সর্বশেষ সংবাদ-
প্রথম আলো বন্ধুসভার ইফতার মাহফিলতালার আলোচিত দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় সমিতির সভাপতি প্রশান্ত ঘোষ আবারো ভোক্তা অধিদপ্তরের জালেসাতক্ষীরায় ১৯৯ বস্তা অবৈধ ভারতীয় চিনি জব্দ : ২০ হাজার টাকা জরিমানাসরকারি রাস্তার গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পেশকারের বিরুদ্ধেদেবহাটায় পানিতে ঝাঁপ দিতে গিয়ে শিশুর মৃত্যুসাতক্ষীরা জেলা ক্রীড়া ধারাভাষ্যকর ফোরামের পক্ষ থেকে প্রান্তিকে সম্মাননাথানাঘাটায় ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী বদরুজ্জামান বদুর গণসংযোগসদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বদু’র গণসংযোগশ্যামনগরে কথিত সীমানা পিলারসহ পিলার চক্রের ৫ সদস্য আটকসাতক্ষীরায় স্বপ্ন সার্থক মানবিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে হুইল চেয়ার, ইফতার ও কোরআন বিতরণ

কলারোয়া হোমিওপ্যাথিক কলেজে ফুল বাগান উদ্বোধন

কলারোয়া ডেস্ক : কলারোয়া হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল চত্বরে ফুল বাগানে ফুলের চারা রোপন কার্যক্রমের উদ্বোধন করলেন নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মনিরা পারভীন।
মঙ্গলবার সকালে দুই শতাধিক চারা রোপন করে ফুলের শোভায় বিমোহিত করে তোলার প্রয়াস করা হয়ে কলেজ চত্বরের ফুল বাগানকে। এর আগে কলারোয়ার ইউএনও ও হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মনিরা পারভীন কলেজ চত্বরে পৌছুলে তাকে স্বাগত জানান শিক্ষক-কর্মচারীরা। তিনি সেখানে নিজ হাতে কয়েকটি ফুলের চারা রোপণ করেন। পরে কলেজের লাইব্রেরিতে বই প্রদান করেন তিনি।
এসময় সেখানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক এমএ ফারুক, প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ ডা.এমএ বারিক, প্রভাষক ডা. হাবিবুর রহমান, ডা.ফাতেমা খাতুন, ডা. আফিফা খাতুন, ডা.আ.ফারুক, ডা.মাহবুবুর রহমান, ডা.আবু জাফর সাদিক, ডা.শরিফুল ইসলাম, ডা.রাজিয়া সুলতানা, ডা.অমিত কুমার পাল, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ফারুক হোসেন, প্রধান সহকারী তৌহিদুর রহমান প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কলারোয়ায় পৃথক অভিযানে ৩ ব্যক্তি আটক, ফেনসিডিল উদ্ধার

কলারোয়া ডেস্ক : কলারোয়ায় পৃথক অভিযানে ৩ ব্যক্তিকে পুলিশ ও বিজিবি আটক করেছে। উদ্ধার করা হয়েছে ৪৮ বোতল ফেনসিডিল।
সাতক্ষীরা সদরের বিশেষ ফাঁড়ির বিজিবি ক্যাম্পের হাবিলদার কামাল হোসেন জানান, মঙ্গলবার সকালে ঝাউডাঙ্গা বাজারের পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনের রাস্তা থেকে একটি ব্যাটারী চালিত ভ্যানে তল্লাসী চালিয়ে ৪৮ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। এসময় ওই ফেনসিডিল বহনের অভিযোগে কলারোয়া উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের মৃত ফটিক গাজীর ছেলে আলিমুদ্দিন (২৬)কে আটক করা হয়। আটক আলিমুদ্দিনের বরাত দিয়ে বিজিবি জানায়- আলিমুদ্দিন ওই ফেনসিডিল ঢাকার উত্তরায় নিয়ে যাচ্ছিল।
এ ঘটনায় কলারোয়া থানায় মামলা হয়েছে। অপরদিকে ওয়ারেন্টভূক্ত দুই আসামিকে আটক করেছে কলারোয়া থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার সকালে থানা সূত্র জানায়, উপজেলার মাদরা গ্রামের জাকির হোসেনের ছেলে শাহিন ও পৌর সদরের তুলসীডাঙ্গা গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে মিজানুর রহমানকে আটক করে পুলিশ। তাদের নামে আদালতের ওয়ারেন্ট রয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কলারোয়ায় নবাগত ইউএনও’র বিভিন্ন প্রিতিষ্ঠান পরিদর্শন

কলারোয়া ডেস্ক : কলারোয়ায় বিভিন্ন শিক্ষা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান ও সরকারি অফিস পরিদর্শন করেছেন নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মনিরা পারভীন।
উপস্থিত ছিলেন মসজিদ ভিত্তিক গণশিক্ষা কার্যক্রমের মাসিক সভাতেও। মঙ্গলবার দিনভর তিনি এ সকল দাপ্তরিক কাজে নিয়োজিত থেকে ব্যস্ত সময় পার করেন। ইউএনও মনিরা পারভীন উপজেলার ২নং জালালাবাদ ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কার্যক্রম ও ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শন করেন কলারোয়া জি.কে.এম.কে পাইলট হাইস্কুলে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব। সেসময় তিনি স্কুলটির বিভিন্ন শ্রেণিকক্ষ ঘুরে দেখেন ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেন।
সকালে কলারোয়ায় হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজে ফুলের চারা রোপন করে ফুলের বাগান উদ্বোধন করেন ও অধ্যক্ষের নিকট লাইব্রেরী বই হস্থান্তর করা হয়।
উপজেলার ৫নং কেঁড়াগাছি ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামের ‘মমতাজ আহম্মেদ মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে ও শিশু পার্ক’ পরিদর্শন করেন। সেখানে তিনি এডিপির বরাদ্দকৃত ও প্রদানকৃত মেরিগোরাউন্ড ও প্যাডেল চালিত বোর্ড ঘুরে দেখেন। সেখানে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক এমএ ফারুক, ডা.এমএ বারিকসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ইউএনও মনিরা পারভীনের সভাপতিত্বে তাঁর অফিসে মসজিদ ভিত্তিক গণশিক্ষা কার্যক্রমের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবেলা ও ক্ষতিগ্রস্থদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে বরাদ্দকৃত ৩০ বান ঢেউটিন ও গৃহ নির্মাণ এর লক্ষ্যে প্রকৃত দুঃস্থ ব্যক্তিদের তালিকা সরেজমিনে যাচাই করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা পারভীন। সেসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার (পিআইও) সুলতানা জাহানসহ অন্যরা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ভোমরায় নেতাকর্মীদের জীবননাশের হুমকির প্রতিবাদে সড়ক পরিবহন শ্রমিকলীগের সভা

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : সড়ক পরিবহন শ্রমিকলীগের নেতাকর্মীদের জীবন নাশের হুমকি প্রদানের প্রতিবাদে এক প্রতিবাদসভা সড়ক পরিবহন শ্রমিকলীগ ভোমরাস্থল বন্দর শাখার নিজস্ব কার্যালয়ের সম্মুখে অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের সভাপতি ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভা পরিচালনা করেন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ গাজী। প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ বলেন, গত কয়েকদিন যাবত ভোমরা বন্দরের শামিম হোসেন, লহ্মীদাড়ী গ্রামের মনিরুল, আবুল কালাম ও আলীপুর গ্রামের হাবিবুল্লাহ জননেত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সম্পর্কে কুটুক্তি করিলে শ্রমিকলীগের নেতাকর্মীরা এর প্রতিবাদ করে। উল্টো ওই ৪জন শ্রমিকলীগের নেতাকর্মীদের জীবন নাশের হুমকি দেয়। তিনি ওই সমস্ত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে সংগঠনের নেতাকর্মীদের মোকাবেলা করার আহ্বান জানান। প্রতিবাদ সভায় আরো বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ-সভাপতি কামরুজ্জামান, মুক্তিযোদ্ধা জুলমত আলী গাজী, আমির হামজা, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, সাংগঠনিক সম্পাদক শামসুর রহমান, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হাফেজ বেলাল হোসেন, কোষাধ্যক্ষ মোঃ আমানুল্লাহ প্রমুখ। প্রতিবাদ সভা শেষে এক বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনিতে প্রকল্প অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত

আশাশুনি ব্যুরো: আশাশুনিতে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এর ইনটেগ্রেটেড হেলথ এন্ড লাইভলীহুড ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম ফর পোভার্টি রিডাকশন (ইনহেল্ডার) প্রকল্প অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় আশাশুনি এতিম ছেলেমেয়েদের জন্য কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ আশাশুনি এডিপির আয়োজনে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে প্রকল্পের উদ্বোধন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিম। আশাশুনি এডিপি ম্যানেজার প্রকাশ চাম্বুগং এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুষমা সুলতানা, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আঃ হান্নান, ওয়ার্ল্ড ভিশন সাউদার্ন বাংলাদেশ রিজিওন এর রিজিওনাল ফিল্ড ডাইরেক্টর বুলি হাগিদক। লাভলী লাকী বিশ্বাসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে প্রকল্পের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি তুলে ধরেন প্রজেক্টের প্রোগ্রাম অফিসার রফিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মোস্তাফিজুর রহমান, গীতা পাঠ করেন বৃষ্টি সরকার ও বাইবেল পাঠ করেন সুবাস মন্ডল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মগের মুল্লুক সাতক্ষীরা! কলারোয়া চন্দনপুরে গরিবের রক্তচোষা অবৈধ লটারি চলছেই

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা এখন মগের মুল্লুক! এখানে যখন তখন মেলার নামে যেখানে সেখানে চলে অবৈধ র‌্যাফেল ড্র ও লটারি! কেউ দেখেও দেখে না! সবাই বোবা-কালা-অন্ধ হয়ে থাকে! আর দরিদ্র মানুষের যেখানে চালের উচ্চমূল্যে নাভিঃশ্বাস উঠছে, তখন তাদের বড় একটি অংশ লটারির টিকেট কেটে দ্রুত বড়লোক হওয়ার নেশায় সর্বস্ব খুইয়ে সংসারের অশান্তি বাড়াচ্ছে। যেসমস্ত এলাকায় এসব লটারি চলে সেখানে দ্রুত চুরি, ছিনতাই বাড়তে থাকে। কিন্তু কেউই নেই এর লাগাম টেনে ধরার। জেলার বিভিন্ন স্থানে প্রায় সারাবছর ধরে প্রশাসনের নাকের ডগায় এসব লটারি ও জুয়ার আসর চলছেই। বর্তমানে কলারোয়ার চন্দনপুরের প্রত্যন্ত এলাকায় চলছে মানুষকে নিঃশ্ব করে পথে বসানোর জুয়া। দীর্ঘদিন ধরে নিরবে চালিয়ে যাচ্ছে “স্বপ্নের ঠিকানা” লাটারি নামক এই জুয়া। ওই লাটারির টিকিট কিনে ইতোমধ্যে নিঃশ্ব হয়েছেন অনেকে। কিন্তু কারো যেন নজর নেই এদিকে। যথারীতি আনন্দ মেলার ছদ্মাবরণে এসব চলছেই।
সম্প্রতি দেশের উত্তরবঙ্গে ভয়াবহ বন্যায় কবলিত হাজার হাজার মানুষ বিষন্নতায় দিন কাটাচ্ছেন, অন্যদিকে মিয়ানমারের রোহিঙ্গারা জীবনের ভয়ে পালিয়ে এসেছে বাংলাদেশে। এ দুটো নিয়ে সারা দেশের মানুষ চরম উৎকণ্ঠর মধ্যে দিনে কাটাচ্ছে। অথচ কতিপয় ব্যক্তি নিজেদের পকেট ভরার জন্য এ অবৈধ ব্যবসার ফাঁদ পেতে নিঃশ্ব করছে হাজারো মানুষকে।
মঙ্গলবার সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ঈদ আনন্দ মেলা নামে চন্দনপুর বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে একটি মেলার আয়োজন করেন কলারোয়া পৌর আ’লীগের সভাপতি আলিমুলসহ কয়েকজন ব্যক্তি। কিন্তু যে উদ্দেশ্যের কথা বলে মেলা বসানো হয়েছিল সে ধরনের কোন কার্যক্রম নেই এখানে। রয়েছে শুধুমাত্র লাটারি।
নড়াইলের কালিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মানিক শিকদারসহ ৩ জনের যৌথ পরিচালনায় সাতক্ষীরার বিভিন্ন এলাকায় এ লটারি নামক জুয়া অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।
প্রতিদিন প্রায় শতাধিক ইজিবাইক কলারোয়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়নসহ যশোরের শার্শা ও সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা, বাঁশদহা, আগরদাড়ী, কুশখালী, লাবসা ইউনিয়নে ছড়িয়ে পড়ে। বিক্রয়কর্মীরা ভাগ্যের দোহাই দিয়ে বিভিন্ন সুমধুর সুরে মানুষকে ভুল বুঝিয়ে টিকিট বিক্রয় করে। গ্রাম্য এলাকার সহজ, সরল মানুষগুলো সহজেই তাদের ফাদে পড়ে ভাগ্যে যাচাই নামক জুয়ার (লটারি) এর টিকিট ক্রয় করছেন। অনেকেই সারাদিন ভ্যান চালিয়ে, দিনমজুরি ও শ্রমিকের কাজ করে সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পথে সারাদিনের রোজগারের টাকা দিয়ে বাজার না করে পুরুষ্কারের আশায় সব টাকা দিয়ে লটারির টিকিট ক্রয় করছেন। কিন্তু পরে দেখা গেছে একটি পুরস্কারও তাদের ভাগ্যে জোটেনি।
চন্দনপুর এলাকার কামরুল ইসলাম জানান, তিনি সম্প্রতি একটি সমিতি থেকে ১২ হাজার টাকা লোন(ঋণ) নিয়েছেন। বড় পুরুস্কার পাওয়ার আশায় তিনি সব টাকা দিয়ে লটারির টিকিট ক্রয় করেছেন। কিন্তু একটি শান্তনা পুরস্কারও তার ভাগ্যে জোটেনি। শুধু কামরুল একা নই অত্র এলাকার শফিকুল, রাকিব, গফফার, সামছুর, ফজরসহ অনেকেই একই কথা বললেন।
স্থানীয়রা জানান, গত ২৭ জুন’১৭ তারিখে চন্দনপুর বহুমুখী বিদ্যালয়ের মাঠটি ১লক্ষ টাকা দেওয়ার চুক্তিতে ২৬ জুলাই’১৭ তারিখ ১মাসের জন্য ভাড়া দেয় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সে মেয়াদ অতিবাহিত হলেও মাঠটি না ছেড়ে চালানো হচ্ছে দীর্ঘ মেয়াদী লটারী নামক জুয়া। তবে কিছুদিন বন্ধ থাকলেও ঈদের পরের দিন থেকে এ মেলা আবারো শুরু হয়। তবে উক্ত বিদ্যালয়ের মানেজিং কমিটি সভাপতিসহ অন্যা সদস্যরাই নাকি এ মেলার আয়োজক। যে কারণে কাউকে কোন কৈফিয়ত দিচ্ছেন না তারা।
তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, স্বপ্নের ঠিকানা নামক লটারি বিক্রির জন্য প্রতিদিন ১০০ ইজিবাইক, ২টি মিনি পিকআপ রয়েছে। তারা প্রতিদিন কলারোয়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়নসহ যশোরের শার্শা ও সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা, বাঁশদহা, আগরদাড়ী, কুশখালী, লাবসা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় টিকিট বিক্রয় করছেন। ওই টিকিটের মূল্য ২০টাকা। প্রতিদিন তারা প্রায় ১ লক্ষ থেকে ১ লক্ষ টাকা ২০ টিকিট বিক্রয় করে। এতে প্রায় প্রতিদিন ২০ লক্ষ টাকার টিকিট বিক্রয় করে। কিন্তু পুরস্কার দেওয়া হয় ৫/৭ লক্ষ টাকার। প্রায় ২ মাস ধরে এভাবে অত্র এলাকায় চলছে গরিব কে নিঃশ্ব করে কতিপয় অসাধু ব্যক্তিদের পকেট ভরা।
এবিষয়ে লটারির পরিচালক রবিউল ইসলাম রবি’র সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমরা মাত্র ১৭দিন লটারি চালাচ্ছি। প্রতিদিন ১০০ ইজিবাইক বিক্রয়ের জন্য বের হয় এবং প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০ হাজার টিকিট বিক্রয় হয়। এখানে কতদিনের অনুমতি পেয়েছেন মর্মে তিনি বলেন ১০ দিনের। কিন্তু ১০দিন ইতোমধ্যে অতিবাহিত হয়েছে। আরো ১০ দিন বাড়ানো হয়েছে। তাছাড়া ডিসি সাহেবের মৌখিক অনুমতি রয়েছে। গ্রামের একেবারে শেষ পর্যায়ে হওয়ায় ব্যবসা ভালো যাচ্ছে না। একপর্যায়ে তিনি বলেন, ভাই আপনাদের তো এতদূর আসার দরকার ছিলো না। সাংবাদিকদের সাথে তো কথা বলবেন মানিক চাচা। এছাড়া তিনি এবিষয়ে রিপোর্ট না করার জন্য অনুরোধ করেন।
এবিষয়ে মানিক শিকদারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমাদের ২৫ তারিখ অনুমতি আছে মৌখিকভাবে। আরো বাড়ানো হতে পারে। আর আপনি আমার সাথে দেখা করেন। আপনার সালামির কোন অসুবিধা হবে না। আমি পার্কে আছি। যদি আপনি বলেন আমিও আসতে পারি আপনার কাছে।
এঘটনায় চন্দনপুর বহুমুখি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনছার আলী বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ে একটি ডিজিটাল ফটোকপি মেশিনের প্রয়োজন। সে কারণে আমরা স্কুলের মাঠ টি তাদের ১ মাসের জন্য রেজুলেশনের মাধ্যমে ভাড়া দিয়েছিলাম। কিন্তু তারা মাঠটি এখনো পর্যন্ত ছাড়েনি। তবে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর এবিষয়ে একটি সভা আহ্বান করা হয়েছে। স্কুলের মাঠে এধরনের লটারি নামক জুয়ায় শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার ক্ষতি হচ্ছে কি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অবশ্যই ক্ষতি হচ্ছে। সামনে তাদের পরীক্ষা। কিন্তু কি করবো বলেন আমারও হাত পা তো বাধা।
বিদ্যালয়ের সভাপতি ও মেলার আয়োজক আলিমুলের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি রিসিভ না করা তা সম্ভব হয়নি।
কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার নাথের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি আপনার কোন সমস্যা থাকলে ডিসি স্যারকে বলেন। মেলা, র‌্যাফেল ড্র এগুলোর অনুমতি তিনি দিয়ে থাকেন আমার দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা।
অন্যদিকে লটারির ঘটনায় জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দীন বলেন, “আমরা মাঝে তো বন্ধ করে দিয়েছিলাম। আবারো শুরু হয়েছে। আর জায়গাটাও এমন দুর্গম। যা হোক আমরা দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। সেখানে লটারির কোন অনুমতি দেওয়া হয়নি।”

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মিয়ানমার সেনাদের প্রশিক্ষণ স্থগিতের ঘোষণা যুক্তরাজ্যের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর জাতিগত নিধনযজ্ঞের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্য। এ ঘটনায় মিয়ানমারের সেনাদের প্রশিক্ষণ স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। মঙ্গলবার নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে তিনি এ ঘোষণা দেন।
থেরেসা মে বলেন, রাখাইন রাজ্যে বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সঙ্গে আমাদের সব ধরনের কার্যক্রমের বন্ধ থাকবে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, বার্মায় রোহিঙ্গাদের সঙ্গে যা ঘটছে তা নিয়ে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। তাদের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণ অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।
তিনি বলেন, জীবন বাঁচাতে বহু অসহায় মানুষকে আমরা পালাতে দেখেছি। অং সান সু চি এবং বর্মী সরকারকে সামরিক পদক্ষেপ থামানোর বিষয়টি পরিষ্কার করা প্রয়োজন।

থেরেসা মে বলেন, ব্রিটিশ সরকার আজ ঘোষণা দিচ্ছে যে, বার্মিজ সেনাবাহিনীর সঙ্গে আমরা সব ধরনের যোগাযোগ ও প্রশিক্ষণ বন্ধ করে দিতে যাচ্ছি। রোহিঙ্গা ইস্যুর নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এটি অব্যাহত থাকবে।

এর আগে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, রাখাইনে সহিংসতা ওই দেশের মর্যাদার জন্য একটি কালো দাগ। আগামীতে মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বৃদ্ধি এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে মিয়ানমার নিয়ে আলোচনা হলে অবাক হওয়া কিছু থাকবে না।
সোমবার মিয়ানমার সরকারের প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশসহ প্রায় দশটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র্রমন্ত্রী বরিস জনসন জাতিসংঘে একটি অনুষ্ঠানে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানান।
বরিস জনসন রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে আলোচনার জন্য একটি মধ্যাহ্ন সভার আয়োজন করেন। যেখানে বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক, অষ্ট্রেলিয়া, কানাডা, সুইডেন, ডেনমার্ক ও যুক্তরাষ্ট্রের মন্ত্রী বা উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বরিস জনসন বলেন, ‘যদিও গত কয়েক বছরে মিয়ানমার গণগন্ত্রের পথে উৎসাহব্যঞ্জক উন্নতি করেছে। কিন্তু রাখাইনে ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘন ও সহিংসতা দেশটির মর্যাদার ওপর একটি কালো দাগ। আমি বারবার বলেছি মিয়ানমারে কেউ সামরিক সরকার দেখতে চায়না। এজন্য অং সান সুচি এবং তার বেসামরিক সরকারকে এ মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধ করা জরুরি। আমরা মিয়ানমার সরকারের কথা শুনেছি। এখন রাখাইনে সহিংসতা বন্ধে কার্যক্রম দেখতে চাই।’ সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা পৌরসভার ৩য় তলায় নির্মাণ কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা পৌরসভার ৩য় তলার ছাদ ঢালাইয়ে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তোয়াক্কা করা হচ্ছে না কোন প্রকার নিয়ম নীতির। টেন্ডার অনুযায়ী ছাদে ব্যবহারকৃত মালামাল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার কথা থাকলেও সেটি না করে ছাদের ঢালাই সম্পন্ন করেছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার।
তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, একটি বিদেশি প্রকল্পের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সাতক্ষীরা পৌরসভার একটি প্রশস্ত ভবন প্রয়োজন হয়। সে অনুযায়ী পৌরসভার উত্তর পাশের ছাদ ঢালাই করে সেখানে ভবন নির্মানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে সাতক্ষীরা পৌরসভা। উক্ত ভবন নির্মানের জন্য ৫০ লক্ষ টাকা বরাদ্ধ দেওয়া হয় এবং গত ২১ জনু’১৭ তারিখে কাজটি করানোর জন্য টেন্ডার আহ্বান করা হয়। ওই দিন অনেকে টেন্ডার জমা দেন। টেন্ডার জমাদানকারীদের মধ্যে লটারারী মাধ্যমে ১০৫ নং স্মারকে ৯ জুলাই’১৭ তারিখে ছাদের ওয়ার্ক অর্ডার পান শহরের কাছারী পাড়া এলাকার মাহিন এন্টারপ্রাইজ। যার মালিক মফজুলার হক সুমন। কাজটি ১৫ সেপ্টেম্বর’১৭ তারিখে ২ মাসের মধ্যে শেষ করার কথা উল্লেখ করা হয় উক্ত অর্ডারে।
এদিকে ছাদে ব্যবহৃত মালামাল পৌরসভার নিজস্ব প্রকৌশলী, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল (এলজিইডি) ও কুয়েট কর্তৃক পরিক্ষা করিয়ে ছাদে ব্যবহার করার কথা থাকলেও সেটি মানেনি ওই ঠিকাদার। উক্ত ঢালায়ের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে নিম্ন মানের খোয়া, ইট, বালি, সিমেন্ট ও রড। এছাড়া ছাদের ঢালাইয়ের উচ্চতা ৬ ইঞ্চি হওয়ার কথা থাকলেও ছাদের উচ্চতা করা হয়েছে ৪ ইঞ্চি। ছাদে ব্যবহৃত মালামাল পরিক্ষা না করিয়ে একদিকে সরকার হারিয়েছে প্রায় ১ লক্ষ টাকা রাজস্ব অন্যদিকে ব্যবহার করা হয়েছে নিম্নমানের মালামাল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পৌরকর্মকর্তা জানান, উক্ত কাজের ঠিকাদার যেভাবে কাজ করেছেন তাতে ৩০ লক্ষটাকাও খরচ করা হবে বলে মনে হচ্ছে না। অথচ উক্ত কাজের জন্য বরাদ্ধ করা হয়েছে ৫০ লক্ষ টাকা।
এদিকে উক্ত কাজটি ২ মাসের মধ্যে শেষ করার কথা থাকলেও সে মেয়াদে কাজটি শেষ করেনি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। শুধুমাত্র ছাদ’র ঢালাই পর্যন্ত শেষ করে রাখা হয়েছে। অথচ ইতোমধ্যে ২ মাস ৫ দিন অতিবাহিত হয়েছে।
এবিষয়ে এল জি ই ডি’র ল্যাব টেকনেশিয়ান নূরুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ তিনি বলেন, সাতক্ষীরা পৌরসভার নিজস্ব প্রকৌশলী রয়েছে। তারা সেটা ডিল করে আমাদের কাছে আসেন না।
এবিষয়ে সাতক্ষীরা পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল করিমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, অফিসে টাইমে মেয়র মহোদয়ের অনুমতি ছাড়া আমি কোন তথ্য দিতে পারবো না। আপনি অফিস টাইমে পৌরসভায় এসে মেয়র সাহেবের সাথে কথা বলেন তিনি যে তথ্য দিতে বলবেন আমি দেবো।
এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি এ বিষয়ে মেয়র সাহেবের সাথে কথা বলার জন্য অনুরোধ জানিয়ে সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেন।
এদিকে এঘটনায় পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতীর ব্যবহৃত০১৭৬১ ৭০২৭৩২ নাম্বারে কয়েক ফোন দিলেও তিনি রিসিভ না করা যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে প্যানেল মেয়র কাজী ফিরোজ হাসান বলেন, মালামাল পরীক্ষা করতেও তো সময়ের প্রয়োজন। আমরা মালামাল পরীক্ষা করার জন্য পাঠিয়েছি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest