সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভাফরিদপুরে দুর্ঘটনায় নিহত ১৩: পাঁচজনই এক পরিবারের সদস্যনিজস্ব অর্থায়নে প্রতিবন্ধীদের মধ্যে হুইল চেয়ার বিতরণ করলেন ডা: রাজুজরিমানা ব্যাতীত মোটরযান ও ড্রাইভিং লাইসেন্সের হালনাগাদ করার সময় বৃদ্ধিউপজেলা নির্বাচনে লড়তে পদত্যাগ করলেন খাজরা ইউপি চেয়ারম্যান ডালিমপুরাতন সাতক্ষীরায় ঈদ পুনর্মিলনী ও প্রীতি ফুটবল খেলাদেবহাটায় তুচ্ছ ঘটনায় প্রতিপক্ষের মারপিটে রক্তাক্ত জখমপাঁচ দিন পর শুরু হলো ভোমরায় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমসাতক্ষীরায় দেশ সেরা পাঁচ নারী ক্রীড়াবিদকে সংবর্ধনাআসক ফাউন্ডেশন জেলা কমিটির পক্ষে দুঃস্থ ও ভুমিহীন পরিবারের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ

নানা সমালোচনার মুখে ইউএনও গাজী তারিক সালমনের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি বিকৃত করার অভিযোগ তুলে নিচ্ছেন বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও আওয়ামী লীগের বহিস্কৃত ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ ওবায়েদুল্লাহ সাজু।

রোববার আদালতে এ সংক্রান্ত একটি অাবেদন করেছেন তিনি।

গাজী তারেক সালমন বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকাকালে ২৬ মার্চের অনুষ্ঠানের একটি আমন্ত্রণপত্র প্রকাশ করেন। ওই আমন্ত্রণপত্রের পেছনের পাতায় পঞ্চম শ্রেণী পড়ুয়া একজন শিশুর আঁকা বঙ্গবন্ধুর ছবি ছাপানো হয়।

ওই ছবিতে বঙ্গবন্ধুকে বিকৃত করে উপস্থাপন করে মানহানী করা হয়েছে এমন অভিযোগে গত ৭ জুন ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে সালমনের বিরুদ্ধে মামলা করেন বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ ওবায়েদুল্লাহ সাজু।

গত বুধবার ওই মামলায় জামিন চাইতে গেলে বরিশালের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্টেট্র আদালতের বিচারক মো. আলী হোসাইন প্রথমে তাকে কারাগারে পাঠান। তবে কয়েক ঘণ্টা পর তাকে আবার জামিন দেন।

এ ঘটনা সারাদেশে তীব্র সমালোচনার জন্ম দেয়। এক পর্যায়ে সাজুকে দল থেকে বহিস্কার করে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বছর এই পরীক্ষায় পাসের হার ৬৮.৯১ শতাংশ।

আজ রোববার সকাল ১০টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর হাতে ফলের অনুলিপি তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা মো. আফরাজুর রহমান বিষয়টি জানিয়েছেন।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দুপুরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল তুলে ধরবেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

ফল জানা যাবে যেভাবে

বরাবরের মতো এবারও যেকোনও মোবাইল থেকে এসএমএস পাঠিয়ে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল জানা যাবে। এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ই-মেইলে ফল জানিয়ে দেওয়া হবে।

পরীক্ষার্থীরা নিজের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়াও শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট (www.educationboard.gov.bd) থেকে ফল জানতে পারবে। যে কোনও মোবাইল থেকে এসএমএস পাঠিয়ে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল জানতে HSC লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০১৭ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে ফল জানিয়ে দেওয়া হবে।

মাদ্রাসা বোর্ডের অধীন আলিম পরীক্ষার ফল জানতে AlIM লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের প্রথম তিন বর্ণ লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০১৭ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে ফল পাওয়া যাবে।

এছাড়া এইচএসসি ভোকেশনালের ফল জানতে HSC লিখে স্পেস দিয়ে TEC লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০১৬ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে ফল জানিয়ে দেওয়া হবে।

গত ২ এপ্রিল সারা দেশে একযোগে শুরু হয় এই পরীক্ষা। লিখিত পরীক্ষা শেষ হয় ১৫ মে। মাদ্রাসা, কারিগরিসহ ১০টি শিক্ষা বোর্ডের আওতায় এবার পরীক্ষায় অংশ নেয় আট হাজার ৮৬৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মোট ১১ লাখ ৮৩ হাজার ৬৮৬ পরীক্ষার্থী।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, এ বছর মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র ছয় লাখ ৩৫ হাজার ৬৯৭ জন। আর ছাত্রী পাঁচ লাখ ৪৭ হাজার ৯৮৯ জন। সারা দেশে মোট দুই হাজার ৪৯৭টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

 

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নেইমার বার্সেলোনা ছেড়ে চলে যাবেন কি না, সেই আলোচনাতেই মুখর হয়ে আছে ইউরোপের ফুটবল অঙ্গন। এরই মধ্যে নিজের গুরুত্বটা আরো ভালো করে বুঝিয়ে দিলেন ব্রাজিলিয়ান এই তারকা। মৌসুম শুরুর আগে প্রীতি ম্যাচে জুভেন্টাসকে প্রায় একাই হারিয়ে দিলেন নেইমার। করলেন জোড়া গোল। বার্সেলোনাও পেল ২-১ গোলের জয়।

গত মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে জুভেন্টাসের কাছে হেরেই শিরোপা জয়ের স্বপ্ন শেষ হয়েছিল বার্সার। প্রীতি প্রতিযোগিতা ইন্টারন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নস কাপে সেই হারের প্রতিশোধটাই যেন নিয়েছে কাতালানরা।

যুক্তরাষ্ট্রের মেটলাইফ স্টেডিয়ামে শুরুতেই জ্বলে উঠেছিলেন নেইমার। প্রথমার্ধের ১৫ ও ২৬ মিনিটে করেছিলেন দুটি গোল। বার্সেলোনাকে বসিয়ে দিয়েছিলেন চালকের আসনে। দ্বিতীয়ার্ধে ৬৩ মিনিটে একটি গোল শোধ করতে পেরেছিল জুভেন্টাস। বার্সার জালে বল জড়িয়েছিলেন জর্জিও কিয়েলিনি। পরে আর গোলের দেখা পায়নি কোনো দলই। ২-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে বার্সেলোনা।

মৌসুমের শুরুতেই জোড়া গোল করলেও বার্সেলোনায় নেইমার সত্যিই থাকবেন কি না, তা নিয়ে চলছে ঘোর সংশয়। তাঁকে পাওয়ার জন্য ট্রান্সফার ফির নতুন রেকর্ড গড়তেও রাজি ফ্রান্সের শীর্ষ ক্লাব প্যারিস সেইন্ট জার্মেইন। নেইমারও নাকি ঘনিষ্ঠ সতীর্থদের জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি পিএসজিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন।

স্প্যানিশ মিডিয়ার দাবি, নেইমারের বাবা ও তাঁর এজেন্ট এরই মধ্যে ফরাসি ক্লাবটির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে ফেলেছেন। আর এ চুক্তির পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান নাকি পিএসজির অধিনায়ক ও ব্রাজিলের তারকা ডিফেন্ডার থিয়েগো সিলভার।

প্রাক-মৌসুম প্রীতি ম্যাচগুলোতে অবশ্য বার্সেলোনার জার্সি গায়েই দেখা যাবে নেইমারকে। আগামী ২৬ জুলাই বার্সেলোনা খেলবে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে। আর ৩০ জুলাই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের মুখোমুখি হবে কাতালানরা। দুই ম্যাচেই খেলার কথা আছে নেইমারের।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ঢাকাই ছবির নন্দিত অভিনেত্রী তিনি। দীর্ঘদিন তিনি অভিনয়ে নেই। তবে তার জন্য আজও ভালোবাসা নিয়ে অপেক্ষা করেন বাংলা ছবির দর্শক। বলছি এক ও অদ্বিতীয়া শাবনূরের কথা।

অভিনয়কে যিনি অনন্যতা দিয়েছেন ঢাকাই ছবিতে। চলচ্চিত্র থেকে বিরতি দিয়ে মনযোগী হয়েছেন সংসারে। স্বামী ও পুত্রকে নিয়ে বেশ সুখেই কাটে তার দিনযাপন।

 অস্ট্রেলিয়াতে স্থায়ী হলেও অনেকদিন হয় তিনি ঢাকাতে। তবে প্রচারের আলো থেকে দূরে ছিলেন। সেই দূরত্ব কাটিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় (২২ জুলাই)  এসেছিলেন তার প্রিয় স্থান এফডিসিতে। দেখা করেছেন দীর্ঘদিন না দেখা প্রিয় মানুষদের সঙ্গে।

তারই ফাঁকে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে এসে নতুন কমিটিকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান তিনি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন একসময়ে তার সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করা নায়ক রিয়াজ, যিনি বর্তমান কমিটির সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

আরও উপস্থিত ছিলেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক চিত্রনায়ক জায়েদ খান ও কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য চিত্রনায়িকা পপি। শাবনূরকে পেয়ে সমিতির এই তিন সদস্যও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।

শুভেচ্ছা জ্ঞাপন শেষ শাবনূর বলেন, চলচ্চিত্রের বর্তমান অবস্থা খুব খারাপ। নতুন কমিটি আবার সিনিয়রদের এফডিসিতে ফিরিয়ে আনছে। গুণীদের সম্মান দিচ্ছে। এটা বেশ ইতিবাচক। সবাইকে মিলেমিশে সব অপশক্তি আর সমস্যা মোকাবিলা করে সিনেমার ভালো দিন আনতে হবে।

শাবনূরের শুভেচ্ছা পেয়ে আপ্লুত রিয়াজ। তিনি বলেন, শাবনূর ঢাকাই ছবির জন্য কী তা নতুন করে বলা বোকামি। তার মতামত, পরামর্শ ও সমর্থন আমাদের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। অনেকদিন পর তাকে পেয়ে, তার সঙ্গে আড্ডা দিয়ে খুব ভালো লাগলো।

সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান বলেন, শাবনূর আপাকে অনেকদিন পর আমাদের সঙ্গে পেয়ে আনন্দিত। উনার মতো গুণী শিল্পী এই সংকট মুহূর্তে আমাদের পথ নির্দেশনা দিলে আমরা উৎসাহ পাবো। তিনি অনেক কিছু নিয়ে আলাপ করেছেন।

আগামী ২৪ জুলাই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান। সেদিন চলচ্চিত্রের মানুষেরা উপস্থিত থাকবেন বিজয়ীদের শুভেচ্ছা জানাতে। উপস্থিত থাকতে পারেন শাবনূরও।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নাৎসি আমলের সঙ্গে ভারতের বর্তমান পরিস্থিতির তুলনা করে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে এক হাত নিলেন বিরোধীদল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি রাহুল গান্ধী। দু’দিন আগে টুইটারে কেন্দ্রীয় সরকারকে কটাক্ষ করে কংগ্রেসের এই নেতা মোদিকে হিটলারের সঙ্গে তুলনা করেন। তবে এই মন্তব্যের রাহুলকে ‘ধন্যবাদ’ জানিয়েছেন দেশটির কেন্দ্রীয় বস্ত্র উন্নয়নমন্ত্রী স্মৃতি ইরানি।

দু’দিন আগে টুইটারে দেয়া বার্তায় রাহুল নাৎসি নেতা হিটলারের একটি বক্তব্যও জুড়ে দেন। রাহুল লেখেন, ‘হিটলার বলেছিলেন বাস্তবের উপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ রাখো। যাতে যে কোনও সময় তার কণ্ঠরোধ করতে পারো।’

মোদি সরকার দেশকে একনায়কতন্ত্রের জায়গায় নিয়ে যেতে চাইছে। যেখানে কোনও প্রশ্ন চলবে না

রাহুলের মতে, মোদির শাসন আমলে ভারতে একই ধরনের পরিস্থিতি চলছে। এই টুইটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দফতর থেকে কোনও মন্তব্য না করা হলেও টুইট যুদ্ধে নামেন স্মৃতি ইরানি। তিনি লেখেন, ‘মোদি নন, গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করেছিলেন রাহুলের দাদি ইন্দিরা গান্ধী। রাহুল এই কথাটিই বুঝতে ৪২ বছর দেরি করে ফেলেছেন।’

ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মোদি সরকার বাক-স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছে বলে অভিযোগ রয়েছে দেশটিতে। এ নিয়েও এর আগে সরব ছিল কংগ্রেসসহ বিভিন্ন বিরোধীদল। এবারও বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারকে কটাক্ষ করে রাহুল বলেন, ‘মোদি সরকার দেশকে একনায়কতন্ত্রের জায়গায় নিয়ে যেতে চাইছে। যেখানে কোনও প্রশ্ন চলবে না।’

তার ওই টুইটের পর ১৯৭৫ সালে দেশটিতে জারি করা জরুরি অবস্থার কথা রাহুলকে মনে করিয়ে দেন স্মৃতি ইরানি। সেই সময় কীভাবে ভারতের স্বাধীন কণ্ঠরোধ করা হয়েছিল তারও উল্লেখ করেন তিনি। একই সঙ্গে ১৯৭৫ সালের সেই ২১ মাসকে স্বাধীন ভারতের অন্যতম কালো দিন বলেও মন্তব্য করেন স্মৃতি। আনন্দবাজার।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ডেস্ক রিপোর্ট : কেবল সার্কিট হাউসে ভাড়া বকেয়া নয়, বিনা ভাড়ায় লঞ্চে যাতায়াতের কথা ফাঁস হয়েছে বরিশালের মুখ্য মহানগর হাকিম মো. আলী হোসাইনের বিরুদ্ধে। যাত্রী চাপ থাকায় ঈদুল ফিতরে পছন্দের বিনা ভাড়ার সিটের টিকেট দিতে বিলম্ব হওয়াতে গ্রীন লাইন ওয়াটারওয়েজের কর্মকর্তা মো. লিপটনকে পুলিশ দ্বারা ডাকিয়ে নেওয়া হয়েছিল। একথার সত্যতা স্বীকার করেন কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আওলাদ হোসেন। বিচারকরা প্রভাব খাটিয়ে বিনা ভাড়ায় যাতায়াত করলে এটা নৈতিকতার পরিপন্থি বলে জানালেন নাগরিক সমাজের নেতৃস্থানীয়রা।
গ্রীন লাইন ওয়াটারওয়েজের কর্মকর্তা মো. লিপটন বলেন, প্রায় আড়াই বছর আগে বরিশাল টু ঢাকা রুটে নদীপথে তাদের গ্রীন লাইনের যাত্রা শুরু হয়। এর মাস কয়েক পরই চিফ মেট্রেপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পেশকার মো. সুমন হাওলাদার তাদের বিচারক মো. আলী হোসাইনের জন্য টিকেট নিতে আসেন। বিনা ভাড়ায় টিকেট চাইলে অপারগতা প্রকাশ করলে নানা ধরনের হয়রানির ভয় দেখায়। এরপর টিকেট দিতে রাজি হলেও তাও আবার সৌজন্য লেখা যাবে না বলে আপত্তি তোলেন পেশকার সুমন। অবশেষে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালে চাহিদা অনুযায়ী টিকেট দিতে বলেন। প্রতি বৃহস্পতিবার চিফ মেট্রেপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হোসাইন বরিশাল থেকে ৩টার লঞ্চে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হন। মাস ছয়েক হলো তার সাথে আরো যুক্ত হয়েছেন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক গোলাম ফারুকের জন্য বিনা ভাড়ায় টিকেট নেওয়া। এই দুই বিচারককে তাদের পছন্দের ছিট দিতে হয়।
গ্রীন লাইন ওয়াটার ওয়েজের এই কর্মকর্তা আরো বলেন, এবার ঈদুল ফিতরে দুই বিচরকের পছন্দের সিট দিতে না পারায় বরিশাল কোতোয়ালি থানার পুলিশ তাকে ডেকে নিয়েছিলেন। অবশ্য পুলিশ বিষয়টি জানতে পেরে তার সাথে খারাপ কোন আচরণ করেননি।
এনিয়ে কথা বলার জন্য চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক বা পেশকারকে মুঠোফোনে বার কয়েক কল দিলেও তারা রিভিস করেননি। তবে কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আওলাদ হোসেন বলেন, তাদের কাছে বলায় গ্রীন লাইনের কর্মকর্তাকে ডেকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন মাত্র।
অপরদিকে ২০১৫ সালে ২৭ অক্টোবর থেকে ২০১৬ সালের ২৮ জুন পর্যন্ত সার্কিট হাউজের ৭ নম্বর কক্ষে বাস করে মাত্র ৫ দিনে ৩৯০ টাকা ভাড়া প্রদান করেছেন চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. আলী হোসাইন। তার কাছে ৯৩ হাজার ৯৫০ টাকা পাওনা আছে বলে ৪ আগস্ট ২০১৬ তারিখ ওই সময়ের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর কল্যাণ চৌধুরী চিঠি দিয়েছিলেন। সার্কিট হাউসের দায়িত্বে থাকা এনডিসি মোহাম্মদ নাহিদুল করিম বলেন, বকেয়া ভাড়া এখন পর্যন্ত পরিশোধ করেননি চিফ মেট্রেপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট।
লঞ্চে বিনা ভাড়ায় টিকেট নেওয়া সার্কিট হাউসের ভাড়া পরিশোধ না করার বিষয়ে পাবলিক প্রসিকিউটর গিয়াস উদ্দিন কবুল বলেন, তিনি জানতেন লঞ্চে তাদের কোটায় থাকা সিটে ভাড়া পরিশোধ করে বিচারকরা যাতায়াত করেন। ভাড়া না দিয়ে যাতায়াত করে থাকলে এটা নৈতিকতা বিরোধী। এ নিয়ে সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট এসএম ইকবাল বলেন, বিচারকদের পরিচ্ছন্ন মনোভব থাকা আমাদের কাম্য। এ বিষয়গুলো সমাজের মানুষ জানতে পারলে তাদের সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা জন্ম নিবে এটাই স্বাভাবিক।
উল্লেখ্য, দেশব্যাপী আলোচিত চলমান ঘটনা শিশুদের আঁকা বঙ্গবন্ধুর ছবি দাওয়াতপত্রে ব্যবহার করায় আগৈলঝাড়ার সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাজী তারিক সালমানের বিরুদ্ধে ৭ জুন ৫ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ চেয়ে মানহানি মামলা হয়েছিল। চিফ মেট্রোপলিটন আদালতে এই মামলাটিরবাদী হলেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ ওবায়েদ উল্লাহ সাজু। বর্তমানে বরগুনা সদর উপজেলায় কর্মরত ইউএনও গাজী তারিক সালমান ১৯ জুলাই আদালতে হাজির হলে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। তবে এর দুঘণ্টা পর প্রশাসনের হস্তক্ষেপে জামিন মেলে। এঘটনায় মামলার বাদী জেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ ওবায়েদ উল্লাহ সাজুকে দল থেকে সময়িক বহিষ্কারের নির্দেশ দেন কেন্দ্রীয় কমিটি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ন্যাশনাল ডেস্ক : মাত্র ২ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে বাংলাদেশ থেকে দুই বছরে প্রায় ১৩ কোটি টাকা লভ্যাংশ নিয়ে গেছে ভারতীয় কোম্পানি হাঙ্গামা। এই টাকা কোম্পানিটির মূলধনের প্রায় ৩২০ গুণ। বিষয়টিকে বাংলাদেশ ব্যাংক ‘অস্বাভাবিক ব্যবসায়িক কর্মকা-’ হিসেবে দেখছে। এই বিষয়ে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থার (বিটিআরসি) চেয়ারম্যানকে ‘হাঙ্গামা (বাংলাদেশ) প্রাইভেট লিমিটেডের অনিবাসী শেয়ার হোল্ডারদের অনুকূলে মাত্রাতিরিক্ত লভ্যাংশ প্রেরণ প্রসঙ্গে’ কয়েকটি বিষয়ে অভিমত চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক দুই বার চিঠি দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে বিটিআরসির সচিব মো. সরওয়ার আলম বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিষ্ঠানটির বিষয়ে জানতে চেয়ে বিটিআরসিতে চিঠি দিয়েছে। এ বিষয়ে অপারেটরদের কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার পর তদন্ত করে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হাঙ্গামা’র বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের অভিযোগ, ২ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে ২০১৫ সালে ৬ কোটি ৭৪ লাখ ৮১ হাজার ২৫০ এবং ২০১৪ সালে ৬ কোটি ৭ লাখ ৩৩ হাজার ১২৫ টাকা লভ্যাংশ বাবদ ভারতে পাঠানো হয়েছে। এই টাকা ওই কোম্পানির মূলধনের প্রায় ৩২০ গুণ। বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুসন্ধানে জানা গেছে, হাঙ্গামার কর্মী-সংখ্যা মাত্র ১ জন। এছাড়া স্থায়ী কোনও স্থাপনা নেই। স্থায়ী স্থাপনাবিহীন ‘স্বল্প মূলধনী’ এ প্রতিষ্ঠানটি তাদের ১ জন মাত্র কর্মী দিয়ে মূলধনের প্রায় ৩২০ গুণ লভ্যাংশ ভারতে পাঠানোর বিষয়টিকে ‘অস্বাভাবিক ব্যবসায়িক কর্মকা-’ বলে অভিহিত করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বিটিআরসিকে দেওয়া চিঠিতে ‘হাঙ্গামা’কে ‘শতভাগ বিদেশি মালিকানাধীন অখ্যাত একটি কোম্পানি’ হিসেবে উল্লেখ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
প্রাপ্ত নথিপত্র পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ‘হাঙ্গামা’ ভারতের হাঙ্গামা ডিজিটাল মিডিয়া এন্টারটেইনমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড ও নিরাজ রায় (পরিচালক)-এর শতভাগ মালিকানাধীন একটি কোম্পানি। প্রতিষ্ঠানটি মোবাইলফোনের ওয়াপ, সিআরবিটি (কলার রিং ব্যাক টোন) আইভিআর (ইন্টারঅ্যাক্টিভ ভয়েস রিকগনিশন) এবং মিউজিক স্ট্রিমিং সেবা দেয়। ‘হাঙ্গামা’র আর্থিক বিবরণী পর্যালোচনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ধরা পড়েছে, প্রতিষ্ঠানটির আয়ের সিংহভাগ (বেশির ভাগ অংশ) বিভিন্ন মোবাইলফোন অপারেটরগুলোর কাছে বিভিন্ন সেবা বিক্রির মাধ্যমে আসে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের উপ-মহাব্যবস্থাপক (বৈদেশিক মুদ্রা বিনিয়োগ বিভাগ-প্রফিট, ডিভিডেন্ড রেমিটেন্স শাখা) মো. আলী আকবর ফরাজী স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বিটিআরসির কাছে এই ধরনের সেবাদানের জন্য কোনও অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে কিনা, এজন্য শতভাগ বিদেশি মালিকানাধীন অখ্যাত একটি কোম্পানিকে অনুমোদন দেওয়ার আদৌ কোনও যৌক্তিকতা আছে কিনা এবং মোবাইলফোন অপারেটরদের এত উচ্চমূল্যে এসব সেবা (ওয়াপ, সিআরবিটি, আইভিআর ও মিউজিক স্ট্রিমিং সেবা) দেওয়ার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ আরোপের প্রয়োজন আছে কিনা, এ সব বিষয়ে অভিমত চাওয়া হয়েছে।
এছাড়া সম্প্রতি বিটিআরসিতে শর্টকোড চেয়ে আবেদন করেছে হাঙ্গামা। শর্টকোডটি ই-এন্টারটেইনমেন্ট (মিউজিক, ওয়ালপেপার, অ্যানিমেশন, গেমস, ভিডিও) সার্ভিসের চাওয়া হয়েছে। শর্টকোড বরাদ্দ দিতে বিটিআরসির অনুকূলে ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা (১৫ শতাংশ ভ্যাটসহ) চেকের মাধ্যমে পরিশোধ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। শর্টকোড চেয়ে টাকা জমা দেওয়ার আবেদনপত্রে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক হিসেবে নিরাজ রায়ের স্বাক্ষর রয়েছে। স্বাক্ষরের নিচে ভারতের একটি ফোন নম্বর দেওয়া রয়েছে। প্যাডে প্রতিষ্ঠানটির গুলশানের ঠিকানা দেওয়া থাকলেও তাতে কোনও ফোন নম্বর বা ই-মেইল ঠিকানা নেই। বাংলাদেশ ব্যাংকের চিঠি পাওয়ার পর বিটিআরসি বিষয়টি আমলে নিয়েছে। শর্টকোডের বিষয়টি খতিয়ে দেখবে বলে জানা গেছে।
হাঙ্গামার কার্যালয় গুলশানে। বৃহস্পতিবার দুপুরে গুলশান এক নম্বরের ১২৬ নম্বর রোডে অবস্থিত কার্যালয়ে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। সিঁড়ির কাছের দেয়ালে সাঁটানো প্লাস্টিকের সাইনবোর্ডে ‘হাঙ্গামা’র লোগো বসানো। নিচে ইংরেজিতে লেখা হাঙ্গামা (বাংলাদেশ) প্রাইভেট লিমিটেড। ভবনটির ৪র্থ তলায় সিআইএমএ ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টিং নামের একটি অফিসের সঙ্গে হাঙ্গামার অফিস শেয়ার করা। অফিসে ঢোকার মূল দরজা একটিই। দরজা ঠেলে ভেতরে ঢুকলে ডান পাশের দরজাওয়ালা কক্ষটি হাঙ্গামার। দরজার ওপরে সাদা কাগজে কালো হরফে লেখা হাঙ্গামা (বাংলাদেশ) প্রাইভেট লিমিটেড। দরজায় তালা ঝোলানো ছিল। সিআইএমএ ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টিং প্রতিষ্ঠানের কর্মী আজিজুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে জানান, ‘অফিস মাঝে মাঝে বন্ধ থাকে। তবে একজন কর্মী অফিসে বসেন।’ (বৃহস্পতিবার) কেন অফিস বন্ধ জানতে চাইলে তিনি তা বলতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘একটি কক্ষেই হাঙ্গামার অফিস।’ তিনি ওই কক্ষটি দেখেছেন বলেও দাবি করেন।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, ‘হাঙ্গামা’ বাংলাদেশে নিবন্ধিত (বাংলাদেশ অফিস অব দ্য রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মসে) একটি কোম্পানি। যার নিবন্ধন নম্বর সি-৮৬৪৮৪। বিটিআরসিতে শর্টকোডের জন্য টাকা জমা দিয়ে নম্বর চেয়ে আবেদনের নিচে নিরাজ রায়ের দেওয়া ফোন নম্বরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফোন করা হলে অন্য প্রান্ত (ভারত) থেকে জানানো হয়, এটা হাঙ্গামার ভারতের মুম্বাই অফিসের নম্বর, কথা বলা হয় রিসিপশন থেকে। নিরাজ রায়ের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে এই প্রতিবেদককে জানানো হয়, নিরাজ রায় অফিসে নেই। মোবাইল নম্বর চাইলেও দেওয়া হয়নি। পরে আবার ফোন করলে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করিয়ে প্রিয়াংকা নামের একজনকে দেওয়া হয়, যিনি হাঙ্গামার মুম্বাই অপারেশন দেখেন বলে জানান। তিনি জানান, ‘হাঙ্গামার বাংলাদেশের অফিস চালু রয়েছে। ওই অফিস থেকেই বাংলাদেশের কার্যক্রম পরিচালিত হয়।’ বৃহস্পতিবার গুলশানে অফিসে গিয়ে বন্ধ থাকার কথা তাকে জানালে, কেন অফিস বন্ধ তা তিনি জানাতে পারেননি। তিনি আরও জানান, ‘বাংলাদেশের মোবাইলফোন ব্যবহারকারীরা তাদের কাছ থেকে কনটেন্ট নিয়ে থাকে।’ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি কিছু জানাতে পারেননি। প্রিয়াংকা এই নম্বর নিয়ে জানান, ‘কিছুক্ষণের মধ্যে তাদের আইন বিভাগের কর্মকর্তা ফোন করে বিস্তারিত জানাবেন। এদিকে দেশের একাধিক মোবাইলফোন অপারেটরের কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, তাদের গ্রাহকরা বিভিন্ন কনটেন্ট প্রোভাইডারদের থেকে মোবাইলে গান, ওয়াল পেপার ডাউললোড করেন, রিংটোন বা ওয়েলকাম টিউন সেট (এজন্য মোবাইল গ্রাহকের ব্যালেন্স থেকে টাকা কেটে নেওয়া হয়) করেন, তার জন্য ওই প্রতিষ্ঠান (হাঙ্গামার মতো অসংখ্য প্রতিষ্ঠান রয়েছে) সংশ্লিষ্ট অপারেটরের সঙ্গে চুক্তির শর্তানুযায়ী রাজস্ব ভাগাভাগি করে। হাঙ্গামাও বিভিন্ন অপারেটরের কাছ থেকে প্রাপ্ত রাজস্ব ভাগাভাগির বেশিরভাগ অর্থ থেকে লভ্যাংশ (প্রায় ১৩ কোটি) বাবদ ভারতে পাঠিয়েছে।
কনটেন্ট নিয়ে কাজ করেন, এমন কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ ব্যক্তির সঙ্গে আলাপ করলে ভবিষ্যতে তাদের সমস্যা হতে পারে ভেবে কেউই উদ্ধৃত হয়ে কথা বলতে রাজি হননি। তবে তারা এজন্য ভ্যাস (ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিস) গাইডলাইন না থাকাকে দায়ী করেন। তাদের ভাষ্য, ভ্যাস গাইডলাইন থাকলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে সেবা দিতে হলে নিয়ন্ত্রক সংস্থা থেকে লাইসেন্স নিতে হতো। তাহলে জবাবদিহির একটা বিষয় থাকতো। অনুমোদন নেওয়ার কোনও বাধ্যবাধকতা থাকলে যেকেউ যেনতেনভাবে ব্যবসা করে যেতে পারত না। বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই চিঠিতে এ ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলোর অনুমোদন না নেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে তা যুক্তিযুক্তও কিনা জানতে চাওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জানতে চাইলে বিটিআরসির সচিব মো. সরওয়ার আলম বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিষ্ঠানটির বিষয়ে জানতে চেয়ে বিটিআরসিতে চিঠি দিয়েছে। দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক স্পষ্ট জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠানটির কোনও স্থায়ী স্থাপনা নেই এবং এর শুধু একজন কর্মী রয়েছে। আমরা সব মোবাইলফোন অপারেটরের কাছে এই ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে চেয়েছি। অপারেটরদের থেকে তথ্য পাওয়ার পর তদন্তের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

এম.শাহীন গোলদার : সাতক্ষীরা জেলাব্যাপী পুলিশের নাশকতা ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে ৩৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় ০৫পিচ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যা থেকে আজ সকাল পর্যন্ত জেলার আটটি থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার হয়। এ সময় বিভিন্ন অভিযোগে ০৫টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ১৪ জন, কলারোয়া থানা ০৩ জন, তালা থানা ০৪ জন, কালিগঞ্জ থানা ০২ জন, শ্যামনগর থানা ০৩ জন, আশাশুনি থানা ০৪ জন, দেবহাটা থানা ০২ ও পাটকেলঘাটা থানা থেকে ০১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মিজানুর রহমান তাদের গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest