সর্বশেষ সংবাদ-
কালিগঞ্জের সাবেক সমাজসেবা অফিসার শহিদুরের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধীর নামে বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাতের অভিযোগসাতক্ষীরায় চ্যাম্পিয়নশীপ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন: ভোলা জেলাকে ৪-১ গোলে হারাল সাতক্ষীরাদেবহাটার নোড়ারচকে নাটক সাজিয়ে অস্ত্র মামলায় বৃদ্ধাকে গ্রেফতার করানোর অভিযোগসাতক্ষীরায় সংলাপ বক্তারা: আগামী নির্বাচনে সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিশ্রæতি চায়হাসানের পরিবারের দাপট অব্যাহত: পাটকেলঘাটায় মানববন্ধনে প্রকাশ্য হামলাচতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী স্মৃতিতে অম্লান চিকিৎসক ডা. আনিছুরসাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবারের অনুকুলে ২৬ লাখ টাকার চেক বিতরণশ্যামনগরে কাজী আলাউদ্দীনের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পদেবহাটা উপজেলা জামায়াতের সুধী সমাবেশপ্রাণসায়ের খাল বাঁচাতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন ও সমাবেশ

আসাদুজ্জামান : বাংলাদেশ হরিজন ঐক্য পরিষদের ১৯ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী সফল করার লক্ষ্যে এবং ৫ দফা দাবিতে সংগঠনটির সাতক্ষীরা জেলা শাখার উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচিটি পালিত হয়। হরিজন ঐক্য পরিষদ সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি বাবু লাল হেলার সভাপতিত্বে মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, উপদেষ্টা চন্দন হেলা, সাধারণ সম্পাদক জঙ্গি লাল ডোম, সাংগঠনিক বাবু লাল, সহ-সভাপতি বাদল ডোম, যুগ্ন-সম্পাদক জীবন কুমার প্রমুখ।
বক্তারা এ সময় বলেন, বাংলাদেশ হরিজন ঐক্য পরিষদ বাংলাদেশে বসবাসরত হতদরিদ্র পিছিয়ে পড়া প্রান্তিক হরিজন জন গোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক, জীবন মান ও মানবাধিকার মর্যাদা উন্নয়নের লক্ষে কাজ করে যাচ্ছে। এই জনগোষ্ঠী বংশ পরস্পরায় আদি পেশাজীবী হিসেবে পরিচ্ছন্নতা কর্মীর জাত-পেশা হিসেবে বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী স্বায়ত্ব শাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছে। এই জনগোষ্টির মানউন্নয়নে জাতীয় বাজেটে ৮০ পার্সেন্ট কোটা বরাদ্দ দিলেও বাস্তবায়নে তার উল্টো চিত্র দেখা যায়। তাই হরিজন সম্প্রদায়ের মান উন্নয়নে তাদের স্থায়ী নিয়োগ, ৮০ পার্সেন্ট কোটা বরাদ্দসহ ৫ দফা দাবি তুলে ধরেন।
মানববন্ধন শেষে বাংলাদেশ হরিজন ঐক্য পরিষদ সাতক্ষীরা জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি স্মারক লিপি প্রদান করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

এম. শাহীন গোলদার : সাতক্ষীরা জেলাব্যাপী পুলিশের সন্ত্রাস, নাশকতা ও মাদক বিরোধী বিশেষ আভিযানে জামায়াতের দুই নেতা-কর্মীসহ ৮৩ জনকে আটক করা হয়েছে।
এ সময় একটি প্রাইভেট কার, একটি মোটর সাইকেল, ১৩০ ভারতীয় শাড়ি, ৪৬৭ থান কাপড়, ২৬ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৬ বোতল ফেন্সিডিল ও ৮৫ গ্রাম গাঁঁজা উদ্ধার করা হয়েছে।
রবিবার সন্ধ্যা থেকে আজ সকাল পর্যন্ত জেলার আটটি থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয় এবং বিভিন্ন অভিযোগে ১৪টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ৩৩ জন, কলারোয়া থানা ০৭ জন, তালা থানা ০৬ জন, কালিগঞ্জ থানা ০৮ জন, শ্যামনগর থানা ০৫ জন, আশাশুনি থানা ০৫ জন, দেবহাটা থানা ১৩ ও পাটকেলঘাটা থানা থেকে ০৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন-আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির পরিবেশ বিষয়ক উপ-সম্পাদক মিজানুর রহমান পিকুলের বিরুদ্ধে ঢাকার ইডেন কলেজের বর্তমান ও সাবেক দুই ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে তাকে সংগঠন থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
রবিবার (৬ আগস্ট) চকবাজার মডেল থানায় পিকুলের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ গৃহীত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন চকবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম অর রশিদ তালুকদার। তিনি বলেন, ‘আগামীকাল (সোমবার) পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শেষে মামলা নেওয়া হবে।’
লিখিত অভিযোগপত্রে ভুক্তভোগী ইডেন কলেজের সাবেক ছাত্রী বলেন, ‘আজ (রবিবার) রাত ৮টায় আমি, আমার স্বামী ও ছোট বোন পলাশী মোড়ের মাছবাজারে মাছ কিনতে গিয়েছিলাম। আমার ছোট বোন ইডেন কলেজে ইংরেজি বিভাগে তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। সেই সময় মিজানুর রহমনা পিকুলও বাজারে ছিলেন । একপর্যায়ে হাঁটতে গিয়ে তার সঙ্গে আমার স্বামী রুহুল আমিনের ধাক্কা লাগে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পিকুল আমার স্বামীকে গালিগালাজ করতে থাকে এবং মারধর করতে উদ্যত হয় ।’
অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়— ‘আমি ও আমার ছোট বোন প্রতিবাদ করায় পিকুল আমাদের ওপর চড়াও হয়। এরপর সে মোবাইল ফোনে তার অনুসারীদের ডেকে এনে আমাদের দুই বোনের শ্লীলতাহানি করে এবং আমার স্বামীকে মেরে রক্তাক্ত করে। মাছ বাজারের ব্যবসায়ীরা আমাদের সহযোগিতা করতে এলে পিকুল এবং তার অনুসারীরা তাদের ওপরও ক্ষিপ্ত হয়। পরে ঢাবি’র সাবেক শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক রাসেল আহমেদ আমাদের প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন।’
এদিকে রবিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পিকুলকে সাময়িক বহিষ্কারের তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। এতে স্বাক্ষর করেছেন ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস. এম. জাকির হোসাইন। তারা বলেন, ‘ঘটনাটি সম্পর্কে আমরা শুনেছি। তদন্ত সাপেক্ষে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি। অপরাধ করলে সংগঠনের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে— বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের এক জরুরি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মিজানুর রহমান পিকুলকে (পরিবেশ বিষয়ক উপ-সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ) দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হলো। সেই সঙ্গে সংগঠন থেকে স্থায়ী বহিষ্কার কেন করা হবে না তা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কারণ দর্শাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাকে।
এদিকে পিকুলের বিরুদ্ধে এর আগে চাঁদাবাজি, ছিনতাই এবং সাংবাদিক নির্যাতনসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে বলে জানা যায়। সাময়িক বহিষ্কারসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলার জন্য চেষ্টা করলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা সমানতালে লড়ছে ওল্ড ট্রাফোর্ডে। তৃতীয় দিন বৃষ্টিতে আগেভাগে খেলা শেষ হওয়ার আগে দুই দলই সমানে সমান অবস্থান করছে। দ্বিতীয় ইনিংসে ২ উইকেট হাতে রেখে ইংলিশদের লিড ৩৬০ রানের। ৮ উইকেটে ২২৪ রান নিয়ে সোমবারের খেলা শুরু করবে তারা।

আগের দিন ৯ উইকেট হারিয়ে ২২০ রান করা দক্ষিণ আফ্রিকা রবিবার সকালে সুবিধা করতে পারেনি। মাত্র ৬ রান যোগ করে অলআউট হয় প্রোটিয়ারা। স্টুয়ার্ট ব্রডের বলে জনি বেয়ারস্টোর হাতে ক্যাচ দেন তাদের শেষ ব্যাটসম্যান দুয়ান্নে অলিভিয়ের (৪)। ইংল্যান্ডের ৩৬২ রানের জবাবে ২২৬ রানে থামে দক্ষিণ আফ্রিকা।

প্রথম ইনিংসে ব্রডের ঝুলিতে যায় তিন উইকেট। সবচেয়ে বেশি ৪ উইকেট নেন জেমস অ্যান্ডারসন।

১৩৬ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস খেলতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ের শিকার হয় ইংল্যান্ড। ৭২ রানে ৪ উইকেট হারায় তারা। বেন স্টোকসের সঙ্গে ৫৭ রানের জুটি গড়ে ওই ধাক্কা সামলান জো রুট। কিন্তু মাত্র ১ রানের জন্য হাফসেঞ্চুরি বঞ্চিত হন তিনি। অলিভিয়েরের কাছে বোল্ড হওয়ার আগে ১০৬ বলে ৬ চারে ৪৯ রান করেন স্বাগতিক অধিনায়ক।

২৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে আবার বিপদে পড়ে স্বাগতিকরা। এবার হাল ধরেন মঈন আলী। টোবি রোল্যান্ড-জোন্সকে নিয়ে ৫৮ রানের জুটি গড়েন তিনি। জোন্স আউট হলে ২১১ রানে ৮ উইকেটের পতন ঘটে ইংলিশদের। এখনও দলের হাল মঈনের হাতে, ৬৭ রানে অপরাজিত তিনি। বৃষ্টিতে দিন শেষ হওয়ার আগে ব্রড ৫ বল খেলে রানের খাতা খুলতে পারেননি।

অলিভিয়ের ৩টি উইকেট নেন। দুটি করে পেয়েছেন মরনে মরকেল ও কাগিসো রাবাদা। ক্রিকইনফো

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

হাইকোর্টের দেওয়া বিশ্বজিৎ হত্যা মামলার রায়ে কেবল দু’জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রাখায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বয়ে যাচ্ছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। নিম্ন আদালতে আট জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হলেও হাইকোর্টের রায়ে মাত্র দু’জনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ এই শাস্তি বহাল থাকায় ক্ষোভ ও হতাশা ব্যক্ত করেছেন অনেকে।

রায়ের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে গুলাম ফারুক হামিম নামের এক প্রবীণ ব্যক্তি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘বিশ্বজিৎ-এর ভয়ার্ত মায়াবী মুখ, তার রক্তাক্ত শরীরে হামলে পড়া কিরিচ, লোহার রড হাতে দৃশ্যমান সমস্ত জারজ পশুর ছবিটি এখনও যন্ত্রণাবিদ্ধ করে তোলে, প্রবলভাবে ক্ষুদ্ধ করে। বিশ্বজিৎ, তোমার কাছে ক্ষমা চাইতেও লজ্জা হচ্ছে এখন।’

বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডের সময়ের ভিডিও ফেসবুকে শেয়ার করেছেন সাংবাদিক গোলাম মর্তুজা। তার স্ট্যাটাসে বলা হয়েছে, ‘মানুষ ভিডিওচিত্রে তাদের হত্যাকারী হিসেবে দেখলেন; অথচ তাদের কারও শাস্তি কমে গেলো, কেউ খালাস পেয়ে গেলো, পলাতকদের ধরার চেষ্টাই হলো না!’

সাজিদা ইসলাম পারুল নামের এক নারী লিখেছেন, ‘একটা প্রকাশ্য হত্যাকাণ্ড। সীমাহীন বর্বরতা ও নৃশংসতা। ভিডিও ফুটেজ। স্টিল ফটোগ্রাফ। অসংখ্য প্রত্যক্ষদর্শী। তাহলে তদন্ত জিনিসটা কী আর বিচার বস্তুটাই বা কী?’

বিশ্বজিতের ওপর হামলার সময়ের একটি ছবি শেয়ার দিয়ে আব্দুল আওয়াল লিখেছেন, ‘এই যে ছবিটা দেখছেন— এটা আসলে ফটোশপ, বিশ্বজিৎ নামের কোনও ব্যক্তিকে কেউ মারেনি, বিশ্বজিৎ বলে কেউ কোনোদিন ছিল না। সব সোনার ছেলেদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র!’

‘বিশ্বজিৎ হত্যার নারকীয় উল্লাস ছিল এক দানবীয় শাসনের প্রত্যক্ষ ফল! সেই চলমান বীভৎসতা কবে থামবে জানি না। তবু বিশ্বজিৎ হত্যার এ রায় মানি না!’—ফেসবুকে লিখেছেন রাখাল রাহা।

গণসংহতি আন্দোলনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান সমন্বয়কারী রুবেল আবুল হাসান স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘বিশ্বজিতের রায় দেখে মনে পড়ে গেলো, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারও পলাতকের ফাঁসি দিয়ে শুরু হয়েছিল।’

২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের অবরোধ চলাকালে পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কের কাছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের একটি মিছিল থেকে ছাত্র শিবিরের কর্মী সন্দেহে কুপিয়ে ও পিটিয়ে বিশ্বজিৎ দাসকে হত্যা করা হয়।

২০১৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর নিম্ন আদালত এ হত্যা মামলায় ৮ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও বাকি ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিলেন। রবিবার (৬ আগস্ট) বিশ্বজিৎ হত্যা মামলায় হাইকোর্টের রায়ে দু’জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়েছে। বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া চার জনের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং দু’জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের কয়েকটি রাজনৈতিক দলের মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে জোট গঠনের তোড়জোড় দেখা যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে ঘন ঘন বৈঠকও করছেন কয়েকটি দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা। তবে এ নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কোনও নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া নেই। দলটি বরং এমন উদ্যোগকে স্বাগতই জানাচ্ছে।

আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র জানায়, একাদশ সংসদ নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক দেখতে চায় দলটি। নিবন্ধিত সব দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক এটাই চাওয়া আওয়ামী লীগের। এ জন্য প্রয়োজন স্বাভাবিক রাজনৈতিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখা। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে জোট গঠনকে এই স্বাভাবিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবেই দেখছেন আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা।

এছাড়াও আগামী নির্বাচনে বিএনপির আসা না আসার বিষয়টি মাথায় রেখেই জোট চায় ক্ষমতাসীনরা। বিএনপি ভোটে না এলেও নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক রূপ দিতে অন্যান্য দলের অংশগ্রহণ প্রয়োজন। জোটবদ্ধ হলে দলগুলোর নির্বাচনের আসার সম্ভাবনাও বাড়বে। আবার বিএনপি এলেও দলটি যাতে কম আসন পায় সেই কৌশল থেকেও জোট প্রয়োজন বলে মনে করেন ক্ষমতাসীনরা। তাই জোট যতই হোক, দুশ্চিন্তায় নেই আওয়ামী লীগ। দলটির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলে জোট সম্পর্কে এমন আভাস মিলেছে।

সম্প্রতি বিকল্পধারার প্রেসিডেন্ট ড. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা, গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন, জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নার জোট গঠনের লক্ষ্যে বৈঠক করেন। এরপর এর প্রতিক্রিয়ায় ওবায়দুল কাদের ইতিবাচক মন্তব্য করেন।এর আগে জাতীয় পার্টিও একটি জোট গঠন করে। ইসলামী কয়েকটি দলও জোট গঠনের চেষ্টায় রয়েছে। সব মিলিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে সাম্প্রতিক সময়ে কিছুটা হলেও প্রাণচাঞ্চল্য দেখা যাচ্ছে।

আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা জানিয়েছেন, ভোটের আগে হিসাব-নিকাশ ওলট-পালট না হলে জোট প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয় এমন কিছু ক্ষমতাসীনদের পক্ষ থেকে করা হবে না। জোট প্রক্রিয়া নিয়ে বাংলা ট্রিবিউনের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা হয়,তাদের কারও কাছ থেকে এই প্রক্রিয়া নিয়ে নেতিবাচক কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও সাধুবাদ জানিয়ে বক্তব্য রেখেছেন।

জোট গঠনের প্রক্রিয়া বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবউল আলম হানিফ বলেন, ‘প্রতিটি রাজনৈতিক দলের অধিকার আছে জোট গঠন করার। এখানে আমাদের কিছু বলার নেই। এটা তাদের অধিকার।’ প্রায় একই রকমের মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্যাহ ও ড. আব্দুর রাজ্জাক। এই দুই নেতাও বলেন, রাজনৈতিক দলের গণতন্ত্রিক অধিকার রয়েছে রাজনীতি করার। তারা যদি জোটবদ্ধ হয়ে রাজনীতি করতে চায় আমাদের কী বলার আছে।

জানা গেছে, আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা চান বিএনপি নির্বাচনে না আসলেও একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরে যাতে দেশে-বিদেশে কোনও ধরনের প্রশ্ন উঠতে না পারে। আগামী নির্বাচনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলো নানা ভাগে বিভক্ত হয়ে যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তাহলে বিএনপি ছাড়াও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হয়েছে বলে দেখানো যাবে। আগামী নির্বাচনে দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকও থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তারা যাতে নির্বাচনী উৎসবে বিএনপির অনুপস্থিতি টের না পায়। আর নির্বাচন উৎসবমুখর হয়েছে বলে সবাইকে বোঝানোও সহজ হয়। ফলে লাভ আসবে আওয়ামী লীগের ঘরে। আওয়ামী লীগের ভাবনা হলো-জোটবদ্ধভাবে হোক আর পৃথকভাবে হোক যত বেশি দল অংশ নেবে, নির্বাচন তত বেশি উৎসবমুখর ও অংশগ্রহণমূলক হবে।

আওয়ামী লীগের মধ্যম সারির নেতারা এই মুহূর্তে বিভিন্ন দলের জোট গঠনের দৌড়ঝাঁপকে নিজেদের জন্য আশীর্বাদ হিসেবে দেখছেন। আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজন নেতাও জানান, জোট গঠনের প্রক্রিয়ায় থাকা এসব নেতারা কেউ-ই শেখ হাসিনার শুভাকাঙ্ক্ষী নন, তবুও নির্বাচনে তাদের অংশ নেওয়া নিশ্চিত করা গেলে সুফল পাবে আওয়ামী লীগই।

আর বিএনপি নির্বাচনের বাইরে থাকলেও নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দল যদি আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশ নেওয়ার মতো ক্ষেত্র ও পরিস্থিতি তৈরি করে দেয় সেক্ষেত্রে নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলে কোনও মহল সুবিধা নিতে পারবে না। সেই চিন্তা থেকেও রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে জোট গঠন প্রক্রিয়াকে সাধুবাদ জানাচ্ছে আওয়ামী লীগ। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা গেলে মাইনাস বিএনপি নির্বাচন করতে গেলেও আওয়ামী লীগ ক্ষতির সম্মুখীন হবে না।

এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুল মতিন খসরু বলেন, ‘জোট গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে আওয়ামী লীগের কোনও আপত্তি নেই। প্রতিটি রাজনৈতিক দলেরই আলাদা পরিকল্পনা থাকে।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

পান খাওয়ার রীতি বাংলাদেশে বেশ পুরানো। নিশ্বাসকে সুরভিত করা এবং ঠোঁট ও জিহবাকে লাল করার জন্য মানুষ পান খায়। প্রধানত দক্ষিণ এশিয়া, উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশসমূহ, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের মানুষ পান খায়। কেবল স্বভাব হিসেবেই নয়, বাংলাদেশে ঐতিহ্যগতভাবে সামাজিক রীতি, ভদ্রতা এবং আচার-আচরণের অংশ হিসেবেই পানের ব্যবহার চলে আসছে।

স্বাস্থ্যের পক্ষে বেশ উপকারি পান। চলুন জেনে নেওয়া যাক পানের উপকারী ও অপকারী দিকগুলো:-

উপকারিতা সমূহ:

১) পান খেলে মুখের স্বাদ ফিরে আসে।

২) রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পান সাহায্য করে।

৩) গলার সমস্যায় পান খুব উপকারী। আওয়াজ পরিস্কার করতে পান সাহায্য করে।

৪) পান হজম শক্তি বাড়ায়।

৫) পান খেলে পেট পরিষ্কার হয়।

৬) হৃদস্পন্দন নিয়ন্ত্রণ করে পান।

৭) সর্দি কাশি হলে পানের রসের সাথে মধু মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।

৮) পানের সাথে গোলমরিচ, লবঙ্গ মিশিয়ে খেলে কাশি কমে যায়।

৯) মুখে ঘা হলে পানের মধ্যে কর্পুর দিয়ে চিবিয়ে খেয়ে বার বার পিক ফেললে সুফল পাওয়া যায়।

১০) পান খাওয়ার ফলে মুখে যে লালার সৃষ্টি হয় তা হজম শক্তি বৃদ্ধি করে।

পানের বেশ কিছু অপকারিতাও রয়েছে। পান খাওয়ার সময় এসব বিষয় ও খেয়ালে রাখতে হবে-

অপকারিতা সমূহ:-

১) খাওয়ার পরে পান খাওয়া উচিত। খালি পেটে পান খাওয়া উচিত নয়।

২) পানের সঙ্গে জর্দা মিশিয়ে খেলে পানের সব গুণ নষ্ট হয়ে যায়।

৩) বেশি পান খেলে মুখ ও চোখের রোগ হতে পারে। পানের সঙ্গে বেশি সুপারি খাবেন না।

৪) পানের সঙ্গে বেশি খয়ের খেলে ফুসফুসে ইনফেকশন হয়।

৫) পানে বেশিমাত্রায় চুন খেলে দাঁতের ক্ষতি হয়।

৬) যাদের জ্বর এবং দাঁতের সমস্যা রয়েছে তাদের পান খাওয়া বন্ধ করে দেওয়া উচিত।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের সময় টিয়ারশেলই (কাঁদানি গ্যাস) তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী সিদ্দিকুরের চোখে লেগেছে বলে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশের তদন্ত কমিটি। এই ঘটনায় সাত পুলিশ কর্মকর্তাকে দায়ী করা হয়েছে।

এর আগে গত ২০ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পুলিশ-শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় চোখে গুরুতর আঘাত লাগে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী সিদ্দিকুর রহমানের। ঘটনার পর প্রথমে তাকে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট এবং পরবর্তীতে সরকারি খরচে চেন্নাই পাঠানো হয়।

এদিকে বিভিন্ন গণমাধ্যমের দেখানো ভিডিও ফুটেজে পুলিশের ছোড়া টিয়ারশেল লেগে সিদ্দিকুরের পড়ে যাওয়ার চিত্র দেখা গেলেও বিষয়টি বরাবরই অস্বীকার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। ঘটনার অধিকতর তদন্তে পৃথক দুটি কমিটি তৈরি করা হয়। এদের মধ্যে একটি কমিটি ইতোমধ্যে প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছে। প্রতিবেদনটি সোমবার সকালে ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার কাছে জমা দেয়ার কথা রয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশ সুপার (এসপি) সমমর্যাদার এক কর্মকর্তা জানান, সংঘর্ষে পুলিশের চড়াও হওয়ার ঘটনায় শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু জাফর আলী বিশ্বাস ও পরিদর্শক (অভিযান) আবুল কালাম আজাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। এছাড়াও সেদিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশের বিভিন্ন সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ ও ভিডিও ফুটেজ যাচাই-বাছাই করে পুলিশের দাঙ্গা দমন বিভাগের (পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম) পাঁচ কনস্টেবলের আক্রমণাত্মক ভঙ্গি লক্ষ্য করা গেছে। কমিটি তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছে।

কমিটির সদস্যরা হচ্ছেন- ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত উপ-কমিশনার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ ও রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (এডিসি) আশরাফুল আলম।

এ ঘটনায় পুলিশের রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (প্রশাসন) নাবিদ কামাল শৈবালকে প্রধান করে আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটি প্রতিবেদন প্রস্তুতের জন্য মঙ্গলবার পর্যন্ত সময় চেয়েছে।

আহত সিদ্দিকুর বর্তমানে ভারতের চেন্নাইয়ের শংকর নেত্রালয়ে চিকিৎসাধীন। গত শুক্রবার তার অপারেশন করা হয়। শনিবার তার চোখের ব্যান্ডেজ খুললে বাম চোখে কিছুটা আলো দেখতে পান তিনি। তবে তার দৃষ্টিশক্তি ফিরে আসেনি। তার দৃষ্টিশক্তি ফিরে আসা না আসার ব্যাপারে আরও দুই মাস সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন ভারতের চিকিৎসকরা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest