সর্বশেষ সংবাদ-
নাসিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর বিলুপ্তির প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় বিক্ষোভদৈনিক আমাদের মাতৃভূমি পত্রিকার ৯ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সাতক্ষীরায় আলোচনা সভা  দেবহাটায় জাতীয় প্রাণি সম্পদ সপ্তাহ ও প্রাণি সম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধনসাতক্ষীরায় জাতীয় দৈনিক রুপালী বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনসাতক্ষীরার মিঠু খানের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করল বিএনপিকালিগঞ্জে পুকুরের পানিতে দুই শিশুর মৃত্যুদেবহাটায় ৪০ জন উপকার ভোগীর মাঝে ছাগল বিতরণদেবহাটার সরকারি কর্মকর্তা-সুধীজনদের সাথে ডিসির মতবিনিময়সাতক্ষীরার ১৮৫টি ভোটকেন্দ্রের স্কুল সংস্কারে বরাদ্দ প্রায় ৬৪ লাখ টাকাসাতক্ষীরা জেলা রোভারের ৪১ তম কোর্স ফর রোভারমেট এর মহাতাঁবু জলসা

বাবরের সেঞ্চুরিতে বড় জয় পাকিস্তানের

টেস্ট সিরিজ হারলেও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে ৮৩ রানের বড় জয় পেয়েছে পাকিস্তান। শুক্রবার দিবা-রাত্রীর ম্যাচে দুবাইয়ে প্রথমে ব্যাট করা পাকিস্তান নির্ধারিত ওভার শেষে ছয় উইকেট হারিয়ে ২৯২ রান করে।
জবাবে ৮ উইকেটে হারিয়ে ২০৯ রানে গিয়ে থামে লঙ্কানরা।

পাকিস্তানের ২৯৩ রানের বড় লক্ষ্যে মাঠে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে সফরকারী শ্রীলঙ্কা। তবে সতীর্থদের আসা যাওয়ার মাঝে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৩ রান করেন লাহিরু থিরিমান্নে। তবে লঙ্কানদের ইনিংস দুইশ’ পেরিয়েছে আকিলা ধনাঞ্জয়ার কল্যাণে। ৫০ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। পাক বোলারদের মধ্যে তিনটি করে উইকেট তুলে নেন পেসার রুম্মন রাঈস ও হাসান আলী।

এর আগে, টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ওপেনার আহমেদ শেহজাদকে হারালেও ফখর জামানের সঙ্গে ৬৪ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেন বাবর আজম। ফখর ৪৩ রানে বিদায় নেন। কিন্তু ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি (১০৩) তুলে নিয়ে ৪৯তম ওভারে আউট হন বাবর।
সেঞ্চুরি করতে তিনি ১২৮ বল খেলেন। যা আবার তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে ধীর গতির। এছাড়া গত পাঁচ বছরে পাকিস্তানি কোনো ব্যাটসম্যান হয়েও এটি ধীর গতির সেঞ্চুরি।

বাবর ধীরে চললেও বেশ আক্রমণাত্মক ছিলেন অভিজ্ঞ শোয়েব মালিক। যে কারণে রানার চাকায় খুব একটা প্রভাব পড়েনি। ৬১ বলে পাঁচটি চার ও দুটি ছক্কায় ৮১ করেন মালিক। ম্যাচ সেরারও পুরস্কার উঠেছে তার হাতে। লঙ্কান বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট লাভ করেন পেসার সুরাঙ্গা লাকমাল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বলিউডে একই ছবিতে বাংলাদেশের এডলফ ও মম

প্রথমবারের মতো বলিউডের ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়ে আলোচনায় আসেন জাকিয়া বারী মম। ‘নোমান খান দ্য লিজেন্ড’ নামের এ ছবিটিতে বাংলাদেশের আরও একজন শিল্পী কাজ করবেন।
তার নাম এডলফ খান।

এডলফ বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে পরিচিত মুখ নন। তবে বেশ কিছু সময় ধরে তিনি মডেল ও কোরিওগ্রাফার হিসেবে কাজ করছেন। এবার বলিউডে অভিনেতা হিসেবে কাজের সুযোগ পেয়েছেন তিনি।

বলিউডের এই ছবিটি পরিচালনা করবেন বলিউড নির্মাতা ফয়সাল সাইফ। এর আগে বাংলাদেশের মডেল-অভিনেতা নিরব নিয়ে ‘শয়তান’ নামের একটি সিনেমা নির্মাণ করেছেন তিনি।

এডলফ খান বলেন, ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখতাম মিডিয়ায় কাজ করব। কিন্তু কোনো মাধ্যমে কাজ করব এটা নির্দিষ্ট ছিল না। বছর পাঁচেক আগে মডেল হিসেবে মিডিয়ায় কাজ শুরু করি।
কিছুদিন মডেলিং করার পর আকর্ষণ বাড়ে কোরিওগ্রাফির প্রতি। ‘নোমান খান দ্য লিজেন্ড’ ছবিটি সম্পূর্ণ ভিন্ন আঙ্গিকের। ছবিতে আমার চরিত্রটি অনেকটা কমিক হলেও একটা নেগেটিভ ছায়া আছে এর মধ্যে। অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও দুঃসাহসিক একটা চরিত্র।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ভারতীয় ক্রিকেটের নতুন করে লজ্জা বাড়াল হায়দ্রাবাদ

শুক্রবার ভারতের হায়দ্রাবাদে সারাদিন এক ফোঁটাও বৃষ্টি হয়নি। তারপরেও বাতিল হয়ে গেল ভারত–অস্ট্রেলিয়া তৃতীয় টি২০ ম্যাচ।
সিরিজ শেষ হল ১–১ অবস্থায়। শুক্রবার ঝলমলে রোদ ছিল হায়দরাবাদে। উপ্পলের গ্যালারি ভর্তি। তাও লজ্জায় মুখ পুড়ল ভারতীয় ক্রিকেটের। যার জন্য দায়ী হায়দরাবাদ ক্রিকেট সংস্থা।

শুকনো খটখটে দিনে এভাবে ম্যাচ বাতিলের নজির ভারতে খুব একটা নেই। রিজার্ভ ডে না থাকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। উপ্পলের বাইশ গজ নিয়ে কোনও প্রশ্ন ছিল না। কিন্তু আউটফিল্ড ভিজে।
মাঠের নানা জায়গায় কাঁদা। যে কাঁদা শুকানোর জন্য ‘স্ট্যান্ড ‌ফ্যান’‌ ব্যবহার করা হল। এখনকার দিনে যা হাস্যকর।

শুক্রবার রাত সাতটা নাগাদ ম্যাচ রেফারি রিচি রিচার্ডসন মাঠ পরিদর্শন করার সময় মাঝেমাঝেই থমকে যাচ্ছিলেন। কাদায় তার পা আটকে যাচ্ছিল। শেষপর্যন্ত ম্যাচ বাতিলই ঘোষণা করতে হয়। কিন্তু উপ্পল মাঠ পরিচর্যা ব্যবস্থার জন্য সুপারহিট।

তাও এমন অবস্থা কেন এমন প্রশ্নের জবাবে‌ এক কর্মকর্তা বললেন, ‘‌গত দশদিন এখানে যা বৃষ্টি হয়েছে তারপর আর কিছু করার ছিল না। ’‌ গত বৃহস্পতিবার আধঘণ্টা বৃষ্টি হয়েছিল। তখন মাঠ ঢাকাই ছিল। যে প্রশ্নের কোনও উত্তর নেই। পিচ কিউরেটর ওয়াইএল চন্দ্রশেখরের যুক্তি, ‘‌আমরা সারারাত খেটেছি। এরবেশি কিছু করার ছিল না। ’‌
ভারতীয় ক্রিকেটের লজ্জা বাড়াল হায়দ্রাবাদ ক্রিকেট সংস্থা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মিয়ানমার নিরাপত্তা বাহিনীর বর্বরতা সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে : যুক্তরাষ্ট্র

নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরের ইকোসক চেম্বারে শুক্রবার মিয়ানমারর পরিস্থিতির উপর জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যগণ ‘আরিয়া ফর্মুলা সভা’য় অংশগ্রহণ করেন। এই সভার আয়োজন করে ব্রিটিশ ও ফরাসী ডেলিগেশন।
অ্যাডভাইজরি কমিটি অন রাখাইন স্টেট-এর চেয়ারম্যান নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনানও এই সভায় বক্তব্য রাখেন।

কফি আনান তাঁর বক্তব্যে সম্প্রতি মিয়ানমার সরকারের কাছে পেশকৃত ‘অ্যাডভাইজরি কমিটি অন রাখাইন স্টেট’ এর রিপোর্টের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোকপাত করেন। রাখাইন প্রদেশের জনগণের স্থায়ী শান্তি, নিরাপত্তা, সমৃদ্ধি, উন্নয়ন ও চলমান সংকটের সমাধানের লক্ষ্যে মিয়ানমার সরকার তাঁর কমিশন প্রণীত রিপোর্টের সুপারিশমালার দ্রুত বাস্তবায়ন করবে মর্মে তিনি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

কফি আনান রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব বিষয়ে মিয়ানমার সরকারের ১৯৮২ সালে প্রণীত নাগরিকত্ব আইন আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী সংশোধনের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের মর্যাদা ও নিরাপত্তার সাথে নিজ ভূমিতে প্রত্যাবর্তন, মানবিক সহায়তা ও মৌলিক চাহিদা নিশ্চিত করতে কফি আনান তাঁর রিপোর্টে উল্লেখ করেন।

বাংলাদেশের সাথে সীমান্ত নিরাপত্তা ও দ্বিপাক্ষিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা রক্ষা করার বিষয়ে জোর দিয়ে কফি আনান বলেন, এই সুসম্পর্ক ও সহযোগিতার মাধ্যমে উভয় দেশই লাভবান হবে।
কফি আনান রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে মিয়ানমারের আন্তঃসম্প্রদায়ের মধ্যে সংলাপ ও সমঝোতার উপর বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, “এই ভয়াবহ রোহিঙ্গা সমস্যা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত রাখাইন প্রদেশের জনগণের কল্যাণে মিয়ানমার সরকার রাখাইন জনগোষ্ঠী ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ঐক্যমত্য হয়ে কাজ না করে”।

নিরাপত্তা পরিষদের সকল সদস্যই এ সংকট সমাধানের পক্ষে বক্তব্য রাখেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি এটিকে মানবিক বিপর্যয় আখ্যা দিয়ে বলেন, “এনাফ ইজ এনাফ। আমরা এটি আর গ্রহণ করতে পারছি না। আমরা মিয়ানমার সিকিউরিটি ফোর্সের এই হীন কাজের নিন্দা জানাই”।

যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি অনতিবিলম্বে মানবিক সহযোগিতা প্রদানের সুযোগ সৃষ্টি, সহিংসতা বন্ধ, জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের পূর্ণ প্রবেশাধিকার, রোহিঙ্গা শরনার্থীদের নিরাপদ ও নিশ্চয়তার সাথে স্বদেশে প্রত্যাবর্তনসহ কফি আনান কমিশনের রিপোর্টের পূর্ণ বাস্তবায়নের উপর জোর দেন।

প্রায় একই ভাষায় কথা বলে নিরাপত্তা পরিষদের অন্য সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধিগণ। তারা বাস্তুচ্যুত ও অসহায় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে মানবিক সাহায্য প্রদান করায় বাংলাদেশ সরকার ও বাংলাদেশের জনগণের ভূয়সী প্রসংশা করেন। সকলেই সহিংসতা বন্ধ, কফি আনান কমিশনের সুপারিশমালা বাস্তবায়ন এবং উদ্বাস্তু প্রত্যাবাসনের উপর গুরুত্বারোপ করেন।

নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যগণের বাইরে বাংলাদেশ, মিয়ানমার, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ড এর প্রতিনিধিগণ বক্তব্য রাখেন। এছাড়া অফিস অব দ্যা হাই কমিশন অব হিউম্যান রাইটস, অফিস ফর দ্যা কো-অর্ডিনেশন অব হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাফেয়াস, ইউএনএইচসিআর এর প্রতিনিধি, ওআইসি এবং ইউরোপিও ইউনিয়নের প্রতিনিধিগণ বক্তব্য রাখেন।

জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন বলেন, “দুর্ভাগ্যজনক এই যে মিয়ানমার সরকারের দেওয়া বিবৃতি আর রাখাইন প্রদেশের প্রকৃত পরিস্থিতির মধ্যে বিস্তর ব্যবধান রয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনারের অফিসের র‌্যাপিড রেসপন্স মিশনের সাম্প্রতিক রিপোর্টে এমনটিই তুলে ধরা হয়েছে। ২৫ আগস্টের পর থেকে আজ সকাল পর্যন্ত ৫ লাখ ৩৬ হাজার মানুষ মিয়ানমার সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। সব মিলিয়ে উদ্বাস্তুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ লাখে”।

গত মাসে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত ভাষণে মিয়ানমার পরিস্থিতির সমাধানে যে ৫টি পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করা হয় রাষ্ট্রদূত মাসুদ তাঁর বক্তৃতায় তা তুলে ধরে বলেন, “সহিংসতা ও একটি জাতিকে নির্মূলের প্রক্রিয়া বন্ধ, মিয়ানমারে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফান্ডিং মিশন প্রেরণ, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সেফ জোন তৈরি, জোরপূর্বক উচ্ছেদকৃত মানুষদের নিজ ভূমিতে স্থায়ী প্রত্যাবর্তন এবং কফি আনান কমিশনের সুপারিশের পূর্ণ বাস্তবায়ন করতে হবে”।

রাষ্ট্রদূত মোমেন আরও বলেন, “মিয়ানমারের সামরিক জান্তার উস্কানি এবং বাংলাদেশের আকাশ সীমা লঙ্ঘন সত্ত্বেও বাংলাদেশ সর্বোচ্চ সহিষ্ণুতা প্রদর্শণ ও মিয়ানমারের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছে”।

রাষ্ট্রদূত বলেন, দুদেশের মধ্যে একটি জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনের সিদ্ধান্ত হলেও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আরও বিশদ আলোচনার প্রয়োজন হবে। এ ধরনের কয়েকটি বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, “অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে আন্তর্জাতিক মহল বিশেষ করে নিরাপত্তা পরিষদের অংশগ্রহণ ও তদারকি ছাড়া মিয়ানমারের সাথে একটি দীর্ঘমেয়াদি ও অর্থপূর্ণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মূল সমস্যা সমাধান করা কঠিন হবে।

স্থায়ী প্রতিনিধি প্রধানমন্ত্রীর উক্তি উল্লেখ করে বলেন, “এই সংকটের শেকড় মিয়ানমারে এবং এর সমাধানও মিয়ানমারে নিহিত”।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় সংখ্যালঘু নারীকে মধ্যযুগীয় নির্যাতন, দেলোয়ার আটক

এম বেলাল হোসাইন : সাতক্ষীরা সদরের চুপড়িয়া গ্রামের এক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নারীকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। শুক্রবার রাতেই নির্যাতিতা নারীর স্বামী বাদি হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, সদর উপজেলার চুপড়িয়া গ্রামের গৌরহরি দাস ১৯৮৮ সালে তার জমি একই গ্রামের মাহাবুবর রহমানের কাছে বিক্রি করে ভারতে চলে যান। এরপর থেকে গৌরহরি দাসের শরিকদের জমি বিক্রি করে চলে যাওয়ার জন্য মাহাবুবর রহমান ও তার ছেলেরা চাপ সৃষ্টি করে আসছিল। এরই জের ধরে মরা পঁচা দুর্গন্ধ শিয়াল অন্য জায়গা থেকে বাড়ির পাশে এনে ফেলে রেখে বিরোধ সৃষ্টি করা ও গত কোজাগরী লক্ষীপুজার রাতে জানালা ভাঙচুর করার অভিযোগ রয়েছে মাহাবুবর রহমানের ছেলে দেলোয়ার ও গোলাম পরোয়ারের বিরুদ্ধে। এরই জের ধরে শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে বাড়ির পাশে মাঠে ছাগলের জন্য ঘাস কাটার সময় মুখ চেপে ধরে দু’পা মেগহনি গাছের সঙ্গে ও দু’ হাত পিঠমোড়া করে বেঁধে তাকে বিবস্ত্র করে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়। পরে তার মাথার চুল কেটে নেওয়া হয়। স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ দেলোয়ার হোসেনকে গ্রেফতার করে।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মারুফ আহম্মেদ জানান, এ ঘটনায় নির্যতিতার স্বামী বাদি হয়ে দেলোয়ার হোসেনসহ অজ্ঞাতনামা দু’ জনকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে শুক্রবার রাতে একটি মামলা দায়ের করেছেন। গ্রেফতারকৃত দেলায়ারকে শনিবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা পাকাপোলে অবৈধ দোকানপাটে যানজট, চাঁদাবাজরা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে

শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু : সাতক্ষীরা শহরে সরকারি জায়গা ও চলাচলের রাস্তা দখল করে দোকান পাট তৈরি হওয়ায় দিন দিন সড়কগুলিতে যান জট বৃদ্ধি পাচ্ছে। যেন দেখার কেউ নেই। শহরের প্রধান সড়ক সংলগ্ন পাকাপোলের দু’ধারে অবৈধভাবে পাল্লা দিয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে ফলের দোকান। এমনিতে এই ব্রিজের উপর এবং আশপাশের রাস্তাগুলি সব সময় যানজট লেগেই থাকে। তার উপর চলাচলের ফুটপথ দখল করে চলচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে একটি মহল। এই অবৈধ দোকানগুলি একটি সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করে। যারা এখান থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করে সেই ব্যক্তিরা দীর্ঘদিন ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যাচ্ছে। দোকানিদের সাথে কথা বললেও তারা মুখ খুলছেন না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, এটা সবাই জানে যে, কারা এগুলো করতে দিচ্ছে। এটা তারাই করতে দিচ্ছে যাদের দায়িত্ব এখানকার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা। এরা দরিদ্র মানুষের সম্পদ দখলে একাট্টা হয়। কিন্তু নাগরিকদের চলাচলের সড়ককে সংকীর্ণ করে যানজট সৃষ্টি করছে, মানুষের প্রতিদিনের ভোগান্তি বাড়াচ্ছে। এরা অপ্রতিরোধ্য। এদের হাতে জনগণের সম্পদ নিরাপদ নয়।”
অন্যদিকে স্থানীয় একজন দোকানি বলেন, “এখানে সাতক্ষীরা পৌরসভার নিয়ন্ত্রকদের দোহাই দিয়ে এভাবে অবৈধভাবে দোকান বসিয়ে দিনের পর দিন ব্যবসা চলছে। পৌর মেয়র-কাউন্সিলরার এপথ দিয়েই সবাই যাতায়াত করেন। এগুলো কি তাদের চোখে পড়ে না?”
সচেতন মহল ও পথচারীদের দাবি দ্রুত এই অবৈধ দখল উচ্ছেদ করে জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি যানজট মুক্ত করা প্রয়োজন। তারা এজন্য জেলা প্রশাসকের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মানুষ মারার দায়ে বাঘের মৃত্যুদণ্ড

ভারতের এক আদালত দুই বছর বয়সী এক মানুষখেকো বাঘিনীকে হত্যার পরোয়ানা বহাল রেখেছে। এই বাঘিনীর হাতে চারজন মানুষের জীবন যাওয়ার পর এটিকে হত্যার জন্য গত ২৩ জুন নির্দেশ জারি করে মহারাষ্ট্রের বন বিভাগ।

কিন্তু মহারাষ্ট্রের আদালতে এই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে পশু অধিকার কর্মীরা।

গত জুলাই মাসে মহারাষ্ট্রের ব্রাহ্মপুরিতে বাঘিনীটি দুজন মানুষকে হত্যা করে। এটির আক্রমণে আহত হয় আরো চারজন। এরপর বন বিভাগের হাতে এটি ধরা পড়েছিল। কিন্তু রেডিও কলার পরিয়ে এটিকে আবার একটি টাইগার রিজার্ভে ছেড়ে দেয়া হয়।

কিন্তু ছাড়া পাওয়ার পর এই বাঘিনীর হামলায় নিহত হয়েছে আরো দুজন মানুষ। এরপরই বন বিভাগ এটিকে গুলি করে হত্যার নির্দেশ দেয়। কিন্তু আদালতে সেটি চ্যালেঞ্জ করেন পশু অধিকার কর্মী ড. জেরিল বানাইট।

তাদের যুক্তি ছিল, এটিকে গুলি করে না মেরে চেতনানাশক বুলেট ছুঁড়ে ধরা হোক। তারপর দূরের কোন জঙ্গলে ছেড়ে দেয়া হোক। কিন্তু এই মানুষখেকো বাঘিনী নিয়ে ইতোমধ্যে পুরো অঞ্চলে আতংক তৈরি হয়েছে।

বন বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, কালা নামের এই বাঘিনী গত ২৯শে জুলাই সংরক্ষিত বনে ঢোকার পর এ পর্যন্ত পাঁচশো কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছে। রেডিও কলার দিয়ে এটি গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

বিশ্বে যত বাঘ আছে, তার ষাট শতাংশই ভারতে। কিন্তু বনাঞ্চল ধ্বংসের ফলে এবং শিকারিদের উৎপাতে বাঘের সংখ্যা কমে গেছে অনেক। ২০১৫ সালে ভারতে ৮০টি বাঘ মারা গেছে। এর আগের বছর মারা গেছে ৭৮ টি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সামুদ্রিক মাছ খাওয়ার যত স্বাস্থ্য গুনাগুন

সামুদ্রিক মাছে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন এ এবং ভিটামিন ডি। এই সবকটি উপাদানই একাধিক জটিল রোগকে দূরে রাখে। সেই সঙ্গে সার্বিকভাবে শরীরের গঠনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। সামুদ্রিক মাছে উপস্থিত ওমাগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অন্যান্য উপাদান একাধিক রোগের প্রকোপ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

১। হার্ট ভালো রাখেঃ গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত সামুদ্রিক মাছ খেলে শরীরে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের মাত্রা কমতে শুরু করে। এদিকে বাড়তে শুরু করে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের পরিমাণ। ফলে স্বাভাবিকভাবেই রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বা এল ডি এল-এর পরিমাণ কমে গিয়ে হার্টের স্বাস্থ্যের অবনতা ঘটার আশঙ্কাও হ্রাস পায়।

২। দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করেঃ ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড রেটিনার কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করার মধ্যে দিয়ে সার্বিকভাবে দৃষ্টিশক্তির উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর এই ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিট প্রচুর পরিমানে সামুদ্রিক মাছে পাওয়া যায়।

৩। ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি করেঃ নিউরোলজিস্টদের মতে আমাদের মস্তিষ্কের প্রায় ৬০ শতাংশই ফ্যাট দিয়ে তৈরি। সেই কারণেই তো শরীরে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের মাত্রা বাড়তে থাকলে ব্রেনের বিশেষ কিছু অংশের ক্ষমতা এতটাই বৃদ্ধি পায় যে ডিমেনশিয়া বা অ্যালঝাইমারের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়।

৪। সৌন্দর্য বাড়ায়ঃ সামুদ্রিক মাছ খেলে একদিকে যেমন সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ত্বক রক্ষা পায়, তেমনি একজিমা এবং সোরিয়াসিসের মতো জটিল স্কিন ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়।

৫। হাড় শক্ত করেঃ নিয়মিত মাছ খাওয়ার অভ্যাস করলে শরীরে বিশেষ কিছু উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, যে কারণে জয়েন্টের সচলতা যেমন বৃদ্ধি পায়, তেমনি হাড়ও শক্তপোক্ত হয়ে ওঠে। ফলে অস্টিও আর্থ্রাইটিস মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে।

৬। প্রস্টেট ক্যান্সারঃ লো ফ্যাট ডায়েট অনুসরণ করার পাশাপাশি প্রতিদিন যদি সামুদ্রিক মাছ খাওয়া যায়, তাহলে প্রস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বহুলাংশে হ্রাস পায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest