সর্বশেষ সংবাদ-
জেলা ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি গঠনচোরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ কাটিয়া রেজিস্ট্রি অফিসপাড়ার বাসিন্দারা : মিথ্যা মামলার অভিযোগসাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের পিতার মৃত্যুতে শােকসাতক্ষীরায় পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা: আসামী ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগশ্যামনগরে কোস্টগার্ডের অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দআশাশুনিতে জলবায়ু-স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক যুব নেতৃত্বাধীন প্রচারনাসাতক্ষীরা জেলা স্কাউট ভবন এর উর্ধ্বমুখি সম্প্রসারণ কার্যক্রম উদ্বোধনখুলনায় এনসিপি নেতা গুলিবিদ্ধ: সাতক্ষীরা সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদারশ্যামনগরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনিয়ম ‌দুর্নীতির অভিযোগল স্টুডেন্টস ফোরাম এর নবনির্বাচিত কমিটি নির্বাচন কমিশনের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়

photo-1493720590‘একমাত্র তার খেলাই গাঁটের টাকা খরচ করে দেখতে চাইব আমি’ ব্রায়ান লারা সম্পর্কে কথাগুলো বলেন ভারতের কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান রাহুল দ্রাবিড়। ক্রিকেট বিশ্বে লারার মতো নিখুঁত ব্যাটসম্যান নেই আর একজনও। ক্রিকেট বল পেটানোটাকে রীতিমতো শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে যান এই ক্যারিবীয় বাটসম্যান। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ও টেস্টে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটি তাঁর দখলে। টেস্টে নয়টি ডাবল সেঞ্চুরি ও দুটি ট্রিপল সেঞ্চুরি করা একমাত্র ক্রিকেটার এই ব্রায়ান লারা। রেকর্ড ভাঙা গড়াটাকে নিয়মিত অভ্যাস বানিয়ে ফেলায় রেকর্ডের বরপুত্র বলা হয়। ক্রিকেট দেবতার আশীর্বাদপুষ্ট এই ব্যাটসম্যানকে ক্রিকেটের বরপুত্রও বলা হয়। কিংবদন্তি এই ক্রিকেটারের আজ জন্মদিন। ১৯৬৯ সালের আজকের দিনেই ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোব্যাগোর স্যান্টা ক্রুজে জন্মগ্রহণ করেন ব্রায়ান চার্লস লারা।

১১ ভাইবোনের মধ্যে দশম ছিলেন লারা। আদর করে সবাই তাঁকে প্রিন্সি বলে ডাকতেন। ছয় বছর বয়সেই তাঁকে স্থানীয় ক্রিকেট কোচিং ক্লাবে ভর্তি করে দেওয়া হয়। এখানেই ব্যাটিংয়ে হাতেখড়ি হয় তাঁর। এরপর সেন্ট জোসেফ রোমান ক্যাথলিক প্রাইমারি স্কুলে ভর্তি হন লারা। চৌদ্দ বছর বয়সে ফাতিমা কলেজে ভর্তি হন তিনি। পেশাদার ক্রিকেটের পাঠটা এখানেই শেখেন তিনি। স্কুল বয়েজ লিগে ১২৬ গড়ে করেন ৭৪৫ রান। দুর্দান্ত এই পারফরম্যান্সের কারণে সেই বছরই তিনি ত্রিনিদাদ অনূর্ধ্ব ১৬ দলে ডাক পান। তখন তাঁর বয়স মাত্র ১৫ বছর।

১৯৮৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যুব ক্রিকেট টুর্নামেন্টে কার্ল হুপারের করা ৪৮০ রানের রেকর্ড ভেঙে দিয়ে ৪৯৮ রানের নতুন রেকর্ড গড়েন। পরের বছর প্রথম শ্রেণির ম্যাচে অভিষেক হয় ব্রায়ান লারার। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ম্যাচেই ম্যালকম মার্শাল ও জোয়েল গার্নারদের বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে করেন ৯২ রান।

ক্যানসারে বাবার মৃত্যু অনেকটাই ভেঙে দেয় তাঁকে। তবে শোক কাটিয়ে আবার ক্রিকেটে ফেরেন তিনি। ১৯৮৯ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘বি’ দলের নেতৃত্ব দেন লারা। ওই মৌসুমে লারার ব্যাটিং ছিল দেখার মতো। ঘরোয়া ক্রিকেটে রানের ফুলঝুরি ছোটন। ফলশ্রুতিতে, পরের বছর, ১৯৯০ সালে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হয় তাঁর। পাকিস্তানের শক্তিশালী বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে ভালো করতে পারেননি লারা। প্রথম ইনিংসে করেন ৪৪ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ৫।

সেই সিরিজেই পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডেতেও অভিষেক হয় লারার। ভালো করতে পারেননি অভিষেক ওয়ানডেতেও। মাত্র ১১ রান করে ওয়াকার ইউনিসের বলে আউট হন তিনি।

শুরুর কয়েকটা বছর সেভাবে সাফল্য পাননি তিনি। লারা নিজেকে পুরোপুরিভাবে মেলে ধরেন ১৯৯২-৯৩ সালের অস্ট্রেলিয়া সফরে। তৃতীয় টেস্টের আগে সিরিজের ১-০ তে পিছিয়ে ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্রেইগ ম্যাকডরমেট, মার্ভ হিউজ, শেন ওয়ার্নদের মতো বোলারদের সামনে ২৭৭ রানের মহাকাব্যিক ইনিংস খেলেন লারা। টেস্টে এটাই লারার প্রথম সেঞ্চুরি। পরের বছর আরো বিস্ফোরক হয়ে ওঠেন এই ক্রিকেটার। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৭৫ রানের একটা ইনিংস খেলে স্যার গ্যারিফিল্ড সোবার্সের ২৬ বছরের রেকর্ড ভেঙে দেন তিনি। এরপর কাউন্ট্রি ক্রিকেটে ইয়র্কশায়ারের হয়ে করেন ৭ ইনিংসে ৬টিতেই সেঞ্চুরি করেন এই বরপুত্র। যা আজও বিশ্বরেকর্ড হয়ে আছে। তিনি এখানেই খেলেন ৪২৭ বলে ৫০১ রানের বিরল এক ইনিংস।

এর পর থেকেই ক্রিকেটে শুরু হয় লারা যুগ, যা চলেছে ২০০৬ সাল পর্যন্ত। যে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলে ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি, ২০০৬ সালে সেই দলটির বিপক্ষেই সর্বশেষ টেস্টও খেলেন এই ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যান। অধিনায়ক হিসেবেও সফল ছিলেন লারা। দেশকে ৪৭ টেস্টে নেতৃত্ব দেন তিনি। ক্রিকেটের একমাত্র ৪০০ রানের ইনিংসটি অধিনায়ক হিসেবেই খেলেন তিনি। ২০০৭ সালের ১৯ এপ্রিল সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার ঘোষণা দেন তিনি। শুভ জন্মদিন ব্রায়ান লারা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

be068dc4fbdc01062281559a003d2641-58eddf85eb87cটালমাটাল ছিল সংসার ও পর্দার জীবন। এখন বেশ ছন্দে ফিরেছেন ঢালিউড কিং-কুইন দম্পতি শাকিব-অপু। প্রায় বছর খানেক আত্মগোপন থেকে পুত্র আব্রামকে কোলে নিয়ে তার ফেরা। ফিরে এসে সংসারজীবনের কথা প্রকাশ করেছেন নিজেই।

এই নিয়ে মাঝে কিছু ভুল বোঝাবুঝি। পহেলা বৈশাখ থেকে ফের কিং আর কুইন মিলেছেন সব ভুলে। এরমধ্যে শুটিংয়ে না ফিরলেও বেশ সামলে নিয়েছেন অপুর সংসার। পাশে আছেন স্বামী শাকিব ও সন্তান আব্রাম। তবে ঢালিউড দর্শকরা অনেকদিন ধরেই পর্দায় মিস করছেন এই জুটিকে।
অতঃপর এমনই আশার কথা জানালেন তরুণ পরিচালক বুলবুল বিশ্বাস। তিনি নিশ্চিত করেন, তার পরিচালনায় ‘রাজনীতি’র মাধ্যমে শাকিব-অপু আসছে ঈদেই পর্দায় উঠছেন, দীর্ঘ বিরতির পর ফিরছেন প্রেক্ষাগৃহে।

এমন খবরে অপু বিশ্বাস নিজেও বেজায় খুশি। তিনি বলেন, ‘‘দীর্ঘ এক বছর পর আবারও বড় পর্দায় ফিরছি। আগামী ঈদুল ফিতরে মুক্তি পাচ্ছে আমাদের ‘রাজনীতি’। সবার কাছে দোয়া প্রার্থী।’’
গেল ৩০ এপ্রিল ছবিটি বাংলাদেশে চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পেয়েছে। এর চিত্রনাট্যকার-পরিচালক বুলবুল বিশ্বাস বলেন, ‘এবারের ঈদে ঢালিউড দর্শকদের জন্য সালামি হিসেবে আমি এই ছবিটিকে দেখছি।’
আশফাক আহমেদ প্রযোজিত ‘রাজনীতি’ ছবিতে প্রধান তিনটি চরিত্রে শাকিব খান, অপু বিশ্বাসের পাশাপাশি অভিনয় করেছেন আনিসুর রহমান মিলন। আরও আছেন শহীদুল আলম সাচ্চু, সাদেক বাচ্চু, আলীরাজ, পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, জয়শ্রী কর জয়া, ডিজে সোহেল, কমল প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
 ss-2-may-2016-06প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার, সাহিত্যিক, চিত্রশিল্পী সত্যজিৎ রায়ের আজ ৯৬তম জন্মদিন। ১৯২১ সালের এই দিনে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। জন্ম সেখানে হলেও বাংলাদেশের সাথে ছিল তার রক্তের সম্পর্ক। সত্যজিৎ রায়ের পূর্ব পুরুষরা বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ জেলার বড় মাসুয়া গ্রামের অধিবাসী ছিলেন।

চলচ্চিত্র মাধ্যমে সত্যজিৎ চিত্রনাট্য রচনা, চরিত্রায়ন, সঙ্গীত স্বরলিপি রচনা, চিত্র গ্রহণ, শিল্প নির্দেশনা, সম্পাদনা, শিল্পী-কুশলীদের নামের তালিকা ও প্রচারণাপত্র নকশা করাসহ নানা কাজ করেছেন। চলচ্চিত্র নির্মাণের বাইরে তিনি ছিলেন একাধারে গীতিকার, সংগীত পরিচালক কল্পকাহিনী লেখক, প্রকাশক, চিত্রকর, গ্রাফিক নকশাবিদ ও চলচ্চিত্র সমালোচক।
১৯৩৬ সালে মাত্র চৌদ্দ বছর দশমাস বয়সে তার তোলা ছবি বিদেশি পত্রিকা বয়েজ ওন পেপার-এ প্রথম পুরস্কার পায়। সে বছরই ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করেন সত্যজিৎ। ১৯৪০ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তি নিকেতনের কলা ভবনে ভর্তি হন সত্যজিৎ। বলা যায় এখানেই প্রখ্যাত চিত্রকর নন্দলাল বসুর হাতে শিল্পী সত্যজিৎ-এর জন্ম ঘটে।

সত্যজিতের কর্মজীবন একজন বাণিজ্যিক চিত্রকর হিসেবে শুরু হলেও প্রথমে কলকাতায় ফরাসি চলচ্চিত্র নির্মাতা জঁ রনোয়ারের সাথে সাক্ষাৎ ও পরে লন্ডন শহরে সফররত অবস্থায় ইতালীয় নব্য বাস্তবতাবাদী ছবি লাদ্রি দি বিচিক্লেত্তে দেখার পর তিনি চলচ্চিত্র নির্মাণে উদ্বুদ্ধ হন।

চলচ্চিত্র নির্মাণ করবেন- এমন সিদ্ধান্ত তিনি যখন নিয়েছেন তখন তার কাছে প্রিয় গল্প ছিল বিভূতিভূষণের পথের পাঁচালী। অল্প কিছু টাকা যোগাড় করে ১৯৫২ সালে ‘পথের পাঁচালী’ উপন্যাসের নামে ছবি নির্মাণে নামেন তিনি। তবে টাকার অভাবে সেটা কিছুদিন পরই বন্ধ হয়ে যায়। পরে পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাকে আর্থিক অনুদানের ব্যবস্থা করলে পথের পাঁচালীর কাজ শেষ হয়। প্রথম ছবিতেই নিজের জাত চেনালেন সত্যজিৎ। একেবারে বাজিমাৎ যাকে তেমনটি করেছেন তিনি।

তারপর পরবর্তীতে সুনাম কুড়ানো সব ছবি নির্মাণ করেন তিনি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- অপরাজিত, পরশপাথর, জলসাঘর, অপুর সংসার, দেবী, তিনকন্যা, কাঞ্চনজঙ্ঘা, অভিযান, মহানগর, চারুলতা, গুপী গাইন বাঘা বাইন, হীরক রাজার দেশে, অরণ্যের দিনরাত্রি, অশনি সংকেত, সোনার কেল্লা, ঘরে-বাইরে, গণশত্রু, শাখা-প্রশাখা, আগন্তুক।
পথের পাঁচালি, অপরাজিত ও অপুর সংসার এই তিনটি চলচ্চিত্রকে একত্রে অপু ত্রয়ী বলা হয়, এবং এই চলচ্চিত্র-ত্রয়ী তাঁর জীবনের শ্রেষ্ঠ কাজ বা ম্যাগনাম ওপাস হিসেবে বহুল স্বীকৃত।

সমালোচকেরা প্রায়ই সত্যজিৎকে চলচ্চিত্র ও অন্যান্য মাধ্যমের বিখ্যাত ব্যক্তিত্বদের সাথে তুলনা করেছেন। তাকে কখনো আন্তন চেখভ, জঁ রনোয়ার, ভিত্তোরিও দে সিকা, হাওয়ার্ড হক্স অথবা কখনো ভোল্ফগাং, আমাদেউস মোৎসার্ট কিংবা শেক্সপিয়ারের সঙ্গেও তাকে তুলনা করা হয়েছে। সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী ভি এস নাইপল শতরঞ্জ কে খিলাড়ি-র একটি দৃশ্যকে শেক্সপিয়ারের নাটকের সাথে তুলনা করেন! সত্যজিতের চলচ্চিত্রের নান্দনিকতা নিয়ে যারা সন্তুষ্ট ছিলেন না তারাও স্বীকার করেন যে একটি সম্পূর্ণ সংস্কৃতিকে তার বিভিন্ন সু² দ্যোতনাসহ চলচ্চিত্রে তুলে ধরার ব্যাপারে তিনি ছিলেন অদ্বিতীয়।

সত্যজিৎ রায় নির্মিত প্রথম ছবি ‘পথের পাঁচালী ’১১টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করে, যাদের মধ্যে অন্যতম ছিল কান চলচ্চিত্র উৎসবে পাওয়া “শ্রেষ্ঠ মানব দলিল” পুরস্কারটি।

এছাড়া সত্যজিৎ রায়ের বর্ণময় কর্মজীবনে বহু পুরস্কার পেয়েছেন। তবে এগুলির মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত হল ১৯৯২ সালে পাওয়া একাডেমি সম্মানসূচক পুরস্কারটি (অস্কার)।
বাংলা সাহিত্যে সত্যজিৎ রায় একটা বড় জায়গা দখল করে আছেন। বিশেষ করে শিশুতোষ গোয়েন্দা কাহিনী ফেলুনাথ সিরিজ ছেলে-বুড়ো সবার প্রিয়। এছাড়া বিজ্ঞানী প্রফেসর শঙ্কুও সবার কাছেও দারুণ পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছিল। তিনি একাধিক ছোট গল্প লিখেছেন।

চলচ্চিত্রের ওপর লেখা সত্যজিৎ রায়ের প্রবন্ধের সংলনগুলো হল: আওয়ার ফিল্মস, দেয়ার ফিল্মস (১৯৭৬), বিষয় চলচ্চিত্র (১৯৮২), এবং একেই বলে শুটিং (১৯৭৯)। ৯০-এর দশকের মাঝামাঝি সত্যজিতের চলচ্চিত্র বিষয়ক নিবন্ধের একটি সঙ্কলন পশ্চিমে প্রকাশ পায়। এই বইটির নামও ‘ঙঁৎ ঋরষসং, ঞযবরৎ ঋরষসং’।
বাংলা চলচ্চিত্রের এই দিকপাল ১৯৯২ সালের ২৩ এপ্রিল মারা যান।

ছবি : সংগৃহীত

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

rituparna-rohitবাংলাদেশের গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার কাহিনী নিয়ে তৈরি হচ্ছে হিন্দি ছবি। নাম ‘জিহাদ’। ছবির মূল তিনটি চরিত্রে থাকছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, ব়্যাচেল হোয়াইট ও রোহিত রায়। পুরোদমে চলছে এখন ছবির শুটিং। সহকর্মী রোহিত রায়ের সঙ্গে কাজ করতে নাকি খুব ভালো লাগছে ঋতুপর্ণার।

টুইটার অ্যাকাউন্টে সম্প্রতি রোহিত রায় এবং ব়্যাচেল হোয়াইটের সঙ্গে শুটিংয়ের ফাঁকে তোলা দুটি ছবি প্রকাশ করেছেন ঋতুপর্ণা। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘পুরোদমে কাজ চলছে অগ্নিদেবের “জিহাদ” ছবির। রোহিত রায় এবং ব়্যাচেল হোয়াইটের সঙ্গে কাজ করতে সবসময়েই খুব ভালো লাগে।”

গুলশান হত্যাকাণ্ড দিয়ে শুরু হবে ছবির কাহিনী। এরপর ধীরে ধীরে জঙ্গি-গোষ্ঠী আইএসের কেন এমন করছে, কারা আইএস তৈরি করছে, কীভাবে তারা পৃথিবীতে সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে এসব বিষয় তুলে ধরা হবে ছবির কাহিনীর মাধ্যমে। থ্রিলার ধর্মী ও রহস্যে ভরপুর এই ছবিটি নির্মাণ করছেন ভারতীয় চলচ্চিত্র পরিচালক অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায়। অগ্নিদেব তার এই ছবির নাম রেখেছেন ‘জিহাদ’।

রোহিত রায় আর ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত থাকবেন ছবিতে স্বামী-স্ত্রীর ভূমিকায়। ব়্যাচেল হোয়াইটকে দেখা যাবে এক সিরিয়ান জঙ্গির ভূমিকায়। ছবির শুটিং শুরু হয়েছে কলকাতায়। তবে পরবর্তী পর্যায়ে তুরস্ক, বার্সেলোনা, প্যারিস, এমনকি সিরিয়া সংলগ্ন তুরস্কের সীমান্তেও শুটিংয়ের পরিকল্পনা রয়েছে পরিচালকের। অনেক গবেষণা করে তৈরি করা হচ্ছে ছবিটি। তাই ছবিটি মনের মতো করে তৈরি করার জন্য সিনেমাটোগ্রাফির কাজ নিজেই করছেন অগ্নিদেব। এ বছরই মুক্তি পাচ্ছে ছবিটি। তবে কবে মুক্তি পাবে সেই ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। মিড ডে।jihaad-1

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

chinese-groomনিজের বিয়েতে ভাড়া করা অতিথি এনে ধরা পড়ে হাজতে গিয়েছেন বর মি. ওয়াং। একজন, দুজন নয় বরং দুইশ ভাড়াটে অতিথি এনে হবু বৌয়ের পরিবারের কাছে ধরা পড়েছেন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর চীনের সানজিতে।

কনে লিউ’র পরিবারের মনে সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছিল বরের কয়েকজন অতিথির সঙ্সাগে কথা বলে। বরের সাথে সম্পর্ক জিজ্ঞেস করা হলে ‘বন্ধু’ পরিচয় দিয়ে এড়িয়ে যাচ্ছিলেন অতিথিরা। বরের ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু বলতেও পারছিলেন না তারা। সত্য প্রকাশ পেয়ে যায় অনুষ্ঠান শুরু হয়ে যাওয়ার পরও বরের বাবা মায়ের খোঁজ না পাওয়ায়। এরপরই কনের অভিভাবকের ফোন পেয়ে পুলিশ এসে বরকে হাজতে নিয়ে যায়।

বরপক্ষের দুইশ ভাড়াটে অতিথির একজন একটি স্থানীয় টিভি চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে জানান, ৮০ ইয়েন (১২ ডলার) পারিশ্রমিকের বিনিময়ে বিয়ের অতিথি হিসেবে এসেছিলেন তারা। তাদের কেউ ট্যাক্সি ড্রাইভার আবার কেউ এখনও পড়াশোনা করছেন।

আরেকজন অতিথি বরের সাথে তার ‘উই চ্যাট’ এর কথোপকথন প্রকাশ করেছেন। সেখানে পারিশ্রমিক নিয়ে বেশ দরকষাকষিও করেছেন তিনি।

একদম জানাশোনা ছাড়া হুট করে এই বিয়ে পাকাপাকি করা হয়নি। কনের সাথে বরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল তিন বছর। প্রেমের সম্পর্ক থাকাকালীন সময়ে বরের ব্যাপারে নাকি একটুও খটকা লাগেনি কনের।

তবে বর কেন এমন অতিথি-নাটক সাজালেন তা নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। কোন কোন মিডিয়ায় বলা হচ্ছে, বরের পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভাল না। তাই কনের পরিবার এই বিয়েতে রাজি ছিল না। আর কনের পরিবারের সামনে নিজের পরিবারকে হাজির করে বিব্রত হতে চাননি বর। তাই নাকি এমন নাটক সাজিয়েছেন তিনি।

তবে সোশ্যাল মিডিয়া এই তথ্য মেনে নিতে নারাজ। অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্ন তুলেছেন, ‘বর যদি এত গরীব হয় তাহলে ২০০ অতিথিকে এত টাকা পারিশ্রমিক দিয়েছেন কিভাবে?’

প্রকৃত ঘটনা জানার জন্য তদন্ত শুরু করেছে স্থানীয় পুলিশ। বিবিসি

 

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

IMG_20170502_114225

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : ‘জঙ্গিবাদ সন্ত্রাসবাদ রুখতে হবে, সোনার বাংলা গড়তে হবে’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে সাতক্ষীরা সদর-০২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি’র বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসকাবের সামনে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা স্মৃতি সংসদ জেলা শাখার আয়োজনে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা স্মৃতি সংসদ জেলা শাখার সভাপতি সৈয়দ জয়নুল আবেদীন জসি’র সভাপতিত্বে মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর-রশিদ। এসময় তিনি বলেন, যারা বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি ও দলের নেত্রীর নির্দেশ মানে না। যারা বিগত সময়ে ২০১৪ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক বঙ্গবন্ধুর নৌকার প্রার্থী মীর মোস্তাক আহমেদ রবির বিরোধিতা করেছিল। যারা গত পৌর নির্বাচনে দলীয় প্রতীক নৌকার বিরোধিতাসহ বিভিন্ন নির্বাচনে দেওয়া নির্দেশ অমান্য করে বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছিল সেই জামাত-বিএনপির প্রেতাত্বারা এমপি রবি’র  রাজনৈতিক ভাবমূর্তি ও আওয়ামীলীগকে ধ্বংস করার জন্য আবারও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। যারা ঘরের ভিতরে জামাত-বিএনপি লালন পালন করে তারা কিসের আওয়ামীলীগ ও কিসের অভিভাবক? আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং ০৪ মে ঢাকায় কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের দলীয় কোন্দল নিরসনে জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক ও দলীয় এমপিদের তলব করেছেন। এটাকে কেন্দ্র করেই একটি চক্র রাজনৈতিক ইস্যু হিসেবে জামাত বিএনপির মদদ দাতা আওয়ামীলীগের ভিতর ঘাপটি মেরে থাকা প্রেতাত্বারা নিমাই চন্দ্র ঢালীকে ব্যবহার করে ঘোলা পনিতে মাছ শিকার করতে নেমেছেন। মানবন্ধনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা স্মৃতি সংসদ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক ডা. মুনসুর আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার নজরুল ইসলাম ও জেলা কৃষকলীগের যুগ্ম সম্পাদক ও ইউপি সদস্য এস.এম রেজাউল ইসলাম প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ হায়দার আলী তোতা, জেলা তাঁতীলীগের সভাপতি মীর আজহার আলী শাহিন, আগরদাঁড়ী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মাস্টার মফিজুর রহমানসহ আওয়ামীলীগ ও বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা স্মৃতি সংসদ জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

pakistan20170502084333শুরুটা দুর্দান্ত ছিল পাকিস্তানের। উদ্বোধনী জুটিতে আজহার আলী ও আহমেদ শেহজাদ মিলে পাকিস্তানকে বড় সংগ্রহের দিকেই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎ ছন্দপতন ঘটে ৩ উইকেটে ১৭২ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে সফরকারীরা। আর স্বাগতিকদের চেয়ে এখনও ১৪০ রানে পিছিয়ে আছে সফরকারী পাকিস্তান।

স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ইনিংসে করা ৩১২ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত সূচনা এনে দেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার আজহার আলী ও আহমেদ শেহজাদ। দুইজনে মিলে গড়েন ১৫৫ রানের জুটি। তবে ৭০ রান করে শেহজাদের বিদায়ের পরই ঘটে ছন্দপতন। কোন রান না করেই দ্রুত বিদায় নেন বাবর আজম ও ইউনিস খান। দিন শেষ মিসবাহ ৭ ও আজাহার আলী ৮০ রানে অপরাজিত আছেন।

এর আগে ২৮৬ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিদায় নেন আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান চেইজ-হোল্ডার। আগের দিনের ৫৮ রানের সঙ্গে কোন রান যোগ না করেই মোহাম্মদ আব্বাসের শিকারে পরিণত হন ক্যারিবীয় অধিনায়ক। আর সেঞ্চুরিয়ান চেইজও কোন রান যোগ করতে দেননি আমির। আগের দিনের করা ১৩১ রানেই সাজঘরে ফিরেন এই তারকা।

শেষ দিকে নবম উইকেটে দেবেন্দ্র বিশু ও আলজারি জোসেফের ২৬ রানের জুটি গড়লে ৩১২ রানের সংগ্রহ পায় স্বাগতিকরা। পাকিস্তানের সেরা বোলার মোহাম্মদ আব্বাস। ৫৬ রান খরচায় নিয়েছেন ৪ উইকেট। মোহাম্মদ আমির ঝুলিতে জমা করেছেন ৩টি উইকেট।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

real-madrid20170502081350

 

 

 

 

ফুটবল
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ
সেমিফাইনাল : প্রথম লেগ
রিয়াল-অ্যাটলেটিকো
সরাসরি, রাত ১২.৪৫ মি.
টেন ২

 

ক্রিকেট
ওয়েস্ট ইন্ডিজ-পাকিস্তান
দ্বিতীয় টেস্ট, তৃতীয় দিন
সরাসরি, রাত ৮টা
টেন ৩

 

আইপিএল ২০১৭
দিল্লি-হায়দরাবাদ
সরাসরি, রাত ৮.৩০ মি.
সনি সিক্স ও সনি ইএসপিএন

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest