মুক্তামণির গ্রামের বাড়িতে ফুল ও ফল নিয়ে গেলেন এমপি রবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: দীর্ঘ ছয় মাস ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা শেষে এক মাসের ছুটিতে বাড়ি আসা মুক্তামণির খোঁজ খবর নিতে তার বাড়িতে ফুল ও ফল নিয়ে গেলেন সাতক্ষীরা-০২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।

মঙ্গলবার দুপুরে তিনি সদর উপজেলার কামারবায়সা গ্রামে মুক্তামণির বাড়িতে যান। এ সময় তিনি মুক্তামণির সাথে কথা বলেন এবং তার খোঁজ খবর নেন। এমপি রবি এ সময় বলেন, বিরল রোগে আক্রান্ত মুক্তা মনি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়নি। যান্ত্রিক যন্ত্রণার শহর আর চা দেয়ালে দীর্ঘ ৬ মাস কাটনোর জন্য মুক্তা মনির মন খারাপ হওয়ায় ডাক্তাররা ১ মাসের জন্য তাকে বাড়ি পাঠিয়েছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মানবতার বাতিঘর জননেত্রী শেখ হাসিনা সব সময় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মুক্তা মনির চিকিৎসার ব্যয় বহন ও খোঁজ-খবর নিয়েছেন।

মুক্তামণি এমপি রবিকে দাদু বলে ডাকে। সে বলে দাদু আপনি আমাকে ঢাকার হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলেন। আবার আমার বাড়িতে কষ্ট করে এসেছেন। দাদু আপনি খুব ভালো। আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যেন দ্রুত সুস্থ্য হতে পারি। আমার গ্রামের মানুষ ও সাতক্ষীরার মানুষেরা খুবই ভালো তারা আমার জন্য অনেক কষ্ট করেছে। এসময় এলাকার মানুষ মুক্তামণির বাড়ির সামনের রাস্তা সংস্কারের দাবি করলে তাৎক্ষণিকভাবে দ্রুত এ রাস্তা সংস্কার করা হবে বলে জানান এমপি রবি। পরে মুক্তামণির পিতা ইব্রাহীম হোসেন ও মাতা আসমা খাতুনের সাথে কথা বলেন এবং চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা আ ’লীগের সদস্য অতিরিক্ত পিপি এড. আব্দুল লতিফ, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদিকা জ্যোৎন্সা আরা, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. রেজাউল ইসলাম রেজা, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমান, বাঁশদহ ইউনিয়ন আ ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মাস্টার মফিজুর রহমান, নারী নেত্রী মনোয়ারা খাতুনসহ দলীয় নেতৃবৃন্দ ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনিতে সাংবাদিক আলাউদ্দীনের মামার ইন্তেকাল

বড়দল (আশাশুনি) প্রতিনিধি: আশাশুনিতে সাংবাদিক বি এম আলাউদ্দিনের মামা গফ্ফার (৭৮)ইন্তেকাল করছেন। জানাগেছে মরণ ব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে সোমবার রাত ৩টায় নিজ বাসভবনে মৃত্যু বরন করেন তিনি। গফ্ফর মোড়ল শোভনালী ইউনিয়নের উত্তর গোদাড়া গ্রামের ওমর আলি মোড়লের পুত্র। মৃত্যুকালে তিনি ৫ পুত্র ও ২ মেয়ে রেখে গেছেন। মঙ্গলবার বাদ জোহর ভাট পুকুর মাঠে নামাজে যানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে মরহুমের দাফন সম্পন্ন হয়। যানাজা নামাজে এমামতি করেন হাফেজ মাওলানা রফিকুল ইসলাম। যানাজা নামাজে উপস্থিত ছিলেন আশাশুনি উপজেলার ছাত্রলীগ সভাপতি সুমন, শোভনালী ইউনিয়ন সাবেক আওয়ামীলীগ সভাপতি ও বীর মুক্তি যোদ্ধা আলহাজ নজরুল ইসলাম। শোভনালী ইউনিয়ন সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ মোস্তফা, মুক্তিযোদ্ধা জয়নুদ্দীন গাজী, মুক্তিযোদ্ধা জামাল গাজী, মরহুমের চাচা জয়নুদ্দীন মোড়ল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটায় সীমান্ত অপরাধ ও চোরাচালান বন্ধে বিজিবির মতবিনিময়

দেবহাটা ব্যুরো: দেবহাটায় মাদক, চোরাচালান ও সীমান্ত অপরাধ নির্মূল করতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সাথে মতবিনিময় করেছে বিজিবি। মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় দেবহাটা বিজিবি ক্যাম্পের আয়োজনে ক্যাম্পে শিক্ষক, সাংবাদিক, সুধীজনদের উপস্থিতিতে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপস্থিত থেকে মতবিনিময় করেন দেবহাটা ক্যাম্পের কমান্ডার নায়েক সুবেদার জিন্নাত আলী শেখ। মুক্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন দেবহাটা মডেল হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মদন মোহন পাল, সখিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ তহিরুজ্জামান, দেবহাটা কলেজের প্রভাষক শেখ শরিফুল ইসলাম পলাশ, উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও ঈদগাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাইফুল্লাহ আল তারিক, দেবহাটা রিপোর্টাস ক্লাবের সভাপতি মীর খায়রুল আলম, সহ-সভাপতি কে.এম রেজাউল করিম, অর্থ সম্পাদক এম.এ মামুন প্রমূখ। এসময় বাংলাদেশ ভারত সীমান্ত দিয়ে বয়ে চলা ইছামতি নদী দিয়ে অবৈধ পথে চোরাচালানী পণ্য, মাদক পারাপার যাতে না হয় সে ব্যাপারে বিজিবি কঠোর নজরদারি রেখেছে। সাথে সাথে এলাকার শান্তি রক্ষায় এবং সরকারের উন্নয়নকে বাস্তবায়ন করতে বিজিবি কাজ করছে। তাছাড়া পূর্বের তুলনায় সীমান্ত অপরাধ কমিয়ে আনার পাশাপাশি চোরাচালান পুরোপুরি বন্ধ করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে তথ্য দিয়ে বিজিবিকে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানানো হয়। মুক্ত আলোচনায় বিজিবির কর্মকা-ের প্রশংসা পাশাপাশি বক্তারা বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর সঠিকভাবে উপস্থাপন করায় ধন্যবাদ জানানো হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
নলতায় শেরে বাংলা ক্লিনিকে ত্রুটিপূর্ণ অপারেশনে প্রসূতি মা সঙ্কটে

কালিগঞ্জ ব্যুরো: কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা শেরে বাংলা ক্লিনিক এন্ড ডায়গনেস্টিক সেন্টারে সিজারের মাধ্যমে এক নারী সন্তান প্রসব করতে এসে ত্রুটিপূর্ণ অপারেশন করার কারণে এক নারী শারীরিক ও অর্থনৈতিক সঙ্কটে পড়েছেন। ভুক্তভোগী উপজেলার পূর্ব নলতা গ্রামের সিরাজুল ইসলাম জানান, তার স্ত্রী শরিফা খাতুনকে সন্তান প্রসবের জন্য গত ১৪ নভেম্বর থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত নলতার শেরে বাংলা ক্লিনিক ও ডায়গনেস্টিক সেন্টারে ভর্তি করা হয়। ভর্তির সময় ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকে তিন হাজার ৪০০ টাকা দেওয়া হয়। সেখানে শরিফার সিজারের মাধ্যমে বাচ্চা (মেয়ে) প্রসব করানো হয়। পরবর্র্তীতে শরিফা উচ্চ জ্বরসহ বিভিন্ন সমস্যায় মারাত্বক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে টাইফায়েড জ্বরের চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ডাইসোফেন ইনজেকশান ও রোসিফিন ইনজেকশন কিনিয়ে নেওয়া হলেও রোসিফিন ইনজেকশান ব্যবহার করেননি ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। ২০ নভেম্বর তাকে ছাড়পত্র দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। এ সময় ক্লিনিক থেকে সংশি¬ষ্ট ডাক্তারের পরিবর্তে ক্লিনিক মালিক হাতুড়ে ডাক্তার আবু সাঈদ ছাড়পত্রের সঙ্গে ব্যবস্থাপত্র লিখে ছেড়ে দেন। ক্লিনিকে ভর্তি থাকাকালিন তার খরচ হয় ১৫ হাজার টাকা। মারাত্বক অসুস্থ শরিফাকে বাড়িতে আনার পর টাকা যোগাড় করে গত ২৬ নভেম্বর সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রথমে তার পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য ডাঃ ফারহানার কাছে নিয়ে গেলে তিনি আংশিক ফুল পেটের মধ্যে থেকে যাওয়ার এ ধরনের সমস্যা হচ্ছে বলে জানান। ২৬ নভেম্বর সংশি¬ষ্ট গাইনি চিকিৎসক এহছেন আরা ও কানিজ ফাতেমা রোগীর অবস্থা দেখে বন্ড সই করে তাকে দ্বিতীয় বার অপারেশন করে ফুল বের করেন। একপর্যায়ে পুনরায় ফুল বের করার পর দীর্ঘদিন চিকিৎসা সেবা দেওয়ার পর শরিফাকে ১২ ডিসেম্বর ছাড়পত্র দেওয়া হয়। এ কয়দিনে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে শরিফার জন্য কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে তার। বিষয়টি নিয়ে ১৩ ডিসেম্বর ক্লিনিকের ব্যবস্থাপক আবু সাঈদের কাছে গেলে তিনি ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে কিছু করার নেই বলেন জানান। বর্তমানে শরিফার শারীরিক অবস্থা সম্পূর্ণ সুস্থ না হওয়ায় তিনি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ঔষধ কেনার জন্য। তিনি শরিফার হেন পরিস্থিতির জন্য ওই ক্লিনিকের নিবন্ধন বাতিলের দাবি জানান। জানতে চাইলে শেরে বাংলা ক্লিনিক ও ডায়গনেস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু সাঈদ অপারেশনে কোন ত্রুটির কথা অস্বীকার করে বলেন, ১৯ নভেম্বর প্রসুতি শরিফার জ্বর আসে। ডাঃ আকছেদুর রহমানের পরামর্শ মত ব্যবস্থাপত্র লিখে দেন তিনি। পরবর্তীতে তাদেরকে না জানিয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে এখন তার আছে ক্ষতিপূরণ দাবি করলে তার কিছু করার নেই।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশন’র বিজয় দিবস পালন ও কর্মচারী এসোসিয়েশনের অভিষেক অনুষ্ঠিত

মাকছুদ খান : সাতক্ষীরা ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালন ও সিএন্ডএফ কর্মচারী এসোসিয়েশনের নবনির্বাচিতদের অভিষেক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় ভোমরা কাস্টমস চত্বরে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব অহিদুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন ভোমরা শুল্ক স্টেশনের সহকারী কমিশনার রেজাউল হক। ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নাসিমের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, জেলা যুবলীগের আহবায়ক আব্দুল মান্নান,সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব, সিএন্ডএফ নেতা আবু মুছা, সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মারুফ আহমেদ, ভোমরা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট পুলিশের ইনচার্জ এস আই জুয়েল আহমেদ,জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি তানভীর হুসাইন সুজন, সিএন্ডএফ কর্মচারী এসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন মন্টু। অন্যন্যাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ভোমরা বন্দর আমদানি রপ্তানি কারক এসোসিয়েশনের সভাপতি আসাদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আবু হাসান, ট্রান্সপোর্ট সমিতির সাধারণ সম্পাদক শওকাত আলী, সিএন্ডএফ কর্মচারী এসোসিয়েশনের নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার আলমগীর হোসেন, আব্দুস সবুর, আশরাফুল ইসলাম খোকন, পারুলিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও আমদানি রপ্তানী ব্যবসায়ী গোলাম ফারুক বাবু, ভোমরাস্থল বন্দর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল ইসলাম জিয়া, হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রেজাউল ইসলামসহ ভোমরা শুল্ক স্টেশনের সকল নেতৃবৃন্দ, কর্মচারী এসোসিয়েশনের সকল নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠানে সিএন্ডএফ কর্মচারী এসোসিয়েশনের নব নির্বাচিত নেতৃবৃন্দদের শপথ বাক্য পাঠ করার ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি অহিদুল ইসলাম এবং তাদের ক্রেস্ট প্রদানের মাধ্যমে শুভেচ্ছা প্রদান করা হয়। পরে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কলারোয়া কলাটুপিতে প্রেমিক-প্রেমিকা উধাও!

কলারোয়া ডেস্ক: কলারোয়া উপজেলার কুশোডাঙ্গা ইউনিয়নের কলাটুপি গ্রামের আসমানির পালিত মেয়ে চম্পা খাতুন (১৮) একই গ্রামের রফিকুলের ছেলে সাগর হোসেন (২০) হাত ধরে সোমবার রাত্রে পালিয়েছে বলে জানা যায়।
একাবাসীরা জানান, যে চম্পা খাতুনের সাথে দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক ছিল একই গ্রামের সাগরের এবং তারা উভয়ের পূর্বে একবার পালিয়ে বিয়ে করলে, চম্পা পালিত মেয়ে ও গরিব হওয়ায় সাগরের পিতা রফিকুল এ বিয়ে মেনে না নিয়ে, চম্পাকে তালাক দিতে বাধ্য করে। এবং সাগরকে অন্য জায়গায় বিয়ে দেয়। চম্পাকে বিয়ে দেয় তার পরিবার, পুনরায় সাগর ও চম্পার সাথে প্রেমের সম্পর্ক চলতে থাকে, এক পর্যায়ে সাগর চম্পার বিয়ের প্রস্তাব দিলে চম্পা তার স্বামীকে ডিভোস দিয়ে দেয়। পূর্ব পরিকল্পনা অনুসারে সোমবার প্রেমিক প্রেমিকার হাত ধরে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায়। উভায়ের পরিবার কিছুই জানে না বলে সাংবাদিকদের জানান।
এ খবর লেখা পর্যন্ত উভয়ের পরিবার তাদের খুঁজছে বলে জানান সাগরের স্ত্রী তার বাবার বাড়িতে আছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনি ইউএনওকে ফুলেল শুভেচ্ছা

আশাশুনি ব্যুরো: আশাশুনি অনলাইন প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুষমা সুলতানাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান হয়েছে। গতকাল দুপুর ১২টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুষমা সুলতানা বলেন, বর্তমান সময়ে অনলাইন প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠা একটি সময় উপযোগি সিদ্ধান্ত। বস্তুুনিষ্ট সাংবাদিকতার বিকাশে অনলাইন প্রেসক্লাবকে বলিষ্ট ভূমিকা রাখতে হবে। আশাশুনিতে সাংবাদিকতার একটি গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস রয়েছে, তাই অনলাইন গণমাধ্যমের প্রত্যেক সাংবাদিককে সে ঐতিহ্যের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা রেখে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করতে হবে। তিনি আরো বলেন বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল দেশ হিসেবে পরিচিত। যে কোন সংবাদ অনলাইন সংবাদ মাধ্যমে আমরা তৎক্ষনাত জানতে পারি। তিনি নবনির্বাচিত কমিটির সকল সদস্যকে অভিনন্দন জানান। এসময় আশাশুনি অনলাইন প্রেসক্লাবের পৃষ্ঠপোষক হাসান ইকবাল মামুন, সভাপতি এস কে হাসান, সাধারণ সম্পাদক আকাশ হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ বাদশা, জ্বলেমিন হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক এম এম নূর আলম, সহ সাংগঠনিক শেখ আরাফাত হোসেন, ক্রিড়া সম্পাদক আব্দুর রব, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক প্রভাষক মোখলেছুর রহমান ময়না, প্রচার সম্পাদক গাজী ফরহাদ হোসেন, সদস্য সুব্রত দাশ, সাংবাদিক বাবলা, মাসুম বাবুল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি টিআইবির

‘সহনশীল’ মাত্রায় ঘুষ গ্রহণের পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি ঘুষ গ্রহণে বাধা দেওয়ার সাহস নেই বলে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ যে বক্তব্য দিয়েছেন তার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। তবে মন্ত্রীর নিজেকে ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ হিসেবে ঘোষণা দেওয়াকে সাহসিকতা হিসেবে দেখছে প্রতিষ্ঠানটি। এই সাহসিকতার ধারাবাহিকতায় শিক্ষামন্ত্রী পদত্যাগ করে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করবেন– এমন প্রত্যাশা টিআইবির।

মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) টিআইবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রত্যাশা জানানো হয়।

শিক্ষামন্ত্রীর ওই বক্তব্যকে উদ্বেগজনক উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রীর ওই বক্তব্য যেমন জাতির জন্য উদ্বেগজনক, তেমনি এতে কেবল তার নিজের বিভ্রান্তি ও হতাশার প্রতিফলন ঘটেছে। মন্ত্রীর বক্তব্যে এটাও পরিষ্কার যে, ইতোপূর্বে শিক্ষাখাতে টিআইবির একাধিক গবেষণায় উঠে আসা ব্যাপক মাত্রার দুর্নীতির চিত্র ও বিশ্লেষণকে তিনি শুধু ধারাবাহিকভাবে অস্বীকার ও উপেক্ষাই করেননি, বরং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রশ্রয় ও সুরক্ষা দিয়েছেন; যার ফলে তাকে এখন নিজেকে দুর্নীতি ও দুর্নীতিবাজদের হাতে জিম্মি ভাবতে হচ্ছে। তার যদি দুর্নীতির বিরুদ্ধে সৎসাহস ও দৃঢ়তা থাকত, তাহলে এমন অসহায়ত্বের মাধ্যমে দুর্নীতির আরও বিস্তার ঘটানোর প্রেসক্রিপশন দেওয়ার প্রয়োজন ছিল না। সেক্ষেত্রে তিনি তার দাবি অনুযায়ী দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য-সহনশীলতার কার্যকর প্রয়োগ করতে পারতেন।’

ঢালাওভাবে সব সরকারি কর্মকর্তা ও মন্ত্রীদের দুর্নীতিগ্রস্ত হিসেবে আখ্যা দেওয়াকে অবাস্তব ও অগ্রহণযোগ্য বলে মনে করছে টিআইবি। ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘প্রকাশ্য অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদের সব সহকর্মীসহ শিক্ষামন্ত্রীর নিজেকে চোর সম্বোধন জনমনে সরকার সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর ধারণার অবতারণা করেছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাগুলোসহ সব উন্নয়নমূলক ভবিষ্যত রূপরেখায় সব ধরনের ঘুষ লেনদেন ও দুর্নীতি নির্মূলের ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকার সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ইতোমধ্যেই লক্ষ্যপূরণে সরকার ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। এমন সময়ে জাতির ভবিষ্যত বিনির্মাণে নিবেদিত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মতো সংবেদনশীল একটি মন্ত্রণালয়ের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এ ধরনের বক্তব্য কোনও অবস্থায় গ্রহণযোগ্য নয়।’

শিক্ষামন্ত্রীকে উদ্দেশ করে ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, ‘নিজেকে দুর্নীতিগ্রস্তের দলভুক্ত করা যদি সৎসাহসের পরিচয় হয়, তবে আমরা তাকে প্রশংসা করি, একইসঙ্গে এই সৎসাহসের ধারাবাহিকতায় তিনি নৈতিক অবস্থান থেকেই পদত্যাগ করে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারেন। নিজেকে দুর্নীতিবাজ আখ্যায়িত করা যদি তার ক্ষোভ ও অসহায়ত্বের প্রকাশ হয়ে থাকে, তবে পদত্যাগের পর যথাযথ প্রক্রিয়ায় যদি তিনি দুর্নীতিমুক্ত প্রমাণিত হন, তাহলে তিনি দেশবাসীর প্রশংসার পাত্র হতে পারেন।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest