সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় প্লাস্টিক “অদল-বদল” ক্যাম্পেইনহাদির মৃত্যুতে সাতক্ষীরায় গায়েবানা জানাজাসাতক্ষীরার সাবেক পিপি লতিফের ৪ দিন : ছেলে রাসেলের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরসাতক্ষীরায় মুন্ডা সম্প্রদায়ের নারীদের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে প্রকল্প সমাপনীতালায় আলাউদ্দিন নামে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধারআশাশুনিতে আশা ব্রিক্সের লেলিহান শিখায় জনজীবন বিপর্যস্তসাতক্ষীরায় উন্নয়ন কাজে নিরব চাঁদাবাজী: পুলিশ পাহারায় কাজ শেষ করলো ঠিকাদারস্বাধীনতা বিরোধীদের নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে সাতক্ষীরায় গণস্বাক্ষরদেবহাটায় হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে সবজি বীজ বিতরনসাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আয়োজনে বিজয় দিবস পালন

ষোড়শ সংশোধনী রায়কে কেন্দ্র করে সাতক্ষীরায় আওয়ামী ও বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের পাল্টাপাল্টি সমাবেশ

আসাদুজ্জামান : সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় নিয়ে সাতক্ষীরায় বিএনপি ও আওয়ামীপন্থী আইনজীবীদের পাল্টাপাল্টি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সামনে ও শহিদ মিনার চত্বরে পাল্টাপাল্টি এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের পরিপ্রেক্ষিতে সাবেক প্রধান বিচারপতি, বর্তমান আইন কমিশনের চেয়ারম্যান ও সরকারের মন্ত্রী, সংসদ সদস্যসহ সরকারদলীয় অন্যান্য সদস্য ও কর্মকর্তা কর্তৃক সুপ্রিম কোর্টের রায় অবমাননার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বিএনপি পন্থী বাংলাদেশ জাতিয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। অপরদিকে, ষোড়শ সংশোধনী রায়ের বিরুদ্ধে পাল্টা প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে আওয়ামীপন্থী বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ।
আওয়ামী আইনজীবী পরিষদে সভাপতি এড. হায়দার আলীর সভাপতিত্বে আওয়ামীপন্থী প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পিপি এড. ওসমান গণি, এড. আজহারুল ইসলাম, এড. আলী হোসেন, এড. তহিদুর রহমান শাহিন, এড. হাবিব ফেরদৌস শিমুল, তামিম আহমেদ সোহাগ প্রমুখ।
বক্তারা এ সময়, সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায়ে অসাংবিধানিক বক্তব্য সংযোজন করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন।

সাতক্ষীরায় বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের সমাবেশ

অন্যদিকে, বাংলাদেশ জাতিয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি এড. আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে বিএনপিপন্থী প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এড. সৈয়দ ইফতেখার আলী। সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, এড. মো শহিদুল্লাহ, এড. তোজাম্মেল হোসেন তোজাম, এড. নুরুল হক, এড. আকবর আলী, এড. অসিম কুমার প্রমুখ।
বক্তারা এ সময়, ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের পরিপ্রেক্ষিতে সাবেক প্রধান বিচারপতি, বর্তমান আইন কমিশনের চেয়ারম্যান ও সরকারের মন্ত্রী, সংসদ সদস্যসহ সরকারদলীয় অন্যান্য সদস্য ও কর্মকর্তা কর্তৃক সুপ্রিম কোর্টের রায় অবমাননার বিরুদ্ধে জোর প্রতিবাদ জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

বিশ্ব ক্রিকেট আরো একবার থমকে গেল। ফের ক্রিকেট মাঠে প্রাণ গেল। আরো একবার ব্যথাতুর হলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। পাকিস্তানের তরুণ উদীয়মান খেলোয়াড় জুবায়ের আহমেদ বাউন্সারের আঘাতে প্রাণ হারান।

সোমবার নিজ শহর মারদানে ফখর জামান একাডেমির হয়ে খেলার সময় বাউন্সারের আঘাতে লুটিয়ে পড়েন জুবায়ের। পরে তাকে হাসপাতালে নেয়া হলেও আর বাঁচানো যায়নি।

পাকিস্তানি গণমাধ্যমগুলো জানায়, কোয়েটা বিয়ার্সের হয়ে চারটি লিস্ট এ ম্যাচ এবং টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে জুবায়েরের। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) তাদের অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে এই মর্মান্তিক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

কোয়েটা বিয়ার্সের হয়ে খেলার পথে ২০১৪ সালে টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ১১১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন জুবায়ের। এমন একজন প্রতিভাবান ক্রিকেটারের মর্মান্তিক মৃত্যুতে পিসিবির পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়।

অবশ্য ক্রিকেট মাঠে প্রাণহানির এটাই প্রথম ঘটনা নয়। ২০১৪ সালে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলার সময় অস্ট্রেলিয়া জাতীয় দলের সাবেক ওপেনার ফিলিপ হিউজ বাউন্সারের আঘাতে লুটিয়ে পড়েছিলেন। শত চেষ্টা করেও চিকিৎসকরা তাকে বাঁচাতে পারেননি। ক্রিকেটবিশ্বকে কাঁদিয়ে এই অজি ক্রিকেটার চলে যান না ফেরার দেশে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সেলাই খোলা হয়েছে তোফা-তহুরার

অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে আলাদা জীবন পাওয়া ১০ মাসের শিশু তোফা ও তহুরার সেলাই খুলে দেওয়া হয়েছে। বুধবার সকালে শিশু সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শাহনুর ইসলাম জানান, সেলাই দেওয়া জায়গায় কোনো ধরনের সমস্যা দেখা দেয়নি। তোফা ও তহুরা অনেক ভালো আছে।

গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর তোফা ও তহুরার জন্ম হয়। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দহবন্দ ইউনিয়নের ঝিনিয়া গ্রামের রাজু মিয়া তোফা ও তহুরার বাবা। মা শাহিদা বেগম।

চলতি বছরের ২১ এপ্রিল দ্বিতীয়বারের মতো ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয় জোড়া লাগা শিশু তোফা ও তহুরাকে। ১ আগস্ট ঢামেক হাসপাতালে দীর্ঘ সাড়ে ছয় ঘণ্টার অস্ত্রোপচার শেষে শিশু তোফা ও তহুরাকে আলাদা করা হয়। এরপর তাদের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আনিসুল হক গুরুতর অসুস্থ হয়ে লন্ডনের একটি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন আছেন।

গত ১৩ আগস্ট ব্রেন স্ট্রোক করলে তাকে সেন্ট্রাল লন্ডনের এক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
গত দুইদিন ধরে আইসিইউতে আছেন তিনি। গত দুইমাস ধরে মেয়র আনিসুল হকের শারীরিক অবস্থা তেমন ভালো ছিল না।

মেয়রের ব্যক্তিগত সহকারী মিজানুর রহমান বুধবার রাতে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মেয়রের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তিনি সেরিবেল ভ্যাসকিউলিটিস নামে একটি মস্তিষ্কজনিত রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। যেটি ঢাকার চিকিৎসকরা সনাক্ত করতে পারেননি। গত দুইমাস ধরে তিনি এই রোগে আক্রান্ত। সোমবার তার দেশে ফেরার কথা ছিল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ভারত ও চীনের মধ্যকার লাদাখ সীমান্তের পানগং হৃদের পাড় দিয়ে মঙ্গলবার ভারতের মধ্যে প্রবেশের চেষ্টা করে চীনের পিপল’স লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) সেনারা। এ সময় দুই দেশের বাহিনীর মধ্যে পাথর ছোঁড়াছুড়ির ঘটনা ঘটেছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইনের এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ভারতের ৭১তম স্বাধীনতা দিবসে মঙ্গলবার সকাল ৬টা-৯টার মধ্যে লাদাখের ফিঙ্গার ফোর ও ফিঙ্গার ফাইভ এলাকা দিয়ে দুইবার সীমান্ত ডিঙানোর চেষ্টা করে পিএলএর সেনারা। কিন্তু ভারতের সতর্ক সেনাদের প্রতিরোধে তাদের চেষ্টা উভয়বারই ভণ্ডুল হয়ে যায়।

মানববন্ধন তৈরি করে চীনা সেনাদের সীমান্ত পার হওয়ার চেষ্টায় বাধা সৃষ্টি করে ভারতীয় সেনারা। বাধার মুখে ভারতীয় সেনাদের লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে শুরু করে তারা। জবাবে ভারতীয় বাহিনীও পাথর ছোঁড়ে। এসময় উভয় বাহিনীর কয়েকজন আহত হন।

ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ ঘটনায় উভয় দেশের কয়েকজন সামান্য আহত হয়েছেন। তবে কিছুক্ষণের মধ্যে দুই দেশের বাহিনী পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে নিজ নিজ অবস্থানে ফিরে গেলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

ডোকালাম সীমান্তে দুই দেশের সেনাবাহিনীর টানা অবস্থানের মধ্যেই এ ধরনের ঘটনা ঘটল। তবে এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি নয়াদিল্লিতে সেনাবাহিনীর মুখপাত্র।

প্রসঙ্গত, ওই এলাকার মালিকানা দাবি করে আসছে ভারত ও চীন উভয়েই। ফিঙ্গার ফোরে চীন একটি সড়ক নির্মাণ করেছে, যা দুই দেশের সীমারেখা লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল (এলএসি) থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে। পানগং হৃদের উত্তর ও দক্ষিণ পাড় টহলের জন্য ব্যবহার করে থাকে চীন। এই হৃদের ৪৫ কিলোমিটার পাড় ভারতের এবং ৯০ কিলোমিটার পাড় চীনের মধ্যে পড়েছে। এই হৃদকে কেন্দ্র করে দুই দেশের বাহিনীর মধ্যে প্রায়ই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তিন সৌদি যুবরাজকে অপহরণ

বিবিসির এক তদন্তে উঠে এসেছে যে ভিন্ন মতাবলম্বী এক সৌদি রাজপুত্রকে অপহরণ করে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।কয়েকজন পশ্চিমা সাক্ষী এই বিষয়ে কথা বলেছেন। এরা গত বছর প্রিন্স সুলতান বিন তুর্কী বিন আব্দুল আজিজের এক সফরের সঙ্গী ছিলেন। তারা ভেবেছিলেন বিমানে চড়ে তারা ফ্রান্স থেকে মিশরে যাচ্ছেন। কিন্তু প্রাইভেট জেট বিমান অবতরণ করে সৌদি আরবে। এরপর থেকে যুবরাজের কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এই অভিযোগের ব্যাপারে সৌদি সরকার মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।খবর-বিবিসি বাংলা।

বিবিসির সংবাদদাতা রেদা আল মাওয়ি বলছেন, ইউরোপে বাস করতেন এমন তিনজন সৌদি যুবরাজ গত দু’বছরে নিখোঁজ হয়েছেন। এরা তিনজনই সৌদি সরকারের সমালোচক ছিলেন। এমন প্রমাণ আছে যে এই তিনজনকেই অপহরণ করা হয়েছে এবং বিমানে করে সৌদি আরবে নিয়ে যাওয়া হয়েছে – এবং তার পর থেকে এদের কোন খোঁজখবর পাওয়া যায় নি।

জেনেভা শহরের উপকণ্ঠে ২০০৩ সালের ১২ই জুন একজন সৌদি প্রিন্সকে গাড়িতে করে একটি প্রাসাদে নিয়ে যাওয়া হয়। এই প্রিন্সের নাম সুলতান বিন তুরকি বিন আবদুলআজিজ। প্রাসাদটি হচ্ছে তার চাচা প্রয়াত বাদশাহ ফাহদের। আর যিনি এই প্রিন্সকে প্রাতরাশের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, তিনি হলেন বাদশাহ ফাহদের প্রিয় পুত্র প্রিন্স আবদুলআজিজ বিন ফাহদ।
আবদুলআজিজ সুলতানকে বললেন, সৌদি আরবে ফিরে যেতে – কারণ সুলতান সৌদি নেতৃত্বের যে সমালোচনা করেছেন তা নিয়ে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে এবং তার নিষ্পত্তি করতে হবে।
সুলতান তা মানলেন না। এর পর প্রিন্স আবদুলআজিজ একটা ফোন করতে ঘরের বাইরে গেলেন। তার সাথেই ঘর থেকে বেরিয়ে গেলেন সৌদি আরবের ইসলাম বিষয়ক মন্ত্রী শেখ সালেহ আল-শেখ। কয়েক মুহূর্ত পরই ঘরে ঢুকলো মুখোশধারী কয়েকজন লোক। তারা সুলতানকে মারধর করলো, তার হাতে পরিয়ে দিল হাতকড়া। এর পর তার ঘাড়ে ঢুকিয়ে দেয়া হলো একটা ইনজেকশনের সূঁচ।সুলতান সংজ্ঞা হারালেন। তাকে দ্রুত নিয়ে যাওয়া হলো জেনেভা বিমানবন্দরে। সেখানে অপেক্ষা করছিল একটি বিমান। অনেক বছর পর সুলতান সুইজারল্যান্ডের এক আদালতে এ ঘটনার বর্ণনা দেন।

প্রিন্সি সুলতান কি করেছিলেন যে তার পরিবারের লোকেরাই তাকে এভাবে অপহরণ করলো? এর আগের বছর ইউরোপে চিকিৎসার জন্য এসে প্রিন্স সুলতান সৌদি সরকারের মানবাধিকার রেকর্ড, যুবরাজ ও কর্মকর্তাদের দুর্নীতির সমালোচনা করে কিছু সাক্ষাৎকার দেন, এবং কিছু সংস্কারের আহ্বান জানান।

সৌদি আরবে ১৯৩২ সালে বাদশাহ আবদুলআজিজ ইবনে সৌদ ক্ষমতাসীন হবার পর থেকেই দেশটি একটি রাজতন্ত্র এবং এখানে ভিন্নমত সহ্য করা হয় না। রাজপরিবারের অভ্যন্তরীণ বিবাদের কারণে প্রভাবশালী প্রিন্স তুরকি বিন বান্দার এর আগে জেল খেটেছেন। ছাড়া পাবার পর তিনি প্যারিসে পালিয়ে যান এবং সৌদি আরবে সংস্কার দাবি করে ইউটিউবে ভিডিও ছাড়েন।

তখন তার ওপর চাপ দেয়া হয় দেশে ফেরার জন্য। তাকে ফোন করেন ডেপুটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদ আল-সালেম। সেই টেলিফোন আলাপ রেকর্ড করে রাখেন প্রিন্স, এবং পরে তা অনলাইনে প্রকাশ করেন। আলাপটি ছিল এইরকম: “সবাই আপনার প্রত্যাবর্তনের জন্য অপেক্ষা করছে। জাযাকআল্লাহ খায়ের।””আমার ফেরার জন্য? তোমার অফিসাররা যে আমাকে চিঠি লিখেছে ‘বেশ্যার সন্তান, তোকে আমরা সুলতান বিন তুরকির মতো টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাবো।'”

“ওরা আপনার গায়ে হাত দেবে না”- ডেপুটি মন্ত্রী আশ্বাস দিলেন। তুরকি বললেন, “না, ওরা তোমারই লোক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ওদের পাঠায়।”প্রিন্স তুরকি ২০১৫ সালের জুলাই পর্যন্ত ভিডিও পোস্ট করেন। তার কিছুদিন পরই তিনি হঠাৎ উধাও হয়ে যান। সৌদি ব্লগার ওয়ায়েল আল-খালাফ বলেন, “পরে আমি একজন কর্মকর্তার কাছে শুনেছি যে তুরকি বিন বান্দার তাদের সাথেই আছেন। তার মানে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পরে মরক্কোর এক পত্রিকায় দেখেছি তাকে মরক্কোতেই গ্রেফতার করা হয়, এবং সৌদি আরবের অনুরোধে সেথানে পাঠিয়ে দেয়া হয়।”

একই সময় প্রিন্স সৌদ বিন সাইফ আল-নাসর নামের আরেক জন যুবরাজেরও একই পরিণতি হয়। তিনি ইউরোপের ক্যাসিনো এবং ব্যয়বহুল হোটেল পছন্দ করতেন। ২০১৪ সালে তিনি সউদি রাজতন্ত্রের সমালোচনা করে টুইট করতে শুরু করেন।তার ভাষায় যেসব সৌদি কর্মকর্তা মিশরের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোরসিকে উৎখাত করায় সমর্থন দিয়েছিলেন – তাদের বিচার দাবি করেন তিনি।

এর পর ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তিনি আরো দুঃসাহসিক কাজ করেন। বাদশাহ সালমানকে উৎখাত করার আহ্বান জানিয়ে দুটি চিঠি লেখেন এক অজ্ঞাত যুবরাজ, এবং প্রিন্স আল-নাসর তাকে প্রকাশ্যে সমর্থন জানান। রাজপরিবারে কেউ এর আগে এ কাজ করেন নি, এবং এটা ছিল রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল। এর কয়েকদিন পরই তার টুইটার একাউন্টটি নিরব হয়ে যায়।

প্রিন্স খালেদ বিন ফারহান নামে আরেকজন ভিন্নমতাবলম্বী সৌদি যুবরাজ খালেদ বিন ফারহান ২০১৩ সালে জার্মানি পালিয়ে যান। কিন্তু সেখান থেকে তাকে কৌশলে রিয়াদে নিয়ে যায় সম্ভবত সৌদি গোয়েন্দারা – বলেন ব্লগার আল-খালাফ।

ইতিমধ্যে বন্দী অবস্থায় প্রিন্স সুলতান অসুস্থ হয়ে পড়ায় ২০১০ সালে রাজপরিবার তাকে আমেরিকার বস্টন শহরে চিকিৎসার জন্য যাবার অনুমতি দেয়। আর সেখান থেকেই প্রিন্স সুইস কোর্টে এক মামলা ঠুকে দেন – এবং তাতে তিনি তাকে অপহরণের জন্য প্রিন্স আবদুলআজিজ বিন ফাহদ, এবং শেখ সালেহ আল-শেখকে দায়ী করেন।

তবে সুইস সরকার এ মামলায় তেমন কোন উৎসাহ দেখায় নি। কিভাবে সুইস বিমানবন্দর থেকে তাকে বিমানে করে তুলে নিয়ে যাওয়া হলো তার তেমন কোন তদন্তও হয় নি।
গত বছর জানুয়ারি মাসে সুলতান ছিলেন প্যারিসের একটি হোটেলে। তিনি কায়রোতে তার পিতাকে দেখতে যাচ্ছিলেন। তখন সৌদি কনস্যুলেট তার যাত্রার জন্য একটি প্রাইভেট জেট বিমান দেবার প্রস্তাব দেয়। ২০০৩ সালের ঘটনা সত্বেও প্রিন্স তা গ্রহণ করেন। তার সাথে ছিলেন তার নিজস্ব ডাক্তার এবং প্রায় ইউরোপীয় ও আমেরিকান দেহরক্ষী সহ ১৮ জন লোক। পরে – নাম প্রকাশ না করার শর্তে – ওই দলের দুজন বর্ণনা করেছেন যে বিমানে কি হয়েছিল।

“আমরা একটি বিশাল বিমানে উঠলাম, তার গায়ে সৌদি আরবের নাম লেখা ছিল। আমরা দেখলাম তাতে প্রচুর ক্রু আছেন, এবং তারা সবাই পুরুষ। আমাদের কেমন যেন লাগলো।”
“বিমানের ভেতরে মনিটরে দেখা যাচ্ছিল আমরা কায়রো যাচ্ছি। কিন্তু আড়াই ঘন্টা পর মনিটরগুলো অন্ধকার হয়ে গেল।”

“প্রিন্স সুলতান ঘুমোচ্ছিলেন, তবে ল্যান্ডিংএর এক ঘন্টা আগে তিনি জেগে উঠলেন। জানলা দিয়ে তাকালেন। তাকে উদ্বিগ্ন মনে হলো।” “আরোহীরা যখন বুঝতে পারলেন যে তারা সৌদি আরবে অবতরণ করতে যাচ্ছেন, তখন সুলতান ককপিটের দরজায় বার বার করাঘাত করতে লাগলেন, সাহায্যের জন্য চিৎকার করতে লাগলেন। ক্রুদের একজন প্রিন্সের সঙ্গীদের সিটে বসে থাকতে বললো।”

বিমান নামার পর রাইফেলধারী কিছু লোক বিমানটি ঘিরে ফেললো। সৈন্য এবং কেবিন ক্রুরা মিলে সুলতানকে বিমান থেকে টেনে হিঁচড়ে নামালো। তিনি চিৎকার করে তার দলকে বলছিলেন আমেরিকান দূতাবাসে ফোন করতে।

প্রিন্স এবং তার চিকিৎসকদের একটি ভিলায় নিয়ে সশস্ত্র প্রহরায় আটকে রাখা হলো। তার সফর সঙ্গীদের তিনদিন হোটেলে আটকে রাখার পর যার যার দেশে ফেরত পাঠানো হলো।
এ ঘটনার পর থেকে প্রিন্স সুলতানের কোন খোঁজ পাওয়া যায় নি। এই অপহরণের অভিযোগের ব্যাপারে সৌদি সরকার মন্তব্য করতেও অস্বীকার করে। প্রিন্স খালেদ যিনি এখনো জার্মানিতে আছেন, আশংকা করছেন তাকেও একদিন জোর করে রিয়াদে নিয়ে যাওয়া হবে।

তার কথা, সৌদি রাজপরিবারের সমালোচনা করেছে এমন ওই পরিবারের চারজন সদস্য ইউরোপে ছিল। তিনি বলেন, “তিনজনকে অপহরণ করে সৌদি আরবে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। শুধু আমিই বাকি।” এর পর কি তার পালা?

“আমি নিশ্চিত যে তাই। অনেক দিন ধরেই। তারা যদি পারতো এতদিনে কাজটা করেও ফেলতো। আমি খুবই সাবধানে থাকি, তবে এটা আমার স্বাধীনতার মূল্য।”

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
যেসব লক্ষণ একদমই অবহেলা নয়

কিছু কিছু শারিরীক লক্ষণ একদমই অবহেলা করা ঠিক নয়। এমন কয়েকটি লক্ষণ রয়েছে, যেসব অবহেলা করলে তা মারাত্মক বিপদ ডেকে আনতে পারে। নিচের লক্ষণগুলো দেখা দিলে সতর্ক হয়ে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়া পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা—

১. কোনো কারণ ছাড়াই হঠাৎ করে শরীরের ওজন কমে যাওয়া। এটি ক্যানসারের মতো মারাত্মক রোগের লক্ষণ হতে পারে, যা উপেক্ষা করলে মৃত্যুঝুঁকি বয়ে আনতেপারে।

২. হালকা কোনো শারিরীক পরিশ্রমে (যেমন- সিঁড়ি দিয়ে উঠা) দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়লে- এটা হতে পারে রক্তাল্পতা, ডায়াবেটিস, থাইরয়েড সমস্যা, ডিপ্রেসনের লক্ষণ।

৩. হাতের লেখা বদলে যাওয়া হতে পারে পার্কিনসন্স ডিজিজ বা স্নায়ুর সমস্যার লক্ষণ।

৪. স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বা কম প্রস্রাব হলে সতর্ক হোন। এটি ডায়াবেটিস বা প্রস্টেট ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে। আর প্রস্রাব ঘন হলুদ রঙ ধারণ করলে লিভারের সমস্যা হতে পারে।

৫. শরীরের কোনো অঙ্গ হঠাৎ করে ফুলে গেলে বা পানি এলে অবহেলা করবেন না। রক্তাল্পতা, কিডনি বা লিভারের সমস্যার কারণে এমনটা হতে পারে।

৬. ঘুমের মধ্যে দাঁত দাঁত লেগে যাওয়া স্ট্রেস বা মানসিক চাপের লক্ষণ। অতিরিক্ত নেশাজাতীয় দ্রব্য বা পানীয় সেবন বা পান করা এবং পেটে কৃমির কারণেও এমন হতে পারে।

৭. ঘন ঘন পেটের সমস্যা হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এটি কোলোন বা ওভারিয়ান ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে।

৮. অনেকেই আছে অতিরিক্ত ঘামের যন্ত্রণায় অস্থির। কী করবেন বুঝে উঠতে পারেন। এটা হতে পারে হাইপারহাইড্রোসিস রোগের লক্ষণ। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কফি পান করলেই বাড়বে আয়ু!

কফি পানের উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে বিতর্কের শেষ নাই। শহুরে জীবনে পানীয় হিসেবে কফি বেশ জনপ্রিয়। কাজের ফাঁকে লাটে কফি আর সন্ধ্যার আড্ডায় কাপুচিনো— এখন অনেকেরই জীবনের অংশ। অফিসে থাকলেই, কাজের মাঝে বারবার কফি মেশিন আপনাকে টানে? তাহলে জেনে নিন এক অদ্ভুত তথ্য৷

সাম্প্রতিক কিছু গবেষণায় নাকি উঠে এসেছে কফির থেকেই নাকি আপনার অনেক সমস্যার সমাধান হবে৷ যা আপনার আয়ু বাড়াতেও পরোক্ষভাবে সাহায্য করবে৷

কয়েকটি গবেষণায় নিয়মিত কফি পানের পরামর্শ দিয়ে বলা হয়েছে, কফি খেলে আয়ু বাড়তে পারে। আর এর উদাহরণ হিসেবে ২০১৫ সালে প্রকাশিত একটি গবেষণার প্রতিবেদনে বলা হয়, কখনও কফি পান করেনি এমন ব্যক্তির চেয়ে দৈনিক ১ থেকে ৫ কাপ কফি পান করেছে এমন ব্যক্তির মৃত্যুর ঝুঁকি কম।

ডায়াবেটিক কন্ট্রোল: বিভিন্ন হার্ট ডিজিজ আর ডায়বেটিস অনেকটা কমে যায় যদি নিয়মিত অল্প পরিমাণে কফি পান করেন। তবে মাথায় রাখবে কফিটি হতে হবে চিনি ছাড়া।

স্কিন ক্যানসারের হাত থেকে বাঁচায়: নিয়মিত কফি পান স্কিন ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা কমিয়ে দেয়। সেইসঙ্গে দেহের অন্য অংশেও ক্যান্সারের আশঙ্কা কমায় ।

পার্কিনসন্স ডিসিজের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়: দিনে কয়েক কাপ কপি খেলে পার্কিনসন্স ডিসিজ হওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে যায়।

অ্যালজাইমারস হতে দেয় না: বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই রোগটি দেখা দেয়। একটি সমীক্ষা বলছে এইসময় যদি কফি খাওয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দেন তা হলে অ্যালঝাইমারস হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

স্ট্রেস কমায়: যাঁরা কাজের স্ট্রেসের কারণে রাতে ভাল করে ঘুমোতে পারেন না তারা শোয়ার আগে কিছুক্ষণ অন্তত কফির গন্ধ শুঁকুন। কফির অ্যারোমা কিন্তু নিমেষে আপনার স্ট্রেস কমিয়ে দেবে।

কোলোন সার্জারি তাড়াতাড়ি সারিয়ে তোলে: কোলোন সার্জারি হলে পেট পরিষ্কার রাখা খুব জরুরি। রোজ কফি খেলে আপনার পেট পরিষ্কার থাকবে আর তাড়াতাড়ি সেরে উঠবেন।

আবার, দিনে তিন কাপ কফি কমাতে পারে আপনার হার্ট অ্যাটাকের সম্ভবনা৷ লন্ডনের একটি গবেষণায় জানা গিয়েছে, এক দিনে তিন থেকে পাঁচ কাপ কফি খেলে হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের সম্ভবনা ২০ শতাংশ কমে৷ ‘ইনস্টিটিউশন ফর সায়েন্টিফিক ইনফরমেশন অন কফি’ নামের একটি জার্নালে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, যাঁরা প্রতিদিন তিন কাপ করে কফি খান তারাই সব থেকে কম হৃদরোগের শিকার৷

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest