সাতক্ষীরায় তাঁতীলীগের নামে জমি দখলের চেষ্টা; বাঁধা দেওয়ায় ভূমি কর্মকর্তা-কর্মচারী লাঞ্ছিত

নিজস্ব প্রতিনিধি : তাঁতীলীগের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে প্রাণসায়র খালের চর দখল করা হয়েছে। শুক্রবার সরকারি অফিস ছুটির দিনে কৌশলে সকাল ৭টার দিকে সাতক্ষীরা শহরের সাবেক পৌর মেয়র আব্দুল জলিলের বাড়ির সামনে খালের পূর্ব পাড়ে এ দখল প্রক্রিয়া শুরু করা হয়।
এদিকে প্রাণসায়র খালের চর দখল করে ঘর নির্মাণে বাধা দিতে আসা এক ভূমি কর্মকর্তা ও দু’ কর্মচারী তাঁতীলীগের নেতা-কর্মীদের কাছে লাঞ্ছিত হয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার সকাল সাতটার দিকে শহরের রাধানগরের সাবেক পৌর মেয়র আব্দুল জলিলের বাড়ির সামনে প্রাণসায়র খালের পূর্ব পাশের একটি দোকান ঘরের পিছনে বাংলাদেশ তাঁতীলীগের সাতক্ষীরা জেলা শাখার একটি সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। এরপর কাঠের স্যাঁকোর দক্ষিণ দিকে খালের চরভরাটি জায়গা দখল করে বাঁশের খুঁটি পুঁতে সেখানে কয়েকটি চৌকি বসানো হয়। এ জায়গা দখলের নেতৃত্ব দেন জেলা তাঁতীলীগের সভাপতি মীর আজাহার আলী শাহীন, সাধারণ সম্পাদক শেখ তৌহিদ হাসান ও আওয়ামী লীগ নেতা কুলিয়া ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান আসাদুল ইসলামের ছেলে সেলিম রেজা বাবু। দখল প্রক্রিয়ায় অংশ নেয় তাঁতীলীগ পরিচয়দানকারী ৩০/৩৫জন।

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার পৌর ভূমি সহকারী কর্মকর্তা কান্তি লাল সরকার জানান, উর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশ পেয়ে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তিনি অফিস কর্মী সুরেন রায় ও আব্দুল গফুরকে নিয়ে তাঁতী লীগের সাইনবোর্ড টাঙিয়ে অবৈধ দখল ও নির্মাণে বাধা দেন। এ সময় সংগঠনটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ বেশ কয়েকজন কর্মী তাদেরকে উদ্দেশ্য করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। প্রতিবাদ করায় তারা তাদেরকে মারতে উদ্যত হন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে তারা ফিরে আসতে বাধ্য হন। একপর্যায়ে তিনি বিষয়টি সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাদিয়া আফরিনকে অবহিত করেন।

সরেজমিনে শুক্রবার বিকেল চারটার দিকে সাবেক পৌর মেয়র আব্দুল জলিলের বাড়ির সামনে কাঠের স্যাঁকোর পূর্ব পাশে যেয়ে দেখা গেছে ২০০ হাত বাই ২৫ হাত জায়গা দখলে নিয়ে দলীয় সাইনবোর্ড টাঙিয়ে তাঁতী লীগের সভাপতি মীর আজাহার আলী শাহীনের নেতৃত্বে জবরদখল পরবর্তী বাঁশের খুঁটি দিয়ে নির্মাণ কাজ অব্যাহত রয়েছে।

এদিকে স্থানীয় একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, তাঁতী লীগের সাইনেবোর্ডে সেখানে বেশ কয়েকটি কাঠের চৌকি বসিয়ে ছোট ছোট স্টলের মাধ্যমে তা ভাড়া দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই সংগঠনটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কয়েকজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

জানতে চাইলে তাঁতীলীগের সাতক্ষীরা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শেখ তৌহিদ হাসান এ প্রতিবেদককে বলেন, অনেকেই প্রাণসায়র খালের চর দখল করে ব্যবসা করছেন। এ কারণেই তারা চর দখল করে দলীয় অফিস নির্মাণ করছেন। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে স্টল দেওয়ার নাম করে টাকা নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, কোন সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ ঠিক নয়।
এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাদিয়া আফরিন জানান, সকাল ১০ টার দিকে পৌর সহকারী ভূমি কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে যেয়ে সাইনবোর্ড নামিয়ে অবৈধ নির্মাণ কাজ বন্ধ করে এসেছেন। এখন কাজ চললে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসকের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে সচেতন মহল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরতে আশাশুনির প্রত্যন্ত অঞ্চলে ডা. রুহুল হক এমপি

তোষিকে কাইফু/তরিকুল ইসলাম লাভলু/মোস্তাফিজুর রহমান, আশাশুনি থেকে : বর্তমান সরকার উন্নয়ন বান্ধব সরকার এই সরকার জনগণ বান্ধব সরকার। জনগণের যে কোন সমস্যায় বর্তমান সরকার সচেতন। আমাদেরকে শুধু উন্নয়নের জোয়ারে বর্তমান সরকারকে সঙ্গে নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জাতীর পিতার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা যিনি নিজেই জনগনের যে কোন বিষয় নিয়ে অতিশয় সোচ্চার। শুধু দেশেই নয় সারা বিশ্বে আজ প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আলো জ্বলজ্বল করছে,সারা বিশ্ব আমাদের নেত্রীর গুনকীর্তন করছে। বিশ্বেও বিভিন্ন মিডিয়াতে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে। সাম্প্রতিক রোহিঙ্গা সমস্যায় প্রধানমন্ত্রীর মানবিক বিবেচনার প্রশংসা করে আন্তর্জাতিক বিশ্ব তাকে মাদার অফ হিউমিনিটি আক্ষা দিয়েছে। আমরা আমাদের এ সুযোগ্য নেত্রীর উপর নির্ভর করে অদূর ভবিষ্যতে উন্নত দেশে পরিনত হব। উন্নয়নের এ ধারাকে অব্যাহত রাখতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। জনগনকেই এ উন্নয়নের প্রবাহ ধরে রাখতে হবে। উন্নয়নের এ ধারাকে আরো বেশি বেগবান এবং শিখরে পৌছে নিয়ে যাওয়ার জন্য আওয়ামীলগকে আবার নির্বাচিত করে শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী করতে হবে। ১০ নভেম্বর শুক্রবার আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নে তৃণমূল পর্যায়ে মতবিমিয়কালে সাতক্ষীরা-৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক এমপি এসব কথা বলেন।
তৃণমূল পর্যায়ে সাধারণ মানুষের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি আরও বলেন-বর্তমান সরকার বয়ষ্ক ভাতা, বিধাব ভাতাসহ বিভিন্ন প্রকারের ৬৪ পর্যায়ে আপনাদের বিভিন্ন ভাতা প্রদান করছে। বর্তমান সরকার মাতৃত্ব মৃত্যুরহার রোধে খুব জোরালোভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আপানদের এলাকায় সুপেয় পনি এবং বেড়ি বাধ নির্মান যাতে খুব দ্রুত পৌছে যায় তারও ব্যাবস্থা করবে এই উন্নয়নবান্ধব সরকার।
এসময় উপস্থিত ছিলেন-সংসদ প্রতিনিধি সম্ভুজিৎ মন্ডল, সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ সদস্য এস এম আসাদুর রহমান সেলিম, আশাশুনি উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সুমন, সাধারণ বিপুল, আনুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর আলম লিটন, খাজরা ইউপি চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ ডালিম, প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন, বড়দল ইউপি বিভিন্ন আব্দুল আলিমসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউপি চেয়ারম্যান, আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীবৃন্দ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি র‌্যাংকিং: শীর্ষে ব্র্যাক, নর্থ সাউথ ও আইইউবি

দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর র‍্যাংকিং করতে যৌথ উদ্যোগে একটি গবেষণা পরিচালনা করা হয়েছে।। এই র‌্যাংকিংয়ের শীর্ষে রয়েছে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি। দ্বিতীয় অবস্থানে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি ও তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (আইইউবি)। এই গবেষণাটি পরিচালনা করেছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওআরজি কোয়েস্ট রিসার্চ লিমিটেড।

বাংলাদেশে বর্তমানে ৮৩টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এই গবেষণার মূল লক্ষ্য হলো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে একটি র‌্যাংকিংয়ের আওতায় আনা। যদিও ৮৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর এই গবেষণা পরিচালিত হয়নি। যে ১৫টি বিশ্ববিদ্যালয়কে সরকার কালো তালিকাভুক্ত করেছে তাদের এই র‌্যাংকিংয়ের আওতায় আনা হয়নি। এছাড়া যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম ২০১২ সালের পর শুরু হয়েছে ও এখনপর্যন্ত কোনও সমাবর্তন হয়নি, সেগুলোও এই গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এমন বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা প্রায় ২০টি। ভবিষ্যতে এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গবেষণার নেওয়া হবে।

এছাড়া যেসব বিশ্ববিদ্যালয় শুধু একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে পড়ায় এবং যারা অনার্স ডিগ্রি অফার করে না, সেগুলোকেও এই গবেষণার আওতায় আনা হয়নি। যেসব বিশ্ববিদ্যালয় প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি অ্যাক্ট নীতিমালা অনুসরণ করে না (যেমন, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন) সেগুলোকেও এই গবেষণার বাইরে রাখা হয়েছে।

ওপরের ক্যাটাগরিগুলোর অন্তর্ভূক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বাদ দিয়ে মোট ৩২টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর এই গবেষণা পরিচালিত হয়েছে। এরমধ্য থেকেই ফ্যাকচুয়াল, পারসেপচুয়াল ও এই দু’টির স্কোরের সমন্বয়ে চূড়ান্ত র‌্যাংকিং করা হয়েছে সেরা ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের।

পুরো প্রক্রিয়াটি আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে সম্পন্ন করা হয়। এই জরিপের মোট ফলাফলে দেখা যায়,  প্রথম স্থানে রয়েছে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, দ্বিতীয় স্থানে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, তৃতীয় স্থানে ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, চতুর্থ স্থানে আহসানউল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, পঞ্চম স্থানে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, ষষ্ঠ স্থানে ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ, সপ্তম স্থানে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি, অষ্টম স্থানে দ্য ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক, নবম স্থানে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও দশম স্থানে রয়েছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।

র‌্যাংকস নির্ণয় করা হয়েছে দু’টি পদ্ধতির সমন্বয়ে–ফ্যাকচুয়াল স্কোর ও পারসেপচুয়াল স্কোরের মাধ্যমে। ফ্যাকচুয়াল তথ্যে রয়েছে, শিক্ষার্থী সংখ্যা, শিক্ষক, পিএইচডি ডিগ্রিধারীদের সংখ্যা, গবেষণায় খরচ ইত্যাদি। এই তথ্যগুলো নেওয়া হয়েছে ইউনিভার্সিটি গ্র্যান্ড কমিশনের ২০১৪ সালের রিপোর্ট থেকে। প্রাপ্ত রিপোর্ট থেকে দেখা যায়, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ফ্যাকচুয়াল র‌্যাংকিংয়ে সবার শীর্ষে অবস্থান করছে, দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, তৃতীয় স্থানে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, চতুর্থ স্থানে ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস ও পঞ্চম স্থানে আছে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ।

পারসেপচুয়াল স্কোরগুলো নেওয়া হয়েছে অ্যাকাডেমিক (ডিন, বিভাগীয় প্রধান, অধ্যাপক, রেজিস্ট্রার) ও চাকরিদাতাদের কাছ থেকে। তারা বিভিন্ন সূচকে নিজেদের স্কোর দিয়েছেন। যেমন, শিক্ষার পরিবেশ, বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো, শিক্ষকদের মান, চাকরিক্ষেত্রে পাসকরা শিক্ষার্থীদের কর্মদক্ষতা, নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা, যোগাযোগ দক্ষতা ইত্যাদি। এসব স্কোরে দেখা যায়, পারসেপচুয়াল র‌্যাংকিংয়ে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি সবার শীর্ষে অবস্থান করছে। এছাড়া দ্বিতীয় স্থানে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, তৃতীয় স্থানে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি, চতুর্থ স্থানে ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ও পঞ্চম স্থানে রয়েছে আহসানউল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি।

ফ্যাকচুয়াল স্কোরে এগিয়ে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি:

ফ্যাকচুয়াল স্কোর করা হয়েছে কয়েকটি ক্যাটাগরির ওপর। যেমন­­– মোট শিক্ষার্থী সংখ্যা, লাইব্রেরিতে বইয়ের সংখ্যা, গবেষণায় ব্যয়, পিএইচডি ডিগ্রিধারীদেরসংখ্যা, ক্যাম্পাসের আয়তন, শিক্ষার্থী-শিক্ষক অনুপাত, পূর্ণকালীন শিক্ষকের হার, গবেষণাপত্রের সংখ্যা।

এসব ক্যাটাগরিতে দেখা যায় গবেষণায় ব্যয়ে সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি। তাদের বাৎসরিক গবেষণায় ব্যয় ৩৯.৯২ কোটি টাকা। যেখানে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি ব্যয় করেছে ৮.৬১ কোটি টাকা। এছাড়া আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ৪.১৮ কোটি, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ ২.৯৬ কোটি ও ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ১.৬৪ কোটি টাকা ব্যয় করেছে গবেষণা খাতে। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি গবেষণা ব্যয়ে এগিয়ে থাকলেও গবেষণাপত্র প্রকাশনায় তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে। আন্তর্জাতিক জার্নালে ১৭৩ টি গবেষণাপত্র প্রকাশ হলেও দেশীয় জার্নালে কোনও গবেষণাপত্র নেই ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির। গবেষণাপত্র প্রকাশে শীর্ষে রয়েছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। তাদের মোট গবেষণাপত্র ৩৩৬ টি। যার মধ্যে আন্তর্জাতিক জার্নালে রয়েছে ২৪২টি এবং দেশীয় জার্নালে রয়েছে ৯৪ট গবেষণাপত্র। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি। তাদের মোট গবেষণাপত্রের সংখ্যা ১৮৯টি, আন্তর্জাতিক জার্নালে গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে ১৫৯টি, দেশীয় জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে ৩০টি।

শিক্ষার্থী সংখ্যায় এগিয়ে রয়েছে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি। তাদের শিক্ষার্থী সংখ্যা ১৩ হাজার ৯৯০ জন। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, তাদের রয়েছে ১৩ হাজার ৬৭৯ জন শিক্ষার্থী। এছাড়া শিক্ষার্থী সংখ্যায় তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে যথাক্রমে রয়েছে সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটি (১১ হাজার ৪১০ জন), স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি (১০ হাজার ৭৮৭ জন) ও আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি- বাংলাদেশ (১০ হাজার ৫৭১ জন)।

অন্যদিকে লাইব্রেরিতে বইয়ের সংখ্যার দিক থেকে এগিয়ে আছে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ। ইউজিসির ২০১৪ সালের প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা যায় তাদের লাইব্রেরিতে রয়েছে ১ লাখ ২ হাজার ৭২৪ টি বই। দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে রয়েছে যথাক্রমে নর্দার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ও স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি।

শিক্ষার মান ও গবেষণার মান নিশ্চিত করার জন্য পিএইচডি প্রাপ্ত শিক্ষকের গুরুত্ব রয়েছে ইউনিভার্সিটিতে।  নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে পিএইচডি ডিগ্রিধারী শিক্ষকের সংখ্যা ৪৪৯ জন, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে রয়েছে ১৭৭ জন, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে রয়েছেন ১১৮ জন, সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটিতে ১১১ জন ও স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিতে রয়েছেন ৯৪ জন।  তবে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় শিক্ষার্থী-শিক্ষক অনুপাতে শীর্ষ পাঁচের মধ্যেও নেই নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ১০.৬৫-১ অনুপাত নিয়ে রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। শিক্ষার্থী-শিক্ষক অনুপাতে প্রথম স্থানে রয়েছে সেন্ট্রাল উইম্যান্স ইউনিভার্সিটি। তাদের মোট শিক্ষার্থী সংখ্যা ২২৪ জন, মোট শিক্ষক ২৮ জন। যার অনুপাত দাঁড়ায় ৬.০৫-১।

অন্যদিকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো পূর্ণকালীন শিক্ষকের হারে সেরা পাঁচের মধ্যে থাকতে পারেনি  চূড়ান্ত র‌্যাংকিংয়ের শীর্ষে থাকা বেশ কয়েকটি ইউনিভার্সিটি। শুধুমাত্র আহসানউল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি রয়েছে তৃতীয় স্থানে। তাদের মোট শিক্ষক সংখ্যা ৩৪৮ জন, যার মধ্যে খণ্ডকালীন রয়েছেন ১৫ জন। তাদের পূর্ণকালীন শিক্ষকের হার ৯৫.৮৭। যেখানে প্রথমস্থানে রয়েছে সিটি ইউনিভার্সিটি, তাদের শিক্ষক সংখ্যা ১০৮ জন; যার মধ্যে কোনও খণ্ডকালীন শিক্ষক নেই। তাই তাদের শতকরা হার ১০০%। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (৯৮.৮০%)।

পারসেপচুয়াল স্কোরে এগিয়ে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি:

ফ্যাকচুয়াল স্কোর করা হয়েছে কয়েকটি ক্যাটাগরির ওপর। যেমন­­– মোট শিক্ষার্থী সংখ্যা, লাইব্রেরিতে বইয়ের সংখ্যা, গবেষণায় ব্যয়, পিএইচডি ডিগ্রিধারীদেরসংখ্যা, ক্যাম্পাসের আয়তন, শিক্ষার্থী-শিক্ষক অনুপাত, পূর্ণকালীন শিক্ষকের হার, গবেষণাপত্রের সংখ্যা।

এসব ক্যাটাগরিতে দেখা যায় গবেষণায় ব্যয়ে সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি। তাদের বাৎসরিক গবেষণায় ব্যয় ৩৯.৯২ কোটি টাকা। যেখানে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি ব্যয় করেছে ৮.৬১ কোটি টাকা। এছাড়া আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ৪.১৮ কোটি, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ ২.৯৬ কোটি ও ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ১.৬৪ কোটি টাকা ব্যয় করেছে গবেষণা খাতে। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি গবেষণা ব্যয়ে এগিয়ে থাকলেও গবেষণাপত্র প্রকাশনায় তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে। আন্তর্জাতিক জার্নালে ১৭৩ টি গবেষণাপত্র প্রকাশ হলেও দেশীয় জার্নালে কোনও গবেষণাপত্র নেই ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির। গবেষণাপত্র প্রকাশে শীর্ষে রয়েছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। তাদের মোট গবেষণাপত্র ৩৩৬ টি। যার মধ্যে আন্তর্জাতিক জার্নালে রয়েছে ২৪২টি এবং দেশীয় জার্নালে রয়েছে ৯৪ট গবেষণাপত্র। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি। তাদের মোট গবেষণাপত্রের সংখ্যা ১৮৯টি, আন্তর্জাতিক জার্নালে গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে ১৫৯টি, দেশীয় জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে ৩০টি।

শিক্ষার্থী সংখ্যায় এগিয়ে রয়েছে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি। তাদের শিক্ষার্থী সংখ্যা ১৩ হাজার ৯৯০ জন। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, তাদের রয়েছে ১৩ হাজার ৬৭৯ জন শিক্ষার্থী। এছাড়া শিক্ষার্থী সংখ্যায় তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে যথাক্রমে রয়েছে সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটি (১১ হাজার ৪১০ জন), স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি (১০ হাজার ৭৮৭ জন) ও আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি- বাংলাদেশ (১০ হাজার ৫৭১ জন)।

অন্যদিকে লাইব্রেরিতে বইয়ের সংখ্যার দিক থেকে এগিয়ে আছে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ। ইউজিসির ২০১৪ সালের প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা যায় তাদের লাইব্রেরিতে রয়েছে ১ লাখ ২ হাজার ৭২৪ টি বই। দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে রয়েছে যথাক্রমে নর্দার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ও স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি।

শিক্ষার মান ও গবেষণার মান নিশ্চিত করার জন্য পিএইচডি প্রাপ্ত শিক্ষকের গুরুত্ব রয়েছে ইউনিভার্সিটিতে।  নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে পিএইচডি ডিগ্রিধারী শিক্ষকের সংখ্যা ৪৪৯ জন, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে রয়েছে ১৭৭ জন, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে রয়েছেন ১১৮ জন, সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটিতে ১১১ জন ও স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিতে রয়েছেন ৯৪ জন।  তবে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় শিক্ষার্থী-শিক্ষক অনুপাতে শীর্ষ পাঁচের মধ্যেও নেই নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ১০.৬৫-১ অনুপাত নিয়ে রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। শিক্ষার্থী-শিক্ষক অনুপাতে প্রথম স্থানে রয়েছে সেন্ট্রাল উইম্যান্স ইউনিভার্সিটি। তাদের মোট শিক্ষার্থী সংখ্যা ২২৪ জন, মোট শিক্ষক ২৮ জন। যার অনুপাত দাঁড়ায় ৬.০৫-১।

অন্যদিকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো পূর্ণকালীন শিক্ষকের হারে সেরা পাঁচের মধ্যে থাকতে পারেনি  চূড়ান্ত র‌্যাংকিংয়ের শীর্ষে থাকা বেশ কয়েকটি ইউনিভার্সিটি। শুধুমাত্র আহসানউল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি রয়েছে তৃতীয় স্থানে। তাদের মোট শিক্ষক সংখ্যা ৩৪৮ জন, যার মধ্যে খণ্ডকালীন রয়েছেন ১৫ জন। তাদের পূর্ণকালীন শিক্ষকের হার ৯৫.৮৭। যেখানে প্রথমস্থানে রয়েছে সিটি ইউনিভার্সিটি, তাদের শিক্ষক সংখ্যা ১০৮ জন; যার মধ্যে কোনও খণ্ডকালীন শিক্ষক নেই। তাই তাদের শতকরা হার ১০০%। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (৯৮.৮০%)।

পারসেপচুয়াল স্কোরে এগিয়ে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি:

পারসেপচুয়াল ডাটা দু’টি উৎস থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রথমত, অ্যাকাডেমিক এবং দ্বিতীয়ত চাকরিদাতা।

ক. অ্যাকাডেমিক: এই গ্রুপের মধ্যে আছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন, বিভাগীয় প্রধান, রেজিস্ট্রার ও সিনিয়র শিক্ষকরা। তাদের কাছ থেকে যেসব তথ্য নেওয়া হয়, সেগুলো হলো–শিক্ষা ও কাজের পরিবেশ, অবকাঠামো–শ্রেণিকক্ষ লাইব্রেরি, ল্যাব ও অন্যান্য সুবিধা, শিক্ষকদের দক্ষতা, শিক্ষার্থীদের মান, পাসকৃত শিক্ষার্থীদের মান।

অ্যাকাডেমিকসদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায় সবগুলো ক্যাটাগরিতেই শীর্ষে রয়েছে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি। শিক্ষা ও কাজের পরিবেশে ৮২.১ স্কোর পেয়ে তারা রয়েছে প্রথমে, যেখানে দ্বিতীয় স্থানে ৭৭.৮১ স্কোর নিয়ে আছে ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ। তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি (৭৭.২৬)।

তবে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি অবকাঠামো ক্যাটাগরিতে দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে ৮০.০৩ স্কোর নিয়ে। যেখানেও প্রথম স্থানে আছে নর্থ সাউথ, তাদের স্কোর ৮৫.৮৩। অন্যদিকে ব্র্যাক শিক্ষকের দক্ষতা ক্যাটাগরিতে রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। তাদের স্কোর ৮০.১৯। এই ক্যাটাগরিতেও শীর্ষে রয়েছে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি (৮৫.২৭), তৃতীয় অবস্থানে আছে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি।

শিক্ষার্থীদের মান, পাসকৃত শিক্ষার্থীদের মান এই দুই ক্যাগরিতেও নর্থ সাউথ যথাক্রমে ৭৮.৪০ এবং ৭৯.৭৩ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে। এ দুটি ক্যাটাগরিতেই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে আহসানউল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি।

অ্যাকাডেমিকদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য থেকে চূড়ান্তভাবে দেখা যায় নর্থ সাউথ মোট ৮২.৬৫ স্কোর নিয়ে রয়েছে শীর্ষে, দ্বিতীয় স্থানে ৭৮.৬৬ স্কোর নিয়ে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি, তাদের স্কোর ৭৭.৪৪।

খ. চাকরিদাতা: ইউনিভার্সিটি থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের চাকরি দেয় এমন প্রতিষ্ঠানগুলোর মানবসম্পদ বিভাগের ব্যবস্থাপকরা। তাদের কাছ থেকে নেওয়া হয়– চাকরিক্ষেত্রে পাসকৃতদের পারফরমেন্স, পাসকৃতদের উদ্যোগ নেওয়ার ক্ষমতা, যোগাযোগ ক্ষমতা, টিমওয়ার্ক ক্ষমতা, সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা।

এই ক্যাটাগরিতেও দেখা যায়, অধিকাংশ জায়গায় এগিয়ে রয়েছে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি। শুধু  টিমওয়ার্ক ও উদ্যোগ নেওয়ার ক্ষমতায় এগিয়ে রয়েছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়। তবে সমন্বিত স্কোরে এগিয়ে রয়েছে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি ইউনিভার্সিটি।

চাকরিক্ষেত্রে পাসকৃত শিক্ষার্থীদের পারফরমেন্সে ৭৭.২৩ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে নর্থ সাউথ, ৭৬.৪০ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে ব্র্যাক এবং তৃতীয় স্থানে ৭৩.৩৯ স্কোর নিয়ে আছে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি। তবে পাসকৃত শিক্ষার্থীদের উদ্যোগ নেওয়ার ক্ষমতা এবং টিমওয়ার্ক ক্যাটাগরিতে এগিয়ে আছে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি। সেখানে ব্র্যাকের স্কোর যথাক্রমে ৭৪.০৪ এবং ৭৩.৭৪। এসব ক্যাটাগরিতে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি। তাদের স্কোর যথাক্রমে ৭৩.৬০ এবং ৭৩.৬৪। একইভাবে উভয় ক্যাটাগরিতে ইস্ট ওয়েস্ট রয়েছে তৃতীয় স্থানে। তাদের স্কোর যথাক্রমে ৭০.০৩ এবং ৭১.১৭।  কিন্তু যোগাযোগ ক্ষমতা বা কমিউনিকেশন অ্যাবিলিটি এবং সমস্যা সমাধানের ক্ষমতায় শীর্ষে রয়েছে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি। এই দুটি ক্যাটাগরিতে তাদের স্কোর যথাক্রমে ৭৮.৯৩ এবং ৭৩.৫৮। যেখানে দুটি ক্যাটাগরিতেই ব্র্যাকের অবস্থান দ্বিতীয়। তাদের স্কোর যথাক্রমে ৭৭.৩৭ এবং ৭১.৯৮।

ইউনিভার্সিটি র‌্যাংকিং প্রজেক্ট পরিচালিত হয়েছে উদেষ্টা কমিটির তত্ত্বাবধানে। কমিটির সদস্যরা হলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, ওআরজি কোয়েস্টের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেকটর মনজুরুল হক, বাংলা ট্রিবিউনের সম্পাদক জুলফিকার রাসেল, প্রথম আলোর নিউজ এডিটর শরিফুজ্জামান পিন্টু, ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেটিক্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের সিইও সাঈদ আহমেদ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
৬ নারীকে ধর্ষণের ভিডিও ছড়ালেন ২২ বছরের ছাত্রলীগ নেতা!

নাম তাঁর আরিফ হোসেন হাওলাদার (২২)। তিনি শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, গোসলখানায় গোপন ক্যামেরা লাগিয়ে এক গৃহবধূর ভিডিও ধারণ করেন প্রথমে। পরে সেই ভিডিও দেখিয়ে তাঁকে ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ করেন। সেটাও গোপনে ভিডিও করেন। সেই ভিডিও এখন এলাকার মানুষের হাতে হাতে।

এভাবে ফাঁদে ফেলে ছয়জন নারীকে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে তা ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে আরিফ হোসেনের বিরুদ্ধে। গত ১৫ অক্টোবর থেকে ধর্ষণের ভিডিওগুলো গ্রামের মানুষের মোবাইল ফোনে ছড়িয়ে পড়ে।

জানতে চাইলে ভেদরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম সোহাগ বলেন, ‘আরিফ এমন চরিত্রহীন, ভয়ংকর মানুষ, এটা আমাদের জানা ছিল না। তিনি একাধিক নারীর সঙ্গে প্রতারণা করে ভিডিও ধারণ করার মাধ্যমে ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ওই এলাকায় যাই। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিই। আর আরিফ হোসেনকে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’

স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য, আরিফ স্থানীয় একটি কলেজের স্নাতক শ্রেণির ছাত্র। ২০১৫ সালের জুন মাসে তাঁকে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

লোকলজ্জার ভয়ে এসব নারী এ ব্যাপারে কোনো মামলা করেননি। তাঁদের মধ্যে একজন প্রবাসীর স্ত্রী। তাঁকে শ্বশুরবাড়ি থেকে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আরেক গৃহবধূ গ্রাম ছেড়ে চলে গেছেন। ঘটনার শিকার কলেজছাত্রীরা লোকলজ্জায় কলেজে যাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন।

ঘটনার শিকার এক গৃহবধূর বোন বলেন, আরিফ তাঁকে ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ করেছেন। ভিডিও প্রকাশের ভয় দেখিয়ে কয়েক দফায় অনেক টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। আতঙ্কে ও লোকলজ্জার ভয়ে এখনো মামলা করেননি।

এক কলেজছাত্রী বলেন, ‘আরিফ আমাকে শেষ করে দিয়েছে। এখন সমাজে কীভাবে মুখ দেখাব? মরে যাওয়া ছাড়া কোনো পথ নেই।’

উপজেলা ছাত্রলীগের পদ থেকে বহিষ্কারের পর আরিফ হোসেন এলাকা থেকে পালিয়ে যান। গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁদের বাড়ি গিয়ে তাঁকে পাওয়া যায়নি। তিনি কোথায় আছেন, তা–ও পরিবারের সদস্যরা বলতে পারছেন না। এ বিষয়ে তাঁর পরিবারের সদস্যরা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। মুঠোফোনে আরিফ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি পরিচয় পেয়ে লাইন কেটে দেন। এরপর ফোন বন্ধ করে রাখেন।

নারায়ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন তালুকদার বলেন, ‘কোনো সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ এ কাজ করতে পারেন না। আমি আরিফের বাবাকে নির্দেশ দিয়েছি তাঁকে হাজির করার জন্য। বিষয়টি স্থানীয় সাংসদ ও আওয়ামী লীগের নেতাদের জানানো হয়েছে। তাঁকে পাওয়া গেলে সামাজিকভাবে বিচার করা হবে।’

ভেদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মেহেদি হাসান বলেন, ‘বিষয়টি মৌখিকভাবে শুনেছি। এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ না পাওয়া গেলে কীভাবে ব্যবস্থা নেব?’

জানতে চাইলে শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘ভেদরগঞ্জের ছাত্রলীগ নেতা যে ঘটনাটি ঘটিয়েছেন, তা বড় ধরনের সাইবার অপরাধ। পুলিশ ওই ছেলেকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে। যেকোনো উপায়ে তাকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জন্মদিনে সেরা উপহার পেলেন মিম

জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী বিদ্যা সিনহা মিমের জন্মদিন আজ। জন্মদিন উপলক্ষে মা-বাবার কাছ থেকে একটি ‘হ্যারিয়ার’ গাড়ি উপহার পেয়েছেন তিনি। এটা তাঁর জন্মদিনের সেরা উপহার বলে জানান মিম।

ছোটবেলা থেকেই জন্মদিনের সেরা উপহারগুলো তিনি পেয়ে এসেছেন তাঁর মা-বাবার কাছ থেকে। মা-বাবা ও বোনের প্রতি তাঁর কৃতজ্ঞতাবোধ ও ভালোবাসা সীমাহীন। মিম বলেন, ‘গাড়িটি পেয়ে আমি উচ্ছ্বসিত। বিকেলে নতুন গাড়ি নিয়ে বেরোব।’

আজ সকালে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে লাইভ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন মিম। এ ছাড়া গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে মা-বাবা, বোন ও আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে ঘরোয়া পরিবেশে কেক কাটেন তিনি। বিকেলে রয়েছে তাঁর জন্মদিনের বেশ কিছু অনুষ্ঠান।

হুমায়ূন আহমেদ পরিচালিত ‘আমার আছে জল’ ছবির মাধ্যমে বিদ্যা সিনহা মিমের চলচ্চিত্রে অভিষেক হয়। খালিদ মাহমুদ মিঠু পরিচালিত ‘জোনাকির আলো’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন এই অভিনেত্রী। মিমের অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলো হলো জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত ‘আমার প্রাণের প্রিয়া’, তন্ময় তানসেনের ‘পদ্মা পাতার জল’ ও ওয়াজেদ আলী সুমন পরিচালিত ‘সুইটহার্ট’ ইত্যাদি।

নাটক ও চলচ্চিত্রে অভিনয় করে মিম যেমন সুনাম কুড়িয়েছেন, তেমনি বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের মডেল হয়েও জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তিনি। ভবিষ্যতে অভিনয়ের পাশাপাশি মডেলিংও সমানতালে চালিয়ে যাবেন বলে মিম জানান। মুক্তির অপেক্ষায় আছে তাঁর আরো বেশ কিছু চলচ্চিত্র।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কলারোয়ায় ভিন্ন কৌশলে চলছে অবৈধ কোচিং বাণিজ্য!

কলারোয়া ডেস্ক : সাতক্ষীরার কলারোয়ায় সরকারি নীতিমালাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ভিন্ন কৌশলে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষকরা কোচিং বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। সকালে ও বিকালে ব্যাচ ভিত্তিক আবার কিছু শিক্ষক বাসায় যেয়ে নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়াচ্ছেন এমন অভিযোগ করেছেন উপজেলার একাধিক অভিভাবক। তাদের দাবি কোচিং বন্ধে সরকারের কঠোর অবস্থানের কারণে এসব শিক্ষকরাও কৌশল পরিবর্তন করে কোচিং বাণিজ্য অব্যাহত রেখেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে- সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের কোচিং পড়ানো বন্ধের কঠোর নির্দেশনা দেয়ার পর কোচিং বাণিজ্যরত শিক্ষকরাও কৌশল পরিবর্তন করেছেন। আর নতুন কৌশল হিসেবে তারা উপজেলার বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে নিরাপদে কোচিং বাণিজ্যে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। এর আগে শিক্ষকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন বিভিন্ন ঘরে প্রকাশ্যে সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে শিক্ষার্থীদের কোচিং বা প্রাইভেট পড়াতেন। বর্তমানে সরকারি প্রচারণারর কারণে এসব শিক্ষকরা এখন কলারোয়া পৌর সদরসহ উপজেলার ইউনিয়ন পর্যায়ে এ কৌশল অবলম্বন করে কোচিং ও প্রাইভেট পড়ানোর কাজ চালাচ্ছেন। অপরদিকে সাইনবোর্ড লাগানো ঘরগুলি বন্ধ থাকায় কোচিং বা প্রাইভেট পড়ানো হচ্ছে নাÑ এমন দাবি করে সাধরণ মানুষসহ সংশ্লি¬ষ্ট সরকারি কর্মকর্তাদের চোখ সহজে ফাঁকি দিতে পারছেন কোচিং বাণিজ্যে লিপ্ত থাকা এসব শিক্ষকরা।
উপজেলার একাধিক অবিভাবক ও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষক জানান- বর্তমানে কলারোয়া পৌর সদরের ঝিকরা, সরকারি কলেজের পাশে পুরাতান গোডাউন এলাকা, গদখালী, কলারোয়া ভুমি অফিসের পিছনে, হাসপাতাল রোড এলাকা, পুরাতন খাদ্য গুদাম সংলগ্ন, তুলশীডাঙ্গা এলাকার কয়েকটি স্থানসহ আবাসিক ও ঘনবসতি এলাকার মধ্যে বাসা ভাড়া নিয়ে অবাধে নিজ ও অন্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদেরকেও ব্যাচ ভিত্তিক কোচিং এ পড়াচ্ছেন এসব শিক্ষকরা।
এছাড়া উপজেলার দেয়াড়া, খোর্দ, সোনাবাড়িয়া, বামনখালী, সরসকাটি, চন্দনপুর, হিজলদীসহ কয়েকটি স্থানে শিক্ষকরা নিয়মিত কোচিং বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন।
তবে সোনাবাড়িয়া এলাকায় প্রকাশ্যে কোচিং বাণিজ্য চলছে বলে জানান শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা। তারা আরো বলেন- নতুন কৌশলে এসব কোচিং এ প্রতি ব্যাচে ২৫ থেকে ৩০ জন শিক্ষার্থীকে পড়ানো হচ্ছে। আর শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে ৬’শ টাকা থেকে ৮’শ টাকা পর্যন্ত নিচ্ছেন কোচিং এ পড়ানো শিক্ষকরা।
শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা আরো বলেন- সকাল ৬টা থেকে শুরু করে (স্কুল চলাকালীন সময় ব্যতীত) সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কোচিং কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া ইউনিয়ন পর্যায়ের শিক্ষকরা একই পদ্ধতি অবলম্বন করে প্রাইভেট পড়াচ্ছেন। এসব অবিভাবকদের দাবি শিক্ষকদের কোচিং-এ পড়ানোর বিষয়ে সরকারের কঠোর নীতিমালা থাকলেও উপজেলা পর্যায় থেকে সঠিক মনিটরিং না থাকায় ভিন্ন কৌশল পরিবর্তন করে এসব শিক্ষকরা প্রাইভেট পড়ানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। অবিলম্বে আইন অমান্যকারী এসব শিক্ষকদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ও বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানান তারা।
এ বিষয়ে উপজেলার দেয়াড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক (ইংরেজি) এমএ কাশেম বলেন- উপজেলায় গুটি কয়েক শিক্ষকের কোচিং বাণিজ্যের কারণে সকল শিক্ষকদের সাথে অবিভাবকদের সম্পর্কের অবনতি হচ্ছে। এ কারণে তিনি কোচিংরত শিক্ষকদের সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী মনিটরিং এর আওতায় নিয়ে আসার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট অনুরোধ জানান।
কলারোয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল হামিদ সাংবাদিকদের জানান- শিক্ষকরা এ নতুন কৌশলে কোচিং বা প্রাইভেট পড়াচ্ছেন এটি আমার জানা নেই। তিনি জানান- কোন শিক্ষক সরকারের নীতিমালা লঙ্ঘন করে কোচিং বাণিজ্য করলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তবে এ বিষয়ে দেখার কোন মনিটরিং টিম আছে কিনা, এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি কোন মন্তব্য না করে পরে কথা বলবেন বলে জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরার ‘কর বাহাদুর পরিবার’ কলারোয়ার রব্বানী পরিবার

কলারোয়া ডেস্ক : সাতক্ষীরা জেলার ‘কর বাহাদুর পরিবার’ হিসেবে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত হয়েছেন কলারোয়ার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক আলহাজ্ব গোলাম রব্বানী ও তাঁর পরিবার।
খুলনা সরকারি মহিলা কলেজ অডিটোরিয়ামে ৯ নভেম্বর বৃহষ্পতিবার খুলনা কর অঞ্চল আয়োজিত ‘সেরা করদাতা ও কর বাহাদুর পরিবার’ সম্মাননা অনুষ্ঠানে গোলাম রব্বানীকে এ পদকে ও সম্মাননায় ভূষিত করা হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ এমপি ‘কর বাহাদুর পরিবার’ হিসেবে ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেন গোলাম রব্বানীর হাতে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খুলনা কর অঞ্চলের কমিশনার ইকবাল হোসেন।
অনুষ্ঠানে খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় ৭৭ জনকে সেরা করদাতা আর বিভাগের ১০ জেলার ১০টি পরিবারকে দেয়া হয়েছে ‘কর বাহাদুর পরিবার’ খেতাব।
এবারই প্রথম অর্থমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ‘কর বাহাদুর পরিবার’ সম্মাননা দেয়া হয়।
আয়কর প্রদানে পরিবারের সদস্যদের ধারাবাহিক অবদানের জন্য অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতা ২০১৭ এর ঘোষনা অনুযায়ী কলারোয়ার বাসিন্দা মো.গোলাম রব্বানী ও তাঁর পরিবার ২০১৬-২০১৭ কর বছরে সাতক্ষীরা জেলার ‘কর বাহাদুর পরিবার’ হিসেবে স্বীকৃতি প্রাপ্ত হয়েছেন। তাঁকে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো.নজিবুর রহমান কর্তৃক ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
সম্মাননা পাওয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় আলহাজ্ব গোলাম রব্বানী বলেন- ‘দেশের উন্নয়নে শরিক হতে পেরে গর্ব বোধ করছি। করের আওতায় আসে এমন সকল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান নিয়মিত কর দিলে দেশ ও দেশের জনগণের উন্নতি অবধারিত।
নিজ ও দেশের ভাগ্যোন্নয়নে সকলকে শরিক হওয়ার আহবান জানান তিনি।
‘জনকল্যাণে রাজস্ব, উন্নয়নের অক্সিজেন রাজস্ব’ স্লোগানে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীন অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এই সম্মাননা দিচ্ছে দেশব্যাপী।
খুলনা বিভাগের কর বাহাদুর ১০টি পরিবার হচ্ছে খুলনার নিরালা আবাসিক এলাকার এমএ সালাম ও তার পরিবার, যশোরের কোতোয়ালির মো. সফিউর রহমান মলি¬কের পরিবার, চুয়াডাঙ্গার জীবননগরের মো. রকিবুল ইসলামের পরিবার, মাগুরার রজব আলী মজনুর পরিবার, সাতক্ষীরার কলারোয়ার গোলাম রব্বানীর পরিবার, নড়াইলের রতনগঞ্জের ওয়াহিদুজ্জামানের পরিবার, কুষ্টিয়ার চৌড়হাসের মজিবর রহমানের পরিবার, ঝিনাইদহের হামদহ এলাকার ডা. দুলাল কুমার চক্রবর্তীর পরিবার, মেহেরপুরের আব্দুস সালামের পরিবার, বাগেরহাট আমলাপাড়ার অ্যাডভোকেট মীর শওকত আলী বাদশার পরিবার।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ফারুকীর মন্তব্য শুনে তসলিমা নাসরিন তাজ্জব !

টিভিতে একটা ডিবেটের অংশ দেখে হতবাক আমি। উপস্থাপক বললেন, আমি নাকি বলেছি, ‘ডুব’ ছবি বাংলাদেশের মাথা নিচু করেছে।

মিথ্যে বলেছেন। আমি বলেছি ‘ডুব’ দেখে আমি মাথা নিচু করে হল থেকে বেরিয়ে এসেছি। আমি তো বাংলাদেশ নই!

তাহলে কী করে ওঁরা বলেন, বাংলাদেশের মাথা নিচু হয়েছে? ফারুকী বলেছেন, উনি তো পারলেন না, আমি যেন বাংলাদেশের মাথা উঁচু করি। শ্লেষ ছিল তাঁর মন্তব্যে।  না, বাংলাদেশের মাথা উঁচু করার মতো যোগ্যতা আমার নেই।

ফারুকীর আরও একটি মন্তব্য শুনে আমি তাজ্জব, আমি লেখক মানুষ, সেকারণে আমি নাকি সিনেমা বুঝি না। ‘সা রে গা মা’ না জেনে গান সম্পর্কে তিনি যেমন বলতে পারেন, গান ভাল লেগেছে, অথবা লাগেনি, এর বেশি নয়। আমারও বলা উচিত ছিল ছবিটি ভালো লেগেছে, বা লাগেনি। বিশ্লেষণ করা, আমি যেহেতু সিনেমা বিশারদ নই, আমাকে মানায় না।

আসলে ভালো হতো, শ্লেষে সময় ব্যয় না করে যদি তিনি ধরিয়ে দিতেন বিশ্লেষণের ঠিক কোথায় কোথায় আমার ভুল ছিল।

সমালোচনা যখন শুভাকাঙ্ক্ষীর কাছ থেকে আসে, তাকে গ্রহণ করতে হয়। নিজের ভুলগুলো মানতে হয় আগামীতে যেন শুধরে নেওয়া যায়। অহংকার মানুষকে এক জায়গায় থামিয়ে রাখে। ঋতুপর্ণ ঘোষ অত বড় চিত্র-পরিচালক হয়েও বলতেন, তিনি সিনেমার ছাত্র। শিখছেন সিনেমা। বিনয় মানুষকে বড় করে।

ফারুকীর আচরণ এমন, তুমি যদি আমার ছবিকে ভালো বলো, তুমি ছবি বোঝো। আর যদি ভালো না বলো, তুমি ছবি বোঝো না। ‘পথের পাঁচালী’ দেখে লোকে খারাপ বলেছে, ‘ডুব’ দেখেও খারাপ বলেছে, সুতরাং ‘পথের পাঁচালী’ আর ‘ডুব’কে এক কাতারে দাঁড় করানোর চেষ্টা চলছে। ‘বুদ্ধি-সুদ্ধি আছে এমন মানুষ কী করে এই চেষ্টা’- জেনে বুঝে করে আমি বুঝি না।

(তসলিমা নাসরিনের ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest