সর্বশেষ সংবাদ-
দেবহাটা উপজেলা জামায়াতের সুধী সমাবেশপ্রাণসায়ের খাল বাঁচাতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন ও সমাবেশদিনে ভোট, রাতে নয় আমার ভোট আমি দেব : আফরোজা আব্বাস অন্যায় কাজে কাউকে প্ররোচিত করবো না, উন্নয়নই হবে মূল লক্ষ্য : সাবেক এমপি হাবিবশোভনালীতে মানব পাচার প্রতিরোধ ও নিরাপদ অভিবাসন ডেস্ক উদ্বোধনআশাশুনির গোয়ালডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানববন্ধনজবাবদিহিতা ও মানবাধিকার সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে গোলটেবিল সভাতালায় টিআরএম কার্যক্রমের বকেয়া ক্ষতিপূরণের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলনপুজামণ্ডপে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে ব্যবস্থা: সাতক্ষীরার পুলিশ সুপারজলবায়ু পরিবর্তনে মানবাধিকার নিশ্চিতকরণে শ্যামনগরে এনগেজ প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা

নাটকের নয় আলোচনায় বাস্তবের এক ‘বড় ছেলে’

বড় ছেলে নাটকটি নিয়ে এরই মধ্যে দুই ভাগে ভাগ হয়ে গেছে ফেসবুক ব্যবহারকারীরা। নাটকটি দেখে কেউ যেমন চোখের জলে ভাসছেন, কেউবা ভাবছেন বাড়াবাড়ি। তবে সেই নাটককে ছাড়িয়ে ফেসবুকে এখন আরেকটি বড় ছেলের গল্প খুব বেশি ভাইরাল হয়ে পড়েছে।

নির্যাতনের মুখে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা পরিবারের একটি ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ভাইরাল হওয়া সেই ছবিটি দেখে স্পষ্টই বোঝা যায়, এটি একটি পরিবারের করুণ গল্পের। যেখানে ছোট সন্তানকে কোলে নিয়ে মা হাঁটছেন কাদামাটি মাখা পথ আর সামনে মেজো ভাইটির দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে চলছে পরিবারটির বড় ছেলে।

ছবিতে বয়সের আগেই ছোট কাঁধে বড় ভার বহনের কষ্ট ও কাদামাটিমাথা পথ পেরোনোর দুর্দশা স্পষ্টতই টের পাওয়া যায়। অনেকেই ছবিটির নাম দিয়েছেন বড় ছেলে।

ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া এই বড় ছেলেকে নিয়ে ফেসবুকে নানান জন লিখেছেন নানান মন্তব্য। এটিএন নিউজের হেড অব নিউজ প্রভাষ আমিন ফেসবুকে লিখেছেন, সামাজিক গণমাধ্যমে ‘বড় ছেলে’ নামে একটি নাটক নিয়ে ব্যাপক আলোচনা। আমি দেখিনি। তাই মন্তব্য করতে পারছি না। তবে আমি নিজেও সংসারের বড় ছেলে। তাই দায়িত্বটা জানি। নাটকের বড় ছেলের চেয়েও বাস্তবের বড় ছেলের দায়িত্ব অনেক বেশি। দেখুন রাখাইন থেকে পালিয়ে আসা এই রোহিঙ্গা পরিবারটির বড় ছেলের ছবি। অত ছোট কাঁধ বহন করছে কত বড় দায়িত্ব! শ্রদ্ধায় আমার মাথা নুয়ে আসে। টেকনাফ সীমান্তে প্রতিদিন রচিত হচ্ছে মানবিকতার এমন হাজার গল্প। সিনেমার গল্পের মত এই ছেলেটি যদি বড় হয়ে মিয়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে, আপনারা নিশ্চয়ই তাকে সন্ত্রাসী বলে গুলি করে মেরে ফেলবেন।

ব্র্যাকের অভিবাসন বিষয়ক কর্মকর্তা শরিফুল হাসান লিখেছেন, বড় ছে‌লে নাটকটা আ‌মি দে‌খি‌নি, কিন্তু কেঁদেছি এই সময়ের বড় ছেলেকে দেখে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. গীতিআরা নাসরিন লিখেছেন, “মানুষ আসতে আছে নাফ নদীর বানের লাহান” — এমন কি একটা প্রচ্ছদ শিরোনাম ছিল বিচিত্রার? প্রায় অর্ধশতক কাটলো, এখনও মানুষ আসতে আছে….। আশৈশব দেখি হারানো শৈশব। Rohingya exodus from Myanmar to Bangladesh

সাংবাদিক সন্দীপন বসু লিখেছেন, এইতো ‘বড় ছেলে’।

শারমিন সুলতানা নামের একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ও নিশ্চয় পরিবারের বড় ছেলে?
দেখুন তাদের প্রেম না, জীবন আর সংসারটাই টিকছে না। এইটুকু বয়সের ‘বড় ছেলে’ জীবন বাঁচাতে হয়তো তার ছোট ভাইকে কাঁধে চাপিয়ে সীমান্ত পার হচ্ছে নিজ জন্মভূমি ছেড়ে।

এই ‘বড় ছেলে’কে দেখে তাদের কান্না পাবে যারা প্রেম না টেকা বড় ছেলের জন্য কাঁদছে?

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পরিবার বিচ্ছিন্ন হাজার হাজার রোহিঙ্গা শিশু

মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মধ্যে সিংহভাগই শিশু। এদের মধ্যে পরিবার বিচ্ছিন্ন শিশুর সংখ্যাটাও নেহায়েত কম নয়।রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মধ্যে শিশুর সংখ্যা প্রায় দুই লাখের বেশি।
যা মোট রোহিঙ্গা শরণার্থীর সংখ্যার প্রায় ৬০ শতাংশ। এখন পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার ১২৮টি পরিবার বিচ্ছিন্ন শিশুর সন্ধান পাওয়া গেছে। শরণার্খীর সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এই সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে ইউনিসেফ। এসব শিশুদের জীবন বাঁচাতে জরুরি সহায়তার পরিমাণ বৃদ্ধির পাশাপাশি কিছু জরুরি নিরাপত্তা পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়।
হঠাৎ পালিয়ে আসা বিপুল সংখ্যক এই রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জীবনে নেমে এসেছে মানবিক বিপর্যয়। আর এর কেন্দ্রে রয়েছে শিশুরা। গত ২৫ তারিখ থেকে এখন পর্যন্ত শুধু কক্সবাজার জেলাতেই সাড়ে তিন লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী এসেছেন।
বিপুল পরিমাণ এই শরণার্থীর ঢল সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন। বাংলাদেশে পৌঁছানো শরণার্থী শিশুদের এখনই জরুরি স্বাস্থ্য সেবা প্রয়োজন।
চোখের সামনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিপুল ধ্বংসলীলা, খুন, ধর্ষণ এবং নিপীড়ন দেখে শিশুরা মানসিকভাবেও ভয়ানক বিপর্যস্ত অবস্থায় রয়েছে। শারীরিক চিকিৎসার পাশাপাশি তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের চিকিৎসা সেবাও এখন দরকার।
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মধ্যে অনেক প্রসূতি মা রয়েছেন। অনেকেই আবার পথিমধ্যে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। বাংলাদেশে আসার পরে অনেক রেহিঙ্গা শিশুর জন্ম হয়েছে। সব মিলিয়ে জরুরি সেবার প্রয়োজন এমন শিশুর সংখ্যা দুই লাখের বেশি।
গত ২৫ তারিখ থেকে এখন পর্যন্ত শুধু কক্সবাজার জেলাতেই সাড়ে তিন লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী এসেছেন। বিপুল পরিমাণ এই শরণার্থীর ঢল সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর মিয়ানমারের কয়েকটি সেনা ও পুলিশের চৌকিতে রোহিঙ্গা ‘জঙ্গি’দের হামলার অভিযোগে আরাকান রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর ব্যাপক নির্যাতন শুরু করে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। হত্যা, ধর্ষণের পাশাপাশি গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এই অবস্থায় গত দু’সপ্তাহে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনের দেয়া তথ্যানুযায়ী আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গার সংখ্যা ২ লাখ ৭০ হাজারের বেশি।
রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সঙ্গে সেনাবাহিনীর দীর্ঘদিন ধরে চলমান সংঘর্ষ-সহিংসতা সঙ্কট সমাধানে ২০১৬ সালের আগস্টে গঠিত হয় অ্যাডভাইজরি কমিশন অন রাখাইন স্টেট। জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনানের নেতৃত্বে ওই কমিশন এক বছরের তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দলের প্রধান অং সান সু চির কাছে জমা দেয় চলতি বছরের ২৪ আগস্ট।
৬৩ পৃষ্ঠার এই প্রতিবেদন জমা দেয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই ২৪ আগস্ট দিবাগত রাতে ত্রিশটি পুলিশ ও সেনাচৌকিতে রহস্যজনক হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় নিহত হয় নিরাপত্তা বাহিনীর ১২ সদস্য। তারপরই হামলার জন্য রোহিঙ্গা ‘জঙ্গি’দের দায়ী করে জবাব হিসেবে সেনাবাহিনী পুরো অঞ্চলে হত্যাযজ্ঞ শুরু করে।
সেনাবাহিনীর ওই হামলায় এখনও পর্যন্ত ৪শ’র বেশি মানুষ মারা গেছে, আর প্রাণভয়ে লাখ লাখ রোহিঙ্গা সীমান্ত পেরিয়ে পাড়ি জমাচ্ছে বাংলাদেশে। নৌপথে পালিয়ে আসার পথে নৌকাডুবিতেও বাড়ছে মৃতের সংখ্যা।
আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, আনান কমিশনের রিপোর্ট বাস্তবায়ন না করার উদ্দেশ্যেই মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এই হত্যাকাণ্ড শুরু করে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পাকিস্তানের জয়ে শুরু; তামিমের ১৮ রান

স্পোর্টস ডেস্ক : টসের সময় বিশ্ব একাদশ অধিনায়ক ফাফ দু প্লেসি বললেন, “এটি শুধু একটি ক্রিকেট সিরিজ নয়, তার চেয়েও বেশি কিছু।” প্রতিযোগিতামূলক ‌ম্যাচ বটে, আছে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির মর্যাদা। তবে যেখানে প্রতিযোগিতার চেয়ে বেশি মিশে আছে সৌহার্দ্য। পাকিস্তানে ক্রিকেট ফিরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ। পাকিস্তানের জন্য আয়োজিত সেই সিরিজের প্রথম ম্যাচে জিতল পাকিস্তানই।

আন্তজাতিক ক্রিকেটে নির্বাসন থেকে মুক্তির জন্য আয়োজিত টি-টোয়েন্টি সিরিজের নাম আয়োজকরা নিয়েছে ‘ইন্ডিপেন্ডেন্স কাপ’। মঙ্গলবার প্রথম ম্যাচে বিশ্ব একাদশকে পাকিস্তান হারিয়েছে ২০ রানে। এগিয়ে গেছে তিন ম্যাচ সিরিজে।

২০ ওভারে পাকিস্তানের ১৯৭ রান তাড়ায় বিশ্ব একাদশ তুলতে পারে ১৭৭ রান।

বিশ্ব একাদশে বাংলাদেশের প্রতিনিধি তামিম ইকবাল শুরুটা ভালোই করেছিলেন। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি। ফিরেছেন ১৮ বলে ১৮ রানে।

টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বিশ্ব একাদশ। পাকিস্তান অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ জানালেন, তাদের চাওয়াও ছিল আগে ব্যাটিং। কেন আগে ব্যাটিং চেয়েছিলেন, সেটির প্রমাণ মিলল ব্যাটিংয়ে নামার পর।

দুই চার মারার পরই ওপেনার ফখর জামানকে ফেরান মর্নে মর্কেল। দ্বিতীয় উইকেটে বাবর আজম ও আহমেদ শেহজাদ পাকিস্তানকে এগিয়ে নেন বড় স্কোরের পথে। দুজনে গড়েন ১২২ রানের জুটি।

তিনে নামা বাবর তুলোধুনো করেছেন বিশ্ব একাদশের বোলারদের। শেহজাদ দিয়ে গেছেন সঙ্গ। ৩৪ বলে ৩৯ করা শেহজাদকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন অস্ট্রেলিয়ার বেন কাটিং।

বাবর এগিয়ে যাচ্ছিলেন সেঞ্চুরির দিকে। তবে নিজের শেষ ওভারে তাকে ফেরান ইমরান তাহির। ১০ চার ও ২ ছক্কায় বাবর করেন ৫২ বলে ৮৬ রান।

জোড়া উইকেটে রানরেট কমেছিল একটু। কিন্তু শেষ দিকে শোয়েব মালিকের ২০ বলে ৩৮ আর ইমাদ ওয়াসিমের ৪ বলে ১৫ রান পাকিস্তানকে নিয়ে যায় দুইশর কাছে।

বিশ্ব একাদশের থিসারা পেরেরা ২ উইকেট নিলেও ৪ ওভারে রান দেন ৫১। খরুচে ছিলেন বাকিরাও।

বড় রান তাড়ায় প্রথম ৫ ওভারে উইকেট হারায়নি বিশ্ব একাদশ। তামিম একটু সময় নেন শুরুতে। হাশিম আমলা খেলছিলেন জাদুকরী সব শট। জুটি যখন বড় কিছুর পথে, ফেরেন তখন দুজনই।

দুজনকেই একই ওভারে ফেরান রুম্মান রাইস। বাঁহাতি পেসারকে বেরিয়ে এসে মারতে গিয়ে বোল্ড তামিম। ১৭ বলে ২৬ করে স্লোয়ারে বোল্ড আমলা।

তিনে নেমে অস্ট্রেলিয়ান উইকেটকিপার টিম পেইন ২৫ রান করতে খেলে ফেলেন ২৫ বল। ব্যর্থ ডেভিড মিলারও। প্রয়োজনীয় রান রেট তখন ক্রমে বাড়ছে। অধিনায়ক দু প্লেসি ঝড় তোলার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তবে ফিরে যান ১৮ বলে ২৯ করে।

শেষ দিকে পেরেরার ১১ বলে ১৭ এবং ৩ ছক্কায় ড্যারেন স্যামির ১৬ বলে ২৯ রানে কমে ব্যবধান। তবে ম্যাচে জয়-পরাজয়ের উত্তেজনা শেষ আরও আগেই।

সিরিজের পরের দুটি ম্যাচ বুধ ও শুক্রবার।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

পাকিস্তান: ২০ ওভারে ১৯৭/৫(ফখর ৮, শেহজাদ ৩৯, বাবর ৮৬, মালিক ৩৮, সরফরাজ ৪, ইমাদ ১৫*, আশরাফ ০*; মর্কেল ১/৩২, থিসারা ২/৫১, কাটিং ১/৩৮, তাহির ১/৩৪, এলিয়ট ০/১৭, স্যামি ০/২৪)।

বিশ্ব একাদশ: (তামিম ১৮, আমলা ২৬, পেইন ২৫, দু প্লেসি ২৯, মিলার ৯, এলিয়ট ১৪, থিসারা ১৭, স্যামি ২৯*, কাটিং ০*; ইমাদ ০/২২, সোহেল ২/২৮, হাসান ০/৪৪, রাইস ২/৩৭, আশরাফ ০/৭, শাদাব ২/৩৩)।

ফল: পাকিস্তান ২০ রানে জয়ী

ম্যান অব দা ম্যাচ: বাবর আজম

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তামিমকে নিয়েই মাঠে নামল বিশ্ব একাদশ

অবশেষে সত্যিকার অর্থে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরল পাকিস্তানে। বহুল প্রতীক্ষিত  বিশ্ব একাদশ ও পাকিস্তান একাদশের মধ্যকার তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজটি শুরু হয়েছে। প্রথম ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিং করছে ফাফ ডু প্লেসিসের বিশ্ব একাদশ। প্রথম ম্যাচে দলের সঙ্গে রয়েছেন টাইগার ওপেনার তামিম ইকবাল। হাশিম আমলার সঙ্গে বিশ্ব একাদশের ব্যাটিংয়ের শুরুটা করবেন তিনি।

লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় শুরু হয়েছে ম্যাচটি। প্রথম ম্যাচে বিশ্ব একাদশ দলে জর্জ বেইলি, পল কলিংউড ও স্যামুয়েল বদ্রির জায়গা হয়নি।

২০০৯ সালে লাহোরে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বন্ধ ছিল। ২০১৫ সালে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল পাকিস্তান সফর করলেও দেশটিতে সত্যিকার অর্থে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরল এই সিরিজটি দিয়েই।

আগামী বুধবার অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি  ম্যাচটি। এরপর ১৫ সেপ্টেম্বর মাঠে গড়াবে তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি। তিনটি ম্যাচই লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে হবে।

বিশ্ব একাদশ : হাশিম আমলা, তামিম ইকবাল,  ফাফ ডু প্লেসিস (অধিনায়ক), ডেভিড মিলার, টিম পেইন, গ্র্যান্ট এলিয়ট, বেন কাটিং, ড্যারেন স্যামি, ইমরান তাহির, মরনে মরকেল ও থিসারা পেরেরা।

পাকিস্তান একাদশ :  ফখর জামান, আহমেদ শেহজাদ, বাবর আজম, শোয়েব মালিক, সরফরাজ আহমেদ (অধিনায়ক), ইমাদ ওয়াসিম, শাদাব খান, ফাহিম আশরাফ, হাসান আলী, রুম্মন রইস ও সোহেল খান

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দরবার শরিফের টাকা লুট, র‍্যাব সদস্যদের বিচার শুরু

চট্টগ্রামের আনোয়ারার তালসরা দরবার শরিফ থেকে কোটি টাকা লুটের অভিযোগে করা ডাকাতির মামলায় র‍্যাবের চার সদস্যসহ সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে পঞ্চম অতিরিক্ত চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ মো. নূরে আলম শুনানি শেষে বিচার শুরুর আদেশ দেন।

মামলার আসামিরা হলেন র‍্যাব-৭ এর সাবেক অধিনায়ক (বরখাস্ত) লেফটেন্যান্ট কর্নেল জুলফিকার আলী মজুমদার, তৎকালীন সদস্য ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট (বাধ্যতামূলক ছুটিতে) শেখ মাহমুদুল হাসান, র‍্যাবের সাবেক উপসহকারী পরিচালক (ডিএডি) আবুল বাশার ও উপপরিদর্শক (এসআই) তরুণ কুমার বসু এবং র‍্যাবের সোর্স দিদারুল আলম, আনোয়ার মিয়া ও মানব বড়ুয়া।
আইনজীবী মো. মামুন জানান, এ মামলায় র‍্যাব সদস্যসহ ১২ আসামির মধ্যে সাতজনকে অভিযুক্ত করে চার্জ গঠন করা হয়েছে।

২০১১ সালের ৪ নভেম্বর আনোয়ারার তালসরা দরবার শরিফে র‍্যাবের অভিযানের কথা বলে র‍্যাব ৭-এর অধিনায়ক জুলফিকার আলী মজুমদারের নেতৃত্বে একটি দল দরবারের লকার ভেঙে দুই কোটি সাত হাজার টাকা লুট করে। এ ঘটনায় দরবারের পীরের গাড়িচালক মো. ইদ্রিস বাদী হয়ে মামলা করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রোহিঙ্গা সংকটে আবারও মিয়ানমারের পক্ষে দাঁড়ালো চীন

রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের এক জরুরী বৈঠকের আগে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশগুলোর মধ্যে এ নিয়ে মতপার্থক্য দেখা যাচ্ছে।

বুধবার নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের এই জরুরী বৈঠকটি ডাকা হয়েছে। ই বৈঠকের প্রাক্কালে চীন আবারও মিয়ানমারের প্রতি তাদের পূর্ণ সমর্থনের কথা জানিয়েছে।

রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর যে অভিযানকে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন জাতিগত নির্মূল অভিযান বলে বর্ণনা করেছে, চীন আবারও সেই অভিযানের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কমিশনার মাত্র গতকালই রাখাইনে যা ঘটছে তাকে ‘টেক্সটবুক এথনিক ক্লিনজিং’ অর্থাৎ জাতিগত শুদ্ধি অভিযানের যা সংজ্ঞা, হুবহু তাই বলে বর্ণনা করেন। তারপরই জাতিসংঘের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই পরিষদের বৈঠক হচ্ছে।

জানা গেছে, ব্রিটেন এবং সুইডেনের অনুরোধে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের এই জরুরী বৈঠক ডাকা হয়েছে। কিন্তু সেখানে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক হত্যা-নির্যাতন-নিপীড়নের অভিযোগে মিয়ানমারের ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্তের সম্ভাবনা এখনো পর্যন্ত ক্ষীণ বলেই মনে করা হচ্ছে।

নিরাপত্তা পরিষদে পাঁচটি স্থায়ী সদস্য দেশের যে কোন দেশ একটি যদি কোন প্রস্তাব বা সিদ্ধান্তের বিপক্ষে ভোট দেয়, তাহলে সেটি আটকে যায়। রোহিঙ্গা ইস্যুতে নিরাপত্তা পরিষদের এই বৈঠকে তাই ঘটতে যাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।

এর অন্যতম কারণ, চীন এখনো পর্যন্ত রোহিঙ্গা সংকটে মিয়ানমার সরকারের গৃহীত সব ব্যবস্থাকে শতভাগ সমর্থন জানিয়ে চলেছে।

আজ মঙ্গলবার চীন আবারও বলেছে, তারা ‘শান্তি ও স্থিতিশীলতা’ রক্ষায় মিয়ানমার সরকারের পাশে আছে।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গেং শুয়াং বলেছেন, “মিয়ানমার সরকার তাদের জাতীয় উন্নয়নের জন্য শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার যে চেষ্টা করছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত তার পাশে থাকা।”

মনে করা হচ্ছে চীন আজ মিয়ানমারের পক্ষে এই বিবৃতি দিয়েছে যাতে করে নিরাপত্তা পরিষদের কালকের বৈঠকে মিয়ানমারের নিন্দা করে কোন প্রস্তাব আনা না যায়।

রাশিয়ার অবস্থানও মিয়ানমারের পক্ষে বলে মনে করা হচ্ছে। মিয়ানমারের বিরুদ্ধে কোন প্রস্তাব যদি ভোটাভুটিতে দেয়া হয়, তাহলে রাশিয়া তাতে কতটা সমর্থন দেবে, সেটা নিয়ে সংশয় আছে।

জাতিসংঘের কূটনীতিকদের উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, রোহিঙ্গা সংকটে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ কোন মাথা গলাক, সেটা চীন চায় না।

নিরাপত্তা পরিষদের আরেক স্থায়ী সদস্য অবশ্য রোহিঙ্গা সংকটের ব্যাপারে তাদের দীর্ঘ নীরবতা ভেঙ্গেছে। যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, সহিংসতার মুখে যেভাবে রোহিঙ্গারা তাদের বাড়ীঘর ছাড়া হয়েছে তাতে বোঝা যায় মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী সেখানে বেসামরিক মানুষকে নিরাপত্তা দিচ্ছে না।

উল্লেখ্য, নিরাপত্তা পরিষদে গত সপ্তাহে আরেকটি বৈঠকেও চীন মিয়ানমারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় শ্রমিক গ্রেফতার করে পুলিশের লাখ টাকা আদায় চেষ্টায় ভোমরায় কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি!

নিজস্ব প্রতিবেদক : এক লক্ষ টাকা চাঁদা না পেয়ে সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ ভোমরা স্থলবন্দরের এক শ্রমিককে ১০ বোতল ফেন্সিডিল দিয়ে মামলা দিয়েছেÑএমন অভিযোগে সাতক্ষীরা জেলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক অঞ্চল ভোমরা স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় ভোমরার সকল শ্রমিক সংগঠন। পরে পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে দীর্ঘ বৈঠক এবং ওই শ্রমিক সদস্যকে পুলিশ বুধবারের মধ্যে জামিনে মুক্তি পাওয়ার ব্যবস্থা করবে, শ্রমিকদের কোন প্রকার হয়রানি করবে না এবং এসআই সাইমুমের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে- এমন আশ্বাসের ভিত্তিতে শ্রমিক নেতৃবৃন্দ ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেয়। মঙ্গলবার দুপুর ১:৩০টা থেকে বিকাল ৫:১০টা পর্যন্ত আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকায় সরকার রাজস্ব হারিয়েছে এক কোটি টাকারও বেশি।
সরেজমিনে ভোমরা স্থলবন্দরের শ্রমিক নেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মঙ্গলবার ভোর রাতে (আড়াইটার সময়) ভোমরার লক্ষ্মীদাঁড়ি গ্রামের বাড়ি থেকে ভোমরা স্থলবন্দর শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য(নং৩৩৭) আব্দুল হামিদকে তুলে নিয়ে আসেন সাতক্ষীরা সদর থানার এসআই সাইমুম ও তার সঙ্গীয় ফোর্স। সেসময় তাকে আটকের কারণ জানতে চাইলে এসআই সাইমুম জানান, তার বিরুদ্ধে ফেন্সিডিল পাচারের অভিযোগ আছে। এসময় হামিদের কাছে কিছুই পাওয়া য়ায়নি বলে জানিয়েছে তার পরিবার। মঙ্গলবার সকালে পরিবারের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে এইআই সাইমুম সাফ জানিয়ে দেন এক লক্ষ টাকা না পেলে হামিদকে ছাড়া হবে না- এমনটাই অভিযোগ শ্রমিক আব্দুল হামিদের পরিবার ও ভোমরার শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের।
অন্যদিকে, পুলিশের অভিযোগ হামিদকে ১০ বোতল ফেন্সিডিলসহ আটক করা হয়েছে। কিন্তু হামিদের পরিবারের সদস্যরা বলছেন হামিদকে যখন পুলিশ আটক করে তখন তার কাছে কোনকিছুই ছিল না। চাহিদামত টাকা না দেয়ায় পুলিশই ফেন্সিডিল নাটক সাজিয়েছে। এদিকে, শ্রমিক আটকের প্রতিবাদে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে দুপুর থেকে আমদানি-রপ্তানী বন্ধ করে দেয় শ্রমিক সংগঠনগুলো।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ আহম্মেদ ও সাতক্ষীরা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আলী আহম্মেদ হাশমী দুপুরে ভোমরায় সিএন্ডএফ এসোসিয়েশনের অফিসে শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনায় বসেন। এসময় সেখানে হাজার হাজার শ্রমিক জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। আলোচনায় শ্রমিক নেতারা বলেন ওই এসআই সাইমুমকে প্রত্যাহার করতে হবে, ওই শ্রমিকের মামলা বাবদ যাবতীয় খরচাদির টাকা পুলিশকে দিতে হবে এবং এরপর থেকে যে কোন শ্রমিকককে আটকের সময় অবশ্যই যাচাই বাছাই করে আটক করতে হবে। ক্ষুব্ধ শ্রমিক নেতৃবৃন্দ এক পর্যায়ে পুলিশ কর্মকর্তাদেরকে বলেন, “আমরা গরু বিক্রির টাকা বাড়িতে রাখতে পারব কি না তা আপনাদের জানাতে হবে।”

শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সাথে পুলিশ কর্মকর্তাদের বৈঠক

এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন, ভোমরা স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের সভাপতি কাজী নওশাদ দিলওয়ার রাজু, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম, ভোমরা স্থলবন্দর হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি রেজাউল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ আলম, ভোমরা স্থলবন্দর গোডাউন সভাপতি আনরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেন, ভোমরা ইউনিয়ন আ ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আনারুল ইসলাম, ভোমরা ইউনিয়ন হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আবিদ হোসেন, ভোমরা স্থলবন্দর লেবার শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু সালেক ও সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম রঞ্জু।
এদিকে, শ্রমিকদের বিক্ষোভ চলাকালীন সেখানে উপস্থিত হন সাতক্ষীরা জেলা আ ’লীগের দপ্তর সম্পাদক ও বিশিষ্ট ট্রেড ইউনিয়ন নেতা শেখ হারুণ অর রশীদ। তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, “সরকারের সকল অবদানকে ম্লান করে দিচ্ছে সাতক্ষীরার পুলিশ।” স্থানীয় শ্রমিক নেতাদের উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, “বিগত ৬ মাস যাবত সাতক্ষীরা সদর থানার এসআই সাইমুম ভোমরা সীমান্তে ত্রাসের রাজত্ব কায়ম করেছেন। মাসখানেক আগে ভোমরার লক্ষীদাাঁড়ি গ্রামের রফিকুল ইসলামকে আটক করে ৩৫ হাজার টাকা, একই গ্রামের আরেক শ্রমিক জাহাঙ্গীর হোসেন গরু বিক্রি করেছেন জানতে পেরে তাকে আটক করে ২৮ হাজার টাকা, আরেক শ্রমিক মো. সেলিমকে আটক করে ৩০ হাজার টাকা আদায় করে তবে মুক্তি দেন এসআই সাইমুম। এছাড়াও শ্রমিকসহ স্থানীয়দের শত শত আটক বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে পুলিশের বিরুদ্ধে।” তিনিও আরও বলেন, “মাত্র ২দিন আগেই জেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আ ’লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম সুস্পষ্টভাবে বলেছিলেন, সাতক্ষীরায় পুলিশের কিছু অত্যুৎসাহী সদস্যের বাড়াবাড়ির কারণে সাধারণ মানুষের কাছে সরকার ও আ ’লীগের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হচ্ছে। তার বক্তব্যের সত্যতা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রমাণিত হয়েছে। আজ ভোমরা বন্দরকে অস্থিতিশীল করে তুলেছে পুলিশের এই হয়রানি।”
শ্রমিক নেতৃবৃন্দ এই প্রতিবেদককে বলেন, “সামনে দুর্গা পূজা উপলক্ষ্যে ভোমরা স্থলবন্দরের কার্যক্রম প্রায় ৭দিন বন্ধ থাকবে। আমাদের শ্রমিকরা “নো ওয়ার্ক নো পে”- ভিত্তিতে কাজ করে। ঈদের বন্ধে তারা কাজ করতে পারেননি। এখন পূজার আগে কাজ করে সঞ্চয় করবেন তবেই ছুটিতে তাদের সংসার চলবে। অথচ এরকম সময়ে প্রতিদিন পুলিশের অত্যাচারে কোন না কোন শ্রমিক পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমরা সংসার চালাব কি করে? আমাদের সন্তানদের কি লেখাপড়া করাতে পারব না?
উল্লেখ্য, গত রবিবার অনুষ্ঠিত জেলার আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় সাতক্ষীরায় পুলিশি হয়রানির বিষয়টি আলোচিত হয়।
অন্যদিকে, সোমবার সাতক্ষীরা সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান মিজান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে সাতক্ষীরায় পুলিশের আটক বাণিজ্য নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং মন্তব্য করেন আগামী নির্বাচনে মানুষের কাছে ভোট চাইতে গেলে এসব কারণে মানুষ ভোটের পরিবর্তে আমাদের গালি দিতে পারে।
এসব ঘটনায় সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হচ্ছে কিনাÑ এমন প্রশ্নের জবাবে সাতক্ষীরা জেলা আ ’লীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুণ অর রশিদ বলেন, “আমরাও বিষয়টিও নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমাদের জেলা সভাপতি হজ্ব থেকে দেশে ফিরবেন ১৬ সেপ্টেম্বর। অন্যদিকে সংসদ অধিবেশন চলায় সংসদ সদস্যরা ঢাকায় আছেন। আমরা খুব শীঘ্রই জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছ থেকে সময় নিয়ে ওয়ার্কিং কমিটির সভা আয়োজন করব এবং এসব ঘটনাগুলো সেখানে আলাপ করে কি ভূমিকা রাখা াযয় সে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আমাদের দলীয় প্রার্থীদেরকে আগামী নির্বাচনে সাধারণ মানুষের কাছে ভোট চাইতে হবে। সুতরাং পুলিশের এসব বিতর্কিত ভূমিকা নিয়ে চুপ থাকার কোন সুযোগ নেই।”
এ বিষয়ে জানতে সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার অফিসিয়াল নম্বরে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘২ লাখ টাকা না দিলে আধ ঘণ্টার মধ্যে ক্রসফায়ার’

‘বেশি বাড় বাড়ছে, আগের বার চোখ বেঁধে বুকের মধ্যে পারা দিয়া মারছি সে কথা মনে নাই, এবার ধরতে পারলে গুলি দিয়ে মেরে ফেলবো’। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার সাব ইন্সপেক্টর (এসআই) তারেক সুমনের এই হুমকিতে তটস্থ চিনাইর গ্রামের আতাউর রহমান ও তার পরিবার। এরপর থেকে অনেকটাই পালিয়ে জীবনযাপন করছেন পরিবারের সদস্যরা।

পুলিশের এই সাব ইন্সপেক্টরের বিরুদ্ধে ক্রসফায়ারে হত্যার ভয় দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা আদায়ের অভিযোগও রয়েছে। তার বেঁধে দেয়া সময় আধ ঘণ্টার মধ্যেই টাকা নিয়ে হাজির হতে হয়েছে আটক এক প্রবাসীর স্বজনদের। এসব ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অভিযোগ এবং আদালতে মামলা হয়েছে। মাদক ব্যবসায় মদত, নানাভাবে সামারি, পুলিশের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে।

জেলা পুলিশের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন- এসআই তারেকের বিরুদ্ধে একটি গোয়েন্দা রিপোর্ট জেলা পুলিশের কাছে রয়েছে। যেটি অনুসন্ধান করে দেখছেন তারা। এ ছাড়া বিভিন্ন মহল থেকে তার বিরুদ্ধে আরো কিছু অপকর্মের অভিযোগ পাওয়ার কথাও জানান এই কর্মকর্তা।

সূত্র জানিয়েছে- প্রভাবশালী এক জনপ্রতিনিধির আগে-পিছে ডিউটির বদৌলতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে এই সাব ইন্সপেক্টর। স্ট্রং পার্টির লোক হিসেবেই পরিচিত হয়ে উঠেছে পুলিশ মহলে। সেকারণে তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাও নিতে পারছে না জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা।

সদর উপজেলার চিনাইর গ্রামের আতাউর রহমান গত ২০শে জুন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দেন সাব ইন্সপেক্টর তারেক সুমন ও যুবরাজের বিরুদ্ধে। অভিযোগে বলা হয়-গোলাম রহমান, আবদুল কুদ্দুস চৌধুরী, শামসুদ্দিন চৌধুরী, মোশাররফ হোসেন চৌধুরী ও আবদুল কাহার চৌধুরীর কাছ থেকে ১৯৮৯ সালের ১৩ই ডিসেম্বর ৯ শতক ভূমি ক্রয় করেন আতাউর। এরপরই ঘরবাড়ি করে সেখানে বসবাস শুরু করেন। বাংলাদেশ জরিপামলে এসএ ১২৮০ দাগ, বিএস ৩৬২৫, ৩৬২৮ ও ৩৬৩৩ দাগে এই ভূমি লিপিবদ্ধ হয়। আতাউরের নামে বিএস খতিয়ান লিপি না হওয়ায় বিএস খতিয়ান সংশোধনের জন্য ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল আদালতে (এলএসটি মামলা নং-২০৭/২০১৬ইং) মামলা করেন। যা বর্তমানে বিচারাধীন আছে। এই জায়গাটি দখল করার চেষ্টায় চিনাইর গ্রামের আবদুল হাইয়ের ছেলে জাহাঙ্গীর, জিল্লু রহমান ভূঁইয়ার ছেলে হামিদুল ভূঁইয়া, সামসু ভূঁইয়ার ছেলে আলম ভূঁইয়া, লাল মিয়ার ছেলে শাহআলম ও ঘাটিয়ারা গ্রামের মোবারক পুলিশ দিয়ে তার ওপর নির্যাতন করাচ্ছে। ধারাবাহিকভাবে চলছে পুলিশি নির্যাতন। জায়গাটি লিখে না দেয়ায় মাদক ও ডাকাতি মামলা দিয়ে জেলে পাঠানো হয় তাকে। ৬ মাস জেল খেটে সম্প্রতি বেরিয়ে আসেন তিনি। এখন আবার তাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে পুলিশ।

গত ৮ই জুন এসআই তারেক সুমন পুলিশ নিয়ে আতাউরের বাড়িতে হানা দেয়। এই সময় বাদী ও তার স্ত্রীকে না পেয়ে গুলি করে মারার হুমকি দিয়ে আসে।

এদিকে ক্রস ফায়ারে হত্যার ভয় দেখিয়ে ২ লাখ টাকা আদায় করার অভিযোগে সাব ইন্সপেক্টর তারেক সুমনের বিরুদ্ধে ২০শে এপ্রিল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন মুক্তিযোদ্ধা হামদু মিয়া। এই মামলায় আরো ৩ জন- পাঘাচং বড়বাড়ির সোলেমান মিয়া, সরকারবাড়ির নুরুল ইসলাম, আটলার আনু মিয়াকে আসামি করা হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ১৫ই মার্চ হামদু মিয়ার ছেলে সালাহ উদ্দিন বিদেশ থেকে দেশে আসেন। দেশে আসার পর সে আত্মীয়স্বজনকে উপহার ও টাকা পয়সা প্রদান এবং গরিব মানুষদের দান খয়রাত করে। এ বিষয়টি আসামিদের দৃষ্টিতে পড়ে। ১৬ই এপ্রিল বিকালে সালাহউদ্দিন চানপুর রেলব্রিজে বসে গল্পগুজব করার সময় সাব ইন্সপেক্টর তারেক সুমন সেখানে উপস্থিত হয়ে তাকে ধরে টেনেহিঁচড়ে চানপুর বাজারে এনে মাইক্রোবাসে উঠিয়ে নেয়। এরপর কোড্ডা ব্রিজের কাছে নিয়ে তাকে নামায়। এ সময় তারেকের সঙ্গে অস্ত্রধারী আরো ৬ জন ছিল। তারেকসহ এরা নিজেদের গোয়েন্দা পুলিশ বলে পরিচয় দেয়। তারা সালাহ উদ্দিনের কাছে ২ লাখ টাকা দাবি করে। টাকা দিতে ব্যর্থ হলে আধ ঘণ্টার মধ্যে ক্রসফায়ারে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেয়। সালাহ উদ্দিন তার পিতাকে ফোনে এই খবর জানালে মুক্তিযোদ্ধা হামদু মিয়া ও পরিবারের অন্য সদস্যরা দ্রুত তারেক সুমনের নির্দেশিত স্থান চানপুর বাজার রেলগেটে পৌঁছে টাকা নিয়ে। সেখানে টাকা গ্রহণ করে সালাহ উদ্দিনকে ছেড়ে দেয় এবং নিজেদের মধ্যে টাকা ভাগভাটোয়ারা করে চলে যায়। এই মামলাটি তদন্ত করছে পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর মাসুদ আলম জানান- মামলাটির তদন্ত শেষ হয়নি। তবে তদন্ত অনেকদূর এগিয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যেই তদন্ত প্রতিবেদন দেয়া হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসাইন বলেন- এসআই তারেক সুমনের বিরুদ্ধে আমাদের কাছে অভিযোগ রয়েছে। সেগুলো আমরা অনুসন্ধান এবং ওয়াচ করছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও জানানো হয়েছে।

তারেক সুমন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় এএসআই হিসেবে যোগদান করেন ২০১৪ সালের ১৬ই মার্চ। এসআই হিসেবে পদোন্নতির পর তার পোস্টিং হয়েছে একই থানায়। অভিযোগ, থানার এএসআই শাহিদুল, কনস্টেবল রহমান ও ওবায়েদকে সঙ্গী করে নানা অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে সাব ইন্সপেক্টর তারেক সুমন। এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তারেক সুমন বলেন- আমি যেহেতু একজন জনপ্রতিনিধির বডিগার্ড সেহেতু অনেকেই আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে পারে। সূত্র: মানবজমিন

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest