সর্বশেষ সংবাদ-
দেবহাটায় কিশোর-কিশোরী ও যুবকদের সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে খেলাধুলার আয়োজনগণমানুষের স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান নলতা হাসপাতাল হুমকির মুখে :রক্ষার দাবিইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে সাতক্ষীরায় আহলে হাদীছ আন্দোলনেi বিক্ষোভপরীক্ষামূলক যুদ্ধবিমান (মডেল) তৈরিতে অবদানের জন্য বোরহান উদ্দীন- কে ছাত্রশিবিরের সম্মাননাপুনরায় সচল বৈছাআ, অসম্পূর্ণ কাজ বাস্তবায়নের ঘোষণা দিলেন সাতক্ষীরার আহ্বায়কজাতীয়তাবাদী সাইবার দল সাতক্ষীরা জেলা শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণাসাতক্ষীরায় আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া সংসদের পরিচিতি সভাসীমান্ত প্রেস কাবের সভাপতি ইমন – সম্পাদক লিংকন,সাতক্ষীরায় জেলা তাঁতীদলের সভাপতি রিপন – সম্পাদক সাহেব আলীআশাশুনিতে এক রাতে ৪ দোকানে দুঃসাহসীক চুরি

কুশখালিতে শিশু ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে ত্রৈমাসিক সভা

ঝাউডাঙ্গা ব্যুরো : কুশখালি ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে ইউনিয়ন ভিত্তিক শিশু সুরক্ষা কমিটি (সিবিসিপিসি), শিশু ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে শিশুদের বাজেট সমন্বয় বিষয়ক ত্রৈমাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে সদর উপজেলার কুশখালি ইউনিয়ন পরিষদে ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স’র আয়োজনে ও সেভ দ্য চিলড্রেন’র সহযোগীতায় উক্ত ত্রৈমাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। ইউপি চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, ইউপি সদস্য মো. আলমগীর হোসেন, মো. ফারুক হোসেন রিপন, মো. রফিকুল ইসলাম, ইউপি সচিব মো. মতিউর রহমান, ইউনিয়ন ভিত্তিক শিশু সুরক্ষা কমিটির সভাপতি মোছা. মনজুরা খানম ইতি, কমিটির সদস্য মোছা. ফিরোজা খাতুন, কমিউনিটি মবিলাইজার মোছা. নুর জাহান, ইয়ুথ ভলান্টিয়ার মেহেরুন্নেছা রিনা, শিশু প্রতিনিধি মোছা. সারমিন, লিমা, মাহফুজ প্রমুখ। সভায় শিশুদের চাহিদার ভিত্তিতে বরাদ্দকৃত বাজেট অর্থপ্রাপ্তি সাপেক্ষে খাত অনুযায়ী ব্যয়ের পরিকল্পনা ও অগ্রগতি বিষয়ক আলোচনা করা হয়। ইউপি চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম শিশুদের মতামত ও চাহিদার ভিত্তিতে অগ্রাধিকার ভাবে শিশু সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলি সমাধানের বিষয়ে সকল ইউপি সদস্যকে আহবান জানান। সভাটি সঞ্চালনা করেন ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স’র জিসিসি প্রকল্পের কমিউনিটি মবিলাইজার মো. আবুল হোসেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তুজলপুর জিসি মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে ‘সবুজ ক্যাম্পাস’ ঘোষণা

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : সাতক্ষীরা সদর উপজেলার তুজলপুর জিসি মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে ‘সবুজ ক্যাম্পাস’ ঘোষণা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টায় সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই ঘোষণা দেন।
সাতক্ষীরা সামাজিক বনবিভাগ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিকের সহযোগিতায় স্থানীয় তুজলপুর গাছের পাঠশালা তুজলপুর জিসি মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে সবুজ ক্যাম্পাস গড়ার এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
অনুষ্ঠানে তুজলপুর কৃষক ক্লাবের সভাপতি ও গাছের পাঠশালার পরিচালক ইয়ারব হোসেনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস.এম শওকাত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শাহাজান আলী, তুজলপুর জিসি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম, মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন, শাহাজান সিরাজ, তুজলপুর কৃষক ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রহমান রমজান আলী বিশ্বাস প্রমুখ।
এসময় ‘গাছ আমাদের বাঁচিয়ে রাখে। গাছের সাথে বন্ধত্ব অটুট থাকুক। গাছ কাটবো না। গাছের ও মানুষের কোন ক্ষতি করব না। আমাদের স্কুল আঙিনার পরিত্যক্ত জায়গায় বেশি করে গাছ লাগাবো। গড়ে তুলবো সবুজ পৃথিবী’ বলে শপথ নেন অতিথি, শিক্ষক, শিক্ষার্থীবৃন্দ।
পরে বিদ্যালয় চত্বরে দেবদারু, জারুল, কাঞ্চন, কদম, আম, পেয়ারাসহ বিভিন্ন ফলজ, বনজ ও ওষুধি বৃক্ষ রোপণ করে সুবজ ক্যাম্পাস কর্মসূচির উদ্বোধন করেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম।
এ সময় তিনি বলেন, বেশি করে গাছ লাগাতে হবে। পরিবেশ সুরক্ষায় গাছের কোন বিকল্প নেই। এর সাথে ভালো করে পড়ালেখা করে দেশে সেবায় এগিয়ে আসতে হবে।
এ কর্মসূচি প্রসঙ্গে গাছের পাঠশালার পরিচালক ইয়ারবের হোসেন জানান, পর্যায়ক্রমে স্কুল ক্যাম্পাসে পাঁচ শতাধিক ফলজ, বনজ ও ওষুধি গাছের চারা রোপন করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় মাদ্রাসা সুপার নিহতের ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরায় মাদ্রাসা সুপারকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে পুলিশকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। সাতক্ষীরা জুডিশিয়াল আদালতে (১) এ মামলাটি দায়ের করেন নিহতের ভাই বজলুর রহমান। মঙ্গলবার দুপুরে এ মামলা টি দায়ের করা হয়। মামলায় আসামী করা হয়েছে সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশের এসআই আসাদুজ্জামান, এসআই পাইক দেলওয়ার, এএসআই হাসানসহ অপর এক পুলিশ সদস্যকে। আদালত মামলটি আমলে নিয়েছে বলে আসামি পক্ষের উকিল এড. আবুবক্কর নিশ্চিত করেছেন।
সূত্র জানায়, নিহত মাদ্রাসা সুপার মাওলানা সাইদুর রহমান (৪৫) সাতক্ষীরা সদরের কাথন্ডা গ্রামের মৃত জিল্লার রহমানের ছেলে। স্থানীয় কাথন্ডা ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি ও স্থানীয় মসজিদের ইমাম ছিলেন তিনি। তিনি কলারোয়া হঠাৎগঞ্জ দাখিল মাদ্রাসার সুপার ছিলেন। গত শনিবার সকালে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
নিহতের স্ত্রী ময়না বেগম জানান, “গত ১৪ আগস্ট বৃহষ্পতিবার রাত দেড়টার দিকে পুলিশের তিনজন সদস্য তাদের বাড়িতে এসে তার স্বামীকে গ্রেফতারে কথা বলে। কোন কারণে তাকে গ্রেফতার করা হবে জানতে চাইলে পুলিশ জানায় তার বিরুদ্ধে মামলা আছে। এসময় তার স্ত্রী গ্রেফতারি পরওয়ানা চাইলে পুলিশ র্দুব্যবহার করে। মাওলানা সাইদুর রহমান পুলিশকে জানান, তিনি অসুস্থ রোগী। প্রতিদিন তাকে ওষুধ খেতে হয়। কিন্তু তারপরও পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। পরে তাকে নিয়ে স্থানীয় এক ডাক্তারের কাছে যায়। ডাক্তার তাকে উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দেন। কিন্তু চিকিৎসা না দিয়ে তাকে সাতক্ষীরা সদর থানা হাজতে রাখা হয়। পরের দিন শুক্রবার সদর থানাতে মাওলানা সাইদুর রহমানের সাথে দেখা করতে আসেন তার স্ত্রী ময়না। এসময় স্ত্রীর কাছে তার স্বামী অভিযোগ করেন, পুলিশ তাকে অনেক মারপিট করেছে। তার গায়ের পাঞ্জাবিটা ছিড়ে গেছে। পুলিশের কাছে ওষুধ চাইলে পুলিশ তা দেয়নি। পরে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে তাকে নিয়ে ইসিজি সহ কয়েকটি পরীক্ষা করান পুলিশ। পরে ওইদিন সন্ধায় তাকে কোটে হাজিরার মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয় বলে নিহতের স্ত্রী জানান।
নিহতের স্ত্রী ময়না জানান, তার স্বামীর বিরুদ্ধে কোন মামলা ছিলো না। আটকের পর পুলিশ দুটি মামলায় অজ্ঞাত আসামি করে কোটে চালান দেয়। পুলিশের তিন অফিসার এসআই আসাদ, দেলওয়ার ও এএসআই সুমন তার স্বামীকে জোর করে আটক করে নির্যাতন করেছে বলে তিনি অভিযোগ করে।
নিহতের পরিবারের দাবি, এ সময় মওলানা সাইদুরের ভাতিজা মুত্তাসিম বিল্লাহ পাঁচ হাজার টাকা এনে চাচাকে ছেড়ে দেয়ার অনুরোধ জানায়। কিন্তু পুলিশ তার কাছে এক লাখ টাকা দাবি করে। এ টাকা দিতে না পারায় মাদ্রাসা শিক্ষককে নিয়ে আসা হয় সাতক্ষীরা থানায়। সেখানেও তার ওপর নির্যাতন করতে থাকে পুলিশ।
নিহতের ভাই রফিকুল ইসলাম জানান, শুক্রবার দিনভর পুলিশ হেফাজতে রেখে তার ওপর দফায় দফায় নির্যাতন করা হলে তিনি নিস্তেজ হয়ে পড়েন। পরে তাকে আদালতে নেয়া হলে কর্তৃপক্ষ তার অসুস্থতা দেখে সাঈদুর রহমানকে গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে পুলিশ তাকে ফের নিয়ে যায় সাতক্ষীরা হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসা দিয়ে কিছুটা সুস্থ করার পর বিকাল ৫টায় পুলিশ ফের তাকে আদালতে নিয়ে যায়। বিকালে মওলানা সাইদুরকে সাতক্ষীরা কারাগারে পাঠায় আদালত।
সাতক্ষীরা কারাগারের সুপার আবু জাহেদ জানান, কারাগারের মধ্যে শুক্রবার রাতে সাঈদুর রহমান আরও অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় কারা হাসপাতালে। পরে সেখান থেকে মধ্যরাতে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
সাতক্ষীরা হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আরএমও ডা. ফরহাদ জামিল বলেন, হাসপাতালে আনার পর তার চিকিৎসা চলছিল। শনিবার ভোরে মারা যান তিনি। ওই চিকিৎসক জানান, নিহত মাদ্রাসা শিক্ষক মওলানা সাঈদুরের দেহে নির্যাতনের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সদর থানার এসআই মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আমি তাকে গ্রেফতার করলেও নির্যাতন করিনি। তার কাছে ঘুষও চাইনি। আগে থেকেই তিনি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হয়ে অসুস্থ ছিলেন। গ্রেফতারের পর তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। এরপর তার মৃত্যু সম্পর্কে আর কোনো তথ্য আমার কাছে নেই।
অন্যদিকে সদর থানার ওসি মারুফ আহম্মদ জানান, তিনি হার্টএ্যাটাকে মারা গেছেন।
বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার, চাঁদা দাবিসহ ব্যাপক মারপিটের কারণে ওই মাদ্রাসা সুপার নিহত হয়েছে বলে শতাধিক গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এতে নড়েচড়ে বসে পুলিশ। শনিবার রাতে পুলিশের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে একটি বিবৃতি পাঠানো হয়। এতে দাবী করা হয় সাতক্ষীরা কারাগারে ৪৪৯০/১৭ নং হাজতী মোঃ সাইদুর রহমানের মৃত্যু হয় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে। এঘটনায় ৮৪/১৭ নং এ একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করে সদর থানা পুলিশ। বিবৃতিতে আরোও বলা হয় মৃত্য সাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে ৬১/১৭ ও ৮০/১৭ নং দুটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।
ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে নিহতের ভাই মাওলানা শফিকুল ইসলাম বলেন, আমার ভায়ের নামে কোন মামলা ছিল না। তাকে আটকের পর দুটি অজ্ঞাত মামলায় আসামি করে কোটে চালান দেয়। জার জিআর নং ১৮১/১৭ ও ৫৪৮/১৭। ভাইয়ের হত্যার ঘটনা আইনিভাবে লড়া হবে।
এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেরিনা আক্তার বলেন, ‘আমি ঘটনাটি শুনেছি। তদন্তের পর বিস্তারিত বলতে পারবো।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বাংলাদেশের নতুন ‘নায়ক’ জাফর ইকবাল

দেশ থেকে একের পর এক শুভেচ্ছা পাচ্ছেন জাফর ইকবাল। তাঁর ব্যক্তিগত ঝলকেই ভারতের বিপক্ষে অবিশ্বাস্য জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। ৪-৩ গোলের জয়ের ম্যাচে নিজে জোড়া গোল করেছেন, সতীর্থকে দিয়ে করিয়েছেন আরও একটি। এমন দুর্দান্ত পারফরমেন্সের পর শুভেচ্ছার জোয়ারে জাফরের তো ভেসে যাওয়ারই কথা। স্বাভাবিকভাবে জয়ের নায়ক হলে যা হয়ে থাকে আর কি।

ভারতের বিপক্ষে জোড়া গোল নিয়েই থামতে চান না যুবদলের এই লেফট উইঙ্গার। সর্বোচ্চ গোলদাতার সঙ্গে হতে চান টুর্নামেন্ট-সেরা খেলোয়াড়ও। এই চাওয়া নিজের জন্য নয়, তিনি গোল পেলে যে জিতবে বাংলাদেশ। গোলের ক্ষুধা তাই বাড়িয়ে নিচ্ছেন। নিজের সামনে দাঁড় করাচ্ছেন কঠিন চ্যালেঞ্জ।
থিম্পু থেকে সে কথাই বললেন জাফর, ‘আমার গোলে বাংলাদেশ জিতেছে। এর চেয়ে আর বড় আনন্দ কী হতে পারে! এখন টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হতে চাই। পরের তিন ম্যাচে গোল করতে চাই আরও ছয়টি। আমার পাশে যারা খেলে, তাদের সহযোগিতায় এই লক্ষ্য পূরণ করা সম্ভব।’
গতকাল ভারতের বিপক্ষে প্রথমার্ধে ৩-০ গোলে পিছিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। ম্যাচে বাংলাদেশের আশা যখন আইসিইউতে, তখনই গোল করে যেন দলকেও জাগিয়ে তুললেন জাফর। ৫৫ মিনিটে স্বাধীনের কর্নার থেকে হেডে করেছেন প্রথম গোল, ৩-১। আবার যোগ করা সময়ে জয়সূচক শেষ গোলটিও তাঁর। এবারও স্বাধীনের কর্নার, জাফরের ট্রেডমার্ক হেডার। ৪-৩!
এর কয়েক মিনিট আগেই বাঁ প্রান্ত থেকে ঠিকানা লেখা ক্রসে সুফিলকে দিয়ে করিয়েছেন দলের তিন নম্বর গোলটি, যে গোলে সমতা ফিরিয়েছিল বাংলাদেশ। বাংলাদেশের অবিস্মরণীয় এই জয়ের প্রতিটি কণাতেই যেন লেখা লেফট উইঙ্গার জাফরের নাম।
কর্নার নিয়ে মাঠেই নিজের রণকৌশল বদলে ফেলেছিলেন। তাতেই মিলেছিল সুলফ। জাফর বললেন, ‘খেয়াল করে দেখবেন, প্রথমে কর্নার আমি নিচ্ছিলাম। কিন্তু কেউ হেড করতে পারছিল না। পরে আমি স্বাধীনকে কর্নার নিতে পাঠাই। ওর সঙ্গে ছকটা ঠিক করে নিই আমি প্রথমে কোথায় দাঁড়ালে ও বল কোথায় ফেলবে। ততক্ষণে আমিও জায়গা বদল করে নেব। এই ছিল গোপন ছক।’ পুরোটা আর খুলে বললেন না। এই গোপন অস্ত্র সামনেও তো ব্যবহার করতে হবে!
এ যেন শেষ দৃশ্যে ভিলেনের ডেরায় বন্দী মা আর নায়িকাকে উদ্ধার করার ক্লাইম্যাক্স! কালকের ম্যাচ তো তা-ই বলল! আর সেখানে জাফর ইকবাল সত্যিকারের নায়ক।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম এর বিএনপির সদস্য সংগ্রহ অভিযান

এম. বেলাল হোসাইন : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম জেলা শাখার পক্ষ থেকে আড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যদিয়ে সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সদস্য সংগ্রহ অভিযানের উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা জজকোর্টে বিএনপির সদস্য সংগ্রহ অভিযানে প্রধান অতিথি হিসাবে উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এড.সৈয়দ ইফতেখার আলী। এড. আবুল হোসেন(২) এর সভাপতিত্বে সদস্য সংগ্রহ অভিযানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এড. তোজাম্মেল হোসেন তুজাম। এসময় উপস্থিত ছিলেন, এড. আকবর আলী, এড. মহিদুল ইসলাম, এড. সিরাজুল ইসলাম ইসলাম(৫), এড. শাহরিয়ার হাসীব, এড. জাকারিয়া আহম্মদ, এড. আকরাম আলী, এড. মেহেদী হাসান, এড. আমজাদ হোসেন, এড. শহীদ উদ্দীন(২), এড. অসীম কুমার মন্ডল, এড. নূরুল আমিন, এড. সরদার সাইফ, এড. রবিউল ইসলাম, এড. জালাল উদ্দিন(২), এড. জিয়াউর রহমান, এড. রেজওয়ান আলী, এড. আব্দুল জলিল(২), এড. আবু সাঈদ রাজা, এড. সোহরাব হুসাইন, এড. শিহাব, এড. ত্বোহা কামাল উদ্দিন হীরা, আব্দুল জলিল(৩), এড. মিজানুর রহমান বাপ্পী, এড. জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় ‘লীড ব্যাংক’ পদ্ধতিতে স্কুল ব্যাংকিংকে তরান্বিত করতে কনফারেন্স

আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরায় ‘লীড ব্যাংক’ পদ্ধতির মাধ্যমে স্কুল শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাংকিং খাতকে ত্বরান্বিত করার জন্য এক কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাতক্ষীরা জেলার সকল তফসিলী ব্যাংকের আয়োজনে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় জেলা শিল্পকলা মিলনায়তনে র‌্যালি ও ফেস্টুন উড়িয়ে উক্ত কনফারেন্সের উদ্বোধন করা হয়।
সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার এ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যাবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা জালাল উদ্দিন আহম্মেদের সভাপতিত্বে উক্ত ব্যাংকিং কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দিন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ব্যাংক খুলনা শাখার মহা ব্যাবস্থাপক অসীম কুমার মজুমদার, সাতক্ষীরা জেলা শিক্ষা অফিসার এস এম সাইদুর রহমান, এস.বি.এ. সি ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট আবু বায়জিত শেখ প্রমুখ।
প্রধান অতিথি এ সময় বলেন, ব্যতিক্রমধর্মী এই ব্যাংকিং পদ্ধতি এ জেলায় এই প্রথম চালু করা হয়েছে। এই ব্যাংকিং পদ্ধতি চালুর মাধ্যমে স্কুল শিক্ষার্থীরা তারা তাদের সঞ্চয় করা টাকা দিয়ে ভবিষ্যতে তারা আরো ভাল কিছু করতে পারবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মিয়ানমারে গণহত্যা ও নির্যাতন বন্ধের দাবিতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন

আসাদুজ্জামান : “রোহিঙ্গারা মরবে কেন, রাখাইন রাজ্যে শান্তি আনো” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে মিয়ানমারে গণহত্যা ও রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন বন্ধের দাবিতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন কর্মসুচি পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় অনুষ্ঠিত উক্ত মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে প্রথমআলো বন্ধুসভা। প্রথম আলো বন্ধু সভার সভাপতি এস এম হাবিবুল হাসানের সভাপতিত্বে মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল হামিদ, প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জি, অতিরিক্তি পিপি এড. ফাহিমুল হক কিসলু, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা স্বদেশের নির্বাহী পরিচালক মাধব দত্ত, নারী নেত্রী জোছনা দত্ত প্রমুখ। মানববন্ধনে জেলার বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ একাত্মতা প্রকাশ করেন।
মানববন্ধন থেকে বক্তারা অবিলম্বে মিয়ানমারের গণহত্যা বন্ধসহ সেদেশের শান্তি স্থাপনের জোর দাবী জানান। একই সাথে তারা রোহিঙ্গাদের অধিকার ফিরিয়ে দেয়াসহ অং সান সূচির নোবেল পুরস্কার স্থগিত করারও দাবি জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রোহিঙ্গা ইস্যুতে ট্রাম্পের কাছে প্রত্যাশা নেই- রয়টার্সকে শেখ হাসিনা

রোহিঙ্গা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সাহায্য করবেন বলে আশা করেন না প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কারণ, শরণার্থী নিয়ে নিজের ভাবনা ট্রাম্প স্পষ্ট করে দিয়েছেন। স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার রোহিঙ্গা শরণার্থী বিষয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলার পর রয়টার্সকে দেওয়া বিশেষ এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন শেখ হাসিনা। নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে স্থানীয় সময় গতকাল ট্রাম্পের আয়োজনে জাতিসংঘের সংস্কার বিষয়ে উচ্চপর্যায়ের সভায় যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রয়টার্সের সাংবাদিক মিশেল নিকোলসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হাসিনা জানান, সভাস্থল ছাড়ার পর ট্রাম্পকে তিনি কয়েক মিনিটের জন্য থামান। এ সময় ট্রাম্প বাংলাদেশের খবর জানতে চান। শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি বলি, বাংলাদেশ খুব ভালো অবস্থায় আছে। তবে আমাদের একমাত্র সমস্যা মিয়ানমার থেকে আসা শরণার্থীরা। কিন্তু ট্রাম্প শরণার্থীদের নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।’ পুলিশের কয়েকটি তল্লাশিচৌকিতে হামলার পর গত ২৫ আগস্ট থেকে রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযান শুরু হয়। সহিংসতা থেকে বাঁচতে এ পর্যন্ত চার লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশে ঢুকেছে। রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর যে নিপীড়ন চলছে, তাকে ‘জাতিগত নির্মূল’ বলে অভিহিত করেছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের ৭২তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী বৃহস্পতিবার তিনি সেখানে ভাষণ দেবেন। রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এর মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা দিয়েছে, তারা কোনো শরণার্থীকে সে দেশে ঢুকতে দেবে না। আমি তাদের কাছ থেকে কী আশা করতে পারি, বিশেষ করে সে দেশের প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে? তিনি (ট্রাম্প) এর মধ্যেই তাঁর মনোভাব প্রকাশ করেছেন…তাহলে আর কেন সাহায্য চাইব?’ শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ ধনী দেশ নয়…কিন্তু যদি আমরা ১৬ কোটি মানুষকে খাওয়াতে পারি, তাহলে আরও ৫০০ অথবা সাত লাখ মানুষকেও খাওয়াতে পারব।’ দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের শরণার্থীবিষয়ক কর্মসূচিতে ১২০ দিনের স্থগিতাদেশ দেওয়ার চেষ্টা করেন। মুসলিম-অধ্যুষিত ছয়টি দেশের মানুষকে যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে ৯০ দিন পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞাও জারি করেন। গত শুক্রবার এক টুইটে ট্রাম্প বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরও বিস্তৃত, কঠোর ও সুনির্দিষ্ট করা উচিত।’ ট্রাম্প বলেছেন, সন্ত্রাসী হামলা প্রতিরোধ করতে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি প্রয়োজন। আগামী মাসে ট্রাম্পের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাবিষয়ক নির্বাহী আদেশের ওপর শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। রয়টার্স বলছে, সাম্প্রতিক সহিংসতা পর্যন্ত রাখাইন রাজ্যে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গার বসবাস ছিল। তাদের বেশির ভাগেরই চলাচলে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। মিয়ানমারে তাদের নাগরিকত্বও দেওয়া হয়নি। স্থানীয় বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের অনেকে তাদের বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বিবেচনা করে। শেখ হাসিনা বলেন, রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের ওপর তিনি আরও আন্তর্জাতিক চাপ দেখতে চান। শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘(মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চিকে) মানতে হবে যে এই মানুষগুলো তাঁর দেশের এবং মিয়ানমারই তাদের দেশ। তাদের ফিরিয়ে নিতে হবে। এই মানুষগুলো দুর্ভোগে রয়েছে।’ নোবেল পুরস্কারজয়ী সু চি মিয়ানমারে সহিংসতা বন্ধে উদ্যোগ না নেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিকভাবে সমালোচিত হচ্ছেন। মিয়ানমারের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা থং তুন গতকাল রয়টার্সকে বলেন, ‘যারা বাড়িঘর ছেড়ে গেছে, তাদের ফিরে আসা মিয়ানমারকে নিশ্চিত করতে হবে। তবে একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এটি করতে হবে। এ জন্য আমাদের আলোচনা করতে হবে।’ জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের দূত নিকি হেলি সেনা অভিযান বন্ধের জন্য মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার সুযোগ দেওয়ার জন্যও আহ্বান জানান। স্থানীয় সময় গতকাল রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে যুক্তরাজ্যের আয়োজনে নিউইয়র্কে এক সভায় অংশগ্রহণের পর হেলি বলেন, ‘মানুষেরা (রোহিঙ্গা) এখনো হামলা অথবা হত্যার শিকার হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। সাধারণ মানুষ সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশে ঢুকছে।’

সূত্র : প্রথম আলো।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest