সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরার চারটি আসনই ধানের শীষে ভোট দিয়ে বিজয়ী করতে হবে – হাবিবুল ইসলামসাতক্ষীরা সদরের দত্তবাগ টাইগার ক্লাবের নাইট ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের উদ্বোধনজাতীয় সংহতি দিবস,এই দিনে বিভাজন নয়, ঐক্যের আহবান -কাজী আলাউদ্দিনসাতক্ষীরা-৩ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী কাজী আলাউদ্দিনকে বিজয়ী করতে গণমিছিলতরুণদের উদ্ভাবনী উদ্যোগকে উৎসাহিত সাতক্ষীরায় অনুষ্ঠিত হলো গ্রীন ইনোভেশন ফেয়ারExplorez les avis des utilisateurs sur gtbet et rejoignez la communautéΕξερευνήστε τις καλύτερες στρατηγικές καζίνο στο gtbet για μεγαλύτερα κέρδηCome registrarsi su Nixbet e iniziare a vincere in pochi passiদেবহাটায় কিশোর-কিশোরী ও যুবকদের সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে খেলাধুলার আয়োজনগণমানুষের স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান নলতা হাসপাতাল হুমকির মুখে :রক্ষার দাবি

অশ্লীল ছবি প্রদর্শনের অভিযোগে সিনেমা হল সিলগালা

অশ্লীল চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর অভিযোগে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ার চর উপজেলার কুলিয়ার চর বাজারের আনন্দ সিনেমা হল সিলগালা করে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে হল মালিক সাহীন আলমকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে ওই হল সিলগালা করে দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন কুলিয়ার চর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ম্যাজিস্ট্রেট উর্মি বিনতে ছালাম। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে সহায়তা করে ভৈরব র‌্যাব ও কুলিয়ার চর থানা পুলিশ।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ড. উর্মি বিনতে ছালাম বলেন, অভিযোগ ছিল আনন্দ সিনেমা হল দীর্ঘদিন ধরে অশ্লীল ভিডিও প্রদর্শন করে যুবসমাজকে নষ্ট করছে। আজ ঘটনার প্রমাণ পেয়ে জরিমানা করার পর হলটি সিলগালা করে দেয়া হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আপেলের চেয়ে ১২০ গুণ বেশি উপকারি আমলকি!

আমলকি এক প্রকার ভেষজ ফল। সংস্কৃত ভাষায় এর নাম – আমালিকা। এর স্বাদ প্রথমে কষাটে লাগলেও খাওয়া শেষে মুখে মিষ্টি ভাব আসে। আমলকির অনেক ভেষজ গুণ রয়েছে। আমলকিতে প্রচুর ভিটামিন সি থাকে।

পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে, আমলকিতে পেয়ারা ও কাগজি লেবুর চেয়ে ৩ গুণ ও ১০ গুণ বেশি ভিটামিন সি রয়েছে। আমলকিতে কমলার চেয়ে ১৫ থেকে ২০ গুণ বেশি, আপেলের চেয়ে ১২০ গুণ বেশি, আমের চেয়ে ২৪ গুণ এবং কলার চেয়ে ৬০ গুণ বেশি ভিটামিন সি রয়েছে। তাহলে চলুন জেনে নিই আমলকি খাওয়ার কিছু উপকারিতা সম্পর্কে-

১. প্রথমত আমলকিতে আপেলের তুলনায় ১২০ গুণ বেশি ভিটামিন সি রয়েছে। আর তাই ভিটামিন সি’র ঘাটতি পূরণে এটি ১২০গুণ বেশি কার্যকর।

২. আমলকী চুলের টনিক হিসেবে কাজ করে এবং চুলের পরিচর্যার ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি কেবল চুলের গোড়া মজবুত করে তা নয়, এটি চুলের বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে।
এটি চুলের খুসকির সমস্যা দূর করে ও পাকা চুল প্রতিরোধ করে।

৩. আমলকীর রস কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাইলসের সমস্যা দূর করতে পারে। এছাড়াও এটি পেটের গোলযোগ ও বদহজম রুখতে সাহায্য করে।

৪. এক গ্লাস দুধ বা পানির মধ্যে আমলকী গুঁড়ো ও সামান্য চিনি মিশিয়ে দিনে দু’বার খেতে পারেন। এ্যাসিডেটের সমস্যা কম রাখতে সাহায্য করবে।

৫. আধা চূর্ণ শুষ্ক ফল এক গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে খেলে হজম সমস্যা কেটে যাবে। খাবারের সঙ্গে আমলকীর আচার হজমে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে আমলকীর রসের সঙ্গে মধু মিশে খাওয়া যেতে পারে। এতে ত্বকের কালো দাগ দূর হবে ও ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে।

৬. আমলকীর রস দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এছড়াও চোখের বিভিন্ন সমস্যা যেমন চোখের প্রদাহ। চোখ চুলকানি বা পানি পড়ার সমস্যা থেকে রেহাই দেয়। আমলকী চোখ ভাল রাখার জন্য উপকারী। এতে রয়েছে ফাইটো-কেমিক্যাল যা চোখের সঙ্গে জড়িও ডিজেনারেশন প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

৭. এছাড়াও প্রতিদিন আমলকির রস খেলে নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ দূর হয় এবং দাঁত শক্ত থাকে। আমলকীর টক ও তেতো মুখে রুচি ও স্বাদ বাড়ায়। রুচি বৃদ্ধি ও খিদে বাড়ানোর জন্য আমলকী গুঁড়োর সঙ্গে সামান্য মধু ও মাখন মিশিয়ে খাওয়ার আগে খেতে পারেন।

৮. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং মানসিক চাপ কমায়। কফ, বমি, অনিদ্রা, ব্যথা-বেদনায় আমলকী অনেক উপকারী। ব্রঙ্কাইটিস ও এ্যাজমার জন্য আমলকীর জুস উপকারী। শরীর ঠাণ্ডা রাখে, শরীরের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে, পেশী মজবুত করে।

৯. এটি হৃদযন্ত্র, ফুসফুসকে শক্তিশালী করে ও মস্তিষ্কের শক্তিবর্ধন করে। আমলকীর আচার বা মোরব্বা মস্তিষ্ক ও হৃদযন্ত্রের দুর্বলতা দূর করে। শরীরের অপ্রয়োজনীয় ফ্যাট ঝরাতে সাহায্য করে। লোহিত রক্তকণিকার সংখ্যা বাড়িয়ে তুলে দাঁত ও নখ ভাল রাখে।

১০. এর এ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ফ্রি র‌্যাডিকালস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। বুড়িয়ে যাওয়া ও সেল ডিজেনারেশনের অন্যতম কারণ এই ফ্রি র‌্যাডিকালস। সর্দি-কাশি, পেটের পীড়া ও রক্তশূন্যতা দূরীকরণে বেশ ভালো কাজ করে। ব্লাড সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রেখে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। কোলেস্টেরল লেভেলেও কম রাখাতে যথেষ্ট সাহায্য করে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তারেক মাসুদের পরিবারকে সাড়ে ৪ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ

সড়ক দুর্ঘটনায় চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদের মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারকে ৪ কোটি ৬১ লাখ ৪৫২ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী তিন মাসের মধ্যে বাস মালিক, চালক ও সংশ্লিষ্ট ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিকে এই টাকা পরিশোধ করতে বলা হয়েছে।

রবিবার বিচারপতি জিনাত আরা ও বিচারপতি কাজী ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এই রায় দেন।

এসময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার ড. কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার সারা হোসেন ও তারেক মাসুদের স্ত্রী ক্যাথরিন মাসুদ।

রায়ের পর চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদের স্ত্রী ক্যাথরিন মাসুদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই রায়ে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপিত হলো। এরপর কেউ সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হলে তারাও ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারবেন। কিন্তু এই রায় ঝুলিয়ে না রেখে দ্রুত বাস্তবায়ন করলেই বেশি সন্তুষ্ট হবো। আমার সাত বছরের ছেলে তার বাবার স্নেহ থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এই রায়ে তারও কিছু স্বস্তি আসবে।’

উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ১৩ অগাস্ট মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার জোকা এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে দুর্ঘটনায় মারা যান চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদ এবং এটিএন নিউজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মিশুক মুনীর। তারেক ও মিশুককে বহনকারী মাইক্রোবাসটির সঙ্গে চুয়াডাঙ্গাগামী একটিবাসের সংঘর্ষ হয়। তাতে তারেক-মিশুকসহ মাইক্রোবাসের পাঁচ আরোহী নিহত হন। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করে। এছাড়াও ঘটনার প্রায় দেড় বছর পর ২০১৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি নিহতদের পরিবারের সদস্যরা মানিকগঞ্জে মোটরযান অর্ডিন্যান্সের ১২৮ ধারায় বাসমালিক, চালক ও ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ চেয়ে দুটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ড্রাইভার জমির হোসেন, বাস মালিক কাসেদ মিয়া, মুজিবুল হক, মো. তুহিন, রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিকে বিবাদী করা হয়। তারা সবাই জামিনে রয়েছেন।

মামলায় তারেক মাসুদের স্ত্রী ক্যাথরিন মাসুদ প্রথমে সাত কোটি ৭৬ লাখ ২৫ হাজার ৪৫২ টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। পরে ক্ষতিপূরণের দাবি বাড়িয়ে প্রায় ১০ কোটি টাকা করা হয়। পরে সংবিধানের ১১০ অনুচ্ছেদ অনুসারে মামলা দুটি জনস্বার্থে হাইকোর্টে বদলির নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করেন বাদীরা। মামলায় ৫ জনকে বিবাদী করা হয়। এর প্রেক্ষিতে ২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর সংবিধানের ১১০ অনুচ্ছেদের আলোকে মামলাটি হাইকোর্টে বদলির জন্য বাদীদের আবেদন মঞ্জুর করা হয়। ২০১৬ সালের ১৩ মার্চ হাইকোর্টে ক্যাথরিন মাসুদের দায়ের করা ক্ষতিপূরণ মামলার শুনানি শুরু হয়।

আদালতে ক্যাথরিন মাসুদের পক্ষে সাতজন, বাস মালিক সমিতির পক্ষে পাঁচজন ও রিলায়েন্স ইনস্যুরেন্স কোম্পানির পক্ষে একজন সাক্ষী দেন।

এ মামলায় তারেক মাসুদের স্ত্রী ক্যাথরিন মাসুদের পক্ষে শুনানি করেন ড. কামাল হোসেন। অন্যদিকে চুয়াডাঙ্গা বাস মালিকদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আব্দুস সুবহান তরফদার। এছাড়াও রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার ইমরান এ সিদ্দিকী ও ব্যারিস্টার ইহসান এ সিদ্দিকী। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ইসরাত জাহান।

মামলায় উভয়পক্ষের শুনানি শেষে গত ২৯ নভেম্বর রায়ের দিন নির্ধারণ করা হয়। সেই প্রেক্ষিতে গত ২৯ ও ৩০ নভেম্বর রায় পড়া শুরু হয়ে আজ তা শেষ হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আমাদের অটিস্টিক শিশুরা দেশের জন্য সুনাম নিয়ে আসছে -জেলা প্রশাসক

মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : বিশ^ প্রতিবন্ধী দিবস-২০১৭ উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি প্রতিবন্ধী স্কুলের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার সকালে বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি প্রতিবন্ধী স্কুল প্রাঙ্গণে বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি প্রতিবন্ধী স্কুল পরিচালনা পরিষদের সভাপতি বিশিষ্ট সমাজসেবক ডা. আবুল কালাম বাবলা’র সভাপতিত্বে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন। এসময় তিনি বলেন, ‘আমাদের অটিস্টিক শিশু বা প্রতিবন্ধীরা দেশের জন্য সুনাম নিয়ে আসছে। গোল্ড বা রূপা নিয়ে আসছে। ক্রিকেটে ভালো করছে। তিনি আরো বলেন, তাই এসব বিষয়ে একটা ফান্ড তৈরী জরুরী, যাতে এটা আর বন্ধ না হয়। প্রতিবন্ধীদের জীবনও যাতে সুন্দর হয়, সেদিকে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে। সকলের সমন্বিত উদ্যোগ ও উপযোগী পরিবেশ অটিজম ব্যক্তিদেরকে সাবলম্বী হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়তা করবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কাজের প্রতি একাগ্রতা থাকে অনেক বেশি এবং কর্মক্ষেত্রে তাদের উপস্থিতিও অন্যদের তুলনায় সন্তোষজনক বলে মন্তব্য করে অটিজমসহ সকল ধরনের প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়োগের জন্য বেসরকারি সংস্থার প্রতি আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, অটিস্টিক বা প্রতিবন্ধীরা আর কষ্টে থাকবে না। তাদের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। প্রতিবন্ধী কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নিজের সন্তানের মতো ভালবাসা দিয়ে শিক্ষা দিতে হবে। প্রতিবন্ধীরা এখন সমাজের বোঝা নয়। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রতিবন্ধীদের সুবর্ণ নাগরিক পরিচয় পত্র দিয়েছেন।’ বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আহমেদ, পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নূর হোসেন সজল, জেলা সমাজসেবা অধিদফতরের উপ-পরিচালক দেবাশিষ সরদার, শহর সমাজসেবা অফিসার শেখ সহিদুর রহমান, সদর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো. রোকনুজ্জামান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি প্রতিবন্ধী স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ফারজানা নাহিদ নিগার, পৌর কাউন্সিলর কাজী ফিরোজ হাসান. পৌর কাউন্সিলর জ্যোৎন্সা আরা, সাতক্ষীরা নবারুণ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি শেখ আমিনুর রহমান উল্লাস, প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান অছলে, শ্রমিকলীগ নেতা শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু, বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি প্রতিবন্ধী স্কুলের সহকারী শিক্ষক হাবিবুল্লাহ হাবিব, আসাদুজ্জামান আসাদ, হামিদা খাতুন, ফারজানা সুলতানা, রাজমিতা মন্ডল, অফিস সহকারী মো. কামরুজ্জামান ও এম.এল.এস.এস ইশারাত আলী প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন পৌর কাউন্সিলর জ্যোৎন্সা আরা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় গনমানুষের নেতা কাজী সাঈদকে স্মরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক : অন্তহীন শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় আবারও সিক্ত হলেন গনমানুষের নেতা ও জেলা ন্যাপের সাধারন সম্পাদক কাজী সাঈদুর রহমান সাঈদ। বুক ভরা ভালাবাসার টান হৃদয় জোড়া মমতা আর শেকড়ের বাঁধনে আটকা পড়া প্রয়াত সেই মানুষটির নাম উচ্চারন করেই সবাই বলে উঠলেন তিনি ছিলেন দরদী মানুষ, যার ভাবনা ছিল দরিদ্র মানুষকে নিয়ে, যার চেতনা ছিল ঠিকানাবিহীন মানুষের ঠিকানা খুঁজে পাবার দিকে। বারবার তাই কাজী সাঈদ নিজেকে সমর্পন করেছেন আন্দোলন সংগ্রামে মিছিলে মিটিংয়ে সমাবেশে। আন্দোলনে দৃশ্যমান সফলতা দেখতে না পেয়ে কখনও কখনও নিজেকে স্বেচ্ছা কারাবরনের ঘোষনা দিয়ে প্রমান করেছেন তিনি মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য জীবনব্যপী সংগ্রাম ও ত্যাগে প্রস্তুত। আবার আন্দোলনে শাসকগোষ্ঠীর রোষানলে পড়ে কারাবরন করেছেন প্রখ্যাত ন্যাপ নেতা কাজী সাঈদ।
শনিবার সকালে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে নাগরিক শোকসভায় জেলা নাগরিক কমিটির আহবায়ক সাংবাদিক অধ্যক্ষ আনিসুর রহিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত নাগরিক শোক সভা সঞ্চালনা করেন কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব আলি নুর খান বাবুল। নাগরিক শোক সভায় বক্তব্য রাখেন, তালা কলারোয়া আসনের সংসদ সদস্য জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি এড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, সাতক্ষীরার পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি, জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি শেখ আজহার হোসেন, সাধারন সম্পাদক আশরাফুজ্জামান, সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক এড. সৈয়দ ইফতেখার আলি, জাসদ নেতা কাজী রিয়াজ, সদর উপজেলা ওয়ার্কার্স পার্টি সভাপতি এড. ফাহিমুল হক কিসলু, প্রেসক্লাব সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, দৈনিক প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিনিধি কল্যাণ ব্যানার্জি, এড. এবিএম সেলিম প্রমুখ।
তার শুভাংকাংখীদের উচ্চারিত ভাষায় এমন চিত্র ফুটে উঠেছিল। প্রেসক্লাব চত্বরে কালো ক্যানভাসে ঘেরা প্রয়াত নেতা কাজী সাঈদের প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করে তারা বলেন, তোমার অসমাপ্ত কাজে গতি ফিরিয়ে সম্পন্ন করার দায়িত্ব আমাদের সকলের। আমরা তোমার সেই পথ ধরেই এগিয়ে যেতে চাই। এর পরই প্রেসক্লাব মিলনায়তনে তারা সমবেত শ্রদ্ধায় অবনত হন। তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে তারা বলেন কাজী সাঈদ দুঃখী মানুষের জন্য যে সংগ্রাম করে গেছেন তা চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
নাগরিক শোকসভায় গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে তার বহুদিনের রাজনৈতিক সহকর্মী তালা কলারোয়া আসনের সংসদ সদস্য জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি এড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ বলেন কাজী সাঈদ তার জীবনকে দরিদ্র মানুষের সেবায় উৎসর্গ করে গেছেন। অকৃতদার হিসাবে নিজেকে পরিবার ও সংসারের কলেবর থেকে দুরে রেখে দুরের লোককে আপন করে নিয়েছেন। ভূমিহীনদের সুখ দুঃখে তাদের হাসি কান্নায় তিনি মিশে গিয়েছেন। নিজেকে নিয়ে নয়, তিনি ভেবেছেন তাদের ভবিষ্যতের কথা। তাদের অধিকার রক্ষা করাই ছিল তার রাজনৈতিক এজেন্ডা। এজন্য পথে ঘাটে মাঠে তিনি সংগঠিত করেছেন প্রতিবাদী মানুষদের। নিপীড়ন থেকে তাদের মুক্তির পথ দেখিয়েছেন তিনি। সংগঠিত করেছেন দরিদ্র নারীদের। তাদের চোখেমুখে দেখিয়েছেন আলোর ঝিলিক। কাজী সাঈদ ভূমিদস্যুদের কাছ থেকে কেড়ে নিয়ে খাসজমি ভূমিহীনদের হাতে তুলে দেওয়ার আন্দোলন করেছেন। বাস্তুহারা মানুষকে বাস্তুভিটা তৈরি করে দিতে তিনি ছিলেন সব সময় সোচ্চার। তিনি কথা বলেছেন অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে । আদালত অবমাননার জুজুকে তিনি ভয় পাননি। বরং ন্যায় বিচার আদায়ে কাজ করেছেন। এভাবেই তিনি হয়ে ওঠেন গনমানুষের নেতা।
সাতক্ষীরা পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি বলেন, কাজী সাঈদ একজন জীবন ব্যাপী সংগ্রামী নেতা। তিনি দরিদ্র মানুষের ভাষা বুঝতেন। তাদের পাসে দাড়িয়ে সহায়াতা করতেন। অধিকার আদায়ের যে কোন আন্দোলন সংগ্রামের নামই কাজী সাঈদ। তিনি সবসময় এই আন্দোলনে ব্যাপৃত থেকেছেন।
জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি শেখ আজহার হোসেন বলেন তিনি ছিলেন নিরহংকার মানুষ। তার পোশাকে আশাকে ছিল জীর্নতার ছাপ। তবু তিনি আন্দোলন সংগ্রামকে প্রতিবাদের ভাষা হিসাবে গ্রহন করেছেন। জেল জুলুমের পরোয়া না করেই তিনি রাজপথে মিছিল নিয়ে গেছেন। পথসভা করে তিনি মানুষকে জাগরিত করেছেন। তাদেরকে সচেতন করে আন্দোলনে শরিক করিয়েছেন। তিনি অধিকার বঞ্চিত মানুষকে সঠিক দিশা দিয়েছেন।
সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও সাবেক পিপি এড. সৈয়দ ইফতেখার আলি বলেন কাজী সাঈদ ছিলেন নিরহংকার মানুষ। তার চোখেমুখে ফুটে উঠতো বিদ্রোহের ভাষা । কন্ঠে উচ্চারিত হতো হুংকার। একজন অকৃতদার মানুষ হিসাবে তিনি নিজের পথ খোঁজেন নি, তিনি পথ দেখিয়েছেন ভুখানাঙ্গা মানুষদের। তাদের মুখে হাসি ফোটানো, তাদের ভূমি অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া এসব বিষয় নিয়ে ভেবেছেন কাজী সাঈদ। দারিদ্য্রজয়ী এই মানুষটি কথনও নিজের সম্পদ বৃদ্ধির চিন্তা করেন নি।
দৈনিক প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিনিধি কল্যাণ ব্যানার্জি বলেন, মন মানসিকতায় কাজী সাঈদ ছিলেন বীরত্বের অধিকারী। তিনি ছিলেন সাহসী ও নির্ভয় মানুষ। কোনো প্রলোভন তাকে স্পর্শ করতে পারেনি।
নাগরিক শোক সভার শুরুতে কাজী সাঈদ এর প্রতিকৃতিতে ফুলদিয়ে শ্রদ্ধা জানান সাতক্ষীরার বিভিন্ন রাজনৈতিক, পেশাজীবী ও সামাজিক সংগঠন এবং ১মিনিট দাড়িয়ে নিরাবতা পালন করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
একটি দেশকে উন্নত করতে হলে সকলকে সাথে নিয়েই করতে হবে- জেলা প্রশাসক এ. কে.এম মহিউদ্দিন

মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : “ সবার জন্য টেকসই ও সমৃদ্ধ সমাজ’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ২৬তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস- ও ১৯তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস ২০১৭ উদযাপন উপলক্ষ্যে র‌্যালি, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার সকালে জেলা প্রশাসন ও সমাজসেবা অধিদফতরের যৌথ উদ্যোগে সাতক্ষীরা জেলা অফিসার্স ক্লাবের সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে আলোচনাসভা স্থলে গিয়ে মিলিত হয়। পরে জেলা সমাজসেবা অধিদফতরের উপ-পরিচালক দেবাশিষ সরদারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বকতব্য রাখেন জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন। বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘ প্রতিবন্ধীরা এখন আর সমাজের বোঝা নয়। একটি দেশকে উন্নত করতে হলে সকলকে সাথে নিয়েই করতে হবে। সকলের সমন্বিত উদ্যোগ ও উপযোগী পরিবেশ অটিজম ব্যক্তিদেরকে সাবলম্বী হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়তা করবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।’
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বাবু, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নূর হোসেন সজল, জেলা সমাজসেবা অধিদফতরের সহকারি পরিচালক হারুন অর-রশিদ, সদর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো. রোকনুজ্জামান প্রমুখ। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সুইড খাতিমুননেসা হানিফ লষ্কর প্রতিবন্ধী স্কুলের প্রধান শিক্ষক এম রফিকুল ইসলাম, প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র সাতক্ষীরার ডা. এস.এম হাবিবুর রহমান, প্রতিবন্ধী পুনর্বাসন কল্যাণ সমিতির সভাপতি আবুল কালাম, সিডো’র নির্বাহী পরিচালক শ্যামল কুমার বিশ^াস, এস.এম মেহেদী হাসান, আলোচনা সভা শেষে প্রতিবন্ধীদের সমন্বয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। এসময় জেলা সহকারি শিক্ষা অফিসার অলোক কুমার তরফদার, সমাজসেবা অফিসার মিজানুর রহমানসহ প্রতিবন্ধী ও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন শহর সমাজসেবা অফিসার শেখ সহিদুর রহমান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটায় ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠান

কেএম রেজাউল করিম, দেবহাটা ব্যুরো : দেবহাটায় ন্যাশনাল সার্ভিস প্রকল্পের প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার উপজেলা প্রশাসন ও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তররর আয়োজনে সকাল ১০টায় খানবাহাদুর আহছান উল্লা কলেজে ৩মাস মেয়াদী ৭ম পর্বে প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ আল আসাদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলহাজ্ব আব্দুল গনি। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুব আলম খোকন, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক জহুরুল আলম। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সখিপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ফারুক হোসেন রতন, পারুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সসম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, কৃষি কর্মকর্তা জসিমউদ্দীন, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল হাই, সমবায় কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আব্দুস সামাদ, কেবিএ কলেজের অধ্যাক্ষ রিয়াজুল ইসলাম, দেবহাটা রিপোর্টাস ক্লাবের সভাপতি মীর খায়রুল আলমসহ সকল প্রশিক্ষণার্থী। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তরা বলেন, বাংলাদেশকে ডিজিটাল করতে জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের প্রতিটি এলাকায় ন্যাশনাল সার্ভিসের মত মহত কর্র্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহন করে দেশের শিক্ষিত বেকার যুবক ও যুবমহিলাদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। সাথে সাথে সরকারের অঙ্গিকার প্রতিটি ঘরে ঘরে চাকুরী নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছে। আর এই যুবক ও যুবতীরা দেশের উন্নয়নে কাজ করবে। তারই ধারাবাহিকতায় দেবহাটা উপজেলার ১৫৩১জন কে এই কর্মসূচির আনা হয়েছে। উদ্বোধনীয় কর্মশালায় আরো বলা হয়, প্রথম তিন মাস ২ টি ব্যাচে এক হাজার জন প্রশিক্ষণ গ্রহন করবে এবং পরবর্তীতে অবশিষ্টরা প্রশিক্ষণ পাবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আ.লীগ-বিএনপি সংষর্ঘে গুলিবিদ্ধ ২

আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে দুই ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। নাটোরে শহরের হাফরাস্তা এলাকায় এ সংঘর্ষ বাধে। আহতরা হলেন- সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম রুবেল এবং পথচারী সোহেল রানা। রবিবার (৩ ডিসেম্বর) সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘আহত দু’জনকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ‘রবিবার সকাল ৯টার দিকে স্থানীয় বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সকালে জেলা বিএনপি সভাপতি রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন ছবি দলীয় কর্মীদের নিয়ে হাফরাস্তা এলাকার দলীয় কার্যালয়ে অবস্থান করছিলেন। এসময় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ কর্মীরা মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা নিয়ে এ রাস্তা অতিক্রম করার সময় উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। উত্তেজনার একপর্যায়ে গোলাগুলি শুরু হয়। এসময় রুবেল ও সোহেল রানা নামে দুই জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।’

জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মুর্তোজা আলী বাবলু বলেন, ‘বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশের বিপরীতে আওয়ামী লীগের প্রতিরোধ মিছিল ছিল আজ। এ উপলক্ষে জেলা যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় বিএনপি অফিসের সামনে হামলার শিকার হন।’ বিএনপি নেতাকর্মীরা এ হামলা চালিয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।

এ ব্যাপারে জেলা বিএনপি’রপ্রচার সম্পাদক দেওয়ান শাহীন বলেন, ‘সিংড়া উপজেলা বিএনপির নব নির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেওয়ার জন্য যাচ্ছিলেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি সাবিনা ইয়াসমিন ছবি। ওই অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য দলীয় কার্যালয়ে অপেক্ষা করছিলেন তিনি। এসময় যুবলীগ ও ছাত্রলীগ কর্মীরা হামলা চালায়।’

সদর থানার ওসি মশিউর রহমান জানান, এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যাতে আর কোনও সংঘর্ষ না হয় তা নিশ্চিত করতে টহল শুরু করেছে পুলিশ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest