সর্বশেষ সংবাদ-
দেবহাটায় কিশোর-কিশোরী ও যুবকদের সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে খেলাধুলার আয়োজনগণমানুষের স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান নলতা হাসপাতাল হুমকির মুখে :রক্ষার দাবিইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে সাতক্ষীরায় আহলে হাদীছ আন্দোলনেi বিক্ষোভপরীক্ষামূলক যুদ্ধবিমান (মডেল) তৈরিতে অবদানের জন্য বোরহান উদ্দীন- কে ছাত্রশিবিরের সম্মাননাপুনরায় সচল বৈছাআ, অসম্পূর্ণ কাজ বাস্তবায়নের ঘোষণা দিলেন সাতক্ষীরার আহ্বায়কজাতীয়তাবাদী সাইবার দল সাতক্ষীরা জেলা শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণাসাতক্ষীরায় আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া সংসদের পরিচিতি সভাসীমান্ত প্রেস কাবের সভাপতি ইমন – সম্পাদক লিংকন,সাতক্ষীরায় জেলা তাঁতীদলের সভাপতি রিপন – সম্পাদক সাহেব আলীআশাশুনিতে এক রাতে ৪ দোকানে দুঃসাহসীক চুরি

দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছে টাইগাররা

৪৩ দিনের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। শনিবার সন্ধ্যায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন তারা।

এই সফরে দুই ভাগে দক্ষিণ আফ্রিকায় যাবে মুশফিকরা। প্রথমভাগে টেস্ট স্কোয়াডে যারা রয়েছেন শুধু তারাই যাবেন। পরবর্তীতে ওয়ানডে ও টি২০ দলের সদস্যরা দক্ষিণ আফ্রিকায় যাবেন।

দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটি আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর এবং দ্বিতীয়টি ৬ থেকে ১০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া সফরকালে বাংলাদেশ তিনটি ওয়ানডে ও দুটি টি২০ ম্যাচও খেলবে। ঘোষিত দলে নতুন করে স্থান পেয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, রুবেল হোসেন ও শুভাশীষ রায়।

দলের অন্যরা হলেন, মুশফিকুর রহীম, তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, মুমিনুল হক, সাব্বির রহমান, লিটন দাস, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, তাসকিন, মোস্তাফিজুর রহমান ও শফিউল ইসলাম।

তবে বিশ্ব একাদশের হয়ে পাকিস্তানে খেলতে যাওয়ার কারণে দলের সঙ্গে রওনা হননি ওপেনার তামিম ইকবাল। আর সাকিব আল হাসান বিশ্রামের জন্য ছুটির আবেদন করায় তাকে ছাড়াই দল ঘোষণা করা হয়েছে। তবে তিনি চাইলে দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নিতে পারবেন। এ সফরে ৪৩ দিন দক্ষিণ আফ্রিকায় থাকবেন মুশফিকরা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মিয়ানমারে অস্ত্র বিক্রিতে শীর্ষ ৫ দেশ!

রোহিঙ্গাদের উপর মিয়ানমারে সামরিক বাহিনী চালাচ্ছে জাতিগত নিধন ও নৃশংস হত্যাযজ্ঞ। আর এ হত্যাযজ্ঞে তারা ব্যবহার করছে নানা ধরনের অস্ত্রসস্ত্র।
অথচ একবিংশ শতাব্দীর আগেও সামরিক শক্তিতে অনেক পিছিয়ে ছিল মিয়ানমার।

১৯৯০ সালের পর থেকেই ক্রমশ সামরিক অস্ত্রে বলিয়ান ওঠে মিয়ানমার সামরিক জান্তা। মালিক হয়ে ওঠে যুদ্ধবিমান, মিসাইল, সামরিক যানসহ বিভিন্ন অত্যাধুনিক মারণাস্ত্রের। এর পর থেকে দেশটি তাদের মোট জাতীয় বাজেটের এক-চতুর্থাংশ ব্যয় করে সামরিক বাহিনীর পেছনে মিয়ানমার। দীর্ঘদিনের এই খরচে দেশটির সেনাবাহিনীকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় দ্বিতীয় বৃহৎ শক্তিতে পরিণত করেছে।

স্টকহোম আন্তর্জাতিক শান্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (এসআইপিআরপি) বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে মিয়ানমারের কাছে অস্ত্র বিক্রেতাদের নাম তুলে ধরা হয়।

এতে দেখা যায়, ১৯৯০ সালের পর থেকে মিয়ানমারে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র বিক্রি করেছে চীন। তারা ১২০টি যুদ্ধবিমান, ৬৯৬ সাঁজোয়া যান, ১২৫ কামান, ১০২৯ মিসাইল, ২১টি নৌ-জাহাজসহ অন্যান্য সমরাস্ত্র বিক্রি করেছে।

এর পরেই বেশি অস্ত্র বিক্রি করেছে রাশিয়া। তারা ৬৪টি যুদ্ধবিমান, ১০০ কামান ও ২৯৭১টি মিসাইলসহ অন্যান্য সমরাস্ত্র বিক্রি করেছে।

মিয়ানমারের কাছে অস্ত্র বিক্রিতে ভারতও এগিয়ে গেছে। যুদ্ধবিমান, কামান, নৌ-জাহাজসহ সেকেন্ডহ্যান্ড অস্ত্রশস্ত্র বিক্রি করে দেশটি।

ইসরাইল মিয়ানমারের কাছে অনেক আগে থেকেই অস্ত্র বিক্রি করে আসছে। তারা সাঁজোয়া যান, কামানসহ বিভিন্ন মারণাস্ত্র বিক্রি করছে সামরিক জান্তার কাছে। এ ছাড়া তারা মিয়ানমারের সেনাদের প্রশিক্ষণও দিয়ে থাকে।

এ ছাড়া ইউক্রেন ও সার্বিয়া মিয়ানমারে অস্ত্র বিক্রি করে থাকে। ইউরোপের কিছু দেশ জার্মানি, পোল্যান্ড, সুইজারল্যান্ডও মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর কাছে অস্ত্র বিক্রি করে থাকে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
স্বর্গ থেকে নেমে আসা রঙিন নদী!(ভিডিও)

রঙিন নদী! শুনে হয়তো অবাক হবেন! হ্যাঁ, এমনি এক নদী আছে লাতিন আমেরিকার দেশ কলম্বিয়ায়। নাম কানো ক্রিসটেলস।
এটা যেনতেন নদী নয়। এটাকে বলা হয়ে থাকে ‘স্বর্গ থেকে নেমে আসা নদী, তরল রংধনুর নদী ও পৃথিবীর সবচেয়ে রঙিন নদী। ’ আসলেই রঙের মেলা এখানে। যেটাকে রঙের স্বর্গ বলা হয়। প্রকৃতির গুপ্তধনে সমৃদ্ধ এক নদী।

যে নদীটি কেবল একটি কিংবা দুটি রঙে রঙিন নয়, পাঁচ-পাঁচটি দর্শনীয় রঙে রঙিন। জীব-বৈচিত্র্যে ভরপুর আর সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ। যেটাকে দেখলে মনে হবে সৃষ্টিকর্তা তার নিপুণ হাতে পৃথিবীর এক কোণে রঙ ঢেলে সাজিয়েছেন নদীটিকে।

নদীটি পাহাড় থেকে উৎপন্ন হয়ে ১০০ কিলোমিটার বয়ে গেছে। বছরের বেশিরভাগ সময় নদীটি স্বাভাবিক। তখন আর দশটি পাহাড়ি নদীর মতো ধূসর পাথরের তলদেশ, শান্ত পানি ও পরিষ্কার স্রোত থাকে।

তবে শুষ্ক মৌসুম শেষে বর্ষা মৌসুমে (জুলাই-নভেম্বর) পাঁচটি রঙে রঙিন হয়ে ওঠে। তখন নদীর তলদেশে লাল লতা-গুল্মের মতো তরল পদার্থ, যেটা নদীর স্রোতের সঙ্গে দুলতে থাকে।

তার সঙ্গে কিছু পাথরের গায়ে জমে থাকা সবুজ শ্যাওলার আবরণ, কালচে পাথরের রঙ, হলুদ বালু ও ঝিলমিল স্বচ্ছ পানির নীলাভ আভা (নীল রঙ), যা স্বর্গীয় সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলে সেখানে। যেখানে স্রোত বেশি সেখানে লাল রঙের গুল্ম জাতীয় পদার্থটি পাথরের গায়ে সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কিডনি ভাল রাখে এলাচি!

খাবারে স্বাদ ও সুগন্ধের যোগ করার পাশাপাশি স্বাস্থ্যের নানা উপকার করে। শরীরে চর্বি কমানোর সক্ষমতা যুক্ত করে এই মসলা। হজম প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এলাচি।

এলাচগুঁড়ো ওজন কমানোর পাশাপাশি শরীরের ক্ষতিকর চর্বি কমাতে ও অস্বাস্থ্যকর কোলস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে ফেলতে পারে। গবেষকেরা বলছেন, যদিও ওজন কমানোর প্রক্রিয়াটি খুব সহজ নয়, তবে সঠিক ডায়েট প্রক্রিয়ায় এলাচি গুঁড়ো যোগ করে অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে ফেলা যায়। নিয়মিত এলাচি খাওয়ার যত স্বাস্থ্য উপকারিতাঃ-

১। মুখের দুর্গন্ধ দূর করেঃ
নিঃশ্বাসের সাথে যদি আপনার দুর্গন্ধ থাকে তাহলে এলাচি ব্যবহার করে দেখুন। এটি ব্যাকটেরিয়া নাশক উপাদানে ভরপুর থাকে বলে দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী জীবাণুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পারে। এলাচি বীজের তেল ও নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে পারে।

২। কিডনি ভাল রাখেঃ
এলাচ কিডনির জন্য ভালো, কারণ এটি ব্লাড প্রেশার কমতে সাহায্য করে। এছাড়াও কিডনিতে জমা হওয়া ক্যালসিয়াম ও ইউরিয়া দূর করতেও সাহায্য করে। নিয়মিত এলাচ গ্রহণ করলে বিভিন্ন ধরণের কিডনির সমস্যা, কিডনি পাথর, নেফ্রাইটিস সমস্যা নিরাময়ে কাজ করে।

৩। মাথা ব্যাথা দূর করেঃ
যাঁরা মাথাব্যথার সমস্যায় ভোগেন, তাঁদের জন্য এলাচিযুক্ত সবুজ চা দারুণ কাজে লাগতে পারে। গরম-গরম সবুজ চায়ের সঙ্গে এলাচগুঁড়ো মিশিয়ে খেলে বদহজমও দূর হয়।

৪। ক্যান্সার প্রতিরোধকঃ
দেহের ক্ষতিকর টক্সিন দূর করতে এলাচ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এলাচের মধ্যে থাকা ডিউরেটিক উপাদান দেহের ক্ষতিকর টক্সিন পরিষ্কারে সাহায্য করে থাকে। বেষণায় দেখা যায় নিয়মিত এলাচ খেলে ক্যান্সার প্রতিরোধ হয়। এলাচ দেহে ক্যান্সারের কোষ গঠনে বাঁধা সৃষ্টি করে থাকে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ভাড়ায় প্রেমিকা: ৫০ টাকায় গল্প ২০০ টাকায় চুমু

৫০ টাকায় গল্প করা, ১০০ টাকায় হাত ধরা ও চুমুতে ২০০ টাকা ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। টাকার পরিমাণ বাড়লে মিলবে অন্তরঙ্গ হওয়ার সুযোগও।

রাজধানীতে চলছে ভাড়ায় প্রেম। ক্যাটরিনা, মল্লিকা, বিপাশারা অপেক্ষায় থাকে ভাড়াটে প্রেমিকদের জন্য। ঘণ্টা চুক্তিতে চলে তাদের প্রেম। ৫০ টাকায় গল্প করা, ১০০ টাকায় হাত ধরা ও চুমুতে ২০০ টাকা ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। টাকার পরিমাণ বাড়লে মিলবে অন্তরঙ্গ হওয়ার সুযোগও।

এ প্রেমের ‘বাজার’ রাজধানীর পার্ক, সিনেমা হল ও বিনোদন কেন্দ্র ঘিরে। ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায় মিলে সিনেমা হলের আড়াই ঘণ্টার প্রেম। এ সময়ের মধ্যে প্রেমিকার সঙ্গে বলা যাবে যে কোনো কথা; প্রেমিকা উত্তর দিতেও বাধ্য। বিছানায় যাওয়া ছাড়া যে কোনো আবদার মেটাবে ওই তরুণী।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এটা ভ্রাম্যমাণ পতিতাদের রোজগারের নতুন কৌশল। এদের ভাড়াটে প্রেমিকা বলা হয়। তবে, পতিতাদের সবাই ভাড়াটে প্রেমিকা হতে পারেন না। এর জন্য ফর্সা গায়ের রঙ, বয়স কম (ত্রিশের মধ্যে) ও ছিমছাম শরীরের অধিকারী হতে হয়।

রাজধানীতে বাস করা বিভিন্ন পেশায় জড়িত ব্যাচেলররা এসব প্রেমিকাদের ভাড়া করে থাকেন। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু তরুণও ভাড়াটে প্রেমিকাদের নিয়ে পার্ক-বিনোদন কেন্দ্রে ঘুরেন। তবে ভাড়াটে প্রেমিকাদের সিনেমা হলের সামনেই বেশি দেখা যায়। ভাড়াকারীরা এদের সঙ্গে বসিয়ে সিনেমা দেখেন, জড়িয়ে ধরেন, চুমু খান, কথা বলা ও খুনসুটি পর্যাযের সবই করেন। পাশে বসা তরুণীর তাতে দ্বিমত নেই। কারণ এটাই তার কাজ। এ কাজেই জন্যই তিনি টাকা নেন।

বিস্ময়ের ব্যাপার, রাজধানীতে পড়াশোনা করতে আসা দরিদ্র পরিবারের কিছু তরুণী অর্থের অভাবে পার্টটাইম হিসেবে এ কাজ করছেন। এমনই এক দরিদ্র পরিবারের মেয়ে বন্যা (ছদ্মনাম ব্যবহার হলো) সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। তিনি বেশ সুন্দরী, রাজধানীর একটি কলেজে স্নাতক তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তার ভাষ্য, ভাই আমার নামটা প্রকাশ করবেন না। আমি খুবই দরিদ্র পরিবারের মেয়ে। আমার এক বান্ধবী এ কাজ ধরিয়ে দিয়েছে। বছরখানেক ধরে করছি, আমি পেশাদার না। শুধু টাকার জন্য এখানে আসি। এখনো কারো কাছে সতীত্ব হারায়নি। মাসে দশ-বারো দিন এ কাজ করি, সেটা দিয়েই আমার পুরো মাসের সব খরচ চলে জানালেন, তিনিই একা নন, তার মতো এ কাজে কয়েকজন শিক্ষার্থী রয়েছেন। তিনি তাদের অনেককে চেনেনও।

রাজধানীর যে সিনেমা হলগুলোর সামনে ভাড়াটে প্রেমিকাদের বেশি দেখা যায়, তার মধ্যে টিকাটুলির অভিসার সিনেমা হল অন্যতম। অভিসারের কাছেই মধুমিতা সিনেমা হল, সেখানেও একই অবস্থা। অভিসার সিনেমা হলের সামনে প্রায় সর্বক্ষণ থাকেন ভ্রাম্যমাণ কোনো না কোনো পতিতা। পতিতা হলেও এদের কাজ অন্যসব পতিতাদের চেয়ে আলাদা। সিনেমা হলের ভেতর পুরুষদের প্রেমিকার মতো সময় দেবে- এমন চুক্তিতে আড়াই ঘণ্টার প্রেম নিবেদনে প্রেমিক হিসেবে খদ্দেরকে গুনতে হবে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা। ভ্রাম্যমাণ এসব প্রেমিকার সঙ্গে ছবি দেখার আগ্রহ কম নয়- এমনটা দেখা গেল শুক্রবার বিকেলে অভিসার হলের সামনে। খদ্দের হিসেবে যারা ঢুকেন, তাদের বেশিরভাগই নিম্ন-আয়ের শ্রেণি-পেশার মানুষ। যুবক শ্রেণি বেশি।

টিকাটুলি মোড় থেকে অভিসার যেতেই হাতের ডানে একটি ফুলের দোকান। দোকান ছাড়িয়ে সামনে এগোতেই দেখা মেলে হেব্বি সাজের চার থেকে পাঁচ সদস্যের মেয়ে দল। এদের সবাই ভ্রাম্যমাণ পতিতার মতোই। কিন্তু সিনেমা হলে আড়াই ঘণ্টার প্রেম দেয়ার শর্তেই তারা দাম হাঁকাচ্ছে। আড়াই ঘণ্টার দর-দাম করে সবশেষ ৪০০ হলেই রাজি হবে এ প্রেমিকারা।

উঠতি বয়সের এক যুবককে রাস্তার পাশে দাঁড়ানো মেয়েদের আশপাশে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গেল। কিছু সময় পর দেখা গেল- দুজনে সিনেমা হলের দিকে যাচ্ছে, ছেলেটি টিকিট সংগ্রহ করে মেয়েকে নিয়ে হলের ভেতরে ঢুকলো। এমনই আরেক মেয়ের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়- তার নাম স্বর্ণা, গ্রামের বাড়ি খুলনা। ছোট বেলায় বাবার দ্বিতীয় বিয়ের কারণে মায়ের কাছে খুব কষ্টে বড় হয়েছেন। বছর সাতেক আগে পরিচিত গ্রামের এক বড় বোনের সঙ্গে ঢাকায় আসে সে।

সিনেমা দেখায় ওই যুবককে সময় দেবে বলে হলে ঢুকেছে স্বর্ণা। আর বাইরে স্বর্ণার অপেক্ষায় প্রতিবেদক। যুবকের পাশে বসে সিনেমা দেখা শেষে বের হন তরুণী। প্রতিবেদককে তিনি বলেন, ঢাকা এসে প্রথমে গার্মেন্টসে কাজ করি। কিন্তু কাজটি অনেক কষ্টের হওয়ায় চাকরি ছেড়ে দিই। পরে এক মেয়ের সঙ্গে এ কাজ শুরু করি।

স্বর্ণা বলেন, ‘আমরা সবাই দুঃখকে ‘জয়’ করতে এ পথের পথিক। আমি আজ এসেই একটা কাজ করেছি। একটু আগে যে মেয়েটি গেল তার নাম অনামিকা। সে ৫০০ টাকা চুক্তিতে গেছে। সেও আমার মতো ছয়-সাত বছর থেকে এ পেশায়।

স্বর্ণা বলেন, এখানে পনেরো-বিশ জনের মতো আছি। সবার নাম তো বলা যাবে না। তবে আমার জানা মতে শিল্পী, সাথী, অনামিকা, স্মৃতি, হাসনা ছাড়াও রয়েছে বিশ জনের মতো। কথা হয় শিল্পীর সঙ্গেও। তিনি বলেন, ‘আমি হল ছাড়াও খদ্দেরের বাসায় যাই। সে ক্ষেত্রে বিল একটু বেশি। অনেকে সিনেমা হলে ভালো লাগলে বাসায় নিয়ে যায় আলাদা চুক্তিতে।’

যাত্রাবাড়ীর বিবির বাগিচা থেকে ছয়টার শো সিনেমা দেখতে আসা এক দর্শনার্থী বলেন, এরা চুক্তিতে সব করে। হলের ভেতর শুধু জড়িয়ে ধরে ছবি দেখা যায়, আবার পরে কোথাও নিতে চাইলে বেশি দাম হাঁকায়, অনেকটা চুক্তির মাঝে ভিন্ন ফাঁদ। তবে ঝামেলা করে না। হলের ভেতর ‘অন্য কিছু’ করা বা কাউকে হেনস্থা করা হল মালিকদের নিষেধ। তাই অন্য ঝামেলায় কম পড়তে হয়।

অভিসার সিনেমা হলের সিট মিস্ত্রি মোস্তফা  বলেন, কোনো ভেজাল মেয়ে হলে ঢুকতে পারে না। আবার ঢুকলেও মানুষের ব্যাপার, আমরা টিকিট ছাড়া কাউকে ঢুকতে দিই না।

এ এলাকায় দায়িত্বরত এএসআই মমিনুর  বলেন, আমরা এদের দেখলেই ধাওয়া করি। এরা পুলিশের ভয়ে পালিয়ে যায়। আবার সুযোগ পেলেই আসে। ওসি স্যারের নির্দেশ- এসব মেয়ে যাতে এখানে দাঁড়াতে না পারে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
উড়ন্ত বিমানে যৌন কর্ম করে ধরা পড়লেন পাইলট

পুরো যাত্রীবাহী বিমান নিয়ে পাইলট যখন আকাশে ছুটে চলছে, তখনকি কল্পনা করা যায় এইরকম একজন দায়িত্বশীল পাইলটই ওই মুহূর্তে কোন অসামাজিক কাজে লিপ্ত আছেন? সম্প্রতি জার্মানির বেশ পরিচিত ‘কন্ডার এয়ারলাইন্স’ এর এক পাইলট উড়ন্ত বিমানে আরেক সহকর্মীর সাথে অসামাজিক যৌনমিলন করেন। বিমানের সেই পাইলট তাদের সেই চরম উত্তেজনা মূলক সেক্স ভিডিওটি ঐ এয়ারলাইন্সের বাকি সহকর্মীদেরও বেশ আগ্রহ সহকারে দেখান।

একপর্যায়ে তাদের এই যৌনমিলনের ভিডিওটি এয়ারলাইন্সের কর্তৃপক্ষের কাছেও চলে যায়। এর পর জার্মানির কন্ডার এয়ারলাইন্সের কর্তৃপক্ষ কঠিন সিদ্ধান্ত নেন, আর যদি তাদের এয়ারলাইন্সের কাউকে এভাবে বিমানের ভেতর কোনো অসামাজিক কর্মকাণ্ড করতে দেখেন তাহলে আইন অনুযায়ী তাকে দু বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হবে। জার্মানির কন্ডার এয়ারলাইন্সটি ১৯৫৬ সালে নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে এই এয়ারলাইন্সের বিমান, ইউরোপ, আমেরিকা এবং এশিয়া সহ বিশ্বের মোট ৮০টি দেশে ফ্লাই করে।

সূত্র: দ্য সান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রিয়া সেনের যৌন হেনস্থার শিকার অভিনেতা!

বিয়ের আগে যতটা না লাইমলাইটে ছিলেন, বিয়ের পর ততই আলোচিত হচ্ছেন রিয়া সেন। এর প্রধান কারণ ‘রাগিণী এমএমমএস রিটার্নস’ নামের ওয়েব সিরিজ। এতে অসংখ্য যৌন দৃশ্যে অভিনয় করেছেন তিনি। কিন্তু এতে অভিনয় করতে গিয়ে নাকি অভিনেতাকে যৌন হেনস্তা করেছেন রিয়া!

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রাগিণী এমএমএস রিটার্নসের যে দৃশ্য নিয়ে আলোচনা হচ্ছে সেটা নিয়ে মুখ খোলেন নিশান্ত মালকানি। তিনি জানান, ওই দৃশ্যের শুটিং-এর আগে রিয়া এসে তাকে বলেন, তার উচিৎ প্যান্টটা নিচে নামিয়ে দেওয়া, যাতে অভিনেতার পশ্চাৎদেশ দেখা যায়। তাতে নাকি মেয়েরা বেশি আকৃষ্ট হবে। ঠিক যেমন জন আব্রাহাম করেছিলেন ‘দোস্তানা’ ছবিতে। তবে রিয়ার ওই কথাটি নেহাত মজা বলেই উড়িয়ে দেন নিশান্ত। কিন্তু হঠাৎ রিয়া একরকম জোর করেই তার প্যান্ট টেনে নামিয়ে দেন। চমকে যান নিশান্ত। রিয়ার এই আচরণ সত্যিই তাকে অবাক করে দেয়।

শুটিং সেটে কোনো অভিনেত্রী কোনো অভিনেতার সঙ্গে এমনটা করছেন, এমন কথা আগে শোনা যায়নি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘জাতীয় সংসদ কোটিপতিদের ক্লাবে পরিণত হয়েছে’

জাতীয় সংসদ কোটিপতিদের ক্লাবে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার। এছাড়া নির্বাচনকালীন প্রশাসন ও আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী তথা সরকার নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন না করলে এবং কমিশনকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা না দিলে, সবচেয়ে শক্তিশালী ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পক্ষেও সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা প্রায় অসম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন সুজন নেতারা।

শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজন-এর উদ্যোগে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সুস্পষ্ট করণীয় শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে সুজন নেতারা এ মন্তব্য করেন।

সুজন সভাপতি এম হাফিজ উদ্দিন খানের সভাপতিত্বে ও সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ গোলটেবিল বৈঠকে আলোচনায় অংশ নেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম. সাখাওয়াত হোসেন, সুজন নির্বাহী সদস্য সৈয়দ আবুল মকসুদ, আলী ইমাম মজুমদার, ইঞ্জিনিয়ার মুসবাহ আলীম ও আক্কাস হোসেন, সহ-সম্পাদক জাকির হোসেন, আবুল হাসান চৌধুরী, বিশ্বাস লুৎফর রহমান, মুহাম্মদ আব্দুল ওদুদ, সাইফুদ্দিন আহমেদ প্রমুখ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সুজন কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপকুমার সরকার।

মূল প্রবন্ধে দিলীপকুমার সরকার বলেন, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী, অর্থাৎ সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ৯০ দিনের মধ্যে অর্থাৎ ২৮ জানুয়ারি ২০১৯-এর মধ্যে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। আর সংবিধানের ১১৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, এ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। তবে নির্বাচন মানেই সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। শুধু তাই নয়, নির্বাচন বলতে প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচনও। তাই প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন নিশ্চিত করার দায়িত্বও নির্বাচন কমিশনের এবং এ লক্ষ্যে কমিশনকে সব প্রতিযোগীর জন্য সমান সুযোগ বা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড সৃষ্টির উদ্যোগ নিতে হবে।

তিনি বলেন, নির্ভুল ভোটার তালিকা সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের প্রধানতম পূর্বশর্ত। আর এই ভোটার তালিকা প্রণয়ন নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক দায়িত্ব। আমরা দেখছি, ২০০৮-এর পরে ভোটার তালিকায় হালনাগাদ প্রক্রিয়ায় অপেক্ষাকৃত কমসংখ্যক নারী  অন্তর্ভুক্ত হতে থাকে, যার ফলে জেন্ডার-গ্যাপ নারীর জন্য ক্রমাগতভাবে প্রতিকূল হয়ে পড়ে। যেমন, ২০১৫-১৬ সালের তথ্যানুযায়ী পুরুষের তুলনায় ২৬ শতাংশ কম নারী ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হন। ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ ও তালিকাভুক্তির কথা থাকলেও, সাম্প্রতিক অতীতে তথ্য সংগ্রহকারীরা বাড়ি বাড়ি যাননি বলে অভিযোগ উঠেছে। এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, ত্রুটিপূর্ণ ভোটার তালিকা দিয়ে নির্বাচন হলে তা প্রশ্নবিদ্ধ হতে বাধ্য।

তিনি আরো বলেন, নির্বাচনী এলাকার সীমানা পুনঃনির্ধারণ নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক দায়িত্ব। কয়েকটি সুস্পষ্ট মানদণ্ডের ভিত্তিতে তা করা হয়, যার একটি হলো সংসদীয় আসনগুলোতে জনসংখ্যায় যতদূর সম্ভব সমতা আনা। তবে গণমাধ্যমের প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে আমরা জানতে পেরেছি, নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণের জন্য একটি আইনের খসড়া প্রস্তুত করেছে। এই আইনটি  বাস্তবায়িত হলে বিদ্যমান সীমানাতেই অর্থাৎ ২০১৩ সালের নির্ধারিত সীমানার ভিত্তিতেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দুর্ভাগ্যবশত ২০১৩ সালের পুনঃনির্ধারিত সীমানা নিয়ে অনেক গুরুতর অভিযোগ ও সমস্যা রয়েছে। তাই ২০১৩ সালের নির্ধারিত সীমানার ভিত্তিতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে তা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হতে বাধ্য।

ভোটারদের তথ্যভিত্তিক ক্ষমতায়ন সম্পর্কে তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী, জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ বিভিন্ন স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের আইনে হলফনামার বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হলেও, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ক্ষেত্রে তা বাদ রাখা হয়েছে। আমরা মনে করি, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও প্রার্থী কর্তৃক হলফনামা দেয়ার বিধান যুক্ত হওয়া উচিত। হলফনামার বিধানটি সবচেয়ে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে, যদি নির্বাচন কমিশন এগুলোর সঠিকতা যাচাইয়ের উদ্যোগ নেয়; এবং সে ক্ষমতা কমিশনের রয়েছে। নির্বাচন কমিশন হলফনামার তথ্য খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিলে অনেক বসন্তের কোকিল ও অবাঞ্ছিত ব্যক্তিকেই নির্বাচনী অঙ্গন থেকে দূরে রাখা যাবে। তাই আমরা মনে করি, হলফনামায় প্রদত্ত তথ্য কঠোরভাবে  যাচাই-বাছাই করা আবশ্যক। এছাড়া হলফনামার ছকটিও অসম্পূর্ণ এবং এতে গুরুতর সীমাবদ্ধতা রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

নির্বাচনী ব্যয় হ্রাস ও নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে দিলীপ কুমার সরকার বলেন, নির্বাচনী ব্যয়ের বৈধ সীমা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। বিগত কমিশন এ ব্যয়সীমা ১৫ লাখ থেকে ২৫ লাখ টাকা করেছে। এর ফলে সাধারণ নাগরিকদের ভোটাধিকার থাকলেও তারা প্রতিনিধি হওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাই কমিশনকে নির্বাচনী ব্যয়ের লাগাম টেনে ধরতে হবে এবং একইসঙ্গে নির্বাচনী ব্যয়ের বৈধ সীমা কমাতে হবে।

পরিশেষে তিনি বলেন, এটি সুস্পষ্ট যে, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য নির্বাচন কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ করণীয় রয়েছে। তবে নির্বাচনকালীন প্রশাসন ও আইনশৃংলা রক্ষাকারী বাহিনী তথা সরকার নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন না করলে এবং কমিশনকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা না দিলে, সবচেয়ে শক্তিশালী ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পক্ষেও সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা প্রায় অসম্ভব।

এম হাফিজ উদ্দিন খান বলেন, নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেই হবে না, নির্বাচন হতে হবে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য এবং নির্বাচনে সব নাগরিকের ভোটাধিকারও থাকতে হবে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সবার করণীয় রয়েছে, সবচেয়ে বেশি ভূমিকা নির্বাচন কমিশনের।

তিনি আরো বলেন, বর্তমানে সাংবিধানিক বিধান অনুযায়ী সংসদের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যেই পরবর্তী মেয়াদের জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং তা বর্তমান সংসদ বহাল রেখেই। এই বিধান বহাল রেখেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে লেভেল প্লেইং ফিল্ড বা সবার জন্য সুযোগের সমতা নিশ্চিত করা দুরূহ হবে। আর সেক্ষেত্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠান হবে সুদূরপরাহত।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিবর্তন, প্রশাসনের রাজনীতিকরণ, নির্বাচন কমিশন গঠন, নিরাপত্তা ইস্যুতে যতদিন পরিবর্তন না আসবে ততদিন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন প্রায় অসম্ভব। কেননা আমাদের বাজেটের ৭৫ শতাংশ ব্যয় হয় নিরাপত্তা খাতে। ২০১৪ সালে যে নির্বাচন হয় সেখানে ১৫৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিল, সেই নির্বাচনেও নিরাপত্তা খাতে ৩৩০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে, যা সত্যিই অবিশ্বাস্য।

ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নির্বাচনী ব্যয়ের বৈধসীমা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। বিগত কমিশন এ ব্যয়সীমা ১৫ লাখ থেকে ২৫ লাখ টাকা করেছে। ফলে সাধারণ নাগরিকদের ভোটাধিকার থাকলেও প্রতিনিধি হওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আর জাতীয় সংসদ পরিণত হয়েছে কোটিপতিদের ক্লাবে। বস্তুত আমাদের বর্তমান ব্যবস্থা হয়ে পড়েছে বেস্ট ডেমোক্রেসি মানি ক্যান বাই। তাই কমিশনকে নির্বাচনী ব্যয়ের লাগাম টেনে ধরতে হবে এবং একইসঙ্গে নির্বাচনী ব্যয়ের বৈধসীমা কমাতে হবে।

তিনি আরো বলেন, নির্ভুল ভোটার তালিকা সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের প্রধানতম পূর্বশর্ত। আর এজন্য প্রয়োজন ভোটার সংখ্যার মধ্যে যতদূর সম্ভব সমতা আনা। ২০০৮ ও ২০১৩ সালের মধ্যে ভোটার সংখ্যার পার্থক্য বেড়ে গেছে। সুতরাং বিদ্যমান ভোটার তালিকা অনুযায়ী নির্বাচন হলে তা প্রশ্নবিদ্ধ হতে বাধ্য।

সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, সবার অংশগ্রহণে সংসদ নির্বাচন আয়োজনে কমিশনকে কী কী চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হবে, তা তাদেরই অনুধাবন করতে হবে এবং সবাইকে তা জানাতে হবে। নাগরিক সমাজ, গণমাধ্যম ও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের উচিত জেলা প্রশাসক ও পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে সংলাপ করা।

আলী ইমাম মজুমদার বলেন, আমরা দেখছি, নির্বাচনী ব্যয়ের রিটার্ন নির্বাচন কমিশন যাচাই-বাছাই করে না, কিন্তু তারা যদি এটি যাচাই-বাছাই নাই করবে, তাহলে তারা এটি জমা নেয় কেন?

তিনি ভারতের নির্বাচন কমিশনের জনবলের সঙ্গে তুলনা করে বলেন, আমাদের নির্বাচন কমিশনের জনবল প্রায় সাত হাজার ছাড়িয়ে গেছে, তাহলে নির্বাচনী কর্মকর্তারা কেন হলফনামা বা ব্যয়ের রিটার্ন যাচাই-বাছাই করতে পারবে না, তা আমার বোধগম্য নয়।

নির্বাচন কমিশন এ ব্যাপারে নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যমের সহযোগিতার প্রয়োজন মনে করে তা তারা চাইতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আবুল হাসান চৌধুরী বলেন, গণতন্ত্র মানে শুধু সরকার ও বিরোধী দল নয়। গণতন্ত্রের প্রতি সবার আনুগত্য ও মমত্ববোধ থাকতে হবে। আমরা একটি সত্যিকারের নির্বাচন চাই। তিনি নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে সোশ্যাল কন্ট্রাক্ট-এ যাওয়া যায় কি না- সে ব্যাপারে সুজন-এর প্রতি আহ্বান জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest