সর্বশেষ সংবাদ-
আশাশুনিতে জলবায়ু-স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক যুব নেতৃত্বাধীন প্রচারনাসাতক্ষীরা জেলা স্কাউট ভবন এর উর্ধ্বমুখি সম্প্রসারণ কার্যক্রম উদ্বোধনখুলনায় এনসিপি নেতা গুলিবিদ্ধ: সাতক্ষীরা সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদারশ্যামনগরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনিয়ম ‌দুর্নীতির অভিযোগল স্টুডেন্টস ফোরাম এর নবনির্বাচিত কমিটি নির্বাচন কমিশনের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়তিতাস বহুমুখী সমবায় সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভাঝিনাইদহের জয়দিয়া বাওড়ের অবৈধ বন্দোবস্ত বাতিলের দাবিতে মানববন্ধনশীতের ছুটিতে ঘুরে আসুন দেবহাটার রূপসী ম্যানগ্রোভপ্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা -অগ্নি সংযোগের প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধনবিইউপিএফের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে শপথ নিলেন জালালপুর ইউপি চেয়ারম্যান

সাতক্ষীরায় উৎসবমুখর পরিবেশে ত্রয়োদশ কবিতা উৎসব অনুষ্ঠিত

আসাদুজ্জামান : ‘মানবতার পক্ষে কবিতা’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সাতক্ষীরায় ত্রয়োদশ কবিতা উৎসব ২০১৭ এর উদ্বোধন করা হয়েছে। কবিতা পরিষদ সাতক্ষীরার আয়োজনে শুক্রবার সকালে সাতক্ষীরা পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে এ উৎসবের উদ্বোধন করেন কবি দুখু বাঙাল।

কবিতা পরিষদ সাতক্ষীরা’র সভাপতি মন্ময় মনিরের সভাপতিত্বে উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, জাতীয় কবিতা পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া পিনু।

এতে ‘অন্তরঙ্গ অনুভবে সাতক্ষীরার সাহিত্য একটি সমীক্ষা’ শীর্ষক প্রবন্ধ পাঠ করেন সুহৃদ সরকার।
আলোচনা করেন প্রফেসর আব্দুল মান্নান, সুসাহিত্যিক গাজী আজিজুর রহমান, মধুসূদর একাডেমীর পরিচালক কবি খসরু পারভেজ, কথা সাহিত্যিক আশতোষ সরকার, তৃপ্তি মোহন মল্লিক, শুভ্র আহমেদ, সালেহা আক্তার, কবিতা পরিষদ সাতক্ষীরা’র মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জল, সরদার গিয়াসউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।

উৎসবে সাহিত্যে শাহিদা খাতুন ও জহরুল আলম সিদ্দিকী, কবিতায় সিরাজুল ইসলাম, প্রবন্ধে কবির রায়হান, আবৃত্তিতে মনিরুজ্জামান ছট্টু ও সমাজসেবায় বিশেষ অবদান রাখায় লুৎফর রহমানকে কবিতা পরিষদ সম্মাননা ২০১৭ প্রদান করা হয়। পরে সাতক্ষীরা, যশোর ও খুলনার কবিরা সরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ডিজেল-পেট্রলচালিত গাড়ি চলবে না ফ্রান্সে!

ফ্রান্সের পার্লামেন্টে একটি নতুন আইন জারি করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, ফ্রান্স এবং তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলোতে আগামী ২০৪০ সালের মধ্যে তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাসের উৎপাদন এবং যোগান বন্ধ করতে হবে।

এই আইনে আরও একটি বিষয় স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, ড্রিলিংয়ের পারমিট যাদের কাছে রয়েছে সেগুলো নতুন করে আর পুনর্নবীকরণ করা হবেনা। পাশাপাশি নতুন কাউকে লাইসেন্স দেওয়াও হবেনা।

উল্লেখ্য ফ্রান্স প্রতি বছর প্রায় ৮ লক্ষ ১৫ হাজার টন তেল আমদানি করে। সেক্ষেত্রে একটি প্রশ্ন উঠছে কিভাবে দেশে তেলের যোগান হবে? এই বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ইমান্যুয়েল ম্যাক্রন জানিয়েছেন, ফসিল ফুয়েল থেকেই এবার তেল তৈরি হবে।

২০৪০ সালের মধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হবে ডিজেল এবং পেট্রলচালিত গাড়ি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
গীতা পাঠ প্রতিযোগিতায় শীর্ষস্থানে ৪ মুসলিম শিক্ষার্থী!

ভারতের রাজস্থান রাজ্যে হিন্দু ধর্মগ্রন্থ গীতা পাঠ ও এর ওপর রচনা প্রতিযোগিতায় শীর্ষ স্থান অর্জন করেছে চার মুসলিম শিক্ষার্থী। প্রতিযোগিতায় ৮০ হাজার প্রতিযোগী অংশ নেয়।

অক্ষয় পাত্র ফাউন্ডেশন নামের একটি সংস্থা গত নভেম্বর মাসে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।

বুধবার প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কৃত করেছেন রাজস্থান রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী বাসুদেব দেবনানি।

জানা যায়, হিন্দু ধর্মগ্রন্থ গীতার ওপর ওই সংস্থাটি বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। এর মধ্যে গীতা পাঠ ও এর ওপর রচনা প্রতিযোগিতাও ছিল। রচনা প্রতিযোগিতায় হিন্দু ছাত্রদের টপকে প্রথম স্থান দখল করে নাদিম খান নামের দশম শ্রেণির এক মুসলিম ছাত্র। এ ছাড়া সংস্কৃত ভাষায় গীতা পাঠ করে ওই প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন স্থান অর্জন করেছে মজিদ খান, জাহিন নকভি ও জোরাবিয়া নকভিসহ জুনিয়র ক্লাসের আরো তিন মুসলিম ছাত্রছাত্রী।

প্রথম স্থান অর্জনকারী ১৬ বছরের নাদিমের পরিবার থাকে রাজস্থানের একটি বস্তিতে। তার বাবা আশফাক খান পেশায় শ্রমিক। তিনি জানান, সংস্কৃত ভাষার প্রতি তাঁর ছেলের গভীর আগ্রহ। তাঁর চার ছেলেমেয়ের মধ্যে নাদিম ছোট। বড় হয়ে নাদিম বিজ্ঞানী হতে চায়।

এ ছাড়া প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে বিভিন্ন বিভাগে শীর্ষস্থান পাওয়া জাহিন নকভি দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী। আর জোরাবিয়া নকভি চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী। জুনিয়র গ্রুপে ওই প্রতিযোগিতায় তারা তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে।

প্রতিযোগিতার অপর একটি গ্রুপে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র মজিদ খানও তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রোহিঙ্গা নিধনে নেতৃত্ব দেয়া মিয়ানমার জেনারেলের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞে জড়িত থাকার অভিযোগে মং মং সো নামে মিয়ানমারের এক জেনারেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তিনি দেশটির সেনাবাহিনীর পশ্চিম কমান্ডের দায়িত্বে ছিলেন। সেখানে তার অধীনেই সেনারা নিধনযজ্ঞ চালায়।

গত ২৫ আগস্ট রাখাইনে সহিংসতার পর রোহিঙ্গাদের ওপর নিধনযজ্ঞ শুরু করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। হত্যা ওধর্ষণ থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে ছয়লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। জাতিসংঘ এই ঘটনাকে জাতিগত নিধনযজ্ঞের ‘পাঠ্যপুস্তকীয় উদাহরণ’ বলে উল্লেখ করেছে। একে নিধনযজ্ঞ বলেছে যুক্তরাষ্ট্রও।

মানবাধিকার লঙ্ঘন ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে মং মং সোর বিরুদ্ধে। যুক্তরাষ্ট্র আগেই তাকে কালোতালিকায় অন্তর্ভূক্ত করেছিল। এক বিবৃতিতে মার্কিন ট্রেজারি জানায়, মং মং সো রাখাইনে রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞের সঙ্গে জড়িত। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্বাক্ষরিত একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

গত মাসে তাকে তার পোস্ট থেকে বদলি করা হয়েছে। কিন্তু সেজন্য কোনও কারণ দেখাতে পারেনি মিয়ানমারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসনের মিয়ানমার সফরের পর প্রথম জেনারেল হিসেবে নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়লেন মং মং সো। মার্কিন ট্রেজারি জানায়, যুক্তরাষ্ট্র সরকার মং মং সোর বিরুদ্ধে বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পেয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিচারবহির্ভূত হত্যা, যৌন নিপীড়নের অভিযোগ রয়েছে। তার সেনারাই রোহিঙ্গা গ্রাম পুড়িয়ে দিয়েছে যার ফলে লাখ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালাতে বাধ্য হয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন বলেছেন, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে মিত্রদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে মার্কিন প্রতিশ্রুতি প্রতিষ্ঠা পেল। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই উদাহরণ তৈরি করতে হবে। আজকের ঘোষণার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র উদাহরণ তৈরি করল যে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী ও দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

টেজারি দফতরের মন্ত্রী স্টিভেন টি মনুচিন বলেন, ‘আজ যুক্তরাষ্ট্র মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে শক্ত পদক্ষেপ নিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মার্কিন সহায়তা বন্ধ তরে দেওয়া হয়েছে। তাদের সব সম্পদ জব্দ করছে ও তাদের কার্যক্রমের নিন্দা জানাচ্ছে। এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র বার্তা দিচ্ছে যে অন্যায়কারীরা কখনও পার পাবে না।

চলতি মাসেই মিয়ানমারে প্রবেশে বাধার সম্মুখীণ হন জাতিসংঘের তদন্তকারী কর্মকর্তা।  মিয়ানমারের মানবাধিকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে জানুয়ারিতে দেশটি সফর করার কথা ছিল তার। কিন্তু বুধবার (২০ ডিসেম্বর) মিয়ানমার সরকারের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, জাতিসংঘের এই তদন্তকারীকে আর কোনও সহযোগিতা দেওয়া হবে না।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ফুটবলে সর্বকালের সর্বনিম্ন র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশ

ফিফা র‌্যাংকিংয়ের গ্রাফটা দেখলে বোঝা যাবে স্পষ্ট করেই। উপরে নয়, নিচের দিকেই যাচ্ছে বাংলাদেশের ফুটবল! কোনও ম্যাচ না খেলে নিজেদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন র‌্যাংকিংয়ে আগেই নেমে গিয়েছিল বাংলাদেশ।  সেই অবস্থানটা এবার নামলো আরও নিচে। এখন তাদের অবস্থান ১৯৭তম!

এ বছরের সেপ্টেম্বরে র‌্যাংকিংয়ে ১৯৬ নম্বরে নেমে যায় লাল-সবুজরা। এরপর নভেম্বরে না খেলেই ১৯২তম স্থানে উঠে এসেছিল। ডিসেম্বরের সবশেষ র‌্যাংকিংয়ে অবস্থানটা হলো আরও লজ্জার। নেমে গেছে আরও একধাপ নিচে! আপাতত কোনও ম্যাচ না থাকলেও আগামী মার্চে কম্বোডিয়া ও ব্রুনেইয়ের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে লাল-সবুজরা।

বাংলাদেশের অবস্থান নিচের দিকে থাকলেও প্রতিবেশী দেশ ভারত রয়েছে ১০৫তম স্থানে। মিয়ানমার ১০ ধাপ এগিয়ে রয়েছে ১৪০তম স্থানে।

এদিকে আন্তর্জাতিক র‌্যাংকিংয়ের শীর্ষ দশে কোনও হেরফের হয়নি। শীর্ষে আছে জার্মানি। এরপরে রয়েছে যথাক্রমে ব্রাজিল, পর্তুগাল, আর্জেন্টিনা ও বেলজিয়াম।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কাতালোনিয়ার নির্বাচনে স্বাধীনতাপন্থীদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা

স্পেনের কাতালোনিয়ার আঞ্চলিক পার্লামেন্টের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে স্বাধীনতাপন্থী দলগুলো। পার্লামেন্টের বেশির ভাগ আসনেই তারা জয়ী হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। এখন স্পেনের কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কাতালোনিয়ার স্বাধীনতাপন্থীদের দ্বন্দ্ব আরও তীব্র হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) এই ভোটগ্রহণ হয়। গত অক্টোবরে গণভোটের রায় নিয়ে কাতালোনিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার পর কেন্দ্রীয় সরকার প্রদেশটির পার্লামেন্ট বাতিল করে এ নির্বাচন দেয়।

ভোটের ফল প্রকাশের পরপরই বেলজিয়ামে স্বেচ্ছা নির্বাসনে থাকা কাতালোনিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট কার্লোস পুজদেমন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘স্বাধীনতা আন্দোলন ব্যাহত করতে মারিয়ানো রাজয়ের (স্পেনের প্রধানমন্ত্রী) উদ্যোগ ব্যর্থ হয়েছে। নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও স্বাধীনতার পক্ষে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অব্যাহত রয়েছে।’

তবে নির্বাচনে একক দল হিসেবে বেশি আসন পেয়েছে সিটিজেনস পার্টি। এ দলটি কাতালোনিয়ার স্বাধীনতা নয়, বরং স্বায়ত্তশাসন নিয়ে স্পেনের সঙ্গে থাকার পক্ষে। নির্বাচনের এ অবস্থায় কোন দলকে সরকার গঠনের জন্য আহ্বান জানানো হবে তা এখনও পরিষ্কার নয়।

নির্বাচনে ভোট পড়ে ৮০ শতাংশের বেশি। এরমধ্যে ২৫ শতাংশ ভোট পায় সিটিজেনস পার্টি। ১৩৫ সিটের পার্লামেন্টে তারা জিতেছে ৩৬টিতে।

অন্যদিকে, স্বাধীনতাপন্থী দল টুগেদার ফর কাতালোনিয়া, রিপাবলিকান লেফট অব কাতালোনিয়া ও পপুলার ইউনিটি মিলে ৭০টি আসনে জয়ী হয়েছে। এর মধ্যে ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট কার্লোস পুজদেমনের দল টুগেদার ফর কাতালোনিয়া অন্য দুটি দলের চেয়ে সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে।

স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার পর পুজদেমনকে বরখাস্ত করে স্পেনের কেন্দ্রীয় সরকার। এরপর তিনি বেলজিয়ামে পালিয়ে যান। ভোটের ফল প্রকাশের পর সেখানেই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন তিনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জেরুজালেম ইস্যু ট্রাম্পের স্বীকৃতি জাতিসংঘে প্রত্যাখ্যান

হুমকি-ধমকি আর নানা হুঁশিয়ারির পরও জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্বীকৃতি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। একই সঙ্গে জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী স্বীকৃতির বিষয়টি প্রত্যাহার করে নিতে হোয়াইট হাউসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সাধারণ পরিষদ।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে এ নিয়ে ভোটাভুটি হয়। প্রস্তাবনার পক্ষে ভোট দেয় বিশ্বের ১২৮টি দেশ। আর বিপক্ষে ভোট দেয় মাত্র নয়টি দেশ। তবে ভোটাভুটিতে অনুপস্থিত ছিল ৩৫টি দেশ।

যদিও এই ভোটাভুটির আইনগত কোনো বাধ্যবাধকতা নেই, তবু একে জাতিসংঘের নীতিগত অবস্থানের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে দেখা হবে।

অবশ্য ভোটাভুটির আগের দিনই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, জেরুজালেম ইস্যুতে জাতিসংঘের যেসব দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তের বাইরে যাবে, সেসব দেশে অর্থনৈতিক সহায়তা বন্ধ বা কাটছাঁট করে দেওয়া হবে।

এর আগে গত সোমবার জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতির বিরোধিতা করে একটি খসড়া প্রস্তাবনা উত্থাপন করে মিসর। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ১৫টি সদস্য দেশের মধ্যে ১৪টি দেশ সেটির পক্ষে ভোট দেয়। একমাত্র যুক্তরাষ্ট্রই বিপক্ষে ভোট দেয়।

এই ভোটাভুটির ফলে পবিত্র জেরুজালেম নগরীর ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো সিদ্ধান্ত ‘বাতিল ও অকার্যকর’ বলে বিবেচিত হবে। তা ছাড়া প্রস্তাবনা অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকৃতি অবশ্যই বাতিল হতে হবে।

প্রস্তাবনার বিপক্ষে ভোট দেওয়া দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে—যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল, গুয়েতেমালা, হন্ডুরাস, মাইক্রোনেশিয়া, নাইরু, পালাউ এবং টোগো। আর অনুপস্থিত ৩৫ দেশের মধ্যে কানাডা ও মেক্সিকো রয়েছে।

এর আগে বুধবার জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিক্কি হ্যালে যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তের বিরোধিতাকারী দেশগুলোর জন্য হুঁশিয়ারি বার্তা পাঠিয়েছিলেন। সেই সময় হ্যালে জানিয়েছিলেন, জেরুজালেম ইস্যুতে যারা যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতা করে ভোট দিচ্ছে, তাদের নাম সংরক্ষণ করবে হোয়াইট হাউস। তা ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতা করে ভোট দেওয়ার বিষয়টি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ব্যক্তিগতভাবেই নিয়েছেন।

জেরুজালেম নগরীর অধিকার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ফিলিস্তিনি মুসলমান ও ইসরায়েলের ইহুদিদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস স্থাপনের ঘোষণা দেন।

যুক্তরাষ্ট্রের এই ঘোষণার পর থেকেই ফিলিস্তিনিজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। দেশটি

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘নিখোঁজ’ মোবাশ্বার হাসান সিজার বাসায় ফিরেছেন

সাংবাদিক উৎপল দাসের পর নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোবাশ্বার হাসান সিজার ফিরে এসেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে এক মাস ১৪ দিন ‘নিখোঁজ’ থাকার পর রাজধানীর দক্ষিণ বনশ্রীর বাসায় ফিরে আসেন তিনি।

সিজারের বোন তামান্না তাসনিম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে জানিয়েছেন, ‘আল্লাহতায়ালার অশেষ রহমতে গতকাল দিবাগত রাত ১টায় আমার ভাইয়া সুস্থ অবস্থায় বাসায় ফিরেছে!’

তবে সিজার কীভাবে ফিরেছেন, কারা তাঁকে নামিয়ে দিয়ে গেছেন, এত দিন কোথায় ছিলেন—এ ব্যাপারে এখনো কিছুই জানা যায়নি।
এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে দুই মাস ১০ দিন ‘নিখোঁজ’ থাকার পর ফিরে আসেন অনলাইন নিউজ পোর্টাল পূর্বপশ্চিমবিডিডটকমের প্রতিবেদক উৎপল দাস।

গত ৮ নভেম্বর সকাল ৭টার দিকে বাসা থেকে বের হন সিজার। পরে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে ক্লাস নেন তিনি। বিকেল থেকে তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এর পর থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন। এ বিষয়ে রাতেই থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন সিজারের বাবা মোতাহের হোসেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে বিদেশে উচ্চতর ডিগ্রি নেন সিজার। দেশে ফিরে তিনি অধ্যাপনা ও গবেষণার কাজে নিয়োজিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest