সর্বশেষ সংবাদ-
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে সাতক্ষীরা জেলা শ্রমিকলীগের র‌্যালিসাতক্ষীরার শ্যামনগরে সাপের কামড়ে শিশুর মৃত্যু।সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় ভ্যানচালক নিহতসাতক্ষীরার রাজ্জাক পার্কে সাশ্রয়ী মূল্যে মাসব্যাপী বসুন্ধরা পন্য বিক্রি শুরুসাতক্ষীরায় প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনার ৫ দিন পার না হতেই একই এলাকায় আবারো ডাকাতিএস এস সি পরীক্ষায় সাতক্ষীরা জেলায় প্রথম আহনাফ তাহসিনকারিগরি শিক্ষাকে মর্যাদা প্রদান ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাকে বিএসসি সমমান মর্যাদা ঘোষনার উদ্যোগে বিদ্বেষী কার্যক্রমের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনদেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ উদযাপনসাতক্ষীরায় ১২০ লিটার ভেজাল দুধ জব্দ: দেড় লক্ষ টাকা জরিমানা ও ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদ-সাতক্ষীরায় ৪ টি অস্ত্র, ২৯ রাউন্ড গুলি ও তিনটি ম্যাগাজিন জব্দ

dsc02631-copyনিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা সদর-০২ আসনের সংসদ সদস্যের ঐচ্ছিক তহবিল হতে অনুদানের চেক বিতরণ করা হয়েছে। রোববার সকালে সদর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সদর উপজেলা ডিজিটাল কনফারেন্স রুমে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নূর হোসেন সজলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ঐচ্ছিক তহবিল হতে অনুদানের চেক বিতরণ করেন সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। এ সময় তিনি বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতায় আসার পর সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের এগিয়ে নিতে বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। তাই বিভিন্ন অনুদান বিতরণের মাধ্যমে অসহায় মানুষদের কর্মমুখি ও স্বাবলম্বী করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন’। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বাবু। অনুষ্ঠানে সাতক্ষীরা সদর-০২ আসনের সংসদ সদস্যের ঐচ্ছিক তহবিল হতে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ৪৮ জন অসহায় দরিদ্র মানুষের মাঝে এ অনুদানের চেক বিতরণ হয়। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. জালাল উদ্দিন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

dsc04751-copyনিজস্ব প্রতিবেদক: ক্যান্সার, কিডনি, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যারালাইজড ও জন্মগত হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীদের আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ করা হয়েছে। রোববার দুপুরে জেলা অফিসার্স ক্লাবে সমাজসেবা অধিদফতরের আয়োজনে জেলা সমাজসেবা অধিদফতরের উপ-পরিচালক দেবাশিস সরদারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বাবু, জেলা সমাজসেবা অধিদফতরের সহকারি পরিচালক হারুন-অর রশিদ, শহর সমাজসেবা অফিসার শহিদুর রহমান প্রমুখ। ক্যান্সার, কিডনী, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যারালাইজড ও জন্মগত হৃদরোগে আক্রান্ত ৪২ জনকে ৫০ হাজার টাকা করে ২২ লক্ষ টাকা বিতরণ করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

unnamedনিজস্ব প্রতিবেদক: জেলা পরিষদের নির্বাচনকে সামনে রেখে জেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে গণসংযোগ শুরু হয়েছে। রোববার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যলয়ের সামনে শ্যামনগর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেম্বারদের সাথে কুশল বিনিময় করে সাতক্ষীরা পৌরসভা থেকে এ গণসংযোগ শুরু করেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ নজরুল ইসলাম। এসময় তার সাথে ছিলেন, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এসএম শওকাত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শাহাজান আলী, পৌর সভাপতি শেখ সাইদ, সদর থানা যুগ্মসাধারণ সম্পাদক শেখ আব্দুর রশিদ, সংগঠনিক সম্পাদক গনেশ চন্দ্র মন্ডল, জেলা যুবলীগের আহবায়ক আব্দুল মান্নানসহ আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মী সমর্থকগণ। গণসংযোগ কালে তিনি বলেন,আমি বঙ্গবন্ধুর আর্দশ বুকে ধারন করে দীর্ঘদিন আওয়ামীলীগ করে আসছি। জেলা সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন ও করছি। উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে মানুষ আমাকে বিপুল ভোটে জয়ী করেছিল। পরবর্তীতে আমি দলের সিদ্ধান্তে এমপি ও উপজেলা নির্বাচন করেনি। কিন্তু এবারের জেলা পরিষদের নির্বাচনেও দল আমাকে মনোনয়ন দেয়নি, তাপরও আমি আপনাদের ভালাবাসায় নির্বাচন করছি। জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের যে উন্নয়ন করছে তা বিগত কোন সময়ে হয়নি। তাই আমার লক্ষ নেত্রীর এ উন্নয়নের ছোয়া আপনাদের দৌড়গড়ায় পৌছে দেওয়া। আমি আপনাদের ভালবাসার কাছে হেরেগেছি আপনারা যে আমাকে এত ভাল বাসেন তার প্রমান আমার ডাকে আপনাদের উপস্থিতি। আমি আশা করি আপনারা আপনাদের ভোটের মাধ্যমে আমাকে নেত্রীকতৃক জেলা পরিষদের সেবা পৌচে দিতে সুযোগ করে দিবেন। আমি একবারের জন্য হলেও নেত্রীর উন্নয়নের সেবা আপনাদের কাছে পৌছে দিতে আপনাদের দোয়া, আর্শীবাদ, সমার্থন ও ভোট কামনা করছি। তিনি ভোমরা ইউনিয়ন, দেবহাটা ইউনিয়ন, নওয়াপাড়া ইউনিয়নসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে গণসংযোগ করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

picture-04-12-16তালা প্রতিনিধি: কালের স্বাক্ষী বাঙালি জাতির স্বাধীনতা যুদ্ধে রক্ত ঢেলে দেওয়া অমর স্মৃতি সাতক্ষীরা তালা উপজেলার পারকুমিরার বধ্য ভূমি আজও অরক্ষিত। স্বাধীনতা অর্জনের ৪৫ বছর পদার্পণ হলেও মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ২৩ এপ্রিল শুক্রবার পাক হানাদার বাহিনী নির্মম নির্যাতন চালিয়ে একসাথে ৭৮ জন নিরস্ত্র বাঙালিকে হত্যা করে। হত্যার পর তাদেরকে একই কবরে মাটি চাপা দেয়। যুদ্ধের অমর স্মৃতি রক্ষণাবেক্ষণের এখনো হয়নি। বর্তমান স্থানটি নির্বাচন করে তালা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ নুরুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দ্বারস্থ হয়ে মাত্র ৪ টন গমের টাকায় মাটি ভরাট করেছে। এর আগে বদ্ধ ভূমি ছিল কৃষকের চাষাবাদের জমি। হাটি হাটি পা পা করে স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস তথা পাক হানাদার বাহিনীর নির্যাতনের কথা আজ আবাল-বৃদ্ধ-বণিতার মুখে মুখে। যে উদ্দেশ্যে স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছিল সে উদ্দেশ্য আজ অনেকটা সফলতার মুখ দেখেছে। মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি রাজাকার গোষ্ঠী বাংলার মাটি থেকে অনেকটাই আজ নিশ্চিহ্ন হয়েছে। আজ ৭১-এর রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধাদের সূর্য সন্তান হিসেবে বর্তমান প্রজন্ম গর্বিতভাবে সম্মান করে। বর্তমান সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখলেও তপ্ত বুলেটের আঘাতে রক্তে লটিত শহীদদের স্মৃতি কেন রক্ষণাবেক্ষণ হচ্ছে না এটি সাধারণ জনমনে প্রশ্ন। তালা উপজেলার পারকুমিরার ৭৮ শহীদের গণকবর রক্ষণাবেক্ষণ না হওয়ায় নিশ্চিহ্ন হতে পারে বলে সুধী মহলের ধারণা। ১৯৯২ সালে ২৪ মে বঙ্গবন্ধু কন্যা বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বধ্য ভূমিতে পা রেখে শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা শেষে পর একটি স্মৃতিফলক উন্মোচন করে। ফলকটিও আজ বিবর্ণ হয়ে অনেকটাই বিলীনের পথে। তালা উপজেলার আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ নুরুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান হিসেবে গণকবরটি রক্ষণাবেক্ষণে আন্তরিকতার অভাব নেই। ইতি মধ্যে এলজিইডি’তে প্রায় কোটি টাকা মূল্যে স্মৃতিসৌধের অনুমোদন হলেও মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ে টাকা না থাকায় বাস্তবায়নে সম্ভব হচ্ছে না। তবে অতি দ্রুত ৭৮ শহীদের গণকবর তালা উপজেলা তথা দক্ষিণবঙ্গের ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য স্মৃতিসৌধ হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক: পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সাতক্ষীরা জেলা শাখার অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিলন আহমেদের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন কোম্পানির নকল বই বাজারজাত করার অভিযোগও পাওয়া গেছে।
সূত্র জানায়, তিনি গত ২০০৮ ও ২০০৯ সাল এবং ২০১২ থেকে ২০১৪ সালের ১৭ই আগষ্ট পর্যন্ত দায়িত্বে থাকা কালিন সমিতির ২৫০ জন সদস্যের প্রতিবছরের বার্ষিক চাঁদা মোট ৬/৭ লক্ষ টাকা তার কাছে ছিল। উক্ত টাকা সমিতির নিজস্ব ব্যাংক একাউন্টে জমা না দিয়ে সেই টাকা দিয়ে নিজেই ব্যবসা করেছে। যা সমিতির সংঘস্মারক ও সংঘবিধি পরিপন্থি। ২০১৩ ও ২০১৪ সালে দায়িত্বে থাকা অবস্থায় সাতক্ষীরা জেলা শাখার অডিটে আসেন আব্দুর রব ওয়ারসী। সে সময় মিলন আহমেদ সঠিক হিসাব দেখাতে  পারে নি। যার কারণে তার কাছে ১ লক্ষ ২৯ হাজার টাকার অনিয়ম ধরা পড়ে। এবং উক্ত টাকা অডিট অফিসার সমিতির একাউন্টে জমা দিতে বলেন। জমা না দিলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার যেতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৪ সালে তার পিতার নামে ৫০ হাজার করে মোট ১ লক্ষ টাকার দুই টি চেক সমিতির সাবেক আহবায়ক অলি উল্লাহ’র কাছে প্রদান করেন। উক্ত চেকে কোন টাকা না থাকায় অলিউল্লাহ চেক ডিজঅনার করার জন্য সাতক্ষীরা জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন। যার নং- সেশন ৩৪৯/১৪। মামলার প্রেক্ষিতে আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে চলতি বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি তারিখে ৫০ হাজার টাকা, ২৬ মে তারিখে ৩ হাচজার টাকা, ৬ অক্টোবর তারিখে ৪৮ হাজার ১২৯ টাকা এবং ৯ অক্টোবর তারিখে ১৮ হাজার ২শ টাকা মোট ১ লক্ষ ২৯ হাজার ৩২৯  টাকা সমিতির নিজস্ব একাউন্টে জমা দেন। এ অপরদিকে তালা উপজেলার বুক সেন্টার লাইব্রেরি ও বই বিতান লাইব্রেরি নামে সমিতির কোন কর্মকর্তাদের না জানিয়ে ৬০ হাজার টাকার বিনিময়ে দুইটি লাইসেন্সের অনুমোদন দেয়। পরবর্তীতে তালা উপজেলার সভাপতি ও সম্পাদক জেলা কমিটির নিকট আবেদন করলে তদন্তের মাধ্যমে দুইটি লাইসেন্স জেলা কমিটি বাতিল করে এবং মিলন আহমেদকে উক্ত টাকা গ্রাহকদের কাছে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেয়। কিন্তু জেলা কমিটির আদেশ উপেক্ষা করে গ্রাহকের টাকা এখনো সম্পূর্ণ ফেরত দেননি তিনি। এছাড়া বিভিন্ন কোম্পানির নকল বই বাজারজাত করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। যা বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থাকে কলুষিত করছে। গত ৩ মাস আগে নকল বই অভিযানে ঢাকা থেকে প্রেরিত সমিতির টাস্কফোর্স কমিটি সাতক্ষীরায় অভিযান চালালে তার পিতার পপি লাইব্রেরি থেকে লেকচার কোম্পানির নকল বই আটক করে পাঁচ  হাজার  টাকা জরিমানা করে। ২০০৮ ও ২০০৯ সালে অফিস সহকারি হিসাবে মোঃ জিল্লুর রহমানকে নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু তার মাসিক ৩২শ টাকা বেতনের দীর্ঘ ৯ মাসের কোন বেতন তাকে দেওয়া হয়নি। নির্ভর যোগ্য সূত্রে জানাযায় সে জিল্লুর রহমানের টাকা উত্তোলন করে মিলন আহমেদ নিজে আত্মসাৎ করে। এছাড়া জিল্লুর রহমান চাকরি করা কালিন সময়ে মিলনের কথা মতো সে অফিসের কাগজ পত্র নিজের টাকা দিয়ে ফটো কপি থেকে শুরু করে সব খরচ করলেও তার সেসব টাকাও দেওয়া হয়নি। এব্যাপারে মিলন আহমেদ তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: রবিবার বেলা ১১টায় দেবহাটা সদর ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে আগামী ২৮ ডিসেম্বর সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আহমেদ নির্বাচনী মতবিনিময় সভা দেবহাটা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু বক্কার গাজীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মুনসুর আহমেদ বলেন, ১৯৬৬ সাল থেকে ছাত্রলীগের মাধ্যমে রাজনীতিতে পথচলা শুরু মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করি। রিলিফ কমিটির চেয়ারম্যান ছিলাম। ৪ বার নির্বাচিত পারুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলাম। ১৯৮৬ ও ১৯৯১ সালে ২ বার এমপি ছিলাম। ১৮ বছর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। ৫ বছর জেলা পরিষদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মনোনীত প্রশাসক ছিলাম। বর্তমান জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতির দায়িত্বরত আছি। ইনশাআল্লাহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে জেলা পরিষদের মনোনয়ন দিয়েছেন। আমার বিশ্বাস জেলার ১ হাজার ৬১ জন ভোটার দলের বাইরে কাউকে ভোট দেবেন না। আমাকে ভোট দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করবেন। আমি জেলার সকল নেতা কর্মীকে অনুরোধ করবো সংগঠনের বৃহৎ স্বার্থে দলের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টিকারীদের ফাঁদে পা দেবেন না। ১১ ডিসেম্বরের পরে দলের বিদ্রোহকারীদের বিরুদ্ধে গঠনতন্ত্র মোতাবেক সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মুনসুর আহমেদের সফর সঙ্গী হিসাবে আরো বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন অর রশিদ, জেলা পুজা উৎযাপন কমিটির সভাপতি মনোরঞ্জন মুখার্জী, জেলা সদস্য হাজী রফিকুল ইসলাম, উপজেলা যুগ্ম সম্পাদক আনারুল হক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রউফ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুল জলিলসহ দেবহাটা সদর ইউনিয়ন পরিষদের ১২জন সদস্যবৃন্দ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ডেস্ক রিপোর্ট: ক্যানসারে ভুগে যখন স্বামী মারা গেলেন, হঠাৎ এক কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হলেন তনুজা রহমান মায়া। দুটি ছোট ছোট ছেলে মেয়ে। কী করবেন, কোথায় যাবেন, কীভাবে সংসার চালাবেন। কিন্তু কারও ওপর নির্ভর না করে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। আগে শখের বশে হস্তশিল্পের কাজ করতেন, সেটাকেই ব্যবসা হিসেবে দাঁড় করানোর চেষ্টায় নামলেন। তাঁর হস্তশিল্পের কারখানায় এখন কাজ করেন দেড় হাজারের বেশি শ্রমিক। বিবিসির বিশেষ অনুষ্ঠানমালা ‘শত নারী’তে তাঁর জীবন সংগ্রাম আর সাফল্যের গল্প শুনিয়েছেন তিনি:”১৯৯৮ সালে আমার স্বামী মারা যান ক্যান্সারে। তখন আমার দুটি বাচ্চাই ছোট। তখন এদের নিয়ে কোথায় যাব, কী করবো বুঝতে পারছিলাম না। ভাইবোন ছিল। তাদের কাছে যেতে পারতাম। আমার আসলে কারও দয়ায় বাঁচতে ইচ্ছে করলো না। তখন থেকেই কাজ শুরু করি।শখের বশে হাতের কাজ শুরু করেছিলাম ১৯৯৬ সালে। কিন্তু যখন এটি আমার প্রয়োজন হয়ে দাঁড়ালো তখন পুরোপুরি এ কাজেই নেমে পড়ি। বাসায় বসেই নিজের আত্মীয়-স্বজন পরিচিত জনদের কাছে বিক্রি করতাম।মেয়েদের জন্য আসলে কোন কাজই সহজ নয়। এখন দেশ অনেক এগিয়েছে। এখন অনেকের সহযোগিতা পাচ্ছি। কিন্তু সেই সময়, শুরুর সময়, তখন কিন্তু কোন সহযোগিতা ছিল না। পারিবারিকভাবেও সহযোগিতা পাইনি।আমি পুরোপুরি ব্যবসা শুরু করি ২০০০ সালে। দোকান দিলাম, ট্রেড লাইসেন্স নিলাম, কারখানা খুললাম। মানে একটা বিজনেস করতে যা যা লাগে। সেটা আমি ২০০০ সালেই শুরু করলাম।তখন সবাই সহজভাবে নিত না। আমার বাড়ির লোকজনও না। আমার প্রতিবেশিরাও না, আত্মীয়-স্বজনরাও না। সারাদিন বাইরে কাজ করি, সারাদিন বাইরে ঘুরে বেড়াই। তাদের ধারণা ছিল বাউন্ডুলে টাইপের হয়ে গেছি।তারপর যখন গ্রামের মেয়েদের কাজ শেখাতে যেতাম, তাদের স্বামীরাও মেনে নিত না। আমার সামনেই অনেক সময় ওদেরকে মারধোর করতো। আমার সামনেই মুখের ওপর বলতো, আর আসবেন না। কতদিন নিজেরই মনে হয়েছে, এসব আর করবো না।এখন তো সবাই গর্ব করে। সামনে অনেক ভালো কথা বলে। আমার সাফল্য নিয়ে আলোচনা করে। কিন্তু একটা সময় একরকম একঘরেই ছিলাম।আমি এসব কথা শুনতাম না। কারও কথা শুনতাম না বলে নিজেই কারও কাছে যেতাম না, কারও সাথে মিশতাম না।কিন্তু এখন আমার বন্ধুরা সবাই ফিরে এসেছে, আত্মীয়-স্বজনরা ফিরে এসেছে। এখন আমি অনেক ভালো একটা পজিশনে। আমাকে নিয়ে তারা এখন গর্ব করে।তখন আমার বাচ্চারা ছিল ছোট। অনেকে মনে করতো আমি আমার বাচ্চাদের বড় করতে পারবো না। কিন্তু এই কাজ করেই তো আমি আমার বাচ্চাদের মানুষ করেছি।আমার ছেলে মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজে পড়াশোনা করেছে। এরপর ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করে এখন আইবিএ থেকে এমবিএ করছে। আমার মেয়ে ঢাকা সিটি কলেজে বিবিএ পড়ছে। আমি আসলে এই কাজ করেই কিন্তু আমার মেয়েদের এ পর্যন্ত নিয়ে এসেছি।আমি কাজ না করলে আমার বাচ্চাদের কতদূর নিতে পারতাম আমি জানি না। কিন্তু তখন আমাকে নিয়ে কথা হতো, আমি কাজ করি বলে আমার বাচ্চারা মানুষ হবে না। এখন বাচ্চাদের পড়াশোনার ব্যাপারে বলেন, আমার কাজের ব্যাপারে বলেন, আমার পুরস্কার পাওয়ার ব্যাপারে বলেন, সমাজে একটা গ্রহণযোগ্যতা এসেছে।এখন পরিবারের লোকজন, আত্মীয়-স্বজন, সবাই আমাকে নিয়ে গর্ব করেন। আমার উদাহরণ টানেন, আমাকে উদাহরণ হিসেবে ব্যবহার করেন।”

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

বিনেদন ডেস্ক: বড় পর্দায় একসঙ্গে কাজ করেছেন তাঁরা। এবার ছোট পর্দায় দেখা যাবে আনুশকা শর্মা এবং ক্যাটরিনা কাইফ  জুটিকে। ‘কফি উইথ করণ’ এ করণের সঙ্গে থাকবে এ বলিউডের দুই হার্টথ্রব নায়িকা। প্রথমে শোনা গিয়েছিল, ক্যাট নাকি হৃতিক রোশনের সঙ্গে আসবেন করনের শো’ এ। কিন্তু শেষমেশ করণ সেই গুজব উড়িয়ে দিয়ে জানিয়েছেন, ‘যব তক হ্যায় জান’ এর দুই নায়িকা, অর্থাৎ ক্যাট-আনুশকা একসঙ্গে আসবেন তাঁর আসরে। যশ চোপড়ার এই ছবির শুটিংয়ের সময় থেকেই দুই নায়িকার মধ্যে ভালো বন্ধুত্ব। যদিও সেই সময় গুজব রটেছিল, তাঁরা একে অপরকে পছন্দ করেন না। কিন্তু পরে দুইজনই সেই গুজব উড়িয়ে দিয়েছিলেন।  শুধু তাই নয়, আনুশকার সঙ্গে অনেক বেশি স্বচ্ছন্দ বলেই ক্যাটরিনা এই শো’তে আসতে রাজি হয়েছেন, এমনটাও শোনা যাচ্ছে। রণবীর কাপূরের সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়ার পর এটাই তাঁর প্রথম ‘পাবলিক অ্যাপিয়ারেন্স’ বলা যায়। আর করণের আসরে তাঁকে ব্রেকআপ সংক্রান্ত প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে জেনেই ক্যাট শো’তে আসতে নারাজ ছিলেন। শেষমেশ পছন্দের পার্টনার পেয়েই রাজি হয়েছেন। রণবীর কাপূর এবং রণবীর সিংহ ইতিমধ্যে ‘কফি উইথ করণ’ এ ক্যাটরিনাকে নিয়ে হালকা মজা করে গিয়েছেন। এবার দেখা যাক, রণবীরকে কী বলেন ক্যাটরিনা-আনুশকা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest