সর্বশেষ সংবাদ-
কলারোয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী আলতাফ হোসেন লাল্টুর গণ সমাবেশএডভোকেসি নেটওয়ার্ক এবং সিভিল সোসাইটি অর্গানাইজেশন সদস্যদের ত্রৈমাসিক সমন্বয় সভাশ্যামনগরের কৈখালী পোলের খাল খনন কর্মসূচির উদ্বোধনশ্যামনগরে সালাতুল ইস্তেকার নামাজ আদায়তীব্র তাপদাহে পুড়ছে উপকুলীয় জেলা সাতক্ষীরা, তাপমাত্রা আজ সর্বোচ্চ ৩৯.৩ ডিগ্রিদেবহাটায় উন্নয়ন কার্যক্রমে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্তি বিষয়ক মতবিনিময়সাতক্ষীরায় বেসিক ট্রেড স্কীল ডেভেলপমেন্ট ফোরামের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি পেশদেবহাটায় প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ মানুষসাতক্ষীরা উপজেলা আওয়ামী লীগের শোক জ্ঞাপনদেবহাটা উপজেলা চেয়ারম্যান পদে-৫: ভাইস চেয়ারম্যান-২ : মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জনের মনোনয়নপত্র জমা

নতুন মৌসুমের শুরুতেই হোঁচট খেল রিয়াল মাদ্রিদ। প্রাক-মৌসুমের প্রথম ম্যাচে ইন্টারন্যাশনাল চ্যাম্পিয়ন্স কাপে হেরে গেছে জিনেদিন জিদানের দল। যুক্তরাষ্ট্রের লেভিস স্টেডিয়ামে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কাছে পেনাল্টি শটে হারে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চ্যাম্পিয়নরা।

নির্ধারিত সময়ের খেলা ১-১ সমতায় শেষ হওয়ার পর পেনাল্টি শট আউটে ২-১ গোলে হারে রিয়াল। এই জয়ে প্রাক-মৌসুম সফরে অপরাজিত থাকল জোসে মরিনহোর দল। এর আগে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার সিটিকে ২-০ গোলে হারায় রেড ডেভিলসরা।

ম্যানইউর হয়ে প্রথম গোল করেন জেসি লিংগার্ড। পরে রিয়ালকে সমতায় ফেরান কাসমিরো।

এদিন আক্রমণ এবং রক্ষণভাগের দুই প্রধান সেনাকে ছাড়াই শুরু করেন জিদান। তবে রিয়াল কোচের পথে হাঁটেননি মরিনহো। রোমেলু লুকাকু ও পল পগবাসহ পুরো শক্তির দলই মাঠে নামান স্পেশাল ওয়ান।

খেলার শুরুতেই লিড নেয়ার সুযোগ পেয়েছিল ম্যানইউ। কিন্তু অ্যান্থনিও মাথিয়াল শেষ কাজটা করতে পারেন। পরে প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে এগিয়ে যায় মরিনহোর দল। রেড ডেভিলসদের লিড এনে দেন লিংগার্ড।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে অবশ্য গোল শোধের সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিল রিয়াল। কিন্তু সে সুযোগ হাতছাড়া করেন মার্কো কোভিচ। পরে ৬৫ মিনিটে রিয়ালকে সমতায় ফেরান তিনি। বাকি সময় কোন দল মুখ খুলতে না পারায় খেলা গড়ায় পেনাল্টিতে। তাতে ২-১ গোলে জয় পায় ম্যানইউ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

জর্ডানের রাজধানী আম্মানের ইসরায়েলি দূতাবাসে গুলিবর্ষণে দু’জন নিহত এবং একজন গুরুতর আহত হয়েছে।

আহতদের মধ্যে একজন ইসরায়েলি রয়েছে। রোববার এ ঘটনার পর দূতাবাস ঘিরে  রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সেখানে কাউকে ঢুকতে  দেওয়া হচ্ছে না। কর্মীদের সরিয়ে নিয়েছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।

তবে কীভাবে সেখানে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে সে বিষয় এখনও স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি।

নিহত জর্ডানের ওই নাগরিক দু’জন ছিলেন একটি আসবাবপত্র বিক্রয় কোম্পানির কর্মী।

পুলিশের বরাতে বলা হয়, গুলিবর্ষণের আগে একটি আসবাব কোম্পানির দুই কর্মী সেখানে ঢুকেছিলেন। তবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।

পূর্ব জেরুজালেমের হারাম-আল শরীফের প্রবেশ পথে  মেটাল ডিটেক্টর বসানোর প্রতিবাদে শুক্রবার আম্মানে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ করে কয়েক হাজার মানুষ।

১৯৪৯  থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত পূর্ব  জেরুজালেম দখলে রাখা জর্ডানই মুসলিমদের পবিত্র এই স্থাপনা দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে।

সম্প্রতি পূর্ব জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণের প্রবেশ মুখে ক্যামেরা বসায় ইসরায়েল। মুসলমানদের কাছে হারাম আল-শরিফ এবং ইহুদিদের কাছে টেম্পেল মাউন্ট নামে পরিচিত পবিত্র এই জায়গাটিতে নতুন নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে উত্তেজনা ও বিক্ষোভের মধ্যেই সেখানে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়।

এর আগে এক হামলায় দু’জন ইসরায়েলি পুলিশ নিহত হওয়ার পর থেকেই নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয় সেখানে। এর অংশ হিসেবে ইসরায়েল আল-আকসা মসজিদে ঢোকার পথে মেটাল ডিটেক্টর বসায় এবং ৫০ বছরের কম বয়ষ্কদের সেখানে যেতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ডেস্ক রিপোর্ট : গাজী তারিক সালমন যখন বুধবার সকালে বরিশালের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রিটের আদালতে হাজির হন, তখন বুঝতে পারেননি পরবর্তী কয়েক ঘণ্টা তাকে কিরকম হেনস্থার মধ্য দিয়ে যেতে হবে।
আদালতের জারি করা এক সমনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে সেখানে হাজিরা দিতে হয়েছিল। যে অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়েছে, সেটি জামিনের অযোগ্য কোন অপরাধ নয়। আর সরকারেরই একজন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা তিনি, একটি উপজেলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। তার জামিনের আবেদন নাকচ করে দিয়ে আদালত তাকে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেবেন, সেটা তিনি ভাবতেই পারেন নি।
“আদালতের নির্দেশ শুনে আমি খুবই অবাক হই, হতভম্ব হয়ে যাই।”
টেলিফোনে বিবিসি বাংলার মিজানুর রহমান খানকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বললেন তিনি।
“আমি কল্পনা করিনি যে আমার জামিন নামঞ্জুর করা হবে। একটি জামিন-যোগ্য ধারায় মামলাটি করা হয়েছে এবং যথাযথভাবে আদালতের সামনে আমার বক্তব্য উপস্থাপন করেছে আমার আইনজীবী। জামিন নামঞ্জুর করার পর আমাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়। আমি খুবই অপমানিত বোধ করি।”
বরগুনা সদরের ইউএনও-কে হাতকড়া পরিয়ে জেলে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখে স্তম্ভিত হয়েছেন বাংলাদেশের আরও অনেক মানুষ। যে ধরণের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়েছিল, সেরকম একটি মামলা যে করা যায়, আর সেই মামলায় একজন গুরুত্বপূর্ণ সরকারী কর্মকর্তাকে এভাবে ধরে নিয়ে যাওয়া যায়, তা অনেকের কাছেই অবিশ্বাস্য ঠেকেছে।
বাংলাদেশের জনপ্রশাসনের কর্মকর্তাদের মধ্যে এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া হয়েছিল মারাত্মক। তাদের একটি সংগঠনের তরফ থেকে বিবৃতি দিয়ে এই ঘটনার নিন্দা করা হয়েছে। এমনকি খোদ প্রধানমন্ত্রীর দফতরের কর্মকর্তারাও এ ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী।

কিন্তু কেমন করে এরকম একটি ঘটনা ঘটতে পারলো? এটি কি যা বলা হচ্ছে, আসলেই তাই? অর্থাৎ বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের ‘বিকৃত ছবি’ প্রকাশের কারণে হৃদয়ে আঘাত পাওয়া কোন মুজিব ভক্তের মামলা? নাকি এর পেছনে আছে অন্য কিছু?

বিবিসি বাংলাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে গাজী তারিক সালমন বিস্তারিতভাবে জানিয়েছেন, কিভাবে শিশুদের এক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে শেষ পর্যন্ত এরকম একটি হেনস্থার শিকার হয়েছেন তিনি।

১৭ই মার্চ বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম দিবসটি পালিত হয় জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে। সে উপলক্ষে আগৈলঝড়া উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে একটি চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। ক্লাস ওয়ান থেকে ক্লাস এইটের বাচ্চারা এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।
“তখনই ঘোষণা দিয়েছিলাম যে যারা প্রতিযোগিতায় প্রথম এবং দ্বিতীয় হবে তাদের ছবি ব্যবহার করেই ২৬শে মার্চের কার্ডটি ডিজাইন করা হবে। এই প্রতিযোগিতার থীম ছিল বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ।”
ঘোষণা অনুযায়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রতিযোগিতায় প্রথম হওয়া কার্ডটি ফ্রন্ট কাভারে এবং দ্বিতীয়টি ব্যাক কভারে ব্যবহার করে তার কার্ডটি ছাপান।
“আমি বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের অংশ হিসেবেই এই কার্ডটি ছাপানোর সিদ্ধান্ত নেই। বাচ্চাদের একটা ছবি ব্যবহার করি বাচ্চাদের উৎসাহ দেয়ার জন্য। আমি কল্পনাও করিনি যে এই কার্ডটি নিয়ে আমাকে এ ধরণের পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে। এবং আমার বিরুদ্ধে এরকম অমূলক একটি মামলা দায়ের করা হবে।”

গাজী তারিক সালমন জানান, কার্ডে তাদের পরিচিতিও লেখা ছিল তারা কোন ক্লাসে পড়ে। ছিল তারা যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী তার নাম। বাচ্চাদের এই ছবি নিয়ে বিভ্রান্তির কোন অবকাশ ছিল না।
পুরস্কার বিজয়ী যে ছবিটি নিয়ে এত বিতর্ক, প্রথম যখন তিনি সেই ছবিটি দেখেন, তাঁর কি মনে হয়েছিল?
“ছবিটি প্রথম দেখে মনে হয়েছিল খুবই দৃষ্টিনন্দন এবং খুবই সুন্দর একটা ছবি। ক্লাস ফাইভের একটি বাচ্চা এটি এঁকেছে, এবং তার বয়স বিবেচনায় খুবই সুন্দর একটি ছবি। এটিকে বিকৃত বলার কোন সুযোগ নেই। এবং এটিকে কেউ যদি বিকৃত বলে, সে নিজেই আসলে বিকৃত মনস্ক।
তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে কেন এই মামলা হলো? তাঁর কি মনে হয়?
“আমি আট মাস বরিশালের আগৈলঝড়া উপজেলায় কর্মরত ছিলাম। এসময় আমাকে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করতে হয়েছে। সরকারী বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ যাতে সঠিকভাবে যথাযথভাবে সম্পন্ন হয় সেজন্যে আমি তৎপর ছিলাম। কঠোর অবস্থানে ছিলাম। আমি সেখানকার আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করি। আমি অবৈধ স্থাপনা করতে দেই নি আমি যতদিন সেখানে ছিলাম। এসব কারণে সেখানকার প্রভাবশালীরা আমার বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ ছিল। আমার অনুমান, তারা আমাকে হয়রানি করার জন্য বাদীকে দিয়ে এই মামলাটি করিয়েছে।”
এই মামলার কিছুদিন পরে তারিক সালমনকে বরগুনা সদরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে বদলি করা হয়।
যেদিন তিনি বরগুনা সদরে জয়েন করেন, সেদিন বরিশালের কয়েকটি আঞ্চলিক পত্রিকায় তাকে নিয়ে একটি খবর প্রকাশিত হয়।
“জুনের ৪ তারিখে প্রকাশিত সব কটি পত্রিকার রিপোর্টের ভাষা ছিল একই রকম। শিরোণামটি ছিল ‘বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃতকারী সেই ইউএনও

আদালত প্রাঙ্গণে যা ঘটেছিল:
বিচারক যখন তার জামিনের আবেদন নাকচ করে দিলেন, কিছুটা হতভম্ব হয়ে পড়েছিলেন গাজী তারিক সালমন। তিনি বুঝতে পারেন নি, এরকম ঘটনা ঘটতে পারে।
“যখন আমার বিরুদ্ধে মামলা হয়, তখনই আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছিলাম। তারা আমাকে বলেছিলেন মামলা যেহেতু হয়েছে, মামলাটি আইনগত-ভাবে মোকাবেলা করতে হবে।”
“আমাকে ঠিক গ্রেফতার করা হয়নি। আমার যে জামিনের আবেদন সেটি নামঞ্জুর করা হয়। তারপর আমাকে কোর্টের গরাদখানায় নিয়ে যাওয়া হয়। আমাকে কারাগারে পাঠানোর প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছিল। তখন আমি পুলিশকে অনুরোধ করেছিলাম, দয়া করে আমাকে একটু সময় দিন। আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানানোর সুযোগ দিন।
গাজী তারিক সালমনের অনুরোধে পুলিশ তাকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার সুযোগ দেন। দু ঘণ্টা তিনি ছিলেন আদালতের গরাদখানায়। বেলা দেড়টার দিকে আদালতের বিচারক পিয়ন পাঠিয়ে তাকে ডেকে পাঠান। তাঁর আইনজীবীকেও ডেকে পাঠানো হয়।”

“আমি আদালতে যাই। এজলাসে যাই। কিন্তু বিচারক আমার মুখোমুখি হননি। তিনি খাস কামরায় বসে আমার জামিন মঞ্জুর হয়েছে মর্মে একটি আদেশ দেন। আদালতের পেশকার, তিনি আমার জেল পরোয়ানাটি আমার সামনেই ছিঁড়ে ফেলেন। তিনি আমাকে বলেন, আপনার কোন চিন্তা নেই। আপনার জেল পরোয়ানাটি ছিঁড়ে ফেলেছি।”

গত তিন দিন ধরে সারা বাংলাদেশ জুড়ে তাঁকে নিয়ে যে আলোচনা-বিতর্কের ঝড়, তারপর এখন তিনি কি করবেন? তিনি কি কোন আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের কথা ভাবছেন?
“এখনো সিদ্ধান্ত নেইনি। এব্যাপারে আমাদের সার্ভিসের এসোসিয়েশন রয়েছে। সবার সঙ্গে পরামর্শ করে আমি পরবর্তী ব্যবস্থা নেব।”
“আমাকে যে হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে, এটি মিডিয়াতে প্রকাশ হওয়ার পর, যে নিন্দার ঝড় বয়ে গেছে, সমস্ত দেশবাসী আমার পক্ষে দাঁড়িয়েছে। সংবাদকর্মীরা আমার পক্ষে কথা বলেছেন। আমি এজন্য কৃতজ্ঞ। এজন্যে আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।”
সূত্র : বিবিসি বাংলা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ডেস্ক রিপোর্ট : ২০১৫ সালে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল প্রায় সোয়া লাখ। রোববার সেসব শিক্ষার্থীর এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে। এদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন মাত্র ৩৭ হাজার ৯৬৯ জন।
তথ্যমতে, ২০১৫ শিক্ষাবর্ষে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেয় ১৪ লাখ ৭৯ হাজার ২৬৬ জন। এর মধ্যে পাস করে ১২ লাখ ৮২ হাজার ৬১৮ শিক্ষার্থী। জিপিএ-৫ পায় এক লাখ ১১ হাজার ৯০১ জন।
এ পরীক্ষার ফলাফলে দেখা গেছে, পাসের হার মাত্র ৬৮.৯১ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা মাত্র ৩৭ হাজার ৯৬৯ জন।
দেখা গেছে, ২০১৫ সালে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৭৩ হাজার ৯৩২ জন শিক্ষার্থীর সর্বোচ্চ জিপিএ হারিয়েছে।
এদিকে এসএসসিতে পাওয়া অনেক শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন। ফলে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে এত জিপিএ-৫ হারালো কোথায়?
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পাস করা অপর্ণা রায় বলেন, আমি এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছি। আশা ছিল এইচএসসি পরীক্ষাতেও পাব। কিন্তু ফল হাতে পেয়ে দেখি আমি জিপিএ-৪.৫ পেয়েছি।
তিনি বলেন, পরীক্ষার ফল পেয়ে আমার মনটা অনেক খারাপ হয়ে যায়। আমি কান্না করতে থাকি। আম্মু এসে অনেক বোঝানোর চেষ্টা করেন।
অনেক ভালো পরীক্ষা দিয়েও এমন রেজাল্ট। তার নিজের পরীক্ষার ফলাফলের কথা মনে হলেই কান্না পায় বলে জানান।
এদিকে ত্রুটিপূর্ণ পরীক্ষা পদ্ধতির কারণে পাবলিক পরীক্ষার ফলাফলের ধারাবাহিকতা থাকছে না বলে মনে করেন শিক্ষাবিদরা। পরীক্ষা-নিরীক্ষা মাধ্যমে নতুন পদ্ধতি চালুসহ নানা পরিবর্তনের পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
এইচএসসির ফলাফলে বড় রদবদলের কারণ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, আমাদের পরীক্ষা পদ্ধতিতে অনেক ত্রুটি রয়েছে। পাবলিক পরীক্ষায় নতুন নতুন পদ্ধতি অবলম্বন, বহুনির্বাচনী পদ্ধতি ব্যবস্থা, সৃজনশীলে নম্বর বৃদ্ধির কারণে এবার এইচএসসি পরীক্ষার ফল খারাপ হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
তবে, ফল খারাপের বিষয়টিকে ইতিবাচক মনে করছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। মানসম্মত শিক্ষা ব্যবস্থা বাস্তবায়নে নতুন নতুন পদ্ধতি চালু করা হচ্ছে। পরীক্ষা পদ্ধতিতে আনা হয়েছে অনেক পরিবর্তন। যা শিক্ষা ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনবে বলে মনে করেন শিক্ষামন্ত্রী।
সরকার পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই রাতারাতি পাবলিক পরীক্ষা পরিবর্তনের চেষ্টা করছেন বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষাবিদ ও এমিরেটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি বলেন, হঠাৎ করে পাবলিক পরীক্ষার ফল আকাশ চূঁড়ায় উঠে যাচ্ছে, আবার হঠাৎ করে তাতে ধস নামছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

বিনোদন ডেস্ক : জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৫ প্রদান অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে তথ্য মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার (২৪ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এদিন ২৫টি শাখায় ৩১ জনের হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন। সরকারি তথ্য বিবরণী থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু’র সভাপতিত্বে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদানের ৪০তম আসরে জাতীয় সংসদের তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ কে এম রহমতুল্লাহ সম্মানিত অতিথি হিসেবে এবং তথ্যসচিব মরতুজা আহমদ স্বাগত বক্তব্য দেবেন।

প্রধান অতিথির আসন গ্রহণের পরপরই পবিত্র কুরআন থেকে তিলাওয়াত, পবিত্র গীতা, পবিত্র বাইবেল ও পবিত্র ত্রিপিটক পাঠের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হবে। পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণার সঙ্গে থাকবে তাদের অবদানের ওপর নির্মিত ভিডিওচিত্র প্রদর্শন।

চলচ্চিত্রে অসামান্য অবদানের জন্য এবার আজীবন সম্মাননায় ভূষিত হচ্ছেন চিত্রনায়িকা শাবানা ও সংগীতজ্ঞ ফেরদৌসি রহমান। ‘বাপজানের বায়োস্কোপ’ ও ‘অনিল বাগচীর একদিন’ যুগ্মভাবে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র, ‘একাত্তরের গণহত্যা ও বধ্যভূমি’ শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্র, মো. রিয়াজুল মওলা রিজু এবং মোরশেদুল ইসলাম যুগ্মভাবে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রধান চরিত্রে শাকিব খান ও মাহফুজ আহমেদ যুগ্মভাবে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা ও জয়া আহসান শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার লাভ করছেন।

এছাড়াও পুরস্কার পেতে চলেছেন পার্শ্ব চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা গাজী রাকায়েত ও শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী তমা মির্জা, খল চরিত্রে শ্রেষ্ঠ ইরেশ যাকের, শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী যারা যারিব, শিশুশিল্পী শাখায় বিশেষ পুরস্কার প্রমিয়া রহমান, শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক সানী জুবায়ের, শ্রেষ্ঠ গায়ক যুগ্মভাবে সুবীর নন্দী ও এস আই টুটুল, শ্রেষ্ঠ গায়িকা প্রিয়াংকা গোপ, শ্রেষ্ঠ গীতিকার আমিরুল ইসলাম, শ্রেষ্ঠ সুরকার এস আই টুটুল, শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার মাসুম রেজা, শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার যুগ্মভাবে মাসুম রেজা ও মো. রিয়াজুল মওলা রিজু, শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা হুমায়ুন আহমেদ, শ্রেষ্ঠ সম্পাদক মেহেদী রনি, শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশক সামুরাই মারুফ, শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক মাহফুজুর রহমান খান, শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক রতন কুমার পাল, শ্রেষ্ঠ পোশাক ও সাজ-সজ্জা মুসকান সুমাইয়া, শ্রেষ্ঠ মেক-আপম্যান হিসেবে শফিক।
চলচ্চিত্র অঙ্গনের শিল্পীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ আয়োজনের ইতি টানবেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

খবর বিঞ্জপ্তি : গতকাল রবিবার ২৩ জুলাই ২০১৭ সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) এর আয়োজনে ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) সহযোগিতায় “জাগ্রত বিবেক, দুর্জয় তারুণ্য, দুর্নীতি রুখবেই” এই স্লোগানকে সামনে রেখে সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় ২০১৭ সালে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকল বিষয়ে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মেধাবী সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের হলরুমে সনাক সভাপতি প্রফেসর ড. দিলারা বেগম সভাপতিত্বে সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলাশিক্ষা অফিসার এস, এম, ছায়েদুর রহমান। বিশেষ অতিথী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা সহকারি শিক্ষা অফিসার অলোক কুমার তরফদার। অনুষ্ঠানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরে স্বাগত বক্তব্য দেন সনাক সাতক্ষীরার শিক্ষা বিষয়ক উপ-কমিটির আহবায়ক প্রফেসর আব্দুল হামিদ। বক্তব্য প্রদান করেন সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মো. ইয়াহিয়া ইকবাল, প্রধান শিক্ষক মনোয়ারা খাতুন, সনাক সদস্য মো. তৈয়েব হাসান,। প্রধান অতিথী আগত মেধাবী শিক্ষার্থীদের জীবন গঠনের দিকনির্দেশনা দিতে গিয়ে বলেন,“ দুর্নীতি মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে নিজেদেরকে আগামী দিনের জন্য তৈরি করতে হবে এবং নিজেকে দুর্নীতি মুক্ত রাখার শপথ নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।’ দুর্নীতিবিরোধী শপথ বাক্য পাঠ করান ইয়েস দলনেতা জাহিদা জাহান মৌ। এসময় ৫৬ জন মেধাবী শিক্ষার্থী হাতে ডিকশনারী এবং ৭ জন অস্বচ্ছল মেধাবী শিক্ষার্থীকে পাঠ্যবই প্রদান করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

কালিগঞ্জ ডেস্ক : কালিগঞ্জ উত্তরপারে অবস্থিত মাছের বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত ফরমালিন বিরোধী অভিযান পরিচালনা করেছে। জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের কর্মসূচির অংশ হিসেবে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুর আহমেদ মাছুমের নেতৃত্বে রোববার বেলা ১২ টার দিকে এই অভিযান পরিচালিত হয়। এসময় বাজারের বিভিন্ন ব্যবসায়ীর নিকট থাকা বিভিন্ন প্রজাতির মাছ পরীক্ষা করে সেগুলো ফরমালিন মুক্ত হিসেবে প্রমাণিত হয়। অভিযান পরিচালনাকালে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম, ক্ষেত্র সহকারী উজ্জ্বল কুমার অধিকারী, ফিল্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট তরিকুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

অদম্য ইচ্ছা এনে দিতে পারে জীবনের অনেক সাফল্য। সেখানে বয়স হয়ে যায় গৌণ। যার প্রমাণ নাটোরের দুই বোন। ছোট বোন ও তাঁর সন্তানকে নিয়ে বড় বোনও পাস করেছেন এবারের এইচএসসি পরীক্ষায়। প্রমাণ দিয়েছেন ইচ্ছা থাকলে বয়স কোনো বাধা হতে পারে না।
আর এ বয়সে ছেলের সঙ্গে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ছেলেকেই টপকে ভালো ফলাফল করেছেন মা শাহনাজ। আর শাহনাজকে টপকে আরো ভালো ফলাফল করেছেন তাঁর বড় বোন মমতা হেনা।
এমন ফলাফলে আনন্দের জোয়ার এখন নাটোর শহরের মল্লিকহাটি এলাকার শাহজাহান আলীর বাড়িতে। চলতি বছর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে নাটোর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং ট্রেড থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন শাহজাহানের নাতি ও শাহনাজের ছেলে রাকিব আমিন। তিনি পেয়েছেন জিপিএ ৩ দশমিক ৬৭।
১৯৯৫ সালে এসএসসি পাস করেন শাহনাজ বেগম। তারপর আর পড়া হয়নি তাঁর। এক ছেলে ও এক মেয়ের মা শাহনাজ বেগম সন্তানদের পড়ালেখা করাতে গিয়ে আবার পড়াশোনার প্রতি টান অনুভব করেন। তাই ২২ বছর পর আবার নাটোর মহিলা কলেজে এইচএসসি পরীক্ষায় বসেন এই মা। অর্জন করেন জিপিএ ৪ দশমিক ৮৩।
একই সঙ্গে বসবাসকারী শাহনাজ বেগমের ফুপাতো বোন মমতা হেনা যখন দেখলেন তাঁর মামাতো বোন এতদিন পর আবার পড়াশোনা শুরু করেছেন, তখন তিনিও শুরু করেন পড়াশোনা। ১৯৯৩ সালে এসএসসি পাস করার ২৪ বছর পর আবার হাতে তুলে নেন বই। দুই বোন একই কলেজে কম্পিউটার অপারেশন ট্রেডে ভর্তি হয়ে চলতি বছর এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন। মমতা হেনা অর্জন করেন জিপিএ ৪ দশমিক ৮৮ পয়েন্ট।
একই পরিবারের এই তিনজনকে একসঙ্গে পাস করতে দেখে চমকে গেছেন অনেকেই। ফলাফল ঘোষণার পরপরই তাদের একনজর দেখতে অনেকেই ভিড় জমান শহরের মল্লিকহাটি এলাকায় তাঁদের বাড়িতে।
২২ বছর পর ছেলের সঙ্গে পরীক্ষা দিয়ে এমন ফলাফল অর্জনের বিষয়টি এখনো বিশ্বাস করতে পারছেন না রাকিব আমিনের মা শাহনাজ বেগম। শাহনাজ বেগম বলেন, ‘এই ফলাফলের নেপথ্যে কাজ করেছে আমাদের ইচ্ছাশক্তি। অনেক কষ্ট করে ছেলেমেয়েকে বড় করার পর নিজেরও মনে হয়েছে একটু পড়াশোনা করতে পারলে ভালো হতো। কিন্তু দুই সন্তানের পর নিজের পড়ালেখার খরচ চালানোর সামর্থ্য আমার ছিল না। আবার পড়াশোনা শুরু করার ইচ্ছার কথা শুনে এগিয়ে আসেন বাবা হাজি শাহজাহান আলী ও ভাই কাউসার আলী। পড়াশোনার জন্য বই দেন ভাই, পড়তে সহযোগিতা করে ছেলেমেয়ে আর ফরম পূরণের টাকা দেন বাবা। স্বামী দিয়েছেন অনুপ্রেরণা। এভাবেই আমার অর্জন আজকের ফলাফল। আজ থেকে উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণের আকাঙ্ক্ষা আরো বেড়ে গেল। সুযোগ পেলে আমি আরো পড়াশোনা করতে চাই।’

পাসের খবরে মমতা হেনা খুশিতে কেঁদে ফেলেন। তিনি বলেন, ‘নতুন করে পড়াশোনা করতে গিয়ে উৎসাহ পেয়েছি আমার ভাই ও মেয়ের থেকে। আর বাকিরা করেছেন উপহাস-বিদ্রূপ। পড়তে গিয়ে আর্থিক টানাপড়েন পোহাতে হয়েছে প্রচুর। অন্যদের মতো প্রাইভেট পড়তে পারিনি, ভাই ও মেয়ে তখন সাহায্য করেছে। নতুন বই কিনতে পারিনি, পুরাতন বই কিনেছি। দুই বোন মিলে একসেট বই কিনে পড়েছি। বড় মেয়ের টাকায় ফরম পূরণ করেছি। এভাবেই প্রতিকূলতাকে জয় করে আজ পাস করলাম, এর চেয়ে আনন্দের আর কী হতে পারে?’

মায়ের ভালো ফলাফলে খুব খুশি ছেলে রাকিব আমিনও। রাকিব জানান, আর্থিক সমস্যার কারণে তাঁর তিনটি বই কেনা হয়নি। ধার করতে হয়েছে অন্যদের থেকে। মা-খালা তাঁর চেয়ে ভালো রেজাল্ট করলেও কোনো কষ্ট নেই। বরং আনন্দ এ জন্য যে, তাঁর মা ও খালা এতকিছুর পরও প্রমাণ করতে পেরেছেন, ইচ্ছা থাকলেই করা যায় যে কোনো কিছু।

এদিকে মেয়ে ও নাতির ভালো ফলাফলের সংবাদে খুশি শাহনাজ বেগমের বাবা হাজি শাহজাহান আলী। তিনি বলেন, জীবন সায়াহ্নে এসে এমন ঘটনা তাঁকে গর্বিত করেছে। তিনি জানান, মেয়ে ও নাতির জন্য তিনি সামর্থ্যমতো সবকিছু করবেন।

রাকিব আমিনের বাবা রুহুল আমিনও খুশি স্ত্রী-সন্তানের ফলাফলে। তিনি বলেন, ‘একজন স্বামী ও বাবা হিসেবে আমি গর্বিত। ছেলের সাথে মায়ের পড়ার সময় অবাক হয়েছিলাম আমি। ভাবনা ছিল পারবে কি না। অথচ সব শঙ্কা দূর করে আর দশজনের মতো রাকিবের মাও পাস করল, ভালো ফলাফল করল।’

মমতা হেনার মেয়ে সুরাইয়া সূচী বলেন, ‘গত বছর আমি এইচএসসি পাস করার পর আমার মাকে আবারও পড়তে বলি। কেননা আমি যখন মায়ের গর্ভে, তখন আমার জন্য তিনি পড়ালেখা ছেড়েছিলেন। আমার কথায় মা আজ পরীক্ষা দিয়ে ভালো ফলাফল অর্জন করেছেন। এ জন্য আমার আনন্দের আর কোনো সীমা নেই। আজকে মায়ের জন্য আমরা গর্বিত।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest