সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় পাখিমারা টিআরএমের বকেয়া ৪৮ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবিতে স্মারকলিপিকালিগঞ্জের সাবেক সমাজসেবা অফিসার শহিদুরের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধীর নামে বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাতের অভিযোগসাতক্ষীরায় চ্যাম্পিয়নশীপ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন: ভোলা জেলাকে ৪-১ গোলে হারাল সাতক্ষীরাদেবহাটার নোড়ারচকে নাটক সাজিয়ে অস্ত্র মামলায় বৃদ্ধাকে গ্রেফতার করানোর অভিযোগসাতক্ষীরায় সংলাপ বক্তারা: আগামী নির্বাচনে সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিশ্রæতি চায়হাসানের পরিবারের দাপট অব্যাহত: পাটকেলঘাটায় মানববন্ধনে প্রকাশ্য হামলাচতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী স্মৃতিতে অম্লান চিকিৎসক ডা. আনিছুরসাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবারের অনুকুলে ২৬ লাখ টাকার চেক বিতরণশ্যামনগরে কাজী আলাউদ্দীনের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পদেবহাটা উপজেলা জামায়াতের সুধী সমাবেশ


নিজস্ব প্রতিবেদক : কলারোয়ায় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার গাড়ী বহরে হামলা মামলার বাদী মুক্তিযোদ্ধা মোসলেম উদ্দীনকে দেখতে গেলেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা: আফম রুহুল হক এমপি। বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে অসুস্থ্য মোসলেম উদ্দীনকে দেখতে যান। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক শেখ সাহিদ উদ্দীন, কলারোয়া উপজেলা চেয়াম্যান কাজী আহম্মেদ স্বপন, সাতক্ষীরা পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদৎ হোসেন, জেলা স্বেচ্ছা সেবকলীগের সভাপতি মারুফ হাসান মিঠু, সাবেক ছাত্রনেতা কামরুজ্জামান সোহাগ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। এসময় তিনি মুক্তিযোদ্ধা মোসলেম উদ্দীনের চিকিৎসার বিষয়ে সার্বিক খোজখবর নেন এবং তার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য চিকিৎসকদের নির্দেশ দেন। এছাড়া প্রয়োজনে তার সুচিকিৎসার সকল প্রকার সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
উল্লেখ্য গত ২৭ জুলাই জননেত্রী গাড়ী বহরে হামলার সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ছিল। তিনি সাক্ষ্য দিয়ে হটাৎ অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। এসময় তাকে দ্রুত সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের করোনারী কেয়ার ইউনিটে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি কিছুটা সুস্থ্য আছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরার কলারোয়া ও তালা উপজেলার বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও ক্লাবের মাঝে সংসদ সদস্য কর্তৃক ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে রসুলপুরস্থ জেলা ওয়ার্কাস পাটির অফিসে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে প্রদত্ত ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ করেন সাতক্ষীরা তালা কলারোয়া ১ আসনের সংসদ সদস্য এড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ ।এ সময় তিনি বলেন, ‘দেশের ক্রীড়াঙ্গণকে উজ্জীবিত করতে বিভিন্ন ধরনের ক্রীড়া সামগ্রি বিতরণ করছে সরকার। তারই অংশ হিসেবে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও ক্লাব গুলির মাঝে এ ক্রীড়া সামগ্রি বিতরণ করা হচ্ছে। তাই আমাদের যুব সমাজকে মাদক থেকে দুরে রাখতে খেলা ধুলার বিকল্প কিছু নেই। এ জন্য লেখা পড়ার পাশাপাশি খেলা ধূলায় ও মনোযোগি হতে হবে। এভাবে মাদকের ভয়াভব সোবল থেকে আমাদের যুব সমাজ রক্ষা করা সম্ভব। এছাড়া ক্রীড়াঙ্গনের অভূতপূর্ব সাফল্যের কারণে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশকে অনেক বেশি পরিচিতি এনে দিয়েছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার ক্রীড়াঙ্গনের উন্নয়নে প্রতিটি উপজেলায় স্টেডিয়াম তৈরীর উদ্যোগ নিয়েছে’। তালা কলারোয়ার বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও ক্লাবের মাঝে ক্রিকেট সেট, ভলিবল সেট, ব্যাডমিন্টন, দাবা সেট, ক্যারাম সেট, ফুটবল, বিতরণ করা হয়। এ সময় দলীয় নেতাকর্মী ও জেলা ক্রিড়া অফিসার খালিদ জাহাঙ্গীর, জেল যুব মৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক মফিজুল হক জাহাঙ্গীরসহ বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও ক্লাবের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ঢাবি উপাচার্য প্যানেল স্থগিত

ডেস্ক রিপোর্ট: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য নির্বাচনের জন্য সিনেটের মনোনীত তিন সদস্যের প্যানেলের পরবর্তী সব ধরনের কার্যক্রম স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। আজ বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। বেঞ্চের অপর দুই বিচারপতি হলেন সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও মির্জা হোসাইন হায়দার। উপাচার্য নির্বাচনের জন্য সিনেটের বিশেষ অধিবেশন ডাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে একটি রিটের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে আদালত রিটটি চার সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তিরও আদেশ দিয়েছেন। এ সময় দায়িত্ব পালন করবেন বর্তমান উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। বাদীপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ গণমাধ্যমকে বিষয়টি জানিয়েছেন। গত ২৯ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, উপাচার্য নির্বাচনের জন্য প্যানেলের তিন সদস্য হলেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক এবং বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীন এবং থিওরিটিক্যাল অ্যান্ড কম্পিউটেশনাল কেমিস্ট্রি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবদুল আজিজ। যে সিনেট অধিবেশনে এই উপাচার্য প্যানেল মনোনীত করা হয়, সেই সিনেটের বিশেষ অধিবেশন নিয়ে রিটটি করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ ১৫ জন রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট। আদালতে রিট আবেদনটি দায়ের করেন বরিশালের আনোয়ার হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুস সামাদ, অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রাব্বানী, অধ্যাপক ড. হারুনুর রশিদ খান, অধ্যাপক ড. সিতেশ চন্দ্র বাচার, অধ্যাপক ড. সৈয়দ মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার, অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান, সহকারী অধ্যাপক মো. আবদুর রহিম, অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী, অধ্যাপক ড. কে এম সাইফুল আলম খান, ঢাকার এ কে এম আতিকুর রহমান, ফরিদপুরের ড. আবদুল জব্বার মিয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক মো. হুয়ায়ন কবির। রিটে আবেদনকারীরা জানান, গত ১৬ জুলাই ঢাবির রেজিস্ট্রার একটি চিঠি দেন সিনেট সভার জন্য। যাতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ, ১৯৭৩ আর ২১(২) ধারার অর্পিত ক্ষমতাবলে উপাচার্য ২৯ জুলাই বিকেল ৪টায় সিনেটের বিশেষ সভা আহ্বান করেছেন। উক্ত বিশেষ সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ ১৯৭৩, ১১(১) ধারা অনুযায়ী চ্যান্সেলর কর্তৃক ভাইস চ্যান্সেলর নিয়োগের জন্য তিনজনের একটি প্যানেল মনোনয়ন করা হবে। ভাইস চ্যান্সেলরের প্যানেলে যাঁদের নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য প্রস্তাব করা হবে, নাম প্রস্তাবকালে তাঁদের লিখিত সম্মতি সিনেট চেয়ারম্যানের কাছে পেশ করতে হবে। ওই সভায় উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করছি। এই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতেই রিটটি করা হয়। গত ২০ জুলাই রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি এম ফারুকের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ ২৯ জুলাই ডাকা সিনেটের বিশেষ অধিবেশনের ওপর স্থগিতাদেশ দেন। আদালত রুলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আদেশ ১৯৭৩ সালে ২০(১) ধারা অনুযায়ী সিনেট গঠন না করে ২৯ জুলাই ডাকা সভা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত হবে না, তা জানতে চান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ভিসি, প্রোভিসি (একাডেমিক), প্রোভিসি (অ্যাডমিনিস্ট্রেশন), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও বাংলাদেশের পক্ষে শিক্ষা সচিবকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়। এরপর গত ২৬ জুলাই হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেছিলেন চেম্বার আদালত। এই আদেশের পর সিনেট অধিবেশন করে কর্তৃপক্ষ। আদালতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী এ এফ এম মেজবাহ উদ্দিন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ডেস্ক রিপোর্ট: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (সংশোধন) আইনের ৫৭ ধারায় মামলা রুজু করার আগে পুলিশ সদর দপ্তরের আইন শাখার সঙ্গে আইনগত পরামর্শ নিতে হবে। বুধবার পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক ওই নির্দেশ দেন। তাঁর স্বাক্ষরিত ওই নির্দেশনায় চারটি বিষয়ের দিকে লক্ষ রাখতে বলা হয়েছে। নির্দেশনায় বলা হয়, ‘আইনের যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে অপরাধীকে আইনের আওতায় আনয়ন এবং নিরীহ ব্যক্তি যাতে হয়রানির শিকার না হয় তা নিশ্চিতকল্পে এ ধারায় (৫৭ ধারা) মামলা রুজুর পূর্বে নিম্নোক্ত বিষয়সমূহ অনুসরণ করতে হবে।

ক. তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (সংশোধন) আইন, ২০১৩-এর ৫৭ ধারায় সংঘটিত অপরাধ সংক্রান্তে মামলা রুজুর ক্ষেত্রে অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

খ. অভিযোগ সম্পর্কে কোনোরূপ সন্দেহের উদ্রেক হলে তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট থানায় জিডি এন্ট্রি করে অভিযোগের সত্যতা সম্পর্কে যাচাই বাছাই করতে হবে।

গ. মামলা রুজুর আগে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের আইন শাখার সঙ্গে আইনগত পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।

ঘ. কোনো নিরীহ ব্যক্তি যাতে হয়রানির শিকার না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।’

নিদের্শনার শুরুতে বলা হয়, ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (সংশোধন) আইন, ২০১৩-এর ৫৭ ধারায় বর্ণিত অপরাধ সংঘটন সংক্রান্তে মামলার রুজুর বিষয়ে বিভিন্ন মিডিয়া ও সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রচারিত ও প্রকাশিত হচ্ছে। কতিপয় ক্ষেত্রে বিভিন্ন থানায় এ ধারায় রুজুকৃত মামলার ক্ষেত্রে আইনের যথাযথ প্রয়োগ হচ্ছে না এ মর্মে অভিযোগ উত্থাপিত হচ্ছে।’ সম্প্রতি এ ধারায় দেশের বিভিন্ন এলাকায় বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের করা হয়। এসব মামলার আসামিদের মধ্যে সাংবাদিকদের সংখ্যাই বেশি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
নারী স্বাস্থ্যের চার সমস্যায় সতর্ক হোন

স্বাস্থ্য ডেস্ক: নারী স্বাস্থ্য অনেক ক্ষেত্রেই বেশ উপেক্ষিত থাকে। এই জন্য অনেক সময় রোগ দেরিতে ধরা পড়ে; অকাল মৃত্যু হয়। তাই সচেতনতা জরুরি। কিছু রোগ রয়েছে যেগুলো বর্তমানে নারীদের ক্ষেত্রে বহুল প্রচলিত। এগুলোর বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। এ ধরনের চারটি নারীস্বাস্থ্য সমস্যার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েবসাইট ওয়েবএমডি। হার্টের রোগ; হার্টের রোগের ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষ দুজনেই ঝুঁকিপূর্ণ। বর্তমানে এটি নারীদের জন্য একটি বড় সমস্যা। এই সমস্যায় খুব অল্প বয়সে নারীদের মৃত্যু হয়; জীবন যাপন ব্যহত হয়। বুক ব্যথা, বমি বমি ভাব, বমি, ছোট শ্বাস ইত্যাদি এর লক্ষণ। ধূমপান, বয়স বৃদ্ধি, উচ্চ রক্তচাপ, শরীরে বাজে কোলেস্টেরল বৃদ্ধি, কায়িকশ্রম না করা, বেশি ওজন, ডায়াবেটিস ইত্যাদি হৃদরোগের কারণ। স্তন ক্যানসার: স্তন ক্যানসার নারীদের ক্ষেত্রে বেশ প্রচলিত একটি স্বাস্থ্য সমস্যা। নারী মৃত্যুর একটি বড় কারণ স্তন ক্যানসার। সাধারণত ক্যানসারের নির্দিষ্ট কারণ না জানা গেলেও কিছু বিষয়কে ঝুঁকির কারণ বলা হয়। যেমন : বয়স বৃদ্ধি, পারিবারিক ইতিহাস, ব্যক্তিগত রোগের ইতিহাস, বাড়তি ওজন, বেশি মদ্যপান, ঋতুস্রাব আগে (১২ বছরের আগে) অথবা মেনোপজ দেরিতে (৫৫ বছর পরে) হওয়া ইত্যাদি।অস্টিওপরোসিস: অস্টিওপরোসিস বা হাড় ক্ষয় প্রবীণ নারীদের অন্যতম বড় সমস্যা। ক্যালসিয়ামের ঘাটতি, পাতলা হাড়, পারিবারিক ইতিহাস, ধূমপান, মদ্যপান, ব্যায়াম না করা ইত্যাদি কারণে হাড় ক্ষয় হতে পারে। বিষণ্ণতা: পুরুষের তুলনায় নারীরা বেশি বিষণ্ণতায় ভোগেন। কখনো কখনো হরমোনের পরিবর্তন অবস্থাকে বাড়িয়ে দেয়। বিষণ্ণতার পারিবারিক ইতিহাস, অসুস্থতা, বিবাহিত জীবনের সমস্যা, এবিউজ, মানসিক চাপযুক্ত জীবন, অ্যাক্সাইটি ডিজঅর্ডার, কারো মৃত্যু ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে বিষণ্ণতা হতে পারে। অনেক সময় এটি থেকে আত্নহত্যার প্রবণতা তৈরি হয়। তাই একে এড়িয়ে না গিয়ে মনোচিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তালায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বিএনপি নেতা বদরুলেরমৃত্যু

তালা প্রতিনিধি:
এক সময়ের তুখোড় ছাত্রনেতা সাতক্ষীরার তালা উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বদরুজ্জামান মোড়ল হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরন করেছেন। বৃহস্পতিবার রাত ৩ টার দিকে নিজ বাসায় তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হলে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। বদরুজ্জামান মোড়ল তালা উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও সরুলিয়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ছিলেন। সম্প্রতি দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে উপজেলা বিএনপি থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়। তার গ্রামের বাড়ির তালা উপজেলার তৈলকুপি গ্রামে। বদরুজ্জামানের ভাই কামরুজ্জামান মোড়ল জানান, আজ বৃহস্পতিবার যোহর বাদ পাটকেলঘাটার ছিদ্দিকিয়া কওমিয়া মাদ্রাসায় প্রথম জানাযা ও তৈয়লকুপি গ্রামের বাড়িতে দ্বিতীয় জানাযা নামাজ শেষে পারিবারিক কবর স্থানে তাকে দাফন করা হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নেসলের সরবরাহকৃত দুধে ‘নীরব ঘাতক’ কস্টিক সোডা ও ব্লিচিং পাউডার পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভারতের তামিলনাড়ু প্রদেশের নেসলের সরবরাহকৃত দুধে এসব রাসায়নিক উপাদান পাওয়া গেছে। অভিযোগ ওঠার পর নেসলের দুধ নিষিদ্ধ করার কথা ভাবছে রাজ্য সরকার।

ভারতের প্রভাবশালী দৈনিক দ্য হিন্দু এক প্রতিবেদনে বলছে, তামিলনাড়ুর দুগ্ধ উন্নয়ন মন্ত্রী কে টি রাজেনথ্রা বালাজি গত মাসে অভিযোগ করে বলেন, রাজ্যে নেসলে এবং রিলায়েন্সের সরবরাহকৃত দুধে কস্টিক সোডা এবং ব্লিচিং পাউডারের মতো নীরব ঘাতক রাসায়নিক উপাদান পাওয়া গেছে।

 কয়েক সপ্তাহ আগে বালাজি দাবি করে বলেন, তামিলনাড়ুতে বেসরকারি কোম্পানিগুলোর সরবরাহকৃত ভেজাল দুধের কারণে ক্যান্সারসহ বিভিন্ন রোগ হতে পারে। গত ২৭ জুন তিনি বলেন, এ ধরনের ভেজাল পণ্যের কারণে কিডনি, লিভার ও হার্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনকি আলসার ও ডায়াবেটিসও হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

রাজ্যে এই দুই ব্র্যান্ড নিষিদ্ধ করা হবে কি না এমন এক প্রশ্নের জবাবে বালাজি বলেন, তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করবেন। একই সঙ্গে নেসলে ও রিলায়েন্সের দুধ নিষিদ্ধের পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

তামিলনাড়ুর এই মন্ত্রী বলেন, ‘যখন আমরা মাধাভারামের অ্যাভিন ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষা করেছিলাম, তখন কেউ আমাদের বিশ্বাস করেনি। আমরা পরীক্ষার জন্য পুনের ল্যাবে নমুনা পাঠিয়েছিলাম; তারা আমাদের নমুনা পরীক্ষা করবে না বলে জানিয়ে দেয়। পরে এই তথ্য গণমাধ্যমে ফাঁস হয়। এমন অবস্থায় কেন্দ্রীয় সরকার অনুমোদিত চেন্নাইয়ের একটি ল্যাবে আমরা নমুনা পরীক্ষা করি।’

এ ধরনের আরও ভেজালপণ্য বাজারজাত করা হচ্ছে কি না- এমন এক প্রশ্নের জবাবে বালাজি বলেন, কয়েকটি নমুনার পরীক্ষার ফলাফল এখনও আসেনি। ভেজাল পণ্যের পরীক্ষার বিস্তারিত তথ্য পাওয়ার পর তা জানিয়ে দেয়া হবে।

তামিলনাড়ুর এই মন্ত্রী বলেন, আইনি ফাঁকফোকড় আছে, এ দুই কোম্পানি জরিমানা দিয়ে রেহাই পেতে পারে। আমি জনসচেতনতা তৈরি ও জনগণকে সতর্ক করার জন্য গণমাধ্যমকে বিষয়টি অবহিত করছি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ওরাল স্বাস্থ্য ব্রান্ড কোলগেটের টুথপেস্টে নিষিদ্ধি উপাদান ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। এই টুথপেস্ট ব্যবহারের কারণে মানুষের ক্যান্সারসহ আরো একাধিক রোগ দেখা দিতে পারে।

সম্প্রতি নিউজিল্যান্ডের একদল গবেষক কোলগেটের টুথপেস্ট পরীক্ষার পর বলেছেন, কোলগেটের টুথপেস্টে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষিদ্ধ অ্যান্টি মাইক্রোবায়াল উপাদান ট্রাইক্লোসনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এই অভিযোগ উঠার পর নিউজিল্যান্ডে কোলগেটের টুথপেস্ট নিয়ে তদন্ত শুরু হচ্ছে।

 কোলগেট টুথপেস্টে পাওয়া ক্ষতিকর এই রাসায়নিক উপাদান সাবান, ডিটারজেন্ট এবং খেলনা সামগ্রীতে ব্যবহার হয়। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরেও ট্রাইক্লোসন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফডিএ) নিষিদ্ধের তালিকায় ছিল।

পণ্য-সামগ্রীতে নিষিদ্ধ ট্রাইক্লোসনের ব্যবহার পুনঃমূল্যায়নের জন্য গত বছর নিউজিল্যান্ডের পরিবেশ সুরক্ষা কর্তৃপক্ষের (ইপিএ) কাছে অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল। কোলগেট কর্তৃপক্ষ টুথপেস্টে এই নিষিদ্ধ উপাদান ব্যবহারের পর পর্যালোচনা জমা দেয়ার কথা থাকলেও তা এখনো করা হয়নি।

কথর্ন ইনস্টিটিউটের পরিবেশগত তাত্ত্বিকবিজ্ঞানী ড. লুইস ট্রেমব্লে বলেন, এটা স্পষ্ট যে, কোলগেট টুথপেস্টের মধ্যে ট্রাইক্লোসনের উপস্থিতির অর্থ হচ্ছে; ভোক্তা পণ্য হিসেবে এটি বাজারজাত করা উচিত নয়।

তিনি বলেন, কোলগেট টুথপেস্টের বেশকিছু সুবিধার পাশাপাশি অসুবিধাও আছে। তবে এই টুথপেস্ট সবার জন্য নয়। যথাযথ সমস্যায় রাসায়নিক উপাদান উপকারী ভূমিকা রাখতে পারে। এছাড়া এর ক্ষতিকারক ফলাফলও থাকতে পারে।

লুইস ট্রেমব্লে’র মন্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করে কনজ্যুমার নিউজিল্যান্ডের গবেষক জেসিকা উইলসন বলেন, এটা প্রত্যেকদিন ব্যবহারের ভালো কোনো কারণ না থাকলে ‘কোলগেট টোটাল’ পরিহার করা উচিত।

অভিযোগ উঠলেও কোলগেট কর্তৃপক্ষ তাদের অবস্থানে অনড় রয়েছে। কোম্পানির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ‘কোলগেট টোটাল’ ব্যবহারকারীরা প্রত্যেক দিন আমাদের টুথপেস্ট ব্যবহারের জন্য পুরোপুরি আত্মবিশ্বাসী হতে পারেন।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এটি আমাদের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে নিরাপদ ও কার্যকরী হিসাবে অনুমোদিত। এছাড়া কোলগেটের টুথপেস্ট বাজারজাত করতে ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা এবং নিউজিল্যান্ডের নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষেরও অনুমোদন রয়েছে।

অভিযোগ উঠার নিউজিল্যান্ডের অনেক পণ্য-সামগ্রী প্রস্তুতকারী কোম্পানি তাদের পণ্য থেকে ট্রাইক্লোসন সরিয়ে নিয়েছে।

উল্লেখ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের নিষিদ্ধ এই ট্রাইক্লোসেনের কারণে ক্যানসার কোষ বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। কোলগেটে ব্যবহৃত রাসায়নিক এই উপাদানের কারণে অপরিপক্ব শিশু জন্ম নিতে পারে। মাড়ির রোগ প্রতিরোধের জন্য টুথপেস্টে ট্রাইক্লোসেন ব্যবহার করার কথা বলা হলেও ক্যান্সারসহ শরীরের হাড়ের বৃদ্ধিতে জটিলতা তৈরি হতে পারে। ইউরোপীয় ইউনিয়নভূক্ত দেশগুলোর মধ্যে ট্রাইক্লোসেনের ব্যবহার নিষিদ্ধ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest