সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে সাপের কামড়ে শিশুর মৃত্যু।সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় ভ্যানচালক নিহতসাতক্ষীরার রাজ্জাক পার্কে সাশ্রয়ী মূল্যে মাসব্যাপী বসুন্ধরা পন্য বিক্রি শুরুসাতক্ষীরায় প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনার ৫ দিন পার না হতেই একই এলাকায় আবারো ডাকাতিএস এস সি পরীক্ষায় সাতক্ষীরা জেলায় প্রথম আহনাফ তাহসিনকারিগরি শিক্ষাকে মর্যাদা প্রদান ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাকে বিএসসি সমমান মর্যাদা ঘোষনার উদ্যোগে বিদ্বেষী কার্যক্রমের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনদেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ উদযাপনসাতক্ষীরায় ১২০ লিটার ভেজাল দুধ জব্দ: দেড় লক্ষ টাকা জরিমানা ও ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদ-সাতক্ষীরায় ৪ টি অস্ত্র, ২৯ রাউন্ড গুলি ও তিনটি ম্যাগাজিন জব্দসাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভাইস চেয়ারম্যান শামস্ : কোহিনুর

বলিউডে একের পর এক জীবনী নির্ভর সিনেমাগুলো বক্স অফিস বাজিমাত করছে। এরই ধারাবাহিকতায় আন্ডারওয়ার্ল্ডের ডন খ্যাত দাউদ ইব্রাহিমকে নিয়ে একটি সিনেমা তৈরি করতে যাচ্ছেন নতুন পরিচালক হানি ত্রিহান। ‘পিকু’র নস্ট্যালজিয়ার পর এবার ওই ছবিতেই ফের এক হচ্ছেন দীপিকা পাড়ুকোন ও ইরফান খান জুটি।

এবার আন্ডারওয়ার্ল্ডর কঠিন বাস্তবতার প্রেক্ষাপটের চিত্রনাট্যেই অভিনয় করবেন দুই অভিনেতা। শোনা যাচ্ছে, রহিমা খান, যিনি দাউদ ইব্রাহিমকে খুন করতে চেয়েছিলেন, সেই চরিত্রেই নাকি অভিনয় করবেন দীপিকা। রহিমা খান অন্ধকার জগতে ‘স্বপ্না দিদি’ নামেই পরিচিত ছিলেন। সেক্ষেত্রে দীপিকার চরিত্রের নাম রাখা হচ্ছে ‘স্বপ্না’। ইরফানের চরিত্র নিয়ে যদিও কোনও ইঙ্গিত মেলেনি।

নাম ঠিক না হলেও ছবির মুক্তির তারিখ নির্ধারণ করা হয়ে গেছে। আগামী বছরের ২ অক্টোবর আবারো এক সঙ্গে দেখা যাবে এই জুটিকে।
নতুন ছবি নিয়ে খবর রটতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় হইচই শুরু হয়েছে। ছবির নাম এখনও জানানো হয়নি। তবে বিশালের লেখা গল্প আর দীপিকা-ইরফান জুটির মিশেলে ফের সুপারহিটের আশা করছেন সিনেপ্রেমীরা।

উল্লেখ্য, হুসেন জাইদির লেখা ‘মাফিয়া কুইনস অব মুম্বাই’ নামক উপন্যাস থেকেই গল্প লিখেছেন বিশাল ভরদ্বাজ। ছবির প্রযোজকও বিশাল। আগামী জানুয়ারিতেই শুরু হচ্ছে শুটিং।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

অপ্রতিম রহমান : বরগুনার ইউএনও গাজী তারিক সালমানের গ্রেফতারের ঘটনায় বরিশাল ও বরগুনা জেলার জেলা প্রশাসককে (ডিসি) প্রত্যাহার করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

আজ দুপুরে তাদের প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা।

এর আগে ইউএনও গাজী তারিক সালমনের বিরুদ্ধে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ‘বিকৃতি’র অভিযোগে দায়ের করা মামলার ঘটনায় ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে মন্ত্রী পরিষদ। এ ঘটনায় বরিশাল জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের কার কি ভূমিকা ছিল তা জানতেই এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে এই কমিটি গঠিত হয়। এ কমিটিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জন নিরাপত্তা বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগ এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একজনকরে যুগ্ম সচিব রয়েছেন। কমিটিকে আগামী ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়।

মন্ত্রী পরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, ওই ঘটনায় বরিশাল জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় ওই ইউএনও’র বিরুদ্ধে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগে কমিশনারের পাঠানো সুপারিশটি যাচাইবাছাই করা হয়েছে। এতে ওই ইউএনও’র কোন দোষ খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাই সুপারিশটি খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ডেস্ক রিপোর্ট : মৌসুমী বায়ুচাপের প্রভাবে আগামী দুইদিন দেশের অধিকাংশ জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ও কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। রবিবার সন্ধ্যায় পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এসময় আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ী ও দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সেইসঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি অথবা বর্জসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। এছাড়া দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে।

এদিকে, মৌসুমী বায়ুর অক্ষ ভারতের রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ, বিহার, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাপঞ্চল হয়ে উত্তর-পূর্ব দিকে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত থাকায় মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় ও উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবলভাবে বিরাজ করছে।

এছাড়া, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এজন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকেব ৩ নম্বর পুনঃ ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

সূত্রপাত মূলত ‘রাজকাহিনী’ ছবি দিয়ে। বাংলাদেশের জয়া আহসান সৃজিত মুখার্জি পরিচালিত এ ছবিতে অভিনয় করেন। আর ছবিটির হিন্দি সংস্করণে কাজ করতে গিয়ে বিদ্যা বালান বাংলা ছবিটি খুঁটিয়ে দেখেন আগাগোড়া।

আর তখনই মুগ্ধ হয়েছিলেন বাংলাদেশের এ অভিনেত্রীর অভিনয় দেখে। আর এবার জয়ার নতুন স্বল্পদৈর্ঘ্য ইন্দ্রনীল রায় চৌধুরী পরিচালিত ‘ভালোবাসার শহর’ দেখে রীতিমতো আপ্লুত।

তার ভাষ্যটা এমন, ‘‘জয়ার অভিনয় আমি দেখেছি ‘রাজকাহিনী’তে। ওর মতো শক্তিশালী অভিনেত্রী খুব কমই দেখেছি। জয়ার জন্যে আমার পক্ষ থেকে অনেক হাততালি পাওনা রইল।’’
পশ্চিমবঙ্গের একটি পত্রিকায় বিদ্যা বিস্তারিত বলেছেন। ছবি সম্পর্কে বিদ্যার বক্তব্যটা এমন, ‘‘ভালবাসার শহর’ দেখার ইচ্ছেটা বাংলা ভাষার জন্যে ভালবাসা থেকেই। ছবিটি দেখার পর কিছুক্ষণ বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। চুপ করে বসেছিলাম। ভেতরে ভেতরে চলছিল একটা তীব্র অস্থিরতা। এ কোন পৃথিবীর দৃশ্য দেখলাম আমি! যুদ্ধবিধ্বস্ত হোমস শহরের ছবি আমাকে ঝাঁকুনি দিয়ে গেল। আমরা এখনও কতখানি অজ্ঞতা, কত দুর্বল স্মৃতি নিয়ে বসবাস করি এই পৃথিবীর বুকে। ভাবি, নিজেরা সেফ থাকলেই যথেষ্ট!’
ছবিতে জয়ার অভিনয় সম্পর্কে তার মন্তব্য, ‘‘অন্নপূর্ণা দাসের চরিত্রে কী অপূর্ব অভিনয় করেছে জয়া আহসান! একটি সাধারণ মেয়ে, যে মুসলিম ছেলের ওপর ভরসা করে ঘর ছেড়েছিল, শহর ছেড়ে বহু দূর দেশ সিরিয়ার হোমস শহরে চলে গিয়েছিল। সেই দুঃসাহসী মেয়ের জীবনে নেমে এল অন্ধকার। যুদ্ধের সময়ে নিরুদ্দিষ্ট স্বামী, কোমাচ্ছন্ন ছোট্ট মেয়ে, বৃদ্ধ বাবাকে নিয়ে এক নারীর কী অসমসাহসী লড়াই দেখাল ‘ভালবাসার শহর’, বলে বোঝানোর ক্ষমতা নেই আমার! কী অভিনয় করে দেখালে জয়া!’’
দেখুন ‘ভালোবাসার শহর’:

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ডেস্ক রিপোর্ট : বরগুনার উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) গাজী তারিক সালমনের একমাত্র পুত্রসন্তান ঈশান। বয়স পাঁচ বছর ছুঁই-ছুঁই। কয়েকদিন আগে টিভি পর্দায় বাবাকে পুলিশ ধরে নিয়ে যাচ্ছে দেখে তার মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সে তার মা তনুকে প্রশ্ন করেছে, ‘আমার বাবাকে পুলিশ ধরে নিয়ে যাচ্ছে কেন? বাবা কি দুষ্টু?’

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া আবেগপ্রবণ এক স্ট্যাটাসে এই তথ্য জানান সালমন। সোমবার (২৪ জুলাই) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এটি পোস্ট করেন তিনি। ঈশানের এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন উল্লেখ করে পরোক্ষভাবে নিজের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ, মামলা ও পুলিশি পদক্ষেপের প্রতিবাদ জানালেন বরগুনার ইউএনও।

তার লেখাটা এমন— ‘ঈশান একটা প্রশ্ন করেছে তার মাকে। যে প্রশ্নের উত্তর এখনও পায়নি সে। টিভি পর্দায় সে দেখেছে যে তার বাবাকে পুলিশ ধরে নিয়ে যাচ্ছে। সে জানে, পুলিশ দুষ্টু লোকদেরই ধরে শুধু (কারণ সে মাঝে মধ্যে ‘ক্রাইম পেট্রোল’ দেখে সনি এইট চ্যানেলে)। ঈশান জিজ্ঞাসা করেছে তার মাকে, ‘আমার বাবাকে পুলিশ ধরে নিয়ে যাচ্ছে কেন? বাবা কি দুষ্টু?’। তনু, আমার স্ত্রী, এই প্রশ্নটির জবাব দিতে পারেনি তার ছেলেকে এখনও। এই প্রশ্নের উত্তরটি আমরা খুঁজছি।”

৩ ঘণ্টার ব্যবধানে সালমনের স্ট্যাটাসে লাইক পড়ে সাড়ে ৭০০০’রও বেশি। এটি শেয়ার করেছেন প্রায় ৫০০ জন ফেসবুক ব্যবহারকারী। এছাড়া কমেন্ট করেছেন ৯৫৭ জন।
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্রে পঞ্চম শ্রেণির এক শিশুর আঁকা বঙ্গবন্ধুর ছবি ছেপে অবমাননার অভিযোগে বরগুনার ইউএনও সালমনের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেন বরিশাল আইনজীবী সমিতির সভাপতি সৈয়দ ওবায়েদ উল্লাহ সাজু। এ কারণে তার হাতে হাতকড়াও পরানো হয়।

বরিশালের আইনজীবী সমিতির সভাপতি ওবায়েদ উল্লাহ সাজু বাদী হয়ে গত ৭ জুন তৎকালীন আগৈলঝাড়ার ইউএনও এবং বর্তমানে বরগুনার ইউএনও গাজী তারেক সালমনের বিরুদ্ধে বরিশাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৫ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করেন। ওইদিন মামলা আমলে নিয়ে আদালতের বিচারক ২৭ জুলাইয়ের মধ্যে তাকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়ে সমন জারির আদেশ দেন। ১৯ জুলাই হাজির হলে তাকে জামিন দেন আদালত।

শিশুর আঁকা জাতির জনকের ছবি ব্যবহার করে কার্ড ছাপানোর কারণে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাজেহাল হওয়ায় ভীষণ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার নির্দেশে অ্যাডভোকেট ওবায়েদ উল্লাহ সাজুকে আওয়ামী লীগের বরিশাল জেলা শাখার ধর্মষিয়ক সম্পাদকের পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। রবিবার তিনি মামলাটি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নতুন মৌসুমের শুরুতেই হোঁচট খেল রিয়াল মাদ্রিদ। প্রাক-মৌসুমের প্রথম ম্যাচে ইন্টারন্যাশনাল চ্যাম্পিয়ন্স কাপে হেরে গেছে জিনেদিন জিদানের দল। যুক্তরাষ্ট্রের লেভিস স্টেডিয়ামে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কাছে পেনাল্টি শটে হারে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চ্যাম্পিয়নরা।

নির্ধারিত সময়ের খেলা ১-১ সমতায় শেষ হওয়ার পর পেনাল্টি শট আউটে ২-১ গোলে হারে রিয়াল। এই জয়ে প্রাক-মৌসুম সফরে অপরাজিত থাকল জোসে মরিনহোর দল। এর আগে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার সিটিকে ২-০ গোলে হারায় রেড ডেভিলসরা।

ম্যানইউর হয়ে প্রথম গোল করেন জেসি লিংগার্ড। পরে রিয়ালকে সমতায় ফেরান কাসমিরো।

এদিন আক্রমণ এবং রক্ষণভাগের দুই প্রধান সেনাকে ছাড়াই শুরু করেন জিদান। তবে রিয়াল কোচের পথে হাঁটেননি মরিনহো। রোমেলু লুকাকু ও পল পগবাসহ পুরো শক্তির দলই মাঠে নামান স্পেশাল ওয়ান।

খেলার শুরুতেই লিড নেয়ার সুযোগ পেয়েছিল ম্যানইউ। কিন্তু অ্যান্থনিও মাথিয়াল শেষ কাজটা করতে পারেন। পরে প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে এগিয়ে যায় মরিনহোর দল। রেড ডেভিলসদের লিড এনে দেন লিংগার্ড।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে অবশ্য গোল শোধের সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিল রিয়াল। কিন্তু সে সুযোগ হাতছাড়া করেন মার্কো কোভিচ। পরে ৬৫ মিনিটে রিয়ালকে সমতায় ফেরান তিনি। বাকি সময় কোন দল মুখ খুলতে না পারায় খেলা গড়ায় পেনাল্টিতে। তাতে ২-১ গোলে জয় পায় ম্যানইউ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

জর্ডানের রাজধানী আম্মানের ইসরায়েলি দূতাবাসে গুলিবর্ষণে দু’জন নিহত এবং একজন গুরুতর আহত হয়েছে।

আহতদের মধ্যে একজন ইসরায়েলি রয়েছে। রোববার এ ঘটনার পর দূতাবাস ঘিরে  রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সেখানে কাউকে ঢুকতে  দেওয়া হচ্ছে না। কর্মীদের সরিয়ে নিয়েছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।

তবে কীভাবে সেখানে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে সে বিষয় এখনও স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি।

নিহত জর্ডানের ওই নাগরিক দু’জন ছিলেন একটি আসবাবপত্র বিক্রয় কোম্পানির কর্মী।

পুলিশের বরাতে বলা হয়, গুলিবর্ষণের আগে একটি আসবাব কোম্পানির দুই কর্মী সেখানে ঢুকেছিলেন। তবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।

পূর্ব জেরুজালেমের হারাম-আল শরীফের প্রবেশ পথে  মেটাল ডিটেক্টর বসানোর প্রতিবাদে শুক্রবার আম্মানে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ করে কয়েক হাজার মানুষ।

১৯৪৯  থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত পূর্ব  জেরুজালেম দখলে রাখা জর্ডানই মুসলিমদের পবিত্র এই স্থাপনা দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে।

সম্প্রতি পূর্ব জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণের প্রবেশ মুখে ক্যামেরা বসায় ইসরায়েল। মুসলমানদের কাছে হারাম আল-শরিফ এবং ইহুদিদের কাছে টেম্পেল মাউন্ট নামে পরিচিত পবিত্র এই জায়গাটিতে নতুন নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে উত্তেজনা ও বিক্ষোভের মধ্যেই সেখানে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়।

এর আগে এক হামলায় দু’জন ইসরায়েলি পুলিশ নিহত হওয়ার পর থেকেই নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয় সেখানে। এর অংশ হিসেবে ইসরায়েল আল-আকসা মসজিদে ঢোকার পথে মেটাল ডিটেক্টর বসায় এবং ৫০ বছরের কম বয়ষ্কদের সেখানে যেতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ডেস্ক রিপোর্ট : গাজী তারিক সালমন যখন বুধবার সকালে বরিশালের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রিটের আদালতে হাজির হন, তখন বুঝতে পারেননি পরবর্তী কয়েক ঘণ্টা তাকে কিরকম হেনস্থার মধ্য দিয়ে যেতে হবে।
আদালতের জারি করা এক সমনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে সেখানে হাজিরা দিতে হয়েছিল। যে অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়েছে, সেটি জামিনের অযোগ্য কোন অপরাধ নয়। আর সরকারেরই একজন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা তিনি, একটি উপজেলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। তার জামিনের আবেদন নাকচ করে দিয়ে আদালত তাকে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেবেন, সেটা তিনি ভাবতেই পারেন নি।
“আদালতের নির্দেশ শুনে আমি খুবই অবাক হই, হতভম্ব হয়ে যাই।”
টেলিফোনে বিবিসি বাংলার মিজানুর রহমান খানকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বললেন তিনি।
“আমি কল্পনা করিনি যে আমার জামিন নামঞ্জুর করা হবে। একটি জামিন-যোগ্য ধারায় মামলাটি করা হয়েছে এবং যথাযথভাবে আদালতের সামনে আমার বক্তব্য উপস্থাপন করেছে আমার আইনজীবী। জামিন নামঞ্জুর করার পর আমাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়। আমি খুবই অপমানিত বোধ করি।”
বরগুনা সদরের ইউএনও-কে হাতকড়া পরিয়ে জেলে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখে স্তম্ভিত হয়েছেন বাংলাদেশের আরও অনেক মানুষ। যে ধরণের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়েছিল, সেরকম একটি মামলা যে করা যায়, আর সেই মামলায় একজন গুরুত্বপূর্ণ সরকারী কর্মকর্তাকে এভাবে ধরে নিয়ে যাওয়া যায়, তা অনেকের কাছেই অবিশ্বাস্য ঠেকেছে।
বাংলাদেশের জনপ্রশাসনের কর্মকর্তাদের মধ্যে এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া হয়েছিল মারাত্মক। তাদের একটি সংগঠনের তরফ থেকে বিবৃতি দিয়ে এই ঘটনার নিন্দা করা হয়েছে। এমনকি খোদ প্রধানমন্ত্রীর দফতরের কর্মকর্তারাও এ ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী।

কিন্তু কেমন করে এরকম একটি ঘটনা ঘটতে পারলো? এটি কি যা বলা হচ্ছে, আসলেই তাই? অর্থাৎ বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের ‘বিকৃত ছবি’ প্রকাশের কারণে হৃদয়ে আঘাত পাওয়া কোন মুজিব ভক্তের মামলা? নাকি এর পেছনে আছে অন্য কিছু?

বিবিসি বাংলাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে গাজী তারিক সালমন বিস্তারিতভাবে জানিয়েছেন, কিভাবে শিশুদের এক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে শেষ পর্যন্ত এরকম একটি হেনস্থার শিকার হয়েছেন তিনি।

১৭ই মার্চ বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম দিবসটি পালিত হয় জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে। সে উপলক্ষে আগৈলঝড়া উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে একটি চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। ক্লাস ওয়ান থেকে ক্লাস এইটের বাচ্চারা এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।
“তখনই ঘোষণা দিয়েছিলাম যে যারা প্রতিযোগিতায় প্রথম এবং দ্বিতীয় হবে তাদের ছবি ব্যবহার করেই ২৬শে মার্চের কার্ডটি ডিজাইন করা হবে। এই প্রতিযোগিতার থীম ছিল বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ।”
ঘোষণা অনুযায়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রতিযোগিতায় প্রথম হওয়া কার্ডটি ফ্রন্ট কাভারে এবং দ্বিতীয়টি ব্যাক কভারে ব্যবহার করে তার কার্ডটি ছাপান।
“আমি বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের অংশ হিসেবেই এই কার্ডটি ছাপানোর সিদ্ধান্ত নেই। বাচ্চাদের একটা ছবি ব্যবহার করি বাচ্চাদের উৎসাহ দেয়ার জন্য। আমি কল্পনাও করিনি যে এই কার্ডটি নিয়ে আমাকে এ ধরণের পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে। এবং আমার বিরুদ্ধে এরকম অমূলক একটি মামলা দায়ের করা হবে।”

গাজী তারিক সালমন জানান, কার্ডে তাদের পরিচিতিও লেখা ছিল তারা কোন ক্লাসে পড়ে। ছিল তারা যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী তার নাম। বাচ্চাদের এই ছবি নিয়ে বিভ্রান্তির কোন অবকাশ ছিল না।
পুরস্কার বিজয়ী যে ছবিটি নিয়ে এত বিতর্ক, প্রথম যখন তিনি সেই ছবিটি দেখেন, তাঁর কি মনে হয়েছিল?
“ছবিটি প্রথম দেখে মনে হয়েছিল খুবই দৃষ্টিনন্দন এবং খুবই সুন্দর একটা ছবি। ক্লাস ফাইভের একটি বাচ্চা এটি এঁকেছে, এবং তার বয়স বিবেচনায় খুবই সুন্দর একটি ছবি। এটিকে বিকৃত বলার কোন সুযোগ নেই। এবং এটিকে কেউ যদি বিকৃত বলে, সে নিজেই আসলে বিকৃত মনস্ক।
তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে কেন এই মামলা হলো? তাঁর কি মনে হয়?
“আমি আট মাস বরিশালের আগৈলঝড়া উপজেলায় কর্মরত ছিলাম। এসময় আমাকে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করতে হয়েছে। সরকারী বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ যাতে সঠিকভাবে যথাযথভাবে সম্পন্ন হয় সেজন্যে আমি তৎপর ছিলাম। কঠোর অবস্থানে ছিলাম। আমি সেখানকার আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করি। আমি অবৈধ স্থাপনা করতে দেই নি আমি যতদিন সেখানে ছিলাম। এসব কারণে সেখানকার প্রভাবশালীরা আমার বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ ছিল। আমার অনুমান, তারা আমাকে হয়রানি করার জন্য বাদীকে দিয়ে এই মামলাটি করিয়েছে।”
এই মামলার কিছুদিন পরে তারিক সালমনকে বরগুনা সদরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে বদলি করা হয়।
যেদিন তিনি বরগুনা সদরে জয়েন করেন, সেদিন বরিশালের কয়েকটি আঞ্চলিক পত্রিকায় তাকে নিয়ে একটি খবর প্রকাশিত হয়।
“জুনের ৪ তারিখে প্রকাশিত সব কটি পত্রিকার রিপোর্টের ভাষা ছিল একই রকম। শিরোণামটি ছিল ‘বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃতকারী সেই ইউএনও

আদালত প্রাঙ্গণে যা ঘটেছিল:
বিচারক যখন তার জামিনের আবেদন নাকচ করে দিলেন, কিছুটা হতভম্ব হয়ে পড়েছিলেন গাজী তারিক সালমন। তিনি বুঝতে পারেন নি, এরকম ঘটনা ঘটতে পারে।
“যখন আমার বিরুদ্ধে মামলা হয়, তখনই আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছিলাম। তারা আমাকে বলেছিলেন মামলা যেহেতু হয়েছে, মামলাটি আইনগত-ভাবে মোকাবেলা করতে হবে।”
“আমাকে ঠিক গ্রেফতার করা হয়নি। আমার যে জামিনের আবেদন সেটি নামঞ্জুর করা হয়। তারপর আমাকে কোর্টের গরাদখানায় নিয়ে যাওয়া হয়। আমাকে কারাগারে পাঠানোর প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছিল। তখন আমি পুলিশকে অনুরোধ করেছিলাম, দয়া করে আমাকে একটু সময় দিন। আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানানোর সুযোগ দিন।
গাজী তারিক সালমনের অনুরোধে পুলিশ তাকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার সুযোগ দেন। দু ঘণ্টা তিনি ছিলেন আদালতের গরাদখানায়। বেলা দেড়টার দিকে আদালতের বিচারক পিয়ন পাঠিয়ে তাকে ডেকে পাঠান। তাঁর আইনজীবীকেও ডেকে পাঠানো হয়।”

“আমি আদালতে যাই। এজলাসে যাই। কিন্তু বিচারক আমার মুখোমুখি হননি। তিনি খাস কামরায় বসে আমার জামিন মঞ্জুর হয়েছে মর্মে একটি আদেশ দেন। আদালতের পেশকার, তিনি আমার জেল পরোয়ানাটি আমার সামনেই ছিঁড়ে ফেলেন। তিনি আমাকে বলেন, আপনার কোন চিন্তা নেই। আপনার জেল পরোয়ানাটি ছিঁড়ে ফেলেছি।”

গত তিন দিন ধরে সারা বাংলাদেশ জুড়ে তাঁকে নিয়ে যে আলোচনা-বিতর্কের ঝড়, তারপর এখন তিনি কি করবেন? তিনি কি কোন আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের কথা ভাবছেন?
“এখনো সিদ্ধান্ত নেইনি। এব্যাপারে আমাদের সার্ভিসের এসোসিয়েশন রয়েছে। সবার সঙ্গে পরামর্শ করে আমি পরবর্তী ব্যবস্থা নেব।”
“আমাকে যে হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে, এটি মিডিয়াতে প্রকাশ হওয়ার পর, যে নিন্দার ঝড় বয়ে গেছে, সমস্ত দেশবাসী আমার পক্ষে দাঁড়িয়েছে। সংবাদকর্মীরা আমার পক্ষে কথা বলেছেন। আমি এজন্য কৃতজ্ঞ। এজন্যে আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।”
সূত্র : বিবিসি বাংলা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest