সর্বশেষ সংবাদ-
দেবহাটায় জাতীয় প্রাণি সম্পদ সপ্তাহ ও প্রাণি সম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধনসাতক্ষীরায় জাতীয় দৈনিক রুপালী বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনসাতক্ষীরার মিঠু খানের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করল বিএনপিকালিগঞ্জে পুকুরের পানিতে দুই শিশুর মৃত্যুদেবহাটায় ৪০ জন উপকার ভোগীর মাঝে ছাগল বিতরণদেবহাটার সরকারি কর্মকর্তা-সুধীজনদের সাথে ডিসির মতবিনিময়সাতক্ষীরার ১৮৫টি ভোটকেন্দ্রের স্কুল সংস্কারে বরাদ্দ প্রায় ৬৪ লাখ টাকাসাতক্ষীরা জেলা রোভারের ৪১ তম কোর্স ফর রোভারমেট এর মহাতাঁবু জলসাশ্যামনগরে বুনো শাকের রান্না প্রতিযোগিতাসাতক্ষীরায় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে রাস্তা সংস্কার কার্যক্রমের উদ্বোধন

এনএসআই’র প্রতিবেদন; চাল সংকটের নেপথ্যে ১০ কারণ

ন্যাশনাল ডেস্ক : সম্প্রতি অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে চালের দাম। তাই জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা(এনএসআই)’র এক গোপন প্রতিবেদনে দাম বৃদ্ধির দশ কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে।

কিছু ব্যবসায়ীরাও দাবি করেন, চাল সংকটের নেপথ্যে রয়েছে ক্ষমতাশালী সিন্ডিকেট। রাজনৈতিকভাবে এরা বেশ ক্ষমতাশালী। তাদের অনেক অর্থও আছে। এরা বিপুল অঙ্কের ব্যাংক ঋণ নিয়ে মৌসুম এলেই নামমাত্র দামে কৃষকের কাছ থেকে কিনে নেন সব ধান। আর মৌসুম ফুরালেই কৃত্রিম সংকট তৈরি করেন। অবৈধ মুনাফা লুটে নেয়াই এর অন্যতম উদ্দেশ্য।

বলা হচ্ছে, চালের মূল্য ১৫ থেকে ১৮ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধির নেপথ্যে থাকা সিন্ডিকেটে দেশের বিভিন্ন জেলার অর্ধশতাধিক শীর্ষ মিলার এবং কৃষিপণ্যের বাজারজাতকারী কিছু কর্পোরেট ব্র্যান্ড ব্যবসায়ী রয়েছেন। অসাধু এসব মিল মালিকের নাম-ঠিকানা দিয়ে এরই মধ্যে গোয়েন্দা প্রতিবেদনটি সরকারের দায়িত্বশীল সব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে রয়েছে- পরিকল্পিতভাবে দাম বাড়াতে ব্যবসায়ীদের নানা অপপ্রচার। ক্ষমতাশালী একটি সিন্ডিকেট চক্র স্বল্প সময়ে অধিক মুনাফা লাভের মনোভাব। এছাড়া কৃষকপর্যায়ে পর্যাপ্ত ধান মজুদ না থাকা। সরকারি মজুদ নিরাপত্তাবলয়ের নিচে নেমে যাওয়া। এ খাতে অবাধে ব্যাংক ঋণ ছাড় এবং সুদের হার বেশি হওয়া। বাজারে টিসিবির শক্তিশালী প্রভাব না থাকা। মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য। হাওরে ফসলের ক্ষতি এবং আকস্মিক বন্যা ও অতিবৃষ্টি।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোসহ (বিবিএস) সরকারি-বেসরকারি একাধিক সংস্থার তথ্যমতে, দেশে দৈনিক জনপ্রতি ৫৬২ গ্রাম চালের চাহিদা রয়েছে। সে হিসাবে দেশের ১৬ কোটি মানুষের জন্য প্রতিদিনের চালের চাহিদা ৮৯ হাজার ৯২০ টন বা ৯০ হাজার টন। ওই হিসাবে এক মাসে চালের প্রয়োজন হয় ২৭ লাখ টন।

জানা যায়, মোটা ও চিকন চালে গড়ে প্রতি কেজিতে ১৬ টাকা মুনাফা ধরে হিসাব করলে প্রতি টনে ১৬ হাজার টাকা বাড়তি মুনাফা করেছে সিন্ডিকেট সদস্যরা। সে হিসাবে এক লাখ টন চালে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে ১৬০ কোটি টাকা। অর্থাৎ ২৭ লাখ টনে প্রতি মাসে চার হাজার ৩২০ কোটি টাকা হিসাবে গত পাঁচ মাসে এই চক্রের পকেটে গেছে ২১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। অর্থাৎ গত পাঁচ মাসে চালের বাজার থেকে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা পকেটস্থ করেছে চালের বাজারের নিয়ন্ত্রক বিশেষ সিন্ডিকেটের সদস্যরা। এমনকি বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর মজুদদারদের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান চালিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কিন্তু রহস্যজনক কারণে এই অভিযানে গুটিকয়েকজন চুনোপুঁটি ব্যবসায়ী ধরা পড়লেও এখনও অধরা নেপথ্যের নায়করা।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, চলতি বছর হাওর অঞ্চলে অকাল বন্যায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এর সঙ্গে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে চাল সংগ্রহেও সংশ্লিষ্টরা ব্যর্থতার পরিচয় দেয়। সামান্য কয়েক টাকা দাম বাড়াতে রাজি না হওয়ায় উত্তরাঞ্চলের চাল ব্যবসায়ীরা এক জোট হয়ে সরকারের কাছে চাল বিক্রি বন্ধ করে দেয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
উপস্থাপনায় নুসরাত ফারিয়া, সঙ্গে মৌসুমী

উপস্থাপক হিসেবেই পরিচিত ছিলেন নুসরাত ফারিয়া। কিন্তু ২০১৫ সালে চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করার পর উপস্থাপনা থেকে দূরে সরে যান এই তারকা। ওই বছরের শেষ দিকে ঘরোয়া ক্রিকেটের বড় আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন। এরপর আর উপস্থাপনা করতে দেখা যায়নি।

আবার উপস্থাপনা করবেন নুসরাত ফারিয়া। জানা গেছে, আগামীকাল সোমবার দুপুরে ঢাকা ক্লাবে চলচ্চিত্র শিল্পী, কলাকুশলী, পরিচালক ও প্রযোজকদের সমন্বয়ে গঠিত ‘চলচ্চিত্র ফোরাম’ নামে একটি সংগঠনের আত্মপ্রকাশ হতে যাচ্ছে। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করবেন তিনি।

নুসরাত ফারিয়া বলেন, ‘এই সময় আমার দেশের বাইরে থাকার কথা ছিল। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার চেয়ারম্যান আবদুল আজিজ এই সংগঠনের সঙ্গে জড়িত আছেন। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করার জন্য তিনি আমাকে অনুরোধ করেছেন। আমিও রাজি হয়ে গেলাম। উপস্থাপনার প্রতি আমার অন্য রকম ভালোবাসা আছে। এটি আমার ভালো লাগার জায়গা। ছবির শুটিংয়ের জন্য বেশির ভাগ সময় দেশের বাইরে থাকতে হয়। তাই সুযোগ হয় না। এবার একটা সুযোগ পেয়ে গেলাম। প্রায় দুই বছর পর উপস্থাপনা করব, একটু ভয় তো হচ্ছেই।’

ভয় কেন? নুসরাত ফারিয়া বলেন, ‘অনেক দিন চর্চা নেই। কোনো বিষয়ে চর্চা না থাকলে তা ঠিকভাবে উঠে আসে না।’

এদিকে অনুষ্ঠানটির অন্যতম আয়োজক প্রযোজক আবদুল আজিজ জানান, নুসরাত ফারিয়ার সঙ্গে চিত্রনায়িকা মৌসুমী অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করবেন। আর নুসরাত ফারিয়া বলেন, ‘একসঙ্গে উপস্থাপনা করব, মজাই হবে। আমাদের দুজনের একটা রি-ইউনিয়ন হবে। কারণ ২০১৫ সালে যুক্তরাজ্যের লোকেশনে “আশিকী” ছবিতে আমরা দুজন একসঙ্গে কাজ করেছিলাম। এরপর একসঙ্গে আর কোনো কাজ করা হয়নি।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ প্রতিযোগিতার নামে মশকরা!

বিনোদন ডেস্ক : শুরুটাই মিথ্যা তথ্য দিয়ে। সদ্য সমাপ্ত মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালের মঞ্চে চ্যাম্পিয়নের নাম ঘোষণায় ভুল করেছেন ভারতীয় উপস্থাপিকা শিনা চৌহান।

গত রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শীর্ষ ১০ প্রতিযোগীর মধ্যে জান্নাতুল সুমাইয়া হিমিকে বিজয়ী ঘোষণা করার কিছুক্ষণের মধ্যেই আয়োজকরা জানান, তিনি হয়েছেন দ্বিতীয় রানারআপ! পরে জান্নাতুল নাঈম এভ্রিলকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। এ নিয়ে উপস্থিত দর্শকদের মধ্যে বেশ বিভ্রান্তি তৈরি হয়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও বিষয়টি নিয়ে বেশ বিতর্ক তৈরি হয়েছে এরই মধ্যে। গতকাল অনেককেই ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে বিষয়টি নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণে মত্ত থাকতে দেখা গেছে। অনুষ্ঠানে দেখা গেছে, উপস্থাপিকার মুখে নিজের নাম সেরা হিসেবে শুনে খুশি হয়েছিলেন হিমি। চীনে আগামী ৩০ ডিসেম্বর বিশ্বসুন্দরীর মঞ্চে উঠবেন এটা ভেবেই যেন খুশির বন্যা বয়ে গিয়েছিল তার মনে।

কিন্তুআনন্দ ছিল ক্ষণস্থায়ী। ভুল স্বীকার করে যখন উপস্থাপিকা আবার জান্নাতুল নাঈম এভ্রিলকে চ্যাম্পিয়ন এবং হিমিকে দ্বিতীয় রানারআপ ঘোষণা করলেন তখন জোর করেই মুখে হাসি ধরে রেখেছিলেন হিমি।

এ ভুল প্রসঙ্গে গতকাল আয়োজক কর্তৃপক্ষ অন্তর শোবিজের চেয়ারম্যান স্বপন চৌধুরী গণমাধ্যমে লিখিত বক্তব্য পাঠিয়েছেন। বক্তব্যে তিনি বলেছেন, ‘আসলে দু’জনের নাম প্রায় একই হয়ে যাওয়ায় সমস্যা হয়েছে। লাইভ টেলিকাস্টের কারণে আমরা হুট করেই জানতে পারি আমাদের হাতে মাত্র কয়েক মিনিট সময় রয়েছে। তখন তাড়াহুড়া করতে হয়েছে।

ভারতীয় উপস্থাপিকা শিনা ঠিকঠাক সব চালিয়ে নিলেও মূল নাম উপস্থাপন করতে গিয়ে ভুল করে ফেলেছেন। এমন ভুল অস্কারের মতো আসরেও হয়। এরপরও আমরা এ ধরনের ভুলের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। সেই সঙ্গে এও বলতে চাই এটাই চূড়ান্ত ফল, এখানে বিভ্রান্তির কোনো সুযোগ নেই।’

কয়েকজন বিচারক গণমাধ্যমকে বলেন, এটা খুব অন্যায় হয়েছে। আমাদের সবার কাছে যে প্রথম হয়েছে, তাকে প্রথম করা হয়নি। যাকে প্রথম করা হয়েছে, সে আমাদের প্রথম তিনজনের তালিকায়ও ছিল না। যেহেতু এটা একটা আন্তর্জাতিক ইভেন্ট, তাই আমরা এমন একজন প্রতিযোগীকে বাছাই করতে চেয়েছি, যে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে তুলে ধরতে পারবে। আমরা একবাক্যে জেসিকা ইসলামকে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে নির্বাচিত করি। শুক্রবার রাতে যা ঘটল, তা আমাদের জীবনে খুব খারাপ একটা অভিজ্ঞতা হয়ে থাকল। এত বড় একটা অন্যায় এভাবে হবে, ভাবতেও পারিনি।

তারা বলেন, আয়োজকেরা যদি নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয়, তাহলে তো বিচারক হিসেবে আমাদের রাখার প্রয়োজন ছিল না। আমাদের জন্য এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। নাম ঘোষণার ওই মুহূর্তে এত মানুষের সামনে আমরা আয়োজকদের অপমান করতে চাইনি। এখন মনে হচ্ছে, তখন আমাদের এই কাজটি করা উচিত ছিল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পাল্লা দিতে গিয়ে বাস খাদে, নিহত ৭

কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে যাত্রীবাহী একটি বাস পাশের খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে সাত যাত্রী নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৩০ যাত্রী।

আজ রোববার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার নূরীতলা নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহত লোকজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে। হতাহতদের পরিচয় জানা যায়নি।

বাসের আহত যাত্রী সূর্য তালুকদার বলেন, বাসটি আরেকটি বাসের সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে ওই বাসটিকে অতিক্রম করার চেষ্টা করেছিল। এতে একপর্যায়ে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে বাসটি পাশের খাদের পানিতে পড়ে যায়।

ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জীবন চন্দ্র হাজারি বলেন, কুমিল্লার কোম্পানীগঞ্জ থেকে তিশা পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসটি ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। নূরীতলা নামক স্থানে আরেকটি বাসকে অতিক্রম করার সময় চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে বাসটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশের খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে বাসের সাত যাত্রী নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৩০ জন। নিহত যাত্রীদের মধ্যে চারজন পুরুষ, একজন নারী ও দুই শিশু রয়েছে। লাশ হাইওয়ে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। আহত লোকজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। কুমিল্লা হাইওয়ে পুলিশ সুপার পরিতোষ ঘোষ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তালায় কেরোসিন দিয়ে স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে পাষণ্ড স্বামী

আব্দুল জলিল : সাতক্ষীরার তালায় এক গৃহবধুকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে পাষন্ড স্বামী। তার শরীরের ৭৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। এ ঘটনায় স্বামী মুছা গাজীর শরীর কিছুটা পুড়ে গেছে। রোববার ভোরে জেলায় তালা উপজেলার খলিশখালি ইউনিয়নে বাগমারা গ্রামে এ ঘটনাটি।
নিহতের নাম মুন্নি খাতুন (২৫) । সে বাগমারা গ্রামের মুছা গাজীর স্ত্রী।
জানাযায়, প্রায় ৫ মাস আগে মুন্নি খাতুনের একটি বাচ্চা হয়। এ সময় তার সন্তানের নাড়ি ছিড়ে যায়। এ নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে প্রায় ঝগড়া হত। স্বামী তাকে প্রায় মারধর করত। এবং বলতো তুই বাপের বাড়ি চলে যা। তা না হলে তোকে হত্যা করবো। ঘটনার দিন স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কথাকাটি হয়। এবং তাকে মারধর করে। রাতে খাওয়া দাওয়া শেষে ঘুমিয়ে পড়লে তার স্বামী মুছা গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। এ সময় তার আত্মচিৎকারে এলাকাবাসি তাকে উদ্ধার করে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: ফরহাদ জামিল বলেন, গৃহবধুর শরীরের ৭৫ শতাংশ পুড়ে যায়। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করা হয়। আজ সাড়ে ১২ দিকে খুলনায় নিয়ে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে সে মারা যায় ।
সাতক্ষীরা পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা জাকির হোসেন জানান, এ ঘটনায় কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দুদকে র‌্যাবের প্রতিবেদন; ত্রাণের চালও চুরি-আনসার ভিডিপির ১৮৩ টন গায়েব

রক্ষকই ভক্ষক। প্রবাদ বাক্যটি খাদ্য অধিদফতরের কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারীর ক্ষেত্রে একেবারে প্রযোজ্য। কারণ তারা রক্ষক হয়েও সরকারি চাল আত্মসাৎ করেছেন। বস্তাপ্রতি ১০ থেকে ২০ কেজি পর্যন্ত চাল সরিয়েছেন। ত্রাণের চাল থেকে শুরু করে আনসার-ভিডিপির জন্য বরাদ্দ বিপুল পরিমাণ চাল চুরি করেন। এভাবে চুরি করা টন টন চাল বিক্রি করে মোটা অংকের টাকা ভাগবাটোয়ারা করেছেন। গড়েছেন অঢেল সম্পদ। নমুনা হিসেবে রাজধানীর তেজগাঁও গুদামে এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনা একেবারে হাতেনাতে ধরে ফেলেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। এ নিয়ে র‌্যাবের তথ্যবহুল প্রতিবেদনে নামধামসহ বিস্ময়কর সব তথ্য বেরিয়ে এসেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, তেজগাঁও গুদামের ন্যায় দেশের খাদ্য গুদামগুলোতে একই কারচুপি হচ্ছে। আর বাস্তবে তাই যদি হয় তবে নীরবে এক ভয়াবহ দুর্নীতি ভর করেছে সরকারের খাদ্য বিভাগে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকারের দায়িত্বশীল পর্যায় ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উচিত হবে দ্রুত এ চক্রের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া। যদিও ইতিমধ্যে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে র‌্যাবের পক্ষ থেকে দুদকের মহাপরিচালক বরাবর চিঠি দেয়া হয়েছে।

৫ সেপ্টেম্বর র‌্যাবের অভিযানে তেজগাঁও খাদ্য গুদামে হাতেনাতে চাল চুরির ঘটনা ধরা পড়ে। গুদামে কর্মরত সাত কর্মকর্তাকে ‘চাল চোর’ হিসেবে চিহ্নিত করে র‌্যাব। এ ঘটনার পর তেজগাঁও খাদ্য গুদাম থেকে তিন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। ঘটনা তদন্তে দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এদিকে হাতেনাতে ধরা পড়া ৭ কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়াও তেজগাঁও খাদ্য গুদামে সরকারি চাল চুরির সঙ্গে জড়িত আরও অন্তত ১৫ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চিহ্নিত করা হয়েছে। সন্দেহভাজন এসব চাল চোরদের অবৈধ সম্পদসহ ব্যক্তিগত নানা বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে জোরেশোরে।

চোরের খাতায় যাদের নাম : র‌্যাবের অভিযানে তেজগাঁও সরকারি গুদাম থেকে চাল চুরির ঘটনা ধরা পড়ার পর গুদামের ৭ সরকারি কর্মকর্তার মুখোশ খুলে যায়। তাদের বিরুদ্ধে চাল চুরির অকাট্য প্রমাণ মেলে। চাল চুরির টাকায় এদের অনেকে অঢেল সম্পদ গড়েছেন। কেউ কেউ রাজধানীর কয়েকটি এলাকায় বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে রাজকীয় জীবনযাপন করেন।

র‌্যাব জানায়, গুদামের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনেকে নিজেরাই চোর সিন্ডিকেটের সদস্য। যাদের অনেকে বছরের পর বছর একই স্থানে কর্মরত। ৭ থেকে ১০ বছরেও তেজগাঁও গুদাম থেকে অন্যত্র বদলি হননি কয়েকজন কর্মকর্তা। বহু বছর একই স্থানে থাকার কারণে তারা শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছেন। কয়েক কর্মকর্তা আকণ্ঠ দুর্নীতিতে নিমজ্জিত।

সূত্র জানায়, চাল চোরদের চিহ্নিত করে র‌্যাবের পক্ষ থেকে একটি প্রতিবেদন দুদকে পাঠানো হয়। ওই তালিকায় দুর্নীতিবাজদের একটি তালিকাও সংযুক্ত করা হয়েছে। এতে এক নম্বরে আছে খাদ্য কর্মকর্তা নান্নু মিয়ার নাম। তিনি উপ-খাদ্য পরিদর্শক। তার পোস্টিং মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় হলেও বিশেষ সংযুক্তি নিয়ে বর্তমানে তিনি তেজগাঁও খাদ্য গুদামে কর্মরত। প্রতিবেদনে বলা হয়, ৩ নম্বর গুদামের দায়িত্বে নিয়োজিত এ কর্মকর্তা ওজনে কম দেয়ার মাধ্যমে চাল চুরিতে সিদ্ধহস্ত। তবে তিনি একা নন। সরকারি চালের এ চৌর্যবৃত্তিতে তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী উপ-খাদ্য পরিদর্শক মর্যাদার আরেক কর্মকর্তা। তার নাম মোহাম্মদ হোসেন মামুন। তিনি ১৩ নম্বর গুদামের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। তবে এ দুই কর্মকর্তার উপরে আরও বড় চোর আছেন।

র‌্যাবের প্রতিবেদনে বলা হয়, খাদ্য পরিদর্শক পাপিয়া সুলতানা গুদামের ওজন সেতুর দায়িত্বে নিয়োজিত। তাই তাকে বাদ দিয়ে চুরি সম্ভব নয়। পাপিয়া নিজেও চাল চুরিতে সিদ্ধহস্ত। চোর সিন্ডিকেটের সঙ্গে হাত মিলিয়ে চাল চুরির অভিনব উপায় বের করেন। গুদামের নির্ধারিত ডিজিটাল ওজন সেতু থাকলেও সেটি বেশিরভাগ সময় বিকল করে রাখেন তিনি। এরপর গুদামের পুরনো এবং বিকল অ্যানালগ ওজন সেতুর মাধ্যমে চাল ওজন করা হয়। বিকল মেশিনে ওজনে কম দিয়ে চাল চুরির অভিনব কৌশল রপ্ত করেছেন এ কর্মকর্তা। এভাবে বিকল মেশিনে চাল ওজন তার আরেকটি কৌশলী ফাঁদ। কারণ পরে ওজনে কম দেয়ার বিষয়টি ধরা পড়লে যাতে সোজাসাপ্টা বলে দিতে পারেন- ‘মেশিন নষ্ট থাকায় তিনি বুঝতে পারেননি।’ প্রতিবেদনে বলা হয়, পাপিয়া সুলতানার পোস্টিং দোহার উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে হলেও তিনি তেজগাঁও খাদ্য গুদাম ছাড়তে রাজি নন। তাই তিনিও সংযুক্তি নিয়ে তেজগাঁওয়ে কর্মরত আছেন। তবে শুধু গুদাম বা ওজন শাখার কর্মকর্তাদের যোগসাজশে চাল চুরি সম্ভব নয়। গুদাম থেকে চাল বের করতে হলে আরও কয়েকটি শাখার সহযোগিতা দরকার হয়। এর মধ্যে ফটক শাখা অন্যতম। তাদের সহায়তা ছাড়া চোরাই চাল গুদাম থেকে বের করা অসম্ভব। র‌্যাবের তথ্যানুসন্ধানে বেরিয়ে আসে- চাল চোর সিন্ডিকেটে নাম লিখিয়েছেন ফটক শাখার দায়িত্বে নিয়োজিত খাদ্য পরিদর্শক ইউনুছ আলী মণ্ডল। তিনি কাগজপত্রে তারিখ পরিবর্তনের মাধ্যমে চোরাকারবারিদের সহায়তা করেন। ৫ সেপ্টেম্বর দুটি চাল ভর্তি ট্রাক বের হয় রাত ৮টায়। কিন্তু চোর সিন্ডিকেটের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ইউনুছ আলী তার রেজিস্টারে ট্রাক বের হওয়ার সময় লেখেন বিকাল সাড়ে ৪টা। তেজগাঁও খাদ্য গুদামের প্রধান দারোয়ান মো. হারেজও কম যান না। বাইরের চাল চোরাকারবারিদের সঙ্গে গুদামের অসাধু কর্মকর্তাদের যোগাযোগ ঘটিয়ে দেয়ার দায়িত্ব তার। অর্থাৎ তিনি চোরাই চালের কাস্টমার জোগানদাতা। নানা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কিছুদিন আগে তাকে তেজগাঁও থেকে অন্যত্র বদলিও করা হয়। কিন্তু তিনি সেখানে যোগদান না করে বহালতবিয়তে আছেন। ওদিকে চাল চুরির পর লুকিয়ে রাখার কাজটি করেন উপ-খাদ্য পরিদর্শক আবু সাঈদ। তিনি তেজগাঁওয়ের ৪ ও ৩৪ নম্বর গুদামের ইনচার্জ।

র‌্যাব জানায়, কিছুদিন আগে আনসারের জন্য বরাদ্দ চালের একটি বড় অংশ ওজনে কম দেয়ার মাধ্যমে চুরি করা হয়। এ চোরাই চাল রাখা হয় আবু সাঈদের গুদামে। এছাড়া তার অধীনে থাকা দুটি গুদাম পরীক্ষা করে বড় ধরনের অনিয়ম পাওয়া যায়। দেখা যায়, এ দুটি গুদামের নির্ধারিত মজুদের চেয়ে অন্তত ১৫০ টন চাল কম রয়েছে।

সূত্র জানায়, দুদকে পাঠানো তালিকার ৭ নম্বরে থাকা উপ-খাদ্য পরিদর্শক আবদুল কাদের বকসি বিপুল বিত্তবৈভবের সন্ধান পাওয়া গেছে। তিনি ৬ বছরেরও বেশি সময় ধরে তেজগাঁও খাদ্য গুদামের সবচেয়ে লাভজনক শাখা হিসেবে পরিচিত স্টক শাখায় দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া তিনি যথাক্রমে ১ ও ২ নম্বর গুদামেরও ইনচার্জ। র‌্যাবের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আবদুল কাদের বক্সি চাল কালোবাজারির সঙ্গে সরাসরি জড়িত। র‌্যাবের তল্লাশিতে তার অধীনস্থ ১ নম্বর গুদামে ২০ টন চাল কম পাওয়া যায়। অবৈধ উপায়ে তিনি বিপুল অর্থের মালিক হয়েছেন। চাল চুরির অবৈধ টাকায় তিনি রাজধানীর মোহাম্মদপুরে অভিজাত ফ্ল্যাট কেনেন। রাজকীয় আসবাবে ঠাসা এ ফ্ল্যাটে তিনি বিলাসবহুল জীবনযাপন করেন। এমনকি গুদামের ভেতরেও গভীর রাত পর্যন্ত তিনি নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত।

যেভাবে ধরা পড়ে চুরি : ঢাকা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আবু হোসেন বাবলা তার এলাকার দুস্থ, অসহায় ও দুর্যোগ কবলিত পরিবারের জন্য ত্রাণ হিসেবে সরকারি চালের বরাদ্দ চেয়ে কয়েক মাস আগে আধা সরকারি পত্র (ডিও) দেন। ২৫ অক্টোবর তার ডিওর পরিপ্রেক্ষিতে ৩০ টন চাল বরাদ্দ দেয় ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর। বরাদ্দ পাওয়ার পর ৫ সেপ্টেম্বর বরাদ্দকৃত চাল আনতে তেজগাঁও খাদ্য গুদামে যান এমপি বাবলার প্রতিনিধি হায়দার আলী। ৩০ টন চাল আছে বলে তেজগাঁও খাদ্য গুদাম থেকে তাকে দুটি ট্রাক বুঝিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু ট্রাকে চালের বস্তা কম দেখে হায়দার আলীর সন্দেহ হয়। তিনি বুঝতে পারেন নির্ধারিত চালের চেয়ে অনেক কম চাল দিয়ে তাকে ট্রাক বুঝিয়ে দেয়া হচ্ছে। একপর্যায়ে তিনি খাদ্য গুদামের কর্মকর্তাদের কাছে তার সন্দেহের কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘প্রতেক্যটি বস্তায় আপনারা চাল কম দিয়েছেন বলে মনে হচ্ছে।’ অভিযোগ পেয়ে ট্রাক দুটি খাদ্য গুদামের ওজন সেতুতে তোলা হয়। দেখা যায় দুটি ট্রাকেই কম চাল রয়েছে। ওজনে কারচুপি ধরা পড়ে যাওয়ার পর গুদামের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দ্রুত বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন। এজন্য তারা একটি ট্রাকে ৭ বস্তা এবং অপর ট্রাকে ৪ বস্তা করে মোট ১১ বস্তা চাল তুলে দেন। ততক্ষণে গুদাম কর্মকর্তাদের যোগসাজশে চাল চুরির ঘটনা গোপনে র‌্যাবের কাছে পৌঁছে যায়।

সূত্র জানায়, গোপন সংবাদ আসার পর তাৎক্ষণিক গুদামের বাইরে অবস্থান নেয় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে র‌্যাব-২ এর একটি দল। গুদাম থেকে দুটি ট্রাক বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা আটক করে র‌্যাব। এরপর ট্রাক দুটি গুদামে নিয়ে কাগজপত্র যাচাই করতে শুরু করেন র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। গুদামের ম্যানেজার হুমায়ুন কবিরকে ডেকে পাঠানো হয়। কিন্তু হুমায়ুন কবির লাপাত্তা। তেজগাঁও খাদ্য গুদামে র‌্যাবের অভিযানের খবর ততক্ষণে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে একে একে আসতে শুরু করেন খাদ্য অধিদফতরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে শেষ পর্যন্ত হুমায়ুন কবিরও ঘটনাস্থলে হাজির হন। কিন্তু গভীর রাত হয়ে যাওয়ায় ট্রাক থেকে প্রতিটি বস্তা নামিয়ে ওজন করা সম্ভব হয়নি। রাত সাড়ে ১১টায় জব্দ তালিকা তৈরি করে চালসহ দুটি ট্রাক তেজগাঁও খাদ্য গুদামের ম্যানেজারের জিম্মায় দিয়ে আসে র‌্যাব। পরদিন দুপুর ২টায় খাদ্য অধিদফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে ট্রাকের চাল নামিয়ে প্রতিটি বস্তা পৃথকভাবে ওজন করা শুরু হয়।

র‌্যাব জানায়, বস্তা খুলে ওজন করা শুরু হলে গুদামের কয়েকজন কর্মকর্তা রীতিমতো কাঁপতে শুরু করেন। কারণ প্রায় প্রতিটি বস্তাতেই চাল কম। কোনো বস্তায় ১২ কেজি কোনো বস্তায় ১৪ কেজি, আবার কোনো বস্তায় চাল আছে মাত্র ২০ কেজি। অথচ প্রতি বস্তায় চাল থাকার কথা ৩০ কেজি করে। মোট বরাদ্দ অনুযায়ী দুই ট্রাকে ৩০ হাজার কেজি চাল থাকার কথা। কিন্তু ত্রাণের জন্য বরাদ্দ ৩০ টন চালের প্রায় অর্ধেকই চুরি করেন গুদাম কর্মকর্তারা। প্রতিটি বস্তা ধরে ওজন করতে গিয়ে দেখা যায়, কারচুপির মাধ্যমে গুদামের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ৯ হাজার ৪৯৫ কেজি চাল চুরি করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক র‌্যাবের একজন কর্মকর্তা বলেন, চাল চুরির এমন ঘটনা হাতেনাতে ধরা পড়ার পর দুটি ট্রাক জব্দ করা হয়। এরপর কর্তব্যরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গুদামে রক্ষিত বিভিন্ন নথিপত্র পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেন। কয়েকটি কাগজপত্র পরীক্ষা করতে গিয়ে আরও একটি বড়সড় চুরির ঘটনা ধরা পড়ে।

সূত্র জানায়, র‌্যাবের তল্লাশিতে আনসার ও ভিডিপিকে ২৫৮ টন চাল সরবরাহের একটি রেকর্ড পাওয়া যায়। দেখা যায় ৩, ৩৪ ও ৩৯ নম্বর গুদাম ঘর থেকে এ চাল সরবরাহ করা হয়েছে। গুদামের প্রধান ফটকে রক্ষিত গেট পাস রেজিস্টারেও এ চাল বের হওয়ার তথ্য পাওয়া যায়। কিন্তু আনসারকে এত বিশাল চাল সরবরাহের বিষয়টি নিয়ে র‌্যাবের সন্দেহ হয়। ঘটনাস্থল থেকেই ২৫৮ টন চাল প্রাপ্তির বিষয়ে আনসার ও ভিডিপির উচ্চপর্যায়ে যোগাযোগ করে র‌্যাব। কিন্তু আনসারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২৫৮ টন নয় তারা মাত্র ৭৫ টন চাল পেয়েছেন। আনসারের জন্য বরাদ্দকৃত চাল সরবরাহে এমন জালিয়াতি ধরা পড়ার পর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে র‌্যাব। তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়, ২৫৮ টন চালের মধ্যে ৭৫ টন দেয়া হলে বাকি ১৮৩ টন চাল কোথায় আছে। কিন্তু এ বিষয়ে উপস্থিত কর্মকর্তাদের কেউই সদুত্তর দিতে পারেননি। পরে জানা যায়, আনসারের জন্য বরাদ্দকৃত চালের মধ্য থেকে ১৮৩ টন চাল ৩৪ নম্বর গুদামে লুকিয়ে রাখা হয়েছে। এমন তথ্য পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ৩৪ নম্বর গোডাউনটি সিলগালা করে দেন র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তেজগাঁও খাদ্য গুদামের ম্যানেজার হুমায়ুন কবির বলেন, র‌্যাবের অভিযানের পর মন্ত্রণালয় ও খাদ্য অধিদফতর থেকে দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে খাদ্য পরিদর্শক পাপিয়া সুলতানা, উপ-খাদ্য পরিদর্শক নান্নু মিয়া ও মোহাম্মদ মামুন হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। অন্যদের বিষয়েও তদন্ত চলছে। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, র‌্যাব যেসব অভিযোগ এনেছে তার সবগুলো সঠিক নয়। গুদামের ভেতর অনৈতিক কাজ ও বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে উপ-খাদ্য পরিদর্শক আবদুুল কাদের বকসি শুক্রবার রাতে বলেন, এসব অভিযোগ মোটেও সঠিক নয়। তবে গুদামের ক্লাবে জুয়া খেলা হয় এমন কথা তিনি বিভিন্ন সময় শুনেছেন। কিন্তু তিনি কখনও এসব কাজে জড়িত ছিলেন না।

সূত্র : যুগান্তর।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনা সভা

মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : ‘সামাজিক অগ্রগতিতে প্রবীণদের মেধা, অবদান ও অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করুন’ এই সেøাগানকে সামনে রেখে সাতক্ষীরায় সিটিজেন ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস-২০১৭ উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার সকালে শহরের খুলনা রোড এলাকা থেকে একটি র‌্যালি বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ মিলনায়তনে আলোচনা সভাস্থলে গিয়ে মিলিত হয়।

সিটিজেন ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. সুশান্ত ঘোষের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা তালা-কলারোয়া-০১ আসনের সংসদ সদস্য এড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি এড. এস.এম হায়দার, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর লিয়াকত পারভেজ, দৈনিক দক্ষিণের মশাল পত্রিকার সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক-ই এলাহী, বিশিষ্ট পরমানু বিজ্ঞানী ড. মতিউর রহমান, সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদ ও মো. হাদিউজ্জামান, সাবেক প্রভাষক ভূধর চন্দ্র সরকার, শেখ আজিজুল হক, কাজী হেলাল, শিরিনা পারভীন ও মনিরুল ইসলাম মীম। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন পল্টু বাসার।

আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনা সভা
‘ভবিষ্যৎ অগ্রসরে সমাজে প্রবীণদের দক্ষতা, অবদান এবং অংশগ্রহন নিশ্চিত করুন’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে সাতক্ষীরায় আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস-২০১৭ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার সকালে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে থেকে র‌্যালিটি বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ শেষে জেলা অফিসার্স ক্লাবে আলোচনা সভাস্থলে গিয়ে মিলিত হয়। প্রবীণ হিতৈষী সংঘ সাতক্ষীরা ও জেলা সমাজসেবা অধিদফতর সাতক্ষীরা এবং সরকারি ও বেসরকারি সংগঠনের অংশগ্রহণে সাবেক অধ্যক্ষ শেখ আব্দুল ওয়াদুদ এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম, জেলা সমাজসেবা অধিদফতরের উপ-পরিচালক দেবাষিস সরদার ও সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিয়া উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা সমাজসেবা অধিদফতরের সহকারী পরিচালক হারুন অর রশিদ, জেলা প্রবেশনাল অফিসার মিজানুর রহমান, শহর সমাজসেবা অফিসার শেখ সহিদুর রহমান ও আব্দুর রব ওয়ার্ছি। অনুষ্ঠানে প্রতিবছরের ন্যায় বৃদ্ধ পিতা-মাতাকে সেবার জন্য দুইজনকে মমতা ও মমতাময়ী পুরস্কার দেওয়া হয়। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মোজাম্মেল হোসেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তালায় স্বামী কর্তৃক স্ত্রীর গায়ে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরার তালায় স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে গায়ে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রোববার ভোর রাতে তালা উপজেলার খলিশখালি ইউনিয়নে বাগমারা গ্রামে এ ঘটনাটি। অগ্নিদগ্ধ গৃহবধুর নাম মুন্নি খাতুন (২৫)। তিনি ওই গ্রামের মুছা গাজীর স্ত্রী। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মুন্নির শরীরের ৭৫ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় মুন্নি আতœরক্ষার চেষ্টা করলে তার স্বামীর শরীরও কিছুটা পুড়ে যায়।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অগ্নিদগ্ধ মুন্নি খাতুন জানান, প্রায় ৫ মাস আগে তার একটি শিশু সন্তানের জন্ম হয়। ওই শিশু জন্মের সময় তার সন্তানের নাড়ি ছিড়ে যায়। এ নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকতো এবং তাকে মারধর করতো। এক পর্যায়ে তার স্বামী মুছা গাজী তাকে বাপের বাড়ি চলে যেতে বলেন। আর বাপের বাড়ি না গেলে তাকে হত্যা করবে বলে হুমকি প্রদান করতেন। এরই জের ধরে রোববার রাতে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কথাকাটি হয় এবং তাকে মারধর করে। এর পর রাতে খাওয়া দাওয়া শেষে ঘুমিয়ে পড়ার পর ভোর রাতে তার স্বামী মুছা তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। এ সময় মুন্নি আতœরক্ষার চেষ্টা করলে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তার স্বামীর শরীরের কিছুটা পুড়ে যায়। পরে তার আত্মচিৎকারে এলাকাবাসি তাকে উদ্ধার করে মুমুর্ষ অবস্থায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: ফরহাদ জামিল বলেন, গৃহবধুর শরীরের ৭৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
সাতক্ষীরার তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা জাকির হোসেন জানান, ঘটনাটি লোক মুখে শুনেছি। তবে, এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত থানায় কেউ থানায় অভিযোগ দেননি। অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest