নেতাকর্মীদের ডাটাবেজ তৈরি করছে আওয়ামী লীগ

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সমন্বিত সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে নিজ দলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের তথ্য সংগ্রহ করছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এ তথ্য দিয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে একটি শক্তিশালী ‘ডাটাবেজ’ তৈরি করবে দলটি। দলীয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর একাধিক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, গত ২০ মে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত দলের বর্ধিত সভায় দফতর সম্পাদক একটা আবেদনপত্র তুলে দেন তৃণমূল নেতাদের হাতে। সে আবেদনপত্রে তথ্য-উপাত্ত সংযুক্ত করে দফতরে জমা দেয়ার কথা ছিল। তবে তথ্য সমন্বয়হীনতার কারণে বিষয়টি ধীর গতিতে চলছে। এ তথ্য ভাণ্ডার বা ডাটাবেজটি তৈরিতে মুখ্য ভূমিকা পালন করছে দলের গবেষণা সেল হিসেবে পরিচিত সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই)।

সূত্র জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে পাইলট প্রকল্পের মাধ্যমে কাজ শুরু হয়েছিল বেশ আগেই। পাইলট প্রকল্পের অভিজ্ঞতা ভালো হওয়ায় এখন দেশব্যাপী এ কার্যক্রম চলছে। ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, থানা/উপজেলা, পৌরসভা, জেলা এবং সিটি কর্পোরেশন থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত সব নেতার জন্য আলাদা প্রোফাইল তৈরি হবে।

জানা গেছে, প্রত্যেকের ফাইলে নাম, পদের নাম, ছবি, মোবাইল নাম্বার, ই-মেইল অ্যাড্রেস, ফেসবুক আইডি, স্থায়ী ঠিকানা ও অস্থায়ী ঠিকানা লিপিবদ্ধ থাকবে।

সূত্র আরও জানায়, এখন রংপুর বিভাগের নেতাকর্মীদের তথ্য সংগ্রহ চলছে। চলতি সপ্তাহে রংপুর বিভাগের নেতাকর্মীদের তথ্য সংগ্রহের কাজ শেষ হবে। রংপুর বিভাগ শেষ হলে আরও দুটি বিভাগে তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু হবে। আগামী মার্চের মধ্যে সারাদেশের নেতাকর্মীদের তথ্য সংগ্রহের কাজ শেষ করার কথা রয়েছে।

তথ্য সংগ্রহ ও ডাটাবেজ তৈরিতে যুক্ত এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার নেতৃত্ব দিচ্ছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার। কিন্তু নিজ দলেরই এখন পর্যন্ত কোনো ডাটাবেজ নেই। তাই সারাদেশের নেতাদের মধ্যে একটি নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ গড়ে তোলার জন্যই এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

সূত্র জানায়, তথ্য সংগ্রহের জন্য প্রতিটি জেলায় ৭-১০ জনের একটি করে টিম যাবে। ইতোমধ্যে ১০০ জনের মতো সাবেক ছাত্র নেতাকে তথ্য সংগ্রহের কাজে বাছাই করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে প্রথম দফায় ৬০ জনকে তথ্য সংগ্রহের কাজের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।

প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নেতাদের কাছ থেকে জানা গেছে, প্রত্যেকটি জেলার জন্য একজন টিম লিডার থাকবেন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে একজনের জন্য একটি উপজেলার তথ্য সংগ্রহের দায়িত্ব থাকবে। তবে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে এক উপজেলার জন্য একাধিক তথ্য সংগ্রহকারীও নিযুক্ত হতে পারেন।

আওয়ামী লীগের অপর এক নেতা জানান, মোবাইল-ইন্টারনেটের এ যুগেও দলের কেন্দ্রীয় একটি নির্দেশনা তৃণমূলে পৌঁছাতে অনেক সমস্যা হয়। দেশের সব নেতাদের এক সুতোয় বাঁধতে এটা অনেক বড় একটি কাজ হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শেখ হাসিনাকে ‘বোন’ ডাকলেন হুন সেন

কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘বোন’ ডেকেছেন।

পররাষ্ট্র সচিব এম শহিদুল হক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজ দু’দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা শেষে কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘বোন’ বলে সম্বোধন করেন। এখানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় পীচ প্যালেসে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

পররাষ্ট্র সচিব হক কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রীর উদ্বৃতি দিয়ে বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনি শুধু বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নন, আপনি আমার বোনও। এ কারণে আপনাকে আমি আমার বোন হিসেবে সম্বোধন করলাম’।

পররাষ্ট্র সচিব আরো বলেন, ‘কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেন যখন শেখ হাসিনাকে বোন বলে সম্বোধন করেন, তখন তাঁকে খুবই আবেগাপ্লুত মনে হচ্ছিল। তিনি বলেন, আমি আমার জীবনে কখনো কোন আনুষ্ঠানিক বৈঠকে এভাবে কাউকে বোন বলে সম্বোধন করতে দেখিনি’।

পররাষ্ট্র সচিব হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে ‘ভাই’ বলে সম্বোধন করেন। তিনি বলেন, এশিয়ার এ দু’টি দেশের মধ্যে এ যেন একটি বিশেষ সম্পর্ক এবং এ সম্পর্ক আগামীতে বিভিন্ন ভাবে আরো এগিয়ে যাবে’।

শহীদুল হক বলেন, দুই নেতার এই নতুন সম্পর্কের কারণে দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক একটি নতুন মাত্রায় পৌঁছে গেছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সফর করে ঢাকা সম্পর্কে কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রীর একটি বিশেষ ধারণার জন্ম নিয়েছে। বঙ্গবন্ধু ও কম্বোডিয়ার সাবেক নেতৃত্বের মধ্যেও অনুরূপ একটি বিশেষ সম্পর্ক ছিল। সূত্র-বাসস।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
হাসপাতাল থেকে মেসির ভাইকে গ্রেফতার

লিওনেল মেসির ভাই ম্যাতিয়েস মেসিকে হাসপাতাল থেকে গ্রেফতার করেছে আর্জেন্টিনা পুলিশ। নদীতে দুর্ঘটনার পর রক্তভরা নৌকা ফেলে এসেছেন বলে জানিয়েছিলেন লিওনেল মেসির ভাই ম্যাতিয়েস মেসি। কিন্তু ওই ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে বোটের মধ্যে অবৈধ অস্ত্র পায় পুলিশ। ফলে হাসপাতালেই গ্রেফতার করা হয় মেসির ভাইকে।

ম্যাতিয়েস চোয়াল ভেঙে মুখে অনেক কাটা-ছেঁড়া নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। তার দাবি, রোজারিওর কাছে পারানা নদীতে মটরবোট চালানোর সময় অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছে তার। বোটের মধ্যে রক্তের ছোপও দেখা যায়। এই ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে বোটের মধ্যে পাওয়া গেছে অবৈধ অস্ত্র।

ফলে হাসপাতালে একটু সুস্থ হলে মেসির ভাইকে রিমান্ডে নেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে আদালতে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আর্জেন্টিনার আইনে সাড়ে আট বছরের জেল হতে পারে ম্যাতিয়েসের। এই অপরাধে সর্বনিম্ন শাস্তিই সাড়ে তিন বছরের জেল।
অবৈধ অস্ত্র বহনের অভিযোগে অবশ্য এর আগেও ম্যাতিয়াস মেসিকে আটক করেছিল আর্জেন্টিনার পুলিশ।

২০১৫ সালের অক্টোবরে ট্রাফিক জ্যামে আটকে থাকা ম্যাতিয়াসের গাড়ি তল্লাশি করে পয়েন্ট ২২-ক্যালিবার পিস্তল খুঁজে পায় পুলিশ, যা লাইসেন্সকৃত ছিল না।

তবে ম্যাতিয়েসের আইনজীবী দাবি করেছেন, সৈকতে ধাক্কা লেগে দুর্ঘটনা ঘটেছে বোটের। যে অস্ত্র পাওয়া গেছে, সেটা পুলিশ সাজিয়ে রাখতে পারে বলেও সন্দেহ তার। এর আগে ২০০৮ সালের অক্টোবরে আরও একবার পুলিশের কাছে গ্রেফতার হন ম্যাতিয়াস। তার কোমরে একটি হ্যান্ডগান উদ্ধার করেছিল পুলিশ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কলারোয়া পাইলট হাইস্কুল আল্যামনাই এ্যসোসিয়েশনের সভাপতি মিথুন, সম্পাদক অভিজিৎ

কলারোয়া ডে¯ : শেখ সালাউদ্দীন আহমেদ মিথুনকে সভাপতি (এসএসসি-৮৯) ও প্রকৌশলী অভিজিৎ চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক (এসএসসি-৯০) নির্বাচিত করে কলারোয়া জিকেএমকে মডেল পাইলট হাস্কুলের প্রাক্তন ছাত্রদের প্রথম আল্যামনাই এ্যসোসিয়েশনের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
গত শুক্রবার বিকালে ঢাকার মিরপুরে স্কুলে প্রাক্তন ছাত্রদের (সর্বশেষ-২০১৬) উপস্থিতিতে জরুরী সভা শেষে সর্বসম্মতিক্রমে এ কমিটি গঠন করা হয়।
একই সাথে আগামী সভায় সকলের সম্মতিক্রমে পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।
স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র ও বাংলাদেশ উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আলমগীর কবীর জানান- কলারোয়া জিকেএমকে মডেল পাইলট হাইস্কুলের ছাত্রদের আল্যামনাই এ্যসোসিয়েশনের কমিটি গঠনের জন্য ঢাকার মিরপুরে স্কুলে অনুষ্ঠিত প্রাক্তন ছাত্রদের দ্বিতীয় সভায় এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর আগে স্কুলের সকল প্রাক্তন ছাত্রদের সভায় উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানানো হয়।
তিনি বলেন, স্কুলের (সর্বশেষ ২০১৬ সাল) বিভিন্ন ব্যাচের শতাধিক প্রাক্তন ছাত্র সভায় উপস্থিত ছিলো।
সভায় স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন স্কুলের সাবেক ছাত্র বিশিষ্ট এনজিও ব্যক্তিত্ব ও দাতা সংস্থা এনসিএসসি’র উর্ধতন কর্মকর্তা সৈয়দ সলিমুল¬াহ, পুলিশ পরিদর্শক সালাউদ্দিন রানা, সাবেক ফুটবলার লিটন মজুমদার, শিক্ষক কবিরুল ইসলাম, বিমান কর্মকর্তা ফারুক হোসেন, ছাত্রনেতা আতিকুজ্জামান রিপন, প্রকৌশলী নাসিম হায়দার শিমুল, সাইদুল আলম মিল্টনসহ কলারোয়া জিকেএমকে পাইলট হাইস্কুলের প্রাক্তন ছাত্ররা।
সভা শেষে দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করা কলারোয়া জিকেএমকে মডেল পাইলট হাইস্কুলের প্রাক্তন ছাত্রদের সভাপতি বা সম্পাদকের সাথে যোগাযোগ করার বিশেষ অনুরোধ জানানো হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সভাপতি পদে অপ্রতিদ্বন্দ্বী রাহুল

ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন রাহুল গান্ধী (৪৭)। গতকাল সকালে দিল্লিতে ২৪ আকবর রোডে অবস্থিত কংগ্রেসের সদর দফতরে রাহুল তার মনোনয়নপত্র জমা দেন। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং, কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ, কুমারী শৈলজা, সি পি যোশী, অম্বিকা সোনি, আনন্দ শর্মা প্রমুখ। এদিন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগে দাদি ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন দুই কংগ্রেস নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন রাহুল গান্ধী। এর একজন হলেন দেশটির সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি, অন্যজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। পাশাপাশি দুজনের কাছ থেকেই তাদের আশীর্বাদ চেয়ে নেন রাহুল। গত মাসেই দিল্লিতে দলের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে দলের পরবর্তী সভাপতি হিসেবে রাহুলের নাম প্রস্তাব করা হয়। সে ক্ষেত্রে মা সোনিয়ার স্থলাভিষিক্ত হবেন রাহুল। ১৯৯৮ সালে দলের সভানেত্রী হন সোনিয়া। বর্তমানে দলের সহসভাপতির পদে রয়েছেন রাহুল। ২০১৩ সাল থেকে এই পদে রয়েছেন তিনি।
গতকাল বিকাল ৩টায় মনোনয়নপত্র পেশ করার শেষ সময় ছিল। এই সময়ের মধ্যে আর কেউ এই পদে মনোনয়নপত্র জমা না দিলে আজ বিকালেই ঘোষণা হয়ে যেতে পারে যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি হয়েছেন রাহুল গান্ধী। তবে একটির বেশি মনোনয়নপত্র জমা পড়লেই সভাপতি পদে নির্বাচনের দিন ঘোষণা দেবেন দলের নির্বাচন কমিশনার মুলাপল্লি রামচন্দ্রন। এদিকে সভাপতি পদে রাহুলের মনোনয়নপত্র পেশের পর তাকে আগাম শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়া, দেশটির সাবেক অর্থমন্ত্রী পি. চিদাম্বরম, জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ, উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেসের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা রাজ বাব্বর, কংগ্রেস সাংসদ জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াসহ শীর্ষ নেতৃত্ব। ৯ ডিসেম্বর মোদির রাজ্য গুজরাটে প্রথম দফার বিধানসভার নির্বাচন। তার আগে রাহুলের এই পদোন্নতি দলকে আরও চাঙ্গা করবে বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের। সে ক্ষেত্রে রাহুলকে কাছে পেয়ে নতুন উদ্যমে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করতে পারবে কংগ্রেস। নির্বাচন সামনে রেখে ইতিমধ্যেই কার্যত গোটা গুজরাটেই চষে বেড়াচ্ছেন রাহুল, মিটিং-মিছিল, সভা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলা, তাদের সঙ্গে মিশে যাওয়া কোনো কিছুই বাদ রাখছেন না তিনি। স্বভাবতই বেশ কিছুটা চাপে রাজ্যটির শাসক দল বিজেপি। তবে এত কিছুর পরও গুজরাটে ভোটে কংগ্রেসের পক্ষে ইতিবাচক প্রতিফলন পড়ে কিনা সেটাই এখন দেখার। আর যদি ফল খারাপ হয় তাহলে ফের রাহুলকে নিয়ে বিতর্ক যে শুরু হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আর্জেন্টিনায় ভেঙ্গে ফেলা হলো মেসির মূর্তি
আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনস আয়রেসে ফুটবল তারকা লিওনেল মেসির একটি ব্রোঞ্জের তৈরি মূর্তি কে বা কারা উপড়ে ফেলেছে। স্থাপনের পর দ্বিতীয়বার এই ঘটনা ঘটলো।
লিওনেল মেসিই হয়তো আর্জেন্টিনার সর্বকালের অন্যতম শীর্ষ তারকা। কিন্তু তার দেশেই কে বা কারা মেসির একটি ভাস্কর্য গোড়ালি থেকে ভেঙ্গে রাস্তায় ফেলে রেখে গেছে। ২০১৬ সালের জুন মাসে রাজধানী বুয়েনস আয়রেসে ব্রোঞ্জের মূর্তিটি স্থাপন করার পর দ্বিতীয়বারের মতো এ ঘটনা ঘটলো।
মেসি এবার একাই আর্জেন্টিনাকে ২০১৮ সালের বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে নিয়ে গেছেন। অক্টোবরে এক ম্যাচে একুয়েডরের বিরুদ্ধে মেসি সেদিন হ্যাট্রিক না করলে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপের স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়ে যেতে পারতো।
রাজধানী শহরের যে জায়গায় দেড় বছর আগে মেসির এই মূর্তিটি স্থাপন করা হয়, সেখানে আর্জেন্টিনার বড় বড় সব ক্রীড়া তারকার, যেমন টেনিস তারকা গাব্রিয়েলা সাবাতিনি বা বাস্কেটবল তারকা জিনোবিলি, মূর্তি রয়েছে। কিন্তু মেসির মূর্তিকেই বারবার টার্গেট করা হচ্ছে। গত জানুয়ারি মাসেও মূর্তিটি কোমর থেকে অর্ধেক করে ফেলা হয়েছিলো।
মেসি ২০০০ সালে বার্সেলোনায় খেলার জন্য দেশ ছাড়েন। মেসি চারবার বার্সেলোনাকে ইউরোপীয় কাপ জিতিয়েছেন, আটবার লা লীগা জিতিয়েছেন, পাঁচবার বিশ্ব সেরা ফুটবলার হয়েছেন, কিন্তু আর্জেন্টিনাকে একবারও বিশ্বকাপ জেতাতে পারেননি। ২০১৬ সালের কোপ আমেরিকার ফাইনালে চিলির বিরুদ্ধে পেনাল্টি মিস করায় তাকে নিজের দেশে প্রচণ্ড সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়েছিল। বিবিসি
0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বি চৌধুরীর নেতৃত্বে নতুন জোটের আত্মপ্রকাশ

সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিকল্প ধারার প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে চেয়ারম্যান করে চারটি ছোট রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে গঠন করা হয়েছে ‘যুক্তফ্রন্ট’ নামে একটি রাজনৈতিক জোট। দলগুলো হলো—বিকল্প ধারা, জেএসডি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ও নাগরিক ঐক্য। সোমবার রাতে জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রবের বাসায় এই জোটের ঘোষণা দেওয়া হয়। তবে এই জোটে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন গণফোরাম নেই। জেএসডি সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

জোট গঠনের বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক বি চৌধুরী বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই চেষ্টা করছি। এই জোট চার দলীয় বা পাঁচ দলীয় কোনও জোট হবে না। যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন, যারা জনগণের ভাগ্যে পরিবর্তনে বিশ্বাস করেন, তাদের সবাইকে আমরা আহ্বান করব।’
যুক্তফ্রন্টের নতুন চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘সবার জন্য এই জোটের দুয়ার খোলা। এটা কোনও লিমিটেড দলের জোট নয়। দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের স্বার্থে জোট করেছি। যেন গ্রামের মানুষের উন্নয়ন হয়, তারা যেন খেতে পায়, পরতে পারে, গণতন্ত্রকে গ্রাম পর্যন্ত বিস্মৃত হয় ও দেশে যেন সত্যিকার অর্থে একটি শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ হয়, এটাই আমাদের টার্গেট।’
এক প্রশ্নের উত্তরে বি চৌধুরী জানান, ‘ড. কামাল হোসেন বলেছেন, নিজস্ব কিছু পদ্ধতি তাদের আছে। তারা বলেছেন, এই মুহূর্তে আপনাদের সঙ্গে নেই। তবে তারা বলেছেন, আপনাদের সভা-সেমিনার হলে আমন্ত্রণ জানালে আমরা থাকব। সুতরাং, তাদের নিজস্ব পলিসির কারণে তারা নেই।’
জোটের পক্ষ থেকে ডিএনসিসি নির্বাচনে প্রার্থী দেওয়া হবে কিনা, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এসব এখন বইলেন না, লোকে খারাপ ভাববে।

জানতে চাইলে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘‘ড. কামাল হোসেন বলেছেন, তিনি কোনও জোটে থাকবেন না। তাই গণফোরামকে এই জোটে রাখা হয়নি। তিনি বর্তমানে থাইল্যান্ডে রয়েছেন।’’

জেএসডি সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন জানান, ‘এর আগে জেএসডি সভাপতি আসম আবদুর রবের বাসায় বৈঠকে বসেন ছোট চারটি দলের শীর্ষ নেতারা। তৃতীয় একটি জোট গঠনের লক্ষ্যে এই ধারাবাহিক আলোচনার অংশ হিসেবেই এ বৈঠক হচ্ছে। সোমবার রাত সাড়ে আটটা থেকে বৈঠক শুরু হয় রবের উত্তরার বাসায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘বৈঠকটি হচ্ছে জোট গঠনের ধারাবাহিক আলোচনার অংশ হিসেবে। বৈঠকে অংশ নিতে এরই মধ্যে রবের বাসায় পৌঁছেছেন বিকল্প ধারা সভাপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। এছাড়া আসম রব ও আবদুল মালেক রতন উপস্থিত আছেন বৈঠকে।’

এ বিষয়ে জানতে চেয়ে যোগাযোগ করা হলে গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী বলেন,  ‘আমরা এই জোটে নেই। জোট গঠন করা হয়েছে, এটি খুব ভালো খবর। আশা করি ভবিষ্যতে আরও বড় জোট হবে।’

রাতে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সামনে বি চৌধুরী বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, নির্বাচন নিশ্চিতকরণ ও নানা সংকটের সমাধানের লক্ষ্যে নতুন জোট গঠিত হয়েছে।’
আবদুল মালেক রতন জানান, ‘এক বা দু সপ্তাহ পর সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে জোটের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠান হবে। ’এই সময়ের মধ্যে জোটের কাঠামো, কর্মসূচি ঠিক করা হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে মাহমুদুর রহমান মান্না বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘নতুন জোট গঠন করায় বি চৌধুরী ও আমাকে ফোন করে অভিনন্দন জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জাতিসংঘ মিশনে ইতিহাস গড়লেন বাংলাদেশের নাইমা ও তামান্না

বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার থেকে নেমে এলেন দুই বৈমানিক। গায়ে বিমানবাহিনীর জলপাই রঙের পোশাক। চোখে কালো চশমা। চলনে-বলনে দুই বৈমানিকের আত্মবিশ্বাসটা স্পষ্ট। দুই বৈমানিকের একজন নাইমা হক ও অন্যজন তামান্না-ই-লুৎফি।

দেশের ইতিহাসে গর্বের সঙ্গে উচ্চারিত হবে ওই দুই নাম। ওই দুই ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট জাতিসংঘ মিশনে যোগ দিতে আফ্রিকার কঙ্গো যাচ্ছেন। এই প্রথমবারের মতো দুই নারী বৈমানিক জাতিসংঘ মিশনে যোগ দিচ্ছেন।

আগামী ৭ ডিসেম্বর কঙ্গোর উদ্দেশ্যে দেশত্যাগ করবেন দুই ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট। বিষয়টি জানাতে ঢাকা সেনানিবাসের ঘাঁটি বাশারে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট নাইমা ও তামান্না।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘পেশাগত জীবনে বৈমানিক হিসেবে তাঁদের এই সাফল্য বিমানবাহিনী এবং বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর উড্ডয়নের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে।’ আরো বলা হয়, ‘দেশের গণ্ডি পেরিয়ে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে তাঁদের যোগদান বাংলাদেশের সামরিক ইতিহাসে এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়ের সূচনা করেছে।’

ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট নাইমা হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা এবার প্রথমবারের মতো বিমানবাহিনীর পক্ষ থেকে নারী পাইলট হিসেবে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে যাচ্ছি। এর জন্য যা প্রশিক্ষণ দেওয়া প্রয়োজন, বিমানবাহিনী ইতিমধ্যেই আমাদের দিয়েছে।’

ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তামান্না-ই-লুৎফি বলেন, ‘আমরা পার্বত্য চট্টগ্রামে অপারেট করেছি। যেহেতু কঙ্গো একটি পাহাড়ি এলাকা, আমরা পাহাড়ি এলাকায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।’

আইএসপিআর জানিয়েছে, সামরিক বৈমানিকের মতো চ্যালেঞ্জিং ও ঝুঁকিপূর্ণ পেশায় নারী বৈমানিকদের গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় যাচাই বাছাইয়ের পর বিমানবাহিনীতে কর্মরত দুজন নারী কর্মকর্তা ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট নাইমা হক এবং ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তামান্না-ই-লুৎফি মনোনীত হন উড্ডয়ন প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর ঘাঁটি বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের ১৮ নং স্কোয়াড্রনে বেল-২০৬ হেলিকপ্টারে বেসিক কনভার্সন কোর্সের জন্য মনোনীত হওয়া এই দুই নারী কর্মকর্তা ২০১৪ সাল থেকে তাঁদের গ্রাউন্ড প্রশিক্ষণ শুরু করেন। একই বছর প্রথমবারের মতো তাঁদের উড্ডয়ন প্রশিক্ষণ শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে ২৫ ঘণ্টা সফল প্রশিক্ষণ উড্ডয়ন শেষে তাঁরা একক উড্ডয়ন তথা প্রথম একক উড্ডয়ন (Solo Flight) সম্পন্ন করেন। এভাবে নাইমা ও তামান্না ২০১৪ সালের ১৭ ডিসেম্বর প্রশিক্ষণের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ অতিক্রম করে বৈমানিক হয়ে ওঠার প্রাথমিক পর্যায় শেষ করেন।
নাইমা ও তামান্না বেল-২০৬ হেলিকপ্টারে ৬৫ ঘণ্টা উড্ডয়নের প্রাথমিক ধাপ সম্পন্ন করার পর বিমানবাহিনীর বিভিন্ন হেলিকপ্টার স্কোয়াড্রনে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁরা ২০৬ হেলিকপ্টার কনভারশন কোর্স, এমআই-১৭, এমআই-১৭১ এবং এমআই-১৭১ এসএইচ হেলিকপ্টার প্রশিক্ষণ সমাপ্ত করেছেন। উভয়ে ভারত থেকে এভিয়েশন মেডিসিন-এ প্রশিক্ষণ নেন। তাঁরা দুজনই পার্বত্য চট্টগ্রামে অপারেশনস উত্তরণে অপারেশনাল পাইলট হিসেবে দায়িত্ব সম্পন্ন করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest