সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় প্লাস্টিক “অদল-বদল” ক্যাম্পেইনহাদির মৃত্যুতে সাতক্ষীরায় গায়েবানা জানাজাসাতক্ষীরার সাবেক পিপি লতিফের ৪ দিন : ছেলে রাসেলের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরসাতক্ষীরায় মুন্ডা সম্প্রদায়ের নারীদের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে প্রকল্প সমাপনীতালায় আলাউদ্দিন নামে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধারআশাশুনিতে আশা ব্রিক্সের লেলিহান শিখায় জনজীবন বিপর্যস্তসাতক্ষীরায় উন্নয়ন কাজে নিরব চাঁদাবাজী: পুলিশ পাহারায় কাজ শেষ করলো ঠিকাদারস্বাধীনতা বিরোধীদের নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে সাতক্ষীরায় গণস্বাক্ষরদেবহাটায় হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে সবজি বীজ বিতরনসাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আয়োজনে বিজয় দিবস পালন

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাতক্ষীরা ছাত্র কল্যাণ সমিতির নেতৃত্বে সুজা ও ওয়ায়েশ

তোষিকে কাইফু : জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত সাতক্ষীরা জেলার শিক্ষার্থীদের সংগঠন সাতক্ষীরা জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতির নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে।
উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য আরিফুজ্জামান জনি, তোষিকে কাইফু, মাহমুদ হুসাইন পারভেজ, সাইফুল আলম গাজী ও অরূপ ব্যানার্জি স্বাক্ষরিত বিবৃতির মাধ্যমে জবি পরিসংখান বিভাগের ছাত্র তাহমিদ সুজা কে সভাপতি এবং বাংলা বিভাগের ছাত্র ওয়ায়েশ মাহমুদ কে সাধারণ সম্পাদক করে আগামী এক বছরের জন্য ৪১ সদস্য বিষিষ্ট কমিটি অনুমোদন দিয়েছে।
নবগঠিত কমিটির নেতৃবৃন্দরা হলেন, সভাপতি তাহমিদ সুজা, সহ-সভাপতি তপন কুমার, আকিব জাভেদ, কাজী মুজাহিদ আলম, বি.এম. আবু সাঈদ, হাসান আব্দুল কাইয়ুম, রুবিনা আক্তার রুবি, রাফিজা ইয়াসমিন, সাধারণ সম্পাদক ওয়ায়েশ মাহমুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ মোহাম্মদ তাজ, শেখ সজিব আহমেদ, তরিকুল ইসলাম, সরদার দীপ্তি, রাফিউজ্জামান রাফি, তাপস রায়, সাংগঠনিক সম্পাদক তৌহিদুজ্জামান তৌহিদ, রাসেল কবির, অনুরাধা পাল, সৌরভ সরকার, ফারহানা নাজনীন দিয়া, সৈয়দ রিফাত, দপ্তর সম্পাদক নিরব রহমান, প্রচার সম্পাদক তামিমা নাসরিন মিমি, ছাত্রী বিষয়ক সম্পাক ফারজানা সুলতানা জুই, আপ্যায়ন সম্পাদক আশরাফুজ্জামান নাদিম, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আলমগীর হোসেন, ছাত্র বৃত্তি বিষয়ক সম্পাদক মো: শিমুল হোসেন, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া তুলি, শিক্ষা ও সাহিত্য সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক তাজমিন আশামনি, সদস্য শুভাশিষ মন্ডল, আরিফ হোসেন, রিয়াজুল আহসান, হুয়ায়ন কবির। নবগঠিত কমিটির সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক সাতক্ষীরা জেলার শিক্ষার্থীদের ঐক্যের বন্ধনে আবদ্ধ রাখতে এবং তাদের সহযোগিতা করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মুক্তিকামী বাঙালিরা জীবন বাজি রেখে দেশ স্বাধীন করেছিলেন- কলারোয়া মুক্তদিবসে মুস্তফা লুৎফুল্লাহ এমপি

কলারোয়া ডেস্ক : সাতক্ষীরা-১ (কলারোয়া ও তালা) আসনের সংসদ সদস্য ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এড.মুস্তফা লুৎফুল্লাহ বলেছেন- ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালন আর ধারণ করে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রেরণা সবার চলার পথের পাথেয়।’
বুধবার দুপুরে ৬ডিসেম্বর কলারোয়া পাক হানাদারমুক্ত দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় নিজের স্মৃতিচারণ করে মুস্তফা লুৎফুল্লাহ এমপি বলেন- ‘তখন ফাইভে পড়ার সময় যখন স্কুলের পাশ দিয়ে মুক্তিকামী যোদ্ধারা স্লোগান দিয়ে যেতো তখন আমরা উন্মুখ হয়ে থাকতাম স্কুলের ঘন্টা পড়লেই দৌড়ে তাদের সাথে যাবো।’
তিনি বলেন- ‘স্বশস্ত্র পাকিস্তান আর্মির বিরুদ্ধে নিরস্ত্র সাধারণ মুক্তিকামী বাঙালিরা কোন বেতন-ভাতা, লুঙ্গি-গামছার আশা না করে শুধুমাত্র দেশ স্বাধীনের প্রত্যাশায় জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছেন। তাদের প্রতি আমাদের বিন¤্র শ্রদ্ধা চিরকাল।’
কলারোয়া উপজেলা পরিষদ চত্বরে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড। আলোচনা সভার আগে মুক্তিযোদ্ধা-জনতার এক বর্ণাঢ্য বিজয় র‌্যালী কলারোয়ার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে স্মৃতিচারণ করেন যুদ্ধকালীন সময়ে এ অঞ্চলের মুজিব বাহিনীর প্রধান এবং তালা-কলারোয়ার সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আ.লীগের সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবুর রহমান।
বিশেষ বক্তা ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, সাবেক সাংসদ ও সাবেক কলারোয়া উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব বিএম নজরুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন- কলারোয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ.লীগের সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন, যুদ্ধকালীন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোসলেম উদ্দীন ও আব্দুল গফফার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মনিরা পারভীন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আরাফাত হোসেন ও সেলিনা আনোয়ার ময়না, জেলা পরিষদের সদস্য রোকেয়া মোসলেম ও আলহাজ্ব আমজাদ হোসেন, কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব দেব নাথ এবং   দেবহাটা উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বিজয় ঘোষ ।
কলারোয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধারা, মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের নেতৃবৃন্দ, উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান, ইউপি চেয়ারম্যানবৃন্দসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কলারোয়া পাবলিক ইন্সটিটিউটের সাধারণ সম্পাদক এড. শেখ কামাল রেজা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটায় হানাদার মুক্ত দিবস পালিত

কেএম রেজাউল করিম/আরাফাত হোসেন লিটন: দেবহাটায় ৬ই ডিসেম্বর হানাদার মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে। ১৯৭১ সালের এই দিনে সম্পূর্ণ রুপে পাক হানাদার মুক্ত হয় গোটা দেবহাটা। এ উপলক্ষে বুধবার বিকাল ৪টায় পারুলিয়া শহিদ আবু রায়হান চত্বরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে উপজেলা চেয়ারম্যান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলহাজ্ব আব্দুল গণির সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মুনসুর আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা যুদ্ধহত মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সভাপতি আব্দুল মাহমুদ গাজী, দেবহাটা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার ইয়সিন আলী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও নওয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মুজিবর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপতি আবু রায়হান তিতু।

অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জামসেদ আলী, দপ্তর কমান্ডার আব্দুর রউফ, দেবহাটা সদর ইউনিয়ন কমান্ডার ইদ্রিস আলী, নওয়াপাড়া ইউনিয়ন কমান্ডার আব্দুর রশিদ, সখিপুর ইউনিয়ন কমান্ডার আবুল কাসেম, মুক্তিযোদ্ধা সাবুর আলী, প্রেস ক্লাবের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওহাব, দেবহাটা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক রনি, সাধারণ সম্পাদক সাইফুজ্জামান প্রিন্স, সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুর রহমান বাবু, সখিপুর ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপতি হারুন অর রশিদ প্রমূখ।

এসময় বক্তারা বলেন, দীর্ঘ দিনের যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের তীব্র প্রতিরোধের মুখে অবশেষে এই দিনেই দেবহাটা ছেড়ে পিছু হটে যায় পাক সেনারা। স্বাধীনতা সংগ্রামের তৎকালীন ৯নং সেক্টরের সাব সেক্টর কমান্ডার প্রয়াত ক্যাপ্টেন শাহাজান মাস্টারের নেতৃত্বে সম্মুখ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো দেবহাটার মুক্তিকামী মানুষ। একের পর এক যুদ্ধে পরাস্থ হয়ে সেদিন দেবহাটা ছাড়তে বাধ্য হয় পাক বাহিনী ও তাদের দোষররা। একাত্তরের নভেম্বর মাসের শেষ ও ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের প্রতিটি দিন অতিবাহিত হওয়ার সাথে সাথে ক্রমেই পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের দোষররা পিছু হটতে থাকে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় যমুনা ব্যাংকের শাখা উদ্বোধন

আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরায় যমুনা ব্যাংকের ১১৫তম শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার সকালে শহরের আবুল কাশেম সড়কের খানপ্লাজায় উক্ত শাখাটির উদ্বোধন করা হয়। যমুনা ব্যাংক লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মির্জা ইলিয়াস উদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে উক্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, যমুনা ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ইসমাইল হোসেন সিরাজী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, যমুনা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নুর মোহাম্মদ, সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ নজরুল ইসলাম, সাতক্ষীরা চেম্বার অব-কমার্সের সভাপতি নাসিম ফারুক খান মিঠু, বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও জেলা পুলিশিং কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব ডাঃ আবুল কালাম বাবলা প্রমুখ।
বক্তারা এ সময় বলেন, যমুনা ব্যাংক লিমিটেড সম্পদের মান সংরক্ষণ, মূলধন পর্যাপ্ততা, সম্পদের গুণগত মান, দক্ষ ব্যবস্থাপনা, সন্তোষজনক উপার্জনসহ প্রধান প্রধান লক্ষ্যকে সামনে রেখে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে। গ্রাহক সেবা আরও দ্রুত ও স্বল্প সময়ে মানুষের দোর গোড়ায় পৌছে দেওয়ার লক্ষে সাতক্ষীরায় যমুনা ব্যাংকের ১১৫ তম শাখার উদ্বোধনের মধ্য দিযে এ জেলায় ব্যাংকিং সেবা কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। যমুনা ব্যাংক আমদানি ও রপ্তানি অর্থায়নসহ ব্যাবসা-বাণিজ্য, মাঝারি ও বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানে মেয়াদি ঋণ ও চলতি মূলধন খাতে অধিকাংশ ঋণ বিতরণ করে থাকে। তবে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পেও ব্যাংকটি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ঋণ বিতরণ করে থাকে।
বক্তারা আরো বলেন, যমুনা ব্যাংক মানব কল্যাণ ও সামাজিক দায়ীত্ব পালনের অংশ হিসেবে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মেধাবি ছাত্র-ছাত্রীদেরকে পুরস্কৃত এবং তাদের লেখাপড়ার দায়-দায়িত্ব নিয়ে থাকে। বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা ও রক্তদান কর্মসূচি আয়োজন এবং গরিব-দুঃস্থদের নিয়মিত আর্থিক সাহায্য প্রদানে ব্যাংকটির সামাজিক দায়িত্ব পালনের অপর উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে থাকে।
বক্তব্য শেষে প্রধান অতিথি ইসমাইল হোসেন সিরাজী ফিতা কেটে এ শাখাটির আনুষ্ঠানিকভাবে শুভ উদ্বোধন ঘোষনা করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বেতন ১০ হাজার বাড়ি কিনেছেন আড়াই কোটির, তদন্তে দুদক

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী তিনি। মাসিক মূল বেতন মাত্র ১০ হাজার টাকা। অথচ টাঙ্গাইলে ৫ কাঠা জমিতে তার আছে অত্যাধুনিক পাঁচ তলা বাড়ি। রাজধানীর খিলক্ষেতে প্রায় আড়াই কোটি টাকা দিয়ে কিনেছেন দোতলা বাড়ি। এ ছাড়া নামে-বেনামে তার আরও কয়েক কোটি টাকার সম্পদ আছে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে। টাকার কুমির এই লেজারকিপারের নাম আবদুর রশিদ। ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ পাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে দুদক। এর আগে ১৯ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জমা হয় দুদকে। শুধু তাই নয়, সিটি করপোরেশনে চাকরি নেওয়ার পর বর্তমান সরকার ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের নাম ভাঙিয়ে লেজারকিপার থেকে রাজস্ব বিভাগে লাইসেন্স সুপারভাইজার পদে কারওয়ান বাজারস্থ ডিএনসিসির আঞ্চলিক অফিসে পোস্টিং বাগিয়ে নিয়েছেন তিনি। অদৃশ্য এক ক্ষমতায় একাই নিয়ন্ত্রণ করছেন চার-পাঁচটি ওয়ার্ড। দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে, অবৈধভাবে ঘুষ ও দুর্নীতির টাকায় ইতিমধ্যে টাঙ্গাইলের দিঘলিয়া এলাকার থানাপাড়া রোডের পানির ট্যাংকির সঙ্গে ৫ কাঠা জমিতে ‘মণ্ডলবাড়ী’ নামে অত্যাধুনিক পাঁচ তলা একটি বাড়ি তৈরি করেছেন রশিদ।

এমন আধুনিক নকশা আর নান্দনিক বাড়ি ওই এলাকায় আর একটিও নেই। রাজধানীর খিলক্ষেতে প্রায় আড়াই কোটি টাকা দিয়ে কিনেছেন আরও একটি দোতলা বাড়ি (ক/এ-৩/ডি খিলক্ষেত মধ্যপাড়া, পোস্ট অফিস রোড, ঢাকা)। এ ছাড়া রশিদের নামে-বেনামে আরও কয়েক কোটি টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ রয়েছে বলে তথ্য পেয়েছে দুদক।
দুদক জানায়, তিনি জাল সনদ, নানা ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে রাতারাতি কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন। এ ছাড়া তদবির ও জালিয়াতির মাধ্যমে লেজারকিপার পদে চাকরি পাওয়া রশিদ এখন ডিএনসিসিতে শ্রমিক লীগের প্রভাবশালী নেতা। শ্রমিক লীগ সভাপতি পরিচয়ে ইতিমধ্যে বিভিন্ন পদে কর্মচারী নিয়োগ, পোস্টিং, পদোন্নতি দেওয়ার নামে অবৈধভাবে লোকজনের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়েছেন রশিদ। ডিএনসিসিতে চাকরি দেওয়া ও প্রমোশন করে দেওয়ার কথা বলে ২০ জন কর্মচারীর কাছ থেকে প্রায় ৩০ লাখ টাকা অগ্রিম ঘুষ নিয়েছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তিনবার গর্ভপাত করাতে হয়েছে অপুকে!

নয় বছরের দাম্পত্য জীবনে শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসের একমাত্র সন্তান আব্রাম খান জয়। এ বছর তার প্রথম জন্মবার্ষিকী পালন করা হয়। এ বছরই স্ত্রী অপুকে ডিভোর্সের নোটিশ পাঠান শাকিব। বাংলাদেশ প্রতিদিনকে অপু বিশ্বাস জানিয়েছেন, জয়ের জন্মের আগে শাকিবের আপত্তির মুখে তিনবার অ্যাবরশন (গর্ভপাত) করাতে হয়েছে তাকে।

অপু জানান, জয়ের জন্ম নিয়েই শাকিবের সঙ্গে তার সম্পর্কের অবনতি ঘটে। সন্তানের জন্ম হোক এটি শাকিব চায়নি। অপু বলেন, জয় যখন গর্ভে আসে তখন অ্যাবরশন করানোর জন্য আমাকে ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে পাঠায় শাকিব। সেখানকার চিকিৎসক জানান, যেহেতু আগে তিনবার অ্যাবরশন হয়েছে আর নতুন করে কনসেপ্টের সময় ৪ মাস হয়েছে, সেহেতু অ্যাবরশন করানো ঝুঁকিপূর্ণ।

ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও অপুকে ফের অ্যাবরশন করতে বলেন তার স্বামী শাকিব। অপু বলেন, ব্যাংককের পর শাকিব আমাকে কলকাতা পাঠায় অ্যাবরশন করানোর জন্য। সেখানে শাকিব তখন ‘শিকারি’ ছবির শুটিং করছিল।
শাকিব তার চাচাতো ভাই মুনিরকে দিয়ে আমাকে কলকাতার একটি হাসপাতালে পাঠায়। সেখানকার চিকিৎসকরাও অ্যাবরশন ওই সময় ঝুঁকিপূর্ণ জানিয়ে তা করতে অস্বীকার করেন। তখন আমি সন্তান জন্মদানের সিদ্ধান্ত নেই। আর এতেই শাকিব আমার ওপর খেপে যায়। তার সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। সে আমার সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দেয় এমন কি আমার মোবাইল নাম্বারও ব্লক করে দেয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘বোধিবৃক্ষ’ অশ্বত্থে দূর হবে ১০টি রোগ!

অশ্বত্থ বা অশথ গাছের বৈজ্ঞানিক নাম Ficus religiosa। এটি এক প্রকার ডুমুর জাতীয় বৃক্ষ যার আদি নিবাস বাংলাদেশ, নেপাল, ভারত, মায়ানমার, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, দক্ষিণ পশ্চিম চীন এবং ইন্দোচীন। এটিকে বোধিবৃক্ষও বলা হয়ে থাকে। অশ্বত্থ এমন এক গাছ যা ২৪ ঘণ্টাই অক্সিজেন দেয়। আশপাশে একটু খোঁজ করলেই এই গাছ চোখে পড়ে।

আয়ুর্বেদ শাস্ত্রমতে বেশ কিছু ওষুধ তৈরিতে অশ্বত্থের পাতা ব্যবহার করা হয়। শাস্ত্রমতে, কয়েক ধরনের হৃদরোগে অশ্বত্থের পাতা, ফল, ফুল, ছাল ও শেকড় বেশ কাজে দেয়।
সচরাচর দেখা দেয় এমন কিছু রোগ ও স্বাস্থ্যসমস্যায় অশ্বথ গাছের কিছু ব্যবহার এখানে দেওয়া হল-

১) স্মরণশক্তি: অশ্বত্থের পাকা ফল স্মরণশক্তি বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। কবিরাজি (আয়ুর্বেদ) চিকিৎসা মতে প্রতিদিন পাঁচটি করে অশ্বথের পাকা ফল গ্রহণ স্মরণশক্তি বৃদ্ধি করে। এটা শরীরকেও সুপুষ্ট, মজবুত করে।

২) হৃৎপিণ্ডের জন্য: গোটা ১৫ অশ্বত্থের পাতা একটি পাতিলে নিয়ে সেদ্ধ করুন।
পানি শুকিয়ে তিন ভাগের একভাগ হলে চুলা থেকে নামান। এবার এর ক্কাথগুলো তিন ভাগ করুন। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর থেকে তিন ঘণ্টা পরপর দৈনিক তিনবার পান করুন এই তরল। কয়েকদিন চালিয়ে যান। এটা আপনার হৃদপিণ্ডকে মজবুত করবে এবং বিভিন্ন ধরনের হৃদরোগ প্রতিরোধ করবে।

৩) অস্বাভাবিক মাত্রায় অশ্রু: যদি চোখ দিয়ে অনবরত জল পড়ে তাহলে অশ্বথের কয়েকটি কচি পাতা বা ৫টি মুকুল নিয়ে এক বাটি পানিতে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে ঘুম থেকে উঠে সেই পানি দিয়ে চোখ পরিষ্কার করলে অশ্রুঝরা বন্ধ এছাড়া কচি পাতার রসে বা মুকুলের রসে বিশুদ্ধ মধু মিশিয়ে কাঠি দিয়ে চোখে প্রতিদিন কাজল পাড়ার মতো লাগালে চোখের লাল ভাব বা জ্বালা দূর হয়।

৪) দাঁত ব্যাথা: দাঁত পরিষ্কার ও মজবুত করার জন্য এর শাখা থেকে বানানো মেসওয়াক ব্যবহার করুন। এই দাঁতন দন্তব্যথাও দূর করে থাকে। অশ্বথের কচি পাতা গোলমরিচের সঙ্গে বেটে মটরের দানার মতো ছোট ছোট গুটি তৈরি করে নিন। দাঁত ব্যথা দেখা দিলে এমনি একটা গুটি বা বড়ি ব্যথাযুক্ত দাঁতের নিচে কিছুক্ষণ চেপে রাখলে দাঁত ব্যাথা সেরে যায়।

৫) কৃমি: অশ্বথের পঞ্চাঙ্গ চূর্ণ এবং গুড় সমান মাত্রায় মিশিয়ে মৌরির আরকের সঙ্গে দিনে ২ বার সেবন করলে পেটের কৃমি মরে যায়। ছোট শিশুদের পক্ষে এটি দ্রুত ফলপ্রদ ঔষধি।

৬) কোষ্ঠকাঠিন্য: কখনো কখনো অন্ত্রের মধ্যে থাকা জল শুকাতে শুরু করে, যার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য হয়। এমন অবস্থায় সমাধান দেবে এই গাছ। অশ্বথের পাতা ছায়ায় শুকিয়ে চূর্ণ করে তাতে গুড় মিশিয়ে ছোট ছোট গুলি/বড়ি তৈরি করে নিন। কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিলে রাতে শোওয়ার আগে ২টি করে বড়ি হালকা গরম দুধের সঙ্গে সেবন করুন। দ্রুত আরাম হবে এবং পেট খোলাসা হয়ে দাস্ত হবে।

৭) গর্ভধারণ: যারা স্বাভাবিক গর্ভধারণে জটিলতার মুখে পড়ছেন তারা পিপল বা অশ্বথের শুকনো ফল থেকে উপকার পেতে পারেন। এই ফল শুকনো অবস্থায় সংগ্রহ করে থেঁতো বা গুঁড়ো করে চূর্ণ করে নিন এবং কাপড়ে ছেঁকে নিন। যে সমস্ত নারী নিঃসন্তান তাদের এই চূর্ণ ৫ গ্রাম মাত্রায় এক গ্লাস হালকা গরম দুধ (খাঁটি) সহযোগে কয়েক মাস নিয়মিত সেবন করালে একপর্যায়ে অবশ্যই গর্ভধারণ হবে। শুধুমাত্র ঋতুস্রাবের দিনগুলিতে এই ওষুধ সেবন বন্ধ রাখতে হবে।

৮) শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানি: উপুর্যপরি শ্বাস পড়তে শুরু করলে বা হাঁপানির টান শুরু হলে অশ্বথের শুকনো ছালের চূর্ণ ৫ গ্রাম মাত্রায় নিয়ে হালকা গরম পানির সঙ্গে দিনে ৩ বার করে সেবন করলে রোগী প্রভূত আরাম বোধ করবে। নিয়মিত ব্যবহারে ধীরে ধীরে রোগও প্রশমিত হবে।

৯) নাক দিয়ে রক্ত পড়া: ৫০ গ্রাম পিপলের দুধ বা আঠাতে সমমাত্রায় মিছরি মিশিয়ে চূর্ণ করে নিন। প্রত্যেক দিন সকালে ৩ গ্রাম করে এই চূর্ণ সেবন করলে শরীরের গরম শান্ত হয় এবং নাক দিয়ে রক্ত পড়া প্রশমিত হয়।

১০) পুরুষদের দুর্বলতা: পুরুষদের বিশেষ করে মধ্যবয়সী পুরুষদের অনেক সময় এই যৌন সমস্যাটি অর্থাৎ শীঘ্রপতন সমস্যা দেখা যায়। এমন হলে প্রথম অবস্থায় পিপল গাছের সাদা রস ১১ ফোঁটা করে চিনি বা মিষ্টিজাতীয় কিছুর সঙ্গে নিয়মিত কিছুদিন সেবন করলে সমস্যা দূর হয়। নিয়মিত কয়েক মাস এই রস সেবন করলে ভাল ফল মেলে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ওজন কমাতে চাইলে সকালের নাস্তা করতে ভুলবেন না!

টেল আভিব ইউনিভার্সিটির গবেষকদের করা এক গবেষণা অনুসারে ৮ ঘণ্টা ঘুমের পর ঠিক মতো পেট ভরে সকালের নাস্তা না করলে শরীরে অন্দরে নানা নেতিবাচক পরিবর্তন হতে শুরু করে। বিশেষত জিন স্ট্রকচারে বদল আসতে শুরু করে। ফলে ওজন বাড়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।

১৮ জন স্বাস্থ্যকর মানুষের উপর এই গবেষণাটি চলাকালীন গবেষকরা লক্ষ্য করেছিলেন প্রাতঃরাশ না করলে সাইকেলিক ক্লক জিনে পরিবর্তন আসতে থাকে। যে কারণে ওজন বাড়তে থাকে। আর যেমনটা আপনাদের সকলেরই জানা আছে যে দৌহিক ওজন একটি নির্দিষ্ট মাত্রার বেশি হলেই নানাবিধ মারণ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। এই কারণেই তো দিনের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মিল হিসেবে বিবেচিত করা হয়ে থাকে সকালের নাস্তাকে। শরীরের সচলতা থেকে রোগমুক্তি সবই নর্ভর করে এই সময় কী খাবার, কতটা পরিমাণে খাওয়া হচ্ছে তার উপর।

অবাক করার মতো বিষয় হল সারা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় সিংহভাগই সকালের নাস্তা ঠিক মতো করেন না। ফলে যা হওয়ার তাই হয়! একদিকে যেমন শরীর ভাঙতে শুরু করে, তেমনি একাধিক রোগ শরীরে এসে বাসা বাঁধে। ফলে লগু পাপে গুরুদণ্ড হয়ে যায়।
অর্থাৎ হঠাৎ মৃত্যুর আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।

হাবার্ড ইউনিভার্সিটির করা এক গবেষণা অনুসারে যারা নিয়মিত ব্রেকফাস্ট করেন না, তাদের হাঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার আশঙ্কা প্রায় ২৭ শতাংশ বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে হরমোনাল ইমব্যালেন্স সহ আরও নানাবিধ শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

ওজন বৃদ্ধি পায়
অনেকেই ভাবেন কম খেলে ওজন কমে। এই ধরণা কিন্তু একেবারেই ঠিক নয়। বরং যত কম খাবেন, তত বেশি বেশি করে ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকে। কেন এমনটা হয় জানেন? সকালের নাস্তা না করার কারণে লাঞ্চের সময় আসতে আসতে এতটাই ক্ষিদে পেয়ে যায় যে মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া হয়ে যায়। ফলে শরীরে অতিরিক্ত ক্যালরি জমা হতে হতে এক সময়ে গিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। সেই কারণেই তো চিকিৎসকেরা সকালের নাস্তা, দুপুরের এবং রাতের খাবার এই তিনটে সময়ে ভুলেও খালি পেটে থাকতে মানা করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest