সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আয়োজনে বিজয় দিবস পালনতালায় সেতু আবুলসহ ৩ জন আটকসাউথ-এশিয়ান পিপলস ডায়ালগে জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় এগ্রোইকোলজির গুরুত্বারোপগ্রীন টিভির সাতক্ষীরা প্রতিনিধি হলেন মীর খায়রুলস্থানীয় জাতবৈচিত্র্য সংরক্ষণ বিষয়ক প্রশিক্ষণে নেপালের পারমাকালচারের প্রতিনিধি দলসাতক্ষীরা জেলা আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মাসিক সভাসাতক্ষীরায় জামায়াত প্রার্থীর নির্বাচনী পথসভায় ইসলামী সংগীত পরিবেশন : পুলিশ সদস্য মহিবুল্লাহ বরখাস্তসাতক্ষীরা জজ কোর্টের সাবেক পিপি ও তার ছেলেকে কারাগারে প্রেরণসাতক্ষীরা জজ কোর্টের সাবেক পিপি  লতিফ ও তার ছেলে রাসেল আটকসাংবাদিক মোমিনের সুস্থ্যতা কামনায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের বিবৃতি

চা-কফির দাগ দূর করার উপায়

চা-কফি পান করতে গিয়ে মাঝে মাঝে বিরক্তিকর অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। চা বা কফির কাপে চুমুক দিতে গিয়ে হঠাৎ নিজের পরিধেয় কাপড়ে কয়েক ফোটা চা বা কফি পড়ে গেলো এরকম অভিজ্ঞতা আমাদের কমবেশি হয়তো সবারই আছে।
এতে করে সুন্দর পেন্ট বা শার্টটি একটু দেখতে বিশ্রীই লাগে। দাগ কীভাবে দূর করা যায় তা নিয়ে আমরা একটু টেনশনেই পড়ে যাই। নিচে চা বা কফির দাগ দূর করার উপায় নিয়েই আলোচনা করা হলো :

১. লবণ বা কৃত্রিম সুইটনার : মোটামুটি নামীদামি ক্যাফেটরিয়া বা চা, কফির দোকানে এই দুটি উপাদান রাখতে দেখা যায়। দ্রুত দাগ দূর করতে এর যেকোনোটি ব্যবহার করলেই চলে। চা বা কফির দাগ দূর করতে এ দুটি উপাদান যেভাবে ব্যবহার করতে হয়- কয়েক মিনিট ধরে এগুলো দাগের ওপর রাখুন। তারপর তা মুছে ফেলুন।

২. বেবি ট্যালকম পাউডার: এর বহু ব্যবহারিক দিক রয়েছে। চুল থেকে অতিরিক্ত তেল দূর করতে শুষ্ক শ্যাম্পু হিসেবেও এটি ব্যবহার করা যায়। এছাড়া চা বা কফির দাগ দূর করতেও এটি দারুণ কার্যকর। এজন্য আপনাকে দাগের ওপর তা দিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে। তারপর তা ব্রাশ করলেই উঠে যাবে।

৩. স্টেইন পেন: যদি আপনি খুবই কফি বা চাপ্রেমী হন তাহলে অবশ্যই তা আপনাকে সবসময় সঙ্গে রাখতে হবে। আর পোশাকে চা বা কফির দাগ পড়ে গেলে এই পেনের পেছনে লেখা নির্দেশনা অনুযায়ী তা ব্যবহার করুন। এতে একগুঁয়ে দাগ উঠে যেতে বাধ্য।

৪. বেবি উইপস: এটি মুখ পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি দাগ দূর করতেও অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। চা বা কফির দাগ দূর করতে এটি সর্বোত্তম পদ্ধতিও বটে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধানে জাতিসংঘে প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর

সহিংসতা, হত্যা, নির্যাতনের কারণে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সমস্যার স্থায়ী সমাধানে দ্রুত কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের জন্য জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সমস্যা সমাধানে তিনি কিছু সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব তুলে ধরেন।

জাতিসংঘের সদর দপ্তরে ৭২ তম সাধারণ অধিবেশনে নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় (বাংলাদেশ সময় শুক্রবার ভোরে) প্রধানমন্ত্রী ওই প্রস্তাব তুলে ধরেন।

বাংলাদেশের কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে যাওয়ার অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে মাতৃভাষা বাংলায় বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বক্তব্য শুরুর কিছুক্ষণ পরেই তিনি রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধানে কিছু সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রস্তাবগুলো হলো—

প্রথমত, অনতিবিলম্বে এবং চিরতরে মিয়ানমারে সহিংসতা ও ‘জাতিগত নিধন’ নিঃশর্তে বন্ধ করা;
দ্বিতীয়ত, অনতিবিলম্বে মিয়ানমারে জাতিসংঘের মহাসচিবের নিজস্ব একটি অনুসন্ধানী দল প্রেরণ করা;
তৃতীয়ত, জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সব সাধারণ নাগরিকের নিরাপত্তা বিধান এবং এ লক্ষ্যে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে সুরক্ষা বলয় (safe zones) গড়ে তোলা;
চতুর্থত, রাখাইন রাজ্য হতে জোরপূর্বক বিতাড়িত সকল রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে তাদের নিজ ঘরবাড়িতে প্রত্যাবর্তন ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করা;
পঞ্চমত, কফি আনান কমিশনের সুপারিশমালার নিঃশর্ত, পূর্ণ এবং দ্রুত বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা।

সাধারণ পরিষদ অধিবেশনে চতুর্দশবারের উপস্থিত হওয়ার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার হৃদয় আজ দুঃখে ভারাক্রান্ত। কেননা আমার চোখে বারবার ভেসে উঠছে ক্ষুধার্ত, ভীত-সন্ত্রস্ত এবং নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের মুখচ্ছবি। আমি মাত্র কয়েক দিন আগেই আমার দেশে আশ্রয় নেওয়া কয়েক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে দেখা করে এসেছি। যারা ‘জাতিগত নিধনে’র শিকার হয়ে নিজ দেশ থেকে জোরপূর্বক বিতাড়িত। অথচ তারা হাজার বছরেরও অধিক সময় মিয়ানমারে বাস করে আসছেন। এদের দুঃখ-দুর্দশা আমি গভীরভাবে অনুধাবন করতে পারি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট আমার বাবা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করার পর আমার ছোট বোনকে নিয়ে ছয় বছর উদ্বাস্তু জীবন কাটিয়েছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশের হয়ে প্রথমবারের মতো এখানে ভাষণ দেওয়ার সময় এ মঞ্চে দাঁড়িয়ে আমার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শান্তি ও ন্যায়বিচারের পক্ষে তাঁর অঙ্গীকারের কথা বলে গেছেন। সেই ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘এমন এক বিশ্বব্যবস্থা গঠনে বাঙালি জাতি উৎসর্গীকৃত, যে ব্যবস্থায় সব মানুষের শান্তি ও ন্যায়বিচার লাভের আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হবে। এবং আমি জানি আমাদের এ প্রতিজ্ঞা গ্রহণের মধ্যে আমাদের লাখ লাখ শহীদের বিদেহী আত্মার স্মৃতি নিহিত রয়েছে।’

রোহিঙ্গাদের মর্যাদার সঙ্গে মিয়ানমারে ফেরার ব্যবস্থা করতে হবে
শেখ হাসিনা বলেন, এ মুহূর্তে নিজ ভূখণ্ড হতে জোরপূর্বক বিতাড়িত আট লাখেরও অধিক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় ও সুরক্ষা দিয়ে যাচ্ছি। আপনারা সকলেই জানেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান নৃশংসতা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের ফলে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে অবস্থার ভয়াবহ অবনতি ঘটেছে। এ নৃশংসতার হাত থেকে বাঁচার জন্য প্রতিদিন হাজার হাজার রোহিঙ্গা সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার তথ্যমতে গত তিন সপ্তাহে চার লাখ ৩০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে। রোহিঙ্গাদের ফেরত যাওয়া ঠেকানোর জন্য মিয়ানমার দেশটির অভ্যন্তরে সীমানা বরাবর স্থলমাইন পুঁতে রাখছে। এতে আমরা ভীষণভাবে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত। এ সব মানুষ যাতে নিরাপদে এবং মর্যাদার সঙ্গে নিজ দেশে ফিরে যেতে পারেন এখনই তার ব্যবস্থা করতে হবে।

সব ধরনের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের নিন্দা জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমাদের সরকার ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি মেনে চলে। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সহিংসতা বন্ধে এবং ওই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় সক্রিয় উদ্যোগ গ্রহণ করায় নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য রাষ্ট্রসমূহ ও জাতিসংঘের মহাসচিবকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ ভয়াবহতম গণহত্যার শিকার শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ সম্প্রতি ২৫শে মার্চকে ‘গণহত্যা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। মূলত ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতেই ‘অপারেশন সার্চলাইটের’ মাধ্যমে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী এই গণহত্যার সূচনা করেছিল। এ গণহত্যার সঙ্গে জড়িত মূল অভিযুক্তদের আমরা ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বিচারের মুখোমুখি করেছি। বিশ্বের কোথাও যাতে কখনই আর এ ধরনের জঘন্য অপরাধ সংঘটিত না হয় সে জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়কে সম্মিলিত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি, ৭১-এর গণহত্যাসহ সকল ঐতিহাসিক ট্র্যাজেডির আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আমাদের এ লক্ষ্য অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় প্রস্তাব তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, সন্ত্রাসবাদ এবং সহিংস জঙ্গিবাদ শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়নের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। সন্ত্রাসীর কোনো ধর্ম, বর্ণ বা গোত্র নেই। নিজে বেশ কয়েকবার সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছি। সে হিসেবে সন্ত্রাসের শিকার মানুষের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেন। ধর্মের নামে যেকোনো সহিংস জঙ্গিবাদের নিন্দা জানিয়ে তিনি সহিংস জঙ্গিবাদ বিস্তার রোধে তৃণমূল পর্যায়ে আমরা পরিবার, নারী, যুবসমাজ, গণমাধ্যম এবং ধর্মীয় নেতাদের সম্পৃক্ত করেছি। বৈশ্বিক এ সমস্যা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রস্তাব হচ্ছে—
১. সন্ত্রাসীদের অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করতে হবে;
২. সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন বন্ধ করতে হবে এবং
৩. শান্তিপূর্ণ উপায়ে আন্তর্জাতিক বিবাদ মীমাংসা করতে হবে।

বন্যা সফলভাবে মোকাবিলা করেছি
জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে প্যারিস চুক্তির বাস্তবায়নে আশাবাদী উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতীয় পর্যায়ে জলবায়ু সংবেদনশীলতার দিকে লক্ষ্যে রেখে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় আমরা কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। সামুদ্রিক সম্পদের টেকসই ব্যবহার এবং সামুদ্রিক পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে ‘ব্লু ইকনোমি’র সম্ভাবনার প্রতি আমরা আস্থাশীল। বাংলাদেশ বন্যা এবং অন্যান্য দুর্যোগ মোকাবিলায় দৃষ্টান্তমূলক সাফল্য দেখিয়েছে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্যে আমরা শস্য-নিবিড়করণ প্রযুক্তি এবং বন্যা-প্রতিরোধী ফসলের জাত উদ্ভাবন করেছি। এ বছর বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশে যে ব্যাপক বন্যা আঘাত হেনেছে আমরা তা সফলভাবে মোকাবিলা করেছি।

এ বছরেই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের মাধ্যমে জ্ঞান-ভিত্তিক সমাজ গঠনে আমাদের যুবসমাজ মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে। আমরা এমন একটি পরিবেশ তৈরির জন্য কাজ করছি যেখানে তারা যুগোপযোগী শিক্ষাগ্রহণ করে কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবে এবং প্রকৃত অর্থেই বিশ্ব নাগরিকে পরিণত হবে। এ বছরের মধ্যেই আমরা প্রথমবারের মতো বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ মহাকাশে উৎক্ষেপণ করার পরিকল্পনা নিয়েছি।

সবশেষে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই। আমরা অর্থনৈতিক উন্নতি চাই, মানব ধ্বংস নয় মানবকল্যাণ চাই। এটাই হোক আমাদের সকলের লক্ষ্যে।

সূত্র: প্রথম আলো।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনি তাঁতীলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : ক্ষুধা, দারিদ্র, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ নিরক্ষর মুক্ত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার রূপকার জননেত্রী শেখ হাসিনার ভিশন-২০২১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সংগঠনকে তৃণমূল পর্যায়ে সুসংগঠিত ও একাদ্বশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে আশাশুনি উপজেলা তাঁতালীগের ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ২০ সেপ্টেম্বর’১৭ তারিখে সাতক্ষীরা জেলা তাঁতীলীগের সভাপতি মীর আজাহার আলী শাহীন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ তৌহিদ হাসান স্বাক্ষরিত এক পত্রে উক্ত কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। কমিটির সভাপতি এম এম সেলিম রেজা, সহ-সভাপতি শরিফুজ্জামান, সুবোধ কুমার স্বর্ণকার, বিপ্লব কুমার সরকার, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজির আহমেদ, বিকাশ মন্ডল, আবু রায়হান, সাংগঠনিক সম্পাদক তুহিন আহমেদ, ইদ্রিস আলী গাজী, আবু তাহের, আওছাফুর রহমানসহ ৫১ সদস্য বিশিষ্ট আশাশুনি উপজেলার পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেন জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কলারোয়ায় ফেনসিডিলসহ এক যুবক আটক

রাজিবুল ইসলাম, কলারোয়া : কলারোয়ায় ৬ বোতল ফেনসিডিলসহ এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার রাত পৌনে ১২টার দিকে পৌরসদরের হাসপাতাল রোড এলাকার নছিমন-মহেন্দ্র স্ট্যান্ড থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক শরিফ হোসেন (২৩) উপজেলার মাহমুদপুর গ্রামের মৃত জামসেদ আলী মোড়লের ছেলে। থানা সূত্র জানায়- থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব দেবনাথের নির্দেশনায় সেকেন্ড অফিসার আমিনুল ইসলাম ও এএসআই রফিকুল ইসলাম মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে ৬ বোতল ফেনসিডিলসহ শরিফ নামের ওই যুবককে আটক করেন। এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানা যায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শ্যামনগরে দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি সভা ও চাউল বিতরণ

শ্যামনগর ব্যুরো : শ্যামনগরে উপজেলা সম্মেলন কক্ষে আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উদ্যাপন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা ও জি আর প্রকল্পের চাউল বিতরণ করা হয়। গত ২১ সেপ্টেম্বর সকাল ১০ টায় শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কামরুজ্জামান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের সংসদ সদস্য এস এম জগলুল হায়দার। বিশেষ অতিথি ছিলেন ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান মহসীন উল-মুলক, আওয়ামীলীগ শ্যামনগর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আতাউল হক দোলন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নুরজাহান পারভীন ঝর্ণা, থানা তদন্ত কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সেলিম খান,উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান,পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস, সাধারন সম্পাদক এ্যাডঃ কৃষ্ণপদ মন্ডল। সনাতন ধর্মালম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে সুষ্ঠ শান্তিপুর্নভাবে সম্পন্ন করতে প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গৃহীত হয়। অনুষ্ঠানে নিছিদ্র নিরাপত্তার বলয়ের মধ্যে পূজার সার্বিক কর্মকান্ড সম্পন্ন করার বিষয়টি আলোচনায় প্রাধান্য পায়। অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে উপজেলার ৬২ টি পূজা মন্ডপের সভাপতি ও সম্পাদকের হাতে সরকারের পক্ষ থেকে জি আর এর চাউলের ডিও তুলে দেওয়া হয়। প্রতিটি পূজা মন্ডপের জন্য ৫ শত কেজি চাউল বরাদ্দ দেওয়া হয় এবং এমপি এস এম জগলুল হায়দার নিজ তহবিল থেকে প্রতিটি পূজা মন্ডপের জন্য নগত ১ হাজার টাকা প্রদান করেন। উপজেলা পূজা উদ্যাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ সহ ৬২ টি পূজা মন্ডপের সভাপতিও সম্পাদক অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকে। এছাড়া ৩৪ বিজিবির প্রতিনিধি, বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ, ইউপি চেয়ারম্যান বৃন্দ, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক বৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শ্যামনগরে ‘সামস্’ এর আলোচনা সভা

শ্যামনগর ব্যুরো: শ্যামনগরে রিলিফ ইন্টারন্যাশনাল এর আর্থিক সহযোগিতায় সুন্দরবন আদিবাসী মুন্ডা সংস্থা (সামস) এর আয়োজনে বাংলাদেশের সুন্দরবন অঞ্চলে বসবাসরত মুন্ডা জনগোষ্ঠির আর্থ সামাজিক উন্নয়নের দাবিতে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টায় শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে সামস এর সভাপতি গোপাল চন্দ্র মুন্ডার সভাপতিত্বে সামস এর নির্বাহী পরিচালক কৃষ্ণপদ মুন্ডা স্বাগত বক্তব্য রাখেন। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আতাউল হক দোলন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, ঠিকাদার সমিতির নব নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক আওয়ামীলীগ নেতা স.ম আব্দুস সাত্তার, জাতীয় পার্টির উপজেলা সাধারন সম্পাদক কামরুজ্জামান সাগর, আওয়ামীলীগ নেতা সুশান্ত বিশ্বাস (বাবুলাল), সহকারী সমাজ সেবা কর্মকর্তা কিরন চ্যাটার্জী, কৃষকলীগের সভাপতি এ বি এম মন্জুর এলাহী, সাধারন সম্পাদক আনিছুর রহমান প্রমুখ। বক্তাগনের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী মুন্ডাদের দাবী সমূহ ছিল সমাজের সকল স্তরের মানুষের সাথে মুন্ডা মানবাধিকার কর্মীদের যোগাযোগ স্থাপন করা, ক্ষুদ্র নৃগ্ষ্ঠোীর জন্য বরাদ্দকৃত সুযোগ সুবিধা সুষম বন্টন ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা, বর্ণ বৈশম্য দূরীকরনে সহযোগিতা করা, সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনা নিশ্চিত করা, বিশেষ করে তাদের জাতি ও গোষ্ঠীর নাম পরিবর্তন না করা সহ বিভিন্ন দাবী সমূহ উপস্থাপন করা হয়। আদিবাসী মুন্ডা সম্প্রদায়ের নারী পুরুষরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন দিপঙ্কর বিশ্বাস।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় বাংলালিংক কাস্টমার কেয়ার’র উদ্বোধন

নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘নতুন কিছু করো’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বাংলালিংক কাস্টমার কেয়ার এন্ড সার্ভিসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে খুলনা রোড এলাকায় কাজী মার্কেটে বাংলালিংক কাস্টমার কেয়ার এন্ড সার্ভিসের সাতক্ষীরা প্রধান কার্যালয় ফিতা কেটে ও কেক কেটে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাতক্ষীরা-০২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলালিংক খুলনা রিজিওনাল হেড মো. নাইমুল হাসান, বাংলালিংক এর রিজিওনাল বিজনেন্স ম্যানেজার মহিবুর রহমান, জোনাল ম্যানেজার আব্দুল্লাহ আল মামুন, এরিয়া ম্যানেজার মার্কেটিং এ.এফ.এম সাঈদ, রিজিওনাল ট্রেড মার্কেটিং মোস্তাক আলী, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি রাফিজুল এহছান, মনিরুল ইসলাম, এ.এফ.এম আতিক হোসেন প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কালিগঞ্জে বাল্য বিবাহ নির্মূলে র‌্যালি ও সভা

কালিগঞ্জ ব্যুরো: কালিগঞ্জে বাল্য বিবাহ নির্মূলে র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণ থেকে শিক্ষার্থীসহ সকলের অংশ গ্রহণে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র‌্যালি পরবর্তী বিদ্যালয় চত্ত্বরে ইউএসএআইডি এর অর্থায়নে, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের সহযোগিতায়, বে-সরকারি উন্নয়ন সংস্থা সুশীলনের বাস্তবায়নে নবযাত্রা প্রকল্পের জেন্ডার কম্পেটনেণ্ট ১৮‘র আগে বিয়ে নয়, বাল্য বিবাহ নির্মূলে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবিন্দ্রনাথ বাছাড়। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন নবযাত্রা প্রকল্পের ফিল্ড কো-অডিনেটর আশীষ কুমার হালদার। জেন্ডার অর্গানাইজার মাফুজার রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন (খুলনা বিভাগের শ্রেষ্ঠ নির্বাহী কর্মকর্তা) কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মাঈনউদ্দিন হাসান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন থানার অফিসার ইনচার্জ লস্কর জায়াদুল হক, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা এমএ নাহার, রোকেয়া মনসুর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ কেএম জাফরুল আলম বাবু, প্রেসক্লাবের সভাপতি শেখ সাইফুল বারী সফু, সহ-সভাপতি শেখ আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সুকুমার দাশ বাচ্চু, বিদ্যালয়ে ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী আনিকা জামান, বাল্য বিয়ের শিকার হাসিনা খাতুন। এসময় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন থানার ওসি (তদন্ত) রাজিব হোসেন, প্রেসক্লাবের তথ্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক এসএম, আহম্মাদ উল্যাহ বাচ্ছু, অনলাইন রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি ইমরান আলী, সাধারণ আতিকুর রহমান, ওয়ার্ল্ড ভিশন উপজেলার জেন্ডার অফিসার লাইলী আরজুমান খানম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, সাংবাদিক, সূধি, সুশীলন ও ওয়ার্ল্ড ভিশনের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভার শুরুতে প্রজেক্টরের মাধ্যমে “বাল্য বিয়ের প্রেক্ষিত বাংলাদেশ” ভিডিও চিত্র উপস্থাপন করেন সুশীলনের উপজেলা কো-অডিনেটর হাবিবুর রহমান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest