সর্বশেষ সংবাদ-
দেবহাটা সদর ইউনিয়নকে শিশু শ্রম মুক্ত ঘোষনাসাতক্ষীরায় পাখিমারা টিআরএমের বকেয়া ৪৮ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবিতে স্মারকলিপিকালিগঞ্জের সাবেক সমাজসেবা অফিসার শহিদুরের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধীর নামে বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাতের অভিযোগসাতক্ষীরায় চ্যাম্পিয়নশীপ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন: ভোলা জেলাকে ৪-১ গোলে হারাল সাতক্ষীরাদেবহাটার নোড়ারচকে নাটক সাজিয়ে অস্ত্র মামলায় বৃদ্ধাকে গ্রেফতার করানোর অভিযোগসাতক্ষীরায় সংলাপ বক্তারা: আগামী নির্বাচনে সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিশ্রæতি চায়হাসানের পরিবারের দাপট অব্যাহত: পাটকেলঘাটায় মানববন্ধনে প্রকাশ্য হামলাচতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী স্মৃতিতে অম্লান চিকিৎসক ডা. আনিছুরসাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবারের অনুকুলে ২৬ লাখ টাকার চেক বিতরণশ্যামনগরে কাজী আলাউদ্দীনের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প

পুলিশের অনাগ্রহ সত্ত্বেও ২৫০ বিদেশিকে নিয়ে সামাজিক ব্যবসা দিবসের সপ্তমবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আন্তর্জাতিক সম্মেলন করেছে ইউনূস সেন্টার।

শুক্রবার রাজধানীর লা মেরিডিয়ানে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্মেলনে ৫০টি দেশের ২৫০ জনেরও বেশি বিদেশি অতিথি যোগ দেন। ইউনূস সেন্টারের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ইউনূস সেন্টারের আয়োজনে এই আন্তর্জাতিক সম্মেলন রাজধানীর সাভারের জিরাবোতে নবনির্মিত সামাজিক কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তার অনুমতি দেয়নি পুলিশ।

এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে পুলিশ সদর দফতরে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক সাংবাদিকদের জানান, নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশকে সম্মেলন সম্পর্কে মাত্র তিনদিন আগে অবগত করা হয়। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আগাম কিছু জানত না। ফলে নিরাপত্তার স্বার্থে সম্মেলনের অনুমতি দেয়া হয়নি।

এদিকে শুক্রবার অলিম্পিক ডে উপলক্ষ্যে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এ বিষয়ে বলেন, ইউনূস সেন্টার আমাদের কাছে অনুমতি চাননি। ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারের কাছে অনুমতি চেয়েছিল। ঢাকার পুলিশ সুপার নিরাপত্তার জন্য আরও সময় চেয়েছে। কিন্তু আমরা মানাও করিনি, বন্ধও করিনি, বাধাও দেইনি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রথমত তারা (ইউনূস সেন্টার) আমাদের কাছে অনুমতি চাননি। দ্বিতীয়ত, ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারের কাছে অনুমতি চেয়েছিল সাভারের কোনো এক জায়গায় তাদের সেই সম্মেলন করতে। কিন্তু এমন সময়ে বলেছিলেন, যখন আমাদেরও কিছু করার ছিল না।

তিনি বলেন, নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশ তাদের অনুরোধ করেছিল তারিখ পরিবর্তন করতে। যাতে পুলিশ প্রস্তুতি নিতে পারে। কিন্তু শুনলাম, তারা এখন সাভারে না করে রাজধানীর লা মেরিডিয়ানে করছে। আমাদের তাতে কোনো আপত্তি নেই। আমরা শুধু চেয়েছিলাম এটা যেন সুন্দর ও সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়।

‘সরকার এটা বন্ধ করে দিয়েছে’ -এমন অভিযোগের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, আমাদের (ঢাকা) এখানে অনুষ্ঠানটি করলে আইজিপির কাছে অনুমতি চাইত। তারা ঢাকা জেলা পুলিশের কাছে কাছাকাছি সময়ে প্রথম অনুমতি চেয়েছিল। যখন কিছু করার ছিল না। এছাড়া কারা আসবে, কারা থাকবে, তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি তো আমাদের দেখার বিষয় আছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা বাংলাদেশে আর কোনো হলি আর্টিসানের মতো ঘটনা সংঘঠিত হতে দেব না। সেজন্য আমরা সবকিছু যাচাই-বাছাই করে দেখছি। বাংলাদেশে আরও অনেক বড় আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠান হয়েছে। আমাদের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আমরা নিরাপত্তা দিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, কিন্তু তারা (ইউনূস সেন্টার) এত বড় একটা অনুষ্ঠান করবে নিরাপত্তার বিষয়টি অবশ্যই দেখার আছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ডেস্ক রিপোর্ট : ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার কাজীর রাস্তা এলাকায় বাস ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে বাবা-মেয়েসহ ছয়জন নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত পরিবারটির বাড়ি সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায়। মর্মান্তিক এ ঘটনার খবরে শ্যাগনগরের মানুষ শোকে স্তব্ধ হয়ে গেছে।

নিহতরা হলেন শ্যামনগর কৈখালী ইউনিয়নের কাঠামরী গ্রামের মোঃ আঃ করিম গাজী (৭০) ও তার প্রবাসী মেঝ কন্যা মছাঃ খাইরুন বিবি(৩০) এসরাফিলের ছেলে মোঃ নাজমুল হোসেন (২২) ও তার স্ত্রী (১৮), মাইক্রোবাসের চালক আনিসুর রহমান (২৫) ও তাঁর ভাগনে জাহিদ হাসান (১৮)। আহতরা হলেন মোঃ খাইরুল( ১৫), সাইফুিদ্দন( ১২) আহতদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, বেনাপোল থেকে শ্যামলী পরিবহনের ঢাকাগামী বাসটি ঢাকা থেকে সাতক্ষীরাগামী একটি মাইক্রোবাসকে সামনে থেকে ধাক্কা দেয়। এতে মাইক্রোবাসটি দুমড়েমুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই খাইরুন বিবি নিহত হন। তাঁর বাড়ি সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার পরাণপুরে।

দুর্ঘটনায় আহত খাইরুন বিবির ছেলে আবুল খায়ের জানান, তাঁর মা ওমানপ্রবাসী। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি ঢাকায় আসেন। মাকে নিয়ে মাইক্রোবাসে ঢাকা থেকে ফেরার পথে দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় তাঁর আরেক ভাই সাইফুদ্দিনও আহত হন। তাঁরা দুই ভাই ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

করিমপুর হাইওয়ের উপপরিদর্শক (এসআই) নওশের আলী জানান, শ্যামলী পরিবহনের বাসটি ভুল দিক থেকে এসে এই দুর্ঘটনা ঘটায়।

ফায়ার সার্ভিস মাইক্রোবাস থেকে যাত্রীদের উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।

ফরিদপুর দমকল বাহিনীর স্টেশন ম্যানেজার মো. সাইফুজ্জামান জানান, ঘটনাস্থলে খায়রুন বিবি, আসিফা বেগমসহ তিনজন মারা যান। বাকি তিনজন ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। লাশ ফরিদপুর মেডিকেলের মর্গে আছে।

দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি আটক করা হয়েছে। চালক পলাতক রয়েছেন।

 

 

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

গত এক দশকে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা অর্ধেকে নেমেছে। এ সংখ্যা বাড়ানোয় নানা উদ্যোগ নেওয়ার কথা বিভিন্ন সময় সরকারি-বেসরকারিভাবে বলা হলেও বনের মধ্যে নৌ চলাচল ও শিকারিদের অত্যাচারে বাঘের সংখ্যা বাড়েনি। প্রাণিবিদরা বলছেন, বাঘের আবাস, খাবার ও চলাচলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারলে তাদের সংখ্যা বাড়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।

সর্বশেষ শুমারি বলছে, সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে বাঘের সংখ্যা এখন সর্বসাকল্যে ১০৬টি। আর বাংলাদেশ ও ভারত মিলিয়ে পুরো সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ১৭০টি। বাঘের সংখ্যা কম কেন- এমন প্রশ্নে ২০১৫ সালের বাঘ দিবসে পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেছিলেন, বাঘ ভারতে বেড়াতে গেছে। সেই বাঘ ফিরলো কিনা তার জবাব নেই কারোর কাছেই। যদিও মন্ত্রী বললেন, বাঘ বেড়েছে। এর মানে বেড়াতে যাওয়া বাঘ ফিরেছে কিনা- এমন প্রশ্নে তিনি শুধু বলেন, বেড়েছে। আর প্রাণিবিজ্ঞানীরা বলছেন, সর্বশেষ শুমারির দশ বছর পর আবারও শুমারি হলেই কেবল বলা সম্ভব বাঘ কমলো না বাড়লো।

বাঘের আবাস

বাংলাদেশ ও ভারতের প্রায় ১০ হাজার বর্গকিলোমিটার আয়তনের সুন্দরবন হচ্ছে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের আবাসস্থল। সুন্দরবনের ৬২ শতাংশ বনাঞ্চল বাংলাদেশের মধ্যে পড়েছে। এ বনের জল-স্থলে বাঘের জন্য রয়েছে প্রচুর বৈচিত্রপূর্ণ খাদ্য- হরিণ, বানর, কাঠবিড়ালি, গিরগিটি, শুশুক, ভোঁদড়, কুমির ইত্যাদি।

বনবিভাগের কর্মকর্তারা জরিপের তথ্য উল্লেখ করে বলছেন, সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশের ৬ হাজার বর্গকিলোমিটারের মধ্যে ৪ হাজার ৮৩২ বর্গকিলোমিটার এলাকায় বাঘ বিচরণ করে। এদের বিচরণের প্রধান ক্ষেত্র বাগেরহাটের কটকা, কচিখালী ও সুপতিসহ খুলনার নীলকমল, পাটকোষ্টা ও গেওয়াখালী এবং সাতক্ষীরার মুন্সিগঞ্জ, দোবেকি ও কৈখালী এলাকা।

বাঘের সংখ্যা এখন কত

‘স্ট্যাটাস অব টাইগারস ইন দ্যা সুন্দরবন ল্যান্ডস্কেচ’ শীর্ষক বাঘ জরিপের প্রতিবেদনে সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশের ৩টি ও ভারত অংশের ৫টি অঞ্চলের মোট ছয় হাজার ৭২৪ বর্গকিলোমিটার এলাকার চিত্র উঠে এসেছে। এই শুমারি অনুযায়ী সুন্দরবনে এখন বাঘের সংখ্যা মাত্র ১৮২টি। এরমধ্যে বাংলাদেশ অংশে ১০৬ ও ভারত অংশে ৭৬টি রয়েল বেঙ্গল টাইগার রয়েছে।

বাঘের সঠিক সংখ্যা নিরূপণ প্রায় অসম্ভব। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ফিরোজ জামান বলেন, কয়েক স্তরের জরিপ ছাড়া কেবল একটা দু’টা পদ্ধতি ব্যবহার করে কী সংখ্যক বাঘ রয়েছে- তা নিরূপণ সম্ভব নয়। ফলে একেকবার একেকরকম তথ্য পাওয়া গেছে। ২০১৩ সালের যে জরিপ যার ভিত্তিতে ২০১৫ সালের প্রতিবেদন, সেটির আগে ২০০৪ সালে বন বিভাগ জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) সহায়তায় বাঘের পায়ের ছাপ গুনে জরিপ করেছিল। এতে বাঘের সংখ্যা এসেছিল ৪৪০টি। পরবর্তী সময়ে ২০১৫ সালে নতুন জরিপের প্রতিবেদন বলা হয়েছে, আগের ওই জরিপটি যথেষ্ট বিজ্ঞানসম্মত ও আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে করা হয়নি। ফলে আগের ওই বাঘের সংখ্যা সঠিক নয়। যদিও ২০০৬ সালে জুওলজিক্যাল সোসাইটির সহায়তায় আরেকটি বাঘ গণনা হয়, যেখানে বাঘের সংখ্যা ছিল ২০০টি।

বন সংরক্ষক জাহিদুল কবির বলেন, ‘২০১৩ সালের নভেম্বরে যে সার্ভেটি হয়েছিল, সেটি ২০১৫ সালে প্রকাশ করা হয়। এরপর থেকে নিয়মিত মনিটরিং করা, ক্যামেরা দিয়ে দেখা হয় কিন্তু ফল যদি অফিসিয়ালি বলতে হয় ২০১৫ সালেরটিই বলতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দিক থেকে যদি বাঘের টিকে থাকার পরিবেশ নিশ্চিত করতে সবধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয় তবে সংখ্যা বাড়ার বিষয়টি পরবর্তী শুমারির পর জানা যাবে।’

বাঘ কি ফিরলো

২০১৫ সালের বাঘ দিবসের অনুষ্ঠানে বাঘের সংখ্যা কেন কম সেটি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেছিলেন, ‘বাঘের সংখ্যা কম কারণ তারা ভারত বেড়াতে গেছে। ফিরে আসলে সংখ্যা ঠিক হবে।’ সেই বাঘগুলো দুই বছরেও ফিরেছে কিনা- এমন প্রশ্নে তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বাঘের সংখ্যা বাড়ছে।’ কিসের ভিত্তিতে কত সংখ্যক বাড়লো বলে তিনি মনে করছেন জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি কেবল বলব বাঘের সংখ্যা বাড়ছে, কতটা বেড়েছে সেসব বলবেন প্রধান বনরক্ষক।’ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোস্তফা ফিরোজ বলেন, ‘বাঘ বাড়াতে চাই বললেই হবে না। বাঘের আবাসস্থল, খাদ্য, চলাচলসহ অনেকগুলো বিষয় নিশ্চিত করতে পারলেই এমন দাবি করতে পারব আমরা। যা আসলে গত তিন বছরে করে ফেলা সম্ভব হয়েছে বলে আমি মনে করি না।’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ফিরোজ জামান বলেন, ‘বাঘের লোকালয়ে আসার প্রবণতা বেড়ে গেলেই বাঘ বেড়েছে বলা যাবে না। যারা দাবি করছেন বাঘ বেড়েছে তারা ভুল করছেন এ কারণে যে, সায়েন্টিফিক শুমারি ছাড়া এবং যথার্থ প্রটেকশন না দিয়ে বাঘ বেড়েছে মুখে বলে দেওয়া যায় না।’ তিনি আরও বলেন, ‘পূর্ববর্তী শুমারির দশ বছর পার হওয়ার আগে শুমারি করেও লাভ নেই। কেননা, লার্জ এনিমেলের ক্ষেত্রে শাবক সংখ্যা অনেক কম।’

বাঘের সংখ্যা বাড়েনি কেন

২০০৯ সালে সরকার একটি ‘টাইগার অ্যাকশন প্ল্যান’ তৈরি করে। ২০১০ সালে রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত বাঘ সম্মেলনে ২০২২ সালের মধ্যে বিশ্বে বাঘের সংখ্যা দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। যেখানে বাংলাদেশও স্বাক্ষর করেছে। এতে বলা হয়েছিল, বিশ্বের ১৩টি বাঘসমৃদ্ধ দেশ প্রতি দুই বছর পর পর বাঘ গণনা করবে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোস্তফা ফিরোজ বলেন, ‘আমাদের দেশে বাঘের শুমারিতে যে সংখ্যা আসে, ততটা খারাপ হয়তো সংখ্যা না। কিন্তু এটি টিকিয়ে রাখার জন্যও যে পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে সেটি করা সম্ভব হয়নি বলেই বাঘের সংখ্যা বাড়েনি। বাঘের জন্য নিশ্চিন্ত একটি বনভূমি থাকার পরও সেটি সুরক্ষা করতে আমরা ব্যর্থ হয়েছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘২০১১ সালে রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত বাঘ সম্মেলনে বাংলাদেশ যা অঙ্গীকার করেছিল তা যদি বাস্তবায়িত হতো, তাহলে আজকে বাঘের সংখ্যা বাড়তির দিকে থাকতো। এমনকি যে বনের ভেতর দিয়ে নৌযান চলাচলের কথা ছিল না, সেই বন দু’ভাগ হয়ে গেছে।’ এসব দিক বিবেচনায় রাখলে আগামীতে ভালো হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক তার ওয়ানডে ক্রিকেট দিয়ে। গত মে মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৫০ ওভারের ক্রিকেট দিয়ে অভিষেক হয় টোবি রোল্যান্ড-জোন্সের। সেই প্রোটিয়াদের বিপক্ষেই সুযোগ হয়ে যায় তার টেস্টে। পাঁচদিনের ক্রিকেট এর চেয়ে ভালো শুরু হয়তো নিজেও প্রত্যাশা করেননি এই পেসার। বল হাতে দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যানদের ঘায়েল করে জোন্স রাঙিয়ে নিয়েছেন তার টেস্ট অভিষেক। তার সঙ্গে জেমস অ্যান্ডারসন ও স্টুয়ার্ট ব্রডের বোলিং তোপে বিধ্বস্ত সফরকারীরা। ওভাল টেস্টের প্রথম ইনিংসে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা ৮ উইকেটে ১২৬ রানে।

দ্বিতীয় দিনে বল হাতে নায়ক যদি হন ৪ উইকেট নেওয়া জোন্স, তাহলে ব্যাট হাতে ইংলিশদের নায়ক বেন স্টোকস। এই অলরাউন্ডারের দুর্দান্ত সেঞ্চুরির ওপর ভর দিয়েই স্বাগতিকরা তাদের প্রথম ইনিংস শেষ করতে পারে ৩৫৩ রানে। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে তিনি খেলেন ১১২ রানের ঝলমলে ইনিংস। স্টোকসের ব্যাটে পাওয়া ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে বল হাতে শুরু থেকেই আগুন ঝরিয়েছেন জোন্স।

দক্ষিণ আফ্রিকার হারানো প্রথম ৪ উইকেটই রোল্যান্ড-জোন্সের। সফরকারীদের টপ অর্ডার এককথায় গুঁড়িয়ে দিয়েছেন এই পেসার। তার উইকেট উৎসবের শুরুটা ডিন এলগারকে দিয়ে। ৮ রান করা এই ওপেনার ধরা পড়েন উইকেটরক্ষক জনি বেয়ারস্টোর গ্ল্যাভসে। সেই শুরু, এরপর অভিষিক্ত এই পেসার একে একে তুলে নেন হেইনো কুন (১৫), হামিশ আমলা (৬) ও কুইন্টন ডি ককের (১৭) উইকেট তিনটি। জোন্সের দাপটে ৪৭ রানে দক্ষিণ আফ্রিকা হারায় ৪ উইকেট।

জোন্সের দাপট থামলেও প্রোটিয়াদের উইকেট হারানোর মিছিল থামেনি! এরপর তাণ্ডব শুরু করেন অ্যান্ডারসন। দলের বিপর্যয়ের মুখে অধিনায়ক হিসেবে কিছুই করতে পারেননি ফাফ দু প্লেসিস। তিনিও ব্যর্থ হয়ে ফেরেন প্যাভিলিয়নে। যাওয়ার আগে নামের পাশে যোগ করেন মাত্র ১ রান। খানিক পর আবার আঘাত অ্যান্ডারসনের, এবার ফেরান ক্রিস মরিসকে (২)।

ব্যাট হাতে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি পাওয়া স্টোকসও উইকেট উৎসবে নাম তোলেন। এই অলরাউন্ডার ৫ রান করা কেশব মহারাজকে প্যাভিলিয়নে ফেরালে ১০০ রানের নিচে অলআউট হওয়ার শঙ্কার মেঘ জমে দক্ষিণ আফ্রিকার আকাশে। তবে সেই লজ্জার মুখে পড়তে দেননি তেম্বা বাভুমা ও কাগিসো রাবাদা। ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার মাঝে সাবলীল ব্যাটিংয়ে রাবাদা খেলেন ৩০ রানের ইনিংস। সবচেয়ে বড় কথা বিপদের সময় দারুণভাবে সঙ্গ দিয়েছেন তিনি বাভুমাকে। ব্রডের বলে অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনি প্যাভিলিয়নে ফিরলেও বাভুমা অপরাজিত আছেন ৩৪ রানে। ক্রিকইনফো

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

শুটিংয়ের ফাঁকে মরক্কোয় দারুণ সময় কাটাচ্ছেন ক্যাটরিনা কাইফ ও সালমান খান। ভক্তদের উদ্দেশ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেসব ছবি শেয়ারও করছেন ক্যাটরিনা।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে জানা যায়, সম্প্রতি মরক্কোর এক রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়েছিল ‘টাইগার জিন্দা হ্যায়’ চলচ্চিত্রের গোটা টিম। সেখানেই দুটি সেলফি তুলে শেয়ার দিয়েছেন ক্যাটরিনা।

একটি সেলফি সালমানকে না জানিয়ে তুলেছেন ক্যাটরিনা। যেখানে চামচ মুখে করে কারো দিকে তাকিয়ে রয়েছেন সালমান। মরক্কোতে যাঁর হাতের খাবার খেয়েছেন, তাঁর সঙ্গেও ছবি তুলতে ভুল করেননি ক্যাটরিনা। সে ছবিতে ক্যাটরিনাকে পরিষ্কার দেখা গেলেও সালমানকে দেখা গেছে অস্পষ্টভাবে।

এর আগে ক্যাটরিনার শেয়ার করা অন্য একটি ছবি ভাইরাল হয়ে যায় ইন্টারনেট দুনিয়ায়। সেখানে সালমানকে নিজের হাত মুখ ঢেকে রাখতে দেখা যায়। অন্যদিকে ক্যাটরিনাকে দেখা যায় হাসিমুখে। তাঁর একটি হাত তাক করা ছিল সালমানের দিকে। তিনটি ছবিতেই সালমানের পরনে ছিল বাদামি রঙের জ্যাকেট, গলায় ‘এক থা টাইগারে’র চিরচেনা স্কার্ফ। অন্যদিকে তিনটি ছবিতেই কালো রঙের পোশাকে ছিলেন ক্যাটরিনা।

এদিকে, শুটিংয়ের অজুহাতে সালমান ক্যাটরিনার কাছে আসাটাকে মেনে নিতে পারছেন না সালমানের বান্ধবী ইউলিয়া ভান্টুর। জুম টিভির খবরে জানা যায়, শুটিং দেখার পাশাপাশি সালমানের সঙ্গে মধুর সময় কাটাতে মরক্কো গিয়েছিলেন ইউলিয়া। কিন্তু সেখানে সালমানের সঙ্গে ক্যাটরিনার সুসম্পর্ক সহ্য করতে পারেননি ইউলিয়া। তাই সালমানকে মরক্কোতে রেখেই মুম্বাইয়ে ফিরেছেন ইউলিয়া ভান্টুর।

মরক্কোতে শুটিং শেষ করে ‘টাইগার জিন্দা হ্যায়’ চলচ্চিত্রের গোটা টিম যাবে দুবাইতে। সেখানেই হবে ছবির বাকি অংশের শুটিং। তবে মরক্কো থেকে দুবাই না গিয়ে মুম্বাই ফিরবেন সালমান। না, ইউলিয়া ভান্টুরের মান ভাঙাতে নয়। বিগ বসের ১১তম মৌসুমের প্রোমোর কাজ করে দুবাইতে শুটিং টিমের সঙ্গে যোগ দেবেন সালমান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ক্রিকেটের বরপুত্র। বাইশ গজে তুলেছেন ঝড়, সবুজ মাঠে তুলেছেন সুর, গড়েছেন একের পর এক রেকর্ড। বলা হচ্ছে স্যার গারফিল্ড সেন্ট আব্রাম সোবার্স বা গ্যারি সোবার্সের কথা। যিনি ক্রিকেট আকাশের শত তারার মধ্যে একটি সূর্য, ‘সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডার’।

১৯৫৪ সালে কিংস্টনে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেকের পর জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন ৯৩টি টেস্ট। ৫৭.৭৮ গড়ে করেছেন ৮,০৩২ রান। ২৬টি শতক আর ৫০টি অর্ধশতকে সাজানো ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ রান অপরাজিত ৩৬৫! বল হাতে ৩৪.০৩ গড়ে নিয়েছেন ২৩৫ উইকেট। বোলিংয়ে সোবার্সের বিশেষত্ব ছিল অন্য জায়গায়। স্বল্প রান আপে তুলতে পারতেন গতির ঝড়, লেগ স্পিন ঘূর্ণিতে ভড়কে দিতেন প্রতিপক্ষ ব্যাটম্যানকে। কখনো কখনো একই ওভারে দুই রকমের বলই করতে দেখা যেত তাঁকে। ক্যারিয়ারে একটি মাত্র ওয়ানডে খেলেছেন সোবার্স। কোনো রান করতে না পারলেও একটি উইকেট নিয়েছিলেন সে ম্যাচে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৩৩৮ ম্যাচে ৫৪.৮৭ গড়ে করেছেন ২৮৩১৪ রান। ৮৬টি সেঞ্চুরি এবং ১২১টি হাফ সেঞ্চুরি। ২৭.৭৪ গড়ে নিয়েছেন ১০৪৩টি উইকেট। ৯৫টি লিস্ট ‘এ’ ম্যাচে করেছেন ২৭২১ রান, নিয়েছেন ১০৯টি উইকেট।

রেকর্ডের বরপুত্র গ্যারি সোবার্স। টেস্টে তাঁর অপরাজিত ৩৬৫ রানের রেকর্ডটা ৩৬ বছর ধরে টিকে ছিল। ১৯৩৪ সালে ইংলিশ ব্যাটম্যান স্যার লেন হাটনের ৩৬৪ রানের রেকর্ড ভেঙে এ কীর্তি গড়েন সোবার্স। সেটা ১৯৫৮ সালের কথা। এরপর ৩৬ বছর পর, ১৯৯৪ সালে রেকর্ডটি ভেঙে দেন সোবার্সেরই স্বদেশি কিংবদন্তি ব্রায়ান লারা। ৩৭৫ রান করে লারা টপকে যান পূর্বসূরিকে। ২০০৪ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অপরাজিত ৪০০ রান করে লারা এখনো এই পর্বতের চূড়ায় রয়েছেন।

সবচেয়ে কম বয়সে ট্রিপল সেঞ্চুরিয়ানও তিনি। পাকিস্তানের বিপক্ষে সোবার্স যখন ৩৬৫ রান করেন, তখন তাঁর বয়স মাত্র ২১ বছর ২১৩ দিন। এর আগে ১৯৩০ সালে অসি কিংবদন্তি স্যার ডন ব্রাডম্যান ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৩৪ রান করেছিলেন ২১ বছর ৩১৮ দিন বয়সে।

টেস্টে আট হাজার রান করা প্রথম ব্যাটসম্যান সোবার্স। ১৯৭৪ সালে ১৫৭ ইনিংসে দাঁড় করানো আট হাজার রানের মাইলফলক দীর্ঘ ২৮ বছর ছিল দ্রুততম আট হাজার রানের রেকর্ড। যা ২০০২ সালে ভেঙে দেন শচীন টেন্ডুলকার (১৫৪ ইনিংস)। বর্তমানে এ রেকর্ডটি কুমার সাঙ্গাকারার (১৫২ ইনিংস) দখলে। তবে একটা জায়গায় সোবার্সকে পেছনে ফেলতে পারেননি কেউই। আট হাজারের অধিক রান করা ব্যাটম্যানদের মধ্যে তাঁর ৫৭.৭৮ গড়ই সবার ওপরে। শুধু ব্যাট-বলেই নয়, মাঠের যে কোনো পজিশনে অসাধারণ ফিল্ডারও ছিলেন সোবার্স। তাই অনেকেই তাঁকে বলতেন, পরিপূর্ণ প্যাকেজ, অনেকেই এক বাক্যে মেনে নেন ‘তিনিই সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডার’।

১৯৬৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়কের দায়িত্ব পান সোবার্স। অধিনায়ক হিসেবে সোবার্সের পারফরম্যান্সও চোখে পড়ার মতো। অধিনায়ক হিসেবে তিন হাজারের অধিক রান করা ব্যাটসম্যানদের মধ্যে কেবল ব্রাডম্যান (১০১.৫১) এবং মাহেলা জয়াবর্ধনে (৫৯.১১) আছেন সোবার্সের (৫৮.৮০) ওপরে। অধিনায়ক হিসেবে সর্বোচ্চ ১০৮০৬০টি বল করেছেন সোবার্স।

প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এক ওভারে ছয়টি ছক্কা হাঁকানো প্রথম ব্যাটসম্যানও তিনি। নটিংহ্যাম্পশায়ারের অধিনায়ক হিসেবে গ্ল্যামারগানের বিপক্ষে এ কীর্তি গড়েন সোবার্স। সেদিনের দুর্ভাগা বোলারটি ছিলেন ওয়েলসের ম্যালকম নাশ। ১৯৮৪-৮৫ সালে ভারতের রবি শাস্ত্রী সোবার্সের এ রেকর্ডে ভাগ বসান। আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে এ কীর্তি আছে দক্ষিণ আফ্রিকার হার্শেল গিবস এবং টি-টোয়েন্টিতে ভারতের যুবরাজ সিংয়ের।

১৯৭৪ সালে ক্রিকেটকে বিদায় বলেন এ কিংবদন্তি, শেষ হয় ক্রিকেটে সোবার্সীয় যুগ। ২০ বছরের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের অসংখ্য পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন সোবার্স। একাধিকবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেরা ক্রীড়াবিদ নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৬৪ সালে উইজডেনের ‘ক্রিকেটার অব দ্য ইয়ার’ নির্বাচিত হন। ক্রিকেটে বিশেষ অবদানের জন্য ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ তাঁকে ‘নাইট’ উপাধিতে ভূষিত করেন। ১৯৯৮ সালে বার্বাডোসের সংসদের জাতীয় বীরের মর্যাদা লাভ করেন। ২০০০ সালে ‘উইজডেন ক্রিকেট অব দ্য সেঞ্চুরি’র সেরা পাঁচ ক্রিকেটারের একজন ছিলেন সোবার্স। ১০০ জন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞের মধ্যে সর্বোচ্চ ৯০টি ভোট পান তিনি। তাঁর সঙ্গে বাকি চারজন হলেন ব্রাডম্যান, জ্যাক হবস, শেন ওয়ার্ন ও ভিভ রিচার্ডস।

১৯৮০ সালে বৈবাহিকসূত্রে বার্বাডিয়ান-অস্ট্রেলীয় দ্বৈত নাগরিক সোবার্স ১৯৬৭ সালে ‘বোনাভেঞ্চার অ্যান্ড দ্য ফ্ল্যাশিং ব্লেড’ শীর্ষক উপন্যাস এবং একই বছরে জেএস বার্কারের সঙ্গে যৌথভাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেট ইতিহাস নামের বই প্রকাশ করেন। ১৯৩৬ সালে বার্বাডোজে জন্ম নেওয়া এ কিংবদন্তির গতকাল ছিল ৮১তম জন্মদিন। শুভ জন্মদিন ‘নাইট’।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

সিয়াম আহমেদ ও সাফা কবির প্রথমবারের মতো একসঙ্গে জুটি বেঁধেছেন। তবে সেটা নাটক কিংবা চলচ্চিত্রে নয়। একটি মিউজিক্যাল ফিল্মের মডেল হয়েছেন তাঁরা দুজন।

মিউজিক্যাল ফিল্মটি নির্মাণ করেছেন শাহরিয়ার পলক। গানের শিরোনাম ‘মিথ্যে গল্প’। সেতু চৌধুরীর কথায় ও সুরে গানটি গেয়েছেন সংগীতশিল্পী নাহিদ মেহেদী।

বৃহস্পতিবার সিএমভির ইউটিউব চ্যানেলে মিউজিক ভিডিওটি প্রকাশ হয়েছে। মুক্তির একদিনের মধ্যে ভিডিওটি ৯৮ হাজারের বেশিবার দেখা হয়েছে। এ জন্য বেশ খুশি ও ফুরফুরে মেজাজে আছেন সিয়াম আহমেদ ও সাফা কবির।

নিজের প্রথম মিউজিক ভিডিও নিয়ে সাফা বলেন, ‘আমি ও সিয়াম প্রথমবারের মতো মিউজিক্যাল ফিল্মে কাজ করেছি। ভিডিওটি প্রকাশের পর থেকে দর্শকের ভালো মন্তব্য শুনতে পাচ্ছি। সত্যি বলতে অনেক ভাবনা-চিন্তার পর এই ভিডিওর মডেল হয়েছি আমি। এখন আমি অনেক উচ্ছ্বসিত। কারণ দর্শক ভিডিওটি ভালোভাবে গ্রহণ করছেন।’

সিয়াম আহমেদ বলেন, ‘মিউজিক্যাল ফিল্মে কাজ করা অনেক চ্যালেঞ্জিং। কারণ খুব অল্প সময় দর্শক-শ্রোতাদের প্রত্যাশা পূরণ করা অনেক কঠিন কাজ মনে হয়। এর আগেও মিউজিক ভিডিও ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে কাজ করলেও সাফার সঙ্গে এটাই ছিল আমার প্রথম কাজ। সাফার সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতাও চমৎকার হয়েছে। অনেক মজা করে আমরা শুটিং করেছিলাম। এখন ভালো ফলাফলও পাচ্ছি।’

অন্যদিকে, গানের শিল্পী নাহিদ মেহেদী বলেন, “হারালো অজানায়’ নামে একটি গানে আমি প্রথম কণ্ঠ দিয়েছিলাম। প্রথম গানটি গেয়ে কাছের সবার ভালোবাসা পেয়েছি। সবার উৎসাহে ‘মিথ্যে গল্প’ গানটিতে কণ্ঠ দিলাম। এখন তো গানটির দারুণ সাড়া পাচ্ছি। আমার বিশ্বাস, এই গানের আবেদন দীর্ঘদিন থাকবে।”

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

কিছুদিন আগেই ফোর্বস ম্যাগাজিনের তালিকায় প্রকাশিত হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি আয়ের ৫ সুন্দরী অভিনেত্রীর নাম। এবারের অ্যালবাম সাজানো হয়েছে তাদের ছবি নিয়ে।

জেনিফার লরেন্স : ২৬ বছরের যুক্তরাষ্ট্রের এই অভিনেত্রী গত বছর আয় করেছেন ৪৫ মিলিয়ন ডলার। সবচেয়ে বেশি আয় করা অভিনেত্রীদের তালিকায় তার নামটাই সবার ওপরে।

মেলিসা ম্যাককার্থি : অভিনয়ের পাশাপাশি লেখালেখি, ফ্যাশন ডিজাইনিং এবং ছবি প্রযোজনাও করেন মেলিসা ম্যাককার্থি। সে কারণে আয়টাও অনেক বেশি। ২০১৫ সালে নাকি কমপক্ষে ৩৩ মিলিয়ন ডলার জমা হয়েছে তার অ্যাকাউন্টে।

স্কারলেট জোহানসন : ২০১৫ সালে জেনিফার অ্যানিস্টনের চেয়ে চার মিলিয়ন ডলার বেশি আয় করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের আরেক অভিনেত্রী, মডেল এবং গায়িকা স্কারলেট জোহানসন। ২৫ মিলিয়ন ডলার আয় করেই তৃতীয় হয়েছেন তিনি।

জেনিফার অ্যানিস্টন : যুক্তরাষ্ট্রের এই অভিনেত্রী গত বছর আয় করেছেন ২১ মিলিয়ন ডলার। ৪৭ বছর বয়সী জেনিফার অবশ্য শুধু অভিনেত্রী নন, প্রযোজনা এবং ব্যবসা থেকেও আয় আসে তার।

ফ্যান বিংবিং : অনেকে হয়ত নামটি দেখে অবাক হচ্ছেন। হ্যাঁ, ফোর্বসের তালিকায় চীনের এই অভিনেত্রী ও গায়িকার নামই এসেছে পঞ্চম স্থানে। গত বছর ১৭ মিলিয়ন ডলার আয় করেছেন বিংবিং।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest