সর্বশেষ সংবাদ-
কালিগঞ্জে পুকুরের পানিতে দুই শিশুর মৃত্যুদেবহাটায় ৪০ জন উপকার ভোগীর মাঝে ছাগল বিতরণদেবহাটার সরকারি কর্মকর্তা-সুধীজনদের সাথে ডিসির মতবিনিময়সাতক্ষীরার ১৮৫টি ভোটকেন্দ্রের স্কুল সংস্কারে বরাদ্দ প্রায় ৬৪ লাখ টাকাসাতক্ষীরা জেলা রোভারের ৪১ তম কোর্স ফর রোভারমেট এর মহাতাঁবু জলসাশ্যামনগরে বুনো শাকের রান্না প্রতিযোগিতাসাতক্ষীরায় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে রাস্তা সংস্কার কার্যক্রমের উদ্বোধনতারেক রহমানের জন্মদিনে সাতক্ষীরায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ছাত্রদলের শিক্ষা উপকরণ বিতরণদেবহাটায় উপজেলা মাসিক আইনশৃঙ্খলা ও উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভামহেশ্বরকাটি বাজারে বিএনপির প্রার্থী কাজী আলাউদ্দিনের লিফলেট বিতরণ

মডেল থেকে জঙ্গি : ল্যাপটপে চাঞ্চল্যকর তথ্য!

মডেল থেকে জঙ্গি খাতায় নাম লেখান মেহেদী হাসান। এরপর ধরা পড়েন র‌্যাবের হাতে। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়, তৌহিদ, সাজিদ, কামাল ও অপুসহ আরো অন্তত ২০ জন নব্য জেএমবি সদস্যের নাম। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছে র‌্যাব।

তাকে আটকের পর ৪ দিনের রিমান্ডের দুই দিন জিজ্ঞাসাবাদ শেষে র‌্যাব-৩ এর পরিচালক লে. কর্নেল তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ বলেন, মেহেদী হাসান নব্য জেএমবির গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছিল। তার সঙ্গে বিদেশি মৌলবাদী গোষ্ঠীর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। বিশেষ করে নাশকতার পরিকল্পনা করে বিদেশি টাকায় বোমা তৈরির প্রস্তুতি নিয়েছিল সে।

ব্রিগেড আদ-দার-ই কুতনী’কে শক্তিশালী করতে তার মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে মাঠ পর্যায়ে সক্রিয় রয়েছে। ওইসব সদস্যরা নিয়মিতভাবে তাকে অর্থ দিত। যা জঙ্গি কার্যক্রমে ব্যয় হতো।

তার কাছ থেকে একটি ল্যাপটপ উদ্ধার করেছে র‌্যাব। এ ল্যাপটপে থাকা তথ্যের মাধ্যমে র‌্যাব জানতে পেরেছে, মেহেদী হাসান ওরফে আবু জিব্রিল নব্য জেএমবির শীর্ষ পর্যায়ের নেতা হওয়ার চেষ্টা করেছিল। ইন্টারনেটের মাধ্যমে তার সঙ্গে বিদেশি জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর নিয়মিত যোগাযোগ ছিল।

ঢাকা, টাঙ্গাইল ও রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে জঙ্গি হামলায় উদ্বুদ্ধ সদস্যদের মাঝে শপথ (বাইয়্যাত) প্রদান করে সে। ওই শপথ (বাইয়্যাত) এর ভিডিও চিত্র ধারণ করে বিভিন্ন অ্যাপসের মাধ্যমে উগ্রবাদী চ্যানেলে প্রচারের মাধ্যমে সহযোগীদের উদ্বুদ্ধ করতো মেহেদী হাসান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রোহিঙ্গা তাড়াতে গিয়ে ভয়াবহ ক্ষতির মুখে মিয়ানমার; রয়টার্সের প্রতিবেদন

রাখাইন রাজ্যে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে জাতিগত নিধনযজ্ঞের অভিযোগে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমালোচনার মুখে রয়েছে অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন মিয়ানমার সরকার।

সু চির হাত ধরে কথিত গণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিপুল আন্তর্জাতিক বিনিয়োগের প্রত্যাশা করেছিল দেশটি। তবে রাখাইনে মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতি ও রোহিঙ্গা সঙ্কটের কারণে অনেক আন্তর্জাতিক কোম্পানি মিয়ানমারে বিনিয়োগ করা থেকে পিছু হটছে।

কথিত গণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় আসার হওয়ার পর বিপুল আন্তর্জাতিক বিনিয়োগের আশা করেছিল মিয়ানমার। বিদেশী কোম্পানিগুলোর মধ্যে বিনিয়োগের আগ্রহও দেখা গিয়েছিল।

তবে রাখাইন রাজ্যে শোচনীয় মানবাধিকার পরিস্থিতির কারণে অনেক বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানই পিছু হটছে। মিয়ানমারে বিনিয়োগ করলে সুনাম ক্ষুণ্ণ হওয়ার আশঙ্কা করছে এসব আন্তর্জাতিক কোম্পানি।

মিয়ানমার সবচেয়ে বেশি বাণিজ্য করে থাকে চীনের সাথে। সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, জাপান এবং ভারতও মিয়ানমারের বড় ব্যবসায়িক অংশীদার। অতীতে মিয়ানমারের ওপর যে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ হয়েছিল তাতে এ পাঁচ দেশের কেউই অংশ নেয়নি।

তবে দেশটিতে পশ্চিমা বাণিজ্য ও বিনিয়োগের পরিমাণ খুবই কম। অবশ্য চলতি বছর কয়েক ধাপে সংস্কার আনার পর দেশটি আশা করছিল এর মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞায় থমকে যাওয়া অর্থনীতির দুয়ার খুলবে এবং সামরিক শাসনের আওতায় কয়েক দশকের অব্যবস্থাপনার অবসান হবে।

মিয়ানমারের বাণিজ্যিক রাজধানী ইয়াঙ্গুনের কর্মকর্তারা গত জুনে যখন ছয়টি ইউরোপীয় দেশ সফরে গিয়েছিলেন তখন পরিবহন, জ্বালানি ও শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ জোরদার হওয়ার আশা করছিলেন তারা। এখন আন্তর্জাতিক অবরোধগুলোর বেশির ভাগই তুলে নেয়া হয়েছে।

এর ফলে পশ্চিমা মুদ্রার বন্যা বয়ে যাওয়ার যে আশা করা হচ্ছে তা সু চির গুরুত্বপূর্ণ অর্জন বলে মনে করা হচ্ছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জেলা পুলিশের অভিযানে ৪২ জন আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের অভিযানে শনিবার সন্ধ্যা থেকে রবিবার ভোর পর্যন্ত বিভিন্ন মামলার জেলার ৮টি থানা থেকে ৪২জন আসামীকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় ১৪জন, কলারোয়া উপজেলায় ৬জন, তালা উপজেলা ৪জন, কালিগঞ্জ উপজেলায় ২জন, শ্যামনগরে ৫জন, আশাশুনিতে ৪জন, দেবহাটায় ৫জন ও পাটকেলঘাটায় ২জন। আটককৃতদের কাছ থেকে ৫ বোতল ফেন্সিডিল, ১০ পিচ ইয়াবা, ও একটি মটরসাইকেল উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা পুলিশ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জিতেই চলেছে বার্সেলোনা

জিতেই চলেছে বার্সেলোনা

কর্তৃক Daily Satkhira

লা লিগার নবাগত দল জিরোনাও থামাতে পারেনি বার্সেলোনাকে। শনিবার কাতালান ডার্বিতে ৩-০ গোলে জিতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান ধরে রাখলো এর্নেস্তো ভালভারদের শিষ্যরা। ২০১৪ সালের পর প্রথমবার লা লিগায় প্রথম ৬ ম্যাচই জিতলো বার্সেলোনা।

১৯৪৯ সালের পর প্রথমবার স্পেনের কোনও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল জিরোনা ও বার্সেলোনা। ৬৮ বছর আগের ওই স্প্যানিশ কাপের লড়াইয়ে ৯-০ গোলে জিরোনাকে উড়িয়ে দিয়েছিল বার্সা। এবার কিন্তু সেই লজ্জার পুনরাবৃত্তি হয়নি। বরং প্রথম সুযোগ তৈরি করে জিরোনা। ১১ মিনিটে লক্ষ্যে তারা ভালো একটা চেষ্টা নিয়েছিল। দুই মিনিট পর বার্সা গোলরক্ষক মার্ক টার স্টেগেনের কঠিন পরীক্ষা নিয়েছে তারা। ডগলাস লুইসের শক্তিশালী শট ডাইভ দিয়ে ঠেকান স্টেগেন, কিন্তু তার হাতে লেগে বল ফিরে এলে আবার লক্ষ্যে শট নেন ওলুঙ্গা। এবারও প্রতিহত করেন বার্সা গোলরক্ষক।

১৫ মিনিটে লুইস সুয়ারেস ও মেসির বোঝাপড়ার অভাবে বার্সা গোলমুখ খুলতে পারেনি। দুই মিনিট পর মেসির ফ্রিকিক স্বাগতিক গোলরক্ষক ইরাইজজ ঠেকিয়ে দিলেও কর্নার পায় বার্সা। কর্নার থেকে দুর্দান্ত এক ভলি করেন জর্দি আলবা, সেটা বিপদমুক্ত করতে গিয়ে নিজেদের জালে বল জড়ান জিরোনার আদে।

১-০ গোলে বিরতিতে যাওয়া বার্সার ব্যবধান দ্বিগুণ হয় ৪৮ মিনিটে। এবারও আত্মঘাতী গোল। অ্যালেইক্স ভিদালের ব্যাকহিল আটকাতে গিয়ে নিজের জালে ঠেলে দেন ইরাইজজ। অন্যপ্রান্তে বার্সার গোলরক্ষক টার স্টেগেন ৫৪ মিনিটে ওলুঙ্গার হেড ঠেকিয়ে দলকে পেছনে পড়তে দেননি। জিরোনার ফেরার সব সম্ভাবনা শেষ হয় ৬৯ মিনিটে। সের্হিয়ো রবার্তোর ক্রসে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বার্সার তৃতীয় গোল করেন সুয়ারেস। বার্সেলোনার জার্সিতে শততম লিগ ম্যাচ তিনি স্মরণীয় রাখলেন ওই গোলে।

এ জয়ে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে সবার উপরে থাকলো বার্সা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শেখ হাসিনাকে হত্যার ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্র বানচালের খবর ফাঁস

চার সপ্তাহ আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার একটি ষড়যন্ত্র বানচাল করে দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ অনুগত এবং জঙ্গি-সন্ত্রাসবিরোধী কর্মকর্তারা। এ খবর প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম নিউজ ১৮।

সংবাদমাধ্যমটি ঢাকার দুটি ও আন্তর্জাতিক দুটি সূত্রের বরাত দিয়ে বলেছে, ২৪ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার প্রস্তুতি নিয়েছিল পরিকল্পনাকারীরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এসএসএফের এক শীর্ষ কর্মকর্তার সূত্র দিয়ে সংবাদমাধ্যমটিতে লেখা হয়েছে, জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) এই হামলার পরিকল্পনা সমন্বয় করছিল। পরিকল্পনা অনুযায়ী জেএমবির জিহাদিরা প্রধানমন্ত্রীর অফিসের চারপাশে সিরিজ বোমার বিষ্ফোরণ ঘটাতো। ফলে বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীর মনোযোগ সেদিকে আকর্ষিত হতো। তখন হত্যাকারীর পালানোর পথ তৈরি হতো। এ পরিকল্পনাটি গ্রহণ করা হয়েছিল ইন্দিরা গান্ধীকে হত্যার ঘটনা থেকে।

পরিকল্পনাটি নস্যাৎ হয় ভারতীয় ও বাংলাদেশি জঙ্গি-সন্ত্রাসবিরোধী কর্মকর্তাদের বুদ্ধিমত্ত্বায়। ব্যাপারটি বুঝতে পেরে প্রধানমন্ত্রীকে তার অফিসের বাইরে থাকার পরামর্শ দেয় জঙ্গি-সন্ত্রাসবিরোধী কর্মকর্তারা। যেখানে একটি আন্তঃবলয় তৈরি করে তার বিশেষ অনুগতরা। তারপর তারা দুর্বৃত্তদের আটক করে এবং প্রধানমন্ত্রীকে নিরাপদে অফিসে ফিরে আসার রাস্তা তৈরি করে।

সূত্র অনুযায়ী, ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে এটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার ১১তম ষড়যন্ত্র। সন্দেহভাজনদের আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হচেছ।

সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, এ ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর সুরক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত ৬ থেকে ৭ জন বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীর (এসএসএফ) সদস্য প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র নিচ্ছিল। এটি হতো একটি ‘ইনসাইড জব’। যার বাইরে থেকে তাদের সমর্থনে থাকতো জেএমবি।

প্রসঙ্গত, জেএমবি একটি আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠী। যারা বাংলাদেশে অনেক বোমা হামলার দায় স্বীকার করেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জয়ে ফিরলো রিয়াল মাদ্রিদ

জয়ে ফিরলো রিয়াল মাদ্রিদ

কর্তৃক Daily Satkhira

রিয়াল বেতিসের কাছে ১-০ গোলে হারের পর জয়ে ফিরেছে রিয়াল মাদ্রিদ। শনিবার লা লিগায় তারা দেপোর্তিভো আলাভেসের বিপক্ষে অগণিত সুযোগ নষ্টের ম্যাচটি জিতেছে ২-১ গোলে।

বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে বুধবারের চ্যাম্পিয়নস লিগ সামনে রেখে রিয়ালে চারটি পরিবর্তন এনেছিলেন জিনেদিন জিদান। টনি ক্রুস ও মার্সেলো ইনজুরিতে; গ্যারেথ বেল ও লুকা মোডরিচ ছিলেন বেঞ্চে। নাচো, দানিয়েল কেবায়োস, মার্কো আসেনসিও ও লুকাসকে একাদশে ডেকেছিলেন ফরাসি কোচ। সামনে জার্মানদের বিপক্ষে বড় পরীক্ষা থাকলেও ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোকে লিগে দ্বিতীয় ম্যাচে খেলান তিনি। কিন্তু ঘুরে দাঁড়ানোর এ ম্যাচে পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড নয়, নায়ক কেবায়োস। প্রথমবার একাদশে সুযোগ পেয়ে দলকে জিতিয়েছেন ২১ বছর বয়সী এ মিডফিল্ডার। ঘরের মাঠে আলাভেস সমতা ফেরালেও পাল্টা গোল করে দলকে শেষ পর্যন্ত স্বস্তিতে রেখেছিলেন কেবায়োস।

১০ মিনিটে আসেনসিওর চমৎকার কাটব্যাক থেকে বল পেয়ে জোরালো শটে ১-০ করেন কেবায়োস। আগের পাঁচ ম্যাচে একটিও গোল না করেনি আলাভেস। সেই দলটিই মৌসুমের প্রথম গোল করে রিয়ালকে ভড়কে দিয়েছিল ৪০ মিনিটে। মুনীর আল হাদ্দাদির ক্রস থেকে মানু গার্সিয়ার বুলেট গতির হেড অতিথিদের জালে জড়ায়। তারা সমতায় বেশিক্ষণ থাকতে পারেনি। তিন মিনিট পর রিয়াল এগিয়ে যায় আবার। গোলমুখে রোনালদো ছিলেন, তাই আলাভেস গোলরক্ষক পাচেকো বল বিপদমুক্ত করতে সামনের দিকে পাঞ্চ করেন। ‍সুযোগ বুঝে বাঁকানো শটে ২-১ করেন কেবায়োস।

বিরতির পর রোনালদো গোলের খাতায় নাম লিখানোর সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু তার শট গোলপোস্টে লেগে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৬২ মিনিটে আরেকবার একইভাবে গোলবঞ্চিত হন পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড। দুই মিনিট পর সের্হিয়ো রামোসের গোলটি বাতিল হয় রোনালদোর ফাউলের কারণে। রিয়াল অধিনায়ক ৭৪ মিনিটে গোলের সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন ক্রসবারের উপর দিয়ে বল মেরে। এর আগে ও পরে ৭০ ও ৭৭ মিনিটে দুইবার আলাভেসের শট গোলপোস্টে লাগে। দুইবারই লক্ষ্যে শট নিয়েছিলেন পেদরাজা। শেষ পর্যন্ত চাপে থাকা রিয়ালই মাঠ ছেড়েছে জয়ের হাসি নিয়ে।

তবে রিয়াল-আলাভেস মুখোমুখি হওয়ার আগে স্প্যানিশ মিডিয়ায় বাবা-ছেলের লড়াই নিয়ে মাতামাতি হয়েছিল। কিন্তু জিদানে ও তার ছেলে এনসো ফার্নান্দেজ মুখোমুখি হওয়ার সুযোগই পাননি। কারণ এনসোকে এদিন দলে রাখেননি আলাভেসের কোচ আন্তোনিও রুবিও।লিগে তৃতীয় জয়ে ৬ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে চারে উঠে এসেছে রিয়াল। শীর্ষ দল বার্সেলোনার (১৫) চেয়ে ৪ পয়েন্ট পেছনে তারা। অন্য ম্যাচে অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ ২-০ গোলে সেভিয়াকে হারিয়ে দুই নম্বরে উঠে এসেছে। ১৪ পয়েন্ট তাদের। মাদ্রিদের দলটির সঙ্গে পয়েন্ট ব্যবধান বাড়িয়ে নিতে জিরোনার বিপক্ষে রাত পৌনে একটায় মাঠে নামবে বার্সেলোনা। ১৩ পয়েন্ট নিয়ে সেভিয়া আছে তিন নম্বরে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রাখাইনে চীনের গুরুত্বপূর্ণ তিনটি অর্থনৈতিক স্বার্থ

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের পশ্চিমে, যেখান থেকে মাত্র ২০০ কিলোমিটার দূরে দেশটির সেনাবাহিনী ক্লিয়ারেন্স অপারেশন চালাচ্ছে, সেখানেই রয়েছে চীনা বিনিয়োগে কাইয়ুকফাইয়ু বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (এসইজেড)। ২০১৩ সালে মিয়ানমার ও চীনা সরকার যৌথভাবে এই বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলে। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে শিল্প ও অবকাঠামো তৈরির জন্য এই শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলা হয়। এই শিল্পাঞ্চলটি ১ হাজার ৭০০ হেক্টর এলাকা নিয়ে গঠিত। শিল্পাঞ্চলটির জন্য মূল বিনিয়োগ সরকারি পর্যায়ে হলেও এতে বিভিন্ন বেসরকারি কোম্পানিও জড়িত হয়। এদের মধ্যে রয়েছে চীনের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান সিটিক গ্রুপ।

ই বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে তিনটি বৃহৎ প্রকল্প রয়েছে। যেগুলোর সঙ্গে চীনের স্বার্থ জড়িত।

গভীর সমুদ্র বন্দর

কাইয়ুকফাইয়ুর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প হচ্ছে এই গভীর সমুদ্র বন্দর। এই প্রকল্পে ব্যয় হচ্ছে ৭ কোটি ৩০ লাখ ডলার।

চলতি বছরের মে মানে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুসারে, সিটিক কনসোর্টিয়ামে তিনটি বড় চীনা কোম্পানি ও থাইল্যান্ডের একটি কোম্পানি রয়েছে। এই বন্দরটির ৭০-৮৫ শতাংশ মালিকানা চেয়েছে সিটিক গ্রুপ। বাকি অংশের মালিকানা থাকবে মিয়ানমার সরকারের কাছে।

অঞ্চলটিতে একটি বন্দর রয়েছে। যদিও এটি মূলত দেশীয় পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় এবং বন্দর আকারেও ছোট। বন্দরটি গভীর সমুদ্র বন্দর হিসেবে পুনর্নির্মিত হলে এর বার্ষিক ক্ষমতা দাঁড়াবে  ৭দশমিক ৮ মিলিয়ন টন কার্গো এবং ৪ দশমিক ৯ মিলিয়ন টিইইউ।

এই বন্দরটি চীনের বেল্প অ্যান্ড রোড উদ্যোগের সামুদ্রিক অবকাঠামোর জন্য কৌশলগভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, পাকিস্তানের গোয়াদর ও শ্রীলংকার কলম্বো বন্দরের সঙ্গে সম্পর্কিত হবে।

বন্দরটি পশ্চিমা দেশ থেকে পণ্য পরিবহনের জন্য চীনের  বিকল্প রুট হিসেবে কাজ করবে। এখন চীনকে তেল আমদানি করতে হয় বিশ্বের সবচেয়ে ব্যস্ত সমুদ্র পথ মালাকা প্রণালী দিয়ে। বন্দরটি হলে এই প্রণালী এড়িয়ে যেতে পারবে চীন।

তেল-গ্যাসের পাইপলাইন

থেলং মিয়ানমার-চীনা তেল ও গ্যাস পাইপ লাইন প্রকল্প বলে পরিচিত এই প্রকল্পটি ২ কোটি ৪৫ লাখ ডলারে নির্মিত হচ্ছে।  রাখাইনের উপকূল থেকে চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইয়ুনান প্রদেশে পর্যন্ত ৭৭১ কিলোমিটার দীর্ঘ এই পাইপলাইন। ২০১০ সালে এটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় এবং চলতি বছরের এপ্রিলে তা চালু করা হয়।

পাইপলাইনটির ৫১ শতাংশ মালিকানা চায়না ন্যাশনাল পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের এবং মিয়ানমারের অয়েল অ্যান্ড গ্যাস এন্টারপ্রাইজের ৪৯ শতাংশ। এই পাইপলাইন দিয়ে ২২ মিলিয়ন টন তেল পরিবহন করা হবে। বর্তর্মানে ১৩ মিলিয়ন টন তেল পরিবহন করা হচ্ছে। এছাড়া ১২ বিলিয়ন কিউবিক মিটার প্রাকৃতিক গ্যাসও বহন করা হবে এই পাইপ লাইন দিয়ে।

এসব তেল আমদানি করা হয় আরব দেশ থেকে। বঙ্গোপসাগর হয়ে জাহাজে এসব তেল-গ্যাস এসে পৌঁছায় কাইয়ুকফাইয়ুতে।

শিল্পাঞ্চল

রাখাইনে দ্বিতীয় বৃহত্তম যে উন্নয়ন প্রকল্প সিটিক কনসোর্টিয়াম দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে হচ্ছে শিল্পাঞ্চল। এটি নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ২.৩ বিলিয়ন ডলার। রয়টার্সের খবর অনুসারে, এই প্রকল্পের ৫১ শতাংশ মালিকানা সিটিক গ্রুপের। ২০১৬ সালের শুরুতে প্রকল্পটির কাজ শুরু হয়।

২০-৩০ বছরের মধ্যে প্রকল্পটির কাজ শেষ হতে পারে। ১০০ হেক্টর এলাকাজুড়ে শিল্পাঞ্চলটি গঠিত হচ্ছে। প্রথম ধাপে কৃষি, ইকোট্যুরিজম এবং শিল্প-কারখানা স্থাপন করা হবে। সূত্র: সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ত্রাণ বিতরণে শৃঙ্খলা আনল সেনাবাহিনী

ন্যাশনাল ডেস্ক : কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ বিতরণে কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। শনিবার দুপুরে কাজ শুরু করেন সেনাসদস্যরা।
সেনাবাহিনী দায়িত্ব নেওয়ার পরই রাস্তার ওপর ত্রাণ বিতরণে এতদিন যে বিশৃঙ্খলা দেখা যেত, তা আর দেখা যায়নি। ফলে সড়ক যোগাযোগের দুর্ভোগ থেকে রক্ষা পেয়ে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন স্থানীয়রা।
এ ছাড়া মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের জন্য সরকার উখিয়ায় যে দুই হাজার একর জমি নির্ধারণ করে দিয়েছে, সেখানে সেনাবাহিনী তৈরি করবে ১৪ হাজার শেড (তাঁবু)। এসব শেডের প্রতিটিতে ছয়জন করে ৮৪ হাজার পরিবারকে বসবাসের সুযোগ করে দেওয়া হবে।
এর আগে শুক্রবার সেনাবাহিনীর সংশ্লিষ্টরা রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় এসে চলমান প্রতিটি কাজ পর্যবেক্ষণ করে প্রাথমিক ধারণা নেন। এরপর কোথায় কী করতে হবে তা নির্ধারণ করে ফিরে যান।
শনিবার দুপুরে ৩৬ বীর, ২৪ বেঙ্গল ও ৬৩ বেঙ্গল নামে সেনাবাহিনীর তিনটি দল রোহিঙ্গাদের আশ্রয়স্থল উখিয়ার কুতুপালং ও বালুখালী যায়।
সেখানে কাজ করতে আসা সেনাদের ক্যাম্প কমান্ডার মেজর মুহাম্মদ রাশেদ আকতার জানান, পূর্ব সিদ্ধান্তমতে রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় এসে সেনাসদস্যরা প্রথমে সড়কে যত্রতত্র ত্রাণ বিতরণ বন্ধ করে সড়কে শৃঙ্খলা আনতে কাজ শুরু করেন। অনিয়ন্ত্রিত যানবাহন দাঁড়ানো, রাস্তায় রোহিঙ্গাদের অহেতুক জটলা সরিয়ে দিয়ে সড়ক যোগাযোগ নির্বিঘœ করা হচ্ছে।
এরপর নিয়ন্ত্রণকক্ষে জমা হওয়া দ্রুত পচনযোগ্য তাজা খাবারগুলো আলাদা করে বিতরণের জন্য নেওয়া হচ্ছে বলে জানান এই সেনা কর্মকর্তা। তিনি জানান, বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের আওতায় আসা রোহিঙ্গারাই এসব ত্রাণের আওতায় আসছে। এর মাধ্যমে বায়োমেট্রিকের সুবিধার তথ্যটা রোহিঙ্গাদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে চাচ্ছেন বলেও জানান তাঁরা। তিনি বলেন, ‘যাতে কচ্ছপ গতি থেকে চলমান এ নিবন্ধন প্রক্রিয়াটা খরগোশ গতিতে আসে।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest