সর্বশেষ সংবাদ-
বেগম জিয়ার সুস্থতা কামনায় সাতক্ষীরায় দোয়াবারসিকের উদ্যোগে পরিবেশ সাংবাদিক ফোরামের ওরিয়েন্টেশনজামায়াত শুধু নিজেদের মানুষকেই চাকরি দেয়, তারা সার্বজনীন হতে শেখেনি: কাজী আলাউদ্দিনদেবহাটায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আহাদ আলীর রাস্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন উপকূলের মানুষের সংকট নিরসনের সুনির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি নির্বাচনী ইশতেহারে অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যে নাগরিক সংলাপসাতক্ষীরায় প্রেমিকার বাড়ি চিনিয়ে দেওয়ার অভিযোগ: গুলি করে হত্যা চেষ্টাফিজিশিয়ান স্যাম্পল বিক্রয়ের দায়ে নাহিন মেডিকেল হলকে জরিমানাসাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নো ওয়ার্ক” কর্মসূচিসাতক্ষীরায় তারুণ্য নির্ভর নতুন বাংলাদেশ গঠনে এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই শীর্ষক আলোচনাসফটওয়্যার ও আইটি সল্যুশন কোম্পানি গ্লোরিয়াস আইটির ১১ বছর পূর্তি উদযাপন

মিয়ানমারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা উচিত-জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক প্রধান

মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতনের প্রেক্ষাপটে দেশটির ওপর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন সংস্থাটির মানবাধিকারবিষয়ক প্রধান জেইদ রাদ আল-হুসেইন।

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক প্রধান আরো বলেন, রোহিঙ্গা সম্প্রদায়কে পুরোপুরি নির্মূল করার লক্ষ্যে গুটিকয় রোহিঙ্গা চরমপন্থীর কার্যক্রমের উদাহরণ একটা অজুহাত হিসেবে দেখানো হচ্ছে।

মিয়ানমার সরকারের দাবি, গত ২৫ আগস্ট রোহিঙ্গা বিদ্রোহীরা রাখাইন রাজ্যে দুই ডজনের বেশি পুলিশ ও সেনাক্যাম্পে হামলা চালায়। এ সময় ১২ নিরাপত্তাকর্মী নিহত হন। এর পরই আরসাকে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ঘোষণা করে মিয়ানমার সরকার। কিন্তু বিদ্রোহীদের ধরার নামে মিয়ানমার সরকার ‘জাতিগত নিধন’ শুরু করে, যার পরিপ্রেক্ষিতে শরণার্থী সংকটের শুরু হয়।

রোহিঙ্গারা রাখাইনে উগ্র বৌদ্ধ জাতীয়তাবাদীদের নির্যাতনের শিকার, তাদের কোনো নাগরিকত্ব নেই, সরকার তাদের বাইরে থেকে আসা জনগোষ্ঠী হিসেবে দেখে। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দেশহীন জনগোষ্ঠী এই রোহিঙ্গারা।

রাখাইন থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীরাও অভিযোগ করেছেন, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী নির্বিচারে পুরুষদের হত্যা করছে, নারীদের ধর্ষণ করছে। গ্রামের পর গ্রাম আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিচ্ছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বান্দরবানে রেড ক্রিসেন্টের ত্রাণবাহী ট্রাক খাদে, নিহত ৯

বান্দরবানের নাইক্ষংছড়িতে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা রেড ক্রিসেন্টের ত্রাণবাহী একটি ট্রাক খাদে পড়ে ৯ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১০ জন।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টায় নাইক্ষংছড়ির চারঢালা সীমান্তে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ত্রাণ নিয়ে যাওয়ার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তবে তাৎপক্ষণিকভাবে হতাহদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।

বিস্তাতির আসছে…

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মগের মুল্লুক সাতক্ষীরা; কেউ দেখে না চোখে কেউ শোনে না কানে!

নিজস্ব প্রতিবেদক : “কেউ দেখে না চোখে কেউ শোনে না কানে”- সাতক্ষীরাবাসীর বিবেক আজ কোথায়? প্রতিদিন বেআআনি লটারির নামে কলারোয়ার চন্দপুরে ২০ লক্ষাধিক টাকা সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের পকেট থেকে যাচ্ছে প্রভাবশালীদের পকেটে, চলছে গণলুণ্ঠন।
সাতক্ষীরা এখন মগের মুল্লুক! এখানে যখন তখন মেলার নামে যেখানে সেখানে চলে অবৈধ র‌্যাফেল ড্র ও লটারি! কেউ দেখেও দেখে না! সবাই বোবা-কালা-অন্ধ হয়ে থাকে! আর দরিদ্র মানুষের যেখানে চালের উচ্চমূল্যে নাভিঃশ্বাস উঠছে, তখন তাদের বড় একটি অংশ লটারির টিকেট কেটে দ্রুত বড়লোক হওয়ার নেশায় সর্বস্ব খুইয়ে সংসারের অশান্তি বাড়াচ্ছে। যেসমস্ত এলাকায় এসব লটারি চলে সেখানে দ্রুত চুরি, ছিনতাই বাড়তে থাকে। কিন্তু কেউই নেই এর লাগাম টেনে ধরার। জেলার বিভিন্ন স্থানে প্রায় সারাবছর ধরে প্রশাসনের নাকের ডগায় এসব লটারি ও জুয়ার আসর চলছেই। বর্তমানে কলারোয়ার চন্দনপুরের প্রত্যন্ত এলাকায় চলছে মানুষকে নিঃশ্ব করে পথে বসানোর জুয়া। দীর্ঘদিন ধরে নিরবে চালিয়ে যাচ্ছে “স্বপ্নের ঠিকানা” লাটারি নামক এই জুয়া। ওই লাটারির টিকিট কিনে ইতোমধ্যে নিঃশ্ব হয়েছেন অনেকে। কিন্তু কারো যেন নজর নেই এদিকে। যথারীতি আনন্দ মেলার ছদ্মাবরণে এসব চলছেই।
মঙ্গলবার সরেজমিন ঘুরে দেখা বুধবার দৈনিক আজকের সাতক্ষীরায় এ সংক্রান্ত একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় দৈনিক আজকের সাতক্ষীরায়। অন্যদিকে অনলাইন নিউজ পোর্টাল ডেইলি সাতক্ষীরায় প্রায় ১২ হাজার পাঠক প্রতিবেদনটি পড়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অসংখ্য কমেন্ট করেছেন তারা। অনেকেই লিখেছেন, “এই নির্লজ্জভাবে দেখেও না দেখার ভান করার জন্য জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন, পুলিশ, সরকারি দলের নেতা, সাংবাদিক সবার মুখ বন্ধ রেখে বেআইনি লটারি যার কোন রাজস্ব সরকারের খাতায় জমা হচ্ছে না তা চলছে নগদ নারায়ণের বিনিময়ে!”
বুধবার রাতে ৯ ভরি ওজনের সোনার হার প্রথম পুরস্কার বলে ঘোষণা দিয়ে কলারোয়া-তালা ও সদর উপজেলার কিছু কিছু জায়গায় প্রকাশ্যে মাইক বাজিয়ে প্রায় ২০০ ইজি বাইকে বিক্রি করা হয়েছে অবৈধ এই লটারির টিকিট। আনুমানিক প্রায় ২০ লক্ষ টাকার টিকিট বিক্রি হচ্ছে প্রতিদিন। এর ৫/৭ লাখ টাকা পুরস্কারের পিছনে ব্যয় করে বাকি টাকা যাচ্ছে প্রভাবশালীদের পকেটে।
উল্লেখ্য, ঈদ আনন্দ মেলা নামে চন্দনপুর বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে একটি মেলার আয়োজন করেন কলারোয়া পৌর আ’লীগের সভাপতি আলিমুলসহ কয়েকজন ব্যক্তি। কিন্তু যে উদ্দেশ্যের কথা বলে মেলা বসানো হয়েছিল সে ধরনের কোন কার্যক্রম নেই এখানে। রয়েছে শুধুমাত্র লাটারি।
নড়াইলের কালিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মানিক শিকদারসহ ৩ জনের যৌথ পরিচালনায় সাতক্ষীরার বিভিন্ন এলাকায় এ লটারি নামক জুয়া অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।
প্রতিদিন প্রায় শতাধিক ইজিবাইক কলারোয়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়নসহ যশোরের শার্শা ও সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা, বাঁশদহা, আগরদাড়ী, কুশখালী, লাবসা ইউনিয়নে ছড়িয়ে পড়ে। বিক্রয়কর্মীরা ভাগ্যের দোহাই দিয়ে বিভিন্ন সুমধুর সুরে মানুষকে ভুল বুঝিয়ে টিকিট বিক্রয় করে। গ্রাম্য এলাকার সহজ, সরল মানুষগুলো সহজেই তাদের ফাদে পড়ে ভাগ্যে যাচাই নামক জুয়ার (লটারি) এর টিকিট ক্রয় করছেন। অনেকেই সারাদিন ভ্যান চালিয়ে, দিনমজুরি ও শ্রমিকের কাজ করে সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পথে সারাদিনের রোজগারের টাকা দিয়ে বাজার না করে পুরুষ্কারের আশায় সব টাকা দিয়ে লটারির টিকিট ক্রয় করছেন। কিন্তু পরে দেখা গেছে একটি পুরস্কারও তাদের ভাগ্যে জোটেনি।
স্থানীয়রা জানান, গত ২৭ জুন’১৭ তারিখে চন্দনপুর বহুমুখী বিদ্যালয়ের মাঠটি ১লক্ষ টাকা দেওয়ার চুক্তিতে ২৬ জুলাই’১৭ তারিখ ১মাসের জন্য ভাড়া দেয় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সে মেয়াদ অতিবাহিত হলেও মাঠটি না ছেড়ে চালানো হচ্ছে দীর্ঘ মেয়াদী লটারী নামক জুয়া। তবে কিছুদিন বন্ধ থাকলেও ঈদের পরের দিন থেকে এ মেলা আবারো শুরু হয়। তবে উক্ত বিদ্যালয়ের মানেজিং কমিটি সভাপতিসহ অন্যা সদস্যরাই নাকি এ মেলার আয়োজক। যে কারণে কাউকে কোন কৈফিয়ত দিচ্ছেন না তারা।
তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, স্বপ্নের ঠিকানা নামক লটারি বিক্রির জন্য প্রতিদিন ১০০ ইজিবাইক, ২টি মিনি পিকআপ রয়েছে। তারা প্রতিদিন কলারোয়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়নসহ যশোরের শার্শা ও সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা, বাঁশদহা, আগরদাড়ী, কুশখালী, লাবসা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় টিকিট বিক্রয় করছেন। ওই টিকিটের মূল্য ২০টাকা। প্রতিদিন তারা প্রায় ১ লক্ষ থেকে ১ লক্ষ টাকা ২০ টিকিট বিক্রয় করে। এতে প্রায় প্রতিদিন ২০ লক্ষ টাকার টিকিট বিক্রয় করে। কিন্তু পুরস্কার দেওয়া হয় ৫/৭ লক্ষ টাকার। প্রায় ২ মাস ধরে এভাবে অত্র এলাকায় চলছে গরিব কে নিঃশ্ব করে কতিপয় অসাধু ব্যক্তিদের পকেট ভরা।
এবিষয়ে লটারির পরিচালক রবিউল ইসলাম রবি’র সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমরা মাত্র ১৭দিন লটারি চালাচ্ছি। প্রতিদিন ১০০ ইজিবাইক বিক্রয়ের জন্য বের হয় এবং প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০ হাজার টিকিট বিক্রয় হয়। এখানে কতদিনের অনুমতি পেয়েছেন মর্মে তিনি বলেন ১০ দিনের। কিন্তু ১০দিন ইতোমধ্যে অতিবাহিত হয়েছে। আরো ১০ দিন বাড়ানো হয়েছে। তাছাড়া ডিসি সাহেবের মৌখিক অনুমতি রয়েছে। গ্রামের একেবারে শেষ পর্যায়ে হওয়ায় ব্যবসা ভালো যাচ্ছে না। একপর্যায়ে তিনি বলেন, ভাই আপনাদের তো এতদূর আসার দরকার ছিলো না। সাংবাদিকদের সাথে তো কথা বলবেন মানিক চাচা। এছাড়া তিনি এবিষয়ে রিপোর্ট না করার জন্য অনুরোধ করেন।
এবিষয়ে মানিক শিকদারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমাদের ২৫ তারিখ পর্যন্ত অনুমতি আছে মৌখিকভাবে। আরো বাড়ানো হতে পারে। আর আপনি আমার সাথে দেখা করেন। আপনার সালামির কোন অসুবিধা হবে না। আমি পার্কে আছি। যদি আপনি বলেন আমিও আসতে পারি আপনার কাছে।
এঘটনায় চন্দনপুর বহুমুখি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনছার আলী বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ে একটি ডিজিটাল ফটোকপি মেশিনের প্রয়োজন। সে কারণে আমরা স্কুলের মাঠ টি তাদের ১ মাসের জন্য রেজুলেশনের মাধ্যমে ভাড়া দিয়েছিলাম। কিন্তু তারা মাঠটি এখনো পর্যন্ত ছাড়েনি। তবে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর এবিষয়ে একটি সভা আহ্বান করা হয়েছে। স্কুলের মাঠে এধরনের লটারি নামক জুয়ায় শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার ক্ষতি হচ্ছে কি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অবশ্যই ক্ষতি হচ্ছে। সামনে তাদের পরীক্ষা। কিন্তু কি করবো বলেন আমারও হাত পা তো বাধা।
অন্যদিকে লটারির ঘটনায় মঙ্গলবার জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দীন বলেছিলেন, “আমরা মাঝে তো বন্ধ করে দিয়েছিলাম। আবারো শুরু হয়েছে। আর জায়গাটাও এমন দুর্গম। যা হোক আমরা দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। সেখানে লটারির কোন অনুমতি দেওয়া হয়নি।”

যদিও বুধবারও সাধারণ মানুষের জীবনে অস্থিরতা আনা এই লটারি চলেছে যথারীতি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনিতে দুর্গোৎসব উপলক্ষে মতবিনিময়

আশাশুনি ব্যুরো : আসন্ন দুর্গাপূজা যথাযথ মর্যাদা ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আশাশুনিতে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকাল ১১ টায় আশাশুনি সদর ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুষমা সুলতানার সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি এ বি এম মোস্তাকিম। উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রনজিৎ কুমার বৈদ্যের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল হান্নান, ইউপি চেয়ারম্যান স ম সেলিম রেজা মিলন, চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিল, উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি নীলকন্ঠ সোম, ওসি (তদন্ত) আখতারুজ্জামান, উপজেলা হিন্দু বৈদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক সুবোধ চক্রবর্তী, ডাঃ সাঈফুল আলম, পল্লী বিদ্যুতের এজিএম স্বপন কুমার পাল প্রমুখ। অনুষ্ঠানে উপজেলার ১১ ইউনিয়ন পূজা উদ্যাপন কমিটির সভাপতি/সম্পাদকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রোহিঙ্গা সঙ্কট নিরসনে শেখ হাসিনার ছয় দফা

রোহিঙ্গা সঙ্কট নিরসনে ছয় দফা প্রস্তাবনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭২তম অধিবেশনের ফাঁকে ১৯ সেপ্টেমর দিনের শেষ দিকে ইউএনজিএ সদর দপ্তরে রোহিঙ্গা বিষয়ে ওআইসির কন্ট্রাক্ট গ্রুপের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংকট সমাধানে আপনাদের ঐক্য প্রদর্শন করুন।

প্রধানমন্ত্রী ওআইসি নেতাদের জানান যে, গত ২৫ আগস্টের পর থেকে স্থল ও নদী পথে সীমান্ত অতিক্রম করে ৪ লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছে, এদের ৬০ শতাংশই শিশু।

এসময় তিনি ছয় দফা প্রস্তাবনা দেন। তার ছয় দফা হলো:

১) এই মুহূর্তে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর সব ধরনের নিপীড়ন বন্ধ করতে হবে।

২) নিরপরাধ বেসামরিক জনগোষ্ঠী, বিশেষ করে নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য মিয়ানমারের ভেতরে নিরাপদ এলাকা তৈরি করা যেতে পারে, যেখানে তাদের সুরক্ষা দেওয়া হবে।

৩) বলপ্রয়োগের মাধ্যমে বাস্তুচ্যুত সব রোহিঙ্গা যেন নিরাপদে এবং মর্যাদার সঙ্গে মিয়ানমারে তাদের বাড়িতে ফিরতে পারে, সেই ব্যবস্থা করতে হবে।

৪) রোহিঙ্গা সঙ্কট নিরসনে কফি আনান কমিশনের পূর্ণাঙ্গ সুপারিশ অবিলম্বে নিঃশর্তভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।

৫) রোহিঙ্গাদের ‘বাঙালি’ হিসেবে চিহ্নিত করার যে রাষ্ট্রীয় প্রপাগান্ডা মিয়ানমার চালাচ্ছে, তা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।

৬) রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে না ফেরা পর্যন্ত তাদের জরুরি মানবিক সহায়তা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে হবে ভ্রাতৃপ্রতিম মুসলিম দেশগুলোকে

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সারা দেশে এক হাজার ৮৪১ রোহিঙ্গা আটক, পাঠানো হয়েছে উখিয়ায়

গতকাল ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন স্থান থেকে এদের আটক ও উদ্ধার করা হয়।

পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (ডিআইজি) এস এম মনির-উজ-জামান আজ বুধবার এ তথ্য জানান। চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ‘মিয়ানমার নাগরিকদের চিহ্নিতকরণ সংক্রান্ত বিভাগীয় কমিটির সভায় তিনি এ তথ্য দেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান।

ডিআইজি এস এম মনির-উজ-জামান বলেন, ‘মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর হাতে নির্যাতিত হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীরা চট্টগ্রামের বাইরেও ছড়িয়ে পড়ছে।’
সভায় নগর পুলিশ কমিশনার মো. ইকবাল বাহার, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) শংকর রঞ্জন সাহা, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) সৈয়দা সারোয়ার জাহান, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

ডিআইজি জানান, রোহিঙ্গা সমস্যাটি তৈরি হওয়ার পর এখন ৬৫৮ জন পুলিশ সদস্য রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির এলাকায় নিয়োজিত রয়েছেন। তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বিপদের সুযোগ নিয়ে দুর্বৃত্ত চক্র তাদের টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিচ্ছে। এ ব্যাপারে আমরা কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছি। অসহায় রোহিঙ্গাদের শেষ সম্বলটুকু কেড়ে নেওয়ার অপরাধে এ পর্যন্ত ১৭৬ জনকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের সাজা দেওয়া হয়েছে। রোহিঙ্গা শরণার্থী অধ্যুষিত এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ সদস্যরা নিরলসভাবে কাজ করছেন।’

চট্টগ্রামের হাসপাতালে অসুস্থ ও আহত রোহিঙ্গাদের তথ্য দিতে গিয়ে ডিআইজি বলেন, ‘চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৮৮ জন রোহিঙ্গা শরণার্থী চিকিৎসা নিতে ভর্তি হন। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে শরণার্থী ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছে ৩৮ জনকে। হাসপাতালে দুজন মারা যান।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মালদ্বীপকে হারিয়ে শিরোপার পথে বাংলাদেশ

অবিশ্বাস্য জয় তুলে নিয়েছিল লাল-সবুজের দল। সাফ অনূর্ধ্ব-১৮ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় ম্যাচেও জয়ের ধারা অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশের যুবারা। তারা হারিয়ে দিয়েছে আসরের আরেক ফেভারিট দল মালদ্বীপকে। ম্যাচে বাংলাদেশ সহজেই ২-০ গোলে জিতেছে।

আজ বুধবার ভুটানের থিম্পুতে অনুষ্ঠিত ম্যাচে বাংলাদেশের জয়ের নায়ক সৈকত মাহমুদ ও জাফর ইকবাল। ম্যাচের নবম মিনিটেই লক্ষ্যভেদ করে বাংলাদেশ। গোলদাতা মিডফিল্ডার সৈকত মাহমুদ। বিরতির এক মিনিট আগে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ফরোয়ার্ড জাফর ইকবাল। জাফর আগের ম্যাচে বাংলাদেশের জয়ে জোড়া গোল করেছিলেন।

চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে ম্যাচে এই জয়ে বাংলাদেশের শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা খুবই উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। পরের দুই ম্যাচের প্রতিপক্ষ নেপাল ও ভুটানের বিপক্ষে জিতলেই শিরোপার উল্লাস করবে জাফর-রহমতরা।

আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর নেপালের সঙ্গে তৃতীয় এবং দুইদিন পর স্বাগতিক ভুটানের বিপক্ষে আসরে নিজেদের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ দল হবে চ্যাম্পিয়ন।

আসরে বাংলাদেশ, ভারত, মালদ্বীপ, নেপাল ও স্বাগতিক ভুটান অংশ নিচ্ছে। শ্রীলংকা টুর্নামেন্ট শুরুর আগে নাম প্রত্যাহার করে নেয়। তাই খেলা হচ্ছে রাউন্ড রবীন লিগ পদ্ধতিতে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের স্কলারশিপপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজে চীনে স্কলারশীপ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার সকাল ১০টায় সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজে ক্যাম্পাসে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কলেজের অধ্যক্ষ জিয়াউল হক। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন, একাডেমিক ইনচার্জ ফেরদৌস আরেফিন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, ইন্সপেক্টর (আরএসি) মোঃ আব্দুল আলিম, ইলেক্ট্রনিক্স ইন্সপেক্টর রঞ্জন, বাকীবুল্লাহ আনিস, শফিকুল ইসলাম প্রমুখ। স্কলারশীপ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন, দৈনিক কালের চিত্রের সাংবাদিক রবিউল আওয়াল, ফয়সাল আহমেদ, নাজমুস সাহাদৎ, আল আমিন ও তানভীর চৌধুরী। উল্লেখ্য সারা বাংলাদেশের মধ্যে মোট ৩৪৯ জন সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজে শিক্ষার্থীরা চীনে স্কলার শীপ পেয়েছে। তার মধ্যে সাতক্ষীরা সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের ৫ জন শিক্ষার্থী স্থান পেয়েছেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন, এবার সারা দেশের মধ্যে ৩৪৯জন স্কলারশীপ পেয়েছেন। তার মধ্যে সাতক্ষীরা ৫জন স্থান পাওয়ায় আমরা গর্বিত। যারা স্কলারশীপ পেয়ে চীনে যাচ্ছে তারা শুধু এই কলেজের গর্ব নই তারা সাতক্ষীরাসহ দেশবাসীর গর্ব। যারা জননেত্রী শেখ হাসিনার ঐক্যন্তিক প্রচেষ্টায় এটা সম্ভব হয়েছে।
আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ থেকে স্কলারশিপপ্রাপ্তরা চীনের উদ্দেশ্যে রওনা দেবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest