সর্বশেষ সংবাদ-
শ্যামনগরে কাজী আলাউদ্দীনের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পদেবহাটা উপজেলা জামায়াতের সুধী সমাবেশপ্রাণসায়ের খাল বাঁচাতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন ও সমাবেশদিনে ভোট, রাতে নয় আমার ভোট আমি দেব : আফরোজা আব্বাস অন্যায় কাজে কাউকে প্ররোচিত করবো না, উন্নয়নই হবে মূল লক্ষ্য : সাবেক এমপি হাবিবশোভনালীতে মানব পাচার প্রতিরোধ ও নিরাপদ অভিবাসন ডেস্ক উদ্বোধনআশাশুনির গোয়ালডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানববন্ধনজবাবদিহিতা ও মানবাধিকার সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে গোলটেবিল সভাতালায় টিআরএম কার্যক্রমের বকেয়া ক্ষতিপূরণের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলনপুজামণ্ডপে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে ব্যবস্থা: সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার

রোহিঙ্গাদের নিয়ে উদ্বেগ জার্মানির: মিয়ানমারকে সহায়তা বন্ধের ঘোষণা

মিয়ানমারে চলমান সহিংসতার কারণে উদ্বেগ প্রকাশ করে দেশটির বেশ কিছু খাতে সহায়তা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে জার্মানি। সোমবার জার্মানির উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট এই খবর প্রকাশ করেছে।

জার্মানির উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ক্যাথরিনা মায়েজ বলেন, মিয়ানমারে খাদ্য নিরাপত্তা, কর্মসংস্থান, চিকিৎসাসেবাসহ বেশ কয়েকটি খাতে সহায়তা করে আসছিল জার্মানি। যেসব অঞ্চলগুলোতে সহিংসতা চলছে সেখানে এই সহায়তা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সহিংসতা বন্ধ হলে আবার এই সহায়তা কার্যক্রম দ্রুত চালু করা হবে।

জার্মানির আরেক সরকারি মুখপাত্র স্টিফেন সেইবার্ট বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের চলমান সহিংসতার ঘটনাটি নিবিড় পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। মিয়ানমারের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় নোবেল বিজয়ী নেত্রী অং সান সু চিকে সসিংসতা বন্ধের পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানান তিনি।

গত ২৫ আগস্ট রোহিঙ্গা জঙ্গিরা রাখাইন রাজ্যের পুলিশ থানায় হামলা চালায় এবং ১২ জন নিরাপত্তাকর্মীকে হত্যা করে। এর পর থেকে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী নিরস্ত্র রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ-শিশুদের ওপর নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ চালাতে থাকে। সহিংসতার মধ্যে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছে সোয়া তিন লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
এবার জাতিসংঘকে জানানো হচ্ছে সাতক্ষীরার মুক্তামনির গল্প

ডেস্ক রিপোর্ট : এবার জাতিংঘকে জানানো হচ্ছে সাতক্ষীরার বিরল রোগে আক্রান্ত মুক্তামণির চিকিৎসায় সাফল্যের কথা। জানানো হচ্ছে তোহা-তহুরাকে সফলভাবে আলাদা করার গল্পও।

আগে ছিল তোফা-তহুরা, এখন তারা তোফা ও তহুরা। আগে ছিল এক শরীর, এখন পৃথক। আগে একজন আরেকজনকে দেখতে পেত না, এখন একজন আরেকজনকে জড়িয়ে ধরে, হাত দিয়ে মুখে চিমটি কাটে। তোফা ও তহুরা আজ বাড়ি ফিরছে, আর তাতে হাসি ফুটেছে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকসহ প্রতিটি কর্মকর্তা ও কর্মচারীর মুখে। তোফা ও তহুরার সুস্থ হয়ে বাড়ি যাওয়াতে তারা সবাই খুশি। কেবল তাই নয়, জানা গেল, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে বাংলাদেশের যে প্রতিনিধি দল অংশ নেবেন তারা সঙ্গে করে নিয়ে যাচ্ছেন বাংলাদেশের কিছু সাফল্যের গল্প, যে সাফল্যের মুকুটে পালক যোগ করেছে বাংলাদেশের চিকিৎসা সেবা, যেখানে ঠাঁই পেয়েছে তোফা ও তহুরা এবং মুক্তামনির চিকিৎসার সফলতার কথা।

আজ ১০ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে বিদায় দেওয়া হয় দেশের প্রথম ‘পাইগোপ্যাগাস শিশু’ তোফা ও তহুরাকে। হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়ার অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ এ তথ্য দেন। তিনি বলেন, তোফা ও তহুরা এবং মুক্তামনির সফল অপারেশনের খবর জাতিসংঘে যাচ্ছে বইয়ের পৃষ্ঠায় লিপিবদ্ধ হয়ে। স্বাস্থ্য খাতের সফলতা নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে একটি বই তৈরি করেছি, যে বইটি জাতিসংঘের অধিবেশনে আসা প্রতিটি দেশের প্রতিনিধি দলকে বিতরণ করা হবে।সেই বইয়ে মুক্তামনি এবং তোফা ও তহুরার ছবি এবং এদের চিকিৎসা করা চিকিৎসকদলের ‘সাকসেস স্টোরি’ আমরা লিপিবদ্ধ করেছি বলেন অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ।
দেশের প্রথম পাইগোপ্যাগাস শিশু তোফা ও তহুরা, আর রক্তনালীতে টিউমার নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল মুক্তামনি। তোফা ও তহুরার আগে বিশ্বে ১৩টি পাইগোপ্যাগাস শিশুর জন্ম হয়, যাদের ৬০ শতাংশই অপারেশন পরবর্তী জটিলতায় মারা যায়। কিন্তু প্রায় ৯ ঘণ্টার অস্ত্রোপচার শেষে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগের প্রায় ২০ থেকে ২২ জনের একটি দল জোড়া লাগা শিশু তোফা-তহুরার অস্ত্রোপচার করেন।

অপরদিকে, উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠাতে চাইলেও মুক্তামনির অপারেশন করতে অস্বীকৃতি জানায় সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতাল। পরে বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের চিকিৎসকরা। ৩০ জন বিশিষ্ট চিকিৎসকের নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও সে অনুযায়ী নেওয়া সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে মুক্তামনির হাত অক্ষুণ্ন রেখেই সফল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। তার হাত ও রক্তনালীতে আর কোনও টিউমার নেই বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। শিশুটি এখন হাসপাতালে নিবিড় শুশ্রূষার মধ্যে রয়েছে।

রবিবার হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, তোফা ও তহুরার মা ২৩ বছরের সাহিদার মুখ যেখানে দুইমাস আগেও ছিল বিষাদে ঘেরা, সেখানে আজ তার মুখের হাসি থামছিলই না। এক মেয়েকে পাশে রেখে আরেক মেয়েকে কোলে নিয়ে বাটি থেকে চামুচ দিয়ে ‍দুধ খাইয়ে দিচ্ছিলেন।আর কিছু সময় পরেই তারা হাসপাতাল ছাড়বেন বলে তোফা ও তহুরার বাবা রাজু মিয়া ব্যস্ত ছিলেন ব্যাগ গোছানোর কাজে। তবে এরমধ্যেই একমুখ হাসি নিয়ে তিনি বলেন, মেয়েদের নিয়ে বাড়ি যাচ্ছি-ওরা সুস্থ আছে, এটাই ছিল একমাত্র চাওয়া।

পরে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া অনুষ্ঠানে তোফা ও তহুরা হাজির হয় গোলাপি রং এর জামা,ম্যাচিং করে হেয়ার ব্যান্ড, হাতে চুড়ি, কপালে কালো ছোট কালো টিপ এবং কপালের আরেক পাশে নজর কাটানো টিপ দিয়ে। তারা বাবা মায়ের কোলে বসে কখনও কাঁদছে, কখনওবা আবার হাসছে, চিকিৎসকদের সঙ্গে সেলফি তোলায় তাকিয়ে থাকছে চোখ বড় করে। ছাড়পত্র দেওয়া অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম দুজনকেই একসময় একসঙ্গে কোলে তুলে নেন। এসময় তিনি গণমাধ্যমে সংবাদটি প্রাধান্য দিয়ে প্রচার ও প্রকাশের অনুরোধ জানান। কারণ, সীমিত সম্পদের মধ্যেও চিকিৎসাসেবায় এটি বাংলাদেশের অনন্য সাফল্যের দৃষ্টান্ত যা বিশ্ববাসীকে জানানোর পাশাপাশি তরুণ চিকিৎসকদেরও উৎসাহিত করবে।

ছাড়পত্র দেওয়ার পর তোফা ও তহুরার মা সাহিদা বেগম ও বাবা রাজু মিয়া চলে যান তাদের কেবিনে, কিছু গোছগাছ যে এখনও বাকি। কেবিনে গিয়ে দেখা যায়, তোফাকে কোলে নিয়ে খাওয়াতে ব্যস্ত মা, একসঙ্গে লাগানো দুটো বেডের আরেকটিতে হামাগুড়ি দিয়ে রয়েছে তহুরা। সে কাঁদছে,খেলছে আর হাসছে। মা সাহিদা বেগম হাসতে হাসতে বলেন, ১৮ বছর বয়সে বিয়ে হয়। একটি ছেলে ছিল, ইচ্ছে ছিল মেয়ে হবে একটা। কিন্তু এই মেয়েদুটো যখন হলো তখন কেবলই আমি কেঁদেছি―এই মেয়েদের নিয়ে আমি কী করবো, কোথায় যাবো, এরা বাঁচবে কী করে? কিন্তু তারপর যা হলো আমি তার জন্য এই হাসপাতালের চিকিৎসকসহ সবার কাছে কৃতজ্ঞ।

আর তোফা ও তহুরা যার অধীনে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ছিল, সেই চিকিৎসক ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. সাহনূর ইসলাম বলেন, ‘ওদের জন্ম গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর। ওরা এখানে আসে ৭ অক্টোবর। তারপর থেকেই আমার অধীনে ছিল। আমি এই এতগুলো মাস ঠিকমতো ঘুমাইনি, রাতে ঘুম ভেঙে যেত, একটা বিশাল চ্যালেঞ্জ ছিল, ইন্টারনেট ঘাঁটতাম, দেখতাম কীভাবে কী করা যায়। এর আগে পৃথিবীতে এ ধরনের ১৩টি জোড়া শিশুর জন্ম হয়েছিল, তাদের অস্ত্রোপচার কীভাবে করেছিলেন চিকিৎসকরা সেগুলো দেখতাম,পড়তাম। অবশেষে আমরা তোফা ও তহুরাকে পৃথক করতে পেরেছি।’ তিনি বলেন, ‘আজকের দিনটির অপেক্ষায় ছিলাম, কিন্তু গতকাল রাত থেকে ফাঁকা লাগছে বুকের ভেতরটা, এতোগুলো মাস ধরে দিনের অধিকাংশ সময় কাটাতাম ওদের পাশে।কাল থেকে আর সেটি হবে না।’

রোগীর জন্য আপনার এত কষ্ট হচ্ছে প্রশ্ন করলে অধ্যাপক ডা. সাহনূর বলেন, ‘ওরা আমার রোগী ছিল না, ওরা আমার মেয়ে।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ইট ইজ অ্যান অ্যাটাক অন বাংলাদেশ : অর্থমন্ত্রী

মিয়ানমারে রাখাইন প্রদেশে হত্যা-নির্যাতনের ফলে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী বেড়ে যাওয়াকে দেশটির পরোক্ষ আক্রমণ বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

সোমবার দুপুরে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালনা পর্ষদের সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন মন্ত্রী।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ইট ইজ অ্যান অ্যাটাক অন বাংলাদেশ। এটা বার্মার ইনডাইরেক্ট অ্যাটাক অন বাংলাদেশ। ’

মিয়ানমার সরকারের এমন আচরণের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তা বিশ্বকে ভেবে দেখতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আরেক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের জন্য যা কিছু করা দরকার, আমরা করছি। তাদের আশ্রয় দিচ্ছি, তাদের জন্য মায়ানমারে আলাদা জোন সৃষ্টি করার দাবিও তুলছি। ’
এর আগে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালনা পর্ষদের সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। সভায় হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে মাহবুবুল আলম সভাপতিত্ব করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দুদকের শুভেচ্ছা দূত সাকিব আল হাসান

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) শুভেচ্ছা দূত হলেন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত তারকা বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।

দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়তে একসঙ্গে কাজ করার লক্ষ্য নিয়ে সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে শুভেচ্ছা দূত হিসেবে নিয়োগ দেয় কমিশন।
এ উপলক্ষে আজ দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটি বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে ক্রেস্ট এবং ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়। এসময় দুদকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

সাকিব আল হাসানকে উদ্দেশ্য করে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, আমরা সম্মিলিতভাবে দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধ করার চেষ্টা করছি। আপনারা বিশেষ করে আপনি বাংলাদেশকে একটি বিশেষ মাত্রায় নিয়ে গেছেন। বিশ্বে বাংলাদেশকে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এজন্য আমরা গর্বিত।

তিনি বলেন, আপনি তরুণ, দেশকে কিছু দেওয়ার জন্য এখনই উত্তম সময়। আপনি দেশের কোটি কোটি তরুণ-তরুণীর আইকন। আপনার কারণে যদি দেশের ১০টি তরুণ সৎ জীবনযাপনে উদ্বুদ্ধ হয় সেটাও বিশাল প্রাপ্তি। তাই আপনাকে দুর্নীতি প্রতিরোধে কমিশনের শুভেচ্ছা দূত হিসেবে তরুণদের মাঝে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।

নন্দিত ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান দুর্নীতি দমন কমিশনের কার্যক্রমকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘দুর্নীতি দমন কমিশনের যেকোনো কর্মসূচিতে আমি আসব। আমরাও চাই দুর্নীতিমুক্ত দেশ। আমরা যখন কোনো দেশের অভিবাসন দফতরে আমাদের পাসপোর্ট জমা দেব, তখন তারা যেন মনে করে, বাংলাদেশের মানুষ দুর্নীতিমুক্ত এবং বিশ্বের রোল মডেল।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মিশরে আইএসের হামলায় ১৮ সেনা নিহত

মিশরের সিনাইয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর একটি সাঁজোয়া বহরে কথিত ইসলামিক স্টেটের (আইএস) অতর্কিত হামলায় কমপক্ষে ১৮ সেনা নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও সাতজন।
সোমবার উত্তর সিনাইয়ের আল-আরিশের ৩০ কিলোমিটার পশ্চিমে এই হামলার ঘটনা ঘটে।

দেশটির পুলিশ এবং সামরিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাস্তার পাশে পুঁতে রাখা বোমা চারটি সাঁজোয়া যান এবং একটি সিগন্যাল জ্যামিং যানে আঘাত হানলে সেগুলো বিধ্বস্ত হয় এবং আগুন ধরে যায়।

এরপর হামলাকারীরা রাইফেল দিয়ে গুলিবর্ষণ শুরু করে। একপর্যায়ে তারা একটি পুলিশ ট্রাকের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়।
নিহতদের মধ্যে দুইজন পুলিশ সদস্য রয়েছেন। এছাড়া আহতদের মধ্যে একজন বিগ্রেডিয়ার জেনারেল রয়েছেন বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

অবশ্য দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে হামলার কথা স্বীকার করলেও হতাহতের সংখ্যা উল্লেখ করেনি।

আমাক ওয়েবসাইটে দেয়া এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে ইসলামিক স্টেস্ট ইরাক অ্যান্ড লেভান্ত (আইএসএল) এই হামলার দায় স্বীকার করেছে।

সহিংসতা প্রবণ সিনাইয়ের ওই সশস্ত্র গ্রুপটি মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠীটির আনুগত্য প্রকাশ করেছিল। গ্রুপটি এর আগে জুলাইতে হামলা চালিয়ে রাফাহ এলাকায় ২৩ সেনাকে হত্যা করেছিল। সূত্র: আল-জাজিরা

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনিতে প্রতিমা ভাংচুরের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

আশাশুনি ব্যুরো: আশাশুনি উপজেলার কুল্যায় প্রতিমা ভাংচুর ও মন্দির সভাপতিসহ ৫জনকে পিটিয়ে যখম করার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিকাল ৩টায় কুল্যা বাঁকা সড়কের কচুয়া সর্বজনীন দূর্গা মন্দিরের সামনে মন্দির কমিটি এবং এলাকার সর্ব স্তরের জনগনের আয়োজনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মন্দির কমিটির সভাপতি উজ্জল ঘোষের সভাপতিত্বে মানববন্ধনের প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনায় প্রকৃত দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী ও সংখ্যালঘু নির্যাচনের বিচারের দাবি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সদস্য সাংবাদিক অসিম বরুন চক্রবর্তী, সাবেক উপজেলা তরুণলীগ সভাপতি ওমর সাকী পলাশ, কুল্যা ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি ইয়াহিয়া ইকবাল, ইউপি সদস্য আলমগীর হোসেন আঙ্গুর, রফিকুল ইসলাম পান্না, মোঃ নজরুল ইসলাম, উত্তম কুমার দাশ প্রমুখ। এসময় বক্তরা বলেন কুল্যা ইউনিয়ন একটি শান্তির নীড়, আর সেখানে প্রতিমা ভাংচুরের মত ঘটনা অতন্ত দুঃখজনক। ৬সেপ্টেম্বর রাতে কচুয়া সর্বজনীন দুর্গা মন্দিরের কয়েকটি প্রতিমা ভাংচুরের প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় নিয়ে কঠিন শাস্তির দাবী জানান। এসময় মন্দির কমিটির সভাপতির উজ্জল ঘোষ তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন আমরা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হওয়ায় মন্দির কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক এবারের দুর্গা পূজা আমরা বর্জন করছি। উলেখ্য: গত ৬সেপ্টেম্বর রাত ১২টার দিকে ছাত্রলীগের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে ওয়ার্ড ছাত্রলীগ সভাপতি প্রার্থী ও কচুয়া সর্বজনীন দূর্গা মন্দিরের সভাপতি উজ্জল ঘোষসহ ৫জন আহত হয়। এজহারে উল্লেখ করা হয় স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায় সকালে দেখতে পায় কচুয়া সর্বজনীন দুর্গা মন্দিরের কয়েকটি প্রতিমা ভাংচুর করা হয়েছে। এব্যাপারে উজ্জল ঘোষের বাবা বাবুলাল ঘোষ বাদি হয়ে ১৫ জনকে আসামি করে আশাশুনি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ০৫, তাং ০৭(৯)১৭।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রাম রহিম যৌন উন্মাদ -স্বাস্থ্য পরীক্ষক চিকিৎসক দল

দুই নারী ভক্তকে ধর্ষণের দায়ে ২০ বছরের কারাদণ্ড পাওয়া ভারতের কথিত ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিমের ভয়ংকর রকমের যৌনাসক্তি রয়েছে। তাঁর এই সমস্যার চিকিৎসা সম্ভব বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত শনিবার রোহতকের কারাগারে রাম রহিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন একদল চিকিৎসক। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ওই চিকিৎসক দল এ তথ্য জানিয়েছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, কারাগারে থাকা রাম রহিম চিকিৎসকদের জানিয়েছেন, কারাগারে শারীরিকভাবে তিনি খুব অস্বস্তি ও অস্থিরতায় ভুগছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে চিকিৎসক দলের একজন বলেন, ‘রাম রহিম একজন যৌন উন্মাদ ব্যক্তি। কারাগারে শারীরিক সংসর্গ করার কোনো ব্যবস্থা না থাকায় তিনি অস্থির। যদি এখনই তাঁর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে তাঁর বড় ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হবে।’

প্রতিবেদনে বলা হয়, রাম রহিম মাদকাসক্ত কি না, এ ব্যাপারে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বেশ কিছু প্রতিবেদনে জানা গেছে, ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত তিনি মদ্যপান করতেন।

রাম রহিমের ডেরার সাবেক সদস্য গুরুদাস সিং তুর দাবি করেন, ‘রাম রহিম এখন মদ্যপান করেন না। তবে তিনি নিয়মিত এনার্জি ড্রিংক ও যৌন উত্তেজক পানীয় খেতেন; যা অস্ট্রেলিয়াসহ অন্য দেশ থেকে নিয়ে আসা হতো।’

রায় ঘোষণার সময় আদালতে গুরমিত রাম রহিম নিজেকে নপুংসক বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘১৯৯০ সাল থেকে আমি শারীরিকভাবে অক্ষম, নপুংসক। আমার পক্ষে কাউকে ধর্ষণ করা সম্ভব নয়।’

এ প্রসঙ্গে সিবিআইকে দেওয়া জবানবন্দিতে গুরুদাস সিং তুর বলেন, ‘তিনি মিথ্যাবাদী, তিনি নপুংসক নন। ১৯৯০ সালে তিনি যখন ডেরার প্রধান হন, তখন তাঁর ছেলের বয়স কয়েক মাস। মানুষ যখন তাঁর পুরুষত্ব পরীক্ষা দাবি জানিয়েছিলেন, তখন তিনি কথা ঘুরিয়ে বলেছিলেন যে শুধু স্ত্রীর সঙ্গেই তাঁর শারীরিক সম্পর্ক রয়েছে। তিনি আদালতকে ভুল পথে চালিত করার চেষ্টা করেছিলেন।’

প্রতিবেদনে বলা হয়, কারাগারে যাওয়ার সময় পালিত কন্যা হানিপ্রীতের সঙ্গে জেলে রাত্রিবাস করার আবেদন করেছিলেন রাম রহিম। তিনি দাবি করেছিলেন, হানি তাঁর ফিজিওথেরাপিস্ট। তবে সেই আবেদন খারিজ করে দেয় কারা কর্তৃপক্ষ। পরে কারাগারে যাঁদের সঙ্গে রাম রহিম নিয়মিত দেখা করতে চান, এমন ১০ জনের তালিকায় স্ত্রী হরজিৎ কৌরের বদলে হানিপ্রীতের নাম দিয়েছিলেন তিনি।

রাম রহিম কারাগারে যাওয়ার পর থেকে হরিয়ানায় সিরসার ডেরায় নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। সেখানে অভিযানের শুরুর দিকে বিপুল পরিমাণ কনডম ও জন্মনিরোধক ওষুধ জব্দ করা হয়। ডেরার ভেতরে সাধ্বী হোস্টেলে রাম রহিমের সরাসরি যাতায়াত ছিল। ওই যাতায়াতের জন্যই দুটি গোপন সুড়ঙ্গ তৈরি করা হয়েছিল। শনিবার ডেরার ‘গুফা’ থেকে সাধ্বী হোস্টেল পর্যন্ত একটি গোপন সুড়ঙ্গের সন্ধান পাওয়া যায়। এ ছাড়া তাঁর ডেরায় পানির নিচে গোপন ‘সেক্স কেভ’ বা ‘যৌন গুহার’ সন্ধান পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ডেরার প্রাসাদ চত্বরে যে সুইমিং পুল রয়েছে, তার নিচেই ওই ‘যৌন গুহা’ গড়ে তুলেছিলেন ডেরাপ্রধান রাম রহিম। গোপন গুহায় নারীদের নিয়ে অনৈতিক কার্যকলাপ করতেন তিনি। শুক্রবার রাম রহিমের ডেরায় শত শত আধা সামরিক বাহিনীর সদস্য, সরকারি কর্মকর্তা, পুলিশ ও ভিডিও চিত্র সাংবাদিকের বিশাল একটি দল অভিযান চালিয়ে এই গুহার সন্ধান পায়।

গত ২৫ আগস্ট দুই নারী ভক্তকে ধর্ষণের অভিযোগে করা দুটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয় রাম রহিমকে। এরপর নেওয়া হয় রোহতক শহর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরের সানোরিয়া কারাগারে। এতে রাম রহিমের সমর্থকেরা পঞ্চকুলা এলাকায় তাণ্ডব শুরু করেন। পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষে ৩১ জন নিহত ও ২৫০ জন আহত হন। পরে ২৮ আগস্ট রাম রহিমকে দুটি মামলায় ১০ বছর করে ২০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন সিবিআই আদালত।

সূত্র : প্রথম আলো অনলাইন।

 

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আগামী নির্বাচনে আমরা সাতক্ষীরাবাসীর ভোট চাইতে পারব তো – মো. মিজানুর রহমান

সাতক্ষীরার মানুষ নৌকায় ভোট দেওয়ার জন্য অপেক্ষায় আছে । একজন সরকারি দলের নেতা হিসাবে হয়ত বা আমার প্রকাশ্যে এরকম লেখাটা যথার্থ নয়। কিন্তু সাধারণ জনগণকে নিয়েইতো আমাদের রাজনীতি। আমরা জানি , ২০১৮ সালের ডিসম্বরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু সাতক্ষীরার সাধারণ মানুষকে যে সরকারে উপর ক্ষেপিয়ে তোলা হচ্ছে সেটা গ্রামের বিভিন্ন চায়ের দোকানের আড্ডা থেকে বোঝা যায় । সাতক্ষীরা শহরের প্রধান সড়কটি গত কয়েক বছর ধরে যে খারাপ অবস্থায় ছিল তা এবছর চরম বাজে অবস্থায় পৌঁছেছে। এর সাথে যোগ হয়েছে বিদ্যুৎ বিভ্রাট। সাতক্ষীরা পল্লীবিদুৎ এর খামখেয়ালিপনায় গত কয়েক দিনে লক্ষ করলে দেখা যায় যে, গ্রামে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টার বেশি বিদ্যুৎ পাচ্ছে না। ভাদ্রের এই গরমে মানুষের কষ্ট দেখার যেন কেউ নেই।
আর আছে পুলিশের চরম হয়রানি, গ্রেপ্তার বাণিজ্য। প্রতিবাদ করার মত সাহসী নেতা সাতক্ষীরায় নেই বলে মনে হয়। এসকল বিষয়গুলো নিয়ে সাতক্ষীরার সাধারণ জনগনণর মাঝে সরকারের বিরুদ্ধে বিরুপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হচ্ছে। অথচ বিগত কয়েক বছরে আমাদের নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে উন্নয়নের এক অসামান্য মডেল হিসেবে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে পেরেছেন। তার নেতৃত্ব বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হচ্ছে। স্বাধীনতার পরে বাংলাদেশের এত অগ্রগতি আর কেউই করতে পারেননি। দেশের অর্থনীতি নানাবিধ প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও দুর্ঘটনার মধ্যে এক অনন্য উচ্চ শিখরে পৌঁছেছে। কিন্তু, আমার সাতক্ষীরাার মানুষের কাছে জবাব দিতে পারছিনা, রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ আর পুলিশি হয়রানির কারণে। সুতারাং এখুনি এই সকল বিষায়ের সুস্থ সমাধান না করতে পারলে আগামীতে ভোট চাইতে গেল ভোটের পরিবর্তে আমাদের সাধারণ ভোটারদের গালাগালি শুনতে হবে।

লেখক: সভাপতি, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest