সর্বশেষ সংবাদ-
দেবহাটা সদর ইউনিয়নকে শিশু শ্রম মুক্ত ঘোষনাসাতক্ষীরায় পাখিমারা টিআরএমের বকেয়া ৪৮ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবিতে স্মারকলিপিকালিগঞ্জের সাবেক সমাজসেবা অফিসার শহিদুরের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধীর নামে বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাতের অভিযোগসাতক্ষীরায় চ্যাম্পিয়নশীপ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন: ভোলা জেলাকে ৪-১ গোলে হারাল সাতক্ষীরাদেবহাটার নোড়ারচকে নাটক সাজিয়ে অস্ত্র মামলায় বৃদ্ধাকে গ্রেফতার করানোর অভিযোগসাতক্ষীরায় সংলাপ বক্তারা: আগামী নির্বাচনে সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিশ্রæতি চায়হাসানের পরিবারের দাপট অব্যাহত: পাটকেলঘাটায় মানববন্ধনে প্রকাশ্য হামলাচতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী স্মৃতিতে অম্লান চিকিৎসক ডা. আনিছুরসাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবারের অনুকুলে ২৬ লাখ টাকার চেক বিতরণশ্যামনগরে কাজী আলাউদ্দীনের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প

শাকিবের পারফরম্যান্স নিয়ে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করলেন টালিগঞ্জের জনপ্রিয় নায়িকা শুভশ্রী। তবে ওপার বাংলায় শাকিবের অবস্থান তৈরিতে আরও সময় লাগবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। সম্প্রতি ওপার বাংলার জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবেলাতে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন শুভশ্রী।

বাংলাদেশে নবাবের জনপ্রিয়তা ও ব্যবসা সফলতার জন্য দর্শকদের ধন্যবাদ জানিয়ে শুভশ্রী বলেন, ‘আমি প্রথমে বিশ্বাস করিনি একদিনেই নবাব এত টাকার ব্যবসা করবে। এর জন্য দর্শকদের ধন্যবাদ। দর্শকরা এত ভালোভাবে সিনেমাটি গ্রহণ করবে তা প্রত্যাশা করিনি।’

এই জনপ্রিয়তার জন্য অবশ্য শাকিবের দর্শক ও ভক্তদেরই ক্রেডিট দেন তিনি।

শাকিবের সঙ্গে নবাবে প্রথমবারের মতো কাজ করার সুযোগ পেয়ে শুভশ্রী বলেন, ‘শাকিব একজন অসাধারণ ব্যক্তিত্ব। বাংলাদেশে তিনি সুপারডুপার হিট একজন নায়ক। তবে তার কোনো আলাদা ভাব নেই। সে কাজের প্রতি খুবই ডেডিকেটেড। সেটে অন্যদের সঙ্গেও সে খুব কম কথা বলে। তবে শাকিব যে সব কথা বলেন তার পুরোটা জুড়ে থাকে তার কাজ ও পারফরমেন্স কিভাবে ভালো করা যায় তা নিয়ে।’

তবে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের নায়কদের পারফরমেন্সের মধ্যে সোহমকে এগিয়ে রেখেছেন বর্তমান সময়ে টালিগঞ্জের সবচেয়ে জনপ্রিয় নায়িকা শুভশ্রী। এরপর দেব, জিৎ ও চার নম্বরে শাকিবকে রেখেছেন তিনি।

অবশ্য দুটি সিনেমার মাধ্যমেই পশ্চিমবঙ্গে শাকিব একটা শক্তিশালী ভক্ত সমাজ গড়ে তুলতে পেরেছে বলে মন্তব্য করেছেন শুভশ্রী।

নবাব নায়িকা বলেন, ‘শাকিব খুব গুডলুকিং এবং চার্মিং। সে যদি পশ্চিমবঙ্গে আরও সিনেমা করার সুযোগ পায় তাহলে আমাদের এখানের দর্শক তাকে খুব ভালোভাবেই গ্রহণ করে নেবে।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

দাম্পত্য জীবনের আনুষ্ঠানিক অবসান ঘটিয়েছেন সেলিব্রিটি জুটি তাহসান-মিথিলা। কিন্তু অফুরন্ত ভালোবাসার কাছে সেই বিচ্ছেদ একেবারেই নগণ্য। গল্পটা এক যুগ আগের। ২০০৪ সাল। ভালোবাসা দিবস এলেই বাড়ির দরজায় ফুল রেখে এসে মিথিলাকে ফোন করতেন তাহসান।

তখন দু’জনই শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে কণ্ঠশিল্পী হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠেন তাহসান। সে সময় মিথিলার সঙ্গে পরিচয়।

মিথিলার এক বন্ধু তার ছোট ভাইয়ের জন্য তাহসানের অটোগ্রাফ নিতে যাওয়ার সময় মিথিলাকে সঙ্গে নিয়ে যান তাহসানের বাড়িতে। ওই সময় মিথিলা তাহসানের কিছু গান শুনলেও ভক্ত হননি। সেই প্রথম পরিচয় তাদের। সে থেকে প্রেম।

এ সম্পর্কেই ২০০৪-০৬ সাল পর্যন্ত কেটে যায়। পরে মিথিলার জন্য গান লিখেন তাহসান। তার সুরে গান গাইলেন মিথিলা। গান গাওয়ার মধ্য দিয়েই দুটি জীবন এক সুতোয় বাঁধা পড়ে। প্রেমের দুই বছর তাদের মধ্যে ঝগড়া কিংবা খুনসুটিও হতো না তেমন।

২০০৬ সালের ৩ আগস্ট প্রেমের সম্পর্কের ইতি টেনে বিয়ে করেন তারা। সংসারে যোগ হয় আইরা তাহরিম নামে তাদের একমাত্র কন্যা।

মান-অভিমান ঝগড়া মানুষের জীবনেরই একটি অংশ। জীবনে ভালো কিংবা খারাপ সময় আসবে এটাই স্বাভাবিক। এমন মানসিকতায় বিশ্বাসী তাহসান। বিয়ের পর রিল ও রিয়েল লাইফের সফল জুটির উদাহরণ হয়েই কাজ করেন তাহসান-মিথিলা।

তারপরও এর মাঝেই লুকিয়ে ছিল দূরত্বের বীজ। কয়েক মাস ধরে তেমনই ইঙ্গিত ভাসছিল মিডিয়ায়। তখন সে বিষয়ে কোনো সদুত্তর না পাওয়া গেলেও অবশেষে দু’জনে একসঙ্গে জানালেন ডিভোর্সে যাচ্ছেন। কারণ হিসেবে ওঠে এসেছে মীমাংসার অযোগ্য দ্বন্দ্ব!

দীর্ঘ ১১ বছরের সংসারের ইতি টানেন তাহসান-মিথিলা। এ নিয়ে মিডিয়াপাড়ায় নানা গুজব থাকলেও অবশ্য তারা কেউ কাউকে দোষারোপ করছেন না এখনও।

জানা গেছে, চলতি বছরের মে মাসে তাহসান ও মিথিলার বিবাহ বিচ্ছেদের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। তারা চাইছিলেন আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেরাই সংবাদমাধ্যমকে নিজেদের বিচ্ছেদের খবর জানাবেন।

কিন্তু এর আগেই সংবাদমাধ্যমে এ নিয়ে খবর প্রকাশ করা হলে ফেসবুকে যৌথ বিবৃতিতে বিচ্ছেদের খবরটি স্বীকার করে নেন তারা।

তাহসানের একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র বলছে, এ জুটির আবার এক হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। কারণ দুই বছর আলাদা থাকার সময়ে ঘনিষ্ঠরা মিলে অনেক চেষ্টা চালিয়েছেন তাদের এক করার জন্য। সবার সব চেষ্টা ব্যর্থ করে তারা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

কিন্তু এ বিচ্ছেদের নেপথ্যের কারণ কী? এমন প্রশ্ন কেন্দ্র করে নানা রকম গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। অনেকেই আবার এর পেছনে কারণ হিসেবে পারস্পরিক বোঝাপড়া কমে যাওয়া ও দু’জনের ক্যারিয়ার পরিকল্পনা আলাদা হওয়াকে দায়ী করেছেন।

তবে মিথিলার একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র থেকে জানা গেছে, মূল ঘটনার সূত্রপাত বছর দুয়েক আগে। ঝগড়ার একপর্যায়ে মিথিলার গায়ে হাত তুলেন তাহসান। ঝগড়া শুরু হয়েছিল নারী ভক্তদের সঙ্গে তাহসানের মেলামেশা নিয়ে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রটির দাবি, তাহসান কোনো নারী ভক্তের সঙ্গে প্রেম বা অন্য কোনো সম্পর্কে না জড়ালেও কেউ দেখা করতে চাইলে একা গিয়ে দেখা করতেন। এমনকি বিভিন্ন সময়ে নাটকের সেট থেকে নায়িকাদের নিয়ে লং ড্রাইভে যেতেন।

এ নিয়ে মিথিলা আপত্তি তুললেও তাহসান গ্রাহ্য করেননি। এক সময় তা তাদের নিয়মিত ঝগড়ার বিষয়ে পরিণত হয়।

সর্বশেষ দু’বছর আগে গায়ে হাত তোলার পর থেকে মিথিলা ও তাহসান আলাদা থাকতে শুরু করেন।

এদিকে, তাহসান এক মডেল ও অভিনেত্রীর প্রেমে পড়ার গুঞ্জনও রটেছে ইতিমধ্যে। কিন্তু কে এ মডেল সে বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে কোনো তথ্য দেননি কেউই।

তবে লাক্স তারকা বিদ্যা সিনহা মিমকে জড়িয়ে একাধিক সংবাদ মাধ্যম প্রেমের গুঞ্জন রটিয়েছে। যদিও এ ব্যপারে বেশ বিব্রত মীম। তার সঙ্গে তাহসানের সম্পর্কের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পেশাদারিত্বের সম্পর্ক দারুণ, কিন্তু আমার সঙ্গে প্রেমের কারণে তার সংসার ভেঙেছে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতেই আমি বিব্রতবোধ করছি।’

বিষয়টি নিয়ে তাহসানের সঙ্গে কথা বলতে চেয়ে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের আইডিও ডিএক্টভেট করে রেখেছেন তিনি।

পরে জানা গেছে তিনি এখন দেশের বাইরে অবস্থান করছেন।

এদিকে অন্য এক সূত্রে জানা গেছে, মিথিলার জীবনযাপন নিয়েও অভিযোগ ছিল তাহসানের। তিনি চাইতেন বাইরে সময় কম দিয়ে পরিবারেই যেন সময় দেন মিথিলা। কিন্তু তা মেনে নিতে নারাজ এ অভিনেত্রী। ক্যারিয়ারে বেশি মনোযোগী এবং অন্য এক সঙ্গীতশিল্পীর সঙ্গে নাকি প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছেন মিথিলা। আর সে থেকেই অবিশ্বাসের সূত্রপাত।

বিষয়টি জানতে মিথিলাকে একাধিকবার ফোন করা হলেও কোনো রকম সদুত্তর পাওয়া যায়নি। কোনো প্রমাণ না মিললেও এর আগে একাধিকবার তার প্রেমের গুঞ্জন চাউর হয়েছিল।

তাহসান-মিথিলার এমন রহস্যজনক নীরবতা এখন অনেকটাই কৌতূহলের জন্ম দিচ্ছে ভক্তমহলে। অনেকেই বলছেন যা রটে তা কিছু তো বটে! তবে কি সত্যি নতুন কোনো সম্পর্কে জড়িয়ে বিচ্ছেদের পথে হেঁটেছেন তারা? সূত্র-যুগান্তর

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

দুপুরের লাঞ্চ হোক বা রাতের ডিনার। খাওয়ার পরে একটু মৌরি মুখে ফেলে নিলেই যেন পুরো ব্যাপারটার ঠিকঠাক সমাপ্তি ঘটে। কিন্তু জানেন কী, এই মৌরি শুধু মুখশুদ্ধিতে কাজে আসে না বরং এর রয়েছে অনেক স্বাস্থ্যগুণ। আমাদের আজকের এই প্রতিবেদন থেকে জেনে নিন, মৌরি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে-

১. মৌরি চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়। পানিমিশ্রিত মৌরির রস পেট ফাঁপা ও পেট কামড়ের জন্য উপকারী।

২. মৌরি হজমের গোলযোগ এবং পেটের গ্যাস কমাতে সাহায্য করে থাকে। মৌরি মুখের জ্বালা সারায়।

৩. মৌরি ঠান্ডা সারাতে বিশেষ উপকারী। মৌরির পাতার নির্যাস কৃমিনাশক। এছাড়া মৌরি প্রসূতি মায়ের বুকের দুধ বাড়াতে সাহায্য করে।

৪. মৌরির আঁশ কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধে বিশেষ উপকারী। মৌরি স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধে উপকারী।

৫. মৌরি কোষ্ঠ-কাঠিন্য নিরাময়ে উপকারী। মৌরির পাতা গরম পানিতে সিদ্ধ করার পর এর ধোঁয়া নিঃশ্বাসের সঙ্গে নিলে অ্যাজমা ও ব্রঙ্কাইটিস রোগে উপকার পাওয়া যায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

শ্রেষ্ঠত্বের মাপকাঠিতে এখনও লিটল মাস্টার শচীন টেন্ডুলকরের থেকে বহুগুণ পিছিয়ে তিনি। বরং কোনও তুলনাতেই আসেন না শচীনের থেকে। তবে সেরাদের তালিকায় ক্রমশই জাঁকিয়ে বসছেন বিরাট কোহলি। পরিসংখ্যানের বিচারে শুক্রবার কোহলি পেরিয়ে গেলেন শচীনকে।

শুক্রবার গল টেস্টে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে এখনও ৭৬ রানে অপরাজিত তিনি। প্রথম ইনিংসে রান পাননি। সেই আক্ষেপ সুদে আসলে মিটিয়ে নেওয়ার ইঙ্গিত তার ব্যাটে। সেই সঙ্গে বিরল নজিরও গড়ে ফেললেন তিনি।

বিদেশের মাটিতে অধিনায়ক হিসেবে দ্রুততম একহাজার রানের মালিক হয়ে গেলেন তিনি। এর আগে এই রেকর্ড ছিল শ্চীন টেন্ডুলকরের। তিনি ১৯টি ইনিংসে এই মাইলফলকে পৌঁছেছিলেন। তবে শচীনের থেকে দুটো ইনিংস কম খেলেই বাজিমাত কোহলির।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

বিমানের টয়লেটে ছাত্রের সঙ্গে যৌনকর্মে লিপ্ত হওয়ায় এলিয়ানর উইলসন (২৮) নামে এক শিক্ষিকাকে শিক্ষকতা পেশায় নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

যুক্তরাজ্যে ব্রিস্টলের একটি স্কুলের শিক্ষিকা এলিয়ানর উইলসন শিক্ষা সফর থেকে ফেরার সময় টয়লেটে গিয়ে ওই ছাত্রের সঙ্গে যৌনসম্পর্ক করেন। ওই ছাত্রের সঙ্গে তার এই সম্পর্ক চলছিল বেশ কিছুদিন ধরেই।

এই ঘটনায় দেশটির ন্যাশনাল কলেজ ফর টিচিং অ্যান্ড লিডারশিপের (এনসিটিএল) একটি প্যানেলের তদন্তে শিক্ষিকা উইলসন দোষী সাব্যস্ত হন। তদন্তে দেখা গেছে, ২০১৫ সালের আগস্টে ছাত্রটির সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করেছিলেন উইলসন।

প্যানেলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিক্ষিকার আচরণ অগ্রহণযোগ্য। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় শাস্তি হিসেবে উইলসনকে শিক্ষকতা পেশায় অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষিদ্ধ করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

প্যানেলের প্রতিবেদনে আরো বলা হয় ২০১৩ সাল থেকে অজ্ঞাতনামা ঐ স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন উইলসন। স্কুলের ছাত্র এবং পিতা-মাতাদের কাছে বেশ সুনামও ছিল তার। ২০১৫ সালের জুলাই মাসে শিক্ষা সফরটি হয়েছিল। শিক্ষা সফর শেষে বিমানযোগে ফেরার সময় ছাত্রের সঙ্গে যৌনকর্ম করেন উইলসন। শিক্ষিকার সাথে যৌনকর্মে লিপ্ত হওয়া ঐ ছাত্র প্যানেলকে জানায়, শিক্ষা সফর থেকে যুক্তরাজ্যে ফেরার পথে বিমানে এক সাথে মদ পান করেন তারা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

পানামাভিত্তিক আইনি সহায়তা প্রতিষ্ঠান মোসাক ফনসেকার এক কোটিরও বেশি আলোচিত নথি ২০১৫ সালে  ‘পানামা পেপারস’ নামে ফাঁস হয়েছিল। ওই ঘটনার জেরে পদত্যাগ করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ।

পানামা পেপারস কেলেঙ্কারিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজের পরিবারের দুর্নীতির বিষয়টি উঠে আসে। ফাঁস হওয়া নথিতে নওয়াজ শরীফ সহ তার চার ছেলেমেয়ের মধ্যে তিনজন মরিয়ম, হাসান ও হোসেনের নামও উঠে আসে। নওয়াজের সন্তানরা মোসাক ফনসেকার মাধ্যমে পরিচালিত বিভিন্ন অফশোর কম্পানির মালিকানার অংশীদার।

ওইসব নথিতে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, ফুটবলার মেসি থেকে শুরু করে বলিউড সুপারস্টার অমিতাভ বচ্চনসহ বিশ্বের বহু প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বের নাম উঠে আসে। ধনী আর ক্ষমতাধর ব্যক্তিরা কীভাবে, কোন কৌশলে কর ফাঁকি দিয়ে গোপন সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন, তা বেরিয়ে আসে এসব তথ্যে।

ফাঁস হওয়া ওইসব নথির সূত্রে অভিযোগ ওঠে, নওয়াজ শরীফ সন্তানদের মাধ্যমে বিদেশে প্রচুর অর্থ পাচার করছেন, গড়ে তুলছেন সম্পদের বিশাল পাহাড়। পাকিস্তানে নওয়াজ বিরোধী পক্ষ নওয়াজকে সম্পদের হিসাব দিতে আহ্বান জানান।

নওয়াজ পরিবারের এই কেলেঙ্কারি নিয়ে ফুঁসে ওঠে রাজনৈতিক দলগুলো। বিরোধী দল তেহরিক ই ইনসাফ ও পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য দলের আবেদনের ভিত্তিতে দুর্নীতির অভিযোগটি আমলে নেয় আদালত।

বিরোধীদের করা আবেদনে অভিযোগ করা হয়, লন্ডনের সম্পদের লভ্যাংশের মালিক ছিলেন মরিয়ম। ওই সম্পদে তার দুই ভাই হাসান ও হুসেইন শরিফের যৌথ মালিকানা রয়েছে। আরও অভিযোগ করা হয়, মরিয়ম বাবার ওপর নির্ভরশীল থাকায় প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের তার সম্পদের বিবরণে মেয়ের প্রপার্টি ও ফ্ল্যাটের বিষয়টি উল্লেখ করা উচিত ছিল।

যদিও নওয়াজ শরিফের ক্ষমতাসীন দল পাকিস্তান মুসলিম লীগের (পিএমএল-এন) দাবি, পাকিস্তান ও উপসাগরীয় অঞ্চলে বৈধপথে পারিবারিক ব্যবসা থেকেই এই সম্পদ অর্জিত হয়েছে।

আবার কোনো ধরনের দুর্নীতির কথা বরাবরই অস্বীকার করে আসছেন নওয়াজ শরীফ। নিজ পরিবারের ব্যবসা-বাণিজ্যের কথা উল্লেখ করে নওয়াজ বলেন, ‘পাকিস্তান প্রতিষ্ঠারও ২৫ বছর আগে আমার বাবা ব্যবসা শুরু করেছেন। স্বাধীনতাকালে এবং এর পরে তা সাফল্য অর্জন করেছে।

ঢাকায়ও নওয়াজ শরীফের বাবার শিল্প কারখানা গড়ে তোলার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ায় সেটা আর হয়নি বলেও একটি ভাষণে উল্লেখ করেছিলেন সদ্য সাবেক এই পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী।

এসব অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্ত শুরু করে আদালত।তদন্ত শুরু করে নওয়াজ এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে। দীর্ঘ তদন্ত শেষে শুক্রবার পানামা পেপারস কেলেঙ্কারির মামলায় প্রধানমন্ত্রী পদে নওয়াজ শরীফকে অযোগ্য ঘোষণা করেন পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট। এই রায়ের পরপরই তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় এসেও মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে দুর্নীতির অভিযোগে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছেন পিএমএল-এন নেতা নওয়াজ শরিফ। তবে দুর্নীতির অভিযোগে এবারই প্রথমবারের মতো তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেননি, বরং ঠিক এমনই দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে পাকিস্তানের আরেকটি বৃহত্তর রাজনৈতিক দল পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নেতা ও দুইবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী  প্রয়াত নেতা বেনজির ভুট্টোর বিরুদ্ধেও।

এমনকি তার নিজের এবং স্বামী আসিফ আলী জারদারির বিরুদ্ধে এই অভিযোগে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে বরখাস্ত হওয়া থেকে শুরু করে জেল-জরিমানার আদেশও হয়েছে তার বিরুদ্ধে। শেষ পর্যন্ত অবশ্য আত্মঘাতীর বোমার আঘাতে শেষ হয় তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার।

নওয়াজ শরীফ:
১৯৯০ সালে প্রথমবারের মতো পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন নওয়াজ শরীফ। তবে দেশ পরিচালনার তিন বছর না যেতেই দুর্নীতির অভিযোগে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হন নওয়াজ।

এরপর ১৯৯৭ সালে দ্বিতীয়বারের মতো পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদে জয়লাভ করেন নওয়াজ। তবে তখনও ক্ষমতায় আসার মাত্র দুই বছরের মাথায় ১৯৯৯ সালে সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন তিনি। তবে এবারও আগেরবারের মতো একই প্রেক্ষাপটে তাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। তখন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নওয়াজকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করেন জেনারেল পারভেজ মোশাররফ। এরপর দীর্ঘ ১৪ বছর তাকে বিদেশের মাটিতে নির্বাসনে থাকতে হয়।

নির্বাসন থেকে ২০০৭ সালে দেশে ফিরে পরের বছর অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে অংশ নিলেও ওই নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে বেনজির ভুট্টোর নেতৃত্বে সরকার গঠন করে পিপিপি।

২০১৩ সালে সাধারণ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন নওয়াজ। তবে এবারও শেষ রক্ষা হয়নি তার। পানামা পেপারস ফাঁসের জেরে দায়ের হওয়া মামলায় শেষ পর্যন্ত সুপ্রীম কোর্টের রায়ে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাকে অযোগ্য ঘোষণা করার পর মেয়াদ পূর্ণের আগে আবারও প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান তিনি।

পানামা পেপারসে ফাঁস হওয়া তথ্যে জানা যায় ক্ষমতা অপব্যবহার করে নওয়াজ ও তার পরিবারের সদস্যরা বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার করেছে। অভিযোগের তদন্ত করতে আদালতের নির্দেশে যৌথ তদন্ত দল (জেআইটি) গঠন করা হয়। জেআইটির কাছে নওয়াজ তার নিজের এবং পরিবারের সদস্যদের বিপুল পরিমাণ সম্পদের উৎস জানাতে ব্যর্থ হন। জেআইটি’র এ প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে শুক্রবার নওয়াজকে প্রধানমন্ত্রী পদে অযোগ্য ঘোষণা করে রায় দেয় আদালত।

বেনজির ভুট্টো:
১৯৭৭ সালে পাকিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিয়াউল হক কর্তৃক বেনজিরের পিতা জুলফিকার আলী ভুট্টোকে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত করে ফাঁসি কার্যকর করার পর দেশের রাজনীতিতে পা রাখেন তিনি। ১৯৭৭ থেকে ১৯৮৪ পর্যন্ত জিয়াউল সরকার তাকে বহুবার অন্তরীণ করে। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে ১৯৮৪ সালে লন্ডনে পাড়ি জমান তিনি।

১৯৮৬ সালে দেশে ফিরে সরকার বিরোধী আন্দোলনে বেনজীর ভুট্টো জনমত গঠন করেন এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে জয়ী হয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। তবে ১৯৯০ সালের ৬ আগস্ট দুর্নীতি এবং সংঘাত নিরসনে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে পাকিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ইসহাক খান বেনজির ভুট্টোকে বরখাস্ত করেন।

১৯৯৩ সালে আবারও নির্বাচনে অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীত্ব লাভ করেন তিনি। ১৯৯৬ সালের ৬ নভেম্বর তাকে পুনরায় বরখাস্ত করা হয়। তাকে বরখাস্ত করে ওই সময় পার্লামেন্ট ভেঙে দেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ফারুক লেঘারি। পরবর্তীতে ১৯৯৭ সালের নির্বাচনে অংশ নিয়ে হেরে যান তিনি।

এর দু’বছর পর ১৯৯৯ সালে সুইজারল্যান্ডের একটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ঘুষ নেয়ার অভিযোগে বেনজির ও তার স্বামী আসিফ আলী জারদারিকে পাঁচ বছরের জেল এবং ৮৬ লাখ ডলার জরিমানা করে পাকিস্তানের একটি আদালত। তবে উচ্চ আদালত পরবর্তীতে এই রায়কে পক্ষপাতদুষ্ট হিসেবে রায় দেয়।

এরপর আট বছরের স্বেচ্ছা নির্বাসন কাটিয়ে ২০০৭ এর অক্টোবরে বেনজির পাকিস্তানে প্রত্যাবর্তন করেন। ওই বছরের ২৭ ডিসেম্বর রাওয়ালপিন্ডির এক নির্বাচনী সমাবেশ শেষে সভাস্থল ত্যাগ করার পর এক আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত হন বেনজির ভুট্টো।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

এই সফর দিয়ে রীতিমতো ঝগড়া শুরু করে দেন কুমার সাঙ্গাকারা ও অর্জুনা রানাতুঙ্গা। কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান কুমার সাঙ্গাকারা শ্রীলঙ্কার পাকিস্তান সফরের বিরোধিতা করেন। আর রানাতুঙ্গা খুব করে চাইছিলেন সফরটা যেন হয়। পাকিস্তানে যাওয়ার আগে ২০০৯ সালের পাকিস্তান সফরে তদন্ত চেয়েছিলেন সাঙ্গাকারা। দেশটির ইতিহাসের সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যানের এমন চাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ২০১১ সালে বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রানাতুঙ্গা।

তবে দুজনের ঝগড়াটা থামিয়ে দিল দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। পিসিবির দেওয়া আগামী অক্টোবরে লাহোরে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্ট সিরিজ খেলার প্রস্তাব প্রত্যাখান করেছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড। সম্প্রতি লাহোরে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ হওয়ার কারণেই সিরিজ খেলার চিন্তাভাবনা থেকে সরে এলো শ্রীলঙ্কা। দেশটির সংবাদমাধ্যমকে এমটি জানিয়েছে পিসিবি সভাপতি শাহরিয়ার খান।

শাহরিয়ার খান বলেন, ‘আইসিসি সভায় শ্রীলঙ্কা দলকে সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম আমি। তাঁরা সফরের বিষয়ে সম্মতিও দিয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত সফরটা হচ্ছে না। সন্ত্রাসী হামলার অজুহাত দেখিয়েছে তারা। তবে তাদের এমন আচরণে আমি কিছুটা বিস্মিত। বিশ্বের সবখানেই সন্ত্রাসী হামলা হচ্ছে। নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে কেবল পাকিস্তানকে ফিরিয়ে দেওয়াটা অন্যায়।’

২০০৯ সালে লাহোরে এই শ্রীলঙ্কা দলের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর থেকেই পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বন্ধ রয়েছে। মাঝখানে জিম্বাবুয়ে পাকিস্তান সফর করলেও বড় দেশগুলো এখনো শঙ্কায় রয়েছে। তবে অক্টোবরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest