সর্বশেষ সংবাদ-

কলারোয়ায় ভিন্ন কৌশলে চলছে অবৈধ কোচিং বাণিজ্য!

কলারোয়া ডেস্ক : সাতক্ষীরার কলারোয়ায় সরকারি নীতিমালাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ভিন্ন কৌশলে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষকরা কোচিং বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। সকালে ও বিকালে ব্যাচ ভিত্তিক আবার কিছু শিক্ষক বাসায় যেয়ে নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়াচ্ছেন এমন অভিযোগ করেছেন উপজেলার একাধিক অভিভাবক। তাদের দাবি কোচিং বন্ধে সরকারের কঠোর অবস্থানের কারণে এসব শিক্ষকরাও কৌশল পরিবর্তন করে কোচিং বাণিজ্য অব্যাহত রেখেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে- সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের কোচিং পড়ানো বন্ধের কঠোর নির্দেশনা দেয়ার পর কোচিং বাণিজ্যরত শিক্ষকরাও কৌশল পরিবর্তন করেছেন। আর নতুন কৌশল হিসেবে তারা উপজেলার বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে নিরাপদে কোচিং বাণিজ্যে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। এর আগে শিক্ষকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন বিভিন্ন ঘরে প্রকাশ্যে সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে শিক্ষার্থীদের কোচিং বা প্রাইভেট পড়াতেন। বর্তমানে সরকারি প্রচারণারর কারণে এসব শিক্ষকরা এখন কলারোয়া পৌর সদরসহ উপজেলার ইউনিয়ন পর্যায়ে এ কৌশল অবলম্বন করে কোচিং ও প্রাইভেট পড়ানোর কাজ চালাচ্ছেন। অপরদিকে সাইনবোর্ড লাগানো ঘরগুলি বন্ধ থাকায় কোচিং বা প্রাইভেট পড়ানো হচ্ছে নাÑ এমন দাবি করে সাধরণ মানুষসহ সংশ্লি¬ষ্ট সরকারি কর্মকর্তাদের চোখ সহজে ফাঁকি দিতে পারছেন কোচিং বাণিজ্যে লিপ্ত থাকা এসব শিক্ষকরা।
উপজেলার একাধিক অবিভাবক ও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষক জানান- বর্তমানে কলারোয়া পৌর সদরের ঝিকরা, সরকারি কলেজের পাশে পুরাতান গোডাউন এলাকা, গদখালী, কলারোয়া ভুমি অফিসের পিছনে, হাসপাতাল রোড এলাকা, পুরাতন খাদ্য গুদাম সংলগ্ন, তুলশীডাঙ্গা এলাকার কয়েকটি স্থানসহ আবাসিক ও ঘনবসতি এলাকার মধ্যে বাসা ভাড়া নিয়ে অবাধে নিজ ও অন্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদেরকেও ব্যাচ ভিত্তিক কোচিং এ পড়াচ্ছেন এসব শিক্ষকরা।
এছাড়া উপজেলার দেয়াড়া, খোর্দ, সোনাবাড়িয়া, বামনখালী, সরসকাটি, চন্দনপুর, হিজলদীসহ কয়েকটি স্থানে শিক্ষকরা নিয়মিত কোচিং বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন।
তবে সোনাবাড়িয়া এলাকায় প্রকাশ্যে কোচিং বাণিজ্য চলছে বলে জানান শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা। তারা আরো বলেন- নতুন কৌশলে এসব কোচিং এ প্রতি ব্যাচে ২৫ থেকে ৩০ জন শিক্ষার্থীকে পড়ানো হচ্ছে। আর শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে ৬’শ টাকা থেকে ৮’শ টাকা পর্যন্ত নিচ্ছেন কোচিং এ পড়ানো শিক্ষকরা।
শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা আরো বলেন- সকাল ৬টা থেকে শুরু করে (স্কুল চলাকালীন সময় ব্যতীত) সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কোচিং কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া ইউনিয়ন পর্যায়ের শিক্ষকরা একই পদ্ধতি অবলম্বন করে প্রাইভেট পড়াচ্ছেন। এসব অবিভাবকদের দাবি শিক্ষকদের কোচিং-এ পড়ানোর বিষয়ে সরকারের কঠোর নীতিমালা থাকলেও উপজেলা পর্যায় থেকে সঠিক মনিটরিং না থাকায় ভিন্ন কৌশল পরিবর্তন করে এসব শিক্ষকরা প্রাইভেট পড়ানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। অবিলম্বে আইন অমান্যকারী এসব শিক্ষকদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ও বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানান তারা।
এ বিষয়ে উপজেলার দেয়াড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক (ইংরেজি) এমএ কাশেম বলেন- উপজেলায় গুটি কয়েক শিক্ষকের কোচিং বাণিজ্যের কারণে সকল শিক্ষকদের সাথে অবিভাবকদের সম্পর্কের অবনতি হচ্ছে। এ কারণে তিনি কোচিংরত শিক্ষকদের সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী মনিটরিং এর আওতায় নিয়ে আসার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট অনুরোধ জানান।
কলারোয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল হামিদ সাংবাদিকদের জানান- শিক্ষকরা এ নতুন কৌশলে কোচিং বা প্রাইভেট পড়াচ্ছেন এটি আমার জানা নেই। তিনি জানান- কোন শিক্ষক সরকারের নীতিমালা লঙ্ঘন করে কোচিং বাণিজ্য করলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তবে এ বিষয়ে দেখার কোন মনিটরিং টিম আছে কিনা, এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি কোন মন্তব্য না করে পরে কথা বলবেন বলে জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরার ‘কর বাহাদুর পরিবার’ কলারোয়ার রব্বানী পরিবার

কলারোয়া ডেস্ক : সাতক্ষীরা জেলার ‘কর বাহাদুর পরিবার’ হিসেবে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত হয়েছেন কলারোয়ার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক আলহাজ্ব গোলাম রব্বানী ও তাঁর পরিবার।
খুলনা সরকারি মহিলা কলেজ অডিটোরিয়ামে ৯ নভেম্বর বৃহষ্পতিবার খুলনা কর অঞ্চল আয়োজিত ‘সেরা করদাতা ও কর বাহাদুর পরিবার’ সম্মাননা অনুষ্ঠানে গোলাম রব্বানীকে এ পদকে ও সম্মাননায় ভূষিত করা হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ এমপি ‘কর বাহাদুর পরিবার’ হিসেবে ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেন গোলাম রব্বানীর হাতে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খুলনা কর অঞ্চলের কমিশনার ইকবাল হোসেন।
অনুষ্ঠানে খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় ৭৭ জনকে সেরা করদাতা আর বিভাগের ১০ জেলার ১০টি পরিবারকে দেয়া হয়েছে ‘কর বাহাদুর পরিবার’ খেতাব।
এবারই প্রথম অর্থমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ‘কর বাহাদুর পরিবার’ সম্মাননা দেয়া হয়।
আয়কর প্রদানে পরিবারের সদস্যদের ধারাবাহিক অবদানের জন্য অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতা ২০১৭ এর ঘোষনা অনুযায়ী কলারোয়ার বাসিন্দা মো.গোলাম রব্বানী ও তাঁর পরিবার ২০১৬-২০১৭ কর বছরে সাতক্ষীরা জেলার ‘কর বাহাদুর পরিবার’ হিসেবে স্বীকৃতি প্রাপ্ত হয়েছেন। তাঁকে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো.নজিবুর রহমান কর্তৃক ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
সম্মাননা পাওয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় আলহাজ্ব গোলাম রব্বানী বলেন- ‘দেশের উন্নয়নে শরিক হতে পেরে গর্ব বোধ করছি। করের আওতায় আসে এমন সকল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান নিয়মিত কর দিলে দেশ ও দেশের জনগণের উন্নতি অবধারিত।
নিজ ও দেশের ভাগ্যোন্নয়নে সকলকে শরিক হওয়ার আহবান জানান তিনি।
‘জনকল্যাণে রাজস্ব, উন্নয়নের অক্সিজেন রাজস্ব’ স্লোগানে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীন অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এই সম্মাননা দিচ্ছে দেশব্যাপী।
খুলনা বিভাগের কর বাহাদুর ১০টি পরিবার হচ্ছে খুলনার নিরালা আবাসিক এলাকার এমএ সালাম ও তার পরিবার, যশোরের কোতোয়ালির মো. সফিউর রহমান মলি¬কের পরিবার, চুয়াডাঙ্গার জীবননগরের মো. রকিবুল ইসলামের পরিবার, মাগুরার রজব আলী মজনুর পরিবার, সাতক্ষীরার কলারোয়ার গোলাম রব্বানীর পরিবার, নড়াইলের রতনগঞ্জের ওয়াহিদুজ্জামানের পরিবার, কুষ্টিয়ার চৌড়হাসের মজিবর রহমানের পরিবার, ঝিনাইদহের হামদহ এলাকার ডা. দুলাল কুমার চক্রবর্তীর পরিবার, মেহেরপুরের আব্দুস সালামের পরিবার, বাগেরহাট আমলাপাড়ার অ্যাডভোকেট মীর শওকত আলী বাদশার পরিবার।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ফারুকীর মন্তব্য শুনে তসলিমা নাসরিন তাজ্জব !

টিভিতে একটা ডিবেটের অংশ দেখে হতবাক আমি। উপস্থাপক বললেন, আমি নাকি বলেছি, ‘ডুব’ ছবি বাংলাদেশের মাথা নিচু করেছে।

মিথ্যে বলেছেন। আমি বলেছি ‘ডুব’ দেখে আমি মাথা নিচু করে হল থেকে বেরিয়ে এসেছি। আমি তো বাংলাদেশ নই!

তাহলে কী করে ওঁরা বলেন, বাংলাদেশের মাথা নিচু হয়েছে? ফারুকী বলেছেন, উনি তো পারলেন না, আমি যেন বাংলাদেশের মাথা উঁচু করি। শ্লেষ ছিল তাঁর মন্তব্যে।  না, বাংলাদেশের মাথা উঁচু করার মতো যোগ্যতা আমার নেই।

ফারুকীর আরও একটি মন্তব্য শুনে আমি তাজ্জব, আমি লেখক মানুষ, সেকারণে আমি নাকি সিনেমা বুঝি না। ‘সা রে গা মা’ না জেনে গান সম্পর্কে তিনি যেমন বলতে পারেন, গান ভাল লেগেছে, অথবা লাগেনি, এর বেশি নয়। আমারও বলা উচিত ছিল ছবিটি ভালো লেগেছে, বা লাগেনি। বিশ্লেষণ করা, আমি যেহেতু সিনেমা বিশারদ নই, আমাকে মানায় না।

আসলে ভালো হতো, শ্লেষে সময় ব্যয় না করে যদি তিনি ধরিয়ে দিতেন বিশ্লেষণের ঠিক কোথায় কোথায় আমার ভুল ছিল।

সমালোচনা যখন শুভাকাঙ্ক্ষীর কাছ থেকে আসে, তাকে গ্রহণ করতে হয়। নিজের ভুলগুলো মানতে হয় আগামীতে যেন শুধরে নেওয়া যায়। অহংকার মানুষকে এক জায়গায় থামিয়ে রাখে। ঋতুপর্ণ ঘোষ অত বড় চিত্র-পরিচালক হয়েও বলতেন, তিনি সিনেমার ছাত্র। শিখছেন সিনেমা। বিনয় মানুষকে বড় করে।

ফারুকীর আচরণ এমন, তুমি যদি আমার ছবিকে ভালো বলো, তুমি ছবি বোঝো। আর যদি ভালো না বলো, তুমি ছবি বোঝো না। ‘পথের পাঁচালী’ দেখে লোকে খারাপ বলেছে, ‘ডুব’ দেখেও খারাপ বলেছে, সুতরাং ‘পথের পাঁচালী’ আর ‘ডুব’কে এক কাতারে দাঁড় করানোর চেষ্টা চলছে। ‘বুদ্ধি-সুদ্ধি আছে এমন মানুষ কী করে এই চেষ্টা’- জেনে বুঝে করে আমি বুঝি না।

(তসলিমা নাসরিনের ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দুর্নীতির অভিযোগে সৌদি আরবে এবার রাজকুমারী গ্রেফতার

দুর্নীতির অভিযোগে সৌদি আরবে এবার রিম নামের এক রাজকুমারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রিম দেশটির বিলিয়নেয়ার রাজপুত্র আল-ওয়ালিদ বিন তালাল বিন আব্দুলাজিজের কন্যা।
গত বৃহস্পতিবার রিমকে গ্রেফতার করা হয়। আগে থেকেই আটক রয়েছেন তার বাবা।

রিমই প্রথম সৌদির রাজকুমারী যাকে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত শনিবার থেকে সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের নেতৃত্বাধীন দুর্নীতি বিরোধী কমিটি ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করে। এ পর্যন্ত বেশ কয়েকজন রাজপুত্র, মন্ত্রী, সাবেক মন্ত্রী ও উচ্চ পদস্থ সামরিক কর্মকর্তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের সবাইকে বিলাসবহুল একটি হোটেলে মানবেতর জীবনযাপনে বাধ্য করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন উড়িয়ে দেয়ার হুমকি!

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন বোমা মেরে উড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের কাছে লেখা এক চিঠিতে এ হুমকি দেয়া হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আজ শুক্রবার আশুলিয়া থানায় এ বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বিসিবির সঙ্গে যোগাযোগই করছেন না হাথুরু

দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের আগে হঠাৎ করেই ই-মেইলের মাধ্যমে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাথে কাজ করতে অনাগ্রহের কথা জানিয়েছেন প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। হাথুরুর এই ই-মেইলের জবাবে বারবার বিসিবি যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তার দিক থেকে কোন উত্তর পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বেক্সিমকোয় তার নিজের অফিসে বসে মিডিয়াকে এ তথ্য জানান তিনি। এ প্রসঙ্গে পাপন বলেন, ‘তার সঙ্গে আমার বেশ ভাল সম্পর্ক। আমার সাথে খোলামেলাই কথা বলতো সে; কিন্তু কয়েকদিন ধরে আমিও তার সাথে যোগাযোগ করতে পারছি না। এমনকি বিসিবির সিইও সুজনেরও সাথে যোগাযোগ করছে না।’

হাথুরুর এমন অপেশাদার আচরণের জন্য হয়তো কিছু খেলোয়াড় এবং সাংবাদিকদের দায়ী মনে করছেন বিসিবি বিগ বস। এক প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলে, ‘হাথুরু চলে যাওয়াতে আমার মনে হয় অনেক খেলোয়াড়ই খুশি। আপনাদের অনেক সাংবাদিকও খুশি হয়েছে মনে মনে।’

তবে হাথুরু যোগাযোগ না করলেও, তিনি যদি কাজ করতে না চান তাহলে তাকে জোর করে কাজ করানো যাবে না বলেই মনে করেন নাজমুল হাসান পাপন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ভোমরা সড়কে লেগুনা সার্ভিস বন্ধ রাখার দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা-ভোমরা সড়কে লেগুনা সার্ভিস বন্ধ রাখার দাবীতে সাতক্ষীরা জেলা অটোরিকসা, অটোটেম্পু মালিক সমবায় সমিতি জেলা আঞ্চলিক পরিবহন কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার, বিআরটি’এ’র সহকারী পরিচালক, সহকারী পরিচালক এন,এস,আই, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে। এ প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার সকালে জেলা অটোরিকসা, অটোটেম্পু মালিক সমবায় সমিতি লিঃ এর সকল নেতৃবৃন্দ সাতক্ষীরা-০২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবিকে বিষয়টি অবহিত করেন। এসময় জেলা অটোরিকসা, অটোটেম্পু মালিক সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক মো. জোহর আলী বলেন, লেগুনা সার্ভিসের গাড়িগুলো আগে টাউন সার্ভিসের আওতায় চলাচল করতো। সাতক্ষীরা কদমতলা হতে আলিপুর চেক পোষ্ট পর্যন্ত, এছাড়া সাতক্ষীরা টু বৈকারী কদমতলা রোডে চলাচলের অনুমতি পেয়েছে। কিন্তু গাড়িগুলি প্রাপ্ত রুটে চলাচল না করে তারা ভোমরা রোডে চলাচল করছে। একই রোডে দুই প্রকার যাত্রীবাহি গাড়ি চলাচল করলে চালকদের সাথে সংঘর্ষ হতে পারে এবং আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটার সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে। এই সংগঠনের কিছু শিক্ষিত, অল্পশিক্ষিত অসহায় বেকার যুবক ব্যাংক ও সমিতি থেকে লোন নিয়ে কিস্তিতে থ্রি-হুইলার, অটোরিকসা অটোটেম্পু গাড়ি ক্রয় করে সরকার অনুমোদিত বিআরটিএ থেকে রেজিস্ট্রেশন নিয়ে শুধুমাত্র সাতক্ষীরা থেকে ভোমরা রোডে চলাচল করে যাত্রীদের সেবা দিয়ে আসছে। বিগত ২০১৩ সালের ২৮ শে ফেব্রুয়ারীর পর থেকে হরতাল অবরোধের নামে যখন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ন্যায় এই জেলায় সন্ত্রাসী তান্ডব চালায় তখন আমরা উক্ত তান্ডব ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে স্বোচ্ছার হই এবং মালিক শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ করে জাতীয় শ্রমিক লীগের নেতৃত্বে হরতাল অবরোধ মুক্ত রাখার জন্য আমরা জীবনের ঝুকি নিয়ে গাড়ি চালিয়ে যাত্রী সেবা দিয়েছি এবং গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক রেখেছি। এজন্য একান্ত মানবিক কারণে সংগঠনের মালিক শ্রমিকদের কথা ভেবে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার বৃহত্তর স্বার্থে ভোমরা রোডে লেগুনা সার্ভিস চলাচল বন্ধের দাবী জানিয়ে বলিষ্ঠ হস্তক্ষেপ কামনা করেন শ্রমিক নেতৃবৃন্দ। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা শ্রমিক লীগের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল্লাহ সরদার, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ডা. মুনছুর আহম্মেদ, জেলা পরিষদের সদস্য ওবায়দুর রহমান লাল্টুসহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এসময় সংসদ সদস্য বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সুষ্ঠ সমাধানের আশ^স্থ করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সুন্দরবন সাংবাদিক ক্লাব শুভ উদ্বোধন

বিশেষ প্রতিনিধি : বৃহস্পতিবার সুন্দরবন সাংবাদিক ক্লাব-এর শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। সুন্দরবন উপকুলীয় এলাকার বিশেষ করে মুন্সীগঞ্জ, বুড়িগোলিনী, আটুলিয়া, গাবুরা, রমজাননগর ও কৈখালী ইউনিয়নের সাংবাদিকগণ মিটিংয়ের মাধ্যমে ইতোপূর্বে সর্ব সম্মতিক্রমে সুন্দরবন সাংবাদিক ক্লাব-এর পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করেন এবং মুন্সীগঞ্জ বাস ষ্ট্যান্ডে উক্ত সাংবাদিক ক্লাবটির অফিস নির্মাণ করা হয়েছে। অবশেষে শ্যামনগর প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো: আকবর কবির প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সুন্দরবন সাংবাদিক ক্লাবটির শুভ উদ্বোধন করেন। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শ্যামনগর প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস.কে. সিরাজ এবং উক্ত ক্লাবের উপদেষ্টা এস.এম. জাহাঙ্গীর আলম। সুন্দরবন সাংবাদিক ক্লাবের সভাপতি মো: আইয়ুব আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, সাংবাদিক ক্লাবের সহ-সভাপতি দৈনিক আজকের সাতক্ষীরার বিশেষ প্রতিনিধি মাহফুজুর রহমান তালেব, সহ-সভাপতি দৃষ্টিপাত আটুলিয়া প্রতিনিধি সালাহউদ্দিন, সহ-সভাপতি দৃষ্টিপাত মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়ন প্রতিনিধি সোহারাব হোসেন, সহ-সভাপতি মো: আব্দুল হালিম, সাংগঠনিক সম্পাদক পত্রদূত মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি মো: বিল্লাল হোসেন প্রমূখ। প্রধান অতিথি অনেক দিক নির্দেশনা মূলক বক্তব্য রাখেন। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, আপনারা অর্থের বিনিময়ে কোন সত্য সংবাদ প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকবেন না। এতে সাংবাদিকদের ভাব মূর্তি ক্ষুন্ন হয়। তবে আপনারা কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোন নিউজ পত্রিকায় পাঠানোর পূূর্বে অবশ্যই তার বক্তব্য নিয়ে পত্রিকায় ছাপাবার ব্যবস্থা করবেন। যদি কোন সংবাদিকের মধ্যে কোন সমস্যার সৃষ্টি হয়, তাহলে ১ঘন্টার মধ্যে বসে নিজেরাই বিষয়টি নিষ্পত্তি করবেন, যাতে তৃতীয় পক্ষ কোন প্রকার সুযোগ নিতে না পারে। তিনি আরও বলেন, যে কোন পরামর্শ বা সমস্যায় আমি এবং আমার প্রেস ক্লাবের সকল সদস্য আপনাদের পাশে আছি। এ ক্লাবটির উন্নতির জন্য আমি আন্তরিক ভাবে চেষ্টা করব। বিশেষ অতিথি এস.কে সিরাজ এবং উপদেষ্টা এস.এম. জাহাঙ্গীর আলমও দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন। উক্ত অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পিযুস কান্তি বাউলিয়া (পিন্টু)।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest