নলতা প্রতিনিধি: জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা শরীফে পীর-এ কামেল অবিভক্ত বাংলা ও আসামের শিক্ষা বিভাগের সহকারী পরিচালক, ঐতিহাসিক,দার্শনিক,‘‘স্রষ্টার এবাদত ও সৃষ্টের সেবা” ব্রত নিয়ে চলা নলতা কেন্দ্রীয় আহ্ছানিয়া মিশনের প্রতিষ্ঠাতা সুলতানুল আউলিয়া,কুতুবুল আকতাব,গওছে জামান,আরেফ বিলাহ,হজরত শাহ্ ছুফী আলহাজ্জ খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা (রঃ) এঁর ৫৩ তম বার্ষিকী ৩ দিন ব্যাপী পবিত্র ওরছ শরীফ আগামী ইং ৮,৯,১০ ফেব্রুয়ারি-২০১৭,বাং ২৬,২৭,২৮ মাঘ-১৪২৩ নলতা পাক রওজা শরীফের খাদেম আলহাজ্জ মৌঃ আনছার উদ্দীন আহমদ’র সুনিপন তত্তা¡বধানে ও নলতা কেন্দ্রীয় আহ্ছানিয়া মিশনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় নলতা পাক রওজা শরীফ প্রাঙ্গণে যথাযোগ্য ধর্মীয় ভাবগম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত ওরছ শরীফের ১ম দিন ৮ ফেব্রুয়ারি বুধবার বাদ ফজর হতে পাক রওজা শরীফে খতমে কোরআন মজিদ,মিলাদ শরীফ ও কুতুবুল আকতাব হজরত হাজী হাফেজ সৈয়দ ওয়ারেছ আলী শাহ (রঃ) এঁর রুহের উপর ছওয়াব রেছানী। সকাল সাড়ে ৯ টা হতে পাক রওজা শরীফে হজরত শাহসুফী আলহাজ্জ খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা (রঃ) এঁর বেছাল শরীফ উপলক্ষে কলেমাখানি ও কুলখানি। বিকাল ৫ টা হতে হজরত খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা (রঃ) এঁর জীবনাদর্শন সম্পর্কে আলোচনা। রাত ১১ টা হতে হজরত রাসুলে করিম (সঃ) ও আউলিয়াগণের জীবনাদর্শন সম্পর্কে আলোচনা। ভোর ৪ টা হতে তাহাজ্জুদ নামাজ, ফজরের নামাজ ও মোনাজাত। ২য় দিন ৯ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বাদ ফজর হতে পাক রওজা শরীফে খতমে কোরআন মজিদ,মিলাদ শরীফ ও হজরত শাহ্ছুফী সৈয়দ গফুর শাহ আল্ হোচ্ছামী (রঃ) এঁর পাক রুহের উপর ছওয়াব রেছানী এবং কুতুবুল আকতাব হাজী হাফেজ সৈয়দ ওয়ারেছ আলী শাহ (রঃ) এঁর রুহের উপর ছওয়াব রেছানী এবং পীর কেবলা হজরত খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা (রঃ) এঁর আত্মীয়-স্বজন ও ভক্তবৃন্দের রুহের মাগফেরাত কামনা। বিকাল ৩ টা হতে হজরত রাসুলে করিম (সঃ) ও আউলিয়াগণের জীবনাদর্শন সম্পর্কে আলোচনা। ভোর ৪ টা হতে তাহাজ্জুদ নামাজ,ফজরের নামাজ ও মোনাজাত। ১০ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বাদ ফজর হতে পাক রওজা শরীফে খতমে কোরআন মজিদ,কলেমাখানি,মিলাদ শরীফ ও হজরত শাহ্সুফী আলহাজ্জ খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা (রঃ) এঁর পাক রুহের উপর ছওয়াব রেছানী,বিশ্ব মুসলিম উম্মার জন্য দোয়ার অনুষ্ঠান ও আখেরী মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত ওরছ শরীফে হাজির হয়ে দো-জাহানের অশেষ নেকি হাসিল করার জন্য নলতা কেন্দ্রীয় আহ্ছানিয়া মিশন কর্তৃপক্ষ সকলকে আহবান জানিয়েছেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক: এসএসসি, দাখিল ও এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষার প্রথম দিনে অনুপস্থিত ১৬৭জন। প্রথমদিনে জেলায় মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২১ হাজার ৭শত ০১ জন। এর মধ্যে উপস্থিত ছিল ২১ হাজার ৫ শত ৩৪ জন। অনুপস্থিত ছিল ১ শত ৬৭ জন এবং বহিস্কার ০৩ জন। জেলায় মোট ২৩টি এসএসসি কেন্দ্রে প্রথমদিনের বাংলা ১ম পত্র পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৬ হাজার ১ শত ৬৪ জন। এর মধ্যে উপস্থিত ১৬ হাজার ১ শত ১১ জন এবং অনুপস্থিত ছিল ৫৩ জন। এস এস সি (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় মোট ৭টি কেন্দ্রে প্রথমদিনের বাংলা-২ পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৪৫ জন। এর মধ্যে উপস্থিত ছিল ১ হাজার ৩২ জন, অনুপস্থিত ছিল ১৩ জন এবং বহিস্কার ০১ জন। দাখিল পরীক্ষার ১০ টি কেন্দ্রে প্রথমদিনের কুরআন মাজিদ ও তাজবীদ পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪ হাজার ৪শত ৯২ জন। এর মধ্যে উপস্থিত ছিল ৪ হাজার ৩ শত ৯১ জন, অনুপস্থিত ছিল ১০১জন এবং বহিস্কার ০২ জন।
নিজস্ব প্রতিনিধি: কলারোয়ায় দুস্থ ও অসহায় মহিলাদের মাঝে বিনামূল্যে সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়েছে। কলারোয়া হিউম্যান ওয়েলফেয়ার সোসাইটি ওই সেলাই মেশিনগুলো বিতরণ করে।
নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরায় ৫ জন শ্রেষ্ঠ শিক্ষক ও ১০ জন শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের পুরাতন সাতক্ষীরা পঞ্চ মন্দির মায়ের বাড়িতে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রনালয় এর আওতাধীন হিন্দু ধর্মীয় কল্যান ট্রাষ্ট কর্তৃক মন্দির ভিাত্তক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের ৪র্থ পর্যায় শীর্ষক প্রকল্পের আওতাধীন ২০১৬ শিক্ষা বর্ষের ১৫ জন শ্রেষ্ঠ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীকে এ পুরষ্কার বিতরন করা হয়।
গাজী আল ইমরান, শ্যামনগর: উপজেলার বংশিপুর-মুন্সিগঞ্জ রাস্তার বিভিন্ন স্থানে চলছে দায়সারাভাবে সংস্কারের কাজ। যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় এ এলাকার গন মানুষ এবং পর্যটকদের প্রাণের দাবি ছিল রাস্তাটি সংস্কারের।কিন্তু সংস্কারের নামে মানুষের মন বোঝাতে চলছে দায়সারা সংস্কারের কাজ। যেটা এ এলাকার মানুষের কোনদিন কাম্য ছিলনা। রাস্তাটির বিভিন্ন স্থানে বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। উঠে গেছে পিচ ও পাথর। যানবাহনগুলো অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। অন্তত ৩ বছর ধরে সড়কটির এ অবস্থা। ফলে সড়কে চলাচলকারী যানবাহনের যাত্রী ও পথচারীদের কষ্টের শেষ নেই। ওই ১৫ কিলোমিটারের মধ্যে প্রায় চারের তিন অংশ ভাঙাচোরা। সড়কটি যানবাহন চলাচলের উপযোগী করতে এর আগেও কয়েকবার কয়েকটি স্থানে ইট দিয়ে গর্ত ভরাটের কাজ করেছেন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু রাস্তাটি জনবহুল হওয়ায় এটা বেশি দিন স্থায়িত্ব লাভ করেনি। বংশীপুর থেকে মুন্সিগঞ্জ বাজার পর্যন্ত কমপক্ষে ২০টি স্থানে গর্ত তৈরি হয়েছে। এসব বড় গর্তের কারণে যানবাহন ও পথচারীদের চলাচল কঠিন হয়ে পড়েছে। কোনো কোনো স্থানে রাস্তা এতটাই খারাপ যে অনেক যানবাহনের চালক ভাঙাচোরা স্থান এড়িয়ে পাশের মাটির অংশ ব্যবহার করেন। বিগত কয়েকদিন পূর্বে মহান সংসদে সাতক্ষীরা-৪ আসনের মাননীয় সাংসদ জনাব এস,এম জগলুল হায়দার এ এলাকার মানুষের ভোগান্তির কথা তুলে ধরেছিলেন।এ জন্য সাতক্ষীরার সকল স্থরের মানুষ সাংসদকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন সংসদ সদস্যকে।এবং রাস্তাটি আবার তার প্রাণ ফিরে পাবে এ আশায় বুক বেধেছিল এলাকার জনগন।তাদের কষ্ঠ লাঘবের স¦প্ন দেখেছিল তারা।পথে চলাচলকারী কয়েকজন যাত্রী এবং স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় “রাস্তাটি ভালোভাবে মেরামত না করে দায়সারা মেরামত করা হচ্ছে যেটা কোনদিন কারো কাম্য ছিলনা।” হযরত গাজী নামে একজন পথচারী বলেন “আমরা অত্যন্ত কষ্ঠ করে প্রতি নিয়ত যাতায়াত করি ভেবেছিলাম রাস্তাটি ঠিক হবে কিন্তু যেভাবে কাজ হচ্ছে তা দেখে ভালো লাগার চেয়ে কষ্ঠ হচ্ছে।” এ বিষয়ে রোডস’র জেলা অফিসে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি। আর এই ধরনের দায়সারা কাজ রেখে পূর্ণ রুপে কাজ করার আহবান জানিয়েছে এলাকার সুশীল সমাজ।
মাহফিজুল ইসলাম আককাজ: সাতক্ষীরায় আদালতের রায় পেয়েও নিজ বাড়িতে বসবাস করতে পারছেনা পিতা ও পুত্র। পৈত্রিক সম্পত্তির বন্ঠনের জের ধরে শহরের ১নং ওয়ার্ডের কাটিয়া এলাকার সাবেক ব্যাংকার আব্দুল মাজেদ ও তার পুত্র মোস্তফা ইকবাল মাহমুদ নানাভাবে হয়রানী, হুমকি ধামকির কবলে পড়েছে। নিজ বসত ভিটায় পৌর বিধির প্লান অনুযায়ী বিল্ডিং নির্মান কাজে তার নিজ কন্যা শামীমা নাসরিন স্থানীয় ক্ষমতাসীন নেতার প্রভাব দেখিয়ে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে জীবন নাশের হুমকি ও নির্মানাধীন বিল্ডিংয়ের কাজ বন্ধ করে ও ক্ষান্ত হননি। এর পরেও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নিজ পিতা ও ভাইয়ের বিরুদ্ধে ইং-১৮/০৯/২০১৬ তারিখে ফৌজদারি কার্যবিধি আইনে ১৪৫ ধারায় মামলা দায়ের করে । একই মামলায় আদালতের শরনাপনর্ণ হলে ইং- ২৪/০১/২০১৭ তারিখে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উভয় পক্ষের দলিল দস্তাবেজ পর্যালোচনা করে যে যার স্বত্ব দখলীয় সম্পত্তিতে পৌরসভার অনুমোদিত নকশা এবং নীতিমালার আলোকে গৃহ নির্মান কাজ করার জন্য আদেশ প্রদান করে। আদালতের রায় উপেক্ষা করে শামীমা নাসরিন নিজ পিতা ও ভাইয়ের বিরুদ্ধে নির্মান কাজে বাঁধা ও ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। সাবেক ব্যাংকার আব্দুল মাজেদ জানান, আমার অবাধ্য সন্তান শামীমা নাসরিন। আমার ছেলে মোস্তফা ইকবাল মাহমুদের বাড়ির নির্মান করতে বাঁধা প্রদান ও প্রতিনিয়ত দেশীয় অস্ত্র দা, বটি ও শাবলসহ গালিগালাজ করে রাজ মিস্ত্রীদের কাজ করতে দিচ্ছেনা। সেই সাথে ক্ষমতাসীন এক রাজনৈতিক নেতা ঐ মেয়ের পক্ষ নিয়ে আমাকে জেএমবি’র মামলা দেওয়ার হুমকি-ধামকি অব্যাহত রেখেছে। নিয়তির কি নির্মম পরিহাস বয়সের শেষ প্রান্তে এসে নিজ কন্যার দ্বারা লাঞ্চনা গঞ্জনা সহ্য করতে হচ্ছে। আমি ২ ছেলে ও ১ মেয়েকে ৪৪ শতক জমির মধ্যে বড় ছেলেকে ১৪ শতক, ছোট ছেলেকে ৮ শতক এবং মেয়েকে ৯ শতক, স্ত্রীর নামে সাড়ে ৬ শতক এবং আমার নিজ নামে সাড়ে ৬ শতক জমি কোবালা দলিল করে বন্ঠন করে দিয়েছি। কিন্তু আমার মেয়ে তাতে সন্তষ্ট হতে পারছেনা। মেয়ে নিজ ভাগের জমিতে আগেই তার ভাই ইকবালের ১৪ শতক জমির মধ্যে ৪ শতক জমি দখল করে ঘর তৈরী করে। ইকবাল যখন ঘর তৈরী করে তখন তার বোন শামীমা নাসরিন গৃহ নির্মানে নানাভাবে বাঁধা প্রদান করে আসছে এবং উল্টো আমার নামে ও তার ভাইয়ের নামে কোর্টে ১৪৫ ধারার মামলা এবং সদর থানায় অভিযোগ দাখিল করে। সম্প্রীতি ইকবাল মাহমুদ তার নিজ জায়গায় মিস্ত্রী নিয়ে ঘরের কাজ করছিল। সেই মুহুর্তে তার বোন শামীমা নাসরিন কাজে বাঁধা দেয় এবং পৌরসভায় কাজ বন্ধের আবেদন করে। পৌরসভা জমি ও আদালতের কাগজপত্র দেখে স্বত্ব দখলীয় সম্পত্তিতে পৌরসভার অনুমোদিত নকশা এবং নীতিমালার আলোকে গৃহ নির্মান কাজ করার জন্য অনুমতি প্রদান করে । শামীমা নাসরিন কোন নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। আদালতের রায় মানতে সে নারাজ। নিজ কন্যার অত্যাচারে অসহায় পিতা ও পুত্র মানবেতর জীবন যাপন করছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও সমাজের বিবেকবান মানুষের কাছে শরানাপর্ণ ও আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।