সর্বশেষ সংবাদ-
শ্যামনগরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনিয়ম ‌দুর্নীতির অভিযোগল স্টুডেন্টস ফোরাম এর নবনির্বাচিত কমিটি নির্বাচন কমিশনের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়তিতাস বহুমুখী সমবায় সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভাঝিনাইদহের জয়দিয়া বাওড়ের অবৈধ বন্দোবস্ত বাতিলের দাবিতে মানববন্ধনশীতের ছুটিতে ঘুরে আসুন দেবহাটার রূপসী ম্যানগ্রোভপ্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা -অগ্নি সংযোগের প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধনবিইউপিএফের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে শপথ নিলেন জালালপুর ইউপি চেয়ারম্যানল স্টুডেন্টস ফোরামের নির্বাচন সম্পন্নসাতক্ষীরায় খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ৯০ দশক ছাত্রদলের দোয়াশ্যামনগরে ঘের ব্যবসায়ীকে কুপি×য়ে হত্যা : আ×টক ৯

বিবিসির খবর নিয়ে রাত ১০টায় হাজির সংবাদ উপস্থাপক সোফি রাওয়ার্থ। তাঁর পেছনে লাইভ নিউজ রুম। কম্পিউটারে বসে কাজ করছেন অনেকেই। খবর পড়ার সময় সোফির পেছনে নিউজ রুমে এক কর্মীর কম্পিউটারে হঠাৎ করে ‘পর্নো ভিডিও’ চালু হয়ে যায়। খবরের সঙ্গে সঙ্গে সেই দৃশ্যও দেখে ফেলেন লাখো দর্শক।

হাফিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত সোমবার রাত ১০টায় বিবিসির ‘নিউজ অ্যাট টেন’-এ এই ঘটনা ঘটে। লন্ডনে বিবিসির ব্রডকাস্টিং হাউস থেকে সে সময় ক্রিকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ইংল্যান্ডের জয়ের খবর দেখানো হচ্ছিল।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিবিসির ওই পর্নো দৃশ্যসহ খবরটি প্রায় ৩৮ লাখ দর্শক দেখেছেন। অনেকে বিষয়টি নিয়ে টুইটও করেছেন। পরে ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায়।

টুইট বার্তায় একজন লিখেছেন, ‘বিবিসি নিউজে সংবাদ উপস্থাপক খবর পড়ার সময় কেন পর্নো ভিডিও চালু করা হলো?’

বিবিসির একটি সূত্র জানিয়েছে, এই ঘটনায় ‘একটি বড় বেলুন চুপসে যাওয়ার মতো অবস্থা’ হয়েছে বিবিসির। এটা আনাড়ির মতো একটা কাজ হয়েছে।

লিন্ডসে রবিনসন নামের একজন দর্শক ভিডিওটি দেখে সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর ফেসবুকে পেজে পোস্ট করেছেন। ওই পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘কেউ কী গত রাতে বিবিসির এই ভিডিওটি দেখেছেন?’

প্রতিবেদনে বলা হয়, এ ঘটনায় বিবিসি স্পষ্ট করে তেমন কিছু বলেনি। তবে প্রতিষ্ঠানটি এ ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। বিবিসির একজন মুখপাত্র বলেন, ‘আসলেই কী ঘটনা ঘটেছে, তা খতিয়ে দেখা হবে।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : দক্ষিণ কাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সানজিদা শাহনাজ আবারও সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষিকা নির্বাচিত হয়েছেন। সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. নজরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
সানজিদা শাহনাজ সদর উপজেলার মাস্টারপাড়া গ্রামের মোশাররফ হোসেনের জৈষ্ঠ কন্যা। ২০১২ ও ২০১৬ সালে সদর উপজেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষকা নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৫ম ও ৮ম শ্রেণিতে বৃত্তি লাভ করেন এবং এসএসসিতে ১ম বিভাগে উত্তীর্ণ হন। এইচএসসি পরীক্ষায় সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ১ম বিভাগে পাস করেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতকে ঢাকা বিভাগের মধ্যে ১৩তম স্থান লাভ করেন। স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় ফিসারিজ বিভাগ থেকে ঢাকা বিভাগের মধ্যে ১৭তম স্থান লাভ করেন।
এছাড়াও তিনি বিভিন্ন সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। সম্প্রতি বিভিন্ন পত্র পত্রিকা ও ম্যাগাজিনে তার লেখা প্রকাশিত হয়েছে। বিভিন্ন সময় তিনি গল্প, কবিতা, ছড়া, গান ও উপস্থিত বক্তৃতার প্রতিযোগিতায় পুরস্কার লাভ করেছেন।
২০১১ সাল থেকে তিনি দক্ষিণ কাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। সম্প্রতি তিনি নিজস্ব উদ্যোগে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য মিড ডে মিল, ফুল ও ফলের বাগান স্থাপন, প্রতিনিয়ত অভিভাবক সমাবেশ, শিক্ষার্থীদের ইউনিফর্ম প্রদানসহ নানা ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছেন। তিনি সকলের কাছে দোয়া প্রার্থী।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : সাতক্ষীরা জেলা ক্রিকেট টিম গঠনের লক্ষ্যে প্রাথমিক বাছাই পর্বের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ মাঠে জেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে বয়সভিত্তিক অনুঃ ১৪, ১৬ ও ১৮ খেলোয়াড় বাছাই করা হয়। জেলা ক্রিকেট টিম গঠনের লক্ষ্যে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রাথমিক বাছাই পর্বের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা-০২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। তিনটি গ্রুপে ৩৫ জন করে মোট ১০৫ জনকে প্রাথমিভাবে বাছাই করা হয়। প্রধান অতিথি মীর মোস্তাক আহমেদ রবি এমপি সকলের সাথে পরিচিত হন এবং সৌম্য সরকার ও মুস্তাফিজের মত ভাল খেলোড় হয়ে জেলার সুনাম বয়ে আনার জন্য আহবান জানান। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় ক্রিকেট কোচ মনোয়ার আলী মনু, জেলা কোচ শাহ আলম শানু, মোফাচ্ছিনুল ইসলাম তপু, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য সৈয়দ জয়নুল আবেদীন জসি, কাজী কামরুজ্জামান কাজী, আলামিন কবির চৌধুরী ডেভিটসহ জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য ও খেলোয়াড়বৃন্দ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

পাকিস্তানের আদালতের রায়ে প্রধানমন্ত্রিত্বের অযোগ্য ঘোষিত নওয়াজ শরিফকে এবার রাজনৈতিক তৎপরতার ক্ষেত্রেও অযোগ্য ঘোষণা করতে একটি পিটিশন দায়ের হয়েছে। পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফ (পিটিআই) এর সদস্য ড. ইয়াসমীন রশিদ পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনে বুধবার (৯ আগস্ট) এ আবেদন করেছেন। ইসলামাবাদ থেকে একটি শোভাযাত্রা নিয়ে নওয়াজ যখন নিজ জন্মশহর লাহোরে যাচ্ছেন তখনই পিটিশনটি দায়ের করা হলো।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন জানায় বুধবার (৯ আগস্ট) ইয়াসমীন রশিদের পক্ষে তার আইনজীবী বাবর আওয়ান পিটিশনটি করেন। রাজনৈতিক দল সংক্রান্ত আদেশ ২০০২ এর ৫ ধারার আওতায় দায়েরকৃত পিটিশনে অনুরোধ করা হয়, নওয়াজকে যেন কোনও রাজনৈতিক দলের যেকোনও পদে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়। নওয়াজের দল পিএমএল-এন (পাকিস্তান মুসলিম লীগ নওয়াজ) থেকে তার নাম বাদ দেওয়ারও অনুরোধ জানানো হয় পিটিশনে। ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়, পিটিআই নেতা ইমরান খানের পরামর্শ অনুযায়ীই পিটিশনটি তৈরি করেছেন বাবর।

একদিন আগে অর্থাৎ মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন পিএমএল-এনকে একটি নোটিশ পাঠায়। ওই নোটিশে পিএমএল-এনকে একজন নতুন নেতা নির্বাচিত করতে বলা হয়। বলা হয়, ২০০২ সালের রাজনৈতিক দল সংক্রান্ত আদেশ অনুযায়ী, একজন অযোগ্য ঘোষিত এমপি রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বে থাকতে পারে না।

 

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা চাইলেই এখন থেকে কারও বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় মামলা করতে পারবেন না। এই ধারায় মামলা করার আগে দলীয় সংসদ সদস্য, মন্ত্রী থেকে শুরু করে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের কেন্দ্র থেকে অনুমতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। ইতোমধ্যেই দলের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সারাদেশের দলীয় নেতাকর্মীদের কাছে এই নির্দেশনা পাঠিয়েছেন। আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর একাধিক নেতা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশনার বিষয়টি নিশ্চিত করেন দু’টি সাংগঠনিক জেলার নেতা জানিয়েছেন, তারা ঢাকা থেকে ওবায়দু কাদেরের টেলিফোন বার্তা পেয়েছেন। ওই বার্তায় দলের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন,  ‘৫৭ ধারায় মামলা করার আগে কেন্দ্র থেকে আলোচনা করে অনুমতি নিতে হবে।’

দলের নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতা বলেন, ‘সম্প্রতি ৫৭ ধারায় দায়ের করা কয়েকটি মামলা নিয়ে দেশব্যাপী বিতর্ক ওঠার পর  দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিভিন্ন জেলায় এ নির্দেশনা দেন।’

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবউল আলম হানিফ বলেন, ‘৫৭ ধারায় মামলার অপপ্রয়োগ ঠেকাতে আওয়ামী লীগ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের দলের যে কেউ এই মামলা করার আগে আমাদের জানালে আমরা যাচাই-বাছাই করে অভিযোগ সম্পর্কে নিশ্চিত হলে অনুমতি সাপেক্ষে এ মামলা করা যাবে। সাধারণ সম্পাদক সারাদেশে এ বার্তা পাঠিয়েছেন।’

আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, ‘তৃণমূল থেকে প্রাপ্ত অভিযোগের সত্যতা পেলেই ৫৭ ধারায় মামলা দায়ের করার আগে অনুমতি দেওয়া হবে। কেন্দ্রের অনুমতি ছাড়া কোনও নেতা ৫৭ ধারায় মামলা করলে ওই নেতার বিরুদ্ধে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী শাস্তিমূলক সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এই প্রসঙ্গে সম্পাদকমণ্ডলীর একজন নেতা বলেন, ‘বিভিন্ন ঘটনায় আওয়ামী লীগের নেতাদের ৫৭ ধারায় দায়ের করা মামলা নিয়ে দেশব্যাপী নেতিবাচক সমালোচনার ঝড় উঠেছে। আমরা গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী বলেই এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।’

গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘দলের হাইকমান্ডের কাছ থেকে আমি মৌখিক নির্দেশ পেয়েছি।’

দলটির কেন্দ্রীয় নেতা মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, ‘দলীয় সাধারণ সম্পাদক বিভিন্ন জেলায় ফোন করে এই বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন।’

সম্প্রতি বরিশালের আগৈলঝাড়ার উপজেলা পরিষদ আয়োজিত স্বাধীনতা দিবসের আমন্ত্রণপত্রে এক শিশুর আঁকা বঙ্গবন্ধুর ছবি ব্যবহার করা হয়। ওই ছবিতে বঙ্গবন্ধুকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে দাবি করে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তারিক সালমনের বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় মামলা করেন জেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ওবায়েদ উল্লাহ সাজু। এই মামলায় প্রথমে তারিক সালমনের জামিন নামঞ্জুর করেন আদালত। পরবর্তী সময়ে ওই দিনই আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।

এ ঘটনার পর ওবায়েদ উল্লাহ সাজুকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করে স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় আওয়ামী লীগ। ঘটনার জন্য দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে বরিশাল ও বরগুনার জেলা প্রশাসক ও আগৈলঝাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়।

এই আইনের অপপ্রয়োগ করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন খোদ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘তুচ্ছ কারণে ৫৭ ধারার অপপ্রয়োগ করা হচ্ছে। এই প্রবণতা আত্মঘাতী। এই সব আত্মঘাতী কাজ আমাদের বন্ধ করতে হবে।’

এরপরই ৫৭ ধারায় মামলা নেওয়ার ক্ষেত্রে অধিকতর সতর্কতা অবলম্বন করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয় পুলিশ সদর দফতর থেকে। পাশাপাশি এই ধারায় মামলা গ্রহণের আগে পুলিশ সদর দফতরের আইন শাখার পরামর্শ নেওয়ার কথাও বলা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশনের (সিপিএ) ৬৩তম সম্মেলনে ব্রিটেনের রানী এলিজাবেথ পদাধিকারবলে চিফ প্যাট্রন ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভাইস প্যাট্রন হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। আর সভাপতির পদ অলংকৃত করবেন স্পিকার ও সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপারসন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

জানা যায়, আগামী ১ নভেম্বর থেকে ৮ তারিখ পর্যন্ত ৮ দিনব্যাপী চলা সিপিএ সম্মেলনে বিশেষ বার্তা পাঠাবেন রানী এলিজাবেথ। আর সেই বার্তা পড়ে শোনাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) সম্মেলনের মত এটিও সফল করার জন্য কাজ শুরু করে দিয়েছে বাংলাদেশের সংসদ ও সিপিএ। কমনওয়েলথভুক্ত দেশসমূহের স্পিকার ও সংসদ সদস্যদের আমন্ত্রণপত্র পাঠানো শুরু হয়েছে। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীও আনুষ্ঠানিক বৈঠকে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, কমনওয়েলথভুক্ত ৫২টি দেশের ১৮০টি সিপিএ ব্রাঞ্চ থেকে স্পিকার, ডেপুটি স্পিকারসহ ৬ শতাধিক আইন প্রণেতা অংশ নেবেন। এই সম্মেলন সফল করতে জাতীয় সংসদ থেকে একাধিক কমিটি গঠন করে দেয়া হয়েছে। এই কনফারেন্স হবে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে।

সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, আন্তর্জাতিক এই সম্মেলনের সফল আয়োজন দেশ-বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে। বাংলাদেশে অনুষ্ঠিতব্য এই বিশাল আয়োজনকে উৎসবমুখর ও স্মরণীয় করে রাখার জন্য এর ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা প্রয়োজন। এজন্য একটি আকর্ষণীয় টেলিভিশন স্পট তৈরি করতে বিটিভির মহা-পরিচালককে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

স্পিকার দেশের বাইরে থাকায় এ বিষয়ে কথা হয় ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়ার সঙ্গে। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, আমরা বিশ্ববাসীকে আরেকবার দেখিয়ে দিতে চাই আমরা পারব। এই সম্মেলনে ব্রিটেনের রানী এলিজাবেথ পদাধিকারবলে চিফ প্যাট্রন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভাইস প্যাট্রন হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। এতে আবার প্রমাণিত হবে শেখ হাসিনা বিশ্বমানের নেতা।

জানা যায়, সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সংসদ, সম্মেলন কেন্দ্র, অতিথিদের জন্য বরাদ্দ হোটেল ও যাতায়াতের পথ সুরক্ষিত রাখতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।

এ বিষয়ে জাতীয় সংসদের ডেপুটি সার্জেন্ট অ্যাট আর্মস স্কোয়াড্রন লিডার এম সাদরুল আহমেদ খান বুধবার বলেন, সিপিএ সম্মেলনে আগত অতিথিদের নিরাপত্তা দিতে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হবে। থাকবে তিনস্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা। তবে এখনই সেসব প্রকাশ করা যাবে না।

জানা যায়, শিরীন শারমিন চৌধুরী সিপিএ’র নির্বাহী কমিটির চেয়ারপারসন নির্বাচিত হওয়ার পরই বাংলাদেশে এর সম্মেলন অনুষ্ঠানের বিষয়টি সামনে আসে। গত বছরের ১ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর ঢাকায় সিপিএ’র ৬২তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গুলশানের হলি আর্টিজানে এবং শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলায় কারণে তা বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু সেসব জঙ্গি হামলা কাটিয়ে এ বছরই দেশে প্রথমবারের মত আইপিইউ এর সফল সম্মেলন হয়।

উল্লেখ্য, ১৯৮৯ সালে প্যাট্রন এবং ভাইস প্যাট্রন নামে কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশনের (সিপিএ) দুটি সাংবিধানিক পদ সৃষ্টি করা হয়। রানী এলিজাবেথ পদাধিকার বলে চিফ প্যাট্রন এবং সিপিএ সম্মেলন আয়োজনকারী দেশের প্রধানমন্ত্রী ভাইস প্যাট্রন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক : ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসকে কেন্দ্র করে সাতক্ষীরা পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় যুবলীগের নামে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় চায়ের দোকান-মুদি দোকান থেকে শুরু করে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে সর্বসাধারণের কাছ থেকেও। জোরপূর্বক একশ থেকে এক হাজার টাকা করে চাঁদা আদায় করছে যুবলীগ নেতাকর্মীরা। কেউ চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাকে জামায়াত-শিবির বানিয়ে গ্রেফতারের ভয় দেখানো হচ্ছে। ফলে বাধ্য হয়ে গুণতে হচ্ছে চাঁদার টাকা।
শহরের কুকরালী আমতলার মুদি দোকানি আব্দুর রহিম বলেন, সোমবার রাতে আমার দোকানে কিছু যুবলীগ নেতাকর্মী এসে একটি দাওয়াতপত্র দিয়ে এক হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। আমি বলেছি, আামি একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী একশ টাকা দিতে পারবো। পরের দিন এসে আমার কাছ থেকে টাকা নিয়ে যায়।
গ্রাম্য ডাক্তার কবিরুল ইসলাম বলেন, আমার চেম্বারে কিছু যুবলীগ নেতা এসে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের দিন খিচুরি রান্না ও দোয়া মাহফিলের জন্য ৫ কেজি মাংস কেনার টাকা দিতে বলেছে।
ইলেকাট্রিক মিস্ত্রি আব্দুল মান্নান বলেন, তারা আমার কাছে ১০ কেজি মাংসের টাকা দাবি করেছে, কিন্তু আমি ১০০ টাকা দিতে রাজি হয়েছি।

স্থানীয় চা বিক্রেতা শফিকুল ইসলাম জানান, আমার কাছে একশ টাকা দাবি করলে ৫০ টাকা দিতে রাজি হয়েছি।

এসব চাঁদা নেয়ার সময় সদরের ৬নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি শেখ শাহিনুর রহমান বিপ্লব, সাধারণ সম্পাদক হাসিব সরকার, ইউসুফ, সালাম, জলিল, আকাশ, রিপনসহ আরও অনেক যুবলীগ নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

তবে ৬নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হাসিব সরকারের কাছে জানতে চাইলে তিনি চাঁদা নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমরা প্রতিটি দোকানে দাওয়াত কার্ড দিয়েছি। কোনো প্রকার চাঁদার টাকা নেয়া হয়নি।

চাঁদাবাজির বিষয়ে সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ আহম্মেদ বলেন, এটি নৈতিকতার অবক্ষয় ছাড়া কিছুই নয়। এ বিষয়ে আপনারা তাদের কেন্দ্রীয় সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে অবহিত করেন। এছাড়া আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ নিয়ে আসলে আমরা ব্যবস্থা নেব।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলে আপিল বিভাগের রায় অপরিপক্ক, পূর্বপরিকল্পিত ও অগণতান্ত্রিক বলে মন্তব্য করেছেন আইন কমিশনের চেয়ারম্যান সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক। বুধবার (৯ আগস্ট) জাতীয় আইন কমিশনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

এবিএম খায়রুল হক বলেন, ‘প্রধান বিচারপতি কি প্রধান শিক্ষক, আর অন্য বিচারপতিরা ছাত্র নাকি যে, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে তাকে (প্রধান বিচারপতি) অন্য বিচারপতিদের পরিচালনা করতে হবে? সংবিধানের ৯৪(৪) অনুচ্ছেদ অনুসারে তো বিচারপতিরা সবাই স্বাধীন।’

 তিনি বলেন, ‘ষোড়শ সংশোধনীর রায়ে সংবিধানের অপব্যাখ্যা করা হয়েছে। তাই সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল ফিরিয়ে আনতে হলে আবারও সংবিধান সংশোধন করতে হবে। সংবিধানে যেহেতু সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল ছিল না, সেহেতু এটা রাখা সংবিধান পরিপন্থী।’ ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আপিল বিভাগের রায়টি অপরিপক্ক, পূর্বপরিকল্পিত ও অগণতান্ত্রিক।’

সাবেক এই প্রধান বিচারপতি আক্ষেপ করে বলেন, ‘সংবিধানে ১ নম্বর অনুচ্ছেদে গণপ্রজাতন্ত্রের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এই রায় দেশকে বিচারিক প্রজাতন্ত্রের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে মার্শাল ল’ আমলে চলে যাওয়ার চেষ্টা চলছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘যেখানে দুদককে চিঠি দিয়ে সাবেক বিচারপতির বিরুদ্ধে তদন্ত বন্ধ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়, সেখানে তাদের ওপর (সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের সদস্য বিচারপতিদের) নির্ভর করবো কিভাবে?’

আইন কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘সংসদ সদস্যরা ভুল করলে সুপ্রিম কোর্ট দেখে সংশোধন করবেন। সেখানে সুপ্রিম কোর্ট (বিচারপতিরা) ভুল করলে আমরা যাবো কোথায়?’ এই রায়ের মাধ্যমে জুজুর ভয় দেখানো হচ্ছে এবং সংসদ সদস্যদের হেয় করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest