সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা: আসামী ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগশ্যামনগরে কোস্টগার্ডের অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দআশাশুনিতে জলবায়ু-স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক যুব নেতৃত্বাধীন প্রচারনাসাতক্ষীরা জেলা স্কাউট ভবন এর উর্ধ্বমুখি সম্প্রসারণ কার্যক্রম উদ্বোধনখুলনায় এনসিপি নেতা গুলিবিদ্ধ: সাতক্ষীরা সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদারশ্যামনগরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনিয়ম ‌দুর্নীতির অভিযোগল স্টুডেন্টস ফোরাম এর নবনির্বাচিত কমিটি নির্বাচন কমিশনের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়তিতাস বহুমুখী সমবায় সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভাঝিনাইদহের জয়দিয়া বাওড়ের অবৈধ বন্দোবস্ত বাতিলের দাবিতে মানববন্ধনশীতের ছুটিতে ঘুরে আসুন দেবহাটার রূপসী ম্যানগ্রোভ

শীতকালে নিয়মিত বাঁধাকপির রস খেলে পাবেন ৬টি উপকারিতা

স্বাস্থ্য ও জবিন : ক্রসিফেরাস পরিবারের এই সদস্যটিকে কাজে লাগিয়ে নানা মুখরোচক খাদ্য বানানো হলেও চিকিৎসকদের মতে নিয়মিত বাঁধাকপির রস খেলে মেলে নানা শারীরিক উপকারিতাও। বিশেষত এই ঠা-ায় শরীরকে চাঙ্গা রাখতে এই ঘরোয়া ঔষধিটির কোনও বিকল্প নেই বললেই চলে।
স্তরে স্তরে সাজানো এই গোলাকার সবজিটিতে প্রচুর মাত্রায় আছে ভিটামিন এবং মিনারেল। সেই সঙ্গে আছে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, সালফার, ফসফরাস এবং ফলেটের মতো উপকারি উপাদানও, যা নানাভাবে শরীরের গঠনে সাহায্য করে থাকে।
এখন প্রশ্ন হল কীভাবে খেলে এই সবজিটি থেকে সর্বোত্তম উপকার পাওয়া যেতে পারে? বিশেষজ্ঞদের মতে রান্না করার সময় অল্প হলেও এই সবজিতে থাকা উপকারি উপাদানগুলো নষ্ট হয়ে যায়। সে কারণেই রান্না করে নয়, বরং বাঁধাকপির রস বানিয়ে তা খাওয়া উচিত। এমনটা করলে সবজিটির ভেতরে থাকা প্রতিটি ভিটামিন এবং মিনারেল আমাদের শরীরে প্রবেশ করার সুযোগ পেয়ে যায়। ফলে মেলে নানা উপকার। আসুন জেনে নেওয়া যাক…
১. শরীরে পুষ্টির ঘাটতি দূর হয়
যেমনটা একেবারে শুরুতেই আলোচনা করা হয়েছে যে বাঁধাকপিতে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন এবং অন্যান্য খনিজ উপাদান থাকে, যেমন- ভিটামিন সি, এ, বি১, বি২, বি৬, ই এবং কে। এই সবকটি ভিটামিনই শরীরে নানা উপকারে লেগে থাকে। সেই সঙ্গে রোগ ভোগের আশঙ্কা কমাতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়।
প্রসঙ্গত, বাঁধাকপির ভেতরে থাকা ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে তুলতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
২. শরীরকে বিষ মুক্ত করে
বাঁধাকপির রসে উপস্থিত ভিটামিন কে এবং সি আমাদের শরীরের ভেতরে উপস্থিত ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানদের বের করে দেয়। ফলে একদিকে যেমন কোষেদের কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়, তেমনি ক্যান্সারের মতো রোগ হওয়ার সম্ভাবনাও কমে। প্রসঙ্গত, হার্টকে দীর্ঘদিন কর্মক্ষম রাখতেও এই দুই ভিটামিন দুটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এবার বুঝেছেন তো বাঁধাকপির রসের উপকারিতা কতটা।
৩. ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ায়
সারা দিন দূষণ এবং খাবারের মাধ্যমে নানাবিধ ক্ষতিকর টক্সিক বা বিষ আমাদের শরীরে প্রবেশ করতে থাকে। এই বিষাক্ত উপাদানেরা রক্তে মিশে যাওয়ার পর যেমন শরীরের প্রতিটি কোণায় পৌঁছে যায়, তেমনি ত্বকের ভেতরেও জমতে শুরু করে। ফলে ধীরে ধীরে ত্বকের সৌন্দর্য কমে যায়। সেই সঙ্গে নানাবিধ ত্বকের রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও বাড়ে। এমন অবস্থায় নিয়মিত যদি বাঁধাকপির রস খাওয়া যায়, তাহলে দারুন উপকার মেলে। কারণ এই সবজিটিতে থাকা সালফার এবং ফসফরাস ত্বকের ভিতরে জমতে থাকা বর্জ্য পদার্থদের বের করে দেয়। সেই সঙ্গে স্কিনের ভেতরে হওয়া পুষ্টির ঘাটতিও দূর করে। ফলে ধীরে ধীরে ত্বক উজ্জ্বল এবং প্রাণোচ্ছ্বল হয়ে ওঠে।
৪. ওজন কমাতে সাহায্য করে
অতিরিক্ত ওজন আজ অভিশাপের সমান। কারণটা খুব সহজ! মাত্রাতিরিক্ত ওজন মানেই তার লেজুড় হবে ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল এবং হার্টের রোগের মতো মারণ ব্যাধি। আর এমনটা হলে জীবনে একেবারেই শান্তি থাকবে না, তা কি আর বলে দিতে হবে। তাই কোমরের মাপ যদি বাড়তে শুরু করে, তাহলে আজ থেকেই বাঁধাকপির রস খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন দ্রুত ওজন কমে যাবে। আসলে নিয়মিত বাঁধাকপির রস খেলে ইনটেস্টাইনের কর্মক্ষমতা বাড়তে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে। আর এমনটা হলে মেদ বৃদ্ধির আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। সেই সঙ্গে নানাবিধ পেটের রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও কমে।
৫. রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটায়
শরীরকে নানাবিধ জীবাণু এবং ফরেন বডির হাত থেকে বাঁচাতে আমাদের শরীরের ভেতরে বেশ কিছু সৈনিক রাত্রি দিন কাজ করে চলে। এরা যখন কাজ করতে করতে দুর্বল হয়ে পড়ে, তখনই মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে নানা রোগ। আপনি কি চান, আপনার সৈনিকেরাও এমন দুর্বল হয়ে পড়ুক। উত্তর যদি না হয়, তাহলে আজ থেকেই বাঁধাকপির রস খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন উপকার মিলবে। কারণ এই প্রাকৃতিক উপদানাটি ইমিউন সিস্টেমকে এত মাত্রায় শক্তিশালী করে তোলে যে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। সেই সঙ্গে কমে সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও।
৬. লিভার ফাংশনের উন্নতি ঘটে
শরীরকে চাঙ্গা রাখতে যে যে অঙ্গগুলির কোনও বিকল্প হয় না, লিভার তাদের অন্যতম। সেই কারণেই তো চিকিৎসকেরা লিভারের একটু বেশি মাত্রায় খেয়াল রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। আর এই কাজটি যাতে আপনি ঠিক ঠিক মতো করতে পারেন, তার জন্যই তো বাঁধাকপির রস খাওয়া জরুরি। কারণ এই পানীয়টি খাওয়া শুরু করলে শরীরে ইনডোল-৩ কার্বোনাইল নামে একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টর মাত্রা বাড়তে শুরু করে, যা শরীরকে বিষ মুক্ত করার পাশাপাশি লিভার ফাংশনের উন্নতিতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দীর্ঘ সময় বসে কাজ করা স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ায়

স্বাস্থ্য ও জীবন : জীবন-জীবিকার প্রয়োজনে অফিস বা ব্যবসা ক্ষেত্রে আমাদের দীর্ঘক্ষণ বসে থাকতে হয়। অনেকক্ষণ বসে থাকার ফলে ধীরে ধীরে শরীরে বাসা বাঁধতে শুরু করে নানা রোগ-ব্যাধি, যা কখনো মারাত্মক রূপও ধারণ করতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, কোমরে চর্বিজমা, রক্তে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল, হার্টের সমস্যা, ওজন বৃদ্ধি সমস্যা যারা বসে কাজ করেন তাদের মধ্যে বেশি।
এছাড়াও যারা ডেস্কে বসে বেশিক্ষণ কাজ করেন তারা কোমর ও ঘাড় ব্যথায় বেশি ভোগেন। কিন্তু জীবনের তাগিদে নিত্যদিনের কাজ ত্যাগ করা সম্ভব নয়। তাই প্রতিদিন কাজের ফাঁকে কিছু অভ্যাস তৈরি করা উচিত। যেমন এক ঘণ্টা পর পর চেয়ার থেকে উঠে কিছুক্ষণ হাঁটা, লিফটের পরিবর্তে সিঁড়ি দিয়ে উঠা-নামার অভ্যাস করা, চেয়ারে সোজা হয়ে বসা।
এছাড়াও কিছু ছোট-খাটো ব্যায়াম আছে যা চেয়ারে বসেই করা যায়, কাজের ফাঁকে এই ব্যায়ামগুলো করা। মনে রাখতে হবে আমাদের শরীর প্রতিদিন যেই পরিমাণ ক্যালোরি গ্রহণ করে, তা কাজে লাগাতে হবে। তাই প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট হাঁটার চেষ্টা করতে হবে। পাশাপাশি নাশতায় ভাজাপোড়া বা ফাস্টফুডের পরিবর্তে মৌসুমি ফল বা বাদাম জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। গ্রিন টি আমাদের শরীরে কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে, তাই চা বা কফির পরিবর্তে গ্রিন টি খাওয়া যেতে পারে। এছাড়া কোনো প্রকার স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ভোটারদের সঙ্গে লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিলেন মোদি

ভারতের গুজরাট বিধানসভার দ্বিতীয় ও শেষ দফার নির্বাচনে সাধারণ ভোটারদের মতো লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার কিছু পরে আমেদাবাদের সবরমতী বিধানসভা কেন্দ্রের রানিপ এলাকায় অবস্থিত নিশান হাইস্কুলে ১১৫ নম্বর বুথে ভোট দেন তিনি। এই সবরমতী বিধানসভা কেন্দ্রের বর্তমান এমএলএ বিজেপির অরবিন্দ প্যাটেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন কংগ্রেস প্রার্থী জিতুভাই প্যাটেলের সঙ্গে।

এদিন দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে মোদির শোভাযাত্রা এসে থামে নির্বাচনী কেন্দ্রের বাইরে। এরপর সেখান থেকে হেঁটে ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে যান এবং আর পাঁচজন সাধারণ ভোটারের সঙ্গেই লাইনে দাঁড়ান ভারতের প্রধানমন্ত্রী। কয়েক মিনিট অপেক্ষা করার পর ভোট গ্রহণ কেন্দ্রের ভিতর প্রবেশ করেন তিনি। এরপর প্রধানমন্ত্রীর আঙুলে ভোটের কালি লাগিয়ে দেন ভোট কর্মীরা। এরপর সমস্ত আনুষ্ঠাকিতা শেষ করে নিজের ভোটটি প্রদান করেন এবং কালি লাগানো আঙুলের ছবিটি গণমাধ্যমের কর্মীদের সামনে তুলে ধরেন।

এদিন নির্বাচন কেন্দ্রে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গেই মোদিকে ঘিরে উপস্থিত নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসাহ ছড়িয়ে পড়ে। মোদিকে দেখতে ভোট কেন্দ্রের বাইরে অনেক সাধারণ মানুষও জড়ো হন এবং তারা প্রত্যেকেই ‘মোদি-মোদি’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন। মোদিকে সামনে পেয়ে ছবি তোলার হিড়িক পড়ে যায় উপস্থিত ভোটারদের মধ্যে।

এদিন, ভোটদানের পরও কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে অনেকটা পথ পায়ে হেঁটে সেখানে উপস্থিত সাধারণ মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী। কয়েকশত মিটার পায়ে হেঁটে সাধারণ মানুষের সাথে মিশে যান, এ সময় মোদিকে ঘিরে সাধারণ জনতার মধ্যে প্রবল উৎসাহ ছড়িয়ে পড়ে, মোদিকে দেখতে হুড়াহুড়ি শুরু তাদের মধ্যে। সে সময় ভিড় সামলাতে রীতিমতো হিমসিম খেতে হয় মোদির ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কর্মীদের।

শেষ দফায় সকাল ৮টা থেকে উত্তর ও মধ্য গুজরাটের ১৪টি জেলার ৯৩টি কেন্দ্রে ভোট নেওয়া শুরু হয়েছে। প্রায় ২ কোটি ২২ লাখ ভোটার মোট ৮৫১ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করবেন।

এদিন সকালে গান্ধীনগরে আর্যভট্ট হাইস্কুলে ভোট দেন নরেন্দ্র মোদির মা হিরাবেন (৯০)। মা’এর সঙ্গে ছিলেন তাঁর ছোট ছেলে পঙ্কজ মোদি ও পরিবারের লোকেরা। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে ভোট দিয়ে যান বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ, গুজরাটের সাবেক নারী মুখ্যমন্ত্রী আনন্দীবেন প্যাটেল, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুন জেটলি, রাজ্যটির উপমুখ্যমন্ত্রী বিজেপির নীতিন প্যাটেল, কংগ্রেস প্রার্থী শক্তিশিং গোহিল, পতিদার নেতা ও প্যাটেল আন্দোলনের নেতা হার্দিক প্যাটেল, সাবেক ক্রিকেটার নয়ন মোঙ্গিয়া প্রমুখ।

গত ৯ ডিসেম্বর প্রথম দফার ভোটগ্রহণ হয় গুজরাটে। গণনা আগামী ১৮ ডিসেম্বর। ওই একই দিনে হিমাচল প্রদেশ বিধানসভার ভোটেরও ফলাফল ঘোষিত হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জয়ার ছবি দিয়ে শুরু হচ্ছে ঢাকাই সিনেমার নতুন বছর

বিনোদন ডেস্ক : ঢাকা ও কলকাতা দুই শহরেই জয়া আহসানের কদর। তবে সম্প্রতি কলকাতাতেই তার ব্যস্ততা চোখে পড়ার মতো। সেখানে নামী দামি নির্মাতারা প্রায় সবাই জয়াকে চাইছেন তাদের ছবিতে। সেই সুবাদে বেশ কিছু ছবিতে তিনি কাজ করছেন।
এরইমধ্যে পাওয়া গেল নতুন খবর, জয়া আহসানের ছবি দিয়েই শুরু হতে যাচ্ছে ঢাকাই সিনেমার ইন্ডাস্ট্রির নতুন বছর। অর্থাৎ, নতুন বছরের প্রথম সপ্তাহেই মুক্তি পেতে যাচ্ছে এই অভিনেত্রীর সিনেমা। ছবির নাম ‘পুত্র’। ছবিটি পরিচালনা করেছেন সাইফুল ইসলাম মান্নু।
তথ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের প্রযোজনা এবং ইমপ্রেস টেলিফিল্মের তত্ত্বাবধায়নে নির্মিত হয়েছে ‘পুত্র’। অটিস্টিক শিশুদের বেড়ে ওঠা, পরিবারের চ্যালেঞ্জ আর পারিপার্শ্বিক সামাজিক অবস্থায় একটি অটিস্টিক শিশু জীবন-যাপন কেমন হয়, শিশুটি কীভাবে বেড়ে ওঠে, সেসব দৃশ্যপট তুলে ধরা হয়েছে ‘পুত্র’ ছবিতে।
চলচ্চিত্রটির ডিস্ট্রিবিউটিংয়ের দায়িত্বে পেয়েছে জাজ মাল্টিমিডিয়া। ৫ জানুয়ারি প্রেক্ষাগৃহে ‘পুত্র’ চলচ্চিত্রটি মুক্তি পেতে যাচ্ছে জানিয়ে জাজের সিইও আলিমুল্লা খোকন বলেন, ‘জাজ মাল্টিমিডিয়া ‘পুত্র’ ছবিটির পরিবেশকের দায়িত্ব পেয়েছে। এই ছবিগুলোতো গ্রামের দিকে খুব একটা চলে না, তাই আমরা সিনেপ্লেক্সগুলোতেই বেশি মনযোগ দিচ্ছি।’
অনুমান করা যাচ্ছে ত্রিশটি প্রেক্ষাগৃহে ‘পুত্র’ চলচ্চিত্রটি মুক্তি পেতে পারে। এ বিষয়ে জাজ কর্মকর্তা খোকন বলেন, ‘আপাতত আমাদের টার্গেট বিশটির মতো হলে ছবিটি মুক্তি দেওয়া। পরবর্তীতে দর্শক চাহিদার উপর নির্ভর করবে পরের সপ্তাহে হল আরও বাড়বে কী না।’
জয়া আহসান ছাড়াও ‘পুত্র’ ছবির অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন আহসান হাবিব, রিচি সোলায়মান, সাবেরী আলমসহ অনেকে। হারুন রশীদের কাহিনিতে চিত্রনাট্য ও সংলাপ করেছেন স্বয়ং নির্মাতাই।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আমার চরিত্রের নাম মুটি : মৌমিতা

বিনোদন ডেস্ক : চলচ্চিত্রে চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে কত কিছুই না করতে হয় অভিনয়শিল্পীদের। কখনো ওজন কমাতে হয়, কখনো আবার বাড়াতেও হয়। মৌমিতা মৌকে ওজন বাড়াতে হয়েছে। মালেক আফসারি পরিচালিত ‘অন্তর জ্বালা’ ছবির জন্যই ওজন বাড়ান মৌমিতা। তিনি জানান চরিত্রের প্রয়োজনে ৭ কেজি ওজন বাড়িয়েছেন তিনি। আর ওজন বাড়িয়েছেন কিভাকে সেটাই জানিয়েছেন তিনি।
মৌমীতা বলেন, ‘আমাকে যখন এই ছবিতে সিলেক্ট করা হয়, তখন পরিচালক মালেক আফসারি স্যার আমাকে ফোন করে বললেন আমাকে আরো মোটা হতে হবে। আমি তো অবাক, আমি এমনিতেই অনেক হেলদি, আরো মোটা হবো মানে কী? পরে স্যারের সাথে আমি দেখা করি, তিনি আমাকে ছবির গল্প ও চরিত্র বুঝিয়ে দেন, তখন দেখি আমার চরিত্রের নাম মুটি। আমাকে তাই আরো মোটা হতে হবে।’
মৌমিতা বলেন, ‘আমি দুই মাস নিয়মিত ফাস্ট ফুড খেয়েছি তিন বেলাতেই, এমনিতেই খাবার খেতে আমার ভালো লাগে, ছবির জন্য আমি আরো খাবার বাড়িয়ে দেই। দুই মাসে আমি আরো সাত কেজি ওজন বাড়িয়েছি।’
নিজের চরিত্র নিয়ে মৌমিতা আরো বলেন, ‘গল্পে আমি একজন ভয়েস আর্টিস্ট, আমি মফঃস্বল শহরে একটি ডিস চ্যানেলের প্রচারের জন্য যে বিজ্ঞাপন তৈরি হয়, আমি সেখানে ভয়েস দেই। সেখানেই পরিচয় হয় ছবির হিরোর সাথে। এর বেশি বলতে চাই না। আশা করি দর্শক হলে গিয়ে ছবিটি দেখবেন।’
এ ছবির চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন পরিচালক মালেক আফসারি নিজেই। সংগীত পরিচালনা করেছেন এস আই টুটুল। ছবিটি প্রযোজনা করেছে জায়েদ খানের সংস্থা জেড কে মুভিজ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
নেকড়ের সঙ্গে সালমান খানের লড়াই!

বিনোদন ডেস্ক : সিনেমার পর্দায় দর্শকদের আনন্দ দিতে কত কসরতই তো করেন তারকারা। কিন্তু তাই বলে সত্যিকারের নেকড়ের সাথে লড়াইয়ের মতো দুঃসাহস কেউ করেন? কেউ না করলেও এমন দুঃসাহস করেছেন বলিউড ভাইজান খ্যাত তারকা সালমান খান।
তার নতুন ছবি ‘টাইগার জিন্দা হ্যায়’- এর একটি দৃশ্য ছিলো নেকড়ের সঙ্গে লড়াইয়ের। সেই দৃশ্যের একটি ছবি টুইটারে পোস্ট করেছেন পরিচালক আলি আব্বাস জাফর। তিনি বলেন, ভেবেছিলেন প্রযুক্তির মাধ্যমেই সেই দৃশ্যটি করবেন। কিন্তু দর্শকদের কাছে যেনো খুঁত না থাকে তার জন্যে প্রযুক্তির নেকড়ে নয়, দৃশ্যায়নের জন্যে বন্দোবস্ত করা হয়েছিলো একেবারে জীবন্ত রক্ত পিপাসু নেকড়ে।
অস্ট্রিয়ার তুষার ঢাকা সে জঙ্গলে কয়েকটি নেকড়ের ব্যবস্থা করেছিলেন অ্যাকশন দৃশ্যের পরিচালক টম স্ট্রাথার। এই দৃশ্যধারণ সম্পর্কে ছবির পরিচালক আলী আব্বাস জাফর বলেন, ‘বলিউডের রুপালি পর্দায় এ ধরনের অ্যাকশন দৃশ্য প্রথমবারের মতো দেখবেন দর্শক। জীবন্ত নেকড়ের সঙ্গে অ্যাকশন দৃশ্য করে অ্যাকশন হিরো হিসেবে নিজেকে অন্যস্থানে নিয়ে গেলেন সালমান।’
আগামী ২২ ডিসেম্বরে রুপালি পর্দায় মুক্তি দেয়া হবে সালমান খান ও ক্যাটরিনা কাইফ অভিনীত ‘টাইগার জিন্দা হ্যায়’ ছবিটি। ছবিটিতে একজন ভারতীয় গোয়েন্দা এজেন্টের ভূমিকায় দেখা যাবে সালমান খানকে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
অভিনয়ে ফিরলেন শারমিন শীলা

বিনোদন ডেস্ক : পাঁচ বছর পর অভিনয়ে ফিরলেন শারমিন শিলা। মীর সাব্বিরের পরিচালনায় ধারাবাহিক নাটক ‘নোয়াশাল’-এ দেখা যাবে তাঁকে।
এর মধ্যে শুরু করেছেন শুটিং। সাব্বির বলেন, “বন্ধু শিলাকে আমার নাটকে পেয়ে ভালো লাগছে। একদিন সে-ই বলেছিল, ভালো কোনো চরিত্র হলে আবার অভিনয়ে ফিরবে। ‘নোয়াশাল’ নাটকটি অঞ্চলভিত্তিক ভাষায় নির্মিত হচ্ছে। শিলার বাড়ি নোয়াখালী। সে নোয়াখালীর ভাষা ভালো বলতে পারে। তাই ওকেই নাটকটিতে কাস্ট করেছি। এর মধ্যে নাটকটির ৬০০তম পর্ব প্রচারিত হয়েছে। ৬১০ পর্ব থেকে দেখা যাবে শিলাকে। সে আমার দ্বিতীয় স্ত্রীর খালার চরিত্রে অভিনয় করছে।”

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বাসের ‘কন্ডাক্টর’ থেকে সুপারস্টার রজনীকান্ত

বিনোদন ডেস্ক : শিবাজি রাও গাওকায়াদ। বলিউডে যিনি রজনীকান্ত নামেই পরিচিত। ১৯৫০ সালে ভারতের বেঙ্গালুরু রাজ্যে তার জন্ম। নিজ অভিনয় গুণ ও দক্ষতা দিয়ে পুরো ভারত বটেই বিশ্বজুড়ে সমাদৃত হয়েছেন তিনি। হয়েছেন ভারতের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক প্রাপ্ত অভিনেতা।
কিন্ত এই রজনীকান্তের নায়ক হিসেবে উত্থান ঠিক যেন সিনেমার গল্পের মতোই। এই কিংবদন্তীর জীবনটা এতটা মসৃণ ছিল না। আজকের এই রজনীকান্ত জীবনের এক সময় কাজ করেছেন বেঙ্গালুরুর বাসের কনডাক্টর হিসেবে। সেখান থেকে চলে যান মাদ্রাজ ফিল্ম ইনস্টিটিউটে। কিন্তু তার এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি তার বাবা। তার এই দুর্দিনে এগিয়ে এলেন তার বন্ধু রাজ বাহাদুর।
রজনীর সিনেমা জীবনটা শুরু হয় মঞ্চ নাটক দিয়ে। তারপর ডাক পান তামিল পরিচালক কে বালাচরনদারের ছবিতে। শুরু হল নতুন পথ চলা। এরপর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি রজনীকে।
ভারতের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিকের অভিনেতা রজনীকান্ত। শিবাজি ছবির জন্য তিনি পারিশ্রমিক নিয়েছেন ২৬ কোটি রুপি-যা এশিয়ার মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এশিয়ার প্রথম সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকের অভিনেতা জ্যাকি চ্যান।
রজনীকান্তই প্রথম ভারতীয় অভিনেতা যিনি বিভিন্ন প্রযুক্তির ক্যামেরায় কাজ করেছেন। রজনীকান্ত প্রতিটি ছবির শ্যুটিং শেষে চেন্নাই থেকে হিমালয়ে হাওয়া খেতে যান। একবার চেন্নাইতে তার জন্ম দিনের অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে তার এক ভক্ত সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। এরপর থেকে চেন্নাইতে নিজের জন্ম দিন আর কোনদিনই পালন করেননি তিনি। রজনীকান্ত অভিনীত সায়েন্স ফিকশন ধর্মী তামিল ছবি এনথিরান ২০১০ সালে বিশ্বে টপ ৫০ এর মধ্যে স্থান করে নিয়েছিল।
শুধু তাই নয়, তার এই ছবিটি একটি স্নাতকোত্তর কোর্সের কেস স্টাডিতে জায়গা পেয়েছিল। এই কিংবদন্তী অভিনেতা তামিল, তেলেগু, কান্নাদা, মালায়াম, হিন্দী এমনকি বাংলা ছবিতেও অভিনয় করেছেন। কিন্তু কোনটিতেই তিনি মাতৃভাষা ব্যবহার করেননি।
রজনীর জনপ্রিয়তা এতই তুঙ্গে যে, ২০১৪ সালের ৫ মে যখন প্রথম তিনি টুইটারে আসেন, প্রথম দিনেই তার ফলোয়ার সংখ্যা আড়াই লাখ ছাড়িয়ে যায়। উত্তরের ভক্তরা তাকে দেবতার সাথে তুলনা করেন।
বুধবার রজনীকান্তের ৬৭ তম জন্মদিন ছিল। ভক্ত ও অনুরাগীদের থেকে পেয়েছেন শুভেচ্ছা। বয়স বাড়লেও, সিনেমার পর্দায় তা বুঝতে দেননি। আগামী বছরই তাঁর ২.০ ছবিটি মুক্তি পাবে। সেখানেও তাঁকে দেখা যাবে এক অন্য অবতারে। রোবট ছবির সিকুয়ালে রজনীর পাশাপাশি দেখা যাবে অক্ষয় কুমারকেও।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest