সর্বশেষ সংবাদ-
দেবহাটায় জাতীয় প্রাণি সম্পদ সপ্তাহ ও প্রাণি সম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধনসাতক্ষীরায় জাতীয় দৈনিক রুপালী বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনসাতক্ষীরার মিঠু খানের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করল বিএনপিকালিগঞ্জে পুকুরের পানিতে দুই শিশুর মৃত্যুদেবহাটায় ৪০ জন উপকার ভোগীর মাঝে ছাগল বিতরণদেবহাটার সরকারি কর্মকর্তা-সুধীজনদের সাথে ডিসির মতবিনিময়সাতক্ষীরার ১৮৫টি ভোটকেন্দ্রের স্কুল সংস্কারে বরাদ্দ প্রায় ৬৪ লাখ টাকাসাতক্ষীরা জেলা রোভারের ৪১ তম কোর্স ফর রোভারমেট এর মহাতাঁবু জলসাশ্যামনগরে বুনো শাকের রান্না প্রতিযোগিতাসাতক্ষীরায় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে রাস্তা সংস্কার কার্যক্রমের উদ্বোধন

রোহিঙ্গা নির্যাতনে জঙ্গিদের সুযোগ নেয়ার আশঙ্কা অস্ট্রেলিয়ার

রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা নির্যাতন চলতে থাকলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) সহ অন্যান্য জঙ্গি গোষ্ঠীর উত্থান ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলি বিশপ।

তার ধারণা, আইএস জঙ্গিরা রোহিঙ্গা নির্যাতনকে সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করতে পারে। রোহিঙ্গাদের ঢাল হিসেব ব্যবহার করে পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে পারে তারা।

তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গাদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আইএসসহ অন্যান্য জঙ্গি সংগঠন তাদের কাজে লাগাতে পারে। এ ব্যাপারে উদ্বেগও প্রকাশ করেন তিনি।

রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনী ও পুলিশের তল্লাশি চৌকিতে হামলার অযুহাতে ২৫ আগস্টের পর থেকে রোহিঙ্গা নিধন শুরু করে মিয়ানমার। জীবন বাঁচাতে এখন পর্যন্ত পাঁচ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে।

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর তাণ্ডবকে পাঠ্যপুস্তকে উল্লিখিত জাতিগত নিধনের উদাহরণ হিসেবে বর্ণনা করেছে জাতিসংঘ। বাংলাদেশের আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ইতোমধ্যেই রোহিঙ্গারা মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর চলমান সহিংসতায় বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্ত সমস্যাও বাড়াতে পারে। সেকারণে রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধান করার কথাও বলেন জুলি বিশপ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শেখ হাসিনা প্রাচ্যের নতুন তারকা : খালিজ টাইমস

সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক পত্রিকা ‘খালিজ টাইমস’ রোহিঙ্গা সংকটের প্রতি মানবিক আবেদনের জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রাচ্যের নতুন তারকা হিসেবে অভিহিত করেছে।

খালিজ টাইমসে প্রকাশিত ‘শেখ হাসিনা জানেন সহমর্মিতার নৈপুণ্য’ শীর্ষক নিবন্ধে কলামিস্ট অ্যালন জ্যাকব বলেন, প্রতিবেশী রাষ্ট্র মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা লাখ লাখ রোহিঙ্গার জীবন রক্ষায় সীমান্ত খুলে দিয়ে শেখ হাসিনা তাঁর যে সহমর্মিতা ও সমানুভূতি দেখিয়েছেন, সে জন্য এ সপ্তাহে তাঁর চেয়ে বড় কোনো ‘হিরো’ দেখছি না।
জ্যাকব তাঁর কলামে লিখেন, লেখার বিষয় নির্বাচনের আগে সব সময়ে আমাকে কোনো বিষয় এবং ব্যক্তিবর্গের ব্যাপারে ভাবতে হয়, এখানে স্বীকার করতেই হয় যে এ সপ্তাহে আমার লেখার বিষয় দক্ষিণ ভারতের একজন অভিনেতা এবং রাজনৈতিক মাঠে তাঁর আশাবাদী কর্মকাণ্ড নিয়ে লেখার বিষয় মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিল, কিন্তু আমি যখন বুঝতে পারলাম, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হচ্ছেন প্রাচ্যের নতুন তারকা, তখন আমার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করলাম। তিনি বলেন, হ্যাঁ, মিয়ানমারে একজন নোবেল বিজয়ীর উজ্জ্বলতা হারানোর বিষয় নিয়ে মিডিয়া অধিক ব্যস্ত থাকায় আমরা এই মহৎ সুযোগটি হারিয়েছি। গত সপ্তাহে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে দেওয়া ভাষণে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবিক আবেদনটি অবজ্ঞা করায় একটি অপরাধের বোঝা আমাকে বয়ে বেড়াতে হচ্ছে। শেখ হাসিনা তাঁর ভাষণে বলেছেন, এতে তাঁর হৃদয় ভেঙে গেছে।
জ্যাকব বলেন, মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি যখন কণ্ঠস্বর হারিয়েছেন, এমন সময় শেখ হাসিনার সোচ্চার হয়ে ওঠা এক বিরাট স্বস্তি। সু চি ও শেখ হাসিনা তাঁদের নিজ নিজ দেশের মুক্তিসংগ্রামের মহানায়কের কন্যা। দুজনই খুব কাছ থেকে ট্র্যাজেডি দেখেছেন। যদিও ফারাকটা বিশাল। মানবতা যখন বিপন্ন, তখন একজন নিছক দর্শক হয়ে থাকার পথ বেছে নিলেন, অপরজন দেখালেন অমায়িক দয়া। শেখ হাসিনার প্রায় সাড়ে ১৬ কোটি জনসংখ্যা অধ্যুষিত ছোট্ট দেশটিতে একবারে ৪ লাখ ৩০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছেন।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘে অধিবেশন চলাকালে শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে তিন লাখ শরণার্থী পেয়েছি, কিন্তু আমাদের স্থান সংকুলানের সমস্যা থাকা সত্ত্বেও আরও বেশি শরণার্থী গ্রহণের বিশাল হৃদয় আমাদের রয়েছে।’
জ্যাকব লিখেছেন, এটা স্রেফ কোনো অনুকম্পার বিষয় নয়, এতে ট্র্যাজিক পরিস্থিতিতে সাহস প্রদর্শিত হয়েছে।
তিনি বলেন, জার্মান চ্যান্সেলর অাঙ্গেলা ম্যার্কেল যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলো থেকে ১২ লাখ শরণার্থী গ্রহণের সাহস দেখিয়েছেন। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যতিক্রম, এর সম্পদ সীমিত। এটি বাংলাদেশ সরকারের কারণে সৃষ্ট কোনো জনস্রোত নয়, তথাপি শেখ হাসিনা তাঁর মানবিকতার জায়গা থেকে সরে যাননি।
জ্যাকব বলেন, বাংলাদেশি প্রধানমন্ত্রীর মতো নেতারা যখন কর্ণধার হন, তখন অভিবাসন সমস্যা নিয়ে হতাশায় নিমজ্জিত বিশ্বে আশার আলো জ্বলে উঠে। তাঁর কর্মকাণ্ড প্রথমে ক্ষীণ মনে হয়েছিল, তবে মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশ সীমান্তে রোহিঙ্গা সমস্যা প্রত্যক্ষ করতে খালিজ টাইমস যখন একজন রিপোর্টার পাঠাল, তখনই প্রকৃত সমস্যাটি সামনে চলে আসে। রিপোর্টারের বর্ণনায় উঠে এসেছে, দেশ ছেড়ে পালিয়ে আসা লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর অবর্ণনীয় দুর্দশার চিত্র। ক্ষুধার্ত রোহিঙ্গা শরণার্থীরা খাদ্যের জন্য অপেক্ষা করছে, জীর্ণ কুটিরে বসবাস করছে। এ ঘটনা আমাদের ব্যথিত করেছে।
জ্যাকব লিখেছেন, বিশ্ব গণমাধ্যম রোহিঙ্গা সংকটকে সু চির চোখে দেখার জন্য অপরাধী। দেশটির রাখাইন রাজ্য থেকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী দ্বারা দেশছাড়া হওয়া রোহিঙ্গাদের রক্ষা করতে সু চিকে অসহায় মনে হয়েছে। অনেকেই অনুধাবন করতে পারেনি যে দুই বছর আগে তাঁর দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি নির্বাচনে বিজয়ী হলেও এখন পর্যন্ত দেশটির সামরিক জান্তাই মূল ক্ষমতায় রয়েছে।
সু চি তাঁর দেশের একটি বিশাল জনগোষ্ঠীকে দেশ থেকে বিতাড়ন রোধের পরিবর্তে যা করছেন, তা হচ্ছে তিনি নির্বাচনে সাফল্য ধরে রাখার চেষ্টা করছেন কিংবা বলা যায় তিনি ব্যালটের ফায়দা লুটছেন। সু চি এত দিন ধরে যে রাজনৈতিক সংগ্রামটি চালিয়ে এসেছেন, তা সামাজিক ও মানবিক অঙ্গনে সুপ্রতিষ্ঠিত না হওয়ায় তা থেকে তিনি বিচ্যুত হয়েছেন। তার সামরিক বাহিনী যখন রোহিঙ্গা নিধনে মেতে আছে, তখন তিনি ফার্স্ট কাউন্সেলর হিসেবে ক্ষমতার জাঁকজমক ও সুযোগ-সুবিধায় আটকা পড়ে আছেন এবং এর থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছেন।
প্রকৃতপক্ষে তিনি নিজে একটি কোটরে আবদ্ধ হয়ে আছেন এবং প্রতীকী নেতায় পরিণত হয়েছেন। তিনি যখন মানুষের দুর্ভোগ নিয়ে কথা বলছিলেন, তখন তাঁর মধ্যে কোনো আবেগ ছিল না, তাঁকে বিমর্ষ দেখাচ্ছিল। তিনি যখন সেনাবাহিনীর পক্ষসমর্থন করে কথা বলছিলেন, তখন তাঁকে তাঁর পূর্বের সংগ্রামী জীবনের ছায়ামাত্র মনে হচ্ছিল।
জ্যাকব বলেন, ‘যখন তাঁর সবচেয়ে বেশি উচ্চকণ্ঠ হওয়ার দরকার ছিল, তখন তিনি সোচ্চার হতে ব্যর্থ হয়েছেন। তাই তথাকথিত এই আইকনের জন্য আমার সহমর্মিতা নেই বললেই চলে। গণতন্ত্র যখন পছন্দসই সংখ্যাগরিষ্ঠের পক্ষে যায়, তখন এটি ত্রুটিপূর্ণ ও বিপজ্জনক হয়ে পড়ে। আর জান্তা ও একনায়কদের সঙ্গে সন্ধি করা সহজ হয়ে যায়। রোহিঙ্গাদের নিয়ে সু চির সুচিন্তিত নীরবতা অসহনীয় হয়ে উঠেছে। আমাদের একটি সম্পাদকীয়তে আমি এ কথা বলেছি; আরও বলব। যখন মানবতার জন্য চিৎকার করে কথা বলা উচিত, তখন কারও নিশ্চুপ থাকাটা আমার অপছন্দ।
সূত্র: প্রথম আলো।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘ছেলে-মেয়ের অ্যাপার্টমেন্ট আছে, অথচ বৃদ্ধাশ্রমে আছি ১৮ বছর ধরে’

‘অধ্যক্ষ ছিলাম,কলামও লিখতাম, ছবিও আঁকতাম। এখন এখানে বসে বসেই ছবি আঁকি। গত ১৮ বছর ধরে এখানেই আছি।’ বাংলাদেশ প্রবীণ হিতৈষী সংঘের চারতলার বারান্দায় গ্রিলের ভেতর দিয়ে বৃষ্টি দেখতে দেখতে কথা বলছিলেন মুজিবুল হক। বললেন,‘ধানমন্ডিতে ছেলে-মেয়ের অ্যাপার্টমেন্টও আছে। অথচ আমি এখানে আছি গত ১৮ বছর ধরে।’

এত বছর ধরে এখানে কেন জানতে চাইলে-তিনি বলেন, ‘ভালো আছি তাই, অথবা থাকতে হবে তাই আছি। অন্য কোথাও নিরাপদ মনে করি না। স্ত্রী নেই, কিন্তু অন্য যারা আছে তাদের সঙ্গে থাকা যাবে না। আধুনিককালের ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে তাল মেলাতে পারি না। তাই বোধহয় আমরা এখানে আছি।’

তিনি আরও বলেন,‘তবে খরচটা এখন বেড়ে গেছে। যেটা অনেকের পক্ষেই সামাল দেওয়া সম্ভব নয়। এখানে যখন প্রথম আসি তখন খাওয়া হয়ে যেত ৬০০-৬৫০ টাকায়। এখন আড়াই হাজার টাকায়ও খাওয়া হয় না। আমি এখানকার পুরাতন বাসিন্দাদের একজন।’

১৮ বছর ধরে একা থাকার কষ্টটা বোধহয় দেখাতে চাইলেন না এই শিল্পী। কথা পাল্টে বলেন, ‘তবে আরও বেশি ভালো লাগে তোমাদের মতো ছেলে-মেয়েরা মাঝে মাঝে এখানে বিরিয়ানি,মোরাগ পোলাও, আইসক্রিম খাওয়ায়। এগুলো আরও বেশি ভালো লাগে। আমি টিভি দেখি বেশি। টিভি দেখতে ভালোবাসি, নিজেকে দেখতেও ভালো লাগে আমার। জীবনের বেশিরভাগ সময়ই আমাদের সুখে ভরা, কিন্তু আমরা সেটি মনে রাখি না। কান্নাটাকে বেশি করে দেখি।’

১৮ বছর ধরে একা আছেন, কষ্ট লাগে না– আবার প্রশ্ন করতেই মুজিবুল হক বলেন, ‘আই কেইম অ্যালোন, আই হ্যাভ টু গো অ্যালোন-দ্যাটস ট্রু, দ্যাটস দ্য রিয়েলিটি, দেয়ার ইজ আল্লাহ, দেয়ার উইল বি আল্লাহ-তুমি এটা বিশ্বাস করো বা নাই করো। তাই আমার কোনও কষ্ট নেই। আমি ভালো আছি।’ বলে মুখ ফিরিয়ে নিলেন মুজিবুল হক।

১ অক্টোবর প্রবীণ দিবসকে সামনে রেখে বাংলাদেশ প্রবীণ হিতৈষী সংঘে গিয়ে কথা হয় সেখানকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। এখানকার বাসিন্দাদের মধ্যে অনেকেই উচ্চ শিক্ষিত, কেউ অবসরপ্রাপ্ত সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাও রয়েছেন। নাম-ছবি প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে তাদেরই একজন বলেন, ‘ছেলেমেয়েরা উচ্চ শিক্ষিত, কেউ কেউ অনেক উঁচু পদে চাকরি করছেন, সংসার করছেন। তাদের শান্তির জন্য সাজানো সংসার ছেড়ে বছরের পর বছর ধরে এই বয়সে একা আছি এখানে। তাই কথা বলতে পারি, কিন্তু নাম এবং ছবি দেওয়া চলবে না।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের স্ত্রী-যিনি নিজেও একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন, কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘পৃথিবীতে মানুষ আসে অসহায় হয়ে, সেই শিশু বয়স আর এই বৃদ্ধ বয়স-দুটোই এক সুতোয় গাঁথা। কারও সাহায্য ছাড়া চলা যায় না, অথচ আধুনিক কালের ছেলেমেয়েদের সঙ্গে তাল মেলাতে না পেরে আজ আমি এখানে। কিন্তু সবাইকেই বুঝতে হবে, প্রত্যেকেরই বয়স হবে। আজ আমি যাদের জন্য এখানে-তাদেরও একদিন এখানে আসতে হতে পারে। কারণ প্রকৃতি কাউকে ক্ষমা করে না।’ সন্তর্পণে চোখ মুছেন তিনি।

এই নারী আরও বলেন, ‘অন্যের সন্তানকে স্কুলে নৈতিকতা শিক্ষা দিয়েছি, কিন্তু নিজের ঘরেই সেটা করতে পারিনি। কিন্তু একটা মানুষ একা থাকতে পারে না-এই সামাজিক মূল্যবোধগুলো জাগিয়ে তুলতে হবে। মানুষ সামাজিকতা ভুলে গেছে। গাদা গাদা বই পড়ে বড় অফিসার হয়তো হওয়া যায় কিন্তু মানুষ হওয়া যায় না।’

মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া ৭৮ বছরের চন্দনা শতদ্রু (মিনি মর্জিনা) লেখাপড়া করেছেন সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছেন। ২০১৫ সাল থেকে এখানে আছেন। তিনি বলেন, ‘আগে তো এসব ওল্ড হোম ছিল না, কিন্তু এখন কেন হচ্ছে? আগে তো একান্নবর্তী পরিবার ছিল-এখন কেন থাকছে না। ছেলেমেয়েরা কি দুজন মানুষকে খরচ দিয়ে চালিয়ে রাখতে পারে না– প্রশ্ন করে তিনি বলেন, মানুষ সামাজিকতা ভুলে গেছে, প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে শিকড় ভুলে গেছে।’

ছোটবেলা থেকেই খুব ভালো গান গাইতেন নাদিরা রহমান। তিনি বলেন, ‘গান গেয়েছি-ভাইয়ের মায়ের এত স্নেহ কোথায় গেলে পাবে কেহ। কই গেল সেই গানের কথা? এখন তো কোথাও কোনও ভালোবাসা নেই, স্নেহ নেই, শ্রদ্ধা নেই। তাই ছোটবেলা থেকে পাঠ্যপুস্তকে একটা অধ্যায় রাখতে হবে। যেখানে শেখানো হবে, বৃদ্ধ বাবা-মাকে ছেলেমেয়েদের দেখতে হবে, কী দরকার আমাদের দেশে এসব প্রতিষ্ঠানের (বৃদ্ধ নিবাস)।’

তিনি বলেন, ‘ছোটবেলার শিক্ষাটা মজ্জাগত হয়, সারাজীবন মনে থাকে। বিদ্যালয়গুলোয় সেমিনার করতে হবে, ছোটবেলাতেই তাদের বোঝাতে হবে, এ শিক্ষাটা দিতে হবে যে বৃদ্ধ হলে বাবা-মাকে তোমাদের দেখতে হবে। বংশ পরম্পরায় এটা দায়িত্ব হয়ে এসেছে সমাজে, সেই দায়িত্ববোধকে কোনোভাবেই এড়ানো যাবে না। তাদের দেখতে হবে, ব্যবস্থা করতে হবে। কয়েক বছর পর যখন বৃদ্ধদের সংখ্যা বাড়বে তখন তারা যাবে কই। সরকার কতজনকে এরকম ওল্ডহোমে রাখবে।’

যুক্তরাষ্ট্র থেকে গত এপ্রিলে দেশে ফিরে এই নিবাসে আশ্রয় নিয়েছেন ফিরোজা বিশ্বাস। স্বামী মারা গেছেন। পাঁচ ছেলেমেয়ের মধ্যে দুজন যুক্তরাষ্ট্র, দুজন কানাডা আর একজন আছেন অস্ট্রেলিয়াতে। তিনি বলেন, ‘সবাই যে যার কাজে চলে যায়, একা খুব বোরিং লাগতো। ছেলে-ছেলের বউরা কাজে চলে যেত, কিছুদিন নাতি-নাতনিদের সঙ্গে কাটিয়েছি। তারাও এক সময় বড় হলো, যার যার নিজের জগৎ হলো। তখন আমি একা হয়ে গেলাম আবার। কিন্তু আমি কথা বলতে ভালোবাসি। চেয়েছিলাম স্বামীর কবরের পাশে আমার কবর হোক। সে ব্যবস্থাও আমি করে রেখেছিলাম আগেই। আমরা স্বামী-স্ত্রী যতোটা না ছিলাম, তার চেয়েও বেশি ছিলাম বন্ধু।’

তিনি বলেন, ‘ফেলে আসা জীবন আনন্দের, কিন্তু সেটা নিয়ে চোখের পানি ফেলি না আমি।’ আমেরিকার বিলাসি জীবন ছেড়ে এই প্রবীণ নিবাসে একা আছেন, আপনার ঘুম হয়– প্রশ্ন করলে অশ্রুসজল চোখে ফিরোজা বিশ্বাস বলেন, ‘স্বাধীন মানুষের ঘুম না হলে কার হবে।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আটলান্টিকের ওপরে অচল হলো বিমানের ইঞ্জিন

আটলান্টিক মহাসাগরের ওপর প্যারিস থেকে লস অ্যাঞ্জেলেসগামী একটি এয়ার ফ্রান্সের বিমানের ইঞ্জিনের কিছু অংশ ভেঙ্গে পড়লে বিমানটি জরুরী অবতরণ করতে বাধ্য হয়।

গ্রিনল্যান্ড পার হয়ে উড়ে যাবার সময় এয়ারবাস এ৩৮০ উড়োজাহাজের চারটি ইঞ্জিনের একটি অচল হয়ে পড়ে।

এয়ার ফ্রান্সের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, বিমানটিতে ৪৯৬ জন যাত্রী এবং ২৪ জন ক্রু ছিলেন। তবে এ ঘটনায় কেউ আহত হয়নি।

ডেভিড রেহমার নামের একজন সাবেক উড়োজাহাজ ম্যাকানিক ঐ বিমানটিতে যাত্রী হিসেবে ছিলেন। তিনি বিবিসিকে বলেন, তার কাছে মনে হয়েছে ইঞ্জিনের ফ্যান বিকল হয়ে পড়ায় এই ঘটনাটি ঘটেছে।

তিনি বলেন, হঠাৎ করেই বিমানটি নড়ে ওঠে এবং এরপর বিকট এক শব্দ শোনা যায়। যাত্রীরা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল।

রেহমার বলেন, কয়েক মুহূর্তের জন্য তার কাছে মনে হচ্ছিল বিমানটি মাটিতে আছড়ে পড়বে।

তবে ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে উড়োজাহজটি স্থিতিশীল হবার পর তিনি বুঝতে পারেন যে বিমানের ডানা ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। পাইলটরা খুব দ্রুতই ক্ষতিগ্রস্ত ইঞ্জিনটি বন্ধ করে দেন বলে তিনি জানান।

তিনটি ইঞ্জিনের সাহায্যে প্রায় দেড় ঘণ্টা উড্ডয়নের পর কানাডার পূর্বাঞ্চলে ল্যাব্রেডর বিমানবন্দরে অবতরণ করে বিমানটি।

যাত্রীদের তোলা ছবিতে দেখা যায় ইঞ্জিনের সামনের অংশটি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়ে গেছে এবং ডানার ওপরের অংশও কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

তবে কানাডার ছোট বিমানবন্দরটি এয়ারবাস এ৩৮০-র মত বড় বিমান দেখভাল করার মত উপযুক্ত না হওয়ায় যাত্রীরা বিমানের ভেতরেই আটকে রয়েছেন।

রেহমার বলেন, যাত্রীদের স্থানান্তরের জন্য মন্ট্রিয়াল থেকে দুটি এয়ার ফ্রান্স ৭৭৭ উড়োজাহাজ আসছে বলে তাদের জানানো হয়েছে।

এয়ার ফ্রান্স একটি বিবৃতিতে বলেছে, বিমানটির একটি ইঞ্জিন ‘মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে এবং তাদের কর্মীরা “ঘটনাটি সুচারুভাবে সামাল দিয়েছে”।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কাতালান গণভোট: রাতভর ভোটকেন্দ্র পাহারা দিচ্ছেন বিচ্ছিন্নতাবাদীরা

স্প্যানিশ সরকারের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই স্থানীয় সময় সকাল থেকে গণভোট শুরু হবে বলে জোর দিয়ে বলছেন কাতালান নেতারা।

আঞ্চলিক নেতারা বলছেন, ব্যালট বাক্স তৈরি এবং প্রচুর ভোটার সমাগম হবে বলে তারা আশা করছেন।

তবে ভোটগ্রহণ থামানোর জন্য অতিরিক্ত পুলিশ পাঠাচ্ছে স্প্যানিশ সরকার।

ভোটগ্রহণ শুরু হবার অনেক আগেই গভীর রাত থেকে লাইনে দাঁড়াতে শুরু করেছেন ভোটাররা। বিচ্ছিন্নতার সমর্থনকারী হাজার হাজার মানুষ রাতভর ভোটকেন্দ্র হিসেবে ঘোষিত স্কুলগুলো ঘিরে অবস্থান করছেন।

পুলিশ বলছে তাদেরকে উচ্ছেদ করা হবে।

গণভোটের আয়োজনকারীরা ভোটকেন্দ্র ‘রক্ষার’ জন্য ভোটারদের ভোর ৫ টায় (জিএমটি ৩:০০ টা) উপস্থিত হবার আহ্বান জানিয়েছেন। স্থানীয় সময় সকাল ৯:০০ টায় ভোটগ্রহণ শুরু হবার কথা রয়েছে।

সমাজিক মাধ্যমে দেয়া এক বার্তায় আয়োজকরা বলেছেন “আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে সকল বয়সের প্রচুর মানুষ যেন উপস্থিত থাকেন”, যেকোন পুলিশী বাঁধা শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিহত করারও আহ্বান জানানো হয়।।

রোববার “গণতন্ত্রের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন” স্থানীয় কাতালান একটি টেলিভিশনকে বলেন আঞ্চলিক ভাইস-প্রেসিডেন্ট ওরিওল জাঙ্কারাস।

“আমরা অনেকে বাঁধা অতিক্রম করেছি, এমন কিছু নেই যা আমরা পার হতে পারবো না।” তিনি বলেন “আমরা যদি নিজেদের অধিকার রক্ষা না করি, তাহলে কে করবে?”

ব্যালট পেপারে শুধুমাত্র একটি প্রশ্নই থাকবে: “আপনি কি চান যে কাতালোনিয়া প্রজাতন্ত্রের আদলে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রে পরিণত হোক?” উত্তর দিতে হবে হ্যা অথবা না।

কাতালোনিয়ার জনসংখ্যা ৭৫ লাখ। সুইজারল্যান্ডের জনসংখ্যার সমান। স্পেনের মোট জনসংখ্যার ১৬ শতাংশ এই কাতালোনিয়ায়। স্পেনের উত্তর-পূর্বের এই প্রদেশটির রাজধানী বার্সেলোনা। তাদের আছে নিজস্ব ভাষাও। বার্সেলোনা বিশ্বের অত্যন্ত জনপ্রিয় শহরগুলোর একটি, ফুটবল এবং একই সাথে পর্যটনের কারণে।

স্পেন সরকার বলছে, এই গণভোট অবৈধ। শুধু তাই নয়, আদালত থেকেও এই ভোটের আয়োজন বন্ধ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সৌদি নারীদের জন্য নিষিদ্ধ যে ৭ কাজ

সম্প্রতি দেশটির নারীদের গাড়ি চালানোর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হলেও একই ধরণের আরও ৭টি কাজে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে তাদের বাবা, স্বামী, পুরুষ আত্মীয়ের অনুমতিতে বা বিশেষ ক্ষেত্রে ছেলের অনুমতি নিয়ে এর বেশিরভাগ কাজ করতে পারেন তারা। সংবাদ মাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী সৌদি নারীদের জন্য নিষিদ্ধ কাজগুলো হচ্ছে-

১) পুরুষের সঙ্গে অবাধ বিচরণ: সৌদি নারীরা পুরুষের সঙ্গে অবাধে ওঠাবসা করতে পারেন না। তবে এক্ষেত্রে কিছু ব্যতিক্রম রয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতাল, ব্যাংক, মেডিকেল কলেজ অন্যতম।

২০১৩ সালে দেশটির শপিংমলে পার্টিশান দিয়ে নারী ও পুরুষের জন্য আলাদা ব্যবস্থা রাখা এবং নারী-পুরুষ দুই ধরনের কর্মচারী নিয়োগ করার নির্দেশ দেয়া হয়।

২) পুরো শরীর না ঢেকে জনসমক্ষে যাওয়া: সৌদি নারীদের পূর্ণ শরীর না ঢেকে জনসমক্ষে যাওয়া সম্পূর্ণ নিষেধ। এক্ষেত্রে ওই নারীকে অবশ্যই পূর্ণ শরীর আবৃত করা কালো রঙের পোশাক ‘আবায়া’ পরতে হবে। খুব ঢিলেঢালা আবায়া, যাতে শরীরের কাঠামো বোঝা না যায় এবং ভদ্রতা বজায় থাকে।

৩) ব্যবসা করা: সৌদি নারীরা ব্যবসায় করতে চাইলে তাকে অবশ্যই পুরুষের সাহায্য নিতে হয়। কেনোনা কোনো নারীকে ব্যবসায়িক লাইসেন্স বা ঋণ পেতে দুইজন পুরুষের সুপারিশ জোগাড় করতে হয়। দুইজন পুরুষের সুপারিশ ছাড়া কোনো নারী ব্যবসায়িক লাইসেন্স বা ঋণ পান না।

৪) সন্তানকে হেফাজতে রাখা: সৌদি আরবে কোনো পরিবারে তালাক হলে নির্দিষ্ট সময় পর তালাকপ্রাপ্ত নারী তার সন্তানকে নিজের কাছে রাখতে পারবেন না। সেক্ষেত্রে ছেলেদের জন্য ৬ বছর ও মেয়েদের জন্য ৯ বছর বয়স পর্যন্ত নারী তার সন্তানকে নিজের কাছে রাখতে পারবেন।

৫) ন্যাশনাল আইডি ও পাসপোর্ট আবেদন: দেশটির নারীরা ইচ্ছা করলেই জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারেন না। এই দুটির জন্য আবেদন করতে হলে অবশ্যই পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি নিতে হয়।

৬) রেস্টুরেন্টে খাবার খাওয়া: নারীরা চাইলেই যেকোনো রেস্টুরেন্টে গিয়ে খেতে পারেন না। যেসব রেস্টুরেন্টে নারীদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা রয়েছে শুধুমাত্র সেখানেই খেতে পারবেন নারীরা। তবে দেশটির বেশিরভাগ রেস্টুরেন্টেই নারীদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা রয়েছে। ওইসব রেস্টুরেন্টে নারীদের প্রবেশ পথ ও আলাদা দরজা থাকাও বাধ্যতামূলক।

৭) আদালতে সাক্ষ্য: কোনো একজন নারী আদালতে সাক্ষ্য দিতে পারেন না। তবে দেশটির আদালতে দুইজন নারীর সাক্ষ্যকে একজন পুরুষের সাক্ষ্য হিসেবে মূল্যায়ন করা হয়। কোনো নারীর একক সাক্ষ্য দেয়ার সুযোগ নেই।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কিডনির কর্মক্ষমতা বাড়ায় যে খাবার

স্বাস্থ্য ও জীবন : শরীরের সুস্থতায় কিডনির ভালো থাকা খুব জরুরি। কিডনি প্রতিদিন প্রায় ১৭০ লিটার রক্ত পরিশোধন করে শরীরকে সুস্থ রাখে। কিডনি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে ও রক্তস্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে। কিডনি রোগ দেহে বিভিন্ন সমস্যা তৈরি করতে পারে, যা অনেক সময় মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তবে খাবারদাবারে একটু সচেতন হলে কিডনির সমস্যা অনেকটাই প্রতিরোধ করা সম্ভব।

১) পেঁয়াজঃ পেঁয়াজের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো ফ্লাভোনয়েড। এটি রক্তনালীতে চর্বি জমা প্রতিহত করে। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কিডনিরোগজনিত উচ্চরক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। ক্যান্সার প্রতিরোধেও এর ভূমিকা রয়েছে।

২) অলিভ ওয়েলঃ অলিভ ওয়েল বা জলপাই তেল ব্যবহার করে যেসব দেশে রান্না করা হয় যেসব দেশে কিডনি রোগ, হৃদরোগ, ক্যান্সার ইত্যাদির হার তুলনামূলকভাবে কম হয়। অলিভ ওয়েলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পলিফেনল, যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে চমৎকার কাজ করে। রান্নায় অথবা সালাদে অলিভ ওয়েল যোগ করলে বাড়তি স্বাদ ও পুষ্টির যোগান বাড়ে।

৩) দারচিনিঃ দারচিনি, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার মধ্যে একদিকে যেমন টাইপ ২ ডায়াবেটিস আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমায়, তেমনি কিডনির যাতে কোনও ভাবে ক্ষতি না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখে।

৪) জামঃ সম্প্রতি প্রকাশিত একটি গবেষণা পত্র অনুসারে জামের রস নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস করলে ইউ টি আই সংক্রমণের আশঙ্কা যেমন হ্রাস পায়, তেমনি কিডনি ফাংশনের উন্নতি ঘটে। কিডনি স্টোনের সম্ভাবনা কমাতেও এই প্রকৃতিক উপাদানটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৫) আপেলঃ আপেল দেহের বাজে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। কোষ্টকাঠিন্য প্রতিরোধ করে, হৃদরোগ থেকে সুরক্ষা দেয়, ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। এর মধ্যে রয়েছে উচ্চমাত্রার আঁশ। রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লামেটোরি গুণ, যা প্রদাহরোধে কার্যকর।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
খালি পেটে যে খাবার ভুলেও খাবেন না!

আমরা অনেকে ক্ষুধার কারণে এমন কিছু খাবার খেয়ে ফেলি, যা খেলে অসুস্থ হবার সম্ভাবনা আরও বেশি বৃদ্ধি পায়। আবার রাস্তার ধারের পুরি, মুড়ি বা ভাঁজা-পোড়া খেয়েও আমরা পেট পূজা করে ফেলি। তাই এই প্রতিবেদন পড়ে অবশ্যই খালি পেটে কিছু খাওয়ার আগে আরেকটু ভেবে দেখুন-

১. মশলাদার খাবার: ঘুম থেকে উঠে কখনও মশলাদার খাবার খাওয়া উচিৎ নয়। মাসে দু’একবার আমরা এগুলো খেতেই পারি। তাই বলে, প্রতিদিন এই ধরণের মশলাদার খাবার না খাওয়াই ভাল। আর যদি এমনটা না করি, তাহলে সারাদিন গ্যাস আর পেটের জ্বালায় ভুগতে হতে পারে।

২. কফি: সকালবেলা উঠেই বেশ কড়া করে এক কাপ কফি খেতে দারুণ পছন্দ অনেকের। কিন্তু জানেন কি এমনটা করলে আমাদের শরীরের অনে ক্ষতি হয়ে যায়। কারণ খালি পেটে কফি বা খুব গরম খাবার খেলে শরীরের অন্দরে নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়। সেই কারণেই তো খালি পেটে কফি খাওয়ার আগে পেট ভরে পানি পান করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।

৩. ঠাণ্ডা পানীয়: সকালে ঘুম থেকে উঠেই গরম গরম চা আপনার একদম পছন্দ না। সকালেই ঠাণ্ডার ছোঁয়া নিতে ভাল লাগে। বরফ ডোবানো ঠাণ্ডা চা অথবা কফিই আপনার প্রতিদিনের প্রিয় পানীয়? তাহলে এখনি সাবধান হোন। কারণ সকাল সকাল খালি পেটে এই ধরণের অতি ঠাণ্ডা জাতীয় পানীয় খেলেই সর্বনাশ। কারণ এতে হজমশক্তির সঙ্গে সম্পর্কিত মেমব্রেন বা কোষপর্দা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়।

৪. টক জাতীয় ফল: অনেকেই আছেন যারা ব্রেকফাস্টের সঙ্গে ফল খেয়ে থাকেন। কিন্তু জানেন কি এই সময় কেমন ধরনের ফল খাওয়া উচিত? যেমন- কমলালেবু, পাতিলেবু, বাতাবিলেবু, আনারস, পেয়ারা এই ধরণের ফলগুলি ব্রেকফাস্টের সঙ্গে একদমই খাওয়া উচিত নয়। কারণ খালি পেটে এই ফলগুলি খেলে হজমের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

৫. কলা: খালি পেটে কলা খেতে মানা করেন চিকিৎসকেরা। কারণ কলার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে, যে কারণে খালি পেটে এই ফলটি খেলে হার্টের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest