সর্বশেষ সংবাদ-
কালিগঞ্জে পুকুরের পানিতে দুই শিশুর মৃত্যুদেবহাটায় ৪০ জন উপকার ভোগীর মাঝে ছাগল বিতরণদেবহাটার সরকারি কর্মকর্তা-সুধীজনদের সাথে ডিসির মতবিনিময়সাতক্ষীরার ১৮৫টি ভোটকেন্দ্রের স্কুল সংস্কারে বরাদ্দ প্রায় ৬৪ লাখ টাকাসাতক্ষীরা জেলা রোভারের ৪১ তম কোর্স ফর রোভারমেট এর মহাতাঁবু জলসাশ্যামনগরে বুনো শাকের রান্না প্রতিযোগিতাসাতক্ষীরায় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে রাস্তা সংস্কার কার্যক্রমের উদ্বোধনতারেক রহমানের জন্মদিনে সাতক্ষীরায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ছাত্রদলের শিক্ষা উপকরণ বিতরণদেবহাটায় উপজেলা মাসিক আইনশৃঙ্খলা ও উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভামহেশ্বরকাটি বাজারে বিএনপির প্রার্থী কাজী আলাউদ্দিনের লিফলেট বিতরণ

সাতক্ষীরায় তিন দিন ব্যাপী আয়কর ক্যাম্পের উদ্বোধন

আসাদুজ্জামান : “জন কল্যাণে রাজস্ব, উন্নয়নের অক্সিজেন রাজস্ব” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে সাতক্ষীরায় তিন দিন ব্যাপী আয়কর ক্যাম্পের উদ্বোধন করা হয়েছে। কলারোয়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে রোববার বিকেলে এ মেলার উদ্বোধন করা হয়। খুলনা অঞ্চলের কর কমিশনার মোঃ ইকবাল হোসেনের সভাপতিত্বে উক্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দীন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, কলারোয়া সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর বাসুদেব বসু, উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ স্বপন, উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মনিরা পারভিন প্রমুখ।
বক্তারা এ সময় বলেন, উক্ত আয়কর ক্যাম্পে কর দাতাগনের ই-টিআইএন রেজিষ্ট্রশন, রিরেজিষ্ট্রেশন, ষ্পট এসেসমেন্ট এর মাধ্যমে কর নির্ধারন, দাবী সৃষ্টি ও আদায় এবং আয়কর প্রত্যয়নপত্র প্রদানসহ বহুমূখী সেবা প্রদান করা হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ভারতের ঘোজাডাঙ্গায় অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি: ভোমরায় আমদানী-রপ্তানী কার্যত বন্ধ

আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দরের বিপরীতে ভারতের ঘোজাডাঙ্গা সিএন্ডএফ এজেন্ট এমপ্লয়ী কার্গো এ্যাসোসিয়েশনের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির কারনে আজ সোমবার সকাল থেকে বন্দরের আমদানী-রপ্তানী কার্যক্রম কার্যত বন্ধ রয়েছে। সে দেশের সিএন্ডএফ এজেন্ট এমপ্লয়ী কার্গো এ্যাসোসিয়েশনের দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কাষ্টমস এর পক্ষ থেকে একটি সাধারন ডায়েরী করায় তারা এই অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন।
ভোমরা স্থল বন্দর সিএন্ডএফ এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কাজী নওশাদ দেলোয়ার রাজু জানান, ভারতের ঘোজাডাঙ্গা সিএন্ডএফ এজেন্ট এমপ্লয়ী কার্গো এ্যাসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক মিহির ঘোষ স্বাক্ষরিত এ পত্রে জানানো হয়েছে ঘোজাডাঙ্গা সিএন্ডএফ এজেন্ট এমপ্লয়ী কার্গো এ্যাসোসিয়েশনের দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে সে দেশের কাষ্টমস এর পক্ষ থেকে বসিরহাট থানায় গত ১৭ই আগষ্ট একটি সাধারন ডায়েরী করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে চলতি মাসের ৯ তারিখে ঘোজাডাঙ্গা সিএন্ডএফ এজেন্ট এমপ্লয়ী কার্গো এ্যাসোসিয়েশনের এক আলোচনা সভায় সর্বোসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় কাষ্টমসের এই মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদে আজ সোমবার থেকে এ্যাসোসিয়েশনের সকল সদস্য অনির্দিষ্ট কালের জন্য কর্মবিরতি পালন করবে। তিনি আরো জানান, এরই প্রেক্ষিতে সে দেশের এ্যাসোসিয়েশনের সকল সদস্য আমদানী-রপ্তানী কার্যক্রম বন্ধ রেখে কর্মবিরতি পালন করায় আমাদের এ পারেও (ভোমরা বন্দরে) মূলত আমদানী-রপ্তানী কার্যক্রম কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে।
ভোমরা স্থল বন্দরের সহকারী কমিশনার রেজাউল হক জানান, এ ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। তারা যথারীতি অফিস খুলে তাদের সকল অফিসিয়াল কার্যক্রম চালাচ্ছেন। তবে, এখনও পর্যন্ত পণ্যবাহি কোন পরিবহন প্রবেশ করেনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস ভবন নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর উন্মোচন

মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : সাতক্ষীরায় আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস ভবন নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর উন্মোচন করা হয়েছে। সোমবার সকালে শহরের পলাশপোল এলাকায় সাতক্ষীরা গণপূর্ত বিভাগের আয়োজনে গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এ.কে.এম ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ভিত্তি প্রস্তর উন্মোচন করেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সদর-০২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। এসময় তার বক্তব্যে বলেন, আগে সাতক্ষীরার মানুষকে পাসপোর্ট করার জন্যে খুলনা বা ঢাকায় যেতে হতো। তাতে ভোগান্তিসহ ব্যয়ও বেশি হতো। এখন সাতক্ষীরায় এ কার্যক্রম শুরু হওয়ায় এ জেলার মানুষ অতি সহজেই পাসপোর্ট করতে পারবে। এখন এই এলাকার মানুষের সময়, অর্থের অপচয় এবং ভোগান্তি কমে যাবে। রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানের জন্য প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগকে বিশ্বব্যাপি স্বাগত জানিয়েছে।’ বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক এ.কে.এম আবু সাঈদ, জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী ড. হেলাল উদ্দিন, ঠিকাদার ইকবাল জমার্দ্দার প্রমুখ। সাতক্ষীরা গণপূর্ত বিভাগের বাস্তবায়নে পাঁচ-তলা ভীতের উপর ৩য়তলা ভবন ৩ কোটি ৮৪ লক্ষ ৭শ’ ৫৮ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে। ৩০ জুন ২০২০ সালের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সরকারি কর্মচারিদের জন্য চালু হচ্ছে বিজয় দিবস ভাতা

মহান বিজয় দিবস যেন সার্বজনীন উৎসবে পরিণত হয় এজন্য বৈশাখী ভাতার মতো বিজয় দিবস ভাতা চালু করার কথা ভাবছে সরকার। এ ভাতা প্রচলনের বিষয়ে মতামত চেয়ে সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে অর্থ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে চিঠিও পাঠানো হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব মঈনউল ইসলাম স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষাক্রমে বিজয় দিবস ভাতা প্রচলনের বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, বিজয় দিবসের ভাতা প্রচলনের জন্য কাজ চলছে। কবে কার্যকর হবে সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

এবিষয়ে জানতে চাইলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন বলেন, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিজয় দিবস ভাতা প্রচলন সংক্রান্ত একটি চিঠি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এসেছে। আমরা এ বিষয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখছি। এটা চালু করলে পজেটিভ হবে না নেগেটিভ হবে এটা আগে জানতে হবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট সবার মতামত নেব।

অর্থ সচিব আরো বলেন,এবিষয়টি দেশের স্বাধীনতার সঙ্গে সম্পৃক্ত। এ ধরণের বিশেষ ভাতা চালুর মতো চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে। ফলে পুরো প্রক্রিয়াটি কিছুটা সময় সাপেক্ষও বটে। তবে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করলে বলতে পারব কবে থেকে এটা কার্যকর হতে পারে। এবিষয়ে চুড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

জানা গেছে, মহান বিজয় দিবস যেন সার্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়। সর্বত্র এটা প্রতিভাত হয় যে, আজকের দিনটি বিজয় দিবস। এজন্য বৈশাখী ভাতার মতো বিজয় দিবসের বিশেষ ভাতা চালু করতে চাচ্ছে সরকার। কারণ, এখন শুধু সকালে কিছু প্যারেড, তারপরে কিছু অনুষ্ঠান, বিকালে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান মাধ্যমে দিনটি শেষ হয়ে যায়। বিশেষ এই ভাতা চালু করা হলে ঈদ, পূজা ও বাংলা নববর্ষের মতো দিনটি উৎসবমুখর পরিবেশে কাটবে। এতে নতুন লাল সবুজের বর্ণিল পোশাক পড়ার একটা ব্যাপার থাকবে। এখন যেমন ঈদ পূজা উপলক্ষে মানুষ বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়-স্বজন, সহকর্মীর বাড়িতে বেড়াতে যাই, এরকম একটি ব্যাপার যেন ঘটে। যেটা আমাদের সবাইকে এক সূত্রে আবদ্ধ করতে পারে।

জনপ্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, দেশের ১৩ লাখ ৮২ হাজার ৩৯৩ জন সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারির জন্য বিজয় দিবসের বিশেষ ভাতা চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এজন্য সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই এই ভাতা চালু করার সম্ভাবনা রয়েছে।

সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার বলেন, বিজয় দিবসের ভাতা চালুু হলে ভালো হবে। যেসব কর্মকর্তারা পাবেন তারা খুশি হবে। যদি হয় তাহলে অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের জন্যও হওয়া উচিত। তারা যেন বাদ না পড়ে। কারণ, আমরাও দীর্ঘকাল সরকারকে সেবা করেছি। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম মোজাম্মেল হক বলেন, আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি যাতে বিজয় দিবসের ভাতা চালু হয়। তবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো এখনো এবিষয়ে কোনো কিছু বলেনি।

জনপ্রশাসনের শীর্ষ স্থানীয় এক কর্মকর্তা জানান, বিজয় দিবসের ভাতা চালু করার জন্য আলোচনা চলছে। তবে আমি এবিষয়ে বিস্তারিত জানি না। উল্লেখ্য, গত ৩১ মে গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান সরকার বিজয় দিবস ভাতা চালুর প্রস্তাব করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। ওই চিঠিতে বিজয় দিবস ভাতা চালুর যৌক্তিকতা তুলে ধরার চেষ্টা করেন তিনি। ওই চিঠির প্রেক্ষিতে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ সম্প্রতি এবিষয়ে মতামত চেয়ে অর্থ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে। এখন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো এবিষয়ে কাজ করছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শিক্ষা ক্যাডারের পদোন্নতি কমিটির সভা মুলতুবি

ন্যাশনাল ডেস্ক : বি সি এস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের সহকারি অধ্যাপকদের পদোন্নতি দেয়ার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত বিভাগীয় পদোন্নতি কমিটির রবিবারের সভা মুলতুবি করা হয়েছে।

একধিক সূত্রে জানা যায়, খসড়া তালিকা সঠিকভাবে হয়েছে কি-না, এসিআর আছে তো কর্মস্থল নেই, কর্মস্থলের উল্লেখ আছে তো এসি আর নেই- এমন সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও মহাপরিচালক। এছাড়া ২৬তম বি সি এস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তাদের পদোন্নতিবঞ্চিত হওয়ার আংশকা কতটুকু সত্যি ইত্যাদি বিষয় জানতে চেয়েছেন জন প্রশাসনসহ অন্যান্য মন্ত্রণালয় থেকে সভায় যোগদেয়া সদস্যরা। কাল মঙ্গলবার বিকেলে আবার সভা বসবে বলে আশা করা যায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শেষ পর্যন্ত কোচিং-টিউশন নিষিদ্ধ করেই চূড়ান্ত হচ্ছে শিক্ষা আইন

ডেস্ক রিপোর্ট : সাড়ে ছয় বছরে নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে অবশেষে কোচিং, প্রাইভেট ও সব ধরনের নোট-গাইড, অনুশীলন বা সহায়ক বই নিষিদ্ধ করে শিক্ষা আইনের খসড়া চূড়ান্ত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এত সহায়ক বা অনুশীলন বই প্রকাশের সুযোগ রাখা হয়নি । এসব অপরাধে কেউ জড়িত হলে জেল-জরিমানা বা চাকরিচ্যুত (শিক্ষক হলে) করা হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন বলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয এবং মাদ্রাসা ও কারিগরি বিভাগের মতামত পাওয়ার পর খসড়াটি চূড়ান্ত করা হয়েছে। এখন আনুষঙ্গিক কিছু কাজ করে শিগগির খসড়াটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠনো হবে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে মন্ত্রিসভা থেকে। তিনি বলেন, মন্ত্রনালয় কোচিং, প্রাইভেট টিউশন ও নোট-গাইড বা অনুশীলন বই নিষিদ্ধ করার পক্ষে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্রমতে, ২০১০ সালে জাতীয় শিক্ষানীতি হওয়ার পর ২০১১ সালের জানুয়ারিতে শিক্ষা আইনের খসড়া পণয়ন করার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। এরপর এ নিয়ে বেকল আলোচনাই হয়েছে। এই আইন না হওয়ায় জাতীয় শিক্ষানীতির বাস্তবায়নেও বাধ্যবাধকতা থাকছে না।

গত বছরের ডিসেম্বরে ‘নমনীয়’ করে শিক্ষা আইনের খসড়া তৈরি হয়। খসড়াটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তাতে সহায়ক বা অনুশীলন বই প্রকাশেরও সুযোগ রাখা হয়েছিল। এমনকি ‘ছায়া’ হিসেবে কৌশলে কোচিং ও প্রাইভেট টিউশনের বৈধতা দেওয়ার কথা বলা ছিল। এ নিয়ে তখন একটি দৈনিকে ‘বৈধতা পাচ্ছে কোচিং-টিউশন, সহায়ক বই খাকবে’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে শিক্ষাবিদসহ বিভিন্ন মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে আইনের খসড়াটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ফেরত এনে পর্যালোচনা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রায় ১০ মাস পর নতুনভাবে খসড়াটি চুড়ান্ত করা হলো। নতুন চুড়ান্ত কসড়ায় বরা হয়েছে, এই আইন জারির পর সব ধরনের কোচিং নিষিদ্ধ হবে। যেকোন ধরণের কোচিং সেন্টার পরিচালনা, কোচিং সেন্টরে শিকক্ষতা করা শাস্তিযোগ্য হবে। কেউ এই অপরাধ করলে অনধিক দুই লাক্ষ টাকা অর্থদন্ড বা ছয় মাসের কারাদন্ড অথবা উভয় দন্ড ভোগ করতে হবে।

কোন শিক্ষক শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট (প্রাইভেট টিউশন) পড়াতে পারবে না । কেউ এটা করলে সরকারি শিক্ষক হলে চাকরিবিধি অনুয়ায়ী অসাদআচরণের জন্য শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর বেসরকারি শিক্ষক হলে শিক্ষক নিবন্ধনও এমপিও (বেতন বাবদ মাসিক সরকারি অংশ) বাতিল ও চাকরিচ্যুত করা হবে। তবে শিক্ষপ্রতিষ্ঠান পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করে অভিভাবকদের লিখিত সম্মতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্লাস সময়ের পরে সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী অতিরিক্ত ক্লাসের ব্যবস্থা করতে পারবে। বর্তমানে এই নিময় আছে। এ জন্য সরকারে নির্ধারিত ফি দিতে হয় শিক্ষার্থীদের। আইনে, ‘প্রাইভেট টিউশন’ বলতে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকের মূল শিক্ষা কার্যক্রমের বাইরে অর্থের বিনিময়ে যেকোন স্থানে শিক্ষা দেওয়া বোঝাবে। প্রস্তাবিত এই আইন বলছে, কোনো ধরনের নোট বই বা গাইড বই মুদ্রণ, বাঁধায় প্রকাশ ও বাজারজাত করা দন্ডনীয় অপরাধ।

এই আইন না মানলে অনাধিক পাঁচ লাখ টাকা অর্থদন্ড বা এক বছরের কারাদন্ড আথবা দন্ড উভয় ভোগ করতে হবে। বিদ্যামান আইনে আষ্টম শ্রেণি পর্য়ন্ত নোট বা গাইড বই নিষিদ্ব,যদিও এখন এগুলোর বদলে সহায়ক বা অনুশীলন বই চালু হয়েছে।

গত ডিসেম্বরে করা আইনের খসড়ায় সকায়ক বইয়ের অনুমোদন দিয়ে বলা হয়য়েছিল কোনো প্রকাশক বা প্রতিষ্ঠান বা ব্যাক্তি কেবল সহায়ক পুস্তক বা ডিজিটাল শিখন-শেখানো সামগ্রী প্রকাশ করতে পারবেন। তখন শিক্ষা-সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিরা এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। প্রস্তাবিত আইনে এই ধারাটি আর রাখা হয়নি।

এতে নোট ও গাইড বই বলতে বোঝাবে, যেসব পুস্তকে পাঠ্যবইয়ের বিষয়বস্তর আলোকে বিভিন্ন পরিক্ষার সম্ভাব্য প্রশ্নাবলির উত্তর লেখা থাকে,যা শুধু পরিক্ষা পাসের উদ্দেশ্যে পাঠ্যপুস্তকের বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা হয় এবং যা অধ্যয়ন করলে শিক্ষেোথীদের সৃজনশীল প্রতিভা বাধাগ্রস্ত হয় এবং মূল পাঠ্যপুস্তক পাঠে উৎসাহ হারায়।

আরও যা থাকছে আইনে :
সরতার নির্ধারিত হারের চেয়ে অতিরিক্ত হারে বেতন-ভাতা বা ফি নিলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষর্থী মূল্যায়নের ফলাফল পরপর দুই বছর অসন্তোষজনক হওয়াসহ আট অপরাধের জন্য বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতার সরকারি অংশ (এমপিও)সাময়িক বন্ধ, আংশিক কর্তন বা বাতিল করা হয়।

শিক্ষার্থীদের কোন প্রকার শারীরিক ও মনিসিক শাস্তি দেওয়া যাবে না। থাকবে একটি স্থায়ী শিক্ষা কমিশন। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীর বিস্তারিত পরিচিতি সংরক্ষণ করবে এবং প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবে।

জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ম্যাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব চৌধুরী মুফাদ আহমেদ বলেন আইনের খসড়াটি সংক্ষেপে করা হয়েছে। বিধিমালা বিস্তারিত বলা হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
টানা ৭১ দিন বন্ধুদের মাংস খেয়েছিলেন এই ‘মানুষখেকো’

১৯৭২ সাল। তুমুল তুষার ঝড়ে ঢেকে গিয়েছে আন্দিজ পর্বতমালা। তারই মাঝ দিয়ে উড়ে যাচ্ছিল ৪০ সিটের ছোট প্লেনটা। গন্তব্য চিলে। বেশ কিছু সময় আগে উরুগুয়ে থেকে যখন প্ল্যানটি আকাশ ছুঁয়েছিল তখনও আবহাওয়া এতটা খারাপ ছিল না।

প্রথমে প্লেনে তুমুল ঝাঁকুনি। তার পরে হাওয়ার ধাক্কায় এদিক সেদিকের পাহাড়ে ধাক্কা মারতে মারতে প্লেনটা যখন শান্ত হল, তখন ৪০ জনের মধ্যে অনেকেই মৃত্যুর দেশে চলে গিয়েছেন। আর বাকিরা তখনও নিশ্চিত মৃত্যুর সঙ্গে জীবনের শেষ দান খেলতে ব্যস্ত। এদের মধ্যেই একজন ছিলেন পেদ্রো অ্যালগোর্টা। তাঁরই রোমহর্ষক গল্প শুনুন।

চারদিক শুধু থেঁতলে যাওয়া লাশের ভিড়। তারই মাঝে কাটা ধানের মতো পড়ে রয়েছে কতগুলি মানব শরীর। ওরা মরেনি তখনও। বেঁচে আছে। কিন্তু এত ঠাণ্ডায় কতক্ষণ বাঁচা সম্ভব হবে কেউ জানে না। পেদ্রোরও একই অবস্থা। পাশের যাত্রীরা ততক্ষণে মৃত।

পেদ্রো কোনও মতে রক্ত ভেজা লাশগুলোকে সরিয়ে প্লেনের ভাঙা দরজা ঠেলে বাইরে বেরিয়ে এসেছেন। সঙ্গে আরও কয়েকজন। এখন কী হবে? হঠাৎই একজন আশার মশাল জানালেন। বললেন, “চিন্তা নেই বন্ধুরা। এতক্ষণে প্লেন ভেঙে পড়ার খবর নিশ্চিত চিলে পৌঁছে গিয়েছে। সেখান থেকে উদ্ধারকারী দল এল বলে!”

এর পরে বেশ কয়েকদিন কেটে গিয়েছে। তবু কারও দেখা নেই। এদিকে তুষার ঝড়ের দাপটে মারা গিয়েছেন আরও কয়েকজন। তখনও বেঁচে গুটিকয়েক যুবক। পেদ্রো তখনও লড়ছেন মৃত্যুর সঙ্গে। কিন্তু এবার! কীভাবে এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসা যায় সেই নিয়ে চলতে থাকল যুক্তি-তক্ক।

এদিকে ঠান্ডা হাওয়ার তেজ যেন বেড়েই চলেছে। কাটা কাটা হাওয়া যেন করাতের মতো আঘাত করে চলেছে শরীরটাকে। তবু আশা ছাড়েনি কেউ। বাঁচতে হবেই। ঠান্ডাকে হার না মানালে যে মৃত্যু নিশ্চিত। কিন্তু এদিকে বাঁচার উপায়ও মাথায় আসছে না। এদিকে কমছে মজুত খাদ্য আর জল। কী হবে এবার? ঠান্ডা না মারুক, খিদে ঠিক মারবেই মারবে।

শেষ দানাটা দ্রুত মুখে পরে দিল লোকটা। খাবার শেষ। আর কেউ বাঁচতে পারবে না। খাবার ছাড়া এই ঠান্ডায় বাঁচা অসম্ভব, যদি না কোনও জাদু ঘটে। এদিকে পেদ্রো এক ঝলক ঘড়ির দিকে তাকালেন।

১৩ দিন কেটে গিয়েছে। তবু কারওর দেখা নেই। তাদের যেন বাকি বিশ্ব ভুলতে বসেছে। না হলে কেউ আসছে না বাঁচাতে! “আমি পেদ্রো অ্যালগোর্টা। আমি বাড়ি ফিরতে চাই। পরিবারের মুখ দেখতে চাই।”

এই কথাগুলোই যেন ছেঁড়া পাতার মতো ঘুরপাক খাচ্ছিল পেদ্রোর মনে। তখনই সবাই সিদ্ধান্ত নিল, বাঁচতে গেলে খেতে হবে। আর খাবার যখন নেই, তখন মৃত বন্ধুরাই একমাত্র ভরসা। প্রথমটায় বমি করে ফেলেছিলেন বেশিরভাগই। তার পর খিদের চোটে পাগলের মতো মানুষের মাংস খাওয়া শুরু করেছিলেন সবাই।

পেদ্রোর ভাগ্যে জুটেছিল এক মৃত বন্ধুর কাটা হাত আর থাই। তাই কামড়ে কামড়ে খাচ্ছিলেন পেদ্রো। মানুষের দাঁত কি মানুষের মাংস খেতে পারে? সেদিন পেরেছিল! বাঁচার তাগিদে সেদিন যেন ওই মানুষগুলো এক একটা হিংস্র দানবে পরিণত হয়েছিল।

কেমন ছিল সেই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা? ঘটনার প্রায় ২৫ বছর পর পেদ্রো একটি বই লিখেছিলেন, নাম দিয়েছিল “ইন্টু দ্য মাউন্টেন”। তাতে সেই সময়কার পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা দিয়েছিলেন। লিখেছেন, “আজও যখন সেই দিনটার দিকে ফিরে তাকাই মনে হয়, যদি ওই কাজটা না করতাম সেদিন, তাহলে বোধহয় আজকের দিনটা দেখতে পেতাম না।”

কী ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা একবার ভাবুন! প্রাণ বাঁচাতে নিজের সহযাত্রীদের মাংস খাচ্ছে একদল সভ্য মানুষ। ভাবা যায়! আসলে সেদিন বাঁচার তাগিদেই মানুষের মাংস খেতে বাধ্য হয়েছিল ওরা। যারা মারা গিয়েছে তারা তো আর নেই। কিন্তু দেখুন সেই মৃত মানুষগুলোর কারণেই আজও অনেকে বেঁচে আছে। পেদ্রো অ্যালগোর্টাও তাঁদের একজন।

“দ্য বডি অব ক্রাইস্ট”: পেদ্রো নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে একবার বলেছিলেন, সেদিন কেউ এটা ভাবেনি যে তারা মানুষের মাংস খাচ্ছে। সবার মনে হয়েছিল বন্ধুরা মরে গিয়েও তাঁদের বাঁচিয়ে রেখেছে।

এর থেকে বেশি সেই মুহূর্তে আর কিছুই মনে আসছিল না তাঁদের। মাথার উপরে‌ কালো মেঘ। অঝোরে হতে থাকা তুষারপাত আর মাইনাস সেন্টিগ্রেডের মাঝে বেঁচে থাকাটাই সে সময় শেষ কথা ছিল। তাই তো মৃতদের শরীরকে স্বয়ং যিশুর শরীর ভেবে তারা গ্রহণ করছিল সেদিন। সূত্র: এবেলা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মন্ত্রীর বক্তব্যের পর রশিদের গুদামে পুলিশের অভিযান

চাল নিয়ে কারসাজির জন্য রাইস মিল মালিক সমিতির দুই নেতাকে অভিযুক্ত করে বাণিজ্যমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্যের পরপরই কুষ্টিয়ায় একটি গুদামে অভিযান চালিয়েছে টাস্কফোর্স। গুদামটি মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রশিদের।

এর আগে রোববার বিকালে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, চালের বাজারে কারসাজির মূলহোতা হলেন বাংলাদেশ রাইস মিল অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ ও সাধারণ সম্পাদক লায়েক আলী। এই দুইজনই বাজারে সঙ্কটজনক পরিস্থিতি তৈরি করেছেন। তাদের গ্রেফতার করা উচিত।

গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে বস্তাপ্রতি চালের দাম বেড়েছে ৩০০ থেকে ৫০০। গত কয়েক মাস ধরেই এই অস্বাভাবিক বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলেও বর্তমানে তা অসহনীয় মাত্রায় পৌঁছেছে।

মোটা চালের বাজারদর ওঠা-নামা করছে পঞ্চাশের ঘরে। এর আগে এমন চড়া দরে চাল কিনতে হয়নি কখনোই। কোরবানী ঈদের আগে আর পরে মাত্র এ ক’দিনেই চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ৮ থেকে ১০ টাকা

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest