টেক্সটাইল মিলে অগ্নিকাণ্ড; ৪০ জন জীবিত উদ্ধার

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর শ্যামপুরের লাকী টেক্সটাইল মিলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কারখানার ছাদে আটকা পড়াদের মধ্যে ৪০ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। ছয়তলা ওই ভবনের তৃতীয় তলায় আগুন লাগে।
আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিট কাজ করছে।

আজ সোমবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে অগ্নিকাণ্ডের কারণ বা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানাজানা যায়নি।

জানা গেছে, এ ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। আগুন লাগার পর কারখানায় থাকা অন্তত ৪০-৫০ জন ছাদে উঠে আটকা পড়েন। পরে তাদের উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের কন্ট্রোল রুমের ইন্সপেক্টর মাহমুদুল হাসান সাংবাদিকদের জানান, এ ঘটনায় অন্তত ৫০ জন ওই টেক্সটাইল মিলের ছাদে আটকা পড়ে আছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাদের উদ্ধারে কাজ করছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সীমান্তে ঢুকে পড়া ৩ বিএসএফ সদস্য আটক

বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়া তিন বিএসএফ সদস্যকে আটক করেছে বিজিবি। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রাজশাহীর সীমান্তের কাছে তাদেরকে আটক করা হয়।

এ নিয়ে বিজিবির পক্ষ থেকে পতাকা বৈঠকের আহ্বান করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজশাহী বিজিবির ১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক শামীম উদ্দীন। তিনি জানান, বিএসএফ’র তিন সদস্য কুয়াশার মধ্যে ভুল করে বাংলাদেশ সীমানার মধ্যে ঢুকে পড়ে ঘোরাফেরা করতে থাকেন। পরে তাদেরকে আটক করে বিজিবি। পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদেরকে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

চর মাঝার দিয়াড় এলাকার ওই স্থানে সীমানা পিলার না থাকায় ভুল করে বিএসএফের তিন সদস্য বাংলাদেশে ঢুকে পড়েন বলেও জানান বিজিবির ওই কর্মকর্তা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আজ শুভ বড়দিন

আজ শুভ বড়দিন

কর্তৃক Daily Satkhira

আজ ২৫ ডিসেম্বর। খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শুভ বড়দিন। এই দিনে খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিস্ট বেথলেহেমে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। খ্রিস্টধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন, সৃষ্টি-কর্তার মহিমা প্রচার এবং মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করতে প্রভু যিশুর এই ধরায় আগমন ঘটেছিল।

অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের খ্রিস্টধর্মানুসারীরাও যথাযথ ধর্মীয় আচার, আনন্দ-উৎসব ও প্রার্থনার মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপন করবেন।

আজ সরকারি ছুটির দিন। দিনটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খ্রিস্টধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বাণী দিয়েছেন।

বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ বাংলাদেশ। আবহমানকাল ধরে এ দেশে সব ধর্মের মানুষ পারস্পরিক ভালোবাসা ও সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ। বিদ্যমান সম্প্রীতির এই সুমহান ঐতিহ্যকে আরো সুদৃঢ় করতে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী এ পুণ্যদিন উপলক্ষে খ্রিস্টান সম্প্রদায়সহ জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে সকলকে ঔদার্য এবং মানবতার মহান ব্রতে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের কল্যাণ ও উন্নয়নে এগিয়ে আসার উদাত্ত আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী আশা করেন, বড়দিন দেশের খ্রিস্টান ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের মধ্যকার বিরাজমান সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতিকে আরো সুদৃঢ় করবে।

বাংলাদেশ খ্রিস্টান এসোসিয়েশনের দপ্তর সম্পাদক স্বপন রোজারিও বাসসকে জানিয়েছেন, সকাল থেকে বড়দিনের প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে ।

দিনটি উপলক্ষে অনেক খ্রিস্টান পরিবারে কেক তৈরি হবে, থাকবে বিশেষ খাবারের আয়োজন। দেশের অনেক অঞ্চলে কীর্তনের পাশাপাশি ধর্মীয় গানের আসর বসবে। রাজধানীর তেজগাঁও ক্যাথলিক গির্জায় বড়দিনের বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে। গির্জা ও এর আশপাশে রঙিন বাতি জ্বালানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রচুর জরি লাগিয়ে গির্জার ভেতর সুসজ্জিত করা হয়েছে। ভেতরে সাজানো হয়েছে ক্রিসমাস ট্রি।

বড় দিন উপলক্ষে গির্জার মূল ফটকের বাইরে বসে মেলা। মেলার দোকানগুলোতে বড়দিন ও ইংরেজি নতুন বছরের কার্ড, নানা রঙের মোমবাতি, সান্তা ক্লজের টুপি, জপমালা, ক্রিসমাস ট্রি, যিশু-মরিয়ম-যোসেফের মূর্তিসহ নানা জিনিস বিক্রি হতে দেখা যায়।

বড়দিন উপলক্ষে বাংলাদেশ খ্রিস্টান এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও এবং মহাসচিব হেমন্ত আই কোড়াইয়া আজ এক যুক্ত বিবৃতিতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের লোকজনকে প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। বড় দিন ধনী দরিদ্র নির্বিশেষে সকলের জন্য আনন্দ বার্তা বয়ে আসুক এই কামনা করেছেন নেতৃদ্বয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ঘুষ, অনিয়ম, দুর্নীতি; সর্বভুক এক ইউএনও !

অনলাইন ডেস্ক: কুষ্টিয়া সদর উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভায় একটি করে খাসি জবাই করা হয়। এ দিয়ে ওই দিনের ভোজ সারেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইবাদত হোসেন। খাসি একেক মাসে একেক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বাধ্যতামূলকভাবে সরবরাহ করেন। এক বছর ধরে এটা চলছে।

সম্প্রতি দুস্থদের জন্য রবাদ্দ ত্রাণের টিন দিয়ে উপজেলা পরিষদ মসজিদের মার্কেট নির্মাণ করেছেন ইউএনও। শুধু টিন না, এই মার্কেটের ইট থেকে শুরু করে অন্য নির্মাণসামগ্রী তিনি বিভিন্নজনের কাছ থেকে নিয়েছেন। দাতাদের মধ্যে রয়েছে ভাটা মালিক, ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার ও বিভিন্ন প্রকল্পের কমিটি (পিআইসি)। সাহায্য নিয়ে মার্কেটটি নির্মাণ করলেও এখন এর সব খরচ মার্কেটের বরাদ্দপ্রাপ্ত দোকান মালিকদের কাছ থেকে নেওয়ার পাঁয়তারা করছেন। ইউএনও ওই মসজিদ কমিটির সভাপতিও। সাধারণ সম্পাদকসহ মসজিদ কমিটির কোনো সদস্য মার্কেট নির্মাণ সম্পর্কে কিছু জানেন না। মার্কেট নির্মাণের আগে-পরে এ নিয়ে কমিটির কোনো সভা-রেগুলেশন হয়নি।

উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানান, গরিব মানুষের মধ্যে বিতরণের জন্য গরু, ছাগল ও সেলাইমেশিন কেনার অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়। ইউএনও ঠিকাদারের সঙ্গে যোগসাজশ করে রোগা ও কম দামের গরু-ছাগল কিনে আনেন। বিতরণ করতে এসে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ ক্ষুব্ধ হয়ে এসব ফেরত দিয়ে ভালো গরু-ছাগল কিনতে বলে চলে যান।

এদিকে এক ইউপি চেয়ারম্যানের টাকায় সরকারি অফিসে তাপানুকূল যন্ত্র (এসি) লাগিয়েছেন ইউএনও। যদিও তাঁর অফিসে চারটি সিলিং ফ্যান রয়েছে। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে তিনি প্রচার চালান বেতনের টাকায় এসি লাগিয়েছেন। উপজেলা পরিষদের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী কোনো ইউএনও এসি ব্যবহার করতে পারেন না। তাঁর বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ, সম্প্রতি মোনহরদিয়া ইউনিয়নের একটি সড়ক থেকে কোটি টাকা মূল্যের ৪৬টি বড় গাছ কেটে আত্মসাৎ করেন। ২৫ বছর আগে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) এই গাছ রোপণ করেছিল। এ নিয়ে এলজিইডি থানায় অভিযোগ দেয়। ইউএনওর চাপে থানা সেই মামলা নথিভুক্ত করেনি।

ভুক্তভোগীরা জানায়, ইউএনও ইবাদত হোসেন প্রায় প্রতি বৃহস্পতিবারই গোপনে সরকারি গাড়ি নিয়ে তাঁর নিজ বাড়ি নড়াইলের লোহাগাড়া উপজেলার লাহড়িয়া গ্রামে যান। সম্প্রতি সেখান থেকে ফেরার পথে এক শুক্রবার দুপুরে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ সীমান্তে মারাত্মক দুর্ঘটনায় তাঁর সরকারি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তিনি বিষয়টি বেমালুম চেপে গিয়ে জেলা প্রশাসনকে জানান, সরকারি কাজে গিয়েছিলেন।

এখানেই শেষ নয়। ভিক্ষুক পুনর্বাসনের নামে সরকারি-বেসরকারি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এক দিনের বেতনসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে নেওয়া টাকা খরচের ব্যাপারে এ কর্মকর্তার স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে। এ ছাড়া টিআর, কাবিখা, সোলার স্থাপনসহ বিভিন্ন প্রকল্পে ইউএনওর অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ইউপি চেয়ারম্যান, বিভিন্ন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক জানান, ইউএনও প্রজাতন্ত্রের একজন কর্মকর্তা হয়েও তাঁর অফিসে সরকারবিরোধীদের নিয়ে নানা কাজে ব্যস্ত থাকেন। এ নিয়ে গত ১৪ ডিসেম্বর এক চেয়ারম্যানের সঙ্গে তাঁর তর্ক হয়।

সম্প্রতি সদর উপজেলার আইলচারা ইউনিয়নের একটি বিদ্যালয়ের সামনে থেকে কিছু মাটি কেটে রাস্তায় দেয় শ্রমিকরা। এ ঘটনার পর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও স্থানীয় এক মেম্বারকে অফিসে ডেকে এনে তাঁকে লোকজনের সামনে গালাগাল করে মারতে উদ্যত হন ইউএনও।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই মেম্বার বলেন, ‘একটা ঘটনা নিয়ে ইউএনও আমাকে বকাঝকা করেছিলেন। মুখ বুজে সব সহ্য করেছি। ’

উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা তাঁর অফিসে শৌচাগার নেই বলে তাঁকে জানাতে গেলে তিনি ওই কর্মকর্তার সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। নারী কর্মকর্তা কাঁদতে কাঁদতে সেখান থেকে বের হয়ে আসেন। সম্প্রতি মুক্তিযোদ্ধা এক কৃষককে সার্টিফিকেট মামলায় জেলে পাঠান ইউএনও। নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ইউএনওর বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, ইউএনও সবার সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। বিষয়টি নিয়ে অনেকে জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ দিয়েছে। ওই কর্মকর্তা আরো জানান, বিভিন্ন সময় ইউএনও প্রধানমন্ত্রীর এক বিশেষ সহকারীর আত্মীয় ও আওয়ামী লীগের এক কেন্দ্রীয় নেতার পরিচয় দিয়ে দাপট দেখান।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কুষ্টিয়ার এক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বলেন, ‘ইউএনও যেভাবে অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করেন তাতে সবাই হতবাক। তিনি উপজেলার সব দপ্তরের লোকজনকে সব সময় গালমন্দ করেন। এতে সবাই তাঁর ওপর বিরক্ত। তবে মুখ খুলে কেউ কিছু বলতে সাহস করে না। তিনি জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদেরও সম্মান করেন না। তাঁকে নিয়ে আমরা সবাই খুবই বিব্রত। ’ ইউএনও ইবাদত হোসেনের সঙ্গে কথা বলার জন্য তাঁর কার্যালয়ে গেলে তিনি বক্তব্য দিতে রাজি হননি। একপর্যায়ে তিনি এ প্রতিবেদকের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন।

কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) হাসান হাবিব বলেন, ‘ইউএনওর বিরুদ্ধে যদি এ ধরনের অভিযোগ আমাদের নজরে আসে, তাহলে তদন্ত করে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেব। ’
সূত্র: কালের কণ্ঠ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শ্লীলতাহানির চেষ্টায় চিকিৎসক অবরুদ্ধ

কিশোরী রোগী ও তার খালাকে শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগে এক চিকিৎসককে অবরুদ্ধ করার ঘটনা ঘটেছে। রবিবার রাতে মহানগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকায় অবস্থিত পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় উত্তেজনা দেখা দিলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
অভিযুক্ত চিকিৎসকের নাম আবদুর রশিদ। তিনি ডায়াবেটিক ও হরমোন বিশেষজ্ঞ। রাজশাহী মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপকও তিনি। ২০ বছরের ওই তরুণী এবং তার ৯ বছরের ভাগ্নিকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে ওই চিকিৎসককে মারপিটও করা হয়েছে।
ভুক্তভোগীদের বাড়ি নগরীর উপকণ্ঠ কাটাখালী এলাকায়। ওই কিশোরীর বাবা জানান, তার মেয়ের হরমোনের সমস্যায় তাকে চিকিৎসক আবদুর রশিদের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। তার শ্যালিকা এবং মেয়ে তার চেম্বারের ভেতরে ঢোকে। এ সময় ওই চিকিৎসক ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দিতে বলেন। তার কথা অনুযায়ী, তার শ্যালিকা দরজা বন্ধ করেন। এরপর চিকিৎসার নামে ওই চিকিৎসক প্রথমে তার মেয়ের শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন। এতে বাধা দেন তার শ্যালিকা। এ সময় ওই চিকিৎসক তার শ্যালিকাকে কুপ্রস্তাব দেন। এ সময় বেরিয়ে যেতে চাইলে ওই চিকিৎসক তার শ্যালিকাকেও শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালান।
এ সুযোগে তার মেয়ে কক্ষের দরজা খুলে দেয়। এরপর বিষয়টি জানাজানি হয়। এ সময় ওই চিকিৎসকের সঙ্গে তার ধস্তাধস্তিও হয়। পরে অন্য রোগীর স্বজনরা গিয়ে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ।
তবে জানতে চাইলে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চিকিৎসক আবদুর রশিদ। তিনি বলেন, এসব কোনো ঘটনাই ঘটেনি। তার দাবি, তাকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হচ্ছে।
পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সিনিয়র মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ রেজাউল করিম বলেন, কী ঘটনা ঘটেছে, তা তারাও বুঝতে পারেননি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। খোঁজখবর নিয়ে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
নগরীর রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, চিকিৎসককে মারপিট এবং অবরুদ্ধ করে রাখার খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়। তারা উত্তেজনাকর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ করা হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সৌদি প্রিন্স তালালের মুক্তিপণ ৬০০ কোটি ডলার!

প্রিন্স আল-ওয়াহেদ বিন তালাল বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ। বিশ্বজুড়ে যিনি ‘অ্যারাবিয়ান ওয়ারেন বাফেট’ নামে পরিচিত। মূলত বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হওয়াতেই এমন উপাধি পেয়েছেন তালাল।

গেল নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে সৌদি আরব দুর্নীতির অভিযোগে যে কয়জন প্রিন্স ও মন্ত্রীকে আটক করেছে তার মধ্যে তালালও রয়েছেন। আটকের পর থেকে বিশ্ব মিডিয়াতে তাকে নিয়ে হচ্ছে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা। এবার সৌদি প্রিন্স ওয়ালিদকে মুক্তির বিনিময়ে ছয় বিলিয়ন বা ৬০০ কোটি ডলার দাবি করেছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে দেশটির কারাগার ‘বিলাসবহুল রিজ কার্লটন হোটেলে’ দুই মাস ধরে বন্দি রয়েছেন ওয়ালিদ।

ওয়ালিদের মুক্তির জন্য সৌদি কর্তৃপক্ষের দাবি নিয়ে দেনদরবার এখনও চলছে। যাদের আটক করা হয়েছে তাদের মধ্যে ওয়ালিদের কাছ থেকেই সবচেয়ে বেশি অর্থ দাবি করা হচ্ছে। এর আগে সাবেক সৌদি বাদশাহ আবদুল্লাহর পুত্র মিতেব বিন আবদুল্লাহ ১০০ কোটি ডলারের বিনিময়ে মুক্তি পেয়েছেন।

জানা গেছে, ওয়ালিদ অর্থের বিনিময়ে মুক্তি নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। তার বদলে রিয়াদের শেয়ার মার্কেটের তালিকায় থাকা কিংডোম হোল্ডিংসের একটি গুরুত্বপূর্ণ শেয়ার কর্তৃপক্ষকে দেওয়ার প্রস্তাব করেছেন।

তালালের জন্ম ১৯৫৫ সালের ৭ মার্চ। তিনি একাধারে সৌদি রাজ পরিবারের সদস্য, একজন ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী এবং সমাজকর্মী।

২০০৮ সালে প্রভাবশালী ও ঐতিহ্যবাহী মার্কিন সাময়িকী টাইম বিশ্বের শীর্ষ একশ প্রভাবশালী ব্যক্তিদের যে তালিকা করে তাতে স্থান করে নেন তালাল বিন আবদুল আজিজ।

সৌদি রাজ পরিবারের সাথে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। তালাল সৌদি আরবের প্রথম রাজা ইবনে সৌদের নাতি এবং তারপর সৌদি আরবের সিংহাসনে বসা সব রাজাদের সৎ ভাইপো। তার আর একটি পরিচয় হচ্ছে তিনি লেবাননের প্রথম প্রধানমন্ত্রী রিয়াদ আল সোলহ’র ও নাতি।

তালাল রাজকীয় পরিবারের বাইরে একজন সফল ব্যবসায়ী। তিনি রিয়াদভিত্তিক বিনিয়োগ বিষয়ক হোল্ডিং প্রতিষ্ঠান ‘কিংডম হোল্ডিং কোম্পানি’র প্রতিষ্ঠাতা, চেয়ারম্যান এবং ৯৫ শতাংশ শেয়ারের মালিক।

বাণিজ্য সাময়িকী ফোর্বসের তৈরি করা বিশ্বের শীর্ষ ২ হাজার কোম্পানির তালিকাতে থাকা কিংডম হোল্ডিং কোম্পানি বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার বিনিয়োগ করেছে। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হচ্ছে অর্থনৈতিক সেবা, পর্যটন, গণমাধ্যম, বিনোদন, খুচরা ব্যবসায়, কৃষি, পেট্রোক্যামিকেলস, এভিয়েশন, প্রযুক্তি এবং নির্মাণ শিল্প।

আল-ওয়ালিদ মার্কিন বহুজাতিক আর্থিক, ব্যাংকিং, বিনিয়োগ সেবা প্রতিষ্ঠান সিটি গ্রুপের সবচেয়ে বেশি ব্যক্তিগত শেয়ারের মালিক, মার্কিন গণমাধ্যম কোম্পানি টোয়েনটি ফাস্ট সেঞ্চুরি ফক্সের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শেয়ারের মালিক, প্যারিসে অবস্থিত পাঁচ তারকা হোটেল ‘ফোর সিজনস হোটেল জর্জ ভি’র মালিক এবং নিউইয়র্কে অবস্থিত অপর পাঁচ তারকা হোটেল ‘প্লাজা হোটেল’র আংশিক মালিক। তাছাড়া তালাল বিনিয়োগ করেছেন টুইটার,অ্যাপল, রুপার্টি মার্ডকের নিউজ কর্পোরেশনস এবং রাইড শেয়ারিং কোম্পানি লিফট এ।

২০১৩ সালের এক হিসেবে দেখা গেছে তালালের কোম্পানির মূলধনের বাজার মূল্য ১ হাজার ৮০০ কোটি ডলার। তবে বর্তমানে তা আরও অনেক বেশি।

২০১৭ সালের নভেম্বরে ফোর্বস তালাল বিন আবদুল আজিজকে বিশ্বের শীর্ষ ৪৫তম ধনী ব্যক্তি হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এ সময় তার সম্পত্তির নেট মূল্যমান ছিল ১ হাজার ৮০০ কোটি ডলার। টাইম ম্যাগাজিন তালাল বিন আবদুল আজিজকে ‘অ্যারাবিয়ান ওয়ারেন বাফেট’ নামে আখ্যায়িত করে।

গত বছর তালাল বিন আবদুল আজিজ ভবিষৎতে তার সম্পত্তি মানবসেবায় দান করে দেওয়ার ঘোষণা দেন। একই সাথে তিনি নারী ক্ষমতায়ন ও সাংস্কৃতিক বুদ্ধি বৃদ্ধির জন্য কাজ করে যাওয়ারও অঙ্গীকার করেন। এতকিছুর পর তাকে কেন আটক করা হয়েছে এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। প্রিন্স তালালের প্রতিষ্ঠান কিংবা নিকটাত্মীরাও এখনও মুখ খোলেননি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
অবশেষে ৫০০ বছরের রহস্য উন্মোচন!

১৫২০ সাল থেকে ২০১৭ সাল এর মধ্যে পেরিয়ে গেছে ৪৯৭টি বছর। পৃথিবীর ইতিহাসে যুক্ত হয়েছে নানা উত্থান-পতনের ঘটনা। তবে এরই মধ্যে অক্ষত ছিল ভ্যাটিক্যান জাদুঘরের দুটি চিত্রকর্ম কিন্তু এগুলো সম্পর্কে কিছু রহস্য ও প্রশ্নের কোনও উত্তর খোঁজে মেলেনি এতোদিন। অবশেষে ভ্যাটিকানের প্রায় ৫০০ বছর ধরে অন্ধকারে থাকা কিছু প্রশ্ন আলোর মুখ দেখলো।

রেঁনেসা যুগের বিখ্যাত চিত্রকর রাফায়েলের দুটো ছবি খুঁজে পাওয়া গেছে। ভ্যাটিকান জাদুঘরের একটি কক্ষ পরিষ্কারের সময় এগুলোর দেখা মেলে। মাত্র ৩৭ বছর বয়সে ১৫২০ সালে মৃত্যুবরণ করেন রাফায়েল। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, মৃত্যুর পূর্বকালে এগুলোই তার আঁকা শেষ ছবি।

এ প্রসঙ্গে ভ্যাটিকানের প্রধান সংরক্ষক ফাবিও পিয়াসেনিতি জানা ন, এটা একটা বড় ধরনের আবিষ্কার বলা যায়। দীর্ঘ ৫০০ বছরের রহস্য উন্মোচিত হয়েছে। তার শেষ দুটো চিত্রকর্ম এগুলো। এক মহান চিত্রশিল্পীর অমূল্য সম্পদ এগুলো।

দুটো নারী চরিত্র আঁকা হয়েছে চিত্রকর্মে। একজন তুলে ধরেছেন ন্যায়বিচার, আরেকজন বন্ধুত্ব।

১৫১৯ সালের দিকে এগুলো আঁকা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই কক্ষের কিছু কাজ পেয়েছিলেন তিনি। অন্যান্য কাজ মৃত্যুর আগে শেষ করতে পারেননি রাফায়েল। তবে তার মৃত্যুর পর অন্যান্য চিত্রকররা কক্ষের বাকি কাজ শেষ করেন এবং পরে এই দুই চিত্রকর্মের কথা ভুলে যান।

১৫০৮ সালে পোপ জুলিয়াস দ্বিতীয় তার ব্যক্তিগত অ্যাপার্টমেন্টের তিনটি কক্ষের পেইন্টিংয়ের কাজ পেয়েছিলেন রাফায়েল। আজ এই তিনটি কক্ষ ‘রাফায়েলস রুমস’ হিসেবে পরিচিত। এসব কক্ষের দেয়াল চিত্র ‘স্কুল অব এথেন্স’ নামেও পরিচিত।

ওই অ্যাপার্টমেন্টের সবচেয়ে বড় ও চতুর্থ কক্ষে কাজ শুরুর চিন্তা করেছিলেন তিনি। সেখানে তিনি সেই সময় প্রচলিত ফ্রেস্কো পদ্ধতির পরিবর্তে তেল রং ব্যবহারের চিন্তা করেছিলেন।

১৫৫০ সালে জর্জিও ভাসারির লেখা ‘লাইভস অব দ্য মোস্ট এক্সেলেনরট পেইন্টার্স, স্কাল্পচার্স অ্যান্ড আর্কিটেকচার্স’ বইয়ের রেখা রয়েছে যে, রাফায়েল তেল রং নিয়ে নতুন ধরনের গবেষণা শুরু করেছেন। এই তথ্যটি রাফায়েলের চিত্রকর্ম খুঁজে বের করার সূত্র হিসেবে কাজ করছিল। যে দুটো ছবি মিলেছে সেগুলো তেল রংয়ের আঁকা হয়েছে। দেয়ালের বাকি চিত্র ফ্রেস্কো পদ্ধতিতে আঁকা। আল্ট্রা-ভায়োলেট এবং ইনফ্রারেডের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, ছবিগুলো রাফায়েলের আঁকা এবং তেল রংয়ে আঁকা হয়েছিল।

ফাবিও জানান, সেই সময় ব্রাশওয়ার্কের সাহস একমাত্রা রাফায়েরই ছিল। দেয়ালে ব্রাশওয়ার্কের কাজও রয়েছে। আরো কিছু অনন্য পদ্ধতি ব্যবহার করেছিলেন তিনি এগুলো আঁকতে।

রাফায়েলের ছবি দুটো মেরামত করতে হবে। দুটো ছবির মেরামতের কাজ করতে ২০২২ সাল লেগে যাবে। এতে খরচ ধরা হয়েছে ২.৭ মিলিয়ন ইউরো। এর জন্য ফান্ড গঠন করা হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
২৬ বলে বাবর আজমের সেঞ্চুরি!

ক্রিকেটের ক্ষুদ্র আসর টি-টেন। প্রথমবারের মতো ক্রিকেটের এই ক্ষুদ্র আসর বসে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। আর এই আসর ক্রিকেট বিশ্বে তুমুল আগ্রহ তৈরি করেছে। তবে এ আসরের রেশ কাটতে না কাটতেই পাকিস্তানের মাটিতে টি-টেন ম্যাচের আয়োজন করা হয়।

শহিদ আফ্রিদি ফাউন্ডেশন আয়োজিত চ্যারিটি ম্যাচে রবিবার ফয়সালাবাদে মুখোমুখি হয় এসএএফ রেডস ও এসএএফ গ্রিন। আর সেই ম্যাচে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন বাবর আজম। পাকিস্তান জাতীয় দলের এই তরুণ ব্যাটসম্যান সংক্ষিপ্ত এই ক্রিকেটে মাত্র ২৬ বলেই শতকের দেখা পান।

ব্যাটিংয়ে নেমে ১০ ওভারে ২০১ রানের পাহাড় গড়ে এসএএফ রেডস। ২০২ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাবরের দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরিতে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে এসএএফ গ্রিন। ১১টি ছক্কা এবং ৭টি চারে মাত্র ২৬ বলে সেঞ্চুরি করেন বাবর। এছাড়াও ব্যাট হাতে ঝড় তুলেন শোয়েব মালিক ও ফখর জামান। শোয়েব ২০ বলে ৮৪ ও ফখর জামান ২৩ বলে ৭৬ রান করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest