সর্বশেষ সংবাদ-
মণিরামপুরে আনসার ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের শুদ্ধাচার বিষয়ক সভাসম্প্রীতি এইড ফাউন্ডেশন এর আয়োজনে প্রকল্প অবহিতকরন সভাসকলকে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে, কোনো ধরণের অন্যায় বরদাস্ত করা হবে না–সামেকের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় ডা: রুহুল হকসাতক্ষীরার মেডিকেল এর সামনে বাইপাস সড়কে মোটরযানের উপর মোবাইল কোর্টআশাশুনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩ পদের বিপরীতে ১৩ প্রার্থীর শেষ মুহুর্তের বিরামহীন প্রচার প্রচারণা শেষ হলআশাশুনিতে অভ্যন্তরীণ বোরো সংগ্রহের উদ্বোধনশ্যামনগরে প্রধান শিক্ষক মান্নানের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের পুকুরের মাছ ধরে নেওয়ার অভিযোগআশাশুনিতে ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থীদের নির্দেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনসাতক্ষীরায় বজ্রপাতে এক শিশুর মৃত্যুসাতক্ষীরায় আইআরআই’র আয়োজনে ‘তর্কে বিতর্কে উপজেলা নির্বাচন’ নির্বাচনী বিতর্ক অনুষ্ঠিত

মুফতি আব্দুর রহিম কচি’র স্মরণে “কচিকথা” অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক : ১৩ অক্টোবর শুক্রবার বিকাল ৩ টায় সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরিতে জাগ্রত সাতক্ষীরার আয়োজনে কবি, লেখক, সাপ্তাহিক দখিনায়ন সম্পাদক মুফতী আব্দুর রহিম কচির প্রয়াণকে মনে করে বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠান ‘কচিকথা’ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে “জাগ্রত সাতক্ষীরা”র সভাপতি সায়েম ফেরদৌস মিতুল এর সভাপতিত্বে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা আ.হ.ম তারেক উদ্দিন।
আলোচনা করেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, দৈনিক পত্রদূত এর উপদেষ্টা সম্পাদক আনিছুর রহিম, দৈনিক আজকের সাতক্ষীরার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হাফিজুর রহমান মাসুম, জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সদস্য সচিব শেখ মুশফিকুর রহমান মিল্টন, ঈক্ষণ সাংস্কৃতিক সংসদ এর সভাপতি পল্টু বাসার, জেলা সাহিত্য পরিষদের সভাপতি শাহীদুর রহমান, সাতক্ষীরা উপভাষা চর্চা পরিষদের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, বেত্রাবতি সাহিত্য সংসদ এর সভাপতি গাজী শাহ্জাহান সিরাজ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি আবু আফফান রোজ বাবু, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি শেখ সিদ্দিকুর রহমান, কবিতা কুঞ্জের সভাপতি সোহরাব হোসেন মনু প্রমুখ। এছাড়াও অনুষ্ঠানে আবৃত্তি করেন মনিরুজ্জামান ছট্টু, দিলরুবা রুবি, আয়েশা জামান সিদ্দিকা। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন স.ম তুহিন ও ছড়াকার আহমেদ সাব্বির।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বিমানবন্দরের পথে প্রধান বিচারপতি

অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশ্যে সরকারি বাসভবন ছেড়ে বিমান বন্দরের দিকে রওয়ানা হয়েছেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। তিনি স্বেচ্ছায় যাচ্ছেন এবং যথা সময়ে ফিরে আসবেন বলে যানান তিনি। শুক্রবার রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের এসকিউ ৪৪৭ ফ্লাইটে দেশ ছাড়ার কথা রয়েছে তার। রাত আটটার দিকে তার বাসায় পুলিশ প্রটেকশনের গাড়ি প্রবেশ করতে দেখা যায়।

বিমানবন্দর সূত্রে জানায়, রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের এসকিউ ৪৪৭ ফ্লাইটটি ঢাকা থেকে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। সেই ফ্লাইটের টিকিট কেটেছেন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা। অস্ট্রেলিয়ায় তার মেয়ে সুচনা সিনহার বাড়িতে উঠবেন তিনি ও তার স্ত্রী। তাদের তিন বছরের ভিসা দিয়েছে ঢাকার অস্ট্রেলিয়া দূতাবাস।

এদিকে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার সঙ্গে দেখা করতে শুক্রবার তার বাসায় যান স্বজনরা। শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে হেয়ার রোডে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে যান তারা। স্বজনদের মধ্যে ছিলেন প্রধান বিচারপতির ভাই এন কে সিনহা, ভাতিজি জামাই রাজমন সিনহা, সুজিত সিনহা ও রাম কান্ত সিনহা ও শ্যালিকা শিলা সিনহা।

সকাল ১০টা ২২ মিনিটে প্রবেশ করেন ভাতিজি জামাই সুজিত সিনহা ও রাম কান্ত সিনহা, ১০টা ২৩ মিনিটে বাসভবনে প্রবেশ করেন শিলা সিনহা, ১২টা ৪৫ মিনিটে প্রবেশ করেন ভাতিজি জামাই রাজমন সিনহা।

প্রধান বিচারপতি ছুটিতে যাওয়ার পর থেকে প্রায় প্রতিদিনই উচ্চ পর্যায়ের লোকজন ও স্বজনরা তার বাসায় যাচ্ছেন। গত সপ্তাহেও তার বেয়াই-বেয়াইন, ভাইসহ স্বজনরা দেখা করতে প্রধান বিচারপতির বাসায় গেছেন।

হাই কোর্টের প্রটোকল অফিসার মোহাম্মদ আব্দুল ওয়ারেস সন্ধ্যা ৭টায় বলেন, “আমি স্যারের বাসায় এসেছি। মালামাল নিয়ে বিমানবন্দরে পৌঁছে দেব।” তার আগে প্রধান বিচারপতির প্রটোকলের ও ব্যক্তিগত গাড়ি এবং তার একান্ত সচিব মো. আনিসুর রহমানকে দুই দফায় হেয়ার রোডে প্রধান বিচারপতির বাসায় ঢুকতে দেখা যায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আবারো নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে হবে

মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : সাতক্ষীরা সদরের আগরদাঁড়ি ইউনিয়নের বেদেপোতা গ্রামে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে সাংসদ রবি ঐ এলাকার সাধারণ মানুষের সাথে তাদের সুখ-দুঃখ ও বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে উঠান বৈঠক করেন। উঠান বৈঠকের আলোচনা সভায় সাতক্ষীরা-০২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য উত্তরসূরি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দলের ও দেশের দায়িত্ব নিয়ে তার সুযোগ্য নেতৃত্বে দেশ আজ অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রামে লিপ্ত। এ যুদ্ধে আমাদের জয়ী হওয়ার বিকল্প নেই। তাই জয় ও উন্নয়নের ধারা অভ্যাহত রাখতে সাতক্ষীরা সদর-০২ আসনে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে সকলকে মিলে মিশে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। আমি নিরলসভাবে জনগণের পাশে থেকে সেবক হিসেবে কাজ করে ছুটে বেড়িয়েছি ১৪টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার সকল মানুষের সুখে-দুঃখে। বিগত সময়ে এই অঞ্চলে যে কাজ হয়নি। আমি নির্বাচিত হয়ে রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ,কালভাট, স্কুল-কলেজের ভবন, মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দির, ঈদগাহ ও শ^শ্নানের উন্নয়নে আর্থিক যে সহায়তা দিয়েছি স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে অন্য কোন সরকারের আমলে এ উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি। আমার দৃঢ় বিশ^াস জননেত্রী শেখ হাসিনা আবারও আমাকে মনোনয়ন দেবেন এবং বিপুল ভোটে আবারো নৌকার বিজয় ছিনিয়ে আনবো। সদর উপজেলা এখন বিদ্যুতের আলোয় আজ আলোকিত। প্রায় শতভাগ বিদ্যুৎ সংযোগ সম্পন্ন করা হয়েছে। শতভাগ বিদ্যুৎ নিশ্চিতের মাধ্যমে শেখ হাসিনা সরকারের আরেকটি মাইফল উল্লেখ করে বলেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার প্রায় প্রত্যেক ঘরে ঘরে বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হয়েছে। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আবারো নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে হবে।’
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদিকা পৌর কাউন্সিলর জ্যোৎন্সা আরা, আগরদাঁড়ি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান হবি, জেলা কৃষকলীগের যুগ্ম সম্পাদক এস.এম রেজাউল ইসলাম, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, আওয়ামীলীগ নেতা গোপাল চন্দ্র ঘোষাল, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সম্পাদিকা সুলেখা দাস, দপ্তর সম্পাদিকা তহমিনা ইসলাম প্রমুখ। এসময় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ অসংখ্য পুরুষ ও মহিলারা উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সংসদ উপনেতা সাজেদা চৌধুরীর গাড়িবহরে হামলা; ওসি আহত

ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার তালমা এলাকায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার পর সংসদ উপনেতার বহরের দুটি গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম নাসিম আহত হয়েছেন।

শুক্রবার বেলা ৩টার দিকে সরকারি সফরসূচি অনুযায়ী ঢাকা থেকে ফরিদপুরের সালথা উপজেলার রসুলপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে যাওয়ার পথে তালমার মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। ইটের আঘাতে গাড়িবহরের সামনে থাকা সহকারী পুলিশ সুপারের (সার্কেল) গাড়ির কাচ ভেঙে যায়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নগরকান্দা থানার ওসি এফ এম নাছিম জানান, শুক্রবার বেলা পৌনে ৩টার দিকে উপজেলার তালমা বাজার এলাকায় পোস্টার ছেঁড়া ও গেট ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের কর্মীরা (সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর ছেলে আয়মন আকবর বাবলু চৌধুরী ও নগরকান্দা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জামাল হোসেন মিয়া) সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এর কিছুক্ষণ পরেই সেপথ দিয়ে উপনেতা ২৫ থেকে ৩০টি গাড়ির বহর নিয়ে যাওয়ার সময় বিক্ষুব্ধ কিছু লোকজন তাদের গাড়িকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে।

ওসি জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের সময় ইটের আঘাতে তিনি আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। সংসদ উপনেতা ও তাঁর ছেলে সুস্থ আছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।

নগরকান্দা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জামাল হোসেন মিয়া বলেন, ‘তালমা বাজারে আমার ও আমার বাবার ডিজিটাল প্যানা (পোস্টার) ছিঁড়ে ফেলেন বাবলু চৌধুরীর লোকজন। এই খবর পেয়ে আমার লোকজন এসে তাঁদের বাধা দেন। এই নিয়েই দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে।’

জামাল হোসেন মিয়া অভিযোগ করে বলেন, বাবলু চৌধুরী তাঁদের গাড়িবহর নিয়ে তালমা পৌঁছেই ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এতে বিক্ষুব্ধ কর্মীরা তাঁদের গাড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন।

এ ব্যাপারে আয়মন আকবর বাবলু চৌধুরীর সমর্থক হিসেবে পরিচিত সালথা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর গাড়িবহর তালমা মোড় অতিক্রম করার সময় কিছু লোকজন হামলা চালায়। তবে এ ঘটনায় সংসদ উপনেতা অক্ষত আছেন। তিনি তাঁর নিজ বাড়িতে এখন অবস্থান করছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কলারোয়া সীমান্তে ভারত থেকে আসা ১৮ রোহিঙ্গা উদ্ধার!

কলারোয়া প্রতিনিধি : অবৈধ পথে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় কলারোয়ার হিজলদি সীমান্ত থেকে নারী, পুরুষ ও শিশুসহ ১৮ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করেছে বিজিবি। শুক্রবার ভোর রাতে তারা কলারোয়া উপজেলার হিজলদী সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যান্তরে প্রবেশ করে ।
আটককৃত রোহিঙ্গারা হলেন-রুপিয়া খাতুন(৩৫), রোকেয়া(২৫), আবু তাহের(৩০), আব্দুর রহিম(২৬), রেহেনা বেগম(২৩), আলিমুদ্দীন(২২), বাকি সকলেই শিশু যাদের বয়স ০১-০৭ বছরের মধ্যে। এরা হলো- শাহরুখ খান, আজিজুর রহমান, জিয়ারুল ইসলাম, জুরাইদ, এনায়েতুর রহমান, মাহবুবুর রহমান, জুবায়ের, সুফিয়া খাতুন, রাশিদা বেগম, গুলশানআরা, সুমাইয়া বিবি, সালমা খাতুন।
কলারোয়া হিজলদী বিওপি ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার ওমর ফারুখ জানান, চন্দনপুর ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামে ১৮ রোহিঙ্গা প্রবেশ করে ঘুরাঘুরি করার সময় স্থানীয় ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম তাদের নাম পরিচয় জিজ্ঞাসা করলে তার মায়ানমারের নাগরিক বলে জানান পরে ইউপি সদস্য নজরুল স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় তাদেরকে উদ্ধার করে বিজিবি‘র কাছে হস্তান্তর করে।
বিজিবি সদস্যরা আটককৃতদের বরাত দিয়ে জানান, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ ভারতের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার স্বরুপনগর থানার গুন্নাছপুর এলাকায় বসবাস করতো। তারা নতুন রোহিঙ্গা নয় তাদেরকে ধরে বিএসএফ গতকাল রাতে হিজলদি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তারা ইউপি সদস্য নজরুল ইসলামের বাড়িতে বিজিবি প্রহরায় আশ্রিত ছিল। মানাবিক কারণে স্থানীয় গ্রামবাসি তাদেরকে খাদ্য সহায়তা করছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ব্লু হোয়েল নিয়ে ফেসবুকে ভুয়া বার্তা

ব্লু হোয়েল গেম নিয়ে নানা গুজব ছড়াচ্ছে ফেসবুকে। এসব গুজবে কান দেওয়া ঠিক হবে না। গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে একটি ভুয়া বার্তা ছড়াতে দেখা গেছে।

ওই বার্তায় বলা হচ্ছে—১৩ অক্টোবর শুক্রবার রাত ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত এক ঘণ্টা বাংলাদেশের সব অ‍্যান্ড্রয়েড ফোনে ব্লু হোয়েল গেম ঢুকিয়ে দেওয়া হবে। যা প্রবেশের ফলে আপনার ফোনের সব ব‍্যক্তিগত তথ‍্য, ফেসবুক, টুইটার, হোয়াটসঅ‍্যাপ, আইএমওসহ সবকিছু ধ্বংস হয়ে যাবে। তাই শুক্রবার রাত ৯ থেকে ১০টা পর্যন্ত ফোন বন্ধ রাখুন। দেশের সেবায় এটি বেশি বেশি ফরোয়ার্ড করুন। জনসচেতনতায় বিটিআরসি।

বিটিআরসির নামে ফেসবুকে ছড়ানো ওই বার্তাটি দেখে অনেকের মধ্যেই উৎকণ্ঠা দেখা যায়। তবে অনেকেই বিষয়টি ভুয়া বলে ধরতে পেরেছেন। বিটিআরসি সূত্র জানিয়েছে, পুরোপুরি ভুয়া বার্তা এটি। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।

বিটিআরসির সচিব ও মুখপাত্র সরওয়ার আলম বলেন, বিটিআরসির নাম দিয়ে যে বার্তাটি ছড়ানো হচ্ছে তা সম্পূর্ণ ভুয়া ও মিথ্যা। জণমনে বিভ্রান্তি তৈরির জন্য কোনো অসাধু মহল বিটিআরসির নাম এটি ছড়াচ্ছে।

গত সপ্তাহ থেকে ব্লু হোয়েল গেমটি নিয়ে বাংলাদেশে আলোচনা শুরু হয়। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে এ গেম নিয়ে নানা মন্তব্য প্রকাশিত হয়। অনেকেই গেমটির নিয়ে কৌতূহলী হয়ে ওঠেন। কৌতূহলী মানুষকে আকৃষ্ট করতে অনলাইনে নানা ভুয়া অ্যাপ ও কনটেন্ট ছড়াচ্ছে।

তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলেন, ব্লু হোয়েল গেমের নামে ভুয়া অ্যাপ্লিকেশন বা সফটওয়্যার ডাউনলোড করলে ডিভাইসের সমস্যা হতে পারে। ব্যক্তিগত তথ্য চুরি হতে পারে। ব্লু হোয়েল গেমসহ ক্ষতিকর অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড বিষয়ে সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দ্বিতীয় বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন শ্রাবন্তী

গত বছর বেশ ধুমধাম করেই দ্বিতীয়বারের মতো বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন টালিউড অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। কৃষাণ ব্রজ যাদবের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন তিনি। কিন্তু এবারেও সংসারটা টিকিয়ে রাখা গেল না। বিয়ে ও বিচ্ছেদের জন্য প্রায় এক বছর চলচ্চিত্র থেকে দূরে ছিলেন শ্রাবন্তী। সম্প্রতি নিজের বিচ্ছেদ ও আসন্ন চলচ্চিত্র নিয়ে শ্রাবন্তী কথা বলেছেন ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ‘এই সময়ের’ সঙ্গে। সেখানেই নিজের বিচ্ছেদ ও আসন্ন চলচ্চিত্র নিয়ে বেশ খোলামেলাভাবেই কথা বলেছেন শ্রাবন্তী।

বিচ্ছেদ পরবর্তী জীবন এবং হতাশা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে শ্রাবন্তী বলেন, ‘আমি এখন ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছি না। কাজ আর ছেলের পড়াশোনা, এই নিয়ে ব্যস্ত। ঝিনুকের ক্লাস এইট হলো। ওর স্কুলে যেতে অসুবিধা হবে বলে বেহালা থেকে বাইপাসের ধারে বহুতল দালানে চলে এসেছি। আর হতাশ হয়ে নিজের ক্ষতি করতে পারব না। কারণ আমার ছেলে, বাবা-মা সবসময় আমায় আগলে রাখে। মাঝেমাঝে ভাবি এত ভালোবেসেও আমি ভালোবাসা পেলাম না। তাঁরপর ভাবি বাইরের লোকে যাই বলুক, আমি তো জানি কারো সঙ্গে কেন সংসার করতে পারিনি। বাইরের লোক কী বলল, তা নিয়ে আর ভাবি না।’

বিচ্ছেদের পরবর্তী কষ্ট ও হতাশা নিয়ে শ্রাবন্তী আরো বলেন, ‘আমি খুব আবেগ প্রবণ। সংসার করতে ভালোবাসি। কিন্তু এখন মনে হয়, শুধু বর থাকলেই সংসার হবে- এমন নয়। বাবা-মা, ছেলেকে নিয়েও সংসার হয়। প্রতিটা মেয়েই চায় সংসার করতে। কিন্তু আমার কপালে যা লেখা ছিল তাই হয়েছে। ভবিষ্যৎ কী রকম হবে জানি না। তবে আমি আগের থেকে পরিণত হয়েছি। দিদি, দিদির বন্ধুরা আছে। ওরা আমায় একাকীত্বে ভুগতে দেয় না। এখন কাজেও অনেক বেশি মন দিতে পারছি। মাঝে এক বছর কাজে অতটা মন দেইনি।’

কার সিদ্ধান্তে দ্বিতীয়বারের বিচ্ছেদের পথ মাড়ালেন শ্রাবন্তী? এমন প্রশ্নের জবাবে শ্রাবন্তী বলেন, ‘দুজনে মিলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ প্রাক্তন স্বামীর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগও নেই শ্রাবন্তীর। প্রাক্তন স্বামীকে শুভকামনা জানিয়ে শ্রাবন্তী বলেন, ‘আমি চাই, আমার সঙ্গে না হোক, কিন্তু সে যেন ভালো থাকে।’ এর আগে চলচ্চিত্র নির্মাতা রাজীব চক্রবর্তীর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল শ্রাবন্তীর। সে ঘরে ঝিনুক নামের একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়।

গুজব উঠেছে ‘জিও পাগলা’ চলচ্চিত্রের শুটিংয়ে নাকি যিশুর সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম করছেন শ্রাবন্তী। অবশ্য এ গুজব হেসে উড়িয়ে দিয়ে শ্রাবন্তী বলেন, “আমায় গাছ দিন। গাছের সঙ্গে রোমান্স করে নেব। এটাই তো আমাদের নায়িকাদের ক্ষমতা। অঙ্কুশের সঙ্গে যখন ছবি করেছি শুনেছি অঙ্কুশের সঙ্গে প্রেম। এবার যিশুদাকে নিয়ে শুনছি। কিন্তু যিশুদাকে কবে থেকে চিনি সেটা বলি। যখন আমি ক্লাস সিক্স সেভেনে পড়ি তখন থেকে। মাঝখানে আমরা ‘ডান্স বাংলা ডান্স’ করেছি একসঙ্গে। তবে নায়ক-নায়িকা হিসেবে প্রথমবার কাজ করলাম।”

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ডিম মেলায় সংঘর্ষ, ডিমের বদলে জুটলো পুলিশের লাঠি

গত কয়েক দিন ধরে ব্যাপক প্রচারণার পর শুক্রবার সকালে ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে অসংখ্য মানুষ হাজির হয়েছিলেন তিন টাকায় ডিম কিনতে। মানুষের চাহিদার তুলনায় নগন্য সংখ্যক ডিম নিয়ে এ আয়োজন শুরু না হতেই শেষে করতে বাধ্য হয় আয়োজকরা। ডিম না পেয়ে বিক্ষোভ ও ভাঙচুর করে ক্রেতারা। পরিস্থিতি মোকাবেলায় অসংখ্য মানুষের বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। বিশ্ব ডিম দিবস (১৩ অক্টোবর ) উপলক্ষে বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি) ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এই আয়োজন করে।

ঘোষণা অনুযায়ী সকাল দশটা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত ডিম বিক্রি করার কথা ছিল। যেখানে একজন ক্রেতাকে সর্বোচ্চ ৯০টি করে ডিম দেওয়ার কথা।সকাল ৬টা থেকেই ভিড় করতে থাকে ক্রেতারা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ক্রেতাদের এ লাইন খেজুর বাগান হয়ে বিজয় সরণী পার হয়ে গিয়েছিল।

ক্রেতাদের চাপে নির্ধারিত সময়ের আগেই আয়োজকরা ডিম বিক্রি শুরু করে। বিক্রি শুরু হওয়া মাত্রই ক্রেতাদের চাপে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। বন্ধ করে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতারার বিক্ষোভ শুরু করেন। এক সময় ধাক্কাধাক্কি হুড়োহুড়ি শুরু করে অসংখ্য মানুষ। এক পর্যায়ে কিছু মানুষ মঞ্চের ওপর পড়লে মঞ্চের একটি অংশ ভেঙে যায়, ভেঙ্গে যায় কয়েক খাঁচি ডিমও।

অতিরিক্ত ভিড় সামলাতে তেঁজগাও ডিভিশন থেকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। প্রথমে বাঁশি এবং তাড়া দিয়ে লোকজন সরাতে চান পুলিশ সদস্যরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে পুলিশ লাঠি চার্জ করে।

ক্রেতাদের অভিযোগ, তাদের ডেকে এনে অপমান করা হয়েছে। কারণ যেভাবে প্রচার প্রচারণা চালানো হয়েছে, আয়োজন ছিল না তার তুলনায় কিছুই। তাই তাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে বলে মনে করছেন তারা।

গাজীপুর থেকে সকাল আটটায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে ডিম কিনতে আসেন শাহ আলম নামে এক যুবক। তিনি বলেন: মিডিয়াতে কয়েকদিন যাবত খবর দেখে খুব উৎসাহ নিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু ডিমের বদলে জুটলো পুলিশের লাঠির আঘাত। ডেকে এনে আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হলো।

ডিম কিনতে ভিড় দেখা যায় নারীদের। রাজধানীর বিভিন্ন জায়গা থেকে তারা আসেন। মোহাম্মদপুর থেকে আসা কর্মজীবী নারী সালেহা বেগম চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন: বাজারে ডিমের দাম বেশি হওয়ায় এখান থেকে ডিম নিতে এসেছিলাম। কারণ আমার বাসায় ডিমের অনেক চাহিদা। কিন্তু ডিম নিতে এসে দেখি, এখানে গণ্ডগোল চলছে। আমার পুরো সকালটাই মাটি হলো।

তবে ক্রেতাদের ভিড় সামলাতে ধাক্কাধাক্কির কথা স্বীকার করলেও লাঠিচার্জের কথা অস্বীকার করেছে পুলিশ।

তেজগাঁও জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার রবিউল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন: আসলে বাজার সম্পর্কে কোন স্টাডি না করেই এ ধরনের আয়োজন করায় ঝামেলা হয়েছে। বাধ্য হয়েই আমাদেরকে ক্রেতাদের সামাল দিতে ব্যবস্থা নিতে হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest