সর্বশেষ সংবাদ-
আশাশুনিতে জলবায়ু-স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক যুব নেতৃত্বাধীন প্রচারনাসাতক্ষীরা জেলা স্কাউট ভবন এর উর্ধ্বমুখি সম্প্রসারণ কার্যক্রম উদ্বোধনখুলনায় এনসিপি নেতা গুলিবিদ্ধ: সাতক্ষীরা সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদারশ্যামনগরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনিয়ম ‌দুর্নীতির অভিযোগল স্টুডেন্টস ফোরাম এর নবনির্বাচিত কমিটি নির্বাচন কমিশনের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়তিতাস বহুমুখী সমবায় সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভাঝিনাইদহের জয়দিয়া বাওড়ের অবৈধ বন্দোবস্ত বাতিলের দাবিতে মানববন্ধনশীতের ছুটিতে ঘুরে আসুন দেবহাটার রূপসী ম্যানগ্রোভপ্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা -অগ্নি সংযোগের প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধনবিইউপিএফের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে শপথ নিলেন জালালপুর ইউপি চেয়ারম্যান

অসম্ভব এক যুদ্ধকে জয় করে বাড়ি ফিরেছে মুক্তামনি

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: এ যেনো এক যুদ্ধজয়ের ইতিহাস। গ্রামের লোকজন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন কখন ফিরবে তাদের মেয়ে। উদ্বেগ আর উৎকন্ঠায় দিন কাটিয়েছে বাড়ির সদস্যরাও। অবশেষে এক মাসের ছুটিতে মুক্তামনি বাড়ি আসছে। তাই আনন্দে আত্মহারা সবাই। গতকাল শুক্রবার রাতে একটি এ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি কামারবায়সায় ফিরে এসেছে মুক্তামনি।
ছয় মাস আগের মুক্তামনি আর আজকের মুক্তামনি এক নয়। এখন তার দেহে ভার একটু হলেও কমেছে। বিরল রোগটি কিছুটিা হলেও বিদায় নিয়েছে। মার্বেলের মতো একটি ছোট গোটা থেকে বৃক্ষমানবের মতো গজিয়ে ওঠা তার ডান হাতটি পচে উঠেছিল।
মুক্তামনি জানায়, ডাক্তাররা সব চেষ্টা করেছেন। প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ আমার চিকিৎসার দায়িত্ব গ্রহনের জন্য। এখনও পুরাপুরি ভালো হইনি। যন্ত্রনা আছে। হাত আবার ভারি হয়েছে। তবে পচন নেই , পোকাও নেই।
এর আগে হাতের ক্ষতস্থানে পোকা জমেছিল। সেদিন মুক্তার ধারে ভিড়তো না কেউ। আত্মীয় স্বজনও মুক্তাদের বাড়িতে আসতো না , মুক্তার রোগকে ঘৃণা করতো। কিন্তু সে দিনের অবসান ঘটেছে। এখন এক অন্যরকম মুক্তামনি ফিরে এসেছে গ্রামে। মুক্তা এখন খেলবে। সে পড়বে । আর গান গাইবে প্রাণ খুলে। তবে আর কিছুদিন পর। কারণ মুক্তা এখনও পুরোপুরি সুস্থ নয়।
মুক্তামনির বাবা মো. ইব্রাহিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব নিয়েছিলেন বলেই মেয়ের চিকিৎসা সম্ভব হলো। এজন্য ধন্যবাদ জানাই।
পচে ওঠা ভারি হাত নিয়ে গত ১০ জুলাই মুক্তামনিকে ভর্তি করা হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে। দেহের ক্ষতস্থানে বায়োপসি করে তার রক্তনালীতে টিউমার ধরা পড়ে । পরে তাকে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসার জন্য একটি হাসপাতালের সাথে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেখার পর সিঙ্গাপুর হাসপাতাল মুক্তার চিকিৎসায় তাদের অস্বীকৃতির কথা জানিয়ে দেয়।
চোখের জল মুছতে মুছতে মুক্তামনির মা আসমা খাতুন বলেন, সিঙ্গাপুরের ডাক্তাররা রাজী না হলেও সাহসের সাথে বাংলাদেশের ডাক্তাররা মুক্তামনিকে চিকিৎসা করেছেন। আমি দোয়া করি প্রধানমন্ত্রীর জন্য। তিনি যেনো সুস্থ থাকেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তামনির চিকিৎসার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। অবশেষে বাংলাদেশের ডাক্তাররাই মুক্তামনির বিরল রোগ নিরাময়ে সাহসী সিদ্ধান্ত নেন। দফায় দফায় সার্জারি শেষে তার ডান হাতে নতুন চামড়া লাগানো হয়। এর পর সে অনেকাংশে সুস্থ হয়ে যায়। মুক্তামনিকে ডাক্তাররা এক মাসের ছুটি দিয়েছেন।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কামারবায়সা গ্রামের মুদি দোকানী মো. ইব্রাহিমের দুই যমজ মেয়ে মুক্তামনি ও হীরামনি। ১২ বছর বয়সের হীরা ও মুক্তা একই সাথে পড়তো। কিন্তু অসুস্থতার কারণে মুক্তার লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যায়। বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা করিয়েও কোনো লাভ হয়নি। অবশেষে গত জুলাইয়ে বিভিন্ন গনমাধ্যমে মুক্তামনির রোগ নিয়ে রিপোর্ট হয়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয় তাকে। সেই থেকে এতোদিন চিকিৎসা নিয়ে মুক্তা বাড়ি ফিরলো শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটায়। মুক্তা ঢাকা মেডিকেলের ডা. আবুল কালাম ও ডা. সামন্ত লাল সেনের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী তার চিকিৎসার সব খরচ বহন করেছেন। তিনি প্রতিনিয়ত তার চিকিৎসার খবর নিয়েছেন।
ছুটিতে মুক্তার বাড়ির আসার খবরে আনন্দিত হয়ে অপেক্ষায় ছিল গ্রামের নারী পুরুষ ছেলে বুড়ো সবাই। মুক্তার জন্য ওর নানা নানী বিশেষ খাবার রান্না করে এনেছেন বাড়ি থেকে। মুক্তা বললো অনেকদির নানীর হাতের রান্না খাইনি। আজ সত্যিই মজা করে খাবো। নানা শওকত আলি, নানী আনজুয়ারা, দাদী সালেহা খাতুন, চাচা আহসান আলি আর চাচী খাদিজা বেগম অপেক্ষায় ছিলেন কখন আসবে মুক্তামনি। অপেক্ষায় ছিলেন গ্রামের আনারুল, নাহিদ, রহিম, ফেরদৌস, ইসমাইল, সিয়াম, বেল্লাল, মুন্নাসহ সমবয়সী সব বন্ধু বান্ধবরা। কিন্তু অপেক্ষায় ছিলেন না মুক্তার দাদা। তিনি তো মারা গেছেন মুক্তার চিকিৎসা করাতে গিয়ে ঢাকায়। সে খবর মুক্তাকে এখনও জানানো হয়নি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কাদাকাটিতে চলছে রাস্তা কেটে জমি বাড়ানোর মহোৎসব

মোস্তাফিজুর রহমান : আশাশুনির কাদাকাটিতে সরকারি রাস্তা কেটে ব্যক্তিগত জমি বাড়ানোর মহোৎসবের অভিযোগ পাওয়াগেছে। আর এ রাস্তা কাটার মহোৎসব চলছে কাদাকাটির গ্রামের বিলের মধ্যের কয়েকটি রাস্তা কেটে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, কাদাকাটি বিলের মধ্যে ছমির সরদারের বাড়ি থেকে হান্নান মেম্বরের বাড়ি পর্যন্ত দেড় কিঃ মিঃ রাস্তা, ব্যাগের চক হতে হলদেপোতা পর্যন্ত সাড়ে তিন কিঃ মিঃ রাস্তা, গিয়াস উদ্দীনের বাড়ি হতে পুটি মারি পর্যন্ত ২ কিঃ মিঃ রাস্তা, দলীল সরদারের বাড়ির সামনের ব্রিজ হতে বাকি বিল্লাহর মৎস্য ঘের পর্যন্ত আড়াই কিঃ মিঃ রাস্তার অধিকাংশ স্থানে কেটে পাশের জমির মালিকরা তাদের জমির পরিমান বাড়ানোর প্রতিযোগিতায় মেতেছে। আর এ প্রতিযোগিতায় এগিয়ে আছে কাদাকাটি গ্রামের মৃত কুদ্দুস সরদারের পুত্র মোঃ আজিবার রহমান। বিগত দুই বছর থেকে এ রাস্তা কেটে জমি বাড়ানোর প্রতিযোগিতার অংশ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন একই গ্রামের মৃত নফিল উদ্দীন সরদারের পুত্র বদর উদ্দীন সরদারসহ একাধিক প্রতিযোগি। উল্যেখিত রাস্তা গুলোর কোথাও ১৩ কোথাও ১১ ফিট থাকার কথা থাকলেও বাস্তবে কোথাও কোথাও রাস্তা অবশিষ্ট আছে মাত্র ৩ থেকে ৬ ফিট। সরকারি রাস্তা কাটার এ মহোৎসব দেখেও না দেখার ভান করে আছেন স্থানীয় জন প্রতিনিধিসহ দেখভালের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা। এলাকার বেশিরভাগ মানুষের বক্তব্য এভাবে রাস্তা কাটতে থাকলে বিলের সহ্রাধীক বিঘা জমির ফসল বহনের জন্য যানবাহন চলাচলের জন্য কোন উপায় থাকবে না। বিষয়টি নিয়ে কথা বললে স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু হাসান বাবু জানান, এলাকার একাধিক ব্যক্তি সরকারি রাস্তা কেটে ব্যক্তিগত সম্পদ বাড়ানোর বিষয়টি আমাকে জানিয়েছে এমনকি আমার চোখেও পড়েছে। এলাকার জনসাধারণের স্বার্থে রাস্তাগুলো উদ্ধারে সরকার যে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে আমার সার্বিক সহযোগিতা সেখানে থাকবে। বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য বেলা ১টার সময় কাদাকাটি ইউনিয়ন ভূমি(সাব) অফিসের সহকারী কর্মকর্তা সিদ্দিক উল্লাহর অফিসে গেলে তার অফিসে তালা ঝুলতে দেখা যায়। তার মোবাইল নাম্বারে কয়েকবার ফোন দিয়েও ফোন রিসিভ হয়নি।
কাদাকাটি ইউপি চেয়ারম্যান দিপংকর কুমার সরদার প্রতিবেদককে জানান, আমাকে এর আগে রাস্তা কাটার বিষয়টি কেহ বলেনি। আপনার থেকে প্রথম শুনলাম। আমি যেখানে ইউনিয়নের রাস্তাগুলো বড় করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছি সেখানে কেহ যদি রাস্তা কেটে ছোট করতে চায় সে যেই হোক তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। কালই আমি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। প্রয়োজনে প্রশাসনকেও কাজেু লাগাবো। এলাকার গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলো ধ্বংশের হাত থেকে রক্ষা করতে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকার জনসাধারণ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আ’লীগ নেতা এড. ওয়াকিলের বাড়িতে এমপি রবি

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক ২০১০ সালে দু’চোখে আঘাতজনিত কারণে দৃষ্টি শক্তি হারানো অন্ধ একাকিত্বে গৃহযাপনকারী সুলতানপুর এলাকার মৃত এরশাদ আলীর ছেলে এড. ওয়াকিল আলীকে দেখতে ও তার শারিরীক অবস্থার খোজ-খবর নিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও সাতক্ষীরা-০২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। এসময় এমপি রবিকে পেয়ে তিনি আবেগে আপ্লুত হয়ে কেঁদে ফেলেন এবং তিনি বলেন, কেউ মনে রাখেনি। আমি দীর্ঘ ৭ বছর জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে দলকে সুসংগঠিত করতে দলের স্বার্থে নিরলসভাবে কাজ করেছি। আমি অন্ধ হয়ে কিছু দেখতে পাইনা। আমি আজ মহা-খুশি বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার হয়েছে এবং বঙ্গবন্ধুর ভাষণ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ায় আমি চোখে দেখতে না পারলেও আমি আজ গর্বিত।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শ্যামনগরে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য আমিরুল আটক

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: কুখ্যাত সন্ত্রাসী ও আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য আমিরুল সরদার (৩৫)-কে আটক করে পুলিশে দিয়েছে জনতা। আমিরুল শ্যামনগর উপজেলার পার্শ্বেমারী গ্রামের মৃত আব্দুল ওহাব সরদার এর পুত্র।
শ্যামনগর চকবারা বাজার এলাকায় স্থানীয় জনগণ দেখতে পেয়ে তাকে আটক করে পুলিশকে সংবাদ দেয়। সংবাদ পেয়ে শ্যামনগর থানার এসআই আবুল কালাম আজাদ ও এসআই দীপ্তেশ রায় আমিরুল সরদারকে জনগণের নিকট থেকে গ্রেফতার করে। তাৎক্ষণিক জিজ্ঞাসাবাদে তার স্বীকারোক্তি ও দেখানো মোতাবেক পার্শ্বেমারী গ্রামস্থ তার বাড়ি থেকে অদ্য শুক্রবার বেলা ১.৩০ টার দিকে একটি দেশে তৈরি সক্রিয় পিস্তল ও এক রাউন্ড তাজা গুলি উদ্ধার করে। এ ঘটনায় শ্যামনগর থানার মামলা নং-১১, তারিখ ২২/১২/২০১৭ খ্রিঃ ধারা ১৮৭৮ সনের অস্ত্র আইনের ১৯-এ রুজু করা হয়েছে বলে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শীতার্তদের কম্বল বিতরণ করলেন এমপি রবি

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের ইটাগাছা গড়েরকান্দা পূর্বপাড়া এলাকায় অসহায় শীতার্থ মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র (কম্বল) বিতরণ করলেন সাতক্ষীরা-০২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। শুক্রবার পৌষের কনকনে তীব্র শীতের রাতে অসহায় মানুষের শীতের কষ্ট লাঘব করতে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় প্রদত্ত কম্বল নিয়ে পাশে দাঁড়ালেন। এসময় প্রতিবন্ধী ও অসহায় ৬০টি পরিবারের মাঝে এ শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, ওয়ার্ড আ ’লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আনোয়ার হোসেন মিলনসহ স্থানীয় নেতা-কর্মী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বাঙালি জাতি আজ বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে – রইচপুরে নজরুল ইসলাম

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: সাতক্ষীরা পৌর আওয়ামীলীগের অন্তর্ভূক্ত ৭নং ওয়ার্ড শাখার রইচপুর আঞ্চলিক কমিটির উদ্যোগে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় রইচপুর রাজ্জাকের মোড়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন আব্দুল কুদ্দুস। আলোচনা সভায় প্রধান হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. নজরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি যথাক্রমে, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আবু সায়ীদ, সাধারণ সম্পাদক মো. সাহাদাৎ হোসেন, ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি পৌর কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর হোসেন কালু, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, আব্দুল হান্নান, আবুল কাশেম, কামাল, জামাল, আব্দুর রশিদ, ফজলু প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন, আজমির হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে একটি উন্নতশীল শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন, বাঙালি জাতি আজ বিশ্ব দরবারে গর্বিত জাতি হিসাবে মাথা উঁচু করে দাড়িয়েছে। আওয়ামী লীগ উন্নয়নের সরকার, জনগণের সরকার। আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এসে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ এর ব্যবস্থা করে দিয়েছে। রাস্তাঘাট, ড্রেন, কালভার্টসহ চিকিৎসা ও কৃষি খাতে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। উন্নয়নের এ গণজোয়ার অব্যাহত রাখতে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা মনোনীত নৌকা প্রতীক কে বিজয়ী করার আহ্বান জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রিসেপশনের আনুশকা-বিরাটের প্রাণখোলা নাচ ভাইরাল (ভিডিও)

সেই ইতালির তাসকানিতে বিলাসবহুল রিসর্টে গাঁটছড়া বেঁধে ছিলেন বিরাট কোহলি ও আনুশকা শর্মা। এরপর মধুচন্দ্রিমা সেরে তারা ফিরে আসার পরেই অপেক্ষা শুরু হয়েছিল এই তারকা যুগলের রিসেপশনের।

জোড়া রিসেপশনের প্রথমটি ছিল গতকাল বৃহস্পতিবার নয়া দিল্লির তাজ প্যালেসে। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বয়ং নরেন্দ্র মোদি। বুধবারই তাকে নিমন্ত্রণ করতে গিয়েছিলেন এই নবদম্পতি। সেই ছবিও ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়।

কেবল নরেন্দ্র মোদি নন, এসেছিলেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলিও। ছিলেন বিরাটের ঘনিষ্ঠ সতীর্থ শিখর ধাওয়ান ও সুরেশ রায়না। বর-কনের বিয়ের পোশাক যার মস্তিষ্কপ্রসূত, সেই সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়ও ছিলেন এ দিনের অন্যতম অতিথি।

ভিআইপিরা ছাড়াও বিরুষ্কার আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠ বান্ধবদের উপস্থিতিতে বৃহস্পতিবারের সন্ধ্যা ছিল জমজমাট। ছিলেন বিখ্যাত গায়ক গুরদাস মান। তার পারফরম্যান্স ছিল উপরি পাওনা। গানের তালে তালে পা মেলালেন বিরাট-আনুশকাও। নোট মুখে লাল শাড়িতে নববধূর নাচ কিংবা বাইশ গজের তাণ্ডব চালানো বিরাটের কোমরের দুলুনিতে কেঁপে গেল মঞ্চ।

প্রায় ৫০০ অতিথির উপস্থিতিতে জমজমাট উদযাপনের পরে এখন সকলের নজর মুম্বাইয়ের দিকে। সেখানেও থাকবে বলিউড ও ক্রিকেট তারকাদের উজ্জ্বল উপস্থিতি। দিল্লির পরে এবার তাই মিশন মুম্বাইয়ের দিকেই তাকিয়ে ক্রিকেট ও বিনোদনপ্রেমী মানুষেরা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় ফিরেছে মুক্তামণি

বিরল রোগে আক্রান্ত সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাশদহ ইউনিয়নের কামারবাইশা গ্রামের শিশু মুক্তামণি দীর্ঘদিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা নিয়ে শুক্রবার বাড়ি ফিরেছে। টানা ৬ মাস চিকিৎসা নিয়ে এক মাসের ছুটিতে বাড়ি ফিরল মেয়েটি।

শুক্রবার সকাল ৮টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে একটি সরকারি অ্যাম্বুলেন্সযোগে রওয়ানা দিয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় নিজ বাড়িতে পোঁছায় মুক্তামণি। তার সঙ্গে বাড়ি ফিরেছেন তার বাবা ইব্রাহিম গাজী, মা আসমা খাতুন ও ছোট ভাই আলামিন গাজী।

মুক্তামণির বাবা ইব্রাহিম গাজী বলেন, আমরা বাড়িতে ফিরেছি। মুক্তামনির চিকিৎসা এখনো শেষ হয়নি। বাড়ির জন্য মুক্তামণির মনটা খারাপ হওয়ায় ডাক্তাররা এক মাস ছুটি দিয়েছেন। এক মাস পর আবারও চিকিৎসার জন্য সেখানে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন।

অনেকটা আক্ষেপের সাথে মুক্তামণির বাবা ইব্রাহিম গাজী আরো বলেন, দীর্ঘ ৬ মাস চিকিৎসা করিয়েও মুক্তামণির চিকিৎসার তেমন কোনো উন্নতি হয়নি। এক মাস পর যেতে বলেছেন ডাক্তাররা।

এদিকে মুক্তামণির বাড়িতে ফেরার খবরে তাকে এক নজর দেখতে এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ জড়ো হয়েছে।

উল্লেখ্য, বিরল রোগে আক্রান্ত মুক্তামনিকে নিয়ে ডেইলি সাতক্ষীরাসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার চিকিৎসার সকল দায়িত্ব গ্রহণ করেন। বিভিন্ন গণমাধ্যমেও সংবাদটি গুরুত্বের সঙ্গে প্রচার হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest