সর্বশেষ সংবাদ-
কারিগরি শিক্ষাকে মর্যাদা প্রদান ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাকে বিএসসি সমমান মর্যাদা ঘোষনার উদ্যোগে বিদ্বেষী কার্যক্রমের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনদেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ উদযাপনসাতক্ষীরায় ১২০ লিটার ভেজাল দুধ জব্দ: দেড় লক্ষ টাকা জরিমানা ও ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদ-সাতক্ষীরায় ৪ টি অস্ত্র, ২৯ রাউন্ড গুলি ও তিনটি ম্যাগাজিন জব্দসাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভাইস চেয়ারম্যান শামস্ : কোহিনুরকালিগঞ্জ সীমান্ত থেকে ১১টি এয়ারগান,৬ হাজার ৯শ রাউন্ড গুলি জব্দসদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সোহাগের মনোনয়নপত্র বৈধসাতক্ষীরা কম্পিউটার সমিতির পূর্ণাঙ্গ কমিটির সংবর্ধনাবঙ্গমাতা সাংস্কৃতিক জোট সাতক্ষীরা জেলা শাখার নবগঠিত কমিটির পরিচিতি সভাআশাশুনি থেকে জেলি পুশরত চিংড়িসহ নারী শ্রমিক আটক

আসাদুজ্জামান : একের পর এক বিয়ে করার প্রতিবাদ করায় যাত্রাদলের নায়িকা ধর্মান্তরিত টুম্পা খাতুনকে গণধর্ষনের পর তার শরীরে কোরাসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে হত্যার অভিযোগে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউপি চেয়ারম্যান শাহানেওয়াজ ডালিমসহ ১১জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহষ্পতিবার আশাশুনি উপজেলার পিরোজপুর গ্রামের ইসমাইল হোসেন সরদারের ছেলে শহীদুল ইসলাম বাদি হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এ মামলা দায়ের করেন। ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক সাতক্ষীরার জেলা ও দায়রা জজ জোয়ার্দার আমিরুল ইসলাম অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গন্য করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার আসামীরা হলেন, আশাশুনি উপজেলার পিরোজপুর গ্রামের গহর গাজীর ছেলে সাইফুল্লহ গাজী (৩৮), একই গ্রামের ওমর আলী সরদারের ছেলে রিপন সরদার(৩০), এছাহাক সরদারের ছেলে আবু মুছা (৩০), একই উপজেলার গদাইপুর গ্রামের মোজাহার সরদারের ছেলে খাজরা ইউপি চেয়ারম্যান শাহানেওয়াজ ডালিম, দুর্গাপুর গ্রামের করিম বক্সের ছেলে কামৃেল ইসলাম (৪৫), তার ভাই আনাৃেল ইসলাম (৩৫), আছিরদ্দিনের ছেলে লাভলু গাজী (৩৫), খালেক সরদারের ছেলে মহসিন সরদার (২৪), শহর আলীর ছেলে খায়রুল ইসলাম (২৮) চেউটিয়া গ্রামের লতিফ সরদারের ছেলে কবীর হোসেন (৩৬) ও খুলনা জেলা শহরের সোনাডাঙা গোবর চাকা মেইন রোডের আবুল হোসেনের ছেলে চিশতি ওরফে চুন্নু চোরা (৪০)। এ ছাড়া আরো পাঁচজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামী করা হয়েছে।
মামলার বিবরনে জানা যায়, পাঁচ বছর আগে যাত্রাদলের নায়িকা হিসেবে আশাশুনির দুর্গাপুর গ্রামের সোনা চৌকিদারের বাড়ির পাশে মাঠে গান করতে আসা গোপালগঞ্জ জেলা সদরের বটবাড়ি গ্রামের মনীন্দ্র নাথ বিশ্বাসের মেয়ে সোমা বিশ্বাসকে(২৫) ফুসলিয়ে নিয়ে খাজরা ইউপি চেয়ারম্যান শাহানেওয়াাজ ডালিমের সহযোগিতায় ধর্মান্তরিত করে টুম্পা খাতুন নাম দিয়ে তাকে বিয়ে করেন একই উপজেলার পিরোজপুর গ্রামের মাদকাসক্ত সাইফুল্লাহ। বর্তমানে তাদের মরিয়ম নামে দু’ বছর দু’ মাসের একটি মেয়ে আছে।
সাইফুল্লার প্রথম স্ত্রী বর্তমানে খাজরা সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য তহমেনা খাতুন। এ ছাড়াও গত দু’ মাস আগে খাজরা ইউনিয়নের দুর্গাপুরে সোনা চৌকিদারের বাড়ির পাশে মাঠে যাত্রা এনে ওই দলের এক নারীকে বিয়ে করে সাইফুল্লাহ। বর্তমানে তার ছয় স্ত্রী। এ নিয়ে টুম্পার সঙ্গে সাইফুল্লার প্রায়ই বিরোধ চলছিল। প্রতিবাদ করায় সাইফুল্লাহ টুম্পাকে মাঝে মাঝে নির্যাতন করতো। ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করায় আশ্রয়হীন হয়ে পড়ায় জোরালো কোন প্রতিবাদ না করেই সন্তানের মুখের দিকে চেয়ে সব ধরনের নির্যাতন সহ্য করতে থাকে টুম্পা। গত ৯ জুন দিবাগত রাত তিনটার দিকে টুম্পা তার স্বামীর বাগদা চিংড়ির হ্যাচারির বাসায় স্বামী সাইফুল্লাহ’র সঙ্গে অবস্থান করছিল। এ সময় সে বাসার পাশে কয়েকজনের ফসুফস করে কথা বলতে শোনে। বিষয়টি সাইফুল্লাহকে জানালে বাইরে থাকা ওইসব লোকজনকে সাইফুল্লাহ বলে যে তোদের যা বলেছি সেই অনুযায়ি কাজ কর।এরপরপরই শাহানেওয়াজ ডালিমসহ ১৪/১৫ জন টুম্পার উপর ঝাপিয়ে পড়ে গনধর্ষণ করে। পরে গায়ে কেরোসিন ঢেলে ও কাথা জড়িয়ে আগুন লাগিয়ে দেয়। এরপর ১০ জুন টুম্পাকে প্রথমে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল ও পরে খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৬ জুন সকাল সাতটার দিকে টুম্পা খাতুন মারা যায়। নিজেরা বাঁচতে আসামীরা পুলিশের সঙ্গে যোগসাজস করে টুম্পা খাতুনের লাশ পিরোজপুরে দাফন করে। এ মামলায় মৃত্যুর কারণ সঠিকভাবে নিরুপন করার জন্য লাশ কবর থেকে তুলে ময়না তদন্ত করার কথা বলা হয়েছে। মামলার বাদি নিজেকে নিহত টুম্পা খাতুনের ধর্ম ভাই বলে উল্লেখ করেছেন। আসামীদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৪(১)/৯(২)/৯(৩)/৩০ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীদুল ইসলাম শাহীন জানান, মামলার নথি পাওয়ার পর তা রেকর্ড করে আসামীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ারুল হক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। ইন্নালিল্লাহে ওয়াইন্নাইলাইহে রাজিউন। বিচারপতি আনোয়ারুল হককে উন্নত চিকিৎসার জন্য বেশ কয়েকবার সিঙ্গাপুরে নেয়া হয়। চলতি বছরের শুরুতে এক সপ্তাহ ধরে তিনি বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।

সেখানে অবস্থার পরিবর্তন না হলে ২১ জানুয়ারি তাকে সিঙ্গাপুরে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। সেখানে চিকিৎসা নিয়ে দেশে এলে ওইদিনই তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

গত ৫ই জুলাই থেকে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিইউতে ছিলেন বিচারপতি আনোয়ারুল হক। ২০১৫ সালের ১৫ই সেপ্টেম্বর বিচারপতি আনোয়ারুল হককে চেয়ারম্যান হিসেবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দায়িত্ব দেয়া হয়। ওইদিন ট্রাইব্যুনাল- ১ পুনর্গঠন করে এবং ট্রাইব্যুনাল- ২ নিষ্ক্রিয় করে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয়

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

শ্যামনগর ব্যুরো : সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ নির্বাচনের ৯ নং ওয়ার্ডের (শ্যামনগর) স্থগিতকৃত কেন্দ্রটির উৎসব মুখর পরিবেশে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। গত ১৩ জুলাই শ্যামনগর উপজেলা হলরুমে ইউপি চেয়ারম্যান, সদস্য ও সদস্যাগণ ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। নির্বাচনে সাধারণ সদস্য পদে ৬ জন প্রার্থীদের মধ্যে শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মুকুল (তালা প্রতীক) ২২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রমজাননগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি ফজলুল হক মোড়ল (হাতি প্রতীক) ১৪ ভোট, রেজাউল করিম (অটো রিকশা) ১১ ভোট, মল্লিক ফজলুল হক (টিউবওয়েল) ৫ ভোট এবং আকবর কবীর (ক্রিকেট ব্যাট) ৩ ভোট পেয়েছেন। প্রাপ্ত ভোটে ৯টি ভোট বাতিল হয়। অপর দিকে মহিলা সংরক্ষিত সদস্য পদে রোজিনা কান্টু (দোয়াত কলম) ২৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। শ্যামনগর উপজেলার ভুরুলিয়া, শ্যামনগর সদর, নুরনগর, রমজাননগর ও কৈখালী ইউনিয়নের ৬৫ জন জন প্রতিনিধির মধ্যে ৬৪ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। ভোটার তালিকার জটিলতার কারণে এ কেন্দ্রটির নির্বাচন দীর্ঘদিন যাবৎ স্থগিত ছিল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

সিনিয়র সচিব হলেন ৪ জন

কর্তৃক Daily Satkhira

প্রশাসনের চার সচিবকে সিনিয়র সচিব পদে পদোন্নতি দিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত্র প্রজ্ঞাপন জারি করে।
উপসচিব সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে পদোন্নতি পাওয়া সিনিয়র সচিবদের মধ্যে রয়েছেন সাভারের বিপিএটিসি’র রেক্টর (সচিব) ড. এম আসলাম আলম, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মো. ইউনুসুর রহমান, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ, ও সেতু বিভাগের সচিব ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। পদোন্নতি পাওয়া সিনিয়র সচিবদের আগের পদেই পদায়ন করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

প্রায় আট মাস পর আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে ড. শাম্মী আহমদকে মনোনীত করা হয়েছে।

২০১৬ সালের শেষের দিকে আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনের পর শাম্মী আহমেদ দলের কার্যনির্বাহী সদস্য মনোনীত হন। এবার তাকে পদোন্নতি দিয়ে আন্তর্জাতিক সম্পাদক করা হয়। আওয়ামী লীগের তিন জন কেন্দ্রীয় নেতা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

৮১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটিতে এখনও সভাপতিমণ্ডলীর  তিন সদস্য  ও  অন্য দুটি  সদস্য পদ ফাঁকা রয়েছে।

আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি তার ফেসবুকে শাম্মীকে অভিনন্দন জানিয়ে স্ট্যাটাসও দিয়েছেন।
শাম্মী আহমেদ আন্তর্জাতিক রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের উপদেষ্টা ছিলেন। সম্প্রতি তাকে জেনেভায় বদলি করা হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সঙ্গে আমাদের পারিবারিক ঐতিহ্য রয়েছে। আমার বাবা (মহিউদ্দিন আহমেদ) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে রাজনীতি করেছেন। তিনি দীর্ঘ দিন বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। আমি শেখ হাসিনার সঙ্গে কাজ করার জন্য দেশে ফিরে এসেছি।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ভারতে হিন্দু তীর্থক্ষেত্র অমরনাথ থেকে পূজা শেষ করে ফেরার পথে গত সোমবার জঙ্গিদের হামলায় সাত জন তীর্থযাত্রী নিহত হওয়ার পর এর নিন্দায় সরব হয়েছেন ভারতশাসিত কাশ্মীরের হিন্দু-মুসলমান সহ সব ধর্মের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে রাজনৈতিক নেতা সবাই।

এমনকি যাঁরা কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতার জন্য আন্দোলন করছেন, সেই সব নেতারাও ওই ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন।

তবে শ্রীনগরে বিবিসির সংবাদদাতা মাজিদ জাহাঙ্গীর লিখছেন, হিন্দুদের কাছে এই পবিত্র তীর্থস্থানের সঙ্গে মুসলমানদের নিবিড় সম্পর্ক বহু শতকের।

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে অতি পবিত্র তীর্থস্থান ভারতশাসিত কাশ্মীরের এই অমরনাথ গুহা। প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ মানুষ দীর্ঘ পাহাড়ী পথ পেরিয়ে খুব কষ্ট করে পৌঁছান ওই গুহায়।

কিন্তু হিন্দু পুরাণে বর্ণিত অমরনাথ গুহা প্রায় ৫০০ বছর আগে খুঁজে বের করেছিলেন একজন মুসলমান মেষ পালক।

বুটা মালিক নামের ওই মেষ পালকের পরিবার তাই এখনও এই হিন্দু তীর্থযাত্রার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত থাকেন প্রতি বছর।

তাঁর বংশধরেরা এখনও বাস করেন পহেলগাঁওয়ের কাছে বটকোট নামের একটি গ্রামে।

পরিবারের সপ্তম পুরুষ গুলাম হুসেইন মালিক বলছিলেন যে তাঁরা পারিবারিক ইতিহাস থেকেই জেনেছেন, কীভাবে বুটা মালিক খুঁজে পেয়েছিলেন অমরনাথ গুহা।

“ঘটনাটা শুনতে একেবারে পৌরাণিক কাহিনীর মতো। বুটা মালিক মেষ পালন করতেন। দূরের পাহাড়-পর্বতে ভেড়া-ছাগল চড়াতে যেতেন তিনি। সেই পর্যায়েই এক সাধুর সঙ্গে তাঁর দেখা হয়। দুজনের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক তৈরি হয়” – বলছিলেন মালিক।

একবার প্রবল শীতের হাত থেকে বাঁচতে বুটা মালিক একটা গুহায় আশ্রয় নিয়েছিলেন। সঙ্গে ওই সাধুও ছিলেন। ভেতরেও খুব ঠান্ডা লাগছিল বুটা মালিকের। তখন ওই সাধু একটা কাঙ্গরি দিয়েছিলেন বুটা মালিককে।

কাশ্মীরে শীতের হাত থেকে রক্ষা পেতে মানুষজন একটা ছোট ঝুড়ির মধ্যে কাঠকয়লার আগুন জ্বালিয়ে ঢোলা পোষাকের ভেতরে রেখে দেন। ওই ঝুড়িকেই কাঙ্গরি বলে।

গুলাম হুসেইন মালিক বলছিলেন, “সকালবেলায় বুটা দেখেছিলেন যে ওই কাঙ্গরিটা একটা সোনার কাঙ্গরি হয়ে গেছে।”

মালিকের পারিবারিক ইতিহাস বলছে, গুহা থেকে বের হতেই বুটা মালিক দেখেন সামনে অনেক সাধু-সন্তের একটা মিছিল চলছে। তাঁরা ভগবান শিবের খোঁজ করছিলেন ওখানে।

“বুটা ওই সাধু-সন্তদের জানান যে ভগবান শিবের সঙ্গে তাঁর একটু আগেই দেখা হয়েছে গুহার ভেতরে। সাধুদের তিনি গুহায় নিয়ে যান। দেখা যায় বরফের তৈরি এক বিশাল শিবলিঙ্গ রয়েছে, সঙ্গে পার্বতী আর গণেশও আছেন”- জানাচ্ছিলেন গুলাম হুসেইন মালিক।

ওই ঘটনার কথা জানাজানি হতেই অমরনাথে তীর্থযাত্রা শুরু হয়।

তবে একটা সময়ে বেশ কয়েকজন সাধুসন্ত গুহার পাশ থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেন। তখন সেখানকার মহারাজ রঞ্জিত সিং অমরনাথ যাত্রা বন্ধ করে দেন।

“আমরা তো মুসলমান। হিন্দুদের পূজা-পাঠের ব্যাপারে আমাদের পূর্বপুরুষরা কিছুই জানতেন না। যাত্রা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরে পাশের গণেশ্বর গ্রাম থেকে কয়েকজন কাশ্মীরী পন্ডিতকে নিয়ে এসেছিলেন আমাদের পরিবারের সদস্যরা। তাঁরাই অমরনাথে পূজা চালিয়ে যেতে থাকেন” – জানালেন মি. মালিক।

এখনও অমরনাথে তিন ধরনের মানুষ বাস করেন – কাশ্মীরি পন্ডিত, মালিক পরিবার আর সাধুসন্তরা।

এঁরাই অমরনাথ যাত্রার সূচনা করেন ‘ছড়ি-মুবারক’ শোভাযাত্রার মাধ্যমে।

যে গ্রামে মালিক পরিবার এখনও থাকেন, পহেলগাঁও এলাকার সেই গ্রামের নামও বুটা মালিকের নাম অনুসারেই – ‘বটকোট’।

“একসময়ে অমরনাথ তীর্থযাত্রীরা পায়ে হেঁটে আমাদের গ্রামে পৌঁছাতেন। গ্রামের মহিলা, পুরুষ, বাচ্চা – সবাই মিলে তাঁদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করা হতো। ছড়ি-মুবারক শোভাযাত্রা দেখতে গোটা গ্রাম অপেক্ষা করে থাকতো। মেয়েরা কাশ্মীরী গান গাইত। আমরাই হিন্দু তীর্থযাত্রীদের গুহায় পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করতাম। আবার গুহা থেকে নেমে আমাদের গ্রামে এসে অনুমতি নিয়ে ফিরে যেতেন তীর্থযাত্রীরা। হিন্দু-মুসলমান ভেদাভেদ কখনোই ছিল না” – বলছিলেন মি. মালিক।

হিন্দু তীর্থযাত্রীরা যেহেতু অমরনাথ যাত্রার সময়ে আমিষ খান না, তাই মালিক পরিবারের সদস্যরা ওই সময়ে মাংস খান না।

সংস্কৃত ভাষায় কবি কল্হনের লেখা কাশ্মীরের ইতিহাস রাজতরঙ্গিনীতেও মালিক পরিবারের যেমন উল্লেখ রয়েছে, তেমনই অমরনাথ যাত্রা নিয়ে জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভায় যে আইন পাশ হয়েছে, সেখানেও মালিক পরিবারকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।

ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুও কাশ্মীরে গেলেই মালিক পরিবারের কথা স্মরণ করতেন।

কিন্তু বুটা মালিককে সেই সাধুর দেওয়া কাঙ্গরি – যেটা পরের দিন সোনার কাঙ্গরি হয়ে গিয়েছিল – সেটার খোঁজ আর পাওয়া যায়নি।

গুলাম হুসেইন মালিক জানাচ্ছেন, সেই সময়কার রাজারা কাঙ্গরিটা তাঁদের পরিবারের কাছ থেকে নিয়ে নেন। তারপর থেকে সেটার আর কোনও খোঁজ নেই। বহু খুঁজেও পাওয়া যায়নি সেই সোনার কাঙ্গরি।

অমরনাথ যাত্রার সময়ে ভক্তদের দান করা অর্থের এক-তৃতীয়াংশ বুটা মালিকের পরিবার পেত।

“কিন্তু ২০০২ সালে অমরনাথ শ্রাইন বোর্ড তৈরি হওয়ার পর থেকে আমাদের পরিবারকে যাত্রার সবরকম কাজ থেকে দূরে রাখা হয়। আমাদের বলা হয়েছিল মুসলমানদের ওয়াকফ বোর্ডে তো কোনও হিন্দু নেই, তাই শ্রাইন বোর্ডে মুসলমান কী করে থাকে!” – বলছিলেন গুলাম হুসেইন।

পরিবারের আরেক সদস্য মালিক আফজাল বলছিলেন, “আমাদের পূর্বপুরুষরা ভগবান শিবের দর্শন পেয়েছিলেন। অমরনাথ গুহায় পৌঁছানোর যে প্রথম কাঁচা রাস্তাটি ছিল, সেটিও বুটা মালিকই বানিয়েছিলেন। এখনও আমরা প্রতি বছর গুহায় যাই যাত্রীদের বিনামূল্যে ওষুধপত্র বিলি করতে। যাত্রীরাও পরম্পরা মেনে আমাদের বাড়িতে দেখা করতে আসেন।”

হিন্দু তীর্থযাত্রীদের ঘোড়ায় অথবা ডুলিতে করে কঠিন পাহাড়ী পথ পাড়ি দিয়ে নিয়ে যান যারা, তাঁরাও সবাই স্থানীয় মুসলমান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

লাভগুরু’র প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন দেশের সিনেমার আলোচিত নায়িকা পরীমনি। এত দিন বিষয়টি অপ্রকাশিত থাকলেও প্রেমিকের জন্মদিনে তা প্রকাশ করলেন এই নায়িকা। দুজনে তাঁদের রিলেশনশিপ স্ট্যাটাসও পরিবর্তন করেন।
একটি এফএম রেডিওতে ‘লাভগুরু’ নামের একটি অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করে নিজেকে লাভগুরু হিসেবে পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন সাংবাদিক তামিম হাসান। এক বছর ধরে চুপিচুপি প্রেম করলেও এবার নায়িকার সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক প্রকাশ্যে চলে আসে। সিনেমায় আসার পর থেকে ফেসবুকে বিভিন্ন ধরনের স্থিরচিত্র পোস্ট করে পরীমনি বেশ আলোচনায় ছিলেন। আংটিবদলের ছবি এবং প্রেম-বিয়েকেন্দ্রিক অনেক খবরই প্রকাশ পেয়েছে গণমাধ্যমে। কিন্তু কোনোটির ব্যাপারেই পরীমনি মুখ খোলেননি। এবার তিনি ফেসবুকে নিজের সম্পর্কের কথা প্রকাশ করলেন।
পরীমনির শেষ জন্মদিনের অনুষ্ঠানে তাঁর প্রেমের বিষয়টি আমন্ত্রিত অতিথিদের কাছে অনেকটাই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল। অন্যদিকে প্রেমিকের জন্মদিনে নিজেই সম্পর্কের কথা প্রকাশ করলেন তিনি। তবে বিয়ে, সংসারের বিষয়টি নিয়ে কোনো কথা বলেননি এই নায়িকা। ফেসবুকের রিলেশনশিপ স্ট্যাটাসে লিখলেন, ইন আ রিলেশনশিপ উইথ…। পরীমনি তাঁর রিলেশনশিপ তথ্য বদলে ফেলার পাশাপাশি ইঙ্গিতপূর্ণ স্ট্যাটাসও লিখেন। ‘আজ বৃষ্টি রাতের এক বছর…’ এমন স্ট্যাটাসে ধারণা করা হচ্ছে, পরীমনি ও তামিমের প্রেমের বয়স (১২ জুলাই দিবাগত রাত) এক বছর পার করেছে।
এদিকে সম্পর্কের বিষয়টি নিয়ে কথা বলার চেষ্টা করা হলে পরীমনির ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। প্রসঙ্গত, পরীমনির প্রেমিক তামিমের সঙ্গে একাধিক মডেল ও টিভি অভিনেত্রীর প্রেমের গুঞ্জন শোনা যায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

দেশের বাজারে চাল না ছেড়ে অসাধুভাবে মজুদ করেছেন চাল কল মালিকরা। এতে করে বৃদ্ধি পেয়েছে চালের দাম। এমন অভিযোগে ১৬ হাজার চাল কল মালিককে কালো তালিকাভুক্ত করেছে সরকার। আগামী তিন বছর এসব চাল কল মালিকদের থেকে চাল না কেনারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।

বন্যার প্রভাবে চালের উৎপদন কমবে অনেক আগেই এমন আশঙ্কার পরও কেন এত দেরিতে চাল আমদানি করা হলো- এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমরা যথাসময়ে চাল আমদানির প্রক্রিয়া শুরু করেছি। আমরা ট্যারিফ উঠিয়ে দেওয়ার জন্য আগেই চিঠি দিয়েছিলাম। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী কৃষকদের কথা চিন্তা করেছেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের কৃষকদের এক মণ চাল উৎপাদন করতে ৭০০ থেকে সাড়ে ৭০০ টাকা খরচ হয়। প্রধানমন্ত্রী ওই চিন্তাটাই করেছেন, যেন কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্যের সঠিক মূল্য পায়। এজন্য তিনি ট্যারিফটা দেরিতে উঠিয়েছেন। ট্যারিফ ওঠানোর প্রভাবে চালের বাজার এখন নিম্নমুখী।

ভিয়েতনাম থেকে আড়াই লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির চুক্তি অনুযায়ী ২০ হাজার মেট্রিক টনের প্রথম চালান চট্টগ্রামে এসে পৌঁছেছে। চলতি মাসের ২৪ তারিখে আরও এক লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন চাল আনা হবে। এ ছাড়া আগস্টে আরও সাড়ে চার লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানি করার কথা রয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest