সর্বশেষ সংবাদ-
ভারতীয় পর্ন ভিডিওতে সাংবাদিকের ছবি জুড়ে ব্লাকমেইল করে চাঁদা দাবিকালিগঞ্জে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দূধর্ষ ডাকাতিজুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে সাতক্ষীরায় এতিমদের মাঝে খাবার বিতরণভোমরার ইউপি চেয়ারম্যানকে ৪৮ ঘন্টা সময় বেঁধে দিলেন ইউনিয়নবাসীআশাশুনিতে শহীদের স্মরণে দুঃস্থদের মাঝে জামায়াতের খাবার বিতরণদেবহাটায় বিয়ের প্রলোভনে কলেজ শিক্ষার্থীর সাথে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগে থানায় মামলাস্বৈরাচার ঠেকিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার এনসিপিরসাতক্ষীরায় দ্রুতগামী পিকআপের চাপায় ভ্যান চালকের মৃত্যুকোন সাংবাদিক যেন হয়রানির শিকার না হয়–সাতক্ষীরায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিব দীর্ঘদিন কাজ করেও সরকারি স্বীকৃতি মেলেনি বিআরটিএ’র সীল মেকানিকদের

সোমবার আবারও মাঠে নামবে রংপুর-কুমিল্লা

বিপিএলের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে আগামীকাল সোমবার সন্ধ্যায় আবারও মুখোমুখি হবে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও রংপুর রাইডার্স। বৃষ্টির কারণে রবিবার দীর্ঘ সময় খেলা বন্ধ থাকায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিপিএল গভর্নিং কমিটি। তবে আজ যেখান থেকে খেলা বন্ধ হয়েছে, ঠিক সেখান থেকে আবারও খেলা শুরু হবে।

এর আগে, রবিবার সন্ধ্যায় টস জিতে রংপুর রাইডার্সকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় কুমিল্লা। তবে খেলা শুরুর ৭ ওভারের মাথায় বৃষ্টি বাগড়া দিলে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। এই সময়ে জনসন জনসন চার্লসের ৪৬ রানের ওপর ভর করে এক উইকেট হারিয়ে রংপুর রাইডার্স তুলতে সক্ষম হয় ৫৫ রান। তবে ক্যারিবীয় ব্যাটিং দানব ক্রিস গেইলকে হারাতে হয়েছে রংপুরকে। ফলে রংপুরের হয়ে আগামীকাল ব্যাটিংয়ে নামবেন দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান জনসন চার্লস ও ব্রান্ডন ম্যাককালাম।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আদার অজানা গুণাগুণ!

নিয়মিত আদা খাওয়ার অভ্যাসে মারাত্মক বেশ কিছু রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারেন। আদার গুণাগুণ এবং শারীরিক সমস্যা নিরাময়ে আদার ব্যবহার সকলেরই জেনে রাখা অত্যন্ত জরুরি। জেনে নিন আদার অজানা গুণাগুণ-

১. বমিভাব বা বমি হচ্ছে অনেক? আদা কুচি করে চিবিয়ে খান অথবা আদার রসের সাথে সামান্য লবণ মিশিয়ে পান করুন। তাৎক্ষণিক সমাধান পেয়ে যাবেন।

২. উল্টাপাল্টা এবং বেশি ভাজাপোড়া খাবারের কারণে বুকজ্বলার সমস্যা হুট করেই শুরু হতে পারে। এক কাজ করুন, ২ কাপ পানিতে ২ ইঞ্চি আদা ছেঁচে জ্বাল দিয়ে চায়ের মতো তৈরি করে পান করুন। বুকজ্বলা কমে যাবে।

৩. আদার রস ব্যথানাশক ঔষধের মতো কাজ করে। সরাসরি আক্রান্ত স্থানে লাগাতে পারেন আদার রস অথবা পান করে নিতে পারেন, দুভাবেই ভালো উপকার পাবেন।

৪. নতুন আদার সাথে আধা সেদ্ধ ডিম খাওয়ার অভ্যাস পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা বাড়ায় এবং স্পার্ম কাউন্ট বৃদ্ধি করে।

৫. আদা হজমে সমস্যা সমাধান করে এবং পেটে ব্যথা দূর করতে সহায়তা করে।
প্রতিদিন সকালে ১ কাপ আদা চা পান করলে পুরোদিন পেট ফাঁপা বা বদহজম থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় বিভিন্ন আয়োজনে বিশ্ব মানবাধিকার দিবস পালিত

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরায় ইউনিটি ফর ইউনিভার্স হিউম্যান রাইটস অফ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন এর জেলা শাখার উদ্যোগে এক মানববন্ধন, বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে এক মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়ে বর্ণাঢ্য র‌্যালিটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহরের পুরাতন কোর্ট আইনজীবী ভবনের সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভার মাধ্যমে অনুষ্ঠানটির সমাপ্ত হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে ইউনিটি ফর ইউনিভার্স হিউম্যান রাইটস এর সাতক্ষীরা জেলা শাখার চেয়ারম্যান মো: সাকিবুর রহমান এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ সদস্য এ্যাডভোকেট শাহনওয়াজ পারভীন মিলি, জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. মোজাম্মেল হোসেন, জেলা সৈনিক লীগের সভাপতি মাহমুদ আলী সুমন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বরসা এনজিও এর সহকারী পরিচালক নাজমুল আলম মুন্না, মানবাধিকার সংস্থা হেড এর নির্বাহী পরিচালক লুইস রানা গাঈন, সাংবাদিক ইফরাদ হোসেন ইমন, চুপড়িয়া মহিলা সংস্থার সভানেত্রী মরিয়ম মান্নান, শিক্ষক আজিজুল ইসলাম বিশিষ্ট সমাজসেবিকা সালমা বেগম। এ সময় প্রধান অতিথিসহ সকল অতিথিবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
এ সময় প্রধান অতিথি মো. নজরুল ইসলাম বলেন, মানবাধিকার রক্ষা করতে হলে সবার আগে নিজের অধিকার সম্পর্কে জানতে হবে এবং সচেতন হতে হবে। বক্তব্য, সেমিনার, অনুষ্ঠান করে মানবাধিকার রক্ষা করা যাবে না এর জন্য চাই নিজ নিজ অবস্থান বজায় রেখে প্রতিরোধ গড়ে তোলা।
এ সময় জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. মোজাম্মেল হোসেন বলেন, সমাজ আজ দুর্নীতিতে পরিপূর্ণ। আমরা এমন এক সমাজে বাস করছি যেখানে দুর্নীতিতে প্রতিরোধ করার লোকসংখ্যা খুবই নগণ্য। নিজ নিজ অবস্থান থেকে দুর্নীতি প্রতিরোধ না করলে সমাজ পরিবর্তন হবে না। অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ছেলে মেয়েরা পড়াশুনার নামে কোথায় যাচ্ছে, কী করছে, একটু খবর নেন, তাদের চলাফেরায় লক্ষ রাখুন।
উক্ত আলোচনা সভায় এ্যাডভোকেট সরদার সাইফ এর সঞ্চালনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন এ্যাডভোকেট কামরুজ্জামান বিপুল, শোভাযাত্রার নেতৃত্বে ছিলেন জি. এম নাজমুল আরিফ সাহেদ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শেষ রক্ষা হলো না জেলা পরিষদের মাহাবুবের! বদলি ঠেকাতে করা রিট খারিজ

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের বহুল আলোচিত প্রভাবশালী প্রশাসনিক কর্মকর্তা এস.এম মাহাবুবর রহমান বদলি ঠেকাতে হাইকোর্টে রিট করেও তার শেষ রক্ষা হলো না। মহামান্য হাইকোর্ট ডিভশনের বেঞ্চ তার রিটটি খারিজ করে দিয়েছেন। এর ফলে তাকে পূর্বের বদলির অর্ডার বহাল থাকছে এবং তাকে বদলিকৃত কর্মস্থলে যেতে হচ্ছে।
এদিকে, রবিবার বিকালে সাতক্ষীরা জজ কোর্টের নোটিশ জারিকারক নোটিশটি নিয়ে জেলা পরিষদে গেলে নোটিশ জারীকারককে আটকে রেখে নোটিশটি ভূয়া বলে আখ্যায়িত করেন বিতর্কিত প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাহবুব। এসময় মাহবুবুর রহমান জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ.এন.এম মঈনুল ইসলামকে বলেন, স্যার দেখেন নোটিশটি ভূয়া। এতে হাইকোর্ট বেঞ্চের সিলসহি নেই। এব্যাপারে জেলা পরিষদের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জানান, জেলা পরিষদের আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে পরিচালিত হচ্ছে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ধুলিহরে মুক্তিযোদ্ধা চেয়ারম্যান স. ম আব্দুর রউফ কমপ্লেক্স ও এতিমাখানা। জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত এসএম মাহবুবুর রহমান একই স্থানে ২৭ বছর কাজ করার সুবাদে পেশি শক্তিকে ব্যবহার করে তিনি তার বাবার নামে এ প্রতিষ্ঠান তৈরি করে জেলা পরিষদ থেকে নেওয়া ও প্রকল্প বরাদ্দ বাবদ কয়েক কোটি টাকা শিক্ষক- কর্মচারিদের বেতন, শিক্ষার্থীদের বোর্ডিং খরচ ও অবকাঠামো উন্নয়নের নামে বেআইনিভাবে এসব টাকা অপচয় করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ইতিপূর্বেও তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম দুর্নীতির তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। চাকরি সংক্রান্ত বিষয়ে নানা অনিয়ম দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি শিক্ষাগত যোগ্যতা ইন্টারমিডেট হয়েও তিনি ষাটলিপিকার থেকে জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা। এখানেই শেষ নয় চাকরি সংক্রান্ত বিষয়ে নানা অনিয়ম দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে সাতক্ষীরা জেলা পরিষদে একটানা ২৭ বছর চাকরি করছেন। তার এ খুটির জোর কোথায়? সচেতন মহলের দাবি ঐ দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাকে আইনের আনতে হবে এবং তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক মামলা হওয়া উচিত।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মাইকিং ও হাইড্রোলিক হর্নে অতিষ্ঠ সাতক্ষীরার নাগরিক জীবন

মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : আধুনিক যুগেও মধ্যযুগীয় প্রচারণার শব্দ দূষণে অতিষ্ঠ সাতক্ষীরা শহরবাসী। প্রচারণার ক্ষেত্রে মাইকের ব্যবহার এখনো ব্যবসায়ীদের কাছে আস্থার প্রতীক। আর এ কারণে শব্দ দূষণ মাত্রারিক্তভাবে বেড়ে চলেছে। শব্দ দূষণের ক্ষেত্রে মাইকের পাশাপাশি গাড়ির হাইড্রোলিক হর্নও মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে জনজীবনে। জেলা শহর ছাড়াও মফস্বল শহরের অফিস, আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ ব্যক্তিগত গাড়ি অনেক বেশি। বছরের সকল সময়ে মাইক ও স্পিকার বাজিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রচার প্রচারণা চালানো, পোল্ট্রি মুরগী, গরু, মহিষের মাংস বিক্রয়ের বিজ্ঞাপন, মোবাইল কোম্পানির সিম বিক্রি, ব্যক্তিগত গাড়ি ও গণপরিবহনের হর্নের শব্দে অতিষ্ঠ সাতক্ষীরাবাসী। এছাড়াও কোচিং নিয়ে মাইকে প্রচারণা বৃদ্ধি পেয়েছে। সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায়, পৌরশহরে প্রতিদিন প্রায় ১০ থেকে ১২টি গাড়ি মাইক নিয়ে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পোল্ট্রি মুরগী, গরু, মহিষ মাংস বিক্রয়ের বিজ্ঞাপন, স্লোগান নানা অফার, বিভিন্ন ক্লিনিকে ডাক্তারদের রোগী দেখার (বিএমডিসি’র নিয়ম অনুযায়ী এটা করার কোন সুযোগই নেই) বিজ্ঞাপনী প্রচার বাড়ছে উদ্বেগজনক হারে। এতে প্রতিনিয়ত মানুষজন নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। বধির হওয়া থেকে শুরু করে মাথায় বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে স্কুল ও কলেজগামী শিক্ষার্থীদের উপর এর মারাত্মক প্রভাব পড়ছে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, অথচ বিজ্ঞাপনের জন্য মানুষ এখনও মাইক চালায়। আরকি কোন মাধ্যম নেই?
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের নাক, কান ও গলার চিকিৎসক ফারুকুজ্জামান বলেন, অতি উচ্চ মাত্রায় শব্দ দূষণের ফলে যে কোন বয়সে মানুষের শারিরীক ও মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে শিশুদের মধ্যে এ ঝুঁকি বেশি।
শহরের একজন প্রবীণ নাগরিক বলেন- “বাবা শহরে শব্দ দূষণে খুবই অতিষ্ঠ। হয়তো কিছুদিন বাঁচতাম তা আর হবে নাÑ মাইকসহ গাড়ির হর্নের শব্দে। খালি আওয়াজ আর আওয়াজ। বাড়ির আশেপাশে রাস্তায় মাইকের আওয়াজ গাড়ির হর্নের শব্দে মানব জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে।”
শহর ছাড়াও প্রত্যন্ত অঞ্চলের বিভিন্ন পয়েন্টে স্কুলগামী ছাত্র ছাত্রীরা গাড়ির হর্ন এর কারনে কানে হাত দিয়ে দাড়িয়ে যায়। তাদেরকে এসময় খুব আতংকিত মনে হয়। শুধু শহর নয় শব্দ দূষণের এ মাত্রা গ্রামের হাট-বাজার এলাকাসহ সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ছে। শুধু পৌরশহরে নয় গ্রামাঞ্চলে ও নানা ভোগান্তির সাথে শব্দ দূষণ একটি নিয়মিত ভোগান্তিতে রুপ নিয়েছে। সকাল বিকেল, রাত গভীর রাত পর্যন্ত শহরের হাট বাজার মাঠ, রাস্তা সর্বত্রই শব্দ দূষণ অনিয়ন্ত্রিত, মাইকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ না থাকায় এ শব্দ দূষণের মাত্রা অতিমাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে। মসজিদ, মন্দির, গীর্জায় ইবাদত, প্রার্থনারত, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায় অধ্যয়নরত ছাত্র-ছাত্রী, মেডিকেল, ক্লিনিকের অসুস্থ রোগীদের জন্যে শব্দ যন্ত্রণায় অস্বস্থিকর অবস্থার পরিবেশের সৃষ্টি করেছে। শহরে যান চলাচলে অযৌক্তিকভাবে হর্নের আওয়াজ হৃদরোগী, হার্টরোগী, নারী-শিশুদের মারাত্মকভাবে শব্দ দূষণের কারণে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
এব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নূর হোসেন সজল বলেন, মাসিক আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় মাইকের শব্দ ও গাড়ির হাইড্রোলিক হর্নের দ্বারা শব্দ দূষণের ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। আমরা বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
নাগরিকদের দৈনন্দিন প্রয়োজনে রাস্তা মার্কেট, বাজারে বের হতে হয়, ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুল কলেজে শিক্ষার উদ্দেশ্যে বের হতে হয়, পথে তাদের পড়তে হচ্ছে শব্দ দূষণের কবলে। গাড়ীর হর্নের বিকট আওয়াজ রাস্তায় গাড়ীতে যাত্রী চলাচলের অনিরাপদ হয়ে পড়ছে, প্রশাসন, সামাজিক ও পরিবেশবাদী সংগঠনসমূহ মাঝে মধ্যে দু’একটা কথা বললেও প্রশাসনের তেমন গরজ দেখা যায় না। শব্দ দূষণের ফলে হৃদরোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, অতিমাত্রায় গাড়ীর হর্ন বাজানো, প্রয়োজন অপ্রয়োজনে গাড়ীর হর্ন, মাইকিং নিয়ন্ত্রণে আনা দরকার। আইন থাকলেও আইনের যথাযথ প্রয়োগ মাঠে দেখা যাচ্ছে না। ফলে শব্দ দূষণের হাত থেকে নাগরিক জীবন অতিষ্ঠ হয়ে আছে। এ অবস্থার পরিবর্তন হওয়া চাই। অনুষ্ঠান আয়োজনকারীদেরকে আইনের মাধ্যমে যেখানে অনুষ্ঠান সেখানেই মাইকের ব্যবহার সীমাবদ্ধ রাখতে বাধ্য করতে হবে। প্রয়োজনের অতিরিক্ত মাইকের ব্যবহার, হর্ন বন্ধ করতে হবে। আইনগতভাবে রাস্তায় একাধিক মাইক ব্যবহারে কঠোর হতে হবে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনকে। মাইকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে পৌরসভা ও থানা পুলিশকে মাইকের সংখ্যা উল্লেখ পূর্বক অনুমতি থাকতে হবে। মানুষ জন চলাচলের বাইরে বিল বা স্কুল মাঠে অনুমতি সাপেক্ষে মাইক ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করে মাইক ব্যবহার করা যায়, এর পাশে রাস্তার পাশে মিটিংয়ের নামে দীর্ঘ এলাকা জুড়ে মাইকের ব্যবহার নাগরিকগণ ভালভাবে দেখছে না। এতে করে আয়োজনকারীদের প্রতি বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। একজনের দেখাদেখি অন্যজনেরাও লোকের চেয়ে মাইকের ব্যবহার বেশি করতে দেখা যাচ্ছে।
উচ্চস্বরে কথা বলা, আওয়াজ করা, মোবাইলে বিকট আওয়াজে বাক্য বিনিময় করা, হাঁটা চলায় অন্যের ক্ষতি করে হাত পা নেড়ে ফুটপাত দখল করে হাঁটা গাড়ীর হর্ন মাত্রাতিরিক্তভাবে বাজানো, যত্রতত্র গাড়ী পার্কিং, ফুটপাত দখল করে যান চলাচলে বিঘœ সৃষ্টি করা সবকিছুই আইনগত অপরাধ। শব্দদূষণ, শব্দ সন্ত্রাস, শব্দ দিয়ে মানুষকে কষ্ট দেয়া অপরাধ। এ অপরাধ থেকে বিরত থাকতে হবে। হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহার আইনত নিষিদ্ধ। তারপরও হাইড্রোলিক হর্ন বাজানো হচ্ছে। সারাদেশের বিভিন্ন অংশে এ হর্নের বিকট আওয়াজে পথচারীরা অতিষ্ট। বিশেষজ্ঞদের মতে শব্দ দূষণের ফলে শ্রবণ শক্তি ও মনোবল কমে যায়, রক্ত চাপ বেড়ে যায়। হাইড্রোলিক হর্ন নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও এক শ্রেণির চালক তা মানছেন না। ১৯৮৬ সালের মোটরযান বিধিমালা এবং ২০০৬ সালের শব্দ দূষণ বিধিমালায় হাইড্রোলিক হর্নের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। দুঃখজনক হলেও তার ব্যবহার বিদ্যমান। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকদের চোখের সামনেই আইন ভঙ্গের এ কাজটি চলছে। তারা নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। মসজিদ, মন্দির, গীর্জা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আশপাশে সব ধরনের হর্ন বাদ্যবাজনা বাজানো নিষিদ্ধ। নিজ নিজ অবস্থান থেকে সচেতন ও সজাগ থাকতে হবে। আশা করছি প্রশাসন আর দেরি না করে হাইড্রোলিক হর্নের যন্ত্রণা ও মাইকের আওয়াজ থেকে মুক্তি দিয়ে শব্দ দূষণ থেকে জাতিকে রক্ষা করবেন। জাতি সেটাই প্রশাসনের কাছে প্রত্যাশা করে।
এবিষয়ে সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইন্সপেক্টর মারুফ আহম্মেদ বলেন, বিষয়টি আমাদের চিন্তায় রয়েছে। আমরা শহরের পরিবশে নষ্ট করে এমন মাইকিং নিয়ন্ত্রণে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করব।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শীতের শুরুতেই পর্যটকমূখর সুন্দরবন কলাগাছিয়া ইকো-ট্যুরিজম সেন্টার

আসাদুজ্জামান : শীতের শুরু থেকেই পর্যটকমূখর সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের কলাগাছিয়া ইকো-ট্যুরিজম সেন্টার। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পর্যটক আসতে শুরু করেছে এখানে। আর সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবনের নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে মেতে উঠছে সবাই।

স্বল্প খরচে লোকালয় থেকে খুব কাছে সুন্দরবনের কলাগাছিয়া ভ্রমণ করেই পর্যটকরা উপভোগ করছেন বিশে^র সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবনের শ^াসমূলে ভরা গেওয়া, গরান, বাইন, পশুর, গোলপাতা, হোগলাপাতা, বানর, হরিণ, কুমির, মদন টাকসহ হাজারো প্রাণ-বৈচিত্র্য।
নৌকা যোগে কলাগাছিয়া ইকো-ট্যুরিজম সেন্টারে নামতেই পর্যটকদের স্বাগত জানায় এক ঝাক বানরের দল। কারও হাতে খাবার দেখলে মাঝে মাঝে ছিনিয়েও নিয়ে যায় তারা। একই সাথে শত শত বানরের বাচ্চার খেলায় মেতে ওঠে সবাই।
ওয়াচ টাওয়ারে উঠে যতদূর চোখ যায় শুধু সবুজ আর সবুজ। কেউ বানরের সাথে খেলায় মত্ত, কেউবা ছবি কিংবা সেলফি তুলেই হারিয়ে যেতে চান প্রকৃতির মাঝে।
রাজধানীর উত্তরা থেকে সুন্দরবন ভ্রমণে আসা এ্যানি আক্তার জানান, সুন্দরবন ভ্রমণের স্বপ্ন ছিল দীর্ঘদিনের। প্রকৃতির নৈসর্গিক সৌন্দর্যে হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করে। সুন্দরবনের সৌন্দর্যের গুণ বলে শেষ করা যাবে না। সব সময় বইতেই পড়েছি। আজ নিজ চোখে দেখার সুযোগ হলো।

ঢাকার একটি মার্চেন্ডাইং হাউজে কর্মরত পর্যটক আব্দুল্লাহ আল মামুন পরিবার পরিজন নিয়ে সুন্দরবন ভ্রমণে এসেছেন। তিনি বলেন, এই দিয়ে ছয় বার সুন্দরবনে এসেছি। বার বার এখানে আসতে ইচ্ছে করে। তাই ছুটি পেলেই চলে আসি বাংলাদেশের সাহসের প্রতীক রয়েল বেঙ্গল টাইগারের দেশে।
সাতক্ষীরার শ্যামনগরের নীলডুমুর ট্রলার চালক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হালিম বলেন, বাংলাদেশের যে পাঁচটি জেলার মধ্যে সুন্দরবন রয়েছে তার মধ্যে একমাত্র সাতক্ষীরা জেলা দিয়েই সড়ক পথে বাস থেকে নেমেই সুন্দরবন দেখা যায়। দেশের যে কোন এলাকা থেকে বাস যোগে শ্যামনগরের মুন্সীগঞ্জে নামলেই সামনে পড়বে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবন। আর একটু ভিতরে যেতে চাইলে লোকালয় থেকে একেবারেই কাছাকাছি কলাগাছিয়া। খুব অল্প খরচে ট্রলারে যাওয়া যায় কলাগাছিয়া। শীতের শুরু থেকেই পর্যটকরা এখানে আসতে শুরু করেছেন।

সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন-সংরক্ষক শোয়েব খান বলেন, পর্যটন মৌসুম চলছে। সে কারণে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটকরা সুন্দরবনে আসতে শুরু করেছেন। প্রতিদিন শত শত পর্যটক সুন্দরবনের কলাগাছিয়া ট্যুরিজম সেন্টারে যাচ্ছেন। তিনি আরো জানান, সুন্দরবন ভ্রমণে বনবিভাগের পক্ষ থেকে সকল প্রকার সহযোগিতাও করা হচ্ছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ওবায়দুল কাদেরের আগমন উপলক্ষ্যে জেলা ছাত্রলীগের প্রস্তুতি সভা

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : আগামী ১২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এর সাতক্ষীরায় আগমন উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় জেলা ছাত্রলীগ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল ইসলাম রেজা। ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমানের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক আসিফ শাহাবাজ, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আহছান হাবিব লিমু, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি রমজান আলী রাতুল, সাধারণ সম্পাদক আসাফুর রহমান শাওন, কলারোয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন রাসেল, তালা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সরদার মশিয়ার, সাধারণ সম্পাদক এস এইচ মেহেদী, দেবহাটা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান সবুজ, সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর ইসলাম হাফিজ, আশাশুনি উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান বিপুল, শ্যামনগর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি গাজী একরামুল হক লায়েস, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাকিম সবুজ, কালিগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ শাওন আহমেদ সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ হোসেন প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সেতুমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে পৌর আওয়ামীলীগের প্রস্তুতিসভা

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এর সাতক্ষীরায় আগমন উপলক্ষে সাতক্ষীরা পৌর আওয়ামীলীগের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

পৌর আওয়ামীলীগের আয়োজনে সম্মেলনকে সফল করার লক্ষে ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আবু সায়ীদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহাদাৎ হোসেনের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, ১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুস সেলিম, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান, ২নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুস ছামাদ, আসাদুর রহমান, ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শেখ আব্দুল আজিজ, সাধারণ সম্পাদক শেখ আব্দুস সেলিম, ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ কামরুল হক চঞ্চল, সাধারণ সম্পাদক শেখ মোসফিকুর রহমান মিল্টন, ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মতিয়ার রহমান, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মিলন, ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মতিয়ার রহমান, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মিলন, ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি শ্রী নারায়ন চন্দ্র, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রাফিনুর রহমান, ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল আনিছ খান চৌধুরী বকুল, সাধারণ সম্পাদক আনারুল ইসলাম রনি, ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি সমীর বসু, সাধারণ সম্পাদক মোঃ লিটন মির্জাসহ পৌর ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠানে আগামী ১২ ডিসেম্বর সেতুমন্ত্রী সাতক্ষীরায় আগমন উপলক্ষে রাজ্জাক পার্কে অনুষ্ঠিত সম্মেলনকে সফল করার লক্ষে বিভিন্ন সিন্ধান্ত গৃহিত হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest