সর্বশেষ সংবাদ-
ভারতীয় পর্ন ভিডিওতে সাংবাদিকের ছবি জুড়ে ব্লাকমেইল করে চাঁদা দাবিকালিগঞ্জে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দূধর্ষ ডাকাতিজুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে সাতক্ষীরায় এতিমদের মাঝে খাবার বিতরণভোমরার ইউপি চেয়ারম্যানকে ৪৮ ঘন্টা সময় বেঁধে দিলেন ইউনিয়নবাসীআশাশুনিতে শহীদের স্মরণে দুঃস্থদের মাঝে জামায়াতের খাবার বিতরণদেবহাটায় বিয়ের প্রলোভনে কলেজ শিক্ষার্থীর সাথে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগে থানায় মামলাস্বৈরাচার ঠেকিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার এনসিপিরসাতক্ষীরায় দ্রুতগামী পিকআপের চাপায় ভ্যান চালকের মৃত্যুকোন সাংবাদিক যেন হয়রানির শিকার না হয়–সাতক্ষীরায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিব দীর্ঘদিন কাজ করেও সরকারি স্বীকৃতি মেলেনি বিআরটিএ’র সীল মেকানিকদের

‘অকারণে খোলামেলা পোশাক পরাতে চেয়েছিল’

জেরিন খান অভিনীত ‘আকসার-২’ সিনেমাটি গত ১৭ নভেম্বর মুক্তি পেয়েছে। এ ছবির প্রচারণায় দিল্লি গিয়েছিলেন নায়িকা।
কিন্তু সেখানে জনতার ভিড়ে নিজেকে রক্ষা করতে পারেনি তিনি। অজ্ঞাত পরিচয়ের একদল ব্যক্তিদের হাতে শ্লীলতাহানির মতো পরিস্থিতির শিকার হতে হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন জেরিন।

তবে প্রযোজকের পক্ষ থেকে এই দাবি পুরোপুরিই অস্বীকার করা হয়েছে। উল্টো তার বিরুদ্ধে মেজার হারানোর অভিযোগ তুলেছেন প্রযোজকরা। এর পাল্টা জবাব দিয়েছেন জেরিন খানও।

নায়িকার দাবি, ‘‘ছবির প্রতিটি ফ্রেমে আমাকে খোলামেলা পোশাক পরাতে চেয়েছিলেন ওঁরা। আমি তো এর বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলবই! অতিরিক্ত মশলা ছবিতে কেন যোগ করা হচ্ছিল? নিজেদের বানানো ছবিটি নিয়ে কি ওঁরা আত্মবিশ্বাসী ছিলেন না? সব সময়েই ওঁরা চাইতেন আমি বেশি এক্সপোজ করি। ’’

শুধু পোশাক নয়, ছবিতে অকারণেই চুম্বনের দৃশ্য রাখা হয়েছিল বলেও অভিযোগ তুলেছেন জেরিন খান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
৭ মার্চের ভাষণের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি উদযাপনে সাতক্ষীরায় আনন্দ শোভাযাত্রা ২৫ নভেম্বর

নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ইউনেস্কোর “মেমোরি অব দ্য’ ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্ট্রার” এ অর্ন্তভুক্তির মাধ্যমে” বিশ^ প্রামাণ্য ঐতিহ্যের’ র” স্বীকৃতি লাভ করায় এ অসামান্য অর্জনকে যথাযোগ্যভাবে উদ্যাপনের লক্ষ্যে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতি সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আহমেদ, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ.এন.এম মঈনুল ইসলাম, সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. তওহীদুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কে. এম আরিফুল হক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আব্দুল হান্নান, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ এস. এম আফজাল হোসেন, আব্দুল করিম বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসরিন খান লিপি প্রমুখ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন দৈনিক আজকের সাতক্ষীরার সম্পাদক মহসিন হোসেন বাবলু, জেলা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক শেখ নুরুল হক, সাবেক দপ্তর সম্পাদক আজিবর রহমান, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এস.এম শওকত হোসেন, সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিটিউটের অধ্যক্ষ জি.এম আজিজুর রহমান, সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস.এম আব্দুল্লাহ আল-মামুন, জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা তারাময়ী মুখার্জী, সদর সহকারী কমিশনার (ভুমি) সাদিয়া আফরিন, সহকারী কমিশনার ও ভারপ্রাপ্ত জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আসফিয়া সিরাত, সাতক্ষীরা টিএন্ডটি’র কর্মকর্তা ইঞ্জিনিয়ার শোকর আনা, পৌর কাউন্সিলর শেখ আব্দুস সেলিম, জেলা সাংস্কৃতিক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হেনরী সরদার, জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সদস্য সচিব শেখ মুশফিকুর রহমান মিল্টন, জেলা স্কাউটস্ সম্পাদক এম ঈদুজ্জামান ইদ্রিস, শিক্ষক এমদাদুল হক, তৈয়েব হাসান বাবু, কণ্ঠশিল্পী মনজুরুল হক, আবু আফফান রোজ বাবু, শামীমা পারভীন রতœা, ইঞ্জিনিয়ার কবির উদ্দিন আহমেদ, জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাহী সদস্য কাজী কামরুজ্জামান প্রমুখ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ইউনেস্কোর “মেমোরি অব দ্য’ ওয়াল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্ট্রার” এ অর্ন্তভুক্তির মাধ্যমে” বিশ^ প্রামাণ্য ঐতিহ্যের’ র” স্বীকৃতি লাভ করায় এ অসামান্য অর্জনকে যথাযোগ্যভাবে উদ্যাপনের লক্ষ্যে প্রস্তুতি সভায় ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহন করা হয়। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে আসামি ২৫ নভেম্বর শনিবার সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সর্বস্তরের জনগণ, বাংলাদেশ পুলিশ, আনসার, বর্ডার গার্ড বাহিনীর বর্ণাঢ্য বাদক দল ও শিশু কিশোরদের সমন্বয়ে আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়ে যাবে সাতক্ষীরা শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্ক, ঐদিন একই স্থানে বেলা ১১টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সন্ধ্যায় চলচ্চিত্র প্রদর্শন (ওরা ১১জন), ২৫ নভেম্বর সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমুহে ৭ই মার্চের ভাষণের উপর রচনা প্রতিযোগিতা, কুইজ প্রতিযোগিতা ও সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগিতার আয়োজন, বিভিন্ন টেলিভিশন, বেতার এবং দৈনিক পত্রিকা সমুহে আনন্দ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠান বিভিন্ন টেলিভিশন ও বেতারে সম্প্রচার এবং প্রিন্ট মিডিয়ায় ক্রোড়পত্র প্রকাশ এবং স্থানীয় স্যাটালাইট চ্যানেলে সরাসরি প্রচারসহ সুষ্ঠভাবে উদ্যাপনের লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ভূমিহীন সলেমান হত্যায় ওহাব আলীকে প্রধান আসামি করে ১৫ জনের নামে মামলা, আটক ১

আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরার আশাশুনির কৈখালিতে ভূমিহীন ও আওয়মীলীগ নেতা সলেমান গাজীকে জবাই করে হত্যার ঘটনায় অপর এক ভুমিহীন নেতা ওহাব আলী পেয়াদাকে প্রধান আসামী করে ১৫ জনের নামে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। নিহতের ভাই সামিউল্লাহ বাদী হয়ে সোমবার রাতে আশাশুনি থানায় এ হত্যা মামলাটি দায়ের করেন। এ ঘটনায় পুলিশ এজাহার নামীয় আসামী আমিরুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে।
আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীদুল ইসলাম শাহীন জানান, নিহতের ভাই সামিউল্লাহ বাদি হয়ে ওহাব আলী পেয়াদাকে প্রধান আসামী করে ১৫ জনের নাম উল্লেখ কর একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ এজাহার নামীয় আসামী আমিরুলকে গেফতার করছে। বাকিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।
উল্লেখ্য, এর আগে রোববার রাতে সলেমান গাজি তার ভাগিনা আবু সালেক ও চাচাতো ভাই আবদুর রশীদের সাথে বাড়ির পার্শ্ববর্তী একটি দোকানে ক্যারাম খেলছিলেন। রাত ৯ টার দিকে তারা বাড়ি ফিরলে এরপর তার কাছে একটি টেলিফোন আসে। এ সময় তিনি আবার বাড়ি থেকে বাইরে চলে আসেন। সকালে কৈখালি পানির ট্যাঙ্কির কাছে বেড়িবাঁধের ধারে তার জবাইকৃত লাশ পাওয়া যায়। নিহত সলেমান গাজি শোভনালী ইউনিয়নের ঝায়ামারী গ্রামের মৃত মোকছেদ আলী গাজীর ছেলে। তিনি সেখানকার ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আইএসের পতন ঘোষণা করলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট

ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) পতন ঘোষণা করেছেন। মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেয়া এক ভাষণে তিনি এ ঘোষণা দেন।

ইরানের বিপ্লবী বাহিনীর জ্যেষ্ঠ কমান্ডার মেজর জেনারেল কাশেম সোলেইমানিও দেশটির সর্বোচ্চ নেতার কাছে পাঠানো এক বার্তায় আইএসের পতন ঘোষণা করেন। তেহরানের বিপ্লবী বাহিনী নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম সিপাহ নিউজে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।

ইরান সীমান্তের বাইরে এবং সিরিয়া ও ইরাকে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে লড়াই করছে তেহরানের কুদস ফোর্স। এই বাহিনীর নেতৃত্বে থাকা সোলেইমানি আইএসের বিরুদ্ধে পরিচালিত বেশ কিছু অভিযানের ভিডিও ও ছবি সম্প্রতি প্রকাশ করেন।

গত সপ্তাহে ইরানের পূর্বাঞ্চলের আলবু কামালে সোলেইমানির একটি ছবি ইরানি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। মঙ্গলবার সোলেইমানি এই ছবির ব্যাপারে বলেন, ওই অঞ্চলে এটিই ছিল ইসলামিক স্টেটের দখলে থাকা শেষ ভূখণ্ড; যা পুনর্দখলে নেয়ার দাবি করেন তিনি।

ইরানের সবচেয়ে শক্তিশালী সামরিক বাহিনী বিপ্লবী গার্ড সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সমর্থনে দেশটিতে লড়াই করছে। গত কয়েক বছর ধরে দেশের বাইরে বাগদাদ এবং সিরিয়ার কেন্দ্রীয় সরকারের কোটি কোটি ডলারের অর্থনৈতিক সাম্রাজ্যের তত্ত্বাবধান করছে ইরানের এই বিপ্লবী বাহিনী।

সিরিয়া এবং ইরাকে আইএসবিরোধী লড়াইয়ে ইরানের জ্যেষ্ঠ কমান্ডারসহ এক হাজারের বেশি সেনাসদস্য নিহত হয়েছে।

সূত্র : রয়টার্স।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রোহিঙ্গাদের ফেরাতে চলতি সপ্তাহেই চুক্তি : সু চি

পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরাতে বাংলাদেশের সঙ্গে চলতি সপ্তাহে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছেন অং সান সু চি। মঙ্গলবার এশিয়া-ইউরোপের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলন আসেমের দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠানে তিনি এ আশা প্রকাশ করেন।

বৈঠকে মিয়ানমারের এই ডি ফ্যাক্টো নেত্রী বলেন, তিনি আশা করছেন, গত তিন মাসে বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়া রোহিঙ্গা মুসলিমদের নিরাপদে ফেরাতে চলতি সপ্তাহে বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।

গত ২৫ আগস্ট রাখাইনে দেশটির এক ডজন পুলিশি তল্লাশি চৌকি ও একটি সেনা ঘাঁটিতে হামলার জেরে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ‘ক্লিয়ারেন্স অপারেশন’ শুরু করে সেনাবাহিনী। অভিযান শুরুর পর থেকে বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমারের রাখাইন থেকে এখন পর্যন্ত ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়েছেন।

মঙ্গলবার এশিয়া-ইউরোপ মিটিংয়ে ‌(আসেম) জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সু চি। নেইপিদোতে আসেমের এই বৈঠকে রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে আলোচনা চলছে।

নেইপিদোতে আসেমের দু’দিনের এই মিটিংয়ে এশিয়া এবং ইউরোপের ৫১টি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা অংশ নিয়েছেন। রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে অনানুষ্ঠানিক আলোচনার পর আসেমের নেতারা রাখাইন প্রদেশের এই সঙ্কটের স্থায়ী সমাধানের জন্য জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নেরও আহ্বান জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার সকালের দিকে বৈঠক শুরুর আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্র এবং নিরাপত্তা নীতিমালা সংক্রান্ত উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিরা কয়েকটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে রাখাইন সঙ্কট নিয়ে অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় বসেন। আলোচনায় মিয়ানমার, বাংলাদেশ, চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, এস্তোনিয়া, জার্মানি, মাল্টা, রাশিয়া, লুক্সেমবার্গ, ফ্রান্স, থাইল্যান্ড, হাঙ্গেরি, ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রীরা অংশ নেন।

ইইউ’র পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান ফেডেরিকা মোঘেরিনি রোহিঙ্গাদের নিজভূমিতে নিরাপদে ফেরাতে বাংলাদেশ এবং মিয়ানমার শিগগিরই একটি সমঝোতা স্মারক ও চুক্তিতে পৌঁছাবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

আসেমের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক ছবি তোলার পর ইইউর এই কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন,‌ ‘শরণার্থীদের (রোহিঙ্গা) নিরাপদ প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ এবং মিয়ানমারের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক ও একটি চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার বাস্তব সম্ভাবনা আছে। এই প্রক্রিয়ায় ইইউর সমর্থন রয়েছে এবং চুক্তি বাস্তবায়নে পাশে থাকবে ইইউ।

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ক্লিয়ারেন্স অপারেশনের সময় রাখাইনে নৃশংস হত্যা, গণধর্ষণের অভিযোগ করছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন। রাখাইনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ব্যাপারে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সু চি বলেন, আমরা এটা বলতে পারবো না, আসলেই সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে কি না।

রোহিঙ্গাদের ফেরানোর ব্যাপারে এক প্রশ্নের জবাবে সু চি বলেন, ‌‘বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর সঙ্গে বুধবার এবং বৃহস্পতিবার আলোচনা হবে। রোহিঙ্গাদের ফেরানোর প্রক্রিয়া কি হবে তা নিয়ে গত মাস থেকেই দুই দেশের কর্মকর্তারা আলোচনা শুরু করেছেন।’

‘আমরা আশা করছি, শিগগিরই একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হবে। এর মাধ্যমে যারা সীমান্ত পাড়ি দিয়েছে তাদের নিরাপদ এবং স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনের কাজ শুরু হবে। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিলেও ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি উল্লেখ করেননি শান্তিতে নোবেলজয়ী সু চি। মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের দেশটির নাগরিকত্ব দেয়নি এবং সেদেশের জাতিগত সংখ্যালঘু গোষ্ঠীগুলোর সরকারি তালিকাতেও নেই তারা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
চাঁদাবাজির অভিযোগ সাতক্ষীরার ট্রাফিক সার্জেন্ট জাহিদের বিরুদ্ধে, অভিযোগ করায় ক্রসফায়ারের হুমকি!

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরায় ট্রাফিক সার্জেন্ট জাহিদুর রহমানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ করায় এক মাইক্রোবাস চালককে ক্রসফায়ারের হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। হুমকির মুখে চালক শফিকুল ইসলাম এখন নিরাপত্তার জন্য পালিয়ে বেড়াচ্ছে। চাঁদাবাজির অভিযোগের পর নিজ ও পরিবারের নিরাপত্তার জন্য শফিকুল পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী মটর চালক লীগ সাতক্ষীরা সদর থানা শাখার সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম পেশায় একজন মাইক্রোবাস ও প্রাইভেট চালক। গত ১৬ নভেম্বর পুলিশে আইজিপির কাছে লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, সাতক্ষীরায় শহরে ২৩০টির মত মাইক্রোবাস ও প্রাইভেট রয়েছে। এসকল যানবাহন থেকে সাতক্ষীরায় ট্রাফিক সার্জেন্ট জাহিদুর রহমানকে গাড়ি প্রতি মাসিক ৫০০ টাকা করে চাঁদা দিতে হয়। কিন্তু সার্জেন্ট জাহিদুর রহামান বর্তমানে গাড়ি প্রতি এক হাজার টাকা চাঁদ দাবি করে আমাদেরকে হয়রানি করছে। চাঁদার টাকা দিকে অস্বিকার করায় সার্জেন্ট প্রতি মাসে কমপক্ষে তিন থেকে চার বার গাড়ি রিকুইজেশনের নামে গাড়ির কাগজপত্র নিয়ে নিচ্ছে। রিকুইজেশন না খাটলেও কাগজপত্র ফেরতের জন্য গাড়ি প্রতি কমপক্ষে দুই থেকে তিন হাজার টাকা আদায় করছে। টাকা দিতে না চাইলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়, এই চাঁদাবাজির টাকা প্রতি মাসে খুলনা বিভাগীয় ডিআইজিকে ৫০ হাজার ও সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারকে ৪০ হাজার টাকা দিতে হয়। এই টাকা বাড়ি থেকে এনে দিতে পারবো না উল্লেখ করে সার্জেন্ট জাহিদুল চালকদের বলেন, হয় টাকা দিবি না হয় গাড়ি নিয়ে রাস্তায় উঠবি না।

এই অভিযোগের কপি আইজিপি সহ ডিআইজি ও সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারকে দেওয়া হয়েছে। এদিকে এই অভিযোগ দেওয়ার পর ২০ নভেম্বর সার্জেন্ট জাহিদুল অভিযোগ কারি শফিকুলকে মোবাইল ফোনে ক্রসফায়ার দেওয়ার হুমকি দিয়েছে। এছাড়া পুলিশের বিভিন্ন দারোগা দিয়ে মোবাইল করে মামলার হুমকি দিয়ে জেল খাটানোর হুমকি দিচ্ছে।

এ বিষয়ে সার্জেন্ট জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন। হুমকির বিষয়ে তিনি বলেন আমার মোবাইল থেকে তাকে মোবাইল করা হয়নি।

সাতক্ষীরার সদর সাকের্লের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেরিনা আক্তার জানান, আমি ঘটনাটি শুনেছি। অভিযোগ কারি শফিকুল ইসলাম ঘটনাটি সম্পর্কে আমাকে মোবাইলে জানিয়েছিল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বাঙালি জাতিকে ধ্বংস করতেই জাতির পিতাকে হত্যা-ঢাকা সেনানিবাসে প্রধানন্ত্রী

স্বাধীনতার পর জাতির পিতা যখন দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন, তখনই ১৫ সপরিবারে তাকে হত্যা করে দেশকে পিছিয়ে দেয়া হয়েছে। স্বাধীনতা ও বাঙালি জাতিকে ধ্বংস করতেই তারা জাতির পিতাকে হত্যা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সকালে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে ঢাকা সেনানিবাসে দেয়া বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার ৭ মার্চের ভাষণ লিখিত ছিল না। এটার কোনো নোটও ছিল না। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চে তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে দোয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ তার অন্তর থেকে এসেছিল। তার এই ভাষণ ছিল বাঙালি জাতির জন্য দিক নির্দেশনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৫ আগস্টের হত্যাকারীরা জাতির পিতার ৭ মার্চের ভাষণকেও নিষিদ্ধ করেছিল। সেই ভাষণ আজ বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে ইউনেস্কোতে স্থান পেয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেশের ৪৯১টি উপজেলার চার তলা ভবনে বসবে হাটবাজার

বদলে যাচ্ছে গ্রামের হাটবাজারের চেহারা। কর্দমাক্ত ও ঘিঞ্জি পরিবেশে গড়ে ওঠা হাটবাজারের বদলে এখন গ্রামের বাজারও বসবে বহুতল ভবনে। চার তলা ভবনের এসব বাজার হবে সবার জন্য উন্মুক্ত। নতুন করে গড়ে তোলা এসব ভবনের একটি তলা বরাদ্দ থাকবে নারীদের জন্য, যেখানে পুরুষদের নামে কোনও দোকান বরাদ্দ হবে না। দেশের ৪৯১টি উপজেলার প্রতিটিতে গড়ে উঠবে এমন আধুনিক বাজার। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দেওয়া ‘দেশব্যাপী গ্রামীণ বাজার অবকাঠামো উন্নয়ন’ শীর্ষক এই প্রকল্প এরই মধ্যে অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, একনেকে পাস হওয়া এই প্রকল্পের জন্য প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৭৩০ কোটি টাকা। এর পুরোটাই সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে জোগান দেওয়া হবে। স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর সরকারের এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। আশা করা হচ্ছে, ২০১৭ সালের জুলাই থেকে শুরু হওয়া প্রকল্পটি ২০২০ সালের ৩০ জুন শতভাগ বাস্তবায়িত হবে।

কী কারণে এমন প্রকল্প সরকার হাতে নিয়েছে— জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, গ্রামীণ জনগণের জীবনযাত্রা ও অর্থনীতি অধিকাংশই কৃষির ওপর নির্ভরশীল। কৃষি পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতিতে গতি সঞ্চার করতে হলে গ্রামীণ হাটবাজার নির্মাণ জরুরি। গ্রামাঞ্চলে হাটবাজারের পূর্ণ সুবিধা থেকে গ্রামীণ কৃষক ও ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী ব্যবসায়ীরা তেমন সুযোগ পান না। বর্তমান বাজার ব্যবস্থায় কৃষক তার উৎপাদিত পণ্য সংরক্ষণ সুবিধার অভাবে মধ্যস্বত্বভোগীদের কাছে স্বল্প মূল্যে উৎপাদন স্থলেই বিক্রি করতে বাধ্য হন।

অন্যদিকে স্থায়ী অবকাঠামো না থাকায় গ্রামীণ বাজারে মালামালের সরবরাহ অপ্রতুল থাকায় ভোক্তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে বেশি দাম দিতে হয়। ৪ থেকে ১০ হাজার বর্গফুটের বাজার নির্মাণসহ অন্যান্য ভৌত সুবিধা দেওয়া গেলে কৃষি ও অকৃষি পণ্যের সহজ বাজারজাতকরণের মাধ্যমে কৃষক প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে তার পণ্য বিক্রয় করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে ভোক্তারাও প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সহজে ও ন্যায্য মূল্যে কেনার সুবিধা পাবেন।

থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে প্রকল্পটি দেশের সব উপজেলায় বাস্তবায়নের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে পল্লী অঞ্চলের কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাতকরণ, কৃষি পণ্য ন্যায্য মূল্যে প্রাপ্তি, ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণ, পরিবহন ব্যয় হ্রাস ও প্রকল্প এলাকায় উন্নত হাটবাজার অবকাঠামো তৈরি হবে। সামগ্রিকভাবে পল্লি এলাকার জনগণের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন হবে, কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে এবং দারিদ্র্য কমবে। এসব বিষয় মাথায় রেখেই প্রকল্পটি বাস্তবায়নে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, এই প্রকল্পের আওতায় দেশের ৪৯১টি উপজেলার প্রতিটিতে কমপক্ষে একটি করে চারতলা বিশিষ্ট বাজার তৈরির মাধ্যমে মোট ৫২০টি গ্রামীণ বাজার তৈরি করা হবে। প্রতিটি বাজারের আয়তন হবে কমপক্ষে চার হাজার বর্গফুট, সর্বোচ্চ ১০ হাজার বর্গফুট।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘সরকার সারাদেশের গ্রামীণ হাটবাজারে চার তলা কমপ্লেক্স নির্মাণ করবে। এর মধ্যে নিচতলায় থাকবে কাঁচাবাজার। আর দ্বিতীয় তলা বরাদ্দ দেওয়া হবে নারী উদ্যোক্তাদের। সরকারের এ উদ্যোগ নারী উদ্যোক্তাদের আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে।’ মন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে ১৫ বছরের বেশি বয়সী প্রায় ছয় কোটি তরুণ-তরুণী রয়েছে। এর এক-তৃতীয়াংশই নারী। তাদের মাত্র ১০ ভাগ ব্যবসায় সম্পৃক্ত। এই হারকে ৫০ শতাংশে নিয়ে যাওয়া গেলে দেশের উন্নয়ন আরও ত্বরান্বিত হবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান সরকার নারীবান্ধব সরকার। এসএমই খাতে নারী উদ্যোক্তা তৈরি করতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে। এই উদ্যোগও তারই একটি অংশ।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest