সর্বশেষ সংবাদ-
দেবহাটায় কিশোর-কিশোরী ও যুবকদের সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে খেলাধুলার আয়োজনগণমানুষের স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান নলতা হাসপাতাল হুমকির মুখে :রক্ষার দাবিইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে সাতক্ষীরায় আহলে হাদীছ আন্দোলনেi বিক্ষোভপরীক্ষামূলক যুদ্ধবিমান (মডেল) তৈরিতে অবদানের জন্য বোরহান উদ্দীন- কে ছাত্রশিবিরের সম্মাননাপুনরায় সচল বৈছাআ, অসম্পূর্ণ কাজ বাস্তবায়নের ঘোষণা দিলেন সাতক্ষীরার আহ্বায়কজাতীয়তাবাদী সাইবার দল সাতক্ষীরা জেলা শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণাসাতক্ষীরায় আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া সংসদের পরিচিতি সভাসীমান্ত প্রেস কাবের সভাপতি ইমন – সম্পাদক লিংকন,সাতক্ষীরায় জেলা তাঁতীদলের সভাপতি রিপন – সম্পাদক সাহেব আলীআশাশুনিতে এক রাতে ৪ দোকানে দুঃসাহসীক চুরি

সাতক্ষীরা ক্রিকেট আম্পায়ার্স এসোসিয়েশন নির্বাচনে শফি-মুকুল পরিষদের জয়

মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : বাংলাদেশ ক্রিকেট আম্পায়ার্স এন্ড স্কোরার্স এসোসিয়েশ সাতক্ষীরা জেলা শাখার ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে শফি-মুকুল পরিষদ নিরুঙ্কুুশ বিজয় লাভ করেছে। রোববার সকাল ১০টা থেকে জেলা ক্রীড়া সংস্থা ভবনে জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশে বিরতিহীনভাবে দুপুর ১টা পর্যন্ত এ ভোট গ্রহণ চলে। ১২টি পদে মোট ২৪ জন প্রার্থী দুইটি প্যানেলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন প্রার্থীরা। পদাধিকারবলে সভাপতি জেলা পুলিশ সুপার মো. আলতাফ হোসেন পিপিএম (সেবা), পদাধিকারবলে সিনিয়র সহ-সভাপতি জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক এ. কে.এম আনিছুর রহমান। সহ-সভাপতি পদে মো. শফিকুল ইসলাম শফি ২৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রফিকুর রহমান লাল্টু পেয়েছেন ১৮ ভোট, সাধারণ সম্পাদক পদে আ.ম আখতারুজ্জামান মুকুল ২৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শাহ আলম হাসান শানু পেয়েছেন ১৬ ভোট, সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে মো. ইদ্রিস আলী বাবু ২৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ১৬ ভোট পেয়েছেন, কোষাধ্যক্ষ পদে মীর তাজুল ইসলাম রিপন ২৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিন হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. আব্দুস সামাদ পেয়েছেন ১৭ ভোট, দপ্তর সম্পাদক পদে কাজী মো. ফরহাদ ২৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. মহসীন পেয়েছেন ১৮ ভোট, পদাধিকারবলে ১নং সদস্য জেলা ক্রীড়া সংস্থার ক্রিকেট সম্পাদক শেখ আব্দুল কাদের। সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন মো. লুৎফর রহমান সৈকত (২৬) ভোট, শেখ আখেরুজ্জামান তাপস (২৫) ভোট, জি.এম সাইফুল ইসলাম বাপ্পি (২৫) ভোট, শেখ আসিফ কবির হীরন (২৪) ভোট, শেখ ফারুকার রশিদ (২৪) ভোট, মো. মনজুরুল হাসান আকাশ (২৪) ভোট, সাইফ উদ্দিন আহমেদ মুকুল (২৩) ভোট পেয়ে সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন আব্দুল মোমেন খান চৌধুরী সান্টু। নির্বাচন কমিশন সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মাহমুদ হাসান মুক্তি, মো. রুহুল আমিন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শিক্ষা দিবসে সাতক্ষীরায় শিক্ষার্থীদের হাতে মুক্তিযুদ্ধের বই তুলে দিল ছাত্র মৈত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : শিক্ষা দিব‌স উপল‌ক্ষ্যে বাংলা‌দেশ ছাত্র মৈত্রী সাতক্ষীরা জেলা ক‌মি‌টির পক্ষ থে‌কে সাতক্ষীরা অাঃ ক‌রিম বা‌লিকা মাধ্য‌মিক বিদ্যালয় ও পলাশপোল অাদর্শ উচ্চ বিদ্যাল‌য়ের শিক্ষার্থীদের মাছঝ বিশিষ্ট লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবাল এর “মু‌ক্তিযু‌দ্ধের ইতিহাস” বই‌ বিতরণ করেছে বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী সাতক্ষীরা জেলা শাখা। বই বিতর‌ণের পূ‌র্বে শিক্ষা দিবস সম্প‌র্কিত অা‌লোচনা করা হয় এবং বই বিতরণকা‌লে উপ‌স্থিত ছি‌লেন সাতক্ষীরা অাঃ ক‌রিম বা‌লিকা মাধ্য‌মিক বিদ্যাল‌য়ের প্রধাণ শি‌ক্ষিকা নাসরীন খান লি‌পি, পলাশ‌পোল অাদর্শ উচ্চ বিদ্যাল‌য়ের প্রধান শিক্ষক মো‌মিনুল ইসলামসহ অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলা‌দেশ ছাত্র মৈত্রী কেন্দ্রীয় ক‌মি‌টির সা‌হিত্য, সাংস্কৃ‌তিক ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও সাতক্ষীরা জেলা ক‌মি‌টির সাধারণ সম্পাদক অ‌দি‌তি অাদৃতা সৃ‌ষ্টি, সাতক্ষীরা জেলা ক‌মি‌টির রাজনৈ‌তিক শিক্ষা ও গ‌বেষণা সম্পাদক সা‌কিব মোড়ল, ‌জেলা ক‌মি‌টির সা‌হিত্য, সাংস্কৃ‌তিক ও ক্রীড়‌া সম্পাদক জয়ন্ত সরকার।
বই বিতর‌ণের পূ‌র্বে শিক্ষা দিবস সম্প‌র্কিত অা‌লোচনা ও সমসাম‌য়িক প্রেক্ষাপ‌টের ভি‌ত্তি‌তে অ‌দি‌তি অাদৃতা সৃ‌ষ্টি ব‌লেন, ‍”সংগ্রাম ও ঐতি‌হ্যের মহান শিক্ষা দিবস অাজ। এই দি‌নে পা‌কিস্তা‌নি শাসন,‌ শোষণ ও শিক্ষা সং‌কোচন নী‌তির বিরু‌দ্ধে লড়াইয়‌ে অনে‌কে শহিদ হন। তাঁ‌দের স্মরণে পা‌লিত হয় শিক্ষা দিবস। অাইয়ুব খান ক্ষমতা দখ‌লের পর এক‌টি শিক্ষা ক‌মিশন গঠিত হয়। ২৭ টি অধ্যা‌য়ের এ ক‌মিশ‌নে ধর্মান্ধ, পুঁ‌জিবাদ, রক্ষণশীল, সাম্রাজ্যবাদী ও শিক্ষ‌া সং‌কোচন নী‌তির পূর্ণ প্র‌তিফলন ঘ‌টে। শিক্ষক‌দের ক‌ঠোর প‌রিশ্রম করা‌নোর জন্য ১৫ ঘণ্টা কা‌জের বিধান করা হ‌য়ে‌ছি‌লো। বি‌ভিন্ন বিশ্ব‌বিদ্যালয়, ক‌লেজ,‌ শিক্ষা প্র‌তিষ্ঠানের শিক্ষক-ছাত্রসহ বহু মানুষ এর বিরু‌দ্ধে অা‌ন্দোলন ক‌রে। অা‌ন্দোল‌নে প‌ু‌লিশ মি‌ছি‌লের পেছন থে‌কে লা‌ঠিচার্জ,কাঁদা‌নে গ্যাস ও গুলি ক‌রে।
বর্তমা‌নেও সাম্প্রদা‌য়িকতার বিষ সমা‌জের প্র‌তিটা স্ত‌রে। শিক্ষাঙ্গনেও সাম্প্রদা‌য়িকতা। এখ‌নো মু‌ক্তিযু‌দ্ধের চেতনা বি‌রোধী সাম্প্রদা‌য়িক পাঠ্যপুস্তক বাতি‌লের দাবিতে অা‌ন্দোলন কর‌তে হয়। হেফাজ‌ত ইসলা‌মের কথায় পাঠ্যপুস্তক থে‌কে অসাম্প্রদা‌য়িক লেখা বা‌তিল হয়। বাংলা‌দে‌শ অসাম্প্রদায়িক হওয়ার প‌রিব‌র্তে দি‌নের পর অারও সাম্প্রদা‌য়িকতার বিষবা‌ষ্পে অন্ধকা‌রে ত‌লি‌য়ে যা‌চ্ছে। ‌নিজ নিজ জায়গা থে‌কে অসাম্প্রদা‌য়িক বাংলা‌দেশ গড়‌তে ভূ‌মিকা রাখুন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কলারোয়ায় স্কুল ছাত্রকে বেধড়ক পিটিয়েছে পাষণ্ড শিক্ষক; নেপথ্যে প্রাইভেট টিউশনি

আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরার কলারোয়ায় শ্রেণিকক্ষে বানান ভুল করার অপরাধে স্কুল শিক্ষকের বেতের আঘাতে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্র আহত হয়েছে। আহত স্কুল ছাত্রকে কলারোয়া হাসপাতালে ভর্তি করা ৮হয়েছে।
প্রাইভেট না পড়ায় ওই শিক্ষক ক্ষিপ্ত হয়ে বাবান ভুলের অভিযোগ এসে তাকে মারপিট করা হয় বলে জানান আহত ছাত্রের অভিভাবকরা।
আহত ছাত্রের বাবা উপজেলার তুলসীডাঙ্গা গ্রামের সুভাস ঘোষ জানান, তার ছেলে সুদীপ্ত ঘোষ কলারোয়া জিকেএমকে পাইলট হাইস্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। সপ্তম শ্রেণিতে থাকার সময় স্কুলের ইংরেজি শিক্ষক মনিরুজ্জামানের কাছে প্রাইভেট পড়াতো। অষ্টম শ্রেণিতে ওটার পর থেকে মনিরুজ্জামান আবারও তার কাছে প্রাইভেট পড়াতে ও নির্ধারিত গাইড অনুসরণ করতে চাপ দিয়ে আসছে।
শিক্ষক মনিরুজ্জামানের নির্দেশিত নোট গাইড অনুসরণ না করাসহ তার কাছে প্রাইভেট না পড়ার কারণে ছাত্র সুদীপ্তের উপর ক্ষিপ্ত ছিলো।
অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা জানায়, রোববার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে শ্রেণিকক্ষে একটি ইংরেজি শব্দের বানান ঠিক করে বলতে না পারায় শিক্ষক মনিরুজ্জামান বেঁতের লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারপিট করতে থাকে। এসময় ভয়ে শ্রেণিকক্ষের অন্য শিক্ষার্থীরা দৌড়ে বাইরে বেরিয়ে যায়। পরে জানতে পেরে সহকর্মী শিক্ষকরা এসে সুদীপ্তকে উদ্ধার করে অফিস কক্ষে নিয়ে তার বাবা-মাকে খবর দেয়া হয়। পরে তারা আহত সুদীপ্তকে নিয়ে কলারোয়া হাসপাতালে ভর্তি করে। সুদীপ্ত’র বাবা-মা ওই শিক্ষকের বিচার দাবি করেছেন।
শিক্ষক মনিরুজ্জামান জানান, সুদীপ্ত ভালো ছাত্র। সম্প্রতি পড়ালেখায় অমনযোগী হয়ে পড়ায় ও ক্লাসে বানান ভুল করার জন্য তাকে বেত দিয়ে মৃদু আঘাত করা হয়েছে। তার কাছে প্রাইভেট না পড়ার অজুহাতে মারপিট করার বিষয়টি সত্য নয়।
এদিকে কলারোয়া জিকেএমকে হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রব জানান, সুদীপ্ত ভাল ছাত্র, ক্লাসে অমনোযোগী থাকায় শিক্ষক মনিরুজ্জামান শাসন করার জন্য তাকে বেত্রাঘাত করলেও সে আঘাত গুরুতর নয়। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে নির্যাতনের বিষয়টি তিনি পরিচালনা কমিটির সভায় উত্থাপন করে ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা বলেন। কিন্তু শ্রেণি কক্ষে বেত নিয়ে যাওয়াটাই যেখানে গুরুতর অপরাধ সেখানে ওই শিক্ষক কিভাবে তা করলেন সে প্রশ্নের কোন সদুত্তর দেননি প্রধান শিক্ষক রব।
কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, আহত সুদীপ্তের দুই হাতে ৮-১০টি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার বাম বাহুতে আঘাতের ফলে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শ্যামনগরে প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় মাদ্রাসা ছাত্রীকে পিটিয়েছে এক বখাটে

মাহফুজুর রহমান তালেব : প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় শ্যামনগরে এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করেছে এক বখাটে। ঘটনাটি ঘটেছে মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের যতীন্দ্রনগর গ্রামে। জহিরনগর সিদ্দিকিয়া দাখিল মাদ্রাসার ৯ম শ্রেণির ছাত্রী খায়রুন্নেছা গত ১৬ সেপ্টেম্বর প্রতিদিনের ন্যায় মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে পার্শে¦খালী গ্রামের আক্তারুজ্জামান খোকনের পুত্র বখাটে রহমত গাজী তাকে উত্যক্ত করে এবং হাতে থাকা বই-খাতা কেড়ে নেয়। ঐ দিন মাদ্রাসায় ছুটির পরে বেলা আনমানিক ৩টার সময় বাড়ি ফেরার পথে বখাটে রহমত পুনরায় খায়রুন্নেছার নিকট প্রেমের প্রস্তাব দিলে সে তা প্রত্যাখ্যান করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বখাটে রহমত ছাত্রীটিকে এলোপাতাড়িভাবে বেপরোয়া মারপিট করে মারাত্মক আহত করে। স্থনীয়রা তাকে উদ্ধার করে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। আহত ছাত্রীটি পার্শ্বেখালী গ্রামের আ. মজিদ গাজীর কন্যা। উক্ত মাদ্রাসার শিক্ষক মো. আব্দুল করিম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলা করার প্রস্তুতি চলছিল বলে জানা গেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সু চি এখনই ব্যবস্থা না নিলে ‘ট্র্যাজেডি ভয়ংকর রূপ নেবে’-জাতিসংঘের মহাসচিব

জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেজ বলেছেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাসদস্যদের হামলা বন্ধে দেশটির কার্যত নেতা ও শান্তিতে নোবেলজয়ী অং সান সু চির সামনে রয়েছে আরেকটা সুযোগ।

বিবিসির সাক্ষাৎকারভিত্তিক ‘হার্ড টক’ অনুষ্ঠানে এমন অভিমত ব্যক্ত করেন গুতেরেজ।

জাতিসংঘের মহাসচিব বলেন, সু চি এখনই ব্যবস্থা না নিলে ‘ট্র্যাজেডি ভয়ংকর রূপ নেবে’।

মিয়ানমারের চলমান সহিংসতা জাতিগত নির্মূলে রূপ নিতে পারে বলে এর আগে হুঁশিয়ার করেছে জাতিসংঘ। তবে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গত মাসে প্রাণঘাতী জঙ্গি হামলার বদলা নিচ্ছে তারা, বেসামরিক লোকজনকে এর লক্ষ্যবস্তু বানানো হচ্ছে না।

জাতিসংঘে চলতি সপ্তাহে অনুষ্ঠেয় সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের আগে জাতিসংঘের মহাসচিব বিবিসিকে বলেন, মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণেই সেনাদের সাঁড়াশি অভিযান বন্ধে শেষ সুযোগ পাবেন সু চি।

‘তিনি (সু চি) যদি অবস্থার পরিবর্তন না করেন, তাহলে আমি মনে করি এই ট্র্যাজেডি ভয়াবহ রূপ নেবে এবং এর পর নিরাশার সঙ্গে বলতে হবে, আগামী দিনে এই সমস্যা কীভাবে বদলাবে, তার দিশা আমি দেখছি না’, বলেন জাতিসংঘের মহাসচিব।

বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের অবশ্যই নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরতে দেওয়া উচিত বলে অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন গুতেরেজ। তিনি আরো বলেন, মিয়ানমারে এখনো কলকাঠি নাড়ছে সেনারা এবং রাখাইনে যা চলছে তা চালু রাখতে চাপ দিচ্ছে তারা।

গত ২৪ আগস্ট রাখাইন রাজ্যে একটি সেনা ও ৩০টি পুলিশ পোস্টে হামলা চালায় রোহিঙ্গা বিদ্রোহীরা। তাদের সংগঠন রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) এই হামলার দায় স্বীকার করে। এর পর থেকে রোহিঙ্গাদের গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দিচ্ছে সেনাবাহিনী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী অন্য বাহিনীর সদস্য ও স্থানীয়রা। সেখানে নির্বিচারে খুন করা হচ্ছে নারী, শিশুসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে।

সেনাসদস্য ও তাদের দোসরদের এ হামলায় প্রাণভয়ে শনিবার পর্যন্ত চার লাখ নয় হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী হয়ে বাংলাদেশে ‌এসেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। আর এর ফলে বড় ধরনের মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরার ছেলে মুস্তাফিজ র‍্যাংকিংয়ে সেরা পাঁচে

ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে সাতক্ষীরার ছেলে মুস্তাফিজুর রহমানের পারফরম্যান্স ছিল যথেষ্টই ভালো। চোট থেকে সেরে ওঠার দীর্ঘ পর বল হাতে উজ্জ্বলতা ছড়িয়েছেন এই বাঁহাতি পেসার। এখন তাঁদের মিশন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ। এরই মধ্যে দল দক্ষিণ আফ্রিকায় পৌঁছেছেও। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে সিরিজ শুরুর আগে দারুণ একটি সংবাদ পেয়েছেন কাটার মাস্টার, আইসিসির টি-টোয়েন্টি র‌্যাংকিংয়ে সেরা পাঁচে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি।

আইসিসি ঘোষিত টি-টোয়েন্টির নতুন এই র‌্যাংকিংয়ের ৬৯৫ রেটিং পয়েন্ট পেয়ে পঞ্চম স্থানে আছেন মুস্তাফিজ। তাঁকে জায়গা দিতে ছয়ে নেমে যেতে হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্যামুয়েল বদ্রিকে। পাকিস্তানের স্পিনার ইমাদ ওয়াসিম আছেন শীর্ষ স্থানে। তাঁর রেটিং পয়েন্ট ৭৪২। ভারতের জাসপ্রিন্ত বুমরাহ ৭৩৭ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় এবং দক্ষিণ আফ্রিকার ইমরান তাহির আছেন তৃতীয় স্থানে। তাহিরের রেটিং পয়েন্ট ৭১৯। চারে থাকা আফগানিস্তানের লেগ স্পিনার রশিদ খানের রেটিং পয়েন্ট ৭১৭।

বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ৬৪৮ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে নবম স্থানে রয়েছেন। অবশ্য টি-টোয়েন্টির অল রাউন্ডারদের র‌্যাংকিংয়ে ৩৫৩ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে এই বাঁহাতি শীর্ষেই আছেন।

টি-টোয়েন্টি বোলিং র‍্যাংকিং

১. ইমাদ ওয়াসিম (৭৪২)

২. জাসপ্রিত বুমরাহ (৭৩৭)

৩. ইমরান তাহির (৭১৯)

৪. রশিদ খান (৭১৭)

৫. মুস্তাফিজুর রহমান (৬৯৫)

৫. স্যামুয়েল বদ্রি (৬৯৪)

৭. জেমস ফকনার (৬৮৮)

৮. সুনীল নারাইন (৬৭৬)

৯. সাকিব আল হাসান (৬৪৮)

১০. রবিচন্দ্রন অশ্বিন (৬২৬)

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় জাতীয় সংগীতকে বেদাত বলা মৌলভী তাহের আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয় সংগীতকে বেদাত ঘোষণা করা সাতক্ষীলা সদর উপজেলার বাঁশদহা আলহাজ্ব মোহাম্মদ আলী দাখিল মাদ্রাসার মৌলভী আবু তাহের জিয়াউদ্দীন মোঃ ইউসুফকে গ্রেফতার করেছে সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশ। রবিবার দুপুর ১টার দিকে সাতক্ষীরা শহরের রুপালী ব্যাংকের নিকট হতে তাকে গ্রেফতার করে সাতক্ষীরা সদর থানার উপ-পরিদর্শক বোরহান মিয়া। মৌলভী আবু তাহেরের গ্রামের বাড়ি যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার গৌরীঘোনা গ্রামে। তার বাবার নাম আব্দুল বারী ওয়াদুদী।
বাঁশদহা আলহাজ্ব মোহাম্মদ আলী দাখিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার রিয়াজুল ইসলাম বলেন, মৌলভী আবু তাহের ২০১০ সালে মাদ্রাসায় যোগদানের পর থেকে স্বেচ্ছাচারিতা শুরু করে। সে নিজে যেটা ভাল বুঝতো সেটাই করতো। ২০১৪ সালের ১১ সেপ্টেম্বর মাদ্রাসার দৈনিক সমাবেশে মৌলভী আবু তাহেরকে জাতীয় সংগীত গাইতে বলা হলে তিনি জাতীয় সংগীত না গেয়ে বলেন, আমি জামায়াত করি, দাঁড়িপাল্লায় ভোট দেই, জাতীয় সংগীত গাওয়া বেদাত সুতরাং আমি জাতীয় সংগীত গাইতে পারবো না।
একপর্যায়ে এ বিষয়টি নিয়ে শিক্ষক/কর্মচারী ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের সাথে তার কথা কাটাকাটি হয়। এরপর তিনি মাদরাসা হতে চলে যান। গত দুই বছর ধরে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। তাকে মাদরাসায় হাজীর হওয়ার জন্য একাধিকবার নোটিশ করা হয়। সর্বশেষ ২০১৪ সালের ৩০ নভেম্বর চূড়ান্ত কারণ দর্শনোসহ মাদরাসায় হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়। কিন্তু তিনি হাজির হননি। ফলে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ ২০১৬ সালের ১৮ আগস্ট সাতক্ষীরার জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থায় নিখোঁজের একটি আবেদন করেন। এছাড়াও ২০১৫ সালের ১৬ জানুয়ারী তারিখে দৈনিক খবরপত্র, ২০১৫ সালের ১৭ জানুয়ারী তারিখে দৈনিক কাফেলা, ২০১৫ সালের ২৪ আগস্ট তারিখে দৈনিক জনকন্ঠ পত্রিকায় মাদরাসা শিক্ষক নিখোঁজ শিরোনামে বিঞ্জপ্তি প্রকাশ করে। নিখোঁজ সংবাদ প্রকাশ করায় তিনি কয়েকটি প্রত্রিকার সম্পাদকের নামে মামলা করেন। এরপর ২০১৬ সালের ০২ নভেম্বর তারিখে দৈনিক জনকণ্ঠে’ রাজাকার পুত্র ইউসুফের খুঁটির জোর কোথায়’ শিরোনামে সচিত্র সংবাদ প্রকাশ করে। সেখানে ১৯৭১ সালে তাহেরের পিতা রাজাকার আব্দুল বারীর কাহিনি বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। মাদ্রাসায় যোগদানের পর হতে আবু তাহেরের চলাফেরা সন্দেহজনক ছিল। তার ১৫/১৬ টির মত মোবাইলের সিম আছে। তাছাড়াও তিনি মাদরাসায় থাকাকালীন সময়ে জামায়াতের রাজনীতি করতেন। এছাড়া তার কাছে জমায়াত, বিএনপি, আওয়ামীলীগসহ কয়েকটি দলের প্রত্যয়ন পত্র থাকতো। এতো অপকর্ম সত্ত্বেও আবু তাহের বাঁশদহা মাদরাসার শিক্ষক/কর্মচারী ও ম্যানেজিং কমিটির নামে একাধিক মামলা করেছেন।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মারুফ আহম্মেদ বলেন, মৌলভী আবু তাহের সি,আর-৬৮৬/১৩ মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপ-পরিদর্শক বোরহান মিয়া সাতক্ষীরার রুপালী ব্যাংকের নিকট হতে তাকে গ্রেফতার করেন। তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শাবনূরের ডিভোর্স গুঞ্জন নিয়ে মুখ খুললেন স্বামী

অভিনয় ছেড়ে দীর্ঘদিন ধরে স্বামীর সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ায় আছেন এক সময়ের তোলপাড় ফেলে দেয়া ঢাকাই ছবির চিত্রনায়িকা শাবনূর। সেখানেই সন্তান হয় তার। একমাত্র ছেলেকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়া থাকলেও বেশ কয়েক মাস ধরে ঢাকায় অবস্থান করছেন তিনি। মিশছেন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট মানুষদের সঙ্গেই। আর এই কারণেই মিডিয়ায় গুঞ্জন ওঠছে, তাহলে কি ডিভোর্সের পথে শাবনূর?

তবে এ বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করলেন অনিক। তিনি বলেন, ‘আমাদেরকে নিয়ে এ গুঞ্জন নতুন নয়। গত দু’বছর ধরে এটা শুনে আসছি। এ ব্যাপারে আমার বা শাবনূরের কোনো মাথা ব্যথা নেই। এটা ভিত্তিহীন গুজব।’

অনিক বলেন, ‘এটা ঠিক আছে আমরা দু’জন একসাথে মিডিয়ার সামনে খুব কমই আসি। কিন্তু একসাথে পারিবারিক নানা অনুষ্ঠানে অংশ নিই। এটা আমাদের বন্ধুদের জিজ্ঞেস করলেই জানতে পারবেন। এছাড়া আমাকে ব্যবসার কাজে প্রায়ই দেশের বাইরে থাকতে হয়। এ বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত আমি দেশের বাইরে ছিলাম। অন্যদিকে শাবনূরকেও নিজের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়।’

উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ৬ ডিসেম্বর ব্যবসায়ী অনিক মাহমুদের সঙ্গে শাবনূরের আংটি বদল হয়। এরপর ২০১২ সালের ২৮ ডিসেম্বর বিয়ে করেন তারা। ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর আইজান নিহান নামে পুত্র সন্তানের মা হন শাবনূর।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest