সর্বশেষ সংবাদ-
দেবহাটা উপজেলা জামায়াতের সুধী সমাবেশপ্রাণসায়ের খাল বাঁচাতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন ও সমাবেশদিনে ভোট, রাতে নয় আমার ভোট আমি দেব : আফরোজা আব্বাস অন্যায় কাজে কাউকে প্ররোচিত করবো না, উন্নয়নই হবে মূল লক্ষ্য : সাবেক এমপি হাবিবশোভনালীতে মানব পাচার প্রতিরোধ ও নিরাপদ অভিবাসন ডেস্ক উদ্বোধনআশাশুনির গোয়ালডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানববন্ধনজবাবদিহিতা ও মানবাধিকার সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে গোলটেবিল সভাতালায় টিআরএম কার্যক্রমের বকেয়া ক্ষতিপূরণের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলনপুজামণ্ডপে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে ব্যবস্থা: সাতক্ষীরার পুলিশ সুপারজলবায়ু পরিবর্তনে মানবাধিকার নিশ্চিতকরণে শ্যামনগরে এনগেজ প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা

আশাশুনিতে চলছে ডিজিটাল হোল্ডিং নাম্বার প্লেট বাণিজ্য

আশাশুনি ব্যুরো: আশাশুনি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে হোল্ডিং ট্যাক্স এ্যাসেসমেন্ট ও ডিজিটাল হোল্ডিং নাম্বার প্লেট স্থাপনের নামে লক্ষ্য লক্ষ্য টাকা বাণিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর প্রতিকার প্রার্থনা করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ করা হয়েছে।
স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ২৬/০১/২০১২ খ্রিঃ কার্যাদেশ পত্রের আলোকে উপজেলার সকল ইউনিয়নে প্রতিটি বাড়ির আর্থ সামাজিক অবস্থান জরিপ নিজস্ব ওয়েব সাইটে অন্তর্ভূক্ত করতে হোর্ল্ডি ট্যাক্স এসেসমেন্ট কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। তখন প্রত্যেক বাড়িতে একটি করে টিনের হোর্ল্ডিং নম্বর লিখিত নাম্বার প্লেট প্রদান করা হয়। এরজন্য খরচও নেওয়া হয়। যার কোর কার্যকারিতা মানুষের অজানা রয়েগেছে।
বর্তমান স্মারক নং ৭৩/১৭, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের স্মারক নং ০৫.৪৪.৮৭.০৪.০০১.০৭.০১৩.১৬.৭১২ তাং ০১/০৬/১৭ মোতাবেক গ্রীনল্যান্ড বাংলাদেশ প্রকল্প পূর্বের হোল্ডিং প্লেট এর পরিবর্তে ট্যাক্স আদায়ের পাশাপাশি হোল্ডিং এ্যাসেসমেন্ট ও নাম্বার প্লেট স্থাপনের টাকা আদায় করছে। নাম্বার প্লেটের মূল্য ও কার্যনির্বাহী ফি বাবদ প্রত্যেক হোল্ডিং মালিকের নিকট থেকে ১১০ টাকা (ভিআইপি প্লেটের মূল্য বাবদ ২১০ টাকা) করে আদায় করছে। এতে প্রতিষ্ঠানটি কোটি কোটি টাকা আদায় করছে। এব্যাপারে প্রতিকার প্রার্থনা করে খরিয়াটি গ্রামের আশেক গাজীর পুত্র আওছাফুর রহমান উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আদেবন করেছেন।

 

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পৌর তাঁতীলীগের আহবায়ক আহবায়ক সাদিয়া, যুগ্ম আহবায়ক ফিরোজ

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : সাতক্ষীরা পৌর তাঁতীলীগের আহবায়ক কমিটির গঠন করা হয়েছে। জেলা তাঁতীলীগের সভাপতি মীর আজাহার আলী ও সাধারণ সম্পাদক শেখ তৌহিদ হাসান যৌথ স্বাক্ষরিত এক পত্রে এ কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। কমিটির নেতৃবৃন্দ হলেন, আহবায়ক নুরজাহান সাদিয়া, যুগ্ম আহবায়ক শেখ ফিরোজ হোসেন, সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন সুজন, সদস্য যথাক্রমে সাংবাদিক মাসুদ আলী,আছাদ হোসেন (রতœা), মোঃ ইদ্রিস আলী, মোঃ হেলাল হোসেন, মোঃ আহম্মাদ আলী, মোছাঃ চম্পা ইয়াসমিন। উক্ত কমিটি আগামী ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পৌর শাখার ৯টি ওয়ার্ড ও আঞ্চলিক কমিটি গঠন করবে এবং উক্ত কমিটি আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বহাল থাকবে বলে উক্ত পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মিঠু খান সম্পর্কিত সংবাদে ভোমরা সিএন্ডএফ’এর বক্তব্য

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : গত ২৮ সেপ্টেম্বর তারিখে সাতক্ষীরা জেলা থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন পত্রিকার সংবাদে ভোমরা কাস্টমস সি এন্ড এফ এজেন্ট্স এসোসিয়েশনের সাবেক আহবায়ক নাসিম ফারুক খান (মিঠু) সম্পর্কে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তাহা ভোমরা কাস্টমস্ সি এন্ড এফ এজেন্ট্স এসোসিয়েশনের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। উক্ত সংবাদে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সাতক্ষীরা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি এর কয়েকজন সম্মানিত পরিচালক ভোমরা কাস্টমস্ সি এন্ড এফ এজেন্ট্স এসোসিয়েশনের সাবেক আহবায়ক নাসিম ফারুক খান (মিঠু)’র নিকট ভোমরা কাস্টমস্ সিএন্ডএফ এজেন্ট্স এসোসিয়েশনের অর্থ ধার ও তা পরিশোধ না করা এবং ফরমালিন মেশিন ক্রয় সম্বন্ধে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে।
উল্লেখ্য, ভোমরা কাস্টমস্ সি এন্ড এফ এজেন্ট্স এসোসিয়েশন সম্পূর্ণ সরকারি রেজিস্ট্রেশনভূক্ত একটি স্বাধীন সংগঠন। কিন্তু দুঃখের বিষয় জানাচ্ছি যে, সাবেক আহবায়ক সম্পর্কে যে চিঠি প্রদর্শন করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ সংগঠনের পরিপন্থী কার্যক্রম। এহেন কার্যক্রমের জন্য ভোমরা কাস্টমস্ সি এন্ড এফ এজেন্ট্স এসোসিয়েশনের সম্মানিত সভাপতি কাজী নওশাদ দিলওয়ার (রাজু) ও সাধারণ সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান নাসিমসহ সকল কর্মকর্তাবৃন্দ তা সবিনয়ে প্রত্যাখ্যান করিয়াছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জেলা পরিষদের বে-দখলি সম্পত্তি উদ্ধার

দেবহাটা ব্যুরো : দেবহাটায় জেলা পরিষদের ১০ বছরের বেশি সময়ের বে-দখলকৃত সম্পত্তি উদ্ধার করে রাজস্ব আদায়ের লক্ষে ইজারা প্রদান করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় জেলা পরিষদের কয়েকজন সদস্য ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের উপস্থিতিতে গাজীরহাট যাত্রী ছাউনির পার্শবর্তী জেলা পরিষদের একটি দোকানঘর উদ্ধার শেষে হস্তান্তর করা হয়। একই সাথে অবৈধ্য ভাবে যাত্রী ছাউনি দখল উচ্ছেদ করা হয়। জানাগেছে, নওয়াপাড়া ইউনিয়নের সাবুর আলী নামের এক ব্যক্তি দীর্ঘ ১০ বছরের বেশি সময় ভোগ-দখল করে আসছিল। কিন্তু তিনি কোন সরকারি রাজস্ব প্রদান না করায় পরবর্তীতে ইজারার মাধ্যমে হস্তান্তর করেছে জেলা পরিষদ। আর এই দোকানঘর সরকারি রাজস্ব বাবদ বার্ষিক ১ হাজার ৮ টাকা প্রদান করতে হবে।
দখলমুক্ত ও হস্তান্তরকালে জেলা পরিষদের সংরক্ষিত সদস্য এড. শাহানাজ পারভীন মিলি ও মাহফুজা রুবী, ৬নং ওয়ার্ড সদস্য আল-ফেরদাউস আলফা, ১৫নং ওয়ার্ড সদস্য সাংবাদিক মীর জাকির হোসেনসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আলিপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধে দুপক্ষের সংঘর্ষ

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরায় জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দুগ্রুপের সংঘর্ষে ২ জন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে আলিপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ বুলারআটি গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে আহতরা হলেন, আলিপুর বুলারআটি গ্রামের মৃত এজহার আলী মল্লিকের ছেলে শহিদুল ইসলাম, তকিম গাইনের ছেলে ইমাদুল ইসলাম। বর্তমানে তাদেরকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, গত ইংরেজি ২৫ জুলাই ২০১৪ সালে দেবহাটার বহেরা মৌজায় এসএ ৯৭৯ খতিয়ানে, ডিপি ১০৭, ১৩৪৪ দাগে ১৮শতক জমি ক্রয় করার শর্তেও আসামিরা জমিটি জোরপূর্বক দখলসহ বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করতে থাকে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে মিমাংশা হলেও তারা তা না মেনে জীবননাশসহ বিভিন্ন হুমকি ধামকি দিতে থাকে। এ বিষয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছিল। ডায়েরী নং- ৯৯৬/২৫.৭.২০১৪।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার আলিপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ বুলারআটি গ্রামের জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে দুগ্রুপের দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলছিল। বিজ্ঞ আদালতেও এ ব্যাপারে একটি মামলা চলছিল। আদালত সম্প্রতি জমির মূল মালিক ইদ্রিস আলীর পক্ষে রায় ঘোষণা করে। ইদ্রিস আলীর নিকট থেকে মো. এবাদুল্লাহ আল ফারুক ৯শতক জমি ক্রয় করেন। কিন্তু ২য় পক্ষ এ রায় না মেনে জোর পূর্বক জমি দখলের পায়তারা চালাচ্ছে এবং বিভিন্ন ভাবে চাঁদা দাবী ও জীবননাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।
এব্যাপারে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বড়দল ইউপির বেদখলীয় জায়গা দখলে পিলার স্থাপন

বড়দল (আশাশুনি) প্রতিনিধি : আশাশুনি উপজেলার ৫নং বড়দল ইউনিয়নের গোয়ালডাঙ্গা বাজারে ইউনিয়ন পরিষদের নামীয় দীর্ঘ দিনের বেদখলীয় জায়গা পরিষদ কর্তৃক দখলের লক্ষ্যে সার্ভে কার্যক্রম শেষে সীমানা পিলার স্থাপন করা হয়েছে। গতকাল (শনিবার) সকাল ১১ টায় শুরু হয়ে দুপুর ২.৩০ টা পর্যন্ত উক্ত কার্যক্রম পরিচালিত হয়। সার্ভে কার্যক্রম চলাকালিন সময় উপস্থিত ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যন আঃ আলিম মোল্ল্যা, আশাশুনি উপজেলা সার্ভেয়ার শফিকুল ইসলাম, বড়দল ইউনিয়ন ভূমি তহসিলদার রঞ্জিত কুমার মন্ডল, ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি সুরঞ্জন ঢালী, মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার আবুল হোসেন গাইন, গোয়ালডাঙ্গা বাজার কমিটির সভাপতি আঃ হান্নান, ইউপি সদস্য আঃ কাদের, মফিজুল ইসলাম, আঃ রশিদ গাজী, নীলকন্ঠ গাইন, মাসুদ সানা, দেব্রত মন্ডল, দিলীপ সানা, যুবলীগ নেতা বি,এম আলাউদ্দীন, অলক কুমার সরকার, সাতক্ষীরা জেলা দফাদার কমিটির সভাপতি মোস্তাজুল সরদার, ইউনিয়নের সকল গ্রাম পুলিশ ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। উল্লেখ্য ২৯/০৯/১৯৬৪ সালে তদানিন্তন চেয়ারম্যান আশরাফ উদ্দীন সরদার (মকবুল), গোয়ালডাঙ্গা বাজারে ইউনিয়ন কমপ্লেক্স ভবন নির্মানের জন্য মৃত আমিন উদ্দীন গাজীর স্ত্রী আয়ফুল বিবির নিকট থেকে চাম্পাখালি মৌজাধিন (সাবেক ২১৯ নং) হাল ৪২৫ নং খতিয়ানে, (সাবেক ৭০/৭২১) হাল ৬৩৮ দাগে কোবলা রেজিঃ করে ১০ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। কিন্তু দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ার পর, এখান থেকে ৭/৮ বছর পূর্বে আয়ফুল বিবির দ্বিতীয় পুত্র খানজাহান আলী ও তার বোন মর্জিনা খাতুন কৌশলে মোটা অর্থের বিনিময়ে ছামাদ সরদার, হারুন সরদার ও মিজানুর সরদার এর নিকট পজেশন হস্তান্তর করে এবং সেখানে তারা দোকান ঘর নির্মাণ করে ব্যবসা চালিয়ে আসছে। কিন্তু রহস্য জনক কারনে ইতি পূর্বের চেয়ারম্যান মহোদয়রা নিরব ছিলেন, এ নিয়ে তাদের কোন মাথাব্যাথা না থাকার কারণ সাধারন জনগনের বোধগম্য নয়। তবে বর্তমান চেয়ারম্যান আঃ আলিম মোল্যার দুরদর্শি মনভাব ও জোর তৎপরতায় গত ১১/০৮/২০১৬ প্রথম দফায় শালিশি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। শালিশি বৈঠকে বিবাদী গন সময় প্রার্থনা করেন। গত ১৮/০৮/২০১৬ দ্বিতীয় দফায় শালিশি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় এবং সেখানে বিবাদী গন উক্ত তফসীল বর্ণিত সম্পত্তী ইউনিয়ন পরিষদের নামে, বিষয়টি ইউনিয়ন পরিষদের প্যাডে লিখিত ভাবে স্বীকার করেন। এ বিষয়ে বিবাদী গনের কাছে জানতে চাওয়া হলে তারা কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। উল্লেখিত উক্ত তপশীল বর্ণিত সম্পত্তি মাঠ জরিপে ৪২৫ নং খতিয়ানে হাল দাগ ৬৩৮, দাখিলা ও চেক ২০১৭ সাল পর্যন্ত ইউনিয়ন পরিষদের নামে পরিশোধ করা বলে চেয়ারম্যান আঃ আলিম মোল্ল্যা জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বিচারকদের সম্পদের বিবরণী অবিলম্বে প্রকাশ করুন -মিজানুর রহমান খান

তথ্যটি আমাদের নজর এড়িয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আইন কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুর রশীদের লেখা পড়ে চোখ ছানাবড়া হলো। তিনি ৭ সেপ্টেম্বর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরে ষোড়শ সংশোধনীর ওপর একটি সমালোচনামূলক মূল্যবান নিবন্ধ লিখেছেন। ‘ষোড়শ সংশোধনী নিয়ে বিচারকরা রাজনৈতিক বিভেদে, আর সরকার পড়েছে চোরাবালিতে’ শীর্ষক নিবন্ধে তিনি রায়ের রিভিউ হওয়া কেন দরকার, তার সপক্ষে জোরালো যুক্তি তুলে ধরেছেন। আর সেটা বলতে গিয়ে তিনি বিচার বিভাগের দুর্নীতির ওপরও আলোকপাত করেছেন। এই লেখায় আমি শুধু দুর্নীতির বিষয়টির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতে চাই।

বিচারপতি আবদুর রশীদ তাঁর নিবন্ধের ১৩ নম্বর প্যারায় লিখেছেন, ‘বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দীকি সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের বাধাগুলোর কথা উল্লেখ করেছেন এবং বিচার বিভাগে দুর্নীতির অস্তিত্ব চিহ্নিত করেছেন। আর এমনকি সেটা এই মাত্রায় যে, ৯০ ভাগ মামলা ঘুষের মাধ্যমে নিষ্পত্তি ঘটে। অথচ সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল অদ্যাবধি দুর্নীতির বিরুদ্ধে একটি মামলাও দায়ের করতেও উদ্যোগী হয়নি।’

এখানে অবশ্য একটি তথ্যগত অসংগতি আছে। ৯০ শতাংশ মামলায় ঘুষের বিষয়টি নির্দিষ্টভাবে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে উল্লিখিত হয়নি। এটা ভিয়েতনামের অবস্থা। তবে কোনো প্রাসঙ্গিকতা না থাকলে রায়ে নিশ্চয়ই ভিয়েতনামের উদাহরণ আসত না।

বিচারপতি রশীদের ওই নিবন্ধ পড়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরের একজন ইংল্যান্ডপ্রবাসী পাঠক খুব বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। তিনি ৩৫ বছর ধরে ইল্যান্ডে থাকেন। এ কথা উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন, মিরর পত্রিকায় তিনি পড়েছিলেন যে কর ফাঁকি দিয়ে মদ আমদানির এক মামলায় একজন বিচারক বিচারপ্রার্থীর কাছ থেকে এক বোতল পুরোনো মদ নিয়েছিলেন। পত্রিকাটি তখন লিখেছিল যে সেখানে কোনো বিচারকের ঘুষ গ্রহণের কথা গত দেড় শ বছরে শোনা যায়নি।

প্রথমত, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দীকি বিচার বিভাগের দুর্নীতির প্রতি আলোকপাত করেছেন। বিচারকদের জবাবদিহি-সংক্রান্ত একটি মাইলফলক রায়ে দুর্নীতি নিয়ে আলোচনার প্রাসঙ্গিকতা আছে, সেটা এই পর্যবেক্ষণ দ্বারা সমর্থিত হয়েছে। আর এভাবে একজন কর্মরত ও একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারকের তরফে হয়তো উভয়ের উদ্বেগতাড়িত মনের প্রতিফলন ঘটেছে। আমাদের সঙ্গে সব বিবেকবান মানুষের প্রার্থনা হবে, ষোড়শ সংশোধনীর রায়ে ভিয়েতনামের যে চিত্র এসেছে, তেমন অবস্থা যেন কোনো দেশেরই না হয়।

রায়ের ৭৪৬ পৃষ্ঠায় বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দীকি লিখেছেন, ‘ইন্টারন্যাশনাল বার অ্যাসোসিয়েশন (আইবিএ) সম্প্রতি একটা উদ্বেগজনক তথ্য দিয়েছেন যে ভিয়েতনামে প্রায়শ ঘুষের বিনিময়ে রায় দেওয়া হয়। এটা অনুমেয় যে, শতকরা ৯০ ভাগ মামলা যা আদালত শুনে থাকেন তাতে ঘুষের ব্যাপার রয়েছে। এর সঙ্গে বিচারকেরা ও তাদের ক্লার্ক জড়িত। এবং যেসব মামলায় ঘুষের ব্যাপার থাকে না, বিচারকেরা প্রায়শ কোনো মনোযোগ দেন না এবং কোর্ট স্টাফরাও মামলাসংক্রান্ত কোনো তথ্য দিতে বা আইনজীবীদের নথি দেখতে দিতে অস্বীকৃতি জানান।’ এ বিষয়ে রায়ে এরপর লেখা হয়েছে, ‘রিপোর্ট ছাপা হয়েছে যে ভারতে বিচার বিভাগের দুর্নীতি ক্যানসারে পরিণত হয়েছে এবং তা নিচ থেকে শুরু হয়েছে। এখন ইঞ্চি ইঞ্চি করে ওপরে উঠছে। ২০১০ সালে সাবেক আইনমন্ত্রী শান্তি ভূষণ গত আটজন প্রধান বিচারপতি দুর্নীতিগ্রস্ত ছিলেন উল্লেখ করে আদালত অবমাননার দায়ে অভিযুক্ত হয়েছিলেন। ২০১৫ সালে বিচারপতি মারাকান্ডে কাটজু দাবি করেছিলেন উচ্চ আদালতের অর্ধেকটাই দুর্নীতিগ্রস্ত।’

এই মন্তব্যের পরে বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দীকি মিলিয়ন ডলার দামি প্রশ্নটি রাখেন: ‘কোশ্চেন ইজ, হোয়াট আওয়ার পজিশন?’

ভিয়েতনামে ৯০ শতাংশ মামলা ঘুষের বিনিময়ে নিষ্পত্তি হয়, ভারতের উচ্চ আদালতের অর্ধেকটা দুর্নীতিগ্রস্ত, তাহলে বাংলাদেশের অবস্থাটি কী? আমাদের স্মরণকালের ইতিহাসে কোনো রায়ে এই জ্বলন্ত এবং সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নটি সম্ভবত এই প্রথম তোলা হয়েছে।

ওই প্রশ্ন তোলার পরে বিচারপতি হাসান ফয়েজ লিখেছেন, ‘কী উপায়ে বিচারক অপসারণ করা হবে সেটি জনগণ বা বিচারপ্রার্থীর জন্য প্রাসঙ্গিক নয়। তাঁরা চান তাঁদের মামলা দ্রুত, নিরপেক্ষভাবে ও ন্যায্যতার সঙ্গে এবং কোনো ধরনের অবাঞ্ছিত প্রভাব ছাড়াই নিষ্পত্তি হবে। ঋজু এবং সৎ বিচারক কেবল বিচারপ্রার্থীদের চোখে বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি উন্নতির জন্যই নয়; বরং বিচারকদের মধ্যে সততা এবং সৎ গুণের সংস্কৃতি টিকিয়ে রাখতেও দরকারি।’

এই পর্যায়ে বিচারপতি যে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন, তা আমাদের ২০১০ সালে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের একটি খানা জরিপের ফলাফল প্রকাশের পরে সুপ্রিম কোর্টের প্রতিক্রিয়া স্মরণ করিয়ে দিয়েছে। টিআইবি বলেছিল, বিচার বিভাগ হলো ‘সব থেকে দুর্নীতিগ্রস্ত সার্ভিস সেক্টর’। সুপ্রিম কোর্ট ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুল ওয়াহাব মিয়ার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের কমিটি বলেছিল, এই জরিপ উপকারী নয়। টিআইবি বলেছিল, এটা দৃষ্টিভঙ্গিগত একটি বিষয়। তবে বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দীকি লিখেছেন, ‘বিচার বিভাগের প্রতি জনগণের মনোভাব কী, সেটা গুরুত্বপূর্ণ। সমগ্র বিচার বিভাগের বিশ্বাসযোগ্যতা অনেক সময় অল্পসংখ্যক বিচারকদের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।’

রায় প্রকাশের পরে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের প্রথম বৈঠকে তেমন ‘অল্পসংখ্যক’ বিচারকের বিষয়টির উল্লেখ আমরা দেখতে পাই। কিন্তু যা দেখতে ও জানতে আমরা অপেক্ষায় থাকি, তা হলো জিরো টলারেন্স নীতির বাস্তবায়ন।

বিচারপতি আবদুর রশীদ তাঁর নিবন্ধে একই সঙ্গে বিচারপতি এ টি এম আফজাল ও বিচারপতি লতিফুর রহমানের হতাশার কথা উল্লেখ করেছেন। তাঁর লেখায় আছে, ‘ওই দুই সাবেক প্রধান বিচারপতি মনে করেন, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে কিছুই করা যায় না। কোনো বিতর্কের ভীতি ব্যতিরেকে এখন এটা বলা এবং বোঝার সময় এসেছে যে বিচারকসহ কোনো সাংবিধানিক পদধারীর জবাবদিহি নিশ্চিত করতে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল ব্যর্থ হয়েছে।’

বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুর রশীদের ওই মন্তব্যের তাৎপর্য গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনার দাবি রাখে। তবে তার প্রেক্ষাপট ও সময়টা কখন কীভাবে, কী প্রক্রিয়ায় হবে, সেটা অগ্রাহ্য করা যাবে না। তবে ‘অল্পসংখ্যক’ যদি আদৌ থেকে থাকেন, তাহলে তাঁদের বিষয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া ব্যতিরেকে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল জনগণের মনে যথেষ্ট আস্থা অর্জন করতে পারবে বলে মনে হয় না।

সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল ১৯৭৭ সালে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হলেও তাঁরা সংবিধানে নির্দিষ্ট করা দুটি দায়িত্ব পালন করেননি। একটি কার্যকর আচরণবিধি তৈরি এবং তা পালন করতে বিচারকেরা যাতে বাধ্য হন, সেই পদক্ষেপ তাঁরা নেননি। পাকিস্তান সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের তৈরি করা আচরণবিধি ঈষৎ মাজাঘষা করে ১৯৭৭ সালে তারা সেটি গ্রহণ করলেও তা কখনো বিলি করা হয়নি। ২০০০ সালে বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো প্রধান বিচারপতি লতিফুর রহমানের সময় এতে একটা পরিবর্তন আনা হয় এবং তাতে বিধান করা হয় যে প্রধান বিচারপতি চাইলে বিচারকেরা তাঁদের সম্পদ ও দেনার বিবরণী প্রকাশ করবেন। এবারের রায়ের ১৬ দফায় তার অন্তর্ভুক্তি বহাল রয়েছে। সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক মাত্র একবার এটি অনুশীলন করেছিলেন। সেটা অবশ্যই প্রশংসনীয় ছিল। কিন্তু তা ছিল খণ্ডিত এবং ‘ডিজক্লজ’ বা প্রকাশ করার উদ্দেশ্য তাতে পূরণ হয়নি। আমরা পত্রিকান্তরে জেনেছিলাম, বিচারপতি খায়রুল হক ২০১০ সালের ৩০ ডিসেম্বর তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের কাছে তাঁর সম্পদের বিবরণী প্রকাশ করেছিলেন। এরপরে জানা গিয়েছিল, আপিল বিভাগের আরও চারজন তাঁকে অনুসরণ করেছিলেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমরা আজ থেকে সাত বছর আগের ওই পর্বটি সম্পর্কে ব্যক্তিগতভাবে চেষ্টা করেও বিস্তারিত জানতে পারিনি। সম্পদের বিবরণী প্রকাশ না করার বিষয়ে বিচারকদের মধ্যে ঐকমত্য সুপ্রতিষ্ঠিত, এর সপক্ষে আমাদের হাতে কোনো প্রমাণ নেই। তাঁরা তাঁদের সম্পদের বিবরণী প্রকাশে উদ্গ্রীব, তারও প্রমাণ আমরা পাই না।

আমরা আইনের এই ব্যাখ্যা মানতে রাজি নই যে ‘ডিজক্লজ’ মানে প্রধান বিচারপতির কাছে প্রকাশ করা এবং তা শুধুই প্রধান বিচারপতি বা রাষ্ট্রপতি জানবেন, তাহলে তো এর মূল উদ্দেশ্য অর্জিত হলো না। ধারণাটি হলো: ‘আ জাজ শ্যাল ডিজক্লজ হিজ অ্যাসেটস অ্যান্ড লায়াবিলিটিস, ইফ আসকড ফর, বাই দ্য চিফ জাস্টিস।’ এর মানে অবশ্যই এই নয় যে প্রধান বিচারপতি না চাইলে কোনো বিচারক তাঁর সম্পদের বিবরণী সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে দিতে পারবেন না।

ভারতের সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ভূরি ভূরি উদাহরণ আমাদের রায়গুলোতে দেখা যায়। কোনো একটিও উল্লেখযোগ্য রায় সম্ভবত এখনো লেখা হয়নি, যেখানে ভারতের উদাহরণ দেওয়া হয় না। কিন্তু সেই রায়ের লেখকেরা যে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে আদালতের ওয়েবসাইটে সম্পদের বিবরণী প্রকাশ করে চলছেন, সেই আদর্শ কেন আমাদের এখানে অনুসরণ করা হবে না। বিচারক বিচার দিতেই শুধু স্বাধীন তাই নন, তিনি তাঁর সম্পদের বিবরণী প্রকাশেও স্বাধীন। আমরা স্বপ্রণোদিতভাবে সেই স্বাধীনতার অনুশীলন দেখতে চাই।

বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দীকি প্রশ্ন রেখেছেন, কী সেই ফর্মুলা, যার দ্বারা বিচার বিভাগ আস্থা বাড়াতে পারে?

আমরা মনে করি, শুরুর জন্য সম্পদের বিবরণী প্রকাশ করা একটি অন্যতম উপায় হতে পারে। মন্ত্রীরা না দিলে বিচারকেরা দেবেন না, এই তর্ক ভেঙে ভারতীয় বিচারকেরা তাঁদের বিবরণী দিচ্ছেন। আমাদের মন্ত্রীদের একটি শিক্ষা দরকার। বিচারকেরা নিজেরা এটা দিলে, তাঁরা একটি পাঠ পেতে পারেন।

মিজানুর রহমান খান: সাংবাদিক

সূত্র : প্রথম আলো।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শেখ হাসিনাকে নোবেল দেয়ার প্রস্তাব

রোহিঙ্গা ইস্যুতে মানবিকতা এবং শান্তির অনন্য নজির স্থাপনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করার প্রস্তাব করেছেন বিশ্বের খ্যাতিমান চিন্তাবিদ এবং শিক্ষাবিদরা। প্রতি বছর অক্টোবর মাসে শান্তিতে অবদানের জন্য নোবেল শান্তি পুরস্কার ঘোষণা হয়। ১০ ডিসেম্বর নরওয়ের অসলোতে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুরস্কার প্রদান করা হয়। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির রাজনীতি এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধীনে পরিচালিত হয় ‘অক্সফোর্ড নেটওয়ার্ক অব পিস স্টাডিজ’, সংক্ষেপে এটাকে বলা হয় অক্সপিস।

অক্সপিসের দুজন শিক্ষাবিদ ড. লিজ কারমাইকেল এবং ড. অ্যান্ড্রু গোসলার মনে করেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী যেভাবে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছেন, তা সারা বিশ্বের জন্য এক অনুকরণীয় বার্তা। তাদের মতে, ইউরোপ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশগুলো যখন শরণার্থী নিয়ে নানা সমস্যায় জর্জরিত, তখন বাংলাদেশ দেখাল কীভাবে এই সমস্যার মোকাবেলা করতে হয়। তারা দুজনই শেখ হাসিনাকে ‘মানবিক বিশ্বের প্রধান নেতা’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।

কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পিস স্টাডিজ বিভাগের তিন অধ্যাপক যৌথভাবে শেখ হাসিনাকে বিশ্ব শান্তি দূত হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। ড. অলডো সিভিকো, ড. দীপালী মুখোপাধ্যায় এবং ড. জুডিথ ম্যাটলফ যৌথভাবে বলেছেন, ‘নোবেল শান্তিজয়ী অংসান সু চি আর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যক্রম পাশাপাশি মূল্যায়ন করলেই বোঝা যায় বিশ্ব শান্তি নেতা কে।’

তাদের মতে, ‘সুচি মানবতার চরম সীমা লঙ্ঘনকারী বার্মার সামরিক জান্তাদের রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো পৈশাচিকতাকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন। অন্যদিকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের অর্থনীতি এবং নিরাপত্তার চরম ঝুঁকি নিয়েও তাদের আশ্রয় দিচ্ছেন।’ তারা মনে করেন, ‘শেখ হাসিনা শান্তি নতুন বার্তা দিয়েছেন গোটা বিশ্বকে।’

হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের হাভার্ড ডিভাইনিটি স্কুলের ডিন ডেভিড এন হেম্পটন মনে করেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যুতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ শান্তির নতুন মাত্রা দিয়েছে। কেবল শান্তির স্বার্থে দেশটি চরম অর্থনৈতিক ঝুঁকি নিয়েছে।’ তার মতে, ‘এতোগুলো শরণার্থীকে আশ্রয় দেয়ার জন্য মানবিক হৃদয় লাগে। জার্মানি যা করতে পারেনি, শেখ হাসিনা তা করে দেখিয়েছেন।’

অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ইন ক্যানবেরার অধীনে পরিচালিত ‘পিস অ্যান্ড রিসার্চ ইন্সটিটিউট‘। এই ইন্সটিটিউটের প্রধান ড. হেনরিক উরডাল মনে করেন, ‘বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদানের জন্য শেখ হাসিনাকেই বিশ্ব শান্তির নেতার মর্যাদা দেয়া উচিত। সত্যিকার অর্থেই যদি শান্তিতে অবদানের জন্য কোনো পুরস্কার থাকে তাহলে সে পুরস্কার পাবার একমাত্র যোগ্য ব্যক্তি হলেন শেখ হাসিনা।’ রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর নিপীড়নের প্রেক্ষাপটে গেলো এক সপ্তাহে স্ব স্ব দেশে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সেমিনার এবং সভায় তারা এই সব মন্তব্য করেছেন। প্রত্যেকে নোবেল শান্তিতে পুরস্কার মনোনয়নের ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে ভূমিকা রাখেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest