সর্বশেষ সংবাদ-
কালিগঞ্জে পুকুরের পানিতে দুই শিশুর মৃত্যুদেবহাটায় ৪০ জন উপকার ভোগীর মাঝে ছাগল বিতরণদেবহাটার সরকারি কর্মকর্তা-সুধীজনদের সাথে ডিসির মতবিনিময়সাতক্ষীরার ১৮৫টি ভোটকেন্দ্রের স্কুল সংস্কারে বরাদ্দ প্রায় ৬৪ লাখ টাকাসাতক্ষীরা জেলা রোভারের ৪১ তম কোর্স ফর রোভারমেট এর মহাতাঁবু জলসাশ্যামনগরে বুনো শাকের রান্না প্রতিযোগিতাসাতক্ষীরায় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে রাস্তা সংস্কার কার্যক্রমের উদ্বোধনতারেক রহমানের জন্মদিনে সাতক্ষীরায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ছাত্রদলের শিক্ষা উপকরণ বিতরণদেবহাটায় উপজেলা মাসিক আইনশৃঙ্খলা ও উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভামহেশ্বরকাটি বাজারে বিএনপির প্রার্থী কাজী আলাউদ্দিনের লিফলেট বিতরণ

বড়দলে অতিরিক্ত মূল্যে সার বিক্রয়ের অভিযোগ

বড়দল প্রতিনিধি: আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নে অতিরিক্ত মূল্যে ইউরিয়া সার বিক্রয়ের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। উপজেলা কৃষি অফিস বিষয়টি নিয়ে গুরুত্বসহকারে হস্তক্ষেপ নেওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।
বড়দল ইউনিয়নের গোয়ালডাঙ্গা গ্রামের আকছেদ মোড়লের পুত্র মইনুর ও মৃত ভৈরব সরকারের পুত্র সুখদেব সরকার জানান, গোয়ালডাঙ্গা বাজারে সারের ডিলার মেসার্স সুবর্ণা ট্রেডার্সের মালিক বাবু গাজী খুচরা সার বিক্রয় করতে চাইছেন না। এছাড়া ১৬ টাকার স্থলে প্রতি কেজি সারের মূল্য ১৭ থেকে ২০ টাকা দরে বিক্রয় করছেন। অভিযোগ পাওয়ার পর উপজেলা কৃষি অফিসের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা দিপক কুমার মল্লিক ডিলারের দোকানে ও গোডাউনে গিয়ে তদারকি শুরু করেছেন। অভিযোগকারীদের সাথে কথা বলেন। সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক সার বিক্রয় কার্যক্রম চালু রাখতে গোপনে ও প্রকাশ্যে বিক্রয় কার্যক্রম পর্যবেক্ষন করেন। তিনি সাংবাদিকদের জানান, খুচরা ব্ক্রিয় ও প্রতি কেজি ১৬ টাকা দরে ইউরিয়া সার বিক্রয় নিশ্চিত করা হয়েছে। সার সরবরাহ ও নির্ধারিত মূল্যে কৃষকদের কাছে পৌছে দিতে তিনি প্রতিদিন এলাকায় তদারকিতে থাকবেন বলে জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘সাম্প্রতিক কর ও ভ্যাট ব্যবস্থাপনা বিষয়ক অধিপরামর্শ সভা

নিজস্ব প্রতিবেদক : করদাতাকে উৎসাহিত করতে গণসচেতনতা সৃষ্টি করতে আরও বেশি পরিমাণে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে হবে। সরকারি ও বেসরকারিভাবে সাধারণ মানুষকে কর প্রদানে উদ্বুদ্ধ করতে বিভিন্ন জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। সাধারণ মানুষের মধ্য থেকে কর ভীতি দূর করতে হবে। কর যারা আদায় করেন সেই কর্তৃপক্ষকে আরও বেশি জনবান্ধব হতে হবে। কর বিভাগের কর্মকর্তাদের সাধারণ মানুষের কাছাকাছি অবস্থান করতে হবে। নাগরিক সুবিধা বাড়াতে হলে নাগরিককে কর প্রদান করতে হবে। রাষ্ট্র যত বেশি কর আদায় করতে পারবে তত বেশি নাগরিক সুবিধা প্রদান করতে পারবে। রোববার সকাল ১০টায় শহরের কাটিয়ায় সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খামারবাড়িতে সুশাসনের জন্য প্রচারাভিযান-সুপ্র, সাতক্ষীরা জেলা কমিটি আয়োজিত আয়োজিত ‘সাম্প্রতিক কর ও ভ্যাট ব্যবস্থাপনা বিষয়ক অধিপরামর্শ সভায় অতিথিবৃন্দ এসব কথা বলেন। অক্সফ্যামের আর্থিক সহযোগিতায় সুপ্র সাতক্ষীরা জেলা কমিটি আয়োজিত এই অধিপরামর্শ সভায় প্রদান অতিথির বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ মোঃ নজরুল ইসলাম। সুপ্র জেলা কমিটির সহসভাপতি মরিয়ম মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অধিপরামর্শ সভায় জেলা কমিটির সদস্য সচিব মাধব চন্দ্র দত্তের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা পৌরসভার মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতী, শেখ আজহার হোসেন ও সাতক্ষীরা কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় ভূয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বেকার যুবকদের অর্থ হাতিয়ে নেয়া চলছেই

এম বেলাল হোসাইন : পত্রিকায় আকর্ষণীয় বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ভূয়া নিয়োগপত্র প্রদান ও ভূয়া অফিস দেখিয়ে একটি চক্র হাতিয়ে নিয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা। ওই প্রতারক চক্রের হাতে প্রতারিত হওয়া যুবক-যুবতিরা এ ব্যাপারে গোয়েন্দা শাখাসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
নগরঘাটা গ্রামের ইদুয়ার রহমানের ছেলে আশরাফুল ইসলাম, একই গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে জান্নাতুল ফেরদৌসী, মিলন ঘোষাল, হারুনের কন্যা সাবিরা পারভীন ও হাবিবুর রহমান জানান, সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত দৈনিক দৃষ্টিপাত পত্রিকায় গত ২৬ আগস্ট’১৬ তারিখে একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকার অনুমোদিত পিডিএস স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মাধ্যমে মা ও শিশু স্বাস্থ্য এবং পুষ্টি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য জামানত বিহীন কিছু শর্ত সাপেক্ষে পুরুষ/মহিলা নিয়োগ করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে শাখা পরিচালক পদে ১ জন (বেতন ১৮ হাজার ৬০০+টাকা মাসে) অফিস সহকারী পদে ১জন (বেতন মাসে ১৪ হাজার ১০০+ টাকা), ইউনিয়ন অফিসার পদে ১জন (বেতন ১২হাজার ৩০০+ টাকা), এবং ভিজিটর পদে ১জন (বেতন প্রতিমাসে ৯হাজার+ টাকা) নিয়োগ দেওয়ার কথা উল্লেখ করে ০৫ সেপ্টেম্বর’১৬ তারিখের মধ্যে ৩৩/১১, ব্লাক-সি,তাজমহর রোড- মোহাম্মাদপুর, ঢাকা-১২০৭, এই ঠিকানায় বিধি মোতাবেক ছবি, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদের ফটোকপি ও নাগরিক সনদ/ জন্ম নিবন্ধন সনদের ফটোকপি সহ আবেদন করতে বলা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে একটি ফোন নং ও দেওয়া হয়। নাম্বার হলো ০১৭৩৫ ৪৮২২০২।আবেদনের সময় উত্তীর্ণ হবার পর ঢাকার ওই অফিস থেকে নিজেকে পরিচালক পরিচয় দিয়ে ০১৭৩১২১৫৯৯০ নং মোবাইল ফোন থেকে প্রত্যেক আবেদনকারীর কাছে কথা বলে তাদের চাকরি হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন।
তবে কার্যক্রম শুরু করার পূর্বে আপনাদের তালায় একটি প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। প্রশিক্ষণ দিতে যেহেতু ঢাকার থেকে বিশেষজ্ঞরা যাবেন সে কারণে তাদের খরচ বাবদ ২৬৫০ টাকা দাবি করা হয়। কিন্তু আজও কোন প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়নি। এরপর বেতন উত্তোলনে জন্য একাউন্ট খোলার নাম করে ১০৫০ টাকা। বিজ্ঞপ্তির পর ১ বছর যাবত বিভিন্ন কৌশলে প্রতি প্রার্থীর কাছ থেকে ১৮ হাজার ২৫০ টাকা আদায় করে ওই চক্রটি। কিন্তু তাদের কোন চাকরি হয়নি।
টাকার পাঠানোর পর থেকে ওই নাম্বারগুলো বন্ধ থাকে। তবে পরিচালক রুহুল আমিনের ফোন নাম্বারটি খোলা থাকলেও রিসিভ করা হয় না।
ভুক্তভোগীরা উপায় না পেয়ে ঢাকার অফিসে খোজ নিতে গিয়ে দেখেন সেখানে অফিস রয়েছে ঠিকই কিন্তু অফিসে সবসময় তালা মারা থাকে। তথ্যানুসন্ধান করে তারা জানতে পারেন ওই পরিচালক পরিচয়দানকারী রুহুল আমিনের বাড়ি সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার সোনাবাড়িয়া ইউনিয়নে। সে অনুযায়ী তারা রুহুল আমিনের গ্রামের বাড়ি সোনাবাড়িয়ায় গেলে তার আতœীয় স্বজনরা জানান রুহুল আমিন দীর্ঘদিন বাড়িতে আসে না। তার সাথে আমাদের কোন যোগাযোগ নেই।
অন্যদিকে তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, সাতক্ষীরা জেলার ৮টি থানা ও ৭৮টি ইউনিয়ন, যশোর জেলার ৮টি উপজেলা, বাগেরহাট জেলার ৯টি উপজেলা খুলনার কয়রা উপজেলা থেকে ৪টি পদে কয়েক হাজার বেকার ব্যক্তি আবেদন করেন। প্রত্যেক আবেদনকারির নিকট থেকে নেওয়া হয়েছে সর্বমোট ১৮ হাজার ২৫০টাকা করে।
এবিষয়ে ঢাকার অফিসে পরিচালক রুহুল আমিনের মোবাইল ফোনে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে কেউ ফোন রিসিভ করেননি।
এঘটনায় সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. তৌহিদুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ধরনের কোনো নিয়োগ বা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে তার জানা নেই। পত্রিকায় লোভনীয় বিজ্ঞাপন দিয়ে একটি চক্র এভাবে প্রতারণার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা লুটে নিচ্ছে। এতে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি এব্যাপারে আইন প্রয়োগ সংস্থার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কালিগঞ্জের বাল্য বিবাহ নির্মূলে র‌্যালি ও আলোচনা

কালিগঞ্জ ব্যুরো : “বালিকা বধূ নয়, ১৮ বছরের আগে বিয়ে নয়” এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে বড় শিমলা কারবালা মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। রোববার বিকেল সাড়ে ৩টায় বে-সরকারি উন্নয়ন সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ নবযাত্রা প্রকল্পের সহযোগিতায় ও সুশীলনের বাস্তবায়নে বাল্য বিয়ের কুফল ও জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে ভাড়াশিমলা ইউনিয়ন পরিষদের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্যানেল চেয়ারম্যান নিরঞ্জন কুমার ঘোষের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ভাড়াশিমলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওবায়দুর রহমান। নবযাত্রা প্রকল্পের জেন্ডার অর্গানাইজার বন্দনা মন্ডলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের তথ্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক এসএম,আহম্মাদ উল্যাহ বাচ্ছু, ইউপি সদস্য রেজাউল, শামছুর রহমান, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য মনোয়ারা খাতুন, ইউনিয়ন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা উত্তম কুমার রায়, মোজাহার মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাইফুল ইসলাম, ইউনিয়ন ম্যারেজ রেজিষ্ট্রার মাওঃ রুহুল আমিন, ভাড়াশিমলা জামে মসজিদের ইমাম মোহাম্মাদ আলী, পুরোহিত রমেশ চন্দ্র, কলেজ ছাত্র আবু মুছা মোহাজার মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নবম শ্রেনীর ছাত্রী ইরিনা সুলতানা ইতি, রায়হানা ইসলাম, প্রমুখ। অনুষ্ঠানের সার্বিক দায়িত্বে ছিলেন জেন্ডার অর্গানাইজার আল-আমিন। অপর দিকে মৌতলা ইউনিয়ন পরিষদে সকাল ১১টায় বাল্য বিবাহ নির্মূলে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষ ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও মৌতলা ইউপি চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা এমএ নাহার। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্য খলিলুর রহমান, মুন্সী মশিউর রহমান পলাশ, রাজিয়া সুলতানা, হামিদা খাতুন, মাহফুজা খাতুন, কাজী হাফিজ উদ্দিন বাবু, নজরুল ইসলাম, ফেরদাউস মোড়ল, রবিউল আলম, মির্জা ছাদেক আলী, স্বর্ণ কিশোরী ক্লাবের সভানেত্রী নাজনীন মেহেদী দোলা, নবযাত্রা প্রকল্পের জেন্ডার অর্গানাইজার মুন্সী হারুনার রশীদ, নার্গিস সুলতানা প্রমুখ। এসময় বক্তারা বাল্যবিয়ের ক্ষতিকর দিকগুলো তুলে ধরে বলেন, বাল্য বিয়ের কারণে পারিবারিক জীবনে অশান্তি সৃষ্টি হয়, পুষ্টিহীনতার শিকার হয় মা ও শিশু। বাল্য বিয়ে প্রতিরোধে সমাজের সর্বস্তরের মানুষের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে হবে। শুধু সচেতন হলে চলবে না, আইনের যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমেই দেশ থেকে বাল্য বিবাহ মুক্ত করা সম্ভব। বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
নোয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবরের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরায় সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেবহাটা উপজেলার নোয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবর রহমানের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনেছেন একই উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামের ইসমাইল গাজি। তিনি বলেন মুিজবর রহমান আমার পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করেছেন। আমার জমিতে আমার ছেলের জন্য ঘর তৈরি করে দেওয়ারও চেষ্টা করছেন। এমনকি তিনি আমার পুত্রবধূর সাথে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে থেকে আমাকে নাজেহাল করার চেষ্টা করছেন।
রোববার সাতক্ষীরায় এক সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন ইসমাইল গাজি। তিনি বলেন সেই স্বাধীনতা পূর্বকাল থেকে আমার পুরো পরিবার আওয়ামী লীগ সমর্থক। ২০১৩ সালে জামায়াতের সহিংসতার সময় ইসমাইলের ছেলে মনিরুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে আলমগীর হত্যা মামলায় জড়ানোর চেষ্টা করেও পরে তাকে রায়হান হত্যার সাথে জড়িয়ে দেয় পুলিশ। তাকে ছাড়াতে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মুজিবর রহমানের কাছে গেলে তিনি আশ্বাস দিয়েও তা রক্ষা করেননি। পরে এই দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে মুজিবর রহমান জেলে আটক থাকা ছেলে মনিরুলের স্ত্রী রাবেয়া খাতুনের সাথে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় অনেক হইচই হলেও তিনি এর থেকে ফেরেন নি। বরং তিনি ইসমাইলের সম্পত্তি ভাগ করে ছেলে মনিরুলের জন্য বসত ভিটার সামনে ঘর তৈরি শুরু করতে সাহায্য করেন। এতে বাধা দিলে ইসমাইলের ১০৮ বছর বয়সী মা কাঙ্গালি বিবিকে চেয়ারম্যান মুজিবরের উসকানিতে ছেলে মনিরুল ও তার স্ত্রী রাবেয়া মারধর করে। এ ব্যাপারে মীমাংসার জন্য ফের চেয়ারম্যানের কাছে গেলে তিনি মীমাংসার আশ্বাস দিয়েও ছেলে মনিরুলকে ঘর তৈরির টিন দেন। এতে বাধা দিতে গেলে আবারও মারপিটের শিকার হতে হয়। ইসমাইল আরও জানান এ ঘটনায় আহত হওয়ায় তারা সখিপুর হাসপাতালে ভর্তি হন। তিনি বলেন এ ব্যাপারে দেবহাটা থানা কোনো মামলা নিতে চায়নি। পরে মামলাটি আদালতে করা হয়। এদিকে এই মামলা করায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন চেয়ারম্যান ও তার ছেলে মোমিন। ইসমাইল গাজি আরও জানান চেয়ারম্যানপুত্র মোমিন তাকে গাজিরহাট বাজারে মারপিট করে। শুধু তাই নয় ছেলে মনিরুলের স্ত্রী রাবেয়াকে দিয়ে শ্বশুর ইসমাইলের বিরুদ্ধে একটি কল্পিত ধর্ষণ মামলা করান চেয়ারম্যান মুজিবর রহমান। এ মামলায় ইসমাইলকে কয়েকদিন ধরে জেলও খাটতে হয়। পরে তিনি জামিনে বেরিয়ে আসেন। ইসমাইল গাজি বলেন মুজিবর রহমান অনৈতিকতার চরমসীমায় পৌছে গেছেন। তিনি এখনও ইসমাইলের পাশের বাড়িতে রাতে এসে ছেলে মনিরুলের স্ত্রীকে ডেকে পাঠিয়ে পৃথকঘরে বসে ফিস ফিস করেন।
বৃদ্ধ ইসমাইল গাজি চেয়ারম্যান মুজিবর রহমানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ ও এর প্রতিকার দাবি করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কালিগঞ্জ ভূমি অফিসের পরিবেশ বদলে দিয়েছেন নুর আহম্মেদ মাছুম

মো. আরাফাত আলী : কালিগঞ্জ উপজেলা ভূমি অফিসের হয়রানি বন্ধ করতে ডিজিটালাইজ করণের মাধ্যমে সকল কাজ সম্পূর্ণ করার উদ্যোগ নিয়েছেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুর আহম্মেদ মাসুম। তিনি কালিগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে যোগদান করেন ২২ শে ফ্রেব্রয়ারি ২০১৭ ইং তারিখে। যোগদানের পর থেকেই ভূমি অফিসের সেবার মান বাড়িয়ে অনলাইনের মাধ্যমে গ্রাহককে সকল সেবা প্রদান করা এবং ভূমি অফিসকে আধুনিকভাবে রূপায়িত করেন। এজন্য তিনি গ্রাহক সেবা নিশ্চিতকরণ এবং ভূমি অফিসের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের অফিসের সব কয়টি রুমে এবং গুরত্বপূর্ণ স্থানে ৮ টি আইপি ক্যামেরা স্থাপন করেছেন। এছাড়া গ্রাহক সেবা সহজ করার জন্য ভূমি অফিসে বসিয়েছেন তথ্যসেবা কেন্দ্র কাম হেল্পডেস্ক। অফিসে ফ্রি ইন্টারনেট সেবার জন্য বসিয়েছেন ওয়াইফাই জোন। নিলাম জারি সেবা এখন সহজে পাচ্ছেন উপজেলার সর্ব সাধারণ। প্রতিটি নামকরণ জারী ও মিস কেসের বাদী ও বিবাদীর শুনানী গ্রহণের মাধ্যমে সকল কেসের নিষ্পত্তি করছেন। অফিসে সেবা গ্রহণকারীদের বসার জন্য অরণী স্থাপন করেছেন। অফিস ক্যাম্পাস পাকা করেছেন। ভূমি অফিসে এই সকল উন্নয়ন মূলক কাজের জন্য কালিগঞ্জ উপজেলাবাসীর কাছে তিনি প্রশংসিত হচ্ছেন এই কর্মকর্তা।
নুর আহমেদ মাছুম বলেন, “প্রশাসনে সরকার আমাদেরকে নিয়োগ দিয়েছে জনগণের সেবার জন্য। আমাদের কাছে সরকারে সেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌছে দেয়া। জনগণের হয়রানি বা প্রতিবন্ধকতা যেন না হয় সেজন্য আমরা সকল আধুনিক সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করার চেষ্টা করেছি।”

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কুসুম সিকদারের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা

মিউজিক ভিডিওর আড়ালে পর্নোগ্রাফির অভিযোগ এনে অভিনেত্রী কুসুম সিকদারসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালত মামলাটি গ্রহণ করে রমনা থানাকে এ বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

এর আগে, রবিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুরুন্নাহার ইয়াসমিনের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন খন্দকার নাজমুল আহসান নামের সুপ্রিমকোর্টের এক আইনজীবী।

প্রসঙ্গত, গত ৩ আগস্ট অভিনেত্রী কুসুম সিকদারের ‘নেশা’ শিরোনামে একটি মিউজিক ভিডিও ইউটিউবে মুক্তি পায়। এতে কুসুম সিকদারের খোলামেলা ও আবেদনময়ী উপস্থিতি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় জোর সমালোচনা শুরু হয়।

এরপর গত ১৩ আগস্ট গানটির সব বৈধ-অবৈধ ভিডিও ও টিজার ইউটিউব থেকে সরানোর জন্য বাদীর পক্ষে আইনজীবী আফতাব উদ্দিন ছিদ্দিকী রাগিব আইনি নোটিশ দেন। তারপরও কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় রবিবার পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের কার হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ভারতে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাঁধ চালু

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশটির গুজরাট রাজ্যের নর্মদা জেলায় বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাঁধ সর্দার সরোবর ড্যামের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন। আদালতের মামলা এবং ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসীদের প্রতিবাদের মুখে অবশেষে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের প্রায় ৫৬ বছর পর এ বাঁধটি উদ্বোধন করা হল।

আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ৬৭তম জন্মদিন। নিজের জন্মদিনে তিনি এ প্রকল্পটি জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেন। নর্মদা নদীর ওপর ওই বাঁধের উচ্চতা বাড়িয়ে ১৩৮ মিটার করার ফলে ওই জলাধারের ধারণ ক্ষমতা ১২.৭ লাখ কিউবিক মিটার থেকে বেড়ে হবে ৪৭.৩ লাখ কিউবিক মিটার। ১৯৬১ সালে ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু এই বাঁধের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। তখন থেকেই এটি ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়। বিতর্কের কারণেই ১৯৮৭ সালের আগে এর নির্মাণ কাজ শুরু করা যায়নি।

এদিন প্রকল্পের চূড়ান্ত পর্যায়টির উদ্বোধন করার পর প্রধানমন্ত্রী মোদি দাবি করেছেন, এই বাঁধের বিরুদ্ধে বিপুল অপপ্রচার ও মিথ্যা প্রচারণা চালানো চেয়েছে। কিন্তু আসলে এটি হল প্রযুক্তিগত একটি বিস্ময়! বিশ্বব্যাংক এই প্রকল্পে অর্থায়ন করতে রাজি হয়নি, কিন্তু তারপরও ভারত নিজেদের শক্তি ও সামর্থ্যে এই বাঁধ নির্মাণ করেছে বলেও প্রধানমন্ত্রী জানান।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাষায় ‘মা নর্মদার জল দেশের লাখ লাখ নাগরিকের জীবনকে চিরদিনের জন্য পাল্টে দেবে। ‘ এই উদ্বোধনের মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগেও নর্মদা নদীর জলসীমা বৃদ্ধি পেয়ে মধ্যপ্রদেশের বিস্তীর্ণ এলাকা ও বহু গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। নর্মদা বাঁচাও আন্দোলনের নেত্রী মেধা পাটেকর পরিবেশগত ঝুঁকি আর মানুষের জীবন-জীবিকা বিপন্ন হওয়ার যুক্তিতে আগাগোড়াই এই প্রকল্পের বিরোধিতা করে আসছেন। তিনি এদিন মধ্যপ্রদেশের বারওয়ানি জেলাতে এই বাঁধের বিরুদ্ধে ‘জল সত্যাগ্রহ’ আন্দোলন করেছেন।

সরকার দাবি করছে, এই জল একটি ক্যানাল নেটওয়ার্কের মধ্যে দিয়ে গুজরাটের প্রায় নয় হাজার গ্রামে পৌঁছে দেয়া হবে, আর তাতে ১৮ লাখ হেক্টরেরও বেশি কৃষিজমি সেচের পানি পাবে। সর্দার সরোবর ড্যামে উৎপাদিত বিদ্যুৎ মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্রও গুজরাট, এই তিন রাজ্য নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেবে।

ভারতের পরিবেশ আন্দোলনের যে কর্মীরা বহু বছর ধরে এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন তারা এ কথার সঙ্গে একমত নন। বরং এই সর্দার সরোবর ড্যাম লাখ লাখ গ্রামবাসীকে আশ্রয়হীন করেছে বলে দাবি করছেন তারা।

‘নর্মদা বাঁচাও’ আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ বলছেন, এই প্রকল্পের ফলে বাস্তুচ্যুত মধ্যপ্রদেশের ১৯০টি গ্রামের চল্লিশ হাজার পরিবারকে পুনর্বাসনের আওতাতেই আনা হয়নি। যে আশ্রয় কেন্দ্রগুলো গড়া হয়েছে সেগুলোও বসবাসের অযোগ্য।

শুক্রবার যখন ড্যামের উচ্চতা বাড়িয়ে ১২৮.৩ মিটার করা হয়, তখনই মধ্যপ্রদেশের নিসারপুর শহর ও আশেপাশের বহু গ্রাম জলমগ্ন হয়ে পড়ে। রবিবারের মধ্যে ওই রাজ্যের বারওয়ানি জেলার রাজঘাটে একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতুও পানির নীচে তলিয়ে যায়। ওই সেতুটি পার্শ্ববর্তী ধার জেলার সঙ্গে রাজঘাটের সংযোগ রক্ষা করত। সর্দার সরোবর ড্যাম এভাবে বহু গ্রাম-শহর-জনপদকেই চিরতরে দেশের মানচিত্র থেকে মুছে দিয়েছে বলে জানাচ্ছেন পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের কর্মীরা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest