সর্বশেষ সংবাদ-
দেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ উদযাপনসাতক্ষীরায় ১২০ লিটার ভেজাল দুধ জব্দ: দেড় লক্ষ টাকা জরিমানা ও ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদ-সাতক্ষীরায় ৪ টি অস্ত্র, ২৯ রাউন্ড গুলি ও তিনটি ম্যাগাজিন জব্দসাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভাইস চেয়ারম্যান শামস্ : কোহিনুরকালিগঞ্জ সীমান্ত থেকে ১১টি এয়ারগান,৬ হাজার ৯শ রাউন্ড গুলি জব্দসদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সোহাগের মনোনয়নপত্র বৈধসাতক্ষীরা কম্পিউটার সমিতির পূর্ণাঙ্গ কমিটির সংবর্ধনাবঙ্গমাতা সাংস্কৃতিক জোট সাতক্ষীরা জেলা শাখার নবগঠিত কমিটির পরিচিতি সভাআশাশুনি থেকে জেলি পুশরত চিংড়িসহ নারী শ্রমিক আটকসাতক্ষীরায় ৭২০ কেজি আম, ৪০৯ কেজি চিংড়ী জব্দ : ১লক্ষ ৫ হাজার টাকা জরিমানা

ডেস্ক রিপোর্ট : কেবল সার্কিট হাউসে ভাড়া বকেয়া নয়, বিনা ভাড়ায় লঞ্চে যাতায়াতের কথা ফাঁস হয়েছে বরিশালের মুখ্য মহানগর হাকিম মো. আলী হোসাইনের বিরুদ্ধে। যাত্রী চাপ থাকায় ঈদুল ফিতরে পছন্দের বিনা ভাড়ার সিটের টিকেট দিতে বিলম্ব হওয়াতে গ্রীন লাইন ওয়াটারওয়েজের কর্মকর্তা মো. লিপটনকে পুলিশ দ্বারা ডাকিয়ে নেওয়া হয়েছিল। একথার সত্যতা স্বীকার করেন কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আওলাদ হোসেন। বিচারকরা প্রভাব খাটিয়ে বিনা ভাড়ায় যাতায়াত করলে এটা নৈতিকতার পরিপন্থি বলে জানালেন নাগরিক সমাজের নেতৃস্থানীয়রা।
গ্রীন লাইন ওয়াটারওয়েজের কর্মকর্তা মো. লিপটন বলেন, প্রায় আড়াই বছর আগে বরিশাল টু ঢাকা রুটে নদীপথে তাদের গ্রীন লাইনের যাত্রা শুরু হয়। এর মাস কয়েক পরই চিফ মেট্রেপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পেশকার মো. সুমন হাওলাদার তাদের বিচারক মো. আলী হোসাইনের জন্য টিকেট নিতে আসেন। বিনা ভাড়ায় টিকেট চাইলে অপারগতা প্রকাশ করলে নানা ধরনের হয়রানির ভয় দেখায়। এরপর টিকেট দিতে রাজি হলেও তাও আবার সৌজন্য লেখা যাবে না বলে আপত্তি তোলেন পেশকার সুমন। অবশেষে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালে চাহিদা অনুযায়ী টিকেট দিতে বলেন। প্রতি বৃহস্পতিবার চিফ মেট্রেপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হোসাইন বরিশাল থেকে ৩টার লঞ্চে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হন। মাস ছয়েক হলো তার সাথে আরো যুক্ত হয়েছেন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক গোলাম ফারুকের জন্য বিনা ভাড়ায় টিকেট নেওয়া। এই দুই বিচারককে তাদের পছন্দের ছিট দিতে হয়।
গ্রীন লাইন ওয়াটার ওয়েজের এই কর্মকর্তা আরো বলেন, এবার ঈদুল ফিতরে দুই বিচরকের পছন্দের সিট দিতে না পারায় বরিশাল কোতোয়ালি থানার পুলিশ তাকে ডেকে নিয়েছিলেন। অবশ্য পুলিশ বিষয়টি জানতে পেরে তার সাথে খারাপ কোন আচরণ করেননি।
এনিয়ে কথা বলার জন্য চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক বা পেশকারকে মুঠোফোনে বার কয়েক কল দিলেও তারা রিভিস করেননি। তবে কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আওলাদ হোসেন বলেন, তাদের কাছে বলায় গ্রীন লাইনের কর্মকর্তাকে ডেকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন মাত্র।
অপরদিকে ২০১৫ সালে ২৭ অক্টোবর থেকে ২০১৬ সালের ২৮ জুন পর্যন্ত সার্কিট হাউজের ৭ নম্বর কক্ষে বাস করে মাত্র ৫ দিনে ৩৯০ টাকা ভাড়া প্রদান করেছেন চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. আলী হোসাইন। তার কাছে ৯৩ হাজার ৯৫০ টাকা পাওনা আছে বলে ৪ আগস্ট ২০১৬ তারিখ ওই সময়ের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর কল্যাণ চৌধুরী চিঠি দিয়েছিলেন। সার্কিট হাউসের দায়িত্বে থাকা এনডিসি মোহাম্মদ নাহিদুল করিম বলেন, বকেয়া ভাড়া এখন পর্যন্ত পরিশোধ করেননি চিফ মেট্রেপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট।
লঞ্চে বিনা ভাড়ায় টিকেট নেওয়া সার্কিট হাউসের ভাড়া পরিশোধ না করার বিষয়ে পাবলিক প্রসিকিউটর গিয়াস উদ্দিন কবুল বলেন, তিনি জানতেন লঞ্চে তাদের কোটায় থাকা সিটে ভাড়া পরিশোধ করে বিচারকরা যাতায়াত করেন। ভাড়া না দিয়ে যাতায়াত করে থাকলে এটা নৈতিকতা বিরোধী। এ নিয়ে সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট এসএম ইকবাল বলেন, বিচারকদের পরিচ্ছন্ন মনোভব থাকা আমাদের কাম্য। এ বিষয়গুলো সমাজের মানুষ জানতে পারলে তাদের সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা জন্ম নিবে এটাই স্বাভাবিক।
উল্লেখ্য, দেশব্যাপী আলোচিত চলমান ঘটনা শিশুদের আঁকা বঙ্গবন্ধুর ছবি দাওয়াতপত্রে ব্যবহার করায় আগৈলঝাড়ার সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাজী তারিক সালমানের বিরুদ্ধে ৭ জুন ৫ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ চেয়ে মানহানি মামলা হয়েছিল। চিফ মেট্রোপলিটন আদালতে এই মামলাটিরবাদী হলেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ ওবায়েদ উল্লাহ সাজু। বর্তমানে বরগুনা সদর উপজেলায় কর্মরত ইউএনও গাজী তারিক সালমান ১৯ জুলাই আদালতে হাজির হলে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। তবে এর দুঘণ্টা পর প্রশাসনের হস্তক্ষেপে জামিন মেলে। এঘটনায় মামলার বাদী জেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ ওবায়েদ উল্লাহ সাজুকে দল থেকে সময়িক বহিষ্কারের নির্দেশ দেন কেন্দ্রীয় কমিটি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ন্যাশনাল ডেস্ক : মাত্র ২ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে বাংলাদেশ থেকে দুই বছরে প্রায় ১৩ কোটি টাকা লভ্যাংশ নিয়ে গেছে ভারতীয় কোম্পানি হাঙ্গামা। এই টাকা কোম্পানিটির মূলধনের প্রায় ৩২০ গুণ। বিষয়টিকে বাংলাদেশ ব্যাংক ‘অস্বাভাবিক ব্যবসায়িক কর্মকা-’ হিসেবে দেখছে। এই বিষয়ে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থার (বিটিআরসি) চেয়ারম্যানকে ‘হাঙ্গামা (বাংলাদেশ) প্রাইভেট লিমিটেডের অনিবাসী শেয়ার হোল্ডারদের অনুকূলে মাত্রাতিরিক্ত লভ্যাংশ প্রেরণ প্রসঙ্গে’ কয়েকটি বিষয়ে অভিমত চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক দুই বার চিঠি দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে বিটিআরসির সচিব মো. সরওয়ার আলম বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিষ্ঠানটির বিষয়ে জানতে চেয়ে বিটিআরসিতে চিঠি দিয়েছে। এ বিষয়ে অপারেটরদের কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার পর তদন্ত করে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হাঙ্গামা’র বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের অভিযোগ, ২ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে ২০১৫ সালে ৬ কোটি ৭৪ লাখ ৮১ হাজার ২৫০ এবং ২০১৪ সালে ৬ কোটি ৭ লাখ ৩৩ হাজার ১২৫ টাকা লভ্যাংশ বাবদ ভারতে পাঠানো হয়েছে। এই টাকা ওই কোম্পানির মূলধনের প্রায় ৩২০ গুণ। বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুসন্ধানে জানা গেছে, হাঙ্গামার কর্মী-সংখ্যা মাত্র ১ জন। এছাড়া স্থায়ী কোনও স্থাপনা নেই। স্থায়ী স্থাপনাবিহীন ‘স্বল্প মূলধনী’ এ প্রতিষ্ঠানটি তাদের ১ জন মাত্র কর্মী দিয়ে মূলধনের প্রায় ৩২০ গুণ লভ্যাংশ ভারতে পাঠানোর বিষয়টিকে ‘অস্বাভাবিক ব্যবসায়িক কর্মকা-’ বলে অভিহিত করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বিটিআরসিকে দেওয়া চিঠিতে ‘হাঙ্গামা’কে ‘শতভাগ বিদেশি মালিকানাধীন অখ্যাত একটি কোম্পানি’ হিসেবে উল্লেখ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
প্রাপ্ত নথিপত্র পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ‘হাঙ্গামা’ ভারতের হাঙ্গামা ডিজিটাল মিডিয়া এন্টারটেইনমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড ও নিরাজ রায় (পরিচালক)-এর শতভাগ মালিকানাধীন একটি কোম্পানি। প্রতিষ্ঠানটি মোবাইলফোনের ওয়াপ, সিআরবিটি (কলার রিং ব্যাক টোন) আইভিআর (ইন্টারঅ্যাক্টিভ ভয়েস রিকগনিশন) এবং মিউজিক স্ট্রিমিং সেবা দেয়। ‘হাঙ্গামা’র আর্থিক বিবরণী পর্যালোচনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ধরা পড়েছে, প্রতিষ্ঠানটির আয়ের সিংহভাগ (বেশির ভাগ অংশ) বিভিন্ন মোবাইলফোন অপারেটরগুলোর কাছে বিভিন্ন সেবা বিক্রির মাধ্যমে আসে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের উপ-মহাব্যবস্থাপক (বৈদেশিক মুদ্রা বিনিয়োগ বিভাগ-প্রফিট, ডিভিডেন্ড রেমিটেন্স শাখা) মো. আলী আকবর ফরাজী স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বিটিআরসির কাছে এই ধরনের সেবাদানের জন্য কোনও অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে কিনা, এজন্য শতভাগ বিদেশি মালিকানাধীন অখ্যাত একটি কোম্পানিকে অনুমোদন দেওয়ার আদৌ কোনও যৌক্তিকতা আছে কিনা এবং মোবাইলফোন অপারেটরদের এত উচ্চমূল্যে এসব সেবা (ওয়াপ, সিআরবিটি, আইভিআর ও মিউজিক স্ট্রিমিং সেবা) দেওয়ার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ আরোপের প্রয়োজন আছে কিনা, এ সব বিষয়ে অভিমত চাওয়া হয়েছে।
এছাড়া সম্প্রতি বিটিআরসিতে শর্টকোড চেয়ে আবেদন করেছে হাঙ্গামা। শর্টকোডটি ই-এন্টারটেইনমেন্ট (মিউজিক, ওয়ালপেপার, অ্যানিমেশন, গেমস, ভিডিও) সার্ভিসের চাওয়া হয়েছে। শর্টকোড বরাদ্দ দিতে বিটিআরসির অনুকূলে ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা (১৫ শতাংশ ভ্যাটসহ) চেকের মাধ্যমে পরিশোধ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। শর্টকোড চেয়ে টাকা জমা দেওয়ার আবেদনপত্রে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক হিসেবে নিরাজ রায়ের স্বাক্ষর রয়েছে। স্বাক্ষরের নিচে ভারতের একটি ফোন নম্বর দেওয়া রয়েছে। প্যাডে প্রতিষ্ঠানটির গুলশানের ঠিকানা দেওয়া থাকলেও তাতে কোনও ফোন নম্বর বা ই-মেইল ঠিকানা নেই। বাংলাদেশ ব্যাংকের চিঠি পাওয়ার পর বিটিআরসি বিষয়টি আমলে নিয়েছে। শর্টকোডের বিষয়টি খতিয়ে দেখবে বলে জানা গেছে।
হাঙ্গামার কার্যালয় গুলশানে। বৃহস্পতিবার দুপুরে গুলশান এক নম্বরের ১২৬ নম্বর রোডে অবস্থিত কার্যালয়ে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। সিঁড়ির কাছের দেয়ালে সাঁটানো প্লাস্টিকের সাইনবোর্ডে ‘হাঙ্গামা’র লোগো বসানো। নিচে ইংরেজিতে লেখা হাঙ্গামা (বাংলাদেশ) প্রাইভেট লিমিটেড। ভবনটির ৪র্থ তলায় সিআইএমএ ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টিং নামের একটি অফিসের সঙ্গে হাঙ্গামার অফিস শেয়ার করা। অফিসে ঢোকার মূল দরজা একটিই। দরজা ঠেলে ভেতরে ঢুকলে ডান পাশের দরজাওয়ালা কক্ষটি হাঙ্গামার। দরজার ওপরে সাদা কাগজে কালো হরফে লেখা হাঙ্গামা (বাংলাদেশ) প্রাইভেট লিমিটেড। দরজায় তালা ঝোলানো ছিল। সিআইএমএ ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টিং প্রতিষ্ঠানের কর্মী আজিজুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে জানান, ‘অফিস মাঝে মাঝে বন্ধ থাকে। তবে একজন কর্মী অফিসে বসেন।’ (বৃহস্পতিবার) কেন অফিস বন্ধ জানতে চাইলে তিনি তা বলতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘একটি কক্ষেই হাঙ্গামার অফিস।’ তিনি ওই কক্ষটি দেখেছেন বলেও দাবি করেন।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, ‘হাঙ্গামা’ বাংলাদেশে নিবন্ধিত (বাংলাদেশ অফিস অব দ্য রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মসে) একটি কোম্পানি। যার নিবন্ধন নম্বর সি-৮৬৪৮৪। বিটিআরসিতে শর্টকোডের জন্য টাকা জমা দিয়ে নম্বর চেয়ে আবেদনের নিচে নিরাজ রায়ের দেওয়া ফোন নম্বরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফোন করা হলে অন্য প্রান্ত (ভারত) থেকে জানানো হয়, এটা হাঙ্গামার ভারতের মুম্বাই অফিসের নম্বর, কথা বলা হয় রিসিপশন থেকে। নিরাজ রায়ের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে এই প্রতিবেদককে জানানো হয়, নিরাজ রায় অফিসে নেই। মোবাইল নম্বর চাইলেও দেওয়া হয়নি। পরে আবার ফোন করলে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করিয়ে প্রিয়াংকা নামের একজনকে দেওয়া হয়, যিনি হাঙ্গামার মুম্বাই অপারেশন দেখেন বলে জানান। তিনি জানান, ‘হাঙ্গামার বাংলাদেশের অফিস চালু রয়েছে। ওই অফিস থেকেই বাংলাদেশের কার্যক্রম পরিচালিত হয়।’ বৃহস্পতিবার গুলশানে অফিসে গিয়ে বন্ধ থাকার কথা তাকে জানালে, কেন অফিস বন্ধ তা তিনি জানাতে পারেননি। তিনি আরও জানান, ‘বাংলাদেশের মোবাইলফোন ব্যবহারকারীরা তাদের কাছ থেকে কনটেন্ট নিয়ে থাকে।’ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি কিছু জানাতে পারেননি। প্রিয়াংকা এই নম্বর নিয়ে জানান, ‘কিছুক্ষণের মধ্যে তাদের আইন বিভাগের কর্মকর্তা ফোন করে বিস্তারিত জানাবেন। এদিকে দেশের একাধিক মোবাইলফোন অপারেটরের কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, তাদের গ্রাহকরা বিভিন্ন কনটেন্ট প্রোভাইডারদের থেকে মোবাইলে গান, ওয়াল পেপার ডাউললোড করেন, রিংটোন বা ওয়েলকাম টিউন সেট (এজন্য মোবাইল গ্রাহকের ব্যালেন্স থেকে টাকা কেটে নেওয়া হয়) করেন, তার জন্য ওই প্রতিষ্ঠান (হাঙ্গামার মতো অসংখ্য প্রতিষ্ঠান রয়েছে) সংশ্লিষ্ট অপারেটরের সঙ্গে চুক্তির শর্তানুযায়ী রাজস্ব ভাগাভাগি করে। হাঙ্গামাও বিভিন্ন অপারেটরের কাছ থেকে প্রাপ্ত রাজস্ব ভাগাভাগির বেশিরভাগ অর্থ থেকে লভ্যাংশ (প্রায় ১৩ কোটি) বাবদ ভারতে পাঠিয়েছে।
কনটেন্ট নিয়ে কাজ করেন, এমন কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ ব্যক্তির সঙ্গে আলাপ করলে ভবিষ্যতে তাদের সমস্যা হতে পারে ভেবে কেউই উদ্ধৃত হয়ে কথা বলতে রাজি হননি। তবে তারা এজন্য ভ্যাস (ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিস) গাইডলাইন না থাকাকে দায়ী করেন। তাদের ভাষ্য, ভ্যাস গাইডলাইন থাকলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে সেবা দিতে হলে নিয়ন্ত্রক সংস্থা থেকে লাইসেন্স নিতে হতো। তাহলে জবাবদিহির একটা বিষয় থাকতো। অনুমোদন নেওয়ার কোনও বাধ্যবাধকতা থাকলে যেকেউ যেনতেনভাবে ব্যবসা করে যেতে পারত না। বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই চিঠিতে এ ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলোর অনুমোদন না নেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে তা যুক্তিযুক্তও কিনা জানতে চাওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জানতে চাইলে বিটিআরসির সচিব মো. সরওয়ার আলম বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিষ্ঠানটির বিষয়ে জানতে চেয়ে বিটিআরসিতে চিঠি দিয়েছে। দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক স্পষ্ট জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠানটির কোনও স্থায়ী স্থাপনা নেই এবং এর শুধু একজন কর্মী রয়েছে। আমরা সব মোবাইলফোন অপারেটরের কাছে এই ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে চেয়েছি। অপারেটরদের থেকে তথ্য পাওয়ার পর তদন্তের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

এম.শাহীন গোলদার : সাতক্ষীরা জেলাব্যাপী পুলিশের নাশকতা ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে ৩৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় ০৫পিচ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যা থেকে আজ সকাল পর্যন্ত জেলার আটটি থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার হয়। এ সময় বিভিন্ন অভিযোগে ০৫টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ১৪ জন, কলারোয়া থানা ০৩ জন, তালা থানা ০৪ জন, কালিগঞ্জ থানা ০২ জন, শ্যামনগর থানা ০৩ জন, আশাশুনি থানা ০৪ জন, দেবহাটা থানা ০২ ও পাটকেলঘাটা থানা থেকে ০১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মিজানুর রহমান তাদের গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ডেস্ক রিপোর্ট : বরিশাল সিএমএম আদালতে দায়িত্বরত ছয় পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। গত ১৯ জুলাই বরিশালের সিএমএম আদালতে জামিনের আবেদন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গাজী তারেক সালমন। জামিন মঞ্জুর না করে বিচারক তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এসময় আদালতে দায়িত্বে থাকা পুলিশের ছয় সদস্য তারেক সালমনকে তাড়াহুড়ো করে গারদে নিয়ে যান।
পুলিশ সদস্যদের প্রত্যাহারের বিষয়টি শনিবার দিবাগত রাত সোয়া একটার দিকে নিশ্চিত করেছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (ডিবি) নাসির উদ্দিন মল্লিক।
তিনি জানান, প্রশাসনিক কারণে সিএমএম আদালতে দায়িত্বরত পুলিশের একজন এসআই, দু’জন এএসআই এবং তিন জন কনস্টেবলকে সেখান থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। তারা হলেন, এসআই নৃপেন দাস, এএসআই শচীন ও মাহবুব এবং কনস্টেবল জাহাঙ্গীর, হানিফ ও সুজন।
উল্লেখ্য, বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার সাবেক ইউএনও (বর্তমানে বরগুনার সদর উপজেলায় কর্মরত) গাজী তারিক সালমনকে বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃত করে আমন্ত্রণ পত্রে ছাপানোর অভিযোগ এনে গত ৭ জুন মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) আদালতে মামলা করেন জেলা আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক ও বরিশাল আইনজীবী সমিতির সভাপতি ওবায়েদ উল্লাহ সাজু ।
সমন পেয়ে ১৯ জুলাই গাজী তারিক সালমন বরিশাল সিএমএম আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য ও জেলা সম্পাদকের নেতৃত্বে আওয়ামীপন্থী অর্ধশতাধিক আইনজীবী জামিনের বিরোধিতা করেন। তাই জামিন যোগ্য ধারা হলেও আবেদন প্রত্যাখ্যান করে বিচারক প্রথমে গাজী তারিক সালমনকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তখন আদালতে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা তাকে তাড়াহুড়ো করে ধরে আদালতের গারদে নিয়ে যান। এ ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

শ্যামনগর প্রতিনিধি : শনিবার সকাল ১১ টায় শ্যামনগর উপজেলার আটুলিয়া ইউনিয়নের সর্বচ্চ বিদ্যাপীঠ নওয়াবেঁকি মহাবিদ্যালয়ে জাঁকজমকপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে একাদশ শ্রেণির নবীনবরণ অনুষ্ঠান। নওয়াবেঁকি মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) একরামুল কবিরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি শ্যামনগর সদর ইউপি চেয়ারম্যান এড. জহুরুল হায়দার বাবু। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন রাজবাড়ি ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক জুলফিকার আল মেহেদী লিটন, নকিপুর এইচ সি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ড. আব্দুল মান্নান, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক বীর মুক্তিযোদ্ধা মাস্টার নজরুল ইসলাম, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস সহ মহাবিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক শিক্ষিকাবৃন্দ। ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি ছিলো নতুন প্রাণের স্পর্শে স্পন্দিত ও আনন্দ হিল্লোলে মুখরিত। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন “তোমাদেরকে এই সোনার বাংলায় সোনার মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এই জন্য তোমাদেরকে সক্ষম ও সৎ চরিত্রবান হতে হবে”। তিনি আরো বলেন, বিদ্যার সাথে বিনয়, শিক্ষার সাথে দীক্ষা, কর্মেরসাথে নিষ্ঠা, জীবনের সাথে দেশপ্রেম এবং মানবীয় গুণাবলীর সংমিশ্রণ ঘটাতে পারলে সত্যিকারের আদর্শবান মানুষ হওয়া যায়। তিনি শিক্ষকদেরকে বলেন, আমাদের সন্তানদের মধ্যে যে শক্তি লুকিয়ে আছে তা জাগিয়ে তুলতে হবে। তিনি ছাত্র ছাত্রীদেরকে আরো বলেন, তোমরা তরুণ সমাজ এদেশের ভবিষ্যৎ কর্ণধার এ দেশ তোমাদেরকেই এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।অনুষ্ঠান শেষে ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

মোস্তাফিজুর রহমান : আশাশুনিতে পারিবারিক অশান্তি, পিতা-মাতার উপর অভিমান ও সামাজিক নানা অসঙ্গতির কারনে দিন দিন অপমৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। আর এ আতœহত্যার মিছিলে উঠতি বয়সীদের সংখ্যাই বেশি। গত ৭ জুলাই থেকে ১৯ জুলাই-২০১৭ সময়ে (১৩ দিন) এ মিছিলে যোগ দিয়েছে ৪ জন। যাদের ২জন মাধ্যমিকের ছাত্রী, ১জন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র ও ১জন নব-বধু। জানা গেছে, এ অপমৃত্যুগুলো হয়েছে গলায় ফাঁস দিয়ে। গত ৭ জুলাই শুক্রবার সন্ধ্যায় কুঁন্দুড়িয়া গ্রামের রিক্সা চালক শওকত গাজীর কন্যা ও কুঁন্দুড়িয়া পি এন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী ফাতিমা খাতুন গলায় ফাঁস দিয়ে আতœহত্যা করে। পিতা-মাতা জানায়, তাদের মেয়ে ফাতিমা ছোট বেলা থেকে মানষিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। অভাবের সংসারে মেয়ের স্কুলের খরজসহ অন্যান্য খরজের টাকা ঠিক মত দিতে না পারায় মায়ের সাথে অভিমান চলছিল। সর্বশেষ ঘটনার দিন সন্ধ্যায় তার মা প্রতিবেসির নিকট থেকে টাকা ধার নিতে গিয়েছিল। টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরে দেখে তার আদরের মেয়েকে তার পড়ার ঘরের আড়ায় বাধা রশ্মি থেকে নামাচ্ছে। রশ্মি থেকে নামানোর পরেও ফাতিমা জীবিত ছিল কিন্তু ডাঃ আসার আগেই তার মৃত্যু হয়। থানার এস আই শাহ মোঃ আব্দুল আজিজ সঙ্গিয় ফোর্স ঘটনা স্থান পরিদর্শন কালে প্রতিবেদককে জানান, কারো কোন অভিযোগ না থাকায় এবং উপর মহল থেকে দাফনের অনুমতি নিয়ে আসায় ময়না তদন্ত ছাড়াই তার দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়।
৯ জুলাই রবিবার সন্ধ্যা ৭টায় উপজেলার বুধহাটা বিবিএম কলেজিয়েট স্কুলের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ওই গ্রামের নজরুল ইসলামের কন্যা সুপ্তিয়ারা পিয়াকে সাংসারিক বিষয় নিয়ে মা বকনি দিলে মায়ের উপর অভিমান করে গলায় উড়না পেচিয়ে ঘরের আড়ার সাথে ওড়না বেঁধে আতœহত্যা করে। এ ঘটনায় এসআই আব্দুর রাজ্জাক এ প্রতিবেদককে জানান, তিনি অভিযোগের ভিত্তিতে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরিকালে মৃত পিয়ার থুতুলের নিচে ডান পার্শে বৃদ্ধাঙ্গুলের ন্যায় রক্তজমাট কালশিরা যুক্ত একটি মারাত্তক আকারের দাগ দেখতে পায়। তাছাড়া গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যার তেমন কোন চি‎হ্ন দেখতে না পেরে সন্দেহ হয়্। বাধ্য হয়ে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে ময়না তদন্তের জন্য শতবার বাধ সাধার সত্ত্বেও তিনি সকল বাঁধা উপেক্ষা করে নিহাতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা মর্গে প্রেরন করেন। তিনি আরও জানান, ভিসারা রিপোর্ট শেষে আত্মহত্যা নাকি অন্য কোন সমস্যা সে বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আশাশুনি সদর ইউনিয়নে ভাত দিতে দেরি হওয়ায় মায়ের উপর অভিমান করে রানা নামে প্রথম শ্রেণির এক ছাত্র আতœহত্যা করে। সবদালপুর গ্রামের মোঃ মুনছুর সরদারের পুুত্র সবদালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ম শ্রেণির ছাত্র মোঃ রানা ১০জুলাই সোমবার সকালে নিজ বাড়ীর ঘরের আড়ার সাথে ও গলায় গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। এক্ষেত্রেও কারো কোন অভিযোগ না থাকায় ময়না তদন্ত ছাড়াই লাশের দাফন সম্পন্ন হয়। সর্বশেষ বিয়ের রেশ কাটতে না কাটতেই ১৯জুলাই বুধবার ভোররাতে ঘরের আড়ার সাথে ওড়না দিয়ে ফাঁস আটকে আলো খাতুন নামে নববধুর আত্মহত্যা। যার বিয়ে হয়েছিল মাত্র দেড় মাস পূর্বে। আলো খাতুনের স্বামী আশাশুনি সদরের শীতলপুর গ্রামের শহিদুলের বক্তব্য প্রতিদিনের ন্যায় ঘটনার দিন সে ভোর রাতে ব্যবসার মাছ ক্রয় করতে মৎস্য ঘেরে যায়। তার স্ত্রী ঘরের দরজা আটকে শুয়ে পড়ে। কিন্তু অজ্ঞাত কারনে সে বাড়ির সবার অজান্তে ঘরের আড়ার সাথে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস আটকে আত্মহত্যা করে। মৃত্যু নববধু আলোর মা রহিমা খাতুন, বাবা আবুল কালাম ও ভাই সাব্বির জানান, তাদের বোনকে মেরে ফেলানোর পর টানিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থান পরিদর্শন ও সুরোতহাল রিপোর্ট শেষে ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে প্রেরন করে। বিষয়টি নিয়ে উপজেলার বভিন্ন এলাকার সচেতন মহলের সাথে কথা বললে তারা নির্দিষ্ট কাহকে উদ্দেশ্য করে কথা না বললেও তাদের মতে এগুলো সব আতœহত্যা নাও হতে পারে। প্রত্যেকটি বিষয়ের সঠিক তদন্ত হওয়া উচিত। আশাশুনি থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহিদুল ইসলাম শাহীন এ প্রতিবেদককে জানান, আতœহত্যার প্রবণতা বাড়ছে এটা সত্য। আমরা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এটা নিয়ে জনমত গঠনের প্রক্রিয়ার পাশাপাশি এ অপমৃত্যু রুখতে প্রোচারনা চালাচ্ছি। কোথাও ১০-২০জন এক হলে আমি এবং আমার অফিসাররা বাল্যবিবাহ ও সম্প্রতি আতœহত্যার বিষয় নিয়ে কথা বলে মানুসকে সচেতন করার চেষ্টা করি। দেখা গেছে, সম্প্রতি যারা আতœহত্যার মিছিলে যোগ দিচ্ছেন তারা অধিকাংশই স্কুলের ছাত্র বা ছাত্রী তাই আমরা স্কুল কলেজে ‘আতœহত্যা কোন সমাধান নয়’ এটার উপর সেমিনার করার কথা ভাবছি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

কেএম রেজাউল করিম : ক্যাপ্টেন শাহজাহান মাস্টার একজন আদর্শ শিক্ষক, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও সমাজ সংস্কারক। তিনি ছিলেন একজন নিঃস্বার্থ দেশপ্রেমিক। প্রতিবছর ২৩ জুলাই সাতক্ষীরার কৃতি সন্তান, মহান স্বাধীনতা গ্রামের বীর সৈনিক, মুক্তিযুদ্ধে ৯ নং সেক্টরের প্রতিষ্ঠাতা, সাব-সেক্টর কমান্ডার, জেলা জাসদের প্রতিষ্ঠাতা, দেবহাটা উপজেলা পরিষদের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান, টাউনশ্রীপুর শরৎচন্দ্র মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও সখিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক প্রয়াত ক্যাপ্টেন শাহজাহান মাস্টারের ২৪তম মৃত্যুবাষির্কী টাউন শ্রীপুর শরচ্চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে রবিবার। প্রয়াত এই নেতার স্বরণে দেবহাটা টাউনশ্রীপুর শরৎচন্দ্র মাধ্যমিক বিদ্যালয় চত্বরে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি ১৯৩৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি টাউন শ্রীপুরের বিখ্যাত মিস্ত্রি বংশে জন্মগ্রহণ করেন। তৎকালীন বৃটিশ শাসন আমলে সাত জমিদারের বসতি ও বাংলাদেশের প্রথম পৌরসভা টাউনশ্রীপুর গ্রামের মুন্সী খিজির মিস্ত্রির পুত্র। তের ভাই-বোনের মধ্যে একমাত্র তিনিই বেঁচে ছিলেন। তার পিতা অত্যন্ত সহজ-সরল প্রকৃতির মানুষ ছিলেন। ধর্ম পরায়ন ব্যক্তি হিসাবে এলাকায় বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। হিন্দু জমিদার শাসিত টাউনশ্রীপুর প্রাইমারি স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা শুরু করেন। প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করার পর টাউনশ্রীপুর শরৎচ্চন্দ্র হাইস্কুলে ভর্তি হন। তিনি নবম শ্রেণির ছাত্র থাকা অবস্থায় মাতৃভাষা রক্ষায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষা আন্দোলন শুরু হয়। তিনি তাদের সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভাষার প্রতি সম্মান জানিয়ে নিজ বিদ্যালয়ে ৪০জন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেন। সেখানে জ্বালাময়ী বক্ততা দেওয়ার পর তিনি সকলের নজর কাড়েন। ১৯৫৪ সালে তিনি উক্ত বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পাশ করেন। পরে সাতক্ষীরা মহাকুমার একমাত্র কলেজে আইকম ক্লাসে শাহজাহান মাস্টার ভর্তি হন। ১৯৫৬ সালে তিনি আই.কম পাশ করেন। পরবর্তীতে ১৯৫৮ সালে কুষ্টিয়া ডিগ্রী কলেজ থেকে বি.কম পাশ করেন। একই বছরে সাতক্ষীরা পদ্মশাখরা বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। পরে ১৯৫৯সালে শ্যামনগর থানার ভেটখালী হাইস্কুলে একই পদে যোগদান করেন। সাথে সাথে ১৯৬২ সালে রাজশাহী টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে বিএড পাশ করেন এবং শিক্ষা জীবন সমাপ্ত করেন। পরবর্তীতে টাউনশ্রীপুর ও সখিপুর হাইস্কুলের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। পদ্মশাখরা স্কুলে প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্বকালীন সময়ে হাড়োদ্দাহ নিবাসী মো. আজিজুর রহমানের কন্যা রাবেয়া খাতুন কে বিবাহ করেন। ১৯৬৫ সালে পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধে দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে পাকিস্তানী মিলিটারী পরিচালিত মুজাহীদ বাহিনীতে যোগদান করেন। তার দক্ষতার ফলে পাকিস্তান সরকার তাকে সাতক্ষীরা মহাকুমা মুজাহিদ বাহিনীর দায়িত্ব দেন। পরবর্তীতে পাকিস্তান সরকার তাকে ক্যাপ্টেন উপাধিতে ভূষিত করেন। একারণেই তিনি ক্যাপ্টেন শাহজাহান মাস্টার নামে পরিচিত হন। ১৯৭১ সালে ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে দেশ রক্ষার্থে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন। তিনি স্থানীয় যুবকদের নিয়ে নিজ এলাকায় মুক্তি বাহিনী গঠন করেন। দেবহাটা থানায় পাকিস্তানি পতাকা নামিয়ে জয় বাংলার পতাকা উত্তোলনের নির্দেশ দেন। বিওপির ৬ জন পাকিস্তানী ইপিআরদের বন্দী করে তাদের কাছ থেকে চায়না রাইফেল ছিনিয়ে নেন। যুদ্ধকালীন সময়ে ৯নম্বর সেক্টরের মুক্তিবাহিনীর ট্রেনিং ক্যাম্প টাউনশ্রীপুর হাইস্কুলে স্থাপন করা হয়। পরবর্তীতে ক্যাপ্টেন শাহজাহান মাস্টার ভরতের টাকীতে মুক্তি বাহিনীর প্রথম ক্যাম্প স্থাপন করেন। যেটি শেষ পর্যন্ত নয় নম্বর সেক্টরের মর্যাদা পায়। একারণে তাকে নয় নম্বর সেক্টরের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা বলা হয়। দীর্ঘ নয় মাসে যুদ্ধের পর স্বাধীন বাংলার নিজ এলাকায় ফিরে এসে পুনরায় শিক্ষাকতায় যোগদেন। তিনি ইংরেজি ১৯৮৫ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদের শাসনামলে বাংলাদেশে প্রথম উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং তিনি দেবহাটার প্রথম উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হন। ১৯৯০ সালে তিনি নিজের শরীরের মূল্যবান অংশ দুইটি চক্ষু রেজিস্ট্রির মাধ্যমে আই ব্যাংকে দান করেন। ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই সখিপুর হাইস্কুলে ক্লাস নেওয়ার সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। সাথে সাথে তাকে সখিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে দুপুর ১২.৩০ মিনিটে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। পর দিন ২৪ জুলাই টাউনশ্রীপুর হাইস্কুল প্রাঙ্গনে বিকাল ৫টায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়।
তারই স্মরণে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও নিজ মাজার সংলগ্ন যথাযত ভাবে পালন করতে ক্যাপ্টেন শাজাহান মাষ্টার স্মৃতি সংসদের পক্ষ থেকে সকল প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। টাউন শ্রীপুর শরৎচ্চন্দ্র মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অবস্থিত তার মাজার চত্তরে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে শনিবার সন্ধ্যা ৭.৩০মিনিট থেকে পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত, ২৩জুলাই সকাল ১০টায় আলোচনা সভা, দুপুর ১২.৩০ মিনিটে মিলাদ মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠান, বেলা ১টায় মোনাজাত এবং দুপুর ১.৩০মিনিটে তবারক বিতরণ অনুষ্ঠিত হবে। স্মরণ সভায় শাহজাহান মাস্টার স্মৃতি সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি সাবেক অধ্যক্ষ আনিছুর রহিমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের প্রশাসক ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সাতক্ষীরা জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোশারফ হোসেন মশু, জেলা জজকোর্টের পিপি এ্যাড. ওসমান গনি, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি এ্যাড.আবুল কালাম আজাদ, জেলা জাসদের সভাপতি কাজী রিয়াজ, জেলা জেএসডির সাধারণ সম্পাদক সুধাংশু শেখরসহ বিভিন্ন পর্যয়ের সুধীজন। অনুষ্ঠানে সকলকে অংশগ্রহণের জন্য ক্যাপ্টেন শাহজাহান মাস্টার স্মৃতি সংসদের পক্ষ থেকে আহবান জানানো হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

দেবহাটা ব্যুরো : দেবহাটা উপজেলা সদরের দেবহাটা বাজারের মধ্যে অবৈধভাবে তৈরি করা হয়েছে ফার্নিচারের ঘর। বিষয়টি বাজার কমিটি ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দেবহাটা বাজারের মধ্যে সবজি, মাংস ও মাছ বিক্রির জন্য পৃথক নির্ধারিত স্থান তৈরি করা আছে। মাছ বিক্রির জন্য বিক্রেতারদের জন্য টিনের সেড দিয়ে আলাদা জায়গা আছে। কিন্তু ঐ মাছ বিক্রির সেডটির অর্ধেক জায়গা অবৈধভাবে দখল করে সেখানে মোহাম্মাদ আলী নামের এক ব্যক্তি ফার্নিচারের দোকান বানিয়েছে। কয়েক বছর আগে থেকে মাছ বাজারের মধ্যে ফার্নিচারের দোকানটি বানানো হলেও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া বা ফার্নিচারের দোকানটি সরিয়ে দেয়ার কোন ব্যবস্থা গ্রহন না করায় মাছ বাজারের অর্ধেক জায়গা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সেখানে ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়েরই সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। দেবহাটা বাজার কমিটির সভাপতি আব্দুর রউফের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি জানান, পূর্বের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের সময়ে সেখানে ঐ ফার্নিচারের দোকানটি তৈরি করা হয়। তিনি বিষয়টি সম্পর্কে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানাবেন। বর্তমানে দেবহাটা বাজারের মধ্যে মাছ বাজারের জায়গা অর্ধেক বন্ধ হয়ে যাওয়ার সমস্যার বিষয়টি সম্পর্কে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য ভুক্তভোগীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বাজার কমিটির দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest