সর্বশেষ সংবাদ-
প্রতিপক্ষ প্রার্থী কর্তৃক হুমকি ধামকির বিরুদ্ধে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী সাঈদের সংবাদ সম্মেলনফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে সাতক্ষীরায় ছাত্রলীগের অবস্থান কর্মসূচিসাতক্ষীরায় পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে ছোট ভাইকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগসাতক্ষীরায় তুচ্ছ ঘটনায় প্রতিবন্ধী নারীসহ ৪ জনকে পিটিয়ে জখমের অভিযোগশ্যামনগরে “সম্পদ ও আত্মার পরিশুদ্ধতায় যাকাত” শীর্ষক সেমিনারফেলোশিপে সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন সামেকের ডা. পলাশসাতক্ষীরায় পাওয়ার ব্লাড ফাউন্ডেশন এর পক্ষ থেকে শরবত বিতরণসাতক্ষীরায় কৃষকের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বদরুজ্জামান বদু নির্বাচনী গণসংযোগসাতক্ষীরায় রাসায়নিক মিশ্রিত ৯ মেট্রিক টন গোবিন্দভোগ আম বিনষ্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক : খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগর গণহত্যা-৭১ স্মৃতি বধ্যভূমি পরিদর্শন এবং স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। সোমবার বিকাল ৩.৩০টায় তিনি চুকনগর বধ্যভূমিতে আসেন। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় হাই কমিশনের ডিফেন্স এ্যাডভাইজার ব্রি: জে; এস নন্দা, হেড অব চ্যাসেয়ার মিস টিসেন নর্ডন কারগিল, দিবাকর মোহান্ত, ষ্টাফ মেম্বার শ্রী রতন মন্ডল, যোগেন্দর শিং, মি: যতিন কুমার, প্রেম বাহাদুর, মুক্তিযুদ্ধ একাডেমির চেয়ারম্যান ডঃ আবুল কালাম আজাদ, প্রফেসর আহম্মেদ রেজা, সাহিদা সৈয়দা, অধ্যাপক আলমগীর কবীর, খান মোহাম্মদ আলী, মুন্সি আইয়ুব আলী, খুলনা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সজিব খান, ডুমুরিয়া থানার ও সি সুকুমার বিশ্বাস, প্রকৌশলী আ: জব্বার, গণহত্যা-৭১ স্মৃতি পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ এ বি এম শফিকুল ইসলাম, এরশাদ আলী মোড়ল, প্রভাষক মনিরুল ইসলাম ব্রাউন প্রমুখ। পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে ভারতীয় হাই কমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা গণহত্যার স্মৃতিকে ধরে রাখার স্বকৃতি স্বরূপ গণহত্যা-৭১ স্মৃতি পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ এ বি এম শফিকুল ইসলামকে উত্তরীয় পরিয়ে দেন। এ সময় তিনি তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন একটি বিশেষ কারনে আমি চুকনগরে এসেছ্ িমুক্তিযুদ্ধেও চুকনগর একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। ১৯৭১ সালে ২০ মে এখানে পাকিস্তানী সেনারা নৃশংসভাবে গণহত্যা চালিয়ে কয়েক হাজার নারী, পুরুষ ও শিশুকে নির্বিচারে হত্যা করে। এই স্মৃতিসৌধে পুস্পার্ঘ নিবেদন করে ৭১ এর শহিদদের আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করলাম।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

আহম্মাদ উল্যাহ বাচ্ছু : আজকের শিক্ষার্থীরাই আগামী দিনের দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ। তাদের কে সু-শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশের নাগরিক হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে হবে। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বে দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে যাচ্ছে। ২০২০ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জম্ম শতবর্ষ উদযাপন ও ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করা হবে। আমার নির্বাচনী এলাকার সকল স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দির, রাস্তাঘাটসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক উন্নয়ন মূলক কাজ করা হয়েছে। আগামিতে কাঠুনিয়া রাজবাড়ী কলেজ সরকারি করণ ও পিডিকে মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়টি এমপিও ভূক্ত করার জন্য আশা ব্যাক্ত করেন। সোমবার সকাল ১০টায় কাঠুনিয়া কলেজ প্রাঙ্গণে ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে এইচএসসি শিক্ষাথীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে কালিগঞ্জ-শ্যামনগর আংশিক আসনের সংসদ সদস্য ত্রান ও দুর্যোগ মন্ত্রনালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এসএম জগলুল হায়দার প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল ওহাব এর সভাপতিত্বে প্রভাষক জুলফিকর আল-মেহেদী ও কম্পিউটার প্রদর্শক আব্দুল ওয়াহেদ এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন থানার অফিসার ইনচার্জ লস্কর জায়াদুল হক, প্রেসক্লাবের সভাপতি শেখ সাইফুল বারী সফু, সাধারণ সম্পাদক সুকুমার দাশ বাচ্চু, রতনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম খোকন, কাঠুনিয়া রাজবাড়ী কলেজের উপাধ্যক্ষ অলিউর রহমান, ধলবাড়িয়া ইউনিয়ন আ‘লীগের সভাপতি সজল মুখ্যার্জি, নুরনগর ইউনিয়ন আ‘লীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা বাবু, পিডিকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মাজেদ, ভুরুলিয়া ইউনিয়ন আ‘লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, রমজান নগর ইউনিয়ন আ‘লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পতিত পাবন মন্ডল, হাফেজ সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ। অনুষ্ঠানের শুরুতে নবাগত ২৫০ জন শিক্ষার্থীকে রজনীগন্ধা ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন কলেজের পরিচালনা পর্ষাদের সদস্যবৃন্দ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী সাংবাদিক ও সূধীবৃন্দ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

এম বেলাল হোসাইন/হাসান হাদী : বিরল রোগে আক্রান্ত শিশু মুক্তামনির সু-চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন বাংলাদেশ সরকার। সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাতক্ষীরার কৃতি সন্তান প্রফেসর ডা. আ ফ ম রুহুল হক এমপি ইতিমধ্যেই উচ্চ পর্যায়ে কথা বলে তার চিকিৎসার জন্য মেডিকেল বোর্ড গঠনের উদ্যোগ নিয়েছেন। সোমবার দুপুরের দিকে মুক্তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর গতকাল রাতেই সরকারি এ্যাম্বুলেন্সযোগে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এসময় তাকে বিদায় জানাতে সেখানে উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ডা. তহিদুর রহমান, প্রথম আলো’র নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জি, সাতক্ষীরা রিপোর্টার্স ইউনিটির সদস্য সচিব হাফিজুর রহমান মাসুম ও ডেইলি সাতক্ষীরা’র ব্যবস্থাপনা সম্পাদক হাসান হাদী।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে মুক্তামনির চিকিৎসার বিষয়ে সার্বিক খোঁজখবর নিতে সোমবার বিকালে সেখানে উপস্থিত হন সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আ ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু, জেলা পরিষদ সদস্য এড. শাহানাজ পারভীন মিলিসহ অনেকেই।
সোমবার সকালে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু, সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. তহিদুর রহমান, ডেইলি সাতক্ষীরা’র সম্পাদক ও দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা’র ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হাফিজুর রহমান মাসুম, সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবুল হোসেন, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ এর ফরেনসিক মেডিসিনের প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দীন, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাসান হাদী, সাংবাদিক আব্দুল জলিল, এম বেলাল হোসাইন, মোস্তফা আলী ও প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতা আনছার হাজী। পরে উপজেলা চেয়ারম্যানসহ নেতৃবৃন্দ আক্রান্ত শিশু মুক্তামনির সার্বিক খোঁজ খবর নেন এবং তার পরিবারকে চিকিৎসার আশ্বস্ত করেন।
এসময় ডা. নাসির সকলকে মুক্তামনির রোগ সম্পর্কে অবহিত করে বলেন, “বিশ্বের মধ্যে ২ জন বৃক্ষ মানব ছিলেন। তাদের মধ্যে ১ জন ইন্দোনেশিয়ায় আরেকজন বাংলাদেশের আবুল বাজানদার। তার চিকিৎসা বাংলাদেশেই হয়েছে। সুতরাং মুক্তা মনির চিকিৎসাও বাংলাদেশে হবে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ বা বিএসএমএমইউ-তে বিশেষ মেডিকেল বোর্ড গঠন করে মুক্তামনিকে চিকিৎসা দেয়া সম্ভব।” তিনি আরও বলেন, “মুক্তামনির এ রোগটি বিরল। প্রাথমিকভাবে বলা যায় এর নাম হাইপারকেরাটসিস। সর্বশেষ যে টেস্ট রিপোর্ট আমাদের হাতে এসেছে তাতে করে মনে হচ্ছে এটি ক্যান্সার নয়। এটি জটিল হলেও নিরাময়যোগ্য।”
বিরল রোগে আক্রান্ত মুক্তামনিকে দেখতে গিয়ে সোমবার সকাল ১১টায় সদর উপজেলার বাঁশদহা ইউনিয়নে কামারবায়সা গ্রামের তার বাড়িতে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু বলেন, “আমার মুক্তামনির বিষয়ে গণমাধ্যমে জানতে পেরেই প্রথমে উপমহাদেশের বিশিষ্ট শল্য চিকিৎসক আমাদের সাতক্ষীরারই মানুষ অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক এমপি-কে বিষয়টি জানাই। তিনি রবিবার রাতেই ই-মেইলে মুক্তামনির ছবি এবং রিপোর্ট পাঠাতে বলেন। সবকিছু দেখে তিনি মুক্তামনিকে অবিলম্বে ঢাকায় নেয়ার কথা বলেন। বিভিন্ন গণমাধ্যমের কল্যঅণে বিষয়টি ইতিমধ্যে সকলের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। নিশ্চয়ই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার আনুকূল্যও আমরা পাব। তিনি শিশুদের বিষয়ে অত্যন্ত সংবেদনশীল এবং মানবিক। ডা. রুহুল হক প্রধানমন্ত্রীর সাথে এ বিষয়ে কথাও বলবেন। মুক্তামনির চিকিৎসার কোন ক্রটি হবে না।” তিনি আরো বলেন, “বিনা চিকিৎসায় তার পিতার কোল শূন্য না হবে না। আমিও সন্তানের পিতা। সন্তানের মুখের হাসি দেখলে যে সুখ যাওয়া যায়। পৃথিবীর আর কোন কিছুতেই সে সুখ পাওয়া যায় না।”
এদিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শিশু মুক্তাকে দ্রুত সদর হাসপালে ভর্তি করে নিয়ম অনুযায়ী ঢাকায় স্থানান্তরের জন্য সাতক্ষীরার সিভিল সার্জনকে নির্দেশ দিয়েছেন। নির্দেশনা অনুযায়ী সিভিল সার্জন সদর উপজেলা চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে মুক্তামনিকে করে এ্যাম্বুলেন্স যোগে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
অন্যদিকে সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম এ খবর শুনে দ্রুত সদর হাসপাতালে পৌছান শিশু মুক্তাকে দেখতে। সেখানে পৌছে তিনি তার সু-চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকদের সু-দৃষ্টি কামনা করেন এবং তার পিতা-মাতাকে সান্তনা প্রদান করেন। এসময় সিভিল সার্জনসহ অন্যান্য চিকিৎসকগণ সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

আগঁরদাড়ী প্রতিনিধি : সলেমা-এ মাজেদা বৃত্তি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ছাত্রীদের মাঝে বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। সোমবার দুপুর ১টায় আবাদের হাট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের মাঝে শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করা হয়। বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, বৃত্তিদাতা ও অগ্রণী ব্যাংকের অবসর প্রাপ্ত ডি.জি.এম আলহাজ্ব আব্দুস শহীদ খান চৌধুরী। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, মিসেস সেলিনা খান চৌধুরী, মো: ওয়াজিহুর রহমান, প্রাক্তন সভাপতি হুমায়ুন খান চৌধুরী, প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক গোপাল চন্দ্র ঘোষাল, আবুল কালাম বকুল, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আব্দুল্লাহ, ম্যানেজিং কমিটির সদস্যবৃন্দ ও সকল শিক্ষকবৃন্দ। এসময় বিদ্যালয়ে অসহায়-দরিদ্র মেধাবী ২৭ জন ছাত্রীর মধ্যে শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করেন বৃত্তি প্রকল্পের প্রতিষ্ঠাতা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : সরকারি কলেজে সাপ্তাহিক মিছিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু তাহের রাজু, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ইমন, ও কলেজ ছাত্রলীগ নেতা আহসান এর নেতৃত্বে সরকারি কলেজে সাপ্তাহিক মিছিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত মিছিল ও আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন জিয়া হলের দপ্তর সম্পাদক নাঈম, রাজা, র্জামান, ইমরুল, কিরণসহ আরও অনেক নেতা কর্মী।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

খোরদো প্রতিনিধি : সকলকে বিদায় জানিয়ে ঈদ চলে গেছে ১০ থেকে ১২ দিন আগে! তবুও সেই ঈদের আনন্দকে স্মরণ করে জীবনে হাসি আনন্দ নিয়ে একে অপরের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে কলারোয়া উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়ানের খোরদো হাইস্কুল মাঠে প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতা সোমবার বিকেলে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
খেলাটি পুলিশ ক্যাম্প এবং সাংবাদিক ও ছাত্রলীগ যুবলীগের যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়। ফুটবল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন একদিকে খোরদো পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যবৃন্দ এবং অপরদিকে অংশগ্রহণ করেন জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী, সমাজের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার তারুণ্য উজ্জ্বিবিত প্রাক্তন খেলোয়াররা। দুটি দলই ভিন্ন ভিন্ন জার্সি পরিহিত অবস্থায় প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতায় অংশ নেন।
নির্ধারিত সময়ে খেলা যৌথ ফুটবল একাডেমী ২ এবং পুলিশ ক্যাম্প ফুটবল একাডেমী ১ গোল করে। তবুও সোহার্দপূর্ণ এবং আনন্দময় খেলাটি সকলের মাঝে ভাগাভাগি করার জন্য সন্তোষজনক পুলিশের অনুরোধে টাইব্রেকারেও ৪-৩ গোলে পুলিশ ক্যাম্প পরাজিত হয় তবুও উভয় দলকেই বিজয়ী ঘোষণা করে বিজয়ের উচ্ছ্বাসকে ভাগ করে দেয়া হয়।
এবং পুলিশ ক্যাম্পের পরাজিত সরুপ ৬০ জন প্লেয়ারসহ অন্যান্য ব্যক্তিদের মধ্যাহ্ন ভোজের ঘোষণা দেন খোরদো ক্যম্প আই সি হাসানুজ্জামান রিপন।
খেলা শুরু হওয়ার পরপরই পাচিলঘেরা স্কুল চত্বরে একে একে ভরে যায় দর্শকদের উপস্থিতিতে। খেলা উপভোগ করতে স্কুলের দুই ভবনেই অবস্থান করেন শিশু থেকে বৃদ্ধ অবধি ফুটবলপ্রেমী দর্শক এবং স্থানীয় বাজার কেন্দ্রিক ব্যবসায়ীগণ।
প্রীতি এ ফুটবল ম্যাচের উভয় দলে অংশ নেন খোরদো পুলিশ ক্যাম্পের আই সি হাসানুজ্জামান রিপন, সাংবাদিক সরদার কালাম, ছাত্রলীগের প্রাক্তন সভাপতি খায়রুল বাসার, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ইমরান সরদার, ছাত্রলীগ সভাপতি নাহিদ হোসেন, যুবলীগ সাংগঠনিক রিপন হোসেন, যুবলীগ আহ্বায়ক তন্ময় আহমেদ মেরিন প্রমুখ।
রেফারির দায়িত্ব পালন করেন প্রাক্তন খেলোয়াড় ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বাবলু হোসেন এবং ধারাভাষ্যকার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন শ্রী পলাশ পদ ঘোষ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

আসাদুজ্জামান : সাত্ক্ষীরায় ঈদের জন্য বরাদ্দকৃত ভিজিএফ কার্ডের ৪৫ বস্তা গম বিতরণ না করে গুদামজাত করার অভিযোগে কালিগঞ্জ উপজেলার চম্পাফুল ইউনিয়ন পরিষদের খাদ্যগুদাম ঘর সিলগালা করা হয়েছে। সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় কালিগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাহারিয়ার মাহমুদ রঞ্জু ও জেলা ত্রাণ ও পূর্ণবাসন শাখার সহকারি কমিশনার সাফিয়া আফরিন এ সিলগালা করে দেন।
একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, ভিজিএফ এর আওতায় ঈদ উল ফিতরের জন্য সরকারি ভাবে ১০ কেজি চাউলের পরিবর্তে ১৩ কেজি করে গম কালিগঞ্জ উপজেলার চম্পাফুল ইউনিয়নের চার হাজার ১০৫ জনকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। যথাসময়ে চম্পাফুল ইউনিয়ন পরষিদে গম পৌঁছানোর পরও তা বিলি না করে ঢাকায় চলে যান ইউপি চেয়ারম্যান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোজাম্মেল হক গাইন। চেয়ারম্যান ঢাকা থেকে ফিরে এসে ওই গম বিক্রি করবেন এমন খবর জানতে পেরে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি জেলা ত্রান ও পূর্ণবাসন কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়। সে অনুযায়ি কালিগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাহাররিয়ার মাহমুদ রঞ্জুকে সঙ্গে নিয়ে জেলা ত্রাণ ও পূর্ণবাসন শাখার সহকারি কমিশনার সাফিয়া আফরিন গতকাল বেলা ১১টার দিকে চম্পাফুল ইউনিয়ন পরিষদে আসেন। পরিষদের গুদামে ভিজিএফ এর ৪৫ বস্তা গম রয়েছে সংশ্লিষ্ট ই্উপি সচীব মনিরুজ্জামনের মারফৎ জানতে পেরে তিনি ওই গুদামের দরজায় তালা লাগিয়ে সিলগালা করে দেন।
চম্পাফুল ইউনিয়নর পরিষদের সচীব মোঃ মনিরুজ্জামান, জানান, ঈদের জন্য বরাদ্দ হলেও গম নির্ধারিত তারিখের কয়েকদিন পর পরিষদে পৌঁছায়। এরপর চেয়াম্যান ও ইউপি সদস্যদের বিরুদ্ধে ১০ টাকার সরকারি চাল বিতরণে অনিয়ম ও দূর্ণীতির অভিযোগে দুদকের মামলায় গ্রেফতারের ভয়ে গত ১৪ জুনের পর থেকে তারা নিয়মিত পরিষদে আসতে পারেননি।। ফলে ভিজিএফ এর ওই গম যথাসময়ে বিতরণ করা হয়নি। তারা সোমবার রাতে এলাকায় ফিরে বুধবার ওই গম বিলি করার কথা ছিল।
জেলা ত্রাণ ও পূর্ণবাসন শাখার সহকারি কমিশনার সাফিয়া আফরিন জানান, চম্পাফুল ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিদের ভিজিএফ এর বরাদ্দকৃত গম বিতরণ না করার অভিযোগে ৪৫ বস্তা গমভর্তি গুদামে সিলগালা করা হয়েছে। পরবর্তীতে ওইসব জনপ্রতিনিধি সন্তোষজনক জবাব দিলে সিলগালা সরিয়ে নেওয়া হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

এম বেলাল হোসাইন : বিরল রোগে আক্রান্ত শিশু মুক্তামনির সু-চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন বাংলাদেশ সরকার। সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাতক্ষীরার কৃতি সন্তান প্রফেসর ডা. আ ফ ম রুহুল হক এমপি ইতিমধ্যেই উচ্চ পর্যায়ে কথা বলে তার চিকিৎসার জন্য মেডিকেল বোর্ড গঠনের উদ্যোগ নিয়েছেন। সোমবার দুপুরের দিকে মুক্তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর যেকোন মূহুর্তে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে বিশেষায়িত চিকিৎসার জন্য। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে মুক্তামনির চিকিৎসার বিষয়ে সার্বিক খোঁজখবর নিতে সেখানে উপস্থিত হন সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আ ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু, জেলা পরিষদ সদস্য এড. শাহানাজ পারভীন মিলিসহ অনেকেই।
সোমবার সকালে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু, সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. তহিদুর রহমান, ডেইলি সাতক্ষীরা’র সম্পাদক ও দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা’র ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হাফিজুর রহমান মাসুম, সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবুল হোসেন, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ এর ফরেনসিক মেডিসিনের প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দীন, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাসান হাদী, সাংবাদিক আব্দুল জলিল, এম বেলাল হোসাইন, মোস্তফা আলী ও প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতা আনছার হাজী। পরে উপজেলা চেয়ারম্যানসহ নেতৃবৃন্দ আক্রান্ত শিশু মুক্তামনির সার্বিক খোঁজ খবর নেন এবং তার পরিবারকে চিকিৎসার আশ্বস্ত করেন।
এসময় ডা. নাসির সকলকে মুক্তামনির রোগ সম্পর্কে অবহিত করে বলেন, “বিশ্বের মধ্যে ২ জন বৃক্ষ মানব ছিলেন। তাদের মধ্যে ১ জন ইন্দোনেশিয়ায় আরেকজন বাংলাদেশের আবুল বাজানদার। তার চিকিৎসা বাংলাদেশেই হয়েছে। সুতরাং মুক্তা মনির চিকিৎসাও বাংলাদেশে হবে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ বা বিএসএমএমইউ-তে বিশেষ মেডিকেল বোর্ড গঠন করে মুক্তামনিকে চিকিৎসা দেয়া সম্ভব।” তিনি আরও বলেন, “মুক্তামনির এ রোগটি বিরল। প্রাথমিকভাবে বলা যায় এর নাম হাইপারকেরাটসিস। সর্বশেষ যে টেস্ট রিপোর্ট আমাদের হাতে এসেছে তাতে করে মনে হচ্ছে এটি ক্যান্সার নয়। এটি জটিল হলেও নিরাময়যোগ্য।”
বিরল রোগে আক্রান্ত মুক্তামনিকে দেখতে গিয়ে সোমবার সকাল ১১টায় সদর উপজেলার বাঁশদহা ইউনিয়নে কামারবায়সা গ্রামের তার বাড়িতে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু বলেন, “আমার মুক্তামনির বিষয়ে গণমাধ্যমে জানতে পেরেই প্রথমে উপমহাদেশের বিশিষ্ট শল্য চিকিৎসক আমাদের সাতক্ষীরারই মানুষ অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক এমপি-কে বিষয়টি জানাই। তিনি রবিবার রাতেই ই-মেইলে মুক্তামনির ছবি এবং রিপোর্ট পাঠাতে বলেন। সবকিছু দেখে তিনি মুক্তামনিকে অবিলম্বে ঢাকায় নেয়ার কথা বলেন। বিভিন্ন গণমাধ্যমের কল্যঅণে বিষয়টি ইতিমধ্যে সকলের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। নিশ্চয়ই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার আনুকূল্যও আমরা পাব। তিনি শিশুদের বিষয়ে অত্যন্ত সংবেদনশীল এবং মানবিক। ডা. রুহুল হক প্রধানমন্ত্রীর সাথে এ বিষয়ে কথাও বলবেন। মুক্তামনির চিকিৎসার কোন ক্রটি হবে না।” তিনি আরো বলেন, “বিনা চিকিৎসায় তার পিতার কোল শূন্য না হবে না। আমিও সন্তানের পিতা। সন্তানের মুখের হাসি দেখলে যে সুখ যাওয়া যায়। পৃথিবীর আর কোন কিছুতেই সে সুখ পাওয়া যায় না।”
এদিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শিশু মুক্তাকে দ্রুত সদর হাসপালে ভর্তি করে নিয়ম অনুযায়ী ঢাকায় স্থানান্তরের জন্য সাতক্ষীরার সিভিল সার্জনকে নির্দেশ দিয়েছেন। নির্দেশনা অনুযায়ী সিভিল সার্জন সদর উপজেলা চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে মুক্তামনিকে করে এ্যাম্বুলেন্স যোগে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
অন্যদিকে সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম এ খবর শুনে দ্রুত সদর হাসপাতালে পৌছান শিশু মুক্তাকে দেখতে। সেখানে পৌছে তিনি তার সু-চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকদের সু-দৃষ্টি কামনা করেন এবং তার পিতা-মাতাকে সান্তনা প্রদান করেন। এসময় সিভিল সার্জনসহ অন্যান্য চিকিৎসকগণ সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, সদর উপজেলার কামারবায়সা গ্রামের মুদি দোকানী ইব্রাহীম হোসেনের দাম্পত্য জীবনে দুই যমজ কন্যা ও এক পুত্র সন্তানের জনক। তার দুই যমজ সন্তানের মধ্যে হীরামনি বড় ও মুক্তামনি ছোট। আর ছোট ছেলে আল-আমিনের বয়স এক বছর তিন মাস। জন্মের প্রথম দেড় বছর যাবত ভালোই ছিল হীরা মনি ও মুক্তা মনি। কিছুদিন পর মুক্তা মনির ডানহাতে একটি ছোট মার্বেলের মতো গোটা দেখা দেয়। এর পর থেকে তা বাড়তে থাকে। সাথে চলে স্থানীয় চিকিৎসাও। দেখলে মনে হবে গাছের বাকলের (ছালের) মত ছেয়ে গেছে পুরো হাতটি। আক্রান্ত ডান হাত তার দেহের সব অঙ্গের চেয়েও ভারি হয়ে উঠেছে। ভেতরে পোকা জন্মেছে। বিকট যন্ত্রণায় মুক্তামনি সব সময় অস্থির। ডাক্তার বলছেন এ ব্যাধি তার দেহের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ছে। তিনি জানান, মুক্তার সারা দেহে রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। তার শরীর শুকিয়ে যাচ্ছে। শুধু হাতের ভার বাড়ছে। দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে দেখানো হয়েছে মুক্তামনিকে। কেউ কোনো সঠিক চিকিৎসা দিতে পারেন নি। রোগের মাত্রা শুধু বেড়েই চলেছে। হতাশ বাবা ইব্রাহীম গত ছয় মাস যাবত চিকিৎসাবিহীন অবস্থায় মুক্তাকে বাড়িতে রেখে কেবল ড্রেসিং করছেন।
তিনি আরো জানান, মেয়ের চিকিৎসার জন্য অনেক হাসপাতালে গিয়েছি। এখন সর্বশান্ত হয়ে পড়েছি। সঠিক চিকিৎসা পাইনি। তবে ডাক্তার বলছেন রোগটি বিরল হলেও বাংলাদেশে এর চিকিৎসা রয়েছে। বাংলাদেশে বৃক্ষ মানবের সফল চিকিৎসা হয়েছে বলেও জানান ডাক্তার। তাই তিনি আবেগ জড়িত কন্ঠে বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমার মেয়ের চিকিৎসার দায়িত্ব নিলে আমি কৃতজ্ঞ থাকবো।
যন্ত্রনায় কাতর মুক্তামনি জানায়, শুধু চুলকায় । আর যন্ত্রণা করে । গরমে ঠান্ডায় বাড়ে। সে আক্ষেপ করে আরো বলে, বাইরের দুনিয়া আমি দেখতে পারিনা। স্কুলে যেতে পারিনা । খেলতে পারিনা। আমার জীবনে কোনো আনন্দ নেই।
মুক্তামনির বড় বোন হীরামনি জানায়, বোনের জন্য কষ্ট হয়। ভাল থাকলে এক সাথে খেলতে পড়তে পারতাম। মুক্তার যমজ বোন হীরামনি আরো বলে, এবার ঈদে নতুন জামা নেয়নি। কারণ মুক্তা জামা পরতে পারবে না তাই।
মুক্তামনির দাদা এজাহার আলী গাজী কান্না জড়িত কন্ঠে জানান, বছর চারেক আগে থেকে মুক্তামনির ব্যাধির মাত্রা বেড়ে যায়। বন্ধ হয়ে যায় তার চলাফেরা, স্কুলে যাওয়া, খেলাধুলা। মুক্তামনি এখন বসতে পারে না। দাঁড়াতে পারে না। হাঁটতেও পারে না সে। দিনরাত কেবল শুয়ে কাটাতে হয় তাকে।
এরই মধ্যে আক্রান্ত হাত ক্রমেই ভারি হয়ে উঠছে। এতে পোকা ধরেছে। মশা ও মাছির উৎপাত বাড়ছে। বাড়িময় বিকট গন্ধ ছুটছে। এ কারণে তাদের বাড়িতে আত্মীয় স্বজনরা আসতে চায় না। গ্রামের লোকজনও শুধু দুর থেকে নজরে দেখে চলে যায়।
মুক্তামনির মা আয়েশা খাতুন জানান, আমার মেয়ের কষ্ট দেখতে পারিনা। সারা দেহে পোকার কামড়ের যন্ত্রণা। ঈদে নতুন জামা পরাতে পারিনি তাকে। মেধাবী মেয়ে। সুরেলা গলায় গজল গায়। গান গায়। মুক্তামনির হাতে পচন ধরায় দুর্গন্ধের কারণে গ্রামের লোকজন এমনকি আত্মীয়স্বজনরাও আমাদের বড়তে আসে না।
এদিকে, বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের পর দেশে-বিদেশের বহু ব্যক্তি মুক্তামনির চিকিৎসায় এগিয়ে আসার আগ্রহ প্রকাশ করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest