সর্বশেষ সংবাদ-
মণিরামপুরে আনসার ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের শুদ্ধাচার বিষয়ক সভাসম্প্রীতি এইড ফাউন্ডেশন এর আয়োজনে প্রকল্প অবহিতকরন সভাসকলকে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে, কোনো ধরণের অন্যায় বরদাস্ত করা হবে না–সামেকের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় ডা: রুহুল হকসাতক্ষীরার মেডিকেল এর সামনে বাইপাস সড়কে মোটরযানের উপর মোবাইল কোর্টআশাশুনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩ পদের বিপরীতে ১৩ প্রার্থীর শেষ মুহুর্তের বিরামহীন প্রচার প্রচারণা শেষ হলআশাশুনিতে অভ্যন্তরীণ বোরো সংগ্রহের উদ্বোধনশ্যামনগরে প্রধান শিক্ষক মান্নানের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের পুকুরের মাছ ধরে নেওয়ার অভিযোগআশাশুনিতে ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থীদের নির্দেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনসাতক্ষীরায় বজ্রপাতে এক শিশুর মৃত্যুসাতক্ষীরায় আইআরআই’র আয়োজনে ‘তর্কে বিতর্কে উপজেলা নির্বাচন’ নির্বাচনী বিতর্ক অনুষ্ঠিত

মোস্তাক আহমেদ রবিকে আবারও এমপি হিসেবে চায় আহলেহাদীছ আন্দোলন

নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পুনর্গঠন ও আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা মুহাঃ আলতাফ হোসেনের সংবর্ধনা উপলক্ষে কর্মী ও সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার বিকালে কদমতলা আহলেহাদীছ জামে মসজিদে আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ সদর উপজেলা শাখার সভাপতি মো. আব্দুল খালেক এর সভাপতিত্বে কর্মী ও সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা-০২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। এসময় তিনি বলেন, ‘ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলাম কখনও সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ সমর্থন করেনা। ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে মানুষকে যারা বিভ্রান্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আপনাদের ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশে^র সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।’ আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা মুহাঃ আলতাফ হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, আমরা আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ জেলার সকল সদস্য জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা আছি। জননেত্রী শেখ হাসিনার সকল কর্মকা-ে আমরা সম্পৃক্ত থাকবো। শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও সাফল্যে সদরে যে উন্নয়ন হয়েছে তা অকল্পনীয় তাই আবারো মীর মোস্তাক আহমেদ রবিকে সদরের এমপি হিসেবে চাই।’
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, জেলা আওয়ামীলীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এড. স.ম গোলাম মোস্তফা, আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা মুহাঃ আলতাফ হোসেন ও আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ সাতক্ষীরা জেলা শাখার উপদেষ্টা মো. সফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ সাতক্ষীরা জেলা শাখার সহ-সভাপতি মাওলানা ফজলুর রহমান, অর্থ সম্পাদক কেরামত আলী, আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ সাতক্ষীরা জেলা শাখার উপদেষ্টা অধ্যক্ষ আজিজুর রহমান, সৈয়দ নাজমুল হক বকুল। মো. আব্দুল খালেক সভাপতি ও আব্দুর রউফ আনছারীকে সাধারণ সম্পাদক করে ১০ সদস্য বিশিষ্ট আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ সদর উপজেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা আব্দুল মান্নান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার সকালে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বক্তব্য রাখেন জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির উপদেষ্টা সাতক্ষীরা-০২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. কাজী হাবিবুর রহমান. সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বাবু, অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার কে. এম. আরিফুল হক, সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আব্দুল খালেক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আব্দুল হান্নান, তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঘোষ সনৎ কুমার, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ কাজী আব্দুল মান্নান প্রমুখ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুষমা সুলতানা, তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফরিদ হোসেন, জেলা শিক্ষা অফিসার এস.এম ছায়েদুর রহমান, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী তানভীর আহমেদ, বিআরটি’র সাতক্ষীরা সার্কেলের সহকারী পরিচালক তানভীর আহমেদ চেীধুরী, সাতক্ষীরা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা এ. কে. এম আবু সাঈদ, সাতক্ষীরা টিএন্ডটি’র উপ-বিভাগীয় টেলিকম প্রকৌশলী শোকর আনা, জেলা ক্রীড়া অফিসার মো. খালিদ জাহাঙ্গীর, জেলা খাদ্য কর্মকর্তা ভারপ্রাপ্ত সুজিৎ কুমার, জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক হারুন অর রশিদ প্রমুখ।
সাতক্ষীরা জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার ভিত্তির অর্থায়নে সাতক্ষীরা পৌরসভার মাধ্যমে কুকরালী এলাকার ০৩ নং পানি শোধানাগার প্লান্ট দিয়েছেন সেটি দ্রুত চাল করতে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে পিডিবির আরিকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রসঙ্গে, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জনবল নিয়োগ সংক্রান্ত, ন্যাশনাল সার্ভিস কার্যক্রম বিষয়, স্বল্পমূল্যে ওমএস’র মাধ্যমে চাউল বিক্রয় করা, শহরের খড়িবিলা মোজাফ্ফার গার্ডেন সড়কের রাস্তা নির্মাণ, গুনগতমান বজায় রেখে শহরের প্রধান সড়ক সমূহ নির্মাণ ও মেরামতের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ সংক্রান্ত, শহর বাইপাস সড়কের কাজের অগ্রগতি বিষয়ে প্রধান প্রধান সিদ্ধান্ত সমুহের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। এসময় জেলার বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি দপ্তরের উন্নয়ন পর্যালোচনা করে দপ্তরের কর্মকর্তারা বক্তব্য রাখেন। এসময় সাতক্ষীরা জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় সংশ্লিষ্ট সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বাংলাদেশি হত্যায় সৌদিতে দুই ভারতীয় নাগরিকের শিরশ্ছেদ

সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে বাবুল হুসেইন জব্বার নামে এক বাংলাদেশিকে হত্যার দায়ে দুই ভারতীয় নাগরিকের শিরশ্ছেদ করা হয়েছে।

আদালতে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর বৃহস্পতিবার কুমার ভাস্কর নাম এবং লিয়াকত খান রহমান নামের ওই দুই ভারতীয় নাগরিকের শিরশ্ছেদ করা হয়।
সৌদি প্রেস এজেন্সীর বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে সৌদি গেজেট।

খবরে বলা হয়, জব্বার যে কোম্পানিতে চাকরি করতেন, সেই কোম্পানি থেকে টাকা চুরি হওয়ার সময় বাধা দেন তিনি। এসময় পেটে ছুরিকাঘাত করেছিলেন নাম। অপরদিকে রহমান জব্বারের গলা কাটার সময় নাম জব্বারকে জাপটে ধরে রেখেছিলেন। বিচারে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর রিয়াদে নাম ও রহমানের শিরশ্ছেদ করা হয়।
এদিকে, বিপুল পরিমাণ পরিমাণে আমফটামিন ঔষধ রাখার দায়ে একই দিন সৌদি নাগরিক ফালহান আল-সবেই এবং ফিলিস্তিনের মুহাম্মাদ জুমা আনবার আল-জওফের শিরশ্ছেদ করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মোদির সাথে কিমের তুলনা করে ২২ ব্যবসায়ী শ্রীঘরে

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-আনের সাথে তুলনা করে পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন কানপুরের একদল ব্যবসায়ী।

শহরের একটি ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে কানপুর জুড়ে হোর্ডিং লাগানো হয়েছিল, কিম যেভাবে দুনিয়াকে ধ্বংস করতে চান, মোদিও না কি সেভাবেই ভারতে ব্যবসাপাতি ধ্বংস করে দিচ্ছেন।

পুলিশের হাতে আটক হওয়ার পর ওই ২২জন ব্যবসায়ী অবশ্য মুচলেকা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীকে অপমান করার কোনও উদ্দেশ্য তাদের ছিল না।

তবে সম্প্রতি চালু হওয়া জিএসটি কর ও গত বছরের নোটবন্দী নিয়ে দেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের মধ্যে যে প্রবল ক্ষোভ তৈরি হয়েছে তা শাসক দল বিজেপিও পুরোপুরি অস্বীকার করতে পারছে না – আর কানপুরের ঘটনাতেও তা স্পষ্ট হয়ে গেছে।

আসলে ভারতের ‘বানিয়া’ সমাজ, অর্থাৎ ট্রেডার বা ব্যবসায়ীদের বরাবরই বিজেপি-র সমর্থক বলে ধরা হয়ে থাকে।

ফলে উত্তরপ্রদেশের কানপুরে সেই বানিয়ারাই যখন প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার স্বৈর শাসক কিম জং-আনের তুলনা করে পেল্লায় সব পোস্টার লাগান, তখন বুঝতে অসুবিধা হয় না বর্তমান সরকারের আমলে ব্যবসায়ীরা ঠিক স্বস্তিতে নেই।

কানপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অশোক কুমার ভার্মা বলছিলেন, “শহরের গোবিন্দনগর থানা এলাকায় এমন বেশ কিছু হোর্ডিং লাগানো হয়েছিল। যাতে পাশাপাশি ছিল কিম জং-আন আর নরেন্দ্র মোদির ছবি, একজনের ছবির নিচে লেখা দুনিয়াকে বরবাদ করেই আমি থামব – আর প্রধানমিন্ত্রীজির ছবির নিচে লেখা ব্যবসাপাতিকে বরবাদ না-করে আমি থামব না।”

এই হোর্ডিং জনরোষ তৈরি করেছে, এই অভিযোগে পুলিশ তাতে নাম থাকা রাজু খান্না-সহ মোট ২২জন ব্যবসায়ী নেতাকেই আটক করে।

মুচলেকা দিয়ে তারা আপাতত জামিন পেয়েছেন ঠিকই, কিন্তু সাড়ে তিন মাস আগে ভারতে চালু-হওয়া গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স বা জিএসটি-তে যে ব্যবসায়ীদের নাভিশ্বাস উঠেছে সেই বাস্তব তাতে আড়াল করা যাচ্ছে না।

দিল্লির সব্জিমান্ডিতে যেমন ব্যবসায়ীরা ক্ষুব্ধ, ব্র্যান্ডেড তরিতরকারিতে এই নতুন কর বসেছে -অথচ ‘ব্র্যান্ডেড সব্জি’ বলতে কী বোঝায় সেটাই স্পষ্ট নয়।

চাঁদনি চকে শুকনো ফলের পাইকারি বাজারেও বিভ্রান্তি চরমে, কারণ সেখানে কর শুধু বাড়েইনি – বাদামে ১২ শতাংশ আর কাজুতে ৫ শতাংশ জিএসটি নিয়েও গন্ডগোল হচ্ছে।

কানপুরে আটক হওয়া ব্যবসায়ীরা অবশ্য বলেছেন, তাদের প্রধান ক্ষোভ ছিল গত বছরের নোটবন্দীর পর থেকে ব্যাঙ্কগুলো তাদের কাছ থেকে খুচরো পয়সা আর নিতে চাইছে না।

বস্তুত নোটবন্দী আর জিএসটি-র এই জোড়া আক্রমণেই কিন্তু ভারতের ব্যবসায়ীরা দিশেহারা বোধ করছেন।

গত বছরের নোটবন্দীর মতোই জিএসটি-র নতুন পদ্ধতিতে সাধারণ ব্যবসায়ীরাই বেশি ভুগছে বলে তাদের দাবি। পেট্রোল-ডিজেলে কেন জিএসটি বসিয়ে জ্বালানি তেলের দাম কমানো হল না, সে প্রশ্নও উঠছে।

নতুন চালু হওয়া জিএসটি পদ্ধতিতে এমন বহু জিনিসের ওপর কর বসেছে, যাতে আগে কখনও কর ছিল না। এর মধ্যে একটা হল জামাকাপড়।

রেডিমেড পোশাকের মতো এখন ছিটকাপড়েও কর বসায় গরিবরা ভুগছেন বলে ব্যবসায়ীদের দাবি। দোকানে ঢুকে ক্রেতারা যখন শুনছেন জিএসটি গুনতে হবে, তারা ফিরে যাচ্ছেন।

ভারতে ব্যবসায়ী সমিতির প্রথম সারির নেতা ওপি আগরওয়াল তাই স্পষ্টই বলছেন, “চিরকাল বিজেপিকে সমর্থন করে আসার পর আমরা ব্যবসায়ীরা মোদি সরকারের কাছ থেকে কখনওই এটা আশা করিনি।”

কিন্তু ব্যবসায়ীদের এই ক্ষোভ-অসন্তোষ কি বিজেপি টের পাচ্ছে না? দলের কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা বলছিলেন, “জিএসটি নিয়ে ব্যবসায়ীদের কিন্তু আপত্তি নেই। হ্যাঁ, এর পদ্ধতিগত দিক নিয়ে তাদের কিছু বক্তব্য ছিল – কিন্তু এখন সেটা অনেকটাই সরল করে দেওয়ার পর তাদের মধ্যে বেশ সন্তোষ আর খুশি দেখা যাচ্ছে।”

“আসলে ট্রেডার বা ব্যবসায়ীরা চিরকালই আমাদের পক্ষে। সাময়িকভাবে তাদের হয়তো কিছুটা অসুবিধা হচ্ছিল, কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর পদক্ষেপের পর সে বিতর্ক মিটে গেছে। এখন শুধু কংগ্রেস ওই ঘোলা জলে মাছ ধরতে চাইছে।”

কিন্তু যেভাবে প্রধানমন্ত্রীর মোদির সঙ্গে কিম জং-আনের তুলনা করে পোস্টার পড়ছে, তাতেই কি স্পষ্ট নয় জিএসটি-তে ব্যবসায়ীরা নারাজ?

রাহুল সিনহা অবশ্য একমত নন। তার যুক্তি, “নারাজ কথাটার প্রয়োগই এখানে ভুল। ব্যবসায়ীরা শুধু চেয়েছিলেন, জিএসটি পদ্ধতি সরল করা হোক। নারাজ এক জিনিস, আর এই দাবি জানানো সম্পূর্ণ আলাদা জিনিস।”

জিএসটি-র জটিলতায় ব্যবসায়ীরা যে এখনও নাজেহাল, তা অবশ্য প্রকাশ হয়ে পড়ছে নানা ভাবেই। কানপুরে মোদি ও কিমের তুলনা-টানা হোর্ডিং তারই একটা প্রতীকী দৃষ্টান্ত, যা দুশ্চিন্তার ভাঁজ ফেলছে বিজেপির কপালে।

তথ্য সূত্র : বিবিসি বাংলা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কলারোয়ায় ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের মানববন্ধন

কলারোয়া প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার কলারোয়ায় বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানীতে কর্মরত মার্কেটিং প্রতিনিধিদের সংগঠন “বাংলাদেশ ফার্মাসিউটিক্যালস রিপ্রেজেন্টেটিভ এসোসিয়েশন (ফারিয়া) এর কলারোয়া শাখার উদ্যোগে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
রবিবার বেলা ১টার দিকে ফারিয়া কলারোয়া শাখার সভাপতি ও নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের বিক্রয় প্রতিনিধি মোঃ আক্তারুজ্জামানের নেতৃত্বে কলারোয়া উপজেলা পরিষদের সম্মুখে যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়কের পার্শ্বে শান্তিপূর্ণভাবে তারা এ কর্মসূচী পালন করেন।

এ সময় বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক হাসানুজ্জামান, ক্রীড়া সম্পাদক মোঃ মনিরুজ্জামান, উপদেষ্টা মোঃ সেলিম নূরানী, জাহাঙ্গীর আলম, সজীব হোসেন, আব্দুল জলিল প্রমূখ। মানব বন্ধনে বক্তারা তাদের চাকুরীর সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন, যুক্তিসংগত বেতন কাঠামো নির্ধারণ, সামঞ্জস্যপূর্ণ টি/এ, ডি/এ প্রদান, সাপ্তাহিক ছুটিসহ বিভিন্ন দাবী, বঞ্চনা ও সমস্যার কথা তুলে ধরে অবিলম্বে সেগুলো সমাধানের জন্য ঔষধ শিল্প মালিকদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান। মানববন্ধন অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সংগঠনের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘ওসি বুকে ওঠে, এসআই তাপস মাথা ধরে, এসআই সেলিম রেঞ্চ দিয়ে চোখ তোলে’

‘খুলনার গোয়ালখালী মোড় থেকে হঠাৎ পুলিশ আমাকে আটক করে। এরপর থানায় নিয়ে দুই দফা মারধর চালায়। আমার স্ত্রী ও মায়ের কাছে মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা দিতে না পারায় চিকিৎসার কথা বলে থানা থেকে বের করে নেয়। আবু নাসের হাসপাতাল পার হয়ে আমাকে বিশ্বরোডে নিয়ে যায় পুলিশ। সেখানে ব্রিজের আগে নির্জন স্থানে গাড়ি থেকে নামানোর পর পিঠের দিকে নিয়ে হাত বেঁধে ফেলে। মুখের ভেতর গামছা ঢুকিয়ে দেয়। এরপর ওসি নাসিম খান বুকের ওপর উঠে বসে গলা চেপে ধরে। আমার মাথা শক্ত করে ধরে এসআই তাপস। এসআই সেলিম রেঞ্চ দিয়ে চোখ তুলে নেয়।’ হঠাৎ আটক হয়ে পুলিশের হাতে চোখ হারানো খুলনার শাহজালাল রবিবার (১৫ অক্টোবর) খুলনা প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এভাবেই তার ওপর ঘটে যাওয়া নির্যাতনের বর্ণনা দেন।

ঘটনার তিন মাসের মাথায় খুলনা প্রেস ক্লাবে ডাকা এই সংবাদ সম্মেলনে শাহজালাল দাবি করেন, ‘আমার পরিবার এখনও নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে। পুলিশ মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে। কোনও রকম সাক্ষ্য না দিতে ভয় দেখাচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘সংবাদ সম্মেলনে যেন আসতে না পারি, সে জন্য পুলিশ বাধা দিয়েছে। কিন্তু আমরা পেছনের দেয়াল টপকে অনেক কষ্টে এখানে এসেছি। সবসময় পুলিশের নজরদারির মধ্যে থাকতে হচ্ছে। বাসায়ও স্বস্তিতে থাকতে পারছি না।’

সংবাদ সম্মেলনে শাহজালালের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন অ্যাডভোকেট মিনা মিজানুর রহমান। এ সময় শাহজালাল, তার মা রেনু বেগম, বাবা মো. জাকির হোসেন, স্ত্রী রাহেলা বেগম, মানবাধিকারকর্মী মো. মোমিনুল ইসলাম ও শাহীন জামাল উপস্থিত ছিলেন। এসময় আরও উপস্থিত ছিল তার শিশুকন্যা আঁখি।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শাহজালাল আরও বলেন, ‘পুলিশ বিভিন্নভাবে মামলা করার পথে বাধা দিয়েছে। এখন আবার মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে। পুলিশ যদি ঘটনার দিন থানা হাজতের সামনের সিসিটিভির রেকর্ড মুছে না ফেলে তাহলে ওই ভিডিও থেকেই প্রকৃত তথ্য পাওয়া সম্ভব। ওই রাতে হাজতে আটক থাকা অন্যরাও আমার বিষয়ে প্রকৃত তথ্য দিতে পারবে। কিন্তু এখন পুলিশ নানাভাবে ছলনার আশ্রয় নিচ্ছে। একটি চোখের চিকিৎসা করিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে আবার তা নাকচ করেছে।’

শাহজালালের স্ত্রী রাহেলা বেগম বলেন, ‘সেপ্টেম্বরের শুরুতে  ঢাকা থেকে খুলনায় এসে আমি মামলা করার উদ্যোগ নেই। ওই সময় স্থানীয় লোকজন আমাকে ডেকে দৌলতপুরে এমপির বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে মামলা না করার জন্য বলা হয়। আমাকে একটি চাকরি ও ছয় লাখ টাকা দেওয়ার কথাও বলে। আমি তাতে রাজি না হওয়ায় নানাভাবে ভয়-ভীতি দেখিয়ে সময় ক্ষেপণ করায়। এরপর আমার শাশুড়ি রেনু বেগম বাদী হয়ে ৭ সেপ্টেম্বর আদালতে মামলা করেন। পরবর্তী সময়ে আদালত সে মামলা তদন্ত করতে পিআইবিকে দায়িত্ব দেন। এ মামলার পরবর্তী শুনানি ১৮ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে।’

মানবাধিকারকর্মী অ্যাডভোকেট মোমিনুল ইসলাম বলেন, ‘শাহজালালের বিরুদ্ধে দায়ের করা ছিনতাই মামলায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। ১৬ অক্টোবর আদালতে ওই মামলার শুনানির দিন ধার্য রয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিনতাই মামলায় শাহজালাল জামিন পেয়েছেন। কিন্তু পুলিশ কাউখালীর একটি মামলায় শাহজালালকে গ্রেফতার দেখায়। ওই মামলায়ও জামিন নিয়ে গত ৫ অক্টোবর শাহজালালকে খুলনা কারাগার থেকে মুক্ত করা হয়।’

নাগরিক নেতা শাহিন জামাল বলেন, ‘শাহজালালের চোখ তুলে নেওয়ার ঘটনার পর পুলিশের ভূমিকায় পরিবারটি চরম আতঙ্কে রয়েছে। এখন পুলিশের উচিত, আগে পরিবারটির নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। কিন্তু পুলিশ সে ধরনের কোনও দায়িত্ব পালন করছে না। যা উদ্বেগ ও হতাশার।’

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১৮ জুলাই মো. শাহজালাল পিরোজপুরের কাউখালি উপজেলার সুবিদপুর গ্রামের বাড়ি থেকে খুলনা মহানগরীর নয়াবাটি রেললাইন বস্তি কলোনির শ্বশুরবাড়িতে আসেন।  ওইদিন দিনগত রাত ৮টায় শাহজালাল তার শিশুকন্যার দুধ কেনার জন্য বাসার পাশে গোয়ালখালী মোড় এলাকার দোকানে যান। ওই এলাকা দিয়ে রিকশায় করে যাওয়ার সময় সুমা আক্তার নামের একজন ছিনতাইকারীর কবলে পড়েন। পুলিশ ওই এলাকা থেকে শাহজালালকে আটক করে খালিশপুর থানায় নেয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করবে দুদক

অনলাইন ডেস্ক : প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বিরুদ্ধে যে ১১টি অভিযোগ উঠেছে, তার অনুসন্ধান হবে এবং তা দুদকের মাধ্যমে করা হবে। রোববার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, ‘যেসব অভিযোগ তোলা হয়েছে, তার প্রায় সবগুলোই দুর্নীতি দমন কমিশনের আওতায়। তাহলে আপনারা বুঝতেই পারছেন, কে এটার অনুসন্ধান করবে। এ বিষয়ে সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত তার দায়িত্বে ফেরার সুযোগ নেই।’

বিচারপতি সিনহার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অর্থ পাচার, আর্থিক অনিয়ম ও নৈতিক স্খলনসহ সুনির্দিষ্ট ১১টি অভিযোগের বিষয়ে শনিবার সুপ্রিম কোর্টের বিবৃতির পর আজ এই সংবাদ সম্মেলন করেন আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এসব অভিযোগের অনুসন্ধান হতে হবে। সত্যতা পাওয়া গেলে মামলা হবে। তারপরে প্রশ্ন আসবে প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইনে যা বলা আছে সেটাই করা হবে।’

প্রধান বিচারপতি দেশে থাকা অবস্থায় ওইসব অভিযোগ সরকারের হাতে এলেও তাকে বিদেশে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হল কেন- এমন প্রশ্নে আনিসুল হক বলেন, ‘আইন অনুযায়ী বিচারপতি সিনহা এখনও প্রধান বিচারপতি।’ তিনি বলেন, ‘প্রধান বিচারপতি পদটি একটি প্রতিষ্ঠান ও সাংবিধানিক পদ। ফলে তার বিরুদ্ধে তাড়াহুড়ো বা খামখেয়ালি করে কিছু করা সমীচীন হবে না।’

প্রধান বিচারপতির অসুস্থতা, ছুটি চাওয়া, বিদেশ যাওয়ার অনুমতি চাওয়াসহ বিভিন্ন বিষয় সংক্রান্ত সব আবেদন ও চিঠিপত্র পড়ে শোনান আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এসব আবেদন ও চিঠিপত্রে প্রধান বিচারপতি তার অসুস্থতার কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন। ‘কিন্তু বিদেশ যাওয়ার আগে তিনি বলেছেন তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন। তার এ বক্তব্যে আমি হতভম্ব।’

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধান বিচারপতি ছুটি নিয়ে ব্যক্তিগত সফরে বিদেশে গেছেন। রাষ্ট্রপতি তার অনুপস্থিতিতে সংবিধানের ৯৭ অনুচ্ছেদ অনুসারে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আব্দুল ওয়াহহাব মিঞাকে প্রধান বিচারপতির কার্যভার দিয়েছেন। এ নিয়ে বিতর্কের কোনো অবকাশ নেই।’ তিনি বলেন, ‘বর্তমানে দেশে কোনো রাজনৈতিক ইস্যু না থাকায় কোনো কোনো রাজনৈতিক দল প্রধান বিচারপতির ছুটি নিয়ে ইস্যু তৈরির চেষ্টা করছে।’

আইনমন্ত্রী আরো বলেন, ‘অস্থায়ী প্রধান বিচারপতি তার কাজের সুবিধার্থে যেকোনো প্রশাসনিক পরিবর্তন আনতে পারবেন। সংবিধান এ বিষয়টিকে সমর্থন করে। তাই এ বিষয়ে প্রধান বিচারপতি যে বক্তব্য দিয়েছেন তা সঠিক নয়।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ক্যালিস-জয়সুরিয়ার রেকর্ড ভাঙলেন সাকিব

অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ানডেতে ৫ হাজারি ক্লাবে নাম লেখালেন সাকিব আল হাসান। টাইগারদের হয়ে ক্লাবের প্রথম সদস্য তামিম ইকবাল। সঙ্গে পাঁচ হাজার রান ও দুইশ উইকেটের অভিজাত ক্লাবেরও সদস্য হয়েছেন সাকিব।

রোববার কিম্বার্লিতে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে নামার আগে এলিট ক্লাব থেকে ১৭ রান দূরে ছিলেন সাকিব। ইনিংসের ২০তম ওভারের চতুর্থ বলে সিঙ্গেল নিয়ে মাইলফলকে পা রাখেন টাইগার অলরাউন্ডার।

এর মধ্য দিয়ে দারুণ একটি ডাবলসেও নাম লেখালেন সাকিব। ওয়ানডেতে তার উইকেট ২২৪টি। বিশ্বের পঞ্চম অলরাউন্ডার হিসেবে ৫ হাজার রান ও ২০০ উইকেট শিকারীর ক্লাবে তুলে নিলেন নিজেকে।

অনন্য ডাবলসে সাকিবের আগে নাম লিখিয়েছেন মাত্র চারজন। শ্রীলঙ্কার সনাথ জয়সুরিয়া, সাউথ আফ্রিকার জ্যাক ক্যালিস, পাকিস্তানের আব্দুর রাজ্জাক ও শহীদ আফ্রিদির সঙ্গে ছোট্ট তালিকায় এখন সাকিবেও। তবে এই চারজনের চেয়ে কম ম্যাচ খেলে ডাবলসের কীর্তি গড়লেন তিনি, মাত্র ১৭৮ ম্যাচে। ক্যালিস (২২১), জয়সুরিয়া (২৩৫), আফ্রিদি (২৩৯) ও রাজ্জাক (২৫৮) ম্যাচে এই কীর্তি গড়েছিলেন।

২০০৬ সালে হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অভিষেকের পর ১১ বছরের ক্যারিয়ারে ১৭৮তম ওয়ানডে ম্যাচে মাঠে নেমেছেন সাকিব। ২৯ রানে সাজঘরে ফিরেছেন এই বাঁহাতি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest