সর্বশেষ সংবাদ-

photo-1492243324সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুক থেকে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে ভুয়া অ্যাকাউন্ট। গত বৃহস্পতিবার ভুয়া অ্যাকাউন্ট বন্ধের বিষয়ে একটি বার্তার মাধ্যমে ঘোষণা দেয় ফেসবুক।

যোগাযোগ মাধ্যমটির কর্মকর্তা শবনম শাইক এক বার্তায় জানান, ভুয়া অ্যাকাউন্ট তৈরি করে বিভিন্ন প্রতারণা করা হচ্ছে। ভুয়া অ্যাকাউন্টগুলো বিভিন্ন ফেসবুক পেজে  প্রথমে লাইক দেয়। পরে সেসব পেজের বিভিন্ন পোস্টে গিয়ে কমেন্টের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ও নিজেদের প্রচারণা (স্প্যামিং) চালায়। এ কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া ওই অ্যাকাউন্টগুলোর মাধ্যমে বিভিন্নভাবে  গুজব, মিথ্যা তথ্য ও ভুল খবর ছড়ানো হয় বলে জানিয়েছেন ফেসবুকের ওই কর্মকর্তা।

শাইক আরো জানান, বাংলাদেশ, সৌদি আরব ও মালয়েশিয়াসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে ভুয়া অ্যাকাউন্টের‌আধিক্য দেখা গেছে।

শাইক বলেন, একজন বাস্তব জীবনে যেমন আচরণ করে ফেসবুকেও তার প্রতিফলন ঘটে। তবে ভুয়া অ্যাকাউন্টগুলো ব্যতিক্রম। তারা স্পামিংয়েই ব্যস্ত থাকে।

উদাহরণ হিসেবে ফ্রান্সে ৩০ হাজার ভুয়া অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার কথা জানিয়েছেন শাইক।

এই পদক্ষেপের মাধ্যমে বিভিন্ন পেজ থেকে ভুয়া লাইকের সংখ্যা কমাতেও সক্ষম হয়েছে। ফেসবুকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এক শতাংশের মতো আক্রান্ত পেজ যাদের লাইক সংখ্যা ১০ হাজারের বেশি তাঁদের লাইকের সংখ্যা কমতে পারে। তবে তা তিন শতাংশের বেশি হবে না।

এদিকে  ফেসবুকের অ্যাকাউন্ট বন্ধের ঘোষণা সম্পর্কে জানতেন না অনেকেই। ফলে হঠাৎ অ্যাকাউন্ট বন্ধে বেশ বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন অনেক ব্যবহারকারী। এ ছাড়া ভুয়া অ্যাকাউন্ট বন্ধের ফলে হঠাৎ করেই কমে যায় অনেক পেজের লাইকের সংখ্যা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

y96xr7_farস্বনামধন্য নাট্য নির্মাতা ও চলচ্চিত্র পরিচালক মোস্তফা সরোয়ার ফারুকী পহেলা বৈশাখ উদযাপন সম্পর্কে তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন।

ওই স্ট্যাটাসে ফারুকী লিখেছেন, ‘যারা ইসলাম ধর্মকে বড় করতে গিয়া বাঙালীর নিজস্ব সংস্কৃতিতে অ্যালার্জি প্রকাশ করছিলেন আর যারা বাঙালী জাতীয়তাকে মহান বানাইতে গিয়া ইসলাম ধর্মে অ্যালার্জি তুলে ধরছিলেন বছরের পর বছর, উভয়েই আমাদের আজকের দুরবস্থার জন্য দায়ী। একদল বোরখার বিরুদ্ধে লাগে, আরেকদল ছবি বা ইমেজ বা ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে লাগে।

এই দুই দলকেই বিনীতভাবে বলবো আপনারা একটু ইতিহাস ঘাইটা দেখেন কেনো এতো বাঘা বাঘা নেতা থাকার পরও দেশটা বঙ্গবন্ধুর হাতেই স্বাধীন হইতে হইলো । বঙ্গবন্ধুর চেয়ে বড় সেকুলার নেতা তো ছিলো, তাঁর চেয়ে বড় ধার্মিক নেতাওতো ছিলো। সবাই যেটা পারলো না, সেটা উনি কেমনে পারলেন?

এই প্রশ্নের উত্তরের মধ্যেই খুঁইজা পাবেন কেমনে আমাদের এই দুই পরিচয়রে ডিল করতে হইবো।’

‘তাই, আসেন এই সব লাগালাগি বন্ধ করেন। এই বাংলাদেশ আপনাদের কোনো ক্যাম্পেরই একছত্র অধিকারে যাবে না। বাঙালী পহেলা বৈশাখেও যাবে, ঈদের জামাতেও যাবে! যার মনে যা চায়। কথা সিম্পল।’

‘এইটা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ । এইখানে বোরখা, টুপি, ধুতি, সিঁদুর, ক্রস, মসজিদ, মন্দির, সিনেমা, থিয়েটার, ইমেজ, আমেজ সব থাকবে! সবাই যার যার সীমানার মধ্যে স্বাধীনতা আর সম্মান নিয়া থাকবে।’

‘একজন আরেকজনের সীমানায় ঢুইকা জোর কইরা অন্যরে নিজের বিশ্বাস আর রুচি গেলানোর চেষ্টা করবেন না! এই বাংলায় এই ‘চুদুর বুদুর’ চইলতো ন।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

img_3211প্রেস বিজ্ঞপ্তি : পহেলা বৈশাখ উদযাপন এর মাধ্যমে তরুন প্রজন্ম বাঙালি সংস্কৃতির চেতনা ও ঐতিহ্য লালন করছে বলে মন্তব্য করেছেন খুলনা ০২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মিজানুর রহমান এমপি। গতকাল সকালে নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেজ এন্ড টেকনোলজি খুলনার বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে যোগ দিয়ে তিনি একথা বলেন। সে সময় তিনি আরও বলেন, এ  বিশ্ববিদ্যালয় শুধু শিক্ষা নয় সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলেও অনেক যুগান্তকারী কাজ করে যাচ্ছে যা অত্যন্ত প্রশংসনীয় এবং এজন্য তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান।
শুক্রবার সকালে নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেজ এন্ড টেকনোলজি খুলনার সকল শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মাচারীদের নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো: আব্দুর রউফ এর নেতৃত্বে মঙ্গল শোভাযাত্রার মাধ্যমে দিনব্যাপী বাংলা বর্ষবরণ আয়োজন শুরু হয়। শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস সংলগ্ন শিববাড়ী থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদিক্ষণ করে আবার ক্যাম্পাসে এসে শেষ হয়। পরে দিনব্যাপী  বৈশাখী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে নর্দান ইউনিভার্সিটির সাং¯কৃতিক ক্লাব এর শিল্পীরা, এতে আবহমান বাঙালি সংস্কৃতির নানা ঐতিহ্য তুলে ধরা হয়।
বিকেলে ঢাকা থেকে আগত দেশের সুপরিচিত ব্যান্ড দল ‘অদিত এন্ড ফ্রেন্ডস্’ এর পরিবেশনায় বৈশাখী কনসার্ট অনুষ্ঠিত হয়। এনইউবিটিকের দিনব্যাপী এই বৈশাখী আয়োজনে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও আভিভাবকদের পাশাপাশি নগরীর সর্বস্তরের মানুষের বিশাল  জনসমাগম ঘটে। বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের সার্বিক পৃষ্ঠপোষকতা করে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল ফোন অপারেটর বাংলালিংক।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

higmcz_jomojএকই বাসস্থান, একই খাদ্য, একই রক্ত, একই নিশ্বাস, একই ভালবাসা। মায়ের গর্ভে সব কিছুকেই আদরে ভাগ করে নেওয়া দুই যমজ। আল্ট্রাসোনোগ্রাফিতে ধরা পড়ল তাদেরই ‘ভালবাসা’র বিরল মুহূর্ত। জ্ঞান হয়নি, চোখও ফোটেনি। কিন্তু ভালবাসার বন্ধন চিনে নিয়েছে ওরা। মায়ের গর্ভেই একে অপরকে জড়িয়ে ধরে ‘চুমু’ খেল দুই যমজ। আর সেই মুহূর্তের ছবি ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়।

আমেরিকার পেনসিলভেনিয়ায় লিভ টুগেদার করেন ক্যারিসা গিল এবং তার বয়ফ্রেন্ড র‌্যান্ডি। এই মুহূর্তে ২৫ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা ক্যারিসা। সম্প্রতি বয়ফ্রেন্ড র‌্যান্ডির সঙ্গে আল্ট্রাসাউন্ড করানোর জন্য চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন তিনি। গর্ভস্থ সন্তানের অবস্থান দেখার জন্য চিকিৎসক যখন ক্যারিসার আল্ট্রাসাউন্ড করেন তখনই কম্পিউটার স্ক্রিনে ভেসে ওঠে সেই বিরল মুহূর্তের ছবি। দেখা যায় মায়ের গর্ভে পরম নিশ্চিন্তে একে অপরকে জড়িয়ে যেন চুমু খাচ্ছে ক্যারিসা-র‌্যান্ডির যমজ সন্তান।

ইতিমধ্যেই তাদের আইডেন্টিকাল দুই মেয়ের নামও ঠিক করে ফেলেছেন ক্যারিসা। যমজ মেয়ের এমন অভিনব কীর্তি দেখা অত্যন্ত খুশি র‌্যান্ডি-ক্যারিসা। আল্ট্রাসাউন্ডের ছবি হাতে আসতেই সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন ক্যারিসা।

এই সময়ের অনুভূতি বলে বোঝানো যায় না। ইসাবেলা তার বোন ক্যালিকে চুমু খাচ্ছে। আমাদের প্রিন্সেসদের দেখার জন্য আমরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি—ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা ক্যারিসার ছবির ক্যাপসন ছিল এটাই। সুত্রঃ আজাকাল

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

wuscl4_1790রাজধানীতে আজ (১৫ এপ্রিল) থেকে সিটিং সার্ভিস সেবা বন্ধ হওয়ার কথা থাকলেও তা হচ্ছে না। আরো ১০ দিন পর সিটিং সার্ভিস সেবা বন্ধ হবে বলা জানা গেছে। তবে কি কারণে এই ১০ দিন পিছিয়েছে তার সঠিক কোন জবাব নেই পরিবহন মালিক কিংবা চালকদের কাছে।

সরেজমিনে সিটিং সার্ভিস, গেইট লক, বিরতিহীন কিংবা স্পেশাল সার্ভিস সেবা নামে চলা বিভিন্ন পরিহনের চালকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, মালিক পক্ষ তাদের বলেছে আরো ১০ দিন এভাবে চলবে। আগামী ২৫ এপ্রিল এর পর থেকে তা বন্ধ হবে। তবে কারণটা জানা নাই তাদের।

মিরপুরের দুয়ারিপাড়া থেকে ছেড়ে আসা আজিমপুর গামী বিহঙ্গ পরিবহন তাদের আগের নিয়মেই ১৬ টাকা ভাড়া রাখছে। মাঝ পথে চেকার সিটিং লিখে সইও করছে। আজ থেকে সিটিং সার্ভিস বন্ধ, তবে আগের নিয়মে কেন ভাড়া নেওয়া হবে জানতে চাইলে বিহঙ্গের ওই চেকার বলেন, মালিক পক্ষ আমাদের এখানে আরো ১০ দিন ডিউটি করতে বলেছে। আগের মতোই চলবে গাড়িগুলো। শুনেছি ২৫ এপ্রিল বন্ধ হবে সিটিং সার্ভিস সেবা।

যদিও গত ৪ এপ্রিল রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে পরিবহন মালিক সমিতি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সিটিং সার্ভি বন্ধে ঘোষণা করে ঢাকা পরিবহন মালিক সমিতি। ওইদিন সমিতির পক্ষ থেকে বিআরটিএ নির্ধারিত চার্ট অনুসরণ করে ভাড়া আদায়ের কথা বলা হয় গণপরিবহনগুলোকে।

ঘোষণা অনুযায়ী আজ (১৫ এপ্রিল) থেকে গণপরিবহনগুলো সিটিং সার্ভিসের নামে অতিরিক্ত কোনো ভাড়া আদায় করতে পারবে না। অর্থাৎ আজ থেকে রাজধানীতে সিটিং সার্ভিস, গেইট লক, বিরতিহীন কিংবা স্পেশাল সার্ভিস নামে কোনো গণপরিবহন থাকছে না।

কিন্তু ঢাকা পরিবহন মালিক সমিতির ঘোষণা মানছে না অনেক মালিকই। তারা আরো ১০ দিন সিটিং সার্ভিস চালিয়ে যেতে চাইছে।

এদিকে সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েতুল্লাহ বলেন, ‘১৫ এপ্রিল (আজ) থেকে রাজধানীতে সিটিং সার্ভিস, গেইট লক, বিরতিহীন কিংবা স্পেশাল সার্ভিস নামে কোনো গণপরিবহন থাকছে না। একইসঙ্গে সব বাস বিআরটিএ নির্ধারিত চার্ট অনুসরণ করে ভাড়া আদায় করবে।’

এর আগে, পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সভায় আরও বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে জানান সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েতুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘সভায় গাড়িতে লাগানো ট্রাকের বাম্পার কিংবা অ্যাঙ্গেলও খুলে ফেলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া রঙচটা, রংবিহীন ও জরাজীর্ণ গাড়িগুলো দৃষ্টিনন্দন ও মেরামত করে রাস্তায় চালাতে হবে।’

তবে সিটিং সার্ভিসের নামে রাজধানীতে সেবা দেয়া গণপরিবহনগুলো আগের মতোই ভাড়া আদায় করছে বলে জানা গেছে। আজ সকাল ৮টার দিকে মিরপুর থেকে বনশ্রী রুটের গাড়িগুলোতে এ চিত্র দেখা গেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

hot-in-city-2চৈত্রের শেষ সপ্তাহের কয়েকদিন বৃষ্টি হওয়ায় গরম তেমন অনুভূত হয়নি। তবে বৈশাখের শুরুতেই অবস্থা পাল্টেছে। গরম বাড়ছে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে। বিশেষ করে বৃষ্টি না হওয়ার কারণে তা অসহনীয় উঠছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে তাপমাত্রা বেড়েছে ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, বৃষ্টি না হলে এ গরম আরও বাড়বে। চলতি মাসে দেশে অন্তত তিনটি তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। উত্তরবঙ্গে এর প্রভাব থাকবে সবচেয়ে বেশি। এসময় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত হতে পারে। তাপপ্রবাহের পাশাপাশি কালবৈশাখীও হতে পারে।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, দেশের উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার কারণে ঢাকাসহ সারাদেশেই তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বৃষ্টি না হলে গরম আরও বাড়তে থাকবে। কোথাও কোথাও তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুয়ায়ী, গত ৬ এপ্রিল রাজধানী থাকায় ৩৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। সেদিন ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর অার রাজধানীতে বৃষ্টি হয়নি। এক সপ্তাহের ব্যবধানে শনিবার দুপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

ঢাকার চেয়েও দেশের উত্তর, পশ্চিম ও দক্ষিণাঞ্চলে গরম আরও বেশি পড়েছে। এসব অঞ্চলের অধিকাংশ স্থানে তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে। শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে  ৩৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর পাশের জেলা খুলনায় ৩৬ দশমিক ৮, রাজশাহীতে ৩৭ দশমিক ৩, ঈশ্বরদীতে ছিল ৩৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

ফরিদপুর, টাঙ্গাইল জেলাতে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে। বৃষ্টির অভাবের সঙ্গে বাতাসে জলীয় বাষ্পের মাত্রাও কিছুটা বেশি রয়েছে ফলে এসব জায়গায় গরম বেশি অনুভূত হচ্ছে। চলতি মাসে দেশে তিনটি তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরবঙ্গে এর প্রভাব থাকবে বেশি। তাপপ্রবাহে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত ছুঁয়ে যেতে পারে। তাপপ্রবাহের পাশাপাশি কালবৈশাখীও হতে পারে।

এদিকে কালবৈশাখীর কারণে সৃষ্ট টর্নেডোর সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ সপ্তাহ কেটে গেছে। প্রতি বছর এপ্রিল মাসের ৫ তারিখ থেকে ১১ তারিখ পর্যন্ত সময় টর্নেডোর জন্য বেশি ঝুঁকিপূর্ণ থাকে। তবে, দুয়েকদিন আগে থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ সময় বিবেচনা শুরু হয়। এই ধরনের টর্নেডো ঝড়ের জন্য বেশি ঝুঁকিতে ছিলো ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ফরিদপুর ও মাদারিপুর এবং চাঁদপুর অঞ্চল।

আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, এই সময়টাতে গরম বাড়বে এটাই স্বাভাবিক। প্রতি বছরই এমনটি হয়ে থাকে। পরে বৃষ্টিপাত শুরু হলে এই তাপমাত্রা কমে আসে।

তিনি আরও বলেন, তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে মৃদু তাপপ্রবাহ বলা হয়, ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস উঠলে মাঝারি ও ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে এটিকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়। এখন যে ধরনের তাপপ্রবাহ চলছে, সারা দেশে তা রাজধানী ঢাকাতেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। এর সঙ্গে বৃষ্টি না হওয়ায় গরম বাড়ছে। এটি আরও বাড়তে পারে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1491814022মিসর মানেই রহস্যে ঘেরা একটি দেশ। নিত্যনতুন পিরামিড এবং তার ভেতরকার মমি আবিষ্কার দেশটিকে আলাদা করে রেখেছে অন্য দেশ থেকে। বিজ্ঞান সাময়িকী ইনভার্সের এক খবরে জানা যায়, মিসরীয় একটি প্রত্নতত্ত্বের দল সম্প্রতি প্রায় তিন হাজার ৭০০ বছরের পুরোনো একটি পিরামিডের সন্ধান পেয়েছে।

পিরামিডটি খ্রিস্টপূর্ব ১৬৮০ সালের। অথচ মিসরে মানবসভ্যতার বিকাশ ঘটেছে খ্রিস্টপূর্ব ৩১৫০ সালে। পিরামিডটি সম্ভবত ১৩তম রাজবংশীয় বলে ধারণা করছেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা। কিন্তু তখনকার খুব অল্প নিদর্শন টিকে থাকার ফলে সে সময় সম্পর্কে খুব কম জানেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা। তবে নব্য আবিষ্কৃত এই পিরামিডের গঠন এখনো ভালো অবস্থায় রয়েছে এবং এটি ধারণ করছে বৃহৎ হায়ারোগ্লিফিকস নিদর্শন। বর্তমানে গবেষকরা এর পাঠোদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

মিসরের পুরাতত্ত্ব মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা আদেল ওকাশা বলেছেন, ‘এখন আমাদের প্রত্নতত্ত্বিক মিশনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে হায়ারোগ্লিফিকস লেখাগুলোর পাঠোদ্ধার করা। পাশাপাশি আমরা এর খননকার্যও চালিয়ে যাব, যাতে করে পিরামিডটির বাকি অংশ এবং এর পেছনের গোপন তথ্য বের করতে পারি।’

প্রত্নতত্ত্ববিদরা এখনো পিরামিডটির সঠিক আকার নির্ধারণ করতে পারেননি। এ ছাড়া পিরামিডটি মাটির নিচে কতটুকু রয়েছে, তা-ও আন্দাজ করা সহজ হচ্ছে না। যতদূর তাঁরা খনন করেছেন, তাতে করে পিরামিডটির করিডোর, অভ্যন্তরীণ দেয়াল, ঢালু পথ, কলামের মতো বাইরের অংশই বের হয়ে এসেছে।

হায়ারোগ্লিফিকস লেখার অনুবাদগত ত্রুটির কারণে এই নতুন আবিষ্কৃত পিরামিডটির সঙ্গে কায়রোর দক্ষিণে ‘দাশহুর’ সমাধির তুলনা করা হচ্ছিল। দাশহুরের বিখ্যাত ‘বেন্ট পিরামিড’ (২৬০০ খ্রিস্টপূর্ব) ছিল মিসরের দৃশ্যমান পিরামিডগুলো বানানোর প্রাথমিক ধাপ। এই পিরামিডটির দেয়াল একটি কোণ সৃষ্টি করে। ঐতিহাসিকরা মনে করেন, এর নির্মাণশ্রমিকরা এটি নির্মাণের মাঝখানে এর গাঠনিক অস্থায়িত্বের কারণে এর গঠন বদলাতে চেয়েছিলেন।

তবে নতুন আবিষ্কৃত পিরামিডটি এর হাজার বছর পরে নির্মিত হয়। বেন্ট পিরামিডের সম্ভবত ৯০০ বছর পরে এই পিরামিড নির্মাণের কাজে হাত দেওয়া হয়। এটি মূলত মধ্যযুগীয় রাজত্বের শেষ সময়ে ছিল, যখন প্রাচীন মিসরীয়রা সবাই মিলে পিরামিড বানানো বন্ধ করে দিয়েছিল।

গবেষকরা এখনো নিশ্চিত হতে পারছেন না, কাকে এখানে কবর দেওয়া হয়েছে। পিরামিডটির নতুন গঠন দেখে একটি জাঁকজমকপূর্ণ সমাধি বলেই ধারণা করছেন গবেষকরা। যদিও এর আগে দাশহুরের সমাধিতে উচ্চপদস্থ রাজসভাসদদের কবর পাওয়া গিয়েছিল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

2dce0261ac00bcbe768f0ddd0c863e3e-58f18bc4b521fউত্তর কোরিয়ায় সঙ্গে যেকোনো সময় সংঘাত বাধতে পারে বলে আশঙ্কা করছে চীন। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেন, যুদ্ধ বাধলে কেউ জিতবে না। এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার বিবিসির খবরে জানানো হয়, উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্রের উন্নয়ন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের চলমান উদ্বেগ এবং কোরীয় উপদ্বীপে মার্কিন রণতরি পাঠানোর পরিপ্রেক্ষিতে এমন মন্তব্য করলেন ওয়াং।

চীনের আশঙ্কা, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধ বাড়লে তাদের সীমান্তবর্তী অঞ্চল হুমকির মুখে পড়বে।

চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং বলেন, ‘আমি মনে করি, এই পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট সবার সতর্ক হওয়া উচিত।’ তিনি আরও বলেন, ‘কথায় বা আচরণে একে অন্যকে হুমকি দেওয়া এবং চটানো থেকে বিরত থাকতে সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, যাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে না যায়।’771e580489823cbc67d0ebaf8cb4d246-58f1a36a7604d

গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘উত্তর কোরিয়ার সমস্যা খতিয়ে দেখা হবে। যদি চীন সহায়তা করতে চায়, তাহলে খুব ভালো হবে। যদি না করে, তাহলে চীনের সাহায্য ছাড়াই উত্তর কোরিয়ার সমস্যা আমরা সমাধান করব।’ উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনী গতকাল বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের উসকানি ভন্ডুল হয়ে যাবে।

উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ সে দেশের সেনাবাহিনীর বিবৃতি ইংরেজি ভাষায় প্রচার করেছে। এতে বলা হয়েছে, ‘যুক্তরাষ্ট্র এবং তাদের বাহিনীর বিরুদ্ধে আমরা পাল্টা ব্যবস্থা নেব। হামলাকারীদের টিকতে দেওয়া হবে না। উত্তর কোরিয়া তাদের নির্দয় আচরণ মেনে নেবে না।’

উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র উৎক্ষেপণের সক্ষমতা নিয়ে ওয়াশিংটন বেশ কিছুদিন ধরেই উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে। ট্রাম্প ও চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বিষয়টি নিয়ে ফোনালাপ করেছেন। মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলেছে, উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপের বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest