সর্বশেষ সংবাদ-
পণ্যগ্রাফি নিয়ন্ত্রন আইনের মামলার আসামীদের গ্রেফতারের দাবিতে প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দের বিবৃতিসাতক্ষীরায় গৃহবধু গণধর্ষণের মামলার আসামী গ্রেপ্তারআশাশুনি বাজারের পাশে বসবাসকারীরা নদী ভাঙ্গনে উদ্বিগ্ন: ইউএনওর পরিদর্শণসাতক্ষীরায় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলায় ৩৩ জনের জামিনসাংবাদিকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ছয় দিন, থানার সামনেই প্রকাশ্যে ঘুরছেন আসামিরাভারতীয় পর্ন ভিডিওতে সাংবাদিকের ছবি জুড়ে ব্লাকমেইল করে চাঁদা দাবিকালিগঞ্জে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দূধর্ষ ডাকাতিজুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে সাতক্ষীরায় এতিমদের মাঝে খাবার বিতরণভোমরার ইউপি চেয়ারম্যানকে ৪৮ ঘন্টা সময় বেঁধে দিলেন ইউনিয়নবাসীআশাশুনিতে শহীদের স্মরণে দুঃস্থদের মাঝে জামায়াতের খাবার বিতরণ

ভারতে ট্রেনের বগির উপরে বগি, নিহত ২৩

ভারতের উত্তরপ্রদেশের মুজাফফরনগর জেলায় যাত্রীবাহী একটি ট্রেনের বগি উল্টে অন্তত ২৩ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এতে আহত হয়েছে আরো অন্তত ৪০ জন। ১৪টি বগি উল্টে অপর বগির উপর উঠে যাওয়ায় ধ্বংসাবশেষের নিচে চাপা পড়ে এ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে নিশ্চিত করেছে সংবাদসংস্থা এএনআই।

শনিবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে রাজ্যের মুজাফফরনগর জেলায় এ দুর্ঘট্না ঘটে। হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, উত্তরপ্রদেশের পুরী-হরিদ্বার-কলিঙ্গগামী উৎকল এক্সপ্রেস নামের একটি ট্রেনের ১৪টি বগি উল্টে গেছে। মুজাফফরনগরের খাওতলি স্টেশনে ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে।

উত্তরপ্রদেশ পুলিশ এক বিবৃতিতে প্রথমে ট্রেনের বগি উল্টে ২৩ জন নিহত ও ৪০০ জনের আহতের তথ্য জানায়। পরে টাইপিংয়ের ভূলেই আহত ৪০ জনের স্থলে ৪০০ লেখা হয়েছে বলে দু:খ প্রকাশ করে সংশোধনী দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।

ট্রেন লাইনচ্যুতে হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দুর্ঘটনার কারণ শনাক্তে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির রেলওয়ে মন্ত্রী সুরেশ প্রভু। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে দেয়া এক টুইটে তিনি বলেন, যেকোনো ধরনের গাফিলতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ দুর্ঘটনাস্থলে দুই মন্ত্রীকে পাঠিয়েছেন। ভারতের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ ট্রেনের এ দুর্ঘটনায় ১১ জনের প্রাণহানি ও ৪০ জনের আহতের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

কর্তৃপক্ষ বলছে, ট্রেনের বগির নিচে অনেকেই আটকা পড়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে। দুর্ঘটনার পর ওই রেললাইনে চলাচলকারী ট্রেনের যাতায়াত বন্ধ হয়ে পড়েছে।

দেশটির বিরোধীদলীয় নেত্রী সোনিয়া গান্ধী দুর্ঘটনাস্থলের আশ-পাশের লোকজনকে উদ্ধারকাজে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে হতাহতদের প্রতি শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জেলা আ ’লীগের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : মহান স্বাধীনতার স্থপতি, শতাব্দীর মহানায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকাল ৫টায় সাতক্ষীরা জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, সাতক্ষীরা জেলা শাখার আয়োজনে এ আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) ও সাতক্ষীরা-০২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। আলোচনা সভার শুরুতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরাবতা পালন করেন নেতৃবৃন্দ। আলোচনা সভায় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি বলেন, ‘১৯২০ সালের ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম গ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সেনাবাহিনীর কিছুসংখ্যক বিপথগামী দুস্কৃতিকারী সদস্যরা ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাসভবনে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেছিল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে বাঙালির ইতিহাসে এক কালিমালিপ্ত অধ্যায় সংযোজিত হয়েছিল। সেদিন ঘাতকেরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধুর ভাই শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, আরিফ, বেবি ও সুকান্ত, আবদুল নাঈম খান রিন্টু, বঙ্গবন্ধুর ভাগনে যুবনেতা শেখ ফজলুল হক মণি, তাঁর অন্ত:সত্ত্বা স্ত্রী আরজু মণিকেও হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুর জীবন বাঁচাতে ছুটে আসা কর্নেল জামিলকেও সেদিন ঘাতকদের হাতে প্রাণ হারাতে হয়েছিল। ১৫-ই আগস্টে এ জাতি যা হারিয়েছে সে ক্ষতি কখনও পুরণ হবার নয়। তবে সেই সময় বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। বাঙালী জাতির ভাগ্যন্নোয়নে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের রুপকার হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। সেদিনের শোককে শক্তিতে পরিণত করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করি।’ আলোচনা সভায় সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বাঙালি জাতি হারিয়েছে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। এ দিন নির্মমভাবে হত্যা করা হয় তার পরিবারের সদস্যদেরকে। ঐ দিন এ জাতি যা হারিয়েছে সে ক্ষতি কখনও পুরণ হবার নয়। সমগ্র জাতি আজ শোকাহত ও মর্মাহত। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শাহাদাৎ বরণকারী বঙ্গবন্ধু পরিবারের সকল শহীদ সদস্যদের গভীর শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ ও তাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। ১৫ আগষ্টের ষড়যন্ত্রকারীরা আজো সক্রিয়। বাঙালী জাতির অধিকার নিশ্চিত করতে নেতৃত্ব দিয়ে দেশকে স্বাধীন করে ছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যে কারণে তার জনপ্রিয়তা সহ্য হয়নি এদেশে ঘাপটি মেরে থাকা পাকিস্থানী এজেন্টদের। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার বাঙালির ভাগ্যন্নোয়নে নিরলসভাবে কাজ করে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। তাই এখনও ষড়যন্ত্রকারীরা দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ করতে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।’ এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য ফজলুল হক, এ্যাড. এস.এম হায়দার, যুগ্ম সম্পাদক শেখ সাহিদ উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বাবু, কলারোয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ ফিরোজ আহমেদ স্বপন, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আবু সায়ীদ, জেলা শ্রমিকলীগ নেতা শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু, জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর হোসেন, জেলা শ্রমিকলীগের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল্লাহ সরদার, জেলা যুবলীগের আহবায়ক আব্দুল মান্নান, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদিকা ও পৌর কাউন্সিলর জ্যোন্সা আরা, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক মীর মোস্তাক আলী, সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান মিজান প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন হাফেজ ক্বারী শেখ ফিরোজ আহমেদ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক পিপি এড. ওসমান গনি, সদস্য এ্যাড. আব্দুল লতিফ, এ্যাড. আজহারুল ইসলাম, আসাদুল হক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এড. স.ম গোলাম মোস্তফা, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ হায়দার আলী তোতা, প্রচার সম্পাদক শেখ নুরুল হক, জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি মকসুমুল হাকিম, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা স্মৃতি সংসদ জেলা শাখার সভাপতি সৈয়দ জয়নুল আবেদীন জসি, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর ইসলাম, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদিকা লায়লা পারভীন সেজুতি, পৌর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সাহাদাৎ হোসেন, জেলা পরিষদের সদস্য ওবায়দুর রহমান লাল্টু, শাহনওয়াজ পারভীন মিলি, সৈয়দ আমিনুর রহমান বাবু, জজকোর্টের এপিপি এ্যাড. তামিম আহমেদ সোহাগ, জেলা তরুণলীগের সভাপতি শেখ তৌহিদুর রহমান চপল, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানভির হুসাইন সুজন, সাধারণ সম্পাদক এহছান হাবিব অয়ন, জেলা তাঁতীলীগের সভাপতি মীর আজহার আলী শাহিন, সাধারণ সম্পাদক শেখ তৌহিদ হাসান, পৌর যুবলীগের আহবায়ক মনোয়ার হোসেন অনু, যুগ্ন আহবায়ক তুহিনুর রহমান তুহিন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি কাজী আক্তার হোসেনসহ জেলা আওয়ামীলীগের সকল অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় নিটল মটরসের গ্রাহক সমাবেশ অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক : নিটল মটরসের গ্রাহক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকালে তুফান কনভেনশনে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কোম্পানির সাতক্ষীরা শাখার সি ই ও মোস্তাক আহম্মেদ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, নিটল মটরস গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুল মাতলুব আহম্মদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন, সাতক্ষীরা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি আবু আহমেদ, জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি শেখ ছাইফুল করিম সাবু, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, ট্রাক মালিক সমিতির সহ-সভাপতি আব্দুল মোমেন খান চৌধুরী প্রমুখ। এসময় প্রধান অতিথি বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ হতো না। বাংলাদেশ না হলে আমরা শিল্পপতি হতে পারতাম না আর আমরা শিল্পপতি না হলে নিটল মটরসের জন্ম হতো না। তার অবদান চিরস্মরণীয়। যা বাঙালি জাতী আজীবন মনে রাখবে। এছাড়া গ্রাহকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, কোম্পানি গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী স্লাপাই দিবে। সাতক্ষীরার গ্রাহকদের জন্য তিনি ৬টি ফ্রি সার্ভিস সেন্টার ঘোষণা দেন। অনুষ্ঠানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২ তম শাহাদৎ বার্ষিকী উপলক্ষ্যে ১ মিনিট নিরবতা পালন করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সুন্দরবনে বিষ প্রয়োগে মাছ ধরার সময় আটক ৩

শ্যামনগর ব্যুরো : সাতক্ষীরা রেঞ্জ পশ্চিম সুন্দরবনের গহিনে ছোট কেয়াখালী নদীতে বিষ প্রয়োগ করে মাছ ধরার সময় সরঞ্জাম সহ ৩ ব্যক্তিকে আটক করেছে বুড়িগোয়ালিনী বন স্টেশন অফিসের সদস্যরা। গতকাল শনিবার বেলা ১ টার দিকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলো- শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের দাতিনাখালী গ্রামের মৃত দলিল উদ্দীন গাজীর ছেলে করিম গাজী(৪৫) এবং একই এলাকার সবদুল গাজীর ছেলে আক্তারুল গাজী (৩৫) ও আব্দুল মজিদ গাজীর ছেলে আকছেদুল গাজী(৩৪)। এ সময়ে তাদের ব্যবহৃত ২ বোতল বিষ সহ ব্যবহার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। বুড়িগোয়ালিনী বন স্টেশন কর্মকর্তা বেলাল হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তীতে ঘটনাস্থল অভিযান চালিয়ে সরঞ্জাম সহ তাদের আটক করে বন আইনে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। সাতক্ষীরা সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) শোয়েইব খান সত্যতা নিশ্চিত করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
নরেন্দ্র মোদি নিখোঁজ! বারাণসীতে পোস্টার

ভারতের বারাণসীর বেশ কিছু জায়গায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নিখোঁজ পোস্টারে ছেয়ে যায়। এমন ঘটনার পর পুলিশ পোস্টার সরিয়ে নিলেও, এই নিয়ে তৈরি হয়েছে নানা বিতর্ক।
প্রধানমন্ত্রীকে কালিমালিপ্ত করতে বিরোধীদের মদতে কেউ এই কাজ করছে বলে অভিযোগ বিজেপির। গত লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার সময় নরেন্দ্র মোদি বারাণসীর জন্য অনেক কথা বলেছিলেন। তিন বছর পরও বারাণসীর হাল না ফেরায় হতাশায় কেউ এমন করতে পারে বলে পাল্টা জবাব দিয়েছে বিরোধীরা।

এলাকার জনপ্রতিনিধিকে দেখতে না পেলে নিখোঁজ পোস্টার সাঁটানো এখন নতুন চল। কয়েক দিন আগে আমেঠিতে রাহুল গান্ধীর ক্ষেত্রে হয়েছিল। মথুরার সাংসদ হেমা মালিনীর ক্ষেত্রেও এমন ঘটনা ঘটেছিল। এবার বিড়ম্বনার শিকার নরেন্দ্র মোদি। নিজের নির্বাচনী এলাকাতেই অস্বস্তিতে পড়লেন তিনি। শুধু ছবি সাঁটিয়ে থামা নয়, বিদ্রুপে ভরিয়ে দেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রীকে। একটি জনপ্রিয় গানের অনুকরণে পোস্টারে লেখা হয়, ‘জানি না কোন দেশে তুমি চলে গেছ। ‘ এক্ষেত্রে মোদির ঘনঘন বিদেশযাত্রা যে নিশানা, তা বুঝতে কারও অসুবিধা হয়নি। নরেন্দ্র মোদিকে কটাক্ষ করে পোস্টার লেখা হয় যদি প্রধানমন্ত্রীকে না পাওয়া যায় তাহলে পুলিশে এফআইআর করতে হবে। দেশটির পুলিশ অবশ্য দ্রুত পোস্টারগুলি ছিঁড়ে ফেলেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
এন্টার্কটিকায় বরফ চাদরের নিচে ৯১ আগ্নেয়গিরি

সম্প্রতি এন্টার্কটিকায় বরফের নীচে একসঙ্গে ৯১টি আগ্নেয়গিরির সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। গবেষকদের মতে, এগুলি তুলনামূলকভাবে নতুন এবং কোনোদিনই দিনের আলো দেখেনি। তাদের শঙ্কা, এগুলিতে অগ্ন্যুৎপাত হলে বরফস্তরে ধস নামতে পারে। যার জেরে বাড়তে পারে পানির উচ্চতা। ফলে পৃথিবীর একটা বড় অংশ পানিতে তলিয়ে যেতে পারে। তবে, কিছুটা আশার আলোও পাওয়া গিয়েছে।

বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, বর্তমানে আগ্নেয়গিরিগুলি সুপ্ত অবস্থাতে রয়েছে। এই মুহূর্তে এগুলির জেগে ওঠার সম্ভাবনা খুবই কম। এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দলটির প্রধান ম্যাক্স ভ্যান সতর্ক করে বলেছেন, ‘উষ্ণায়ণের জেরে বরফ গলতে শুরু করলে অগ্ন্যুৎপাত এড়ানো কঠিন হয়ে যাবে।’

জানা গেছে, আগ্নেয়গিরিগুলির মধ্যে সবচেয়ে বড়টির উচ্চতা প্রায় ৪ হাজার মিটার। যা উচ্চতায় সুইজারল্যান্ডের ইগার আগ্নেয়গিরির সমান। নতুন আবিষ্কৃত এই আগ্নেয় পার্বত্য অঞ্চলে ১শ’ থেকে ৩ হাজার ৮৫০ মিটার উচ্চতার পাহাড়ের সন্ধান মিলেছে। ম্যাক্স ভ্যানের কথায়, ‘আগ্নেয়গিরিগুলির সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১শ’-৪ হাজার মিটার পর্যন্ত। সবগুলিই বরফে ঢাকা।’ গবেষকদের ধারণা, রস আইসশেলফের নীচে বরফ ঢাকা ওই অঞ্চলে আরো বহু আগ্নেয়গিরি রয়েছে। সুতরাং, এটিই বিশ্বের সবচেয়ে বড় আগ্নেয়গিরি অঞ্চল হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

গবেষকরা আরো জানাচ্ছেন, বরফের পুরু চাদরে চাপা থাকায় আগ্নেয়গিরিগুলির ‘প্রাকৃতিক ভারসাম্য’ বজায় রয়েছে। তবে স্বস্তির খবর হচ্ছে, নতুন করে বরফও তৈরি হচ্ছে দক্ষিণ মেরুতে। এতোদিন পূর্ব আফ্রিকার আগ্নেয় পর্বতমালায় সবচেয়ে বেশি আগ্নেয়গিরি রয়েছে বলে মনে করা হতো। কিন্তু ভূতত্ত্ববিদরা মনে করছেন, সংখ্যার দিক থেকে ওই অঞ্চলকেও ছাপিয়ে যাবে পশ্চিম এন্টার্কটিকার এই অঞ্চল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শ্রেণিকক্ষে শিক্ষিকাকে গণধর্ষণ, গ্রেপ্তার ২

বরগুনার বেতাগীতে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষিকাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে বেতাগী উজজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। আটককৃতরা হলেন বেতাগী উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামের মৃত আমজাদ আলী হাওলাদার এর ছেলে আবদুর হাকিম হাওলাদার (৪৫) ও একই গ্রামের মৃত আজাহার কাজীর ছেলে কুদ্দুস কাজী (৪২)।

পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবারের ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্তদের বিভিন্নভাবে উৎসাহিত করার পাশাপাশি ঘটনার পর তাদের এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করার প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। তাই তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বেতাগী থানার ওসি মামুন-অর রশীদ জানান, শুক্রবার রাতে হোসনাবাদ ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের তদন্তে গ্রেপ্তারদের ধর্ষণের ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় তাদের ভুক্তভোগী ওই শিক্ষিকার দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
উত্তাল যশোর; সন্ত্রাসীদের হামলায় যুবলীগের আহ্বায়কসহ আহত ২

যশোর সদর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক অশোক বোসসহ দুই জনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে সন্ত্রাসীরা। শুক্রবার (১৮ আগস্ট) রাতে এ ঘটনা ঘটে। আহত অপরজন হলেন যুবলীগ নেতা সেলিম রেজা মিঠু। তারা এখন যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

আহতদের অভিযোগ, মাসব্যাপী শোক কর্মসূচি পণ্ড করতেই জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের আশ্রিত সন্ত্রাসীরা তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে।

এ ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার রাতেই যুবলীগের উদ্যোগে শহরে মিছিল বের করা হলে শহরের মণিহার এলাকায় বাধা দেয় পুলিশ। এ সময় মিছিলকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে শনিবার (১৯ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে শহরের বিজয়স্তম্ভ মোড় থেকে যুবলীগের দুই কর্মীর ওপর হামলার প্রতিবাদে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, মহিলা লীগ, শ্রমিক লীগের যৌথ উদ্যোগে একটি বিশাল মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, যশোর সদর উপজেলা যুবলীগ, শহর যুবলীগ ও শ্রমিকলীগের উদ্যোগে যশোরের মণিহার চত্বর এলাকায় জাতীয় শোকদিবস উপলক্ষে মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। তারই অংশ হিসেবে ১৬ আগস্ট একটি বড় সমাবেশ করে তারা। সেখানে যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ প্রধান অতিথি এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন প্রধান বক্তা ছিলেন। এই সমাবেশে অনেক জনসমাগম হওয়ায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের সমর্থকরা ক্ষিপ্ত হন।

নেতারা জানান, ১৯ আগস্ট মণিহারের সামনে সদর যুবলীগের শোকদিবসের কর্মসূচি ছিল। কিন্তু সেই কর্মসূচি বানচাল করতে ছাত্রলীগ সদর উপজেলা কমিটির আহ্বায়ক রবিউল ইসলাম শুক্রবার বিকেলে সেখানে একটি খাট রেখে জায়গা দখলের অপচেষ্টা চালান এবং জানান, এখানে ছাত্রলীগের অনুষ্ঠান হবে এবং সে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন শাহীন চাকলাদার। এ ঘটনায় সেখানে উপস্থিত যুবলীগের কয়েক নেতা-কর্মী তাকে জানান, তাদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি রয়েছে। সে কারণে এখানে ছাত্রলীগের অনুষ্ঠান করা ঠিক হবে না। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হলে রবিউল তাদের দেখে নেবেন বলে শাসিয়ে যান।

জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মঈনুদ্দিন মিঠু বলেন, রাত সাড়ে ১০টার দিকে যুবলীগ সদর উপজেলার আহ্বায়ক অশোক বোস, যুবলীগ নেতা সেলিম রেজা মিঠুসহ দু’তিনজন মণিহারের পাশে বসেছিলেন। ওইসময় অতর্কিতে সন্ত্রাসীরা সেখানে উপস্থিত হয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদের উপর্যুপরি কুপিয়ে এবং ইট দিয়ে থেঁতলে গুরুতর জখম করে। পরে স্থানীয়রা তাদের গুরুতর আহতাবস্থায় উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অশোক বোস বলেন, রাতে শাহীন চাকলাদারের মদদপুষ্ট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সেক্রেটারি আনোয়ার হোসেন বিপুল, বর্তমান জেলা সভাপতি রওশন ইকবাল শাহী, সেক্রেটারি ছালছাবিল আহমেদ জিসান, যুবলীগের জাহিদ হোসেন ওরফে টাক মিলন, হাজী সুমনের নেতৃত্বে ৪০-৫০ জনের একদল দুর্বৃত্ত তাদের ওপর হামলা চালায়।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের ডাক্তার আব্দুর রহিম মোড়ল বলেন, শনিবার (১৯ আগস্ট) আহতদের সিটিস্ক্যান করা হয়েছে। সেখানে গুরুতর কিছু নেই। তবে, আহত দুজনকে আরও কয়েকদিন হাসপাতালে থাকতে হবে। তারা আশঙ্কামুক্ত।

যোগাযোগ করা হলে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সেক্রেটারি আনোয়ার হোসেন বিপুল বলেন, ছাত্রলীগ সদর উপজেলা কমিটির উদ্যোগে শনিবার শোকদিবসের কর্মসূচি ছিল। কিন্তু প্রতিপক্ষরা তাদের মঞ্চ তৈরিতে বাধা দেয়। ওইসময় সেখানে থাকা দলের নেতা-কর্মীসহ সাধারণ মানুষ তাদের ধাওয়া ও মারপিট করে। এ ঘটনার সঙ্গে আমাদের কোনও সম্পৃক্ততা নেই।

জানতে চাইলে যশোর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহিত কুমার নাথ বলেন, তাদের  পূর্বঘোষিত কর্মসূচি বানচাল করতেই পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালানো হয়েছে। তিনি বলেন, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজমল হুদা শনিবার দুপুরে বলেন, ‘পাল্টাপাল্টি রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘোষণার কারণে শুক্রবার রাতের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় জড়িত কাউকে পুলিশ এখনও আটক করতে পারেনি। ঘটনার ব্যাপারে কেউই এখনও থানায় অভিযোগও দেয়নি। ঘটনাস্থল পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’

এক প্রশ্নের জবাবে ওসি আজমল হুদা বলেন, ‘ঘটনাস্থলে উভয় পক্ষের সমাবেশ স্থগিত রাখতে বলা হয়েছে।’

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন জানান, অশোক সদর উপজেলার নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক। পলাশও একই সংগঠনের নেতা। তিনি তাদের ওপর হামলাকারী সন্ত্রাসীদের আটক এবং শাস্তি দাবি করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest