সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় পাখিমারা টিআরএমের বকেয়া ৪৮ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবিতে স্মারকলিপিকালিগঞ্জের সাবেক সমাজসেবা অফিসার শহিদুরের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধীর নামে বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাতের অভিযোগসাতক্ষীরায় চ্যাম্পিয়নশীপ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন: ভোলা জেলাকে ৪-১ গোলে হারাল সাতক্ষীরাদেবহাটার নোড়ারচকে নাটক সাজিয়ে অস্ত্র মামলায় বৃদ্ধাকে গ্রেফতার করানোর অভিযোগসাতক্ষীরায় সংলাপ বক্তারা: আগামী নির্বাচনে সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিশ্রæতি চায়হাসানের পরিবারের দাপট অব্যাহত: পাটকেলঘাটায় মানববন্ধনে প্রকাশ্য হামলাচতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী স্মৃতিতে অম্লান চিকিৎসক ডা. আনিছুরসাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবারের অনুকুলে ২৬ লাখ টাকার চেক বিতরণশ্যামনগরে কাজী আলাউদ্দীনের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পদেবহাটা উপজেলা জামায়াতের সুধী সমাবেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা সদর উপজেলা শ্রেষ্ঠ প্রাথমিক শিক্ষিকাসহ নয়টি বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্ব বাছাইয়ের ফল বাতিল করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা শ্রেষ্ঠ শিক্ষক-কর্মচারী, কর্মকর্তা, কর্মচারী, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান বাছাই কমিটি সভা করে ফল বাতিল করে।
এর আগে ২৪ জুলাই ১৪ সদস্যে কমিটির মধ্যে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সাতক্ষীরা সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার উপস্থিতিতে বাছাই সম্পন্ন করেন। পরে অনুপস্থিত তিনজনকে দিয়ে বাছাইয়ের চূড়ান্ত তালিকায় স্বাক্ষর করিয়ে নেয়া হয়। বুধবার পত্রিকায় এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ায় বৃহস্পতিবার কমিটির এক সভায় শ্রেষ্ঠ শিক্ষিকাসহ অন্যান্য বিষয়ের ফল বাতিল করা হয়।
২ আগস্ট সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষক-কর্মচারী, কর্মকর্তা, কর্মচারী, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান বাছাই কমিটি সদস্য সচিব ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক-কর্মচারী, কর্মকর্তা, কর্মচারী, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান বাছাই কমিটি সভা ডাকা হয় ৩ আগস্ট বৃহস্পতিবার। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়Ñ কোরাম সঙ্কট থাকায় এবং সময় স্বল্পতার কারণে ২৪ জুলাই করা তালিকা অধিকতর যাচাই-বাছাইয়ের লক্ষ্যে ৩ আগস্ট দুপুর ১২টায় জরুরি সভা আহ্বান করা হয়। সাতক্ষীরা নির্বাহী কর্মকর্তার সভাপতিত্বে তার অফিসে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সাতক্ষীরা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ জুলাই সদর উপজেলা নির্বাহীর কর্মকর্তার দপ্তরে শ্রেষ্ঠ শিক্ষিকাসহ অন্যান্য পদে বাছাই হয়। শ্রেষ্ঠ শিক্ষিকা নির্বাচন হওয়ার জন্য তিনজন আবেদন করেন। শ্রেষ্ঠ শিক্ষিকা নির্বাচন হন দক্ষিণ কাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সানজিদা শাহনাজ। বাদ পড়া দুইজন রসুলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকা ফরিদা খাতুন ও তালতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজমা সুলতানা অভিযোগ করেন, ১৪ সদস্যের নির্বাচন বোর্ডে ইউএনও মোহাম্মদ নূর হোসেন ও সদস্যসচিব উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম ছাড়া কেউ উপস্থিত ছিলেন। অথচ বাছাইয়ের চূড়ান্ত নথিতে সই করানো হয়েছে পাঁচজনের।
বাছাই বোর্ডের তালিকার স্বাক্ষর রয়েছে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফারুফ আহমেদ, ইউআরসি (উপজেলা রিসোর্স সেন্টার) ইনস্ট্রাক্টর জয়দেব ও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. আবুল হোসেন। তারা বলেন, তারা কেউ বাছাই কমিটির ২৪ জুলাই সভায় উপস্থিত ছিলেন না। পরে তাদের কাছ থেকে স্বাক্ষর করিয়ে নিয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাছাই কমিটির তিনজন সদস্য জানান, ২৪ জুলাইয়ের সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচন করতে কমিটির অধিকাংশ সদস্যকে চিঠি দেওয়া হয়নি।
ইউএনও মোহাম্মদ নূর হোসেন সজল ২৪ জুলাই সভা সম্পর্কে বলেছিলেন, তার সভাপত্বিতে সভা হয়েছিল। কয়েকজন এটিও ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। সভায় উপস্থিতদের চূড়ান্ত তালিকায় স্বাক্ষর না থেকে অন্যদের স্বাক্ষর রয়েছে কেন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বলতে পারবেন।
জানতে চাইলে সদস্য সচিব ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ২৪ জুলাইয়ের সভায় কোরাম সঙ্কট ছিল। বিষয়টি নিয়ে পত্রিকায় প্রতিবেদন ছাপা হওয়ায় আগের ফল বাতিল করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সভাপতিত্বে সভা করে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর ইসলামকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি নির্বাচন কমিটি গঠন করা হয়েছে। শনিবার নয়টি পদে বাছাই করবেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : হিজড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন শীর্ষক ৫০ দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ বৃহস্পতিবার সম্পন্ন হয়েছে। সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে সনদ বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো: মহিউদ্দিন। জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের আয়োজনে সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক দেবাশিস সরকার। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন শহর সমাজসেবা অধিসার শেখ সহিদুর রহমান, রেজিস্ট্রেশন অফিসার ইমদাদুল হক, সদর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার রোকনুজ্জামান, সমাজসেবা অফিসার আব্দুল আওয়াল, প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা তুলসী কুমার পাল প্রমুখ।
৫০ দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ কোর্সের সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো: হারুন-অর-রশীদ। উল্লেখ্য দুটি সেডে মোট ৫০ জন হিজড়া উক্ত প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথি ১৭ জন প্রশিক্ষণার্থীর মাঝে সেলাই সেশিন, গরু ও ছাগল প্রদান করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

কেএম রেজাউল করিম : দেবহাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে এক বিশেষ বর্ধিত সভা বৃহষ্পতিবার সকাল ১০ টায় সখিপুর ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেবহাটা উপজেলা আঃলীগের সভাপতি ও নওয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মুজিবর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির সার্বিক সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী ডাঃ রুহুল হক এমপি। সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শরৎ চন্দ্র ঘোষ, সাংগঠনিক সম্পাদক সখিপুর ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন রতন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক, যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক মোনায়েম হোসেন, ইউনিয়ন সভাপতি সম্পাদকদের মধ্যে দেবহাটা সদর ইউপি চেয়ারম্যান আবু বকর গাজী, পারুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আবুল কাশেম, মাহমুদুল হক লাভলু, আলমগীর হোসেন সাহেব আলী, বিধান চন্দ্র বর্মন, ওয়ার্ড নেতাদের মধ্যে আব্দুর রউফ, ইউপি সদস্য মনিরুজ্জামান মনি, দীপক কুমার, দিলীপ মন্ডল প্রমুখ। এসময় সকল ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ এবং আওয়ামী অংঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি ডাঃ রুহুল হক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে বলেন, সকল দ্বিধাদ্বন্দ্ব ভুলে দলকে তৃনমূল পর্যায় থেকে শক্তিশালী করতে হবে। সরকারের উন্নয়নের চিত্র সাধারন মানুষের দোরগোড়ার পৌছে দিতে হবে। সভায় সাংগঠনিক বিষয়ে বিভিন্ন আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

কলারোয়া ডেস্ক : কলারোয়ায় ফেনসিডিলসহ এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার গভীর রাতে উপজেলার রতনপুর থেকে শাওন নামের ওই যুবককে আটক করে থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সকালে কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার নাথ সাংবাদিকদের জানান- মাদাকদ্রব্য উদ্ধার ও চোরাচালন প্রতিরোধ অভিযান পরিচালনাকালে থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এস.আই) আজম মাহমুদ পিপিএম, সহকারী উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এ.এস.আই)নূর আলীসহ সঙ্গীয় ফোর্স উপজেলার কেরালকাতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পশ্চিম পার্শ্বে রতনপুর সাকিনস্থ জনৈক আ. মালেকের বাঁশবাগানের মধ্য থেকে ৭০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে। এ সময় কলারোয়া উপজেলার কেরালকাতা ইউনিয়নের পুটুনী গ্রামের ফজলুল হক মোল্যার ছেলে শাওন হোসেন (২১) কে আটক করা হয়।
এ ঘটনায় কলারোয়া থানায় মামলা নং-৩(৮)১৭ দায়ের হয়েছে বলে জানা গেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নলতা প্রতিনিধি : কালিগঞ্জ নলতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিশ্বের প্রধান স্কাউট লর্ড ব্যাডেন পাওয়েল’র ১৬০ তম জন্মদিন পালিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) সকাল ১০ ঘটিকায় নলতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আনোয়ারুল ইসলামের সভাপত্বিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা-৩ আসনের সংসদ সদস্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা কমিটির সদস্য আলহাজ্জ অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক এমপি।
জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বৃক্ষ রোপণ ও কেক কাটার মধ্যে দিয়ে অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক এমপি বিশ্বের প্রধান স্কাউট লর্ড ব্যাডেন পাওয়েল এঁর ১৬০ তম জন্মদিন পালন করেন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা পরিষদ সদস্য এস. এম আসাদুর রহমান সেলিম, নলতা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব মো. আনিছুজ্জামান খোকন, সাংবাদিক তোষিকে কাইফু, কালিগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জিএম সাইফুল ইসলাম, নলতা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ফিরোজ শাহরিয়ার, আওয়ামীলীগ নেতা শমসের আলীসহ স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

পর্ন ভিডিও তৈরির একটি চক্রের হোতা সন্দেহে গ্রেপ্তার ফুয়াদ বিন সুলতানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ।
ফুয়াদ (৩৩) পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত ডিআইজি) সুলতান আহমেদের ছেলে। সুলতান প্রায় এক দশক আগে মারা যান।
মঙ্গলবার রাতে ঢাকার উত্তরা থেকে গ্রেপ্তারের পর ফুয়াদকে উত্তরা পশ্চিম থানায় হস্তান্তর করে র‌্যাব। তার বিরুদ্ধে একটি মামলাও হয়।
থানার ওসি আলী হোসেন জানান, ১০ দিনের জন্য হেফাজতে চেয়ে বৃহস্পতিবার ঢাকার আদালতে পাঠানো হয়েছিল। আদালত একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে।
র‌্যাব জানায়, পুলিশ কর্মকর্তা বাবার রেখে যাওয়া ছয়তলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় দুটি ফ্ল্যাট পর্ন ভিডিও তৈরিসহ অপরাধমূলক নানা কাজে ব্যবহার করে আসছিলেন ফুয়াদ। তিনি আগে বিভিন্ন অভিজাত হোটেলের ব্যবস্থাপনা বিভাগে কাজ করতেন।
বাংলাদেশে ফুয়াদই প্রথম বাণিজ্যিকভাবে পর্নসাইট চালু করেন বলে র‌্যাবের দাবি।
তাকে গ্রেপ্তারের পর বাহিনীর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “২০১৫ এবং ২০১৬ সালে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সে পর্নগ্রাফির ব্যবসা শুরু করে। এই ওয়েবসাইটগুলোর মাধ্যমে সে বিভিন্নভাবে সংগৃহিত মেয়েদের আপত্তিকর ছবি, মোবাইল নম্বর এবং দৈহিক মিলনের নির্ধারিত মূল্য উল্লেখ করে বিভিন্নজনকে আকৃষ্ট করত।”
র‌্যাব জানায়, ফুয়াদের বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ পাইরেটেড সিডি, পর্নগ্রাফি তৈরিতে ব্যবহৃত ল্যাপটপের পাশাপাশি ইয়াবা ট্যাবলেটও পাওয়া যায়।

র‌্যাব দাবি করেছে, এই যুবক বিভিন্ন তরুণকে শারীরিক সম্পর্ক করতে তার ফ্ল্যাটে জায়গা করে দিত। তাদের জন্য মজুদ রাখত ইয়াবাসহ নানারকম নেশাদ্রব্য।

ফুয়াদ নিজেও বিভিন্ন নারীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলে গোপনে তার ভিডিও ধারণ করে ‘ব্ল্যাকমেইল’ করতেন বলে র‌্যাব কর্মকর্তারা জানান।
র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক কাসিম বিন সারোয়ার বলেন, ফুয়াদের খোলা পর্নসাইটগুলো তার বন্ধ করে দিয়েছেন।
ফুয়াদের কয়েকজন সহযোগীর নামও পেয়েছে র‌্যাব। তাদের ধরতে অভিযান চলছে বলে জানান কাসিম। ২০১৪ সালের দিকে ইন্টারনেট ব্যবসা শুরুর পর ফুয়াদ পর্নগ্রাফিতে ঝোঁকেন বলে র‌্যাব জানিয়েছে। বাবার বাড়ির দ্বিতীয় তলার দুটি ফ্ল্যাট ফুয়াদ ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহার করেন। ষষ্ঠ তলায় স্ত্রী-সন্তান ও মাকে নিয়ে থাকেন তিনি। ওই বাড়ির চতুর্থ তলায় একটি নারী হোস্টেল। তৃতীয় তলায় এক পাশে একটি বিদেশি পরিবার থাকে, অন্য পাশও ভাড়া দেওয়া।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ডেস্ক রিপোর্ট : বিরল রোগে আক্রান্ত সাতক্ষীরার শিশু মুক্তামণির অবস্থা অস্ত্রোপচার করার মতো নেই বলে জানিয়েছেন সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকরা। তাঁরা বলছেন, মুক্তামণির অসুখ আরোগ্যযোগ্য নয়। তবে এরপরও তার চিকিৎসা প্রক্রিয়া শুরু করতে চান বাংলাদেশের চিকিৎসকরা। আর এ জন্য অনুমতিও দিয়েছে মুক্তামণির পরিবার। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান বার্ন ইউনিটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সম্প্রতি মুক্তামণিকে ভিডিওতে দেখে এবং তার বিভিন্ন শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রতিবেদন দেখে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতাল ই-মেইলের মাধ্যমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে জানায়, মুক্তামণির রোগটি আরোগ্যযোগ্য নয়। ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, মুক্তামণির বায়োপসি করার প্রয়োজন ছিল। তবে তার রক্তের প্লাটিলেট বা অণুচক্রিকা বারবার কমে যাওয়ার কারণে বায়োপসি প্রক্রিয়ায় বিলম্ব হচ্ছিল। একথা জেনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার চিকিৎসার ব্যাপারে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন। গত ২৭ জুলাই ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের সঙ্গে বোর্ড মিটিং করা হয়। পরবর্তীকালে ই-মেইলের মাধ্যমে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতাল জানায়, মুক্তামণির এই রোগটি ভালো হওয়ার নয়। অস্ত্রোপচারের মতোও নয়। তারা রোগটির পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যাপারে সাহায্য করতে পারে কিন্তু মুক্তার রোগের চিকিৎসা করতে পারবে না। এরপর বুধবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বৈঠক করে ১৩ সদস্যবিশিষ্ট মেডিকেল বোর্ড। এ সময় ঝুঁকিপূর্ণ হলেও সব ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করে শনিবার মুক্তামণির বায়োপসি করার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। সংবাদ সম্মেলনে মুক্তামণির জন্য সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন ডা. সামন্ত লাল সেন। এ সময় সেখানে মুক্তামণির মাও উপস্থিত ছিলেন।
মুক্তার হাতটি কেটে ফেলতে হবে কি না জান চাইলে মেডিকেল বোর্ড প্রধান ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের প্রধান অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম বলেন, এই রোগ শুধু চামড়ায় সীমাবদ্ধ নাও থাকতে পারে। মাংসে ছড়িয়ে যেতে পারে। সব কিছু বিবেচনা করেই চিকিৎসা করা হবে। তবে তাঁরা হাতটি রেখে দেওয়ার চেষ্টা করবেন বলে জানান তিনি।
ডা. আবুল কালাম আরো বলেন, এই চিকিৎসার অনেকগুলো ধাপ রয়েছে। দুই সপ্তাহ আগে মুক্তামণিকে যখন ভর্তি করা হয়, তখন দুর্গন্ধের কারণে সেখানে কেউ থাকতে পারত না। এখন সেই গন্ধও অনেক কমেছে। তবে এই চিকিৎসা একটিমাত্র অস্ত্রোপচারে শেষ হবে না, ছয় থেকে সাতটি অস্ত্রোপচার লাগবে। মুক্তামণির শরীর স্বাভাবিক রেখেই অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে মাংস ও চামড়া প্রতিস্থাপন করা হবে। মুক্তামণির চিকিৎসার ব্যাপারে তাঁরা যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী বলে জানান এই চিকিৎসক। সংবাদ সম্মেলনে মুক্তামণির মা বলেন, তাঁরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসায় খুবই খুশি। চিকিৎসা শেষে সুস্থ মেয়েকে নিয়ে যেন বাড়ি ফিরতে পারেন, সবার কাছে সেই দোয়াই চাইলেন তিনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest


নিজস্ব প্রতিবেদক : ভারতে পাচারের নামে ৬০ ভরি সোনা গায়েব করে দিয়েছে সাতক্ষীরার তলুইগাছার সোনা বাহক জিয়ারুল ইসলাম। এ ঘটনায় তার একদিনের কারাবাস হয়েছে। তবে গায়েব হওয়া সোনা উদ্ধার হয়নি। সোনার মালিক ভারতের ২৪ পরগনা জেলার স্বরুপনগর থানার আমুদিয়া গ্রামের বাপ্পা। তিনি তার সোনা অথবা তার পরিবর্তে টাকা ফিরে পেতে এখন মরিয়া হয়ে উঠেছেন। তবে সোনা গায়েবকারী জিয়ারুল ইসলাম জানান ‘তিনি ভারতের বাপ্পার হাতে তুলে দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ থেকে সোনা নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় ফুটো থলে থেকে তা পড়ে হারিয়ে যায়’। এ খবর জানাজানি হলে ‘বাপ্পা ও তার বাংলাদেশি সহযোগীদের তোপের মুখে আমি মাস তিনেক বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে ছিলাম। হঠাৎ খবর পেয়ে সাতক্ষীরা থানার পুলিশ আমাকে গ্রেফতার করে। একদিন পর অবশ্য আমি আদালতের নির্দেশে ফিরে এসেছি’। ‘বড় জায়গা থেকে আমার পক্ষে ফোন এসেছিল। তাই কোনো টাকা ঘুষ লাগেনি’। ভারতীয় নাগরিক বাপ্পার ঘনিষ্ঠজনদের কাছ থেকে জানা গেছে মাস তিনেক আগে বাহকরা ৬০ তোলার ৬ পিস সোনা তার কাছে দিয়ে যায়। সীমান্ত পার করে এই সোনা বাপ্পার হাতে তুলে দেওয়ার কথা ছিল। দুই দেশের নাগরিক হলেও বাপ্পা ও জিয়ারুলের বাড়ি খুব কাছাকাছি। সীমান্তের একই আইলে তাদের জমিও রয়েছে। ফলে দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা গড়ে উঠেছে। বাপ্পা মাঝে মাঝে পাসপোর্টে অথবা বিনা পাসপোর্টে বাংলাদেশে আসে। বাংলাদেশ থেকে চোরাপথে সে ভারতে সোনা পাচার করে থাকে। সেই সুবাদে সে টাকার তাগিদ দিতেও আসে বাংলাদেশে। সাতক্ষীরা সদর থানার এসআই ইউসুফ আলি জানান ‘জিয়ারুলের বিরুদ্ধে আমরা চোরাচালানের অভিযোগ পেয়েছিলাম। ২৯ জুলাই তাকে ধরেও এনছিলাম। কিন্তু অভিযোগের প্রমান মিলাতে না পারায় আমরা তাকে ৩৪ ধারায় আদালতে পাঠাই। আদালতের নির্দেশে জিয়ারুল বাড়ি গেছে’ বলে জানান তিনি।
স্থানীয় বাঁশদহা ইউনিয়নের সদস্য আবদুস সামাদ জানান ‘জিয়ারুল বাপ্পার সোনা মেরে দিয়েছে বলে খবর পেয়েছিলাম। পরে জানলাম পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে গেছে। ওর মা আমাকে অনুরোধ করে বলেছিলেন ছেলেটিকে থানা থেকে ছাড়িয়ে আনতে। একদিন পর দেখি সে আদালতের নির্দেশে বাড়ি এসেছে’। একই কথা জানান ওই এলাকার যুবলীগ সভাপতি আবদুল খালেক। তিনি বলেন ‘ আমিও ওর সোনা গায়েবের খবর শুনেছি। এ নিয়ে এলাকায় বেশ তোলপাড় হয়েছিল। জিয়ারুল পালিয়েছিল। পরে পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে যায়’। পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ইউসুফ আলি আরও জানান ‘ সোনা গায়েবের কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছিল না। তবে চোরাচালানের অভিযোগ পেয়ে গ্রেফতার করা হয় তাকে’। সোনা গায়েবের বিষয় জানতে জিয়ারুলের সাথে যোগাযোগ করা হলে ‘ তিনি বলেন আমি ইচ্ছা করে সোনা গায়েব করিনি। আমার ফুটো ব্যাগ থেকে তা পড়ে হারিয়ে গেছে’।

 

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest