হেঁচকি বন্ধ করার সহজ কিছু উপায়

স্বাস্থ্য ও জীবন : হেঁচকি অনেক সময় আমাদের বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলে দেয়। মাঝে মাঝে কয়েক ঢোক পানি খেলে হেঁচকি থেমে যায়। আবার কখনও কখনও প্রচুর পানি খেয়েও হেঁচকি থামানো যায় না। তবে এই সমস্যা থেকে মুক্তির কিছু সহজ উপায় আছে।
১. দ্রুত হেঁচকি উঠা প্রতিরোধ করতে তাৎক্ষণিকভাবে দুই কানে হাতের দুই আংগুল পুরে দিন। হেঁচকি উঠা থেমে যাবে।
২. হেঁচকি শুরু হলে তাজা আদা কুঁচি কুঁচি করে কেটে মুখে নিয়ে চুষলে হেঁচকি উঠা বন্ধ হবে।
৩. হেঁচকি উঠা শুরু হওয়ার সাথে সাথে এক চামচ চিনি মুখে নিয়ে খেতে থাকুন। দেখবেন হেঁচকি উঠা বন্ধ হয়ে যাবে।
৪. একটানা হেঁচকি উঠতে থাকলেই এক চামচ ভিনেগার জিভের উপর নিয়ে নিন। এর টক স্বাদ আপনার হেঁচকি উঠা বন্ধ করবে।
৫. হেঁচকি উঠায় দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ হিসেবে এক চামচ মধু গরম পানিতে মিশিয়ে পান করুন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কোমর ব্যথায় যে ৫ কাজ করবেন না

স্বাস্থ্য ও জীবন: দৈনন্দিন জীবনে আমরা সকলেই কোনো না কোনো কাজে ব্যস্ত থাকি। আর যারা চাকরি করেন, তাদের অফিসে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকতে হয়। এরকম নানা কারণে অনেকেই কোমর ব্যথায় ভুগে থাকেন। কোমরে ব্যথা থাকলে কিছু কাজ এড়িয়ে যাওয়া উচিত। জেনে নিন কি কি করবেন না:
১. ভারী জিনিস বহন করলে কোমর ব্যথা বাড়তে পারে। তাই একবারে বেশি ওজন বহন না করবেন না।
২. কোমর ব্যথায় আক্রান্তরা সাধারণত ব্যায়াম করা থেকে নিজেদের বিরত রাখেন। কিন্তু এটা ভুল ধারণা। ব্যায়াম পেশিকে শক্ত করে এবং শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। তাই ব্যায়াম করুন। তবে কোন ধরনের ব্যায়াম আপনার জন্য সঠিক সেটি জেনে নিতে হবে।
৩. বসার সময় হাত ও পায়ের অবস্থান ঠিকমতো না থাকলে কোমর ব্যথা বাড়তে পারে। সামনের দিকে ঝুঁকে না বসে মেরুদ- সোজা রেখে বসুন। আর অন্তত এক ঘণ্টা অন্তর একটু হাঁটুন, বসার প্যাটার্ন পরিবর্তন করুন। এ ক্ষেত্রে চেয়ার পরিবর্তন করেও দেখতে পারেন।
৪. কোমর ব্যথা হলে অনেকেই গরম বা ঠা-া পানির সেঁক দিয়ে থাকেন। এতে অল্প সময়ের জন্য আরাম হলেও দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা কমানো সম্ভব হয় না। তাই বাড়িতে চিকিৎসা না করে চিকিৎসক ও ফিজিওথেরাপিস্টের সাহায্য নিন। আর এক সপ্তাহের বেশি ব্যথা থাকলে দেরি করবেন না। অবশ্যই চিকিৎসক অথবা ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শ নিন।
৫. ব্যথা হলে নিজেই ডাক্তারি করবেন না। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খাবেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মিষ্টি কুমড়ার মিষ্টি গুণ

স্বাস্থ্য ও জীবন: মিষ্টি কুমড়া আমাদের সবার পরিচিত একটি সবজি। এর রয়েছে নানা গুণ। প্রতি ১০০ গ্রাম মিষ্টি কুমড়ায় আছে আমিষ ১ দশমিক ৪ গ্রাম, শর্করা ৪ দশমিক ৫ গ্রাম, চর্বি ০ দশমিক ৫ গ্রাম, খনিজ লবণ ০ দশমিক ৭ গ্রাম, ভিটামিন বি ০ দশমিক ৭ মিলিগ্রাম, ভিটামিন সি ২৬ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ৪৮ মিলিগ্রাম, কোলোস্টেরল দশমিক ০৬ মিলিগ্রাম, লোহা ০ দশমিক ৭ মিলিগ্রাম ও বিটা ক্যারোটিন ৭২০০ মাইক্রোগ্রাম। এছাড়াও বি কমপ্লেক্স, সি, ই, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, জিংক, ফ্লেভনয়েড পলি ফেনলিক, অ্যান্টিঅক্সিডেণ্ট উপাদান সমূহ যেমন লিউটিন, জ্যানথিন রয়েছে।
মিষ্টি কুমড়াতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ। বিটাক্যারোটিন সমৃদ্ধ এই সবজিটি তাই চোখের জন্য খুবই ভালো। রেটিনার বিভিন্ন অসুখ প্রতিরোধে মিষ্টি কুমড়া বিশেষ ভূমিকা পালন করে। শুধু চোখের অসুখ নয়, ভিটামিন এ এর অভাবজনিত অন্যান্য রোগেও মিষ্টি কুমড়া উপকারী।
গর্ভবতী মায়েদের স্বাস্থ্যের জন্য কুমড়া অনেক উপকারী খাদ্য। এটি পাশাপাশি হজম শক্তি বৃদ্ধি করে ও কুমড়ার আয়রন বাচ্চাকে অক্সিজেন দিতে সাহায্য করে ও মায়ের রক্তশূন্যতা রোধ করে।
মিষ্টি কুমড়াতে অধিক পরিমাণে বিটাক্যারোটিন। বিভিন্ন দূষণ, স্ট্রেস ও খাবারে যে সব কেমিক্যাল ও ক্ষতিকর উপাদান থাকে সেগুলোর কারণে ফ্রি রেডিকাল ড্যামেজ হতে শুরু করে। মিষ্টি কুমড়া ফ্রি রেডিকাল ড্যামেজ প্রতিরোধ করতে পারে।
মিষ্টি কুমড়া নিয়মিত খেলে হৃদরোগও প্রতিরোধ করা যায়। তাছাড়া প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম যা হাইপারটেনশন এবং হৃদরোগ দূরে রাখে। এছাড়া মিষ্টি কুমড়ার বিভিন্ন উপাদান প্রস্রাবের সমস্যা কমায় ও কিডনিতে পাথর হতে বাধা প্রদান করে।
মিষ্টি কুমড়ায় প্রচুর পরিমাণে আঁশ থাকায় তা সহজেই হজম হয়। হজমশক্তি বৃদ্ধি ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে মিষ্টি কুমড়া ভূমিকা রাখে।
মিষ্টি কুমড়াতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে জিংক ও আলফা হাইড্রোক্সাইড। জিংক ইমিউনিটি সিস্টেম ভালো রাখে ও অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এছাড়া বয়সের বলিরেখা মুছে ত্বক উজ্বল করতেও মিষ্টি কুমড়া সাহায্য করে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সন্ত্রাস রুখতে মুসলিমদের ওপর কড়া নজরদারি চীনের

দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের শিনজিয়ান প্রদেশের মুসলিমদের ওপর সেদেশের প্রশাসনের নির্যাতনের অভিযোগ নতুন নয়। ২০১৩ সাল থেকে শিনজিয়াংসহ চীনের বিভিন্ন জায়গায় একাধিকবার জঙ্গি হানা হয়েছে। ২০১৪ সালে উনান প্রদেশে কুমিং রেলওয়ে স্টেশনে জঙ্গি হানায় ৩৫ জনের প্রাণ গেছে। এরপরই সন্ত্রাস রুখতে নড়েচড়ে বসে চীনা প্রশাসন।

অভিযোগ পাওয়া গেছে, অধিকাংশ হামলাতেই দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের উইঘুর সম্প্রদায়ের সদস্যদের যোগ মিলেছে। চীনের উইঘুর সম্প্রদায়ের ওপর অত্যাচারের মাত্রা ক্রমশ বাড়ছে। এই সম্প্রদায়ের ওপর কড়া নজরদারি চালাচ্ছে চিনা প্রশাসন।

চীন সরকারের দাবি, উইঘুরদের মূলস্রোতে ফেরাতে নতুন করে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। শিনজিয়ানের রাজধানী উরুমকিতে বসবাসকারী মানুষের জীবনযাত্রার উপর ১০০ পয়েন্ট ধার্য করেছে প্রশাসন। উইঘুর সম্প্রদায় হলে আগেই ১০ নম্বরকাটা যাবে বলে জানানো হয়েছে। ১৫ থেকে ৫৫ বছর বয়সী উইঘুররা নামাজ পড়লে কিংবা ধর্মীয় শিক্ষা নিলে আরও ১০ নম্বর কাটা যাবে।

চীনের শিনজিয়ান প্রদেশে প্রায় এক কোটি উইঘুরদের বাস। রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মুখে পড়ে অনেকেই সেখান থেকে পালিয়ে চলে যাচ্ছেন বিভিন্ন দেশে। পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখলে বিপদ বাড়তে পারে, এই আশঙ্কায় অনেকে আবার চিরতরে সম্পর্ক ছিন্ন করছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মেসি-রোনালদোকে ভুলে যান, এই এল ক্লাসিকো অনেক বেশি রাজনৈতিক!

পঞ্চম ব্যালন ডি’অর হাতে নিয়ে নিজেকে ইতিহাসের সেরা দাবি করেছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। আজ শনিবার এল ক্লাসিকোতে তার সেটি আরেকবার প্রমাণ করে দেখাতে হবে।

শুধু কথার লড়াইয়ে নয়, মাঠের লড়াইয়ে বার্সেলোনার লিওনেল মেসির সঙ্গে তার দক্ষতার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। সেটি না পারলে তাকে যে অনেক সমালোচনা শুনতে হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা।

কিন্তু এই এল ক্লাসিকোতে শুধু বার্সেলোনার সঙ্গে রিয়াল মাদ্রিদের লড়াই নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বৃহত্তর রাজনৈতিক সাবপ্লট! বার্সেলোনা স্পেনের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চন কাতালোনিয়ার ক্লাব। এই অঞ্চলটি দীর্ঘদিন ধরে স্পেন থেকে মুক্ত হয়ে আলাদা রাষ্ট্র গঠন করতে চাইছে।

এ নিয়ে বৃহস্পতিবার ভোটের আয়োজনও করে স্পেন সরকার। সেখানে কাতালোনিয়ার স্বাধীনতাপন্থীদেরই নিরঙ্কুশ জয় হয়েছে। সেই ফলাফলের পর বেলজিয়ামে স্বেচ্ছনির্বাসনে থাকা কাতালোনিয়ার স্বাধীনতাপন্থী নেতা কার্লোস পুজেমন তো বলেই দিয়েছেন, ‘এতে স্পেন হেরেছে। আর কাতালোনিয়া প্রজাতন্ত্র জিতেছে।’

আজ মাঠের লড়াইয়ে ‘স্পেনের দল’ রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে লড়াইয়ে নামবে ‘কাতালোনিয়া প্রজাতন্ত্রের’ ক্লাব বার্সেলোনা! সূত্র : গার্ডিয়ান

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
হেলিকপ্টারে উড়ে হাতিতে চেপে এলেন বর

সকাল ১১টা। সোনাতলা মডেল উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজ মাঠে এসে নামল একটি হেলিকপ্টার।
কপ্টার থেকে বেরিয়ে এলেন পাগড়ি, শেরোয়ানি, চোস্ত পায়জামা আর নাগরা পরা এক ব্যক্তি। এরপর হাতিতে চড়ে দেড় শতাধিক সঙ্গীকে নিয়ে বাদ্য-বাজনার মধ্যে চললেন। আর রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে এই দৃশ্য উপভোগ করল হাজারো মানুষ।

বগুড়ায় সোনাতলায় এভাবেই এসে বিয়ে করলেন চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার সফটওয়্যার প্রকৌশলী শামসুল আরেফীন খান। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার কাবিলপুর গ্রামে এ ‘রাজকীয়’ বিয়ে হয়।

বর আরেফীন মতলব উত্তরের খানবাড়ি পূর্বনাউরী এলাকার প্রবাসী শায়েস্তা খানের একমাত্র ছেলে। কনে ফারজানা আকতার স্নিগ্ধা সোনাতলার সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কাবিলপুরের মৃত শামসউদ্দিন আকন্দের ছেলে জাকির হোসেন বেলালের বড় মেয়ে। স্নিগ্ধাও সফটওয়্যার প্রকৌশলী।

শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে আরেফীন হেলিকপ্টারে করে সোনাতলা মডেল উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজ মাঠে অবতরণ করেন।
তাঁর সঙ্গে ছিলেন মা জেসমিন খান, বোন ও বোনজামাই। সেখান থেকে বরকে হাতিতে চড়িয়ে বাদ্য-বাজনার মধ্যে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে শ্বশুরবাড়ি কাবিলপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। হাজারো উত্সুক মানুষ রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে বরের যাওয়ার দৃশ্য উপভোগ করে।

দেড় শতাধিক বরযাত্রী বিয়ের আগের দিন বৃহস্পতিবার বগুড়ায় এসে শহরের একটি আবাসিক হোটেলে রাত্রি যাপন করে। শুক্রবার সকালে ১৫টি মাইক্রোযোগে বিয়েবাড়িতে আসে তারা। বর হাতি থেকে নেমে স্থানীয় মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েন। পরে বিয়ের আসরে বসেন। স্থানীয় কাজি হাবিবুর রহমান হাবিব বিয়ে রেজিস্ট্রি করেন। সোনাতলা ফাজিল ডিগ্রি মাদরাসার অবসরপ্রাপ্ত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক বিয়ে পড়ান। বিয়েতে কাবিন ধার্য করা হয় ১৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা। আমন্ত্রিত অতিথি ছিল প্রায় চার হাজার। অতিথিদের মধ্যে ছিল সোনাতলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সহসভাপতি এ কে এম আহসানুল তৈয়ব জাকির, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিয়াউল করিম শ্যাম্পো, সোনাতলা পৌরসভার মেয়র জাহাঙ্গীর আলম নান্নু, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। বিয়েতে ব্যয় হয় প্রায় ৪০ লাখ টাকা।

বিয়ে অনুষ্ঠানের বাবুর্চি মঞ্জুর রহমান জানান, ২০ মণ চাল, চারটি গরু, আটটি খাসি জবাই করে রান্না করা হয়। রোস্ট করা হয় সাড়ে তিন হাজার মুরগি। আরো ছিল বিরিয়ানি, কাচ্চি বিরিয়ানি, সালাদ, দই, বোরহানি, মিষ্টি, কোমল পানীয়।

কনের বাবা জাকির হোসেন জানান, তাঁর চার মেয়ের মধ্যে স্নিগ্ধা সবার বড়। শখ ছিল, মেয়ের জামাইকে হাতিতে করে বাড়ি নিয়ে আসবেন। এ জন্য তিনি হাতির আয়োজন করেন। স্নিগ্ধা জানান, তাঁর বাবা একজন শৌখিন মানুষ। তিনি মা-বাবার বড় মেয়ে বলে বিয়েতে ব্যাপক আয়োজন ও ধুমধাম করা হয়।

বর শামসুল আরেফীন জানান, তিনি ঢাকার একটি প্রাইভেট কম্পানিতে চাকরি করেন। তাঁর বাবা জাপানপ্রবাসী। মাসে তাঁদের আয় ৮-১০ লাখ টাকা। হেলিকপ্টারে আসতে তাঁর ব্যয় হয়েছে আড়াই লাখ টাকা।

বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিকেল ৪টায় বর-কনে, বরের মা ও বোন হেলিকপ্টারে চেপে সোনাতলা মডেল উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজ থেকে রওনা দেন। কয়েক হাজার উত্সুক মানুষ সেখানে উপস্থিত ছিল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
যে কারণে রংপুরেআ ‘লীগের ভয়াবহ বিপর্যয়

হিসাব-নিকাশ চলছে কী কারণে ভয়াবহ ফল বিপর্যয় হয়েছে রংপুর সিটিতে আওয়ামী লীগের। সব প্রার্থীর চেয়ে মোট ভোটে চমক দেখিয়েছেন জাতীয় পার্টির মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। বিএনপি আগে থেকেই রংপুরে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী ছিল না। কিন্তু আওয়ামী লীগের সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু টানা পাঁচ বছর মেয়রের দায়িত্ব পালন করেন। কুমিল্লার পর রংপুরের এ হার নিয়ে দলের একটি গ্রুপ নিজেদের অন্যভাবে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করলেও বাস্তবতা ছিল সম্পূর্ণ আলাদা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকারের গোছানো নির্বাচনী পরিকল্পনার অভাব, জাতীয় পর্যায়ে টানা ক্ষমতায় থাকার কারণে সার্বিক সরকারবিরোধী সেন্টিমেন্ট, রংপুরে ঝন্টুর পরিকল্পিত উন্নয়ন না করা, সাধারণ মানুষের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার ও দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে দূরত্ব ফল বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ। কয়েক বছর ধরে সংগঠনের দিকে নজর দেওয়ার চেয়ে স্থানীয় নেতারা অভ্যন্তরীণ বিরোধে বেশি সময় কাটিয়েছেন। মেয়র পদে নিত্যনতুন ভোগবিলাসী প্রার্থীদের আনাগোনা, হেলিকপ্টার নিয়ে ওড়াউড়ি, নায়ক-নায়িকাদের নাচানাচি দলের ভিতরে সংকট তৈরি করেছিল। যার বিরূপ প্রভাব মেয়র নির্বাচনে পড়ে।

রংপুর আওয়ামী লীগের একজন নেতা বলেন, ঝন্টুর বিরুদ্ধে দলের কারা কাজ করেছেন তাও বের করতে হবে। যারা পরিকল্পিতভাবেই আওয়ামী লীগকে ডুবিয়েছেন তাদের কথা দলের নীতিনির্ধারক মহল জানে। এর বিপরীতে জাতীয় পার্টির মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা খুবই জনপ্রিয় প্রার্থী। গত মেয়র নির্বাচনে তিনি দলের মনোনয়ন পাননি। তার পরও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিলেন। এ কারণে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এবার তার ভাতিজাকে বাদ দিয়ে তাকে মনোনয়ন দিয়েছেন। জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় একটি টিম দলের গ্রুপিং বন্ধে সক্ষম হলেও আওয়ামী লীগ তা পারেনি। বরং আওয়ামী লীগের গ্রুপিং সর্বনাশ ডেকে আনে। কুমিল্লার পর রংপুরের বিপর্যয় আগামী সিটি নির্বাচনগুলোয় পড়বে না আওয়ামী লীগ নেতারা এমনটি মনে করলেও পর্যবেক্ষকদের মধ্যে উৎকণ্ঠা রয়েছে। অনেকে মনে করেন, রংপুর আর কুমিল্লা থেকে শিক্ষা না নিলে এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব সরকারি দলে পড়তে পারে।

এদিকে আমাদের রংপুর প্রতিনিধি শাহজাদা মিয়া আজাদ জানান, পাঁচ বছর মেয়রের দায়িত্ব পালনকালে রংপুর সিটি এলাকায় চোখে পড়ার মতো উন্নয়ন করেছিলেন সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু। সিটি এলাকায় আওয়ামী লীগেরও ৫০-৬০ হাজার ভোট রয়েছে। ৬০ হাজার ভোট রয়েছে হিন্দু সম্প্রদায়ের। নিজেরও ৪০ হাজারের বেশি পকেট ভোট রয়েছে বলে দাবি করেছিলেন ঝন্টু। এত ভোট, এত উন্নয়ন কোনোটাই নৌকার জয়ের পালে হাওয়া লাগাতে সহায়তা করেনি। বরং নৌকার ভরাডুবি হয়েছে। ৯৮ হাজার ৯৮ ভোটের ব্যবধানে ঝন্টুকে পরাজিত করে নগর পিতা হলেন জাতীয় পার্টির মোস্তফা। সিটির প্রথম নির্বাচনে নাগরিক কমিটির প্রার্থী হয়ে ঝন্টু ২৮ হাজারের বেশি ভোটে মোস্তফাকে পরাজিত করে মেয়র হয়েছিলেন। তখন ঝন্টু পেয়েছিলেন ১ লাখ ৬ হাজার ২৫৫ ভোট। আর মোস্তফা ৭৭ হাজার ৮০৫ ভোট। আর এবার ঝন্টু পেয়েছেন ৬২ হাজার ৪০০ এবং মোস্তফা ১ লাখ ৬০ হাজার ৪৮৯ ভোট। কেন এমন হলো— নৌকাডুবির কারণ খুঁজতে গিয়ে দুটি কারণ উঠে এসেছে। বেশির ভাগ নগরবাসী মনে করেন, মানুষের সঙ্গে ঝন্টুর খারাপ আচরণই নৌকার জন্য কাল হয়েছে। আবার কেউ বলছেন ঝন্টুকে নৌকা প্রতীক দেওয়ায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ সক্রিয়ভাবে তার পক্ষে কাজ করেনি। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের যে ১৩ নেতা মনোনয়ন চেয়ে ব্যর্থ হয়েছেন তারা ঝন্টুর পক্ষে গণসংযোগে অংশ নিলেও তা ছিল ‘লোক দেখানো’। ওই নেতারা ঝন্টুকে মনেপ্রাণে মেনে নিতে পারছিলেন না। ঝন্টুকে হারানোর পেছনে তারাও অনুঘটকের কাজ করেছেন। সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) রংপুর জেলা শাখার সাবেক সভাপতি অধ্যাপক মলয় কিশোর ভট্টাচার্য বলেন, ‘জনগণই সকল ক্ষমতার মালিক। তারা জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে অর্থ-সম্পদ চায় না। তারা চায় জনপ্রতিনিধি হবেন জনবান্ধব। তাদের কাছ থেকে ভালো আচরণ, সম্মান আশা করে সবাই। ঝন্টু সাহেব তা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। ফলে ঝন্টুর পাশাপাশি নৌকার পরাজয় হয়েছে বলে আমি মনে করি।’

বাংলাদেশ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (বাকবিশিস) রংপুর জেলা শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ আবদুল ওয়াহেদ মিঞা বলেন, ‘হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সাহেব দীর্ঘদিন রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিলেন। ২৬ বছর ধরে রংপুর সদর আসনের এমপি। তিনি কোনো উন্নয়ন করেননি। সিটিতে যত উন্নয়ন হয়েছে তা গত ১০ বছরে হয়েছে। পাঁচ বছরে ২০৩ বর্গকিলোমিটার আয়তনের সিটি করপোরেশনে সব সমস্যা সমাধান করা কারও পক্ষে সম্ভব নয়। মেয়র ঝন্টু অনেক উন্নয়ন করেছেন। এর পরও মানুষ নৌকার ওপর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিল কেন? আমি মনে করি, এর পেছনে দুটি কারণ— একটি হলো ঝন্টু সাহেবের খারাপ আচরণ। মানুষ তার কাছ থেকে ভালো আচরণ পায় না। মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে তিনি মানুষকে মানুষ মনে করতেন না। যে কারণে এবারের ভোট তার জন্য কাল হয়েছে। আর দ্বিতীয় কারণ হলো আওয়ামী লীগ ঝন্টু সাহেবকে মনোনয়ন দিয়েছে ঠিকই কিন্তু ভোটের মাঠে স্থানীয় আওয়ামী লীগকে তার পক্ষে কোমর বেঁধে কাজ করতে দেখা যায়নি। দলীয় প্রার্থীকে জয়ী করে আনার জন্য ভোটের যত রকম কৌশল রয়েছে তা প্রয়োগ করা হয়নি। স্থানীয় নেতারা দায়সারাভাবে কাজ করেছেন। ফলে ভোটাররা লাঙ্গলের ওপর আস্থা রেখেছেন।’

জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোতাহার হোসেন মণ্ডল মওলা বলেন, ‘আমাদের প্রার্থী ঝন্টু ভাইয়ের পক্ষে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেছি। আমি দেখেছি মানুষ নৌকাকে ভোট দিতে চায়, ঝন্টু সাহেবের আচরণে তারা তার প্রতি ভীষণ ক্ষুব্ধ। কিছুতেই ভোটারদের সমর্থন আদায় করা যাচ্ছিল না। এ ছাড়া আমাদেরও যে গাফিলতি ছিল না তা নয়, আমরা অনেকেই একনিষ্ঠ হয়ে কাজ করতে পারিনি।’ ৬ নম্বর ওয়ার্ডের চব্বিশ হাজারী এলাকার ভোটার রায়হানুল কবীর, আশরাফুল আলমসহ বেশ কয়েকজন বলেন, ‘গত নির্বাচনে আমরা এলাকার মানুষ ঝন্টুর পক্ষে কাজ করেছিলাম। চব্বিশ হাজারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ২ হাজার ৯০০ ভোটের মধ্যে ঝন্টু পেয়েছিলেন ১ হাজার ৭০০। এবার পেয়েছেন মাত্র ৩৪৪ ভোট। গতবার মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর আমরা তার অফিসে এলাকার একটা উন্নয়নকাজের জন্য গিয়েছিলাম। তিনি আমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে বের করে দিয়েছিলেন। ভোটে তার ফলও পেয়েছেন। এলাকার মানুষ লাঙ্গলে ভোট দিয়েছে।’

সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কাঞ্চনের সাথে ঋতুপর্ণার বিয়ে!

হেডলাইনটা ঠিকই পড়ছেন। আর নিশ্চয়ই আন্দাজ করতে পারছেন এ ঘটনা রিয়েল নয়, রিল লাইফের।ঠিকই গেস করছেন আপনি। এ ঘটনা ফিল্মি পর্দার। সৌজন্যে হরনাথ চত্রবর্তীর ছবি ‘ধারাস্নান’। সেখানেই কাঞ্চন মল্লিকের সাথে বিয়ে হয়েছে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের।

হরনাথ জানালেন, উল্লাস মল্লিকের গল্প অবলম্বনে এই ছবির শুটিং শেষ হয়েছে ২০১৪ সালে। প্রযোজকের কিছু আর্থিক সমস্যা থাকায় ছবিটা এতদিন মুক্তি পায়নি। তবে এগিয়ে এসেছিলেন স্বয়ং ঋতুপর্ণা। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী জানুয়ারিতেই মুক্তি পেতে পারে ছবিটি।

গল্পটা ঠিক কেমন? পরিচালকের কথায়, ঋতুপর্ণার চরিত্রের নাম তমসা। সে ধর্ষিতা হওয়ার পর তার প্রেমিক ছেড়ে চলে যায়। পরিবারও মুখ ফিরিয়ে নেয়। কিন্তু নিজের দোষে তো সে ধর্ষিতা হয়নি। এরপর কাঞ্চনের দাদাকে দেখিয়ে বরপক্ষ বিয়ে দেয় কাঞ্চনের সঙ্গে। কাঞ্চনের চরিত্রের নাম শান্তশীল বারুই। এই প্রতারণার পর তমসার মনে হয় সে যেন জীবনে দ্বিতীয়বার ধর্ষিতা হল। দুই নারীর সংঘাতে শেষ হয় ছবি।

ঋতুপর্ণা ও কাঞ্চন ছাড়াও এ ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অভিনয় করেছেম বিশ্বজিত চক্রবর্তী, শ্রীলা মজুমদার প্রমুখ। প্রয়াত দিশা গঙ্গোপাধ্যায়কেও দেখা যাবে একটি বিশেষ চরিত্রে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest