সর্বশেষ সংবাদ-
কালিগঞ্জের সাবেক সমাজসেবা অফিসার শহিদুরের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধীর নামে বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাতের অভিযোগসাতক্ষীরায় চ্যাম্পিয়নশীপ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন: ভোলা জেলাকে ৪-১ গোলে হারাল সাতক্ষীরাদেবহাটার নোড়ারচকে নাটক সাজিয়ে অস্ত্র মামলায় বৃদ্ধাকে গ্রেফতার করানোর অভিযোগসাতক্ষীরায় সংলাপ বক্তারা: আগামী নির্বাচনে সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিশ্রæতি চায়হাসানের পরিবারের দাপট অব্যাহত: পাটকেলঘাটায় মানববন্ধনে প্রকাশ্য হামলাচতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী স্মৃতিতে অম্লান চিকিৎসক ডা. আনিছুরসাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবারের অনুকুলে ২৬ লাখ টাকার চেক বিতরণশ্যামনগরে কাজী আলাউদ্দীনের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পদেবহাটা উপজেলা জামায়াতের সুধী সমাবেশপ্রাণসায়ের খাল বাঁচাতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন ও সমাবেশ

photo-1482655694অনলাইন ডেস্ক: বলিউডে আমির খানের ছবি মানেই বক্স অফিসের নড়েচড়ে বসা। আর এই নড়েচড়ে বসার একমাত্র কারণ নতুন নতুন রেকর্ডের জন্য অপেক্ষা। অতীতে আমিরের মুক্তি পাওয়া ছবিগুলোর পরিসংখ্যান তাই বলে। গত ২৩ ডিসেম্বর মুক্তি পেয়েছে আমির খানের বহুল আলোচিত ‘দঙ্গল’ ছবিটি। মহাবীর ফোগতের জীবনী নিয়ে নির্মিত ছবিটিতে আমির খান অভিনয় করেছেন একজন কুস্তিগীরের চরিত্রে।

১২৫ কোটি রুপি  ব্যয়ে নির্মিত ‘দঙ্গল’ প্রথম দিনে সমগ্র ভারতে ৪৩০০ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়। বলিউড বক্স অফিস এর তথ্য মতে, দ্বিতীয় দিনে ছবিটি প্রায় ৬৪ কোটি রুপি আয় করেছে। অন্যদিকে, বিশ্বব্যাপী মুক্তি পাওয়া এক হাজার প্রেক্ষাগৃহ থেকে আয় করেছে চার দশমিক দুই মিলিয়ন ডলার।

ভারতে ৫০০ ও এক হাজার টাকার নোট বাতিলের প্রভাব ছবিটির ওপর পড়বে বলে অনেকে আশঙ্কা করলেও প্রেক্ষাগৃহগুলোতে সাধারণ দর্শকদের উপচে পড়া ভিড় সেই আশঙ্কাকে ভুল প্রমাণ করেছে।

এদিকে বলিউড ছবির সব থেকে বড় অনলাইন বুকিং সংস্থা বুক মাই শো দাবি করেছে, ২০১৬ সালে মুক্তি পাওয়া অন্য ছবির তুলনায় ৪০ শতাংশ আগাম টিকিট বিক্রি হয়েছে দঙ্গলের। সেই সঙ্গে সব থেকে দ্রুত ১০ লাখ টিকিট বিক্রি হয়েছে।

বলিউড চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা থেকে আরম্ভ করে সাধারণ দর্শক মনে করছেন, আমির খানের দঙ্গল বক্স অফিস রিপোর্টে বড় চমক আনবে। এটি আগের সব ছবিকে পেছনে ফেলে দেবে। এখন দেখার বিষয় তাঁদের প্রত্যাশা কতটুকু পূরণ করতে পারে ‘দঙ্গল’। তবে আগামী কিছুদিন যে ভারত দঙ্গলময় থাকবে সেটা বলে দেওয়া যায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

_93123652_777b1298-2d9e-4f57-ab21-68b3f990a2a5অনলাইন ডেস্ক: ভারতে গত মাসে রাতারাতি ৫০০ ও হাজার রুপির নোট বাতিলের পেছনে সরকারের আসল উদ্দেশ্য কী, সেই বিতর্ক ক্রমেই নাটকীয় মোড় নিচ্ছে।

বিরোধীরা ইতিমধ্যেই অভিযোগ তুলেছেন, এই পদক্ষেপে কালো টাকার বিরুদ্ধে লড়াই আদৌ সফল হয়নি – তাই সরকার এখন ‘ক্যাশলেস সোসাইটি’ বা নগদহীন লেনদেনের কথা বলে মানুষের নজর ঘোরাতে চাইছে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার মাসিক রেডিও ভাষণে ক্যাশলেস সোসাইটির জন্য নানা পুরস্কার ঘোষণা করে সেই বিতর্ককেই আরও উসকে দিয়েছেন।

কিন্তু ভারত কি সত্যিই এমন লেনদেনের জন্য প্রস্তুত – না কি সরকারের আসল উদ্দেশ্যটাই সম্পূর্ণ আলাদা?

ভারতে কালো টাকার খুব কম অংশই নগদে রাখা হয় – ফলে বড় অঙ্কের নোট বাজার থেকে তুলে নিয়ে কালো টাকার বিরুদ্ধে লড়াই আদৌ লড়া সম্ভব নয়, এ নিয়ে গত মাসেই সতর্ক করে দিয়েছিলেন দেশের বহু অর্থনীতিবিদ।
এখন দেখা যাচ্ছে, মানুষের কষ্ট করার জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদির বেঁধে দেওয়া ৫০ দিনের সময়সীমা যখন দ্রুত ফুরিয়ে আসছে – তখন তার নিজের মুখেও কালো টাকার বদলে বেশি শোনা যাচ্ছে ক্যাশলেস সোসাইটি গড়ার কথা।
রোববার তার ‘মন কি বাত’ ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পুরো দেশ জুড়ে এখন লোকের মুখে মুখে একটাই প্রশ্ন, একটাই চর্চা – ক্যাশলেস কী জিনিস, কীভাবে ক্যাশ বা নগদ ছাড়াও বেচাকেনা সম্ভব সবাই তা এখন শিখতে উৎসুক!”

“আজ বড়দিনের উপহার হিসেবে সরকারও এই ক্যাশলেসে উৎসাহ দিতে দুটো প্রকল্প ঘোষণা করছে, যে ব্যবসায়ীরা ডিজিটাল বা মোবাইল পেমেন্ট করবেন তারা আয়করে ছাড় পাবেন, একইভাবে রোজ লটারির মাধ্যমে পনেরো হাজার ক্রেতার অ্যাকাউন্টেও জমা পড়বে হাজার রুপির ইনাম,” জানান তিনি।
ভারতের বিরোধী দলগুলো মনে করছে, এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী কার্যত মেনে নিচ্ছেন যে কালো টাকার বিরুদ্ধে লড়াই মোটেও সফল হয়নি – তার বদলে সরকার এখন নগদবর্জিত লেনদেনের ওপরেই গুরুত্ব আরোপ করতে চাইছে।
কংগ্রেস ভাইস-প্রেসিডেন্ট রাহুল গান্ধী তো সরাসরি অভিযোগ করেছেন, এই ধরনের পেমেন্টকে উৎসাহ দিয়ে সরকার কিছু কর্পোরেট সংস্থাকে সুবিধে পাইয়ে দিচ্ছে।
তিনি বলছেন, “ক্যাশলেস করার মানে হল প্রতিটা লেনদেনে বিশেষ কয়েকটা লোককে ফায়দা লোটার ব্যবস্থা করে দেওয়া। যেমন, মোবাইল ওয়ালেট পেটিএম তো আমি বলব পে টু মোদি। কিন্তু সেটা করতে গিয়ে দেশের অর্থনীতিকে তিনি ধ্বংস করে ফেলছেন – বিশেষ করে গরিব মানুষ, চাষী, দিনমজুর বা মেহনতি জনতাকে সবচেয়ে বেশি ভুগতে হচ্ছে।”
Iক্যাশলেসে কার ফায়দা, সেটা অন্য প্রশ্ন – কিন্তু অর্থনীতিবিদ রতন খাসনবিশ মনে করেন কালো টাকা নয়, একেবারে প্রথম থেকেই সরকারের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল ভারতে হাজার হাজার কোটি টাকার নগদ লেনদেনের অধিকাংশকে ট্যাক্স স্ক্রটিনির আওতায় নিয়ে আসা – এবং সেই সঙ্গে রুগ্ন ব্যাঙ্কগুলোতে মূলধনের পরিমাণ বাড়ানো।
কিন্তু সেটা করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে কালো টাকার বিরুদ্ধে জেহাদকেই সামনে তুলে ধরতে হয়েছে বলে অধ্যাপক খাসনবিশের ধারণা।
তিনি বলছেন, “যেটা খুব সচেতনভাবে করা হয় তা হল প্রথমে এমন একটা ন্যারেটিভ রাখা হয়েছিল যেটা মানুষ খাবে। খেয়াল করে দেখুন আপনি যদি বাজারে কারেন্সির জোগান কমাতে চান তাহলে আগে কোনওভাবে আগের কারেন্সি তুলে নিতে হবে। ভারতে ষোলো লক্ষ কোটি টাকার নগদ লেনদেন বন্ধ করতে গিয়ে আপনি যদি ব্যাঙ্কে গ্রাহকদের বলেন টাকা দেওয়া সম্ভব নয় কারণ টাকা আসছে না – সেই গল্প মানুষ খাবে না, ব্যাঙ্কে ভাঙচুর হয়ে যাবে!”
“ফলে এর জন্য মানুষকে আগে প্রস্তুত করতে হবে। আর তার শ্রেষ্ঠ উপায় হল লোককে বোঝানো সীমান্তে দাঁড়িয়ে সেনারা দেশের জন্য প্রাণ দিচ্ছে, তুমি না-হয় কালো টাকার বিরুদ্ধে লড়তে কদিন লাইনে দাঁড়িয়ে একটু কষ্ট করলে!” বলেন তিনি।
“এর সঙ্গে একটা ন্যাশনাল হইচই ও দেশাত্মবোধক সুড়সুড়ি সবই জুড়ে দেওয়া হল – যাতে মানুষ এই জিনিসটা ধরে নেন এই টাকাগুলো এখন হাত থেকে চলে যাচ্ছে ঠিকই – কিন্তু শিগগিরি নতুন টাকা আবার হাতে চলে আসবে!” বলছিলেন রতন খাসনবীশ।
সেই নতুন টাকা আজও আসেনি – এবং ভারতে অনেক বিশেষজ্ঞই এখন মনে করছেন নতুন নগদের জোগান সীমিত রাখা হচ্ছে ইচ্ছে করেই, কারণ সেটা সরকারের এক বৃহত্তর পরিকল্পনা বা গেমপ্ল্যানের অংশ।
তবে যে দেশে এখনও প্রায় চল্লিশ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্কর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নেই, সেখানে এভাবে কড়া দাওয়াই দিয়ে সমাজকে ক্যাশলেস করার এক্সপেরিমেন্ট আদৌ সফল হবে কি না, সে প্রশ্নের উত্তর এখনও অজানাই।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

cঅনলাইন ডেস্ক: অপরূপ সব জায়গা সেগুলো। সেখানে প্রকৃতির সঙ্গে জীবনের মেলবন্ধনে নেয়া হয়েছে নানান পন্থা। জায়গাগুলোতে প্রকৃতি সত্যিই কথা বলে। এমন সব জায়গায় থাকার বাসনা তো সকলের মনের কোনে থাকতেই পারে। ধরুন এমন একটা জায়গায় থাকার সুযোগ মিলে তো গেলই, আর সঙ্গে যদি পেয়ে যান উপরি হিসেবে কিছু টাকা, অথবা ফ্রি থাকার জায়গা? অবাক হলেও এটা সত্যি। পৃথিবীর বেশ কিছু জায়গাতেই থাকার সঙ্গে সঙ্গে পেয়ে যেতে পারেন চমকপ্রদ সব সুবিধে। দেখে নিন কোন কোন জায়গায় এমন সুবিধে পেয়ে যেতে পারেন।

ডেট্রয়েট: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অটোমোবাইল রাজধানী এই শহর। বিংশ শতাব্দীর শেষ দিকে শহরটি জৌলুস হারাতে শুরু করে। দিনে দিনে জনমানবহীন হয়ে যায়। কিন্তু ফের সেখানে জীবন ফিরিয়ে আনতে নেওয়া হয়েছে ‘চ্যালেঞ্জ ডেট্রয়েট’। এই প্রোজেক্টে প্রায় আড়াই হাজার মানুষকে বিনামূল্যে থাকার সুযোগ তো দেওয়াই হবে, তাদের জন্য কাজের ব্যবস্থাও করা হবে।

নায়াগ্রা ফলস: পৃথিবীর সর্বোচ্চ জলপ্রপাতের কাছে থাকার সুযোগ দেয় স্থানীয় প্রশাসন। সরকার গ্রাজুয়েটদের সাত হাজার ডলার পর্যন্ত দিয়ে থাকে। শর্ত একটাই ফলসের কাছাকাছি গড়ে ওঠা কোনও প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে হবে।

আলাস্কা: আপনি কি শীত ভালবাসেন? শ্বেত তুষারাবৃত ঠান্ডা আবহাওয়ার মধ্যে আপনার জন্য অপেক্ষা করছে আলাস্কা। এখানে সরকারের একটি আলাদা ফান্ড রয়েছে। পেশাদার লোকেরা আলাস্কায় বাস করতে চাইলে সরকার তাদের পূর্ণ সহযোগিতা করবে। আপনাকে একটি শর্ত পালন করতেই হবে। তা হল, অন্তত এক বছর থাকতে হবে ওখানে।

পনগা: উত্তর-পূর্ব স্পেনের সংরক্ষিত এলাকার মধ্যে থাকা এই গ্রামটিতে জনবসতি খুবই কম। অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রতিটি যুগলকে এখানে এসে থাকার জন্য তিন হাজার ইউরো দেওয়া হয়।

উট্রেচট: নেদারল্যান্ডসের এই শহরে প্রতিটি নাগরিককে এক হাজার ডলার করে দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

সাস্কাটচেয়ান: কানাডার এই প্রদেশ সুযোগটি দিচ্ছে শুধুমাত্র যোগ্যতাসম্পন্ন গ্রাজুয়েট ছেলে-মেয়েদের জন্য। যারা এখনও তাদের কেরিয়ার কী ভাবে গড়বেন ঠিক করেননি তাদের জন্য রয়েছে অনন্য সুযোগ। তারা সাত বছর পর্যন্ত ২০ হাজার কানাডিয়ান ডলার পাবেন এখানে থাকা এবং কাজ করার জন্য।

নেবরাস্কা: মার্কিন মুলুকের এই জায়গায় ঘটেছে মজার একটা বিষয়। প্রশাসন স্থানীয় বাসিন্দাদের সুযোগ দিয়েছে, তারা জমি বিনামূল্যে পাওয়ার আবেদন করতে পারবেন। বিনিময়ে সেখানকার উন্নতির জন্য কী কী গঠনমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সে বিষয়ে পরামর্শ দিতে হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

full_1310033423_1482670601অনলাইন ডেস্ক: রোমান ক্যাথলিক গির্জার প্রধান পোপ ফ্রান্সিস বলেছেন, খ্রিস্টীয় ‘বড়দিনের’ প্রকৃত তাৎপর্য বস্তুগত ভোগ-বিলাসের মধ্যে নিমজ্জিত হয়ে গেছে।
শনিবার ভ্যাটিকানে বড়দিনের আগের দিন সন্ধ্যার প্রার্থনা সভায় এ কথা বলেন ফ্রান্সিস।

যিশুখ্রিস্টের জন্মদিন উপলক্ষে শুরু হওয়া ‘বড়দিন’ উপলক্ষে পোপ বলেন, বস্তুগত বিষয়গুলো ক্রিসমাস পরবকে ‘জিম্মি’ করে ফেলেছে, তাই এবারের পরবে আরো ‘নম্রতা’ আসা দরকার।

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা এমন এক সময়ে বাস করছি যখন বাণিজ্যের আলো খোদার আলোকে ছায়া বানিয়ে ফেলেছে, আমরা গিফটের জন্য অধীর থাকলেও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সঙ্গে শীতল ব্যবহার করি’।

এসময় আলেপ্পোসহ সিরিয়ার শহরগুলোতে বোমাবর্ষণের শিকার হওয়া মানুষের কথাও স্মরণ করেন তিনি। বিবিসির খবরে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

গত প্রত্যেকটি বছরে শরণার্থীদের প্রতি সহানুভুতি দেখানোর আহ্বান জানিয়েছেন পোপ, এবারও একই আহ্বান জানিয়ে যিশু একজন অভিবাসী ছিলেন বলে খ্রিস্টানদের স্মরণ রাখতে বলেছেন তিনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক:
ইংলিশ প্যারাডাইস থেকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় চান্সপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। গতকাল রবিবার বেলা ১২টায় সরকারি কলেজ রোডস্থ ইংলিশ প্যারাডাইস ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের এ সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ইংলিশ প্যারাডাইসের প্রতিষ্ঠাতা ও আগরদাড়ি আমিনিয়া কামিল মাদ্রাসার ইংরেজি প্রভাষক মল্লিক হাবিবুর রহমান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে  শিক্ষার্থীদের মাঝে সংবর্ধনা প্রদান করেন সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ লিয়াকত পারভেজ। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ হিসাববিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মোঃ আবুল হাশেম, ভূগোল বিভাগের সহকারি অধ্যাপক আ.ন.ম গাউছার রেজা। এসময় প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক রবিউল ইসলাম, মাসুম বিল্লাহসহ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ইংলিশ প্যারাডাইসের সাফল্য অগ্রগতি নিয়ে শিক্ষক এবং কৃতি শিক্ষার্থীবৃন্দ সাফল্যের অনুভূতি ব্যক্ত করেন। উল্লেখ্য, এবছর ইংলিশ প্যারাডাইস থেকে বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় ২২ জন শিক্ষার্থী অংশ গ্রহন করে তাদের মধ্য থেকে ১৫জন শিক্ষার্থী  চান্স পেয়েছে। অতিথিবৃন্দ কৃতি শিক্ষার্থীদের সার্বিক সাফল্য ও দোয়া কামনা করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ১০জন গুণীব্যক্তিকে ‘গুনীজন সম্মাননা’ ২০১৫ ও ২০১৬ প্রদান ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় ৬টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে এ সম্মাননা প্রদান করা হবে। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন সদর আসনের সংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন পুলিশ সুপার মোঃ আলতাফ হোসেন, সরকারি কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ লিয়াকত পারভেজ, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু, পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দিন। অনুষ্ঠানে সকলকে আমন্ত্রন জানিয়েছেন জেলা শিল্পকলা একাডেমির সদস্য সচিব শেখ মোসফিকুর রহমান মিল্টন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

full_66342325_1482648751অনলাইন ডেস্ক: ৯১ জন আরোহী নিয়ে উড্ডয়নের পরপরই রেডার থেকে উধাও হয়ে যাওয়া রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের উড়োজাহাজটি কৃষ্ণসাগরে বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ‌্যমগুলো।

ইন্টারফ‌্যাক্সের বরাত দিয়ে বিবিসির খবরে বলা হয়, কৃষ্ণসাগরের অবকাশযাপন কেন্দ্র সোচি থেকে স্থানীয় সময় ভোর ৫টা ২০ মিনিটে উড্ডয়নের মিনিট বিশেক পর উড়োজাহাজটির সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ কক্ষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে, উপকূল থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে টুপোলেভ-১৫৪ উড়োজাহাজটির ধ্বংসাবশেষ দেখতে পেয়েছেন উদ্ধারকর্মীরা। “বিমানের সম্ভাব‌্য টুকরো, আন্ডারক‌্যারেজ এবং তেলের দাগ দেখা গেছে ওই এলাকায়।”

৮৩ জন যাত্রী ও আটজন ক্রু নিয়ে উড়োজাহাজটি সিরিয়ার লাটাকিয়ায় যাচ্ছিল বলে রুশ সংবাদমাধ‌্যমের খবর। তাস জানিয়েছে, আরোহীদের মধ‌্যে সামরিক বাহিনীর সদস‌্যদের পাশাপাশি সেনা বাহিনীর একটি বাদক দল ও সাংবাদিকরা ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ec60caae2f571bc6a01c575c894c4d35-5822c86164f34অনলাইন ডেস্ক: জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটারদের মোবাইল বা অন্য কোনও ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। কমিশনের এই নির্দেশনা যেন প্রতিপালিত হয় তার জন্য নির্বাচন কমিশন থেকে পরিপত্র জারির পাশাপাশি জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও রিটার্নিং কর্মকর্তাদের এ সংক্রান্ত নির্দেশনা ইতোমধ্যে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়ে যেন তার ছবি তুলে আনতে না পারে, এজন্য এ কড়াকড়ি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কোনও ধরনের ডিভাইস নিয়ে প্রবেশ করতে না পারে, সে জন্য প্রবেশের আগে প্রত্যেক ভোটারকে তল্লাশি করার কথা বলা হয়েছে।

নির্বাচন কমিশন সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী ভোট কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসার ও কেন্দ্রের দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধান ছাড়া নির্বাচনের দায়িত্বরত অন্যান্য সব ব্যক্তির মোবাইল ফোন ব্যবহারে বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়ে থাকে। একইসঙ্গে ভোটাররাও যেন ভোটদানের সময়ে কেন্দ্রে মোবাইলসহ প্রবেশ করতে না পারেন, সে বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য প্রিজাইডিং অফিসারকে নির্দেশনা দেওয়া হয়ে থাকে। অন্যান্য নির্বাচনের মতো আগামী ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় জেলা পরিষদ নির্বাচনেও এ নির্দেশনা জারি হয়েছে। তবে, নিয়ম থাকলেও সাধারণত নির্বাচনগুলোতে এটা বাস্তবায়নে কড়াকড়ি দেখা যায় না। যে কারণে অনেক সময় অনেক ভোটার গোপন বুথে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে তার ছবি মোবাইলের ক্যামেরা দিয়ে তুলে নিয়ে আসেন। কোনও কোনও ক্ষেত্রে বাইরে এসে তা ফলাও করে প্রচারও করেন। অনেক ভোটারকে মোবাইলে ছবি তুলে এনে তা দেখানোর জন্য প্রার্থী বা তার লোকজনের পক্ষ থেকে আগে থেকেই নির্দেশনা থাকে বলে অভিযোগ রয়েছে। আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের পক্ষ থেকে ভোটদানের ছবি তুলে এনে দেখানোর জন্য এ ধরনের নির্দেশনা বা চাপ রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর পেছনে অবৈধ লেনদেন রয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। ওয়ার্ড সদস্য প্রার্থীর পক্ষ থেকে এ ধরনের অপতৎপরতার প্রচেষ্টার অভিযোগ বেশি আসছে বলে জানা গেছে।

ইলেক্ট্রোরাল কলেজ পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিব্য জেলা পরিষদ নির্বাচনে খুব অল্প ভোটের ব্যবধানে জয় পরাজয় নির্ধারিত হবে। এজন্য প্রার্থীরা প্রত্যাশিত ভোটারের ভোটের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য ছবি তোলার এই ‘অবৈধ’ পন্থার দ্বারস্থ হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনেও এ ধরনের কিছু অভিযোগ ইতোমধ্যে জমা পড়েছে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাগেরহাট জেলার সদর উপজেলার বারুইপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের একজন সাধারণ সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আমাকে জেলা পরিষদের একজন প্রভাবশালী সদস্য প্রার্থীর পক্ষ থেকে ভোট দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। আমি যেন ওই সদস্যকে ভোট দিয়ে মোবাইলে ছবি তুলে আনি তার জন্য চাপাচাপি করা হচ্ছে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বগুড়া জেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ইউনুচ আলী বলেন, ‘ভোট দিয়ে ছবি তুলে আনার বিষয়ে কিছু অভিযোগ আমাদের কাছে এসেছে। আমরা এ বিষয়ে সতর্ক রয়েছি। কমিশন থেকেও বিষয়টি আমাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা প্রিজাইডিং অফিসারদের এ বিষয়ে নির্দেশনা দেব। ভোট কেন্দ্রে ঢোকার আগে ভোটাররা যেন মোবাইল বা অন্য কোনও ডিভাইস নিয়ে প্রবেশ করতে না পারে তার জন্য আমরা তল্লাশির ব্যবস্থা করব।’

নির্বাচন কমিশনার শাহ নেওয়াজ বলেন, ‘ভোট দিয়ে ছবি তোলার বিষয়ে কমশনে কিছু অভিযোগ পড়েছে। আমরা আগেই এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছি। ডিসি, এসপিদের ও রিটার্নিং কর্মকতাদের সঙ্গে বৈঠকেও আমরা এটা জানিয়ে দিয়েছে। দরকার হলে তাদের ফোন করে আবারও এ বিষয়ে সতর্ক করা হবে।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest