সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় প্লাস্টিক “অদল-বদল” ক্যাম্পেইনহাদির মৃত্যুতে সাতক্ষীরায় গায়েবানা জানাজাসাতক্ষীরার সাবেক পিপি লতিফের ৪ দিন : ছেলে রাসেলের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরসাতক্ষীরায় মুন্ডা সম্প্রদায়ের নারীদের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে প্রকল্প সমাপনীতালায় আলাউদ্দিন নামে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধারআশাশুনিতে আশা ব্রিক্সের লেলিহান শিখায় জনজীবন বিপর্যস্তসাতক্ষীরায় উন্নয়ন কাজে নিরব চাঁদাবাজী: পুলিশ পাহারায় কাজ শেষ করলো ঠিকাদারস্বাধীনতা বিরোধীদের নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে সাতক্ষীরায় গণস্বাক্ষরদেবহাটায় হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে সবজি বীজ বিতরনসাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আয়োজনে বিজয় দিবস পালন

ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের উপছে পড়া ভিড়ে জমে উঠেছে গুড়পুকুর মেলা

মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : জমে উঠেছে সাতক্ষীরার ঐতিহ্যবাহী গুড়পুকুর মেলা। শিশুর হাতে বেলুন বাঁশি, তরুণীর হাতে চুড়ি, খোঁপায় রঙ্গীন ফুল। বৃদ্ধের কাঁধে গাছের কলম, গৃহিনীর কাঁধে মাটির কলস, কাঠের বাসন। লোকজ সংস্কৃতির বিরল নিদর্শন ইতিহাস খ্যাত গুড়পুকুর মেলার সেই পুরনো দিন হয়তো আর নেই। তবু নতুন করে যেনো প্রাণ পেয়েছে এ মেলা। গুড়পুকরের মেলা থেকে কেউ ফেরে না খালি হাতে এমন দিনটি হারিয়ে যেতে যেতে আবার কিন্তু সমহিমায় ফিরে এসেছে। বোমা সন্ত্রাস আর ধর্মান্ধ শক্তির দাপটে হারিয়ে যাওয়া বাঙ্গালি সংস্কৃতির অন্যতম নিদর্শন সাতক্ষীরার ঐতিহাসিক গুড়পুকুর মেলা জমে উঠেছে আবারও। মেলার অন্যতম আকর্ষণ ইলিশ উঠেছিল দর্শণার্থীদের হাতে হাতে। মাঝে মাঝে হরদম বিকিকিনি হয়েছে নাগালের মধ্যে আসা ইলিশ। ৩শ বছরের ঐতিহ্যবাহী গুড়পুকুরের মেলা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে গত ১৮ সেপ্টেম্বর। প্রধান অতিথি হিসেবে ফিতা কেটে এ মেলা উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা-০২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। এ মেলা চলবে মাসব্যাপি। তবে ভাল পরিবেশ ও ক্রেতাদের চাহিদার উপর নির্ভর করে এ মেলার সময় আরো বাড়বে বলে জানিয়েছে মেলা কর্তৃপক্ষ। প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মেলায় ভীড় একটু কম হলেও দুপুর গড়িয়ে বিকেল হবার সাথে সাথে মেলায় ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সাতক্ষীরা শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে পৌর দীঘির পাড়ে নান্দনিক রূপ আর সৌন্দর্যের পেখম খুলে বসেছে গুড়পুকুরের মেলা। দর্শনার্থীদের চিত্তবিনোদনে মেলায় নাগরদোলা, নৌকা, ট্রেন ভ্রমণসহ রয়েছে নানা আয়োজন। শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণী, যুব-বৃদ্ধ সবাই ঐতিহ্যবাহী এ মেলা আনন্দ উপভোগ করছেন। স্বজনদের নিয়ে নাগরদোলায় উঠে উপভোগ করছেন অনাবিল আনন্দ। শিশুরা চড়ছে চরকায়। শিশু-কিশোর, যুব-বৃদ্ধ, সবাই ট্রেন ভ্রমণ করে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর প্রয়াস চালাচ্ছেন। মেলায় দা, বটি, কোদাল, খাট-পালং, বাহারী, পোশাক ও জুতার পশরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানীরা। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যবসায়ীরা ঐতিহ্যবাহী গুড়পুকুরের মেলায় স্টল দিয়েছেন। স্টলগুলো সাজানো হয়েছে নান্দরিক রূপে। শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্ক ও পৌর দীঘির পাড়কে মুড়ে দেয়া হয়েছে সৌন্দর্যের মোড়কে ও নিরাপত্তার চাদরে। দোকানীরা বলছে তারা বহু-দুর থেকে এসে এ মেলায় স্টল দিয়েছেন। সকল খরচ মিটিয়ে ব্যবসায় লাভবান হতে কম পক্ষে এ মেলা দুই মাস চালানোর দাবী জানিয়েছেন।
২০০৩ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর ঐতিহ্যবাহী এ মেলা চলাকালে রকসি সিনেমা হলে এবং যাত্রা প্যান্ডেলে বোমা হামলা চালায় দূবৃত্তরা। বোমা হামলায় নিহত হয় ৩ জন। আহত হয় অর্ধ শতাধিক। ২০০৩ সালের পর থেকে গুড়পুকুরের মেলায় দর্শনার্থীদের ভাটা পড়ে। গত কয়েক বছর নতুন আঙ্গিকে মেলা উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেয় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ও পৌর কর্তৃপক্ষ। কঠোর নিরাপত্তা ও চাঁদাবাজমুক্ত পরিবেশে সুষ্ঠুভাবে মেলার আয়োজন করে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ও পৌর কর্তৃপক্ষ। মেলায় রয়েছে নিñিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মেলায় আসছেন সব বয়সের নারী পুরুষ শিশু। তারা ঘুরে ঘুরে দেখছেন, কেনাকাটা করছেন। বিনোদনের সব সুযোগগুলিও ব্যবহার করছেন তারা। ভিড়ে ঠাসা এ মেলায় দোকানপাট বসেছে অসংখ্য। মেলার ব্যাপারে মেলার দোকানদের চেয়ারম্যান মানিক শিকদার বলেন, বেচাকেনা ভাল হচ্ছে। মেলায় কোনো সন্ত্রাস নেই, চাঁদাবাজি নেই। মেলায় নিশ্চিন্তে ও নির্বিঘেœ বেচাকেনা করছেন তারা। আর প্রাণ ভরে লোকজ মেলা উপভোগ করছেন উৎসব প্রিয় বাঙালি। দীঘির জলে আনন্দ ভেলায় মেতে উঠেছেন শিশু কিশোর থেকে সব বয়সের মানুষ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটার ঐতিহ্যবাহী বনবিবিতলা পরিদর্শনে মন্ত্রীপরিষদ সচিব শফিউল আলম

আরাফাত হোসেন লিটন : দেবহাটার ঐতিহ্যবাহী বনবিবিতলা ও রুপসী ম্যানগ্রোভ পরিদর্শন করলেন মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম। শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরুপ দৃশ্য সম্বলিত সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা উপজেলার বিভিন্ন অপরুপ দৃশ্য তিনি স্বস্ত্রীক পরিদর্শন করেছেন। তিনি সড়ক পথে সকালে শ্যামনগরের সুন্দরবন পরিদর্শন করে বিকালে দেবহাটা আসেন। এসময় মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের সচিবের সফরসঙ্গী হিসেবে ছিলেন তার সহধর্মীনি, মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংষ্কার বিভাগের সচিব এন.এম জিয়াউল আলম, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দীন, জেলা প্রশাসক পতœী ও দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ-আল আসাদ, দেবহাটা থানার ওসি কাজী কামাল হোসেনসহ বিভিন্ন কর্মকর্তাবৃন্দ। মন্ত্রীপরিষদ সচিব দেবহাটা বনবিবিতলা পরিদর্শন শেষে রুপসী ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট এবং টাউনশ্রীপুরের নদীর পাশে ভারতের টাকী অবলোকন করেন। তিনি এসময় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরুপ দৃশ্য দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ভারতে যাওয়ার পথে সাতক্ষীরায় নারী ও শিশুসহ ১৩ রোহিঙ্গা আটক

আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরার কলারোয়া থেকে নারী ও শিশুসহ ১৩ রোহিঙ্গাকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে কলারোয়া বাস ষ্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃত রেহিঙ্গারা দালালের মাধ্যমে কাজের সন্ধানে ভারতে যাচ্ছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
তবে, থানা হাজতে আটক রোহিঙ্গারা জানান, তারা কাজের সন্ধানে রোহিঙ্গা শিবির থেকে পালিয়ে দেশের দক্ষিনাঞ্চলে চলে আসলে স্থীয় লোকজন তাদের আটক করে পুলিশের সোপর্দ করেছেন।
আটককৃত রোহিঙ্গা শরণার্থীরা হলেন, মো: নবী হোসেন (২৭), মোছা:দিলদার বেগম (২১), তার ছেলে আব্দুল রহমান (০১), মো: করিম (২৫), মোছা: আমেনা বেগম (২০), তার ছেলে মো: আলী নূর (০১) তার স্বামী:-আব্দুল করিম, শহীদুল ইসলাম (২৪), জিনু আক্তার (২০), তার মেয়ে সাবিকুন্নাহার (০৩), সালমা খাতুন (২১), তার ছেলে নুর হোসেন (০২), তার ছেলে নুর হায়াত (০১) ও জমির হোসেন (১৮)।
তারা সবাই বার্মার আরাকান রাজ্যের মন্ডুই জেলার মেসেরেনাই থানার মিদ্দাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। গত ১৮ দিন আগে তারা সে দেশের সেনা সদস্যদের নির্যাতনের মুখে সম্ভ্রম হারিয়ে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশ ভূখন্ডে প্রবেশ করেন।
কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার নাথ জানান, স্থানীয় সাংবাদিকদের মাধ্যমে জানতে পারেন প্রাণভয়ে মায়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের একটি দল কলারোয়া উপজেলা সদরে অবস্থান করছেন এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানার এসআই অমিত কুমার দাস অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় কলারোয়া সরকারি কলোজ বাসষ্টান্ড থেকে তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তিনি আরো জানান, আটককৃতদের পুলিশ হেফাজতে রেখে জেলা পুলিশের মাধ্যমে কক্সবাজারে অবস্থিত রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
এবারও ইছামতিতে দুই বাংলার সীমান্তে মিলন মেলা: সিদ্ধান্ত পতাকা বৈঠকে

কেএম রেজাউল করিম : নানা জটিলতায় এবারও বন্ধ হল দুদেশের মিলন মেলা। দুই বাংলার মিলন মেলার ভেলা না ভাসলোও নিজ নিজ সীমারেখায় ভাসবে আনন্দের ভেলা। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে বড় ও ঐতিহ্যবাহী প্রতিমা বিসর্জনাস্থল দেবহাটার ইছামতি নদী। দেবী দুর্গার প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সর্ব বৃহৎ উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজা। এই বিসর্জন কে ঘিরে অনুষ্ঠিত হয় মিলন মেলা। কিন্তু উভয় দেশের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে এবং অনাকাঙ্খিত দূর্ঘটনা এড়াতে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বিজিবি, ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বিএসএফ ও উভয়দেশের উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে পতাকা বৈঠাক অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার বাংলাদেশ ও ভারত সীমানার মধ্যবর্তী স্থানে উক্ত বৈঠাক অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন ১৭ বিজিবির ইন্ট অফিসার মেজর আব্দুল্লা আল মামুন, কালিগঞ্জ সার্কেলেরর এএসপি মির্জা সালাউদ্দিন আহম্মেদ, দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ আল আসাদ, দেবহাটা থানার ওসি কাজী কামাল হোসেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুব আলম খোকন, দেবহাটা সদর ইউপি চেয়ারম্যান আবু বকর গাজী, টাউন শ্রীপুর বিজিবি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার আক্তার হোসেন এবং ভারতের পক্ষে এসএ(এএল) মিনা, এএফসি অভিজিৎ ব্যানার্জি, আইএনএসপি মনোজ কুমার সিংহ, ওসি দেব দুলাল মন্ডল, অরুবিন্দু কুমার মুখার্জি, এসআই মেরিন আল পাল, টাকি পৌর সভার চেয়ারম্যান সোম নাথ প্রমূখ। ইছামতি নদী বাংলাদেশ ও ভারতের শারদীয় দূর্গাপূজার বিসর্জনস্থল হওয়ায় উভয়দেশের শান্তি বজায় রাখতে বিভিন্ন বিষয়েও আলোচনা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সন্তানের পিতৃত্বের পরিচয় দাবিতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে দেবহাটার প্রতিবন্ধী আছিয়া

ডেস্ক রিপোর্ট : আড়াই বছরের মেয়ে মাহীর পিতৃত্বের পরিচয় দাবিতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী কুমারী মাতা আছিয়া খাতুন। কিন্তু প্রভাবশালীদের লালসার শিকার আছিয়া আড়াই বছরেও কোন কূল কিনারা পায়নি।
অবশেষে শুক্রবার দুপুরে সাতক্ষীরায় এসে সাংবাদিকদের দ্বারস্থ হন আছিয়ার পরিবার।
প্রতিবন্ধী আছিয়া খাতুন সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার আজিজপুর গ্রামের মোমিন গাজীর মেয়ে।
আবেগ আপ্লুত হয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে আছিয়া খাতুনের মা মছিরন জানান, ২০১৪ সালের ২৩ মে প্রতিবেশী নানী ফাতেমা খাতুন তার প্রতিবন্ধী মেয়ে আছিয়াকে নিয়ে একই গ্রামের মোকছেদ আলির বাড়িতে যায়। পরে ফাতেমা খাতুন মোকছেদ আলি ও আছিয়াকে কৌশলে একটি ঘরে ঢুকিয়ে দিয়ে বাইরে থেকে দরজায় শিকল লাগিয়ে দেন। এ সময় মোকছেদ আলি জোর করে আছিয়ার ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। এর কিছুদিন পর তার শারীরিক পরিবর্তন দেখা দিলে ডাক্তারি রিপোর্টে জানা যায় আছিয়া অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে।
তিনি আরও জানান, ওর বাবা বিষয়টি অভিযোগ আকারে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বরকে জানান। পরে মেম্বর আজগর আলির নেতৃত্বে প্রতিবেশী মোজাম্মেল হক, আমির আলি ও আবদুল হামিদের উপস্থিতিতে এক সালিশ বৈঠকে ধর্ষক মোকছেদ আলিকে দোষী সাব্যস্ত করে তাকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
জরিমানার ৫০ হাজার টাকা সালিশদার আবদুল হামিদ গ্রহণ করেন। সালিশের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, একই সাথে তার গর্ভপাত করানোর জন্য চাপ প্রয়োগ করা হয়। কিন্তু আছিয়া, আছিয়ার বাবা ও মা তাতে অসম্মতি জানান।
পরে আছিয়ার মামা সামজেদ হোসেন সাজু দেবহাটা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মেজবাহউদ্দিন মামলাটির চার্জশিট দেন। এতে ধর্ষক মোকছেদ আলি ও সহযোগিতাকারী ফাতেমা খাতুনকে অভিযুক্ত করা হয়। পুলিশ ফাতেমাকে গ্রেফতার করে। ফাতেমা খাতুন তার জবানবন্দিতে ধর্ষণের ঘটনা তুলে ধরে স্বীকারোক্তি দেন।
প্রতিবন্ধী আছিয়ার মামা ও মামলার বাদী সামজেদ হোসেন জানান, আসামিপক্ষের আবেদন অনুযায়ী ধর্ষিতা ও শিশু মাহীর রক্ত ডিএনএ টেস্টে পাঠানো হয়।
তিনি জানান, ডিএনএ টেস্টে নিগেটিভ রিপোর্ট আসায় আছিয়ার মেয়ের পিতৃত্বের দাবি ঝুলে যায়। এর ফলে দুই আসামিই খালাস হয়ে যায়।
আছিয়ার মামা অভিযোগ করে বলেন, মোকছেদ আলি রিপোর্ট প্রভাবিত করতে ডিএনএ টেস্টের জন্য নেওয়ার রক্তের স্যাম্পল পরিবর্তন করে অন্যের রক্ত পাঠায়। এজন্য প্রচুর টাকা খরচ করেছে সে। আমি এই রিপোর্টে নারাজি দিয়েছি। দ্বিতীয় দফায় ডিএনএ টেস্টের জন্য নিয়ম অনুযায়ী রক্ত দিয়েছে আছিয়া, তার মেয়ে মাহী ও আসামি মোকছেদ আলি। এখন পর্যন্ত এই রিপোর্ট সাতক্ষীরা আদালতে পৌঁছায়নি।
আছিয়ার অভিযোগ, প্রথমে সালিশের নামে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। দ্বিতীয় দফায় ডিএনএ টেস্টে জাল জালিয়াতি করা হয়েছে। আমি আমার মাহী পিতৃত্বের পরিচয় চাই।
পিতৃত্বের সঠিক পরিচয় নির্ধারণে এবারও এমন কোনো ঘটনা ঘটবে না তো- এই প্রশ্ন রেখেছেন প্রতিবন্ধী আছিয়া খাতুন।
এ ব্যাপারে দেবহাটা সদর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বর আজগার আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি আমরা জানি। মাহীর পিতৃত্বের পরিচয় দরকার। স্থানীয়ভাবে আমরা চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি। মোকছেদ আলি তখন বিষয়টি স্বীকার করলেও টাকার জোরে সে এখন অস্বীকার করছে। তার শাস্তি হওয়া উচিত।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শ্যামনগরে মন্ত্রী পরিষদ সচিব শফিউল আলম তালবীজ রোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন করলেন

মোস্তাফ কামালঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুশাসন বাস্তবায়ে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত সারাদেশের ন্যায় সাতক্ষীরার শ্যামনগরে বজ্রপাত নিরোধক তাল বীজ রোপন কর্মসূচী উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০ টায় সুন্দরবন উপকুলীয় বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন রাস্তার পার্শ্বে কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রী পরিষদ সচিব মোঃ শফিউল আলম। এসময়ে খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মোঃ লোকমান হোসেন, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দীন, সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোঃ আলতাফ হোসেন, শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কামরুজজমান,উপজেলা চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মহসিন উল-মুলক সহ সরকারী কর্মকর্তা বৃন্দ, জনপ্রতিনিধিগণ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসনের বাস্তবায়নের এবং বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বুড়িগোয়ালিনী ইউপি চেয়ারম্যান ভবতোষ মন্ডল। মন্ত্রী পরিষদ সচিব মোঃ শফিউল আলম তাল বীজ রোপন কর্মসূচী উদ্বোধন শেষে মুন্সীগঞ্জ কলবাড়ীর আকাশলীনা পরিদর্শন করেন। এসময় সাতক্ষীরা ৪ আসনের এম,পি এস,এম জগলুল হায়দার ও শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি জি,এম আকবর কবীর অতিথিদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। পরবর্তীতে অতিথি বর্গ আকাশলীণা পরিদর্শন শেষে সুন্দরবনে কলা গাছিয়ায় বন টহল ফাঁড়িতে পরিদর্শন করেন। একই সাথে শ্যামনগরের ১২ টি ইউনিয়নে তাল বীজ রোপন কর্মসূচী স্ব-স্ব ইউনিয়ন পরিষদ আয়োজন করে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আবারও হাইড্রোজেন বোমা পরীক্ষার হুমকি উ. কোরিয়ার

প্রশান্ত মহাসাগরে শক্তিশালী হাইড্রোজেন বোমার পরীক্ষামূলক বিস্ফোরণ ঘটাবে বলে হুমকি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির বিপক্ষে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকি দিয়ে জাতিসংঘে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভাষণের পরই এ হুমকি দিল উত্তর কোরিয়া।

সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে সাংবাদিকদের এ কথা জানান উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রি ইয়ুং হো।

তবে বোমা পরীক্ষার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের ওপরই নির্ভর করছে উল্লেখ করে রি ইয়ুং হো বলেন, ‘এর মানে হলো, প্রশান্ত মহাসাগরে সবচেয়ে শক্তিশালী হাইড্রোজেন বোমার পরীক্ষা চালানো হতে পারে।’

এর আগে গত মঙ্গলবার জাতিসংঘের ভাষণে উত্তর কোরিয়াকে ‘সম্পূর্ণ ধ্বংস’ করে দেওয়ার হুমকি দেন ট্রাম্প। জবাবে কিম বলেন, ট্রাম্পের এ ধরনের হুমকির চড়া মূল্য দিতে হবে।

জাতিসংঘে ট্রাম্প হুমকি দিয়ে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র যদি নিজেকে বা মিত্রদের রক্ষা করতে বাধ্য হয়, আমাদের সামনে উত্তর কোরিয়াকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না। উত্তর কোরিয়া সম্প্রতি পরমাণু বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে, যা জাতিসংঘ নীতিমালার পরিপন্থী।’

এদিকে, গতকাল বৃহস্পতিবার উত্তর কোরিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন ট্রাম্প।

সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে একের পর এক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের কারণে যুক্তরাষ্ট্র এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। একই সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্রের উন্নয়ন কর্মসূচিতে অর্থের উৎস বন্ধ রাখতেও এ নিষেধাজ্ঞা কাজ করবে। এর ফলে উত্তর কোরিয়ার পোশাকশিল্প, মৎস্য, তথ্যপ্রযুক্তিসহ বিভিন্ন উৎপাদনমুখী কারখানা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

এ বিষয়ে ট্রাম্প জানান, চীনের সেন্ট্রাল ব্যাংক ও অন্যান্য ব্যাংককে পিয়ংইয়ংয়ের (উত্তর কোরিয়ার রাজধানী) সঙ্গে ব্যবসা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আন্তর্জাতিক গণআদালতের রায়- রোহিঙ্গা গণহত্যায় দায়ী সু চি ও মিয়ানমারের সেনা

মিয়ানমারে রোহিঙ্গা ও অন্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন ও গণহত্যার দায়ে মিয়ানমার সরকারকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন আন্তর্জাতিক গণআদালত।

স্থানীয় সময় শুক্রবার মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের মালায়া বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রধান বিচারক ড্যানিয়েল ফেইয়ারস্টেইনের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি বেঞ্চ এ রায় দেন। রোমভিত্তিক এই আদালতের নাম পার্মানেন্ট পিপলস ট্রাইব্যুনাল (পিপিটি)। বিগত শতাব্দীর ষাটের দশকে ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সেখানে ব্যাপক হারে যুদ্ধাপরাধ করে। তখন ব্রিটিশ দার্শনিক বার্ট্রান্ড রাসেল যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য যে ধারণা দিয়েছিলেন, তার প্রেক্ষাপটেই পিপিটি প্রতিষ্ঠিত। এ আদালত মূলত যুদ্ধাপরাধের শিকার মানুষের ভাষ্য তুলে ধরে বিশ্ব পরিমণ্ডলে।

রায়ে রোহিঙ্গা, কাচিন ও অন্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যকে হত্যার জন্য মিয়ানমার সরকারকে দায়ী করা হয়। এর আগে পাঁচ দিনব্যাপী শুনানিতে দেশটির সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার বিষয়টি প্রমাণিত হয়।

রায়ের ওপর ভিত্তি করে ১৭টি প্রস্তাবনাও দিয়েছেন আন্তর্জাতিক গণআদালত। রায়ের পর প্রস্তাবনাগুলো পড়ে শোনান বিচারক গ্রিল এইচ বোয়েরিংগার। তিনি বলেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাসহ সংখ্যালঘুদের ওপর নিপীড়নের বিষয়টি তদন্ত করে দেখার জন্য জাতিসংঘের প্রতিনিধিদলকে ভিসা ও অবাধে প্রবেশের সুযোগ দিতে হবে।

প্রস্তাবনায় আরো বলা হয়, মিয়ানমার সরকারকে অবশ্যই দেশটির সংবিধান সংশোধন করতে হবে এবং সংখ্যালঘুদের অধিকার ও নাগরিকত্ব দিতে সব পক্ষপাতমূলক আইন প্রত্যাহার করতে হবে। এ ছাড়া বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মতো যেসব দেশ পালিয়ে যাওয়া রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে, তাদের আর্থিক সাহায্য দিতে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়।

বিচারক গ্রিল এইচ বোয়েরিংগার আরো জানান, শুধু রায় দিয়েই বসে থাকবেন না আদালত। গণহত্যার বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন, রায়ের কপি ও প্রস্তাবনাগুলো বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছে পাঠিয়ে মিয়ানমার সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগের জন্য আহ্বান জানানো হবে।

গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন ও গণহত্যা শুরু করে দেশটির সেনাবাহিনী। এর পর থেকে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে কমপক্ষে চার লাখ ২০ হাজার রোহিঙ্গা।

এদিকে মিয়ানমারের এ ধরনের আচরণে নড়েচড়ে বসে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা। তাদের পক্ষ থেকে এর নিন্দা জানানোসহ রোহিঙ্গা হত্যাকাণ্ড বন্ধের আহ্বান জানানো হয়। কিন্তু এ সেনা অভিযান বন্ধে এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নেয়নি মিয়ানমার সরকার।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest