সর্বশেষ সংবাদ-
নিখোঁজ স্বামীর সন্ধান পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন অসহায় স্ত্রী রুবিনাআশাশুনিতে কৃষকদের মাঝে কৃষি সামগ্রী বিতরণআশাশুনিতে শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়ন শীর্ষক মতবিনিময়দেবহাটায় ওয়ার্ল্ড ভিশনের রাইট টু গ্রো প্রকল্পের নীতি সংলাপআশাশুনিতে ঝুঁকিহ্রাস কর্ম পরিকল্পনা অনুমোদনকরণ কর্মশালাজলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যুব উদ্যোক্তা তৈরিতে সাতক্ষীরায় অবহিতকরণ সভাসাতক্ষীরায় জেন্ডার বৈষম্যহীন ও অধিকারভিত্তিক য²া পরিসেবা প্রদানে সামাজিক অর্ন্তভূক্তির জন্য সেমিনারএ্যাডভোকেট সাইফুল হত্যার প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের বিক্ষোভচিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবিতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধনআমীরে জামায়াতের সাতক্ষীরায় আগমন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা

1474970148আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আমেরিকায় এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রচারাভিযানকে ঘিরে রয়েছে দুই প্রার্থীর মধ্যে ব্যক্তিত্বের লড়াই। নীতির পার্থক্য নিয়ে দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে লড়াই সেভাবে সামনে আসেনি। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি মূল ইস্যুতে হিলারি ক্লিন্টন আর ডোনাল্ড ট্রাম্পের কার অবস্থান কোথায়?
অভিবাসন:
এটাকেই ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্যবহার করছেন তার তুরুপের তাস হিসাবে। আমেরিকা আর মেক্সিকো সীমান্তে দু হাজার মাইলের বেশি দুর্ভেদ্য দেওয়াল তুলে দেবার যে আহ্বান মি: ট্রাম্প জানিয়েছেন। তার সমালোচকরা যদিও বলছেন তা অবাস্তব এবং বিশাল ব্যয়সাপেক্ষ। কিন্তু তার এই আহ্বানে সমর্থন রয়েছে রিপাবলিকান দলের।

মি: ট্রাম্প বৈধ অভিবাসন কমানোর কথা বলেছেন।
তিনি বলেছেন, নথিবিহীন যেসব অভিবাসীকে নিজের দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া প্রেসিডেন্ট ওবামা নির্বাহী ক্ষমতা ব্যবহার করে পেছিয়ে দিয়েছেন তিনি তা আবার চালু করার পক্ষে। অবৈধ যেসব অভিবাসী আমেরিকায় বসবাস করছে। তাদের সংখ্যা কমাতে কঠোর ব্যবস্থা নিতে চান তিনি।

মি: ট্রাম্প আগে বলেছিলেন আমেরিকার মাটিতে যে এক কোটি ১০ লাখের বেশি নথিবিহীন অভিবাসী রয়েছে, তাদের তিনি দেশত্যাগে বাধ্য করবেন এবং সমস্ত মুসলমানের আমেরিকায় ঢোকা বন্ধ করে দেবেন- সে বক্তব্য থেকে তিনি আপাতত সরে এসেছেন। কিন্তু তার এই নীতি তিনি পরিত্যাগ করেননি।

হিলারি ক্লিন্টন বলেছেন, আমেরিকায় নথিবিহীন যেসব অভিবাসী ও তাদের পরিবার দীর্ঘদিন ধরে বাস করছেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা একপাক্ষিকভাবে নির্বাহী ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে তাদের থাকার বিষয়কে বৈধতার দেবার যে পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি সেই প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে চান।

মিসেস ক্লিন্টন অভিবাসন নীতির সার্বিক সংস্কারের আহ্বান জানিয়েছেন। যার মধ্যে রয়েছে বৈধ কাগজপত্র ছাড়া আমেরিকায় আছেন, তাদের স্থায়ী ও বৈধভাবে দেশটিতে থাকার এবং তাদের মার্কিন নাগরিকত্ব দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া। বেসরকারিভাবে পরিচালিত আটককেন্দ্রের তিনি বিরোধী এবং বলেছেন দেওয়াল তোলা সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য একটি ”মূর্খ পদক্ষেপ”।

পররাষ্ট্র নীতি:

হিলারি ক্লিন্টন মার্কিন সেনেটার এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে তার কার্যকালে পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে বেশ কট্টরপন্থী বলে পরিচিতি পেয়েছেন। তিনি ইরাকে আমেরিকান যুদ্ধের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। অবশ্য এখন তিনি বলছেন তার আগের ওই অবস্থানের জন্য তিনি অনুশোচনা করেন।

ওবামা প্রশাসনের মধ্যে যারা লিবিয়ায় মার্কিন বিমান হামলা চালানোর পক্ষে তদ্বির করেছেন মিসেস ক্লিন্টন তাদের মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছেন।

সিরিয়ায় কথিত ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমেরিকার বিস্তৃত ভূমিকা নেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন তিনি। এর মধ্যে রয়েছে বিমান চলাচল নিষিদ্ধ এলাকা জারি করা এবং সিরীয় বিদ্রোহীদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া। তবে তিনি বলেছেন সিরিয়ায় স্থল সৈন্য মোতায়েনের তিনি বিপক্ষে।

তিনি কুর্দী পেশমের্গা যোদ্ধাদের সশস্ত্র অভিযানে সমর্থন দিয়েছেন। আফগানিস্তানে আমেরিকান সেনা উপস্থিতি বজায় রাখার পক্ষে তিনি এবং নেটোয় আমেরিকার ভূমিকাকেও তিনি সমর্থন করেন। মিসেস ক্লিন্টন মনে করেন নেটো জোটে থাকাটা ইউরোপীয় মিত্রদের হাত শক্ত করার এবং রুশ শক্তির বিরোধিতা করার জন্য প্রয়োজন।

ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরাক যুদ্ধের এবং মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক পদক্ষেপের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন গোড়া থেকেই তিনি ইরাক যুদ্ধের বিরোধী ছিলেন, যদিও তার এই বক্তব্যের সমর্থনে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় নি।

মিঃ ট্রাম্প রুশ নেতা ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলার প্রতি জোর দিয়েছেন। তিনি বলেছেন আমেরিকা ইউরোপ আর এশিয়ায় মিত্র অবশ্যই চায়।

কিন্তু এসব দেশকে এই জোটে থাকার জন্য তাদের জাতীয় বাজেট থেকে তাদের ভাগের অর্থ দিতে হবে। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র নীতিতে সবসময়েই আমেরিকার স্বার্থকে সবার উপরে রাখতে হবে।

অন্যদিকে, মিঃ ট্রাম্প আই এস দমনে কঠোর অবস্থান ব্যক্ত করেছেন এবং কোনো কোনো সময় এমন কথাও বলেছেন যে আইএস-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমেরিকার কয়েক হাজার স্থল সেনা পাঠানো উচিত।

তিনি বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে সন্ত্রাস মোকাবেলায় নেটোর আরো ভূমিকা রাখা উচিত। তিনি যুক্তি দেখিয়েছেন নেটো জোটের ব্যয়ের একটা বড় অংশ দেয় আমেরিকা। তার বক্তব্য জোটের সদস্যদের নিজেদের নিরাপত্তার জন্য আরও অর্থ ব্যয় করা উচিত।

শরণার্থী:
ডোনাল্ড ট্রাম্প হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন যে কোনো কোনো এলাকা- যেমন মধ্যপ্রাচ্য এবং বিশেষ করে মুসলিম দেশগুলো থেকে শরণার্থী নেওয়া আমেরিকার জন্য বড়ধরনের জাতীয় নিরাপত্তা হুমকি তৈরি করবে। তার বক্তব্যের স্বপক্ষে যুক্তি দেখিয়ে তিনি বলেছেন সিরীয় শরণার্থীরা প্রধানত তরুণ অবিবাহিত পুরুষ।

তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র যতক্ষণ পর্যন্ত না “কঠোর বাছাই” প্রক্রিয়া চালু করতে পারছে, ততক্ষণ আমেরিকায় বাস করতে ইচ্ছুক কোনো শরণার্থী গ্রহণের প্রক্রিয়া আমেরিকাকে স্থগিত রাখতে হবে।

তিনি চান চরমপন্থীদের শনাক্ত করার জন্য এই বাছাই প্রক্রিয়ায় মতাদর্শের পরীক্ষাও অর্ন্তভূক্ত করা উচিত।

তিনি জোর দিয়ে বলেছেন মধ্যপ্রাচ্যে সহিংসতা থেকে যারা পালাচ্ছে তাদের জন্য নিরাপদ এলাকা তৈরি করতে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোরই আরও উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিত।

উল্লেখ্য, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো ইতিমধ্যেই কয়েক লক্ষ সিরীয় ও ইরাকী শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে।

হিলারি ক্লিন্টন আমেরিকায় সিরীয় শরণার্থীর সংখ্যা বাড়ানোর কথা বলেছেন। তিনি চাইছেন যুক্তরাষ্ট্রে সিরীয় শরণার্থীর বর্তমান সংখ্যা যা বছরে ১০ হাজার, তা বাড়িয়ে ৬৫ হাজারে উন্নীত করতে। মিঃ ট্রাম্প ইতিমধ্যেই বলেছেন এটা ৫৫০ শতাংশ বৃদ্ধি।

তবে তিনিও বলেছেন, যে শরণার্থীদের “সতর্কতার সঙ্গে যাচাই-বাছাই” করতে হবে। কোনো দেশে আশ্রয় নেওয়ার জন্য বর্তমান আবেদন প্রক্রিয়ায় এখনই বেশ কয়েকটি স্তর রয়েছে এবং শরণার্থীরা জানেন না কোনো দেশে তাকে আশ্রয় দেওয়া হবে।

মিসেস ক্লিন্টন বলেছেন, সহিংসতা এবং দমনপীড়ন থেকে পালানো মানুষদের স্বাগত জানানোর ইতিহাস আমেরিকার আছে এবং তিনি সেই ধারা অব্যাহত রাখতে চান।

জলবায়ু পরিবর্তন:

পরিবেশ বিষয়ে হিলারি ক্লিন্টন ডেমোক্রাটিক পার্টির মূলধারার নীতিতেই বিশ্বাসী। তিনি মনে করেন জলবায়ু পরিবর্তন আমেরিকার নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকির কারণ এবং জ্বালানি শিল্পের ক্ষেত্রে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপের পক্ষপাতী তিনি।

আলাস্কায় তেলের জন্য অতিরিক্ত মাত্রায় খনন এবং ক্যানাডা থেকে তেল আনার জন্য পাইপলাইন নির্মাণের তিনি বিরোধী। তবে ফ্র্যাকিং অর্থাৎ তেল অনুসন্ধানের জন্য খনন বন্ধ রাখার জন্য পরিবেশবাদীদের দাবিতে তিনি কিছুটা বিরক্তি প্রকাশ করেছেন।

ডোনাল্ড ট্রাম্প তার ওয়েবসাইটে পরিবেশ বিষয়ে কোনো অবস্থান তুলে ধরেননি। তার ভাষণে এবং বিতর্কে তিনি পরিষ্কার করে দিয়েছেন যে “রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের” জন্য পরিবেশের দোহাই দিয়ে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিকর নিয়মকানুন তৈরির তিনি বিরোধী।

তিনি পরিবেশ দূষণমুক্ত রাখার পক্ষে। কিন্তু এনভায়রমেন্টাল প্রোটেকশান এজেন্সির তহবিল তিনি ছাঁটতে চান। মানুষের কারণে জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে এই ধারণাকে তিনি মনে করেন “ভূয়া”। তিনি বলেছেন জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় নেওয়া প্যারিস চুক্তি ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক চুক্তি তিনি “বাতিল” করে দিতে চান।

গর্ভপাত:

হিলারি ক্লিন্টন গর্ভপাত বিষয়ে ডেমোক্রাট দলের বর্তমান নীতিই অব্যাহত রাখতে আগ্রহী। বিশ সপ্তাহ গর্ভাবস্থার পর গর্ভপাত ঘটানো যাবে না এমন কোনো নিয়ম চালু করার তিনি বিরোধী।

গর্ভপাত যারা করেন তাদের কার্যকলাপের ওপর আরো বিধিনিষেধ আরোপ করে আইন প্রণয়নের তিনি বিরোধী। যুদ্ধের সময় ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এমন নারীদের গর্ভপাতের ব্যবস্থা করে যেসব বেসরকারি সংস্থা তাদের কেন্দ্রীয় সরকারি তহবিল থেকে অনুদান দেওয়ার পক্ষে হিলারি ক্লিন্টন।

কেন্দ্রীয় তহবিল থেকে প্ল্যানড পেরেন্টহুড নামে নারীদের স্বাস্থ্যসেবাদানকারী একটি প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া অর্থসাহায্য সম্প্রতি কাটছাঁট করার সমালোচনা করেছেন মিসেস ক্লিন্টন।

তিনি বলেছেন, এই স্বাস্থ্যসেবার আওতায় গর্ভপাতও পড়ে।

মার্চ মাসে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন গর্ভপাত অবৈধ করা উচিত। তিনি বলেন, যেসব মহিলা গর্ভপাত করান তাদের জন্য “কোনো না কোনো ধরনের শাস্তির” ব্যবস্থার তিনি পক্ষে। তবে তিনি এধরনের বক্তব্য প্রথমে করলেও মিঃ ট্রাম্পের প্রচারণা দপ্তর কিছুদিনের মধ্যেই এই বিবৃতি প্রত্যাহার করে নেয়। তাদের প্রার্থী মিঃ ট্রাম্প মনে করেন- গর্ভপাতের বৈধতার প্রশ্নটি বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের ওপর ছেড়ে দেয়া উচিত। যারা গর্ভপাত করছে কোনরকম ফৌজদারি সাজা তাদেরই দেয়া উচিত।

মিঃ ট্রাম্প বলেন, “ধর্ষণ, অজাচার এবং প্রসূতির জীবনসঙ্কট”এর বেলায় তিনি ব্যতিক্রম হিসাবে গর্ভপাতকে গ্রহণ করতে রাজি আছেন। প্ল্যানড পেরেন্টহুড সংস্থার তহবিল তিনি বন্ধ করে দিতে চান। ২০০০ সাল পর্যন্ত মিঃ ট্রাম্প গর্ভপাতকে সমর্থনই করেছেন।

কিন্তু তিনি বলেছেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রেগানের মত তিনি এখন এ ব্যাপারে তার মত বদলেছেন। -বিবিসি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1478366517নিজস্ব প্রতিবেদক: দক্ষিণ-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি আজ রোববার সকালে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
বৈরী আবহাওয়ার কারণে শুধু বরিশাল বোর্ডের অধীনে থাকা শিক্ষার্থীদের আজকালের জেএসসি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। পরীক্ষার পরিবর্তিত তারিখ ১২ নভেম্বর।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল আছে। নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করছে।  সারা দেশে সব ধরনের নৌ চলাচল বন্ধ আছে।
পটুয়াখালীতে বঙ্গোপসাগরে ঝড়ো হাওয়ায় দুটি ট্রলার ডুবে গেছে। এতে তিন জেলে নিখোঁজ রয়েছে এবং ৩৩ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ট্রলার মালিক সমিতি। দেশের প্রায় সব কটি অঞ্চলে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হচ্ছে। ভোলায় নিম্নচাপের প্রভাবে ভারি বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ো হাওয়া বইছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের নির্দেশে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, খুলনাসহ উপকূলীয় এলাকায় ভারি থেকে অতিভারি বর্ষণসহ ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষ্ণীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে দুই থেকে তিন ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
উপকূলের এসব অদূরবর্তী জেলা, দ্বীপ ও চরাঞ্চলে বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। উত্তর বঙ্গোপসাগরের সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1478365288নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, জনগণকে ভয় পায় বলেই ৭ নভেম্বর জনসভা করতে দিচ্ছে না সরকার। বিএনপি সময়মতো মাঠে নামবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
শনিবার রাতে রাজধানীর গুলশানের নিজ কার্যালয়ে মহিলা দলের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন উপলক্ষে সংগঠনটির নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
খালেদা জিয়া বলেন, দেশে শুধু গণতন্ত্র নয়, বিচার বলেও এখন কিছু নেই। সাংবিধানিক সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে সরকার- এমন অভিযোগ করে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, নির্বাচন ব্যবস্থাকেও পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে সরকার। ১০ টাকার চাল নিয়ে হরিলুট চলছে বলেও অভিযোগ করেন বেগম জিয়া।
জ্যেষ্ঠ নেতাদের উপদেষ্টা কমিটিতে রেখে মহিলা দলকে পুনর্গঠন করার নির্দেশের পাশাপাশি তাদের রাজপথে নামার প্রস্তুতি নেওয়ারও নির্দেশ দেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
খালেদা জিয়া বলেন, ‘৭ নভেম্বর, আজকে একটা সভা করব, জনসভা। তারা (আওয়ামী লীগ) করেছে, তারা করতে পারে। কিন্তু আমাদের করতে দিতে চায় না। ভয় পায়। সেখানে জনগণ আসে। পয়সা দিয়ে লোক আনতে হয় না। বা ওই সব গুণ্ডাপাণ্ডা আনতে হয় না। সেই সমাবেশ এত ভালো হয় সেটা দেখে ভয় পায়। এভাবে মানুষকে দীর্ঘদিন ধরে রাখা যায় না। মানুষের মুখ বন্ধ করে রাখা যায় না। তেমনি মানুষকে দীর্ঘদিন ধরে ঘরের ভেতর বন্দি করে, এই ঘরের ভেতরে কর্মসূচি সেটাও করতে দেওয়া যাবে না। আমাদের বের হতে হবে সময়মতো। আমরা বের হব। কর্মসূচি পালন করব। জনগণকে আমরা সাথে পাব, এই বিশ্বাস আমাদের আছে।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1478345450বিনোদন ডেস্ক: তৃতীয়বারের মতো  জুটি বেঁধে অভিনয় করতে চলেছেন শাহরিয়াজ ও তমা মির্জা। আলম আশরাফ পরিচালিত ‘কে’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য তাঁরা চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। এর আগে দেবাশীষ বিশ্বাস পরিচালিক ‘চল পালাই’ ছবিতে এই দুজনকে দেখা গিয়েছিল। এ ছাড়া ‘অ্যাডিকশন’ নামে আরেকটি ছবির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

শাহরিয়াজ বলেন, “আমরা একসঙ্গে এরই মধ্যে দুটি ছবিতে কাজ করেছি। দেবাশীষ বিশ্বাস পরিচালিত ‘চল পালাই’ এবং এম কে জামাল পরিচালিত ‘অ্যাডিকশন’ নামে আরেকটি ছবিতে কাজ করেছি। দুটি ছবিরই শুটিং কিছুটা বাকি আছে। তা ছাড়া আমরা অনেক ভালো বন্ধু, আমাদের বোঝাপড়া অনেক ভালো, যে কারণে দর্শক আমাদের রসায়ন ভালো বুঝবেন।”

শাহরিয়াজ বর্তমানে জাজ মাল্টিমিডিয়ার ‘মেয়েটি এখন কোথায়’ ছবিতে রাজা চরিত্রে অভিনয় করছেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি জাজের কাছে কৃতজ্ঞ কারণ তারা আমাকে অন্য রকম একটি চরিত্রে কাজ করাচ্ছে। কারণ নায়করা লুঙ্গি পরে শুটিং করে এটি অতীতে দেখেছি, বর্তমানে কোনো নায়ককে লুঙ্গি পরে অভিনয় করতে দেখিনি। আমার কাছে বিষয়টা ভালো লেগেছে।’

শাহরিয়াজ আরো বলেন, ‘আমরা ছবির শুটিংয়ে আগামীকাল মানিকগঞ্জ যাচ্ছি। সেখানে একদিনে শুটিং হবে। আগামী সোমবার ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1478339825স্বাস্থ্য ও জীবন: আপনি কী কৃত্রিম উপাদানে তৈরি বডি ওয়াশ ব্যবহার করতে করতে বিরক্ত? এখন প্রাকৃতিক কিছু খুঁজছেন? তাহলে আপনার জন্য আজকের আয়োজনে থাকছে কীভাবে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে ঘরোয়া পদ্ধতিতে বডি ওয়াশ তৈরি করবেন, যার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে অনলাইন বিউটি সাইট ‘স্টাইল ক্রেজ ডটকম’-এ। চলুন একবার জেনে আসি।

হানি বডি ওয়াশ
যা যা লাগবে : কাস্টাইল সোপ(তরল) আধা কাপ, মধু সিকি কাপ, নারিকেল তেল সিকি কাপ ও এসেনশিয়াল ওয়েল ১০ থেকে ১৫ ফোঁটা।

যেভাবে ব্যবহার করবেন
মধু, নারিকেল তেল ও এসেনশিয়াল অয়েল একসঙ্গে ঝাঁকিয়ে মিশিয়ে নিন। আপনি চাইলে এক চা চামচ ভিটামিন ই অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। এরপর অল্প অল্প করে সোপ মিশিয়ে নাড়তে থাকুন। একটি বোতল বা কৌটায় ভরে রেখে দিন এবং প্রতিবার ব্যবহারের আগে ঝাঁকিয়ে নিন। এই বডি ওয়াশটি ত্বককে কোমল ও মসৃণ করতে সাহায্য করবে।

কোকোনাট অয়েল বডি ওয়াশ
যা যা লাগবে : কাস্টাইল সোপ দুই কাপ, নারিকেল তেল তিন টেবিল চামচ, গোলাপজল এক কাপ ও ল্যাভেন্ডার অয়েল ১৫ থেকে ২০ ফোঁটা।

যেভাবে ব্যবহার করবেন
একটি পাত্রে সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে ভালো ভাবে ঝাঁকিয়ে নিন। বোতলে ভরে সংরক্ষণ করে রাখুন এবং প্রতিবার ব্যবহারের আগে ভালো করে ঝাঁকিয়ে নিন। মুখের ত্বকের যত্নে এই বডি ওয়াশটি আপনি মুখেও ব্যবহার করতে পারেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

মাহফুজুর রহমান তালেব: বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত  নিন্ম চাপ “নাডা” ঘনিভূত হয়ে গভীর নিন্ম চাপে পরিণত হওয়ায়  ৪ নং স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এব্যপারে ৫ নভেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সাতক্ষীরা-০৪ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য এবং দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য স.ম. জগলুল হায়দার হরিনগর বাজারে উপস্থিত হয়ে এলাকাবাসীর সতর্কতা মূলক একটি পথসভা করেন। পথ সভায় তিনি বলেন, আপনারা আবহাওয়ার সংবাদ ও গতিবিধির উপর লক্ষ্য রাখুন। যদি আবহাওয়া এর চেয়ে খারাপ হয় তা হলে সল্পতম সময়ের মধ্যে যাতে সবাই আশ্রয় কেন্দ্রগুলিতে যেতে পারে সে ব্যবস্থা করবেন। তবে আল্লাহর অশেষ রহমত সুন্দরবন আমাদের ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব থেকে অনেকাংশে রক্ষা করে। তিনি হরিনগরস্থ বনশ্রী শিক্ষা নিকেতনে একটি সাইক্লোন সেল্টার নির্মানের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। দূর্যোগপূর্ব মুহুর্তে কোন সংসদ সদস্য এলাকায় এসে সতর্ক করার ঘটনা এটিই প্রথম। উক্ত পথ সভায় মুন্সীগঞ্জ ইউপি সদস্য শেখ গোলাম মোস্তফা, মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়ন সিপিপি সভাপতি জগদীশ মন্ডল, সাংবাদিক এস.কে সিরাজ, মাহফজুর রহমান, তৌহিদুর রহমান, আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল রাজ্জাক, জি.এম মিজানুর রহমানসহ বহু এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

picture
কালিগঞ্জ ব্যুরো: মুসলিম রেঁনেসার অগ্রদূত দানবীর, প্রাক্তন জেলা পরিষদের (খুলনা) সদস্য, খাঁন বাহাদুর আহ্ছানউল্লা (র.) এর ছোট ভাই, বিশিষ্ট সমাজসেবক খান বাহাদুর মোবারক আলীর ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী শনিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। মৃতবার্ষিকী উপলক্ষে নলতা কেন্দ্রীয় আহ্ছানিয়া মিশনের উদ্যোগে বাদ জোহর নলতা শরীফ শাহী জামে মসজিদে মিলাদ মাহফিল ও কাঙ্গালী ভোজের আয়োজন করা হয়। উল্লেখ্য, খানবাহাদুর মোবারক আলী দেশ ও মানুষের কল্যাণে অনেক কাজ করে গেছেন। তিনি গরিব রোগীদের চিকিৎসার জন্য নিজ অর্থে ডাক্তারখানা ও স্টাফ কোয়াটার নির্মাণ, নলতা প্রাইমারি স্কুল (বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়) স্থাপন, কুলিয়া নদীর উপর লোহার ব্রীজ নির্মাণ, মোবারক আলী জুনিয়ার মাদ্রাসা স্থাপন, নলতা মোবারক নগর কমিউনিটি হল স্থাপন, সাতক্ষীরা কো-অপারেটিভ ব্যাংক স্থাপন, নলতা নৈশ বিদ্যালয় স্থাপন, বিল গুল্লের খালের বাঁধ, তারালী খালধার ও বেড়ীবাঁধ, নলতা  মোবারকনগর ডাকঘর, নলতা ইউনিয়ন পরিষদ, নলতা মা ও শিশু হাসপাতাল, পাকা রাস্তাসহ ও বহু মসজিদ নির্মাণ করে গেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

শ্যামনগর ব্যুরো: শনিবার শ্যামনগর উপজেলার সমবায় অধিদপ্তরের আয়োজনে ৪৫ তম জাতীয় সমবায় দিবস- ২০১৬ পালন উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। “সমবায়ের দর্শন, টেকসই উন্নয়ন” শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু সায়েদ মোঃ মনজুর আলম। স¦াগত রাখেন সমবায় কর্মকর্তা মোঃ আকরাম হোসেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা খাঁন হাবিবুর রহমান, পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা এস,এম,এ সোহেল, নওয়াবেঁকী গণমূখী ফাউন্ডেশন নির্বাহী পরিচালক লুৎফর রহমান, প্রেসক্লাবের সভাপতি আকবর কবীর, সাধারণ সম্পাদক জাহিদ সুমন প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest