সর্বশেষ সংবাদ-
শ্যামনগরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনিয়ম ‌দুর্নীতির অভিযোগল স্টুডেন্টস ফোরাম এর নবনির্বাচিত কমিটি নির্বাচন কমিশনের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়তিতাস বহুমুখী সমবায় সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভাঝিনাইদহের জয়দিয়া বাওড়ের অবৈধ বন্দোবস্ত বাতিলের দাবিতে মানববন্ধনশীতের ছুটিতে ঘুরে আসুন দেবহাটার রূপসী ম্যানগ্রোভপ্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা -অগ্নি সংযোগের প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধনবিইউপিএফের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে শপথ নিলেন জালালপুর ইউপি চেয়ারম্যানল স্টুডেন্টস ফোরামের নির্বাচন সম্পন্নসাতক্ষীরায় খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ৯০ দশক ছাত্রদলের দোয়াশ্যামনগরে ঘের ব্যবসায়ীকে কুপি×য়ে হত্যা : আ×টক ৯

অপ্রতিম রহমান : সিরাজগঞ্জে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু হেনা মুস্তফা কামালকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সিরাজগঞ্জের মহাসড়কে খানা-খন্দ সংস্কার কাজে গাফিলতি, ৬ কোটি টাকার সরকারি বরাদ্দ নয়-ছয় ও ভাগ-বাটোয়ারার অভিযোগে তাকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন তিনি। অন্যদিকে এ খবর জানার পরে সাতক্ষীরার অনেক সাধারণ মানুষ ফেসবুকে মন্তব্য করেছেন সিরাজগঞ্জের ক্ষেত্রে প্রত্যাহার, আর সাতক্ষীরার ক্ষেত্রে কেন জামাই আদর!
বুধবার বিকেল পৌনে ৩টার দিকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড়ে সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল মোড়ে সড়কের কাজ পরিদর্শনে এসে কাজের ধীরগতি ও অনিয়ম দেখে সেতুমন্ত্রী এ নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে রাজশাহী অঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু রোশন এবং পাবনা অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হাবিবুর রহমানকে শোকজ করা করেছেন ওবায়দুল কাদের। সেতুমন্ত্রী আগামী ১০ দিনের মধ্যে সিরাজগঞ্জের সব মহাসড়কে খানা-খন্দ সংস্কারের নির্দেশ দেন। এজন্য তিনি সওজ কর্মকর্তা ও কমর্চারীদেরও সতর্ক করেন।
এ সময় সিরাজগঞ্জ সদর (কামারখন্দ ও সিরাজগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য প্রফেসর ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না, জেলা প্রশাসক কামরুন নাহার সিদ্দীকা, পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহমেদ, হাইওয়ে পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের সংসদ সদস্য হাসিবুর রহমান স্বপনসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, সাতক্ষীরা জেলার প্রধান প্রধান সড়কগুলো বর্তমানে একেবারেই চলাচলের অনুপযোগী অবস্থায় আছে। দীর্ঘদিন ধরে এ অবস্থা চলতে থাকলেও সাতক্ষীরা সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের এ নিয়ে কোন মাথা ব্যাথা কখনও দেখা যায়নি। সময়মত সংস্কার করা দূরে থাক যখনই এ খাতে কোন বরাদ্দ এসেছে তখনই তা হরিলুট করে নিম্নমানের দায়সারা গোছের কাজ করা হয়েছে। যার ফলে জেলাবাসী শেষ কবে ভালো সড়কে যাতায়াত করেছিল তা ভুলতে বসেছে। বর্তমান সরকারের সকল উন্নয়নকে ম্লান করে দিয়ে সাতক্ষীরা জেলার প্রধান আলোচ্য বিষয় এখন চলাচলের অযোগ্য সড়ক। আর এই সড়ক রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিতরা ক্রমাগত লুণ্ঠন করেছেন সরকারি অর্থ আর সাতক্ষীরা জেলার ২২ লক্ষ মানুষকে প্রতিদিন নাকানি-চোবানি খাওয়াচ্ছেন প্রধান প্রধান সড়কগুলোতে। অথচ এসব কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নীরব সরকারি দলের সংসদ সদস্যসহ বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিরা। যাদের ভোটের বাক্স পরবর্তী নির্বাচনে খালি হয়ে যেতে পারে এসব অনুন্নত রাস্তাঘাটের জন্য।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক : কাটিয়ায় দোকান ঘর ডিড দিয়ে বিপাকে পড়েছেন প্রতিষ্ঠানের মালিক পক্ষ। কাটিয়ায় আমতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় দোকান উদ্ধারের জন্য আদালতে মামলা করেও প্রতিষ্ঠান ফিরে না পাওয়ার দুশ্চিন্তায় রয়েছে তারা। দোকানঘরের মালিক কাটিয়া আমতলা এলাকার মৃত রকিব উদ্দীনের আসাদুজ্জামান ও আশরাফুজ্জামান জানান, ১৯৯৫ সালে ২০ হাজার টাকা অগ্রিম নিয়ে মাসিক ২হাজার টাকা ভাড়া চুক্তিতে দোকানঘরটি ডিড দেন কাটিয়া মাঠপাড়া এলাকার আব্দুল আহাদের কাছে। ১৯৯৭ সালে আহাদ গোপনে ২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ২৫ টাকার স্ট্যাম্পে এফিডেভিটের মাধ্যমে দোকানঘরটি বিক্রয় করেন মাহমুদপুর এলাকার কুয়েত প্রবাসী মিজানুর রহমানের কাছে। এরপর আহাদ গোপনে কুয়েতে চলে যায়। মিজানুর কুয়েত প্রবাসী হওয়ায় দোকানঘরটির দায়িত্ব দেন তার ভাই মাহফুজুর রহমান মিলনের কাছে। মিলন দোকানঘরটি বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে ভাড়া দেয়।

এদিকে, দোকানঘরটির মালিকরা দোকানঘর উদ্ধারের চেষ্টা করতে থাকেন। এনিয়ে সমাধানের জন্য প্রবাসী আহাদের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বারবার আশ্বাস দিলেও কোনো পদক্ষেপ গ্রহন করনেনি। উপায় না পেয়ে মৃত আব্দুর রকিবের মেঝো ছেলে ওয়াহেদুজ্জামান দোকানঘর উদ্ধারের জন্য ১৭ এপ্রিল ১৭ তারিখে সাতক্ষীরা আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। যার বিচারিক কার্যক্রম চলমান।
অপরদিকে, মিজানুরের ছোট ভাই মাহফুজুর রহমান মিলন দোকানঘরটির মালিকানা দাবি করে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সদর থানা পুলিশ বিষয়টি আমলে নিয়ে মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত দোকানঘরটি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন এবং দোকান ঘরের চাবি নিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর আব্দুস সেলিমের কাছে হস্তান্তর করেন। মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত চাবিটি কাউন্সিলর এর কাছে থাকার নির্দেশ দেন থানা পুলিশ। তবে, মিলন কৌশলে দোকানঘরটি চাবি সংগ্রহ করার পায়তারা চালাচ্ছেন বলে ধারণা করছেন ঘরটির মালিক পক্ষ। এছাড়া চাবি নিয়ে অন্যত্র ঘরটি ভাড়া দেওয়ার চেষ্টা করছে মিলন। এঘটনায় মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত চাবি কোনোভাবেই মিলন না নিতে পারে তার জন্য কাউন্সিলর আব্দুসন সেলিম ও সাতক্ষীরা থানা পুলিশের কাছে বিনীত অনুরোধ জানিয়েছেন মালিকপক্ষরা।
এবিষয় কাউন্সিলর আব্দুস সেলিম বলেন, উভয় পক্ষের মধ্যে মিমাংসা না হওয়া পর্যন্ত কোনো ভাবেই চাবি হস্তান্তর করা হবে না।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু : মাহমুদপুর আমিনিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে পূর্বের কর্মস্থলের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় ৩ বার তাকে টাকা প্রেরত দেওয়ার জন্য নোটিশ পাঠানো হলেও তিনি বহাল তবিয়তে।
জানাগেছে, মাহমুদপুর আমিনিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ নাসির উদ্দিন কয়েকবছর পূর্বে সাতক্ষীরা আহছানিয়া মিশন মাদ্রাসায় আরবি প্রভাষক পদে কর্মরত ছিলেন। সে সময় তিনি ও তার সহযোগী আড়–য়াখালী দাখিল মাদ্রাসার সুপার মোঃ আলতাফ হোসেন আহছানিয়া আলিম মাদ্রাসার ভবন নির্মাণের জন্য ২০১৪ সালে মাদ্রাসার ফান্ড থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা গ্রহণ করেন। কিন্তু তারা প্রতিষ্ঠানের কোন কাজ করে টাকাগুলো আত্মসাত করেন। ইতোমধ্যে নাসির উদ্দীন মাহমুদপুর আমিনিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ যোগদান করেন। টাকা গুলো ফেরত দেওয়ার জন্য বারবার তাদের অনুরোধ জানানো হলে কোন কাজ হয়নি। উপায় না পেয়ে ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পর পর ৩টি নোটিশও প্রদান করা হয়েছে। তারপরও নাসির উদ্দিন ও আলতাফ হোসেন টাকাগুলো ফেরত দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেননি।
এদিকে টাকা উদ্ধারের জন্য প্রতিষ্ঠার অধ্যক্ষ মাও. আব্দুল মজিদ সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এতেও কোন কাজ হয়নি। তারা টাকাগুলো ফেরত না দিয়ে মাদ্রাসার অধ্যক্ষসহ স্বাক্ষীদের মিথ্যা মামলায় আটকসহ বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে যাচ্ছেন। এঘটনায় প্রতিষ্ঠানের টাকা উদ্ধারের দাবিতে গত ৮ আগস্ট’১৭ তারিখে আহছানিয়া মিশন মাদ্রাসার সভাপতি সৈয়দ ফিরোজ কামাল শুভ্র মাহমুদপুর আমিনিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার সভাপতি বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অপরদিকে সদর থানার এস আই এনামুল জানান, অভিযোগটি তার কাছে রয়েছে। তবে অভিযোগে তার যে ঠিকানা উল্লেখ্য করা হয়েছে সে ঠিকানা অনুযায়ী তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। যে কারণে একটু সময় লাগছে। তাকে খুজে পেলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উল্লেখ্য মাহমুদপুর আমিনিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার যোগদানের পর পরই অভিযোগ সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগে জেল হাজত ও খেটেছেন নাসির উদ্দিন। এছাড়া তার নামে নাশকতারও ২টি মামলা রয়েছে। অন্যদিকে প্রতিষ্ঠানের টাকা আত্মসাথের ঘটনায় সাতক্ষীরা সচেতন মহল তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। যে কারণে অবিলম্বে ওই নাসির উদ্দীনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : ১৫ অগাস্ট জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষে ৪নং ওয়ার্ড আ ’লীগের পৌর শাখার প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার সভাপতি শেখ কামরুল হক চঞ্চলের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ মোসফিকুর রহমান মিল্টনের সঞ্চালনায় দিনভর বিভিন্ন কর্মসূচি পালনে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সকালে জাতীয় পতাকা ও কালো পতাকা উত্তোলন, কালো ব্যাজ ধারণ, কোরআন খতম, বঙ্গবন্ধুর ভাষণ প্রচার ও সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মি. আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হবে সুলতানপুর ক্লাব মাঠে। সভায় জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক সদর-২ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী শেখ সাহিদ উদ্দিন, প্রচার সম্পাদক শেখ নুরুল হক, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শেখ মারুফ হাসান মিঠু, সাহানা মহিদ, ইসমত আরা, কাজী বেলাল হোসেন, শাহাজান কবির, আঃ রশিদ, শেখ জাহাঙ্গীর হাসান খোকন, শাহাদাত, ফারুক, তোহা, শেখ মারুফুল হক, শামীম, মমিন, রাশি, ফিরোজ হাসান, সাহেব আলী, নাজমুল হক, রনি, বনি, কাজী আক্তার হোসেন, ইকবাল হোসেন, মীর মোস্তাক আলীসহ এলাকার নের্তৃবৃন্দ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

মোস্তফা কামাল : মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড যশোর ২০১৭ সালের এইচএসসি ফলাফলের ব্যাপক বিশৃঙ্খলা দেখা দেওয়ায় সাতক্ষীরাসহ বিভিন্ন এলাকায় ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। দিনের পর দিন এ ফলাফলকে কেন্দ্র করে অভিযোগের পাল্লা ভারী হচ্ছে। ৫০ নম্বরের পরীক্ষায় ৬৩ নম্বর, মেধাবী শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল (রচনামূলক) ৫০ নম্বরের মধ্যে ০০(শূন্য) নম্বর, সকল বিষয়ে পরীক্ষা দিয়েও ফলাফলে অনুপস্থিতি অজুহাতের শেষ নাই।
তথ্য সূত্রে জানা গেছে, কলারোয়া সরকারি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের নিয়মিত ছাত্র সুদীপ্ত কুমার সরদার, রোল নং- (৪০৮৬৩৯) ২য় পত্র উচ্চতর গণিত সৃজনশীল রচনামূলক ৫০ নম্বরের মধ্যে ৬৩ নম্বর, নৈর্বত্তিক ২৫ এর মধ্যে ৮, ব্যবহারিক ২৫ এর মধ্যে ২৪ নম্বর পেয়েছে। ৫০ পূর্ণমানে ৬৩ নম্বর পাওয়ায় হাস্যকর, মূখরোচক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এ দিকে শ্যামনগর সরকারি মহসিন কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের ৪২৩২৪৩ নং রোলধারী ছাত্রের পদার্থ বিজ্ঞান ১ম পত্রের সৃজনশীল রচনামূলক ৫০ নম্বরে মধ্যে ০০ দেওয়া হয়েছে। সকল বিষয়ে পরীক্ষা দিলেও অনুপস্থিত দেখানো হয়েছে বলে কুষ্টিয়ার একটি কলেজের একজন ছাত্র অভিযোগ করেছেন।
ভাল পরীক্ষা দিয়েও নম্বর কম পাওয়ার অভিযোগের শেষ নেই। যশোর শিক্ষা বোর্ডের এই ধরনের কার্যক্রমে কোমলমতি ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের দুঃচিন্তা বেড়েই চলেছে। ভবিষৎত জীবন গড়তে এ ধরনের হয়রানী ও প্রতিবন্ধকতা শিক্ষার্থীদের অহেতুক মানসিক যন্ত্রণা দেবে।
এ দিকে উত্তরপত্র পুনরায় পরীক্ষা-নিরীক্ষার আবেদনের জন্য ২৪ জুলাই থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত সময় নির্ধারিত ছিল। যার স্মারক নং পনি/উমা/১২০/০২/৯৪৬, তাং ১৯/০৭/২০১৭ ইং।
যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাধব চন্দ্র রুদ্র ০৪২১-৬৮৬৬৬ নং টেলিফোনে জানান, উত্তর পত্র পুনরায় নিরীক্ষার জন্য ২৫ হাজার ৬৩৬ জন পরীক্ষার্থী আবেদন করেছে। যার ফলে কয়েক কোটি টাকা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের পকেট থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে।
উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (উচ্চ মাধ্যমিক) সমর কুমার কুন্ডু স্বাক্ষরিত এক নোটিশে জানা যায়, উত্তর পত্র গোচ্ছিত শিক্ষকদের ওয়েব সাইটে প্রদর্শিত ক্রমিকের উত্তরপত্রগুলো ২,৩,৬,৭ আগস্ট ২০১৭ তারিখের মধ্যে নিজ/পত্র বাহকের মাধ্যমে বোর্ডে জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। যার স্মারক নং- পনি/উমা/১১৫/২০০৮/০৩/৯৪৯। সে ক্ষেত্রে উত্তরপত্র জমা হয় ২৫ হাজার ৬৩৬ জনের। একাধিক বিষয় হলে উত্তরপত্রের পরিমাণ অধিক হারে বর্ধিত হওয়াটা স্বাভাবিক। উত্তরপত্র জমার শেষ তারিখ ছিল ৭ আগস্ট। ৯ আগস্ট বেলা ১টার দিকে বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাধব চন্দ্র রুদ্রের ০৪২১-৬৮৬৬৬ টেলিফোনে পুনরায় উত্তরপত্র নিরীক্ষণের আবেদন সংখ্যা জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, এখন সংখ্যা নিয়ে কি করবেন, পুনরায় রেজাল্ট দেওয়ার সময় হয়েছে। ১/২ দিনের ব্যবধানে উক্ত সংখ্যক উত্তরপত্র মূল্যায়ন কিভাবে সম্ভব হবে তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। যথাযথ উত্তরপত্র মূল্যায়ন না হলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের নিরবে কাঁদা ছাড়া উপায় থাকবে না।
এদিকে অনেক শিক্ষার্থী অভিভাবক এ ফলাফলের দিকে তাকিয়ে আছে। সাহিদ আলম, কামাল উদ্দীন প্রমূখ অভিভাবকরা জানান, ফলাফল সন্তোষজনক না হলে যশোর শিক্ষা বোর্ডসহ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মহামান্য হাইকোর্ডের মাধ্যমে রিট পিটিশন করবেন।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাধব চন্দ্র রুদ্র বলেন, ৬৩ নম্বর হতে পারে ৩৬ নম্বর। তবে ০০ (শূন্য) সৃজনশীল রচনামূলক অংশে পাওয়াটা স্বাভাবিক, কারণ ০(শূন্য) টাও নম্বর।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

রিয়াজ-তিশা দুইজন দুই ভুবনের বাসিন্দা তবে গল্পের প্রয়োজনে আসছে ঈদের একটি নাটকে জুটিবদ্ধ হয়েছেন এ দুই গুণী শিল্পী। এবার তাদের দেখা যাবে ‘নিষিদ্ধ ভালোবাসার গল্প-২’ নামের একটি নাটকে।
নাটকটি পরিচালনা করেছেন জেএস মিঠু।

নাটকটিতে অভিনয় প্রসঙ্গে রিয়াজ বলেন, ‘তিশার সঙ্গে এর আগেও অনেক নাটকে অভিনয় করেছি। তার ধারাহিকতায় আবারও জুটি হলাম। মূলত গল্পের প্রয়োজনেই জুটি হয়েছি। আশা করি, দর্শকরা নাটকটি গ্রহণ করবেন। ’

তিশা বলেন, ‘রিয়াজ ভাই অনেক গুণী অভিনেতা। তার সঙ্গে কাজ করা মানেই ভালো কিছু। নাটকটির গল্পও চমৎকার। দর্শকদের পূর্ণ বিনোদন দেবে বলে আমার বিশ্বাস। ’

আসছে ঈদে নাটকটি একটি বেসরকারি চ্যানেলে প্রচার হবে বলে জানান নির্মাতা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

চলচ্চিত্রের রূপালি পর্দার নায়ক অনন্ত জলিল এখন যোগ দিয়েছেন ধর্মকর্মে। এ বছরের শুরুতে তিনি পবিত্র মক্কা শরীফে গিয়েছিলেন ওমরাহ করতে।
ফিরে এসে যোগ দিয়েছেন তাবলিগ জামায়াতে। এর মাধ্যমে তিনি যুব সমাজকে ধর্মের পথে, ইসলামের পথে আসার জন্য দাওয়াত দিচ্ছেন। অনন্ত জলিলের ধর্মের দিকে এই আকর্ষণকে ফোকাস করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
বুধবার তিনি এএফপি’কে বলেছেন, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এ দেশের যুব সমাজকে তিনি ধর্মীয় বিশ্বাসের দিকে আহ্বান করবেন তার খ্যাতি বা জনপ্রিয়তাকে ব্যবহার করে।
অনন্ত জলিলকে দেখার জন্য রাস্তায় ভিড় করেন তার হাজার হাজার ভক্ত। ইসলামিক পাগড়ি ও লম্বা পাঞ্জাবি পরা তার ছবি সামাজিক মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। তিনি এএফপি’কে বলেছেন, এরই মধ্যে যোগ দিয়েছেন তাবলিগ জামায়াতে। এর আগে এ বছরের শুরুতে তিনি ওমরাহ পালন করেছেন। অনন্ত জলিলের ভাষায় আমাদেরকে জীবন দিয়েছেন আল্লাহ। এই পৃথিবীতে পাঠানোর প্রধান কারণ হলো তার ইবাদত করা। আমি মক্কায় এটা শিখতে পেরেছি। যদি আমি যুব সমাজের মাঝে ইসলাম প্রচার করি তাহলে তারা আল্লাহকে মেনে চলবে। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.) কে অনুসরণ করবে। দিনে ৫ বার নামাজ আদায় করবে।
অনন্ত জলিল বলেছেন, আগামী এক বছর তিনি ইসলাম প্রচারে ব্যবহার করবেন। পাশাপাশি এ সময়ে তিনি ছবিতে অভিনয় অব্যাহত রাখবেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

তেজপাতায় রয়েছে কপার, সেলেনিয়াম, আয়রন, জিংক, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম ও ক্যালসিয়াম। আর এই তেজপাতা আমরা শুধুমাত্র রান্নায় স্বাদ ও গন্ধের কাজেই ব্যবহার করে থাকি।
কিন্তু তেজপাতার চায়ে রয়েছে ভিটামিন সি ও ভিটামিন এ; এর মধ্যে রয়েছে ফলিক এসিড। এই চা কাশি কমায়, হৃৎপিণ্ড ভালো রাখতে সাহায্য করে, কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে। এ ছাড়া তেজপাতার চায়ে রয়েছে অনেক গুণ। তেজপাতার চায়ের কিছু উপকারিতার কথা জানিয়েছে জীবনধারাবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইয়ের স্বাস্থ্য বিভাগ।

একটা বাটিতে ৩ গ্লাস পানি নিয়ে ফোটাতে শুরু করুন। যখন দেখবেন পানিটা ফুটতে শুরু করেছে, তখন তাতে ১০টা তেজপাতা ফেলে দিন। পাত্রের পানিটা ফুটতে ফুটতে যখন এক গ্লাসের মত হয়ে যাবে, তখন আঁচটা বন্ধ করে পানিটা ছেঁকে নিয়ে সেই পানিটা চায়ের মতো করে পান করুন।

এই পানীয়টি প্রতিদিন পান করলে কী হতে পারে জানেন?

১. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে : রক্তে উপস্থিত শর্করার মাত্রা কমাতে তেজপাতার কোনও বিকল্প নেই বললেই চলে। শুধু তাই নয়, একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা যাতে বেড়ে না যায় সেদিকেও খেয়াল রাখে এই প্রাকৃতিক উপাদানটি।

আসলে তেজ পাতায় উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ইনসুলিনের ক্ষরণ যাতে ঠিক থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই সুগার লেভেল বাড়ার সুযোগ পায় না।

২. হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে : তেজ পাতায় উপস্থিত ফিটোনিউট্রিয়েন্ট, ক্যাফিক অ্যাসিড, সিলিসাইকেলেট এবং ক্যারোটিন হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের আশঙ্কা কমাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৩. যন্ত্রণা কমায় : পা মচকে গেছে? আথ্রাইটিসের যন্ত্রণায় নড়তে পারছেন না? কোনও চিন্তা নেই! আজ থেকেই তেজপাতা দিয়ে তৈরি তেল দিয়ে মাসাজ শুরু করুন। দেখবেন কষ্ট কমতে সময় নেবে না। আসলে তেজপাতায় উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটারি উপাদান শরীরে ভেতরে প্রদাহ কমিয়ে ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করে। প্রসঙ্গত, এই ধরনের শারীরিক সমস্যার প্রকোপ কমাতে তেজপাতা দিয়ে বানানো চাও খেতে পারেন। সমান উপকার পাবেন।

৪. সর্দি-কাশির প্রকোপ কমায় : আজ তাপমাত্রা ৪০-এর কাঁটা ছুঁয়েছে তো, কাল অঝোরে বৃষ্টিতে গায়ে চাদর দিতে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে ঠাণ্ডা-গরমের কারণে সর্দি-কাশি-জ্বর হওয়া খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। তাই বাড়িতে তেজ পাতা মজুত করা শুরু করুন। দেখবেন উপকার পাবেন। কারণ নিয়মিত তেজপাতা দিয়ে বানানো চা খেলে জ্বর তো কমেই। সেই সঙ্গে সর্দি-কাশি এবং বুকে কফ জমার মতো সমস্যাও কমতে শুরু করে।

৫. কিডনি স্টোনের চিকিৎসায় কাজে লাগে : তেজপাতায় উপস্থিত বেশ কিছু কার্যকরী উপাদান কিডনির ভিতরে জমতে থাকা স্টোনগুলিকে শরীর থেকে বের করে দিতে সাহায্য করে। তাই তো এই ধরনের রোগে নিয়মিত তেজ পাতা দিয়ে বানানো চা খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে রোগীকে।

৬. ইউরিক অ্যাসিড : দিনে কম করে ২ কাপ তেজপাতা দিয়ে তৈরি চা খেলে শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমতে শুরু করে। ফলে নিমেষেই কমে যায় সেই সম্পর্কিত শারীরিক কষ্টও।

৭. কনস্টিপেশন দূর করে : প্রতিদিন সকালেই কী মারাত্মক কষ্টের মধ্য দিয়ে যেতে হয়? এদিকে নানা চিকিৎসা করেও ফল মিলছে না? তাহলে আজ থেকেই তেজপাতা দিয়ে বানানো চা খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন কষ্ট কমে যাবে। এক্ষেত্রে এক কাপ করে দিনে দুই বার এই বিশেষ চাটি পান করলে দারুন উপকার মিলবে।

৮. উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখে : সারা শরীরজুড়ে রক্তের সরবরাহে উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখাতেও তেজপাতার জুড়ি মেলা ভার। তাই যাদের পরিবারে উচ্চ রক্তচাপের ইতিহাস রয়েছে তারা নিয়মিত তেজ পাতা দিয়ে বানানে চা খেতে পারেন। দেখবেন উপকার মিলবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest