সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় ভূমি কর্মকর্তা তপন কর্তৃক না মেনে প্রাচীর নির্মান বন্ধের দাবিতে সংবাদ সম্মেলনসাংবাদিক জুলফিকারের পিতা রাহাতুল্লাহ সরদারের সুস্থতা কামনাপ্রতিপক্ষ প্রার্থী কর্তৃক হুমকি ধামকির বিরুদ্ধে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী সাঈদের সংবাদ সম্মেলনফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে সাতক্ষীরায় ছাত্রলীগের অবস্থান কর্মসূচিসাতক্ষীরায় পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে ছোট ভাইকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগসাতক্ষীরায় তুচ্ছ ঘটনায় প্রতিবন্ধী নারীসহ ৪ জনকে পিটিয়ে জখমের অভিযোগশ্যামনগরে “সম্পদ ও আত্মার পরিশুদ্ধতায় যাকাত” শীর্ষক সেমিনারফেলোশিপে সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন সামেকের ডা. পলাশসাতক্ষীরায় পাওয়ার ব্লাড ফাউন্ডেশন এর পক্ষ থেকে শরবত বিতরণসাতক্ষীরায় কৃষকের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ

এম.শাহীন গোলদার : সাতক্ষীরা জেলাব্যাপী পুলিশের নাশকতা ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে জামায়াত-শিবিরের ৫১ জন নেতা-কর্মীসহ ৭৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় ১৩০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার বিকাল থেকে আজ সকাল পর্যন্ত জেলার আটটি থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার হয় ও মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় বিভিন্ন অভিযোগে ১০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে-সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি আব্দুস সোবহান মুকুল, কালিগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমির মুজাহিদ আলী, সেক্রেটারি আব্দুল ওহাব, কালিগঞ্জ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জয়নব, আশাশুনি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম সহ ৫১ জন নেতা-কর্মী রয়েছে।
তারা সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা রফিকুল ইসলামের জানাযা নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে পুলিশ গ্রেফতার করে।
ওই ঘটনায় সংবাদ সংগ্রহের জন্য সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বিটিভির জেলা প্রতিনিধি মোজাফফর রহমান এবং বাংলাভিশন টিভি চ্যানেলের জেলা প্রতিনিধি আসাদুজ্জামান থানায় গেলে পুলিশ তাদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে। এ ঘটনায় সাংবাদিকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশ জানায়, সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ৬২ জন,কলারোয়া থানা ০৫ জন, তালা থানা ০৪ জন, কালিগঞ্জ থানা ০২ জন, শ্যামনগর থানা ০২ জন, আশাশুনি থানা ০২ জন, দেবহাটা থানা ০১ ও পাটকেলঘাটা থানা থেকে ০১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মিজানুর রহমান তাদের গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

‘বঙ্গবন্ধুর ছবিকে যথাযথ মর্যাদায় প্রকাশ করা হয়নি’ এবং ‘ছবির বিকৃতি হয়েছে’ এমন অভিযোগে আদালতে দাঁড় করানো হয়েছে একজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে। আত্মসমর্পণের পর আদালত প্রথমে জামিন নামঞ্জুর করেছেন, এরপর একই আদালত আবার খাস কামরায় বসে জামিন আবেদনে সাক্ষর করেছেন। মামলা দায়েরকারী ব্যক্তিটি জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সরকারি দল আওয়ামী লীগের জেলা কমিটির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ ওবায়েদুল্লাহ সাজু। এতখানি জানা গিয়েছিল প্রথমে।
প্রাথমিক তথ্যে সচেতন মানুষজন তাদের ক্ষোভ, প্রতিবাদ প্রকাশ করেছে; হয়রানির প্রতিবাদ করেছে। এবং এ প্রতিবাদ পৌঁছেছে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়েও। সরকারপ্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ‘বিস্ময়’ প্রকাশ করেছেন, ক্ষোভ সৃষ্টি হয় বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাতেও। একজন সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে করা মামলাকে আমলে নিতে বিধি অনুযায়ী প্রশাসনিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়নি বলেও অভিযোগ ওঠে।
প্রাথমিক তথ্য-প্রাপ্তির পর সকলের ক্ষোভ ছিল মামলা দায়েরকারী ওবায়েদুল্লাহ সাজুর বিরুদ্ধে, এবং এটাই স্বাভাবিক ছিল। পরবর্তীতে একে একে উঠে আসে ভয়াবহ চিত্র। পরিষ্কার হয়ে যায় এ হয়রানির নেপথ্যে ছিল দীর্ঘ প্রক্রিয়া, এবং সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেই বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার তৎকালীন এবং বর্তমান বরগুনা সদরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গাজী তারিক সালমনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। দৃশ্যপটে এক আওয়ামী লীগ ও আইনজীবী নেতা আসলেও নেপথ্যে ছিল অনেকেই।
তার বিরুদ্ধে কেন এত ক্ষোভ তারিক সালমনের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যে কিছুটা আন্দাজ করা হয়। বিভিন্ন গণমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, ‘আমি আট মাস বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলায় কর্মরত ছিলাম। এসময় আমাকে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করতে হয়েছে। সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ যাতে সঠিকভাবে যথাযথভাবে সম্পন্ন হয় সেজন্যে আমি তৎপর ছিলাম। কঠোর অবস্থানে ছিলাম। আমি সেখানকার আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করি। আমি অবৈধ স্থাপনা করতে দেইনি আমি যতদিন সেখানে ছিলাম। এসব কারণে সেখানকার প্রভাবশালীরা আমার বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ ছিল। আমার অনুমান, তারা আমাকে হয়রানি করার জন্য বাদীকে দিয়ে এই মামলাটি করিয়েছে।’
তারিক সালমনকে আগৈলঝাড়া থেকে বরগুনা সদরে বদলি করা হয়েছিল। বিক্ষুব্ধ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও প্রশাসনের কারণে তাকে যে বদলি করা হয়েছিল সেটা ভালোভাবেই অনুমান করা যায়। বদলির পর জুনের ৪ তারিখে স্থানীয়ভাবে প্রকাশিত সবকটি পত্রিকার রিপোর্টের ভাষা ছিল একই রকম। শিরোনামটি ছিল ‘বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃতকারী সেই ইউএনও অবশেষে বদলি’। এ খবরের প্রতিবাদ তিনি সকল পত্রিকায় পাঠালেও তারা সেটা প্রকাশ করেনি বলে জানিয়েছেন ইউএনও তারিক সালমন।
হয়রানির দীর্ঘ প্রক্রিয়ার প্রকাশিত তথ্যে দেখা যায়, ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবসে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় সেরা ছবিকে উপজেলা প্রশাসন ২৬ মার্চের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের আমন্ত্রণ পত্র প্রকাশ করে, আর সেখান থেকেই অভিযোগ তোলা হয় ছবি যথাযথ মর্যাদায় প্রকাশ করা হয়নি এবং বিকৃতি হয়েছে। ৩ এপ্রিল বরিশালের জেলা প্রশাসক (ডিসি) গাজী মো. সাইফুজ্জামান ইউএনওকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেন, ইউএনও উত্তরও দেন। এই উত্তরকে আবার ‘সন্তোষজনক নয়’ বলে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের সচিবকে লিখিতভাবে জানান বরিশালের তৎকালীন বিভাগীয় কমিশনার মো. গাউস (বর্তমানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা)। ওই চিঠিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়। দাপ্তরিক এ চিঠির অনুলিপি দেওয়া হয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকেও।
বিভাগীয় কমিশনারের এমন চিঠির পর ৪ জুন বরগুনা সদরে বদলি করা হয় ইউএনও গাজী তারিক সালমনকে। প্রশাসনিক সকল ব্যবস্থা গ্রহণের পর ৭ জুন মামলা করেন বরিশাল আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক (বর্তমানে সাময়িকভাবে বহিষ্কৃত) সৈয়দ ওবায়েদুল্লাহ সাজু। অভিযোগ আমলে নিয়ে চিফ মেট্রোপলিটন আদালতের বিচারক আলী হোসাইন ২৭ জুলাইয়ের মধ্যে আত্মসমর্পণের আদেশ দেন। এরপর ১৯ জুলাই ইউএনও আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলেও প্রথমে জামিন না দিয়ে জেলহাজতে পাঠান বিচারক, এবং এর ঘণ্টাদু’য়েকের মধ্যে খাস কামরায় বসে জামিন দেন তিনি।
এখানে উল্লেখের দরকার একজন ইউএনওর বিরুদ্ধে এত প্রশাসনিক কার্যপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হলো, শাস্তিমূলক বদলিও হলো কিন্তু সরকার সেটা জানত না তা অবিশ্বাস্যই ঠেকে। কারণ, ১৮ এপ্রিল মানে ৩ মাস আগে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগে কারণ দর্শানোর জবাবে বিভাগীয় কমিশনারের চিঠি গিয়েছিল; একই সঙ্গে অনুলিপি গিয়েছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়েও। শেখ হাসিনা ও সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মন্ত্রণালয়গুলো ৩ মাস আগে থেকেই জানত ইউএনওর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, এবং ধারাবাহিকতা। অথচ কী আশ্চর্য তাদের মন্ত্রণালয়গুলো কোন ব্যবস্থা নেয়নি, ওটা আটকায়নি। উলটো ৪ জুন ইউএনওকে বদলি করে দেওয়া হয়েছিল।
মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের সচিবকে চিঠি ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে অনুলিপি দেওয়া বিভাগীয় কমিশনারের সেই চিঠিটাকে স্রেফ চিঠি হিসেবেই দেখা সম্ভব হত যদি না ইউএনও-কে বদলি করা হতো। কোন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ ওঠার পর বদলিকে স্বাভাবিক বদলি হিসেবে দেখার সুযোগ নাই। ওটা নিশ্চিতভাবেই ছিল শাস্তিমূলক বদলি। ৪ জুন থেকে বরগুনা সদরে বদলি হন ইউএনও তারিক সালমন।
এখানেও প্রশাসনিক প্রক্রিয়া আছে। আর অধীনস্থ মন্ত্রণালয়ে কী হচ্ছে না হচ্ছে এসব সম্পর্কে যদি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীগণ অবগত না থাকেন তাহলে প্রশাসনিক সমন্বয়হীনতার এর চেয়ে বড় প্রমাণ আর কিছু হতে পারে না।
এখন হয়ত অনেকেই বলতে চাইবে তারা এত ব্যস্ত সবকিছু দেখার সুযোগ কোথায়, কিন্তু ব্যস্ততা দায়িত্ব আর দায় এড়িয়ে যাওয়ার অজুহাত হতে পারে না। বসকেই তার অধীনস্থদের দায়িত্ব নিতেই হয়, আর এটাই স্বাভাবিক। এখানে যেমন আমরা একজন বিচারকের ভুল বিচারের জন্যে দায় দিচ্ছি প্রধান বিচারপতিকে, এটা যৌক্তিক; এবং একইভাবে ওই যৌক্তিকতার আওতায় কি মন্ত্রী-প্রধানমন্ত্রীও পড়েন না?
ইউএনও তারিক সালমনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের পর ক্ষোভ প্রতিবাদ সকল কিছুই ছিল মামলাকারী আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে। প্রধানমন্ত্রীও বিস্ময় প্রকাশ করেছেন এনিয়ে। প্রধানমন্ত্রীর বিস্ময় এবং দলীয় ব্যবস্থা গ্রহণের পর বিস্ময়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে আছেন অনেকেই, অথচ বিস্ময় ত এত হেনস্থার পর হতে পারে না। কারণ মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর ত সকল কিছুই জানার কথা। তার মন্ত্রণালয় যে সেটা জানে সে প্রমাণও আছে। তাহলে বিলম্বিত বিস্ময়ে বুঁদ হয়ে থাকার চাইতে সমন্বয়হীন প্রশাসনের পালে লাগাম টানার দাবি জানানো জরুরি।
সাম্প্রতিক বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ কিংবা লীগ নামধারী কেউ কিছু করলেই দলের উচ্চ পর্যায় থেকে ‘হাইব্রিড’, ‘কাউয়া’, ‘নব্যলীগার’, ‘অনুপ্রবেশকারী’ বলে কতক শব্দ ভেসে আসে। এটা যে দায় এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা সেও প্রমাণিত। কারণ এ শব্দগুলো যাদের উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়ে চলেছে সে তাদেরকেই উচ্চস্থান দিয়েছে খোদ আওয়ামী লীগ। দল, সংসদ ও সরকার সকল স্থানেই দলবদলে আওয়ামী লীগে এসে তরী ভেড়ানো অনেকেই আছে। সেক্ষেত্রে অনুপ্রবেশকারী, হাইব্রিড শব্দপ্রয়োগ যে স্রেফ তামাশা এক- সে বলার অপেক্ষা রাখে না।
শেষ পর্যন্ত তারিক সালমনের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক এ মামলা প্রত্যাহার হয়েছে, এটা ইতিবাচক খবর।
হয়রানির এ সময়ে দেশের বেশিরভাগ লোকই প্রতিবাদ করেছে। কিছু লোক আবার প্রধানমন্ত্রীর বিস্ময়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছে, তাদের কাছে হয়রানির চাইতে দলপ্রধানের বিস্ময়ের মূল্য ছিল বেশি। এই প্রতিবাদ আর স্তুতিবাক্যের আড়ালে পড়ে গেছে প্রশাসনের সমন্বয়হীনতার করুণ চিত্র। এক তারিক সালমন না হয় শেষ পর্যন্ত রক্ষা পেয়েছেন, কিন্তু অন্য সালমনদের রক্ষাকল্পে রাষ্ট্র-সরকার কতখানি সক্ষম ও সচেতন সে নিয়ে প্রশ্ন থেকেই গেছে।
সমস্যার মূলে হাত দিন। সমাধান করতে না পারলে অনেকভাবেই অন্য তারিক সালমনেরা ক্ষতিগ্রস্ত হতেই থাকবে। সময় যখন প্রতিবাদ, আবেগপ্রকাশ, টেলিফোন, দুঃখপ্রকাশের পালায় আবর্তিত; তখন প্রশাসনের সমন্বয়হীনতার করুণ চিত্র অপ্রকাশিত থেকে যাচ্ছে স্তুতিবাক্যের আড়ালে! অথচ এ আলোচনাটা জোরালো হয়ে ওঠার দরকার ছিল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

রাশিয়া বা চীনের সুন্দরীদের সঙ্গে মেলামেশা করতে নিষেধ করা হয়েছে ব্রিটিশ কর্মকর্তাদের। গুপ্তচর বৃদ্ধির কারণেই এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ব্রিটেন। এ সম্পর্কিত এক রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় নিরাপত্তা বৃদ্ধির কারণেই ব্রিটিশ কর্মকর্তাদের সুন্দরী নারীদের থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। কারণ এই সুন্দরী নারীরা গুপ্তচর হতে পারেন বলেই মনে করছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রাণালয়।

কলকাতা টুয়েন্টিফোর’র খবরে বলা হয়েছে, দেশটির মন্ত্রাণালয় পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে- এই সুন্দরীরা যৌনতার জাল বিস্তার করে কর্মকর্তাদের কাছ থেকে গোপন তথ্য জেনে নিতে পারেন। যা পরবর্তীতে ফাঁস হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গত ২০১০ সালে এমনই এক গুপ্তচড় বৃত্তির ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছিল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

চলচ্চিত্র অভিনেত্রী জয়া আহসানের প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ সোমবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০১৫ প্রদান অনুষ্ঠানে এ প্রশংসা করেন তিনি।

২৫ ক্যাটাগরিতে ৩১ জন শিল্পী ও কলাকুশলীর মধ্যে এ পুরস্কার বিতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। এতে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার পান জয়া আহসান (জিরো ডিগ্রি)।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশের নির্মাতারা অল্প খরচ ও বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও ভালো ছবির নির্মাণ করছে। এ জন্য আমি চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ দিতে চাই। বিশেষ করে আমি জয়া আহসানকে ধন্যবাদ দেব, কারণ আজ দেশের বাইরে তাঁর বড় একটা পুরস্কার পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি সেখানে অংশ না নিয়ে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছেন। এতে বোঝা যায়, দেশের প্রতি তাঁর কতটা ভালোবাসা, কতটা টান।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ কে এম রহমত উল্লাহ। স্বাগত বক্তব্য দেন তথ্যসচিব মর্তুজা আহমেদ। মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য, পদস্থ সরকারি কর্মকর্তা এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে আজীবন সম্মাননা পুরস্কার দেওয়া হয়েছে চলচ্চিত্র অভিনেত্রী আফরোজা সুলতানা রত্না শাবানা এবং সংগীতশিল্পী ফেরদৌসী রহমানকে। যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন রিয়াজুল মাওলা রিজু পরিচালিত ‘বাপজানের বায়েস্কোপ’ ও মোরশেদুল ইসলাম পরিচালিত ‘অনিল বাগচীর একদিন’।

শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্যচিত্রের পুরস্কার পেয়েছে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের ‘একাত্তরের গণহত্যা ও বধ্যভূমি’। যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ পরিচালকের পুরস্কার পেয়েছেন মো. রিয়াজুল মাওলা রিজু (বাপজানের বায়েস্কোপ) এবং মোরশেদুল ইসলাম (অনিল বাগচীর একদিন)।

প্রধান চরিত্রে যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছেন শাকিব খান (আরো ভালবাসবো তোমায়) এবং মাহফুজ আহমেদ (অনিল বাগচীর একদিন)।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

কলারোয়া ডেস্ক : কলারোয়ার কাজীরহাটে প্রয়াত শিক্ষক আব্দুল গফ্ফার খাঁনের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে স্মরণ সভা ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কাজীরহাট সাহিত্য পরিষদ আয়োজিত ওই স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন পরিষদের সভাপতি প্রভাষক রেজাউল ইসলাম।
সাহিত্য পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত স্মরণ সভায় কলারোয়া প্রেসক্লাবের সদস্য প্রভাষক সাইফুল ইসলামের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন কাজীরহাট হাইস্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক আমীর আলী, কাজীরহাট গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষক শামছুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা কামরুজ্জামান সোহাগ, পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কবি নজরুল ইসলাম, মাস্টার আমিরুল ইসলাম, সাবেক সেনাসদস্য সাংবাদিক জিল্লুর রহমান, সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম লিটন, সাবেক সেনাসদস্য আকরাম হোসেন, আসমত হোসেন, প্রয়াত শিক্ষকের কন্যা আনিকা তাসনিম নিশি প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা গফ্ফার স্যারের শিক্ষকতা জীবনের বিভিন্ন বিষয়ের উপর আলোচনা করেন।
এছাড়া পরিবারের পক্ষ থেকে কাজীরহা টবাজারে দুইটি মসজিদে আসরবাদ দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দোয়া অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মাওলানা লুৎফর রহমান ও মাওলানা আমিনুর রহমান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, কালিগঞ্জ : জাতীয় পর্যায়ে ‘জনপ্রশাসন পদক-২০১৭ পেয়েছেন সুনামগঞ্জের সাবেক জেলা প্রশাসক ও সাতক্ষীরা কালিগঞ্জের গর্বিত সন্তান জনাব শেখ রফিকুল ইসলাম। বর্তমানে তিনি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ব্যুরো অব ম্যান পাওয়ার ট্রেনিংয়ের পরিচালক হিসেবে কর্মরত আছেন। সাধারণ প্রশাসন ব্যবস্থাপনায় তিনি বিশেষ কৃতিত্ব প্রদর্শন করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই পুরস্কার প্রদান করেন।
শেখ রফিকুল ইসলাম সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার মহৎপুর গ্রামের মৃত শেখ নূরুল হুদার ছেলে এবং অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক ব্যবস্থাপক শেখ আনোয়ার হোসেনের ছোট ভাই।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

কালিগঞ্জ ব্যুরো : কালিগঞ্জের ছনকা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষিকা শাহীনা আক্তার (চায়না) উপজেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষিকা নির্বাচিত হয়েছেন বলে প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানাগেছে। তিনি ২০০৬ সালের ২৩ এপ্রিল পারুলগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকুরী জীবন শুরু করেন। সেখান থেকে বদলি হয়ে ১৬ নং ছনকা মডেল সঃ কাঃ প্রাঃ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বর্তমানে (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষক হিসেবে সুমানের সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি সংসারিক জীবনের শারাফাত ইমতিয়াজ প্রিন্স নামের এক ছেলে সন্তানের জননী, সে ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজে লেখা পড়া করছে। শাহীনা আক্তার চায়না উপজেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষিকা নির্বাচিত হওয়ায় বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্যবৃন্দ ও এলাকাবাসি আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

কলারোয়া ডেস্ক : কলারোয়া এবার স্কুল ব্যাগ থেকে ফেনসিডিল উদ্ধার করলো থানা পুলিশ।
সোমবার বেলা ২টার দিকে এ আটকের ঘটনা ঘটে।
সোমবার বিকালে কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব দেব নাথ সাংবাদিকদের জানান- থানার এসআই (নিঃ) সোলায়মান আক্কাস ও এএসআই(নিঃ) রুহুল আমিন রুবেলসহ সঙ্গীয় ফোর্স অভিযান চালিয়ে কলারোয়া উপজেলা বাসস্ট্যান্ডে স্কুল ব্যাগ নিয়ে দাড়িয়ে থাকা এক যুবককে আটক করে। পরে ওই যুবকের ব্যাগে তল্লাসী চালিয়ে ৩০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে পুলিশ।
আটক যুবক সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নের বয়রা গ্রামের জালাল উদ্দীনের ছেলে ইসারুল ইসলাম (১৯)।
এদিকে, পুলিশ বিভিন্ন স্থানে মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় ১শ’ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করেছে।
এ ঘটনায় কলারোয়া থানায় মামলা দায়ের হয়েছে বলে জানা গেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest