সর্বশেষ সংবাদ-
বিইউপিএফের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে শপথ নিলেন জালালপুর ইউপি চেয়ারম্যানল স্টুডেন্টস ফোরামের নির্বাচন সম্পন্নসাতক্ষীরায় খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ৯০ দশক ছাত্রদলের দোয়াশ্যামনগরে ঘের ব্যবসায়ীকে কুপি×য়ে হত্যা : আ×টক ৯সাতক্ষীরায় প্লাস্টিক “অদল-বদল” ক্যাম্পেইনহাদির মৃত্যুতে সাতক্ষীরায় গায়েবানা জানাজাসাতক্ষীরার সাবেক পিপি লতিফের ৪ দিন : ছেলে রাসেলের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরসাতক্ষীরায় মুন্ডা সম্প্রদায়ের নারীদের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে প্রকল্প সমাপনীতালায় আলাউদ্দিন নামে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধারআশাশুনিতে আশা ব্রিক্সের লেলিহান শিখায় জনজীবন বিপর্যস্ত

সকালের নাস্তায় সেদ্ধ ডিমের উপকারিতা

ডিমকে বলা হয় ‘সুপারফুড’। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং মিনারেলস।

প্রোটিনের সবচেয়ে ভালো উৎস হচ্ছে ডিম। এতে ক্যালোরিও বেশ কম থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন ২টি করে ডিম খাওয়া উচিত। আর সকালের নাস্তায় একটি সেদ্ধ ডিম সারাদিন শরীরকে রাখে চাঙ্গা।

তবে আর দেরি না করে চলুন জেনে নেই, প্রতিদিন সকালের নাস্তায় সেদ্ধ ডিম খাওয়ার উপকারিতাগুলো সম্পর্কে।

১. শক্তি যোগায়
একটি বড় সেদ্ধ ডিমে প্রায় ৮০ ক্যালোরী আছে। এর মধ্যে ৬০% ক্যালোরী আসে চর্বি থেকে। ফলে সকালের নাস্তায় একটি মাত্র সেদ্ধ ডিম খেলে সারাদিন শক্তি পাওয়া যায় এবং দূর্বলতা হ্রাস পায়।

২. হাড় গঠন
সেদ্ধ ডিমে আছে ভিটামিন ডি যা হাড় ও দাঁত শক্ত করে। ভিটামিন ডি খাবার থেকে ক্যালসিয়াম গ্রহণ করতে সহায়তা করে এবং রক্তের ক্যালসিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে শরীরের হাড়ের কাঠামো মজবুত ও শক্ত হয় এবং হাড়ের ক্ষয় রোধ হয়। প্রতিদিন সকালের নাস্তায় একটি সেদ্ধ ডিম খেলে ৪৫ আন্তর্জাতিক ইউনিট ভিটামিন ডি পাওয়া যায় যা হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে।

৩. প্রোটিন
সেদ্ধ ডিমে প্রাকৃতিকভাবেই প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন আছে। সকাল বেলা নাস্তায় একটি সেদ্ধ ডিম খেলে ৬ গ্রামের বেশি প্রোটিন পাওয়া যায়।

৪. চোখের স্বাস্থ্য
ডিমের একটি প্রধান খাদ্য উপাদান হলো ভিটামিন এ। ভিটামিন এ রেটিনায় আলো শুষে নিতে সহায়তা করে, কর্নিয়ার পাশের মেমব্রেনকে রক্ষা করে এবং রাতকানার ঝুঁকি কমায়। প্রতিদিন সকালে একটি সেদ্ধ ডিম খেলে খাবার তালিকায় ৭৫ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন এ যুক্ত হয়।

৫. দেহের ওজন নিয়ন্ত্রন করে
আমাদের দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে ডিমের উপকারিতা অনেক। যারা পেশির ওজন বৃদ্ধি করতে চান তাদের জন্য প্রোটিন সমৃদ্ধ ডিম উপযুক্ত। গবেষণায় দেখা গেছে, ডিম আমাদের দেহে ঘন ঘন ক্ষুধা লাগাকে কমিয়ে দিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে। তাই সকালের নাস্তায় একটি সেদ্ধ ডিম বেশ উপকারী।

৬. মস্তিষ্কের জন্য উপকারি
ডিমে আছে প্রচুর পরিমানে কলিন যা নিউরোট্র্রান্সমিটার হিসেবে কাজ করে আমাদের দেহকে সুস্থ রাখে। ডিম আমাদের মস্তিষ্কের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে থাকে। তাছাড়া ডিমের কুসুমে আছে ফলেট উপাদান যা আমাদের মস্তিষ্কের ভিতরে স্নায়ু কোষের রক্ষণাবেক্ষণ করে।

৭. নখ ও চুলের স্বাস্থ্য উন্নত কর
ডিমে আছে সালফার সমৃদ্ধ অ্যামিনো অ্যাসিড যা আমাদের হাতের নখের স্বাস্থ্যই শুধু উন্নত করেনা আমাদের চুলের স্বাস্থ্য মজবুত করে ও আকর্ষণীয় করে তুলে। ডিমের অন্যান্য খনিজ পদার্থ সেলেনিয়াম, আয়রন ও জিঙ্ক দেহের নখ ও চুলের স্বাস্থ্য রক্ষার্থে সহযোগীতা করে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

খুলনায় প্রায় ২২ কোটি টাকা মূল্যের ২ হাজার ২৫০ গ্রাম কোকেনসহ মাদক চোরাচালান চক্রের ছয় সদস্যকে আটক করেছে র‌্যাব-৬-এর একটি দল। শুক্রবার রাত ১০টা থেকে আজ সকাল পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে কোকেনসহ ছয়জনকে আটক করা হয়।

র‌্যাব-৬ এর সিনিয়র এএসপি উৎপল রায় জানান, শুক্রবার ১০টায় শহরের ময়লাপোতা থেকে অভিযান শুরু করা হয়। এরপর দাকোপসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এ কোকেন উদ্ধার ও মাদক চোরাচালান চক্রের ছয় সদস্যকে আটক করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

কলারোয়া ডেস্ক : কলারোয়ায় মুক্তিযোদ্ধা কলেজের গভর্নিং বডি বাতিল ও কলেজ অধ্যক্ষের অপসারণ ও শাস্তির দাবিতে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে কেঁড়াগাছি ইউনিয়নের বোয়ালিয়া মুক্তিযোদ্ধা কলেজের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সচেতন নাগরিক সামাজের ব্যানারে শত শত নারী ও পুরুষ ওই প্রতিবাদ সমাবেশে উপস্থি হয়। কেঁড়াগাছি ইউপি চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন হাবিলের সভাপতিত্বে প্রতবিাদ সমাবেশে নেতাকর্মীরা বলেন, বোয়ালিয়া মুক্তিযোদ্ধা কলেজ এর অধ্যক্ষ রাজাকারের পুত্র ফারুক হোসেন কর্তৃক মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর সেনানী এবং বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের এবং মাননীয় সংসদ সদস্যের আত্মসম্মানের উপর আঘাত করেছে। একই সাথে অধ্যক্ষ নিজে তৈরি করা অবৈধ গভির্নিং বডি বাতিল করতে হবে। সেই সাথে অধ্যক্ষের অপসারণ ও শাস্তির দাবি করা হয়।
এ সময় প্রতিবাদ সমাবেশে উপস্থিত ও বক্তব্য দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহেদ আলী, আয়ুব আলী বিশ্বাস, মাস্টার নজরুল ইসলাম, রেজাউল ইসলাম, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতা শেখ রুহুল কুদ্দুস, ইউনিয়ন আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ: গফুর, মাস্টার শাহিনুর রহমান, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলাম, ইউপি সদস্য আবুল কাশেম, নজরুল ইসলাম, বিল্লাল হোসেন, রঙ্গিলা কুদ্দুস, ওয়ার্ড আ.লীগের সভাপতি ফারুক হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আ: রহিম, ওয়ার্ড আ.লীগের সভাপতি হবিবর রহমান, সহকারী প্রধান শিক্ষক মধুসূদন পালসহ এলাকার শত শত নারী পুরুষ। সমগ্র প্রতিবাদ সমাবেশটি পরিচালনা করেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতা শেখ রুহুল কুদ্দুস।
উল্লেখ্য-স্থানীয় সংসদ সদস্য এড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ বোয়ালিয়া মুক্তিযোদ্ধা কলেজের গভির্নিং বডির নতুন সভাপতি হিসাবে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোসলেম উদ্দিনের নামে ডিওলেটার প্রদান করেন। কিন্তু কলেজের অধ্যক্ষ ফারুক হোসেন সেই ডিওলেটার গোপন করে সাবেক সভাপতি ভুট্টোলাল গাইনের নাম দিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠিয়ে দেয়। বিষয়টি পরে ফাঁস হয়ে পড়ে। এ ঘটনা নিয়ে কেঁড়াগাছি ইউনিয়নব্যাপী প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। যে কোন সময় ওই এলাকায় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারনা করেছেন সচেতন মহল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

এম.শাহীন গোলদার : সাতক্ষীরা জেলাব্যাপী পুলিশের সন্ত্রাস,নাশকতা ও মাদক বিরোধী বিশেষ আভিযানে জামায়াত-শিবিরের ১১ নেতা-কর্মীসহ ১০৮ জানকে আটক করা হয়েছে।
এ সময় ৫১টি লিফলেট, ২১টি জিহাদি বই ও ২০৫ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে আজ সকাল পর্যন্ত জেলার আটটি থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয় এবং বিভিন্ন অভিযোগে ১১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পুলিশ জানায়, সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ৫৪ জন, কলারোয়া থানা ০৮ জন, তালা থানা ০৬ জন, কালিগঞ্জ থানা ০৪ জন, শ্যামনগর থানা ০৮ জন, আশাশুনি থানা ০৪ জন, দেবহাটা থানা ১১ ও পাটকেলঘাটা থানা থেকে ১৩ জনকে আটক করা হয়েছে।
এদিকে, পাটকেলঘাটা আল-আমিন ফাজিল মাদ্রাসা থেকে পাটকেলঘাটা থানা শিবির সভাপতি নগরঘাটা গ্রামের মুন্তাজ সরদারের ছেলে মেহেদী হাসান (২৩), সুরুলিয়া ইউনিয়ন শিবিরের সভাপতি কাশিপুর গ্রামের হাসান আলীর ছেলে ইমামুল হোসেন (২০), আল-আমিন ফাজিল মাদ্রাসা শাখা শিবিরের সভাপতি বাউখোলা গ্রামের মফিজুল ইসলামের ছেলে ইয়াসিন আরাফাত (১৯) প্রমুখ। এসময় তাদের নিকট থেকে “আন্দোলন জোরদার করার জন্য শিবিরের ভূমিকা” শিরোনামে ৫১টি লিফলেট ও ২১টি জিহাদি বই উদ্ধার করা হয়।
সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন-আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

মিষ্টিআলু সেঁকে, ভাপ দিয়ে, সেদ্ধ করে, পুড়িয়ে নানা ভাবে খাওয়া যায়। মিষ্টিআলু খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনি খাওয়ার প্রক্রিয়াও সহজ। মিষ্টিআলুতে ভিটামিন এ, বিটা-ক্যারোটিন, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন সি, ভিটামিন ডি, খনিজ ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যায় প্রচুর পরিমাণে। এছাড়া মিষ্টিআলু দিয়ে রুটি, বিস্কুট, পায়েস, স্যুপ, তরকারি করেও খাওয়া যায়।

হার্ট অ্যাটাক, ফ্লু ভাইরাস, ক্যান্সার, বিষক্রিয়াগত মাথাব্যথা থেকে মুক্তি দেয় মিষ্টিআলু। হাড়, স্নায়ু, চামড়া, দাঁত, লোহিত ও শ্বেত কণিকা গঠনেও দারুণ ভূমিকা মিষ্টিআলুর। চলুন জেনে নিই, মিষ্টিআলুতে থাকা পুষ্টিগুণ-

১. মিষ্টিআলুর বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন সি জাতীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের সজীবতা রক্ষায় সহায়তা করে, ত্বক সুন্দর রাখে।

২. মিষ্টিআলুতে থাকা প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ চোখের জ্যোতি ভালো রাখে।

৩. মিষ্টিআলুতে স্যাচুরেটেড ফ্যাট, কোলস্টেরল, সোডিয়াম কম পরিমাণে থাকে। সঙ্গে ভিটামিন বি৬ যথেষ্ট পরিমাণে থাকায় তা হার্টের জন্য ভালো।

৪. মেদ ঝরাতে মিষ্টিআলু খুবই সাহায্য করে।

৫. দেহকে শক্তিশালী করতে, প্লীহা ও পাকস্থলির ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে মিষ্টিআলু সাহায্য করে।

৬. গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, মিষ্টিআলু রক্তের সুগারের ভারসাম্য বজায় রাখে।

৭. ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য মিষ্টিআলু খুবই উপকারী।

৮. মিষ্টিআলু অস্টিওআর্থ্রাইটিস, রিউমেটিক আর্থ্রাইটিস, অ্যাজমার মতো রোগে ব্যথা ও অস্বস্তি উপশমে সাহায্য করে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

উত্তরটা ‘না’ হওয়াটাই স্বাভাবিক। কারণ সমীক্ষা বলছে দক্ষিণ এশিয়ার বাসিন্দারের মধ্যে যাদের বয়স ৩০-এর কম তারা খুব একটা সবজি খেতে পছন্দ করে না। বরং তাদের প্লেটে বেশি করে মাংস আর ভাজাভুজি জাতীয় খাবারের প্রাধান্যই বেশি চোখে পরে। তাই লাল শাক জেন ওয়াইদের কাছে যে একটা এলিয়ান সম খাবার, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।

সেই কারণেই তো আজ এই প্রবন্ধে লাল শাকের সম্পর্কে এমন কিছু তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করলাম, যা পড়ার পর এই শাকটির প্রতি আপনাদের ধরণাই বদলে যাবে। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে লাল শাকের শরীরে এমন কিছু উপকারি উপদান রয়েছে, যা ৩০-এর পর থেকে শরীরের ভাঙন আটকানোর পাশাপাশি একাধিক রোগকে দূরে রাখতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো প্রতিদিন যদি এই শাকটি খাওয়া যায়, তাহলে আয়ু তো বাড়েই, সেই সঙ্গে সুস্থ জীবনের পথ অনেকাংশেই প্রশস্ত হয়। লাল শাক খেলে সাধারণত যে যে উপকার পাওয়া যায়। যেগুলি হল…

হজম শক্তির উন্নতি হয়:
এতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ফাইবার, যা হজমে সহায়ক অ্যাসিডের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে বাওয়েল মুভমেন্ট যাতে ঠিক মতো হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বদ-হজমের আশঙ্কা কমে। সেই সঙ্গে গ্যাস-অম্বলের প্রকোপও হ্রাস পায়।

কিডনি ফাংশনের উন্নতি ঘটে:
একাধিক সমীক্ষায় দেখা গেছে নিয়মিত লাল শাক খেলে একদিকে যেমন কিডনির কর্মক্ষমতা বাড়ে, তেমনি অন্যদিকে রক্তে উপস্থিত একাধিক ক্ষতিকর উপাদান শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। ফলে রক্ত পরিশুদ্ধ হয়। ফলে নানাবিধ রোগের প্রকোপও কমে।

সাপের বিষের তেজ কমায়:
এই নিয়ে এখনও গবেষণা চলছে ঠিকই, তবে প্রাথমিক অনুসন্ধানের পর দেখা গেছে সাপ বা কোনও সরিসৃপ কামড়ানোর পর যদি ক্ষতস্থানে লাল শাক বেঁটে লাগানো যায়, তাহলে বিষের প্রভাব অনেকটাই কমে। সেই সঙ্গে একাধিক অঙ্গের উপর বিষেয়র কুপ্রভাব পরার আশঙ্কাও হ্রাস পায়।

ক্যান্সারকে দূরে রাখে:
লাল শাকে উপস্থিত অ্যামাইনো অ্যাসিড, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন ই, পটাশিয়াম এবং ভিটামিন সি শরীরে উপস্থিত একাধিক টক্সিক উপাদানের ক্ষতি করার ক্ষমতাকে কমিয়ে দেয়। সেই সঙ্গে ক্যান্সার সেল যাতে জন্ম নিতে না পারে, সেদিকেও খেয়াল রাখে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এই মারণ রোগ শরীরে বাসা বাঁধার কোনও সুযোগ পায় না।

জ্বরের প্রকোপ কমায়:
ওয়েদার চেঞ্জের কারণে যারা জ্বরে ভুগছেন, তারা এই ঘরোয়া পদ্ধতিটির সাহায্য নিতে পারেন। এক্ষেত্রে একটা প্যানে পরিমাণ মতো জল নিয়ে তাতে এক মুঠো লাল শাক ফেলে দিন। তারপর জলটা ফোটাতে শুরু করুন। যখন দেখবেন ফুটতে ফুটতে জলের পরিমাণ অর্ধেক হয়ে গেছে, তখন আঁচটা বন্ধ করে দিন। এরপর জলটা টান্ডা করে সেটা পান করুন। এমনটা কয়েকদিন করলেই দেখবেন জ্বর দে ছুট লাগিয়েছে।

অ্যানিমিয়ার চিকিৎসায় কাজে লাগে:
‘লাল শাক খেলে রক্ত বাড়ে শরীরে’ এই কথাটা নিশ্চয় আপনিও ছোট বেলায় শুনেছেন? হ্যাঁ শুনেছি তো! কিন্তু পাতা থেকে কীভাবে রক্ত তৈরি হয়, তা যদিও আজ পর্যন্ত বুঝে উঠতে পারিনি! আসলে বন্ধু পাতা থেকে রক্ত তৈরি হয় না। বরং লাল শাকে এমন কিছু উপাদান থাকে, যা শরীরে লোহিত রক্ত কণিকার মাত্রা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো অ্যানিমিয়া রোগীদের এই শাকটি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা। প্রসঙ্গত, ২ আঁটি লাল শাককে পিষে রস সংগ্রহ করে তার সঙ্গে ১ চামচ লেবুর রস এবং ১ চামচ মধু মিশিয়ে যদি নিয়মিত খেতে পারেন, তাহলে শরীরে কখনও রক্তের অভাব হবে না।

দাঁতের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে:
লাল শাকের মূল দিয়ে দাঁত মাজার পর নুন জল দিয়ে কুলকুচি করলে দাঁতের হলুদ ভাব কেটে যায়। সেই সঙ্গে পোকা লাগা সহ মাড়ি এবং দাঁত সম্পর্কিত নানাধিক রোগ ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না।

চুল পড়া কমে:
এক আঁটি লাল শাঁক ভাল করে বেটে একটা পেস্ট বানিয়ে ফেলুন। তারপর তাতে ১ চামচ নুন মিশিয়ে ভাল করে নারান। যখন দেখবেন দুটি উপাদান ঠিক মতো মিশে গেছে, তখন মিশ্রনটি ছেঁকে নিয়ে পান করুন। এমনটা প্রতিদিন করলে চুল পড়ার হার অনেক কমবে।

দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটায়:
লাল শাকে উপস্থিত ভিটামিন সি রেটিনার ক্ষমতা বৃদ্ধির মধ্যে দিয়ে সার্বিকভাবে দৃষ্টিশক্তির উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই যারা চোখে কম দেখেন বা পরিবারে গ্লকোমার মতো রোগের ইতিহাস রয়েছে, তারা সময় নষ্ট না করে আজ থেকেই লাল শাক খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন অল্প দিনেই উপকার পাবেন। সূত্র-ইন্ডিয়া নিউজ

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নুসরাত ফারিয়া মাজহার একজন বাংলাদেশি অভিনেত্রী। অভিনয়ের দক্ষতা দিয়ে ওপার বাংলাতেও হয়েছেন বেশ জনপ্রিয়। নায়িকা মাহিয়া মাহীর সাথে জাজ মাল্টিমিডিয়ার সম্পর্কের অবনতি ঘটলে জাজ মাল্টিমিডিয়া তাদের নতুন নায়িকা হিসেবে নুসরাত ফারিয়াকে সবার সামনে তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনার ছবি প্রেমী ও প্রেমী’র নায়িকা হিসেবে ঘোষণা করেন।

সম্প্রতি ‘ইন্সপেক্টর নটি.কে’ নামের নতুন একটি ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন নুসরাত। আশোক পতি পরিচালিত ছবিটিতে টলিউডের নায়ক জিৎ’র বিপরীতে অভিনয় করবেন তিনি। আবার জিৎ’র সঙ্গে কাজ করতে যাচ্ছেন নুসরাত। ছবিতে পুলিশের চরিত্রে ফারিয়া অভিনয় করবেন। অন্যদিকে, জিতকেও ছবিটিতে পুলিশের ভূমিকায় দেখা যাবে।

ছবিটি প্রসঙ্গে ফারিয়া গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাতে বলেন, ‘আমার প্রথম ছবি ‘আশিকী’র পরিচালক অশোক দাদার সঙ্গে আবার কাজ করতে যাচ্ছি। তাঁর সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা অনেক ভালো ছিল। আশা করছি, এই ছবিও অনেক ভালো হবে’।

আগামী ১৭ আগস্ট থেকে ইতালিতে ছবিটির শুটিং শুরু হবে বলে জানান ফারিয়া। ইতালি ছাড়াও বাংলাদেশ ও ভারতে ছবিটির শুটিং হওয়ার কথা রয়েছে। ছবিটি যৌথভাবে প্রযোজনা করছে জিতের নিজস্ব প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জিৎ ফিল্ম ওয়ার্কস ও ওয়ালজেন মিডিয়া। ভারতের যৌথ প্রযোজনার ছবি দুটি বেশ আলোচিত হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

পর্নো ভিডিও ধারণ করে নারীদের সাথে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া কথিত পীর আহসান হাবীব পেয়ারকে (২৮) নিয়ে তার জন্মস্থান নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায়ও চলছে আলোচনা সমালোচনা। গত ১ আগষ্ট তাকে রাজধানীর খিলগাঁও থানা এলাকার তিলপাড়ার ৮১৯/এ এর ফ্ল্যাট থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ সংস্থা তাকে গ্রেফতার করে।

জানা যায়, যে ফ্ল্যাট থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় সে ফ্ল্যাটটি পেয়ার গত বছর তিনেক আগে ৭০ লাখ টাকা দিয়ে ক্রয় করে। এছাড়া ওই ফ্ল্যাটের নিচে রাখা তার মালিকানাধীন ১টি প্রাইভেট কার ও ১টি নোয়া ব্রান্ডের মাইক্রোবাসের সন্ধান পান আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। প্রায় প্রতিদিনিই তাকে নিয়ে একের পর এক চমকপ্রদ প্রতিবেদন আসছে দেশের শীর্ষ প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ায়। আলোচিত সমালোচিত আহসান হাবীব পেয়ারের জন্ম নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার বদলকোটে।

স্থানীয়ভাবে খবর নিয়ে জানা যায়, তার বাবা ছিলেন একজন হাক্কানী আলেম। তিনি কোথাও কুট্টি মাওলানা নামে আবার কোথাও বোডে মাওলানা নামে পুরো উপজেলায় পরিচিত। কুট্টি মাওলানা মোট তিনটি বিয়ে করেন। তার মোট ৮ ছেলে ৯ মেয়ের মধ্যে পেয়ার ছিল সবার ছোট।

গত কয়েক বছরে তার অর্থনৈতিক এমন উত্থানের পরও সে কখনো তার অন্যান্য ভাই বোনদের সহযোগিতা করতো না বলে দাবী করেছেন তার ভাইয়েরা।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, কয়েক বছর আগে তার বাবা মারা যান। তার ভাইয়েরা কেউ রিকশা চালক, কেউ মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন এবং মাদ্রাসার শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন।

পেয়ার শিশুবেলা থেকে স্থানীয় কওমি মাদ্রাসায় পড়াশোনা শেষ করে চট্রগ্রামের হাটহাজারি মাদ্রাসাতে পড়া অবস্থায় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাকে মাদ্রাসা থেকে বহিষ্কার করা হয়। পরে সে ঢাকাতে পড়াশোনা করার জন্য যায় এবং পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের পথ বেছে নেয়।

পেয়ার খুব বাকপটু এবং আকর্ষনীয় চেহারার অধিকারী হওয়ায় সহজেই মানুষকে আয়ত্ত্ব করে ফেলতে পারতো বলে স্থানীয়রা জানান। তবে তাকে পীর বলা হলেও তার এলাকার মানুষ তাকে পীর বলতে নারাজ।

তারা বলেন, সে কখনো এলাকায় পীরগিরি দেখাননি। তবে সে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিতে ভালবাসতো। এক সময় সে নিজেকে ইসলামিক টেলিভিশনের সাংবাদিক বলে পরিচয় দিত। পরে সে ইউটিউবে এ এইচ পি টিভি নামক টিভি চ্যানেল খুলে নিজেকে টেলিভিশনের মালিক বলে দাবী করতো।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তার এলাকায় তার এক বন্ধু জানান, পেয়ার সবসময় পাগড়ী পরে থাকলেও সে ঠিকমত নামাজ আদায় করতো না। এমনকি গত রমজান মাসেও তাকে সে রোজা রাখতে দেখেনি। ফেসবুকে তার ৩ লাখেরও বেশি ফলোয়ার থাকায় সে নিজেকে ফেসবুক সেলিব্রেটি বলে গর্ববোধ করতো। পেয়ারকে ধর্মীয় বিষয় নিয়ে বিভিন্ন নাটকে অভিনয় করতেও দেখা গেছে বলে তার বন্ধুরা জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest