ডেস্ক রিপোর্ট : নির্মমতার বলির পথে যখন শিশু। তখন মানবতা আটকা পরে বর্বরতার জালে। ঠিক এমনটিই হচ্ছে মিয়ানমারে নিরীহ রোহিঙ্গাদের সাথে। যেখানে প্রতিনিয়তই প্রতিহিংসার আগুনে জ্বলছে রোহিঙ্গা ও তাদের বাড়ি ঘর। নির্মম অত্যাচার ও নির্যাতনের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেনা শিশু –নারীসহ কেউই।
এমনই এক দৃষ্টান্তের জ্বলন্ত সাক্ষী দেড় বছর বয়সের রোহিঙ্গা শিশু হারেজ। নিজ দেশের সেনাদের দেওয়া হিংসার আগুনে জ্বলসে গেছে তার শরীর। মায়ের কোলে চড়ে বাংলাদেশে এসে জীবন মৃত্যুর দোলাচলে শেষ আশাটুকু বেঁচে থাকলেও আর কত দিন বেঁচে থাকবে শিশুটি? আগুনে পুড়ে গেছে শিশু হারেজের অর্ধেক দেহ।
রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) কক্সবাজার সদর জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, কাতর দৃষ্টিতে চেয়ে আছে শিশুহারেজ। মায়ের সাথে কথা বলে জানা গেল, কারো সাথে আর কথা বলে না সে, আগে যেটুকু শব্দ করতো সেটিও কেঁড়ে নিল হিংসার আগুন। এখন জীবন প্রদীপও নেভার পথে। দেখা যায় মায়ের কোলে কাত হয়ে শুয়ে আছে নিশ্চুপ শিশু হারেজ।
তার মায়ের কাছে নির্মতার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বার্মিজ আর্মিরা গত ১০ দিন আগে তাদের বাড়ি ঘর পুড়িয়ে দেয়। তার স্বামীকে পুড়িয়ে মারে। কোন রকম জীবন বাঁচিয়ে শিশু পুত্রকে নিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন তিনি। শিশু হারেজের চিকিৎসা সপ্তাহ পার হলেও ক্রমেই নিভে আসছে তার জীবন প্রদীপ। তবুও শেষ সম্বল শিশুকে নিয়ে অনিশ্চিত জীবনে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখছেন শিশু হারেজের মা।
এদিকে হাসপাতালের দায়িত্বরত ডাক্তারের সাথে কথা বললে, তিনি বলেন, হাসপাতালে ভর্তি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মধ্যে বেশি আশঙ্কাজনক শিশু ও নারীরা। শিশুদের অনেকেই পুষ্টিহীনতার শিকার।
তিনি বলেন, এখানে আমাদের সাধ্যের চেয়ে দ্বিগুণ রোগী আসছে প্রতিদিন। তবুও আমরা সর্বাত্মক আন্তরিকতার সাথে সেবা দিয়ে যাচ্ছি।
প্রসঙ্গত, মিয়ানমারে গত ২৫ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া সংঘাতে এই পর্যন্ত ৬ লাখেরও অধিক রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। তাদের অধিকাংশই কক্সবাজারের উখিয়া ঘুমধুম সীমান্ত ও টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ দিয়ে অনুপ্রবেশ করছে। মানবিক কারণে তাদের আশ্রয় দিচ্ছে বাংলাদেশ। প্রতিদিনই মারাত্মক আহত অবস্থায় অনেক শরণার্থী ভর্তি হচ্ছেন আশপাশের হাসপাতাল গুলোতে।

বই বিতরণের পূর্বে শিক্ষা দিবস সম্পর্কিত অালোচনা ও সমসাময়িক প্রেক্ষাপটের ভিত্তিতে অদিতি অাদৃতা সৃষ্টি বলেন, ”সংগ্রাম ও ঐতিহ্যের মহান শিক্ষা দিবস অাজ। এই দিনে পাকিস্তানি শাসন, শোষণ ও শিক্ষা সংকোচন নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অনেকে শহিদ হন। তাঁদের স্মরণে পালিত হয় শিক্ষা দিবস। অাইয়ুব খান ক্ষমতা দখলের পর একটি শিক্ষা কমিশন গঠিত হয়। ২৭ টি অধ্যায়ের এ কমিশনে ধর্মান্ধ, পুঁজিবাদ, রক্ষণশীল, সাম্রাজ্যবাদী ও শিক্ষা সংকোচন নীতির পূর্ণ প্রতিফলন ঘটে। শিক্ষকদের কঠোর পরিশ্রম করানোর জন্য ১৫ ঘণ্টা কাজের বিধান করা হয়েছিলো। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-ছাত্রসহ বহু মানুষ এর বিরুদ্ধে অান্দোলন করে। অান্দোলনে পুলিশ মিছিলের পেছন থেকে লাঠিচার্জ,কাঁদানে গ্যাস ও গুলি করে।