক গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যায়। ১৯৭২ সালে অভিশপ্ত এই চেয়ারটি স্থানীয় জাদুঘরে দিয়ে দেওয়া হয়। এখনো সেখানেই রয়েছে এটি। চেয়ারটি মাটি থেকে পাঁচ ফুট উপরে ঝুলিয়ে রেখে প্রদর্শন করা হচ্ছে, যাতে সেটিতে কেউ বসতে না পারে।

চেয়ারের অভিশাপের বিষয়টিকে অনেকেই হয়তো মানতে চাইবেন না। কিন্তু থমাসের ঘটনাটি মিথ্যা নয়। ইতিহাস বলছে, এই চেয়ারে বসা মানুষগুলোর করুণ পরিণতিও মিথ্যা নয়। তাহলে কী সত্যি চেয়ারটি অভিশপ্ত?

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ক্যানসার প্রতিরোধে কলা

কলার রয়েছে যেমন এর স্বাদ, তেমনই পুষ্টিগুণ। আসুন দেখে নেওয়া যাক কী কী কারণে নিয়মিত কলা খাওয়া উচিত।

কলা মানসিক চাপ কমায়। মনটাকেও সতেজ করে তোলে।

রাতের ক্লান্তি দিনেও কাটেনি। ঘুম কম হয়েছে। কলা হতে পারে আপনার ক্লান্তির সমাধান।

কলায় রয়েছে ভিটামিন বি৬। যা রক্তের হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ ঠিক রাখেত সাহায্য করে।

কলার মধ্যে আছে ফাইবার। ফাইবার পাচন ক্ষমতা বাড়ায়।

কলায় রয়েছে পটাশিয়াম। পটাশিয়াম হৃদযন্ত্রের কর্মক্ষমতা বাড়ায়। তাই নিয়মিত কলা খেলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও কমায়।

নিয়ম করে রোজ কলা খেলে ত্বকের জেল্লা বাড়বে। রেহাই মিলবে জেদি ব্রণ ও অ্যাকনের হাত থেকে।

কলা ক্যানসারের প্রতিরোধেও মহৌষধ। তাই নিয়মিত কলা খেলে মারণ রোগটিকেও দূরে রাখা যায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সকালে রসুন খাওয়ার উপকারিতা

অনেকের কাছেই সকালে খালি পেটে কাঁচা রসুন খাওয়াটা ভীষণ অস্বাস্থ্যকর মনে হতে পারে। কিন্তু খালি পেটে রসুন খাওয়া দেহের জন্য ভীষণ স্বাস্থ্যকর একটি ব্যাপার।

খালি পেটে রসুন খেলে এমন কিছু উপকার হয়, যেটা অন্য খাবারের সাথে রান্না করা অবস্থায় খেলে হয় না। এটি শুধু বিভিন্ন ধরণের রোগ দূরই করে না, পাশাপাশি বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে। তবে আর দেরি না করে চলুন জেনে নেই খালি পেটে রসুন খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে : অসংখ্য মানুষ যারা উচ্চ রক্তচাপের শিকার তারা দেখেছেন, রসুন খাওয়ার ফলে তাদের উচ্চ রক্তচাপের কিছু উপসর্গ উপশম হয়। রসুন খাওয়ার ফলে তারা শরীরে ভাল পরিবর্তন দেখতে পায়।

শরীরকে ডি-টক্সিফাই করে : অন্যান্য ঔষধের তুলনায় শরীরকে ডি-টক্সিফাই করতে রসুন কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, রসুন প্যারাসাইট, কৃমি পরিত্রাণ, জিদ, সাঙ্ঘাতিক জ্বর, ডায়াবেটিস, বিষণ্ণতা এবং ক্যান্সার এর মত বড় বড় রোগ প্রতিরোধ করে।

প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক : গবেষণায় দেখা গেছে, খালি পেটে রসুন খাওয়া হলে এটি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিক এর মতো কাজ করে। সকালে নাস্তার পূর্বে রসুন খেলে এটি আরও কার্যকরীভাবে কাজ করে। তখন রসুন খাওয়ার ফলে ব্যাকটেরিয়াগুলো উন্মুক্ত হয় এবং রসুনের ক্ষমতার কাছে তারা নতিস্বীকার করে। তখন শরীরের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াসমূহ আর রক্ষা পায় না।

যক্ষ্মা প্রতিরোধক : আপনার যদি যক্ষ্মা বা টিবি জাতীয় কোন সমস্যা ধরা পড়ে, তাহলে সারাদিনে একটি সম্পূর্ণ রসুন কয়েক অংশে বিভক্ত করে বার বার খেতে পারেন। এতে আপনার যক্ষ্মা রোগ নির্মূলে সহায়তা পাবেন।

অন্ত্রের জন্য ভাল : খালি পেটে রসুন খাওয়ার ফলে যকৃত এবং মূত্রাশয় সঠিকভাবে নিজ নিজ কার্য সম্পাদন করে। এছাড়াও, এর ফলে পেটের বিভিন্ন সমস্যা দূর হয় যেমন- ডায়রিয়া। এটা হজম ও ক্ষুধার উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে। এটি স্ট্রেস দূর করতেও সক্ষম। স্ট্রেস বা চাপের কারনে আমাদের গ্যাস্ট্রিক এর সমস্যায় পরতে হয়। তাই, খালি পেটে রসুন খেলে এটি আমাদের স্নায়বিক চাপ কমিয়ে এ সকল সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।

শ্বসন : রসুন যক্ষ্মা, নিউমোনিয়া, ব্রংকাইটিস, ফুসফুসের কনজেশন, হাপানি, হুপিং কাশি ইত্যাদি প্রতিরোধ করে। রসুন এ সকল রোগ আরোগ্যের মাধ্যমে বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছে।

সতর্কবার্তা
যাদের রসুন খাওয়ার ফলে এলার্জি হবার আশঙ্কা রয়েছে বা হয় তারা অবশ্যই কাঁচা রসুন খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এছাড়া যাদের রসুন খাওয়ার ফলে মাথা ব্যথার সমস্যা হয়, বমির প্রাদুর্ভাব হয় বা অন্য কোন সমস্যা দেখা যায় তাদের জন্য কাঁচা রসুন না খাওয়াই ভাল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
১৫ দিনেই বাড়তি ওজন কমাবে জিরা

জিরা একটি স্পাইসি মশলা। রান্নায় জিরার ব্যবহার নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। শুধুই যে রান্নায় সুগন্ধের জন্য জিরা ব্যবহার হয়, তা কিন্তু নয়। স্বাস্থ্যের কথা ভেবেও আমরা রান্নায় জিরা দিই। স্পাইসি এই মশলা আপনার শরীর থেকে বাড়তি মেদ ঝরাতেও ওস্তাদ। আর এ জন্য ধৈর্য্য ধরে ১৫টি দিন আপনাকে কষ্ট করতে হবে। এর মধ্যে রোজ নিয়ম করে এক চামচ গোটা জিরা খেয়ে ফেলুন। একদিনও বাদ দেবেন না। তার আগে আর একটি কাজ আপনাকে করতে হবে। নিজের ওজন নিয়ে, লিখে রাখুন। ১৫ দিন পর ফের ওজন নিন। নিজেই অবাক হয়ে যাবেন। কলা দিয়ে জিরা খেলেও ওজন ঝরবে।

সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, গোটা জিরা খুব দ্রুত শরীর থেকে ওজন ঝরাতে সক্ষম। শুধু যে চর্বি বের করে দেয়, তা কিন্তু নয়। একই সঙ্গে অস্বাস্থ্যকর কোলেস্টেরলকে শরীর থেকে বের করে দেয়। ফলে, যারা ওজন কমানোর জন্য জিমে গিয়ে ঘাম ঝরাচ্ছেন, একবার ১৫ দিনের জন্য জিরার ওপর ভরসা রাখতে পারেন। নিরাশ হবেন না।

গবেষকরা বলছেন, জিরার মধ্যে রয়েছে থাইমল ও অন্যান্য কিছু তেলের উপস্থিতি। যার কাজ হলো লালা নিঃসরণকারী গ্রন্থিকে উত্তেজিত করা। যার ফলে খাবার ভালো হজম হয়।এ ছাড়াও জিরার গুণে পরিপাকতন্ত্র ভালো কাজ করে।

গবেষকরা জানাচ্ছেন, হজমের গন্ডগোল হলে, জিরা দিয়ে চা খেয়ে দেখতে পারেন। উপকার পাবেন। এক গেলাস পানিতে এক চামচ জিরা দিন। ভালো করে ফুটিয়ে নিন। পানির রং লালচে হয়ে এলে, গ্যাস বন্ধ করে, পাত্রটি চাপা দিয়ে রাখুন। একদম ঠান্ডা হওয়া অবধি অপেক্ষা করুন। এই জিরা চা দিনে তিন বার খেলে, হজমশক্তি বাড়বে। পেটে ব্যথা কমবে। কী ভাবে জিরা খাবেন?

১. একটা গ্লাসে বড় চামচের দু-চামচ গোটা জিরা সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে সেই পানি গরম করে, জিরা না ছেঁকে চায়ের মতো খান। মুখে গোট জিরা পড়লে, ফেলবেন না। চায়ের মতো কয়েক দিন পান করুন, দেখবেন ওজন কমছে।

২. যদি দেখেন, উপরের দাওয়াই আপনার ক্ষেত্রে খুব ভালো কাজ করছে না, তা হলে দ্বিতীয় উপায়ের আশ্রয় নিন। খাবারে জিরার পরিমাণ বাড়িয়ে দিন। দইয়ের সঙ্গেও জিরা খেতে পারেন। ৫ গ্রাম দুইতে এক চামচ জিরা গুঁড়ো মিশিয়ে নিয়মিত খান। ওজন নিশ্চিত ভাবেই কমবে।
৩. কয়েক চামচ মধু ও তিন গ্রাম জিরা গুঁড়ো এক গেলাস পানিতে ভালো করে মিশিয়ে নিন। নিয়মিত এই মিশ্রণটি খান। স্যুপ তৈরি করে, এক চামচ জিরাগুঁড়ো মিশিয়ে খেলেও ভালো কাজ দেবে।

৪.পাতিলেবু ও রসুনও ওজন ঝরাতে খুব ভালো দাওয়াই। গাজর ও অন্যান্য সবজি সেদ্ধ করে নিয়ে, রসুন কুচি ও লেবুর রস ঢেলে দিন। তাতে কিছুটা জিরার গুঁড়ো মেশান। রোজ রাতে খেয়ে, ম্যাজিক পরিবর্তন দেখুন। ১৫ দিনে পরেই বুঝতে পারবেন আপনার ওজন কমেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ইয়েমেনে বিমান হামলায় ৫০ হুথি বিদ্রোহী নিহত

পশ্চিম ইয়েমেনে বিমান হামলা এবং একটি ব্যালিস্টিক মিসাইল উৎক্ষেপণের সময় ধ্বংস হওয়ার জেরে ৫০জন হুথি বিদ্রোহীর মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, আল জারাহি এবং হায়াসে সেনা ঘাঁটির ওপর হামলা চালায় ইয়েমেন সেনারা। এরপরই ৫০জন হুথি যোদ্ধাদের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া রাস ইসা বন্দরের কাছে ব্যালিস্টিক মিসাইল উৎক্ষেপণের সময়ই এটি ধ্বংস করে দেওয়া হয়।

অন্যদিকে, ইয়েমেনের দক্ষিণ পশ্চিমে তায়িজ এলাকা হাদিপন্থি সন্ত্রাসবাদী অধ্যুষিত এলাকা। সেই এলাকায় ক্ষেপনাস্ত্রের আঘাতে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। একটি ছোঁড়া হয়েছে খালিদ সামরিক ঘাঁটিতে এবং অপরটি মওয়াজ শহরে।

উল্লেখ্য, ইয়েমেন সেনাদের সঙ্গে হুথি বিদ্রোহীদের লড়াইয়ে ৭১জন স্থানীয় বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে এমনটাই জানা যাচ্ছে। আলজাজিরা জানাচ্ছে, সোমবার সকালে একাধিক বিমানহানায় সানা এলাকায় কমপক্ষে ১১জনের মৃত্যু হয়েছে। যাদের মধ্যে তিনজন শিশু এবং দুজন মহিলা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
হার্শার বর্ষসেরা ওয়ানডে একাদশে সাকিব

শেষ হতে চলল আরেকটি বছর। ক্যালেন্ডারের হিসেবে নতুন বছরের আগমন ঘটতে যাচ্ছে খুব সন্নিকটে। আর এ সময়ে ক্রিকেট অঙ্গনে রেকর্ড ভাঙ্গা-গড়ার রীতিমত লড়াই হয়েছে।

ক্রিকেটীয় ইতিহাসে রচিত হয়েছে নতুন নতুন গল্পগাঁথা রের্কড।

এ কারণে বছর শেষে সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে ইতোমধেই বর্ষসেরা ওয়ানডে একাদশ প্রকাশ করেছেন ভারতীয় ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে। আর এই একাদশে ঠাই হয়েছে বাংলাদেশি তথা বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানেরও।

হার্শা ভোগলের প্রকাশিত এই একাদশ নিয়ে রীতিমত নানা বিতর্কও ছড়িয়েছে। এর কারণ হচ্ছে তার বর্ষসেরা ওয়ানডে একাদশ দলে তিনি নিজ দেশ ভারতের পাঁচজন কে রাখলেও, নেই কোনো শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের তারকারা।

হার্শার এই একাদশ ক্রিকবাজে প্রকাশ হয়েছে। এই তালিকায় হার্শা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইংল্যান্ডের দুই জন খেলোয়ারকে রেখেছেন। তার এ তালিকায় একজন করে স্থান পেয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকা, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের।

বাংলাদেশি অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের ২০১৭ সালটা অবশ্য ভালোই কেটেছে। তিনি এ সময় ১৪ ম্যাচে ১২ ইনিংস ব্যাট করে ৩৫.৮৩ গড়ে ৪৩০ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছেন। তিনটি হাফসেঞ্চুরির পাশাপাশি ছিল একটি সেঞ্চুরি।

ইংল্যান্ডে সদ্য শেষ হওয়া চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের দুর্দান্ত জয়ের ম্যাচে ১১৪ রান করেছিলেন বিশ্ব সেরা এই অলরাউন্ডার। অপর দিকে বল হাতে ১২ ইনিংসে পেয়েছিলেন মূল্যবান ৬টি উইকেট।

ভারতীয় ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলের ২০১৭ সালের সেরা ওয়ানডে একাদশ: মাহেন্দ্র সিং ধোনি (ভারত), বিরাট কোহলি (ভারত), রোহিত শর্মা (ভারত), শিখর ধাওয়ান (ভারত), জাসপ্রিত বুমরাহ (ভারত), সাকিব আল হাসান (বাংলাদেশ), এবি ডি ভিলিয়ার্স (দক্ষিণ আফ্রিকা), বেন স্টোকস (ইংল্যান্ড), লিয়াম প্ল্যাংকেট (ইংল্যান্ড), হাসান আলী (পাকিস্তান) ও রশিদ খান (আফগানিস্তান)।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
অসহায় আকবর আলীর চিকিৎসায় জেলা যুব সংহতির সহায়তা

মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : জাতীয় যুব সংহতি সাতক্ষীরা জেলা শাখার পক্ষ থেকে অসহায়, অসুস্থ মো. আকবর আলীকে চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে ১৩ নং লাবসা ইউনিয়নের জাতীয় যুব সংহতি ৬ নং ওয়ার্ড কার্যালয়ে থানাঘাটা এলাকার অসুস্থ মো. আকবর আলীকে চিকিৎসার জন্য নগদ সহায়তার অর্থ তুলে দেন জাতীয় যুব সংহতি সাতক্ষীরা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও জেলা জাতীয় পার্টির যুব বিষয়ক সম্পাদক মো. আবু তাহের। এসময় উপস্থিত ছিলেন ১৩ নং লাবসা ইউনিয়নের জাতীয় যুব সংহতি ৬ নং ওয়ার্ডের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. ইয়াকুব আলী, মো. নুরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক মো. মহিদুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম, ক্রীড়া সম্পাদক মো. আব্দুল্লাহ, মো. আনারুর ইসলাম, মো. আবু হাসান, মো. আলমমগীর হোসেন, মো. খোকন আলী, বাবু, মো. ফজলে রহমান, মো গোলাম রসুল ও হাফেজ মাওলানা মো. কুতুব উদ্দিন প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ইয়াবা ব্যবসায় পুলিশ সদস্য

রাজধানীতে ইয়াবাসহ পুলিশের এক কনস্টেবলসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার রাতে যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন পুলিশ কনস্টেবল সাইদুর রহমান (৩৫) ও তাঁর সহযোগী রেজাউল ইসলাম (৩১)। তাঁদের কাছ থেকে ৩ হাজার ২০০টি ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে ইয়াবা বহনে ব্যবহার করা একটি মোটরসাইকেল।

কনস্টেবল সাইদুর রাজধানীর ওয়ারী জোনের সহকারী কমিশনার (এসি-পেট্রল) জিয়াউল আলমের গাড়ির চালক ছিলেন। সাইদুর ও রেজাউলের নেতৃত্বে একটি চক্র দীর্ঘদিন মতিঝিল-যাত্রাবাড়ী এলাকায় ইয়াবার পাইকারি ও খুচরা ব্যবসা করে আসছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে।

আদালত সূত্র জানায়, ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে রোববার হাজির করে সাইদুর ও রেজাউলের পাঁচ দিন রিমান্ড চায় ডিবি পুলিশ। পরে ঢাকার মহানগর হাকিম আবু সাঈদ শুনানি নিয়ে তাঁদের দুই দিনের করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

জানতে চাইলে অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক শেখ নাজমুল আলম বলেন, ইয়াবাসহ হাতেনাতে কনস্টেবল সাইদুর ও রেজাউলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যাত্রাবাড়ীর দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (রাজস্ব) অফিসের পূর্ব পাশের রাস্তার গোডাউনের সামনে থেকে রাত নয়টার দিকে সাইদুর ও রেজাউলকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় ডিবি অবৈধ মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও প্রতিরোধ টিমের উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দলাল চৌধুরী বাদী হয়ে মামলা করেন। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে এই মামলা করা হয়েছে। মামলাটি তদন্ত করছেন ডিবির উপপরিদর্শক সাইফুল ইসলাম।

আদালতে জমা দেওয়া প্রতিবেদনে ডিবি বলেছে, সাইদুর ও রেজাউল স্বীকার করেছেন যে তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রাম থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করে পলাতক আসামিদের সঙ্গে নিয়ে যাত্রাবাড়ী, মতিঝিলসহ আশপাশের এলাকায় পাইকারি ও খুচরা বিক্রি করে আসছেন। এজাহারের বক্তব্য অনুযায়ী, সহযোগী আসামি ওমর আলীসহ কয়েকজন পলাতক রয়েছেন।

সাইদুর রহমান নয় বছর ধরে ওয়ারী জোনের গাড়িচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। নেত্রকোনার রোহা ইউনিয়নের কারী গ্রামের বাসিন্দা তিনি। ঢাকায় শ্যামপুরের ব্যাংক কলোনিতে তিনি বসবাস করেন। রেজাউল গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার নওহাটি গ্রামের বাসিন্দা।

কনস্টেবল সাইদুর সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে ওয়ারীর উপকমিশনার (ডিসি) মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, ইয়াবাসহ ডিবি তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে বলে শুনেছেন।
ওয়ারীর এসি (ট্রাফিক) জিয়াউল আলম বলেন, সাইদুর তাঁর গাড়িচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি শুধু জানতে পেরেছেন, ইয়াবাসহ সাইদুরকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি। তিনি আরও বলেন, যিনি অপরাধ করেছেন দায়ভার তাঁর।

ডিবি উত্তর বিভাগের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক শেখ নাজমুল আলম বলেন, অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে আগেই সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত হন রেজাউল। কনস্টেবল সাইদুরকেও মাদক ব্যবসার সুনির্দিষ্ট অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই চক্রের সব সদস্যকে বিচারের আওতায় আনা হবে।

সূত্র: প্রথম আলো।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest